Githikardar ashur

Githikardar ashur

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Githikardar ashur, Radio Station, .

20/10/2023

আমাদের স্বাধীনতা
---------------
দেলোয়ার হোসেন
--------------
তাং ২৫/০৩/২০২৩ইং

চারদিকে নিরব নিস্তব্ধ বাংলার আকাশে তখনো শকুনগুলো উড়ছিলো,
সবাই দরজায় খিললাগিয়ে ভীত ক্ষুব্ধ হয়ে বসেছিলো।
মিলিটারিরা দলে দলে বুট আর বায়োনেট বন্ধুক হাতে
টহল দিচ্ছিল,
মহাউল্লাসে কয়েকজন মিলে এক নারীকে বিবস্ত্র করছিলো।
তার চিৎকার চেচামেচিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠছিলো,
রাত্রীগুলো কালোরাত্রী হয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো মৃত্যুপুরীর দিকে।
কতো নারী ধর্ষিত হলো, কতো মানুষ নির্বিচারো জীবন প্রদীপ নিভে গেলো,
কলিমউদ্দীন নষ্ট রেডিওটি সারতে বসলেন, আর সখীনার মা হাড়িতে ভাত চাপাতে চাপাতে নিড়বিড় করছিলো,
হাড়িতে চাল নেই একমুষ্টি চাল আর ভাতের মাড়েই হয়তো রাত্রি কেটে যাবে।
মতির মা বসে বসে বিলাফ করছে হায় মতি বাবা ফিরে আয় ফিরে আয়,
পুর্বালীগন্জে মিলিটারীরা আগুন দিয়েছে, মাঠে ঘাটে মরা মানুষের মাংসগুলো কুকুর শিয়াল আর শকুনে ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে।
রেডিওতে ঘোষণা আসলে, যার যা আছে লাঠি, কোদাল নিয়ে বের হয়ে পড়ো,
সাতেই মার্চের ভাসন শুনে মুক্তিপাগল জনতা বেরিয়ে পড়লো মুক্তির সংগ্রামে।
পঙ্গপালের উপর যাপিয়ে পড়লো মুক্তিমাতম বাংলার কৃষক মুজুর সর্বশ্রেনীর জনতা।
শুরু হলো জয় বাংলা শ্লোগানে রক্ত নদীতে সাতরে
স্বাধীনতার সংগ্রামী সৈনিকরা,
ঘুড়িয়ে দেওয়া হলো হায়েনা বেলুচি, পেশোয়ার শোষনের
দেবতাদের দূর্গ।
মাত্র নয়টি মাস, ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তখয়ী সংগ্রামে
বিষ্ময়ে মুগ্ধতায় জম্ম নেওয়া শিশুর মতো,
পতাকা, মানচিত্র, মুক্তি সংগ্রামী চেতনার ইতিহাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত স্বাধীনতার স্বাদ নিচ্ছে সকলে।
স্বাধীনতার দুটি চরণে মুক্তিসংগ্রাম অসাম্প্রদায়িকতার চেতনার স্বাধীনতায় সমৃদ্ধি, সংহতি, শিক্ষার আলোয় অর্জনে বলিয়ান আমাদের জম্মভূমি।।

রচনার সালঃ ২৫/০৩/২১ইং

Photos from Githikardar ashur's post 19/10/2023

আলহামদুলিল্লাহ

19/09/2023

খোদার আইন
গীতিকারঃ দেলোয়ার হোসেন
তাং১৯/০৯/২৩ইং

খোদার আইন মানো মুসলমান,
আল কোরআন যে আমাদের শান,
ওহে মুসলমান, মুসলমান।।

পৃথিবীর সব কিছু আছে সেথায়
পড়ে দেখো দুচোখ খোলে,
মনের সব কথা লেখা আছে অকপটে
ফিরে এসো হে সবকিছু ভূলে।
সৃষ্টি পৃথিবীর সব নেয়ামত, বিবেকের
দ্বার দাও খুলে, শুনো আশেকান।।

ভালো মন্দের ফল পাবে,দুনিয়ার রঙিন
পথের বাকে ছুটে চলা মুসাফির,
দূর্নীতি সুদ ঘুষ ছেড়ে দাও যারা আছো
এই ভঙ্গুর পথের উচ্চ করো নিজ শীর।
আলোর বানী যে আল কোরআন।।

01/09/2023

আমার মনে আমি নাই

দেলোয়ার হোসেন

তাং ১৫/০৭/২১ইং

আমার মনে আমি নাই,
খুজিনাইরে খুজি নাই,
দয়াল তোমার দয়া পাইতে
মুর্শিদ তোমায় খুজিয়া বেড়াই।।

আমার শৈশব গেলো খেলাধুলায়
যুবক হইয়া মানুষ চিনিতে,
পৌড়তার সম্মানের লাগি মাতিয়া রইলাম
ক্ষমতারো আরশিতে, (দয়াল)
কতো কান্ড করলাম আমি রঙ্গিন এই
মায়ার দুনিয়ায়।।( দয়াল)

মানুষ নামের মানুষ দেখি, দেখিরে
দুনিয়াটা আজব কারখানা,
হিসেবের খাতায় শুন্য হাতে যাইতে হবে
মানুষ, দুনিয়া যে কয়েদখানা,
সময় বিনে সাধন করো, ডাকোরে ঐ দয়ালরে
পইড়োনারে মায়ায়।।

মানুষ তুমি মানুষ খুজোরে
ঐ স্রষ্টারে ছিনিতে,
হাসি কান্নার দুনিয়া রইবে পড়ে
পারবেনা কেউ থাকিতে,
ভাই বেরাদর পুত্র স্বজন, কেউ যাইবেনা সাথে,
হইবারে সেদিন কতো অসহায়।।

