Science Indica
please subscribe to Sçìéñçé Ïñdîçå
https://youtube.com/channel/UCte4Ujd2QT6y2G2gGJKWYCw
প্রিয় মা ❤️
ইতিহাসে আজকের এই দিনে
ঘটনাবলি:
১৬৬৬ - মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য শিবাজি আগ্রায় আসেন।
১৮৭৭ - ভারতীয় মুসলমানদের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডানের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯১৫ - ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ব্যক্তিত্ব রাসবিহারী বসু বৃটিশের শ্যেন চক্ষু ফাঁকি দিয়ে কলকাতার খিদিরপুর বন্দর হতে জাপানি জাহাজ 'সানুকি-মারু' সহযোগে তিনি ভারতবর্ষ ত্যাগ করেন।
১৯৪১ - আডলফ হিটলার ইরাকের স্বাধীনতা সংগ্রামী রশীদ আলি গিলানির জন্য দুইটি বোমারু বিমান প্রেরণ করেছিলেন।
১৯৪৯ - পশ্চিম বার্লিনের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন আরোপিত অবরোধের অবসান ঘটে ।
১৯৫৫ - সিলেটের হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়।
১৯৬৫ - বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে ১৭ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় স্পেন ও দক্ষিণ কোরিয়া।
১৯৯৪ - আজারাইজান প্রজাতন্ত্র এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বিরতি হয়।
২০১৮ - বাংলাদেশ সময় রাত ২:১৪ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়।
জন্ম:
১৪৯৬ - সুইডেনের প্রথম গুস্তাভ, ১৫২৩ সাল থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত সুইডেনের রাজা ছিলেন। (মৃ. ১৫৬০)
১৮২০ - ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, লেখক ও পরিসংখ্যানবিদ। (মৃ.১৩/০৮/১৯১০)
১৮৫৫ - প্রমথনাথ বসু,বাঙালি ভুতত্ববিদ, বিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী। (মৃ.১৯৩৫)
১৮৬৩ - উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, বিখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও বাংলা ছাপাখানার অগ্রপথিক। (মৃ.২০/১২/১৯১৫)
১৮৬৭ - হিউ ট্রাম্বল, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। । (মৃ. ১৯৩৮)
১৮৯৫ - উইলিয়াম ফ্রান্সিস জিওক, মার্কিন রসায়নবিদ। (মৃ. ১৯৮২)
১৯০৭ - ক্যাথরিন হেপবার্ন, মার্কিন অভিনেত্রী। (মৃ. ২০০৩)
১৯১০ - জেমস ডাডলি, আমেরিকান বেসবল খেলোয়াড় এবং পেশাদার রেসলিং ম্যানেজার ও নির্বাহী। (মৃ. ২০০৪)
১৯১০ - ডরোথি মেরি হজকিন, ব্রিটিশ রসায়নবিজ্ঞানী। (মৃ. ১৯৯৪)
১৯১৩ - ত্রিপুরা সেনগুপ্ত, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।
১৯২৪ - অ্যান্টনি হিউসিস, নোবেলজয়ী (১৯৭৪) ব্রিটিশ মহাকাশ বিজ্ঞানী।
১৯২৯ - স্যাম নজুমা, নামিবীয় বিপ্লবী, বর্ণবাদ বিরোধী কর্মী এবং রাজনীতিবিদ।
১৯৩৭ - জর্জ কার্লিন, আমেরিকান কৌতুক অভিনেতা, অভিনেতা এবং লেখক। (মৃ. ২০০৮)
১৯৪১ - আহমদুল্লাহ, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান মুফতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর।
১৯৭৭ - মরিয়ম মির্জাখানি, ইরানি গণিতবিদ। (মৃ. ২০১৭)
১৯৭৯ - মিলা ইসলাম, বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৮০ - ঋষি সুনক, ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হন ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবরে।
১৯৮১ - রামি মালেক, আমেরিকান অভিনেতা।
১৯৮৬ - এমিলি ভ্যানক্যাম্প, কানাডিয়ান অভিনেত্রী।
১৯৮৭ - কিরণ পোলার্ড, ত্রিনিদাদীয় ক্রিকেটার।
১৯৮৮ - মার্সেলো ভিয়েরা, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।
১৯৯৭ - ওদেয়া রাশ, ইসরায়েলি অভিনেত্রী।
মৃত্যু:
১৭০০ - জন ড্রাইডেন, ইংরেজ লেখক, কবি ও নাট্যকার ছিলেন। (জ. ১৬৩১)
১৮৪৫ - আউগুস্ট ভিলহেল্ম ফন শ্লেগেল, জার্মান কবি, অনুবাদক ও সমালোচক।
১৯৪০ - বিশিষ্ট কর্মব্রতী, সাহিত্যানুরাগী ও রবীন্দ্রনাথ পরিকল্পিত শ্রীনিকেতনের মুখ্য সংগঠক কালীমোহন ঘোষ । (জ.১৮৮২)
১৯৪১ - দীনেশরঞ্জন দাশ, বাঙালি লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক । (জ.২৯/০৭/১৮৮৮)
১৯৫৭ - এরিক ভন স্ট্রোহেইম, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা।
১৯৭১ - সাদত আলী আখন্দ, প্রবন্ধকার, সাহিত্যিক।
২০০১ - ডিডি, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।
২০০৫ - মার্টিন লিংগস, যার ইসলামিক নাম আবু বক্কর সিরাজুদ্দিন, তিনি একজন পশ্চিমা লেখক, শিক্ষাবিদ ও ফ্রিটজফ শুয়ানের শিষ্য ও শেক্সপিয়র বিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন। (জ. ১৯০৯)
২০১৫ - সুচিত্রা ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।
২০১৯ - হায়াৎ সাইফ, বাংলাদেশি কবি ও সাহিত্য সমালোচক। (জ. ১৯৪২)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলার একজন প্রখ্যাত কবি। তিনি ১৮৬১ সালের ৭ মে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি শিল্প-সাহিত্যের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখেছেন এবং 'বাংলার বার্ড' উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। স্নেহ-মমতায় ঠাকুরকে মানুষ 'গুরুদেব' বলে ডাকত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল ' গীতাঞ্জলি ' যার কারণে তিনি 1913 সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন অসাধারণ কবি ও শিল্পী। তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় 2230টি গান লিখেছেন। তিনি তার জীবনে প্রায় 3000টি চিত্রকর্ম এঁকেছেন এবং তিনি ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের কম্পোস্টার। পূর্বে শান্তিনিকেতন নামে পরিচিত, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত এবং অনুপ্রেরণামূলক উক্তি
✅প্রজাপতি মাস নয়, মুহূর্ত গণনা করে এবং তার যথেষ্ট সময় থাকে।
✅যে ফুল একক, তার অসংখ্য কাঁটাকে হিংসা করার দরকার নেই।
✅একটি শিশুকে আপনার নিজের শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ করবেন না, কারণ সে অন্য সময়ে জন্মগ্রহণ করেছে।
✅আপনার জীবন পাতার ডগায় শিশিরের মতো সময়ের প্রান্তে হালকাভাবে নাচতে দিন।
✅আমরা যখন নম্রতায় মহান হই তখন আমরা মহানের সবচেয়ে কাছে আসি।
✅একটি পাত্রের জল ঝকঝকে; সমুদ্রের জল অন্ধকার। ছোট সত্যের স্পষ্ট শব্দ আছে; মহান সত্য মহান নীরবতা আছে.
