Alamin Arnob আলআমীন অর্নব
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Alamin Arnob আলআমীন অর্নব, Politician, .
দ্যা রিং লেডি:
ইংরেজি: 79 খ্রিস্টাব্দে মাউন্ট ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নিহত এক যুবতীর কঙ্কালের অবশেষ। 1982 সালে হারকিউলেনিয়ামের ধ্বংসাবশেষ থেকে আবিষ্কৃত কঙ্কালটিকে "রিং লেডি" নামকরণ করা হয়েছিল কারণ মহিলাটির গায়ে পান্না এবং রুবির আংটি পাওয়া গিয়েছিল। বাম হাত. মহিলার কাছ থেকে দুটি সোনার ব্রেসলেট এবং সোনার কানের দুলও পাওয়া গেছে।
গৃহকর্মীর বিয়ে দিলেন মেয়ের মতো করেই!
২৯-জুলাই-২০২০
নিজের মেয়ের মতো করে জাঁকজমক পরিবেশে গৃহকর্মীর বিয়ে দিয়ে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রাজধানী রামপুরার বাসিন্দা রুমানা মহসীন দিনা। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ধুমধাম করে ১০ জুলাই গৃহকর্মী শারমিন আক্তারের বিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাসা ও ছাদ রঙিন বাতি দিয়ে সাজানো হয়। মেঝে-সিঁড়িতেও আল্পনা আঁকা হয়। পার্লার থেকে কনে সাজিয়ে আনা হয়। আগের দিন বাড়ির ছাদে শারমিনের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান হয়। গান-বাজনা আর হাসি-উল্লাসে বাড়ির লোকজন ও আগতরা আনন্দে মাতেন।
গ্রামীণফোন কোম্পানির কর্মকর্তা দিনার বাসায় প্রায় ১২ বছর আগে শারমিন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে। এক সবজি বিক্রেতা তাকে দিনার বাসায় দিয়ে যান। দিনার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে লাজিনা ও ছোট আমিরা। শারমিন যখন বাসায় আসে তখন আমিরা ছিল খুবই ছোট। আপু (শারমিন) চলে যাচ্ছে তাই লাজিনা ও আমিরার মন খারাপ। কিছুতেই তারা আপুকে হারাতে চায় না। তাদের চোখে জল। আবেগ আপ্লুত দিনা বলেন, তার দুটি নয়, তিনটি মেয়ে। তার দুই মেয়ে শারমিনকে আপু ডাকে। একইসঙ্গে তারা খাবার খাওয়া, টিভি দেখা ও আনন্দ সবই করত।
দিনা জানান, ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই শারমিনের জন্য ভালো পাত্রের সন্ধান করে আসছি। স্বর্ণালঙ্কারসহ বিয়ের যাবতীয় জিনিস কিনে শারমিনকে ভোলায় তার মায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে বিয়ে না করে শারমিন ঢাকায় চলে আসে। ঢাকার মায়ের (দিনা) পছন্দেই সে বিয়ে করবে। দু’বার পাঠানো হলে দু’বারই সে ঢাকায় চলে আসে। অবশেষে আমার পছন্দেই শারমিনের বিয়ে দিলাম। বর মোহাম্মদ মন্জুর রংপুরের ছেলে। তিনি বলেন, বড় মেয়ের বিয়ে দিলাম আমি। উন্নতমানের বিয়ের শাড়ি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সবই তিনি নিজ হাতে কিনেছেন। বিয়েতে ৪০ ইঞ্চি রঙিন টিভিসহ অনেক উপহার নিজ হাতে কিনেছেন দিনার স্বামী আজহারুল আকরাম। শারমিনকে বরের হাতে তুলে দিয়ে দিনা, তার স্বামী ও মেয়েরা কেঁদেছেন, অন্যদেরও কাঁদিয়েছেন। অতিথিরাও আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। শারমিনকে বিদায় দিয়ে দিনা বলেন, ঢাকা থেকে অনেক দূরে যাচ্ছে আমার মেয়ে...। কথাগুলো বলেই তিনি কাঁদতে থাকেন। পাশে থাকা তার (দিনা) শাশুড়ি মাহমুদা খাতুন ও মা মালেকা বেগমের চোখেও জল। কারণ শারমিনকে তারাও নিজের নাতনির মতোই দেখেন।
যুগান্তরকে দিনা বলেন, যখন ভাবি শারমিন আমাদের পরিবারে নেই, তখন অনেক কষ্ট হয়। তার অনুপস্থিতি আমাদের কষ্ট দেয়। দুই মেয়ে বারবার খোঁজ নিচ্ছে তাদের আপুকে (শারমিন)। তিনি বলেন, গৃহকর্মীকে যেন কেউ অত্যাচার-নির্যাতন না করেন। কারণ যারা গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে সেই পরিবারের সন্তানরা কখনও আদর্শ মানুষ হতে পারে না। গৃহকর্মীর ওপর নির্যাতনের খবর যখন শুনি-তখন ভাবি মানুষ এত নিষ্ঠুর কেন?
বাটপারের মিষ্টি কথা!
কথাবার্তা শুনলে মনে হয় সুফীদের ওস্তাদ!🤣😂
দুই মাস দশ দিন পর মসজিদে নববীতে স্বাস্থ্যবিধী মেনে সবার জন্য নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
আলহামদুলিল্লাহ 😍
মানবতার আছে বলেই মানুষ এখনো ভাল আছে 😍
স্কুল ব্যাগ তৈরী হলো নির্বাচনী ব্যানার থেকে !!