30/06/2023

সেদিনের কথা বড্ড মনে পড়ে
রচনায়ঃ দেলোয়ার হোসেন
তাং০১/০৬/২২ইং

তোমার প্রথম সংলাপে
হারিয়ে গিয়েছিলাম বহুকাল,
হৃদয়ের মনি কোঠায় গেথে যাওয়া
নষ্টালজিক মুহুর্তগুলো রয়ে গেলো অনন্তকাল।

গত ভালোবাসা দিবস আজো চোখের
সামনে ভেসে উঠলো সহসা,
কতো খুনসুটি হাসি উল্লাসে সমুদ্রের উচ্ছ্বাসে
রংঙ্গিন মায়ায় ডুবা ভাসা।

কতো রঙিন স্বপ্নের ধাবমান ইচ্ছেরা মেঘোমালার মতো ভেসে বেড়ায় মনে আকাশে,
রক্ত জবা, শিমুল পলাশের রংয়ে রাঙ্গানো
মুহুর্তগুলো অনেক অজানা ফুলের নামে সহসা হাসে।

জীবন্ত উচ্ছ্বাসগুলো পেন্ডুলামের ঘড়ির মতো
টিক টিক টিক শব্দে সময়ের ক্ষেপণাস্ত্রের মতো,
জীবন্ত ইচ্ছেদের দল, ডানা মেলা গাঙচিল
টিয়ে ময়না, দোয়েল কয়েলের সুরে আজো যেনো অক্ষত।

গোধুলির নিলাভ শোভা, রঙ্গিন মখমলে নিরব হেঠে চলা দুজনার নিঃশ্বাস প্রকৃতির
অধরাতে অমলিন,
মনের সুপ্ত বাহানা একটু ছুয়ে দেওয়া উচ্ছ্বাসের রেশ রয়ে যায় বহুক্ষণ বহুকাল,
একই প্রাপ্তিতে আসীন।

তোমায় নিয়ে হয়তো সমুদ্র দেখিনি, হয়তো মমতাজের ইচ্ছে গড়া তাজমহলের স্বপ্ন ও
হয়তো দেখিনি,
সময় চলে যায় প্রকৃতির সজিব নিঃশ্বাসে গড়া মননে, না বলা অনেক কথা মনোমন্দিরে ভেসে ওঠে।

আজ তোমাকে নিয়ে কোনো কবিতা লিখবোনা, তোমায় নিয়ে লিখতে গেলে
কলমের কালী শেষ হয়ে যায়,
তোমায় নিয়ে গান গাইতে গেলে চোখের কোনো দুপোঠা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে বটে,
তবুও গেয়ে যাই অতৃপ্ত উচ্ছ্বাসে।

03/06/2023

মুজিব মানে
-----------------
দেলোয়ার হোসেন
--------------------------
শুনো বাংলাদেশ ,দেখো বাংলাদেশ
মুজিব মানে স্বাধীনতা ,
একটি সংকেত একটি শ্লোগান
সমুজ্জ্বল ইতিহাসের পাতা।
কার আহবানে ,কার গানে
একটি পতাকা ,
মানচিত্রের শপথ নেই অভিমত
ছবির মতো আঁকা।
গল্পে নয় ছিলো না ভয়
শুনালে মুক্তির গান ,
জয় বাংলা বলে ,রাজপথ দখলে
দিলো কতো প্রাণ।
শাসন শোষনের করলে বিদায়
নয় গল্পকথা ।ঐ
উন্নয়নের করলে শপথ
সোনার বাংলা গঠনে,
দূর্ণীতি রোধে ছিলে তুমি
লড়েছো প্রাণ পণে ।
একেকটি ভীত দিয়েছো গড়ে
গ্রাম থেকে শহরে ,
ক্ষুধামুক্ত থাকবেনা কেউ অভুক্ত
থাকবে অন্ন ঘরে ঘরে ।
মুজিব মানে মহা সমুদ্র নয় কোন
গল্প কথা।ঐ
ইতিহাসের পাতায় সেদিন
প্রাণ করিলো বলিদান,
সেই প্রেত্নারা জম্ম নিলো বারবার
শোষিত স্বদেশ ম্লান ।
মুজীব বর্ষে খুজি সেই শরষে
এখনো বেঁচে তারা,
স্বাধীনতা কামী এই আমি
হয়েছি দিশেহারা।
বিচার চাই বিচার চাই
ভেঙে সব নিরবতা।ঐ

12/04/2023

বলোনা কিছু একটা
কলমেঃ দেলোয়ার হোসেন
তাং১২/০৪/২৩ইং

বলোনা কিছু একটা, বড্ড শুনতে চাচ্ছে
এতো অভিমান সামলাবো কি করে মন ভাঙার সুর শোনা যাচ্ছে ।

সকাল গড়িয়ে দুপুর এলো, সময়গুলো বড়ো
অগোছালো, ভালো লাগা সময় খুঁজি, মনে পড়ে যায় দুচোখের ভাষা, যেখানে ছিলো মৃদু আলো।
তোমার জন্য একটিবার ও হারিয়ে যায়নি, ভূলিনী কভু, তোমার জন্য কতো ভালোবাসা জমে আছে।

31/03/2023

পাষাণ মন

তুমি পাষান মন লইয়া কেমনে
কাটাও নিশিদিন,
হৃদয় দিয়া ভালোবাইসা
আমারে, বাজাইলি বিষের বীণ।

