Humans of Programming Hero
The actual stories of superheroes who were brave enough to take action to change their life forever.
মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের স্টুডেন্ট হয়েও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইসলামের ইতিহাস ডিপার্টমেন্টে পড়া অবস্থায় ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে দেশের বাইরে রিমোট জব পাওয়াটা শুধুমাত্র চেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম ও প্রোগ্রামিং হিরোর ক্রেজি সাপোর্টের কারণেই সম্ভব হয়েছে।
আমার এই যাত্রায় যারাই পাশে ছিলেন সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
Name: Mazharul Islam
Company Name: Smart Surnav Intelligent Technology Co. Ltd
Company Location: Shenzhen, China
Designation: Front End Developer
Batch No: Batch-8
জব পাওয়ার বিষয়টি আমার কাছে এমন ছিলো যে, “জব প্লেসমেন্ট এ এলাম, দেখলাম ও জব জয় করলাম।” ৪০ পরবর্তী বয়সে এসে ক্যারিয়ার সুইচ করে পুনরায় ক্যারিয়ার শুরুর এই ধাপে প্রোগ্রামিং হিরো আমাকে তার সবটুকু দিয়ে সাহায্য করেছে।
আমার ওয়েব ডেভলপমেন্ট জার্নির শুরুটা ছিল অনেকটা কুল কিনারাহীন। আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না ঠিক কোন টেকনোলজি শেখা উচিত বা কিভাবে প্রোফেশনাল লাইফে ডাইভ করা উচিত। এমন একটা সময়ে আমি প্রোগ্রামিং হিরো’র “Complete Web Development Course with Programming Hero” ব্যাচ-০৮ এ এনরোল করি। এনরোল করার পর থেকেই তারা প্রত্যক্ষ গাইড লাইন দেয়া শুরু করে। এমনকি একদম টাইপিং স্কিল ডেভলপ করা থেকে শুরু করে, কোন পথে আগালে টেকনোলজি গুলো ভালোভাবে রপ্ত করতে পারবো তার দিকনির্দেশনা আমার জীবনে অনবদ্য অবদান রেখেছে এবং রাখছে।
এরপর আসি কোর্স কন্টেন্ট এ, যা ছিল গোছালো ও প্রাঞ্জল। আমি ভেবে পাইনা একজন মানুষ এত মেধাবী হয় কিভাবে। জ্বি, অত্যন্ত মেধাবী ও গুনী মানুষটি আমাদের ঝংকার মাহবুব ভাই এর কথা বলছি। যিনি জাভাস্ক্রিপ্টের মত একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকে এত সহজ ভাষায় সর্বসাধারণের উপযোগী করে প্রেজেন্ট করেছেন।
বিষয়টি ছিল এমন যেন কোন মা তার শিশুকে ধরে ধরে পৃথিবীর রূপ রং এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে আর ধীরে ধীরে বড় করে তুলছে। আমার এখনো মনে আছে ঝংকার মাহবুব ভাই কোর্সের ওরিয়েন্টেশন ভিডিও তে বলেছিলেন “তুমি আজ বুকে হাত দিয়ে নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করো, তুমি তোমার সাধ্যের সর্বোচ্চটা দিবে।” আমি সেদিন দাড়িয়ে তার সাথে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমি আমার সর্বোচ্চটা দিবো। বিভিন্ন স্পিচ এ ঝংকার মাহবুব ভাই আরেকটা কথা বলেন, “তুমি যতদিন লেগে থাকবে প্রোগ্রামিং হিরো ততদিন তোমার সাথে থাকবে।” তিনি তার কমিটমেন্ট রক্ষা করেছেন। আমি আমার কিছু পারসোনাল কারেণ তিন তিন বার জব প্লেসমেন্ট টিমের সাথে কাজ করার সুযোগ মিস করেছি।
কিন্তু তার কমিটমেন্ট আমাকে অনবরত কনফিডেন্ট করে তুলেছে এবং আমার কনসিসটেন্সি ধরে রাখতে সাহায্য করেছে।
যখন কোর্স শুরু করি তখন আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলাম এর পাশাপাশি আমেরিকার একটি এজেন্সিতে কাজ করতাম। রাত ১০টায় কোর্স শুরু করতাম প্রতিদিন রাত তিনটায় ঘুমাতাম এবং সকাল নয়টায় উঠতাম। এই কঠিন জার্নিটি সম্ভব হয়েছে প্রোগ্রামিং হিরোর টাইম ম্যানেজমেন্ট গাইড লাইনের জন্য। আমি সকল ধরণের আড্ডা এমনকি পরিবারকেও সময় দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কোর্সের মাঝামাঝি সময় এসে আর পারছিলাম না। কিন্তু আমাকে তো এসসিআইসিতে(SCIC- Super Charged Interviewee Club) সুযোগ পেতে হবে। আমি জব ছেড়ে দিলাম। কোর্সে আরো সময় বাড়িয়ে দিলাম।
নিয়মিত আয়ের উৎস বন্ধ হওয়ায় আমার মানসিক চাপের পরিমানটা ভাষায় প্রকাশ করা মত ছিলো না। প্রচন্ড চাপ নিয়ে এসাইনমেন্ট-১১ শেষ করলাম। কিন্তু এসাইনমেন্ট-১২ তো রয়ে গেছে। এখানে নির্দিষ্ট একটা মার্কস না পেলে আরলি আলবাট্রোসের সুযোগটি হাত ছাড়া হয়ে যাবে। তাই হলো, তবে এসসিআইসি তে সুযোগ পেলাম।
এ যেন শেষ থেকে আরেক শুরু, আরেক অধ্যায়। যার সফল জার্নির পর আসে বিরল চমক জব প্লেসমেন্ট সাপোর্ট। সফল কোর্স সম্পন্নকারীদের চাকুরীর জন্য তৈরি ও চাকুরী পাইয়ে দেবার মিশন। একজন মেন্টরের অধীনে সার্বক্ষণিক তত্বাবধানের নাম এই জব প্লেসমেন্ট।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রোগ্রামিং হিরো’র জব প্লেসমেন্ট টিমের প্রতি। বিশেষ করে সুমাইয়া কবির তন্দ্রা আপুর প্রতি, যিনি নিজ হাতে আমাদের রিজিউমি সংশোধন করে সরাসরি আমাকে bdCalling Ltd. –এ রেফার করেছেন। জব পাওয়ার বিষয়টি ছিল, “জব প্লেসমেন্ট এ এলাম, দেখলাম ও জব জয় করলাম” এরকম। যদিও এই পর্যন্ত আসার জার্নিটা মোটেও সহজ ছিল না। এর ঠিক আগের ধাপটি ছিল ‘মুন নাইট’। মুন নাইটের মেন্টর সৌরভ চন্দ্র ভাইয়াকে ধন্যবাদ। যিনি একটি প্রোফেশনাল জব এনভায়রনমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের তৈরি করেছেন।
৪০ পরবর্তী বয়সে এসে ক্যারিয়ার শুরুর এই ধাপে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আমাদের শ্রদ্ধাভাজন গুনীজন প্রিয় ঝংকার মাহবুব ভাইয়ের প্রতি যিনি এত সুন্দর একটি প্লাটফর্ম আমাদের উপহার দিয়েছেন। আমি প্রোগ্রামিং হিরো’র প্রতিটি কল্যানকর পদক্ষেপের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তা সফল হতে সাহায্য করেন।
Name: Jillur Rahman Tushar
Company Name: bdCalling IT Ltd.
