Alya Fardous Azad
Alya Fardous Azad, a psychologist. Senior Hospital Counsellor in EVERCARE Hospital in Dhaka. She is a known face in the electronic and paper media.
Alya Fardous Azad was live in talk show “Ami Ekhon Ki Korbo”, with Dr Mehtab Khanam.
BanglaVision TV, 09 March 2024
Topic: কাউকে সম্বোধনের মাধ্যমেই শুধু সম্মান দেখানো হয়, নাকি সার্বিক আচরণ গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
Ami Ekhon Ki Korbo? | Epi 633 | Dr. Mehtab Khanam | Kownine Shourov | Banglavision Program বিষয়: পারস্পরিক সম্পর্কে ভালোবাসা এবং আকাঙ্খার মধ্যে পার্থক্য কি ?ব্যক্তিগত সমস্যার সরাসরি পরামর্শের অনুষ্ঠান .....
Watch Alya Fardous Azad live in talk show “Ami Ekhon Ki Korbo”, with Dr Mehtab Khanam, tonight at 11:30 pm, on BanglaVision TV.
Topic: কাউকে সম্বোধনের মাধ্যমেই শুধু সম্মান দেখানো হয়, নাকি সার্বিক আচরণ গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
Alya Fardous Azad was live in talk show “Ami Ekhon Ki Korbo”, with Dr Mehtab Khanam, aired on 08 December 2023 @ BanglaVision TV.
Topic: নিজেকে আপনার কেমন লাগে? ভেবে দেখেছেন কি কখনো?
Ami Ekhon Ki Korbo? | Epi 620 | Dr. Mehtab Khanam | Kownine Shourov | Banglavision Program ব্যক্তিগত সমস্যার সরাসরি পরামর্শের অনুষ্ঠান ‘আমি এখন কী করব?’; সঞ্চালনা ও বিশ্লেষণ: মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেহতাব খান....
Watch Alya Fardous Azad live in talk show “Ami Ekhon Ki Korbo”, with Dr Mehtab Khanam, tonight at 11:30 pm, on BanglaVision TV.
Topic: নিজেকে আপনার কেমন লাগে? ভেবে দেখেছেন কি কখনো?
Alya Azad with Ekattar tv youtube channel
মনভাঙ্গা রোগের ঔষধ ! Overcoming Loneliness । Ekattor TV মনভাঙ্গা রোগের ঔষধ ! **একাকীত্ব একটি বিষয়গত মানসিক অভিজ্ঞতা, যা প্রায়ই সামাজিক সম্পর্ক পূরণ না করার উপলব্ধি থেক...
সন্তানের সমস্যা আসলে কোথায় ? Social Isolation and Loneliness | Health Show | Ekattor TV সন্তানের সমস্যা আসলে কোথায় ? Social Isolation and Lonelinessসামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব: দ্রুত নগরায়ন এবং জীবনযাত্রার পরিবর.....
Guest Speaker: Alya Azad. Episode aired on 04 August 2023
Ami Ekhon Ki Korbo? | Epi 602 | Dr. Mehtab Khanam | Kownine Shourov | Banglavision Program ব্যক্তিগত সমস্যার সরাসরি পরামর্শের অনুষ্ঠান ‘আমি এখন কী করব?’; সঞ্চালনা ও বিশ্লেষণ: মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেহতাব খান....
Watch Alya Fardous Azad live in talk show “Ami Ekhon Ki Korbo”, with Dr Mehtab Khanam, tonight at 11:30 pm, on BanglaVision TV.
Topic: সাইকো থেরাপি কিভাবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককে ভাঙ্গনের পর্যায় থেকে বিরত রাখতে পারে?
Article written by Alya Fardous Azad
ইমোজি এখন আমাদের জীবনের অংশ যেকোন টেক্সট মেসেজ আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করা হাসি-কান্না-রাগ-ভালোবাসাসহ সব প্রকার মনের ভাব প্রকাশ ক....
