Call of Islam
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Call of Islam, Religious organisation, .
ফি লি স্তি নের দুরাবস্থার অন্যতম মূল কারণ...
ওলামায়ে দেওবন্দের সতর্কতা উপেক্ষা।
চলমান ইস্যুতে শায়েখ আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী সাহেবের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
এ মাসে হয়ে যাওয়া পাকিস্তানের রায়বেন্ড ইজতেমায় আলমী শুরার শীর্ষ মুরুব্বী হাফেজ মাওলানা জুবায়ের সাহাব দামাত বারকাতুহুমের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান।
"এই সকল শায়েখ, এই সকল ইমাম এবং এই সকল সেলেব্রেটি এখন সমাজের জন্য ফেতনা। তাদের থেকে বেচে থাকা যুবসমাজের দায়িত্ব"।
এভাবেই লা-মাযহাবী ব্যাপারে উম্মতকে সতর্ক করলেন মাওলানা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ সাহেব।
এ হচ্ছে আমাদের হলুদ মিডিয়ার কাজ...!!
এখনও তাকে শিশুবক্তা! হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে...!!
আল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাঁকে বরকতময় দীর্ঘ হায়াত দান করলে, এই মানুষটি একদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে ইনশা আল্লাহ। লিখে রাখতে পারেন।
হযরত প্রফেসর মুহাম্মদ হামিদুর রহমান রহ. বলেন,
নামাযের প্রথম তাকবীর বলা ফরয। আর রুকুতে যাওয়ার সময় 'আল্লাহু আকবার' বলা সুন্নাত। অযুতে কুলি করা সুন্নাত । ফরয গোসলে কুলি করা ফরয। গোটা বুখারী শরীফ পড়ে এটা খুঁজে বের করা যাবে না। এটা আলেমরা বলেছেন। উলামায়ে কেরাম ছাড়া এ কথা উম্মাতকে কে বুঝিয়ে দিত? তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে দ্বীনের পথে এগোনো যাবে না। দান করা হাতের আমল। যিকির করা মুখের আমল। আলেমদের প্রতি সুধারণা রাখা অন্তরের আমল। তা যদি আপনি না রাখেন, আপনি অন্তরের আমল থেকে বঞ্চিত। এই ধর্মের অভিভাবক কারা? আলেমরা।
সংগৃহীত
এবার আসল ২ জন অর্থাৎ মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনভী এবং মাওলানা মামুনুল হক সাহেবের অপেক্ষায়.....
আল্লাহ্ তাআ'লা রহমের ফায়সালা করেন।
আলহামদুলিল্লাহ,,,
দীর্ঘ কারাভোগের পর, কুরআন বুকে নিয়ে মায়ের বুকে ফিরেছেন মাজলুম আলেমে দ্বীন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী..
আলহামদুলিল্লাহ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মজলিসে শুরার অধিবেশন সমাপ্ত হয়েছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ:
১/ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা স্বপদে বহাল।
২/ তথাকথিত গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদ অবৈধ ও বাতিল।
৩/ সংঘটিত ঘটনা তদন্তের জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত। উক্ত কমিটি আগামী ১০ নভেম্বর এর মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবেন।
৪/ আগামী কাল রাত ১২ টার মধ্যে জামেয়া ক্যাম্পাস খালি করতে হবে।পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে।
৫/ তদন্ত রিপোর্ট না আশা পর্যন্ত ব্যাংকিং লেনদেন, ক্যাশ খরচ সহ যাবতীয় লেন দেন বন্ধ থাকবে।
৬/ সংঘটিত ঘটনা সম্পূর্ণ বে আইনী ও অসাংবিধানিক। শুরা কমিটি এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার নিন্দা জানান।
সংগৃহীত
____মঞ্চে বসেই পন্য বয়কট করলেন মধুপুরের পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল হামিদ দামাত বারকাতুহুম।
____ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ব্যাপারে মুহতারাম হাবিবুল্লাহ মাহমুদ ক্বাসেমী সাহেবের আলোচনা।
ছেলেকে মাদ্রাসায় দিলাম কেন, জেনারেল লাইনে পড়েও তো মানুষ দ্বীনদার হয়, এমন অদ্ভুত কথার জবাবে এক আত্মীয়কে বললাম,
আপনি ইসলাম সম্পর্কে যতটুকু জানেন আর যতটুকু মানেন, সবটুকু কাগজে লিখতে শুরু করলে কত পৃষ্ঠা লিখতে পারবেন?
পাঁচ পৃষ্ঠা... দশ পৃষ্ঠা... হয়তো আরও কয়েকটা পৃষ্ঠা লেখার পর আপনার স্টক শেষ হয়ে যাবে। তাহলে কুরআন হাদিসের লক্ষ লক্ষ পৃষ্ঠায় কী লেখা আছে? বেহুদা কিছু আছে কি?
জানা এবং মানার নাম যদি দ্বীনদারিতা হয়, তাহলে টোটাল দ্বীনদারিতা বা টোটাল ইসলামের কতটুকু জানলেন আর কতটুকু মানলেন, এবার হিসেব করুন।
আচ্ছা, আপনাকে যদি একজন নওমুসলিমকে ইসলাম শেখানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে কতদিন লাগতে পারে? অর্থাৎ আপনি যা জানেন.. নামাজ রোজা হজ্জ জাকাত, সততা, সত্যবাদিতা এইসব শেখাতে সর্বোচ্চ কতদিন লাগতে পারে?
একমাস... দুইমাস... সর্বোচ্চ ছয়মাস! তাহলে ২৩ বছর ধরে আল্লাহর রাসূল ﷺ আমাদের কী শেখালেন? আমরা ইসলাম বলতে যা জানি বা বুঝি, সেটার পুরোটা শেখানোর জন্য তো ছয়মাসেই যথেষ্ট ছিল। বাকি সাড়ে বাইশ বছরে আল্লাহর রাসূল ﷺ কী করলেন? কী দিলেন?
নবুয়তের তেইশ বছরের প্রত্যেকটা মূহুর্ত থেকে আমাদের ব্যাপকভাবে শিক্ষা নেওয়ার কথা ছিল, তার কতটুকু আমরা নিতে পেরেছি? স্কুল কলেজে পড়ে সেটার কতটুকু সম্ভব?
✍️ - মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম
সম্ভবত ১৯৯১/৯২ বা ১৯৯৭/৯৮ এর দিকে মাদানি নগরে জোহর নামাজের পর হযরত সন্দীপী রাহিমাহুল্লাহ্ মসজিদে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আম বয়ান করছিলেন। এই সময়েই প্রফেসর সাহেব মসজিদে প্রবেশ করলেন। হযরত রহ. প্রফেসর সাহেবকে দেখেই ডাক দিয়ে মিম্বরের সামনে আসতে বললেন। হযরত তৎক্ষনাৎ বললেন, "উনাকে চেনো তোমরা? বহুত বড় মানুষ"
হযরতের জবানে এই কথা শোনার পরই কেন যেন উনি দিলে ঠাই করে নিলেন। এরপর থেকে উনার প্রতি জানার আগ্রহ জন্ম নিয়েছিলো। পরবর্তীতে ত উনার প্রতি ভক্তি বেড়েই চলেছিলো।
২/৩ দিন আগেই খবর পেয়েছিলাম প্রফেসর সাহেব অসুস্থ। খবরটি শুনেই কেন যেন দিলে কাপন সৃষ্টি করেছিলো।
আজ সত্যি সত্যিই প্রফেসর হামিদুর রহমান সাহেব ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আমার জানামতে বাংলাদেশে যত মুখলেস এবং তাক্কওয়াবান মানুষ ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম এক ব্যাক্তিত্ব ছিলেন প্রফেসার হামিদুর রহমান রাহিমাহুল্লাহু তায়া’লা।
প্রফেসর হয়েও অসংখ্য আলেমের রাহবার...!!
