Niz.Al-amin
Niz
বিএনএস বঙ্গবন্ধু 💪💪💪💪💪
ছবিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সর্বাধুনিক মিসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজ বিএনএস বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পাচ্ছেন। এটি মূলত হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরী উলসান ক্লাস ফ্রিগেট। ২০০১ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে এই যুদ্ধজাহাজটি সার্ভিসে আসে। এটি এক সময় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে আধুনিক ফ্রিগেট ছিলো।
বিএনএস বঙ্গবন্ধুর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নামে। ২০০১ সালের ২০ জুন বিএবএস বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশনিং করা হয়। পরবর্তীতে ২০০২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এই জাহাজকে মেরামত কাজের জন্য ডিকমিশন করা হয়। ২০০৭ সালে এটিকে বিএনএস খালিদ বিন ওয়ালিদ হিসেবে পুনরায় কমিশনিং করা হয়। ২০০৯ সালে এটিকে আবারও বিএনএস বঙ্গবন্ধু নামকরণ করা হয়। এক নজরে এটির বিবরণ:
ওজন: ২৫০০ টন।
দৈর্ঘ্য: ১০৩.৭ মিটার।
প্রস্থ: ১২.৭ মিটার।
উচ্চতা: ৩.৮ মিটার।
গতি: ঘন্টায় ৪৬ কি.মি।
রেন্জ: একটানা ৭৪০০ কি.মি।
ধারণ ক্ষমতা: ১৮৬ জন নাবিক।
রাডার&সেন্সর:
১টি DA08 E/F Band air search radar. (রেন্জ ২৪০ থেকে ৩০০ কি.মি)।
১টি Type 345 fire control radar.
১টি Variant surface search radar.
১টি Racal scorpion 2 jamer.
১টি ASO-90 Mod submarine hunter sonar.
#অস্ত্রসমূহ
৮টি Otomat mk2 anti ship missile. (যেগুলোর রেন্জ ১৮০ থেকে ২১০ কি.মি পর্যন্ত )
৮টি FM-90N Surface to air missile (SAM) (যেগুলোর রেন্জ ১০ থেকে ১৫ কি.মি)
১টি ৭৬ মি.মি এর Otobreda super rapid. ( রেন্জ ১৬ থেকে ৪০ কি.মি)
৪টি ৪০ মি.মি এর Otobreda compact CIWS. (রেন্জ ৪থেকে ৮ কি.মি)
২টি Super barricade chaff launchers.
৬টি ৩২৪ মি.মি এর B-515 A244S Torpedo tubes.
এছাড়াও এটিতে রয়েছে একটি হ্যাঙ্গার। যেখানে একটি Agustawestland হেলিকপ্টার ল্যান্ড করতে পারে।
জাহাজটি বাংলাদেশের নৌ সীমান্তে নৌ-সন্ত্রাস, প্রাকৃতিক দূষণ ও চোরাচালান রোধেও কাজ করে থাকে। প্রয়োজনে এটি অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কাজের দায়িত্ব পালনেও সক্ষম।
নোটঃ মিয়ানমারের কাছে আপাতত এইরকম শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ নেই। তাদের সর্বাধুনিক কিয়ান সিত্তা ফ্রিগেট গুলোকে বাংলাদেশের টাইপ-৫৬ করভেটের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। 🤣🤣🤣🤣😆
Defence বাংলা
টাইম লাইনে রেখে দিলাম ❤️