Graçias - গ্রাসিয়াস
Gracias is a online based entertainment platform.
খুলনার শৈলমারী নদী, ১০০ গ্রামের পানিব্যবস্থা যার উপর নির্ভরশীল সেই মরে খাল!
এক সময়ের উজান থেকে আসা পানিপ্রবাহের তোড়ে এ নদী ছিল স্রোতস্বিনী। এখন সে মরুভূমি, হেঁটেও পার হন মানুষজন।
ছবি: The Daily Star
পাচপাত্তুর পুনর্জন্ম!
পাকিস্তান আমলে ক্ষমতাবানদের আশ্রয়ে ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফেডারেশন (এনএসএফ) এর দাপট তখন তুঙ্গে। পাচপাত্তু আর খোকা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাস। পাচপাত্তুর ভাল নাম ছিল সাইদুর রহমান। কয়েকবার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারেনি বলে ছাত্ররা নাম দিয়েছিল পাচপাত্তু (পাস- পার্ট টু থেকে পাচপাত্তু)। দিনের বেলায় শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে রাতের বেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেমার নামকরা উপনায়িকা এনে নাচাত তারা।
ভার্সিটিতে শুধু সমন্বয়ক থাকবে আর কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না। অথচ ক্যাম্পাসে সমন্বয়ক লীগ হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী একটিভ অরাজনৈতিক চেহারায় রাজনৈতিক দল। তারা সিলেট ভার্সিটিতে শপথ বাক্য পাঠ করাচ্ছে, হলের নিয়ম-নীতির হুকুম দিচ্ছে, ঢাকা ভার্সিটি ও জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটিতে খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ছাড়া অতীতে যেমন কেউ থাকতে পারত না, এই জায়গাটি দখল করেছে এখন সমন্বয়ক লীগ। ইতোমধ্যে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা-পন্থী, ক্ষমতা প্রেমী, বেকার, মব কালচারপন্থী লোকজন সমন্বয়কদের ছায়ায় আসতে শুরু করেছে। সব রাজনৈতিক দলকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে শুধু সমন্বয়ক লীগকে থাকার সুযোগ দেওয়ার অর্থ অতীতের পাচপাত্তুর পুনর্জন্মের আয়োজন করা।
Rashiduzzaman Rashed থেকে জানলাম- বহিরাগত তাড়ানোর কর্মসূচী হিসেবে টিএসসির স্বপন মামা ও তাঁর ব্রিফকেসের সমান একটি দোকানটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। অথচ আন্দোলনের সময় বহিরাগতরাই ঢাবির শিক্ষার্থীদের জন্য এগিয়ে এসেছিল। এসব চায়ের দোকান থাকায় ক্যাম্পাসে কখনো কোন ঝামেলা হয়েছে বলে শুনিনি। এই বৃদ্ধের চোখের পানি পাচপাত্তুরদের জন্য অভিশাপ হয়ে থাকবে।
[সুব্রত শুভ]
আমার হলে ওঠার দিনটা পরিষ্কার মনে আছে। ঢাবিতে ভর্তি হওয়া অধিকাংশেরই ঢাকা শহরে লতায় পাতায় জড়ানো কেউ না কেউ আছে। আমার ছিল না কিংবা আমি খুঁজতে যাইনি। ক্যাবলার মতো একুশে হলের গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম- ব্যাগ কাধে। কালো চাদর পরা এক ভাই এগিয়ে এলেন।
-- কি, ফাস্ট ইয়ার?
-- জি ভাই।
-- হলে থাকবা?
-- হ্যা ভাই। কিন্তু কিভাবে কি কিছু জানিনা
-- জানতে হইব না মিয়া, আহো ---
সুরসুর করে চাদর পরা ভাইটিকে অনুসরণ করলাম। চারদিকে তাকিয়ে দেখতে ভয় লাগছে। অস্বস্তি, কুন্ঠা- সব জেকে বসেছে একসাথে।
ভাইটি লন দিয়ে হেটে যাচ্ছেন- বেশ গর্বিত,উদ্ধত ভংগী, অনেকেই এগিয়ে এসে সালাম দিচ্ছে। সেই সালাম দেয়ার মধ্যে শ্রদ্ধার বদলে দেখলাম আতংক। সাথে বিচিত্র একভাবে হ্যান্ডশেক । আমার আনকোরা চোখ- অবাক লাগছিল সবকিছু।
শহিদ রফিক ভবন। রুম নম্বর-১০৭. রুমের বাকিদের সাথে কুশলাদি বিনিময়ের পর খাটের তলায় ব্যাগ রাখতে গেছি-- চমকে উঠলাম। ধারালো অস্ত্র চকচক করছে। বিছানায় বালিশ নেই। ব্যাগ মাথায় শুয়ে রইলাম। ঘুম এলো না। কেবলি ভাবছি-- কোথায় এলাম আমি! মা কে কি এসব বলা যাবে?