07/02/2023

😍অর্জন🥰 গীতিকবিতায় স্বীকৃতি ও সম্মাননা🇧🇩ধন্যবাদ জনপ্রিয় সাহিত্য পরিবার চমক গ্রুপের সেরা অর্জনে আপ্লূত করলেন🇧🇩
------------------------------------------------------------------
প্রেমে পড়োনা
-----------
দেলোয়ার হোসেন

মন পাড়াতে আগুন লেগেছে
নিভে নারে নিভেনা,
নারীরো ছলনা শয়তানো ও বুঝেনা
কেউ (প্রেমে পড়োনারে) ২

আশা দিয়া ভাষা দিয়া মনে
করে সেই নারী টাই,
আসল নকল যায়না বুঝারে
যেনো কতো অসহায়।
এমন নারী কাল নাগীনী মিষ্টি
কথায় কেউ প্রেমে পড়োনা।।

কলিজাতে দাগ পড়িবে মন
থাকবেনারে আর মনে,
কাছে এসে ভালোবেসে ধ্বংশন
করিবে তোরে অতি গোফনে।
এমন নারী হইলেও পরী( মন)
কাছে গেসো নারে, (পাগল কাছে গেসোনা)।।

05/02/2023

মন

ওরে মন, আমার মন
চলরে প্রেমের ইষ্টিশন,
আগাম রাখছি টিকিট
কেটে চলরে আমার সন।

হিয়ার মাঝে রঙিন পরি
হয়ে করো উড়াউড়ি,
হাজার প্রশ্নবাণে ছুটছো
আমারী মনের ঘর জুড়ি,
তোমায় ছাড়া কিছুই বুঝিনা
ভাবো কিনা আমায় আপন।।

স্বপ্ন রাঙা বিকেল গোধুলীর
স্বপ্নিল আলোয় ভরা মধুক্ষণ,
তুমি আমি দুজনা হয়েছি যে
একাকার সাগর নদীর মতন,
এসোনা ভালোবেসে হারিয়ে
যাই, অপরুপ সুন্দরের মতন।।

হৃদ

04/02/2023

সম্প্রীতির উচ্ছ্বাস
-------------
দেলোয়ার হোসেন
--------------
তাং ০৫/০২/২০২১ইং

মানুষ মানুষে কতো দন্ড
হারাচ্ছে ভ্রাতৃত্ব প্রীতি,
জাতি ধর্ম বর্ণের মহামিলনে
অটুক হোক সম্প্রীতি।

ধর্মে ধর্মে বড্ড ফারাক,
দেশ কাল , কৃষ্টি সময়ে,
হুজুগীরা ফারাক করে
অতি নগণ্যরা থাকে ভয়ে।

মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ভাঙ্গে
বিধর্মীরা, গড়ে নির্বিক যারা,
ধর্মে ধর্মে জাতিতে, জাতিতে
বিবেদ সৃস্টিতে সেই ধর্মহীনেরা।

ধর্মীয় স্বাধীনতা, ধর্ম নিরপেক্ষতা
ধর্মে বর্ণে গড়ে তুলে মেলবন্ধন,
মানবতা, জবাবদিহিতা, সচ্ছ্বতায়
নির্ভীক আমাদের দেশীয় শাসন।

কাঁদে কাদ রেখে সকল ধর্মের
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বলিয়ান,
আমার প্রিয় জম্মভূমি বাংলাদেশ
তুমি নির্ভীক, সম্প্রীতিতে অম্লান।

নয় মাসের দীপ্ত হুংকার ভেঙে দেয়
একটি স্বনির্ভর দেশের প্রত্যয়ে,
একক প্রচেষ্টা একক চেতনায়
স্বাধীনতা এলো সঠিক সময়ে।

অধিকার, দাবী, শোষন, অর্জনে
ছিলো স্বপ্ন বিলাস মুক্তির,
চেতনার বানে অশুভ শক্তির
মহা প্রয়ানে উন্নত শীর।

01/02/2023

ওরা হাসবে বলে
-------------------------
দেলোয়ার হোসেন
--------------------------
মানুষের মাঝে কিছু মানুষ হারিয়ে যায়
গৃহহীন সহায় সম্ভলহীন জীর্ণ পোশাকের মাঝে,
তাদের নিজ্স্ব বলতে ক্ষুধা পেলে হাত বাড়িয়ে দেয় ,ক্ষুধার্ত মুখটি কতো আকুতি ভরে তাকিয়ে থাকে।
কেউবা রাস্তার পাশে পড়ে থাকে অনাধরে অনাবৃত নোংরায় ,ক্ষিদে কি সেটাও জানেন না ।
কতক দেখেছি স্বপ্ন বুনতে ,একদিন সুন্দর জামাকাপড় পড়ে মেজবান খাবে।
কতনা অনাধরে পড়ে থাকা শামুকটি ও বুঝেনা তার হৃদপিন্ডে সাত রাজার ধন
লুকিয়ে আছে ।
শুধু সময়ের আবগাহনে করেছে অন্যের পথে পরিস্কার ।
বাস লেঙ্গুনায় কতক প্রতিভার দেখা মেলে শুধু একবেলা ভাতের আশায় গান গেয়ে কতো অভিনয় করে এয়েকটা স্বেচ্ছায় বকশিশ পেয়ে উদরভর্তি ডেকুর তুলছে।
রেল স্টেশনের কুলিটিও খুব আদুরে ছিলো
সবার মাঝে ,
কিছু মানুষ দালান কোঠায় বাবুই পাখির মতো নিজের গড়া স্বর্গেই সুখ খুঁজে পায়।
তোমরা রেস্টুরেন্ট রোস্তরায় বসে যে খাবার
ফেলে আসছো সেটা হয়তো সেই চাওনি হিন
গাছের নিচে কোনমতে আটসেটে পড়ে আছে তাদের জন্য মুখরোচক খাবার ।
আর তোমাদের যতো সমৃদ্ধি সুখ সব কিছুই কিন্তু কামার কুমোর কিংবা বন্ছিত কোন শ্রেনীর ঘাম ও শ্রমের প্রতিফলন।
চলুন পাল্টাই ক্ষুধা ও দারিদ্রতা মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।
দেখি যেনো বন্ছিত নির্যাতিতের বিচার হয় ,সম অধিকার, মৌলিক অধিকারের সঠিক প্রতিফলন।
যেনো ওরাও হাসতে পারে , শ্রেনী পেশার মানুষগুলোর অনুভূতি গুলো যেনো হয় সুখের ছবি ।
তবেই না আমরা একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পারি।