এতদিন আকাশ দেখা যেতো না প্রতিশ্রুতির ব্যানারে, সে ব্যানারগুলোই এখন চলে যাচ্ছে আবর্জনার ভাগাড়ে। সুন্দর নগরীর পরিবর্তে বর্ষাতে নগরবাসীকে এই ব্যানারগুলো উপহার দিবে জলাবদ্ধতা, ভেঙ্গে পড়বে ড্রেনেজ সিস্টেম।
আবার এই ঢাকাতেই অনেক পথশিশু আছে যারা থলের অভাবে তাদের কাপড় সংরক্ষণ করতে পারে না। আমাদের এতিমখানার শিশুরা বর্ষায় স্কুলে যেতে পারে না বই ভিজবে বলে।
তাই বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ব্যানারগুলোকে ব্যাগে রূপান্তর করে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে, সেখান থেকে শুরু হোক সুনাগরিকের শিক্ষাটা। এছাড়া বিনামূল্যে বিতরণ করবে ছিন্নমূল পথশিশুর মাঝে।
মেয়র আতিক সাহেব ইতিমধ্যে তাঁর ক্যাম্পেইনের কয়েকশ ব্যানার আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। এভাবে যদি প্রার্থীরা এগিয়ে আসেন, তবে এক হাজার ব্যাগ উপহার দিতে পারবো।
আমায় তুমি আবর্জনা দাও, আমি তোমায় সুন্দর নগরী উপহার দিবো।
ক্রীড়ামোদি হিসেবে বরাবরই পরিচিত জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতি তার মায়া-মমতা ও ভালোবাসার মাত্রাটা যেন একটু বেশিই। সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজাদের সঙ্গে তার সখ্যতার প্রমাণ মেলে প্রায়ই।
যার সর্বশেষ নজির দেখা গেলো গত (রোববার)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে খাবার রান্না করে পাঠিয়েছেন সাকিব আল হাসানের বাসায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের প্রোফাইলে এটি জানিয়েছেন খোদ সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির।
গত ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজের পছন্দের খাবারের কথা জানিয়েছিলেন সাকিব পত্নী উম্মে আহমেদ শিশির। তার মনের ইচ্ছেপূরণ করতেই নিজ হাতে সেই খাবারগুলো রান্না করে সাকিবের বাসায় পাঠিয়েছেন মমতাময়ী নেত্রী শেখ হাসিনা।
সাকিব তার ফেসবুক পোস্টে লিখেনঃ
I am the luckiest person on earth, I’m truly speechless by this gesture of our honourable prime minister Sheikh Hasina as I got to taste her delicious cooking which she cooked herself this morning and sent to my house for my wife because she mentioned it was her favourite food when we visited her yesterday. Can’t thank enough for this amazing gesture this will always remain in my heart for the rest of my life! We are truly blessed!
ছবির হাস্যোজ্জ্বল ছেলেটির নাম জুনায়েদ হাফিজ। বয়স মাত্র ৩৩, এই ৩৩ বছর বয়সেই ছেলেটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছে। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে লোভনীয় বেতনের অফার ফিরিয়ে দিয়ে চলে এসেছিলো দেশের সেবা করবে বলে। কিন্তু ছেলেটি ভুল করেছে। নিজের জন্মভূমির সেবা করতে চাওয়াটাই ছিলো মারাত্মক ভুল। নিজের জন্মভূমি ই তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। দেশটির নাম যে পাকিস্তান। যে দেশ উগ্র ধর্মান্ধ আর জঙ্গিদের তীর্থভূমি।
এই মেধাবী সাদামাটা যুবকটি পিএইচডি ডিগ্রি নেয়ার পর পাকিস্তানে ফিরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে জয়েন করেছিলো। চেয়েছিলো নিজে দেশে শিক্ষা বিস্তার করতে। ছেলেটি যুক্তিবাদী ও অন্ধ ধর্মপ্রেম বিরোধী। ধর্মের নামে পাকিস্তানে চলা বহু প্রাচীন চিন্তা ভাবনা ও মানুষের উপর চলা অত্যাচারের বিরুদ্ধে ইনি প্রথম প্রতিবাদ করেন। তারপর আওয়াজ তোলেন মহিলাদের শিক্ষা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতা নিয়েও। এটাই ধর্মান্ধ কিছু গোঁড়া পাকিস্তানীদের চোখে তাকে খারাপ করে তোলে। তাকে বিভিন্ন কেসে ফাসিয়ে তার উপর অকথ্য অত্যাচার আর মব লিঞ্চিং করা হয়। রেহাই পায়নি তার পরিবারের লোকজনও। তিনি এখন নির্জন কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তার আইনজীবীকে খুন করা হয়েছে তার হয়ে মামলা লড়ার কারনে। তার বাবার ব্যবসা ধ্বংস করা হয়েছে। এই হলো দেশ প্রেমের ফল।
জুনায়েদ হাফিজ বলেন "আমি মরতে ভয় পাই না, ওরা বোঝে না, তাই আমার উপর এই ভাবে অত্যাচার করছে, ওরা আমার আদর্শে ভয় পেয়েছে, ওরা জানে, ওরা আমরা আদর্শকে কোনো দিনও খুন করতে পারবে না। আমার মরার পরে আমার আদর্শ হাজার পাকিস্তানি যুবক বুকে ধারণ করবে, এই অন্ধকার দেশে তারা একদিন বুকের রক্ত দিয়ে আলো আনবে। সেদিন জুনায়েদ হাফিজ আবার বেঁচে উঠবে তোমাদের অন্তরে।"
