Piplakandi High School SSC Batch-2021
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Piplakandi High School SSC Batch-2021, School, .
চারিদিকে শুধু GPA 5 এর ছড়াছড়ি! চীনের ইন্জিনিয়ারেরা পদ্মা সেতুর কাজ করে দিয়ে গেলো, জাপানের ইন্জিনিয়ারেরা মেট্রোরেল তৈরি করলো। রাশিয়ার ইন্জিনিয়ারেরা রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট বানালো। কোরিয়ান ইন্জিনিয়ারেরা পার্বতিপুর খনি থেকে কয়লা উত্তোলণ করলো। আর আমাদের দেশের বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, রুয়েটে পড়াশোনা শেষ করা ইন্জিনিয়ারেরা এসব তথ্য মুখস্থ করে বিসিএস দিবে! পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কতো? মোট পিলারের সংখ্যা কতো? রূপপুর পাওয়ার হাউজের চুল্লির উচ্চতা কতো? মেট্রো রেলের আয়তন কতো? ঘন্টায় কতো কি:মি: বেগে চলে? আর; বসে বসে পার্সেন্টেজ খাবে!
মামার বাড়ি
- জসীম উদ্দীন---(হাসু কাব্যগ্রন্থ)
আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা,
ফুল তুলিতে যাই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই।
মামার বাড়ি পদ্মপুকুর
গলায় গলায় জল,
এপার হতে ওপার গিয়ে
নাচে ঢেউয়ের দল।
দিনে সেথায় ঘুমিয়ে থাকে
লাল শালুকের ফুল,
রাতের বেলা চাঁদের সনে
হেসে না পায় কূল।
আম-কাঁঠালের বনের ধারে
মামা-বাড়ির ঘর,
আকাশ হতে জোছনা-কুসুম
ঝরে মাথার ‘পর।
রাতের বেলা জোনাক জ্বলে
বাঁশ-বাগানের ছায়,
শিমুল গাছের শাখায় বসে
ভোরের পাখি গায়।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের শাখায় উঠি
রঙিন করি মুখ।
কাঁদি-ভরা খেজুর গাছে
পাকা খেজুর দোলে
ছেলেমেয়ে, আয় ছুটে যাই
মামার দেশে চলে।
বাঙ্গালির প্রাণের বই মেলা "একুশে বইমেলায়" রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে!! কতিপয় কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া জনৈক নারীর বই কিনতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়!! নাবালিকা মেয়ে বিয়ে করা খন্দকার মুশতাকের বই মেলায় বিক্রি হয়।। নতুন প্রজন্ম বিখ্যাত ও জ্ঞানী লেখকদের বই পড়া বাদ দিয়ে বর্তমান ভাইরাল চোর ডাকাত এবং বিবেকহীন লেখকদের বই পড়তে ব্যস্থ!! বইমেলায় যে বই প্রকাশ করা হচ্ছে তার শতকরা আশি ভাগ বই মানহীন। এসব মানহীন বই পড়ে জাতি কি শিখবে? কাজী নজরুল, কবি জসীম উদ্দীন, ফররুখ আহমদ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ মুজতবা আলী,আহমদ ছফা,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আল মাহমুদ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং ধর্মীয় জ্ঞানী গুণী লেখক সহ কালজয়ী লেখকদের বই কেন বেষ্ট সেলার হয়না? এ জাতির ভবিষ্যত ঘোর অন্ধকার, অন্ধকার,অন্ধকার।
#সংগৃহীত
রাখাল ছেলে
জসীম উদ্দীন---(রাখালী কাব্যগ্রন্থ)
“রাখাল ছেলে ! রাখাল ছেলে ! বারেক ফিরে চাও,
বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?”