✅আপনি কেবল দাঁড়িয়ে এবং জলের দিকে তাকিয়ে সমুদ্র অতিক্রম করতে পারবেন না।
✅সর্বোচ্চ শিক্ষা হল সেই শিক্ষা যা আমাদের কেবল তথ্যই দেয় না বরং আমাদের জীবনকে সমস্ত অস্তিত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলে।
✅বিশ্বাস হল সেই পাখি যে ভোরের অন্ধকার থাকতেই আলো অনুভব করে।
✅বন্ধুত্বের গভীরতা পরিচয়ের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে না।
✅সবকিছু আমাদের কাছে আসে যদি আমরা তা গ্রহণ করার ক্ষমতা তৈরি করি।
✅যেখানে মন ভয়হীন এবং মাথা উঁচু যেখানে জ্ঞান মুক্ত।
✅মানুষ জীবন থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষাটি শিখতে পারে তা হল এই পৃথিবীতে ব্যথা নেই, তবে এটিকে আনন্দে রূপান্তর করা তার পক্ষে সম্ভব।
✅একটি প্রদীপ তখনই অন্য প্রদীপ জ্বালাতে পারে যখন এটি তার নিজের শিখায় জ্বলতে থাকে।
✅শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা দেওয়া নয়, মনের দরজায় কড়া নাড়তে দেওয়া।
ইতিহাসে আজকের দিনে
Follow and subscribe this official page Science Indica
মহারাজা, তোমারে সেলাম❤️
এই গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ❤️
পেটে পড়লেই তৃপ্তি🥰🥰
Share to save.
ORS এর উদ্ভাবক এক বাঙালি।
.......এই গরমে বেশি করে জল খান ও সুস্থ্য থাকুন।
শৈশবের এক টুকরো স্মৃতি ❤
... এসো হে বৈশাখ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক।
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুঞ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।
বাংলা নববর্ষের ইতিহাস থেকে বর্ষ বরণের রীতি-নীতি
সম্রাট আকবরের শাসনামল থেকে পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও পরবর্তিতে বিভিন্ন বাঙ্গালি রীতি-নীতি আমাদের বর্ষ বরণে স্থান পেয়েছে। সেগুলোর কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হলো-
১) গ্রামীন রীতি-নীতি
গ্রামীন রীতি অনুসারে ভোর সকালে কৃষকেরা নতুন জামা গায়ে দিয়ে পরিবারের সাথে নানান পদের ভর্তা দিয়ে পান্তা ভাত, পিঠা-পুলি, মিষ্টি খেয়ে দিনটি সূচনা করে। তাছাড়া, কয়েকটি গ্রাম মিলে বৈশাখী মেলার আয়োজন করতো। সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্য মেলায় উঠাতেন। কেউ মাছ, কেউ খেলনা, কেউবা শাড়ি-চুড়ি, চুলের ফিতা। ধারণা করা হয় আমাদের ইলিশ মাছ খাবার ঐতিহ্য এই মেলা থেকেই এসেছে।
২) রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও মঙ্গল-শোভাযাত্রা
প্রতি বছর রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠান থাকে। সূর্য উঠার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনার বটমূল গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে। সকলে মিলে একই সুরে গেয়ে ওঠে-“এসো, হে বৈশাখ এসো এসো”। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে গ্রামীন সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন মুখোশ ও মুর্তি বানিয়ে ঢাকার রাস্তায় শোভাযাত্রা করে বরণ করা হয় নতুন বছরকে। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে সকলেই।
৩) প্রাচীন বউমেলা ও ঘোড়ামেলা
সোনারগাঁও এ ঈসা খাঁ এর আমলে বউমেলা হতো। সেখানে স্থানীয় বটতলায় কুমারী, নববধূ ও মায়েরা তাদের মনের ইচ্ছা পূরণে পূজা করতো। পাঁঠা বলি দেয়া হতো আগে। তবে এখন শান্তির বার্তার আশায় তারা দেবীর কাছে কবুতর বা পায়রা উড়িয়ে দেয়। এছাড়াও সোনারগাঁও এ ঘোড়ামেলারও প্রচলন ছিলো। লোকমুখে প্রচলিত আছে যে, আগে যামিনী সাধন নামের এক ব্যক্তি নববর্ষের দিন ঘোড়া চড়ে সবাইকে প্রসাদ দিত। তার মৃত্যুর পরে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয় এবং পরবর্তীতে এটিকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন হয়। আগে মাটির ঘোড়া রাখা হতো, এরপর থেকে মেলায় নাগর-দোলা, চরকা, ঘোড়ার আকারে ঘূর্ণী দোলনা রাখা হয়।
©®
ভালো লাগলে, আরও জমিয়ে কাটান নববর্ষ🙂
শুভ সরস্বতী পুজো ❤️
সবচেয়ে বড় অভাগা ছিলেন প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার চার বছরের শিশু বুলবুল যে রাতে মারা গিয়ে ছিল, সে রাতে তার পকেটে একটা কানাকড়িও ছিল না। অথচ কাফন,দাফন,গাড়িতে করে দেহ নেওয়া ও গোরস্থানে জমি কেনার জন্য দরকার দেড়শো টাকা, সে সময়ের দেড়শো টাকা মানে অনেক টাকা। এত টাকা কোথায় পাবে। বিভিন্ন লাইব্রেরীতে লোক পাঠানো হল। না, টাকার তেমন ব্যবস্থা হয়নি। শুধুমাত্র ডি. এম লাইব্রেরি দিয়েছিল পয়ত্রিশ টাকা। আরো অনেক টাকা বাকি। টাকা আবশ্যক।
ঘরে দেহ রেখে কবি গেলেন এক প্রকাশকের কাছে। প্রকাশক শর্ত দিল। এই মুহূর্তে কবিতা লিখে দিতে হবে। তারপর টাকা।
কবি মনের নীরব কান্না,যতনা লিখে দিলেন কবিতায়
"ঘুমিয়ে গেছে শান্ত হয়ে
আমার গানের বুলবুলি
করুন চোখে বেয়ে আছে
সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি।"
©
সরস্বতী পূজা
সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যেকমললোচনে, বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহি নমস্তুতে। জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোস্তুতে। নমঃ ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ। বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।। এস সচন্দন পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।'
সময়:
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
বুধবার
পঞ্চমী মুহূর্ত শুরু
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, দুপুর ২ঃ৪০ টায়
পঞ্চমী মুহূর্ত শেষ
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, দুপুর ১২ঃ০২ টায়
নিজে সচেতন হন এই সব ব্যাপারে, অপরকে ও সচেতন করুন। নিজে ডাক্তারী ফলাতে যাবেন না কখনোও । সুস্থ্য থাকুন সুস্থ্য রাখুন।
©® Science Indica
Thank you 🩺
#মহালয়া
পিতৃপক্ষের শেষক্ষণ ও দেবীপক্ষের সূচনাকালের সময়কেই মহালয়া বলা হয়। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ প্রতিপদ শুরু হয়ে পরর্বতী অমাবস্যা র্পযন্ত সময়কে পিতৃ পক্ষ বলে। পুরাণ মতে ব্রহ্মার নির্দেশে পতিৃপুরুষরা এই ১৫ দিন মনুষ্যলোকরে কাছাকাছি চলে আসনে। তাই এই সময় তাঁদরে উদ্দেশ্যে কিছু অর্পণ করা হলে তা সহজেই তাদের কাছে পৌছায়। তাই গোটা পক্ষকাল ধরে পিতৃপুরুষদেব স্মরণ ও মননের মাধ্যমে র্তপণ করা হয়। যার চূড়ান্ত প্রকাশ বা মহালগ্ন হল এই মহালয়া। অনেকেই এই দিনটিকে দেবীপক্ষের সূচনা বলে থাকেন। এটি একটি জনপ্রিয় কৃতকর্ম। মহালয়া পতিৃপক্ষরে শেষ দিন। পরের দিন শুক্লা প্রিতিপদে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। সেই দিন থেকে কোজাগরী পূর্ণিমা পর্যন্ত ১৫ দিনই হল দেবীপক্ষ।
#জাগো_দশপ্রহরণ_ধারিণী
জাগো দুর্গা, জাগো দশপ্রহরণ ধারিণী, অভয়াশক্তি বল প্রদায়নী তুমি জাগো-দেবী প্রসীদ পরিপালয়ে নো হরি ভীতে: নিত্যং যথাসুরবধদিধনৈব সদ্য: পাপানি সর্বজগতাঞ্চ শমং নয়াশু উত্পাতপাকজনিতাংশ্চ মহোপসর্গানা। পূত পবিত্র এই আহবানের মধ্যে দিয়ে আজ দিবাগত রাতের শেষে ভোরে (১২ অক্টোবর সোমবার)সারাবিশ্বে পালিত হবে পূণ্য তিথি মহালয়া। আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত হবে মহিষাসুরমর্দ্দিনী। বাণী কুমারের রচনা ও প্রবর্তনায় মাতৃসাধক বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের অমর কন্ঠের গ্রন্থনা ও শ্লোক পাঠে আবাহন হবে জগত্ জননী দেবী দূর্গার। দূর্গায়ে দূর্গপারায়ৈ সারায়ৈ সর্ব্বকারিণ্যৈ, খ্যাত্যৈ তথৈব্য কৃষ্ণায়ৈ ধুম্রায়ৈ সতত: নম:- মাতৃবন্ধনার এ আহবানে পবিত্র পূণ্যতিথি মহালয়া। শারদীয় দূর্গাপুজার সপ্তাহকাল পূর্বে মায়ের আরাধনা বন্ধনায় মহালয়া পালিত হবে।
#যার_প্রকাশ-
আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেঁজে উঠেছে আলোক মঞ্জিল, ধরনীর বর্হিআকাশে-অন্তরিত মেঘমালা, প্রকৃতির অন্তর আকাশে জাগরিত জোর্তিময়ী জগত্মাতার আগমন বার্তা, আনন্দময়ী মহামায়ার পদ্ধধ্বনি অসিম ছন্দে বেজে ঊঠে রুপলোক ও রশলোকে আনে নবভাব মাধুরীর সঞ্জিবন, ত্রাহি আনান নন্দিতা শামলী মাতৃকার চিন্ময়ীকে-মৃন্ময়ীকে আবাহন। আজ শক্তিরুপীনি বিশ্বজননীর শারদও শ্রীমন্ডিত প্রতিমা মন্দিরে মন্দিরে ধ্যানগ্রহিতা। মহামায়া-সনাতনী শক্তিরুপা গুনাময়ী-হে ভগবতী মহামায়া তুমিই ত্রিগুনাতিকা, তুমিই রজগুনে ব্রহ্মার গৃহিনী বাগদেবী,শপ্তগুনে বিহ্মœুর পতিœ লহ্মি, তমগুনে শিবের বনিতা পাবর্তী,আবার ত্রিগুনাতিত তুমিই অর্নিবচ্চনিয়া, আবার দেব ঋষি কণ্যা কাত্যায়নের কণ্যা কাত্যায়নী, তিনিই কণ্যাকুমারী আখ্যাতা দূর্গে, তিনিই দাক্ষ্যয়নি সতি, তিনিই আদিশক্তি, দেবী দূর্গা নিজদেহ সম্ভুত তেজপ্রবাহে শত্রুদহনকালে অগ্নিবর্ণা, অগ্নি লোচনা, এই উষা লগ্নে—হে মহাদেবী তোমার উদ্বোধনে প্রানের ভক্তিরশে আলোকিত হোক দিকে দিকে, হে অমিতজ্যোতি, হে মা দুর্গা, তোমার আবির্ভাবে ধরনী হোক প্রাণময়ী, জাগো জাগো মা।
“যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশব্রতে মহা দীক্ষালোভী
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণচুমি।”
স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট (১৩৫৪ বঙ্গাব্দের ২৯ শ্রাবণ, শুক্রবার) ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির শাসনকর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ১৫অগাস্ট তারিখটিকে ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস, অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন এবং বিভিন্ন চরমপন্থী গুপ্ত রাজনৈতিক সমিতির সহিংস আন্দোলনের পথে পরিচালিত এক দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব-মুহুর্তে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয় এবং তার ফলে ভারত ও পাকিস্তান অধিরাজ্যের জন্ম ঘটে। দেশভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। অনেক মানুষ প্রাণ হারান এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি গেটের উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তদবধি প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
