প্রতিধ্বনি

প্রতিধ্বনি

For Advice, Motivation, Philosophy, Humanities with Science

27/05/2024

অতঃপর তাদের কাছে যখন কোনো জবাব থাকে‌‌ না তারা প্রশ্ন এড়াতে চায়।‌ এরপর তারা গালমন্দ করে। এরপর ক্ষমতার প্রয়োগে ধামাচাপা দিয়ে রাখে।

Photos from প্রতিধ্বনি's post 23/04/2024

আল্লাহ কি দিলেন নাকি দিলেন না, বরং তার কাছে চাইলে তিনি খুশি হন। দুনিয়ার জীবন অতি সামান্য। এখানে কিছু দেওয়া আর না দেওয়ায় কিছুই হয় না। আর মানুষ তার ধৈর্য ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস ও ভরসা তথা ঈমানের পরীক্ষা দিবে। এটাই সৃষ্টিকর্তার মহাপরিকল্পনা।

প্রকৃতি তার নিজের জন্য নির্ধারণ করা নিয়মেই চলবে আল্লাহর ইচ্ছায়।

07/04/2024

একজন মুসলমান হিসেবে আপনার যদি ঈদের চাইতে পহেলা বৈশাখ, থার্টিফার্স্ট নাইট, কনসার্ট, রঙ উৎসব -এগুলো বেশী ভালো লাগে তাহলে ধরে নিবেন আপনার অধঃপতন শুরু।

19/10/2023

নিজ নিজ ধর্ম চর্চার বেলায় দেখবেন বাঙালি ঠিক নাই।

03/10/2023

একটি রোবট আবিষ্কার করতে মানবজাতির লেগে গেছে প্রায় ৩,০০,০০০ বছর। সে মানবজাতিকেই নিখুঁত ভাবে তৈরি করা হয়েছে তারও বহু আগে। সেই নিখুঁত মানবজাতি লক্ষ বছর ধরে এই যৎসামান্য উন্নতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতো বছর পরে রোবট আবিষ্কার করা মানুষ তার জ্ঞান দিয়ে কিভাবে তার সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করতে পারে?

16/09/2023

আপনার মুখ বন্ধ থাকলে,
মাথা ভালো কাজ করবে।

11/08/2023

আর কতটা বাস্তব?

04/07/2023

ভাবনা অতীতকে পরিবর্তন করতে পারে না। তবে ভাবনা ভবিষ্যতকে বদলাতে পারে। পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পারে।

ভাবনা হোক ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে।

03/07/2023

বরং তাদের অগ্রাধিকার ছিলো বেশি। মার্টিনেজ যদি কিছু সময়ের জন্য হলেও বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাথে দেখা করতো, একসাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতো তাহলে সেটা হতে পারতো বাঙালি ফুটবলারদের জন্য অনেক বড়‌ একটি অনুপ্রেরণা।‌ অনেক বড় একটি উৎসাহ।

জানি না কেন এমন হলো। এই লজ্জাজনক ঘটনাটি কি মার্টিনেজের ইচ্ছায় হয়েছে নাকি তাকে আনার দায়িত্বে যারা ছিলো তাদের ইচ্ছায় হয়েছে তা জানি না। তবে বিষয়টি অপ্রত্যাশিত এবং খুবই দুঃখজনক।

30/06/2023

ঈমান এখানে প্রশ্নবিদ্ধ।

https://fb.watch/ltUthq8pH8/?mibextid=Nif5oz

‘কেনার সামর্থ্য নাই, বাচ্চাদের গরু দেখাতে হাটে আসছি’ 27/06/2023

আড়ালে থাকা কোনো এক বাস্তবতা।

https://www.facebook.com/290094144492659/posts/2598301200338597/?mibextid=Nif5oz

‘কেনার সামর্থ্য নাই, বাচ্চাদের গরু দেখাতে হাটে আসছি’ পাঁচ বছরের ছেলে ও ৯ বছরের মেয়ে সন্তানকে নিয়ে পুরান ঢাকার ধোলাইখালে গরুর হাট দেখতে এসেছেন মো. নুরুজ্জামান (৩৮)। ক.....