আমি নিজের বিলাস বহুল বাড়ির পরিবর্তে অসংখ্য স্কুল তৈরি করেছি, দামি পোষাকে ওয়াড্রব ভর্তি না করে অসংখ্য বস্ত্রহীন মানুষকে বস্ত্র দিয়েছি, নিজে দামি গাড়ি চালানোর পরিবর্তে অগণিত স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি, প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে দামি রেস্টুরেন্টে না খেয়ে অগণিত ক্ষুধার্ত শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
একসময় আমি আর ফুটবল খেলতে পারবোনা। বার্ধক্য আসবে। নিঃশ্বাসের ইতি ঘটবে। কিন্তু বাড়ি, গাড়ি, ঘড়ি, ফোন আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেনা। এসব মানুষের নিঃশ্বাসেই হয়তো আমি বেঁচে থাকবো। আমি শিক্ষিত না । তাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্ব বুঝেছি। দরিদ্র ছিলাম বলেই হয়তো জীবনের আসল অর্থ বুঝেছি। কিন্তু দুনিয়ায় আজ যারা বড় শিক্ষিত তারাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্বটা ঠিক ঠাক বুজছেন না। যদি বুঝতেন তবে দুনিয়াতে এতো অভুক্ত শিশু না খেয়ে রাতে ঘুমোতে যেতোনা। মানুষ দিন দিন এভাবে ভোগ বিলাসের কয়েদি হয়ে ওঠতোনা।
লিভারপুলের স্ট্রাইকার মিঃ সাদিও মানে। ইউরোপিয়ান এবং ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপের উইনিং মেডেলের অধিকারী। এবার পাশের ছবিটি খুব খেয়াল করে দেখেন। হাতে তাঁর ভাঙ্গা ফোন। এই একটি ফোনই তিনি ব্যবহার করে আসছেন। প্রতি মাসে মাসে নতুন সিরিজের ফোন ব্যবহারের ইচ্ছেতো তার হয়নি বরং এটাকে তিনি বলেছেন- ভোগের কয়েদি হয়ে যাওয়া। অথচ, তিনি লিভারপুলের সবচেয়ে বিগেস্ট আর্নার। যার আয় ইয়ারলি প্রায় ১১.৭ মিলিয়ন ডলার।
এরকম সিম্পল জীবন যাপনের কারণ জানতে চাইলে বলেন-
দশটি ফেরারি গাড়ী, বিশটি ডায়মণ্ড ঘড়ি আর বিলাসবহুল বাড়ি, নিত্যনতুন মডেলের বিলাস সামগ্রী এসব দিয়ে কী হবে। এগুলো শুধু বৈষয়িক অবজেক্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষের রুচি খুবই নিম্নমানের না হলে কেউ বিশ ত্রিশ হাজার ডলারের ঘড়ি হাতে দিয়ে ঘুরবেনা। আর, এসবে আমার এবং সমাজের কি উপকার হবে। যেই মুহুর্তে আমার নিঃশ্বাস শেষ সেই মুহুর্ত থেকে এসবের মালিকানাও শেষ।
(c)
★ মেয়েদের কারও লাশের স্তন পাইনি, যোনিপথ ক্ষত-বিক্ষত এবং পিছনের মাংস কাটা দেখেছি। মেয়েদের লাশ দেখে মনে হয়েছে - তাদের হত্যা করার পূর্বে স্তন জোরপূর্বক টেনে ছিঁড়ে নেয়া হয়েছে, যোনিপথে বন্দুকের নল বা লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে"/
- ঢাকা পৌরসভার ছন্নুডোম, ২৯ মার্চের অভিজ্ঞতা বর্ননার অংশবিশেষ! /"
★ " আমাদের সংস্থায় আসা ধর্ষণের শিকার নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত - বিক্ষত যৌনাঙ্গ।
বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিরে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিরে ফেলা স্তন, বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।"
- মালেকা খান, যুদ্ধের পর পুণবা'সন সংস্থায় ধর্ষণের শিকার নারীদের নিবন্ধীকরণে যুক্ত সমাজকমী'।
★ "যুদ্ধ শেষে ক্যাম্প থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ। অংশগুলো কাটা হয়েছিলো খুব নিখুঁতভাবে। "
-ডা: বিকাশ চত্রুবতী', খুলনা।
★ "কোনো কোনো মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে।"
-সুসান ব্রাউনি মিলার (এগেইনেস্ট আওয়ার উইল: ম্যান, উইম্যান এন্ড রেপঃ ৮৩)
★ "এক একটি গণধর্ষণে ৮/১০ থেকে শুরু করে ১০০ জন পাকসেনাও অংশ নিয়েছে।"
-ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির গ্রন্থ “যুদ্ধ ও নারী”
★ " মার্চে' মিরপুরের একটি বাড়ী থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় খুলতে বলা হয়। তারা এতে রাজি না হলে বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে ও মাকে ধর্ষণ করতে। এতেও তারা রাজি না হলে প্রথমে বাবা ও ছেলেকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেধেঁ উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।"
- মো: নরুল ইসলাম, বাটিয়ামারা কুমারখালি।
★ উলঙ্গ মেয়েদেরকে গরুর মত লাথি মারতে মারতে, পশুর মত পিটাতে পিটাতে উপরে হেডকোয়ার্টারে দোতলা, তেতলা ও চারতলায় উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হতো।
পাঞ্জাবী সেনারা চলে যাওয়ার সময় লাথি মারতে মারতে আবারো কামরার ভেতর ঢুকিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখতো। বহু যুবতীকে হেডকোয়ার্টারের ওপরের তলার বারান্দায় মোটা লোহার তারের ওপর চুলবেধেঁ ঝুলিয়ে রাখা হতো। পাঞ্জাবীরা সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো।
