Dr. Pinaki Ranjan Ghosh
স্বাস্থ্য ই সম্পদ , তাই চেষ্টা করুন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ।
নিম্ন রক্তচাপ হলে সাথে সাথে কী করবেন জেনে রাখুন
জানুন
শিশুকে কেউ চুমু খেতে চায়, দরজার বাইরে বার করে দিন! শিশুর জীবনের বিনিময়ে ভদ্রতা নয়।
১ জুলাই ২০১৭ সালে ইউ এস এর আইওয়াতে জন্ম হয়েছিল মারিয়ানা সিফ্রিট এর। সুন্দর স্বাস্থ্যবান বাচ্চা ছিল সে। ৭ জুলাই, তার মা বাবার বিয়ের অনুষ্ঠানের মাত্র দু ঘন্টা পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখলেন সে মেনিঞ্জাইটিসএইচ এস ভি-১ এ আক্রান্ত। যা কি না হারপিস মেনিঞ্জাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হয়েছে। এই ভাইরাস সেক্সুয়াল কন্ট্যাক্টের দ্বারা ট্রান্সমিটেড হতে পারে। মা থেকে সন্তানের মধ্যেও ছড়াতে পারে। কিন্তু মারিয়ানার বাবা মাকে পরীক্ষা করে ফল নেগেটিভ পাওয়া গেল।
সুতরাং ডাক্তাররা অনুমান করলেন তাদের বাড়িতে কোন ব্যক্তি এসেছিল যে ওই রোগের ক্যারিয়ার ছিল এবং মারিয়ানার ঠোঁটে চুম্বন করেছিল।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দু দিনের মধ্যে মারিয়ানাকে ছয়বার ব্লাড ট্রান্সফিউসন করা হয়েছিল। কিন্তু তার কিডনি এবং লিভার কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
১১ জুলাই নিকোল সিফ্রিট ফেসবুকে পোস্ট করলেন তাঁর বাচ্চার ব্রেন হার্ট লাং 'স্টপড ফাংশনিং'।
পরদিন ১২ জুলাই সকালে মারিয়ানার মৃত্যু হয়।
তাই বলি, কেউ যদি আদিখ্যেতা করে আপনার শিশুকে চুমু খেতে চায়, কান ধরে দরজার বাইরে বার করে দিন। শিশুর জীবনের বিনিময়ে কোন ভদ্রতা নয়।
লিখেছেনঃ রাজিক হাসান
আমরা আমাদের মনকে যদি শান্ত রাখতে পারি তাহলে টেনসন থেকে অনেক দূরে থাকতে পারবো।আর টেনসন ই হলো যত রোগের মূল উৎস।তাই আমাদের সবার আগে আমাদের মনকে শান্ত করতে হবে।তাহলে আমরাই পারবো নিজেদের কে অনেক সুস্থ এবং নিরোগ রাখতে।
⚕️1 ক্ষমা করতে শিখুন আর কিছু কথা ভুলতে শিখুন।
⚕️2 বিশেষ পরিচিতির আশা রাখবেন না ।
⚕️3 কারোর কাজে ততক্ষণ হস্তক্ষেপ করবেন না, যতক্ষণ না সে আপনাকে বলছেন।
⚕️4 নিজেকে যে কোনো পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
⚕️5 ততটাই কাজ করুন, যতটা করার ক্ষমতা আপনি রাখবেন।
⚕️6ঈর্ষামুক্ত হয়ে অন্যের করা ভালো কাজের প্রশংসা করতে হবে।
⚕️7 এমন কোনো কাজ করলে হবে না যার জন্য ভবিষ্যতে আপনাকে অনুতাপ করতে হয়।
⚕️8 বুদ্ধিকে খালি রাখতে দিলে হবে না, যে কোনো সুন্দর কাজে সর্বদা ব্যস্ত রাখতে হবে।
⚕️9 রোজ ধ্যানের অভ্যাস করতে হবে আর সারাদিনে নিজের কৃত কাজের বিশ্লেষণ করতে হবে।
⚕️10 যে কখনোই পরিবর্তন হবে না, তাকে সহ্য করতে শিখতে হবে।
(মেডিক্যাল সাইন্স আর ভারতবর্ষের বড় বড়ো ডক্টর দের মত অনুযায়ী 🌹🌹)
🌹🙏জনস্বার্থ 🙏🌹
জনস্বার্থে প্রচারিত হোক দিকে দিকে।
অনেকে কলকাতার এসএসকেএম
(S S K M) তথা পিজি হসপিটালের
আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে আসেন,
কিন্তু বুঝতে পারেন না যে কোন দিন
কোন আউটডোর খোলা থাকে। তার
ফলে হসপিটালে আসার পরে অনেক
সমস্যার সম্মুখীন হতেও হয় সাধারণ
মানুষের।
তাদের জন্য একটা ওপিডি লিস্ট !