01/02/2023

কবিতা ও
কবির দন্ড
মোঃ দেলোয়ার হোসেন ।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
কবিতা চায় তাকে সবাই পড়ুক,
কবি চায় তাকে সবাই কবি ডাকুক।
তাহলে কে কাকে বেশি চায়?
কবি না কবিতা!
কবিতার পরদে আসে ফাগুন, কবিতার পরদে ভাসে সুন্দরটাও দারুণ।
কবিতার বাক্য চিৎকার করে, করে বিদ্রোহ ,
করে কতো সরবরে সিংহাসনময়
একটা আসন,
কবি চায় কবিতার মতো বিদ্রোহী, বিদ্রোহী কতো ভাষন।
চলছে কবি ও কবিতার দন্ধ, চলছে লেখার সরবরে বাস্তব কিছু ছন্দময় উচ্ছ্বাস,
তবুও কবি ও কবিতা স্ববিষ্ময়ে তাকিয়ে থাকে
নিঘুড় রহস্র ভরা উচ্ছ্বাস নিয়ে।
নতুনের কেতন আর সবুজের বিচরণ কথ্যমালায় করে কতো উচ্ছ্বাস,
সময়ের ক্ষেপনাস্থ সময়ের পরদে শব্দ বোমায় করে কতো আত্মহুতি।
সুন্দর এক বিকেলের পরদে সাজাঁয় কবি ও কবিতার নিগুড় বেলা অবেলাময়
নানা রং তামাশা।
তবুও চলে কবিতার ছন্দের বিচরণ, চলে শতো উচ্ছ্বাসময় ভালোবাসার নিগুড় খেলা, বাউল, বাউন্ডুলে, গান, ছন্দ গল্পের বিচরণ।
এভাবে পাঠক হয় কবি, পাঠক হয় কবিতা, পাঠক হয় সৌন্দর্য উদাসিন, বিদ্রোহী, সৌন্দর্যময়।
ফেক্ট : বর্তমান সময়ে কবিতা যেমন আমরা পড়ি না, গল্পও না, উপন্যাস ও না, না কোন নিউজ পত্রিকা, এফবি এডিকশন শুধুই ইমোশনাল কল্পনায় ডুবন্ত সন্মুখ বায়ুর কথা বলছে।

22/01/2023

চলো হারিয়ে যাই
--------------
লেখকঃ দেলোয়ার হোসেন
--------------------
তাং ২২/০১/২০২১ইং

দুরে কোথায় সুন্দর নৈসর্গিক
নান্দনিকতায়,
চলো হারিয়ে যাই, চলো হারিয়ে যাই
পাহাড় ঘেরা সমুদ্র জোস্নায়।

যান্ত্রিকতা ছেড়ে নতুন কোন
সাবলিল উম্মাদনায়,
সুরের দেশে, সুন্দরের দেশে
মেঘের ভেলায় দুর অজানায়।
চলো সবাই হারিয়ে যাই, নতুন কোন
উচ্ছ্বাস অজানায়।। ঐ

এই ব্যস্ত জীবনে, ব্যস্ত প্রহসনে
চাই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস,
সবুজ অরণ্যে ছুটে চলি দুর্বার
রেখে মুক্তি প্রেমে বিশ্বাস।
সেই আবীর জীবনের রঙিন পথে
ভালোলাগা কল্পনায়।। ঐ

19/01/2023

গানঃ এখনো কি ভাবো মোরে
কলমেঃ দেলোয়ার হোসেন
তাং ১৯/০১/২৩ইং

এখনো কি ভাবো মোরে
প্রিয় থেকে প্রিয় ভেবে,
সেদিন গুলো মনে পড়ে
বিষম রকম অনুভবে।

যখন সময়গুলো ছিলো
মধুর,দুজনার কতো খুনসুটিতে,
সকাল দুপুর হয়ে যেতো শেষ
নেই এমন মন বুঝি পৃথিবীতে।
হৃদয় দিয়ে বেধে রাখা স্মৃতিগুলো
বয়ে চলেছি নিরবে।।

মনের আকাশে চাঁদ তুমি
ছিলে রজনীগন্ধা পলাশ,
মনের ভেতর একি হিল্লোলে
অনুভবে তুমি আমার সর্বনাশ,
সেই সর্বনাশের মুগ্ধতা তুমি
ভালোবেসেছিলাম নির্ভয়ে।।