এসে ঝুলন্ত উলঙ্গ যুবতীদের কোমরের মাংস বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতো; কেউ তাদের বক্ষের স্তন কেটে নিয়ে যেত; কেউ হাসতে হাসতে তাদের যোনিপথে লাঠি ঢুকিয়ে দিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করতো; কেউ ধারালো চাকু দিয়ে কোন যুবতীর পাছার মাংস আস্তে আস্তে কাঁটতো; কেউ চেয়ারে দাঁড়িয়ে উন্নত বক্ষ নারীদের স্তনে মুখ লাগিয়ে ধারালো দাঁত দিয়ে স্তনের মাংস কামড়ে তুলে নিয়ে আনন্দে অট্টহাসি করতো !!! কোনো মেয়ে এসব অত্যাচারে চিৎকার করলে তার যোনিপথে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়ে তৎক্ষণাৎ হত্যা করা হতো। প্রতিটি মেয়ের হাত পিছনের দিকে বাধা থাকতো। মাঝে মাঝে পাকিস্তানি সৈন্যরা সেখানে এসে উলঙ্গ ঝুলন্ত মেয়েদেরকে এলোপাতাড়ি বেদম প্রহার করতো। প্রতিদিনের এমন বিরামহীন অত্যাচারে মেয়েদের মাংস ফেটে রক্ত ঝরছিল; কারও মুখেই সামনের দিকে দাঁত ছিল না; ঠোঁটের দুদিকের মাংস কামড়ে এবং টেনে ছিড়ে ফেলা হয়েছিল; লাঠি ও লোহার রডের বেদম পিটুনিতে মেয়েদের আঙুল, হাতের তালু ভেঙে থেঁতলে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল ! এসব অত্যাচারিত ও লাঞ্ছিত মেয়েদেরকে প্রস্রাব পায়খানা করার জন্যেও হাত ও চুলের বাঁধন খুলে দেয়া হতো না। এমন ঝুলন্ত আর উলঙ্গ অবস্থাতেই তাদের প্রস্রাব পায়খানা করতো হতো। আমি প্রতিদিন সেখানে গিয়ে এসব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতাম "/ - সুইপার রাবেয়া, ৭১ এর অভিজ্ঞতা বর্ননায় ! /"
★ একদিন রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ল এক বিধবা পল্লীবালা ভাগীরথী। তাকে নিয়ে এল পিরোজপুর সামরিক ক্যাম্পে। খান সেনারা এবার ভাগীরথীর উপর তাদের হিংস্রতার আয়োজন করল।
এক হাট বারে তাকে শহরের রাস্তায় এনে দাড় করানো হল জনবহুল চৌমাথায়। সেখানে প্রকাশ্যেতার অংগাবরন খুলে ফেলল কয়েকজন খান সেনা। তারপরদু'গাছি দড়ি ওর দু'পায়ে বেধে একটি জীপে বেধে জ্যান্ত শহরের রাস্তায় টেনে বেড়াল ওরা মহাউৎসবে। ঘন্টাখানেক রাজপথ পরিক্রমার পর আবার যখন ফিরে এল সেই চৌমাথায় তখনও তার দেহে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে। এবার তারা দুটি পা দু'টি জীপের সাথে বেধে নিল এবং জীপ দুটিকে চালিয়ে দিল বিপরীত দিকে। ভাগীরথী দু'ভাগ হয়ে গেল। সেই দু'ভাগ দু'জীপে আবার শহর পরিক্রমা শেষ করে জল্লাদ খানরা আবার ফিরে এল সেই চৌমাথায় এবং এখানেই ফেলে রেখে গেল সেই বিকৃত মাংসগুলো।
একদিন-দুদিন করে মাংসগুলো ঐ রাস্তার সাথেই একাকার হয়ে গেল একসময়। বাংলা মায়ের ভাগীরথী আবার এমনিভাবে মিশে গেল বাংলার ধুলিকণার সাথে। কেবল ভাগীরথী নয়, আরো দু' জন মুক্তিযোদ্ধাকে ওরা এভাবেই হত্যা করেছে পিরোজপুর শহরে।“
—দৈনিক আজাদ, ৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২।
★ পাঞ্জাবী, বিহারী ও পশ্চিম পাকিস্থানী পুলিশ জিভ চাটতে চাটতে ট্রাকের সামনে এসে মেয়েদের টেঁনে হিঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে তৎক্ষণাৎ কাপড় চোপড় খুলে নিয়ে উলঙ্গ করে আমাদের চোখের সামনেই মাটিতে ফেলে কুকুরের মত ধর্ষণ করতো।
সারাদিন নির্বিচারে ধর্ষণ করার পর বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার বিল্ডিং এর ওপর উলঙ্গ করে লম্বা লোহার রডের সাথে চুল বেধে রাখা হতো। রাতে এসব নিরীহ বাঙালী নারীর ওপর অবিরাম ধর্ষণ চালানো হতো। গভীর রাতে মেয়েদের ভয়াল চিৎকারে ঘুম ভেঙে যেত। ভয়ংকর, আতঙ্কিত আর্তনাদ ভেসে আসতো- ‘বাঁচাও, আমাদের বাঁচাও, পানি দাও, একফোঁটা পানি দাও, পানি...
পানি....’!!!"/ - রাজারবাগ পুলিশ লাইনের আর্মস্ এসআই, বিআরপি সুবেদার খলিলুর রহমান।
★ বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে লাখের বেশি শহীদের রক্তের বিনিময়ে, বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে লাখের বেশি মা বোন বীরাঙ্গনার ইজ্জতের বিনিময়ে। বাংলাদেশের জন্মের সাথেই পাকিস্তান ও পাকিস্তানের দালাল রাজাকারদের প্রতি ঘৃনা ছিলো, আছে এবং থাকবে। রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা হলো বাংলাদেশী হওয়ার একটি মৌলিক উপাদান। রাজাকারদের প্রতি যার ঘৃণা নেই সে নিশ্চিত ১৯৭১ এর জঘন্য অপরাধ গুলোকে সমর্থন করে। রাজাকারদের প্রতি যার ঘৃনা নেই সে নিশ্চিত ১৯৭১ থেকে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ বিরোধী জঘন্য অপরাধ গুলোকে সমর্থন করে। সুতরাং পাকিস্তান ও পাকিস্তানের দালালদের জন্য যার ঘৃণা নেই সে বাংলাদেশী নয় এবং সে বাংলাদেশী হতেও পারবেনা কোনোদিন।
______________
তথ্যসূত্রঃ
★ [উৎস: বই:: ১) মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র
২) বীরাঙ্গনা ১৯৭১ -মুনতাসীর মামুন]
- শ্রদ্ধভরে স্বরন করছি যাদের রক্ত আর ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই মহান বিজয় ❤
সুন্দরী হিজড়া শাম্মীর গল্প!
