Pankaj Banerjee
Spiritual and Motivational discussion
অন্যের প্রতিযোগী না হয়ে তার সহযোগী হওয়া অনেক ভালো এবং তা অবশ্যই তোমার মানসিক শান্তির কারণ হবে।
What is Prayer?
@@@@@@@@
PANKAJ BANDYOPADHYAY
@@@@@@@@@@@@@@@
In 2005 I was in New York, I told in a seminar infront of a huge audience.
Prayer doesn't just happen when we kneel or put our hands together and focus and expect things from God.
*Thinking positive and wishing good for others is a prayer.*
When you hug a friend.
*That's a prayer.*
When you cook something to nourish family and friends.
*That's a prayer.*
When we send off our near and dear ones and say, 'drive safely' or 'be safe'.
*That's a prayer.*
When you are helping someone in need by giving your time and energy.
*You are praying.*
When you forgive someone by your heart.
*That is prayer.*
*Prayer is a vibration. A feeling. A thought. Prayer is the voice of love, friendship, genuine relationships. Prayer is an expression of your silent being.*
একটি আনন্দময় ও অসাধারণ আলোচনা। বন্ধুরা একবার শুনে দেখুন।
পরের নিন্দা যে তোমার কাছে করে জানবে সে তোমার নিন্দা অন্যের কাছে করে।
একদিন গােপালদাদা আট আনার বাজার করে গেরাে দিয়ে আনলেন। গেরাে বড় শক্ত। ঠাকুরের কাছে গিয়ে বললাম ঃ “ভক্তের গেরাে এত শক্ত—আমি খুলতে পারলুম না।”
ঠাকুর বাজার দেখে বেজার হয়ে এসে শ্রীমাকে বললেনঃ “এতো বাজার?” শ্রীমা বললেন : “সবাই খাবে বলে।”
ঠাকুর ঃ “এখানে (কালীবাড়িতে একটা বন্দোবস্ত রয়েছে, তবুও এ্যা—তাে খরচ করা কেন? আর দুবেলা আগুন তাতে অত রেঁধে তােমার অসুখ করবে। তােমার অত রাঁধতে হবেনি। আমি আর ওসব খাবনি।”
সেসব তরকারি কিছু খেলেন না। কালীবাড়িতে দেওয়া হলাে। শ্রীমার দুঃখ হলাে, কাঁদলেন।
ঠাকুর আবার তাঁকে বুঝিয়ে বলেনঃ “তােমার কষ্ট হবে বলেই বলেছি, দু-বেলা আগুন তাতে অত রান্না! আর মনে করেছি, এখন থেকে আর এটা-ওটা রাঁধতে—আর বলবনি। আকাশবৃত্তি করে থাকব--যা হলাে তাই খেলুম।
তবে তােমার যেদিন যেমন রাঁধতে ইচ্ছা হয়, তা রেঁধো। আমায় জিজ্ঞাসা করােনি।” 🌹🌹🌹
প্রণাম মা 🌷🌹🌷
অনুভবের নৈবেদ্য--2
# # # # # # # # # # # #
পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়
***************
মন আর মুখ---দুটি পরস্পর বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মন যা ভাবে মুখ তা বলে না। আবার মুখ যা বলে মনে তা মানে না। এমনটাই প্রায়শ হয়ে থাকে।
এখন প্রশ্ন হলো এই দুই ধরনের মানসিক প্রতিক্রিয়া কিভাবে সৃষ্টি হয়? উত্তর হলো আমরা সামাজিক জীব।
আর সমাজ পরিচালিত হয় মূলত প্রধান দুটি মতবাদের দ্বারা। একটি হচ্ছে ভাববাদ, অপরটি হলো বস্তুবাদ।
ভাববাদ শিক্ষা দেয় শ্রীরামকৃষ্ণের ভাষায়" মন মুখ এক করো", আর বিপরীত শিক্ষা দেয় বস্তুবাদ।
বতর্মান সমাজ ভাববাদকে পরিত্যাগ করে বস্তুবাদকে বেশি করে আঁকড়ে ধরেছে। তাই বেশি করে "ভাবের ঘরে চূরি" হচ্ছে। সমাজ তাই সত্যকে ত্যাগ করে মিথ্যা-নিরভর হয়ে উঠছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্নীতি, হিংসা।
কারণ আমরা বস্তুবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছি।
মনে রাখতে হবে ভাববাদ মানুষকে সত্যনিষ্ঠ করে আর বস্তুবাদ মানুষকে কপটতা পূর্ণ ভোগবাদী হতে সাহায্য করে।
তথাকথিত বস্তুবাদী দার্শনিক মতবাদ তাই যুগে যুগে পরাস্ত হয়েছে। কিন্তু ভাববাদী দার্শনিক মতবাদ যুগে যুগে হয়েছে জয়ী।
আমাদের দেশে ভাববাদ প্রযোজ্য, বস্তুবাদ নয়।
আমার প্রিয় বন্ধুরা কি বলেন?
