এসো কোরআন শিখি
আমরা নিজেরাও কোরআন ও হাদিস শিখব ও অপরক
প্রশ্ন-২৪৯: বাংলা উচ্চারণ দেখে কুরআন পড়া যাবে কি না জানতে চাই।
উত্তর: না, পড়া যাবে না। বাংলা উচ্চারণ দেখে পড়লে ঈমান চলে যাবে। আপনি যদি আরবি না পড়তে পারেন বাংলা অনুবাদ পড়েন। কুরআন তো সাপের মন্ত্র না। বুঝলাম না, সুঝলাম না, যা পারলাম উচ্চারণ করলাম- এমন না। কুরআন তো একটা ভাষা। একটা কথা। আপনি যখন ‘আলহামদু লিল্লাহ' (হামদ এর হ’ মোটা গলায় উচ্চারণ করা, ১) বলবেন, তখন আল্লাহকে গালি দেয়া হয়। আর যখন আলহামদুল্লিাহ (L১ হ’ এর উচ্চারণ গলার ভেতর থেকে) বলবেন, তখন আল্লাহর প্রশংসা করা হয়। আপনি কুরআন দেখে পড়তে গিয়ে সঠিক উচ্চারণের চেষ্টা করেছেন, ভুল হয়েছে, আল্লাহ ক্ষমা করবেন। বান্দার চেষ্টা যদি আন্তরিক হয়, আল্লাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু আপনি আরবি উচ্চারণ না করে বাংলা দেখে পড়লেন- আ ল আল, হ আ-কার ম হাম, দ হ্রস্ব-উ কার হামদু, এভাবে পড়লে কুরআন তো তিলাওয়াত হবেই না, বরং কুরআন পড়তে গিয়ে ঈমানবিরোধী কথা বলে ঈমানটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সবাই সাবধান থাকবেন। আরবি শিখে পড়ার চেষ্টা করবেন। না পারলে বাংলা অনুবাদ পড়বেন। তাহলে কুরআনের মজা পাবেন।
বইঃ জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড)
জীবনে বরকত পেতে চান???
খাদেমের জন্য আবেদন..
°°°রাসুল (ﷺ) বললেন, "হে ফাতিমা, আমি কি তোমাকে এমন কিছু দেবো যা একজন খাদেমের চেয়েও বেশি উপকারী ও উত্তম?
" তাঁরা দুজনেই বললেন, "হ্যাঁ, অবশ্যই", তাঁরা ভেবেছিলেন রাসুল (ﷺ) হয়তো তাঁদের সাহায্য করার জন্য একাধিক খাদেম এর ব্যবস্থা করে দিবেন, তিনি সত্যিই তাঁদের অবস্থার উন্নতি করবেন।
কিন্তু তা না করে, বরং রাসুল (ﷺ) বলেছিলেন, "প্রতি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ৩৩ বার 'সুবহানাল্লাহ' (আল্লাহর মহিমা প্রকাশ), ৩৩ বার 'আলহামদুলিল্লাহ' (আল্লাহর প্রশংসা করা) এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলবে।"
এভাবে সব মিলিয়ে ১০০ বার জিকির করতে বললেন।
তাঁরা উভয়েই স্বীকৃতি জানালেন অবশ্যই তাঁরা তা করবেন।
রাসুল সাঃ আরো বলেছিলেন,, প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এই জিকির গুলো যদি তোমরা করো, আল্লাহ তোমাদের চাহিদার চেয়েও বেশি বারাকাহ দিবেন।"
[সহি বুখারী: ৫৩৬২, মুসলিম: ২৭২৭]
আলী (রা:) বলেন, "এরপর এমন কোন রাত অতিবাহিত হয় নি যে আমরা এই জিকির গুলো করিনি। ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার।
আল্লাহর শপথ করে বলছি, এরপর আমাদের শারীরিক শক্তি ও পুষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছিল, এবং কখনও মনে হয়নি যে আমাদের খাদেমের প্রয়োজন আছে। আল্লাহ এই পরিস্থিতিতে আমাদের সমৃদ্ধ করেছিলেন এবং শক্তি যুগিয়েছেলেন। এরপর আমাদের আর কিছুর প্রয়োজন হয়নি।"
আলী (রা:) ও ফাতিমার (রা:) সুখের সংসার।
মূল: ড. ওমর সুলাইমান
*বিয়েটা এমন হওয়া দরকার :*
১. বিয়ের সময়ও মেয়েকে পর্দা করতেই হবে।
২. বিয়েটি সামাজিক ভাবে না হয়ে শারী‘য়াহ্ অনুযায়ী হবে।
কথা থাকবে :—
• কোনো ছবি দেওয়া - নেওয়া হবেনা।
• মেয়ে দেখতে ছেলে, মা ও বোন ছাড়া আর কেউ যাবে না।
• ছেলের বাবাও বিয়ের আগে মেয়ে (পাত্রী) দেখতে পারবেন না।
• কোনো রেষ্টুরেন্টে মেয়ে দেখার আয়োজন হবে না।
• গায়ে ‘মরিচ’ হবে না।
• বাড়ি লাইটিং হবে না।
• গান, নাচ হবেনা।
