অজানা হিন্দু কথা Aojana hindu kotha

অজানা হিন্দু কথা Aojana hindu kotha

hindu

27/04/2023

ইতালিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বী এর সংখ্যা, রাশিয়ায় হিন্দু ধর্ম।

25/04/2023

রাশিয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বী এর সংখ্যা, রাশিয়ায় হিন্দু ধর্ম।

Photos from অজানা হিন্দু কথা Aojana hindu kotha's post 17/04/2023

তৈরী হওয়া একটি ভব্য হিন্দু🕉🚩 মন্দির
তবে অযোধ্যার রামমন্দির নয়
ইসলামিক☪ আরবের মরুভূমিতে
স্বামীনারায়ন মন্দির 🕉🚩

আবুধাবি শহর সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (U.A.E.) 🇦🇪

16/04/2023

16/04/2023
Photos from অজানা হিন্দু কথা Aojana hindu kotha's post 16/04/2023

বঙ্গবাজারে একজন হিন্দুর দোকান অক্ষত গীতা উদার! লক্ষ লক্ষ টাকা পুড়ে গেছে কিন্তু শ্রীমদ্ভগবদগীতা রয়ে গেছে।

জয় সনাতন।🕉️🙏

এক বাক্স ভর্তি স্বপ্ন।সুন্দর জীবনের স্বপ্ন
একটু ভালো থাকার স্বপ্ন,একটু বেচে থাকার স্বপ্ন।
:::::🥺

16/01/2023

মহাপীঠ তারাপীঠ - রানী রাসমণী মায়ের পূর্ণ দর্শন 🌺 জয় মা তারা 🙏

16/01/2023

এড়িয়ে যাবেন না ৩ ঘণ্টার মধ্যে জীবন উজ্জ্বল হয়ে যাবে❣️✨

29/12/2022

নিচের নিউজটি পড়ুন💔 —
আফগানিস্তান থেকে একটি ভয়ঙ্কর ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। ভিডিওতে নারীদের জনসমক্ষে নির্মমভাবে ৬ মিনিট যাবত ৭০-৮০টি বেত্রাঘাত করতে দেখা যায়। এ ভিডিও ক্লিপটি শবনম নাসিমি নামের একজন টুইটার ব্যবহারকারী পোস্ট করেছেন। ঘটনাটি তাখার প্রদেশের বলে জানা গেছে।

তালেবানের রক্ষণশীল নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগে ওই নারীদের বেত্রাঘাত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশটিতে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া দোকানে যাওয়া নারীদের জন্য নিষিদ্ধ।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চুরি ও 'নৈতিক অপরাধের' দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আফগান আদালতের নির্দেশে গত বুধবার তিনজন নারী ও ১১ জন পুরুষকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে।

এর আগে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা গত মাসে বিচারকদেরকে ইসলামী শরীয়াহ আইন অনুসারে শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যার মধ্যে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, পাথর মারা এবং বেত্রাঘাত রয়েছে। এ ছাড়াও চোরদের জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলার নিয়মও রয়েছে।

_কালেরকণ্ঠ হতে সংগৃহীত

05/12/2022

ঈশ্বর মানুষের কর্ম, সিদ্ধান্ত এবং চিন্তা-চেতনায় হস্তক্ষেপ করেন না। কাজ শেষ হওয়ার পর তার ফল কী হবে তা ঈশ্বরই ঠিক করেন। তারা অবশ্যই প্রকৃতির মাধ্যমে আমাদের সঠিক পথে আনার চেষ্টা করে, তবে সিদ্ধান্ত এবং কর্ম কেবলমাত্র মানুষকেই করতে হয়।

05/12/2022

রামমন্দিরে টাইম ক্যাপসুল কি রাখা হয়?
'টাইম ক্যাপসুল' হল এমন একটি বাক্স যাতে বর্তমান সময়ের তথ্য পূর্ণ হয়। দেশের নাম, জনসংখ্যা, ধর্ম, ঐতিহ্য, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন সম্পর্কে তথ্য এই বাক্সে রাখা হয়। ক্যাপসুলে অনেক বস্তু, রেকর্ডিং ইত্যাদিও ঢোকানো হয়। এর পরে, ক্যাপসুলটি একটি কংক্রিটের কভারে প্যাক করা হয় এবং মাটিতে খুব গভীরে পুঁতে দেওয়া হয়। যাতে শত-সহস্র বছর পরে অন্য কোনো সভ্যতা যখন এই ক্যাপসুলগুলো পায়, তখন জানতে পারে সেই প্রাচীন যুগে মানুষ কীভাবে বাস করত, কী কী ভাষায় কথা বলত। টাইম ক্যাপসুলের ধারণাটি মানুষের আদিম ইচ্ছার প্রতিফলন। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ভিত ঢোকানো হবে টাইম ক্যাপসুল।

প্রস্তর যুগ থেকে মানুষ ভাবছে যে সে মুছে গেলেও তার কাজগুলো আগামী প্রজন্ম মনে রাখবে। এই চিন্তাই মানুষকে ইতিহাস রচনায় অনুপ্রাণিত করেছে। যখন একটি প্রাচীন গুহা আবিষ্কৃত হয়, তখন এর দেয়ালে হাজার হাজার বছরের পুরনো রক পেইন্টিং পাওয়া যায়। এটিও এক ধরনের টাইম ক্যাপসুল, যা দেয়ালে বিশেষ ধরনের কালি দিয়ে খোদাই করা ছিল।

তার কালির এত শক্তি ছিল যে হাজার বছর পর প্রজন্মের কাছে তার গল্প পড়তে পারে। এটাই ছিল ভারতের প্রাচীন মন্দিরে স্থাপিত শিলালিপির উদ্দেশ্য, যা আধুনিক সময়ে টাইম ক্যাপসুল নির্মাতাদের উদ্দেশ্য। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বর্তমান সম্পর্কে বলার তাগিদই জন্ম দিয়েছে টাইম ক্যাপসুলের ধারণার।

আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি আগামী হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে স্বীকৃত হোক, এটাই টাইম ক্যাপসুল-এর দর্শন। প্রাচীনকালে, শুধুমাত্র শিলালিপি এবং শিলা চিত্র তৈরি করে কাজ করা হত, কিন্তু এখন মানুষ আরও নিরাপদ উপায়ে বহু শতাব্দী ধরে তাদের স্মৃতিগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।