অনুভবের নৈবেদ্য--৭
৫ বৈশাখ ১৪২৯
+++++++++
পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়
*************""
প্রতিটি জীব জীবনে একটাই জিনিস চায়। আর সেটা হল আনন্দ। কারণ জীবের প্রকৃত স্বরূপ হল আনন্দময়----তার উৎস হল সৎ-চিৎ-আনন্দরূপ পরমাত্মা। তাই মানুষ তথ্য জীব আনন্দ খুঁজে বেড়ায় সর্বদা। কিন্তু মানুষ সেই আনন্দ পায় না।
সাংসারিক আনন্দ ক্ষণস্থায়ী। তার পেছনেই মানুষ ছুটে বেড়ায়। কিন্তু চির-আনন্দ আছে পরমাত্মায়। মায়াবদ্ধ জীব সেই পরমাত্মাকে ভুলে পার্থিব সুখভোগের পিছনে অবিরাম ছুটে চলেছে। তাই তো মানবজীবনে এত দুঃখ। এত কষ্ট। এত যন্ত্রণা।
এই চরম নরক-যন্ত্রণাভোগের হাত থেকে চিরমুক্তির পথ দেখালেন ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ।
তিনি বললেন----একহাতে সংসার করো। আর এক হাতে ঈশ্বর ধরো। যখন সংসার- কর্ম হয়ে যাবে তখন দুহাতে ঈশ্বরকে ধরবে।
এ এক অতি চমৎকার পথ চির আনন্দ লাভের।
১০০% পরীক্ষিত সত্য পথ। এখন দরকার শুধু জীবনে অভ্যাস করা।
ভগবান কি চান?
মানুষের মধ্যে সততা ও একতা। আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। তাহলেই তিনি খুশি।
মানুষ যখন আর কোন কিছুর উপরেই আশা রাখতে পারে না তখন সর্বশেষে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের উৎস, সর্বময় কোন শক্তির উপরই ভরসা করে।
আজ(৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬.৪৫ মিনিটে রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ আয়োজিত ধর্মসভায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকব।
বিষয় : কে বলে ঠাকুর নেই!
বন্ধুরা সবাই স্বাগত।
যে মানুষ অপরের কল্যাণ চায় ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ তারই কল্যাণ করেন।
“মা কি কম জিনিস গা? চৈতন্যদেব কত বুঝিয়ে তবে মার কাছ থেকে চলে আসতে পাল্লেন। শচী বলেছিল, কেশব ভারতীকে কাটব। চৈতন্যদেব অনেক করে বোঝালেন। বললেন, ‘মা, তুমি না অনুমতি দিললে আমি যাব না। তবে সংসারে যদি আমায় রাখ, আমার শরীর থাকবে না। আর মা, যখন তুমি মনে করবে, আমাকে দেখতে পাবে। আমি কাছেই থাকব, মাঝে মাঝে দেখা দিয়ে যাব।’ তবে শচী অনুমতি দিলেন।"
মৃত্যুকে ভয় নয় । মৃত্যু হল চেতনার এক স্তর থেকে আরেক স্তরে পৌঁছনো। তাই মৃত্যু সর্বদা আনন্দের ।মৃত্যু তোমায় সুস্বাগতম ।
প্রশ্ন হল সাধু কাকে বলে?