Guest Speaker_Alya Azad. Ami Ekhon Ki Korbo- aired on 31 March 2023
Ami Ekhon Ki Korbo? | Epi 587 | Dr. Mehtab Khanam | Kownine Shourov | Banglavision Program ব্যক্তিগত সমস্যার সরাসরি পরামর্শের অনুষ্ঠান ‘আমি এখন কী করব?’; সঞ্চালনা ও বিশ্লেষণ: মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেহতাব খান....
নার্ভাসনেস কাটানোর সহজ টিপস | Nagorik Wellbeing | Alya Azad | Nervousness & Anxiety | Nagorik TV টেনশন ও নার্ভাসনেসের মধ্যে আসলে কোন পার্থক্য আছে কি? আমরা অনেক সময় বিভিন্ন সিচুয়েশনে গিয়ে নার্ভাস হয়ে পড়ি। নার্ভ.....
Watch Alya Fardous Azad live in talk show “Ami Ekhon Ki Korbo”, with Dr Mehtab Khanam, tonight at 11:30 pm, on BanglaVision TV.
https://www.youtube.com/live/bbzevi9UH5I?feature=share
বই পোকা পর্ব ২৪ । ক্রীড়া সাংবাদিক নাইর ইকবাল এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আলিয়া আজাদ বই নিয়ে এফএম রেডিওতে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রচারিত বই মেলা কেন্দ্রীক শো 'বই পোকা' ফিরে এলো অষ্টম বছরে ,চলবে পুরো ফেব...
Alya Azad’s new book “অন্তরমহল” is available now.
অন্তরমহল - আলিয়া আজাদ লেখকঃ আলিয়া আজাদ, ক্যাটাগরিঃ আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন, মূল্যঃ 150.0, লিংকঃ www.rokomari.com/book/288177 , সার সংক্ষেপঃ মানসিক এবং মানবিক– .....
06 January 2023
Ami Ekhon Ki Korbo? | Dr. Mehtab Khanam | Kownine Shourov | Epi 575 | Banglavision Program ব্যক্তিগত সমস্যার সরাসরি পরামর্শের অনুষ্ঠান ‘আমি এখন কী করব?’; সঞ্চালনা ও বিশ্লেষণ: মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেহতাব খান....
এডুকেশন এন্ড ক্যারিয়ার | Education And Career | Job Vacancy | Psychology | DU | News24 Come Join Us for More News & Information Visit our Official site: http://www.news24bd.tv/=======================================================Our other You...
শান্তি
শান্তি , অশান্তি এই শব্দ গুলোর সাথে আমাদের পরিচয় বহুদিনের । শান্তি কি ? বাজারে কিনতে পাওয়া যায় ? হ্যা বিভিন্ন জিনিষ কিনলে মন ভালো লাগে । কাউকে কিছু দিতে পারলেও মন ভালো লাগে , শান্তি লাগে । সে অর্থে শান্তি বাজারে কিনতে পাওয়া যায় । কিন্তু এই শান্তিতো সাময়িক এবং তা সামর্থের সাথে জরিয়ে আছে । তার মানেকি সব উচ্চবিত্তরা শান্তিতে আছে ? নিশ্চই না । সামর্থ কম থাকা মানেই অশান্তি , তা নিশ্চই নয় ।