প্রফেসর মুহাম্মাদ হামীদুর রহমান। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক। হাফেজ্জী হুজুরের সান্নিধ্যে এসে পরিচিত হন প্রফেসর হজরত হিসেবে। প্রফেসর মানে অধ্যাপক। একজন অধ্যাপক কেমন করে হজরত (নামের আগে সম্মানার্থে ব্যবহৃত শব্দবিশেষ, সম্মানসূচক সম্বোধন) হয়ে ওঠেন- এ এক অবিশ্বাস্য গল্প।
একজন মানুষের দুনিয়াবিমুখতা, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ঐকান্তিক পরিশ্রম, আলেমদের প্রতি সম্মানবোধ ও ভালোবাসা, শরিয়ত ও সুন্নতের ওপর সার্বক্ষণিক আমলের আপ্রাণ চেষ্টা কতটা নিবিড় ও আন্তরিক হতে পারে তা প্রফেসর মুহাম্মাদ হামীদুর রহমানকে না দেখলে, তার সম্পর্কে না জানলে, তার সান্নিধ্যে না গেলে বলে কিংবা লিখে বোঝানো যাবে না। তার উদাহরণ বর্তমান সমাজে এক ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত। আলেমদের সোহবত তাকে এমন উচ্চতায় আসীন করেছে, অনেক আলেমদের জন্যও তিনি পরিণত হয়েছেন এক বাস্তব আদর্শে। অসংখ্য আলেম তাকে আধ্যাত্মিক রাহবার (পথপ্রদর্শক ও পীর) হিসেবে মানেন, তার হাতে বায়াত গ্রহণ করেছেন। তাকে দেখে অনেক বুজুর্গ এমনও মন্তব্য করেছেন, তার সান্নিধ্যে সাহাবিদের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
প্রফেসর হজরত ৯ ডিসেম্বর ১৯৩৮ সালে মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরে প্রাইমারি স্কুলে পড়েছেন। এ সময় মক্তবে গিয়েছেন। গ্রামের বাড়ির কাছেই ছিল মক্তব। মক্তবের উস্তাদ মরহুম মাওলানা মাকবুল হুসাইন (রহ.)-এর কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। শৈশব থেকেই তার পিতা ইয়াসিন (রহ.) তাকে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মক্তবের উস্তাদদের খেদমতে নিয়োজিত করেছিলেন। তাদের সান্নিধ্যেই হজরতের মনে দ্বীনি অনুভূতি সঞ্চার হতে থাকে। এমনিতে তার বাবা ম্যাট্রিক পাস করে সরকারি চাকরি করতেন রেলওয়ে বিভাগে। কিন্তু কোরআন মাজিদের আশেক ছিলেন। সকালে অফিসে যাওয়ার আগে কোরআন তেলাওয়াত করতেন। বাসায় ফিরে বিকেলেও কোরআন পড়তেন। কোরআনের প্রতি পিতার এই ভালোবাসা সন্তানের মনেও আসন গেড়ে বসে।
ইসলামিয়া হাইস্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হতেই বাবাকে হারান। তারপর হজরতের জীবন কঠিন হয়ে ওঠে। সংসারে বাবাই ছিলেন একমাত্র আয়ের উৎস। তার ইন্তেকালে সংসারে নেমে আসে অভাব-অনটনের বোঝা। ঢাকার নিমতলীতে যে বাসায় মা এবং তার আরও দুই ভাইকে নিয়ে থাকতেন, সেখানেও বেশিদিন থাকতে পারেননি। গ্রামে চলে যেতে হয়।
১৯৫৭ সালে কলেজ পাস করে ভর্তি হন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বুয়েট)। এ সময় হজরতের সংসার চলত বাবার পেনশনের টাকায়। অনেক কষ্টে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। তারপর শুরু করেন কর্মজীবন। প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন এবং পরে ইংলিশ ইলেক্ট্রিক কোম্পানিতে চাকরি করেন। এ সময় বাসা ভাড়া নেন আজিমপুরে। আর তখনই পরিচয় হয় হজরত মাওলানা আবদুল্লাহ (রহ.)-এর সঙ্গে। তিনি অনেক বড় আলেম ছিলেন। তার কাছে নানা বিষয়ের জ্ঞান লাভ করেন। বিশেষ করে কোরআন মাজিদের ক্ষেত্রে হজরতের পারদর্শিতা মাওলানা আবদুল্লাহ হুজুরের সঙ্গে থাকার বরকতে অর্জিত হয়েছে।
১৯৬৫ সালে হজরত কোম্পানি থেকে ট্রেনিংয়ের জন্য ইংল্যান্ড যান। প্রায় ৯ মাস সেখানে ছিলেন। ইংল্যান্ড থেকে ফিরে হজরতের দ্বীনি অনুভূতি অনেক বেড়ে যায়, তিনি দাড়ি রেখে দেন। হজরতের মা খুব পরহেজগার নারী ছিলেন। কোরআন তেলাওয়াত নিয়ে দিন-রাত পড়ে থাকতেন, তাহাজ্জুদ পড়তেন। ১৯৬৭ সালে তিনি বিয়ে করেন। তিনি ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক। ছেলেরা সবাই হাফেজ ও আলেম।
ইংলিশ ইলেক্ট্রিক কোম্পানিতে হজরতের ব্যাপক পরিচিতি ছিল, সুনাম ছিল। বছর না ঘুরতেই তিনি কোম্পানির জন্য একটা সম্পদ হয়ে ওঠেন। ১৯৬৯ সালের শুরুর দিকে কোম্পানির প্রোডাক্ট সেলের জন্য ঘুষের প্রচলন শুরু হলে তিনি এর বিরোধিতা করেন। এক পর্যায়ে লোভনীয় চাকরিটি ছেড়ে দেন।
পরে অনেক কম বেতনে ১৯৬৯ সালে তিনি বুয়েটে যোগ দেন। পদবি সহকারী অধ্যাপক। তিনি মাস্টার্স ও পিএইচডি করেননি। সুতরাং তার প্রমোশন হয়নি। এ সময় তিনি তাবলিগে প্রচুর সময় ব্যয় করেন। ইতিমধ্যে বড় ছেলেকে মাওলানা আবদুল্লাহ হুজুরের মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কোথাও যেন একটা অপূর্ণতা ছিল। কারণ, আল্লাহ তাকে যে কাজের জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, সেটি যেন এখনো হাতের নাগালেই রয়ে গেছে। শিগগিরই সেটিও পূর্ণ হয়ে যায়। তিনি হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর সোহবত লাভে ধন্য হন।
প্রফেসর হজরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর কাছে বায়াত হন ১৯৭৭ সালে। বায়াতের পর হজরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) অপূর্ব একটি নসিহত করেন। তাহলো- ‘চোখের গোনাহ থেকে বাঁচেন।’ এই এক কথায় হজরতের আমল শুরু হয়ে যায়। এর আগে তাবলিগে সময় লাগানোর কারণে কথাটি বহুবার শুনেছেন। কিন্তু আমলের সুযোগ হয়নি। হাফেজ্জী হুজুরের নসিহতের পর এ আমল শুরু করেন। বায়াত হওয়ার পাঁচ বছর পর তিনি হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর খেলাফত লাভ করেন।
১৯৮০ সালে তিনি হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর সঙ্গে হজের সফর করেন। মদিনায় একদিন ভোররাতে তাহাজ্জুদের নামাজের সময় হয়েছে। যথারীতি হাফেজ্জী হুজুর অজু করে প্রস্তুতি নিয়েছেন মসজিদে যাওয়ার। হাফেজ্জী হুজুরের একটা লাঠি ছিল, ওই সময় লাঠিটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে তাহাজ্জুদের সময় প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি যেতে হবে। একটু খোঁজ করেই হাফেজ্জী হুজুর হজরতকে বললেন- ‘থাক, লাগব না লাঠি। আপনিই আমার জিন্দা লাঠি।’ দেশে ফিরেও এই কথা বলেছেন, ‘হামীদুর রহমান আমার জিন্দা লাঠি।’ তখন থেকেই হজরতের নাম হয়ে যায়- ‘জিন্দা লাঠি।’