"বিরাট লজ্জায় ফেলে দিলেন ডাক্তার "এড্রিক বেকার"
টানা ৩২ বছর টাংগাইল জেলার মধুপুর থানার কালিয়া কৈরে গ্রামের দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা দেয়ার পর মারা যান ডাক্তার ভাই হিসাবে পরিচিত ডাক্তার এড্রিক বেকার । দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হলে অনেকেই চেয়েছিলেন- উনাকে ঢাকাতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিতে । তিনি ঢাকা যাননি । তাঁর তৈরি করা হাস- পাতালে তিনি ২০১৫ সালে মারা যান । মৃত্যুর পূর্বে তিনি চেয়েছিলেন- এই দেশের কোনো মানবতবাদী ডাক্তার যেন গ্রামে এসে তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই হাস-পাতালের হাল ধরে । কিন্তু হানিফ সংকেতের #ইত্যাদিতে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুসারে - এ দেশের একজন ডাক্তারও তাঁর সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি ।
দেশের কেউ সাড়া না দিলেও তাঁর আহ্বানে আমেরিকা থেকে ছুটে এসেছেন- আরেক মানবতা বাদী ডাক্তার দম্পতি জেসিন এবং মেরিন্ডি । যে দেশে যাওয়ার জন্য দুনিয়ার সবাই পাগল । শুধু নিজেরা যে এসেছেন তা নহে । নিজেদের সন্তানদেরও সাথে করে নিয়ে এসেছেন । ভর্তি করে দিয়েছেন গ্রামের ই স্কুলে । গ্রামের শিশুদের সাথে খেলছে । ডাক্তার জেসিন কী সুন্দর করে লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ।
আমরা সুযোগ পেলেই গ্রাম থেকে শহরে ছুটি । শহর থেকে বিদেশ পাড়ি দেই । শিশু জন্মের পর থেকেই চিন্তা থাকে কত দ্রুত সন্তানকে আধুনিক মিডিয়াম ইংরেজি স্কুলে বাচ্চাকে পড়াবো । লুঙ্গি তো আমাদের রুচির সাথে আজ বড়ই বেমানান । লুঙ্গি পরতে পারি'না বলতে পারলে- আমাদের ভিআপিদের পারদ শুধু একটুকু না অনেকটুকুই বাড়ে । বনানী গুলশান পাশের এলাকায় তো একবার লুঙ্গি পরাই নিষিদ্ধ করে দিল । কারণ- ওরা জানে'না- ওদের প্লেটে যে খাবার যায়- তা এদেশের লুঙ্গি গামছা পরা কৃষকরা ই তোলে দেয় ।
শিশুরা কত সুন্দর করে ইংরেজি বলতে পারে- বাবা মায়ের গর্বের শেষ নেই । একটা কবিতা আছে-বাবা-মা খুব অহঙ্কার করে সন্তানদের নিয়ে বলছেন "জানেন মশাই,ওদের বাংলা'টা ঠিক আসেনা"
একবার বিদেশ পাড়ি জমাতে পারলে ই - আমরা মাটি কামড় দিয়ে পড়ে থাকি । কোনো একটা লেখায় পড়েছি বিদেশের এক শিক্ষক বাংলাদেশের এক অধ্যাপক কে বলছেন- আপনাদের ছেলেমেয়েরা বাইরে পড়ালেখা করে কি দেশে ফিরে যায়? উনি লজ্জায় বললেন- বেশীর ভাগই যায় না । অবাক হয়ে বিদেশী অধ্যাপক বললেন- যায়না কী বলেন । এটাতো ভারী অন্যায় । কারণ- জনগণের ট্যাক্সের টাকা সরকার তাদের শিক্ষার পিছনে ইনভেস্ট করলো । আর ভোগ করলো অন্য একটা দেশ।
অধ্যাপক বললেন ওদের কে দোষ দিয়েও লাভ নেই। কারণ- দেশে এসে উচিত কথা বলতে চাইলে ঘটে পদে পদে দূর্গতি । যেমন- উচিত কথা বলায় সম্প্রতি দারণ এক দূর্গতির শিকার হয়েছেন ঢাবি'র অর্থনীতির এক অধ্যাপক । কোর্ট থেকে রায় পেয়েও শরণার্থীর মতো নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন- ক্লাস নিতে পারছেন না।
দেশপ্রেম মাটি, মমতা, মানুষ ইত্যাদি নিয়ে আমরা কত কথাই বলি। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি- জাতীয় সংগীত। সোনার বাংলার প্রতি আমাদের ভালোবাসা কত বেশি- তা একবার ইউরোপ আমেরিকার এ্যাম্বেসীর সামনে দেখা গেলেই বুঝা যায়। কাকডাকা ভোর থেকেই বিদেশের স্বপ্নের আশায় মানুষের লাইন ।
দেশপ্রেম নিয় কত কথা আমি নিজেও তো কম বলিনা। কিন্তু বিদেশেই তো পড়ে আছি। এক মসজিদের ইমাম ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় বদিউর রহমান হুজুর । আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন । জুমার নামাজে খুৎবা দেয়ার পর উনি প্রায় সময় একটা কথা বলতেন-
"আঁর বগলের নীচে এক আড়ি ময়লা, আঁই আর খারে ময়লা ছাফ ঘইর্ত খ্যইয়্যুম। মুয়াজ্জীন সাহেব আকামত দন"। ( আমার বগলের নীচে এতো ময়লা, আমি আর কাকে ময়লা পরিষ্কার করতে বলবো । মুয়াজ্জিন সাহেব আকামত দিন)
সত্যি ডাক্তার জেসন এবং মেরিণ্ডা দম্পত্তি আমাদের এক দেশী বিবেকহীন ডাক্তারদের বিশাল লজ্জায় ফেলে দিলেন ।