শান্তি হচ্ছে তৃপ্তি । মানুষ অনেক সফল হলেও তৃপ্ত হয়না । আবার অনেক টাকা থাকলেও তৃপ্ত হয়না । জীবনে উন্নতির কোন শেষ নেই । শেষ আছে চাহিদার , আকাংখার । এটা ঠিক , মানুষ কোন একটা লক্ষের পিছনে ছোটে , পরবর্তি কোন আশা তাকে বাচিয়ে রাখে । এভাবেই চক্রাকারে আমারদের জীবন আবর্তিত হয় । কিন্তু এই আবর্তনের মাঝে তৃপ্ত শব্দের উপস্থিতি দরকার । আমাদের জীবনের অন্তিম কালে একটা অনুভূতি কাজ করবে , সারাজীবন তৃপ্ত না অতৃপ্ত ছিলাম ।জীবনের প্রতিটা পর্যায়ে অনেক কিছু অর্জন হয় যা আমাদের কাছে একটা সময় গতানুগতিক হয়ে যায় । কারন এই অর্জন প্রাই আসছে যা নতুন আনন্দ দেয় না । আমরা পরের অর্জনের জন্য ব্যস্ত হয়ে যাই । কিন্তু প্রতিটা অর্জন অনেক কস্টের পর আসে । তাই প্রতিটা অর্জনই মূল্যবান এবং তৃপ্ত হবার যোগ্যতা রাখে ।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক কিছু থাকা সত্বেও তারা শান্তিতে নাই কারন তারা তৃপ্ত নয় । আবার এর উল্টোটাউ আমরা দেখি ।কতো আছে সেটা বড় নয় । বরং যা আছে তাতে কেউ পূর্ন কিনা এটাই জরূরী। এই পরিপূর্ণতার ব্যাখ্যা একেক জনের কাছে একেক রকম । জীবনে প্রতিটা ক্ষেত্রেই উন্নতি জরূরী কিন্তু সেটা জীবনকে আরেকটু সহজ ও আনন্দময় করার উদ্দেশ্যে , অন্যকে পিছে ফেলার উদ্দেশ্যে নয় ।
আমাদের এখন ঘুম কিনতে হয় , স্হিরতা কিনতে হয় , সুখ কিনতে হয় , আরো কতকি । কারন আমাদের যা আছে তাতে আমরা পূর্নতা অনুভব করিনা এবং সর্বক্ষন অন্যের সাথে নিজের অবস্থান তুলনায় ব্যাস্ত থাকি যা মানসিক সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে । একটু ভেবে দেখা দরকার আমাদের কি নাই ? খেতে পাইনা ? পরতে পাইনা ? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরন হয় । এরপর মূল্য পায় শখ । কিন্তু সত্যি বিষয় হলো আমরা সবসময় শখ পূরনে ব্যস্ত থাকিনা । ব্যস্ত থাকি অন্যের সাথে তাল মেলাতে । যে এই বিষয়ে যত ব্যস্ত , সে তত অশান্ত । এই তাল মেলানো যদি প্রয়োজনীয় হয় তবে অবশ্যই জরূরী যেমনঃ সুশিক্ষা , সুচিন্তা , সদাচরন , সুন্দর পরিবর্তন , মানবিকতার উন্মেষ ইত্যাদি । কারন এগুলো সুন্দর সমাজ ও জীবন পরিবর্তনের হাতিয়ার , শান্তি প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার।
আমরা বেশিরভাগ সময়ে লোক দেখানোতে ব্যাস্ত থাকি। এই “লোক দেখানো “ বিষয়টার কোন পাঠ্যতালিকা নেই , শেষ নেই । এটা আমাদের জীবনে চক্রাকারে চলতে থাকে ।এটা আত্ববিশ্বাস অভাবের একটা উদাহারন। আত্ববিশ্বাসি মানুষ নিজের এবং সমাজের সুপরিবর্তনের নিমিত্তে কাজ করে যায় কোন ফলাফল আশা না করেই । কারন সে জানে সে সঠিক দিশাতেই আছে ।
আত্ববিশ্বাসী হয়ে জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারা একটা বড় দক্ষতা । এটা আমাদের নিজস্ব লক্ষ্যে স্থীর থাকতে যেমন সাহায্য করবে তেমনি জীবনকে অশান্তির করাল গ্রাস থেকে উঠিয়ে আনবে যা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক ।
জীবনে পূর্ন হওয়া জরূরী , তৃপ্ত হওয়া জরূরী । এর মাপকাঠি , পরিসর আমাদের ইচ্ছার নিমিত্তেই বিস্তৃত হয় ।
আলিয়া আজাদ
সিনিয়র কাউন্সিলর
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা
©️ Alya Fardous Azad
Ami Ekhon Ki Korbo? | Dr. Mehtab Khanam | Kownine Shourov | Epi 559 | Banglavision Program ব্যক্তিগত সমস্যার সরাসরি পরামর্শের অনুষ্ঠান ‘আমি এখন কী করব?’; সঞ্চালনা ও বিশ্লেষণ: মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেহতাব খান....
