BASAT E-Quran Learning

BASAT E-Quran Learning

educational site

08/05/2024

একজন মুসলিমের জন্য এর চেয়ে বড় আফসোসের আর কি হতে পারে যে,বিভিন্ন ভাষা,নানা ধরনের বিদ্যা ও ডজনের অধিক সার্টিফিকেট সে অর্জন করে ফেলেছে,অথচ জীবনের লম্বা সময় পার করে আসার পরও আজও তাকে বাংলা উচ্চারণেই কুরআন পড়তে হয়।

সেই ছোট বেলার সম্বল ৪/৫ টি ছোট ছোট সূরা। প্রত্যেক নামাজে সেই সূরা গুলোই সে পড়ে আসছে,বছরের পর বছর।
নতুন কিছু সূরা মুখস্থের সুযোগ ১০/১৫ বছরেও আর তার হয় নি।

একটুও কি আফসোস হয় না এই মানুষগুলোর? একটুও কি খারাপ লাগে না?

হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যেই দেহের মধ্যে আল -কুরআনের কোন শিক্ষা নেই,সেই দেহটা হচ্ছে উজাড় বাড়ীর মত। (সূনান আত-তিরমিযি)

তাই মৃত্যু আসার আগেই পবিএ কুরআন শিক্ষা করুন।

24/03/2023
20/03/2023

🔰কোরআন শিক্ষা ও তেলাওয়াতের ফজিলত

✔️কোরআনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সর্বোত্তম ব্যক্তি

পরবর্তী আয়াতে আরও বলা হয়েছে, ‘পরিণামে তাদেরকে আল্লাহ তাদের সওয়াব পুরোপুরি দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ -সুরা ফাতির : ২৯-৩০

✔️প্রত্যেক হরফের জন্য সওয়াব লাভ
কোরআনে কারিম তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিরাট সওয়াব অর্জন করার সুযোগ রয়েছে। এর সঙ্গে অনেক উপকারিতাও রয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।’ -তিরমিজি : ২৯১০

✔️কোরআনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সর্বোত্তম ব্যক্তি
পবিত্র কোরআন শিক্ষার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা যায়। হজরত উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই, যে নিজে কোরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।’ -সহিহ বোখারি : ৫০২৭

✔️কোরআন তেলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবে
কেয়ামতের ভয়াবহ অবস্থার সময় কোরআন তেলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবে। এটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কোরআন তেলাওয়াত করো, কারণ, কোরআন কেয়ামতের দিন তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে।’ -সহিহ মুসলিম : ১৯১০

✔️কোরআন পড়া উত্তম সম্পদ অর্জন
কোরআন পড়া বা শিক্ষা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকা উত্তম সম্পদ অর্জন করার অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়ে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কেন সকালে মসজিদে গিয়ে আল্লাহর কোরআন হতে দু’টি আয়াত পড়ে না বা শিক্ষা দেয় না?

✔️কোরআন তেলাওয়াত ঈমান বাড়ায়

তাহলে সেটি তার জন্য দু’টি উট লাভ করার চেয়ে উত্তম হবে। তিনটি আয়াত তিনটি উট অপেক্ষা উত্তম। চারটি আয়ত চার উট অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপ আয়াতের সংখ্যা অনুপাতে উটের সংখ্যা অপেক্ষা উত্তম। -সহিহ মুসলিম : ১৩৩৬

✔️কোরআন তেলাওয়াত ঈমান বাড়ায়
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বান্দার জন্য এমন উপকারী যে, তা তেলাওয়াত করলে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেওয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ারদেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে।’ -সুরা আনফাল : ২

✔️কোরআনের ধারক-বাহক ঈর্ষণীয় ব্যক্তি
কোনো ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে তার হক আদায় করে তেলাওয়াত করলে তার সঙ্গে ঈর্ষা কিংবা তার মতো হওয়ার আকাঙ্খা করা যাবে।

ইসলামি শরিয়তে একমাত্র দুই ব্যক্তির ওপর ঈর্ষা করা যায়। এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহতায়ালা কোরআনের ইলম দান করেছেন, সে দিবা-রাত্রি ওই কোরআন তেলাওয়াতে ব্যস্ত থাকে। দ্বিতীয় সে ব্যক্তি, যাকে আল্লাহতায়ালা ধন-সম্পদ দান করেছেন। সে তা দিনরাত (বৈধ কাজে) খরচ করে। -সহিহ বোখারি : ৭৫২৯

Website