Razib Hosain
Let me do my part!
May Eid brings you Joy, Happiness and Peace.
May Allah accept our sacrifices and bless us all.
Eid Mubarak
Know Thyself
'Cultural Psychology of Bengalis & Japanese
-A comparative Analysis '
এই বিষয়ের উপর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়/ইন্সটিটিউট/অর্গানাইজেশনে ক্লাস নিতে চাই (বিশ্ববিদ্যালয়/ইন্সটিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হলে ভালো হয়!)।
শানে নযুল :
আমার জাপানিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা কোর্স ছিল 'Cultural Psychology of Public Administration', যে কোর্সটা নিতেন একজন ব্রিটিশ প্রফেসর। সেটা ২০২০ সালের কথা। অনেক দিন পর কম্পিউটারে একটা কাজ করতে গিয়ে ঔ কোর্সে যে প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলাম সেটা চোখে পড়ল। প্রেজেন্টেশনে বাঙালি ও জাপানিজদের জাতিগত সাংস্কৃতিক মনস্তত্ত্বকে বিশ্লেষণ করেছিলাম। অনেক দিন পর প্রেজেন্টেশনটা দেখে মনে হলো, কি গভীরভাবে আমি দুইটি জাতিকে দেখেছিলাম!
নিজের সক্ষমতা তৈরির প্রথম সোপান, আমার মনে হয়, নিজেকে জানা। তাই মনে হলো, এই প্রেজেন্টেশনটা সবার সাথে শেয়ার করি, বিশেষ করে তরুণদের সাথে। তাহলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ কেন?! কারণ, এ সময়টায় মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি হয় কিন্তু সে স্থির হয় না, উড়ে! উড়ন্ত মানুষ দেখতে আমার ভালো লাগে!
My Profile :
1. B.Sc. (Hons)
Department of Statistics, University of Dhaka
2. MBA (Dual Major in Finance & Marketing)
Batch: 41st
IBA, University of Dhaka
3. Master of Economics
Yamaguchi University
Japan
4. 16 years of experience in Public Service
জাপানের গল্প
নিরাপত্তা
জাপানের টোকিওতে যখন দেখেছিলাম হোটেল বা শপিং মলের সামনে ছাতা লক করে রাখে, তখন খুব আশ্চর্য হয়ে ছিলাম। আমাদের দেশেতো জুতাও লক করে রাখে না! প্রথমে মনে হয়েছিল, জাপানিজদের কাছে একটা সামান্য ছাতাও নিরাপদ না! ব্যাপারটা আসলে সেরকম না।
জাপান কতটা নিরাপদ দেশ একটা উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবেন। জাপানে থাকার সময় বাসা থেকে দূরে কোথাও গেলেও বাসা লক করতাম না, এমনকি বেশ কয়েক দিনের জন্য গেলেও (যদিও আমার বাসায় চুরি করার মত মূল্যবান কিছু ছিল না!)। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী জাপানিরা লকতো করতোই আবার দ্বিতীয় বার চেকও করতো! এই গল্প যখন জাপানি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেছি, তারা বলতো, অবশ্যই বাসা লক করে যেতে হবে। আমি যে এলাকায় থাকতাম সেখানে রাত ৯টার মধ্যেই সবাই ঘুমিয়ে যায় মনে হতো! সেখানেও দেখতাম, রাত ৩ টার সময় একা একটা মেয়ে নির্জন রাস্তায় নিশ্চিন্ত মনে হেটে যাচ্ছে। জাপান এমনই নিরাপদ একটা দেশ। নিরাপদ দেশ হলেও জাপানিজরা নিরাপত্তার ব্যাপারে খুব সাবধানী। তারা বাড়ি, গাড়ি, সাইকেল... সব কিছু লক করে রাখে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ৩ জন পুলিশ সদস্য এসেছিল (যাদের মনে হয়েছিল ওই এলাকার সবচেয়ে নিরীহ প্রাণী!)। তাদের ব্রিফিং এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ২ টা। এক, জাপানের ট্রাফিক রুলস সম্পর্কে জানানো। দুই, সাইকেল যেন আমরা লক করে রাখি! উল্লেখ্য, জাপানের সবার বাড়িতে সাইকেল আছে (বাড়িতে ২ টা মার্সিডিজ থাকলেও)। জাপান পুলিশের প্রধান কাজ মনে হলো সাইকেল উদ্ধার করা। বেচারারা! কি করবে? আর কোন ক্রাইম নেই বললেই চলে। জাপানিদের সব কিছু লক করে চলার পিছনে আমার একটা নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে। তারা কাউকে অপরাধ করার সুযোগ দিতে চায় না। আমি যদি বাসাটা লক করে রাখি তাহলে কারো সহজ সুযোগ হবে না চুরি করার। একইভাবে সাইকেলের ক্ষেত্রেও একই থিউরি।
আপনি যদি জাপানে মোবাইল বা মানিব্যাগ হারান, সেটা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ৮০%+. কেন? জাপানের সবাই কি খুব ভালো মানুষ? জাপানের মানুষের আইনানুগভাবে চলার কারণ প্রধানত দুটি। এক, ওখানে আইনের যথাযথ প্রয়োগ আছে ; দুই, সামাজিক চাপ আছে (অনেকটা আমাদের মত)। জাপানিদের বলা হয় লাজুক জাতি। তারা অন্য কি ভাবলো এটা নিয়ে সবসময় সজাগ ও সতর্ক থাকে। তাদের লজ্জাবোধ প্রবল। ধরা যাক, কেউ একটা জিনিস চুরি করে ধরা পরলো। আইন অনুযায়ী তার শাস্তিতো হবেই। কিন্তু সামাজিকভাবে সে কিভাবে মুখ দেখাবে এটা তাদের জন্য বিশাল এক চিন্তার বিষয় হবে। পশ্চিমা বিশ্বে (উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশসমূহে) আইনের যথাযথ প্রয়োগ আছে কিন্তু সামাজিক চাপ কম। এজন্যই পশ্চিমা বিশ্বে আইনের ফঁাকফোকর দিয়ে যে ক্রাইম সম্ভব সেগুলো হয়। জাপানেও ক্রাইম হয়, তবে ভলিউম ও সংখ্যায় অনেক কম। বেশ কিছু দিন আগের একটা ঘটনা। জাপানের একজন এমপি ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি) হিসেবে সরকারের কাছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। পত্রিকাওয়ালারা রিপোর্ট করে, তিনি ব্যাক্তিগত বিল সরকারের কাছে দাবি করেছেন। এই লজ্জায় তিনি পদত্যাগ করেন। তত্বগতভাবে আমাদের দেশের মানুষ তিনভাবে বঁাধা। এক, আইনগতভাবে; দুই, সামাজিকভাবে ; তিন, আধ্যাত্মিকভাবে (ধর্মীয়ভাবে)। জাপানের বেশির ভাগ মানুষ কোন