১৫ আগস্ট দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানটি জাতীয় চ্যানেল দূরদর্শনের সাহায্যে সারা দেশে সম্প্রচারিত হয়। রাজ্য রাজধানীগুলিতেও পতাকা উত্তোলন সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অন্যান্য শহরে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ নিজ নিজ কেন্দ্রে পতাকা উত্তোলন করেন। নানা বেসরকারি সংস্থাও পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্কুল-কলেজেও পতাকা উত্তোলন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা এই উপলক্ষে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাজপোষাক পরে শোভাযাত্রা করে।
২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বৎসর পূর্ণ উপলক্ষে "স্বাধীনতার অমৃত মহাৎসব" উদযাপিত করা হয়। আর এই স্বাধীনতার ৭৬ বৎসর পূর্ণ উপলক্ষে এই দিবস উদযাপিত করা হল এই বছর।
বাল গঙ্গাধর তিলক (মরাঠি: बाळ गंगाधर टिळक) (জুলাই ২৩ ১৮৫৬ - ১ আগস্ট ১৯২০)
জন্ম নামঃ কেশভ গঙ্গাধার তিলক একজন ভারতীয় পণ্ডিত ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা, সমাজ সংস্কারক, আইনজীবী এবং স্বাধীনতা কর্মী ছিলেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম নেতা ছিলেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাকে ভারতীয় অস্থিরতার পিতা বলতেন। তাকে আরও সন্মানসুচক লোকমান্য বলা হত, যার অর্থ "জনগণ দ্বারা গৃহীত (নেতা হিসাবে)
নাম (Name) - বাল গঙ্গাধর তিলক (Bal Gangadhar Tilak)
ডাকনাম (Nickname) - লোকমান্য তিলক
জন্ম (Birthday) -২৩ জুলাই ১৮৫৬ (23rd July 1856)
জন্মস্থান (Birthplace)- রত্মগীরি, মহারাষ্ট্র
অভিভাবক (Parents)/পিতামাতা -গঙ্গাধর রামচন্দ্র তিলক
জাতীয়তা- ভারতীয়
আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
প্রধান সংগঠন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
ধর্ম - হিন্দু ধর্ম
মৃত্যু (Death) - ১ আগস্ট ১৯২০ (1st August 1920)
এই মহান ব্যাক্তির জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই ।
পেজ কে ফলো করুন Science Indica
“রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম,
ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।
পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি,
মূর্তি ভাবে আমি দেব—হাসে অন্তর্যামী।”
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এই পঙক্তিগুলোর সাথে কে না পরিচিত? বিশ্বকবি যে রথযাত্রার কথা কবিতায় লিখেছেন, সে রথযাত্রার রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস।
#রথ শব্দের আভিধানিক অর্থ অক্ষ, যুদ্ধযান বা কোনোপ্রকার যানবাহন অথবা চাকাযুক্ত ঘোড়ায় টানা হালকা যাত্রীবাহী গাড়ি। এই গাড়িতে দুটি বা চারটি চাকা থাকতে পারে। সাধারণত অভিজাত শ্রেণীর ঘোড়ার গাড়িকে রথ বলা হয়। পৌরাণিক কাহিনীতে রথের ব্যবহার দেখা যায় যুদ্ধক্ষেত্রে। মহাভারতে বর্ণিত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে সেনানায়করা রথে চড়ে নিজেরা যুদ্ধ করেছেন।
#আবির্ভাব
লোকমুখে শোনা যায়, শ্রী কৃষ্ণ তাঁর ভক্ত রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের সম্মুখে আবির্ভূত হয়ে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাষ্ঠখণ্ড দিয়ে তাঁর মূর্তি নির্মাণের আদেশ দেন।
মূর্তি নির্মাণের জন্য রাজা যখন একজন উপযুক্ত কাষ্ঠশিল্পীর সন্ধান করছেন, ঠিক তখন এক রহস্যময় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কাষ্ঠশিল্পী তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন। তিনি রাজার কাছে মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন এবং জানিয়ে দেন, নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেন। দরজার আড়ালে কাষ্ঠমূর্তি নির্মাণ শুরু হয়। রাজা-রানীসহ সকলেই নির্মাণকাজের ব্যাপারে অত্যন্ত কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। প্রতিদিন তাঁরা বন্ধ দরজার কাছে যেতেন ভেতর থেকে খোদাইয়ের আওয়াজ শুনতে। কিছুদিন বাদে রাজা বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন, এমন সময় আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়। অত্যুৎসাহী রানী কৌতূহল সংবরণ করতে না পেরে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। তখন তারা দেখেন মূর্তি অর্ধসমাপ্ত এবং কাষ্ঠশিল্পী অন্তর্ধিত। এই রহস্যময় কাষ্ঠশিল্পী ছিলেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা। মূর্তির হস্তপদ নির্মিত হয়নি বলে রাজা মুষড়ে পড়লেন, কাজে বাধাদানের জন্য অনুতাপ করতে থাকলেন। তখন দেবর্ষি নারদ রাজাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, এই অর্ধসমাপ্ত মূর্তিই পরমেশ্বরের এক স্বীকৃত স্বরূপ। তিনি এমন রূপই চেয়েছিলেন। এভাবেই জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব ঘটে।