ভারত এবার রাম মন্দির নির্মাণে বেশ যত্ন নিচ্ছে। বিগত শত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের শিখিয়েছে বাবর যুগের আর পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয়। রাম মন্দিরের ফাউন্ডেশনে টাইম ক্যাপসুল ঢোকানো হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে শ্রী রামের পক্ষে প্রমাণের অভাবে আবার আদালতের দ্বারস্থ হতে না হয়।

ক্যাপসুলে কী রাখা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মন্দিরের মানচিত্রের একটি নীল প্রিন্ট অবশ্যই রাখা উচিত। অযোধ্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস থাকা উচিত। চারবার তার সর্বনাশ এবং তারপর থিতু হওয়ার একটি সম্পূর্ণ গল্প থাকতে হবে। রামমন্দিরের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের কথা উল্লেখ করা উচিত। এমনকি আদালতে বহু বছরের যুদ্ধের হিসাবও থাকতে হবে।

রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যেসব নেতা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাদের উল্লেখ করা উচিত। এমনকি প্রবীণ অ্যাডভোকেট মিঃ পরাশরণকেও তার ছবির সাথে উল্লেখ করতে হবে। রাম সেতু ও রাম পরিক্রমা পথে স্থান পেতে হবে। ভারতের জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত পুরো গল্পটি সেই ক্যাপসুলে থাকা উচিত। সেই দলেরও উল্লেখ করা উচিত, যে দল রামকে সত্তর বছর ধরে তাঁর কোটি ভক্তদের থেকে দূরে রেখেছিল।

18/11/2022

আজ আপনি কী দেখে অবাক হলেন?
গীতা-কোরান দুই-ই পাঠ্য, নামাজের টুপি পরে বেদ পড়েন মুসলিম ছাত্ররা, অনন্য শিক্ষার নজির আমাদের এই ভারতেই।

জায়গাটা ভারতেই। কেরলের ত্রিশূরের একটি ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছাত্ররা সেখানে যেমন কোরান পড়েন, তেমনই পড়েন ভাগবদ্গীতাও। মাথায় চন্দনের তিলক কেটে হাতে গীতা, বেদ উপনিষদ নিয়ে হিন্দু গুরু আসেন ক্লাস রুমে। শিক্ষকের নির্দেশ পেয়ে মুসলিম ছাত্ররা অবলীলায় আবৃত্তি করেন ‘‘গুরুঃ ব্রহ্ম, গুরুঃ বিষ্ণু, গুরুঃ দেব মহেশ্বর, গুরুঃ সাক্ষাৎ পরম ব্রহ্ম, তস্মৈশ্রী গুরবে নমঃ।।’’

মধ্য কেরলের ওই ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও হিন্দু ছাত্র পড়েন না। সব ছাত্রই মুসলিম। তবে হিন্দু গুরুর তত্ত্বাবধানে গীতা-উপনিষদের সংস্কৃত শ্লোক পড়তে বিন্দুমাত্র আপত্তি তোলেননি তাঁরা। এমনকি ছাত্রদের পরিবারের তরফেও কোনও বাধা আসেনি বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কেরলের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, অ্যাকাডেমি অফ শরিয়া অ্যাডভান্সড স্টাডিজ। কলেজের প্রিন্সিপাল ওনামপিলি মহম্মদ ফইজি জানিয়েছেন ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে কোনও একটি ধর্মের শাস্ত্রে বেঁধে রাখতে চাননি তিনি। তাঁর মনে হয়েছে, কোনও শিক্ষা যথাযথ হতে হলে সব বিষয়েই জ্ঞান থাকা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই ইংরেজি, আরবি, উর্দু ভাষার পাশাপাশি ছাত্রদের সংস্কৃত শেখানোর কথাও ভেবেছেন তিনি।

আসলে ফইজির এই ভাবনার নেপথ্যে রয়েছে তাঁর নিজের শিক্ষা। অল্প বয়সে হিন্দু দার্শনিক শঙ্করাচার্যের দর্শন পড়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। সেখান থেকেই তাঁর ভাবনায় এক অন্য রকম শিক্ষ প্রতিষ্ঠান তৈরির ধারণা দানা বেঁধেছে। যদিও ফইজি জানেন, দৈনন্দিন লেখাপড়ার পাশাপাশি, ছাত্রদের সংস্কৃত ভাষার সমস্ত শাস্ত্র পড়ানো সম্ভব নয়। তা পড়তে বহু বছর লেগে যাবে। ছাত্রদের তাই গীতা, উপনিষদ, বেদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

তবে পড়ানোর ব্যবস্থা করলেও কে পড়াবেন তা নিয়ে প্রথমটায় কিছুটা ধন্দে ছিলেন তিনি। কারণ, তাঁর মনে হয়েছিল কোনও হিন্দু শাস্ত্রজ্ঞ হয়তো আরবি এবং উর্দুভাষী এই ছাত্রদের সংস্কৃত পড়াতে চাইবেন না। কিন্তু ফইজির ধারণা ভুল প্রমাণ করে ছাত্রদের হিন্দু শাস্ত্র এবং সংস্কৃত পড়াতে রাজি হন এক শিক্ষক। নাম কে কে ইয়াথিন্দ্রন। তিনি জানিয়েছেন, ফইজি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, মুসলিম ছাত্রদের পড়াতে তাঁর কোনও আপত্তি আছে কি না জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি একজন শিক্ষক। ছাত্রদের পড়াব। সেখানে হিন্দু-মুসলিম বা খ্রিস্টানের ভেদাভেদ আসছে কোথা থেকে!’’