Company Location: Dhaka, Bangladesh
Designation: Front End Developer
Batch No: Batch-8
বোটানিতে পড়াশোনা করলেও জীবনে একাডেমিক সাফল্য পাইনি। এক বছর আগে নিজে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শুরু করি, কিন্তু মোটিভেশন কম ছিল।
একদিন বন্ধুর মাধ্যমে প্রোগ্রামিং হিরো সম্পর্কে জানতে পারি। তাদের কোর্সে এনরোল করার পর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম শতভাগ মনোযোগ দিয়ে এই কোর্স শেষ করবো। ইন্সট্রাকশনগুলো মনোযোগ দিয়ে ফলো করতাম এবং সবসময় ৯৫% বা তার উপরে মার্কস পেতাম।
মাঝে কিছু চ্যালেঞ্জ এলে ডিমোটিভেটেড হয়ে যেতাম তো বটেই, কিন্তু ইন্সট্রাক্টররা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে মোটিভেট করেছে। কোর্স শেষে যখন জব পাইনি, তখনও হতাশ হয়েছিলাম, কিন্তু ইন্সট্রাক্টরদের সাহায্যে আমি আবার চেষ্টা করি। প্রোগ্রামিং হিরোর মাধ্যমে বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপ করে আমি জব পেয়েছি এবং এখন পরিবার ও নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়েছি।
প্রোগ্রামিং হিরোর কোর্সের মধ্যে অনেক গুলো উল্লেখযোগ্য দিকের মধ্যে অন্যতম হলো,
প্রত্যেকটা মডিউল শেষে ঝংকার মাহবুব ভাইয়ের অনুপ্রেরণা প্রদান করা কিছু লাইন, যেকোনো ইরোর এর সম্মুখীন হলে ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে সল্যুশন পাওয়া, ডিমোটিভেট ফিল করলে স্টুডেন্ট রিলেশনশিপ টিম থেকে ডিরেক্ট কলে বা মেইলে মোটিভেট করার চেষ্টা করা সহ ইত্যাদি।
মূল কোর্স শেষে জব প্লেসমেন্টের স্পেশাল প্রোগ্রাম Endgame এ আমাদেরকে শেখানো হয় কিভাবে একটা গ্রুপ হিসেবে কাজ করতে হবে কিভাবে নিজের কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াতে হয় এবং প্রত্যেকটা সময় আমাদের উইকনেস গুলোকে জেনে সে সম্পর্কে একটা স্পেশাল সেশন দেওয়া হয় যার ফলে আমরা আমাদের দূর্বলতার উপর কাজ করতে পেরেছিলাম।
Endgame শেষে যখন জব প্লেসমেন্টের বুটক্যাম্পে আসি তখন শিখলাম কিভাবে প্রফেশনাল লাইফে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে হবে, এটা ছাড়া প্রত্যেকটা সেশনে প্রত্যেকটা ইন্সট্রাক্টর এর প্রায় সব কথা আমি লাইন বাই লাইন ফলো করার ট্রাই করেছি যার ফলে আমি ছোটখাটো যে সফলতায় পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ তার তার বড় একটি অংশীদার প্রোগ্রামিং হিরো এবং তার সকল ইন্সট্রাক্টর।
প্রোগ্রামিং হিরো আমাকে শুধু প্রোগ্রামিং শিখায়নি, বরং আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এবং আমার ভেতরের ভালো দিকগুলো বের করে এনেছে। তাদের গাইডেন্স ও সমর্থন আমাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে, যার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ।
Name: Nilima Jahan Pritom
Company Location: New York, USA
Designation: Web Developer
Batch No: Batch-8
প্রোগ্রামিং হিরোর কমপ্লিট ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্সে ইনরোল করার আগে আমি একজন জব হোল্ডার ছিলাম। কিন্তু জব টা আমার মনের মত ছিল না, পারিবারিক কিছু কারণে আমাকে জবে ঢুকতে হয়। অনেক আগে থেকে ইচ্ছে ছিল ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার। প্রোগ্রামিং হিরো তে ঢুকার পূর্বে আমি শুধু HTML, CSS ই জানতাম যার কারণে প্রথম দিকে আমার তেমন কোনো অসুবিধা হয় নি।
কিন্তু, Javascript এর মডিউল আসার পর শুরু হলো আসল খেলা, জব প্লাস কোর্স দুইটা এক সাথে কন্টিনিউ করা আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছিল, ১০ ঘণ্টা অফিস করে এসে রান্না করে আবার রাত জেগে কোর্সের মডিউল দেখা প্লাস প্র্যাকটিস করা আবার সকালে উঠে অফিসে দৌড়ানো অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে যাচ্ছিল। এভাবে কিছুদিন চলার পর আমি অসুস্থ হতে থাকি, এরপর সিদ্ধান্ত নিলাম আমি জব টা ছেড়ে দিয়ে কোর্সে ফুল ফোকাস দিব। যেই কথা সেই কাজ, দিয়ে দিলাম রিজাইন। এরপর বাড়ি এসে ফুল ফোকাস দিলাম কোর্সে।
ইন্ডগেম শেষ করে জব প্লেসমেন্টের বুটক্যাম্পে জয়েন করি কিন্তু কোনো কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না অনেকবার হাল ছেড়ে দিয়েছি আমাকে দিয়ে এসব হবে না এই ভেবে। কিন্তু এর মাঝে একটা ইন্টারভিউ কল পাই একটু উৎসাহ পেলাম দিলাম ইন্টারভিউ কিন্তু কাজ হলো না এভাবে আবার জব এপ্লাই শুরু করলাম আবার সেই হতাশা। এরপর মে'এর ২ তারিখে ইন্টারভিউ এর জন্য কল করে। মে’এর ৫ তারিখে জানানো হলো, আমাকে তারা ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার (ইন্টার্ন) হিসেবে সিলেক্ট করেছে।
কঠোর পরিশ্রমের শেষটা আমার জন্য সুখকর হয়েছে, ফ্রন্ট-ইন্ড ডেভেলপার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার সুইচ করতে পেরেছি।
Name: Rakibul Islam
Company Name:SoftSync Inc
Company Location: Dhaka, Bangladesh
Designation: Front End Developer
Batch No: Batch-8
প্রোগ্রামিং হিরোর সাথে যতদিন কোনো স্টুডেন্ট লেগে থাকবে, ততদিন প্রোগ্রামিং হিরো তার বেস্ট ইফোর্টটা দিয়ে সাহায্য করবে, যার বাস্তব দৃষ্টান্ত আমি নিজেই।
প্রোগ্রামিং হিরোর সাথে আমার জার্নি শুরু হয়েছিলো ২০২০ সালে। একদমই প্রথম ব্যাচ অর্থাৎ ব্যাচ-১ এর স্টুডেন্ট ছিলাম। নিজের পার্সোনাল এবং ফ্যামিলির কিছু সমস্যার কারণে প্রথম তিনটি অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে যুক্ত হয়ে যাই পিছিয়ে পড়াদের দলে।
গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর মনে হলো যে কোর্সটা শেষ করা দরকার কারণ একটা জবে ঢুকা প্রয়োজন ছিলো। প্রায় ৩ বছর পর ২০২৩ সালে ব্যাচ-৭ এর সাথে কোর্স রিসেট দেই। রিসেট ব্যাচে রেগুলার ব্যাচের মতো সাপোর্ট না পাওয়া গেলেও সীমিত আকারে সাপোর্ট পাওয়া যেতো, সাথে রিওয়ার্ড হিসেবে সঠিক ভাবে কোর্স কমপ্লিট করতে পারলে জব প্লেসমেন্ট টিম একটি ওয়ার্কশপ দেওয়ার কথা ছিলো। এই ওয়ার্কশপটি আমার জন্য মোটিভেশন হিসেবে কাজ করেছিলো, কখনো পিছিয়ে পড়লে নিজে নিজেকে পুশ করতাম অনটাইমে কোর্স কমপ্লিট করার জন্য।
শেখার ক্ষেত্রে আমি সবসময়ই কন্সিসটেন্সি মেইনটেইন করার চেষ্টা করতাম। কোনো টপিক অনেক বেশি কঠিন মনে হলেও এক দুই দিন ব্রেক নিয়ে পুনরায় শেখার ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করতাম।
পরবর্তীতে কোর্স কমপ্লিট করে জব প্লেসমেন্টের ওয়ার্কশপে জয়েন করি। প্রোগ্রামিং হিরোর সাথে জার্নিতে সবচেয়ে বেশি হেল্প পেয়েছি জব প্লেসমেন্টের ওয়ার্কশপটায়। কিভাবে জবের জন্য প্রস্তুত হতে পারি তার হাতে কলমে গাইডলাইন ছিলো এখানে। রিজিউমি তৈরি করা থেকে শুরু করে জব ইন্টারভিউ কিভাবে ক্র্যাক করা যায় সকল কিছুর আদ্যোপান্ত শিখতে পেরেছিলাম।
এরপর শুরু হয় জবে অ্যাপ্লাই করার জার্নি। ৪/৫ টা জবে অ্যাপ্লাই করার পরই যখন একটা কোম্পানি থেকে জব কনফার্মেশন কল পাই তখনকার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না, সত্যিই মন থেকে প্রোগ্রামিং হিরোর জন্য দোয়া আসে। আমার পুরো জার্নিতে জব প্লেসমেন্ট মেন্টর শাকিল তালুকদার ভাইয়া অনেক সাহায্য করেছেন। যে কোম্পানিতে আমি এখন কাজ করছি সেখানে আমার মেন্টর রিজিউমি রিকমেন্ড করেছিলেন।
বর্তমানে আমি DevNest OPC. নামে একটি কোম্পানিতে ইন্টার্ন সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করছি।
প্রোগ্রামিং হিরোর সাথে যতদিন কোনো স্টুডেন্ট লেগে থাকবে, ততদিন প্রোগ্রামিং হিরো তার বেস্ট ইফোর্টটা দিয়ে সাহায্য করবে, যার বাস্তব দৃষ্টান্ত আমি নিজেই। শুধুমাত্র টেকনিক্যাল স্কিলই নয়, প্রোগ্রামিং হিরো থেকে আমি প্রোপার টাইম ম্যানেজমেন্ট, কোনো কিছু শেখার ক্ষেত্রে কন্সিসটেন্সি বজায় রাখা সব কিছুই শিখতে পেরেছিলাম যা আমার সেল্ফ ডেভেলপমেন্টে বেশ সাহায্য করেছে।
আমার মতো পিছিয়ে পড়া স্টুডেন্টদের জন্যও যে প্রোগ্রামিং হিরো টিম চিন্তা করে, নতুন নতুন অপরচুনিটি দিয়ে সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনে, ক্যারিয়ার শুরু করার মতো মনোবল প্রদান করে তার জন্য আমি ভীষণ রকম কৃতজ্ঞ আমি।
Name: Jubayer Bin Jaman
Designation: Software Developer
Company Name: DevsNest OPC
Company Location: Dhaka, Bangladesh
ছয় মাসের কোর্স শেষ করে ৮ মাসের মাথায় জব পাবো এটা কখনো ভাবি নি। নিয়মিত সময় দেওয়া, নিজের সর্বোচ্চ ইফোর্ট দেওয়ার সাথে সাথে প্রোগ্রামিং হিরো টিম ছিলো বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে ভার্সিটি এডমিশনের জন্য প্রস্তুতি নেই। ইচ্ছা ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হব। কিন্তু কোন পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স হয়নি। শেষমেষ ঢাকা সিটি কলেজে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে ভর্তি হই। এর কিছুদিন পরেই করোনার কারণে ভার্সিটি বন্ধ হয়ে যায়। আমি আরো ডিপ্রেসড হয়ে যাই। কেটে যায় প্রায় দুইটি বছর। আমিও প্রোগ্রামিং থেকে দূরে চলে যাই। এরপর শুধু ভার্সিটিতে যেতাম, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম আর রাতে বাসায় এসে ঘুমাতাম। এভাবেই কাটতে থাকে আমার দিন।
আমার ফ্রেন্ড সার্কেলের অনেকেই কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের ছিল। ওদের থেকে প্রোগ্রামিং করার গল্প শুনতাম। বাকি বন্ধুরাও পড়াশুনার পাশাপাশি কিছু না কিছু করতো। ধীরে ধীরে আড্ডার ফ্রেন্ড সার্কেল কমতে থাকে। তারপর থেকেই মনে হলো আমার নিজের কিছু করা উচিত, জীবনকে গুছানো জরুরি। কিন্তু কি দিয়ে শুরু করবো, কোথায় থেকে শুরু করব কিছুই আইডিয়া ছিল না। তখন আমার এক বন্ধুর থেকে প্রোগ্রামিং হিরোর কমপ্লিট ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স সম্পর্কে জানতে পারি। এরপর বাসায় অনেক বুঝিয়ে কোর্সে এনরোল করার টাকা ম্যানেজ করি এবং ভর্তি হয়ে যাই ব্যাচ-৮ এর মিশনে।
শুরু হয় আমার জীবনে এক নতুন জার্নি। অরিয়েন্টেশন মডিউলে ঝংকার মাহবুব ভাই বলেছিল ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। আমিও কোর্সের শুরু থেকে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা টাইম দেওয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু একাডেমিক পড়াশোনা এবং পরীক্ষার কারণে অনেক সময় ৬ ঘটা সময় দিতে পারতাম না। যার কারণে মাঝে মধ্যে কোর্সের ফ্লো থেকে পিছিয়ে যেতাম। সম্পূর্ণ কোর্স চলাকালীন ঝংকার মাহবুব ভাই আমাদের দিক-নির্দেশনা দিতেন এবং মোটিভেট করতেন। পাশাপাশি কোর্সের সকল ইন্সট্রাক্টর ছিলেন খুবই ফ্রেন্ডলি। যখনই কোন সমস্যা ফেস করতাম সাপোর্ট সেশনে গেলে ইন্সট্রাক্টর ভাইয়েরা খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতেন। এসাইনমেন্টের সময় খাওয়া-দাওয়া ভুলে এসাইনমেন্ট করতাম। যার ফলও পেতাম এসাইনমেন্টে ভালো মার্কস পাওয়ার মাধ্যমে।
সকল এসাইনমেন্ট অন-টাইমে সাবমিট করার কারণে রিওয়ার্ড হিসেবে SCIC পাই। এখান থেকে ইন্টারপার্সোনাল স্কিল ডেভেলপ করা সহ একটা জব ইন্টারভিউ কিভাবে ক্র্যাক করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি। কিন্তু আমার ইংলিশে দুর্বলতা থাকার কারণে মক-ইন্টারভিউতে খারাপ করি এবং জব প্লেসমেন্ট টিমের সাথে প্রথম ধাপে সরাসরি বুটক্যাম্পে জয়েন করে কাজ করার সুযোগ হারাই।