ওই যে দেখ নীল-নোয়ান সবুজ ঘেরা গাঁ,
কলার পাতা দোলায় চামর শিশির ধোয়ায় পা,
সেথায় আছে ছোট কুটির সোনার পাতায় ছাওয়া,
সাঁঝ-আকাশের ছড়িয়ে-পড়া আবীর রঙে নাওয়া,
সেই ঘরেতে একলা বসে ডাকছে আমার মা-
সেথায় যাব, ও ভাই এবার আমায় ছাড় না।”
“রাখাল ছেলে ! রাখাল ছেলে ! আবার কোথা ধাও,
পুব আকাশে ছাড়ল সবে রঙিন মেঘের নাও।”
“ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে,
সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে।
আমার সাথে করতো খেলা প্রভাত হাওয়া, ভাই,
সরষে ফুলের পাঁপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই।
চলতে পথে মটরশুঁটি জড়িয়ে দুখান পা,
বলছে ডেকে, ‘গাঁয়ের রাখাল একটু খেলে যা।’
সারা মাঠের ডাক এসেছে, খেলতে হবে ভাই।
সাঁঝের বেলা কইব কথা এখন তবে যাই।’
“রাখাল ছেলে ! রাখাল ছেলে ! সারাটা দিন খেলা,
এ যে বড় বাড়াবাড়ি, কাজ আছে যে মেলা।”
কাজের কথা জানিনে ভাই, লাঙল দিয়ে খেলি
নিড়িয়ে দেই ধানের ক্ষেতের সবুজ রঙের চেলী।
সরিষে বালা নুইয়ে গলা হলদে হওয়ার সুখে।
মটর বোনের ঘোমটা খুলে চুমু দিয়ে যায় মুখে।
ঝাউয়ের ঝাড়ে বাজায় বাঁশী পউষ-পাগল বুড়ী,
আমরা সেথা চষতে লাঙল মুশীদা-গান জুড়ি।
খেলা মোদের গান গাওয়া ভাই, খেলা-লাঙল-চষা,
সারাটা দিন খেলতে জানি, জানিই নেক বসা’।
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
----কাজী নজরুল ইসলাম
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী
বলে না তো কিছু চাঁদ।।
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল
ফুল বলে না তো সে আমার ভুল
মেঘ হেরি’ ঝুরে’ চাতকিনী
মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?।
জানে সূর্যেরে পাবে না
তবু অবুঝ সূর্যমুখী
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার দেবতারে
দেখিয়াই সে যে সুখী।।
হেরিতে তোমার রূপ-মনোহর
পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর
নয়নের সেই সাধ।।
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?
#সংগৃহীত
আসুন আমরা সকলে মিলে বিকাশ কে বয়কট করি!
আলহামদুলিল্লাহ!
বিকাশ বয়কটের দ্বিতীয় দিনে বিকাশে ৪ হাজার কোটি টাকার লেনদেন তলানিতে।
Voice of people
থেকে নেওয়া..
কাজলা দিদি
___যতীন্দ্রমোহন বাগচী
বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে, নেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাই জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই;
মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
সেদিন হতে দিদকে আর কেনই-বা না ডাকো,
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে ডাকি, তখন
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,
আমি ডাকি, - তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকোই গিয়ে-
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে?
আমিও নাই দিদিও নাই কেমন মজা হবে!
ভুঁইচাঁপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল;
ডালিম গাছের ডালের ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
দিস না তারে উড়িয়ে মা গো, ছিঁড়তে গিয়ে ফল;
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবে কী মা বল!
বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
এমন সময়, মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?
বেড়ার ধারে, পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোঁপে-ঝাড়ে;
নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না- তাইতো জেগে রই;
রাত হলো যে, মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?