#রথের বৈশিষ্ট্য
তিনটি রথ যাত্রার কিছু নিয়ম রয়েছে এবং রথের আকার, রঙেও ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন-
প্রথমে যাত্রা শুরু করে বড় ভাই বলভদ্রের রথ। এই রথের নাম তালধ্বজ। রথটির চৌদ্দটি চাকা। উচ্চতা চুয়াল্লিশ ফুট। রথের আবরণের রঙ নীল।
তারপর যাত্রা করে বোন সুভদ্রার রথ। রথের নাম দর্পদলন। উচ্চতা প্রায় তেতাল্লিশ ফুট। এই রথের মোট বারোটি চাকা। যেহেতু রথটির ধ্বজা বা পতাকায় পদ্মচিহ্ন আঁকা রয়েছে, তাই রথটিকে পদ্মধ্বজও বলা হয়ে থাকে। রথের আবরণের রঙ লাল।
সর্বশেষে থাকে শ্রী কৃষ্ণ বা জগন্নাথদেবের রথ। রথটির নাম নন্দীঘোষ। পতাকায় কপিরাজ হনুমানের মূর্তি আঁকা রয়েছে তাই এই রথের আর একটি নাম কপিধ্বজ। রথটির উচ্চতা পঁয়তাল্লিশ ফুট। এতে ষোলোটি চাকা আছে। রথটির আবরণের রঙ হলুদ।
তিনটি রথের আবরণীর রঙ আলাদা হলেও প্রতিটি রথের উপরিভাগটি লাল রঙেরই হয়ে থাকে। রথ তিনটি সমুদ্রোপকূলবর্তী জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে গুণ্ডিচা মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।সেখানে সাতদিন থাকার পর আবার উল্টো রথে জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে আসে।
#বিবৃতি অনুযায়ী রথের কিছু মজার এবং আশ্চর্য করা তথ্য রয়েছে। যেমন-
পুরীতে, রথের সময় এমন কোনো বছর নেই যে সময় রথের দিন বৃষ্টি হয়নি।
কোনো রকম আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াই রথ নির্মাণ করা হয়। বর্তমান সময়ের এত উন্নত প্রযুক্তির বিন্দুমাত্র সহায়তা নেওয়া হয় না রথ নির্মাণে।
রথ নির্মাণের নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য মাপগুলো হাতে নেওয়া হয়, কোনো গজ ফিতের সাহায্যে নয়। কোনো প্রকার পেরেক, নাট বল্টু, ধাতু- কিছুর ব্যবহার নেই এখানে।
প্রায় চৌদ্দশ’ কর্মী রথ নির্মাণ করেন। এখানে কাউকে আলাদা করে নিয়োগ করতে হয় না, কেননা সেই আদিকাল থেকে বংশপরম্পরায় যারা রথ তৈরি করে আসছিলো, তারা আজও রথ তৈরি করে যাচ্ছে।
রথ তিনটিতে বলরাম, সুভদ্রা এবং জগন্নাথের মূর্তি থাকে ভেতরে, যা নিমকাঠ দিয়ে তৈরি এবং প্রায় ২০৮ কেজি সোনা দিয়ে সজ্জিত।
রথ নির্মাণে যে সমস্ত কাঠ ব্যবহার করা হয়, তার উৎস হলো পুরীর কাছেই দাশপাল্লা ও রানাপুর নামের দুটি জঙ্গল। যে পরিমাণ গাছ কাটা হয়, তার দ্বিগুণ পরিমাণ গাছ প্রতি বছর রোপণও করা হয় জঙ্গলে।
#রথযাত্রা ২০২৩ -র দিনক্ষণ : (Rath Yatra 2023 Date & Time)
* রথযাত্রা - ২০ জুন (৪ আষাঢ়), মঙ্গলবার। দ্বিতীয়া শুরু এদিন ঘ ১১/২৫/১৩ -এ।
* উল্টো রথযাত্রা (পুনর্যাত্রা) - ২৪ জুন (১২ আষাঢ়), বুধবার।
সংগ্রহে রাখতে পারেন ।🌟
Written by Science Indica
মা আসছেন ....❤️
. ☀️E ছাড়া☀️
একবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রসিকতা করে মাইকেল মধূসুদন দত্তকে বললেন - মাইকেল, তুমি কি ইংরেজি বর্ণমালার E কে বর্জন করে একটি পূর্ণ অনুচ্ছেদ লিখতে পারবে?
মধূসুদন সহাস্যে বললেন :
I doubt I can. It’s a major part of many many words. Omitting it is as hard as making muffins without flour. It’s as hard as spitting without saliva, napping without a pillow, driving a train without tracks, sailing to Russia without a boat, washing your hands without soap. And, anyway, what would I gain? An award? A cash bonus? Bragging rights? Why should I strain my brain? It’s not worth doing.
[লক্ষ করুন, কোনো শব্দে E নেই।]
অনুচ্ছেদটির অর্থ :
আমার সন্দেহ আমি পারবো কি না। এটা অনেক শব্দের প্রধান অংশ। এটা ময়দা ছাড়া পিঠা বানানোর মতোই কঠিন। লালা ছাড়া থু থু মারার মতো, বালিশ ছাড়া ঘুমানোর মতো, রেললাইন ছাড়া রেলগাড়ি চালানোর মতো, নৌকা ছাড়া রাশিয়া যাত্রা করার মতো, সাবান ছাড়া হাত ধোয়ার মতো কঠিন। যাইহোক, এটা করতে পারলে আমি কী পাবো? কোনো পুরষ্কার? কোনো টাকা? কোনো অধিকার? তো অযথা কেন আমার মস্তিষ্ককে চাপ দেবো? এটা কোনো কাজের কাজ নয়।
মেধার চর্চা আজকাল নেই,
চারদিকে পরচর্চা!
একটি শিক্ষামূলক গল্প
* হতাশ হবেন না...
বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসর নেন তখন তার বয়স ৫৫ বছর।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তখন তার বয়স ৬৯ বছর।
ঢাকায় যখন সকাল ৫ টা বাজে, লন্ডনে তখন রাত ১১ টা।
সময়ের হিসেবে লন্ডন, ঢাকার থেকে ছয় ঘণ্টা পিছিয়ে..
এতে কিন্তু প্রমাণ হয় না যে, লন্ডন ঢাকার থেকে স্লো (slow)!
পৃথিবীর সবকিছু আপন গতিতে এবং নিজ সময় অনুযায়ী চলে।
কেউ গ্রাজুয়েশন শেষ করে ২২ বছর বয়সে..
কিন্তু চাকরি পেতে আরো ৫ বছর লেগে যায়।
আবার কেউ ২৭ বছরে গ্রাজুয়েশন শেষ করে পরের দিনই চাকরি পেয়ে যান!
অনেকে ২৫ বছর বয়সে কোম্পানির CEO হয়ে, মারা যান ৫০ বছর বয়সে।
আবার অনেকে ৫০ বছর বয়সে CEO হয়ে, মারা যান ৯০ বছরে।
কেউ ৩৩ বয়সে এখনও সিঙ্গেল,
আবার কেউ ২২ বছর বয়সে বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিয়েছেন!