কিছুটা হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রোগ্রামিং হিরো আমাদের হতাশ করেনি, তারা আমাকে “Project Endgame” নামে একটি এক্সক্লুসিভ প্রজেক্টে জয়েন করার সুযোগ করে দেয়। এটি মূলত একটি ছায়া ইন্টার্ন, যেটি জব প্লেসমেন্ট টিম পরিচালনা করে থাকে। এখান থেকে শিখেছি কিভাবে প্রেজেন্টেশন দিতে হয়, একটি রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট কিভাবে করতে হয়, কিভাবে টিম ওয়ার্ক করতে হয় এবং কিভাবে টিম মেম্বারদের সাথে কমিউনিকেট করতে হয়। প্রত্যেকদিন দুই বেলা স্ক্রাম এ জয়েন হয়ে প্রতিদিনের কাজের আপডেট ইংলিশে দিতে হতো। এটার মাধ্যমে আমার আমার ইংলিশে দুর্বলতা অনেকটাই কেটে যায়। আমাদের ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন সুমাইয়া কবির তন্দ্রা আপু। তিনি খুবই ভালোভাবে আমাদের সবকিছু বুঝিয়ে দিতেন এবং খোঁজখবর রাখতেন।
“Project Endgame” শেষ করে পর জব প্লেসমেন্ট টিমের সাথে কাজ করার সুযোগ পাই। আমার মেন্টর হিসেবে ছিলেন Md. Abdullah ভাই। রেগুলার বুটক্যাম্পে জয়েন হয়ে জব হান্টিং মিশন শুরু করে দেই। কিন্তু অনেক জবে এপ্লাই করার পরও তেমন কোন রেসপন্স পাচ্ছিলাম না। তখন আব্দুল্লাহ ভাই বলেছিলেন হাল ছাড়লে চলবে না।তাই জব এপ্লাই চালিয়ে যেতে থাকি। এর কিছুদিন পরেই bdCalling IT থেকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হয় এবং আমাকে একটা জব টাস্ক দেওয়া হয়। জব টাস্ক খুব ভালোভাবে করে ডেডলাইনের আগেই জমা দিয়েছিলাম। অবশেষে আল্লাহর রহমতে bdCalling IT তে Frontend Developer হিসেবে জয়েন করার সুযোগ পেয়ে যাই।
ডেভেলপমেন্ট স্কিল ছাড়াও প্রোগ্রামিং হিরো থেকে শেখা অনেক কিছুই এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।ডিসিপ্লিনড লাইফ লিড করা, শেখার ক্ষেত্রে কন্সিসটেন্সি বজায় রাখা, নিজের উপর আস্থা রাখা, কোনো কিছু শেখার ক্ষেত্রে মনোবল দৃঢ় রাখা এইসব কিছুতে আমি এখন পুরোদমেই অভ্যস্ত।
ছয় মাসের কোর্স শেষ করে ৮ মাসের মাথায় জব পাব এটা কখনো ভাবি নি। নিয়মিত সময় দেওয়া, নিজের সর্বোচ্চ ইফোর্ট দেওয়ার সাথে সাথে প্রোগ্রামিং হিরো টিম ছিলো বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। ভীষণ কৃতজ্ঞতা জানাই আমার সকল মেন্টরদের।
Name: Al Zabid
Designation: Junior Frontend Web Developer
Company Name: bdCalling IT Ltd.
Company Location: Dhaka, Bangladesh
Batch-8
আমাদের জীবনে যত আনন্দ, যত স্বাচ্ছন্দ্য, তা সব মায়ের অবদানেই।
মা'র হাত ধরে শুরু হয় আগামীর পথে আমাদের চলা।
আজ আন্তর্জাতিক মা দিবসে পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি জানাই অসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। ❤️
Eid Mubarak! 🌙
May this festive season unite us in joy, harmony, and togetherness. Wishing you all peace, prosperity, and countless blessings as we celebrate this special occasion together. ❤️
গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার আগেই দেশের বাইরে রিমোট জবে জয়েন করা এবং লেভেল-২ কোর্সের মধ্য দিয়ে আমার স্বপ্ন পূরণের জার্নি
ইন্টারমিডিয়েটে পড়াশুনা করার সময়ই মূলত ওয়েবসাইট ডিজাইনের সাথে হাতেখড়ি। যেহেতু আমার নিজের ল্যাপটপ ছিলো না তাই খাতার মধ্যে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে কলেজের কম্পিউটারের প্র্যাকটিস করতাম। ধীরে ধীরে আমি ইনজয় করতে শুরু করলাম এই ব্যাপারটি।
ইচ্ছে ছিলো কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করবো। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গুলো ফোকাস করে এডমিশনের প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করি। পরবর্তীতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির সুযোগ পাই।
প্রোগ্রামিং হিরোর সাথে আমার পরিচয় লকডাউনের সময় থেকেই। কমপ্লিট ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্সের লেভেল-১ এ আমি ব্যাচ-৫ এ জয়েন করি। যেহেতু আমার সিজিপিএ টপে রাখার একটা প্ল্যান ছিলো তাই কোর্স চলাকালীন সময়ে ফাইনাল এক্সামগুলোতে আমি কোর্স থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়াশুনাতে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করতাম। পরবর্তীতে সময় বের করে গ্যাপ গুলো কভার করে ফেলতাম। এভাবেই আমি লেভেল-১ কোর্স কমপ্লিট করে SCIC তে জয়েন করি। SCIC এর পরে জব প্লেসমেন্টের Moon Knight নামে একটা প্রজেক্টে জয়েন করি। যেহেতু তখনই আমার জবে জয়েন করার ইচ্ছে ছিলোনা তাই ওভারঅল জব হান্টিং এর প্রসেস গুলো জানার জন্যই জয়েন করা। তবে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমার ইন্টারপার্সোনাল স্কিলের সাথে সাথে ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা বাড়ে কারণ আমাদের প্রত্যেকদিনের স্ক্রামে ইংরেজিতে আপডেট দেয়া বাধ্যতামূলক ছিলো।
একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি কিছু সময় বের করে নিয়মিত স্কিল ডেভেলপমেন্টে সময় দেওয়ার চেষ্টা করতাম। লেভেল-২ এর এনরোলমেন্ট শুরু হওয়ার পর এনরোল করার প্ল্যান করে ফেলি কারণ প্রোগ্রামিং হিরোর লার্নিং ইনভায়রনমেন্ট সম্পর্কে আমার পূর্ণ আস্থা ছিলো।