• আক্বদ অনুষ্ঠান হবে না।
• বিয়ে হবে শুক্রবার আসরের পরে।
• বিয়ে হবে মসজিদে।
• কোনো গেট ধরা/শালা শালীর মজা করা হবেনা।
• কেউ ছবি তুলতে পারবেন না।
• বিশাল অংকের মোহর হবে না। ছেলের সামর্থ্য মত হবে। ছেলের সাথে আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে।
• কাবিনের টাকা ছেলের ইনকামের হালাল টাকা হবে।
• কাবিনের টাকা বিয়ের দিন মেয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
• বর যাত্রীর নামে একজনেরও ভুঁড়িভোজ হবে না।
• আক্বদের পর বউ নিয়ে যাওয়া হবে।
• ছেলের বাড়ি নিয়ে ছেলে চাইলে বউ সাজবে বিয়ের সাজে। তবে সেটা ছেলের মা বাবা বোন আর ছেলে দেখবেন।
• বউকে মূর্তির মত স্টেজে বসানো যাবে না।
• বউভাত চাইলে ছেলে করতে পারবেন।
• যৌতুকের অভিশাপ হিসাবে একটি সুতা ও যাবে না। ইং-শা-আল্লাহ।
• সেই রাতেই ওয়ালীমাহ্ হবে।
• বিয়ে উপলক্ষে মেয়ের বাবা-মার একটি টাকাও খরচ হবেনা। ছেলেদের মত থাকলে হালকা আয়োজন করা হবে শুধু কাছের আত্মীয়রা থাকবে।
• বর বউকে কি দিচ্ছেন এবং কয় ভরি স্বর্ণ দেয়া হবে তা জানতে চাওয়া হবেনা। তাদের ছেলের বউ কীভাবে সাজাবেন সেটি তাদের বিষয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, বিয়ের আলোচনায় কোনো পক্ষের তৃতীয় কোনো ব্যক্তি থাকবেনা। সব মেয়ের বাবা এবং ছেলের বাবা কথা বলে ঠিক করবেন।
আমরা যারা আল্লাহ্’র সন্তুষ্টির জন্য বিবাহ করতে চাই, আমাদেরও এমন দৃঢ় প্রত্যয় রাখা উচিত। আল্লাহ আমাদেরকে যেন কবুল করে নেন। আমিন। —🌺❤️🥀
➡পুরুষদের ধ্বংসের ৮টি কারণ.😰
১. নেশায় আসক্তি (সিগারেট, মদ-জুয়া ইত্যাদি)
"তোমরা নিজেদের হত্যা কর না"
__(সুরাঃ-নিসা: ২৯)📚
২. কাচা হলুদ ও লাল রঙের কাপড় পরিধান করা। - __(সহীহ মুসলিমঃ ২০৭৭)📚
৩. পুরুষ হয়েও গোল্ড ব্যবহার করা।
__(ইবনে মাজাহঃ ৩৫৯৫, আবু দাউদঃ ৪০৫৭)📚
৪. যেসব পুরুষ নারীদের সাজগোজ অনুকরণ করে। নাক-কান ফোড়ানো অর্থাৎ, মহিলাদের চালচলন অনুকরণ করা পুরুষদের জন্য রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) এর অভিশাপ।
__(আবু দাউদঃ ৪০৯৭, ইবনে মাজাহঃ ১৯০৪)📚
৫. সিল্কের পোশাক বা রেশম পোশাক পরিধান করা। - __(নাসাঈঃ ৫১৪৪)📚
৬. পুরুষের টাকনুর নিচে প্যান্ট পরা হারাম এবং রাসূল (সঃ) বলেছেন, এটা জাহান্নামি পুরুষের লক্ষ্মণ।
__(আবু দাউদঃ ৩১৪০)📚
৭. ইচ্ছাকৃত ভাবে জামায়াতে সালাত আদায় না করা এবং ফরজ সালাতে আদায় অলসতা। কেননা,"যে ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ছেড়ে দিলো সে কাফিররের কাজ করলো।
__(সহীহ মুসলিম: ৮২, তিরমিজি: ২৬১৯)📚
৮. দৃষ্টি সংযত না রাখতে পারা (গান বাজনা শোনা মিউজিক এর সাথে লিপ্ত থাকা)
"নিশ্চয়ই কান, চোখ ও অন্তকরন এদের প্রত্যেকটির হিসাব দিতে হবে"
__(সূরা বনী ইসরাঈলঃ ৩৬)📚
~মহান আল্লাহর আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন আমিন.😢🤲
আবু হুরাইয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
এমন দুটি বাক্য আছে যা মুখে উচ্চারন করা অতি সহজ, ওজনে খুবই ভারী এবং করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নিকট অতি প্রিয়ঃ
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ
(মহা পবিত্র আল্লাহ তাআলা, তিনি মহামহিম, মহা পবিত্র আল্লাহ তাআলা, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য)।
রেফারেন্সঃ
জামে আত তিরমিজি ৩৪৬৭
নিজের পাপের জন্যে কি অন্যকে দায় করে মুক্তি পাওয়া যাবে?