Watch Alya Fardous Azad live in talk show “Ami Ekhon Ki Korbo”, with Dr Mehtab Khanam, tonight at 11:25 pm, on BanglaVision TV.
পার্টনারকে অপ্রিয় কিছু কীভাবে বলবেন? - Haalcharcha দু'জন মানুষ দু'টি ভিন্ন অবস্থান থেকে আসে। তাদের বড় হয়ে ওঠা, বিশ্বাস, আদর্শ আলাদা হবে এটাইতো স্বাভাবিক। দুজনের চিন.....
অনুভূতি
মানুষের যে কোন বিষয় অনুভব করার ক্ষমতা অসাধারন । সুখ , দুঃখ, রাগ, অভিমান , লজ্জা, দয়া , মায়া ,অপমান , বিস্ময় , ভালো লাগা , খারাপ লাগা , সৌন্দর্য আমরা সবই অনুভব করতে পারি । সুখের অনুভূতিতে খুশি হই , দুঃখ অনুভবে কাঁদি , রাগে গর্জে উঠি , লজ্জায় কুকরে যাই ইত্যাদি । প্রত্যেক টা অনুভূতির আলাদা রূপ আছে । প্রকৃতি যেমন একেক ঋতুতে একেক রূপ ধারন করে , মানুষ তেমনি অনুভূতির বিচারে নিজেকে ভাবায় । মানুষ একঘেয়ে জীবন পছন্দ করে না । তারা চায় জীবন বৈচিত্রময় হোক । বেশি সুখ ও একটা সময় একঘেয়ে মনে হতে পারে । কিন্তু তার মানে এই নয়যে দুঃখ চর্চা করতে হবে । তবে মানুষের প্রতি মায়ার অনুভূতি অবশ্যই ধরে রাখতে হবে । মানুষের এই সুক্ষ সুক্ষ অনুভূতি গুলোকে জাগ্রত রাখা জরূরী, সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনা করার তাগিদে ।
আজকাল বেশিরভাগ পরিবারে মানুষের সংখ্যা কম । সুখ দুঃখ ভাগ করে নেবার মতো বিশ্বস্ত ভালোবাসার মানুষ পাই না । আমরা সফল হতে এতোটা ব্যস্ত যে এর প্রয়োজন ও অনুভব করি না । পিছে পরে যাচ্ছে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য । কারন ছাড়া মন খারাপ , খিটখিটে মেজাজ , অস্থিরতা , সব আছে কিন্তু শান্তি নাই । অযথা বাজার করা , ইউটিউব- ফেইসবুকে বুঁদ হয়ে থাকা এগুলোতো আছেই । তার সাথে যোগ হয়েছে নতুন এক অধ্যায় - শুন্য অনুভূতি বা অসার অনুভূতি । মানে আমাদের অনুভব করার ক্ষমতা লোপ পাচ্ছে ।
আজকাল অনেকেই এই অবস্থার কথা বলে যে সুখ , দুঃখ কোন কিছুতেই আগের মতো উদ্বেলিত , আবেগ তারিতো হই না । আমাদের অনুভূতি ভোতা হয়ে গেছে । আমরা কেমন যেনো যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি । আমাদের ভাবনার গভিরে অনুভব করার অভ্যাস কমে যাচ্ছে । এই অবস্থা থেকে উঠে আসতে হবে ।