#সংগৃহীত
শিক্ষাব্যবস্থা কতটা মেরুদন্ডহীন হয়ে পড়েছে তা বোঝার জন্য আর কিছুর দরকার নেই।
জন্মেছি এই দেশে
– সুফিয়া কামাল
অনেক কথার গুঞ্জন শুনি
অনেক গানের সুর
সবচেয়ে ভাল লাগে যে আমার
‘মাগো’ ডাক সুমধুর।
আমার দেশের মাঠের মাটিতে
কৃষাণ দুপুরবেলা
ক্লান্তি নাশিতে কন্ঠে যে তার
সুর লয়ে করে খেলা।
মুক্ত আকাশে মুক্ত মনের
সেই গান চলে ভেসে
জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে
মরি যেন এই দেশে।
এই বাংলার আকাশ-বাতাস
এই বাংলার ভাসা
এই বাংলার নদী, গিরি-বনে
বাঁচিয়া মরিতে আশা।
শত সন্তান সাধ করে এর
ধূলি মাখি সারা গায়
বড় গৌরবে মাথা উচু করি
মানুষ হইতে চায়।
#সংগৃহীত
নতুন শিক্ষা কারিকুলাম
০১। সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন।
০২। ক্লাস টেনের আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষা নেই।
০৩। ক্লাস 3 এর আগে কোনো পরীক্ষাই নেই!
০৪। এসএসসি -তে মাত্র ৫ বিষয়ের পরীক্ষা। বাংলা, ইংলিশ, ম্যাথ, সায়েন্স ও সোশ্যাল সায়েন্স। কোনো পত্র নেই। মাত্র ৫ দিনেই শেষ।
০৫। সায়েন্স, আর্টস, কমার্স গ্রুপিং হবে ইন্টারমিডিয়েটে।
০৬। হাইস্কুল লেভেলে বিষয় থাকবে ১০ টি:
কিন্তু এস এস সি তে পরীক্ষা হবে ৫ টি
০১। - বাংলা
০২। - ইংরেজি
০৩। - গণিত
০৪। - জীবন ও জীবিকা
০৫ - বিজ্ঞান
০৬। - সামাজিক বিজ্ঞান
০৭। - ডিজিটাল প্রযুক্তি
০৮। - ধর্মশিক্ষা
০৯। - ভালো থাকা
১০। - শিল্প ও সংস্কৃতি
২০২৬ এ এইচএসসি
২০২৪ এ নবম শ্রেণি
ইন্টারমিডিয়েটে সাবজেক্ট ৬টা। প্রত্যেকটার পত্র ৩ টা করে। ফার্স্ট ইয়ারে সবগুলোর প্রথম পত্রের পাবলিক এক্সাম। সেকেন্ড ইয়ারে সেকেন্ড ও থার্ড পার্টের। তারপর ২ এক্সাম মিলিয়ে চূড়ান্ত এইচএসসির রেজাল্ট।
ছুটি
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মেঘের কোলে রোদ হেসেছে,
বাদল গেছে টুটি,
আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,
আজ আমাদের ছুটি।।
কী করি আজ ভেবে না পাই,
পথ হারিয়ে কোন্ বনে যাই,
কোন্ মাঠে যে ছুটে বেড়াই,
সকল ছেলে জুটি।।
কেয়াপাতায় নৌকো গড়ে’
সাজিয়ে দেব ফুলে,
তালদিঘিতে ভাসিয়ে দেবো,
চলবে দুলে দুলে।
রাখাল ছেলের সঙ্গে ধেনু
চরাব আজ বাজিয়ে বেণু,
মাখব গায়ে ফুলের রেণু
চাঁপার বনে লুটি।
আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,
আজ আমাদের ছুটি।
#সংগৃহীত!