ছবিটা মুম্বাইয়ের এক কোটিপতি মহিলার মৃতদেহ।।
কোটিপতি NRI পুত্রের মাতা,, ১০ মাস আগে মারা
গিয়েছিলেন।। ১৭ কোটি টাকার ফ্লাট থেকে মহিলার
কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।।
আমেরিকার নামীদামী কম্পানীর উঁচু মানের ইঞ্জিনিয়ার
"ঋতু রাজ সাহানী" জানেন না,, তাঁর মা আশা সাহানী
ঠিক কবে মারা গেছেন।।
তবে,,ঋতুরাজের বয়ান অনুযায়ী,, মায়ের সঙ্গে, শেষবারের মতো কথা হয়েছে,, প্রায় ১ বছর ৩ মাস
আগে।।
২৩ শে এপ্রিল,, ২০১৬ সালে আশা সাহানী ,,নিজের
বৃদ্ধাকালের একমাত্র সহায়,, প্রাণপ্রিয় পুত্রকে অনুরোধ
করেছিলেন,, হয় আমেরিকায় নিয়ে যেতে,,নতুবা কোনো বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে।।
ব্যাস্ত ইঞ্জিনিয়ার পুত্র,, সময় বের করে উঠতে পারেননি।।
রবিবার সকালে,, ঋতুরাজ মুম্বাই এয়ারপোর্ট থেকে,,
সোজা চলে আসেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে।।
বহু ডাকাডাকির পরেও সাড়া না পেয়ে,, তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। মুম্বাই পুলিশ এসে,, দরজা
ভেঙে,, এই দৃশ্য দেখে হতবাক।।
৬৩ বছরের আশা দেবী,, মুম্বাইয়ের রীচ এলাকার,, এক বহুতল কমপ্লেক্সে-র দশম তলে থাকতেন।। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, আত্মীয়-স্বজন,, প্রতিবেশী,,
দীর্ঘদিন ধরে কেউ ব্যাপারটা বুঝতেই পারেননি,,,
তিনি মারা গেছেন।।
দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বাইয়ের অন্ধেরী এলাকার
এই ঘটনা,, আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে
দিয়েছে,, পশ্চিমা সভ্যতা দ্রুত গ্রাস করে চলেছে,,
আমাদের সমাজকে।।
আশা সাহানী-র এই মৃত্যু,,আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে,,
আমাদের সামাজিক বিবেক-বিবেচনা-বোধ-বুদ্ধি,,
একেবারে তলানিতে এসে পৌঁছে গেছে।। কিছুই আর
অবশিষ্ট নেই।।
আমরা,, আমাদের সন্তানদের কেরিয়ার গঠন করতে
গিয়ে,,, তাদের রোবটে পরিণত করে ফেলেছি।।
এখনই ভাবতে হবে,,,
রোবট নয়,, আমাদের সন্তানদের আগে মানুষ হিসাবে
গড়ে তুলতে হবে।।
আমাদের মাথায় রাখতে হবে,, জাগতিক শিক্ষাটুকুই
সব কিছু নয়,,, সামাজিক শিক্ষা ছাড়া,, সব শিক্ষাই
অসম্পূর্ণ।।
নচেৎ,
কেই বা বলতে পারে,, আপনার আমার অবস্থা,,
আশা সাহানী-র মতো হবে না !
বেচারা! আশা সাহানী, সব রয়েছে,
অথচ,, কিছুই নেই।
(সংগৃহীত)
কখনো নিরাশ হইওনা।
আল্লাহ চাইলে শেষ থেকেও নতুন করে শুরু করে দিতে পারে 😘
ছবির ছেলেটির নাম আবু সালেহ ।
৭১ এ ছিলেন বিঃবাড়িয়ার কসবা উচ্চ বিদ্যালয়ে'র ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র । যুদ্ধ শুরু হলে অন্য অনেকের সাথে সেও উপস্থিত হলেন আগরতলায়। লক্ষ্য যুদ্ধ করবেন ।
কিন্তু বয়স কম বিবেচনায় বাদ পড়তেই ভেঙে পড়লেন কান্নায় । নজর এড়ালো না রিক্রুট অফিসারে'র । তার দৃঢ় একাগ্রতায় মুগ্ধ হয়ে দলভুক্ত করে পাঠিয়ে দিলেন মেঘালয়ে ট্রেনিং নিতে । নিলেন ট্রেনিং । এবার রণাঙ্গনের যুদ্ধে যাবার অপেক্ষা ।
এলো ডাক ...
এতটুকু ভয় নেই চোখেমুখে , উল্টো যুদ্ধ জয়ের দৃঢ়তা । সম্মুখ সমরে সামিল হলেন চন্দ্রপুর নামক গ্রামে । এক সময় দলনেতা বুঝতে পারলেন পাকিস্তানীদের ভারী ও ব্যাপক অস্ত্রের সাথে পেরে উঠবেন না । সেক্ষেত্রে কৌশল হলো পিছনে হঠা।
কিন্তু অন্যদের পিছনে হঠার সুযোগ পেতে হলে কাউকে অবশ্যই কভার করতে হয় । ঐ টুকু বয়সের অকুতোভয় সালেহ নাছোড়বান্দা - - -
সেই করবে কভার । হলোও তাই ।
বয়সের তুলনায় ভারী অস্ত্র হাতে গলা অব্দি বাংকারে ডুবিয়ে নাগাড়ে করে গেলেন ফায়ার । সহযোদ্ধারা সকলেই সরে গেলেন নিরাপদে । তবু থামলেন না সালেহ ।
চারদিকে অন্ধকার । মুহূর্মুহু কেবল গুলির শব্দ ।
ওদিকে পাকিস্তানীদের ধারণা জন্মালো , মুক্তিবাহিনী বুঝি সংখ্যায় এবং অস্ত্রে যথেষ্ট । ফলে সেইরাতে তাৎক্ষনিক ক্ষয়ক্ষতি মেনে নিয়ে পাকিস্তানীরাও হঠে গেল পিছনে ।
গোলাগুলির অবসান হলে দলপতি খুঁজতে এলেন তার ক্ষুদে যোদ্ধাকে । ভাবছিলেন শহীদের নিথর দেহটা না জানি তপ্ত সীসার আঘাতে কতটা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে !
কিন্তু না ,
বীর সালেহ চুপচাপ বসে ছিলেন বাংকারের অন্ধকারে ।
এইসব অগনিত বীর সালেহ'দের অকুতোভয় বীরত্বের বিনিময়ে এসেছে স্বাধীনতা । বীর সালেহ'রা খ্যাতি পাননি কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কখনোই পালিয়ে যাননি । বরং ঢাল হয়ে থেকেছেন সহযোদ্ধার ।
বীরভূমি'র বীর সন্তান সালেহ ❤❤
আপনাকে স্যালুট ❤❤
স্যালুট ভাই তোমাকে💕
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রযোজক বরকতউল্লাহকে ফোন করে অনুরোধ করলেন- হুমায়ূন আহমেদকে বলুন, নাটকের শেষে বাকেরকে বাঁচিয়ে রাখা যায় কিনা।
বরকতউল্লাহ ফোন দিলেন হুমায়ূন আহমেদকে। হুমায়ূন আহমেদ রাজি হলেন না। তিনি স্বাধীনচেতা লেখক। তিনি বিশ্বাস করেন লেখকের স্বাধীনতায়, পরিচালকের স্বাধীনতায়। তিনি স্ক্রিপ্টে যা ভেবে রেখেছেন সেটাই করবেন। জনগনের আন্দোলন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধকে গ্রাহ্য করা লোক তিনি না।
হুমায়ূন আহমেদ তখন আত্মগোপনে আছেন। শহীদুল্লাহ হলের প্রভোস্ট তিনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেই তার বাসা। সেই বাসার সামনে রোজ কয়েকশো লোকজন এসে জড়ো হয়, স্লোগান দেয়, সেইসব স্লোগানের মূল ভাবার্থ হচ্ছে, বাকের ভাইয়ের ফাঁসি দেয়া যাবে না। শাহবাগে আরেকদল লোক জড়ো হয়, তাদের ভাষা আরও উগ্র। তারা সেখানে অভিনেতা আবদুল কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করে, প্ল্যাকার্ড-ব্যানার নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। আজ, এই ২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে কল্পনা করতেও অবাক লাগবে যে, এতসব কাণ্ডকীর্তি লোকজন ঘটিয়েছিল শুধুমাত্র বিটিভিতে প্রচারিত নাটকের একটা চরিত্রকে ভালোবেসে!
'কোথাও কেউ নেই' নাটকটার সম্প্রচার শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। শুরু থেকেই দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে চলে এসেছিল সেটি। চিত্রনাট্য আর পরিচালনা, দুটোই ছিল হুমায়ূন আহমেদের। নাটক যতো এগিয়ে যেতে থাকলো, দর্শকেরা ততই পছন্দ করে ফেললো কেন্দ্রীয় চরিত্র বাকের ভাইকে। আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত এই চরিত্রটা সম্ভবত বাংলাদেশের টিভি ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। বাংলা সিনেমাতেও কি বাকের ভাইকে টেক্কা দেয়ার মতো শক্তিশালী কোন চরিত্র তৈরি হয়েছে? আমার অন্তত জানা নেই।
বাকের ভাইয়ের মুখের সংলাপগুলো তখন ঘুরতো তরুণদের মুখে মুখে। তার মতো গলায় চেন ঝুলিয়ে, শার্টের বোতাম খোলা রেখে ঘোরার একটা স্টাইল তৈরি হয়ে গিয়েছিল। পাড়ার দোকানে দোকানে বাজতো বাকের ভাইয়ের প্রিয় গান- ‘হাওয়া মে উড়তা যায়ে…’ এই চরিত্রটা এত বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল যে, আসাদুজ্জামান নূর যখন রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে নীলফামারী-২ আসন থেকে নির্বাচন করেছেন, তখন তার কর্মীরা বাকের ভাইয়ের নামে ভোট চেয়েছে, নূরের নামে নয়!