আশা করি এ থেকে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন:-
🏥OPD LIST::SSKM HOSPITAL✅✅
⏺Monday to Saturday (everyday):
1) CARDIOLOGY
2)CTU
3)ENT
4)EYE
5)SKIN
6) SURGERY
7) MEDICINE
8) ORTHOPAEDIC
9) GASTROENTEROLOGY
10) PAEDIATRIC medicine
11) Gyne and maternity clinic
12) Psychiatry
13) PAC
⏺Monday, Wednesday & Friday
1) Nephrology
2) Urology
3) Rheumatology
4)Gastrosurgery
5) Respiratory medicine
6) Paediatric surgery
⏺Tuesday, Thursday & Saturday
1) Plastic surgery
2) Pulmonary medicine
🎯 Diabetes:Wed, Thu & sat
🎯 Thyroid: Mon, Tue & Fri
🎯PMR (School of physical medicine):Mon ,Tue ,Wed & Fri
🌹খুব ভালো সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের....... !!
দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে নয়,
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ নিতে টিকিট কাটুন অনলাইনেই।
================================
💕 এবার সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে লাইন দিয়ে ঘন্টার পর ঘণ্টা হাপিত্যেশ হয়ে টিকিট কেটে রোগী দেখানোর দিন শেষ হচ্ছে !!
এবার বাড়িতে বসে নিজের স্মার্ট ফোন থেকেই কাটতে পারবেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের আউটডোরের টিকিট !!
এবার এমনই একটা সুযোগ এনে দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর !!
আসুন দেখে নি কি ভাবে এই সুবিধা;-
👉প্রথমে ভিজিট করুন স্বাস্থ্য দপ্তরের নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.wbhealth.gov.in
👉এরপর Select করুন 'OPD Tickests Booking' এই অপশন।
অথবা ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে-
http://onlinehmis.wbhealth.gov.in:8006
👉 এরপর একটি ফোন নাম্বার দিয়ে SUBMIT করুন, যেটাতে আপনি OTP পেতে চান।
👉 এবার আপনার ফোনে প্রাপ্ত OTP নাম্বারটি দিয়ে ফোন নাম্বার ফেরিভাই করুন।
👉 নাম্বার ভেরিফাই করার পর নতুন একটা পেজ খুলবে,সেখানে Drop down menue থেকে Select করুন কোন সরকারি হসপিটালের OPDএর টিকিট নিতে চান সেটা দিন।
👉যে তারিখে, আপনার পছন্দের যে ডাক্তারবাবুকে যত নাম্বার রুমে দেখাতে চান সেই সমস্ত তথ্য সহ অন্যান্য সমস্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সেভ করুন,তাহলেই আপনার কাজ শেষ।
★রাজ্যের যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালে এই সুবিধা চালু হলো সেগুলোর তালিকা নিচে দিলামঃ-
👉 N.R.S. MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉 S.S.K.M HOSPITAL & IPGMER
👉 R.G.KAR MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉CALCUTTA NATIONAL MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉MURSHIDABAD MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉BANKURA SAMNILANI MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉 IPGMER & SSKM Annex-1 BANGUR INSTITUTE OF NEUROSCIENCES
👉MALDA MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉MIDNAPUR MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉 BARDWAN MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉NORTH BENGAL MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉PURULIA GOVT MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL/DEBEN MAHATO SADAR HOSPITAL
👉 COOCHBEHAR GOVT MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL, MJN HOSPITAL
👉RAIGANJ GOVT MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉 DIAMOND HARBOUR GOVT MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
👉 RAMPURHAT GOVT MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
http://onlinehmis.wbhealth.gov.in:8006
🙏"জনস্বার্থে সকলে শেয়ার করলে আপনাদের চেনা পরিচিত আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীসহ আরো বহু মানুষ আরও বেশি বেশি করে জানতে পারবেন" !!