পিঠা উৎসবে
হোসেনপুর সরকারি কলেজে।
ছবির ভদ্রলোক গতকাল পাবনায় ধান কাটতে গিয়ে রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) এর কামড়ে মৃত্যুবরণ করেন।
এই প্রানঘাতী বিষধর সাপটি আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। ধারনা করা হয়, বন্যার সময় ভারত থেকে ভেসে এসেছে এই সাপ। খুব দ্রুত এবং সংখ্যায় অনেকগুলো করে ডিম পাড়ে এরা।
কৃষকরা ধান কাটতে যেতে পারছেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাটতে হচ্ছে। এই সাপের এন্টিভেনম সম্ভবত সব জায়গায় এভেইলেবেল নেই।
সাপটি চেনা সহজ। গায়ে ডায়মন্ড শেপের ছোপ। জায়গা থেকে সহজে নড়ে না। অন্য সাপ পায়ের শব্দ পেলে সরে যায়, এরা সরে না। বিপদ টা এখানেই।
সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ।
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান বাক্সে এবার পাওয়া গেলো
৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন লোগো থেকে ‘হে প্রভু তুমি আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও’ কুরআনিক বাক্যটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা যে ভীষণভাবে মর্মাহত ও সংক্ষুব্ধ হয়েছে, বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমরা অনেকেই ধর্মকে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে বাধা মনে করছি। অথচ মালয়েশিয়া-সহ পৃথিবীর বহু মুসলিম দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইসলামি মূল্যবোধ ও আদর্শ বহাল থাকার পরও তারা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছে।
শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক-সহ অনেক খ্রিষ্টান প্রধান দেশের জাতীয় পতাকায় খোচিত আছে তাদের ধর্মীয় নিদর্শন ক্রুশের চিহ্ন। পৃথিবীর বহু দেশের জাতীয় সংগীতে উজ্জ্বল হয়ে আছে তাদের ধর্মের অনুষঙ্গ।
এমনকি যাদেরকে আমরা উন্নয়নের রোল মডেল মনে করি, যাদের উন্নতি দেখে আমরা দিবারাত্র ঈর্ষা করি, সেই তাদের ডলারের গায়ে লেখা আছে IN GOD WE TRUST।
ধর্ম তাদের উন্নতি ও অগ্রগতির পথে বাধা হলো না, অথচ উন্নতির দোহাই দিয়ে আমরা নানাভাবে ধর্মীয় অনুষঙ্গ ছাঁটাই করে চলেছি। এটা করে আমরা কতটুকু উন্নত হতে পেরেছি তা উল্লিখিত দেশগুলোর সাথে নিজেদের তুলনা করলেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
পৃথিবীর প্রায় সকল সভ্যতা ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে। এ কারণে ধর্মের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। যারা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে ধর্ম ত্যাগ করছে, তারা মূলত বিশ্বসভ্যতার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।
আজ একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের লোগো থেকে কুরআনিক বাক্য সরিয়ে দেওয়া হলো। কাল অন্য জায়গা থেকে যে সরিয়ে দেওয়া হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এভাবে চলতে থাকলে একদিন মুসলিম নামটাই আমাদের কাছে লজ্জার কারণ হয়ে উঠবে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ্
লেখাটা পড়ার অনুরুধ রইলো,,,,
🚨 এলার্ট পোস্ট❗🚫❌
বিগত কয়েকদিন যাবত Friend List এর অনেক সংখ্যক ফ্রেন্ডের আইডি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত (18+) স্টোরি এবং পোস্ট করো হচ্ছে। এমনটা হচ্ছে, কারণ তাদের আইডি এখন স্ক্যামাদের দখলে।
এর মেইন রিজন হলো তারা স্ক্যামারদের দেওয়া ফিশিং লিংক (Phishing Link)-এ ক্লিক করেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে স্ক্যামারদের একটি ফিশিং লিংক একটিভ রয়েছে!
আপনার ফোনের সিমে আসা সেই ফিশিং লিংকের মেসেজটি অনেকটা এরকমই থাকে -
'Dear, You passed the interview. An average of 2,000 taka can be received every day.
অথবা,
'Congratulation you selected to the interview. We will give 2000 taka per day. Please contact us this link' তারপর একটা লিংক দেওয়া হয়।
অনেকে না বুঝে অথবা লোভে লিংকে ক্লিক করে থাকে। অনেক সময় এটি টেলিগ্রাম গ্রুপে নিয়ে যায়, অনেক সময় কোনো ইনফরমেশন দেয়না অথবা কোনো সাইটে নিয়ে যায়। এগুলো হলো ফিশিং লিংক।
যার মধ্যে ঢুকলেন তো আইডি হারালেন!