কোর্সের অন্যসব স্টুডেন্টের মতো আমার জার্নিটা মোটেও সহজ ছিলো না। কোর্স শুরুর কিছুদিনের মধ্যে প্রচুর অসুস্থ হয়ে যাই। ফলশ্রুতিতে কোর্সের ফ্লো মেইনটেইন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিন্তু লেভেল-১ থেকে কোনো কিছুর শেখার ক্ষেত্রে কন্সিসটেন্সি এবং লেগে থাকার যে মানসিকতা রপ্ত করেছিলাম তা বেশ কাজে লেগেছে। কোর্সের ফ্লোতে না থাকলেও আমি নিয়মিত কিছু সময়ের জন্য কোর্সের কন্টেন্ট দেখা এবং প্র্যাকটিস করার ক্ষেত্রে সময় দিতাম।
অনটাইমে আমি কোর্স কমপ্লিট করতে পারিনি কিন্তু প্রোগ্রামিং হিরোর থেকে পিছিয়ে পড়া স্টুডেন্টদের জন্য কিছু না কিছু ব্যবস্থা সবসময়ই থাকে। যার ফলে 21 Days Challenge নামের একটি চ্যালেঞ্জে আমি জয়েন করি এবং কোর্সের অ্যাসাইনমেন্ট গুলো এই চ্যালেঞ্জে থাকাকালীন শেষ করি। চ্যালেঞ্জটিতে উইন করার রিওয়ার্ড হিসেবে জব প্লেসমেন্ট টিমের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাই।
জব প্লেসমেন্ট টিম থেকে আমার মেন্টর ছিলো আবদুল্লাহ আল হাবিব ভাইয়া। প্রত্যেকদিনের বুটক্যাম্পে ভাইয়া বিভিন্ন গাইডলাইনস্ দিতেন যা জব হান্টিং এর জন্য আমার জন্য বেশ হেল্পফুল ছিলো।
আমি মোট ৩ টা ইন্টারভিউতে অ্যাটেন্ড করি এবং আলহামদুলিল্লাহ তার মধ্যেই একটিতে আমি জব অফার পেয়ে যাই। যদিও আমার জবের পজিশন ইন্টার্ন রোলে ছিলো কিন্তু ইন্টারভিউতে কোম্পানির সিইও আমার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হয়ে ফুলটাইম সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জব অফার করেন। লেভেল-২ তে শেখা অ্যাডভান্সড্ টেকনোলজি গুলো আমাকে হেল্প করেছে অনেক। লেভেল-২ তে শেখা টেকনোলজি গুলো দিয়ে আমি একটা প্রজেক্ট তৈরি করি যেটির মধ্যে কমপ্লেক্স কিছু ফাংশনালিটিস্ আমি ইমপ্লিমেন্ট করি। আমার জব পাওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রজেক্টটি বড় ভূমিকা রাখে।
এইমাসের ৬ তারিখে আমি USA এর এআই বেইজড্ একটি কোম্পানি Koolio.ai তে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেছি। গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার আগেই জবে জয়েন করাটা আমার লাইফের একটা গোল ছিলো। আলহামদুলিল্লাহ, প্রোগ্রামিং হিরোর কল্যাণে আমি সেটি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। স্পেশালি লেভেল-২ এর সকল মেন্টরদের নিকট আমি কৃতজ্ঞ।
জবে জয়েন করার পর এইবার আমার প্রথম ঈদ। আমার জন্য তাই এই ঈদ অনেকখানি স্পেশাল।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মুবারক।
Name: Maisha Maliha Chowa
Designation: Software Engineer
Company Name: Koolio.ai
Company Location: California, USA
Level-2 Course, Batch-1
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার অত্যন্ত প্রত্যন্ত একটি গ্রামে আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছিলাম, তাই আমার শৈশব অন্য আর দশটি ছেলের মতো রঙিন ছিলো না। বলা যায় কোনো ভাবে বেঁচে থাকাটাই তখন মূখ্য উদ্দেশ্য ছিলো।
ছোটবেলা থেকেই মোবাইল, কম্পিউটারের প্রতি বেশ আগ্রহ ছিলো। একটা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের শখ ছিলো আমার, তাই ফোন কেনার জন্য টিউশনি করিয়ে টাকা জমাতাম। পরবর্তীতে কলেজের পাশে একটি প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম শেখার জন্য ভর্তি হই। যেহেতু ভর্তি ফি আমার সাধ্যের বাইরে ছিলো তাই ইনস্টলমেন্টে আমি ভর্তি ফি দেয়া শুরু করি। আমার আগ্রহ দেখে সেখানকার ট্রেইনার আমাকে একটা ল্যাপটপ কিনতে বলে। যেহেতু নতুন ল্যাপটপ কেনা সম্ভব না তাই পনের হাজার টাকার একটি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনে নেই। একটা সমিতি থেকে লোন নিয়ে আমি আমার লাইফের প্রথম ল্যাপটপ কিনি। পরবর্তীতে টিউশনির টাকা দিয়ে লোন পরিশোধ করতে থাকি।
আমাদেরই গ্রামের এক বড় ভাই ঢাকায় পড়াশুনা করতেন, একদিন উনার কাছে পরামর্শ চাই যে আমি আইটি রিলেটেড ফিল্ডে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারি। মূলত তার কাছ থেকেই প্রোগ্রামিং হিরো সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি। তারপর আমি প্রোগ্রামিং হিরো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি এবং ব্যাচ-৬ এ ইনরোল করি।
যেহেতু আমার গ্র্যাজুয়েশনও তখন শেষ হয়ে গিয়েছিলো তাই কোর্সে সময় দেয়া এবং টিউশন করানো ছাড়া আমার আর কোনো কাজ ছিলোনা। প্রথম থেকেই মোটামুটি ভালোভাবে কোর্সের ফ্লোতে ছিলাম। পরবর্তীতে আর্লি জবপ্লেসমেন্টে চান্স পেয়ে আমি জব প্লেসমেন্টের সাথে কাজ করা শুরু করি। কিছুদিন বুটক্যাম্প কন্টিনিউ করে ইন্ডিয়ান একটি কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপে জয়েন করি। কাজের প্রচুর প্রেশার ছিলো কিন্তু স্যালারি সমস্যা থাকায় আমি জবটি ছেড়ে দেই।
কিছুদিনের মধ্যে দেখলাম লেভেল-২ কোর্সের ইনরোলমেন্ট শুরু হয়েছে। তাই একপ্রকার ধারদেনা করেই লেভেল-২ কোর্সে ইনরোল করার সিদ্ধান্ত নিই। এখন আমি হলফ করে বলতে পারি যে আমার লাইফের অন্যতম একটি বেস্ট ডিসিশন ছিলো লেভেল-২ কোর্সে ইনরোল করা। কোর্স চলাকালীন মাত্র একমাসের মাথায় আমার নিজের মধ্যে অন্যরকম কনফিডেন্স কাজ করছিলো।
লেভেল-২ থেকে আমার প্রাপ্তির হিসেব অনেক। টাইপস্ক্রিপ্ট আমি কোর্সে ইনরোল করার আগে শিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু শিখে উঠতে পারিনি। মেজবা ভাই খুবই ভালোভাবে টাইপস্ক্রিপ্টটা শেখায়।
এখনকার প্রোডাকশন লেভেলের প্রায় সব অ্যাপ্লিকেশনে Mongoose ইউজ করা হয় যেটার ব্যবহার কোর্সে প্রফেশনালি দেখানো হয়েছিলো যা এখন বর্তমান জবে আমার কাজে লাগছে। এছাড়াও প্রোপার ওয়েতে Error Handling শিখতে পেরেছি, আমি আগে যে কোম্পানিতে কাজ করেছিলাম সেখানে Error Handling নিয়ে অনেক সমস্যা ফেইস করতে হয়েছিলো। লেভেল-২ তে Global Error Handling দেখানো হয়েছিলো যা খুবই অসাধারণ ছিলো।