বন্যা চলাকালীন পরিস্থিতিতে সাপ সম্পর্কিত জরুরী বার্তাঃ→
🟤 বন্যা চলাকালীন সময়ে সাপের আবাস্থল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটের কারণে সাপ আশ্রয় খুঁজতে থাকে এবং মানুষের বসত-বাড়িতে অবস্থান নিতে থাকে। সাপের জন্য উপযোগী একটু উঁচু স্থান পেলেই সেখানে অবস্থান নেয়।
🟤 বাড়িতে সাপ পানিতে সাতঁরানো কিংবা কোন বস্তুকে আঁকড়ে লুকিয়ে অবস্থান নেয়া অবস্থায় থাকতে পাড়ে। তাই কোন কিছু পরিষ্কার কিংবা অন্যত্র সরিয়ে ফেলার সময় খালি হাতে নিচে আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করা যাবে না। আগে চেক করে নিতে হবে লাঠি কিংবা অন্য কিছুর সাহায্যে।
🟤 কেউ যদি বিষধর সাপের সম্মুখের হয়ে পড়ে ধীরে ধীরে পিছন দিকে সরে আসতে হবে। সাপকে তার মতো করে চলে যেতে দিতে হবে। না হয় তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। তবে সাপকে কোন অবস্থায় আঘাত না করা এবং ধরতে না যাওয়া উচিত। এতে করে সর্প দংশনের ঝুঁকি থাকবে।
🟤 বাড়িতে বিষাক্ত সাপের উপস্থিতি থাকলে যেখানে সাপ তাড়ানো সম্ভব নয় জীবনের ঝুঁকি আছে তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ বনবিভাগ /৯৯৯/ সাপ উদ্বারে নিয়োজিত সংগঠন (Snake Awareness) গুলোকে ইনফর্ম করা।
🟤 কেউ সর্প দশংনের শিকার হলে পরবর্তীতে সাপ ধরতে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। সম্ভব হলে সাপটি দেখতে কেমন, বর্ণ (গায়ের রং) এবং দৈর্ঘ্য (কতুটুক লম্বা) এই সম্পর্কিত ধারণা রাখলেই চলবে। তাও ওই সময়টাতে জানা জরুরী নয় জানতে পারলে ভালো।
🟤 সাপের সম্ভাবনায় অপর পাশ দেখা যায় না এমন কিছুতে প্রথমেই হাত-পা না দেয়া। লাঠি কিংবা অন্য কিছুর সাহায্যে যে সাপ আছে কিনা তা আগে খেয়াল করে নিতে হবে।
🟤 সাপ আকর্ষিত হয় কিংবা লুকিয়ে থাকতে পারে, পানিতে ভাষমান এমন বস্তু অতিদ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
🟤 সর্বশেষে যদি প্রয়োজন হয় সম্ভব হলে বাড়ির চারিপাশে জাল দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে।
🟤 বন্যার কবলে পড়া অঞ্চল থেকে নিকটস্থ কোন্ কোন্ হাসপাতালে সর্প চিকিৎসা চলমান আছে সেটা পূর্বেই খোজঁ নিয়ে রাখতে হবে।
🟤 জরুরী পরিবহনসহ ইঞ্জিনচালিত নৌকা/ স্পিডবোট চালকদের নম্বর নিয়ে রাখা যাতে করে স্বল্প সময়ে হাসপাতালে পৌছে চিকিৎসা নেয়া যায়।
🟤 অন্ধকার এড়িয়ে চলতে হবে। যতটুকু সম্ভব প্রয়োজনে মোমবাতি, চার্জলাইট ইত্যাদির সাহায্যে নিয়ে চলতে হবে।
🟤এমন পরিস্থিতিতে যদি সুযোগ থাকে অবশ্যই রাতে ভালোভাবে মশারি গুঁজে দিয়ে ঘুমাতে হবে।
🟤 অন্তত বাংলাদেশর বিষধর সাপগুলো চিনে রাখা জরুরী এবং বিষধর সাপ দংশন পরবর্তী বিষক্রিয়া প্রকাশিত লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা। Snake Awareness গ্রুপে এই সম্পর্কিত বিস্তারিত রয়েছে জেনে নেয়ার অনুরোধ রইলো।
🟤 কার্বলিক এসিড কিংবা কোন রাসায়নিক পদার্থ সাপ তাড়াতে কার্যকর নয় অযথা গুজবে কান দিয়ে এসবের পিছে অর্থ ব্যয় না করি।
থাইরয়েড রোগের তালিকা।
#ভেলোরে গিয়ে আপনি কি কি করবেন সেটার পুরো বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। #ভেলোরে যারা চিকিৎসা করতে চান বা ভগবান না করুন কারো যদি ভেলোরে চিকিৎসার দরকার পড়ে তাদের জন্য কিছু তথ্য..
#ভেলোর সি এম সি সম্পর্কে কয়েকটি কথা.......
⚕️১/ ভেলোর:-
ভেলোর এর ট্রিটমেন্ট কতটা উপযোগী & উন্নতমানের সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমরা সাধারনত কোন উপায় না পেলে অবশেষে ভেলোর যায়। ওখানে কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, খরচ, মেডিসিন, যোগাযোগ, এপোয়েন্টমেন্ট এর বিস্তারিত নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি যাতে সকলের সাহায্য হয়। প্রসেস খুব নিয়মানুযায়ী হয় যাস্ট একটু জটিল।
⚕️ ২/ভাষা :-
হিন্দি/ইংরাজী ঠিকঠাক জানলে প্রব্লেম হওয়ার কথা নয়, তবে এখন পেসেন্ট এর ৭০% ই বাঙালী (bangladesh & westbengal er)... তাই বাংলা হলেও কাজ চলে যাবে।
⚕️ ৩/এপোয়েন্টমেন্ট:-
এপোয়েন্ট মুলত দুই প্রকার এর হয়
{১.} জেনারেল এপোয়েন্টমেন্ট ( জুনিয়ার ডাক্তার দেখেন)
{২. }প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট(
সিনিয়ার ডাক্তার রা দেখেন)
এখান থেকে কেউ গেলে অবশ্যই প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট নেবেন।
⚕️ ৪/এপোয়েন্টমেন্ট পদ্ধতি:-
সাধারনত অফলাইন & অনলাইন দুই রকমের এপোয়েন্টমেন্ট নেওয়া যায়। যেহেতু আমরা বাংলা থেকে যাচ্ছি তাই আমাদের ওখানে কোন লোক নেই ধরে নিয়ে অনলাইন এপোয়েন্টমেন্ট করাতে হবে।
অনলাইন এপোয়েন্টমেন্ট :- মোটামুটি যেহারে ভীড় হয়, তাতে কোন ডিপার্টমেন্ট এর প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট পেতে আপনাকে ১৫ দিন থেকে ৩ মাস অব্দি সময় লাগতে পারে।
⚕️ ৫/অফলাইন এপোয়েন্টমেন্ট:-
ভেলোর এর মেন গেট এ ঢুকলেই দেখতে পাবেন SILVER GATE FOR NEW APPOINTMENT..
