Inaya
Gift Item
clothing item
our Collection is really awesome
লাইলাতুল কদর ও আমলের পদ্ধতি
════════════════
‘লাইলাতুল কদর’ বা 'কদরের রাত্রি এক হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।' (সূরা কদর: ৩)।
অর্থাৎ ১০০০ মাস তথা ৮৩ বছর ৪ মাসের চাইতেও অধিক ইবাদতের সাওয়াব এই এক রাতের ইবাদতের দ্বারাই আল্লাহ তাআলা প্রদান করে থাকেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَنْ قَامَ لَيْلَةَ القَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করবে, তার অতীত গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। [বুখারী-১৯০১; মুসলিম-৭৬০]
বড় হতভাগা!
══════
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে এত বড় খোশখবরী পাওয়ার পর এ রাতের ক্ষমা ও রহমত লাভের চেষ্টা না করা অনেক বড় বঞ্চনার বিষয়। হযরত আনাস রা. বলেন, রমযান আসলে নবীজী বলতেন,
إِنّ هَذَا الشّهْرَ قَدْ حَضَرَكُمْ، وَفِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ، مَنْ حُرِمَهَا فَقَدْ حُرِمَ الْخَيْرَ كُلّهُ، وَلَا يُحْرَمُ خَيْرَهَا إِلّا مَحْرُومٌ.
এই মহিমান্বিত মাস উপস্থিত। তাতে একটি রজনী রয়েছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি এর কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত হল সে যেন সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হল। আর কেবল অভাগাই এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত থাকে। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৬৪৪, সনদ হাসান।
সুতরাং হেলায় না কাটিয়ে কদরের রাতের কদর করা দরকার।
----------------------------------------------------------
কদরের রাত কোনটি?
══════════
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
تحروا ليلة القدر في الوتر من العشر الأواخر من رمضان.
তোমরা রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত তালাশ কর। [বুখারী-২০১৭]
বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদিসে হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা বলেন,
كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا دخل العشر شد مئزره وأحيا ليله وأيقظ اهله.
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ দশক আসলে ইবাদতের জন্য কোমর বেঁধে প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন এবং রাতভর ইবাদত করতেন আর পরিবার পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন।
সহীহ মুসলিমের এক হাদীসে এসেছে, এক ব্যক্তি এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু ইসলামকে বললেন, আমি স্বপ্নে দেখেছি শবে কদর ২৭তম রাতে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ইসলাম বললেন, আমি দেখেছি শেষ দশকে। কাজেই তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতে তালাশ করো। মুসলিম ১১৬৫।
এছাড়া অসংখ্য হাদিসে নির্দিষ্ট তারিখ ব্যতীত শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর তালাশ করার কথা বর্ণিত হয়েছে।
তবে কিছু বর্ণনা এসেছে ২৩ ও ২৭ তারিখ সম্পর্কে।
عن زر قال : سمعت أبي بن كعب يقول : - وَقِيلَ لَهُ : إِنَّ عبد الله بن مَسْعُود يَقُولُ : مَنْ قَامَ السنة أصَابَ ليلةَ الْقَدْرِ فَقَال أَبِي : والله الَّذِي لَا إِلَهَ إلا هُوَ ! إِنَّهَا لَفِي رَمَضَانَ - يَحْلِفُ مَا يَسْتَثْنِي وَوَالله !
إِنِّي لأَعْلَمُ أَيَّ لَيْلَةٍ هِيَ ؟ هِيَ اللَّيْلَةِ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلَّم بِقِيَامِهَا . هِيَ لَيْلَةُ صَبِيحَةِ سَبْعِ وَعِشْرِيْنَ . وَأَمَارَتْهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لاَ شُعَاعَ لَهَا.