নাহ, মা কে এসবের কিছুই বলিনি।
সব স্টেপ একদম সহীহ শুদ্ধভাবে পালনে করে দীর্ঘ ৬ টা বছর হলে ছিলাম কামড়ে ধরে -- গনরুম,গেস্টরুম, মিছিল,গভীর রাতে রুম থেকে টেনে হিচড়ে বের করে মারপিট, কার্জনে রক্তারক্তি, হলের ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া, সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে চাঁদাবাজি-- এসব দেখতে দেখতে একসময় ভালোই লাগতে শুরু করলো। মনে হলো-- এইতো ভার্সিটি, এইতো জীবন- মুরগির বাচ্চার মতো এপির চিপায় বান্ধবিদের ওড়নার নিচে ঢুকে চা খাওয়ায় কোন্নো মজা নাই।
দুই একটা কে মেরে কবরে না পাঠাতে পারলে কিসের আর ব্যাটাগিরি! জিম করো- বডি বানাও- সই করো কারো শরীরে- হোক গফ অথবা পাগল।
ঢাবিতে পড়ালেখার দাম নাই জানি, গান-কবিতার দাম নাই- তাও জানি।কিন্তু পিটিয়ে মেরে ফেলা যে নতুন ফ্যাশন হয়ে গেছে-- জানতাম না।
আমি লজ্জিত একজন ঢাবিয়ান হিসেবে। আমি লজ্জিত আবাসিক হলের ছাত্র হিসেবে! আমি লজ্জিত নিজের কাছেই।
৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১
কোথাও।
ছবি: Mahatab Rashid
জীবনের মূল্য এখানে এক-প্লেট ভাতের চেয়ে বেশি নয়। মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জল হোসেন শেষ কবে ভাত খেয়েছে, কেউ কি জানে? তোফাজ্জলের সামনে যখন ভাতের প্লেট এগিয়ে দেওয়া হলো সে হয়তো ভেবেছে খোদা বুঝি এমনই দেখতে! তাকে তরকারি সমেত ভাত খাওয়াচ্ছে! এদিকে চা শ্রমিকরা নাকি তরকারির অভাবে শুধু সাদাভাত খায় নুন দিয়ে! চা-পাতা দিয়ে ভর্তা করে খায়!
কিন্তু এক-প্লেট তরকারি সমেত ভাতের ঋণ যে খোদা তার জীবন নিয়ে শোধ করবে সে দৃশ্য কি তোফাজ্জল আন্দাজ করেছিলো ভাতের লোকমা ক্রমান্বয়ে কমে আসার সময়? করেছে হয়তো, তবু শূন্য পাকস্থলীর চাইতে খোদা কতৃক একবেলা ভরপুর খেতে পারার শোকর খোদার হাতে জান তুলে দিয়েও শোধ হয়না। যেহেতু জান কবজ খোদার অবধারিত ও শেষ ফয়সালা। তোফাজ্জলকে এই ভাতের ঋণ শোধের বিকল্প পদ্ধতি বের করতে হবে।
/Jabed Hossain Jidan
মরার আগে পানি দেয়া হয় নাই এই অভিযোগ আর আপনারা করতে পারবেন না। পানি, ভাত, ভর্তা সবই দেয়া হইছে তারপরও যদি মরে যায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা কী করবে?
/কাসাফাদ্দৌজা নোমান
মোবাইল কোর্ট চালু হওয়ার প্রথম দিনেই চোর সন্দেহে এক বহিরাগতরে খুন করলো ঢাবির এফএইচ হলের ছাত্ররা। এই যে সামষ্টিক জিঘাংসা ও বিকৃতি, এই যে রক্তপিপাসা, এই যে অসুস্থ, অপরিপক্ক ও অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতার উন্মাদ উল্লাস, এর মূল্য আমাদের অনেক বাজেভাবে চুকাতে হবে।
/Tuhin Khan
Zulkarnain Saerএর অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান যখন দেখি, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল। হাসিনা, জেনারেল আজিজ বা তাদের ভাইদের কাণ্ডকীর্তির জন্য নয়, বরং যেভাবে নিজের জীবনকে ছেলেখেলা করে সায়ের নিজেকে চরিত্র বানিয়ে এই গল্পে ঢুকে পড়লেন -- সেই দুঃসাহসী কীর্তির জন্য। বাংলাদেশের কথা বাদ, গোটা দুনিযাতেই এরকম ড্যাশিং এবং প্রফেশনালি সাউন্ড সাংবাদিকতা খুব কম হয়েছে। এবার তিনি উপহার দিলেন আরেকটা থ্রিলার -- ব্যাংক লুটেরা সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে। এটাও আন্ডারকাভার, আরো দারুণভাবে সাজানো। এই দুটি প্রতিবেদনের জন্য সায়েরের নিঃসন্দেহে পুলিটজার পুরস্কার পাওয়া উচিত্। টপিক, ট্যাকটিক, কাভারেজ এবং ইমপ্যাক্ট -- সব বিবেচনায়।
দ্য মিনিস্টারস মিলিয়নস ইজ অ্যা মাস্ট সি!