আর পরবর্তী ফলাফল কি হয়, তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি।
আপনার কাছে উপরিউক্ত এমন মেসেজ এসে থাকলে ডিলেট করে দিবেন। আর আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের ফ্রেন্ডের আইডি ইনফেক্টেড হয়ে থাকলে আনফলো দিয়ে আনফ্রেন্ড করে দিবেন।
আপনার একটু সতর্কতা ই আপনাকে ভার্চুয়াল জগতে সিকিউর রাখতে সাহায্য করবে 🙂
©️
কুমিল্লা বোর্ডের সুইসাইড করা ১১ জন ছাত্রের মধ্যে ১ জনের সুইসাইড নোটঃ
• আগামি বছর আবার পরীক্ষা দিবো। মা, বাবাকে বুঝাইছি।
সবাই স্বাভাবিক ছিলো, আমিও। কিন্তু একের পর এক প্রতিবেশী সহপাঠীরা মিষ্টি আর কথার খোঁচা নিয়ে হাজির হতে লাগলো। আমার মায়ের মাথা খারাপ হয়ে গেলো।
• বাবাও আমাকে গালিগালাজ করলো। যে মা বাবা গতকাল আমার মাথায় হাত রেখে বলছিলো চিন্তা করিস না, বুড়ো হয়ে যাস নাই। সামনের বার আবার পরীক্ষা দিস, বছর যাইতে কয়দিন। অথচ, প্রতিবেশীদের মিষ্টি পেয়ে সেই বাবা মা আমাকে জুতা দিয়ে পিঠলো, শুধু তাই নয়, আমার উপর রাগ করে বাবাপাতের ভাত লাথি মেরে ফেলে দিলো।
• অনেক চেষ্টা করেছি লুকিয়ে থাকার, পারলাম না।
প্রতিবেশীরা এক হাত জিহ্ববা বের করে অনুশোচনা করলো, শুধু অনুশোচনা নয়, আমার জন্য নাকি আমার মা দায়ী। মায়ের আস্কারা পেয়ে আমি নষ্ট হয়ে গেছি।
• তাদের কৈফিয়ত পেয়ে আমার বাবা মাকে উঠানে প্রচুর মেরেছে। মা এখনো বেহুঁশ। মার জ্ঞান ফিরার আগেই পৃথিবীকে বিদায় জানালাম...!
ভালো থাকবেন প্রতিবেশীরা...!
ভালো থেকো সহপার্ঠী বন্ধুরা...!
পিতামাতাদের উপদেশ আমাদের মানায় না...!
তবু ও বলছি সমাজ কি বললো...!
প্রতিবেশী কি বললো সেটা শুনে,
নিজের ছেলে মেয়েকে অপমান করে,
মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবেন না...!
মনে রাখবেন ছেলেমেয়েটা আপনার তাদের নয়
(প্রতিবেশীর নয়)...….....!!!!
সংগৃহীত
কৃষাণী দুই মেয়ে
- জসীম উদ্দীন---(ধানক্ষেত কাব্যগ্রন্থ)
কৃষাণী দুই মেয়ে
পথের কোণে দাঁড়িয়ে হাসে আমার পানে চেয়ে।
ওরা যেন হাসি খুশীর দুইটি রাঙা বোন,
হাসি-খুশীর বেসাত ওরা করছে সারাখন।
ঝাকড়া মাথায় কোঁকড়া চুলে, লেগেছে খড়কুটো,
তাহার নীচে মুখ দুখানি যেন তরমুজফালি দুটো।
সেই মুখেতে কে দুখানি তরমুজেরি ফালি,
একটি মেয়ে লাজুক বড়, মুখর আরেক জন,
লজ্জাবতীর লতা যেন জড়িয়ে গোলাপ বন।
একটি হাসে, আর সে হাসি লুকায় আঁচল কোণে,
রাঙা মুখের খুশী মিলায় রাঙা শাড়ীর সনে।
পউষ-রবির হাসির মত আরেক জনের হাসি,
কুয়াশাহীন আকাশ ভরে টুকরো-মেঘে ভাসি।
চাষীদের ওই দুইটি মেয়ে ঈদের দুটি চাঁদ,
যেই দেখেছি, পেরিয়ে গেল নয়নপুরীর ফাঁদ।
#সংগৃহীত
আইনস্টাইনের যিনি ড্রাইভার ছিলেন,
তিনি একদিন আইনস্টাইনকে বললেন - আপনি প্রতিটি সভায় যে ভাষণ দেন সেইগুলো শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে।" -আইনস্টাইন তো অবাক!
