What Happened Next
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from What Happened Next, Education, .
মানুষের তৈরি চীনের প্রাচীর এক বিস্ময়কর নিদর্শন যা পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য্য এর মধ্যে অন্যতম একটি।
চীন একটি বিশাল, সুপ্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রের মজুদ দেশ। কোনো প্রতিবেশী দেশ বর্তমানে চীনকে সামরিকভাবে আক্রমণ করার মতো সাহসী হবে না।
যাযাবর উপজাতিরা যারা একসময় মধ্য এশিয়া শাসন করত, তারা প্রায়ই চীন আক্রমণ করত। সেই সময়ে রাজবংশের শাসকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন, বিশেষ করে যখন চীনের উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী এই যাযাবর জনগণের নিপীড়ন চরমে উঠেছিল। তারা আক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অনেকে সামরিক প্রতিরোধের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সেই সময়ে, মঙ্গোল বা জিওংনু যোদ্ধাদের সামনে চীনা সামরিক বাহিনী ছিল একেবারেই শক্তিহীন। তাই একমাত্র বিকল্প ছিল হাজার হাজার কিলোমিটার প্রাচীর নির্মাণ।
নাস্তিক প্রফেসর ক্লাসে ঢুকেই তার ছাত্রদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন,
"পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কি সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছেন?"
একজন ছাত্র বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই উত্তর দিলো, হ্যাঁ স্যার। সবকিছুই সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছেন।
"তাই নাকি! ছাত্র টির উত্তর শুনে মুচকি হাসেন প্রফেসর। সৃষ্টিকর্তা সত্যিই সবকিছু তৈরি করেছেন? তুমি ভেবে বলছো?"
ছাত্র টি আগের মত আত্মবিশ্বাসের সাথে হ্যাঁ বোধক উত্তর দিতেই প্রফেসর আবারও প্রশ্ন করেন, "সৃষ্টিকর্তাই যদি সবকিছু তৈরি করে থাকেন তাহলে উনি তো খারাপ কেও সৃষ্টি করেছেন। তোমার উত্তর অনুযায়ী যেহেতু খারাপের অস্তিত্ব আছে এবং আমরা কি সেটা আমাদের কাজের উপর নির্ভর করেই নির্ধারণ হয়, সেই যুক্তি অনুযায়ী তাহলে সৃষ্টিকর্তা নিজেই খারাপ। কারন আমাদের ভাল-মন্দ সব গুণ উনি তৈরি করেছেন।"
প্রফেসরের এমন কথা শুনে সব ছাত্র চুপ হয়ে গেলো। কেউ কিছু বলছেনা।
ছাত্রদের চুপ হয়ে যাওয়া দেখে প্রফেসর নিজের উপর বেশ সন্তুষ্ট হলেন।
কিছুক্ষণ পর আরেকজন ছাত্র উঠে দাঁড়ালো। প্রফেসর আমুদে ভঙ্গীতে জিজ্ঞাসা করেন, কিছু বলতে চাও? ছাত্র টি হাসি মুখে প্রফেসরের কাছে জানতে চায়, "আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি স্যার?"
অবশ্যই করতে পারো। প্রফেসর অনুমতি দিতেই ছাত্র টি জিজ্ঞাসা করে- "স্যার, ঠান্ডা বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব আছে কি?"???
…
প্রশ্ন শুনে প্রফেসরের চেহারায় বিরক্তি ফুটে ওঠে। "কি গাধার মত প্রশ্ন করো! ঠান্ডার অস্তিত্ব থাকবেনা কেন? অবশ্যই ঠান্ডার অস্তিত্ব আছে। তোমার কি কখনো ঠান্ডা লাগেনি?"
এবার ছাত্র টি মুচকি হেসে উত্তর দেয়, সত্যি বলতে কি স্যার, ঠান্ডার কোনো অস্তিত্ব নেই। আমরা যেটাকে ঠান্ডা বলি, পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় সেটা আসলে তাপের অনুপস্থিতি। আমরা এই "ঠান্ডা' শব্দ টিকে জাস্ট কম তাপ কিংবা তাপের অনুপস্থিতি কে ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যবহার করি।
কিছুক্ষণ পর ছাত্র টি আবারো প্রশ্ন করে, "স্যার অন্ধকার বলে কিছু কি পৃথিবীতে আছে?"