17/01/2023

ভালো মানুষের দাম নাই.........................................
কোর্ট কাচারীতে আইন নাই।
স্কুল কলেজে পড়াশুনা নাই
সমাজে বিচার নাই
ডাক্তারখানায় ডাক্তার নাই।
ভালো কাজের মানুষ
ভালো নাই,
আজাইরা মানুষের কথা বেশী
অফিস গুলোতে কাজ নাই,
কাজের মানুষ সব বেকায়দায়
আজাইরারা টাকা ওয়ালা,
শিক্ষিতদের চেম্বার নাই।
কোন এক আজব দেশরে ভাই
এখন শুধু একটাই কাজ
আগে ভাই নিজে পাল্টাই।
দেশ দেশ বলে চিৎকার চেচামেচি
আরো কতো চগর বগর
সত্যিকারী জনতার
নাগরিকত্ব নাই,
সুখী মানুষটার ঘুম নাই
দুঃখী মানুষটাও তাই,
কেউ কেউ চিৎকার
করে রাতটা দিন হতো
দিনটা হতো রাত,
সুবোধ বালকের মতো
ভদ্রবেষি কতো মিচামিচি
শতোরুপ দহন ধংস্বিত
সে শতদায় কবির লেখায় মান নেই।
গায়কের গায়কিতে ভাই আজ সুর নাই
মানুষ এখন রং খুজে না
রং তামাশার শেষ নাই।
শোন ভাই আগে নিজেপাল্টাই
দেশ হবে সোনার বাংলা
কথাটা কিন্তু মিথ্যা নই।
দেশে এখন চামচিকারা
মাতাব্বর হাইব্রীটদের কদর,
আসল ত্যাগীগো কোন খানা
নাই,
এখন এইটুকু বলছি উন্নয়ন
ও উৎকর্ষের পথে বাংলাদেশ
সাদা বিলাইর লাল চক্ষুর ডরে
সারা বাংলা,
এখন তারা উন্নয়নের পথে
আগের সেই ইন্ধনে নাই।
এগিয়ে যাক সবাই দেশরক্ষায়
বেকাদায় সব দালালেরা
তবুও ফন্ধির শেষ নাই,
চল ভাই একটু পাল্টাই
শুরু যখন হইছে শোনো
দেখো উন্নয়নের পুরোটাই।
শোনো হে নেতা তোমাদের
সততা বিশ্বাসে জনতার খোব
নেই।
এসো ভালোবাসা বিশ্বাসে কর্ম প্রানে
দেশ সৈনিক হিসেবে গড়ি,
সত্যের প্রাণে, মুক্তির গানে
মতোয়ারা পণ করো স্বাভাবিক
বঙ্গসৈনিক হয়ে চলো
জয়বাংলা শ্লোগানে।

12/01/2023

শুন্যতা
------------
দেলোয়ার হোসেন
--------------------------
রোমান সভ্যতা যখনি সামনে আসে তখনি দেখতে পাই হাজার বছরের শুন্যতা এসে দাড়ায় নির্বাক হয়ে।
যখনি সামনে আসে লহিত সাগর তখনি থমকে যাই পুরো সাগরটিই উলটে যেতে !
ইতিহাসের মৃত সাগর দেখে ।
আমি যখনি দেখি কাহারুনের স্বর্গমর্তের স্রষ্টার শক্তির উদাসচিত্ত !
দেখো ভূস্বর্গ কাস্মিরের দিকে, তাকিয়ে দেখো, রক্তিম সূর্যটির দিকে সূর্যকিরণ জাপানের নাগাসাকিতে উদিত হয়ে কাস্মিরে অস্ত যেতে ।
নিপূণ উচ্ছ্বাসে কঠিন বরফ ও পাথরের বুকচিরে যে মুক্তো খচিত হলো তা তৈমূর লং ও পর্তুগীজ, ওলন্দাজদের ভূলুন্ঠনে ভূপাতিত হলো শতোবার !
কিন্তু না ততোবারই উঠে দাড়ানো সভ্যতাকে গিলে পেলল ভারত জননী ।
মালালা , দালাইলামা ,মহাত্না অমৃত্যসেনের অর্থনীতি ও ইউনুচের মহাতন্তন প্রগতিতে দেখছি শুন্যতা!
সাড়ে নয়শ বছরের আবাদ মহা ভারতে হানা দেওয়া বিশ্ব খাবলে খেলো বারবার ।
শুধু কি তাই ! ব্রিটিশ পেরিয়ড পেরিয়ে যখনি স্বর্গভুমি আবার শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরে গেলো তখনি শুরু হলো জাতিগত নিধন ।
শিল্প বিপ্লব ও গণতন্ত্রের উদ্ভব হলো আব্রামাম লিঙ্কনের মুখে ,
সে বাতায়নে পুরো বিশ্ব গণতন্ত্রের বিপ্লবে উচ্ছ্বাসে ভাসলো সকলেই !
যখন পুরো ইউরোফ জুড়ে উন্নয়ন বসন্তে ভেষেছিলো সবার আগেই সভ্যতার উচ্চমার্গে পৌছে গিয়েছে শ্রমশ্রেনীর উপর করাঘাত করে ,আর সেই আইডল শ্রমশ্রণীর সোনার ধানের মত নৌকা ভর্তি ।
সারা আফ্রিকা জুড়ে অর্থনীতির বসন্তে আধুনিকতার মাদকতায় দিয়েছো মৃত্যুর বিকট উল্লাস !
সারা এন্টার্কটিকায় কালো সাগরে ভাসিয়ে রাখলে সুন্দর দৃশ্যময় ,আর বিকলাঙ্গ যৌনতার স্রোতে ভাসিয়ে দিলো ভারতবর্ষে ।
মরুকা বিদ্বেষে দর্সুতা ও সম্রাজ্যবাদের এস্টেটে কাহারুন ছিলো সর্বধনী সভ্যতার শীর্ষে !
অতঃপর ! পরম স্রষ্ঠার সাথে ত্রুটি ! নিজের ঐতিহ্য দৌলতের মহাসচ্জ্বায় স্রস্ষ্ঠা বনে যাওয়া বালির শপথ ।
প্রভুর সাথে তুলনাকারী সম্রাট বলছে ,ওহ নো আমি তো পুরো বিশ্বের শপথ আমিই শ্রেষ্ঠ ! শুরু হলো শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই অতঃপর ক্ষুদ্রকীট পঙ্গু মশা ।
মুসা ও ফেরাউন এখনো সেই মিশরীয় সভ্যতার আদ্যপান্ত , পিরামিড দেহে সং সেজে নমরুদ ! চরম বাস্তবতা ।
ইব্রাহিম ও ইসমাইলের কুরবানী ! ইব্রাহিম ও আগুন ও মরুকায় আবে জমজম ।
আমাজন হতে ডারউইনের চদ্রযান এপোল এগারো ও সক্রেটিসের ক্রিটো ,মহাবীর আলেকজান্ডারের শেষ ইচ্ছে পূরণ!
শুন্যতায় সবকিছুই লীন!