https://fb.watch/gcX4QET_Zk/
বোখারী শরীফ প্রথম খন্ড
(ইলম)
পরিচ্ছদঃ ৭৫। হাদিসের প্রতি আগ্রহ
হাদিস নাম্বার - ৯৯
আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ)...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হলঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ! কিয়ামতের দিন আপনার শাফা'আত লাভে কে সবচাইতে বেশি ভাগ্যবান হবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ হুরায়রা ! আমি ধারণা করেছিলাম, এ বিষয়ে তোমার আগে আমাকে আর কেউ প্রশ্ন করবে না। কারন আমি দেখেছি হাদীসের প্রতি তোমার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। কিয়ামতের দিন আমার শাফা'আত লাভে সবচাইতে ভাগ্যবান হবে সেই ব্যাক্তি যে খালিস দিলে লা ইলাহা ইল্লাহ্ (পূর্ণ কালেমা তাইয়্যেবা) বলে।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন জিবরাঈল (আঃ)-কে বললেন,
"আপনি যতোবার আমার নিকট এসেছেন,
ততোবার-ই আপনার কপালে শোক ও
দুশ্চিন্তার ছাপ ছিলো......এর কারণ কী ?"
জিবরাঈল (আঃ) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম - এর প্রশ্নের জবাবে বললেন, "জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে
আমার ঠোঁটে কখনো হাসি ফুটেনি।"
🖤 জাহান্নাম কেমন হবে?
☞ ১। জাহান্নামের গভীরতা এমন যে,
এর মুখ থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে
জাহান্নামের তলদেশে পৌছাতে ৭০ বছর সময় লাগে।
বিচারের দিন জাহান্নাম কে ৭০ হাজার শিকল দ্বারা টেনে আনা হবে যার প্রত্যেক শিকল ৭০ হাজার ফেরেশতা বহন করবেন।
☞ ২। জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে।
☞ ৩। জাহান্নামবাসীদের শরীরের চামড়া
১২৬ ফুট পুরো করে দেওয়া হবে
যাতে করে আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ হয়,
তাদের শরীরে আরও থাকবে তিল
যার এক একটি উহুদ পাহাড়ের সমান।
☞ ৪। প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে আরও তীব্র আর ভয়াবহ করা হবে।
☞ ৫। জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটা যুক্ত গাছ আর পানীয় হবে ফুটন্ত পানি,পুঁজ ও রক্তের মিশ্রণ এবং উত্তপ্ত তেল।এরপরও জাহান্নাম বাসীর পিপাসা এতো বেশী হবে যে তারা এই পানীয় পান করতে থাকবে।
☞ ৬। জাহান্নামের এই ভয়াবহ কল্পনাতীত আযাব অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে,
জাহান্নাম বাসীরা এক পর্যায়ে জাহান্নামের দেয়াল টপকিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে লোহার হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেওয়া হবে।
💬 হে আল্লাহ, আমাদেরকে আপনি জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন। 🌺
আমিন🤲
©
➪❝"বেপর্দা মেয়েদের পিছনে ❌
ছেলেরা একটু বেশিই ঘুরে"❞
➪❝"কারণ সস্তা জিনিসের ক্রেতা
সবসময়ই বেশিই হয়"❞
➪❝"আর পর্দাশীল
মেয়েদের পিছনে কেউ ঘুরেনা"❞
➪❝"কারণ এরা
হীরার চেয়ে মূল্যবান হয় বলে"❞
➪❝"আর সস্তায় জিনিস পেলে
দামিটা কে আর চায়"❞
➪❝"আর যে বুঝে সে সস্তা জিনিস একশত বার না কিনে
একবারে দামিটা কিনে নেয়"❞ ✔️🌼❤️🤗
অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা......
এবং বিয়ের মাধ্যমে ধনী হওয়া যায়......✍️👇✍️
অতচ এই আয়াতে আল্লাহ বলেন :
وَأَنكِحُوا الْأَيَامَى مِنكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِن يَكُونُوا فُقَرَاء يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
বিয়ে করো,তোমায় প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমি
আল্লাহর......!!!!!!অভাবে আছো অভাব দূর করে দেব। আল্লাহ বলেন ধনী হতে চাও বিয়ে করো।
আবার রাসুল (সা.) বলেছেন, ثَلَاثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَوْنُهُمْ: المُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَالمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الأَدَاءَ، وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ العَفَافَ তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তায়ালার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়।
১। আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদকারী,
২। চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়
৩। ওই বিবাহিত ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়।
হাদিসটি পাবেন
(তিরমিজি-১৬৫৫, নাসায়ি-৩২১৮, ৩১২০, সহিহ ইবনে হিব্বান-৪০৩০, বায়হাকি, সুনানুল
অল্প বয়সে বিয়ে করলে রোমান্টিকতার বহু
সময় পাওয়া যায়।কেন এতো বিয়ে করতে দেরি
করছেন।আল্লাহ তো অফার দিয়ে রাখছেন।
আল্লাহ তোমাকে বড়লোক বানিয়ে দেবেন তার
ওয়াদা দিয়েছেন।
শুধু খামাখা কেন দেরি করছেন, বিয়ে করুণ......