উনি তখন বললেন "বেশ তাহলে এর পরের মিটিংয়ে যেখানে যাবো তারা আমাকে চেনেন না, তুমি আমার হয়ে ভাষণ দিও আর আমি ড্রাইভার হয়ে বসে থাকবো"
-এরপরে সেই সভায় তো ড্রাইভার হুবহু আইনস্টাইন-এর ভাষণ গড় গড় করে বলে গেলেন। উপস্থিত বিদ্বজ্জনেরা তুমুল করতালি দিলেন। এরপর তাঁরা ড্রাইভারকে আইনস্টাইন ভেবে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এলেন।
-সেই সময়ে একজন অধ্যাপক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন "স্যার, ঐ আপেক্ষিক এর যে সঙ্গাটা বললেন, আর একবার সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবেন?"
-আসল আইনস্টাইন দেখলেন বিপদ, এবার তো ড্রাইভার ধরা পড়ে যাবে। কিন্তু তিনি ড্রাইভার-এর উত্তর শুনে তাজ্জব হয়ে গেলেন। ড্রাইভার উত্তর দিল।। -"এই সহজ জিনিসটা আপনার মাথায় ঢোকেনি ? আমার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করুন সে বুঝিয়ে দেবে"
বিঃদ্রঃ- জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও জ্ঞানী হবেন। আপনি যেমন মানুষের সাথে ঘুরবেন তেমনই হবেন।
এই জন্যে কথায় আছে,
"সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস,
অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ"।
# সংগৃহীত
পিপলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৪ শিক্ষা বর্ষে ৬ষ্ঠ - ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি চলছে। বিদ্যালয় অফিস থেকে ভর্তি ফরম সংগ্রহের জন্য আহ্বান করা হচ্ছে!
⚠️রেজাল্ট প্রস্তুত, আগামীকাল ফাইনাল রিচেক করে টেবুলেশন করবে।
⚠️বৃহ বার সাবমিট করে রাখবে,প্রধানমন্ত্রী ২৬ তারিখ উন্মুক্ত করবেন।
⚠️জিপিএ ৫ এর পরিমাণ কমেছে,
⚠️লিখিত তে তেমন ফেল নাই,যা ফেল MCQ এই (আইসিটি,ইংরেজি অধিক খারাপ)
⚠️পাশ গতানুগতিক অন্য বছর এর মতই।
রেজাল্ট নিয়ে টেনশন করিও না,ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।
কোন Board এর স্টুডেন্ট তুমি?
চাঁদের বুড়ি (কাব্যগ্রন্থ- শিশু ভোলানাথ)
___রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এক যে ছিল চাঁদের কোণায়
চরকা - কাটা বুড়ি
পুরাণে তার বয়স লেখে
সাতশো হাজার কুড়ি ।
সাদা সুতোয় জাল বোনে সে
হয় না বুনন সারা
পণ ছিল তার ধরবে জালে
লক্ষ কোটি তারা ।
হেনকালে কখন আঁখি
পড়ল ঘুমে ঢুলে ,
স্বপনে তার বয়সখানা
বেবাক গেল ভুলে ।
ঘুমের পথে পথ হারিয়ে ,
মায়ের কোলে এসে
পূর্ণ চাঁদের হাসিখানি
ছড়িয়ে দিল হেসে ।
সন্ধেবেলায় আকাশ চেয়ে
কী পড়ে তার মনে ।
চাঁদকে করে ডাকাডাকি ,
চাঁদ হাসে আর শোনে ।
যে - পথ দিয়ে এসেছিল
স্বপন - সাগর - তীরে