মনে হতেই পারে, পরিচিতদের মধ্যে আপনার থেকে কেউ অনেক এগিয়ে আছেন,
আবার কেউ আছেন অনেক পিছিয়ে।
কিন্তু আপনার ধারনা ভুল..
প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ সময়, অবস্থান এবং গতিতে আছেন।
আগে থাকাদের প্রতি অভিযোগ না করে, পিছিয়ে থাকাদের অবহেলা না করে,
সব সময় শান্ত থাকুন।
আপনি এগিয়েও নেই, পিছিয়েও নেই!
আপনার পথ আপনার, অন্যের পথ অন্যের।
শুধু সময়কে গুরুত্ব দিয়ে পরিশ্রম করে যান..
একদিন ঠিকই সফল হবেন !
® Science Indica
#পাই_দিবস
পাই দিবস ও আপাত পাই দিবস গাণিতিক ধ্রুবক পাই (π)এর সম্মানে উদ্যাপনের দিন। পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪ বলে প্রতি বছর মার্চ ১৪ (৩/১৪) পাই দিবস হিসাবে পালিত হয়। তবে আপাত পাই দিবস নানা দিনে পালিত হয়ে থাকে।
পাই দিবসের জনক ল্যারি শ।
পাই দিবস কখনও কখনও ১৪ই মার্চ দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে উদ্যাপন করা হয়। ঐ দিন দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটকে পাই মিনিট নামে আখ্যায়িত করা হয়। দুপুর ১টা ৫৯ মিনিট ২৬ সেকেন্ডকে পাই সেকেন্ড বলা হয়। পাই সেকেন্ডে পাই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে পাইয়ের মানের (৩.১৪*১৫৯২৬*) কাছাকাছি সময়ে দিবসটি উদ্যাপন করা সম্ভব হয়।
পাই দিবস আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রদানের জন্য সুখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনেরও জন্মদিন।এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন আরেক বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং।
আপাত পাই দিবস বিভিন্ন দিবসে উদযাপিত হয়ে থাকে। ২২-এ জুলাই (২২/৭) তারিখটি এদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত। এছাড়াও ১০-ই নভেম্বর, যা কিনা বছরের ৩১৪-তম দিন (অভিবর্ষ বা লিপ ইয়ারের ক্ষেত্রে ৯-ই নভেম্বর) আপাত পাই দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। কোথাও কোথাও ২১-এ ডিসেম্বর (বছরের ৩৫৫-তম দিন) এবং লিপ ইয়ারের ক্ষেত্রে ২০-এ ডিসেম্বর দুপুর ১:১৩ মিনিটে চৈনিক পাই ভগ্নাংশের (৩৫৫/১১৩) সাথে মিল রেখে আপাত পাই দিবস উদ্যাপন করা হয়।
১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো পাই দিবস পালিত হয় সানফ্রানসিসকো-এর একটি বিজ্ঞান জাদুঘরে। জাদুঘরের বৃত্তাকার স্থানে এর কর্মচারী ও দর্শনার্থীরা মিলে কেক (পাই) খেয়ে দিনটি উদ্যাপন করেন। ঐ জাদুঘরের কর্মকর্তা ল্যারি শ এই দিবস উদ্যাপনের উদ্যোক্তা বলে তাকে “পাই-এর রাজপুত্র” বলা হয়।
মানুষের চাওয়া:
************
❐ উকিল চায় আপনি ঝামেলায় পড়ুন।
❐ ডাক্তার চায় আপনি অসুখে পড়ুন।
❐ পুলিশ চায় আপনি বেআইনী কাজ করুন।
❐ ইলেকট্রিশিয়ান চায় আপনার
বাড়ির ওয়্যারিং জ্বলে যাক।
❐ বাড়িওয়ালা চায় আপনি যেন
জীবনে বাড়ি করতে না পারেন।
❐ মুচি চায় আপনার নতুন জুতো ছিঁড়ে যাক।
❐ ব্যাংকার চায় আপনি টাকা লোন
নিয়ে ঋনগ্রস্থ হোন।
❐ প্রাইভেট টিউটর চায় আপনার
সন্তান পাঠ্যপুস্তকের পড়া কম বুঝুক।
**শুধুমাত্র চোর চায় আপনি ধনী
হোন আর মহাসুখে নাক ডেকে ঘুমান।
এতএব, চোরই আপনার প্রকৃত বন্ধু।
--------------প্রমানিত
৩টি জিনিসের উপর ভরসা করা ঠিক নয়।
১| নদীর পাড়ের বাড়ি
২। ব্রেক ছাড়া গাড়ি
৩। ঘর ছাড়া নারী।
তিনটি জিনিস একবার আসেঃ
(১) মাতা-পিতা
(২) সৌন্দর্য্য
(৩) যৌবন।
তিনটি জিনিস
ফিরিয়ে আনা যায়নাঃ
(১) বন্দুকের গুলি
(২) কথা
(৩) রূহ।
তিনটি জিনিস মৃত্যুর পর উপকারে আসেঃ
(১)সু-সন্তান
(২)ভাল কাজ
(৩) ইলম।
তিনটি জিনিস সম্মান নষ্ট করেঃ
(১)চুরি
(২)চোগলখুরী
(৩)মিথ্যা।
তিনটি জিনিস
পিছনেতে রাখোঃ
(১)হিংসা
(২)অভাব
(৩)সন্দেহ।
তিনটি জিনিসকে সর্বদা মনে রেখঃ
(১) উপদেশ
(২) উপকার
(৩) মৃত্যু।
তিনটি জিনিস কে আয়ত্বে রেখঃ
(১) রাগ
(২) জিহবা
(৩) মন।
তিনটি জিনিস অভ্যাস করঃ
(১) সততা
(২) ভক্তি
(৩) ভালোবাসা
তিনটি জিনিস থেকে দূরে থেকঃ
(১) মিথ্যা
(২) অহংকার
(৩) অভিশাপ।
তিনটি জিনিসকে চিন্তা করে ব্যবহার করঃ
(১) কলম
(২) কথা
(৩) কদম
নুপুরের দাম হাজার টাকা,,
কিন্তু তার স্থান পায়েই হয়,,
টিপের দাম এক টাকা হলেও ,,
তার স্থান কপালে।
"যে নুনের মতো
তিতকুটে জ্ঞান দেয়, সে আসল বন্ধু"।
ইতিহাস সাক্ষী আছে, নুনে কখনো পোকা ধরেনি,,
আর মিষ্টিতে তো প্রতিদিনই পোকা ধরে, পিঁপড়ারাও
ছাড়েনি।
মোমবাতি জ্বালিয়ে মৃত মানুষকে স্মরণ করা হয় ,,
আর মোমবাতি নিভিয়ে জন্মদিন পালন করা হয়।
মানুষ সোজা পথে চলতে চায় না,,
আর বাঁকা পথের প্রতি সবারই আগ্রহ বেশী।
এজন্যই তো মদ বিক্রেতাকে কারো কাছে যেতে হয়
না,,আর দুধ বিক্রেতাকে পাড়ায় পাড়ায় যেতে হয়।
আমরা দুধ বিক্রেতাকে সর্বদা বলি, "জল মেশাননি তো?",,
আর মদে নিজেরাই জল মিশিয়ে খাই
।
আজ পর্যন্ত মানুষকে এটুকুই বুঝলাম,,,
যে "তাকে জানোয়ার বললে ক্ষেপে যায়,,
কিন্তু সিংহ বললে খুশি হয় !!