তাবেয়ী যির বিন হুবাইশ বলেন, যখন হযরত উবাই বিন কা'বকে বলা হল যে, আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রা. বলেছেন, "কেউ যদি বছরের সব রাতে ইবাদত করে, তাহলে লাইলাতুল কদর অবশ্য পাবে।"
তখন আমি তাঁকে (উবাই বিন কা'বকে) বলতে শুনলাম, ‘সেই আল্লাহর কসম, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, এ রাতটি অবশ্য রমযানে।
আল্লাহর কসম! আমি জানি সেটা কোন্ রাত, যে রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সে রাত হচ্ছে, রমজানের সাতাইশতম রাত।
এর আলামত হচ্ছে, এ দিন সূর্য সাদা হয়ে ও তীব্র আলোকচ্ছটা মুক্ত অবস্থায় উদিত হয়। [মুসলিম-৭৬২]
হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রা. থেকে বর্ণিত,
أَنَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قَالَ : « تَحَرُّوا لِيْلَةَ الْقَدْرِ ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيْهَا فَلْيَتَحَرِّهَا لَيْلَةَ سَبْع وَعِشْرِينَ ».
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা শবে কদর তালাশ করো। আর তোমাদের কেউ শবে কদর তালাশ করতে চাইলে সে যেন তা ২৭তম রাতে খাঁজ করে। [মুসনাদে আহমদ ৪৮০৮, সনদ সহীহ]
عَنْ عَبْدِ الله بْنِ عَبَّاسِ رَضِيَ الله عَنْهُ ، أَنَّ رَجُلاً أَتَى النَّبي صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللهِ إِنِّى شَيْخٌ كَبِيرٌ عَلِيلٌ يَشُقُّ عَلَى الْقِيَامُ ، فَأَمُرْنِي بِلَيْلَةٍ لَعَلَّ الله يُوَفِّقْنِي فِيهَا لَيْلَةَ الْقَدْرِ. قَالَ : « عَلَيْكَ بِالسَّابِعَةِ ».
হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রা. বলেন, এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর কাছে এসে বলল, ইয়া নবীয়াল্লাহ! আমি একজন বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ। কিয়াম (রাতে ইবাদত করা) আমার জন্য কষ্টকর। অতএব, আপনি আমাকে এমন একটি রাতের পথ নির্দেশ করেন, যাতে হয়তো আল্লাহ আমাকে শবে কদর লাভ করার তাওফীক দিবেন।
তিনি বললেন, আপনি সপ্তম রাতে (তৃতীয় দশকের সপ্তম রাত তথা ২৭তম রাত) ইবাদত করুন। [মুসনাদে আহমদ ২১৪৯।
আর হযরত আব্দুল্লাহ উনাইস ও ইবনে আব্বাস রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে নির্ভরযোগ্য সনদে ২৩তারিখের কথা বর্ণনা করেছেন। মুসলিম ১১৬৮; মুসনাদে আহমদ ১৬০৪৪, ২৩০২।
অতএব নিশ্চিত করে কি বলতে পারবো যে, শুধুমাত্র ২৭শে রাতটাই হচ্ছে ‘নিশ্চিত লাইলাতুল কদর’? তাই শেষ বিজোড় রাত্রিসমূহকে সম্ভাব্য কদরের রাত্রি মনে করে রাত জেগে ইবাদত করা এবং পরিবারকে জাগিয়ে দেওয়া উচিৎ। কারণ যদি সাতাইশের রাত্রি না হয়, তাহলে ক্ষতিটা কার? কিন্ত সাতাইশের রাত্রিকে এমনভাবে নির্ধারিত করে প্রচলন হয়েছে যে, সাতাইশাকেই কদর বাধ্যতামূলক করা হয়ে গেছে।
সুতরাং শবে কদরকে তালাশ করি, সাতাইশকে নয়।
আল্লাহ কি আপনার জন্য যথেষ্ট নন?
⭕দাওয়াহ ক্যানভাস
১০,০০০ টাকার পার্চেজ করলে ৫০টি আতরের বক্সের গিফটটি আজ শেষ হয়ে যাবে।
রাত ১০ টার মধ্যে সংগ্রহ করতে পারেন।
▪️পাঞ্জাবিতে ৫০% ক্যাশব্যাক অফার চলছে।
▪️চট্টগ্রাম, মিরপুর ও সিলেট শাখায় বোরকা ও নিকাবের উপর ৫০% ক্যাশব্যাক অফার চলছে।
বোনদের জন্য রমাদান অফার 🔥
যেকোনো বোরকা/নিকাবে ১০% ফ্ল্যাট ডিস্কাউন্ট ❤️
সাথে পাচ্ছেন একটি ন্যাচারাল মেহেদীপ্যাক গিফট ✅
⭕ সকল ডিজাইন দেখুন কমেন্টে প্রদত্ত লিংকে