(লিংক কমেন্টে)
বিএনপিতে আমার বিবেচনায় শিক্ষিত আর যোগ্য লোক, মির্জা ফখরুল। আরেকজন ছিলেন, মারা গেছেন, তিনি মওদুদ।
"যুদ্ধ শুরু হলে রাজনীতিবিদেরা অস্ত্র দেয়, ধনীরা রুটি দেয় কিন্ত গরীবেরা তাদের ছেলেদের দেয়।
যুদ্ধ শেষ হলে রাজনীতিবিদেরা হাত মেলায়, ধনীরা রুটির দাম বাড়ায় আর গরীবেরা তাদের ছেলেদের কবর খুঁজে।"
/সার্বিয়ান প্রবাদ
মাঝে মাঝে মনে হয় অ্যাগ্রিকালচার সাবজেক্টটা প্রত্যেকের সাবজেক্ট হওয়া উচিত। একেবারে ম্যান্ডেটরি ইন সিলেবাস। যারা ভারী রেস্তেরায় গিয়ে ঠুসে ঠুসে কন্টিনেন্টাল ডিশ খায়, যারা পেটপুজো করে বিছানায় এলিয়ে রাজকীয় ঢেঁকুর তোলে, যারা অর্ডার করার দশ মিনিটের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য ঘরে পৌঁছে যায়, খুব ইচ্ছে করে সবাইকে একটা করে হ্যান্ডবুক গিফ্ট করি। এয়ার কন্ডিশনড রেস্তেরা থেকে চাষের মাঠের দূরত্ব বহু আলোকবর্ষ! মানবসভ্যতার সবচেয়ে জরুরী এবং অলৌকিক আবিষ্কার এই কৃষিকাজ। কোনো ইনভেনশন এর ধারেকাছেও নেই। এই যে মাটি,এই যে জল, এই হাওয়া, মিলিয়ে মিশিয়ে জন্তুর মতোন গতর খেটে গোটা পৃথিবীর পেট ভরানোর শিল্প, এর আশে পাশে আর কোনো আর্ট আসেনা। কাউকে " চাষার ছেলে" বলে ব্যাঙ্গ করার আগে দু বার ভাববেন৷ আপনি সব জানতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি কৃষিকাজ জানেন না।
সুপ্রতীক
ভয়াবহ বিষয় !
লেবাননে হিজবুল্লাহ' সদস্যরা ইন্টারন্যাল ওয়ারলেস কমিউনিকেশনের জন্য যে Pager / beeper 📟 ইউজ করে,
সেগুলো Simultaneously বিস্ফোরিত হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ৯ জন মারা গিয়েছে, ২০০ জন ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছে আর ২৭৫০ জন আহত হয়েছে!
ঘটনার ভয়াবহতা বুঝতে পারলেন কি?
আপনার আমার পকেটের মোবাইলটা কি পরিমাণ ভলনারেবল, চিন্তা করে দেখুন।
হাইটেক এনিমি থাকলে খবর হয়ে যেতো।😛
/ফয়সাল শোভন
Hamster Kombat game to airdrop 100 billions of tokens.
a massive reward opportunity for Telegram players
So that's reason behind the hype...Don't miss it.. Give a Damn Try and season 2 is coming..
আইডিবি ভবনে গেলে আমি প্রচণ্ড রকম স্মৃতিকাতর হয়ে যাই। ১৫-২০ বছর আগে এই জায়গাটাকে মনে হতো একটা ছোটোখাটো সাই-ফাই নগরী। আমি ওখানে যেতাম মূলত ডিভিডি কিনতে। ছাত্রাবস্থায় মাসে বড়জোর ৩-৪টা ডিভিডি কিনতে পারতাম। ৩০০ টাকা ছিল বাজেট। একই মুভি বারবার দেখতাম। তখন রাইয়ানসের ডিভিডির জন্যে একটা আলাদা দোকানই ছিল। চমৎকার ছিল তাদের সংগ্রহ। এত অল্প সময়ে একটা প্রভাবশালী কমোডিটি হারিয়ে গেল, ভাবতে অবাকই লাগে!