আমাদের অনুভূতি গুলোকে জীবিত রাখা জরূরী । এটা নিজেদের প্রয়োজনেই চর্চা করতে হবে। আমাদের জীবনে প্রতিদিন আনন্দিত হবার মতো বড় ঘটনা ঘটবে না এবং এটাই স্বাভাবিক । জীবনের প্রতিটা অধ্যায় থেকে আনন্দ কুড়িয়ে নিতে হবে ।সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি অনেক পরিবর্তন এই প্রকৃতিতে হচ্ছে। যা থেকে ভালো লাগা অনুভব হতে পারে । পাখির শব্দ , গাছের রং , পানির খেলা , বাতাসের ছোয়া , মাটির গন্ধ যেমন আমাদের বিস্মিত করতে পারে তেমনি মানুষের কোলাহল , নিয়ন বাতির আলো , যানবাহন এর গতি এগুলোও আমাদের উদ্বেলিত করতে পারে । সফলতার উত্তেজনা, কিছু না পাওয়া মেনে নেয়ার আনন্দ, অপারগতা মানার সাহস, ছেরে দেয়ার উদারতা , হার মেনে আবারো চেস্টা করার শক্তি এ সব কিছুই জীবনে বৈচিত্র আনতে পারে, যদি আমরা আমাদের প্রত্যাশা ও প্রচলিত নিয়মের গঠন একটু পরিবর্তন করতে পারি । রিকশার রঙের খেলা , গাড়ীর হেড লাইটের আকার এ সবই আমাদের বিচিত্র ভাবনার অংশ হতে পারে । আমাদের ভাবনার গভীরতা কে বারাতে হবে ।
এই পৃথিবীর সব কিছুর অনেক প্রকার আছে । যেমনঃ ফুল অনেক রকম হয় । তেমনি রং , ফল , দিক , কাজের ধরন , স্বভাব , নিয়ম , অনিয়ম , আচরন ইত্যাদি । প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের অনুভব করার ক্ষমতার চর্চা করা যেতে পারে ।
আমরা সবাই জীবিত । কিন্তু জীবন্ত আছি কয়জন ?অনুভূতি গুলোকে বাচিয়ে রাখতে হবে , চর্চা করতে হবে জীবন্ত থাকার তাগিদে ।
আলিয়া আজাদ
সিনিয়র কাউন্সিলর
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা
সঙগীকে অপ্রিয় কথা বলার উপায়
প্রেমিক প্রেমিকা অথবা স্বামী স্ত্রী খুব মধুর সম্পর্ক । এই পৃথিবীর বেশিরভাগ সম্পর্ক পূর্ব থেকে নির্ধারিত যেমনঃ বাবা মা-সন্তান , ভাই-বোন ইত্যাদি । কারন এগুলো রক্তের সম্পর্ক। কিন্তু ভালোবাসার সম্পর্ক মনের অনুভূতি থেকে তৈরি । এই সম্পর্ক এক দেখাতেও হতে পারে আবার বহু দিন একে অপরের ব্যক্তিত্তের প্রতি ভালো লাগা থেকেও হতে পারে। প্রতিটা সুন্দর সম্পর্কের মতো এই সম্পর্ক গুলোও খুব যত্ন করে লালন করতে হয় । সম্পর্কের লালন বা যত্ন বলতে কিন্তু শুধু প্রিয় বা মধুর বা সুন্দর বিষয় চর্চা করাই নয় । কখনো সঙ্গির ভুল সুধরে দেয়াও সম্পর্কের সুখ ধরে রাখার হাতিয়ার হতে পারে। কিন্তু অপ্রিয় কথা সবসময় তেঁতো হয়। আমরা সবাই শুধু প্রিয় কথা শুনতে চাই, প্রশংসা পেতে চাই। কিন্তু এতে সম্পর্কের ভারসাম্য নস্ট হয়। কখনো কিছুটা অসুন্দর, অপ্রিয়র উপস্থিতি দরকার তবে সুন্দর উপায়ে।
একটা মানুষের সব বিষয়ে পারদর্শিতা থাকে না। সব গুন নিয়ে এই পৃথিবীতে আমরা আসিনি। এবং পরিবেশ পরিস্থিতি আমাদের ব্যক্তিত্ব গঠনে ভূমিকা রাখে। আমাদের স্বভাব, অভ্যাস ধীরে ধীরে শৈশব থেকে গড়ে উঠে। সঙ্গী নির্বাচনের সময় আমাদের বয়স যৌবনে পদার্পন করে। আমাদের পছন্দ- অপছন্দ , ভালো-মন্দ অভ্যাস ততোদিনে পরিপক্ক অবস্থানে পৌছে যায়। একেক পরিবারের নিয়ম, বিশ্বাস একেক রকম । সবাই একই বিষয় কে সমান প্রাধান্য দেয়না। যা দেখে বড় হই তাই আমরা জীবনে চর্চা করি। তাই আমাদের কাছে স্বাভাবিক অভ্যাস যদি সেটা অন্যের নজরে ভালো নাও হয়। মানুষের আদর্শ , ভালো-মন্দের বিচার , আবেগের বহিপ্রকাশ নির্ভর করে তার জীবন চর্চা, শিক্ষা , বিশ্বাসের উপর।