আপনি আপনার প্রব্লেম টা ওখানে জানালেই ওরা নিদিষ্ট ডিপার্টমেন্ট এ এপোয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেবে। এক্ষেত্রে আপনি ৩-৩০ দিনের মধ্যে প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট পেয়ে যাবেন একপ্রকার নিশ্চিত।
⚕️ ৬/জরুরীকালীন ট্রিটমেন্ট:-
এর জন্য আলাদা EMERGENCY বিভাগ রয়েছে, সেখানে যাবেন। ওরাই সব প্রসেস বলে দেবে।
জেনারেল এপোয়েন্টমেন্ট:- অনলাইন অথবা অফলাইন এ করা যায়। ১-৩ দিন এর মধ্যে এপোয়েন্টমেন্ট পেয়ে যাবেন।
⚕️ ৭/কোন ডিপার্টমেন্ট এ যাবেন???
আপনি অনলাইন এ আপোয়েন্টমেন্ট নিতে গেলে কোন ডিপার্টমেন্ট এ নেবেন সেটা জানা জরুরী, নাহলে টাইম & পয়সা নষ্ট। ধরুন- কানের প্রব্লেম- ENT, হরমোন প্রব্লেম- endocrinology, ক্যন্সার পেশেন্ট:- onchology etc..
যদি না বুঝতে পারেন তাহলে ওদের সাইট এ দেওয়া হেল্পলাইন এ ফোন করে জেনে নিতে পারেন। প্রব্লেম বললেই ওরা ডিপার্টমেন্ট বলে দেবে। আপনার রোগ এর লক্ষন অনুযায়ী ডিপার্টমেন্ট এর আন্ডারে CLINIC বাছতে হয়।
⚕️ ৮/থাকা :-
এখানে রুম এর চাহিদা যেমন বেশি তেমন লজ ও আছে প্রচুর। ডবল বা ট্রিপল বেড এর রুম ১৫০-২০০ থেকে শুরু করে ১৫০০-২০০০ টাকা অব্দি। আপনি CMC থেকে যত দুরত্ব বাড়াবেন তত লজের রেট কমতে থাকবে। মোটামুটি ৭-৮ মিনিট হাঁটাপথের দুরত্বে আপনি ২০০-২৫০ টাকার রুম পেয়ে যাবেন। আপনি ২৪ ঘন্টা মানে একদিনের জন্য রুম বুক করে একটু খোজাখুজি করে কম দামে ভাল রুম ও দেখতে পারেন।
⚕️ ৯/খাওয়া-দাওয়া:-
অজস্র বাঙ্গালী হোটেল আছে, আপনি ৪০-৬০ টাকা/মিল হিসাবে ভাত পেয়ে যাবেন। এছাড়া সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার ও উপভোগ করতে পারেন তবে ৩-৪ দিন এর বেশি টানতে পারবেন না।
⚕️ ১০/CMC DETAILS:-
সিএমসি এর মেন ৩-৪ টা বিল্ডিং।
১. OPD BUILDING (outdoor patients) - আপনাকে ডাক্তার দেখবেন মুলত এই বিল্ডিং এ। এর ৫ টা ফ্লোর এ কাজ হয় সাধারনত।
> গ্রাউন্ড ফ্লোর:- এই ফ্লোর টা সমস্ত টেষ্ট এর জন্য বরাদ্দ। blood, x-ray,urine test সহ প্রায় সব টেষ্ট এখানে হয়। ডাক্তার যে টেষ্ট গুলো লিখে দিয়েছে, সেই স্লিপ টা নিয়ে পেমেন্ট ক্যাস কাউন্টার এ যেতে হয়। পেমেন্ট করার জন্য CASH / DEBIT -CREDIT-ATM CARD/ CRISS CARD ব্যাবহার করা হয়।(বিস্তারিত পরে দেওয়া আছে).।
পেমেন্ট করার স্লিপ এ লেখা থাকবে আপনাকে কোথায় কোন রুম এ যেতে হবে। ধরুন ব্লাড টেষ্ট এর জন্য - G20, XRAY- G11 এই রকম। আপনি সকাল সকাল এসে লাইন এ দাঁড়িয়ে টেষ্ট গুলো করিয়ে নিন। সকাল ৬ টা থেকে কাজ শুরু হয়ে যায়। আপনাকে ৫-৫:৩০ টা থেকে লাইন এ দাড়াতে হবে তাড়াতাড়ি এর জন্য।
> ফাস্ট ফ্লোর, সেকেন্ড ফ্লোর, থার্ড় ফ্লোর এ বিভিন্ন রুম এ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর প্রাইভেট & জেনারেল ডাক্তার রা দেখেন। আপনার এপোয়েন্টমেন্ট লেটার এ লেখা থাকবে আপনাকে কোথায় কোন ফ্লোর এ যেতে হবে।
উদাহরন স্বরুপ:-
>OPD Building SECOND FLOOR 210, report to MRO at 10:30am... র মানে হল আপনাকে সেকেন্ড ফ্লোর এ ২১০ নং রুম এর সামনে গিয়ে MRO COUNTER E এপোয়েন্টমেন্ট কপি টা জমা দিতে হবে সকাল ১০:৩০এর সময়। ১ ঘন্টা আগে পিছু হলেও প্রব্লেম হয়না সাধারনত।
> ISSCC BUILDING:- এটাও OPD BUILDING এর মত গুরুত্ব পুর্ন। এখানে যেসব কাজ গুলো হয়, নিউ এপোয়েন্টমেন্ট, রিপিট এপোয়েন্টমেন্ট, ফার্মেসী, ক্রিস কার্ড, CASH PAYMENT, & অবশ্যই ডাক্তার রাও দেখেন উপরের ফ্লোর গুলিতে।
⚕️১১/ NEW APPOINTMENT:-