নেক্সটজেএস ও রিডাক্সের পার্ট উল্লেখ করার মতো ছিলো। মির ভাইয়ের রিডাক্স ছিলো অনবদ্য একটা পার্ট লেভেল-২ তে। Redux RTK Query এর মাধ্যমে Data Fetching এবং Data Cashing করা শিখেছিলাম যেটি বর্তমানে আমার ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ারে বেশ কাজে দিচ্ছে।
MongoDB এর বাইরে অন্য কোন ডাটাবেইজে শিখতে বেশ ভয় লেগেছিলো, এবং SQL ডাটাবেইজকে জটিল মনে হতো। কিন্তু লেভেল-২ তে PostgreSQL দেখানো হয় যার মাধ্যমে আমি রিলেশনাল ডাটাবেইজ শিখতে পেরেছি। এছাড়াও টেস্টিং এর ধারণা প্রথম আমি এখানেই পাই।
প্রোডাকশন লেভেলের এপ্লিকেশনে কোডের যে স্ট্রাকচার ,এর সাথে সাথে কিভাবে সার্ভারে ফাইল আপলোড করতে হয় কিভাবে কোড গুলোকে স্ট্রাকচারড্ ওয়েতে রাখতে হয়, কোন কোন বেস্ট প্র্যাকটিস ফলো করতে হয় তাও আমি জানতে পেরেছি। এগুলো সাধারণত বাইরে একসাথে পাওয়া যায় না।
আর যে মারাত্মক লেভেলের সাপোর্ট লেভেল-২ টিম দেয় তা অতুলনীয়। কোথাও আটকে গেলে তা সলভ্ না হওয়া পর্যন্ত সাপোর্ট পেয়েছি আমি।
লেভেল-২ কোর্স কমপ্লিট করার পর জব প্লেসমেন্ট মেন্টর হিসেবে হাবিব ভাইকে পাই। অসাধারণ একজন মানুষ তিনি। তার সরাসরি রিকমেন্ডেশনে আমি বিডি কলিং আইটি কোম্পানিতে ব্যাক-ইন্ড ফোকাসড্ ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার হিসেবে কাজ করা শুরু করি। আমার স্বপ্ন পূরণের পেছনে কাজ করা সব মেন্টরকে স্পেশালি ঝংকার ভাইয়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। পরিবারকে পাশে না পেলেও প্রোগ্রামিং হিরো টিমকে সবসময় আমার পাশে পেয়েছি।
Name: Sampod Chandra Nath
Designation: Full Stack Developer
Company Name: BD Calling IT
Company Location: Dhaka,Bangladesh
Apollo Level-2 Course, Batch-1
স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। আপনাদের সকলকে স্বাধীনতা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। 🇧🇩 ❤️
ফাইট্রন জব প্লেসমেন্টের রিকমেন্ডেশন লেটার এবং নন-সিএসই ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আমি যেভাবে জব পেলাম!
ছোটবেলা থেকে নতুন কিছু শেখার ক্ষেত্রে আমার প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো। তারই সূত্র ধরে বেশ অনেকগুলো স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্সের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছিলাম। কিন্তু কোনোটার মাধ্যমেই নিজের প্যাশন খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
একদিন আমার এক বন্ধু ফাইট্রন সম্পর্কে জানায়। পুনরায় হোঁচট খাবো কিনা তা চিন্তা করে ইনরোল করতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম, তারপরও নিজের জন্য শেষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে ফাইট্রনের ব্যাচ-১ এ ইনরোল করে ফেলি।
পরবর্তীতে শুরু হয় এক দীর্ঘ যাত্রার। নন-সিএসইতে পড়ার কারণে অনেক গুলো টপিক বুঝতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো। যেমন, সি, সি++ , ডাটা স্ট্রাকচার অ্যালগরিদম, ওওপির অনেকগুলো ফান্ডামেন্টাল বিষয় বুঝতে সমস্যা হচ্ছিলো, তখন প্রচন্ড হতাশা কাজ করতো। আমার ফাইট্রনের আসার ডিসিশন কি ভুল ছিলো কিনা এমন প্রশ্নও মাথায় আসতো। শুক্রবার থাকতো আমাদের এক্সাম ডে, আমার জন্য ছিলো এক আতঙ্কের নাম শুক্রবার। স্কুলের পরীক্ষার মতো বৃহস্পতিবার থেকেই আমার ভয় লাগা শুরু হয়ে যেতো।
তারপর নিজে নিজের সাথে বসলাম, অন্যরা পারলে আমি কেনো পারছিনা, আমার কোথায় ঘাটতি আছে বের করার চেষ্টা করলাম। যথেষ্ট সময় দিলে আমি বিষয়গুলো বুঝতে পারবো বলে মনোবল দৃঢ় করলাম। আগের থেকে সময় বাড়িয়ে দিতে লাগলাম।
প্রত্যেকদিনের কন্সেপচুয়াল সেশনগুলোতে নিয়মিত জয়েন করতাম। সমস্ত কনফিউশন ক্লিয়ার করে ফেলার চেষ্টা করতাম। কন্সেপচুয়াল সেশনের ভাইয়াদের সাথে সেশনের পরেও আমার সমস্যা গুলো নিয়ে কথা বলতাম। ভাইয়ারা আমাকে অনেক উৎসাহ দিতেন, কোনো কিছু অর্জনের জন্য যে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয় তা শেয়ার করতেন। লাইফের ডিফিকাল্ট সিচুয়েশন গুলো হ্যান্ডেল করতে হয় কিভাবে তা নিয়ে বলতেন।
এই ব্যাপারগুলো আমাকে আরো বেশি এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাতো। ছুটির দিন গুলোতেও আমি যথেষ্ট সময় দেয়ার চেষ্টা করতাম। এইভাবেই ফাইট্রেনের সাথে আমার মূল কোর্সের জার্নি আমার শেষ হয়।
পরবর্তীতে আর্লি জবপ্লেসমেন্টে জয়েন করি জবপ্লেসমেন্ট টিমের সাথে। আমরা সেখানে একটা গ্রুপ প্রজেক্ট করেছিলাম, যেহেতু জ্যাঙ্গো তখন নতুন ছিলো আমার কাছে তাই প্রজেক্টে আমি ভালোভাবে কন্ট্রিবিউট করতে পারছিলাম না। ফলশ্রুতিতে আমার দুইজন টিম মেম্বার জব প্লেসমেন্ট থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার পায় কিন্তু আমি পাইনি।
বলা যায় আমার লাইফে এই রিকমেন্ডেশন লেটারটিই একটি ভিন্ন মোড়ে নিয়ে যায়। নিজের মধ্যে জেদ কাজ করছিলো, একই টিমের টিম মেম্বার যদি রিকমেন্ডেশন লেটার পায় আমি কেনো পাবো না, তাহলে আমি কি ফাইট্রন জব প্লেসমেন্ট থেকে রিকমেন্ডেড কোনো ডেভেলপার না? এমন প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক খেতো।