দুজন সঙ্গী দুটি ভিন্ন অবস্থান থেকে আসে। তাদের বড় হয়ে উঠা, বিশ্বাস , আদর্শ আলাদা হবে এটাইতো স্বাভাবিক । দুজনের চিন্তা, ধারনায় তফাত হতেই পারে। কিন্তু সম্পর্ক কিছুটা রেল লাইনের মতো । তাল মেলানো জরূরী আবার কিছুটা দূরত্বও জরূরী।নইলে দুজনের পথ এক দিকে এগিয়ে যাবে না ।
ভালো-মন্দের একটা মাপকাঠি আছে যা মোটামুটি আমরা সবাই জানি কিন্তু মানতে চাই না। অথবা কারো কারো ক্ষেত্রে নিজের অপ্রিয় স্বভাব গুলো অনুভব করার ক্ষমতার উন্নতি হয়না। এতে সম্পর্কের ছন্দপতন ঘটে। এতে অন্যদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পরে।
অতিরিক্ত রাগ, সমালোচনা , শারিরীক-মানসিক আঘাত, অসম্মান, অপমান, অযথা সন্দেহ , চাপিয়ে দেয়া , দাবিয়ে রাখা এরকম অনেক অপ্রিয় স্বভাব আমাদের মাঝে আছে যা আমরা এরিয়ে যেতে চাই । কারন এই স্বভাব আমাদের সাময়িক প্রশান্তি দেয় ।এবং কেউ কেউ একে পরিস্থিতি মোকাবিলা বা আধিপত্য ধরে রাখার উপায় মনে করে । তারা এই ধারনা লালন করেই এতোদিন চলেছে । এই ব্যখ্যা , ধারনার বাইরে আর কোন ফলপ্রসূ উপায় থাকতে পারে তা তাদের কাছে অজানা।
অবশ্যই এই অপ্রিয় বিষয় তাদের সামনে তুলে ধরবার প্রয়োজন আছে । তবে ঘ্রিনার বিনিময় ঘ্রিনা অথবা মারের বিনিময় মার নয়। এটা সম্পর্কের ময়দান , যুদ্ধ ক্ষেত্র নয় । এই সম্পর্ক ভালোলাগা , ভালোবাসার অনুভূতি থেকে তৈরি।এখানে পরিবর্তন এর চেস্টার ক্ষেত্রে কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে । যেমনঃ
মেজাজ বুঝে উপস্থাপনঃ
অপর পক্ষের মেজাজ বুঝে সঠিক সময়ে তার ভুল গুলো উল্লেখ করা যেতে পারে । সাধারণত অপ্রিয় কথা কারো ভালো লাগে না । মেজাজ খারাপ অবস্থায় মানুষের গ্রহন ক্ষমতা কমে যায় । আর নিজের নেতিবাচক সমালোচনা মেজাজের মাত্রা বারিয়ে দিতে পারে । তাই সঙ্গীর মেজাজ ভালোর সময় বলা যেতে পারে।
যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়াঃ
কেন এই বিষয় টা সঙ্গির কাছে অপ্রিয় তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। তাহলে অপরপক্ষের কাছে এর গ্রহন যোগ্যতা বারবে । “ আমি পছন্দ করি না “ এই ধরনের অযৌক্তিক কথা এখানে দূর্বল ভূমিকা পালন করবে । এছাড়াও যুক্তি না থাকলে মানুষ পরিবর্তন এর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ।