ইয়াথিন্দ্রন জানিয়েছেন, প্রথমটায় তাঁর পাড়া পড়শিরা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি তা নয়। তবে তিনি তাঁদের সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি শিক্ষকতা করতে যাচ্ছেন। আর ধর্ম তাতে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। পরে ইয়াথিন্দ্রনের মতোই আরও বেশ কয়েকজন সংস্কৃত পড়াতে এসেছেন ফইজির প্রতিষ্ঠানে। সম্প্রতি ফেসবুকে ক্লাসরুমের একটি ছবি শেয়ার করেছিল অ্যাকাডেমি অফ সরিয়া। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ধবধবে সাদা গোড়ালি ঝুল আলখাল্লা পাঞ্জাবির সঙ্গে মাথায় সাদা ফেজ নমাজের টুপি পরে ছাত্ররা বসে রয়েছেন ইয়াথিন্দ্রনের ক্লাসরুমে।

ইয়াথিন্দ্রন জানিয়েছেন, তাঁর ক্লাসে সংস্কৃততেই কথা বলেন ছাত্ররা। চলে বিভিন্ন শ্লোক নিয়ে ব্যাখ্যামূলক আলোচনাও। এই ছাত্রদের অধিকাংশই সংস্কৃতের নামও শোনেনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার আগে। তবে সংস্কৃত নিয়ে জানার আগ্রহ এক বিন্দু কম নয় তাঁদের।

তথ্যসূত্র -- আনন্দবাজার পত্রিকা

18/11/2022

এ বছর নেপালে উদ্ধার হল বাংলার পালযুগের এক প্রস্তরের অনিন্দ্য কৃষ্ণমূর্তি ।

17/11/2022

রাধা কি কৃষ্ণের মামী ? এই অবৈধ প্রেমকে বৈধতা দেখিয়ে হিন্দু ধর্মে কেন প্রচার করা হয়?

এটির আসল উত্তর :

কৃষ্ণের মা ছিল দুইজন। জন্মদাত্রী দেবকী, আর পালক যশোদা। দেবকীর ভাই কংস, যাকে কৃষ্ণ নিজে হত্যা করে। কংসের যেহেতু অন্য কোন ভাই ছিল না, সেহেতু এই দিক থেকে কৃষ্ণের অন্য কোন মামা থাকা সম্ভব নয়। বাকি রইলো যশোদা; কথিত রাধার কথিত স্বামী আয়ান ঘোষ যে যশোদার ভাই, সেই ব্যাপারে, শ্রীমদ্ভাগবত, যেটা শ্রীকৃষ্ণের প্রামান্য জীবনী এবং মহাভারত, যাতে কৃষ্ণের জীবনের অনেক কাহিনী আছে, এই দুটো গ্রন্থে কোন তথ্য আছে ?

না, নেই।

তাহলে আপনি কিভাবে বলছেন যে- রাধা, কৃষ্ণের মামী ?

সংস্কৃত ভাগবত এবং মূল মহাভারতে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের কোন উল্লেখ নেই। হিন্দু ধর্মকে সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংস করার জন্য ভারতে মুসলিম দুঃশাসন শুরু হওয়ার পর, বহু পুরাণ রচয়িতা বেদব্যাসের নাম ব্যবহার করে রচনা করা করা হয় ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ এবং তাতে প্রথম রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের আবির্ভাব ঘটানো হয়। মুসলমানদের এই কৌশল বুঝতে না পেরে, ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের কাহিনী অবলম্বন ক'রে পরে জয়দেব সংস্কৃতে লিখে "গীত গোবিন্দ" এবং বড়ু চণ্ডীদাস বাংলায় লিখে "শ্রীকৃষ্ণীর্তন কাব্য" এবং তারপর চৈতন্যদেব এর আগে পরে লিখা হয় বৈষ্ণব পদাবলী। এই কাব্যগুলোর কারণে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম হিন্দুদের মাথায় শিকড় গেড়ে বসে।

এই ষড়যন্ত্র যে কত গভীর ছিল, এবার তার কিছু প্রমান দিই। মুসলমানদের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুধর্মের প্রধান পুরুষ কৃষ্ণের চরিত্রকে খারাপ দেখিয়ে হিন্দু ধর্মকে ধ্বংস করে দেওয়া। এই জন্য তারা রাধাকে আবিষ্কার করে এবং রাধার সাথে কৃষ্ণের প্রেম লীলা দেখায়। কিন্ত এটা নরম্যাল প্রেম হলে চলবে না, হতে হবে পরকীয়া প্রেম, তাই রাধাকে সাধারণ কোন নারী বানানো হয় না, বানানো হয় অন্যের স্ত্রী। এতেও তাদের সাধ মেটে না, কৃষ্ণকে বানাতে হবে আরও লম্পট, সেজন্য রাধাকে-কৃষ্ণের মামী বানিয়ে প্রেমটাকেই বানানো হয় অনৈতিক, অবৈধ। এখানেও তারা থেমে থাকে নি, কৃষ্ণকে চুড়ান্ত লম্পট বানানোর জন্য তারা এর সাথে জুড়ে দেয় যৌনতা; হ্যাঁ, কৃষ্ণের চরিত্র এমনই- ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে; আমার কথা বিশ্বাস না হলে এই কাব্যগুলো পড়ে দেখবেন, এডাল্ট স্টোরি অর্থাৎ চটিগল্প পড়ার ফিলিংস পাবেন।

রাধা-কৃষ্ণের প্রেম সম্পর্কে যা বলা হয়, তা যে হান্ড্রেড পার্সেন্ট মিথ্যা, তার প্রমান স্বরূপ একটি মাত্র ক্লু দিই। প্রচলিত মত অনুসারে, রাধার সাথে কৃষ্ণ প্রেম করেছে যৌবনকালে এবং তা বৃন্দাবনে। কিন্তু ভাগবত ও মহাভারতের কাহিনী সাক্ষী দিচ্ছে যে, ১০ বছর ২ মাস বয়সে কৃষ্ণ, কংসকে হত্যা করে ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরায় যায় এবং তারপর যায় দ্বারকায় এবং তারপর কৃষ্ণ কোনদিন বৃন্দাবনে যায় ই নি, তাহলে যুবক রাধার সাথে যুবতী রাধা প্রেম হলো কখন, কোথায় ? রাধা, কৃষ্ণের মামী এবং রাধার সাথে কৃষ্ণের যৌনতা, এসব তো অনেক পরের বিষয়।

রাধার সাথে কৃষ্ণের যদি এতই প্রেম থাকত তাহলে কৃষ্ণ, রাধাকে ছেড়ে রুক্মিনীকে বিয়ে করতে গেল কেন ?

