Taqwa Media
We provide all kinds of Islamic videos,verses of Quran,Hadith, Hamdh,Naat-e-Mostafa & Islamic news.
যার ভেতর মুহাব্বত যত বেশি,
তার ভেতর ইমানও তত বেশি...
Follow করে পাশে থাকুন, ঈমানকে মজবুত করুন।
একফোঁটা মদ যদি কোনো কুঁয়ায় পড়ে যায়,পরে ঐ কুঁয়া শুকিয়ে তার উপর যদি মিনার তৈরি হয়,আমি ঐ মিনারে আযান দিব না! যদি একফোঁটা মদ সমুদ্রে পড়ে এরপর সমুদ্র শুকিয়ে যায় আর তাতে ঘাস জন্মে আমি সেখানে আমার পশু চড়াবো না। হযরত আলী(রাঃ)
[তাফসীরে কাশশাফ,খন্ড-১পৃষ্ঠা-২৮৮,তাফসীরে রুহুল মায়ানী-খন্ড-2, পৃষ্ঠা-২০৬]
রাতে আয়তুল কুরসী পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেশতা পাহারা দেয়।[বুখারী শরীফ-২৩১১]
যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে।পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।
[আল-ফুরকান আয়াত:৭০]
“হে আমার প্রতিপালক! আমি তো তোমাকে আহবান করে কখনো ব্যর্থ হইনি।”
[সূরা মারইয়াম: আয়াত ৪]
প্রতিদিন একশবার সুবাহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ বললে তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও।
বুখারীঃ ৬৪০৫
#হাদীস_শিক্ষা
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: “অচিরেই আমার উম্মতের মধ্য থেকে ত্রিশ জন মিথ্যাবাদী আত্মপ্রকাশ করবে। তাদের প্রত্যেকে নিজেকে নবী বলে দাবী করবে। অথচ আমি খাতামুন্ নাবিয়্যীন, আমার পরে আর কোনো নবী নেই।’’
[তিরমিযি শরীফ: ২২১৯]
জাহান্নাম ও জান্নাতবাসীরা সমান নয়, জান্নাতবাসীরাই সফলকাম।
-সূরা হাশর, আয়াতঃ ২০
তুমি নামাজ পড়া শুরু করো।
নামাজ তোমার জীবন বদলাতে শুরু করে দিবে।
ইনশাআল্লাহ
কাউকে অতীতের গুনাহ নিয়ে খোটা দিও না। সে হয়তো তওবা করে আল্লাহর কাছে তোমার থেকেও উত্তম হয়ে গেছে।
দামি পোশাক পড়ে কি লাভ হবে। নামাজের জন্য ডাকলে যদি বলতে হয় পোশাক তো এখন নাপাক।
একটা মানুষের ভাগ্য ততবার পরিবর্তন হয়
যতবার সে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে।
আলহামদুলিল্লাহ
প্রত্যেক অজুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করা। এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩৪)
- যার দুঃখ বেশি তার প্রতি আল্লাহর রহমতও বেশি
- আলহামদুলিল্লাহ...।
যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।
(সুরা শামস : আয়াত-৯)
রমজান মাসে ৩ বার সূরা ইখলাস পড়লে ৭০ বার কুরআন খতমের সাওয়াব পাওয়া যায়।
"আলহামদুলিল্লাহ"
রমযান প্রসঙ্গ
সাওম তথা রোযা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বদনী ইবাদত । যা প্রতি বছর আমাদের কাছে রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে অশেষ কল্যাণের বার্তা নিয়ে ফিরে আসে । রমজান মাস এমন একটি বিশেষ অফারের মাস যা আমাদের কাছে আল্লাহ প্রদত্ত রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আগমন করে। এই মাস হচ্ছে আত্মশুদ্ধিতার মাস, সংযমের মাস, রহমত লাভের মাস, পাপ মোচনের মাস, জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস।
রমযানের উদ্দেশ্য
আল্লাহ তা‘য়ালা উদ্দেশ্যহীন ভাবে ,অনর্থক কোন ইবাদত তাঁর বান্দাদের জন্য বিধেয় করেননি যাতে তাঁর পক্ষ থেকে রহমত , বরকত , কল্যাণ নেই । প্রতিটি ইবাদতের মূলে রয়েছে হিকমত ও উদ্দেশ্য । তদ্রুপ রমযানের রোযার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ।
📃রাব্বুল আলামীন কুরআনে পাকে ইরশাদ করেন -
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হল, যেমনি তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়ার অধিকারী হতে পার । ( সূরা বাকারা – ১৮৩)
উল্লেখিত আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয় রাব্বুল আলামীন রমযানের রোযা ফরজ করার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা । যাতে তাঁর বান্দারা মুত্তাকি হতে পারে ।
তাকওয়া কি ?