ধর্মে বিশ্বাসী না। তারা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পালন করে। বৌদ্ধ ও শিনতো ধর্মের যে মন্দিরগুলো আছে সেখানে তারা যায়, কিছু রিচুয়ালস পালন করে। কিন্তু তাদের জীবনে ধর্মের প্রভাব নেই বললেই চলে। তারপরও তারা ভালো মানুষ। মিথ্যা কি জিনিস এটাই জানে না! আর আমাদের এই ধার্মিক, সামাজিক ও গনতান্ত্রিক দেশের মানুষ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, মিথ্যাচার স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য, আইন/সিস্টেম না মেনে কাজ উদ্ধার করতে পারলে নিজেকে স্মার্ট মনে করে, সামাজিক লজ্জা বলে কিছু নাই! আধ্যাত্মিকতার ছিটেফোঁটাও নাই! আমাদের তিনটা বন্ধনই দূর্বল! আমাদের দেশের নিরাপত্তা ব্যাবস্থাও তাই দূর্বল। যে কোন একটা বন্ধন শক্তিশালী হলেও দেশটা অনেক নিরাপদ হতে পারতো।
অপক্ক ভাবনা
রাজীব হোসাইন
আজিমপুর
২৩ চৈত্র, ১৪৩০
০৬ এপ্রিল, ২০২৪
'এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক।
এসো এসো…
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
যাক পুরাতন স্মৃতি
যাক ভুলে যাওয়া গীতি
যাক অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক
যাক যাক...
এসো এসো…
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা,
অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা।'
শুভ নববর্ষ ১৪৩১
Eid Mubarak to All
May Eid-ul-fitre brings joy, happiness and prosperity to you and your family. May blessings of Almighty shower us all.
তোমার জন্য আমি আমার স্ট্যান্ডার্ড ডাউন করতে পারি না।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ | Historical 07th March Speech of Bangabandhu বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ।Courtesy - ICT Division
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ
একটি নির্মোহ বিশ্লেষণ
(Please don’t take this write-up as a political one)
(১ম কিস্তি)
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে লেখার মত জ্ঞান বা বুদ্ধি আমার কোনটাই নাই। আমি সে ধৃষ্টতাও দেখাব না। তবে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আমাকে বেশ নাড়া দেয়। আমার একজন ফেবু ফ্রেন্ড লিখেছে সে ছোট বেলা থেকেই যখনই এই ভাষণ শুনে তখনই তার চোখে পানি চলে আসে। আমার ক্ষেত্রে ছোট বেলায় ঘটেনি, তবে বোঝ জ্ঞান হওয়ার পর থেকে ঘটে। যখনই আমি এই ভাষণটা শুনি, প্রতিবারই আমি নতুন কিছু আবিষ্কার করি। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটা আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আংশিক বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। যদিও হেডিং এ নির্মোহ বিশ্লেষণ বলা হয়েছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে মোহগ্রস্ত না হয়ে পারা যায় না।
বঙ্গবন্ধু প্রথমেই বললেন, 'ভাইয়েরা আমার '। তিনি ছোট্ট একটা এড্রেসিং দিলেন। তিনি কিন্তু বলেননি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ভাই ও বোনেরা, সাংবাদিকবৃন্দ.... ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি সরাসরি বললেন ভাইয়েরা আমার। রেসকোর্স ময়দানে নারীরাও ছিল কিন্তু নারীদের পক্ষ থেকে কোন আপত্তি এখন পর্যন্ত এসেছে বলে আমার জানা নেই। এই 'ভাইয়েরা'র মধ্যেই সবাইকে তিনি অন্তর্ভুক্ত করেছেন। 'ভাইয়েরা আমার' এর মধ্যে একটা ওননেস ছিল। তিনি যে বাঙালি জনগণকে ভালোবাসতেন, আপন ভাবতেন সেটার বহিঃপ্রকাশ ছিল। এরপর বললেন, "আজ দু:খ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি"। তিনি ওই দিন কোন লিখিত বক্তব্য পড়েননি। তিনি প্রাণের কথা বলেছেন। এরপর বললেন, "আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন"। তিনি তার অনুসারী জনগণকে স্বীকৃতি দিলেন, সম্মান দিলেন। এরপর বর্তমান প্রেক্ষাপটটা বললেন, পরিস্থিতির বর্ণনা দিলেন। "আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দু:খের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে"। এরপর জনগণের আকাঙ্খা কি সেটা বর্ননা করলেন। "আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বঁাচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়"। এরপর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটা বললেন, " কিন্তু দু:খের বিষয়, আজ দু:খের সঙ্গে বলতে হয়, তেইশ বৎসরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। তেইশ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল' জারি করে দশ বৎসর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯ এর আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পর যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গণতন্ত্র দেবেন। আমরা মেনে নিলাম। তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেল, নির্বাচন হলো। আপনারা জানেন, দোষ কি আমাদের? আমি প্রসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি। আপনারা জানেন, আলাপ আলোচনা করেছি। আমি, শুধু বাংলার নয়, পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসাবে তাকে অনুরোধ করলাম, ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন, প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আমরা এসেম্বলিতে বসব। আমরা আলাপ, আলোচনা করব। আমি