&&&&&&&&&&&&&&&
পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়
⭐⭐⭐⭐⭐⭐
সাধু বলতে সাধারণত আমরা গেরুয়া ধারী কোনো মানুষকে বুঝি। ব্যাপারটা তা নয়।
সাধু মানে যাঁর ঈশ্বর-অনুভূতি হয়েছে। তিনি গেরুয়া ধারী হতে পারেন, আবার একজন প্যান্ট শার্ট ধুতি পরা সংসারী মানুষও হতে পারেন।
যে কথাগুলো প্রায় শোনা যায় যে, সাধুবেশে বহু মানুষ বহু খারাপ কাজ করছে। তাহলে প্রকৃত সাধু চিনবো কি করে?
উত্তর হলো, সাধু মানুষ চেনা খুব কঠিন কাজ।
কারণ জহুরী একমাত্র জহর চিনতে পারে। কোনো আলু বিক্রেতা কখনোই বহু মূল্যবান জহর চিনতে পারে না।
কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ কত দোষ ত্রুটি নিয়ে চলি, আমরা তাহলে সাধু চিনতে পারি কী?
তাই সবার আগে প্রয়োজন নিজেকে তৈরি করা।
স্বামী বিবেকানন্দ তাই বলছেন, Change yourself at first. প্রথমে নিজেকে পরিবর্তন করো।
অর্থাৎ প্রথমে নিজেকে ঈশ্বরমুখী করো। ঈশ্বরের প্রতি একটা প্রগাঢ় অনুরাগ তৈরি করতে হবে।
আর এভাবেই যখন অন্তরে দিব্য জ্যোতি প্রকাশ ঘটবে তখন কে সাধু, আর কে অসাধু তা সেই আলোকে চেনা যাবে। তার আগে নয়।
হিমালয়ে তপস্যা কালে কয়েক জন ব্রহ্ম জ্ঞানী মহাত্মার সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়, ভগবান শ্রী রামকৃষ্ণের অপার করুণায়।
তাঁদের পদতলে বসে এই শিক্ষাই লাভ করেছি, কে সাধু, আর কে অসাধু এ বিচারে তোমার কাজ নেই। বরং তুমি সাধু হওয়ার চেষ্টা করো। এবং তুমি তা হতে পারলে, তখন দেখবে, তোমাকে আর প্রকৃত সাধুর সন্ধানে, এখানে সেখানে ঘুরতে হচ্ছে না, তোমার কাছেই তাঁরা এসে হাজির হচ্ছেন।
এটা হলো GAME OF GOD.
সুতরাং তোমাকে কিচ্ছুটি করতে হবে না।
একটাই কাজ করো------
BE GOOD and DO GOOD.
দেখবে, জগতে কে সাধু হলো আর হলো না, তুমি তোমার নিজের অজান্তেই সাধু হয়ে গেছ।
**আজকের বিষয় দান দাতা দেয় (উচ্চারণ দেয়ো)
দান আমরা অনেকেই করে থাকি। জীবনে কখনো কিছু দান করেন নি এমন মানুষ বিরল। তবে আমরা যে দানের বিশেষত্ব না জেনেই দান করে থাকি, এই কথা বললে অত্যুক্তি হবে না।
দান বলতে বুঝি কারো কোনো অভাব পূরণ করা, কোন প্রতিদানের আশা না করে। কিছু পাবার আশায় কিছু দিলে সেটা দান হলো না। আবার তেমনি উপহার দেওয়াও দান নয়। সাদা কথায় অভাবীকে দেওয়াই দান।
আচার্য শঙ্করের মতে 'দানম্ সম্বিভাগ' অর্থাৎ দান হল সমান ভাগে ভাগ করা। একজনের কাছে আছে আরেকজনের নেই , অথবা একজনের বেশি আছে আরেকজনের কম আছে এমন জিনিস ভাগ করে নেওয়া।
দেয় (উচ্চারণ দেয়ো) বা দান করার জিনিস বহু রকমের। সেসব বিষয়ের মধ্যে প্রধান হলো শ্রম দান, অর্থ দান, অন্নদান, বিদ্যা দান, ও ধর্ম দান। যে কোন ধর্ম দিলেই হবে না, এমন ধর্ম দেওয়া, যে ধর্ম মানুষকে আত্মসচেতন, আত্মনির্ভরশীল, সৎ বলিষ্ঠ, নিঃস্বার্থ ও উদার করে - আত্মজ্ঞান লাভে উদ্বুদ্ধ করে। শ্রম দানের মধ্যেই আছে সময় ও সহানুভূতি দেওয়া। আজকাল মানুষ বড় একাকী, সেখানে সঙ্গ দেওয়া, মনোযোগ ও সহানুভূতি দিয়ে কথা শোনা, একটি বড় দান।