'কোথাও কেউ নেই' নিয়ে কথা হবে, আর সুবর্ণা মোস্তফা একটা বড়সড় জায়গা সেখানে দখল করবেন না, এটা হতেই পারে না। বাংলা নাটকে আর কোন নারী চরিত্র নিজের অভিনয় দিয়ে এতটা প্রভাব তৈরি করতে পারেননি, মুনা চরিত্রে সুবর্ণা যেটা করেছিলেন। নাটকের প্রতিটা সংলাপ, প্রতিটা অভিব্যক্তিতে ব্যক্তিত্ব ঝরে পড়তো তার।
আরেকজনের কথা না বললেই নয়- হুমায়ূন ফরিদী। এই নাটকের সবচেয়ে শক্তিশালী সংলাপগুলো সম্ভবত তার মুখ থেকেই বেরিয়েছে। সাদা আর কালোর মাঝামাঝি অদ্ভুত এক ধূসর রঙে রাঙা চরিত্র তার, শেষদিকে আদালতে বাকেরকে বাঁচানোর জন্যে তার আপ্রাণ চেষ্টাটা মনকে ছুঁয়ে গিয়েছিল দারুণভাবে।
নাটকের শেষদিকে যখন মিথ্যে মামলায় বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হবার একটা সম্ভাবনা দেখা দিলো, তখনই সবচেয়ে অভূতপূর্ব ঘটনাটা ঘটলো। প্রিয় চরিত্রের ফাঁসি হয়ে যাবে, এটা মেনে নিতে না পেরে রাস্তায় নেমে এলো সাধারণ মানুষ। হুমায়ূন আহমেদের শহীদুল্লাহ হলের বাড়িতে পাঠানো হলো উড়ো চিঠি, প্রেসক্লাবের সামনে হলো মানববন্ধন। ঢাকার বাইরেও মিছিল বের হলো, স্লোগান উঠলো- ‘বাকের ভাইয়ের ফাঁসি কেন, কুত্তাওয়ালী জবাব চাই’, ‘বাকের ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে…’
সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখে কোথাও কেউ নেই এর শেষ পর্ব প্রচারিত হবার কথা, ঢাকা শহরে এর আগেই অবশ্য গণ্ডগোল শুরু হয়ে গেছে। আগের পর্বে বদি (আবদুল কাদের) কুত্তাওয়ালীর হুমকিতে বাকেরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজী হয়ে গেছে। ১৪ তারিখে শেষ পর্ব প্রচারিত হলো না, কারণ সেই পর্বের শুটিংই শেষ হয়নি! পরে হুমায়ূন আহমেদ অজানা এক লোকেশনে শেষ করলেন শুটিং, একদম গোপনে।
পরের সপ্তাহে, সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখে শেষ পর্বটা প্রচারিত হলো। সন্ধ্যার পর থেকেই ঢাকার অবস্থা থমথমে, জেলা শহর আর মফস্বলের অবস্থা তো আরও ভয়াবহ, ভূতুড়ে রূপ নিয়েছে সেগুলো, যেন কারফিউ চলছে! হুমায়ূন আহমেদ নিজের বাসা ছেড়ে আত্মগোপনে গিয়েছেন আবদুল কাদেরকে নিয়ে, কাদেরের বাসায় হামলা হয়েছে এর আগে, প্রাণভয়ে তিনি থানায় জিডি করেছেন। নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো।
এরপরের গল্পটা তারা জানেন, নব্বই দশকের সেই গুমোট রাতে যারা বিটিভির পর্দায় 'কোথাও কেউ নেই' নাটকের শেষ পর্বটা দেখেছিলেন, যারা সাক্ষী হয়েছিলেন মুনার কান্নার, অসীম শূন্যতার এক বোবা অনুভূতি তাদের ঘিরে ধরেছিল আষ্টেপৃষ্ঠে। ভোররাতে কেন্দ্রীয় কারাগারের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মুনা কাঁদিয়েছেন হাজারো দর্শককে। আপনি আসামীর কি হন?- জেলারের এই প্রশ্নের প্রশ্নের জবাবে মুনা যখন বলছেন, ‘আমি ওর কেউ না’- তখন চোখের জল আটকে রাখতে পেরেছেন হাতেগোনা কয়েকজন দর্শকই।
সাতাশ বছর আগে 'কোথাও কেউ নেই' এর শেষ পর্বটা প্রচারিত হয়েছিল, এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও যে নাটকের আবেদন আমাদের কাছে ফুরোয়নি। এখনও কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে এই নাটকটা জায়গা দখল করে থাকে, ইউটিউবের প্লে-লিস্টে এখনও 'কোথাও কেউ নেই' বিচরণ করে সদর্পে, ফেসবুকের নিউজফিডেও ঘোরে নাটকের চুম্বক অংশগুলো। সাতাশ বছর পরে দাঁড়িয়ে মানুষের কাছে এই নাটকের অদ্ভুত আবেদনগুলোর গল্প যখন শুনি, পুরো ব্যাপারটাকেই তখন রূপকথা বলে মনে হয়!
(copy)
৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
প্রতিযোগিতার নাম জীবন নয়, সহযোগিতার নাম জীবন!
নতুন যানবাহন আইন, আজ থেকে কার্যকর।
আপা💕
আলো আসবেই✌️
‘আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না’
এমনটা ভেবে যারা হাতপা গুটিয়ে বসে আছেন, তাদের জন্য।
নিচের যে ছবি দেখছেন না! সেগুলো আকিজ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা আকিজ সাহেবের ৫০ বছর আগের স্কুটির ছবি, যে স্কুটি চালিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সেখান থেকে তিনি হয়েছিলেন হাজার কোটি টাকার মালিক!
তিনি আজ বেঁচে নেই কিন্তু তার প্রিয় সেই স্কুটিটি তার সুযোগ্য সন্তানেরা গুলশান নিকেতন আকিজ হাউজ রিসিপশনে শোভাবর্ধক ও প্রিয় বাবার সন্মানে হৃদয়ে দিয়ে আগলে রেখেছেন!
শূন্য থেকে শুরু হওয়ার স্বপ্ন যার নেই সে কখনো বড় হওয়ার স্বপ্নও দেখতে পারে না।
আজারবাইজানের বাকুতে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম অলিয়েভ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
নতুন করে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে ২৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে।
কথা দিয়ে কথা রাখে আওয়ামী লীগ সরকার,
নওগাঁর ১১টি উপজেলার ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২৩ জন উপকারভোগীকে ১০ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
শুভ জন্মদিন!
বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর, ছাত্র রাজনীতির অনন্য উদাহরণ তোফায়েল আহমেদ এম পি।
হাত নেই তো কি হয়েছে! জীবনতো থেমে নেই!
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনোর সাক্ষাতকার ও জার্সি বিনিময়।
জয়তু শেখ হাসিনা💕