প্রফেসর উত্তর দেন, কেন থাকবেনা! অবশ্যই অন্ধকারের অস্তিত্ব আছে।
ছাত্র টি সহাস্যে উত্তর দেয়, আপনার ধারণা ভুল স্যার। অন্ধকার বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। আমরা আলো কে নিয়ে রিসার্চ করতে পারি, আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য মাপতে পারি, আলোর গতি বের করতে পারি। কিন্তু অন্ধকারের অস্তিত্ব নেই বলেই আমরা অন্ধকার নিয়ে কোনো কিছুই করতে পারিনা। সামান্য একটা আলোক রশ্মি অন্ধকার দূর করতে যথেষ্ঠ, কিন্তু অন্ধকার কখনো আলো কে গ্রাস করতে পারেনা। কারন অন্ধকার বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই, অন্ধকার হচ্ছে আলোর অনুপস্থিতি।
ছাত্র টি আবারও প্রশ্ন করে বসে। "স্যার, এবার বলেন খারাপের কি অস্তিত্ব আছে?"
প্রফেসর বেশ ক্রুদ্ধস্বরে উত্তর দেন, অবশ্যই আছে। প্রতিদিন কত মানুষ খুন হচ্ছে, অন্যায় হচ্ছে, এগুলো খারাপ না?"
ছাত্র টি বেশ জোরের সাথে উত্তর দেয়, "না স্যার। খারাপের কোনো অস্তিত্ব নেই, এটা হচ্ছে ভালোর অনুপস্থিতি। এটা সেই ঠান্ডা এবং অন্ধকারের মতই, মানুষের অন্তরে সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালবাসার অনুপস্থিতিই এই খারাপ বা মন্দের অবস্থা তৈরি করে।
(এই ছাত্রটি ছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত, যিনি আজ সারা বিশ্বে স্বামী বিবেকানন্দ হিসাবে পরিচিত!!)
সংগৃহীত
🙏🙏🙏🙏🙏🙏
😲😲
African Moon Moth
Amazing 😲
Credit: @9.xcv
😲😲😲😲😲
seven wonders of the world ❤️
--------------------------------------------
𝗟𝗲𝗮𝗳𝘆 𝗦𝗲𝗮 𝗗𝗿𝗮𝗴𝗼𝗻
বৈজ্ঞানিক নাম Phycodurus eques।
দেহে পাতার মত অত্যন্ত স্বচ্ছ অঙ্গ থাকার কারণে এদেরকে লিফি (Leafy) বলা হয়। এরা লম্বায় ৩৫ সেন্টিমিটার হয়। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ এবং পশ্চিম অংশের সমুদ্র তলদেশে এদের পাওয়া যায়। সি-ড্রাগন, পাইপ ফিশ এবং সি-হর্স একই পরিবারের (Syngnathidae) সদস্য। এরা দেহের রঙ পরিবর্তন করতে পারে। এদের মুখাকৃতি নলের মত হওয়ায় এরা শুষে খাবার খায়। বিভিন্ন ধরণের অনুজীব, লার্ভা, ছোট চিংড়ি, কাঁকড়া; এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে। লিফি সি-ড্রাগন অত্যন্ত ধীর গতির প্রাণী। এদের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৫০ মিটার। সমগ্র দেহে পাতার মত অংশ থাকায়, সি-হর্সের মত এরা কোন কিছু আঁকড়ে ধরতে পারেনা। তাই সামুদ্রিক ঝড়ে এদের অনেকেই মারা যায়।
তথ্য: Google
𝙂𝙤𝙡𝙙𝙚𝙣 𝙋𝙤𝙞𝙨𝙤𝙣 𝙁𝙧𝙤𝙜
----------------------------------
SCIENTIFIC NAME : Phyllobates terribilis
পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর ব্যাঙদের মধ্যে প্রথম স্থানটি অধিকার করে আছে এই 𝙂𝙤𝙡𝙙𝙚𝙣 𝙋𝙤𝙞𝙨𝙤𝙣 𝙁𝙧𝙤𝙜.. প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে আর কলম্বিয়ার রেইন ফরেস্টে এদের দেখা মেলে। প্রচুর বৃষ্টিপাত আর মাঝারি তাপমাত্রা এদের বসবাসের জন্যে উপযুক্ত। Golden poison frog প্রজাতির এই ব্যাঙগুলো লম্বায় ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয় না। এরা নিজেদের শরীরের চেয়ে অনেকগুণ বেশি খাবার খেতে পারে! এজন্যই বোধহয় এদের আরেক নাম হলো খাদক ব্যাঙ। শরীরের সোনালী চামড়াই কিন্তু এদের বিষের ভান্ডার। এদের বিষ এতটাই শক্তিশালী যে এর এক মিলিগ্রাম ১০ হাজারটি ইঁদুর কিংবা ১০ থেকে ২০ জন মানুষ মেরে ফেলতে পারে এক পলকেই।
🙂
Best selfie. 😁
Collected...