সাধারনত ৪-১০ অব্দি কাউন্টার এ নিউ আপোয়েন্টমেন্ট, টেষ্ট, অনান্য কিছুর জন্য পেমেন্ট করা হয় নগদ টাকার মাধ্যমে।
⚕️ ১২/REPEAT APPOINTMENT :-
11-13 নং কাউন্টার এ কোন ডাক্তার এর পুনরায় এপোয়েন্টমেন্ট করানো হয়। এক্ষেত্রে কাউন্টার এ বল্ললেই হবে ডাক্টার কবে দেখতে চেয়েছে, ওরা এপোয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেবে।
ফার্মেসী :- সাধারনত ৩ মাসের জন্য ওষুধ দেয় রোগীদের। ফার্মেসী তএ পেমেন্ট করে ওষুধ নেবার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়।
⚕️১৩/ CRISS CARD:-
এই কার্ড টা বানিয়ে নিলে আপনার হয়রানি অনেকখানি কম হয়ে যাবে। আপানার HOSPITAL NO.( PATIENT ID) দেখিয়ে বললেই ৪০২ নং কাউন্টার থেকে ক্রিস কার্ড বিষয়ক যাবতীয় সাহায্য করে দেবে। এই ক্রিস কার্ডে আপনাকে টাকা ভরতে হবে অগ্রিম ভাবে ( trhough cash transffer /atm transffer). তবে আমি ATM card ইউজ করেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ক্রিস কার্ডের মজা হল বেশি বড় লআইনে দাঁড়াতে হবে না পেমেন্ট এর জন্য কারন criss card payment counter আছে প্রায় সব জাইগায়।
⚕️ ১৪/APPOINTMENT DATE CHANGE:-
এগিয়ে বা পিছিয়ে আনা....
ISSCC building e HELPDESK এ লম্বা লাইন দেবেন পেমেন্ট স্লিপ টা নিয়ে। অনেক ভীড় হয়। ওখানে আপনার প্রব্লেম বঅললেই ওরাই ডেট চেঞ্জ এর ব্যাবস্থা করে দেবে।(আগে যদি ডেট ফাকা থাকে তবেই)
⚕️১৫/ PMR BUILDING:-
সাধারনত ফিজিওথেরাপি ডিপার্টমেন্ট বলা যেতে পারে। বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি এর যন্ত্রপাতি, জুতা, ডুপ্লিকেট ব্রেস্ট( সিলিকন ব্রেস্ট), ইত্যাদি সকল জিনিস এর জন্য এই ডিপার্টমেন্ট এ যেতে হয়। পেমেন্ট স্লিপ অথবা এপোয়েন্টমেন্ট লেটার এ PMR BUILDING উল্লেখ থাকবে।
⚕️ ১৬/WARD BUILDING:-
পেশেন্ট দের সার্জারি & ট্রিটমেন্ট এর প্রয়োজন এ এখানে পেশেন্ট দের ভর্তি করা হয়। এত পরিস্কার পরিছন্ন & জীবাণুমুক্ত জাইগা হয়ত আপনার বাড়ির রুমগুলিও নয়। DIAGONASIS এর উপর বেশি জোর দেয়। অনেক টেষ্ট দেয়। তারপর যখন রোগ ধরা পড়ে তখনই চিকিৎসা করে। (কোলকাতার চেয়ে এখানেই এগিয়ে)।
টেষ্ট গুলি মুলত ৩ জায়গায় করানো হয়।
⚕️ ১৭/OPD BUILDING:-
সাধারণত ম্যাক্সিমাম জনের টেষ্ট এখানেই করানো হয়। তবে বিশেষ কিছু টেষ্ট এর জন্য যেমন USG এর জন্য ৩-৪ দিন ও লাগতে পারে। তাই যখন ডাক্টার এর সাথে কথা বলবেন ওনাকে রিকুয়েস্ট করবেন যেন আপনার টেষ্ট গুলি ALPHA CLINIC এ পাঠিয়ে দেয়। ওনাদের একটা কলমের খোচা দিলেই আপনার ৩-৪ দিনের কাজ টি ১ দিনেই হয়ে যাবে।
⚕️১৮/ EMERGENCY PATIENT:-
এর জন্য এমার্জেন্সী টেষ্ট এর ব্যাবস্থা আছে।
এই টেষ্ট গুলোর কোন রিপোর্ট আপনি পাবেন না, টেষ্ট গুলো হয়ে গেলে অটমেটিক রিপোর্ট টা আপনার খাতায় চলে যাবে অর্থাৎ আপনার HOSPITAL NO. & যে ডাক্তারবাবু কে দেখবেন সেই ডাক্তারবাবুর এর কাছেও চলে যাবে। তাই, প্রব্লেম এর কিছু নেই। রিপোর্ট পেতে হলে আলাদা ভাবে এপ্লাই করতে হয় তা শুনলাম।
কোন রকম প্রশংশা পাবার জন্য পোষ্ট করিনি, যাতে সবার কাছে ভেলোর ট্রিটমেন্ট জলের মত পরিস্কার হয় সেই উদ্দ্যেশ্যেই করা।
🙏🙏🙏⚕️⚕️🙏🙏🙏
রাতে খাদ্য তালিকা ও নিয়ম।
সমস্ত রকম এলার্জি তালিকা।
কোন রোগের কি লক্ষন।
ব্রেইন স্টোকের লক্ষন
এগুলো অবশ্যই জেনে রাখুন
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহঃ
১. তীব্র জ্বর এবং শরীরে, বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা।
২. মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা।
৩. জ্বর হওয়ার ৪ বা ৫ দিনের মাথায় পুরো শরীরে লালচে দানার মতো স্কিন র্যাশ ওঠা।