আমার কোথায় ঘাটতি আছে বুঝার চেষ্টা করলাম। নিজেকে সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিজের সর্বোচ্চ ইফোর্ট দিয়ে আমি আরো প্রজেক্ট করতে শুরু করলাম। বিভিন্ন দিক থেকে নতুন টেকনোলজি এক্সপ্লোর করলাম৷ পরবর্তীতে জব প্লেসমেন্ট টিমের সাথে পুনরায় যুক্ত হয়ে জবের জন্য অ্যাপ্লাই করা শুরু করলাম।
কয়েকটা জবে অ্যাপ্লাই করার পর একটা কোম্পানি আমাকে জব অফার করে। যদিও উনাদের কাজ করার সেক্টর সম্পূর্ণ আলাদা ছিলো তাও টাস্ক ভালোভাবে করার জন্য তারা আমাকে কন্সিডার করে। এআই, নেটওয়ার্ক অটোমেশন নিয়ে তারা কাজ করতো। যেহেতু আমি নতুন ছিলাম তাই প্রথমে শিখে এরপর অ্যাপ্লাই করতে হতো। কিছুদিন পর উনারা আমার সাথে ডিসকন্টিনিউ করার কথা জানালেন কারণ উনারা আরো ভালো কাউকে এক্সপেক্ট করছিলেন।
অবশেষ নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার আরেকবার চ্যালেঞ্জ নিলাম। জব প্লেসমেন্টে আমার মেন্টর সাইফুল ভাইকে সব জানানোর পর ভাইয়া বুটক্যাম্প কন্টিনিউ করতে বলেন এবং আমাকে উৎসাহ দেন। এরপর আমি অ্যাপ্লাই করা শুরু করে দেয় কিন্তু তার আগে নিজে কিছুদিন কিছু প্রজেক্ট করি।
আল্লাহর রহমতে কিছুদিনের মধ্যে Xemiron IT Solutions নামে বাংলাদেশী একটি কোম্পানিতে আমি জব জ্যাঙ্গো ডেভেলপার হিসেবে জয়েন করি।
এখন নতুন কিছু শিখতে, চ্যালেঞ্জ নিতে আর ভয় পাইনা। গ্র্যাজুয়েশনের আগেই জবে জয়েন করে ফ্যামিলিতে কন্ট্রিবিউট করতে পারছি যা একমাত্র ফাইট্রন পাশে ছিলো বলেই সম্ভব ছিলো। ফাইট্রনের সকলের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ আমি।
Name: Moinul Islam
Designation: Django Developer
Company Name: Xemiron IT Solutions
Company Location: Dhaka,Bangladesh
Phitron Batch-1
লাইফের প্রথম ইন্টারভিউতেই জব পাওয়ার সৌভাগ্য এবং ফাইট্রন থেকে আমার প্রাপ্তি!
এসএসসি পর্যন্ত আমি বিজনেস স্টাডিস্ ব্যাকগ্রাউন্ডে ছিলাম। কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে সাইন্স নিয়ে পড়াশুনা করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এসএসসির পর মনে হলো আমি কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়বো। পরবর্তীতে ডিপ্লোমাতে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হই। প্রথম সেমিস্টার পরেই আমি মোটামুটি ফ্লোতে চলে আসি এবং ভালো রেজাল্ট করতে থাকি আলহামদুলিল্লাহ্।পড়াশুনার পাশাপাশি নিজের স্কিলকে ডেভেলপ করার জন্য আমি নতুন নতুন টেকনোলজি শিখতে বেশ ইনজয় করতাম।
ফেসবুকে ঝংকার মাহবুব ভাইয়ার আইডিতে “CSE Fundamental with Phitron” কোর্স সম্পর্কে জানতে পারি।আমার আরো তিন ফ্রেন্ড মিলে ভর্তি হয়ে যাই কোর্সে এবং আলহামদুলিল্লাহ এটাই ছিলো আমার লাইফের টার্নিং পয়েন্ট।
প্রথমেই আমাদের “Math For Programming” নামে একটা একটা কোর্স করানো হয়েছিলো যেখানে প্রোগ্রামিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাথ গুলো শেখানো হয়েছিলো। প্রায় ৬ মাস C/C++ দিয়ে বেসিক প্রবলেম সলভিং এবং ডাটা স্ট্রাকচার এন্ড এলগরিদম শেখানো হয়েছিলো। পরবর্তীতে আমি প্রবলেম সলভিং ক্লাব এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ট্র্যাক এর মধ্যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ট্র্যাক বেছে নিই। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ট্র্যাকে প্রায় ৫/৬ মাস Python, OOP, Database, Django, REST API সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ টপিক শেখানো হয়।
মূল কোর্স ভালোভাবে কমপ্লিট করার পর জব প্লেসমেন্ট টিমে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাই। যেখান থেকে আমি ইন্টারপার্সোনাল স্কিলসহ জবে জয়েন করার জন্য এবং পরবর্তীতে কিভাবে জবে টিকে থাকতে হবে তা সম্পর্কে পরিপূর্ণ গাইডলাইন প্রদান করা হয়।
Tech Knight নামক এক্সক্লুসিভ একটা প্রজেক্টের আন্ডারে টিম প্রজেক্ট করার সৌভাগ্যও সেখানে হয়। আমার টিমে আমি টিম লিডার এবং বিভিন্ন টিমের স্ক্রাম লিডার হিসেবে কাজ করেছি যার মাধ্যমে কমিউনিকেশন স্কিলে আরো পরিপক্বতা অর্জন করি। পরবর্তীতে টিম প্রজেক্ট কমপ্লিট করার পর বিভিন্ন জবে এপ্লিকেশন প্রসেস শুরু হয়। পুরো সময়টাতে জব প্লেসমেন্ট এর দায়িত্বে ছিলেন সাইফুল ইসলাম ভাইয়া, যিনি উনার সম্পূর্ণ ডেডিকেশন দিয়ে একটু একটু করে আমাদের জবের জন্য প্রস্তুত করেছেন।
আমার খুব বেশি কোম্পানিতে এপ্লাই করতে হয়নি। প্রথমেই এপ্লাই করেছি Mediusware Ltd. এ। এপ্লাই করার পর ওরা MCQ টেস্ট, একটি টাস্ক দেয়া যা ভালোভাবে কমপ্লিট করার পর অন-সাইটে অফিস গিয়ে সরাসরি ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য সিলেক্ট করা হয়। যেহেতু লাইফের ফার্স্ট ইন্টারভিউ খানিকটা নার্ভাস তো ছিলামই। ইন্টারভিউর জন্য অফিসে ডুকার আগে সাইফুল ভাইয়ের সাথে অনেক্ষন কথা হয়। উনার সাথে কথা বলার পর মনোবল ফিরে পাই। উনার একটা কথা খুব ভালো করে নোট করি যে,”যতটুকু পারেন কনফিডেন্সের সাথে ফ্লুয়েন্টলি অ্যান্সার দিবেন”।
Mediusware এ ইন্টারভিউ প্রসেস একটু ভিন্ন।সেখানে তারা একটা জব পোস্টের জন্য বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে প্রতিদিন ৪/৫ জন করে ইন্টারভিউর জন্য অফিসে ডাকে।তাই বেশ সময় দিয়েই ক্যান্ডিডেটদের ইন্টারভিউ নেয়া হয়।সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ইন্টারভিউ শেষে CEO থেকে সরাসরি অফার লেটারের সুসংবাদ পাই আলহামদুলিল্লাহ্।
ফাইট্রনের জন্য শুধু দোয়া আর ভালোবাসা যারা আমাকে দীর্ঘ এক বছরেও অধিক সময় আমার পাশে থেকে আমাকে জব পর্যন্ত পোঁছাতে সাহায্য করেছে।
Name: Afat Uddin Shaon
Designation:Software Engineer Intern
Company Name: Mediusware Ltd.