তাফসীরে বায়দ্বাবীতে তাকওয়ার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে -
هُوَ اِمْتِشَالُ اَواَمِرِ اللهِ وَاْلاِجِتِنَابُ نَوَاهِيْهِ
অর্থঃ আল্লাহ তা‘য়ালা যা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করা এবং যা করতে নিষেধ করেছেন তা হতে বিরত থাকা ।
আপনি বিপদে পড়ে আছেন দুরুদ শরীফ পাঠ করুন আপনার বিপদ থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
“সে নিশ্চিত সফল হয়েছে যে তাকে (নফসকে) পবিত্র করেছে”। [সূরা আশ-শামস, আয়াত: ৯]
সুরা ফাতিহা
পড়ে, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে রোগের শেফা চাইবে, আল্লাহ তাকে ওই রোগ থেকে শেফা দান করবেন।
(বুখারী ২২৭৬)
সুতরাং, তোমরা তোমাদের রবের কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?
-সূরা আর-রহমান, আয়াত ১৮
পৃথিবীতে মৃত্যুর স্বাদ সবাই পায়, কিন্তু জীবনের স্বাদ পায় মাত্র কয়েকজন।
--- মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি
আপনি যে জিনিস পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন,
তা যেনো আল্লাহ আপনাকে প্রদান করে...
আমিন।
لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ
তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।
৩৯ : ৫৩
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:
مَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الْإِزَارِ فِي النَّارِ
(পুরুষের) টাখনুর নিচের যেই অংশ পায়জামা বা লুঙ্গি দ্বারা ঢাকা থাকে, তা জাহান্নামে যাবে। (আল-হাদিস)
লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ):
কর্মক্ষেত্রে বা পারিবারিক বা বন্ধু মহলে আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ কথা বলতে কাউকে ছাড়ি না।আমি উচিৎ কথা মুখের উপর বলে দেই। আমি অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড! যা মনে আসে তাই বলি।"
সব মহলে ঠোটকাটা স্বভাবের হিসেবে আপনি পরিচিত! সবাইকে একদম সামনেই ধুয়ে দেন এবং এটা নিয়ে আপনি বেশ গর্বও করেন! ইসলাম ধর্মে এটাকেই "লুমাযাহ" বলা হয়।
আল্লহ্ এই মানুষদেরকে পরিবর্তন হতে বলেছেন সূরা হুমাজাহ তে। নয়তো তাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সতর্ক বাণী দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর লানত করেছেন।
আসুন, আমরা একটু নরম হই, একটু সহনশীল হই, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করি। মনে রাখবেন- আল্লাহ যাকে নম্রতা দিয়েছেন, তিনি দুনিয়ার সেরা নিয়ামাহ পেয়ে গেছেন। হয়তো আমিও লুমাজার অন্তর্ভুক্ত, তবে চেষ্টা করছি নিজেকে বাঁচাতে। আল্লাহ তৌফিক দান করুন।
ইমাম শাফিয়ী (রহ.) বলেন, 'তুমি যদি অন্তরের শুদ্ধি চাও, চাও তোমার সন্তানের ভালো হোক, তোমার বন্ধুবর্গ, আত্মীয়ের কল্যাণ হোক, তাহলে তাদেরকে কুরআন তিলাওয়াতের জায়গায় নিয়ে আসো। তাদেরকে কুরআনের সঙ্গী বানাও। তারা না চাইতেই আল্লাহ তাআলা তাদের ভালো করে দেবেন।'
সূত্র: হিলইয়াতুল আউলিয়া, ৯/১২৩
রমাদান মাসটা বেশি বেশি কুরআনের সাথে কাটান। তিলাওয়াতের সময় না পেলেও তিলাওয়াত শুনুন।
ইয়া রব...
বুকভারী হওয়া দুঃখের মেঘগুলো কে তোমার কাছেই জমা রাখলাম...
তুমি সুখের বৃষ্টির বর্ষনে হালকা করে দিও...
দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল রমাদ্বানের অর্ধেক দিন!
রাসূল বলেছেন,
ধ্বংস হোক ঐ ব্যক্তি যে রমাদ্বান পেল,
কিন্তু তার গুনাহ মাফ করাতে পারল না।
(আল আদাবুল মুফরাদ: ৬৪৬)
চলুন তো নিজেকে প্রশ্ন করি, রমাদ্বানের এতগুলো দিন পেয়েও আমি কি আমার গুনাহ মাফ করাতে পেরেছি?
পেরেছি কী নিজেকে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের উপযোগী করে গড়ে নিতে?
রমাদ্বানের পেরিয়ে যাওয়া দিনগুলোতে আমার সালাত আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, আয়াত-হাদিস হিফয, ইসলামী জ্ঞানচর্চাসহ বিভিন্ন ইবাদাতের পরিমাণ কী সন্তোষজনক?
যদি উত্তর 'না' হয়, চলুন এখনই দৃঢ় প্রত্যয়ী হই, রমাদ্বানের বাকি দিনগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাব ইনশাআল্লাহ। রমাদ্বানের মহামূল্যবান সময়গুলো কাজে লাগিয়ে হাসিল করে নিই রাব্বুল আ'লামিনের সন্তুষ্টি।