প্রফেসর হজরত ১৯৮৫ সালে হাফেজ্জী হুজুরের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফর করেন। এ সফরে যাওয়ার আগে তিনি ছুটি পাননি। অনেক অনুরোধের পরও বুয়েট কর্র্তৃপক্ষ তাকে ছুটি দেয়নি। এ জন্য তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। ইংল্যান্ড সফরের শেষ দিকে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) হজরতকে বললেন, ‘আপনি আমার জন্য চাকরি ছেড়ে দিলেন? দেশে গিয়ে কী করবেন?’ হজরত বললেন, ‘হুজুর! আমি আল্লাহর খুশির জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। আমার তো কোনো ভয় লাগে না।’ কথার জবাব দেওয়া হয়ে গেল। এখন একটুখানি থেমে হাফেজ্জী হুজুর বললেন, ‘এবার দরসিয়াতের (কওমি নেসাবে) কিতাবগুলো পড়ে ফেলেন। নিজে আলেম হন। নিজে মাদ্রাসা করে পড়ান।’ চিন্তা করলে অবাক হতে হয়, আল্লাহর অলি কী জিজ্ঞেস করলেন, আর কী সমাধান দিলেন?
প্রফেসর হজরত আপন পীর ও শায়খের এই নসিহত পুরোপুরি আদায় করতে পারেননি বলে আফসোস করেন। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন ঠিকই, কিন্তু দরসিয়াতের কিতাবগুলো পড়তে পারেননি। এজন্য এখনো এই বৃদ্ধ বয়সে সময়-সুযোগ হলে কারও কাছে দরসিয়াতের কিতাব পড়ার চেষ্টা করেন।
প্রফেসর হজরত প্রফেশনালি খুব খ্যাতি অর্জন করেছেন। সরকারি পর্যায়ে গঠিত বিভিন্ন কমিটিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। তবে বৈষয়িকভাবে আর ব্যস্ত হতে চাননি। তিনি দুনিয়ার যশ-খ্যাতির তুলনায় আখেরাতকে প্রাধান্য দিয়েছেন, তিনি সফলও হয়েছেন। দুনিয়াতে এর নমুনাও প্রকাশ পেয়েছে। হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর ইন্তেকালের পর তিনি হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভি (রহ.)-এর সর্বশেষ খলিফা মুহিউস সুন্নাহ মাওলানা আবরারুল হক (রহ.)-এর কাছে বায়াত হন এবং খেলাফত লাভ করেন।
২০১২ সালে তিনি আমেরিকায় দীর্ঘ সফর করেন। এ সময় নিউইয়র্ক, বাফেলো, নায়াগ্রা, মিশিগান, আটলান্টা, ফ্লোরিডা, লস এঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, ডালাস, হিউস্টন এবং অস্টিনে হজরতের প্রোগ্রাম হয়। এসব প্রোগ্রামে তিনি ইংরেজিতে বয়ান করেন। তার ইংরেজি বলার দক্ষতা অসাধারণ। পরে ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ড এবং ২০১৫ সালে কানাডা সফর করেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য এরপরে আর বিদেশ সফর করতে পারেননি। তার বিদেশ সফর নিয়ে মাকতাবাতুল ফুরকান থেকে তিনটি সফরনামা বের করা হয়েছে। এ ছাড়া একই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে তার অপূর্ব জীবনী, বয়ান, মালফুযাত ও অন্যান্য বিষয়ে আরও ১৬টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
হজরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) ছিলেন কোরআনের মানুষ। তার জিহ্বা সর্বদা নড়ত, জিকির না হলে কোরআন তেলাওয়াত। গ্রামে-গঞ্জে মক্তব প্রতিষ্ঠার মিশন নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। প্রফেসর হজরত এটা উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেছেন। তিনিও মক্তব প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের আনাচে-কানাচে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এখন যখন দুই জনের কাঁধে ভর দিয়ে তাকে দাঁড়াতে হয়, তখনো তিনি ছুটে চলছেন। গাড়িতে শুয়ে শুয়ে সফর করেন। মুখে কথা বলতে কষ্ট হয়। শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছেন। কিন্তু হাফেজ্জী হুজুরের সান্নিধ্য তার অন্তরে কোরআনের যে মহব্বত আসন গেড়েছে, তাতে বিন্দুমাত্র দুর্বলতা আসেনি। এক অপার্থিব রুহানি শক্তিতে তিনি পথ চলেন। এ পথ তিনি আমৃত্যু চলবেন, তার ছায়া আমাদের ওপর আরও দীর্ঘ হোক- দয়াময় আল্লাহর কাছে এই প্রাথর্না করি।
দেশ রূপান্তর॥ আদম আলী ভাইয়া
ইন্না লিল্লাহ
বাংলাদেশের ইসলামি অঙ্গনের একজন বড় মুরুব্বী প্রফেসর হযরত হামীদুর রহমান সাহেব ইন্তিকাল করেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম নসিব করুন।
যুক্তরাষ্ট্রে (আমেরিকা) সবচেয়ে বড় দেওবন্দী মাদ্রাসা—
🟥দারুল উলুম আল মাদানিয়া - (NEW YORK)🟥
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত দেওবন্দী (দারুল উলুম দেওবন্দ) ধারার সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা হচ্ছে নিউ ইয়র্কের দারুল উলুম আল মাদানিয়া বাফেলো।
এখানে দারুল উলুম দেওবন্দের সিলেবাসকে আমেরিকার মূলধারার সিলেবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে পড়ালেখা করানো হয়। অর্থাৎ মাদ্রাসার সিলেবাসের পাশাপাশি দারুল উলুম ও তার শাখাসমূহে স্কুল-কলেজের সিলেবাস পড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিটি ছাত্র দাওরায়ে হাদীস পাস করার পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমাপ্ত করে। এই মাদ্রাসা থেকে প্রতি বছর প্রচুর শিক্ষার্থী - কোরআনের হাফেজ ও আলেম হচ্ছেন। এখানে থাকা-খাওয়াসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
এই মাদ্রাসায় দেওবন্দ, করাচিসহ বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েট উস্তাদরা দরস দেন। মাদ্রাসায় ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় পড়ানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এখানে আফ্রিকা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেন।
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে উলামায়ে দেওবন্দ এবং পৃথিবী জুড়ে আছে উলামায়ে দেওবন্দের খেদমত। (আলহামদুলিল্লাহ)
©Md Junayed Hossain
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব নজদী সম্পর্কে শাইখুল ইসলাম সায়্যিদ হুসাইন আহমাদ মাদানী রাহিমাহুল্লাহ্ এর মূল্যায়ন...
শাইখুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. ছিলেন নিজের সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অন্যতম। মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব সম্পর্কে তার মূল্যায়ন ছিল কঠোর। তিনি লিখেছেন, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব হিজরী তেরো শতকে নজদে আবির্ভূত হন। তিনি ক্ষতিকর চিন্তাভাবনা এবং ভুল আকিদা-বিশ্বাস পোষণ করতেন, ফলবশত তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনি তার ক্ষতিকর চিন্তা তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এবং তাদের সম্পত্তিকে যুদ্ধের লুঠ হিসেবে এবং তাদেরকে হত্যা করাকে বরকত ও করুণার উৎস হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন। তিনি বিশেষভাবে হারামের লোকজনের প্রতি এবং হিজায বাসীদের প্রতিও কঠোর ছিলেন। তিনি সালাফদের প্রজন্ম সম্পর্কে কুৎসা রটিয়েছেন। তার দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার কারণে অসংখ্য লোককে পবিত্র মক্কা ও মদীনা ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল এবং তাদের অনেককেই তার বাহিনীর হাতে শহীদ হতে হয়েছিল। এক বাক্যে– তিনি ছিলেন অত্যাচারী, বিদ্রোহী এবং রক্তপাতের নেশায় থাকা এক সীমালঙ্ঘনকারী।
____________________আশ শিহাবুস সাকিব, ২২১।
এ ছাড়াও আশ শিহাবুস সাকিবের আরো বেশ কিছু স্থানে হযরত মাদানী মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওহহাব নজদী ও নজদীবাদের কঠোর সমালোচনা করেন। দেখুন, পৃ- ৪৪-৪৬, ৫১।
অন্যত্র তিনি বলেন, নবীজির বিষয়ে শায়খ গাংগুহী ও তার অনুসারিদের আকিদা ওহাবই খবিসদের মত নয়। পৃ- ৫৪।
অন্যত্র তিনি বলেন, ওহাবিরা যখন হারামাইন শরীফাইন নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন তারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, শাস্তি দিয়েছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন ৫১-৬৬ পৃষ্ঠা।
আব্দুল ওয়াহাব নজদী সম্পর্কে ইমাম আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি রাহিমাহুল্লাহ্ এর মূল্যায়ন....
দেওবন্দী ধারার প্রভাবশালী আলেমদের তালিকা করলে ইমাম আনোয়ার শাহ কাশমীরি রহ. এর নাম তাদের শীর্ষে থাকবে। তার প্রখর স্মৃতিশক্তি ও ইলমে হাদীসে গভীর জ্ঞানের কারণে সমকালীন আরব আলেমরাও তার যোগ্যতার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন। কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনে তিনি অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। আবদুল ওয়াহাব নজদী সম্পর্কে তিনি বেশ কঠোর মূল্যায়ন করেছেন। আলোচনার ভাষা থেকে বুঝা যায় আবদুল ওয়াহাব নজদী'র সমস্যা ও বিভ্রান্তি সম্পর্কে তিনি বেশ ভালোভাবেই সচেতন ছিলেন। তিনি বলেছেন, আবদুল ওয়াহাব নজদী ছিলেন কম ইলমের অধিকারী একজন নির্বোধ ব্যক্তি। তাকফীরের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা ছিল তার স্বভাব।
ফাইযুল বারী, ১/২৯৪।
শায়খুল হাদিস যাকারিয়া রহ. এর সুযোগ্য সাহেবযাদা
মাওলানা তালহা সাহারানপুরি দামাত বারাকাতুহুমের
অভিমত
অধম ১৯৯৫ সাল থেকে এ কথাই বলে আসছি যে, দাওয়াত ও তাবলীগের এই মেহনত সেই মানহাজ অনুসারে তোতা পাখির মুখস্থ বুলির মতো আমল করে করে আসতে হবে যার ওপর আমার নানাজান (মাওলানা ইলয়াস সাহেব রহ.) ও আমার দু’ ভগ্নিপতি (মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ সাহেব রহ. ও মাওলানা ইনআমুল হাসান সাহেব রহ.) রেখে গিয়েছেন।...
হযরত মাওলানা ইলয়াস সাহেব রহ. মুফতি কিফায়াতুল্লাহ সাহেব রহ.-কে জিজ্ঞেস না করে ও আমার আব্বাজান মাও. মুহাম্মদ যাকারিয়া সাহেব রহ.-এর সঙ্গে মাশওয়ারা না করে কোনো পদক্ষেপ নিতেন না।
আমরা কোনো আহলে হক আলেমের কথা খণ্ডন করব না, সমালোচনা করব না, ছিদ্রান্বেষণ করব না, প্রত্যাখ্যান করব না, কাফের বলব না। এই মেহনতের মাঝে নতুন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার কথা ভুলে যাব।
মাওলানা মুহাম্মদ ইলয়াস সাহেব রহ. বলতেন,
“যদি এই মেহনত উসুল মুতাবেক করা হয় তাহলে কয়েক শতাব্দীর কল্যাণ কয়েক দিনে চলে আসবে। আর যদি উসুল অমান্য করে করা হয় তাহলে কয়েক শতাব্দীর ফেতনা কয়েক দিনে চলে আসবে।”
তথ্যসূত্র -
তাবলীগ : ৮ [উলামা ও মুরুব্বিদের দিকনির্দেশনা]
পৃষ্ঠা : ১৯০
বিখ্যাত দাঈ-ইল্লাল্লাহ পাকিস্তানের মাওলানা তারিক জামিল সাহেব হাফি.-এর ছেলে আসিম জামিল ইন্তিকাল করেছেন।
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
গা*জাবাসীর জন্য অন্য মুসলমানদের কী করণীয়...
জি&হা #দ ফি সা #বি-ল্লি*লা #হ পুরোটাই উলামায়ে দেওবন্দ করেছে.....
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাটি করেছেন, মুহতারাম আবু সাবের আব্দুল্লাহ সাহেব। শাইখুল হাদিস, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ
বিপদ ডেকে আনা যেকোনো উৎসব সুষ্ঠু ধর্ম,সচেতন গোষ্ঠীর সাথে যথেষ্ট বেমানান ও নিন্দনীয়।
গতকাল রাতে চট্টগ্রামের তিন পোলের মাথায় ফানুস উড়ানোর পর উড়ন্ত ফানুস হঠাৎ অনেক বড় দুর্ঘটনার কারণে পরিণতি হওয়ার খণ্ডিত দৃশ্য ।
আজ একজন পুলিশ নিহত হয়েছে। যেখানে নিউজ হয়েছে, কমেন্টে ঢুকে দেখি, ৯০% কমেন্ট আলহামদুলিল্লাহ! বা নেগেটিভ কিছু...!!