রাধার স্বামী হিসেবে যাকে বলা হয়, সেই আয়ান ঘোষও যে একটা কাল্পনিক চরিত্র, তার প্রমান তার "ঘোষ" পদবী; এই ঘোষ পদবী মধ্যযুগের উৎপত্তি, যখন ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে এই আজগুবি কাহিনীগুলি বানানো হয়। কৃষ্ণের সময় ঘোষ পদবী বলে কিছু ছিল না; কারণ, কৃষ্ণের যুগে কোন পুরুষের নামের সাথে ঘোষ পদবী ছিল না, যদিও বৃন্দাবনের সবার পেশা ই ছিল বর্তমানের ঘোষদের মতো।

সত্যের জয় হোক, অসত্যের পতন হোক ।

জয় শ্রীকৃষ্ণ

পেজটি follow করুন ও শেয়ার করে সকলের বিভ্রান্তি দুুর করুন

30/10/2022

কলা বউ কি সত্যি গণেশ ঠাকুরের স্ত্রী নাকি মা দুর্গার ভিন্ন রূপ? দূর্গা পুজোর সময় কলা বউ-এর পুজোটির গুরুত্বও কী?
সনাতন দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে থাকা গনেশের মূর্তির ডান পাশে লাল পাড় সাদা শাড়িতে ঢাকা একটি কলা গাছকে কলা বউ হিসেবে ডাকা হয়। সাধারণ ভাবে আমরা এই গাছটিকে গনেশের স্ত্রী হিসেবে মনে করি। তবে এই গাছ আদৌ গণেশের স্ত্রী নন, বরং ইনি স্বয়ং মা দুর্গা, অর্থাৎ গণেশের জননী। এর আসল নাম ‘নবপত্রিকা’। পণ্ডিত নবকুমার ভট্টাচার্য তাঁর ‘দুর্গাপুজোর জোগাড়’ বইয়ে লিখেছেন— ‘সমবেতভাবে নবপত্রিকার অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গা। নবপত্রিকা দেবী দুর্গারই প্রতিনিধি। দেবী শুম্ভ-নিশুম্ভবধ কালে অষ্টনায়িকার সৃষ্টি করেছিলেন এবং দেবী স্বয়ং ছিলেন।’ গণেশের স্ত্রীর নাম রিদ্ধি ও সিদ্ধি।

নবপত্রিকা কি?

নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ হল ৯টি পাতা। যদিও এখানে ৯টি উদ্ভিদ- কদলী বা রম্ভা (কলা গাছ), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধান দিয়ে নবপত্রিকা বানানো হয়। এই ৯টি উদ্ভিদ মা দুর্গার ৯টি শক্তির প্রতীক। একটি সপত্র কলাগাছের সঙ্গে অন্য ৮টি সপত্র উদ্ভিদ ও ২টি বেল এক সাথে সাদা অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়িয়ে ঘোমটা দিয়ে বধূর আকার দেওয়া হয়। তারপর তাতে সিঁদুর দিয়ে দুর্গার ডান পাশে রাখা হয়। এবারে দেখা যাক এই ৯টি গাছের বৈশিষ্ট্য। এই ৯টি গাছে যে যে দেবী অধিষ্ঠান করেন তাঁরা হলেন কলা গাছে দেবী ব্রহ্মাণী, কচু গাছে দেবী কালিকা, হরিদ্রা গাছে দেবী উমা, জয়ন্তী গাছে দেবী কার্ত্তিকী, বিল্ব গাছে দেবী শিবা, দাড়িম্ব গাছে দেবী রক্তদন্তিকা, অশোক গাছে দেবী শোকরহিতা, মান গাছে দেবী চামুন্ডা ও ধান গাছে দেবী লক্ষ্মী।

উপাচার

দুর্গা পূজোর প্রথম দিন সপ্তমী, সে দিন সকালে পুরোহিত নিজেই নবপত্রিকাকে নিয়ে কাছের কোনও নদী বা পুকুরে স্নান করাতে নিয়ে যান। সঙ্গে মহিলারা উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনি করতে করতে এবং ঢাকিরা ঢাক বাজাতে বাজাতে যান। কলাবউ বা নবপত্রিকা স্নানের জন্য লাগে তেল-হলুদ, অষ্টকলস, পঞ্চরত্নের জল, পঞ্চ অমৃত, পঞ্চ শস্য, পঞ্চ গব্য, পঞ্চ কষায়, বৃষ্টির জল, ডাবের জল, শিশির, সমুদ্রের জল, তীর্থের জল, আখের রস, বরাহদন্ত মৃত্তিকা, বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা, সর্ব ঔষধি, মহা ঔষধি, চতুষ্পদ মৃত্তিকা, পদ্মরেণু, চন্দন। শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী স্নান করানোর পর নবপত্রিকাকে নতুন শাড়ি পরানো হয়। তারপর পূজামণ্ডপে নিয়ে এসে দেবীর ডান দিকে একটি কাঠের সিংহাসনে স্থাপন করা হয়। পূজামণ্ডপে নবপত্রিকা প্রবেশের মাধ্যমে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠানটির প্রথাগত সূচনা হয়। নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়। এর পর বাকি দিনগুলিতে নবপত্রিকা অন্য দেবদেবীদের সঙ্গেই পূজিত হতে থাকেন।

উৎস

নবপত্রিকা কি ভাবে দুর্গা পূজার সাথে মিশে গেলো– তা নিয়ে নানা মত প্রচলিত আছে। মার্কণ্ড পুরানে নবপত্রিকা পূজার বিধান নেই। কালিকা পুরানে এই নিয়ম না থাকলে সপ্তমীতে পত্রিকা পূজার কথা বলা আছে। কৃত্তিবাসী রামায়নে অবশ্য এর উল্লেখ পাওয়া যায়– ‘বাঁধিলা পত্রিকা নব বৃক্ষের বিলাস’। এমনও মনে করা হয় যে সম্ভবত শবর জাতিগণ কোনও এক সময় ৯টি গাছ দিয়ে নবদুর্গার পূজা করতেন। সেই থেকে এই রীতি হয়তো দুর্গা পূজোতে প্রবেশ করেছে। আবার শস্য দেবীকে দুর্গা দেবীর সাথে মিশিয়ে দেবার জন্য এই রীতির আয়োজন বলেও কেউ কেউ মনে করেন। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি লিখেছেন, “আমি নবপত্রিকার উৎপত্তি ও প্রয়োজন বিন্দুমাত্র বুঝিতে পারি নাই। নবপত্রিকা নবদুর্গা, ইহার দ্বারাও কিছুই বুঝিলাম না। দেবীপুরাণে নবদুর্গা আছে, কিন্তু নবপত্রিকা নাই।… নবপত্রিকা দুর্গাপূজার এক আগন্তুক অঙ্গ হইয়াছে।… বোধ হয় কোনও প্রদেশে শবরাদি জাতি নয়টি গাছের পাতা সম্মুখে রাখিয়া নবরাত্রি উৎসব করিত। তাহাদের নবপত্রী দুর্গা-প্রতিমার পার্শ্বে স্থাপিত হইতেছে

follow our page

27/10/2022

সকলে শেয়ার করুন

23/10/2022

দেবতা ও ভগবানের মধ্যে পার্থক্য কি জেনে নিন? হিন্দু ধর্মের অজানা তথ্য!