দানের প্রশংসা গীতা উপনিষদেও আছে -
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলছেন অর্জুনকে :
যজ্ঞদানতপঃকর্ম ন ত্যজ্যং কার্যমেব তৎ।
যজ্ঞো দানং তপশ্চৈব পাবনানি মনীষিণাম্॥
গীতা ১৮/৪।
অর্থাৎ, যজ্ঞ দান তপস্যা ইত্যাদি কর্ম ত্যজ্য নয়, বরং করণীয় কার্য। কেননা এসব কর্ম মানুষকে পরিত্রাণ করে।
শুধু তাই নয়, উপনিষদে বলা হয়েছে, সামর্থ্য অনুযায়ী, অর্থাৎ ক্ষমতা অনুযায়ী দান করবেন, লোককে দেখাবার জন্য অত্যধিক পরিমাণ দান করা উচিৎ নয়। আবার কৃপণতা করলে দানের মর্যাদা থাকেনা।
এছাড়া উপনিষদে আরও বলা আছে কিভাবে বিনম্র হয়ে শ্রদ্ধাভরে দান করতে হবে।
তৈত্তিরিয় উপনিষদ বলছেন -
শ্রদ্ধয়া দেয়ম্। অশ্রদ্ধয়া অদেয়ম্। শ্রিয়া দেয়ম্। হ্রিয়া দেয়ম্। ভিয়া দেয়ম্। সংবিদা দেয়ম্।
অর্থাৎ, যখন দান করবে, শ্রদ্ধা সহ করবে, অশ্রদ্ধা পূর্বক দান করা অনুচিত। নিজের সামর্থ্য অনুসারে, সলজ্জ ভাবে, অর্থাৎ বিনয় সহকারে, সংবেদনশীল মিত্রভাবে করবে - অর্থাৎ, দানের সময় দাতা উঁচু অবস্থান নিয়ে কাউকে, 'ওহে এসো তোমার বড় কষ্ট তোমাকে কিছু দিই, তুমি নিয়ে কৃতার্থ হও', এভাবে নয়। দানের সময় মনে এই ভয় থাকবে যে দাতার ও গ্রহীতার মনে যেন কোনো বিরূপ ভাবনা না আসে।
এভাবে দিতে পারলে যে কোন দান ঈশ্বরীয় অনুভূতি প্রদান করে।
এইজন্যই সব ধর্মেই দানকে অবশ্যকর্তব্য বলা হয়েছে, এমনকি অবস্থা বিশেষে বাধ্যতামূলক বলা হয়েছে।
শ্রীমদভগবদ্গীতায় উত্তম মধ্যম ও অধম দানের কথা বলা হয়েছে।
দাতব্যমিতি যদ্দানং দীয়তেঽনুপকারিণে ।
দেশে কালে চ পাত্রে চ তদ্দানং সাত্ত্বিকং স্মৃতম্। গীতা ১৭/২০।
যৎ তু প্রত্যুপকারার্থং ফলমুদ্দিশ্য বা পুনঃ।
দীয়তে চ পরিক্লিষ্টং তদ্দানং রাজসং স্মৃতম্॥
গীতা ১৭/২১
অদেশকালে যদ্দানমপাত্রেভ্যশ্চ দীয়তে।
অসৎকৃতমবজ্ঞাতং তৎ তামসমদাহৃতম্॥
গীতা ১৭/২২
অর্থাৎ, 'দান করা কর্তব্য' এইভাবে প্রত্যুপকারের আশা না করিয়া পুণ্য স্থানে, শুভ সময়ে, ও উপযুক্ত পাত্রে যে দান করা হয় তাকে সাত্ত্বিক দান বলে। যে দান প্রত্যুপকারের আশায়, কোন পারোলৌকিক (বা ইহলৌকিক) ফল লাভের উদ্দেশ্যে এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও করা হয় তাকে রাজসিক দান বলে। অশুচি স্থানে, অশুভ সময়ে, ও অযোগ্য পাত্রে, অবজ্ঞা পূর্বক, প্রিয় ব্যবহার বিনা, অবজ্ঞার সঙ্গে যে দান করা হয় তাকে তামসিক দান বলে।
যদিও দানের ভিতর এত কথা আছে, দান করাটা কিন্তু উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য ঈশ্বরলাভ। তা না হলে ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ যেমন বলেছেন, " কালীঘাটে গিয়ে দানই করতে লাগলো, ঠাকুর দর্শন আর হলো না"।