এটি হাতে আঁকা একটি চিত্র।
চিত্রকর: টেরেসা এলিয়ট।।
Lactarius Indigo mushroom
Glasswing Butterfly 🦋
------------------------------------
Credit:
সৌন্দর্যের ফেরিওয়ালা 🌹❤️
ছবি: সংগৃহীত।
Osmia avosetta 🐝🐝
বেঁচে থাকার জন্য হাসি টা খুব প্রয়োজন। 🙂
ছবি : - PARVEZ PHOTOGRAPHY
প্রকৃতি মাঝে মাঝেই আমাদের চমকে দেয় নিজের সৃষ্টি দিয়ে। এই ধরুন, সুড়ঙ্গ মানেই আমাদের মনে হয় মাটির নীচের গোপন কোনো রাস্তা। না, মাটির নিচ দিয়ে কিংবা পাহাড় এর মাঝ দিয়ে যাওয়া কোনো রাস্তা নয় বরংন সুড়ঙ্গ হতে পারে ভালোবাসারও। ভালোবাসার সুড়ঙ্গ নামের এই সুড়ঙ্গে প্রকৃতি ও ভালোবাসা মিশেছে এক অপুর্ব নান্দনিকতায়। তাই এই সুড়ঙ্গকে অভিহিত করা হয় “টানেল অব লাভ” হিসেবে।
৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গটি ইউরোপের ইউক্রেন এর ক্লেভান শহরে অবস্থিত। এই সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে ভারী শিল্প পরিবহনের জন্য বয়ে চলেছে এই ট্রেন লাইন। প্রকৃতির নিজের হাতেই তৈরি বলেই কিনা সহসা এটিকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এ মাঝ দিয়ে চলে গেছে ট্রেন লাইনটি।
বেশ কয়েকবছর আগেই এই যায়গায় ট্রেন চলাচলের জন্য একটি রাস্তা বানানো হয়। সে সময় অবশ্য এরকম সুড়ঙ্গ ছিলো না। জঙ্গল ঘেরা পরিবেশের মাঝে ট্রেন চলাচলের জন্য রাস্তাটি বানানো হয়। ট্রেন লাইনের দুইধারে বেশ কিছু ফ্লোরা ফুলের গাছ লাগানো হয়েছিলো তখন। সেই গাছগুলোই ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। একপাশের গাছগুলো আরেকপাশের গাছের সাথে অর্ধবৃত্তাকার ভাবে গিয়ে মিলিত হয়েছে। ঠিক যেনো ভালোবাসার আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরেছে একে অপরকে। মূলত এই কারণেই সুড়ঙ্গটিকে “টানেল অব লাভ” বলা হয়ে থাকে।
এই সুড়ঙ্গটি সুন্দরভাবে ছেঁটে রাখা হয়। কেননা ওডেক প্লাইউড কারখানা ইউক্রেন থেকে বার্চ গাছ এর পাতলা পাতলা প্যনেল তৈরি করে ক্লেভান রেলওয়ে জংশন থেকে এই ট্রেন লাইন বরাবর তা নিয়ে যায় পশ্চিম ইউরোপের বাজারে তা সরবরাহের জন্য। তাই এই টানেলটি কখনো ঘন জংলায় পরিণত হয় না।