আজ যদি প্রশাসন আওয়ামী লীগের না-হয়ে জনগনের হতো তাহলে এমন দৃশ্য দেখতে হতোনা।
শাখাওয়াত হোসেন রাজী সাহেব হয়তো তাদের কিছু কিতাব মুতালাআ করে বা কারোও কাছ থেকে শুনে কথাগুলো বলেছেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের চিত্র সম্পুর্ন ভিন্ন।
তারা হকপন্থী নাকি বেদাতি সেই আলোচনায় যাবোনা। এটা আলেমগনেরা বলবেন। আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরছি।
ফুলতলী আর ছারছিনা ওয়ালারা উগ্র এবং খাতারনাক। আর জৈনপুর লিষ্টের বাইরে। শুধু ফুরফুরা ওয়ালাদের মধ্যে কিছুটা সহনশীলতা আছে আলহামদুলিল্লাহ। আর বাকিদের সম্পর্কে ধারণা নেই।
যারা সিলেটে তাবলীগী সফর করেছেন তারা ফুলতলী ওয়ালাদের উগ্রতা দেখেছেন। আসলে উগ্রতা না বলে নৃশংসতা বলাই উপযুক্ত হবে বলে আমার খেয়াল । আর ছারছিনা ওয়ালাদের ত গত ৪০ বছর ধরেই দেখে আসছি আমার মামার বাড়ী ছারছিনা অধ্যুষিত এলাকায় হওয়ায়। মিলাদ-কিয়াম না করার কারণে এবং আমাদের পরিবার ক্কউমী ঘারানা হবার কারণে তারা সবসময়ই বাকা চোখে দেখে থাকে। এমনকি আমার নানার মসজিদে আমরা তাবলীগ জামায়াত আনতে পারিনা। আর জৈনপুরীদের ব্যাপারে জানতে ফেসবুকে তাদের সমর্থকদের এক্টিভিটিস লক্ষ্য করলেই তাদের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যাবে।
আসলে তারা মুখে এবং লেখণীতে যতটা সহনশীল, মাঠ পর্যায়ে ততোটা'ই উ*গ্র।
তারা বলে থাকে,
"মিলাদ-কিয়াম কে আমরা মুস্তাহাব মনে করে আমল করি, কেউ না করলে আমরা কিছু মনে করিনা না"
এই কথাটাই তাদের সবচেয়ে বড় ধোকাবাজি এবং মিথ্যা।
এই সময়ে এভাবে বলতে চাইনি, কিন্তু রাজী সাহেবের এই আলোচনাটি সুন্নী দাবিদার ভাইয়েরা খুব প্রচার করছে বলে লিখতে হলো। যেন কেউ ধোকায় না পড়ে।
বর্তমানে ই*জ*রা*ই*লে*র পক্ষ নিচ্ছে সহি আকিদার নামে ভ্রান্ত শায়েখরা। তাদের থেকে সতর্ক করলেন মুসলিম উম্মাহকে
হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী হাফিজাহুল্লাহ্।
আমাদের ২/৩ জন ভাইয়ের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় এই মিছিল এবং মানববন্ধনের আয়োজন। বিশেষ করে হানিফ ভাইয়ের কথা না বললেই নয়। পাশাপাশি মিশু, ওসামা, অন্তর সহ যারা এই আয়োজনে জড়িত ছিলেন, আল্লাহ্ তাআ'লা তাঁদের নেক নিয়তকে কবুল করেন।
আমাদের তেমন কোন আয়োজন ছিলোনা। তাবলীগের কয়েকজন সাথী আছরের পর আমাদের মসজিদের সামনে দড়িয়ে মানববন্ধনে জমা হয়েছে। ব্যাস এর পরই মানুষ জড়ো হতে হতে মোটামুটি বেশ বড় একটি মিছিলের আয়োজন হয়ে গেলো। সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিলো অভাবনীয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অনেক মানুষ'ও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ তাআ'লা তাওফিক দিলে, আগামী শুক্রবার আরোও বড় পরিসরে প্রতিবাদ আয়োজন করার পরামর্শ হয়েছে।
আল্লাহ্ তাআ'লা আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে কবুল করেন।
যে জাতি নিজ ভূমির জন্য হাসতে হাসতে জীবন দিতে জানে, পৃথিবীর সব সুপার পাওয়ার একসাথে হলেও সে জাতিকে পরাজিত করা অসম্ভব।
মাখলুকের সাহায্য ছাড়াই আল্লাহ তায়া’লা তাঁদের বিজয় দান করবেন বলে বিশ্বাস করি। তাঁদের যত দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি।
নাছরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন কারীব....
আলহামদুলিল্লাহ, ভারতে নিষিদ্ধ হলো — সমকামী বিবাহ
সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি দিল না সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় অন্যতম পক্ষ ছিলেন — মাওলানা মাহমুদ মাদানী (দাঃ বাঃ) এর নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ।
ফিলিস্তীনের ভূমির ব্যাপারে ফতোয়ায় উলামায়ে দেওবন্দের দূরদর্শীতা
———
উসমানী খেলাফতকালে কোন ই হু দী ফিলিস্তীনের ভূমি ক্রয়-বিক্রয় করার অধিকার ছিল না। ভিসা নিয়ে পর্যটকের মতো তারা যেতে পারতো এবং তাদের দর্শনীয় স্থান যিয়ারত করে আসতে পারতো, কিন্তু জায়গা কেনার কোন সুযোগ ছিল না।
খেলাফত ধ্বংসের পর ফিলিস্তীন ভূমির ওপর কর্তৃত্ব যখন বৃটেনের হাতে, তখন পুনরায় সে মাসআলাটি ওঠে যে ফিলিস্তীনের ভূমি বিক্রয় করা যাবে কি-না। ই হু দীরা প্রচুর দাম দিয়ে জমি ক্রয় করছিল আর কিছু লোভী মুসলমান তাদের জমি বিক্রি করছিল। তখন আরবের অধিকাংশ আলেম হাদিসে সরাসরি এর কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকায় কয়েকটা শর্তসাপেক্ষে জমি বিক্রয়ের বৈধতার ফতোয়া দিয়ে দিল।
এই ফতোয়ার বিরোধীতা করেন তৎকালীন ভারত উপমহাদেশের উলামায়ে কেরাম। হাকীমুল উম্মত হযরত থানবী রহ., মুফতী কিফায়াতুল্লাহ দেহলবী রহ. প্রমুখ ইস্তেহছানের ভিত্তিতে “মুতলাকান” (বিনা শর্তে) হরম শরীফের জমি যেভাবে বিক্রি জায়েয নয়, তদ্রূপ ফিলিস্তীনের কোন অংশ ই হু দীদের কাছে বিক্রি করা যাবে না বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন।
আহ! যদি তাঁদের ফতোয়াটি মানা হতো আর ই হু দীদের কাছে ফিলিস্তীনের এক টুকরো জমিনও বিক্রি না করা হতো, তাহলে আজকের অবস্থা (হয়ত) হতো না।
- মুফতী আব্দুল কাদির মাসুম হাফিযাহুল্লাহ।
যে ব্যক্তি আগামীকাল তার স্থান কেমন হবে, তা দেখতে চায়, সে যেন দুনিয়াতে তার কৃত আমলের দিকে লক্ষ করে। সে অনুযায়ীই তার আখিরাতের অবস্থান হবে।
—মাইমুন বিন সাইয়াহ (রহ.)