লাভ ক্ষতির হিসাবঃ
অপ্রিয় বিষয় সাধারনত ক্ষতি ডেকে আনে । এটা সম্পর্ক যেমন নস্ট করে তেমনি পরিবেশের আবহ নস্ট করে। এতে সে সবার কাছে অপ্রিয় হচ্ছে এবং মন থেকে সবাই ধীরে ধীরে তার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে । হয়তো কিছু মানুষ ভয়ে তাকে উপরে উপরে সন্মান প্রদর্শণ করবে কিন্তু সত্যিকার অর্থে সে সম্মান হারাবে। সে প্রিয় জনদের ভালোবাসা হারাবে ।
সাধারনত প্রতিটা মানুষের জীবনেই খুব ভালোবাসার কিছু সম্পর্ক থাকে যাদের ভালোর জন্য সে সবই ত্যাগ করতে রাজী থাকে । সব পরিবর্তনেই আগ্রহী হয়। তার অপ্রিয় বিষয় পরিবর্তনে ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে কি কি উপকার হতে পারে বা কি কি ক্ষতি হচ্ছে তা তুলে ধরা জরূরী ।
এই বিষয় গুলো সঙ্গী কে অনুধাবন করাতে হবে।
সামাজিক পরিবেশঃ
যে সম্পর্কে অনেক অপ্রিয় বিষয় থাকে , তারা অপ্রিয় ঘটনা বার বার ঘটায় এবং অনেক সময় তা জনসম্মূখেও করে যা সামাজিক পরিবেশ নস্ট করে । অথবা চার দেয়ালের ভিতরেও যদি হিংস্রতা দেখা দেয়, তার প্রভাব বাইরেও পরে । সমাজের অন্যান্য মানুষেরা এর দ্বারা মানুসিক ভাবে ক্ষতির স্বিকার হয় । এই বিষয় গুলো উল্লেখ করা যেতে পারে ।
শারিরীক মানসিক অবস্থাঃ
অপ্রিয় আচরন যে করে সে নিজেও মানসিক ভাবে ভালো থাকে না । এই আচরন সে হয়তো পরিবার থেকে শিখেছে নাহয় কখনো আচরন দ্বারা লাভবান হয়েছে । তাই চর্চায় এই আচরন বর্তমানে অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। সাধারনত যাদের দুশ্চিন্তা প্রবন ব্যক্তিত্ব , তারা সহযেই অস্থির হয় এবং ব্যাবহার খারাপ করে । এবং পরবর্তিতে অপরাধবোধে ভোগে । এটাই যখন প্রতিনিয়ত চলতে থাকে তা মানসিক ও শারিরীক ক্ষতির কারন হয় । এই বিষয় গুলোও সঙ্গীকে তুলে ধরতে হবে ।
ভালোবাসা , ভালো ব্যাবহার , নমনিয়তা , অধীকার নিয়ে কারো ভালো চাওয়া অনেক অসুন্দরকেউ সুন্দরে পরিবর্তন করতে পারে । প্রথমেই ঢাল তলোয়ার নিয়ে নয় , ভালোবাসার তীর দিয়ে চেস্টা করাটাই বুদ্ধিমানের ।এটাই ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাব্য সমাধান।
আলিয়া আজাদ
সিনিয়র কাউন্সিলর
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা
১২ মে, ২০২২