আজকে ঢুকতে গিয়ে একটা পরিচিত গন্ধ ধাক্কা দিলো নাকে। গন্ধটা কীসের আমি জানি না। মনে হয় ডিভিডির, কিংবা ফ্লপি ডিস্কের, কিংবা স্মৃতির। গন্ধটা নাকে যাওয়ার সাথে সাথে আমার মনের পর্দায় পুরাতন সব স্মৃতি রিলের মতো ভেসে উঠল।
সেইসময় আমার এই ভবনের সবকিছুই ভালো লাগত। বন আপাতিতের কেক, সুন্দর করে সাজানো দোকানপাট, চলন্ত সিঁড়ি, জানালা, দরোজা, মেটাল ডিটেক্টর, সবই মুগ্ধ করত, এমন কী তাদের টয়লেটও! ঈর্ষা হতো সস্তায় ডিভিডি পেয়ে ঝুড়ি ভরে কিনে নিয়ে যাওয়া সাদা চামড়ার মানুষদের।
সবসময় টাকা থাকত না ডিভিডি কেনার। আব্বুর কাছে টাকা চাইলে 'কেন' এর উত্তরে সিনেমা দেখার জন্যে ডিস্ক কিনব এটা বলে সুবিধা হতো না। তাই একবার বলেছিলাম, কম্পিউটারের মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ারের জন্যে ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক কিনতে হবে।
কাজ হয়েছিল!
দেখলাম আইডিবি ভবনের ২৫ বছর পূর্তি হয়েছে। এই চমৎকার স্থাপনাটির জন্যে ভালোবাসা রইল।
"৭১ হইলো রিয়েল মুক্তিযুদ্ধ। ৩০ লাখ লোক মারা গেছে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার জন্য শতশত বছর যাবৎ বাংলার মুসলমান মায়েরা নামাজ পড়ে খোদার কাছে প্রার্থনা করেছে, হে খোদা, আমাদেরকে এমন এক উমরিতের সন্তান দাও যে সন্তান আমাদেরকে বিদেশীদের অত্যাচার থেকে, ব্রিটিশ দস্যুদের লুন্ঠন থেকে, নীল সাহেবদের অত্যাচার থেকে মুক্তি দেবে। শত শত বছর যাবৎ বাংলার স্বাধীনতার জন্য বাংলার হিন্দু মায়েরা সন্ধ্যাবেলায় তুলসীতলায় গিয়ে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছে, হে ভগবান, আমাদেরকে এমন এক উমরিতের সন্তান দাও যারা আমাদেরকে স্বাধীনতা দিবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে, বিদেশীদের হাত থেকে, বর্গীদের হাত থেকে।"
- ফজলুর রহমান
মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধাই। তাদের কোন তুলনা নাই। এতো সুন্দর করে গুছিয়ে ৭১, মুক্তিযুদ্ধের মহিমা আর কারোর পক্ষেই বলা সম্ভব না।
বিনয় মজুমদার। আজ জন্মদিন...
আমি কে, তুমি কে- রাজাকার,'রাজাকার' স্লোগান টা ছিলো দেশের আপামর জনসাধারণকে রাজাকার বলার মতো ধৃষ্টতার প্রতিবাদ হিসাবে, আয়রনি হিসাবে। আমরা এই দেশের নাগরিক, আমরা কেউ রাজাকার নই। কেউ মন চাইলেই আমাদেরকে রাজাকার বলতে পারবে না। রাজাকার শব্দ আক্ষরিকভাবে গৌরবান্বিত নয় বরং একাত্তরের স্বাধীনতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এখন যদি এই স্লোগান নিয়ে কেউ মাতামাতি করে, আক্ষরিকভাবে বৈধতা দিতে চেষ্টা করে, তাদের ভিন্ন ধরনের এজেন্ডা আছে বলে মনে করি।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের অস্তিত্ব একাত্তর, আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতা একাত্তর।
[Mahmud Ul Hasan Leemoon, সূর্যসেন হলে যার থ্রুতে এই স্লোগান শুরু হয়]
একটা প্রেত দুনিয়ারে তাড়া করে বেড়াচ্ছে—অনিদ্রার ভূত। ঘুমের কদর বুঝতো মানুষ আগে। বায়েজিদ বোস্তামী (রঃ) সারারাত দাঁড়ায়ে থাকসে মায়ের শিয়রে, তবু ঘুম ভাঙায় নাই। মহাভারতে আছে, কর্ণের গুরু পরশুরাম ক্লান্ত হয়ে তার কোলে ঘুমায়ে পড়ে। এরমধ্যে বজ্রকীটের কামড়ে কর্ণের পা থেকে রক্ত বের হইতে থাকে, তবু সে নড়ে না, পাছে গুরুর ঘুম ভেঙে যায়। সক্রেটিসের কাছে মৃত্যু সহনীয় ছিল কারণ মৃত্যুরে সে দেখত নিরবিচ্ছিন্ন, নিঃস্বপ্ন নিদ্রার মত। আর এখন, ঘুম যেন সর্বাগ্রে বাতিলযোগ্য। অফিস, অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাস, সবকিছুর স্থান ঘুমের আগে। আর এই শালার অ্যালার্মঘড়ি, নির্বিকার দেবতা যেন, ক্রনোসের অবতার, কী নির্মমভাবে ছেদ টানে আমাদের আহ্লাদী স্বপ্নের বুননে। ঢুলুঢুলু চোখে কোনোরকম স্নুজ দিয়া নিজেরে মনে মনে বলি,"আর পাঁচ মিনিট", যেন অনন্তকাল ঠাসায়ে দেই অনুতাপমাখা সেই পাঁচ মিনিটে। হায় খোদা, আরামসে আড়মোড়া ভাঙার অবকাশটুকু দেয় না।