***
সংকলিত :: প্রণম্য নিশীথ মহারাজ🙏🏻🙏🏻🙏🏻
সকলের মাঝে আছো হে ঠাকুর,
সকল-হৃদয়ে করিছ বাস।
তোমারে স্মরিয়া জীবন যাক
এই শুধু মনের আশ।।
জগতে ভালো ও মন্দ দুইই আছে এবং থাকবে। কিন্তু আধ্যাত্মিক পথের পথিকরা শুধুমাত্র সেই ভালো নিয়ে থাকে। মন্দগুলোকে এড়িয়ে যায়।
ঈশ্বরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস এমন একটি উচ্চ ভাব, যে ভাব মানুষকে দেবতায় রূপান্তরিত করে।
শরীরের বাইরের ময়লা দূর করার জন্য আছে বিভিন্ন সাবান। কিন্ত মনের ময়লা দূর করবে কিভাবে? গুরু প্রদত্ত মন্ত্রজপ হল সেই সাবান।।
এই মানব-শরীরে জন্ম হল কেন? শুধু পশুর মতো ভোগ করার জন্য? না গো না। এই শরীর দিয়ে ঈশ্বরের সাধনা করার জন্যই এই জন্ম।।
যতই অন্যের দোষ দেখবেন, ততই সেই দোষ বা নেগেটিভিটি আপনাকে প্রভাবিত করবে। তাই সর্বদাই অন্যের গুণের প্রশংসা করুন ।।
মা আসছেন । মা জাগবেন প্রতিটি মানুষের মনে। শুধুই আনন্দ উৎসব নয় । ডুব দিতে হবে মনের গভীরে । সেখানেই যে মা সদাসর্বদা জাগ্রত থাকেন।
আধ্যাত্মিক গুরু হলেন এক অত্যাশ্চর্য চুম্বক। তাঁর চুম্বকীয় আকর্ষণে শিষ্য শিষ্যা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছে যায়। তাই জীবনে সদগুরুর প্রয়োজন আছে ।
ঈশ্বরের কৃপায় এই অতি দুর্লভ মানুষ-জন্ম পেয়ে এজীবনে যদি তাঁর সাধন-ভজন না করে কাটে, তাহলে আর মানুষ-জন্ম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এমন সাধের জীবনটাই বৃথা গেল।
গুরুর কথা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে যারা সেই কথা জীবনে পালন করে, সেইসব শিষ্য শিষ্যা আধ্যাত্মিক পথে অতি দ্রুত এগিয়ে যায়।
বুদ্ধি দিয়ে যা মাপা সম্ভব নয়, বিজ্ঞানে যার ব্যাখ্যা নেই, তাকেই আমরা বলি অলৌকিক। তেমনি নানান অলৌকিক ঘটনায় সমৃদ্ধ। রহস্যময় ও রোমহর্ষক এবং রোমাঞ্চকর। প্রকাশিত হয়েছে এক সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিকতায় মোড়া খুবই ভালো লাগার বই " জ্ঞানগঞ্জের মহাসাধিকা ভৈরবী বিষকন্যা" । এই গ্রন্থটি পড়ার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই যোগাযোগ করুন। ঘরে বসেই কুরিয়ার সার্ভিস মারফত পেয়ে যাবেন।
একদা এক সাধু ব্যাক্তি হেঁটে যাচ্ছিলেন।
যেতে যেতে এক রাজপুত্রের সাথে দেখা হল।
রাজপুত্র হে সাধু মাহাত্মা, আমাকে আশির্বাদ করুন। সাধু-রাজপুত্র চিরজিবি হও, তুমি রাজার পুত্র তুমি চিরকাল বেঁচে থাক। সাধু আবার হাঁটতে লাগল এবং একজন ব্রহ্মচারী ভক্তের সাথে দেখা হল।
সাধু তাকে আশির্বাদ করে বলল- হে প্রিয় ভক্ত যত তারাতারি সম্ভব মারা যাও।
তারপর সাধুর সাথে একজন সন্নাসীর দেখা হলে তাকে আশির্বাদ করে বলল- তুমি বাঁচ বা মরো।