Company Location: Dhaka, Bangladesh
Phitron Batch-2
ফাইট্রনের সাহায্যে শূন্য থেকে শিখরে উঠার জার্নি
অন্য অনেক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের মত আমারও ইচ্ছে ছিল ভালো কিছু করার, ছিলো পরিবারকে আর্থিকভাবে সাপোর্ট করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। ২০১০ সালে আমি এসএসসি কমপ্লিট করি। ভালো কিছু করার তাড়নায় ২০১৩ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় আমি মালয়েশিয়ায় পড়াশুনা করতে যাই। এখানে এক বছর পর সার্টিফিকেট ইন হোটেল অপারেশন কোর্স কন্টিনিউ করা আর হয়ে উঠেনি। এরপর কনস্ট্রাকশন এবং রেস্টুরেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে মোট ১০ বছর কাজ করি।
সময় ভালোই কাটছিল। হঠাৎ ২০২০ সালের করোনা আমার জীবনে অনেক কিছুই নতুন করে ভাবতে শেখায়। প্রতিদিনের একঘেয়েমি ১০-১২ ঘন্টা কাজ, একটা সময় পর দেশে ফেরত গেলে কি করব, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ছাড়া বেশি দূর যাওয়া যাবে না,কি ধরনের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা যায় - এইসব চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। তখন আমি ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
কখনো মনে হতো, যেখানে শেষ করেছিলাম, সেখান থেকে আবার শুরু করলে কেমন হয়! তখন আমার কম্পিউটার ছিল না। ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসে প্রোগ্রামিং হিরোর ওয়েব কোর্সে ভর্তি হই। এক বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ভর্তি হই আর কম্পিউটার কিনি। (আট বছর বিদেশে থাকার পরও টাকা ধার নিয়ে কম্পিউটার কিনতে হয়!) কোর্স কমপ্লিট করলেও রেস্টুরেন্টে কাজের প্রেশার বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে ঠিকভাবে সময় দিতে পারছিলাম না।
যেহেতু আমি শুরু করেছিলাম শেখার উদ্দেশ্যেই তাই প্রোগ্রামিং এর ফান্ডামেন্টাল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে ফাইট্রন ব্যাচ-২ এ এনরোল করি। নিজেকে স্থির করলাম যে আরো দেড় বছর শুধুই এক্সপ্লোর করব।
ফাইট্রনের সাথে আমার চমৎকার একটা জার্নি ছিলো। প্রথমে "ম্যাথ ফর প্রোগ্রামিং" কোর্স, তারপর ফিরোজ স্যারের C এর অসাধারণ ক্লাস, অপূর্ব সাহা ভাইয়ের ডাটা স্ট্রাকচার, মাহির শাহরিয়ার ভাইয়ের অ্যালগরিদম, ঝংকার ভাইয়ের অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং, ডাটাবেইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, নাঈম ভাইয়ের জ্যাঙ্গো ফ্রেমওয়ার্ক - সবকিছুই ছিল অসাধারণ।সর্বোপরি উপভোগ করেছি এই জার্নিটা এবং ৯০% উপরে মার্ক নিয়ে সবগুলো কোর্স শেষ করি।
তাছাড়া প্রতি সপ্তাহে রিফাত ভাই, আসিফ ভাইয়ের কনসেপচুয়াল ক্লাসগুলো ছিল প্রাণবন্ত। গ্রুপে তারেক ভাইয়ের কঠোর নির্দেশনা ছিল নিজেকে চাঙ্গা করার আরেক টনিক।আর মাঝে মাঝে স্পেশাল টপিকে রাহাত ভাইয়ের দেখা পেতাম। কনসেপচুয়াল ক্লাসগুলো অসাধারণ হওয়ায় প্রতিদিনের সাপোর্ট টিমের কাছে খুব কমই যেতে হয়েছে। তবুও, যখনই গিয়েছি,ভাইয়েরা আন্তরিকভাবে সাহায্য করেছেন।
তারপর মিলল কাঙ্ক্ষিত জব প্লেসমেন্ট টিমের সাথে কাজ করার সুযোগ।শুভ ভাইকে প্রথমে কঠোর মনে হলেও আমার প্রয়োজন বুঝে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। রাতে টিমের সাথে লাইভ ক্লাসের সময় আমি রেস্টুরেন্টে কাজে থাকতাম, তখন উনি আমাকে রাতের লাইভ ক্লাসে ইন্টারঅ্যাকশন ছাড়া ক্লাশে উপস্থিত থাকার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
সাইফুল ভাই আমাদের বিভিন্ন জায়গায় এপ্লাই করতে সাহায্য করেছেন, এবং আমরা যখন ইন্টারভিউ থেকে ডাক পেতাম, যখনই উনাকে নক দিয়েছি, উনি দেরি না করে আমাদের গাইডলাইন দিতেন।টোটাল এই জার্নিতে উনার ভূমিকা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আল্লাহর রহমতে ২০২৩ সালের নভেম্বরের ১৬ তারিখ আমি একজন ফুল ষ্ট্যাক ডেভেলপার হিসেবে মালয়েশিয়ান কোম্পানি Visual Indie Media Sdn Bhd জয়েন করি।অবশ্য কোম্পানির সাথে অক্টোবর মাস থেকেই পার্টটাইম হিসেবে কাজ শুরু করি।
১০-১২ ঘন্টা কাজের পাশাপাশি ক্লাসের জন্য সময় বের করা আমার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রতিদিন ৫-৮ ঘন্টা ক্লাসের জন্য বরাদ্দ রাখার পরামর্শ দেওয়া হলেও, আমার কাজের চাপের কারণে প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টার বাইরে প্রাক্টিস করা আমার জন্য কঠিন ছিল।তবে, হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা কখনোই আমার মাথায় আসেনি। ইন্সট্রাক্টর এর পরামর্শে আমার বন্ধের দিনসহ কিভাবে সময়কে আরো ইফেক্টিভ করা যায় তার ধারনা দেওয়া হয়।এখানে প্রোগ্রামিং এর বাইরে টাইম ম্যানেজমেন্ট, পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট এবং আরও অনেক কিছু শিখেছি।
ঝংকার মাহবুব ভাই, ফাইট্রন এবং প্রোগ্রামিং হিরো টিমের সকলকে এমন একটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই আমার মত শত শত ভুল সিদ্ধান্তে হতাশাগ্রস্থ এবং পিছিয়ে পড়া যুবককে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখানোর জন্য।
ফাইট্রন আমার জীবনে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে,আমি আমার বাবা-মাকে খুশি করতে পেরেছি। আমি ফাইট্রন টিমের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
Name: Mehedi Hasan Nayem
Company Name: Visual Indie Media Sdn Bhd
Company Location: Kuala Lumpur, Malaysia
Designation: Full Stack Developer
Phitron Batch-2