বহু ভুজুংভাজুং বুঝানো হইসে আমাদের ছোটবেলা থেকে। বলা হইসে, যেই পাখি ভোরে ওঠে সেই পাখিই পোকাটারে খাইতে পায়। কিন্তু এর উল্টাটাও সত্য। যেই পোকা ভোরে ওঠে, সে পাখির পেটে যায়। আমরা কোনো শোষকপাখির পেটে যাইতে চাই না। অ্যালার্মঘড়ি হইলো একটা বৃহত্তর সামাজিক অসুখের পুচকে উপসর্গ। ঘুমের বারোটা বাজায়ে আপনার কাছে ঘুমের বড়ি, ডার্ক সার্কেলের ক্রিম বেচতে চাইবে এরা। একজোট হন, বন্ধুরা! আপনার ঘুমের পরিসরে কেউ যেন বাঁধ দিতে না পারে, নিজ নিদ্রার অধিকার বুঝে নিন। এই বিপ্লবে আমাদের কিচ্ছু করতে হবে না, আমরা চ্যাগায়ে ঘুমায়ে থাকব শুধু। অনিদ্রা ছাড়া ঘুমকাতরের হারানোর কিছু নাই।
দুনিয়ার মজলুম
কাঁথা টেনে দাও ঘুম✊
/Maheen Haque
হিরোরা সবসময়ই রিলাক্টেন্ট হিরো; যুদ্ধে যাওয়া জরুরি একারনে তারা যায়। সেই শৌর্যের সার্টিফিকেট তারা বাজারে তোলেনা। শিভালরাস যারা, গ্রহীতাকে কখনোই হীনমন্যতা দান করেনা তারা। তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান। তাদের একমাত্র ঋন ইতিহাস ও সময় মহাজনের কাছে। সমস্টির বোঝা তারা নেয়, ইগোটুকু নেয়না। হিরোর ইগো থাকেনা, হিরোর থাকে অদৃশ্য অহংকার। আর আপনি সেই অহংকারের বিভাটুকু টের পাবেন সে চলে যাবার পর।
/ A.T.M Golam Kibria
.
বোধহয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সুপার হিরো। আর এখনও ভাবলে অবাক লাগে কিভাবে পৃথিবীর রক্ষার মেসেজটা মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল বাচ্চাদের।
ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট। তারে প্রচুর মার খেতে দেখছি। গৎবাঁধা সুপার হিরোদের চেয়ে সে অনেকটাই আলাদা। এবং এটাই বোধহয় আমাদের একমাত্র পরিবেশ বান্ধব সুপারহিরো ছিল যার পুরো পৃথিবী নিয়ে স্বার্থ ছিল, শুধু আমেরিকার সুপার হিরো না সে।
ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট। এটা একটা সময়ের নাম, এটা একটা আবেগের নাম। বাচ্চাদের কার্টুন এর যে দারুণ সব কনসেপ্ট ফুটিয়ে তোলা যায় এটা এর ক্রিয়েটরদের কাছ থেকে শিক্ষা নেয়া যায়।
/ইমরান নিলয়
চব্বিশের আন্দোলনে শহিদ:
১. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ২
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: ২
৩. বিইউপি: ২
৪. এমআইএসটি: ২
৫. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়: ১
৬. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়: ১
৭. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: ১
৮. সাস্ট: ১
৯. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ০০
১০. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ০০
১১. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ০০
১২. বুয়েট: ০০
১৩. কুয়েট: ০০
১৪. চুয়েট: ০০
১৫. রুয়েট: ০০
১৬. ডুয়েট: ০০
১৭. বাকৃবি: ০০
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়: ১৩ জন
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়: ৩১ জন
১. নর্দান: ৫
২. সাউথ ইস্ট: ৪
৩. মানারাত: ২
৪. ড্যাফোডিল: ২
৫. প্রিমিয়ার, চট্টগ্রাম: ২
৬. ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল: ২
৭. আইইউটি: ১
৮. আইইউবি: ১
৯. ইস্ট ওয়েস্ট: ১
১০. নর্থ সাউথ: ১
১১. বরেন্দ্র, রাজশাহী: ১
১২. ইউসিটি, চট্টগ্রাম: ১
১৩. প্রাইম এশিয়া: ১
১৪. সিটি ইউনিভার্সিটি: ১
১৫. সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি:২
১৬. আশুলিয়া সিটি ইউনিভার্সিটি: ১
১৭. ইউডিএ: ১
১৮. বিইউবিটি: ২
১৯. সিসিএন ইউএসটি: ১
এই বিপ্লবে আমার সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। অথচ, কোথাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কারো মুখে নেই। আফসোস।
/Jaber Bin Nur
রাশিয়ার কাছ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মাত্র ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরী হচ্ছে। শুধু বিদেশী অর্থ ঋণ না, বিদেশী বিজ্ঞানীও ঋণ করতে হয়েছে। পৃথিবীতে এমন আরেকটি দেশ পাওয়া যাবে না যেখানে নিজ দেশের বিশ্বমানের নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ ও নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া এইরকম একটি ডেঞ্জারাসলি উচ্চ প্রযুক্তির প্রকল্প বিদেশী ঋণ ও বিদেশী বিজ্ঞানীর সহায়তায় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের মত একটা সংবেদনশীল