৪. বমি বমি ভাব ও বমি।
৫. অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ ও রুচি কমে যাওয়া।
৬. কখনো কখনো ২/৩ দিন পর আবার জ্বর আসা।
ডেঙ্গু রোগীর যত্নে-
১. সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে।
২. যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে।
৩. খেতে না পারলে দরকার হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।
৪.জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধই যথেষ্ট।
৫. জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে।
৬. জ্বর ও আনুষঙ্গিক সমস্যা তীব্রতর হলে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন-
১. রক্তপাত হলে
২. প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে
৩. শ্বাসকষ্ট হলে বা পেট ফুলে পানি এলে
৪. প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে
৫. জন্ডিস দেখা দিলে
৬. অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে।
৮. প্রচণ্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে।
"পেপটিক আলসার"
পরিপাকতন্ত্রে ইনফেকশন অথবা ঘা হওয়াকে পেপটিক আলসার বলে। প্রাথমিক অবস্থায় সুচিকিৎসা হলে, পেপটিক আলসার অল্প সময়ে সেরে ওঠে। কিন্তু চিকিৎসা না করলে মাত্যক জটিলতা সৃষ্টি করে।
পেপটিক আলসার (ক্ষত বা ঘা) পরিপাকতন্ত্রের যেকোনো অংশে হতে পারে:-
০১. খাদ্যনালীর নিম্নাংশে।
০২. পাকস্থলীতে।
০৩. ডিওডেনামে।
০৪. জেজুনামে।
কারণ:-
০১. বেশি পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড ও পেপসিন নিঃসরণ ,কারণ হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও পেপসিন নিজেরাই আলসার সৃষ্টি করে।
০২. হেলিকোব্যাকটার পাইলোরিক নামক জীবাণু পাকস্থলী ও ডিওডেনামের ভিতরের আবরণে ক্ষত সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, এ জীবাণু বিভিন্ন পদ্ধতিতে পেপটিক আলসার সৃষ্টি করে, ডিওডেনাল আলসারের ৯০ শতাংশ এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
০৩. প্রচুর পরিমাণে ব্যাথা নাশক ঔষধ খেলে আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
০৪. দীর্ঘদিন ধরে দৈহিক ও মানসিক চাপ গ্রস্থ অবস্থায় থাকা ,মানসিক অশান্তি, দুশ্চিন্তা, হতাশা ,অস্থিরতা থাকলে পাকস্থলীর পাচক রস বেশি নিঃসৃত হয়, এবং আলসার হয় ,একে ট্রেস আলসার বা একিউট আলসার ও বলা হয়। পাকস্থলীর গ্রেটার কার্ভেচার অংশে 90 শতাংশ ক্ষেত্রে আলসার হয়ে থাকে।
০৫. বেশিরভাগ সময় খালি পেটে থাকা কিংবা খালি পেটে বেশি দৈহিক পরিশ্রম করলে পাকস্থলীতে পেপসিন ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড বেশি পরিমাণে নিঃসরণ হয়, পরে একত্রে একটি পেপসিন তৈরি হয়ে,পাকস্থলীর নরম কোষকলার সংস্পর্শে এসে ক্ষত বা ঘা সৃষ্টি করে এভাবে ও আলসারের সৃষ্টি হয়।
০৬. বংশগত-যে পরিবারে এ রোগ আছে সেখানে প্রাদুর্ভাবের হার হচ্ছে সাধারণ জনসাধারণের তুলনায় তিনগুণ বেশি।
০৭. শক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ, বেশি ঠান্ডা বা গরম খাদ্য গ্রহণ।
০৮. ধূমপান জনিত কারণে পেপটিক আলসার হয়ে থাকে।
পেপটিক আলসারের লক্ষণ সমূহ:-
০১. উপরের মধ্য পেটে তীব্র ব্যথা হয়, বুকে জ্বালাপোড়া হয় ,টক-ঝাল জাতীয় তরল পেট থেকে গলার মধ্যে বা মুখের মধ্যে উঠে আসতে পারে।