ঋতুভেদে রুপ পরিবর্তন করে এই প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গটি। শীতকালে টানেলটি ঢেকে যায় বরফে। আবার বসন্ত কালে দেখা যায় ঘন সবুজের সমারোহ। এসময়ে টানেলটিকে দেখে মনে হয় ঠিক যেনো একটি সবুজ দূর্গ। আবার গ্রীষ্মকালে আরেক রূপে আবির্ভূত হয় সুড়ঙ্গটি। চারপাশের পরিবেশ থাকে শুষ্ক, পাতাহীন। ঋতুভেদে নতুন নতুন রুপে আবির্ভুত হওয়ার কারণে পর্যটকদের বেশ কাছে টানে এই “টানেল অব লাভ”
“ভালোবাসার সুড়ঙ্গ” তথা “টানেল অব লাভ” নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত আছে ইউক্রেনবাসীর মধ্যে। কথিত আছে যে ভবিষ্যতের কোনো ইচ্ছায় সৎ মানসিকতা নিয়ে এই সুড়ঙ্গ পারি দিলে সেই মনোবাসনা পুর্ন হয়। তাই নিজেদের মনোবাসনা পুর্ন করার উদ্দেশ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে যুগলেরা এখানে আসেন। অনেকেই একে অপরের হাত ধরে মনের মাঝে গভীর ভালোবাসা নিয়ে হেটে হেটে পারি দেন এই সুড়ঙ্গটি।
ইউক্রেন এর ব্যাপক জনপ্রিয় এই সুড়ঙ্গটিতে প্রায়ই বিভিন্ন দম্পতিরা আসেন। তবে এখানকার পর্যটক এবং ট্রেন অপারেটর দের সতর্ক থাকতে হয় এখান দিয়ে চলাচলের সময়। ট্রেন চলাচলের রাস্তা হওয়ার কারণে যেকোনো সময় চলে আসতে পারে ট্রেন। কিছু বছর আগে ৩৮ বছর বয়ষ্ক এক জাপানী নারী সুড়ঙ্গে ট্রেন দ্বারা তাড়িত হয়েছিলেন। অল্প আঘাতও পেয়েছিলেন।
তবে এটি ছিলো নিছকই একটি দুর্ঘটনা। এখানে ট্রেন দেখা যায় কদাচিৎ। ট্রেনের দেখা না মিললেও এখানে নানান মনোবাসনা নিয়ে ঘুরতে আসা যুগলদের দেখা ঠিকই মিলবে।
তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীতে অবস্থিত ১৮০০ বছরের পুরানো জম্বুকেশ্বর থিরুভানাইকাভাল মন্দির। এটা থিরুভানাইকাল জম্বুকেশ্বরম নামেও পরিচিত। এই মন্দিরটি একটি শিবের মন্দির ও এটা সম্ভবত খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে প্রথম দিকের চোল রাজা কোসেনগানান (কোচেনগা চোল) নির্মাণ করেছিলেন। এটি কারুশিল্পের এক অনন্য প্রতিপাদ্য।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল চীনের উহান প্রদেশে। তারপর একে একে ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। বড় বড় মেট্রোশহর থেকে শুরু করে একদম গ্রামাঞ্চল- কোনো কিছুই বাদ পড়েনি। এমনকি আমাজন রেইন ফরেস্ট বসবাসকারী আদিবাসী জনোষ্ঠীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এই মহামারী।
আমাজন এর আদিবাসীরা পৃথিবীর সবথেকে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীদের মধ্যে পরে।তাহলে তাদের মধ্যে কিভাবে ছড়িয়ে পড়লো কোভিড-১৯?