স্থাপনা বানায়। কারা রাশিয়ার সাথে দেনদরবার করল? কারা রাশিয়ার প্রস্তাব যাচাই বাছাই করলো? এইসব করার মত যোগ্য মানুষ কি আমরা তৈরী করেছি? এইরকম সেনসিটিভ উচ্চ প্রযুক্তি নির্মাণের কথা বাদ দিন আমরাতো ওখান থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে এসে গ্রিডের সাথে সংযুক্তির জন্য যেই ট্রান্সমিশন লাইন লাগে সেটা বানানোর ক্ষমতাও নাই। একটা ট্রান্সমিশন লাইন তৈরির জন্য আমাদেরকে ভারতীয় কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে হয়। তারা সেই জুলাই বিপ্লবের সাথে সাথেই দেশ থেকে চলে গেছে এখনো আসেনি। পুরো কাজটি এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে গেল।
একই কথা বলা যায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে। এটাও বিশাল অংকের টাকা খরচ করে সম্পূর্ণ বিদেশী প্রযুক্তিতে এবং বিদেশী বিজ্ঞানীদের দ্বারা করা হয়েছে। এর সাথে আমাদের নিজস্ব বিজ্ঞানীর কোন সম্পৃক্ততা ছিলনা বললেই চলে। চার বছর আগে ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স-এর নতুন প্রযুক্তির রকেট ফ্যালকন নাইনে করে যখন মহাকাশে প্রথম স্যাটেলাইটটি পাঠানোর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ মহাকাশে পদচিহ্ন আঁকা এলিট দেশগুলোর ক্লাবে প্রবেশের গৌরব অর্জনের পাশাপাশি এটা থেকে অনেক আয় করারও স্বপ্ন দেখেছিল। এই প্রকল্পে খরচ হয়েছিল ২৭০২ কোটি টাকা। ২০২০ সালে এই স্যাটেলাইট থেকে আয় হয় ১৫০ কোটি টাকা। বছরে ২০০ কোটি টাকা আয় ধরলেও এই স্যাটেলাইটের আর ১২ বছরের লাইফ স্প্যানে আয় হবে ২৪৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এটি টোটাললি একটি লস প্রজেক্ট। এখন শুনি বছরে ৬৬ কোটি টাকা লস হচ্ছে এই প্রজেক্ট থেকে।
চীনের ইঞ্জিনিয়ারেরা আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ করে দিল, জাপানের ইঞ্জিনিয়ারেরা আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল তৈরি করলো, রাশিয়ার বিজ্ঞানী আর ইঞ্জিনিয়ারেরা আমাদের আরেক স্বপ্নের মেগা প্রজেক্ট রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট বানাচ্ছে, কোরিয়ান ইঞ্জিনিয়ারেরা পার্বতিপুর খনি থেকে কয়লা উত্তোলণ করে দেয়, ফ্রান্সের কোম্পানি আর তাদের বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারেরা আমাদের টাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বানালো এবং তারাই আমাদের হয়ে উড্ডয়ন করে দিল।
৫৩ বছরেও আমরা বিজ্ঞানী কিংবা ইঞ্জিনিয়ার বানাতে পারলাম না যারা বড় বড় সেতু বানাতে পারে, যারা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বানানো দূরে থাকে তদারকি করতে পারে, স্যাটেলাইট বানাতে পারে? না পারলে এইসবের পেছনে যেই অর্থ ব্যয় করেছি সেই অর্থ ব্যয় করে যদি আমরা বড় বিজ্ঞানী আর ইঞ্জিনিয়ার বানানোর কয়েকটি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট তৈরী করতে পারতাম তাহলে দেশে উচ্চ মানের মানুষের সংখ্যা বাড়তো যার ফলে দেশের অন্যান্য ক্ষেত্র বিশেষ করে সুশাসনেও প্রতিফলন ঘটতো। আমরা আগে মানুষ তৈরির কারখানা বানিয়ে মানুষ না তৈরী করে অন্য দেশের মানুষ দিয়ে এইসব বানাচ্ছি।
ভারত কি তা করেছে? তারা আগে মানুষ বানিয়েছে আর নিজেদের মানুষ দিয়ে ইনফ্রা স্ট্রাকচার তৈরী করছে এবং করেছে। তারা নিজেদের মানুষ দিয়ে নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট ও বোমা বানিয়েছে, নিজেদের মানুষ দিয়ে মেট্রোরেল, বড় বড় সেতু বানিয়েছে। এতে অর্থ সাশ্রয় হয়েছে, আরো বেশি এক্সপার্ট মানুষ তৈরী হয়েছে। কেন এখন পর্যন্ত একটা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সাইন্সের মত প্রতিষ্ঠান বানাতে পারলাম না? ভারত ২৪ টার মত আইআইটি বানিয়েছে আমরা কেন আইআইটির মত একটি প্রতিষ্ঠানও বানাতে পারলাম না? কেন আমাদের সুপার ধনীরা একটি টাটা ইনস্টিটিউট ফর ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের মত একটা প্রতিষ্ঠান বানাতে পারলো না? বেক্সিমকো, সামিট, বসুন্ধরা কেবল জনগণের রক্ত চুষে খেয়ে বিশাল বিশাল ধনীই হলো। একটি প্রতিষ্ঠান বানালো না যেখানে বিশ্বমানের গবেষক তৈরী হয়। আমরা বলদরা নিজ দেশে উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নিজস্ব জনবল তৈরী না করে ঋণ করে বিলাসিতা করি।