যৌবন শুরু হয়েছে, আল্লাহর দেয়া বিশাল
অফার টাকে গ্রহণ করুণ।
বিয়ে করুণ
বিয়ে করলে যে উপকারিতা পাবেন তা হলো👇👇👇
১। লজ্জা স্থানের হেফাজত হয়
২। বিবাহ চক্ষু নিচু করে
৩। তাড়াতাড়ি ধনি হওয়া যায়।
৪। ইমান পরিপূর্ণ হয়
৫। অসুস্থতা দূর হয়।
৬। ইবাদতে মজা পাওয়া যায়।
৭। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
৮। মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
এমন তৃপ্তি যেটা শুধু নিজের বউয়ের কাছে পাবেন
যেনা করতে গিয়েও তা পাবেন না।
৯। মেজাস ঠান্ডা থাকে।মাথা কখনো হট হবেনা।
১০। যৌবনের ক্ষুদা নিবারণ হয়।
আরো অনেক উপকারিতা আছে।
বিয়েকে সহজ করুণ,দেখবেন সমাজ থেকে
অনেক জেনা ব্যাবিচার কমে যাবে।
ছেলেমেয়েদের অভিবাবকদের বলি অল্প বয়সে ছেলে মেয়ে বিয়ে করান।
সরকারি চাকরি বাদ দেন,আগে দেখুন ছেলে মানুষ কিনা এবং তার দ্বীনদারিত্ব দেখুন, তার সাথে বিয়ে দেন।ইনশাআল্লাহ ফায়দাবান হবেন।
জাযাকাল্লাহ খায়েরান।🥀
◾প্রতিদিন পাঁচ পৃষ্ঠা কুরআন তিলাওয়াত করা মানে মাস শেষে আপনি একশো পঞ্চাশ পৃষ্ঠা কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন।
◾প্রতিদিন পাঁচ পৃষ্ঠা বই পড়া মানে মাস শেষে দেড়শো পৃষ্ঠা বই আপনার পড়া হয়।
◾প্রতিদিন দুটো হাদিস পড়া মানে মাসের শেষে আপনি পড়ে ফেলেন সর্বমোট ষাটটা হাদিস!
◾প্রতিদিন অন্তত পাঁচ মিনিট যদি হাঁটেন, মাসের শেষে আপনার হাঁটার পরিমাণ দাঁড়ায় দেড়শো মিনিট!
আপনি হয়তো ভাবছেন, 'প্রতিদিন পাঁচ পৃষ্ঠা কুরআন, পাঁচ পৃষ্ঠা বই, দুইটা হাদিস আর পাঁচ মিনিট হাঁটা'- এ আর এমন কঠিন কী!
কিন্তু, অতি সহজ এই কাজগুলো আমরা অনেকেই করি না।
এটা তো গেলো মাসের হিসেব, এভাবে দিনের অতি-ক্ষুদ্র কাজগুলো যদি আমরা নিয়মিত করতে পারি, একবছরে সেই পরিমাণটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভাবুন তো!
আসলে, ব্যাপারটা প্রায়োরিটির। নিজেকে গড়তে হয় আস্তে আস্তে, ধীরে ধীরে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালিকণা আর বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল। ছোট ছোট কাজগুলোই বড় বড় ফলাফল বয়ে আনে।
'যখন শুরু করবো তখন বেশ জোরেশোরেই করবো'- এই ভাবনা ছেড়ে ছোটখাটোভাবে আজ থেকেই একটু একটু করে শুরু করে দিন।
নিজেকে আপনি যেরকম পরিবর্তন করবেন, দিনশেষে আপনার জীবন সেরকম আকৃতি পাবে।
‘আবদুল্লাহ্ মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ তোমরা মাগরিবের (ফরজের) পূর্বে (নফল) সালাত আদায় করবে; লোকেরা এ ‘আমলকে সুন্নাত হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, এটার কারণে তৃতীয়বারে তিনি বললেনঃ এ তার জন্য যে ইচ্ছে করে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১১৮৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
◑ একজন নারী যেমন স্বামী পছন্দ করে
চার মাযহাবের একজন প্রখ্যাত ইমাম, আহমাদ বিন হাম্বল। ইমাম সাহেবের ছেলের বিয়ের সব ঠিকঠাক। একদিন সময় করে পুত্রকে ডেকে পাশে বসালেন। আন্তরিক ভঙ্গিতে বলতে শুরু করলেন:
ওয়ালাদী! তুমি কি সুখী হতে চাও?
- না—আম ইয়া আবী! (হ্যা অবশ্যই আব্বাজান!')
তাহলে তোমাকে তোমার হবু জীবনসঙ্গিনীর জন্যে দশটা বিষয় নিয়ে যেতে হবে।
- কী সেগুলো? কোথায় পাওয়া যাবে?
তোমাকে কোথাও যেতে হবে না। কিনতেও হবে না। আমার কাছে, তোমার কাছে, সবার কাছেই সেগুলো আছে। সবাই ব্যবহার করতে পারে না। এই যা। তাহলে চলো দেখা যাক, অমূল্য সেই দশটা বিষয় কী?