বললাম, এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করব; এমনকি আমি এ পর্যন্ত বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, একজনও যদি সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব। আসুন, বসি। আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করি। তিনি বললেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মেম্বাররা যদি এখানে আসেন,তাহলে কসাইখানা হবে এসেম্বলি। যদি কেউ এসেম্বলিতে আসে তাহলে পেশোয়ার থেকে করাচী পর্যন্ত দোকান জোর করে বন্ধ করা হবে। তারপরও যদি কেউ আসে তাকে ছন্নছার করা হবে। আমি বললাম, এসেম্বলি চলবে। তারপর হঠাৎ ১ তারিখে এসেম্বলি বন্ধ করে দেয়া হলো।" এ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু একই রিদমে, একই টোনে তেইশ বছরের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো বর্ননা করলেন। তার অনুসারী রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত উদ্দীপ্ত জনগণের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি শেয়ার করলেন। তিনি যে আলোচনা চান সেটা বললেন, নিজের অবস্থান পরিস্কার করলেন। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শাসনতন্ত্র তৈরির প্রস্তাব দিলেন। এসেম্বলির মধ্যে মাইনোরিটি দলের একজনও যদি ন্যায্য কথা বলে মেজরিটি দলের নেতা হিসেবে তিনি তা মেনে নেবেন। মূলত বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাকিস্তানীদের আশ্বস্ত করলেন, আমরা মেজরিটি হলেও তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে। তিনি মার্চের ১ তারিখে সামরিক জান্তা কর্তৃক এসেম্বলি বন্ধ করার ঘটনাপঞ্জি জনগণের সাথে শেয়ার করলেন।
এরপর তিনি বক্তৃতার একটা টার্ন নিলেন, গিয়ার আপ করলেন। গাড়ি যেমন গিয়ার চেঞ্জ করলে স্পষ্ট বুঝা যায়, ঘোড়া যেমন ট্রট থেকে ক্যান্টারে উঠলে স্পষ্ট বুঝা যায়, তেমনি বঙ্গবন্ধু এরপর ক্ষোভের সঙ্গে জোর দিয়ে প্রশ্ন করলেন, "কি পেলাম আমরা?".... (চলবে)
তথ্যসূত্র :
https://youtu.be/Uu967gl03MU?si=vEypu99p79QEelds
বঙ্গবন্ধুকে বিশ্লেষণের ধৃষ্টতা
রাজীব হোসাইন
০৩ চৈত্র, ১৪৩০
১৭ মার্চ, ২০২৪
পুনশ্চঃ
১। বাঙালির ইতিহাসে অল্প কিছু মহৎপ্রাণ এসেছে। অল্পই বীর এসেছে। বাঙালির গর্ব করার মত ঐতিহাসিক ঘটনা খুব একটা নেই। একক জাতি হিসেবে গড়ে উঠতেও বাঙালি পারেনি দীর্ঘ সময়। এখনো আমার কাছে মনে হয় বাঙালি 'proud nation' হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। তবে বাঙালি যদি তার ইতিহাস থেকে গর্ব করতে চায়, একটাই ঘটনা আছে যা সে উচ্চস্বরে গর্ব করতে পারে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে একটা দেশকে স্বাধীন করে ফেলা সহজ কর্ম নয় (যদিও এর পিছনের ২৩ বছরের সংগ্রাম ছিল)। বিশ্বের নিপীড়িত জাতিগুলোর দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে পারব। এই মুক্তিসংগ্রামের যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে বীর বললে কমই বলা হবে। বাঙালির ইতিহাস বিশ্লেষণ করে বঙ্গবন্ধুকে মহাবীরই বলতে হবে। বাঙালির ইতিহাসের মহানায়কই বলতে হবে।
২। তুরস্কের একটা অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করি। মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের জাতির জনক। তিনি ব্যাপক প্রগতিশীল সংস্কার গ্রহণ করেন, যা তুরস্ককে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, শিল্পায়িত দেশে উন্নত করে। তিনি আদর্শগতভাবে একজন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ও জাতীয়তাবাদী ছিলেন। তুরস্কের আঙ্কারায় অবস্থিত কামাল আতাতুর্কের সমাধি ভিজিট করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সেখানে ২০১৫ সালের রসায়নে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী তুর্কি বিজ্ঞানী Aziz Sancar সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা উল্লেখ করে আলাদা একটা সেল করা হয়েছে। সেখানে এটাও বলা হয়েছে কামাল আতাতুর্কের শিক্ষা সংস্কারের কারণে এই নোবেল পুরষ্কার একজন তুর্কি পেয়েছে (প্রায় ৮০ বছর পর!)। মজার ব্যাপার হলো, তুর্কিরা এখনো তাদের বাড়িতে, গাড়িতে, নিজের প্রতিষ্ঠানে কামাল আতাতুর্কের ছবি রাখে। তার প্রতি তুর্কিদের শ্রদ্ধাবোধ দেখে আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না। যদিও তুরস্কে একটা লম্বা সময় ধরে ইসলামিক দল ক্ষমতায় আছে! তুর্কিরা যে কামাল আতাতুর্কের প্রতি যথেষ্ট কৃতজ্ঞ তা তাদের কথাবার্তায় স্পষ্ট বোঝা যায়। জাতি হিসেবে আমাদের কৃতজ্ঞতাবোধের চর্চা এমনিতেই কম। তবে কৃতজ্ঞতাবোধের চর্চার মাধ্যমে একটা জাতি যেমন নিজেকে সম্মানিত করে, তেমনি অন্য জাতিও তাদের সম্মান করে।
৩। বাঙালি জাতি সৌভাগ্যবান। বঙ্গবন্ধুর মত একজন মহৎপ্রাণ এই মাটিতে ওই সময়ে জন্মেছিলেন।
এই মহৎপ্রাণের জন্মদিনে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ | Historical 07th March Speech of Bangabandhu বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ।Courtesy - ICT Division
এমন একটা সি বিচ থাইল্যান্ডের থাকলে বছরে তারা হাজার কোটি টাকা ইনকাম করতো.......
বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনিও বাংলাদেশ অবশ্য কাতার বিশ্বকাপে ভালোমতোই আছে। ৩২ দলের একটি হয়ে না হোক, আলোচনায় ঠিকই আছে। যে আলোচনার সূত্রপাত বাংল.....