০২. এ ব্যথা রাতে বেশি হয় এবং সাধারণত খাওয়ার এক থেকে তিন ঘণ্টা পর শুরু হয়,বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে কিছু খাবার খেলে অ্যালকালি, এন্টাসিড খেলে এই ব্যাথা নিরাময় হয় ,এর সঙ্গে বমি বা বমি ভাব, পেট ফাঁপা, হেঁচকি ওঠা ও ওজন কমা সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। যাদের খুব গভীরে আলসার বা ঘা আছে তাদের ব্যথা পেটের পিছনের দিকে অনুভূত হয়, বিশেষত পেটের উপরের বাম দিকে অথবা বুকে। এজন্য অনেক সময় আলসারের ব্যাথা হার্টের ব্যথার সঙ্গে ভুল হতে পারে। কিছু কিছু রোগীর বেলায় ক্ষতস্থান হতে রক্তপাতের কারণে রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া , রক্ত বমি বা রক্ত পায়খানা অথবা ডিওডেনাম বা পাকস্থলী ফুটো হয়ে একিউট পারফোরেশন এর মত এমার্জেন্সি অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে জরুরিভাবে সার্জিক্যাল চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করার প্রয়োজন।
প্রতিদিন ৯০০০ পা হাঁটলে কমতে পারে যে ৯ টি রোগের ঝুঁকি !! 👇
মনকে শান্ত রাখার উপায়
ইতিহাসে প্রথমবার ট্রায়ালে এক ওষুধেই ভ্যানিশ ক্যান্সার!!!
ওষুধটি ল্যাবরেটরিতেই তৈরি। এই ওষুধে থাকা একটি মলিকিউল-ই মানবশরীরে অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। ইতিহাসে প্রথমবার ঘটল এঘটনা। ট্রায়ালে ওষুধেই ভ্যানিশ ক্যান্সার। একজনের নয়। সব ক্যান্সার রোগীরই।
১৮ জন রেক্টাল ক্যান্সারে (পায়ুপথের ক্যান্সার) আক্রান্ত রোগীকে একই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল ৬ মাস ধরে। মাস ছয়েক পর রেজাল্টে দেখা যায় যে, প্রত্যেকেই ক্যান্সারমুক্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে যা নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী ঘটনা। এই ঘটনা ক্যান্সার চিকিৎসায় এক আলোক দিশা দেখাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Dostarlimab (ডস্টারলিমাব - ব্র্যান্ড নাম - জেমপেরলি) নামক এই ওষুধটি ল্যাবরেটরিতেই তৈরি। এই ওষুধে থাকা একটি মলিকিউল-ই মানবশরীরে অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। যে ১৮ জন রোগীর উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, তাঁদের আগে কেমোথেরাপিও করা হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল রেডিয়েশনও। কারও কারও অস্ত্রোপচারও হয়। কিন্তু তাতে আশানুরূপ সাফল্য মেলেনি। পেটের অথবা মূত্রনালীর সমস্যা দেখা যায় অনেকের। কেউ কেউ আবার যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
এরপরই চিকিৎসার পরবর্তী ধাপ হিসেবে ৬ মাস তাঁদের Dostarlimab (ডস্টারলিমাব) নামক ওষুধটি দেওয়া হয়। আর তাতেই মেলে চমকে দেওয়া রেজাল্ট। ওই ১৮ জন রোগীর শরীরে আর নেই কর্কট রোগের ঘুণপোকা। তাঁদের আর কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
২০১৯ সালে Glaxo SmithKline দ্বারা অধিগ্রহণ করার আগে, ম্যাসাচুসেটসের একটি বায়োটেক কোম্পানী 'টেসারো' ডস্টারলিমাব (ব্র্যান্ড নাম - জেমপেরলি) ওষুধটি তৈরী করে।
আমেরিকার মেমোরিয়াল স্লোন কেটারিং ক্যান্সার সেন্টার (এম.এস.কে.) - এর মেডিকেল অঙ্কোলজিস্ট ডঃ লুইস ডায়াজ জুনিয়র, ফলাফলের প্রতিবেদনে জানাতে গিয়ে 'নিউ ইয়র্ক টাইমস'কে বলেছেন, "আমি বিশ্বাস করি, ক্যান্সারের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো ঘটেছে"। ২০২১ সালের ১৭ আগষ্ট আমেরিকার FDA, Dostarlimab-gxly (ব্র্যান্ড নাম - জেমপেরলি)-কে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
মানুষের ত্বকে ৩টি স্তর থাকে। এপিডার্মিস, ডার্মিস এবং সাবকিউট্যানিয়াস স্তর। ত্বক পুড়ে গেলে এ ৩টি স্তরে ক্ষতের ভিত্তিতে যথাক্রমে ১ ডিগ্রি, ২ ডিগ্রি এবং ৩ ডিগ্রি বার্ন চিহ্নিত করা হয়।
পুড়ে গেলে কী করবেন?