27/06/2023

• ভেজিটেরিয়ান
• নারীবাদী
• LGBTQ
• কথিত মুক্তচিন্তাবিদ
• নাস্তিক
• অন্য ধর্মাবলম্বী (সম্ভাব্য)
• গুপ্ত সংগঠন

সবারই একটি মূল সমস্যার নাম ইসলাম।

25/04/2023

সবাই-ই আলোকে চায়। কেননা আলোই সব‌ দেখায়।

যেখানে আলো‌ আছে সেখানেই আছে অন্ধকারের আলোকে গ্রাস করার প্রচেষ্টা। সে শক্তি সর্বদাই আলোকে বিলুপ্ত করার চেষ্টায় নিমগ্ন।

ঘর থেকে শুরু করে ঘরের বাইরে, সমাজ, দেশ, এমনকি পুরো ব্রক্ষ্মান্ড জুড়েই যেন চলছে আলো আর অন্ধকারের লড়াই। এদিকে অন্ধকার পৃথিবীতে পেয়ে গেছে বুদ্ধিমান জাতির নাগাল। লোভে পড়ে মানবজাতির অধিকাংশই এখন অন্ধকারের দখলে। সমাজ থেকে বিশ্ব রাজনীতিও চলে অন্ধকারের মদদে। তারা অন্ধকার ছড়িয়ে আলোকে দূর করতে চায়। তারা আবার আলোর মতো মানবতার কথাও বলে থাকে। অন্ধকার তার অনুসারীদের এই ক্ষণস্থায়ী জগতের প্রতি লোভী হতে শেখায়। তারা চিরস্থায়ী নয় জেনেও উন্মাদ হয়ে আছে অন্ধকারের ইশারায়।

অপরদিকে চোখের সামনে সব বুঝে শুনে আলোর অনুসারীরাও বড়ই অসহায়। আলোকিত মানবতার বাণীর কোনো মূল্য নেই। আলো পেয়েও প্রায় সবাই-ই যেন অন্ধ,‌ মূর্খ। যা তাদের দূর্বল করে দিয়েছে। অন্ধকার আক্রমন করে সংঘবদ্ধ হয়ে আর আলো থাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নক্ষত্রের মতো।

হায়! যদি তারা কখনো জানতো যে অন্ধকার আলোকে ভয় পায় বলেই তাকে গ্রাস করতে চায়!

- হিউম্যানয়েড

14/04/2023

সংস্কৃতি রক্ষার নামে ভন্ডামী নয় তো?

অথচ তারা সবাই-ই বৈদেশিক পণ্য ও তাদের সংস্কৃতির পেছনে দৌড়ায় আধুনিকতার নামে। আবার বৈদেশিক (ইংরেজি) ভাষাকে কথায় কথায় বাংলা ভাষার সাথে সংমিশ্রণ না করলে 'স্মার্ট' , 'এড্যুকেটেড্' হওয়া যায় না।

নববর্ষেই কি সংস্কৃতির প্রতি আবেগ চাড়া দিয়ে ওঠে? সারাবছর কি আবেগ প্রতিবেশী দেশ ও পশ্চিমের আধুনিক সভ্যতার দিকে গিয়ে থাকে?

05/04/2023

তাদের স্বভাবকে পুরোপুরি দোষ দেওয়া যায় না। অভাবের তাড়নায়ই তারা এমন করে।

ঠিক যেভাবে বড়লোকেরও মন ভরে না গরীবের পেটে লাথি মেরে।

04/02/2023

এটাই বাংলাদেশ। এরাই টপে উঠে নেগেটিভিটি কাজে লাগিয়ে। কথা, ব্যঙ্গ, সমালোচনা সহ্য করাকে যদি বাহাদুরি আর অনুপ্রেরণা হিসেবে উপস্থাপন করা হয় তাহলে নির্লজ্জ, বেহায়া, কান্ডজ্ঞানহীন, মূর্খ কাকে বলবেন?