অন্যকে সম্মান দেয়ার জাপানিজ অভিজ্ঞতা
পর্ব ০১
আমার লেখালেখি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, কোন না কোনভাবে জাপান চলে আসছে। এটা আমার দোষ না, নিজ দেশের বাইরে একটা দেশেই লম্বা সময় থেকেছি, তাই হয়তো! আজকে লিখতে চাই জাপানিজরা কিভাবে অন্যকে সম্মান দেয়।
জাপানিজ ভদ্রতায় প্রথম ধাক্কা খাই জাপানের ইয়ামাগুচি শহরে পৌছার ১/২ দিন পর। আমরা ৪/৫ বাংলাদেশি সহকর্মী রাতের খাবার একটা নেপালী রেষ্টুরেন্টে খাওয়ার পর হেটে ফিরছিলাম। জাপানের সিস্টেম হলো, ফুটপাত দিয়ে মানুষ ও সাইকেল চলাচল করবে। তো আমাদের যা অভ্যাস, পুরো ফুটপাত দখল করে আমরা গল্প করতে করতে হোটেলে ফিরছিলাম। হটাৎ আমরা খেয়াল করলাম, আমাদের পিছন পিছন একজন সাইকেল হাটিয়ে নিয়ে আসছে। আমাদের মনে হলো, তিনি অনেকক্ষণ ধরে আমাদের পিছন পিছন আসছেন। তিনি একবার এর জন্যও আমাদেরকে ঘন্টা দেননি। পরবর্তীতে দেখলাম ও জানলাম, পথচারীকে সাইকেল আরোহী কখনো ঘন্টা দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন না (যদি না তিনি ঘন্টা দিয়ে গালি দিতে চান!)। আমার দুই বছর অবস্থানকালে আমিও কখনো কাউকে ঘন্টা দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করিনি।
এখানে জাপানের রাস্তায় চলাচলের প্রাইওরিটি চক্রটা বলি, আপনি রাস্তায় হাটছেন বা রাস্তা পার হচ্ছেন, আপনাকে সাইকেল বা গাড়ি থেমে সাইড দিবে; আপনি সাইকেল চালাচ্ছেন, আপনাকে গাড়ি সাইড দিবে আর আপনি পথচারীকে সাইড দিবেন; আপনি গাড়ি চালাচ্ছেন, আপনাকে পথচারী ও সাইকেল আরোহী উভয়কেই সাইড দিতে হবে। এটা জাপানি সংস্কৃতি। জাপানের ১০০℅ মানুষ এটা মেনে চলে।
জাপানের যেকোন শপিং মল বা দোকানে টাকা লেনদেনের জন্য ছোট্টো একটা ট্রে থাকে। দোকানের ক্যাশ কাউন্টারে যারা কাজ করেন তারা সবসময় ট্রেতেই আপনার টাকা নিবে এবং ট্রেতেই ফেরত দিবে। এমনকি ফেরত দেয়ার সময় গুনে দেখাবে যে আপনি যা ফেরত পাচ্ছেন তা ঠিক আছে কি না।
এখানে আরেকটা বিষয় বলি, আমি যতটুকু জানি টাকা লেনদেনের সময় টাকা গুনে দেয়া ও নেয়া সুন্নত। আমাদের দেশের মুসলমানরা এটা কমই মানে, কিন্তু সব জাপানিরা এটা মানছে।
আমাদের দেশের মত জাপানির কখনোই টাকা ছুড়ে দিবে না। টাকা লেনদেনও যে সম্মানজনকভাবে করা যায়, এটা জাপান থেকে শিখেছি। দেশে ফেরার পর, মাঝে মাঝেই যখন দোকানদার টাকা সামনে ছুড়ে রাখে মেজাজটা খারাপ হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করি নাই। নিজেকে সান্ত্বনা দেই। টাকা লেনদেনের ভদ্রতা শিখতে আমাদের আরো অনেক সময় লাগবে।
#জাপানের_গল্প
আজিমপুর, ঢাকা
০২.১২.২০২২
পুনশ্চঃ গত এক মাস ধরে এই লিখাটা লিখছি। এই লেখার সাথে বিশ্বকাপ ফুটবলে জাপানের খেলার কোন সম্পর্ক নাই😉!
জাপানিজ মেয়েরা বাহিরে যতই Soft দেখাক ভিতরে Hard.
আমাদের মেয়েরা বাহিরে যতই Hard দেখাক ভিতরে Soft.
নিজেকে Trick করার মধ্যে দোষের কিছু নাই।
আরেকজনকে Trick না করলেই হলো!
আশার সীমা থাকলেও থাকতে পারে, আশংকার কোন সীমা নাই!
(এ কথাটা আগে কেউ বলছে কিনা জানা নাই, কেউ বলে না থাকলে আমিই প্রথম বললাম😀)
Accept what you are!