Photos from অজানা হিন্দু কথা Aojana hindu kotha's post 22/10/2022

বাংলাদেশের রমনা কালী মন্দির :
বাংলাদেশের ঢাকা রেসকোর্স অঞ্চলে ষোড়শ শতকে তৈরি রমনা কালী মন্দির ছিল একটি মোঘল যুগের হিন্দু স্থাপত্য যে গঠনশৈলী অন্য কোথাও ছিলনা । ৯৬ ফুট উচ্চতার এই মন্দিরের উপরাংশ বা শিখরটি ছিল একটি বিশাল শঙ্কু । পৃথিবীর কোথাও এরকম মন্দির ছিলনা। মন্দিরের গায়ে ছিল মা আনন্দময়ীর আশ্রম বা উপাসনার স্থান । কালী মন্দিরস্থলে দূর্গামন্দির ও রাধাকৃষ্ণ মন্দিরও ছিল। ১৮৮২ থেকে ১৯১৩ সালের মধ্যে রাজা রাজেন্দ্রনারায়নের বিধবা পত্নী রানী বিলাসমোহিনী দেবী মন্দিরটির শেষ সংস্কার করেন । প্রাচীন নেপালী লোকসঙ্গীতেও রমনা মন্দিরের উল্লেখ আছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্চ ২৭, ১৯৭১ পাকিস্তানী সৈন্যরা এই মন্দিরটি ধ্বংস করে এবং এই অঞ্চলের প্রায় ১০০০ মানুষকে অল্প সময়ে হত্যা করে। পরে ভারত সরকারের সাহায্যে এ স্থানে নতুন একটি মন্দির নির্মান করাহয় ।১৭ই ডিসেম্বর ২০২১ মন্দিরটির উদ্বোধন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে । চিত্রে পুরাতন ও নতুন দুটি মন্দিরই দেখান হল । like ,share and follow

22/10/2022

নেপালে পুজিতা অষ্টাদশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী :

Photos from অজানা হিন্দু কথা Aojana hindu kotha's post 18/10/2022

হিন্দুরা নিজেরা মূর্তি বানিয়ে আবার সেই নিজেদের বানানো মূর্তিকেই কেন পূজা করেন? এর উত্তরে কী বলা যায়?
দারুন প্রশ্ন! আপনি যদি একটু চিন্তা করেন, আশাকরি উত্তরটি বুঝতে পারবেন,

বিষয়টি সহজে উপস্থাপনের জন্য আমি চার প্রকার লজিক থেকে "Symbolic logic " উপস্থাপন করলাম। এটি আপনাকে " ভিন্ন ভিন্ন সংষ্কৃতির মাঝে বিদ্যমান সাদৃশ্যটি সহজে বুঝতে সহায়তা করবে, আশাকরি মানষিক সংকীর্ণতার আবরণ ভেঙে নতুন এক মনস্তাত্ত্বিক জগতে আপনাকে বা আপনাদেরকে প্রবেশ করাবে।

★মুসলিমরা মক্কাতে হজ্জব্রত পালন করতে কেন যায়? ★পবিত্র কাবাশরীফ মানুষই বানিয়েছে, কেন তাকে প্রদক্ষিন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন? ★ কেন শয়তানরুপ একটি মিনার বানিয়ে সেটাতে পাথর ছোড়েন? শয়তানকে শাস্তি দিতে?

★কেন হাজরে অসওয়াদে গোনহা মাফের অছিলাই চুম্বন করেন?

★কেন "সাফা আর মারওয়া" পাহাড়দ্বয়ের মাঝে ছোটাছুটি করেন?

★কেন কবর জিয়ারত করেন ও মাজার পূজা করেন?

★কেন জমজমের পানি পবিত্র হিসাবে পান করে এবং সঙ্গে করে নিয়ে যান?

★প্রতিদিন পাঁচবার যখন নামাজ পড়েন, তখন কি মসজিদের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করেন?

★আপনারা কেন বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন আকৃতি ও ডিজাইনের সাদৃশ্যহীন মসজিদ সমূহে বিভিন্নভাবে ( শিয়া,সুন্নি, আহমেদিয়া, ইয়াজিজি, আহলে হাদিস, এমন বহু সেকশনে বিভক্ত) প্রার্থনা করেন ?

★ মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় হওয়া সত্ত্বেও কেন তার ৯৯ টি ভিন্নার্থক নাম বিদ্যমান?

★ কেন ইসলামের, শিয়া, সুন্নি, সুফি, আহমেদিয়া, খারজি, হানাফি, ইয়াজিজি, এমন বহুভাবে বিভক্ত মুসলিমদের মধ্যে ধারণাগত, সংষ্কৃতিগত, আচরণগত বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান?

★ এই সবকিছুর উত্তর কিন্তু একটাই, মানুষের হাজার বছর ধরে বয়ে চলা ঐতিহ্য, আঞ্চলিক সংষ্কৃতি ও বিশ্বাস। ভিন্ন ভিন্ন বহুনদী যেমন সাগরে মিলিত হয় তদ্রুপ অজস্র ভিন্নতাও কোন একটি পয়েন্টের সাপেক্ষে সাদৃশ্যতায় আবদ্ধ★

★মানুষের সংষ্কৃতি, বিশ্বাস, সভ্যতা এসব নিয়ে ব্যাঙ্গাত্বক প্রশ্ন তোলাটা কিন্তু সভ্য মানুষের ও সভ্য সমাজের পরিচয় বহন করে না।★

মুর্তিপূজা প্রসঙ্গেঃ

পৃথিবীর বহু সভ্যতা ও সংষ্কৃতির সাথে মূর্তিপূজা জড়িয়ে আছে, তবে সবগুলো একই প্রকৃতির নয়, তাদের ভিতরকার ধারণা ও উপলব্ধিগত বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। আরবের, মিশরের, ভারতের, গ্রীসের, ইরানের সহ অন্যান্ন প্রত্যেকটি প্রাচীন মূর্তিপূজার সংষ্কৃতির বিষয় গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে এই ভিন্নতা প্রতীয়মান হয়।