👉🏻 প্রথম ও দ্বিতীয়: নারীরা সাধারণত রোমান্টিকতা পছন্দ করে। খুনসুটি রসিকতা পছন্দ করে। নখরা-ন্যাকা তাদের স্বভাবজাত। তারা ভালোবাসার স্পষ্ট প্রকাশকে খুবই পছন্দ করে। তুমি একান্তে তোমার স্ত্রীর কাছে এসব প্রকাশে কখনোই কার্পণ্য করবে না। তাকে বেশি বেশি ভালোবাসার কথা বলবে।
যদি এসবে কার্পণ্য করো, তাহলে দেখবে কিছুদিন পরই তোমার আর তার মাঝে একটা অদৃশ্য পর্দা ঝুলে গেছে। এরপর দিনদিন পরস্পরের সম্পর্কে শুষ্কতা আসতে শুরু করবে। ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালাবার পথ খুঁজবে।
👉🏻 তৃতীয়: নারীরা কঠোর-কর্কশ-রূঢ়-বদমেজাজী-রুক্ষস্বভাবের পুরুষকে একদম পছন্দ করে না। তোমার মধ্যে এমন কিছু থেকে থাকলে এখনই ঝেড়ে ফেল। কারণ তারা সুশীল, ভদ্র, উদার পুরুষ পছন্দ করে। তুমি তার ভালোবাসা অর্জনের জন্যে, তাকে আশ্বস্ত করার জন্যে হলেও গুণগুলো অর্জন করো ৷
👉🏻 চতুর্থ: এটা খুব ভাল করে মনে রাখবে, তুমি তোমার স্ত্রীকে যেমন পরিচ্ছন্ন, সুন্দর, পরিপাটি, গোছালো, সুরুচিপূর্ণ, সুগন্ধিময় দেখতে চাও, তোমার স্ত্রীও কিন্তু তোমাকে ঠিক তেমনটাই চায়। তাই সাবধান থাকবে, তার চাহিদা পূরণে যেন, কোনও অবস্থাতেই, তোমার পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র অবহেলা না হয়।
👉🏻 পঞ্চম: ঘর হলো নারীদের রাজ্য। একজন নারী নিজেকে সব সময় সেই রাজ্যের সিংহাসনে আসীন দেখতে খুবই পছন্দ করে। সে কল্পনায়, স্বপ্নে, বাস্তবে এই রাজ্য নিয়ে ভাবে। সাজায়। রচনা করে। খুবই সাবধান থাকবে! কখনোই তোমার স্ত্রীর এই সুখময় রাজত্বকে ভেঙে দিতে যেও না। এমনকি তাকে সিংহাসন থেকে নামিয়ে দেয়ার প্রয়াসও চালাবে না।
👉🏻 ষষ্ঠ: নারীরা তার স্বামীকে মনেপ্রাণে-সর্বান্তঃকরণে প্রবলভাবে স্বামীকে পেতে চায়। তবে পাশাপাশি বাপের বাড়িকেও হারাতে চায় না। হুঁশিয়ার থেকো বাবা! তুমি ভুলেও নিজেকে আর স্ত্রীর পরিবারকে এক পাল্লায় তুলে মাপতে শুরু করে দিওনা। তুমি এ অন্যায় দাবী করে বসো না, হয় আমাকে বেছে নাও, নাহলে তোমার বাবা-মাকে।
তুমি এ বিষয়টা চিন্তাতেও স্থান দিও না। তুমি তাকে এমনটা করতে বাধ্য করলে, সে হয়তো চাপে পড়ে মেনে নিবে। কিন্তু তার মনের গহীনে কোথাও একটা চাপা-বোবা কান্না গুমরে মরতে থাকবে। তোমার প্রতি এক ধরনের সুপ্ত অশ্রদ্ধা তার কোমল মনে জেগে উঠবে।
👉🏻 সপ্তম: তুমি জানো, অনেক শুনেছ এবং পড়েছ নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে বাহু (বা পাঁজরের) বাঁকা হাড় থেকে। এই বক্রতা কিন্তু তার দোষ নয়, সৌন্দর্য। তুমি চোখের ভ্রু লক্ষ করে দেখেছো? সেটার সৌন্দর্যটা কোথায়?
- বক্রতায়।
একদম ঠিক কথা। বক্রতাই ভ্রুকে সুন্দর করে তোলে। ভ্রুটা যদি সোজা হতো, দেখতে সুন্দর লাগতো না। যদি তোমার স্ত্রী কোনও ভুল করে ফেলে, অস্থির হয়ে রেগেমেগে হামলা করে বসো না। উত্তেজিত অবস্থায় তাকে সোজা করতে যেও না, তাহলে অতিরিক্ত চাপে ভেঙে যাবে। আর ভাঙা মানে বুঝই তো, তালাক ।
👉🏻 অষ্টম: তুমি হাদীসটা পড়োনি?
- কোনটা আব্বাজান?