10/01/2023

এক পলকে ভালোবাসা হলো,
হয়ে গেছি এলোমেলো,
বলনা তোরা আমার কি যে হলো
লাগেনা কিছুই ভালো।

কতো স্বপ্ন এসে জমা হলো
এই দুটি চোখে,
মন মহুয়ায় এসেছে বসন্ত
সাত রং মেখে,
জানিনা এই তুমি ভালোবেসে
দেখাবে কি আলো।।

সকাল দুপুর ভেবে যাই
তোমায়, পড়েছি মায়ায়,
সাগরের মতো উত্তাল হয়ে
যায় এই বুক তোমার ছায়ায়,
জানিনা তুমি ভালোবাসবে কিনা
তোমায় ভেবে হয়েছি অগোছালো।।

07/01/2023

জীবনের গান
কথাঃ দেলোয়ার হোসেন
তাং ০৮/০১/২২ইং

মানুষ তুমি বড়ো আজব
শুনোনারে বিবেকের কথা,
নিজের আবেগ দিলে ঢেলে
বুঝলিনারে অপরজনার ব্যথা।( মানুষ)

মনের খেয়ালে ডুকলো আজাজিল
শুনলোরে ইলম আমলের বাণী,
বেহুষ হইয়া করলো কতো কি যে
করলো কতোজনারে পেরেশানি।
সময় থাকতে করোরে বিশ্বাস
হিংসার বিদ্বেষ ভুলে ব্যাথা।( মানুষ)

আসল নকল চিনে লইয়ো,লইয়ো নিজের
ভালো মন্দের ফারাক করে,
হালাল হারামের প্রশ্নে তোলো আওয়াজ
রয়েছে সকলকে খারাপ ঘিরে।
জীবন খেয়ায় আসবে ভাঠা, চলে যাবে সব
থাকবে সৃষ্টির যতো সহজতা। ( মানুষ)

07/01/2023

অদৃশ্য দৃশ্য
কলমেঃ দেলোয়ার হোসেন
তাং ০৭/০১/২২ইং
আলোর দৃশ্যপটে ঐ যে অন্ধকার ছোঁয়া,
মিথ্যের বেসাতিতে যায় সকল ধর্ম খোয়া।

কোথায় নরক হাবিয়া দোজখ, কোথায় ঈষাণ
বৃষানের হুংকার, অষ্টম বেহেশতের নজরানার শান!
পৃথিবীর তপ্ত দাবানল, সমুদ্র শৃঙ্খল উত্তালতার বাণ।

কোথায় আছেন সেই অবতার ! কোথায় হৃদয় নিংড়ে
নেওয়া ভালোবাসায় গড়া এক টুকরো বিশ্বাস !
গ্রাম নগর মফস্বল হতে দূর বহুদূরে, অভূক্ত বুভুক্ষু, স্বপ্নে গড়া এক পরম মমতায় জড়িয়ে থাকা অতৃপ্ত মাতৃকা।

কখন আসবে সেই সুদিন! নব নব উল্লাসী শতভাগ
সুপ্ত মননশীল উদ্ভাবনী সাফল্যের উত্থান!
মানবিক মানবতার পথে, রক্তের রং লাল ভালোবাসায়
গড়া মানুষের সুহৃদ বন্ধনে গেয়ে যাওয়া গান।

রিক্ত দূষর আবেগিক সকল বারতায় নিঃস্বজনা ক্ষুব্ধ বারতা মানবতার অদৃশ্য দৃশ্য অলি গলিতে,
আসবে সুদিন অচিরেই, হারিয়ে যাবে সকল কুসংস্কারে গড়া মহারতি, মিথ্যার শেষ হবে নিমিষেই।

দৃশ্যের অদৃশ্য দৃশ্য কেউ হাসে, কেউ কাঁদে, এই চরম সত্য এসে ছুয়ে দেয় মানবিক মানবতার সুপ্ত সমৃদ্ধধারা।
এভাবেই সাঙ্গ হবে পৃথিবীর সকল আবেগ, বিবেক, সুপ্ত মানবিক দ্বার যখনই লীণ হবে, অদৃশ্য স্রষ্টার একটু ইশারা।

03/01/2023

আবরণ
🌍দেলোয়ার হোসেন🌍
তাং০৩/০১/২৩ইং

এলোমেলো অগোছালো অথচ গোছালো,
চারদিকে বেশ অন্ধকার রয়েছে মৃদু আলো।
পৃথিবী চিনিতে পারিনি কভূ, চিনেনীকো নিজেরে,
আমিত্ববোধের অহংকারে হারাচ্ছে ভাতৃত্ব বারেবারে।