হ্যাঁ, এই বাংলাদেশেই যারা সত্যিকার অর্থেই এরকম উপরে উঠার যোগ্যতা রাখে তারা এই লজ্জা, সুস্থ বিবেক ও সুস্থ জ্ঞানের জন্য চুপ হয়ে বসে থাকে। তারা টপে উঠে না, আলোচনায়ও আসে না। পারলে তাদের আরও নিরুৎসাহিত করে টেনে নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়।

তারা চুপ করে থাকবে না তো কি করবে? তারা নিচে পড়ে থাকবে না তো কোথায় থাকবে? তারা হতাশ! দেখতেই পাচ্ছে যে বিকৃত পন্থা অবলম্বন করে সমাজের উপরে ওঠা যায়, আলোচনায় আশা যায়, জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়, গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া যায় সহজেই। তাহলে নিজেকে বিকাশ করে লাভ কি? চেষ্টা করার অনুপ্রেরণাই বা পাবে কোথা থেকে? কিসের জন্য আর ঘাম ঝরাবে?

অবশ্য, উন্নতির সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া এমন দেশে হিরোদের মতোই জনপ্রতিনিধি দরকার। সে-ই যোগ্য। উন্নয়ন তো অনেক হলো। আর তো কোনো পর্যায় নেই। এবার নাহয় নিচের দিকেই যাওয়া যাক। এজন্যই বিশ্বদরবারে বাঙালি যেন এক আশ্চর্য জাতি!

22/01/2023

আপনি তখনি ভাব নিবেন যখন আপনি বেশি জানবেন এবং তা তুলনামূলক ভাবে।

এই জ্ঞানেরই আছে মূল্য যা চিরস্থায়ী ও অতি মূল্যবান।

01/01/2023

Happy New Year

01/01/2023
15/12/2022

রিজিক হচ্ছে ফার্মে মুরগির জন্য দেওয়া ফীড এর মতো। খাবার দেওয়া থাকবে। কিন্তু তাকে নিজেই উঠে গিয়ে খেতে হবে। এজন্যই যারা দূর্বল, যারা চেষ্টা করে না তারাই পিছিয়ে থাকে। তাদের ব্যর্থতার কারণে তারাই ফীড থেকে বঞ্চিত থাকবে। এখানে কারো কোনো হাত নেই।

অনেকে আবার বিবেককে ঘুম পাড়িয়ে গায়ের জোরে বা চতুরতায় অন্যের জন্য বরাদ্দ রিজিক ভোগ করে ফেলবে। এখানেও রিজিকদাতার কোনো হাত নেই। যে খেয়েছে তার দোষ।

"রিজিকে থাকলে পাবো" - যাদের ধর্মজ্ঞান কম, আবেগী ঈমানদার তারাই এ ধরনের কথাবার্তা বলে। এরা ধর্মের জন্য ক্ষতিকর।

02/12/2022

জার্মানি সমকামি দল! 🏳️‍🌈

২০২২ বিশ্বকাপের আগে কোথাও কি দেখেছেন যে এভাবে মুখে হাত দিয়ে তথাকথিত সমকামিতার প্রতি সমর্থন দেখাতে? নাকি কোনো খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবন থেকে প্রমাণ পেয়েছেন যে তারা সমকামি? কাতার যেখানে সমকামিদের বিপরীতে কঠোর অবস্থানে ছিলো যা সত্যিই প্রশংসনীয় তবে সেখানে তথাকথিত সভ্য জাতি ইউরোপ কি কিছুই করবে না?

প্রথম কথা, তাদের দেশের সরকার নিজেদের স্বার্থে তাদের বাধ্য করেছে বিশ্বমঞ্চে সমকামিতার পক্ষে মুখে হাত দিয়ে এভাবে প্রতিবাদ জানাতে। এটা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ। সাধারণ খেলোয়াড় হয়ে আপনি কি করতেন তখন? সরকারের আদেশ অমান্য করার পর দেশে ফিরতে পারতেন? আপনি দেশে ফেরেন বা না ফেরেন, আপনার পরিবার কি শান্তিতে থাকতে পারতো? আপনার ক্যারিয়ারের কথা বাদই দিলাম।