- ঐ যে, যার ভাবার্থ হলো: নারীদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে এমনভাবে যে, তারা স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়। তার প্রতি অতীতে কৃত সব সদ্ব্যবহার-সদাচার ভুলে যায়। তুমি যদি তার প্রতি যুগ-যুগান্তরও সুন্দর আচরণ করো, হঠাৎ একদিন কোনক্রমে একটু রূঢ় আচরণ করে ফেলেছো, ব্যস অমনিই সে নাকের জল চোখের জল এক করে বলবে: 'আমি তোমার কাছ থেকে কখনোই ভালো কিছু পাইনি।'
দেখো বাছা! তার এই আচরণে রুষ্ট হয়ো না। তার এই চপল স্বভাবের প্রতিক্রিয়ায় তার প্রতি বিতৃষ্ণা এনো না। তার এই স্বভাবকে তুমি অপছন্দ করলেও, তার মধ্যে তুমি অনেক এমন কিছু পাবে যা তুমি শুধু পছন্দই করো না, বরং জানও লড়িয়ে দিতে পারো।
👉🏻 নবম: নারীদের শরীর-মনের অবস্থা সবসময় এক রকম থাকে না। এক সময় এক রকম থাকে। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট একটা সময় তাদের শারীরিক দুর্বলতা থাকে। অনেক সময় মানসিক অস্থিরতাও বিরাজ করে। তাদের এই দুর্বলতা, অসহায় অবস্থার কথা বিবেচনা করে আল্লাহ তা'আলা তাদের নির্দিষ্ট সময়ের নামায মাফ করে দিয়েছেন। রোযাকে পিছিয়ে দিয়েছেন, তার স্বাস্থ্য ও মেজাজ ঠিক হওয়া পর্যন্ত ।
তুমি তো রাব্বে কারীমের বান্দা। তুমিও তোমার রবের গুণে গুণান্বিত হও। রব্বানী হও। তুমি তোমার স্ত্রীর দুর্বল মুহূর্তগুলোতে তার প্রতি কোমল হবে। তোমার আব্দার আবেগ শরমে রেখো। তোমার রবও খুশি হবেন, তোমার রাব্বাহও খুশি হবে। কৃতজ্ঞ হবে।
👉🏻 দশম: সবসময় মনে রেখো, তোমার স্ত্রী তোমার কাছে অনেকটা দায়বদ্ধ, বিভিন্নভাবে তোমার মুখাপেক্ষী। তোমার সুন্দর আচরণের কাঙাল। তুমি তার প্রতি যত্নবান হবে। তার প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দিবে। তাকে আপন করে নিবে। তাহলে সে তোমার জন্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত হবে। তাকে অনুপম সঙ্গী হিশেবে পাবে।
আল্লাহ পাপ পছন্দ করেন না, কিন্তু পাপ করার পর ধার্মিকদের অন্তর থেকে যে অনুশোচনা আসে আল্লাহ তা পছন্দ করেন। তাই, পাপ করার ইচ্ছে করবেন না। কিন্তু, যখন পাপ হয়ে যায়, একবার যখন তা আপনার অতীত হয়ে যায়— এই পাপের অনুশোচনাকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দিকে প্রত্যাবর্তন করুন।
প্রিয় মুসলিম, আল্লাহ যদি আমাদের নিষ্পাপ করে সৃষ্টি করতে চাইতেন তবে আমরা মানুষ হতাম না, আমরা ফেরেশতা হতাম। কিন্তু, আমরা মানুষ। মোটের উপর, প্রকৃতিগত ভাবেই আমরা পাপ প্রবণ। তাই বলে পাপকে আলিঙ্গন করবেন না। সবসময় এর বিরুদ্ধে লড়াই করুন। সবসময় সেগুলো নিয়ে অনুতাপ অনুভব করুন। কিন্তু, কখনোই আল্লাহর দয়ার প্রতি আশা ছেড়ে দিবেন না। সর্বদা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দিকে ফিরে আসুন। জীবনে যাই করেন না কেন, যত বেশি বার করেন না কেন, এমন কি যদি আপনার অভ্যাসগত কোনো পাপও থেকে থাকে— নিজেকে মূল্যহীন এবং অপদার্থ মনে করার সুযোগ শয়তানকে কখনোই দিবেন না। এমনকি আপনার যদি অভ্যাসগত কোনো কবিরা গুনাহও থেকে থাকে, শয়তানকে কখনোই আপনার এবং আপনার প্রভুর মাঝে আসতে দিবেন না। কারণ, কোনো কিছুই আপনার এবং আপনার রবের মাঝে আসতে পারে না; যদি শুধু তাঁর দিকে ফিরে আসেন।
সবসময় ইস্তেগফার(আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা) করুন। নিজের পাপগুলোকে অন্য সৎ কাজে অনুপ্রাণিত হতে ব্যবহার করুন।
হ্যাঁ, আদর্শ অবস্থা হলো সকল কবিরা গুনাহ বর্জন করা। হ্যাঁ, আদর্শ অবস্থা হলো কোনো অভ্যাসগত পাপ না থাকা। আর সেটা হলো সৎকর্মশীলদের অবস্থা। সৎকর্মশীল, আওলিয়া, আম্বিয়া তারা কবিরা গুনাহ করেন না। এবং তাদের অভ্যাসগত কোনো পাপও নেই।
কিন্তু, আপনি যদি সে অবস্থায় পৌঁছতে সক্ষম না হোন, আপনার অভ্যাসগত পাপ আছে, আপনার যদি কবিরা গুনাহ করার অভ্যাস থাকে— সকল ধর্ম কর্ম বাদ দিয়ে নিজেকে ব্যর্থ হিসেবে মেনে নিবেন না। তথাপি, চেষ্টা করুন; ভালো হতে চেষ্টা চালিয়ে যান। অনুতপ্ত মন নিয়ে আল্লাহর সাথে কথা বলুন। আল্লাহর কাছে হাত তুলে নিজের পাপগুলো স্বীকার করে নিন। সবসময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যে পাপই করেন না কেন। পাপগুলোকে ব্যবহার করুন এমনসব ভালো কাজে অনুপ্রানিত হওয়ার ক্ষেত্রে, যেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় আপনি করতেন না। বুঝতে চেষ্টা করুন, যদি এটা করতে পারেন আপনার জন্য এখনো আশা আছে।