শেষে একজন কসাইয়ের সাথে দেখা হল।
এবার সাধু বলল- তুমি মরও না জীবিত ও থেকো না।
যারা অত্যান্ত ইন্দ্রিয়পরায়ণ এবং ইন্দ্রিয় তৃপ্তির বাসনায় অত্যান্ত আসক্ত তারা মরতেও চায় না। সাধারণত রাজপুত্রের অনেক টাকা পয়সা আছে ইন্দিয় তৃপ্তির জন্য, সে কারণে মহান ঋষি তাকে বেঁচে থাকার বর দান করেছিলেন।
যাতে সে বেঁচে থেকে এ জীবণ উপভোগ করতে পারে, কিন্ত মৃত্যুর পর সে নরকে যাবে। যেহেতু ব্রহ্মচারী ভক্ত ভগবানের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য কঠোর,
ব্রহ্মচয় তপস্যা এবং কপদকহীন জীবণ নিবাহ করে তাই ঋষি বলেছিলেন যে তৎক্ষনাৎ মৃত্যুবরণ কর।
যাতে সে কঠোর ব্রহ্মচযের পরিবতে ভগবানের কাছে ফিরে যায়। যেহেতু ব্যাধ এই জগতে প্রানি হত্যা করে আতঙ্কজনক জীবণ অতিবাহিত করেন এ কারনে যখন সে মারা যাবে, সে নরকে যাবে।
তাই ঋষি তাকে বলেছেন মরও না আবার জীবিত থেকো না এবং সাধু ব্যাক্তি বেঁচে থাকতেও পারে এবং মরতেও পারে। কারণ যে এই জগতে পরমেশ্বর ভগবানের সেবা করছে। মৃত্যুর পরেও ভগবানের সেবা করতে পারবে।উভয় অবস্থায় সে ভগবানের সেবা করছে।
যে মানুষের প্রকৃতই ভগবানে ভালোবাসা আছে, স্বয়ং ভগবান তাকে আধ্যাত্মিক পথ প্রদর্শক ঠিক জুটিয়ে দেন। এটা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ।
ঈশ্বরের সাধনাতে দীর্ঘসূত্রিতা অর্থাৎ আজ নয়, কাল করব--এমন ভাব খুব ক্ষতিকারক। যা করতে হবে আজ এই মুহূর্তেই করতে হবে।
মানুষের সাহায্য করার ক্ষমতা খুবই সীমিত কিন্তু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান। তাই অন্যকে প্রকৃত সাহায্য করতে হলে তাকে ঈশ্বরের দিকে এগিয়ে দিন
প্রকৃত স্বাধীনতা হল মনের মুক্তি। মানুষ মনেতেই স্বাধীন। মনেতেই পরাধীন।আসক্তিহীন মন স্বাধীন।আর স্বাধীন মনেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায় ।
যদি চোখের চাউনি হয় পবিত্র, মন হয় সমদর্শী এবং বিবেক হয় বিচারশীল, তবেই তুমি একজন প্রকৃত আদর্শ মানুষ।
কথামৃতে দেখতে পাই শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন, কেউ যদি যথার্থ অনুতপ্ত হয়ে ভগবানকে বলে যে, এমন কর্ম আর করব না এবং মনে মনে সতর্ক ও সচেতন হয়ে সৎপথে, সত্যপথে চলে, তাহলে ভগবান তাকে রক্ষা করেন।
আমাদের শাস্ত্রেও তাই বলা আছে। ভগবানের কাছে অহরহ একান্ত মনে প্রার্থনা জানাতে হয় এই বলে যে-- আমি ভুলবশত আগে যা করেছি, তা আর কখনও করব না। তুমি আমাকে ক্ষমা করো। তাহলে ভগবান সে প্রার্থনা শোনেন।
ভগবান সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার হওয়া দরকার, তিনি নিষ্ঠুর নন, নিষ্করুণ নন। অসীম করুণাময়, অসীম প্রেমময়, সর্বজ্ঞ, সর্বান্তর্যামী।
ভগবানের এই গুণগুলি যদি মনের মধ্যে অহরহ চিন্তা করতে থাক, তাহলে তোমার মনের যে অনুতাপ, যে কষ্ট তা দূর হয়ে যাবে!