সনাতনীরা মূলত মুর্তিপূজা করেনা, প্রতিমা পূজা করে। আর সনাতনধর্ম বহু পথের সমাহার, সেখানে সকলে একই পথ ফলো করেনা। যেমন একটি ম্যাথ আপনি বিভিন্ন ওয়েতে করতে পারবেন, একটি প্রোগ্রাম আপনি, পাইথন, জাভা, c++, এমন অনেক ল্যাঙ্গুয়েজে ভিন্ন ভিন্ন কোডে করতে পারবেন। সনাতনও তেমনি, একটা সম্মৃদ্ধ লাইব্রেরী। আপনি যে কোন সাইড নিয়ে কাজ করতে পারেন। প্রতিমা পূজাও তদ্রুপ একটি ট্রেডিশন। প্রতিমা পূজার শেষে প্রতিমাকে বিসর্জন দেওয়া হয় জলাশয়ে, এটা দেখেছেন কিনা? তাহলে নিশ্চয় বুঝেছেন পূজা আসলে কার করে!! আমরা আগুন জ্বালানোর জন্য পার্টিকেল ব্যবহার করি, আগুল জ্বলার পরে ঐ পার্টিকেলটাকে আর প্রয়োজন হয় না, তখন কিন্তু সেটাকে অপ্রয়োজনীয় হিসাবেই রেখে দেয়।

তেমনি প্রতিমা এখানে আরাধনার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পার্টিকেল।

★এবার হয়তো ভাববেন, প্রতিমাকে এত শ্রদ্ধা কেন করে?

আসলে প্রতিমাতো সেই পরমেশ্বরের বিভিন্ন গুনরুপের, শক্তিরুপের কল্পনা থেকেই তৈরী, এই কারনে।

★গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি মানুষ এত টাকা দিয়ে কেন কেনে? কেন এত শ্রদ্ধা করে ? এমনকি আপনার প্রীয়জনদের বা আপনার নিজের ছবি কেন আপনাকে আনন্দিত করে?

★ধরুন, আপনার সম্মুখেই আপনার ছবিতে যদি কেও মুত্রত্যাগ করে বা থুথু ছিটায় আপনার কোন অনুভূতি কাজ করবে কি? সেগুলোতো শুধুই রং, তুলি, কাগজের বা ডিজিটাল ডিভাইসের, তাইনা? যখন ছবিগুলো দেখেন তখন কি মনে হয়! এগুলো শুধুই রং আর কাগজ??

★যে কোন দেশ তার জাতীয় পতাকাকে কেনো এত সম্মান করে? এগুলোতো শুধুই টুকরো কাপড়ে রং দেওয়া, তাই না?

এর উত্তরও কিন্তু একটাই….

…….★"কোন বস্তু বা বিষয়কে( স্থান,কাল,পাত্র ভেদে) আপনি যখন বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন তখন সেটি মূল্যবান এবং বিশেষই হয় সর্বত্র,(বিশেষত্বেরও বিভিন্ন উপকরণ আছে) অন্যথায় সেটি অনর্থক ও মূল্যহীন"…..★

যারা অদ্বৈতবাদী তারা কিন্তু কোন প্রতিমা পূজা করেন না, এছাড়াও অনেক পথ রয়েছে, তবে পরষ্পরের প্রতি কোন ঝামেলা নেই। সনাতনে সবাই স্বাধীন। যারা এমন প্রশ্ন করেন তারা কিন্তু অনেকেই মনে করেন, আরবের কুরাইশ মুর্তিপুজকদের মতো হয়তো সনাতনীরা, এই ধারনাটা সঠিক নয়, পৃথিবীতে অনেক মুর্তিপূজক গোষ্ঠী আছে যেটি লেখায় দেখিয়েছি, যাদের কোন কেতাব নেই বা সমৃদ্ধ কোন "ইতিহাস ও গ্রন্থ" নেই। যেমন কুরাইশদের কোন কেতাব বা সমৃদ্ধ ইতিহাস ছিলো না, তবে ইসলাম পূর্ববর্তী অনেক সংষ্কৃতি ইসলামের সংষ্কৃতির সাথে মিশে গেছে, তার অজস্র উদাহরন গুগলে পাবেন, আমি শুধুমাত্র ১টি উদাহরণ উপস্থাপন করলাম।

আর সনাতনের ইতিহাস " রামায়ন ও মহাভারত " পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত সবচেয়ে প্রাচীন মহাকাব্যদ্বয় এবং সম্পূর্ন ইউনিক জ্ঞানের রাজ্যে নিয়ে যাবে, ধর্ম আসলে কি? সেটাকে চিনতে সহায়তা করবে।

★সনাতন সম্পর্কে যদি জানতে চান খুব সংক্ষেপে,

তাহলে

★ বিবেকান্দের সম্পূর্ন জীবনী পড়ুন( complete work of Swami Vivakananda)

আরো একটু বেশী জানতে চাহিলে,

★ কথামৃত পড়ুন,( শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব)

★গীতা কে উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন,

আরো বেশী জানতে চাইলে

★ উপনিষদকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন

( অন্তত প্রধান ১২ টি)

বিস্তারিত জানতে চাইলে

★বেদ কে উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন।

এই গীতা, উপনিষদ, বেদ, প্রত্যেকটি গ্রন্থই জগতের অনন্য দৃষ্টান্ত।

আপনার উদ্দেশ্যো যদি সত্যে পৌচ্ছানো হয় তাহলে সেটি পারবেন, কিন্তু আপনার উদ্দেশ্যো যদি হিপোক্রেসি হয় তাহলে তো সত্যে পৌচ্ছাতে পারবেন না।
★ বিশ্বের প্রায় সব লেভেলের অপরাপর ধর্মালম্বীরা, সবাই নিজেদের বানানো বিভিন্ন স্থান, নিদর্শন, স্তম্ভ, মুর্তি, ঘর, পবিত্র হিসাবে নির্দেশিত, এগুলোকেই শ্রদ্ধা(পূজা, veneration) করে।



(১),বিশ্বের সনাতনধর্মালম্বীরা নিজেদের বানানো প্রতীমা পূজা করে ( পূরান অনুযায়ী)

(২), নিজেদের বানানো ছাড়া প্রকৃতির পূজা করে( বেদ অনুযায়ী)