এ বিষয়ে অনেক বর্ণনা আছে। জানেন না? এক পতিতা যার গোটা জীবন ছিল পাপে পরিপূর্ণ, সে জানতো সে একজন পাপী। নিজে পাপী জানা সত্ত্বেও সে একটি কুকুরকে পানি পান করলো। সেও ভালো কিছু করতে চাইলো। আর শুধু এই কারণে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
জানেন না? রাসূল (স) আরেক জন কবিরা গুনাহকারীর কথা বলেছেন। এমন কোনো পাপ কর্ম নেই যা সে করেনি। সে ধনী ছিল, প্রচুর টাকা-পয়সার মালিক ছিল। তার কাছ থেকে ঋণ গ্রহীতাদের সাথে সে উদার আচরণ করতো। সে মানুষকে টাকা ধার দিতো। টাকা আদায় করতে যাওয়া তার চাকর-বাকরদের সে বলতো, কেউ যদি ঋণ পরিশোধে অপারগ হয় তাকে মাফ করে দাও। কারণ, আমার আল্লাহর ক্ষমা অনেক বেশি দরকার।
শেষ বিচারের দিন আল্লাহ তাকে বলবেন, তুমি এটা করেছো। আমি তোমার চেয়েও বেশি দয়াবান। আমি তোমাকে মাফ করে দিলাম যেমন তুমি মানুষদের মাফ করে দিতে।
এই লোক পাপী ছিল। সে তার অপরাধী মন ব্যবহার করলো সৎ কাজ করার জন্য। আর এই জন্য আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
প্রিয় মুসলিম, আল্লাহর ক্ষমা থেকে নিরাশ হবেন না। প্রতিনিয়ত আল্লাহর দিকে ফিরে আসুন। সবসময় ইস্তেগফার করুন। আপনার পক্ষে যে ভালো কাজই করা সম্ভব, করুন।
আর হ্যাঁ, একেবারে ভালো হয়ে যাওয়াটাকে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। কিন্তু, জেনে রাখুন, আমরা আসলে কোনোদিন সে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব না। আল্লাহ আমাদের নিখুঁত হওয়ার জন্য সৃষ্টি করেন নি। আমাদের ক্ষমা পাওয়াটা নিখুঁত হওয়ার মাঝে নয়, বরং নিখুঁত হওয়ার ইচ্ছে এবং প্রচেষ্টার মাঝে নিহিত।
— ড. ইয়াসির ক্বাদী।
— Khuṭbah: The Psychology of Sin এর অংশ বিশেষ।
রাসূলুল্লাহ (صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, প্রতিদিন ভোরে মহান আল্লাহর দরবারে হৃদয় নিংড়ানো কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া জানিয়ে, পরিবর্তনের আকুতি ও সফলতা ও বরকতের প্রার্থনা করে নতুন জীবনের শুরু করতে হবে। আর প্রতিদিন শয়নের সময় ক্ষমা ও রহমতের প্রার্থনা করে মহান আল্লাহর করুণাময় আয়ত্বে নিজের আত্মাকে সমর্পনের দুআ পাঠের সাথে ঘুমিয়ে পড়তে হবে।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।
সূরা আয-যুমার(৫৩-৫৮)
قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّہٗ ہُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ ﴿۵۳﴾
বল- হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি(সীমালঙ্ঘন) করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
وَ اَنِیۡبُوۡۤا اِلٰی رَبِّکُمۡ وَ اَسۡلِمُوۡا لَہٗ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنۡصَرُوۡنَ ﴿۵۴﴾
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হও আর তাঁর অনুগত হও তোমাদের কাছে ‘আযাব আসার পূর্বে। (‘আযাব এসে গেলে) তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
وَ اتَّبِعُوۡۤا اَحۡسَنَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ بَغۡتَۃً وَّ اَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ ﴿ۙ۵۵﴾
তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে যেগুলোকে উত্তম আখ্যায়িত করা হয়েছে তোমরা সেগুলোর অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অকস্মাৎ ‘আযাব এসে যাওয়ার পূর্বে যে বিষয়ে তোমরা টেরও পাবে না।
اَنۡ تَقُوۡلَ نَفۡسٌ یّٰحَسۡرَتٰی عَلٰی مَا فَرَّطۡتُّ فِیۡ جَنۡۢبِ اللّٰہِ وَ اِنۡ کُنۡتُ لَمِنَ السّٰخِرِیۡنَ ﴿ۙ۵۶﴾
যাতে তখন কাউকে বলতে না হয়- হায় আফসোস! আমি আল্লাহর প্রতি (আমার কর্তব্যে) অবহেলা করেছিলাম, আর আমি তো ঠাট্টা বিদ্রূপকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।