Love thyself
Vs
Value thyself
ইদানীং একটা কনসেপ্ট বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে, সেটা হচ্ছে 'Love thyself' বা Self-love. এই কনসেপ্টটা আমি ঠিক বুঝি না। তারপরও আলোচনা করতে চাই। যারা এই কনসেপ্টটা সম্পর্কে ভালো জানেন তারা আমাদের আলোকিত করতে পারেন।
সক্রেটিস বলেছেন 'Know thyself' অর্থাৎ নিজেকে জানুন। নিজেকে জানার মধ্যে আমি কোন দোষ দেখি না, বরং তাতে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। Love thyself বা self-love বা নিজেকে ভালোবাসো - এই কনসেপ্ট এর প্রবক্তারা বলতে চাচ্ছেন - নিজেকে ভালোবাসো, নিজেকে আরো গুরুত্ব দাও, নিজের ভালটা বুঝ ইত্যাদি। আমি পত্রিকায় দেখেছি, এ ধরনের প্রচার করতে। বিশেষত নারীদের উদ্দেশ্য করে। ইদানীং অনেক নারীর মধ্যেও এই ধরনের মানসিকতার বিকাশ দেখছি। এ সম্পর্কে জানতে আমি গুগল করলাম। ভালো একটা আর্টিকেল পেলাম যার লিংক কমেন্টে দেয়া হয়েছে। এই আর্টিকেল এর ১৩টি সাজেশন এর মধ্যে নবম সাজেশনটির ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। নবম সাজেশন এ বলা হয়েছে 'put yourself first' অর্থাৎ সবকিছুর আগে নিজেকে নিয়ে ভাবো বা নিজেকে গুরুত্ব দাও। আমার মনে হয় আমি নিজের আগে আমার ফ্যামিলি নিয়ে ভাবি। আমার বাবা-মাও তাই ভাবতেন। আমার বাবা অফিস থেকে বাসায় আসার সময় হেঁটে আসতেন টাকা বাঁচানোর জন্য। কিন্তু যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন আমাকে টিউশনি করতে দেন নাই, যদি আমার পড়ার ক্ষতি হয়! আমার মা আমাদের খাওয়াটাই নিয়ে আগে চিন্তা করতেন,নিজেরটা পরে। এটাই আমাদের কালচার। আমরা এখন বড় হয়ে মার সুবিধাটাই আগে চিন্তা করি (যদিও বাবা নাই, বাবাকে সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি না)। আজকের যে সকল মা-বাবা'রা 'put yourself first' থিউরি ফলো করে নিজে ফেসবুকিং করার জন্য বাচ্চাকে মোবাইল ধরায়ে দিচ্ছেন, নিজের আরামটা আগে চিন্তা করছেন বাচ্চাদেরটা পরে, নিজের ক্যারিয়ার আগে চিন্তা করছেন বাচ্চা বা পরিবারের চিন্তা পরে করছেন ইত্যাদি... তারা কি তাদের বাচ্চাদের কাছে ভবিষ্যতে সে সম্মানটা পাবেন যে সম্মান ও ভালোবাসা আমাদের জেনারেশন এর আছে আমাদের বাবা মা'র প্রতি?!
আমার মনে হয়, 'Love thyself' এর চেয়ে 'Value thyself' (নিজেকে মূল্য দেয়া) বেশি যৌক্তিক। নিজেকে মূল্য দেয়ার দরকার আছে। সেটা অবশ্যই অন্যকে অবমূল্যায়ন না করে! আপনি যদি নিজেকে মূল্য দেন তাহলে আপনি নিজেকে সমৃদ্ধ করবেন, নিজের dignity বা আত্নমর্যাদা বজায় রাখবেন, প্রকারান্তরে নিজের ভালোটাও বুঝবেন যার দ্বারা আপনার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হবে।
#অপক্ক_ভাবনা
আজিমপুর, ঢাকা।
০৬.১১.২০২২
নিজেকে অগুরুত্বপূর্ণ মনে করার কোন কারণ নাই! (আবার খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করারও কোন কারণ নাই!)
জাতে উঠার সহজ কৌশল!
কয়েকদিন আগে একটা লিখা লিখেছিলাম- 'ইংরেজি না বলিয়া আমি কিভাবে জাতে উঠিব!' হঠাৎ করেই জাতে উঠার একটা সহজ কৌশল আবিষ্কার করে ফেললাম! সেটাই আজকে আলোচনা করব।
বিদেশিদের সাথে যখনই যোগাযোগ করি (হোক সেটা সরাসরি বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা মোবাইলে কথা বা ইমেইল এ অফিসিয়াল যোগাযোগ) একটা বিষয় খেয়াল করলাম, যখনই আমি খুব Polite/ ভদ্র আচরণ দেখাই (Please, would you please..., Thanks, Thanks for your cooperation, can I ask you a favour..., Sorry ইত্যাদির অধিক ব্যবহার) তারা এটা খুবই ভালোভাবে মূল্যায়ন করে (সেই সূত্রে আমাকেও!)। তারা হয়তো মনে করে আমি উঁচু জাতের মানুষ!
আপনি এটা বিদেশিদের সাথে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন (দেশী ভাই/ব্রাদারের সাথে পরীক্ষা করলে কি হবে এই গ্যারান্টি আমি দিতে পারব না!)।
#অপক্ক_ভাবনা
Dupas & Luce Love Lodge
Barangay Bantigue,
Pagbilao Town
Quezon Province
Philippines
20.10.2022
Everything is nothing
&
Nothing is everything
বিষয়টা ব্যখ্যা করি। দৈনন্দিন জীবনে আমরা যা করি- চাকুরী, ব্যবসা, পড়াশুনা, আনন্দ, ঘুরতে যাওয়া, বাচ্চা লালন পালন, লেখা-লেখি, ফেসবুকিং, আড্ডা দেয়া ইত্যাদি (লিষ্টটা আরো অনেক বড় করা যাবে!), সেগুলোই কি জীবনের সবকিছু?! আমি - আপনি যেকোন সময় মৃত্যুবরণ করতে পারি। কেউ কি গ্যারান্টি দিতে পারবেন যে তিনি অমুক তারিখের আগে মৃত্যুবরণ করবেন না! তাহলে সমাজ সংসারের এত যে আয়োজন কিসের জন্য?! তাহলে আমরা বলতে পারি,
" Everything is nothing "
(কিন্তু কেউ যদি সৃষ্টিকর্তা ও পরকালে বিশ্বাস করেন, তাহলে আবার এই সূত্র খাটবে না। কারণ, তখন আবার হিসাব নিকাশ চলে আসবে। কি কি করলাম তার চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে।)
আবার, Nothing is everything. কারণ, এই "কিছুই না" নিয়েই আমাদেরকে চলতে হবে। মানুষ হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতা অনেক।
ধরেন, আপনি একজন ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ালেন, এটা আপনাকে মানসিক তৃপ্তি দিলো। এটা হয়তো অনেক বড় কোন কাজ না, কিন্তু এটাই আপনার সবকিছু হতে পারে। আপনি হয়তো বিশ্বের সব ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়াতে পারবেন না, কিন্তু আপনি একজন ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানোর সামর্থ রাখেন, আপনি সেটাই করলেন। এটা আপনার সকল কাজের অনুপ্রেরণা হতে পারে। আপনি ঠিক করলেন দিনে একটা ভালো কাজ করবেন, এটাই আপনার সবকিছু হতে পারে। আপনি ঠিক করলেন সমাজকে বদলে দিবেন (অবশ্যই ভালোর দিকে!), কিছু উদ্যোগ নিলেন। সমাজের কিছুই আপনি বদলাতে পারলেন না, কিন্তু আপনার এই কিছু উদ্যোগই হতে পারে আপনার সবকিছু। ব্যবসায়িক জগতে 'value addition' বেশ সুপরিচিত। এই পৃথিবীতে আপনি আসলেন, এক সময় চলে যাবেন। দিন শেষে (অর্থাৎ জীবন শেষে) আপনি কতটুকু 'value addition' করতে পারলেন এটাই 'সবকিছু'।
#অপক্ক_ভাবনা
Dupas & Luce Love Lodge
Barangay Bantigue,
Pagbilao Town
Quezon Province
Philippines
18.10.2022
ইংরেজি না বলিয়া আমি কিভাবে জাতে উঠিব!