রহস্য ঘেরা আচরণ,মিষ্টিভাষী সহসা আপন ভাবায়,
অল্পতেই রেগে যায় , ঠুনকো আচরণ যেনো বৈরাগ্যময়।
খেয়ালের আল্পনায়, গল্পের রসাচ্ছদনে জঠিল ধাধায়,
বিত্তবৈভবের মাত্রায় বেহুশ সত্তায় ক্রন্দনরত ধোকায়।

মানুষ পশুপাখি একাকার বিশাল আবরণে ডাকা দেহ,
সর্বোপরি এমন কোথায় মিলেনা তাদের, চিনেনা কেহ।
পৃথিবীর দে-শ কালে সময়ের আবগাহনে ছুটছে যান্ত্রিক,
সকল পশুত্ব, মানবতাহীন বিত্ত,সমাজহীন গণতান্ত্রিক।

29/12/2022

ডিসেম্বরে গল্পে
------------
লেখকঃ দেলোয়ার হোসেন
--------------------
তাং 29/12/2020ইং

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর মাস, এই বিজয় দিবসটি
প্রতিটি প্রথম প্রহরের গল্পে বিভোর হতো বটে,
চারদিক সাজ সাজ রব ঝলমলে অনাবিল করে
সাজানো হতো, চুনকাম করে দেওয়ালে মুক্তিযুদ্ধের ছবি
আকাঁ হতো, পতাকা, মানচিত্রের ছবি।
শিশু কিশোর পতাকা হাতে ছুটলো শহীদ মিনারের দিকে,
কেউ রাজা, কেউ প্রজা, কেউ পাগল, কেউ বা হালুম বাঘ্রমামার মুখোশ পড়ে ভয় দেখাচ্ছে।

এদিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনগুলো আর্ট পেপার ও মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে ভরে যায়, বাজি পঠকা, আইসক্রিম, খজা, চনাচুর ওয়ালারা খুব ভোরেই এসে গেলো।
বর্ণিল রঙের ক্যম্পাসে চলে নানা রকম প্রতিযোগিতা, দৌড়, সাতার, মোরগের লড়াই, সহ ফুটবল ক্রিকেটের প্রতিযোগিতা।
এদিকে গল্পবুড়োর দল সেজেগুজে এলো গল্পশুনাতে, মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী , আবৃত্তিকার, নৃত্য প্রদর্শনকারীরা রিহার্সাল শুরু করলো কয়েকদিন আগ থেকেই।

বিজয়ের ডিসপ্লেই, সৈনিক, ছাত্রছাত্রীদের নান্দনিক
সৌন্দর্যে এগিয়ে যায় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে।
এভাবে গুনীজন, বীরযুদ্ধা, মুক্তিমাতম সাত শ্রেষ্ঠ বীরের
বীরত্বে ইতিহাসে বাংলাদেশের সৌরভ ও গৌরভের গল্পে অমলিন❤️💚

19/12/2022

ছড়া
রঙের ঘুড়ি
কলমে ঃ দেলোয়ার হোসেন
তাং১ ৯/১২/২২ইং


রঙের ঘুড়ি ঐ আকাশে
উড়ায় খোকা রোজ,
সেথায় নাকি হারিয়ে গেছে মা
প্রতিদিন করে খোঁজ।

একদিন খোকা ছিঠি লেখে
ঘুড়ির প্রতিটি পরদে পরদে,
উড়িয়ে দেয় নাঠাই ছেড়ে
খুঁজতে লাগে মাকে দরদে।

কোথায় আছে মায় যে তার
পায়না কভূ খোজে,
নানুর সাথে হয়না কথা,গাল
ফুলিয়ে দু,চোখ ভুজে।

ঠোঁট ফুলিয়ে বলে কথা এনে
দাও আমার মায়ের ঠিকানা,
মায়ের কোলে ফিরে যাবো আমি
শুনবোনা কো কারো মানা।

রোজ ঘুড়ি উড়ায়,তাকিয়ে থাকে
মিটিমিটি ঐ দূর তারাদের মাঝে,
ঝলমলে তাঁরাটি, আশা জাগায়
সেথায় আছে বুঝি খোকার মা,যে।

17/12/2022

হিমু ও মুক্তিযুদ্ধ
কলমেঃ দেলোয়ার হোসেন
তাং ১৮/১২/২২ইং

হিমু তখন মাত্র দ্বিতীয় শ্রেনী পার করো তৃতীয় শ্রেনীতে উঠেছে। গ্রামে গ্রামে কতো খেলাধুলা আনন্দ উল্লাস হৈ চৈ সহ নানান রকম পুঁথি আসর, কবির আসর, যাত্রা পালা ইত্যাদিতে মুখর ছিলো। তখন হিমুদের গ্রামে ফুটবল খেলার আয়োজন চলছে। চারদিকে আনন্দ উল্লাস , যথারীতি খেলা শুরু হলো, হিমু ও এলো খেলা দেখতে। হিমুর সেকি আনন্দ , টানটান উত্তেজনায় খেলা দেখে বাড়ি ফিরতে লাগলো।
হিমু খেয়াল করলো, তার ছোট মামা রফিক, দেশ নিয়ে কি জানি আলোচনা করতে লাগলো। এতো সুন্দর একটি খেলা দেখে বাড়ি ফিরছে সকলে সেই খেলা নিয়ে কিছু বলবে না তানা, উনারা দেশ নিয়ে কথা বলছে। রফিক মামা বললো, দেশের কেন্দ্রীয় শাসন শোষনের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিষদ গড়ে তুলতে ছাত্র নেতারা প্রতিবাদ সভা করতে লাগলো, হয়তো এই দেশটা স্বাধীন হয়ে যাবে।

মশিউর বললো, কি বলিস এসব, দেশ দুভাগ হবে, না হবেনা।
রফিক , দেখিস বঙ্গবন্ধু জেল থেকে ছাড়া পাবে, আবার আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সকলকে এক করে দেশকে ভালোবেসে একটি স্বাধীন দেশের উপহার দিবে।

মশি মামা বললো, সত্যি যদি তাই হবে জনগণের দায়ভার কে নিবে!