اَوۡ تَقُوۡلَ لَوۡ اَنَّ اللّٰہَ ہَدٰىنِیۡ لَکُنۡتُ مِنَ الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ۙ۵۷﴾
অথবা এ কথা যেন বলতে না হয় যে, আল্লাহ যদি আমাকে সঠিক পথ দেখাতেন, তাহলে আমি অবশ্যই মুত্তাক্বীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
اَوۡ تَقُوۡلَ حِیۡنَ تَرَی الۡعَذَابَ لَوۡ اَنَّ لِیۡ کَرَّۃً فَاَکُوۡنَ مِنَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۵۸﴾
অথবা শাস্তি দেখার পর কাউকে যেন বলতে না হয়, আমাকে যদি একবার (পৃথিবীতে) ফিরে যাবার সুযোগ দেয়া হত, তাহলে আমি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
ছোট ২টি গুরুত্বপূর্ণ আমল:
১। ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়া।
রাসূলে কারীম ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহ তা‘আলার তরফ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত থাকবে এবং ভোর পর্যন্ত তার নিকট কোন শয়তান আসতে পারবে না। (সহীহ বুখারী:২৩১১)
২। বিছানায় শুয়ে ঘুমাবার আগে ৩৩বার সুবাহানাল্লাহ, ৩৩বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪বার আল্লাহু আকবার পড়া।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ঘুমাবার আগে ৩৩বার সুবাহানাল্লাহ, ৩৩বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪বার আল্লাহু আকবার পড়ার অভ্যাস জান্নাতে নিয়ে যাবে। (সূনান নাসাঈ:১৩৫১)
আমরা তো কতকিছুই প্ল্যান করি, আসুন এই ছোট ২টি আমলের নিয়ত করি, অভ্যাস করি। আল্লাহ তাওফিক দিন।
এমন সুস্থ আপনি সর্বদা নাও থাকতে পারেন!
এমন ফুরফুরে মেজাজ সব সময় নাও থাকতে পারে।
এমন শারিরিক জোশ সর্বদা আপনার নাও থাকতে পারে।
এমন ক্ষমতা আপনার কাছে সর্বদা নাও থাকতে পারে কিংবা থাকলোই।
এমন স্বচ্ছলতা আপনার নাও থাকতে পারে কিংবা থাকলোই।
কোন একটা সময় আইমিন যে কোন মূহুর্তে আপনাকে থামতে হবে, হবে, হবেই।
কেনোনা আল্লাহ তায়ালার পূর্ব নির্ধারিত ঘোষনা যেটা আপনি মানেন আর না মানেন, মনে রাখেন আর না রাখেন সেটা হলোঃ
-কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত।
-প্রত্যেক ব্যাক্তিকে মূত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে।
-In the Quran, God promises, “Every soul will taste death.
সো আমাদের থামা উচিৎ, চিন্তা করা উচিৎ এবং বিষয়টা নিয়ে আসলেই চিন্তা করা উচিৎ।
আপনি আকাশ থেকে পৃথিবীতে বৃষ্টির ফোটার সাথে পড়েন নি কিংবা নদীর জলে কচুরীপানার সাথেও ভেসে আসেন নি। এই দুনিয়াতে আপনার আমার আগমন ঘঠছে আমাদেরই পূর্ব পুরুষদের মাধ্যমে, যাদের পূর্বের আর কেউ নেই সবাই ফিরে গেছে তাদের গন্তব্যে, যে গন্ত্যবে আমাদেরকেও ফিরতে হবে যে কোন মূহুর্তে।
- মানুষ হয়ে মানুষের ক্ষতি করা বন্ধ করি।
- মানুষের নামে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অপবাদ দেয়া বন্ধ করি।
- মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, এই কথাটি মনে প্রাণে বিশ্বাস ও সেভাবে চলার চেষ্টা করি।
দুনিয়ার মাত্র কয়েকটা দিন দেখতে দেখতে চলে যাবে, হয়তো সাময়িক কষ্ট দিবেন, ভোগাবেন, প্রতিবন্ধকতা তৈরী করবেন, ক্ষমতা দেখাবেন এই তো??
আমি তাকদীরে বিশ্বাস করি, পরকালকে বিশ্বাস করি। আল্লাহ তায়ালার তরফ হতে যে ফায়সালা আসে সেটা হাসি মুখে মেনে নিব, আল্লাহ তায়ালা যেনো ধৈর্য্য ধারন করার তৌফিক দেন।
তার দেখানো পথে যেনো পরিচালিত করেন প্রত্যাশা শুধু এতটুকু।
©
প্রতিদিন অন্তত কয়েক মিনিটের জন্য হলেও কুরআন তিলাওয়াত করার অভ্যাস করুন,
অন্তরে প্রশান্তি আসবেই। (ইনশাআল্লাহ)
যেসব সময়ে দু'আ কবুল হয়।
এসব সময়ে আল্লাহর কাছে চাইতেই থাকুন।
মহান আল্লাহ আপনার উত্তম চাওয়াগুলো পূর্ণ করে দিবেন, ইং শা আল্লাহ।
১) বৃষ্টির সময়
২) রোযা রাখা অবস্থায়
৩) সফরের সময়
৪) জুমু'আর দিনে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।
৫) রাতের শেষ অংশে
৬) সালাতে সাজদায় ও সালাম ফেরানোর পূর্বে
৭) আযান ও ইক্বামতের মধ্যবর্তী সময়ে।
Contact the place of worship
Telephone
Website
Address
Gulshan -2
1212