দ্বিতীয়ত, তারা সমকামি দল। তারা কোথায় সমকামিতা করেছে? খেলার মাঠে? অন্যরা কি মাঠে ধর্ম প্রচার করতে আসে? খেলতে এসে ধর্মের বাণী শোনায়? তারা কি নিষ্পাপ? বিশ্বকাপে ফুটবল দলকে সমর্থন করার মানে হচ্ছে খেলায় তাদের জয় কামনা করা। কারণ দলের খেলা ভালো‌ লাগে তাই। এখন সে দল কোন আদর্শে বিশ্বাসী, কোন ধর্মালম্বী, কেমন সংস্কৃতি, দেখতে কেমন, কোথায় থাকে, কি খায় -প্রভৃতি এরকম অবাঞ্চিত বিষয় দেখার কোনো মানেই হয় না। তারা ফুটবল খেলতে আসে আর কিছু না।

তৃতীয়ত, কোনো এক কারণে সমকামিতার প্রতি সমর্থন জানানো দলকে সমর্থন করলে যদি নিজেরাই সমকামি আর ঘৃণ্য হয়ে উঠতে হয় তাহলে ভিন্ন ধর্মের কোনো দলকে সমর্থন করলেও তার নিজ ধর্মের প্রতি বিশ্বাস ও ঈমান বলতে কিছু থাকবে না। খেলাটা ফুটবল। ফুটবলের মধ্যে ধর্মকে টানলে চলবে না যেখানে ধর্মেই এসব খেলার প্রতি কোনো সমর্থন নেই। এভাবে খেলার মধ্যে যারা ধর্মকে টেনে আনে দেখা যাবে কটুক্তিকারীরা নিজেদের ধর্মের প্রতিই উদাসীন!

সবশেষে, ফুটবল একধরনের বিনোদন। খেলার মধ্যে ধর্ম আর রাজনীতি আনলে তার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। একটি জাতীয় ফুটবল দলকে আমার পছন্দ না-ই হতে পারে তাই বলে এসব অবাঞ্ছিত আর অযৌক্তিক ভাবে কটুক্তি করা কখনোই কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং মূর্খতা। আর সত্যিকারের ফুটবলপ্রেমীরা কখনোই এ ধরনের বিতর্কে জড়ায় না।‌‌ খেলোয়াড়দের কটুক্তি করা তো দূরের কথা।

05/11/2022

জগতে মানুষ তিন ধরনের। মূর্খ, শিক্ষিত এবং সৃজনশীল।

মূর্খদের থাকে শক্তি যা দিয়ে তারা সম্পদ গড়ে। শিক্ষিতদের আছে যোগ্যতা যা দিয়ে সেই সম্পদে নিজের ভাগ্য বদলায়। আর সৃজনশীলরা উভয়কেই পথ দেখায়।

14/10/2022

একদিন পৃথিবী মারা যাবে, কিন্তু বলবে না তাকে বাঁচাতে। পৃথিবী তার এই মৃত্যুকে সাদরে গ্রহণ করবে।

30/07/2022

বিষয়টা যখন যোগ্যতা নিয়ে তাহলে তুলনা করো তোমার বয়সে আমার অর্জন আর আমার বয়সে তোমার..

তুমি নিয়ে চলো তোমার এমন এক স্থানে যেখানে তুমি সফল। তারপর আমি তোমাকে নিয়ে যাবো আমার সেই স্থানে যেখানে আমি সফল।

© Al Helal Islam

11/07/2022

যে মৃত্যুবরণ করলো,
সে যেন বেঁচে গেলো।

অনন্ত জীবন পেতে মৃত্যুর বিকল্প নেই।

27/06/2022

মূর্খদের কিছু শেখাতে না পারলে, বোঝাতে না পারলে নিজের অনেক কিছুই হারানোর আশঙ্কা থাকে।

আর জ্ঞানীদের সাথে থাকলে সেখানে কোনো ক্ষতি নেই।

14/05/2022

যে সত্য বিশ্বাস করো সে সত্যকে প্রমাণ করো।
প্রমাণ ছাড়া সবার বিশ্বাসই সত্য।

30/04/2022

অনেকে বলে যে আল্লাহ তায়ালা নাকি কোরআনে বলে দিয়েছেন, যে যেমন সে নাকি তেমনি পাবে।