১ ডিগ্রি পোড়ার ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব ১৫-৩০ মিনিট কলের নিচে রেখে ক্ষতস্থানে সরাসরি পানি প্রবাহ চালাতে হবে। ২ ডিগ্রি পোড়ার ক্ষেত্রে একই কাজ করতে হবে ১-২ ঘণ্টা। ফোসকা পড়বে, ফোসকা গলারনোর কোনো প্রয়োজন নেই। এরপর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
৩ ডিগ্রি পোড়ার ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে দ্রুত কাপড় খুলে দিতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে পানির প্রবাহ চালাতে হবে। পুড়ে যাওয়া অংশ গজ বা পরিস্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে একটু উঁচু করে রাখতে হবে। ব্যক্তির জ্ঞান থাকলে পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে শরবত, স্যালাইন কিংবা ডাবের পানি, এমনকি এসব না পেলে সাধারণ পানি খাওয়াতে হবে যতক্ষন/যতটুকু খেতে পারে। এর মাঝে দ্রুততর বেগে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
যা যা করবেন না-
১. ভুল করেও ক্ষতস্থানের অবস্থা চিকিৎসককে না দেখিয়ে কোনো মলম বা ক্রিম লাগাবেন না।
২. ফোসকা পড়লে কোনো ক্রমেই তা ফাটাবেন না।
৩. পোড়া স্থানে বরফ, তুলো, ডিম, টুথপেস্ট লাগাবেন না।
৪. পোড়া স্থানে যেনো কাপড়ের ঘষা না লাগে, খেয়াল রাখবেন।
৫. পুড়ে গেলেই আগে সাধারণ তাপমাত্রার পানির প্রবাহ দিতে হবে এবং দ্রুততর সময়ে হাসপাতালে নিতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপের কারণে মাথা থেকে পা পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী উচ্চ রক্তচাপের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৯৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
দেশে প্রতি ৫ জনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (২১ শতাংশ) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এর কারণে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ বিশেষত হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
প্রথমেই এ থেকে স্ট্রোক হতে পারে, যা থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। স্ট্রোক থেকে অন্ধত্ব, শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়া এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এ থেকে হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিওর হতে পারে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।
ফলে চিকিৎসকেরা মনে করেন, সতর্ক হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
যেসব পদক্ষেপের মাধ্যমে সুস্থ থাকা যাবে:
• খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে
• ওজনের বিষয়ে সতর্ক হতে হবে
• খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি, ফলমূলকে গুরুত্ব দিতে হবে
• নিয়মিত খেলাধুলা-ব্যয়াম বা অন্য কায়িক পরিশ্রম করতে হবে
• নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করতে হবে
• রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
• তামাক ও তামাক জাতীয় বস্তু ত্যাগ করতে হবে
• পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে
• স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতে হবে
• চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে না।
কিছু প্রয়োজনীয় টিপস
বেড়ে ওঠার দিনে হরেক খাবারই তো দিচ্ছেন, কিন্তু বাচ্চার প্রয়োজন বুঝে দিচ্ছেন তো? জেনে নিন, ঠিক কোন কোন খাবারে সঠিক পুষ্টি পাবে ও। আর এগুলো খাওয়ানোর দরকারই বা কী!
পাতার উপকারিতা / শাকের উপকারিতা
সুস্বাস্থ্যের জন্য এই টিপস গুলি নিয়মিত মেনে চলুন
খনার বচন, জেনে রাখা ভালো।
জেনে রাখুন