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত ১ এপ্রিল ব্রাজিলিয়ান আমাজনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ২০ বছর বয়সী কোকামা গোত্রের এক নারীকে আমাজনের আদিবাসীদের মধ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত হিসেবে ঘোষণা দেয় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদিবাসী বিষয়ক সেবা সেসাই।
করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকেই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর সম্ভাব্য ভয়ংকর বিপর্যয়ের আশংকা করতে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। আধুনিক বিভিন্ন রোগের ন্যাচারাল ইমিউনিটি না থাকায় আদিবাসীরা সাধারণত অধিবাসীরা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
‘সাদা মানুষদের নিয়ে আসা মৃত্যু’ বিভিন্ন সময়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ধ্বংসের কারণ হয়েছে সেই ১৫ শতক থেকে। ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকায় পৌঁছার পর থেকে ইউরোপিয়ানদের নিয়ে আসা বিভিন্ন রোগে আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯০ শতাংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
আমাজনের আদিবাসীরাও এরকম বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। মূলত '৫০ এর দশক থেকে আমাজনের গহীনে প্রবেশ করতে থাকে বাইরের পৃথিবীর মানুষরা। সরকার হাতে নেয় অনেক উন্নয়ন প্রকল্প।
প্রথমে মারা যান এক বৃদ্ধা। তারপর একে একে সবার জ্বর, বুকে ব্যথা আর গলাব্যথা হতে শুরু করলো। শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হতে লাগল অনেকের।
আদিবাসী জনগোষ্ঠী কোভিড-১৯ এর আক্রমণে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে- এমনটাই দেখা যাচ্ছে পরিসংখ্যানে। Articulation of Indigenous Peoples of Brazil (APIB) এর ডাটা অনুযায়ী আদিবাসীদের করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার সাধারণ ব্রাজিলিয়ানদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার সাধারণ ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে যেখানে ৫.২%, সেখানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মাঝে সেই হার ৯.১% ।
আমাজনের আদিবাসীরা পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন মানুষদের মধ্যে পড়ে। তাদের মধ্যে কীভাবে ছড়িয়ে পড়লো কোভিড-১৯ মহামারি? আশ্চর্যজনক মনে হলেও এর উত্তর হতে পারে- সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে! নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবী করা হয়েছে।
মহামারী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছে নতুন কিছু নয়। কারো কারো আছে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা। কারো কাছে আছে বছরের পর বছর বহন করা পূর্বপূরুষদের জ্ঞান। 'মহামারী এসেছে?চলে যাও আমাজনের গহীনে'- এমন নীতিই অনুসরণ করছে অনেক আদিবাসী গোত্র।
প্রথাগত ঔষধে ফিরে যাচ্ছে অনেকে
বিচ্ছিন্নতা আর সরকারের অবহেলার কারণে আমাজনের অনেক গোত্রই ফিরে যাচ্ছে প্রথাগত ঔষধে। পূর্বপূরুষদের কাছ থেকে পাওয়া জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা থেকেই তারা চিকিৎসা করছে করোনার।
ভিডিও লিংক 👉 https://youtu.be/uzuI6eTYcAU
চকলেটের স্বাদ নেয়নি এমন মানুষ খুব কম আছে। গবেষণায় দেখা গেছে চকলেটের মধ্যে রয়েছে বিশেষ পুষ্টিগুণ। কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে, হার্ট সবল রাখতে এবং ব্রেইনের জন্য ডার্ক চকলেট খুবই উপকারী।
কিন্তু এই ডার্ক চকলেট তৈরির পিছনে রয়েছে এক নিষ্ঠুর কালো জগত যেটা জানার পরে এক মুহূর্তের জন্য হলেও উধাও হয়ে যাবে আপনার চকলেটের প্রতি ভালোবাসা। চকলেটের স্বাদে মিশে যাবে দুঃখ রাগ ঘৃণা ও তিক্ততা। কারণ এই চকলেট তৈরির সাথে জড়িয়ে আছে নির্মম শিশুশ্রম এর কাহিনী।
পৃথিবীর প্রায় 70 শতাংশই কোকো উৎপাদন হয় পশ্চিম আফ্রিকার আইভরিকোস্ট ও ঘানা থেকে। আর এর অধিকাংশই আসছে শিশু শ্রম দিয়ে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় শতকরা 10 ভাগ ঘানা ও 40 ভাগ আইভরিকোস্টের শিশুরা কখনোই স্কুলের চৌকাঠ পার হতে পারেনি।