(হিলইয়াতুল আওলিয়া ৪/৯১)
_____"মুসলমানদের (মুনাফেক) সাহায্য ছাড়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করা অসম্ভব" ।
এই কথাটি আমাদের চেয়ে বেশী বিধর্মীরা বিশ্বাস করে। তাই তারা মুসলিম নিধনে আমাদেরই উপর মেহনত করে সর্বপ্রথম আমাদের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করে। যার কারণে আমাদের মধ্যে কখনোও ঐক্য সৃষ্টি হয়নি। অদূরভবিষ্যতে ঐক্য হবে বলে মনে'ও হয়না।
মুখে মুখে মুসলিম দেশগুলোর সাহায্যের কথা শুনে শুনে রাগে শরীর জ্বলছে ।
আমরা নিজেদের উপর জু*লু*মের প্রতিবাদে এক হতে পারিনা, অথচ বিধর্মীরা অন্যের উপর জু*লু*মে একতাবদ্ধ।
কোথায় গেলো আমাদের ঐতিহ্য, কোথায় গেলো আমাদের ইতিহাস.....!!!
_____"মুসলমানদের (মুনাফেক) সাহায্য ছাড়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করা অসম্ভব" ।
এই কথাটি আমাদের চেয়ে বেশী বিধর্মীরা বিশ্বাস করে। তাই তারা মুসলিম নিধনে আমাদেরই উপর মেহনত করে সর্বপ্রথম আমাদের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করে। যার কারণে আমাদের মধ্যে কখনোও ঐক্য সৃষ্টি হয়নি। অদূরভবিষ্যতে ঐক্য হবে বলে মনে'ও হয়না।
ইতিহাস খোঁজ করলে দেখবেন, যত জায়গায় মুসলিমরা লাঞ্চিত হয়েছে, প্রতিটি জায়গায়'ই এই লাঞ্চিত হবার পেছনে আমরাই দায়ী।
মুখে মুখে মুসলিম দেশগুলোর সাহায্যের কথা শুনে শুনে রাগে শরীর জ্বলছে ।
আমরা নিজেদের উপর জু*লু*মের প্রতিবাদে এক হতে পারিনা, অথচ বিধর্মীরা অন্যের উপর জু*লু*মে একতাবদ্ধ।
কোথায় গেলো আমাদের ঐতিহ্য, কোথায় গেলো আমাদের ইতিহাস.....!!!
আল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সাহাবিদের জীবনী গুলোতে আজিব ধরনের বরকত রেখেছেন। আপনি সাহাবিদের ঘটনাবলী পড়ুন এবং জানুন। দেখবেন দিল পরিবর্তন হবেই হবে ইনশা আল্লাহ্।
দাওয়াতে তাবলীগের এগিয়ে চলার অন্যতম প্রধান কারণ হলো সাহাবিদের সিরাত নিয়ে বেশী বেশী আলোচনা করা।
তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে হেকায়েতে সাহাবা থেকে একজন করে সাহাবির সংক্ষিপ্ত ঘটনা পড়ুন। দেখবেন মনে অন্যধরনের প্রশান্তি অনুভব করবেন। তখন আমরা বুঝতে পারবো আমাদের শিকড় কতটা মজবুত ছিলো আর এখন কতটা মজবুত...!!
ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে...
এস্তেগফার, সদকা, দোয়া এবং নফল নামাজ ও রোজার মাধ্যমে আল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সাহায্য প্রার্থনা করি।
হে বিশ্ববাসী,,,
৩১৩ জনের কথা মনে আছে ত...!!
সেই রব এখনোও আছেন।
ফি*লি*স্তি*নে*র মাটিতে ই*হু*দি*দে*র কোন স্থান নেই...
মাওলানা তাহমীদুল মাওলা হাফিজাহুল্লাহ এর আলোচনা
কত কিছু করার কথা ছিলো...!!
কিছু বলার'ও ভাষা জানা নেই। হাশরের ময়দানে কোন মুখে নবীজি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে দাড়াবো...!!
নিজের কমজোরির জন্য আল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা র কাছে ক্ষমা চাই। আল্লাহ্ তাআ'লা যেন অন্তত মুনাফেকের খাতায় নাম না লেখান।
যার যতটুকু সাধ্য তার পক্ষে ততটুকু সাহায্য করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ। নুন্যতম সাহায্যের মধ্যে দান, সদকা, দোয়া, রোজা এবং নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করা।
ত্রান সংগ্রহের বিশ্বস্ত সোর্স গুলো প্রত্যেকের মেসেঞ্জার গ্রুপ গুলোতে শেয়ার করলে অনেকে অংশগ্রহণ করতে পারে ।
আল্লাহ্ তাআ'লা তাওফিক দান করেন।
সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি ছিলেন শাফেয়ি মাজহাবালম্বী; এবং আশআরি আকিদার অনুসারী। শুধু অনুসারীই নন; ছিলেন আশআরি আকিদার একজন মহান দায়ি। ছোট্টবেলাতেই তিনি মুখস্ত করেছিলেন আশআরি আকিদায় লিখিত একটি কিতাব—যার রচয়িতা ছিলেন আশআরি আকিদার ইমাম কুতবুদ্দিন মাসউদ বিন মাহমুদ নেশাপুরি।
সুলতান হবার পর তিনি তার সালতানাতের প্রধান কাজি সদরুদ্দিন আবদুল মালিক বিন মুসা মারানিকে নিয়ে পুরো সালতানাতে আশআরি আকিদার দাওয়াহ ছড়িয়ে দেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায়ে নাসিরিয়্যাহ।
ফিকহে হাম্বলির এক অন্যতম কিতাবের নাম—আল-মুগনি। এটি লিখেছেন ইমাম মুওয়াফফাকউদ্দিন ইবনে কুদামাহ আল-মাকদিসি। তিনি মাজহাবের ক্ষেত্রে যেমন হাম্বলি ছিলেন; আকিদার ক্ষেত্রে ছিলেন সালাফি। শুধু তিনিই নন; বরং তাঁদের গোটা আ-লে কুদামাহই ছিল হাম্বলি ও সালাফি। পুরোটা পরিবারই ছিল ইলমে হাদিসের একটা বটবৃক্ষ।
ইমাম মুওয়াফফাকউদ্দিন ইবনে কুদামাহর বাবা শাইখ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ ইবনে কুদামাহও ছিলেন বড় মুহাদ্দিস। তদ্রূপ মুওয়াফফাকউদ্দিন ইবনে কুদামাহর ফুফাতো ভাই ইমাম আবদুল গনি আল-মাকদিসি ছিলেন বড় মুহাদ্দিস। যিনি হাদিস শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ কিতাব—আল-কামাল ফি আসমায়ির রিজাল কিতাবের লেখক।