আমি গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বলে আসছি: আগে মানুষ বানান তারপর সেই সোনার মানুষ দিয়ে অবকাঠামোর উন্নয়ন করান। সেটা অর্থ সাশ্রয়ী ও টেকসই হবে এবং একই সাথে দুর্নীতি কম হবে। অমানুষ দিয়ে যা কিছুই করান সেটা কখনো ভালো হবে না।
/কামরুল হাসান মামুন
Lamin Yamal against Girona👇
-2 GOAL 💛
-4 on target shot with 80% accuracy💫
-77% passing accuracy 💥
-1 Chance create 💯
Also Lamine Yamal had the most tackles (5) in the match ✨
9.3 match rating Via Fotmob☠️🔥
Simply magnificent performance 💯
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জনাব Mahfuj Alam-এর মহা জরুরি পোস্ট। / Selim Reza Newton
সহজ বাংলা অনুবাদ:
১. ফেসবুকে আমার অন্য কোনো পেজ বা আইডি নেই, শুধুমাত্র এই আইডিটাই আমার। এই আইডি এখন ভেরিফায়েড।
ভুয়া আইডি ও পেজগুলো আপনারা রিপোর্ট করতে পারেন, আনফ্রেন্ড করতে পারেন, এবং আনফলো করতে পারেন।
২. আমার বিরুদ্ধে একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা সেলে, যে আমি ইসলামী বা উগ্রপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম, বিশেষ করে হিযবুত তাহরীরের সাথে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা! আমি কখনো হিযবুত তাহরীরের সাথে জড়িত ছিলাম না।
ইকোনমিক টাইমস-এর এক সাংবাদিক আমার হিযবুত তাহরীরের সাথে মিথ্যা সম্পৃক্ততা নিয়ে লিখেছেন, যা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ভারতীয় রাষ্ট্রের ন্যারেটিভে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে।
আমি আগে যেমন, এখনও তেমন হিযবুত তাহরীরের মতাদর্শের বিরুদ্ধে এবং যেকোনো অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই আছি।
৩. আমি ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথেও জড়িত ছিলাম না। আমি তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে তারা আমাকে তাদের প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু তাদের বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মতাদর্শ আমাকে আকৃষ্ট করতে পারে নি।
আমি জামায়াতের 'ইসলাম' অনুসরণ করি নি এবং এখনও করি না। সেই কারণে আমি তামিরুল মিল্লাত বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য শিবিরকর্মীদের মতো কোনো 'সুবিধা' বা 'অধিকার' পাই নি। বরং আমাকে ক্যাম্পাসে ইসলামোফোবিয়া এবং শিবির ট্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে।
তারপর আমাকে নিতে হয়েছে 'নির্জন' পথ। লড়তে হয়েছে বাঙালি মুসলমানদের ঐতিহাসিক আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অবস্থিত মুজিববাদ, ইসলামভীতি এবং ইসলামিস্ট মতাদর্শের বিরুদ্ধে। পরে আমি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং রাজনৈতিক অধ্যয়ন চক্রের সাথে জড়িত হয়ে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আমার রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা গ্রহণ করি।
৪. আমি 'মাস্টারমাইন্ড' ছিলাম না। তবে নয় দফাসহ ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমার সাথে পরামর্শ করে এবং আমার 'অনুমোদন'ক্রমে। গত পাঁচ বছরে প্রায় সব প্রোগ্রাম ও ন্যারেটিভ আমার হাত দিয়েই লেখা হয়েছে। সবই আপনার জানতে পারবেন যদি আমি বা আমার সঙ্গীরা বর্তমানের চ্যালেঞ্জগুলো পার করতে পারি। দোয়া করবেন যেন আমরা সম্মানজনক জীবন যাপন করতে পারি অথবা শহীদ হতে পারি।
৫. আমি একজন বিশ্বাসী এবং বাঙালি মুসলমান। আমি ইসলামী বা সেক্যুলার কোনো মতাদর্শকেই সমর্থন করি না। আমি এই অঞ্চলে সভ্যতাগতভাবে পরিবর্তিত একটি রাষ্ট্র ও সমাজের রূপকল্প পোষণ করি, যা গড়ে উঠবে দায় ও দরদের আদর্শের ভিত্তিতে। নির্যাতিত জনগণের ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষাগুলো রাষ্ট্রনীতিতে রূপান্তরিত হবে।
ঢাকা হবে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সভ্যতাগত মেলবন্ধন এবং বেণী লেনাদেনার কেন্দ্র। ইনশাআল্লাহ!