ভগবানকে বিশ্বাস করো। ভগবানে বিশ্বাস হারালে সব হারিয়ে ফেলবে। শ্রীভগবানের নাম করো। তুমি যে মন্ত্র পেয়েছ, তাতেই তোমার গতি ও মুক্তি-- এই কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করো। সেই পবিত্র নাম অহরহ জপ করতে থাকো।
------------ প্রব্রাজিকা মোক্ষপ্রাণা ( শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের দ্বিতীয় সঙ্ঘাধ্যক্ষা)
।।।। ঠাকুরের প্রাথমিক জীবন।।।।
পিতা ভুবনমোহন চট্টোপাধ্যায় ও পিতার গুরু স্বামী ভাস্করানন্দ সরস্বতীর ইচ্ছানুসারে জন্মের পর নিগমানন্দের নাম রাখা হয়েছিল নলীনীকান্ত।
১৩০০ বঙ্গাব্দে যখন নলীনীকান্ত গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছিল, তখন তার মাতা মাণিক্য সুন্দরী দেবী কলেরায় মারা যান যা তাকে বিষন্নতায় আচ্ছন্ন করেছিল।
১৩০১ বঙ্গাব্দে তিনি ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষায় পাস করেন এবং মেহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছু সময়ের জন্য পড়াশোনা করেন। ১৩০২ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে তিনি জরিপ বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ঢাকা আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন।
নলীনীকান্তের পিতা ১৩০৩ বঙ্গাব্দে হালিশহরের সুধাংশুবালা দেবী নামের এক ত্রয়োদশবর্ষীয়া বালিকার সাথে নলীনীকান্তের বিয়ে দেন। ১৩০৫ বঙ্গাব্দে পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর জীবিকা অর্জনের জন্য তিনি রাণী রাসমণির এস্টেট দিনাজপুর জেলা বোর্ডে চাকরিতে যোগ দেন।
১৩০৭ বঙ্গাব্দে ভাদ্র মাসের শেষে (বিয়ের প্রায় ৫ বছর পর) যখন তিনি নারায়নপুর এস্টেটে (জমিদারিতে) সুপারভাইজার পদে কাজ করছিলেন, তখন একদিন রাত্রে নলীনীকান্ত হঠাত্ টেবিলের নিকট সুধাংশুবালা দেবীর (যার সেই সময় কুতুবপুরে থাকার কথা) বিষন্ন দৃষ্টিতে তাকানো নীরব ছায়ামূর্তি দেখতে পান।
তিনি তখনই কুতুবপুরে খোঁজ নিতে গেলেন এবং জানতে পারলেন যে নারায়নপুরে ছায়ামূর্তি দেখার ঠিক এক ঘণ্টা পূর্বে সুধাংশুবালা দেবী ইহলোক ত্যাগ করেন; পুনরায় নলীনীকান্তের জন্য প্রচন্ড আঘাত। তিনি গুপ্ত/অতিপ্রাকৃত বিজ্ঞানের (occult science) সাহায্যে তার সহধর্মিণীর নিকট পৌঁছানোর চেষ্টা করেন কিন্ত্তু ব্যর্থ হন।
জয়গুরু জয়গুরু 🙏🙏