এই গোটা আ-লে কুদামাহ সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবির ঝাণ্ডাতলে শরিক হয়ে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন। লড়তে লড়তে বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয় করেছেন। তারা প্রথমে বাস করতেন বাইতুল মুকদ্দাসের নিকটবর্তী নাবলুসের অন্তর্গত একটি পাহাড়ি অঞ্চলে জাম্মায়িল গোত্রে।
৪৯২ হিজরি মোতাবেক ১০৯৯ সালে যখন ক্রুসেডাররা বাইতুল মুকাদ্দাসে হামলা করে দখল করে নেয়, তখন এই আ-লে কুদামাহর সকলেই দখলদার ক্রুসেডারদের শাসনের বিরোধিতা করেন। দাদা, ছেলে, নাতি—সকলেই জুমার বয়ানে জনসাধারণের মধ্যে স্বাধীনতার স্পৃহা তৈরি করেন।
বিশেষ করে মুওয়াফফাকউদ্দিন ইবনে কুদামাহর বাবা শাইখ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ ইবনে কুদামাহ জুমার বয়ানে অগ্নিবর্ষণ করতেন ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে। কৃষকরা পর্যন্ত ক্ষেতের কামকাজ ফেলে দিয়ে তাঁর বয়ান শুনতে ছুটে আসত।
ক্রুসেডারদের পক্ষ থেকে জাম্মায়িলের শাসক ছিল ইবনে বারজান নামক এক ব্যক্তি। সে শাইখ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ ইবনে কুদামাহকে হত্যা করার ফন্দি আঁটে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটা জানতে পেরে গোটা পরিবার নিয়ে হিজরত করেন শাইখ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ ইবনে কুদামাহ আল-মাকদিসি।
তাঁরা হিজরত করে চলে আসেন দামেশকে। অথচ, তখন দামেশকের লোকেরা শাফেয়ি মাজহাব ও আশআরি আকিদার অনুসারী ছিল। আ-লে কুদামাহর সালাফি পরিবার বাস করে একেবারে আশআরিদের স্বর্গরাজ্যে। এতে তাঁদের কোনো অসুবিধা হয়নি। তখন নুরুদ্দিন মাহমুদ যিনকির শাসনামল ছিল সিরিয়ায়। তিনি এই পরিবারকে খুবই সম্মান করেন।
জেনে রাখা ভালো, এই আ-লে কুদামাহ বংশীয় ঐতিহ্য রক্ষা করে দামেশকে যুগের পর যুগ ইলমে হাদিসের জ্ঞান বিতরণ করে যায়। পরবর্তী সময়ে এই আ-লে কুদামাহর বড় বড় আলেমদের কাছে ইলম হাসিল করেন ইমাম ইবনে তাইমিয়া, ইমাম জাহাবি ও ইমাম নববি প্রমুখ। আর ইমাম ইবনে তাইমিয়া ও জাহাবি সালাফি হলেও নববি ছিলেন আশআরি।
সুতরাং আমি যে কথাটা বলতে চাচ্ছি—এই শাইখ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ ইবনে কুদামাহ আল-মাকদিসি, শাইখ মুওয়াফফাকউদ্দিন ইবনে কুদামাহ আল-মাকদিসি, শাইখ আবদুল গনি আল-মাকদিসি সকলেই ছিলেন সালাফি; কিন্তু আস্ত একজন আশআরি সুলতানের অধীনে থেকে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে জিহাদ করলেন, তাঁদের আকিদা কি তাঁদেরকে আশআরি সুলতানের আনুগত্য করতে বাধা দিয়েছিল? তারা কি সেই সুলতানের মধ্যে শিরকের গন্ধ খুঁজে পেয়েছিলেন?
বরং সুলতান সালাহউদ্দিনের আইয়ুবির আশ্রয় ছেড়ে সিরিয়ায় গিয়ে তাঁরা আরেক আশআরি—সুলতান নুরুদ্দিন মাহমুদ যিনকির আশ্রয় নিয়েছিলেন। বসবাস করেছিলেন আশআরিদের অন্তরে। সেখানেও তাঁদের আকিদা তাঁদেরকে কোনো বাধার সম্মুখীন করেনি।
তাঁরা সালাফি হওয়া সত্ত্বেও আশআরি সুলতানদের আনুগত্য করতে কুণ্ঠাবোধ এজন্য করেননি যে, তাঁরা জানতেন—আশআরিরাও আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর অনুসারী। গাতেগোনা কিছু মাসআলা ছাড়া আশআরিদের সাথে সালাফিদের কোনো বিরোধ নেই। আর এই বিরোধও এমন কোনো বিরোধ নয়; যা কাউকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ থেকে বের করে দেবে।
তা ছাড়া ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর স্বার্থই তাঁদের কাছে বড় ছিল এসব আকিদাগত ছোটখাট মতপার্থক্যের চেয়ে। এজন্য তাঁরা সালাফি হওয়া সত্ত্বেও দেখেননি—কে সালাফি আর আশআরি!
এবার চিন্তা করুন—এ যুগের সালাফি নামধারী শাইখরা কীভাবে জনসাধারণকে ধোঁকা দিচ্ছেন ‘সহিহ আকিদা’র নামে! সালাফের আকিদা নিয়ে বাণিজ্যকারী এসব শাইখ আশআরি ও মাতুরিদিদের আকিদা শিরক/বিদআত বলে গোটা মুসলিম উম্মাহর ৯০% মানুষকে জাহান্নামের সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছেন—এই হিসেব আছে কারও?
[মাজহাব ও আকিদাগত মতপার্থক্য আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এটা নিরসন হবার মতো নয়। কারণ, এই মতপার্থক্যের মূলে রয়েছে কুরআন ও হাদিস। সালাফরা এসব মতপার্থক্য নিয়ে আলোকপাত করতেন কিতাবাদির পাতায় বা আলেমদের খাস মজলিসে; ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে এসব মতপার্থক্য কোনো প্রভাব ফেলত না তাদের কাছে। সালাফদের দোহাই দিয়ে আজকে যারা এসব সিক্রেট বিষয়কে পাবলিক প্লাটফর্মে টেনে এনে ফিতনা ছড়াচ্ছে, এদেরকে চিনে রাখতে হবে।]
______________
তথ্যসূত্রাবলি :
[১] আল-কাওয়াকিবুদ দুররিয়্যাহ : ১৫, ইবনু কাজি শাহবাহ।
[২] আত-তারিখুস সিয়াসি ওয়াল ফিকরি : ২৬১, আবুল ফুতুহ বাদাবি।
[৩] আল-খুতাত : ২/৩৪৩, ইমাম মাকরিজি।
[৪] সিরাতু সালাহউদ্দিন : ০৭, বাহাউদ্দিন শাদ্দাদ।
[৫] মাওসুআতুল ফিলস্তিনিয়্যাহ-আ-লু কুদামাহ- ১৯৮৪।
[৬] সিয়ারু আলামিন নুবালা : ২২/১৬৫, ইমাম জাহাবি।
[Ainul Haque Qasimi]
ই*স*রা*ই*লী পণ্য চেনার সহজ উপায়। বারকোডের শুরুতে যদি 729 সংখ্যা থাকে,বুঝে নিবেন এটা ইসরাইলী পণ্য।
ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহের স্বার্থে ইসরাইলী পণ্য বর্জন করুন। এটি মুসলিম মিল্লাতের জন্য আবশ্যক!!