৬. আমি ইসলামী বা অন্য কোনো ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশের বিরোধী নই। আমি মনে করি রাষ্ট্রগঠনে সম্প্রদায়গুলোর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশসমূহের সহাবস্থান করার সুযোগ থাকা দরকার। রাষ্ট্রের সেক্যুলার প্রকল্প যেন কোনো সম্প্রদায়েরই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশের জায়গাকে সংকুচিত করে না ফেলে। তবে এই অভিপ্রকাশগুলো যেন আবার ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের দিকে না যায়।
৭. একদম ঠিক ঠিক করে বললে, আমি লালন বা মার্কসের অনুসারী নই, তাই আমি ফরহাদ মজহারের ইসলাম ও মার্কসবাদ গ্রহণ করি না। লালনকে আমি বাংলার আত্ম-অন্বেষণ চর্চা ও আচার-অনুষ্ঠানের একটি সমন্বিত প্রকাশ হিসেবে দেখি। আর, যতদিন পুঁজিবাদ থাকবে ততদিন প্রাসঙ্গিক থাকবেন মার্কস। তবে, বাঙালি মুসলমানদের প্রশ্নটি প্রধানত নদীমাতৃক ইসলাম ও বাংলার মুসলিম সম্প্রদায়ের ফ্রেমওয়ার্কে আলোচনা করা উচিত। বাঙালি মুসলমানদের উচিত হীনমন্যতার শেকল ভেঙে ফেলে তাদের পূর্বপুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বদরবারে ব্যাখ্যা করা।
৮. আমি মাজার/কবর পূজারী নই। আমি বিভিন্ন তরিকার সুফি এবং আলেমদের শ্রদ্ধা করি। কৈশোরকাল এবং পরবর্তী সময়ে আমি অনেক আলেম ও পীরদের সাথে সংযুক্ত ছিলাম। এবং এখনও তাদের সাথে আমার সম্পর্ক আছে। তারা আমাকে নবীর (সা.) প্রতি ভালোবাসায় অভিষিক্ত করেছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আবার, আমি আপোষকামী এবং ফ্যাসিবাদ সমর্থনকারী সুফিবাদ পছন্দ করি না। আমি সেই সুফি ও আলেমদের ভালোবাসি, যারা নিজেদের অধিকারের জন্য দাঁড়ান।
আমি মনে করি, যারা মাজার ভাঙছে তারা আসলে বাঙালি মুসলমানদের সাধারণ আকাঙ্ক্ষা এবং বাংলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
৯. ঐতিহাসিক সম্প্রদায় হিসেবে বাঙালি মুসলমানদের জোট গঠন করতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার মজলুম হিন্দু, বৌদ্ধ, ও মুসলমানের সাথে। এভাবেই দূর করতে হবে মুজিববাদ, ইসলাম-আতঙ্ক, হিন্দুত্ববাদ, এবং ফ্যাসিবাদ-সমর্থনকারী সুফিবাদ ও ইসলামিজমকে। আমরা অনেক বার দেখেছি কীভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী ইসলামিজমও মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদের বাঁচার উপায় হয়ে উঠেছে।
১০. আমি আমার বাঙালি মুসলমান পূর্বপুরুষদের অনুসরণ করি, যারা ত্যাগ ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলেছিলেন। এই সম্প্রদায় এ অঞ্চলে তাদের ন্যায্য হিস্যা পাবে এবং তাদের রূপকল্প বাস্তবায়িত হবে। আমি পশ্চাদপদ জাতীয়তাবাদগুলোর বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের ভেতরে এবং বাইরে আরও আরও মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য দরকার নতুন ভাষা ও শব্দভাণ্ডার।
পুনশ্চ: আমার লেখাগুলোতে কেউ আহত হলে, আমি অন্তর থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি আপনাদের সকলকে সহনাগরিক হিসেবে এবং ভাই ও বোন হিসেবে ভালোবাসি।
দয়াল দরদি নবিজিকে সালাম!
দারুণ ব্যাপার 💃