মানুষ বড় আজব প্রাণী ..
©® Science Indica
দোল পূর্ণিমায় কেন রঙ খেলা হয়?
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে। দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্ন্যুৎসবের আয়োজন করা হয়। এই বহ্ন্যুৎসব হোলিকা দহন বা ন্যাড়াপোড়া নামে পরিচিত। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।
#হোলিকা দহন বা নেড়াপোড়া কেন হয়?
ভাগবত পুরাণ এর সপ্তম অধ্যায় অনুসারে অসুর রাজা হিরণ্যকশিপু অমর হতে চান। এজন্য ব্রহ্মার নিকট হতে অমরত্বের বরপ্রাপ্তির জন্য তিনি কঠোর ধ্যানে নিমগ্ন হন। কিন্তু দেবতারা খুব কমই অমরত্ব দান করে। কিন্তু হিরণ্যকশিপু এমন বর চান যাতে তাঁর মনে হয় যেন পরোক্ষভাবে তিনি অমরত্ব লাভ করেছেন। তিনি যে বর লাভ করেন তাতে তিনি পাঁচটি বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হন। এগুলো হচ্ছে, তাকে মানুষও হত্যা করতে পারবে না, কোন প্রাণীও হত্যা করতে পারবে না; তাকে ঘরেও হত্যা করা যাবে না, আবার বাইরেও হত্যা করা যাবে না; তাকে দিনেও হত্যা করা যাবে না আবার রাতেও হত্যা করা যাবে না; তাকে অস্ত্রের (যা ছুড়ে মারা হয়) দ্বারাও হত্যা করা যাবে না আবার সস্ত্রের (যা হাতে থাকে) দ্বারাও হত্যা করা যাবে না; তাকে স্থল, জল বা বায়ু কোথাও হত্যা করা যাবে না। এই বর লাভ করে হিরণ্যকশিপু অহংকারী ও উদ্ধত হয়ে ওঠে। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, কেবল তাকেই দেবতা হিসেবে পূজা করা হবে। কেউ তার আদেশ পালন না করলে তিনি তাকে শাস্তি দেবেন বা হত্যা করবেন। তার পুত্র প্রহ্লাদ তার সাথে সম্মত হয়নি। তিনি একজন বিষ্ণুভক্ত ছিলেন, তার পিতাকে দেবতা হিসেবে পূজা করতে তাই তিনি অস্বীকার করেন। প্রহ্লাদ বিষ্ণুকেই পূজা করা চালিয়ে যান।
এতে হিরণ্যকশিপু খুব রাগান্বিত হন এবং প্রহ্লাদকে হত্যা করার বিভিন্ন চেষ্টা করেন। এগুলোর মধ্যে একবার হিরণ্যকশিপু তার বোন হোলিকার কাছে সাহায্য চান। হোলিকার একটি বিশেষ পোশাক ছিল যা তাকে আগুনে পুড়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা করত। হিরণ্যকশিপুকে তিনি তার কোলে বসতে বলেন, আর হিরণ্যকশিপু তার কোলে বসলে তিনি প্রহ্লাদের উপর আগুন জ্বালিয়ে দেন। এতে প্রহ্লাদ আগুনে পুড়ে মারা যাবে কিন্তু হোলিকার কাছে থাকা বিশেষ বস্ত্রের জন্য তার কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু সেই আগুন জ্বলতেই হোলিকার শরীর থেকে সেই বস্ত্র খুলে গিয়ে প্রহ্লাদের শরীরকে আবৃত করে। এতে হোলিকা আগুনে পুড়ে যায়, আর প্রহ্লাদ ক্ষতি থেকে বেঁচে যায়।
বিষ্ণু নৃসিংহ অবতার (অর্ধমানব-অর্ধসিংহ) রূপে গোধূলি লগ্নে (দিন ও রাতের মাঝামাঝি সময়ে) আবির্ভূত হন, হিরণ্যকশিপুকে ঘরের চৌকাঠে (না বাইরে না ঘরে) নিয়ে যান, তাকে নিজের কোলে (না বায়ুতে, না স্থলে) স্থাপন করেন, ও এরপর হিরণ্যকশিপুর নাড়িভুড়ি বের করে ও তার থাবা দিয়ে (না অস্ত্র না সস্ত্র) তাকে হত্যা করেন। এভাবে হিরণ্যকশিপুর লাভ করা বর তাকে বাঁচাতে পারেনি। প্রহ্লাদ ও মানব জাতি বাধ্যবাধকতা ও ভয় থেকে মুক্তি পায়। নৃসিংহের দ্বারা হিরণ্যকশিপু বধ এর এই কাহিনী অশুভ এর উপর শুভের জয়কে নির্দেশ করে।হোলিকা দহন বা নেড়াপোড়া উৎসব এই ঘটনাটিকেই নির্দেশ করে। হোলিকার এই অগ্নিদগ্ধ হওয়ার কাহিনিই দোলের পূর্বদিনে অনুষ্ঠিত হোলিকাদহন বা চাঁচর উৎসবের সঙ্গে যুক্ত। স্কন্দপুরাণ গ্রন্থের ফাল্গুনমাহাত্ম্য গ্রন্থাংশে হোলিকা ও প্রহ্লাদের উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে।
*কৃষ্ণের কিংবদন্তি
*
ভারতের ব্রজ অঞ্চলে, যেখানে কৃষ্ণ ছোট থেকে বড় হয়, সেখানে রাধা ও কৃষ্ণের স্বর্গীয় ভালোবাসার স্মৃতি হিসেবে দিনটি রঙ পঞ্চমি হিসেবে উদযাপিত হয়। বসন্তে উৎসবটি হয়, এবং প্রেমের উৎসব হিসেবে দিনটি পালিত হয়।এছাড়া দিনটিতে কৃষ্ণকে স্মরণ করার জন্য আরেকটি পুরাণও রয়েছে। হোলিকে ফাগওয়া (Phagwah)-ও বলা হয়, এবং এক্ষেত্রে হোলিকাকে বলা হয় পুতানা। কৃষ্ণের মামা এবং রাজা কংস তার শিশু ভাগ্নে কৃষ্ণকে নিজের জীবনের জন্য সংকট বলে মনে করে। কংস রাক্ষসী পুতানাকে, নারীর বেশে কৃষ্ণকে হত্যা করতে পাঠায়, যেখানে পুতানা রাক্ষসী কৃষ্ণকে স্তন্যদান করাতে গিয়ে বিষ প্রয়োগ করে কৃষ্ণকে হত্যা করবে। কিন্তু শিশু কৃষ্ণ কেবল পুতনার বিষাক্ত দুধই পান করেনি, সেইসাথে পুতানার রক্তও পান করে। এরফলে পুতনা একজন রাক্ষসীতে পরিণত হয়। এরপর পুতানা পালিয়ে যায় ও আগুনে জ্বলে ওঠে, এবং কৃষ্ণের গায়ের রঙ ঘন নীল হয়ে যায়।