___মসজিদুল আকসা সম্পর্কে ১৫ টি তথ্য। যা সবার জানা উচিৎ...
- কুরআনে যে দুই মসজিদের নাম কুরআনে এসেছে, এটি তার একটি।
- এটি পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় মসজিদ।
- এটি কুরআনে বর্ণিত (আরযে মুকাদ্দাসাহ)
বিশেষ পবিত্র জমিনে অবস্থিত।
- এই মসজিদের আশেপাশে অনেক নবিদের
জন্ম ও বেড়ে ওঠা।
- অনেক নবি হিজরত করেছেন।
- এই মসজিদে অনেক নবিরা ইমামতি করেছেন। বিশেষত জাকারিয়া আ.।
- মেরাজে সকল নবিগনকে আল্লাহ একত্রিত করেছিলেন কুদরতি ভাবে। এবং রাসুলুল্লাহ ﷺ
দুই রাকাত নামাজের ইমামতিও করেছেন।
- এটি মুসলমানদের প্রথম কিবলা।
- হাশরের কেন্দ্রস্থল হবে মসজিদুল আকসা
ও তার আশপাশ।
- এই মসজিদে প্রতি রাকাত নামাজে ২৫০ রাকাত এর সওয়াব পাওয়া যায়। কোনো বর্ণনায় ৫০০ বা আরও বেশি।
- যেসব মসজিদে বিশেষ সওয়াবের আশায় সফর জায়েয, এই মসজিদ তার একটি।
- এই মসজিদ ও তাঁর চতুর্পাশ বরকতময়।
- এই মসজিদে দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না।
- এই মসজিদে নামাজ পড়লে তার গোনাহ এমনভাবে মাফ হয়, যেমন সদ্য জন্মলাভকৃত শিশু।
তথ্যসূত্র : সুরা ইসরা, সুরা মাইদাহ, সুরা সাবা, সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম, তাবারানি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, তাফসিরে কুরতুবি। বেদায়া ওয়ান নেহায়া।
সংগৃহীত
হাসকে হারানোর একটা টিপস আছে আমার কাছে।
ই/স/রা/ই/ল যদি বুদ্ধিটা কাজে লাগায় তাহলে সহজেই হামাসকে হারাতে তো পারবেই, সাথে মানসিকভাবে এমন পঙ্গু বানাতে পারবে যে হামাস জীবনেও আর লড়াইয়ের কথা মনেই করতে পারবে না।
বুদ্ধিটা হলো, নে:তা:নি:য়া:হু বাংলাদেশ থেকে কতগুলো শায়েখ নিয়ে গাজা উপত্যকায় ছেড়ে দিবে। তাদের কাজ হবে শুধু ফিলিস্তিনিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন ইখতিলাফি বিষয়গুলো জানানো।
এমন অবস্থা করতে হবে যাতে, তারা তারাবীহ ৮ রাকাত নাকি ২০ রাকাত, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নূরের তৈরি না মাটির তৈরি, হাত বুকে বাঁধবে নাকি নাভির নিচে বাঁধবে। এগুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যখন এগুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে, দেখবেন অটোমেটিক নিজেরা নিজেরা মারামারি করতে করতে আল আকসা জয়ের কথা ভুলে যায়৷
এসব ক্ষেত্রে আমাদের দেশের লা-মাযহাবী সম্প্রদায়ের শায়েখদের জুড়ি মেলা ভার।
সংগৃহীত ও ঈষৎ পরিবর্তিত।
শায়খুল ইসলাম মুফতি তাকী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ গতকাল ফজরের পর ফিলিস্তিনের মজলুম ভাইবোনদের জন্য হৃদয় বিগলিত দুআ করেন। এরপর উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফজরের নামাজে কুনুতে নাযেলা পড়ার সুযোগ হলে তো সর্বোত্তম হবে, নতুবা প্রতি নামাজের পরে কুনুতের দুআগুলো অন্তত মুনাজাতে পড়া চাই। তিনি ফিলিস্তিনের মাজলুম ভাই-বোনের জন্য খুব বেশি বেশি দুআর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। আমরা যেন তাদেরকে আমাদের মুনাজাতে স্মরণ রাখি।
মুসলিম উম্মাহর ওপর ব্যাপক বিপদ-আপদ কিংবা জুলুম-নির্যাতনের সময় কুনূতে নাযিলা পড়া প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত একটি আমল। প্রচন্ড দুর্যোগকালে শুধু ফজরের নামাযে উচ্চস্বরে ইমাম কুনূতে নাজেলা পড়বেন। নামাজের শেষ রাকাতে রুকু থেকে উঠে দাড়িয়ে কুনুতে নাযেলা পাঠ করতে হবে; একাকী পড়া যাবে না। ফজরের ফরজ নামাজে ইমামের পেছনে পড়তে হবে। ইমাম আরবিতে দোয়া পড়বেন মুসল্লিরা মনে মনে আমিন, আমিন বলবেন। রুকু থেকে উঠে 'রাব্বানা লাকাল হামদ' বলার পর তাকবীর দিতে হবে না সরাসরি দুআ শুরু করবে ।
দুআর অর্থ : হে আল্লাহ! হেদায়েত কর আমায়, যাদের তুমি হেদায়েত করেছ তাদের সাথে। শান্তি স্বস্তি দান করো আমায়, যাদের তুমি শান্তি স্বস্তি দান করেছ তাদের সাথে। অভিভাবকত্ব গ্রহণ করো আমার, যাদের তুমি অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ তাদের সাথে। বরকত দান করো আমায়, যা তুমি দান করেছ আমায় তাতে এবং রক্ষা করো আমায় পর অনিষ্ট হতে, যা তুমি নির্ধারণ করেছ (আমার জন্য)। কেননা তুমি নির্দেশ দান করো, তোমার ওপর নির্দেশদান করা চলে না। বস্তুত সে ব্যক্তি অপমাানিত হয় না যাকে তুমি মিত্র ভেবেছ। আর সম্মানিত হয় না সেই ব্যক্তি, যাকে তুমি শত্রু ভেবেছ। বরকতময় তুমি হে আমাদের প্রতিপালক আর তুমিই সুউচ্চ। আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকে রুজু হই। হে আল্লাহ! ক্ষমা করো আমাদেরকে এবং মুমিন নর ও মুমিন নারীদেরকে আর মুসলমান নর ও মুসলমান নারীদেরকে তাদের অন্তরসমূহ জুড়িয়ে দাও আর তাদের মাঝে মীমাংসা করে দাও। সাহায্য করো তাদেরকে তোমার শত্রু ও তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে। হে আল্লাহ! লানত বর্ষণ করো কাফেরদের প্রতি, যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তোমার পথে এবং অস্বীকার করে তোমার রাসূলদেরকে আর যুদ্ধবিগ্রহ করে তোমার অলিদের সাথে। হে আল্লাহ! বিভেদ সৃষ্টি করে দাও তাদের কথার মাঝে এবং কম্পন সৃষ্টি করে দাও তাদের পদযুগলে আর নাজিল করো তোমার এমন শাস্তি যা তুমি অপরাধীগণ থেকে অপসারণ করো না।
সংগৃহীত