(৩), কোন রকম পূজা ব্যতিরেকে শুধুমাত্র জ্ঞান চর্চা ও উপলব্ধির মাধ্যমে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করার প্রচেষ্টা। ( উপনিষদ অনুযায়ী)

(৪), ধ্যানের মাধ্যমে ( মেডিটেশন) ঈশ্বর আরাধনা, ( ইয়োগা অনুযায়ী)

(৫), ভালো কর্মের মাধ্যমে, জগতের কল্যানের নিমিত্তে নিয়োজিত থাকার মাধ্যম দিয়ে ঈশ্বর উপাসনা, সেবাই ধর্ম।

"জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর" আপনার পাশে দরিদ্র, আহার জোটেনা এমন মানুষের হাহাকার আর আপনি ধর্মের বেদ, বেদান্ত সব উপদেশ বিতরণ করছেন, তখন এটা কিন্তু কোন ধর্মই নয়, সেই পরিস্থিতি তে আপনার ধর্ম অসহায়কে সহায়তা করা। (বেদান্ত অনুযায়ী, বিবেকানন্দের নির্দেশিত)

(৭), বেদ নির্দেশিত যজ্ঞাদি ও নির্দেশিত ক্রিয়াকর্মের মাধ্যমে ঈশ্বর উপাসনা করে। (বেদ অনুযায়ী)

(৮), ভক্তির মাধ্যমে ঈশ্বর উপাসনা করে(গীতা অনুযায়ী)

(৯), প্রত্যেকে তার স্বভাবজাত কর্মের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্মানুষ্ঠান করে। ( গীতা অনুযায়ী)

★ আরো বহুপথ বিদ্যমান।

★* যত মত, তত পথ *★

★★ প্রত্যেকটি বিষয়েরই উৎস মূল পবিত্র "বেদ", সবচেয়ে রহস্যজনক সৌন্দর্য এটাই যে, কোন সনাতনধর্মালম্বীদেরকে অপরের ভুল বের করতে দেখা যায় না, কেও অন্যের উপর ধর্মীয় অস্ত্র " নাস্তিক" ট্যাগ লাগানো( আস্তিক ও নাস্তিক কথাটির উৎসমূল ঋক বেদ, 5000 BC) বা ধর্মীয় রাজনীতি "ব্লাসফেমির" প্রয়োগ করে না।

" ধর্ম নিয়ে কারোর মনে যদি কোন অহংকার সৃষ্টি হয়, সেই ব্যক্তির মাধ্যমে কোন ধর্মই নয় বরং সর্বদা অধর্মই হয়ে থাকে"

( ভগবান শ্রী কৃষ্ন)

সনাতন, আপনাকে, নিজেকে বেছে নেওয়ার পরিপূর্ণ সুযোগ দিয়েছে, আপনার যে পথটি পচ্ছন্দনীয় সেটিকে বেছে নিন।

( Explore myself, what is truth?)

★ সকল বিতর্কের জবাব শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতার নিন্মলিখিত শ্লোকেই উল্লেখিত।

( ৩০০০ খ্রিঃপূর্ব)

শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৪র্থ অধ্যায়: জ্ঞানযোগ

শ্লোক:11:
যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্।
মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ।।১১।।

যে, যথা, মাম্, প্রপদ্যন্তে, তান্, তথা, এব, ভজামি, অহম্,
মম, বর্ত্ম, অনুবর্তন্তে, মনুষ্যাঃ, পার্থ, সর্বশঃ।।১১।।

অর্থ:- যারা যেভাবে আমার প্রতি আত্মসমর্পণ করে, আমি তাদেরকে সেভাবেই পুরস্কৃত করি। হে পার্থ ! সকলেই সর্বতোভাবে আমার পথ অনুসরণ করে।

★……………………★★…………………★

" প্রকৃতি কতই না বৈচিত্রময়, আমাদের নিজেদের শরীর, মন, ভালোবাসা, প্রত্যাশা, সবকিছুরই মাঝেও কতই না বৈচিত্র, অথচ কি অপূর্ব সমন্বয়"

বৈচিত্রপূর্ন এ জগতের মাঝেই যে আনন্দ আছে, যে সৌন্দর্য্য আছে, সেখানে প্রবেশ করুন, দেখবেন জগতটা, ঘৃনার নয়, ভালোবাসার।
FOLLOW OUR PAGE

Photos from অজানা হিন্দু কথা Aojana hindu kotha's post 16/10/2022

অযোধ্যা কিংবা কাশী যাওয়ার দরকার নেই। এটা মালদহের আদিনা মসজিদ। শান্তির এক অপরূপ নিদর্শন 🙂

08/10/2022

কাবা কি পৃথিবীর ভৌগোলিক কেন্দ্র?
বাংলাদেশে একটা জনপ্রিয় মিথ হচ্ছে- কাবা পৃথিবীর ঠিক কেন্দ্রে অবস্থিত।
পৃথিবী সমতল নয়, গোলাকার। একটা গোলাকার বস্তুর পৃষ্ঠের যে কোন বিন্দুকেই তার পৃষ্ঠের কেন্দ্র বিবেচনা করা যায়। কারণ প্রতিটি বিন্দুর সাপেক্ষেই বাকী পৃষ্ঠতল প্রতিসম ( symmetrical)। উপরের চিত্রে যেমন একটা নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে ছবি নিয়ে কাবাকে “কেন্দ্র” প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে, তেমনি যেকোন স্থানকেই “কেন্দ্র” হিসেবে দেখানো যাবে যদি দৃষ্টিকোণ বদলানো হয়।

নিজ অক্ষের সাপেক্ষে পৃথিবীর ঘূর্ণন বিবেচনায় নিলে মেরু অঞ্চল বা বিষুব রেখাকে “কেন্দ্র” বললেও কিছুটা যৌক্তিকতা থাকে। কাবার অবস্থান মেরুতেও নয়, বিষুবেও নয়। ২১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে। তাই এই দৃষ্টিকোণেও কাবাকে কেন্দ্র বলা যায় না।

জোর করে একটা ভুল জিনিস বিশ্বাস করার চেয়ে কষ্ট করে অপ্রিয় সত্য মেনে নেয়াই ভাল।
follow our page