লাঠি বা পাথরের আঘাতে হাড়গোড় ভাঙে কিন্তু মুখ দিয়ে বলা শব্দ বা বাক্যের আঘাতে ভাঙে মন বা সম্পর্ক। তাই শব্দ ব্যবহারে সচেতন হতে হবে
পবিত্রতা হলো একটি দৈবীগুণ। সম্পূর্ণ পবিত্রতাসহ এবং বিশ্বাসসহ আন্তরিক ভাবে ঈশ্বরকে ডাকলে তাঁর সান্নিধ্য লাভ করা যায়।
মানুষের জীবনে এত দুঃখ যন্ত্রণা বিপদ কেন? গত গত জন্মের কৃতকর্মের ফল। এর থেকে মুক্তির একমাত্র পথ নিয়মিত ঈশ্বরের নাম জপ করা।
মানুষ থেকে শুরু করে কীটানুকীট জীব এবং জড়ের মধ্যে সেই পরম ব্রহ্মের শক্তি বহমান । কোথাও তা জাগ্রত, কোথাও তা ঘুমন্ত।
প্রশ্নোত্তর পর্ব - ১
**************************
পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়
===================
ফেসবুকের অনেক বন্ধু অনেক সময় অনেক ধরনের প্রশ্ন করেন। সেইসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি ধারাবাহিক ভাবে।
আজকের প্রশ্ন : আমার খুব আর্থিক অনটন চলছে। সংসারে নিত্য অশান্তি চলছে। ছেলে পাশ করে বসে আছে। চাকরি পাচ্ছে না। আমি যদি দীক্ষা নিই, তাহলে কি সমস্যার সমাধান হবে? (অর্পিতা ঘোষ, কলকাতা)
উত্তর : দেখুন প্রথমেই বলি, জীবনে যেসব সমস্যা আসে, তার জন্য না ঈশ্বর, না কোনো ব্যক্তি-মানুষ দায়ী। যার যার গত গত জন্মের কৃতকর্মের ফল হিসেবেই তার তার জীবনে নানান বাধা বিপত্তি সমস্যা দেখা দেয়।
এখন আপনার যে আর্থিক অভাব চলছে, তার সমাধান কিন্তু দীক্ষা নয়। মাথা ঠান্ডা করে ভাবুন কিভাবে অর্থ আসবে। অর্থ উপার্জনের নানা পথ আছে। টিউশন করুন। ছেলেকেও বলুন টিউশন করতে। ইউটিউবে রান্নার ভিডিও আপলোড করেও অনেকে অর্থ রোজগার করে। ছোটখাটো ব্যবসাও করা যেতে পারে।
আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে এক মহিলাকে বলেছিলাম, ছোট ছোট বাচ্চাদের জামাকাপড় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিক্রি করতে। আমার কথা শুনে সেই মহিলা মাত্র 500 টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। আর আজ বছরে তিন লক্ষ টাকা উপার্জন করেন এবং একটা স্থায়ী দোকান করে ফেলেছেন।
আর দীক্ষা হল বাস্তব সমস্যা থেকে মুক্তির পথ নয়। দীক্ষা হল ভগবানের সাথে সম্পর্ক তৈরির সেতু। তবে হ্যাঁ দীক্ষা নিয়ে নিয়মিত ঈশ্বরের স্মরণ-মনন করলে তাঁর কৃপাতে কর্মফল ভোগ কমে। কিন্তু আপনার এখন যা অশান্ত মন তাতে দীক্ষা নিয়ে সঠিক ভাবে মন্ত্র জপ করা সম্ভব হবে না। তাই আগে একটু নিজেকে সামলে নিন। মনকে প্রস্তুত করুন দীক্ষার জন্য। তারপর অবশ্যই দীক্ষা নিয়ে নেবেন ।