জাপানে যাওয়ার পর, জাপানিদের অনেক কিছু দেখেই আশ্চার্যন্বিত হয়েছি। এই আশ্চার্যন্বিত হওয়ার টপ টেনের একটা 'জাপানিদের ইংরেজি বলতে না পারা'। একটা জাতি যাদের অর্থনীতি বিশ্বের তৃতীয় এবং যারা একসময় দ্বিতীয় অর্থনীতি ছিল (প্রায় ১২/১৩ কোটি লোক নিয়ে!) এবং যারা আজ থেকে ষাট বছর আগে বুলেট ট্রেন বানাইছে (!) তারা ইংরেজি বলতে পারে না!!
আমি জাপানের যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার ডিপার্টমেন্টের প্রফেসররা ইংরেজি জানতেন, তবে অন্যান্য অনেক ডিপার্টমেন্টের প্রফেসররা ইংরেজি জানতেন না! আবার, আমি যখন ডাক্তার দেখাতে গেলাম, দেখি ডাক্তার ইংরেজি জানে না!! মনে মনে ভাবলাম, ইংরেজি জানে না এ আবার কেমন শিক্ষিত?! জাপানেই আবিষ্কার করলাম, ইংরেজি না জানিয়াও শিক্ষিত হওয়া যায়!!
এবার নিজ দেশের প্রসঙ্গে আসি। আমাদের দেশে কেউ যদি ইংরেজি না জানে তাকে শিক্ষিত হিসেবে গন্য করবে না দেশের অন্তত ৯৯.৯৯% মানুষ। এ ব্যাপারে আমি ৯৯.৯৯৯৯৯% নিশ্চিত! আবার কেউ যদি শিক্ষিত না হয়েও ইংরেজি বলতে পারে তাহলে তাকে নিয়ে আমরা যথেষ্ট গর্বিত হই! এই গর্বের কিছু ভিডিও ইতিপূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জাপানে শপিং করার সময় গুগল ট্রান্সলেটরই ছিল ভরসা। আমাদের বঙ্গবাজারের স্বল্প শিক্ষিত দোকানদাররাও বিদেশিদের সাথে টুকটাক ইংরেজি বলে বিনিময় প্রথা সহজ রেখেছে।
আমাদের দেশের শিক্ষিত মানুষ মাত্রই দৈনন্দিন আলাপচারিতায় ২০-৩০ % ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেন। এমনকি অশিক্ষিতরাও করেন, অর্থ বুঝে হউক না বুঝে হউক! আর, আপনি যদি স্মার্ট ও আধুনিক হতে চান তাহলে এই % আরো বাড়াতে হবে। % যত বাড়াবেন আপনার স্মার্টনেস ও আধুনিকতার মাত্রাও আনুপাতিক হারে বাড়বে! আর যদি আপনি নেটিভ একসেন্টে পারেন তাহলেতো কথাই নাই!! অধিক (কখনো কখনো কঠিন থেকে কঠিনতর) ইংরেজি শব্দের ব্যবহারের মাধ্যমে জাতে উঠার/ উচু জাত প্রমাণের প্রচেষ্টা যে হয় সেটা অস্বীকার করা যাবে না!
যাই হোক, আমি ইংরেজি বিরোধী না। বলা হয়ে থাকে, ইংরেজি এখন শুধু 'language' না, এটা একটা 'technology'. ইংরেজি একটা শক্তিশালী টুলও বটে। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য ইংরেজি শিক্ষার দরকার আছে। কিন্তু ইংরেজি না শিখলে আমরা উন্নত হতে পারব না আমি এই ধারণার সাথে একমত না। ইংরেজি না শিখেও অনেক জাতি উন্নত হয়েছে। জাপান ও জার্মানি যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সে সকল বই পড়ানো হয় তার সবই জাপানি ভাষায়, হয় জাপানিদের লিখা বা অনুবাদ করা। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বা মেডিকেল কলেজ এ বা ইঞ্জিনিয়ারিং এ যা পড়ানো হয় তার প্রায় সবই ইংরেজি ভাষায়। নীলখেতের পুস্তক ব্যবসা না থাকিলে এই দেশে শিক্ষিত হওয়া অতিশয় কঠিন হইত! মাতৃভাষায় যত তাড়াতাড়ি একটা বিষয় বুঝা সম্ভব, বিদেশি ভাষায় সেটা সম্ভব হয় না। আমি দেখেছি, আমার বাচ্চারা বাংলায় গনিতের একটা সমস্যা যত দ্রুত বুঝতে পারে জাপানি ভাষায় তত দ্রুত বুঝতে পারে না।
লিখার যেমন একটা নিয়ম আছে, 'সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ দূষণীয়' তেমনি দৈনন্দিন কথাবার্তারও একটা নিয়ম থাকা উচিত 'বাংলা ও ইংরেজি/বিদেশি ভাষার মিশ্রণ দূষণীয়'।
অপক্ক ভাবনা
পূন্য ভূমি সিলেট
০৮.১০.২০২২
চলতে চলতে, ঝুলতে ঝুলতে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, বসে বসে, হাটতে হাটতে, শুয়ে শুয়ে.... (এমনকি ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও)... "পড়ুন"
কিছু দিন পূর্বে আমার একজন শ্রদ্ধেয় সিনিয়র স্যার উপদেশ দিলেন, 'সবসময় একটা বই সাথে রাখবা' অর্থাৎ সবসময় কোন না কোন বই পড়ার কথা বলেছেন। আজকে এই লিখার উদ্দেশ্য "পড়া"।
আমি যখন আজ থেকে ১০ বছর আগে প্রথম বিদেশ সফরে যাই তখন যে জিনিসটা আমাকে অবাক করেছিল সেটা হলো মানুষের বই পড়ার অভ্যাস। সেখানকার মানুষজনকে দেখতাম বাসে বা ট্রেনে বই পড়ছে। এমনকি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েও! দেশটা ছিল বেলারুশ।
পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের লন্ডনে, জাপানের টোকিও ও অন্যান্য শহরেও দেখেছি ট্রেনে বসে বসে বা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বই পড়া একটি সাধারণ ঘটনা।
আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে যে বই পড়ার অভ্যাসটা গড়ে উঠেছে সেটা মধ্য বয়সী বা বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায় না। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এজন্য একটা ধন্যবাদ পেতেই পারে। আমার বই/পত্রিকা পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছিল কিশোরগঞ্জের আলোর মেলায় অবস্থিত সরকারি লাইব্রেরিতে যাতায়াতের মাধ্যমে। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। পরবর্তীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাথেও যুক্ত ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আমার ছেলে ও মেয়ের ক্লাস ফোরেই বই ও পত্রিকা পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছে।
আমার মনে হয়, পড়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হোক গল্পের বই বা পত্রিকা বা ম্যাগাজিন বা কমিক বই বা কঠিন কঠিন বই বা কাগজের ঠোংগা বা বিলবোর্ড বা মানুষের মন! কিছুদিন আগে ড. আকবর আলী খানের একটা সাক্ষাৎকার পড়ছিলাম। তিনি বলছিলেন, পাঠক হওয়া সহজ, লেখক হওয়া কঠিন। আমারতো মনে হয়, পাঠক হওয়া কঠিন, লেখক হওয়া সহজ। পাঠক হওয়ার জন্য পাঠের অভ্যাস দরকার হয়। লেখক হওয়া কঠিন কিছু না। আমার যা মনে চাইলো লিখে ফেললাম, কিছু টাকা খরচ করে ছাপিয়েও ফেললাম, আবার পুশ সেল করে কয়েক সংস্করণ শেষও করে ফেললাম!
মুসলমান মাত্রই জানেন, কুরআন শরীফের প্রথম যে শব্দটি নাজিল হয় সেটি হলো 'ইকরা' বা 'পড়ুন'।
আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন আমার একটা অভ্যাস ছিল- আমার বইগুলো বিছানার পাশে, বিশেষ করে মাথার পাশে রাখতাম (ভাবখানা এমন- রাতে ঘুমানোর সময় বইয়ের পাড়াগুলো মাথায় ঢুকে যাবে!)। আমার অর্ধেক বিছানা জুড়ে বই থাকতো!
যে গল্প দিয়ে শুরু করেছিলাম সেটা আরেকটু বলি। সিনিয়রের উপদেশকে আদেশ হিসেবে গন্য করে আমি এখন যেখানেই যাই পাশে একটা বই রাখি। এই অভ্যাসটার একটা চমৎকার দিক কিছু দিন পূর্বে আবিষ্কার করলাম, রাস্তায় জেমে পরলে আমার ভালো লাগে। কারণ, তখন আমি বইটা পড়ার সুযোগ পাই!
Good initiative 🥰🥰🥰...
Wait...
Your chance will come...
Take preparation...
& Flare, when it comes...
If you wanna make your chance, take time...
No hurry...
আমার 'হিরার টুকরা' মানুষগুলো!
পর্ব ০১
আমার ক্ষুদ্র জীবনে আমি কিছু হিরার টুকরা মানুষের সাক্ষাৎ বা সাহচর্য পেয়েছি যাদের দিলে কোন ময়লা নাই এবং যারা সমাজ বা রাষ্ট্র বা বিশ্বের জন্য নিজের জায়গায় যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন বা করছেন। তাদের 'সাদা মনের' মানুষ নামেও অনেকে অভিহিত করে থাকেন। আমার কাছে মনে তাদের সম্পর্কে কিছু লিখা আমার মোরাল রেসপনসেবলিটি বা নৈতিক দায়িত্ব।
আজকে যাকে নিয়ে লিখব তার বিষয়ে লিখা আমার জন্য কঠিন, অনেক কঠিন। এই লিখার বিভিন্ন পর্যায়ে আমি আবেগতাড়িত হব। এই লিখা নিয়ে যখনই চিন্তা করছিলাম তখনই আবেগতাড়িত হচ্ছিলাম।
প্রয়াত মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান
সিনহা ভাই এর সাথে পরিচয় এসএসএফ এ। এসএসএফ (Special Security Force) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন একটি বাহিনী। এই বাহিনীতে পাঁচ বাহিনীর কর্মকর্তারা কাজ করেন যাদের প্রত্যেককে এজেন্ট বলা হয়। এসএসএফ এ অফিসাররা যখন যান তখন প্রথমেই একটি প্রশিক্ষণ হয় যার নাম 'Dignitary Protection Course' বা ডিপিসি. ডিপিসির পর প্রত্যেক অফিসার এর 'On the Job Training' বা ওজিটি হয়। এই ওজিটিতে প্রত্যেক অফিসার এর একজন 'Responsible Officer' থাকেন যার দায়িত্ব ওজিটি অফিসারের শিক্ষণ কার্যক্রম দেখভাল করা। রেস্পন্সিবল অফিসার হিসেবে তাদেরকেই নির্বাচন করা হয় যাদের এজেন্ট হিসেবে সুনাম আছে। আমি যখন এসএসএফ এ সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেই আমার ওজিটির সময় ক্যাপ্টেন সিনহা, তৎকালীন সহকারী পরিচালক, ছিলেন আমার রেস্পন্সিবল অফিসার। রেস্পন্সিবল অফিসার এর কাছে প্রতিদিনের ডিউটিতে কি শিখলাম সেটা লিখিতভাবে দিতে হতো। তো আমি একদিন বঙ্গভবনে ডিউটি শেষে খাতার এক জায়গায় লিখলাম, বঙ্গভবনের পুকুরে এই প্রজাতির এতগুলো মাছ আছে। তিনি খাতা চেক করার সময় কমেন্ট করলেন, 'Have you counted?' (আসলে বঙ্গভবনের পুকুরের পাশে একটা সাইনবোর্ড আছে সেখানে কোন প্রজাতির কয়টা মাছ আছে লিখা ছিল!)