Photos from অজানা হিন্দু কথা Aojana hindu kotha's post 08/10/2022

কেউ এড়িয়ে যাবেন না,
সবাই একবার বলুন জয় মা লক্ষী

মা লক্ষীর ছবি কেনার আগে দেখে নিন এই বিশেষ চিহ্ন, সংসারে ফিরবে সুদিন

লক্ষ্মী (Laxmi) দেবীকে ধনরত্ন এবং ঐশ্বর্যের দেবী হিসাবে গণ্য করা হয়। মা লক্ষ্মীর কৃপায় সংসার ধন সম্পদে ফুলে ফেঁপে ওঠে। বাঙালি হিন্দুরা প্রধানত প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী দেবীর সাপ্তাহিক পূজা করে থাকেন। তবে লক্ষ্মী দেবীর ছবি বাড়িতে বা ঠাকুরের আসনে যেখানেই রাখুন না কেন, তা কেনার সময়ে অবশ্যই কিছু বিশেষ সংকেত দেখে তা কিনতে হয়। তাহলে সংসারে সুখ শান্তি এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা বিরাজ করে।লক্ষ্মী দেবীর যেমন মূর্তি পূজা প্রচলিত আছে, তেমনই অনেকে বাড়িতে ঠাকুরের আসনে মা লক্ষ্মীর ছবি রেখেও পূজা করেন। মূর্তি হোক বা ছবি, একাগ্র চিত্তে মা লক্ষ্মীকে স্মরণ করলে, তিনি ভক্তকে নিরাস করেন না। তার কৃপায়ই সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং সুখ শান্তি বিরাজ করে।সকল দেবদেবীর মত মা লক্ষ্মীরও বাহন আছে। মা লক্ষ্মীর বাহন হল পেঁচা। এই বাহন পেঁচা সহযোগেই মাতা লক্ষ্মী সব ঘরে ঘরে পূজিত হন। কথিত আছে, মা লক্ষ্মীর সাথে পেঁচার সঠিক অবস্থান সংযোগে, আপনার পরিবারে সুখ শান্তি বিরাজ করবে। কিন্তু কিভাবে বুঝবেন পেঁচার সঠিক অবস্থান?

মা লক্ষ্মীর ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বদা খেয়াল রাখবেন ছবিতে পেঁচার অবস্থান ঠিক কোথায় আছে। এমন ছবি কখনই ঘরে রাখা উচিত নয়, যেখানে মা লক্ষ্মী পেঁচার উপর অবস্থান করে আছেন। ঘরে এই ধরনের ছবি রাখলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আবার এমন ছবিও কিনবেন না যেখানে মা লক্ষ্মী দাঁড়িয়ে আছেন। সর্বদা পদ্মফুলের উপর অধিষ্ঠিত মা লক্ষ্মী দেবীর ছবিই শুভ বলে মনে করা হয়। এই ধরনের ছবিতে মা লক্ষ্মীকে আরাধনা করলে দেবীর কৃপায় আপনার সংসারে একাধারে সুখ শান্তি এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা বিরাজ করবে।

08/10/2022

মোল্লারা যুগে যুগে

03/10/2022

কালীপুজোর আগের রাতকে ভূত চতুর্দশী বলা হয় কেন?

প্রথমেই এই ভূত শব্দটা বড্ড ঝামেলা করছে! ভূত বলতে কি ওই প্রেত-পিশাচদেরই ধরতে হবে? না কি ভূত শব্দের ব্যাখ্যা করব, হুম্,, ভূত শব্দের অর্থের সাথে আবার অতীতের যোগ রয়েছে ! ভূত বলতে ধরতে হবে পঞ্চভূত বা ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ-ব্যোমকে। পাশাপাশি, ভূত শব্দের যোগ ধরে অতীত এবং মৃতদেরও এই চতুর্দশীর সঙ্গে সংযোগ স্বীকার না করে উপায় নেই।

ভূত চতুর্দশী তে ১৪ টি প্রদীপ জ্বালানো হয়, এর অনেক লোক বিশ্বাস প্রচলিত আছে। এক লোকবিশ্বাস বলছে, এই চোদ্দটি প্রদীপের আলো অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। অন্য দিকে বলছে, এই আলো দেখে ঘরে আসবেন মৃত পূর্বপুরুষরা। ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে এই পূর্বপুরুষের সূত্র ধরেই ফিরে আসবে যমের কথা। কেউ কেউ এই কার্তিকী চতুর্দশীকে যম চতুর্দশীও বলেন। সেই মত বলে, এই তিথিতে চোদ্দটি প্রদীপ আসলে উৎসর্গ করা হয় মৃত্যুলোকের অধিপতি যমের উদ্দেশেই। সেই আলো দেখে যম বুঝতে পারেন, কোন বংশ পূর্বপুরুষদের বিস্মৃত হয়নি। সেইমতো তিনি ওই বংশের পূর্বপুরুষদের এই একটি দিনের জন্য প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেন। এভাবে আলগা গাঁথুনিতে এক গল্পের সঙ্গে অন্য গল্পকে নানা নামে বাঁধতে থাকে এই কার্তিক মাসের চতুর্দশী,
বলতে হবে চৌদ্দ শাক খাওয়ার কথাও 😋 গীতায় বলা হয় যে মানব দেহ পঞ্চভূত থেকে সৃষ্টি এবং মৃত্যুর পর তা পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। তাই আমাদের পূর্বপুরুষরা ও মৃত্যুর পর আকাশ মাটি জল হাওয়া অগ্নি ইত্যাদির মধ্যেই মিলে মিশে যান। তাই এই দিন যদি কেউ প্রকৃতির থেকে তুলে আনা ১৪ রকমের শাক খান তার অর্থ হলো আমাদের পরলোকগত চোদ্দো পুরুষের উদ্দেশ্যে দিনটিকে উৎসর্গ করা হয়। এমনটা না করলে নাকি অতৃপ্ত আত্মা দের রোষানলে পড়তে হয়।

03/10/2022

সম্ভবত কোনো ইউক্রেনিয়ান সনাতনী 🚩

Videos (show all)

ইতালিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বী এর সংখ্যা, রাশিয়ায় হিন্দু ধর্ম। #NewsUpdate #india #facebookpost2023 #temple #ch...
রাশিয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বী এর সংখ্যা, রাশিয়ায় হিন্দু ধর্ম। #hinduism#Bangladesh #india #facebookpost #templ...
দেবতা ও ভগবানের মধ্যে পার্থক্য কি জেনে নিন? হিন্দু ধর্মের অজানা তথ্য!
ভারত উপমহাদেশের, মুসলমানরা কারা?কিভাবে এল তারা?তারা আসলে কে? #hindu #bangladesh #india

Website