সূরা নূর-এর ২৬ নম্বর আয়াতের অর্থ হচ্ছে, 'যে যেমন তার জন্য তেমনি উপযুক্ত'। কিন্তু বলা হয় নি, 'যে যেমন তার জন্য তেমনি নির্ধারিত করে রাখা হয়েছে'। এই আয়াতের ভাবার্থ এই যে, খারাপ খারাপেরই যোগ্য এবং ভালো ভালোরই দাবিদার। তার মানে এই না যে যেমন তার জন্য তেমন ঠিক করে রাখা আছে।

আপনি ভালো তো আপনি শান্তির জন্য ভালোই deserve করবেন। আর যে খারাপ সে খারাপই deserve করে যাতে করে কোনো ভালো মানুষের জীবন নষ্ট না হয়।

তা নাহলে অনেক ভালো মানুষের জীবনসঙ্গী খুব খারাপ পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে এই আয়াতের ব্যাখ্যা কি?

© Al Helal Islam

Photos from প্রতিধ্বনি's post 11/04/2022

আগেই বলে রাখি বিষয়টি সেন্সিটিভ। কিন্তু কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়।

খুবই সহজ ভাবে যদি বলা হয় তাহলে আমাদের বেঁচে থাকার কারণ হচ্ছে সূর্য। সূর্য হচ্ছে সকল শক্তির উৎস। আমরা শক্তি পেয়ে থাকি সূর্যের ফিউশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। (এই ফিউশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটু খোঁজ নিলেই বিস্তারিত জানতে পারবেন।)। ফিউশন না হলে আমাদের অস্তিত্বই থাকতো না।

শক্তির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বা হতে পারে নিজেদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রদর্শনীর জন্য চীন একটি কৃত্রিম সূর্য বানিয়েছে যা সূর্যের চাইতেও শক্তিশালী। তা দেখে অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আর নিজেদের অবস্থান থেকে যা তা বলে যাচ্ছেন।

আসলে প্রকৃতির মতো হুবহু কিছু মানুষের পক্ষে বানানো সম্ভব নয়। এটা মানুষের সীমাবদ্ধতা। তবে প্রকৃতি কিভাবে কাজ করে তা উৎঘাটন করে নিজেদের প্রয়োজনে কিছু আবিস্কার করা বা বানিয়ে নেওয়া এটাই প্রমাণ করে যে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এবং অতি বুদ্ধিমান প্রাণী। চীনের বানানো শক্তির উৎসটি মূলত কোনো সূর্য নয়। এটিকে পারমাণবিক শক্তির বিকল্প একধরণের পাওয়ার প্ল্যান্ট বলা যেতে পারে। যেখানে সূর্যের মতোই ফিউশন প্রক্রিয়ায় প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হবে। এজন্যই রুপক অর্থে একে কৃত্রিম সূর্য বলা যায়। বিষয়টি চমকপ্রদ ভাবে সবার কাছে উপস্থাপন করার জন্য 'কৃত্রিম সূর্য বানিয়েছে চীন' - এধরনের শিরোনাম জুড়ে দেওয়া হতে পারে।

সুতরাং এখানে আপত্তি করার মতো কিছুই নেই। ধর্ম মানুষের বিশ্বাস আর যে কোনো ধর্মেই মানুষকে বলা হয়েছে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সবচেয়ে বুদ্ধিমান জীব। মানুষ ধর্ম মানুক বা না মানুক এভাবেই তাদের শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা বৃদ্ধি করতেই থাকবে। এজন্য বলা যায় কৃত্রিম সূর্য বানানোর বিষয়টি মোটেও ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আমাদের উচিত বিজ্ঞানের এই জয়যাত্রাকে অভিনন্দন জানানো। অভিনন্দন না‌ জানাতে পারলেও সরাসরি এরকম আবেগী আখ্যা দেওয়া অনুচিত। এতে করে ধর্মের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, বিজ্ঞান মনোভাবের অধিকারী মানুষ ও ধর্মপ্রাণ বিশ্বাসী মানুষের মধ্যে প্রতিহিংসার সৃষ্টি হয়।

কোথাও কোনো ভূলত্রুটি থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

Website