। পরবর্তীতে আমরা একই উইং এ থাকার কারনে একসাথে অনেক ডিউটি করেছি। ডিউটির সময়ও তিনি আলাদাভাবে আমার নজর কেড়েছিলেন। ডিউটির মাঝে যখন অবসর পেতেন বই পড়তেন, সেগুলোও বেশীরভাগ ইংরেজি বই ছিল। আবার মাঝে মাঝে ব্যায়ামও করতেন। উনার সাথে অনেক অনেক স্মৃতি। একবার কোন একটা প্রোগ্রামে উনার গাড়িতে যাচ্ছিলাম। আমি সেকেন্ড সিটারের পজিশনের বসলাম। আমাকে সিট বেল্ট বাধতে বললেন। তো আমি সিট বেল্টটা বাধতে পারছিলাম না (নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য হিসেবে গাড়িতে চড়ার অভিজ্ঞতা এমনিতেই কম ছিল, তারপর আবার আনসারের গাড়িতে আমরা পিছনে বসি, সেকেন্ড সিটারের পজিশনে সাধারণত বসি না, তারপর আবার আনসার এর চাকরির দুই মাস পরই এসএসএফ যোগ দেই)। উনি নিজেই সিট বেল্টটা বেধে দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের সিগনালের সেই দৃশ্য এখনও আমার চোখের সামনে ভাসে। প্রথমত, তিনি সব সময়ই নিয়ম মানতেন। দ্বিতীয়ত, মানুষকে কখনো ছোট করতেন না। আমি যে সিট বেল্টটা বাধতে পারছি না সে জন্য উনার চাহনি বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বা কথায় আমি কষ্ট পাই সে ধরনের কোন আচরণ করেন নাই।
উনার সাথে দীর্ঘ একটা সময় এসএসএফ এ কাটিয়েছি। উনার মধ্যে কখনো সুপারিরিউটি কমপ্লেক্স দেখি নাই। মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখতেন। 'লিমিটেড আইডেন্টিটির' সীমাবদ্ধতা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পেরেছিলেন। লিমিটেড আইডেন্টিটি বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করি। ধরেন আপনার বাড়ি কিশোরগঞ্জ, আপনি কিশোরগঞ্জের মানুষকে আপনি অতিরিক্ত/অবৈধ সুবিধা দেন, অন্য জেলার মানুষ এর প্রতি বিমাতা সুলভ আচরন করেন। তাহলে আপনার আইডেন্টিটি কিশোরগঞ্জের মধ্যে সীমাবদ্ধ। একইভাবে আপনি যখন বিদেশে অবস্থান করেন, আপনি বাংলাদেশের মানুষকে অতিরিক্ত/অবৈধ সুবিধা দেন, অন্য দেশের মানুষ এর প্রতি বিমাতা সুলভ আচরন করেন। তাহলে আপনার আইডেন্টিটি বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। একইভাবে আপনি একজন মুসলমান, আপনি অন্য মুসলমানকে অতিরিক্ত/অবৈধ সুবিধা দেন, অন্য ধর্মের মানুষের সাথে বিমাতা সুলভ আচরন করেন। তাহলে আপনার আইডেন্টিটি মুসলমান এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। আপনি একটি সার্ভিস আছেন, আপনি ওই সার্ভিসের সদস্যদের অতিরিক্ত/অবৈধ সুবিধা দেন, অন্য সার্ভিসের মানুষের প্রতি বিমাতা সুলভ আচরন করেন। তাহলে আপনার আইডেন্টিটি ওই সার্ভিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ। লিমিটেড আইডেন্টিটি থেকে বের হওয়া অনেক কঠিন। আমিও হয়ত এখনো লিমিটেড আইডেন্টিটি থেকে বের হতে পারি নাই।
আমি এসএসএফ থেকে চলে আসার পর হঠাৎ একদিন একটা বিদেশি নাম্বার থেকে ফোন, 'রাজীব ভাই, আমি মেজর সিনহা বলছি '. আমি কন্ঠ চিনতে পারি নাই। আমি বললাম, মেজর সিনহা নামেতো আমি কাউকে চিনি না। তিনি বললেন, 'ভাই, আমি এসএসএফ এর ক্যাপ্টেন সিনহা, আমি প্রমোশন পেয়ে মেজর হইছি'। তিনি তখন আফ্রিকার কোন একটা দেশে মিশনে ছিলেন। সেখানেই প্রমোশন পেয়েছেন। প্রমোশন পাওয়ার পর আমার মত একজন ক্ষুদ্র মানুষকে আফ্রিকা থেকে ফোন দেয়ার দরকার ছিল না। তিনি যখন চাকরি ছেড়ে দিলেন তখনও ফোন দিয়েছিলেন। একদিন দেখা করার কথা ছিল, সেটা আর হয় নাই। বিশ্ব ভ্রমণের শখ ছিল। মিশন এর ছুটিতে গাড়ি কিনে নিজে ড্রাইভ করে ইউরোপ ট্যুর দিয়েছিলেন। জীবনকে নিজের মত করেই যাপন করতে চেয়েছিলেন।
সিনহা ভাই, আপনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন।
আল্লাহ আপনাকে বেহেশতবাসী করুন, এই দোয়া করি।
অপক্ক ভাবনা
আজিমপুর, ঢাকা
২৪.০৯.২০২২
This page is created with an objective of sharing my views. I cannot make everyone friend in my profile who send friend request because of some limitations.
By this page, one can be connected with me.
As a human, the self-proclaimed best creature of the world, each and everyone of us has the responsibility to better serve the society, the nation, the earth, and the Universe as a whole.
Let's do our part!