দু - হাত তুলে সে - পথ দিয়ে
চায় সে যেতে ফিরে ।
হেনকালে মায়ের মুখে
যেমনি আঁখি তোলে
চাঁদে ফেরার পথখানি যে
তক্খনি সে ভোলে ।
কেউ জানে না কোথায় বাসা ,
এল কী পথ বেয়ে ,
কেউ জানে না , এই মেয়ে সেই
আদ্যিকালের মেয়ে ।
বয়সখানার খ্যাতি তবু
রইল জগৎ জুড়ি —
পাড়ার লোকে যে দেখে সেই
ডাকে , ' বুড়ি বুড়ি ' ।
সব - চেয়ে যে পুরানো সে ,
কোন্ মন্ত্রের বলে
সব - চেয়ে আজ নতুন হয়ে
নামল ধরাতলে ।
# সংগৃহীত
মামার বাড়ি (সম্পূর্ণ কবিতা)
– জসীম উদ্দীন
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা,
ফুল তুলিতে যাই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই।
মামার বাড়ি পদ্মপুকুর
গলায় গলায় জল,
এপার হতে ওপার গিয়ে
নাচে ঢেউয়ের দল।
দিনে সেথায় ঘুমিয়ে থাকে
লাল শালুকের ফুল,
রাতের বেলা চাঁদের সনে
হেসে না পায় কূল।
আম-কাঁঠালের বনের ধারে
মামা-বাড়ির ঘর,
আকাশ হতে জোছনা-কুসুম
ঝরে মাথার ‘পর।
রাতের বেলা জোনাক জ্বলে
বাঁশ-বাগানের ছায়,
শিমুল গাছের শাখায় বসে
ভোরের পাখি গায়।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের শাখায় উঠি
রঙিন করি মুখ।
কাঁদি-ভরা খেজুর গাছে
পাকা খেজুর দোলে
ছেলেমেয়ে, আয় ছুটে যাই
মামার দেশে চলে।
দেড়মাস পরিশ্রম করে ১৫ সদস্যের অস্ট্রেলিয়া দল ক্রিকেট বিশ্বকাপে ১ নম্বর হয়ে পেলো ৪৪ কোটি টাকা।
একমাস রীতিমতো যুদ্ধ করে ২৬ সদস্যের আর্জেন্টিনা দল ফুটবল বিশ্বকাপে ১ নম্বর হয়ে পেলো ৪০৪ কোটি টাকা।
আর তেমন কিছু না, সামান্য ২ নম্বরি করে ঢাকা ওয়াসার ৪৬ কর্মচারি-কর্মকর্তা পেলো ৩৩২ কোটি টাকা।
সামান্য একটু চালাক হলে জীবনযুদ্ধে এমনি জিতে যাওয়া যায়..
copied
হেমন্ত
– সুফিয়া কামাল
সবুজ পাতার খামের ভেতর
হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে
কোন্ পাথারের ওপার থেকে
আনল ডেকে হেমন্তকে?
আনল ডেকে মটরশুঁটি,
খেসারি আর কলাই ফুলে
আনল ডেকে কুয়াশাকে
সাঁঝ সকালে নদীর কূলে।
সকাল বেলায় শিশির ভেজা
ঘাসের ওপর চলতে গিয়ে
হাল্কা মধুর শীতের ছোঁয়ায়
শরীর ওঠে শিরশিরিয়ে।
আরও এল সাথে সাথে
নুতন গাছের খেজুর রসে
লোভ দেখিয়ে মিষ্টি পিঠা
মিষ্টি রোদে খেতে বসে।
হেমন্ত তার শিশির ভেজা
আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়
চুপে চুপে রং মাখাল
আকাশ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায়।
কানা বগীর ছা
খান মুহম্মদ মঈনুদ্দীন
ঐ দেখা যায় তাল গাছ
ঐ আমাদের গাঁ
ঐ খানেতে বাস করে
কানা বগীর ছা।
ও বগী তুই খাস কি?
পানতা ভাত চাস কি?
পানতা আমি খাই না
পুঁটি মাছ পাই না।
একটা যদি পাই
অমনি ধরে গাপুস গুপুস খাই।