ফাগওয়া (Phagwah) উদ্যাপনের আগের রাতে পুতনার দহন উদযাপিত হয়। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, কৃষ্ণ তার যৌবনে হতাশ হয়ে ভাবে, উজ্জ্বল বর্ণের রাধা ও অন্যান্য গোপিরা তার শ্যাম বর্ণের কারণে পছন্দ করবে কিনা। এতে কৃষ্ণের মা কৃষ্ণের হতাশায় ক্লান্ত হয়ে তাকে বলেন, রাধার কাছে গিয়ে সে রাধার মুখমণ্ডলকে যেকোন রঙ দিয়ে রাঙ্গিয়ে দিতে পারে। কৃষ্ণ তাই করে, এবং এরপর রাধা ও কৃষ্ণ জুড়ি হয়ে যায়। রাধা ও কৃষ্ণের এই রঙ নিয়ে খেলাই হোলি বা দোলযাত্রা হিসেবে পালিত হয়।
#দোল পূর্ণিমার তিথি কখন থেকে পড়ছে?
২০২৩ সালে দোল পূর্ণিমা পড়ছে ৭ মার্চ এবং ৮ মার্চ পড়ছে হোলি। দোল পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ৬ মার্চ ৪টে ২০মিনিটে। তবে হোলি উৎসবটি পালিত হয় দোলযাত্রার ঠিক পরদিন। ফাল্গুনী পূর্ণিমা তথা দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি অত্যন্ত পবিত্র তিথি। দোল পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে ৭ই মার্চ অর্থাৎ ২২ শে ফাল্গুন মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৬টা ০২মিনিটে। এই সময়ের মধ্যে নারায়ণ পুজো হতে পারে।
Wr. by Science Indica ®
©
পুরনো দিনের স্মৃতি♥️...
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইংরেজি শব্দ:
"Pneumonoultramicroscopicsilicovolcanoconiosis"
বাংলাঃ
(নিউমনোআলট্রামাইক্রোস্কোপিকসিলিকোভলকানোকোনিওসিস)
- এটি ফুসফুসের একটি রোগের নাম। আর এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইংরেজি শব্দ।
এখানে ৪৫ টি বর্ণ আছে।
🇮🇳 74তম প্রজাতন্ত্র দিবস 🇮🇳
ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তারিখে ভারত শাসনের জন্য ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করে। এটি ভারতের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় গণপরিষদ সংবিধান কার্যকরী হলে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
সরস্বতী পূজা..
শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করা যায়। সরস্বতীর পূজা সাধারণ পূজার নিয়মানুসারেই হয়। তবে এই পূজায় কয়েকটি বিশেষ উপচার বা সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। যথা: অভ্র-আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত-কলম ও যবের শিষ। পূজার জন্য বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুলও প্রয়োজন হয়। লোকাঁচার অনুসারে, ছাত্রছাত্রীরা পূজার পূর্বে কুল ভক্ষণ করেন না। পূজার দিন কিছু লেখাও নিষিদ্ধ। যথাবিহিত পূজার পর লক্ষ্মী, নারায়ণ, লেখনী-মস্যাধার (দোয়াত-কলম), পুস্তক ও বাদ্যযন্ত্রেরও পূজা করার প্রথা প্রচলিত আছে। এই দিন ছোটোদের হাতেখড়ি দিয়ে পাঠ্যজীবন শুরু হয়।পূজান্তে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার প্রথাটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের দল বেঁধে অঞ্জলি দিতে দেখা যায়।
পূজার পরদিন পুনরায় পূজার পর চিড়ে ও দই মিশ্রিত করে দধিকরম্ব বা দধিকর্মা নিবেদন করা হয়। এরপর পূজা সমাপ্ত হয়। সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র (৩ বার পাঠসহ)
=================
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।।
এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।
প্রনাম মন্ত্র
=======
নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।
জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
সরস্বতী পূজার ফর্দ-
হরিতকী, পঞ্চগুঁড়ি, পঞ্চশস্য, পঞ্চরত্ন, পঞ্চপল্লব ১, ঘট ১, দর্পণ ১, তীরকাঠি ৪, ঘটাচ্ছাদন গামছা ১, সশীষ ডাব ১, একসরা আতপ চাল, পুষ্পাদি, সিঁদুর, আসনাঙ্গুরীয়ক মধুপর্কের বাটী , নৈবেদ্য, কুচা নৈবেদ্য, সরস্বতীর শাটী চন্দ্রমালা বিল্বপত্রমাল্য থালা, ঘটি, শঙ্খ, লৌহ, নথ, আমের মুকুল, যবের শীষ, কুল, আবির, অভ্র, মস্যাধার(দোয়াত) ও লেখনী, ভোগের দ্রব্যাদি, গব্যঘৃত পান,কর্পূর, গুরুত্বপূর্ণ পলাশ ফুল |