একজনের কথায় তো কারো কোনো কিছু যায় আসেনা। রফিক বললো, সঠিক যখন পশ্চিমারা কোনো কিছু চাপিয়ে দেয় তখন কেমন লাগে আমাদের।
ঘৃণা করা ছাড়া কিছুই থাকেনা, যারা প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে জেল জুলুমের কারাগারে মরতে হচ্ছে।

রফিক, সঠিক তবে সব শ্রেণীর মানুষ আস্তে আস্তে পুষে উঠছে । নানা রকম নির্যাতন , শোষণ, নিপিড়নের বিরুদ্ধে জেগে উঠবে অচিরেই।

মশিউর বললো, উদের সাথে যুদ্ধে আমরা জিততে পারবোনা কোনো মতে। আমাদের গুলি নাই, অস্ত্র , ট্রেইনিং সহ নানা রকম কৌশল জানা উচিত।

রফিক, আন্দোলন শুরু হলে বন্ধুকের নলেও কিছু হবেনা। জনগণের রক্তের ফোয়ারায় এই দেশের স্বাধীনতা আসবে। সকল অত্যাচারের বিচার হবে।

হিমু কিছু না বুঝেই বললো, মামা আমরা কি এখন পরাধীন?
রফিক হ্যাঁ , তবে সবাই না, যখন বড় হবে তখন বুঝতে পারবে।

হিমু কিছুই বুঝতে পারলোনা, তবে মনে মনে মামাদের কথাগুলো কেমন যেনো স্মৃতিস্পটে আটকে থাকলো।
মাঝে মাঝে হিমুদের গ্রামের রাস্তা দিয়ে মিলিটারিরা আসা যাওয়া করে।
তারা ছোট্ট বাচ্চাদের কি বিস্কুট, চকলেট ও খেলনা দিয়ে খুশি করে।
হিমু ও তাই করে বাচ্চাদের সাথে দল বেধে তাদের দেওয়া জিনিসগুলো খায়।

এদিকে বদরগন্জে মিলিটারিরা গ্রামের মানুষ ধরে নিয়ে নির্দয়ভাবে হত্যা করছে। এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। হিমুর আব্বু কলিম শেখ একজন সরকারি চাকরিজীবি। তাই তিনি নিশ্চিত যে দেশে একদিন পরিবর্তন আসবেই। চাকরির মায়না ঠিক ভাবে পায়না সকলে। তাই সরকারি চাকরিজীবীরা ফুষে উঠেছে । আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। তাদের নার্য অধিকার দেওয়ার তাগিদে কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। চারদিকে শুধু অরাজকতা।

তাই সকল আফিসের কর্মচারীরা জীবন জাতিপাতে বিষণ কষ্টে অতিবাহিত করছে। হিমু ও তার তিন ভাইকে নিয়ে অভাবের সংসার । এদিকে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে মিলিটারিরা। গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছে বহু মানুষ ।

হিমু বিস্ময় ও উচ্ছ্বাস নিয়ে এসব দেখছে শুনছে। হিমুর বাবা তার বন্ধুদের সাথে প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগে তাদেরকে তাদের নানু বাড়ি করাচিতে রেখে আসে।

হিমুর মনোস্পটে ছোট বেলার মেলা দেখা, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, বাবার নানা রকম উপদেশ কতকি যে মনোক্যম্ভাসে ভেষে উঠতে লাগলো। হিমু মুক্তি যুদ্ধ দেখেনি , নিজের পিতা দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার জীবন দিয়েছিলো। এই বাংলাদেশ এখন স্বাধীন অথচ কতো অসহায় মানুষ , কতো দুঃখীত মানুষ । অথচ কতো সংগ্রামের পর এই বাংলা ও বাংলাদেশ ।

03/12/2022

তুমি আছো বলে
কলমে ঃ দেলোয়ার হোসেন
তাং০৩/১২/২২ইং

তুমি আছো বলে , গেছি সব ভূলে
বলো কখনো হারিয়ে যাবেনা,
তুমি স্বপ্ন রাঙা বিকেল, সূর্যউঠা সকাল
আমার স্বপ্নীল যতো ঠিকানা ।।

তুমি আছো হৃদয়ের মধ্যখানে, আছো কলিজা
হয়ে, এলোমেলো এই জীবনে,
সত্যি বলছি তোমাকেই ভাবছি এই আমি প্রতিটি
ক্ষনে, বাস্তবে কিংবা আনমনে।
তোমার ঐ সুনীল দৃষ্টি নামায় বৃষ্টি, অধরার সৃষ্টি
খেয়ালিপনায় খেলে কতো খেলা।। ঐ

মনের ভেতর ঝড় বয়ে যায় , মিশেছে তোমার মোহনায়
তোমাকেই ভেবে যায়,
ফিরে ফিরে তাকায়,মন বড় বেহায়া বলে হায়,তোমাকে নিয়ে কত কি লিখে যায়।
ভালোবাসি বড়ই ভালোবাসি, সারাটিক্ষণ তোমার পাশেই আছি ভেবোনা একলা।।

Website