"‘মানসিক সমস্যা’ কথাটা শুনলেই আমাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে। তাই মনের সমস্যা হলে চিকিৎসা নেওয়ার বদলে আমাদের মনের ভিতরের ভয়ের সাথে প্রথমে লড়াই করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সত্যটা হলো, মন যেহেতু আছে, জীবনে কখনো না কখনো মনের রোগে আমরা সবাই ভুগব এবং এটাই স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক বিষয়টাকে যেন স্বাভাবিকভাবেই আমরা গ্রহণ করতে পারি এবং মনের জোর ধরে রেখে নিজেকে সঠিকভাবে সাহায্য করতে পারি, সেই উদ্দেশ্যেই মানসিক স্বাস্থ্যের ফার্স্ট এইড বইটির সূচনা।
পারিপার্শ্বিক একটু অবহেলা আমাদের যেমন অনেক দূর পিছিয়ে দিতে পারে তেমনি অল্প উৎসাহও আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারে। মনের ভালো থাকা আমাদের চিন্তা-চেতনার উপর নির্ভর করে।
মানুষ পরিবর্তনশীল। তার মধ্যে পরিবর্তনের ক্ষমতা আছে। পূর্বে উপযুক্ত পরিবেশ, উপযুক্ত শিক্ষার অভাব থাকলেও সে নিজেকে তার নিজস্ব চেষ্টায় অনেকাংশেই উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে সক্ষম। এর জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য এবং অবাস্তব চাহিদার লাগাম টানা।
আমাদের ক্ষমতার সঠিক পরিচয় জানতে এবং ভারসাম্য বজায় রাখার দক্ষতা অর্জনের কৌশল রপ্ত করার প্রচেষ্টাই বিশ্লেষিত হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের ফার্স্ট এইড বইটিতে, যা আমাদের জীবনকে যেমন প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে তেমনি সাফল্যের শীর্ষে উঠতেও আমাদের সাহায্য করতে পারে।"
বই: মানসিক স্বাস্থ্যের ফার্স্ট এইড
লেখক: আলিয়া আজাদ
আদর্শ’র ওয়েবসাইট থেকে কিনলে পাচ্ছেন ২৫% ছাড়, মাত্র টাকায়!
অর্ডার করতে ক্লিক করুন–
আদর্শ– https://adarsha.us/7n4L
রকমারি– https://www.rokomari.com/book/227682/manosik-sasther-first-aid
দারাজ– https://www.daraz.com.bd/products/manosik-sasther-i230355754-s1173769803.html?spm=a2a0e.searchlist.list.1.5c5277299CgfLq&search=1
অথবা ফোন করুন– 01793296202
Ami Ekhon Ki Korbo? | Dr. Mehtab Khanam | Kownine Shourov | Epi 535 | Banglavision Program ব্যক্তিগত সমস্যার সরাসরি পরামর্শের অনুষ্ঠান ‘আমি এখন কী করব?’; সঞ্চালনা ও বিশ্লেষণ: মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেহতাব খান....
Ami Ekhon Ki Korbo- live 18 March 2022
Alya Fardous Azad will be live in talkshow “Ami akhon ki korbo “ at Banglavision TV channel- on 18 March 2022 (Friday) at 11.20 pm.
Today’s topic: দাম্পত্য সম্পর্কে পরস্পরকে পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে জোর করার জন্য ব্যক্তিত্বের কাঠামো কী ভূমিকা রাখে?
Media Coverage clips: Alya Azad’s Book “মানসিক স্বাস্হ্যের ফার্স্ট এইড”
©️Desh Tv