পেটের খিদে মেটাতে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে গরিব পরিবারের লোকেরা তাদের শিশুদেরকে তুলে দেয় কোকো ফার্মের মালিক এর হাতে।
9 থেকে 16 বছর বয়সী শিশু এখানে কঠোর পরিশ্রম করে এবং তাদের অনেকেরই আর বাবা-মায়ের সাথে দেখা হয়না।
সকাল থেকে তারা বিরামহীন কঠোর পরিশ্রম করা যায়। এইসবের বিনিময়ে তারা খেতে পায় শুধুমাত্র ভুট্টার দানা আর কলা।
আশ্চর্যের বিষয় হলো যেসব বাচ্চারা এত কঠোর পরিশ্রম করে চকলেটের উপাদান তৈরি করে তারা অধিকাংশই আসলে জানে না এই চকলেটের স্বাদ কেমন।😔😔
ভিডিও লিঙ্ক 👉 https://youtu.be/q9ObWucia4Y
মহেন্দ্র পর্বত। মহেন্দ্র অর্থাৎ দেবরাজ ইন্দ্রের পর্বত। নগরের নামকরণ করা হয়েছিল তাঁর নামেই।
কম্বোডিয়ার জঙ্গলে মহেন্দ্র পর্বতের অস্তিত্ব নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতবিরোধও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কারণ ইতিহাসে মহেন্দ্র পর্বতের কথা লেখা থাকলেও নগরের খোঁজ পাওয়া যায়নি তখনও।
২০১৩ সালে প্রথম এর অস্তিত্বের প্রমাণ পান ইতিহাসবিদেরা। জঙ্গলের মধ্যে খোদাই করা কিছু পাথর দেখতে পেয়েছিলেন তাঁরা।
ইতিহাসবিদদের দাবি, এই নগর খমের সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিস্তৃর্ণ এলাকা ছিল এই সাম্রাজ্যের অধীন। বিশাল সম্পত্তি এবং ক্ষমতার অধিকারী ছিল এই সাম্রাজ্য।
খমের সাম্রাজ্যের ধ্বংসের পর ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চল খমের রুজ নেতাদের দখলে ছিল।
কমিউনিস্ট খমের রুজ নেতারা সে সময় জঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে ল্যান্ডমাইন বিছিয়ে রেখেছিলেন।
সে কারণে ২০১৩ সালে তার খোঁজ পেলেও বা নগরের অবস্থান সম্বন্ধে অনুমান করলেও হেঁটে জঙ্গলের ভিতর নগরের খোঁজ চালাতে পারেননি ইতিহাসবিদেরা। তার উপর জঙ্গল খুব ঘনও ছিল।
পরে হেলিকপ্টারে করে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে জঙ্গলের লেজার স্ক্যান করেন ইতিহাসবিদেরা। তাতেই নগরের খোঁজ মেলে।
জানা গিয়েছে, সিয়েম রিপের ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে ফেনম কুলেন পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এই নগর।
প্রাথমিক গবেষণা করে ইতিহাসবিদেরা জেনেছেন, এই নগর খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। অন্যান্য প্রাচীন সভ্যতার তুলনায় এর স্থায়ীত্ব অনেকটাই কম ছিল।
নগরের চারিদিক পাহাড়ে ঘেরা। শত্রু আক্রমণ থেকে রেহাই মিললেও এমন পরিবেশে বসবাস করাটা ছিল অত্যন্ত কষ্টকর। সে কারণেই খুব বেশি দিন এই নগর স্থায়ী হয়নি বলেই অনুমান করে ইতিহাসবিদরা।
এমন দূরুহ জায়গায়, পাহাড়ের মাঝে খমের সাম্রাজ্য কেন নগর গড়ে তুলেছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি খোঁজ শুরু হয়েছে খমের সাম্রাজ্যের সেই বিশাল সম্পদের ।
"কালচার এন্ড সোসাইটিস অফ আফ্রিকা" নামের একটি বই ৬০ বছর পর ফেরত পেল ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি।
গত বুধবার গনভিল অ্যান্ড কেইউস কলেজের একজন সাবেক ছাত্র বইটি ফেরত দিয়েছেন। পরে সেটি নিয়ে যাওয়া হয় মূল বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাত্ ক্যামব্রিজের লাইব্রেরিতে।
এখন লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জরিমানা মওকুফের অঙ্গীকার করেছে। বর্তমান সময়ের হিসেবে সপ্তাহে দেড় পাউন্ড হিসেবে জরিমানার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ পাউন্ড।
এক টুইট বার্তায় লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, 'বেটার লেট দ্যান নেভার'। একই সঙ্গে জরিমানা মওকুফের কথাও উল্লেখ করেছে তারা।
তারা বলেছেন, 'হয় এটা একটি অসাধারণ বই অথবা তিনি খুবই ধীরগতির একজন পাঠক'।
তবে একজন মুখপাত্র বলছেন, এটি ঠিক পরিষ্কার নয় যে ওই শিক্ষার্থী এই দীর্ঘ সময় ধরে বইটি ভুলবশত নাকি ইচ্ছাকৃত নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন।
তবে লাইব্রেরি সিস্টেমে এখনও বইটিকে নিখোঁজ দেখাচ্ছে। বইটি ক্যাটালগ শাখায় দেওয়া হয়েছে এবং তারা দ্রুত বইটিকে তালিকাভুক্ত করে নির্ধারিত জায়গায় রাখবেন।
😲😲😲
💐💐
Did you know?? 😲