Tanjim's Moments
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Tanjim's Moments, College & University, .
ব্যাঙেদের সাত ভাই চলে ঠেলা-গাড়িতে
চলেছিল বিয়ে খেতে ফড়িঙের বাড়িতে।
বুড়ো ব্যাঙ ঠেলে গাড়ি থপ্ থপ্ পায়েতে
মোটা মোটা বুট পরা লাল কোট গায়েতে।
বিয়েবাড়ি গিয়ে দেখে ভারি মজা ভাইরে,
সবাই বসেছে খেতে কারু পাতা নাইরে!
বর-বউ পালিয়েছে কাঁচকলা দেখিয়ে–
একপাল হাঁস শুধু হাসে পেঁকপেঁকিয়ে।
–আশা দেবী
আবার আসিব ফিরে
– জীবনানন্দ দাশ
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে — এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় — হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঠাঁল-ছায়ায়;
হয়তো বা হাঁস হবো — কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়,
সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে;
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়;
হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে;
হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেচাঁ ডাকিতেছে শিমুলের ডালে;
হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে;
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক শাদা ছেঁড়া পালে
ডিঙা বায়; — রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে
দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে।
দু'টি আমল যত্ন সহকারে করুন দেখবেন আপনার সকল দোয়া কবুল 'ইনশাআল্লাহ'
১. দুরুদ পাঠ করুন
صلى الله عليه وسلم
'সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম'–
২. ইস্তেগফার পাঠ করুন
أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
'আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতূবু ইলাইহি'–
আপনি যখন কোন মুসিবতে পড়ে যান বা কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যান, সাথে সাথেই দুরুদ শরীফ ও ইস্তেগফার পড়তে থাকুন দেখবেন সাথে সাথেই আল্লাহ তায়ালা দুরুদ ও ইস্তেগফারের বরকতে আপনাকে মুক্তি দিয়ে দিবেন 'ইনশাআল্লাহ'-🌻
ঘাসফুল
___জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র
আমরা ঘাসের ছোট ছোট ফুল
হাওয়াতে দোলাই মাথা,
তুলো না মোদের দলে না পায়ে
ছিঁড় না নরম পাতা।
শুধু দেখ আর খুশি হও মনে
সূর্যের সাথে হাসির কিরণে
কেমন আমরা হেসে উঠি আর
দুলে দুলে নাড়ি মাথা।
ধরার বুকে স্নেহ-কণাগুলি
ঘাস হয়ে ফুটে ওঠে।
মোরা তারই লাল নীল সাদা হাসি
রূপকথা নীল আকাশের বাঁশি-
শুনি আর দুলি বাতাসে
যখন তারারা ফোটে।
আমাদের ছোট নদী
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।
চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা,
একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।
আর-পারে আমবন তালবন চলে,
গাঁয়ের বামুন পাড়া তারি ছায়াতলে।
তীরে তীরে ছেলে মেয়ে নাইবার কালে
গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।
সকালে বিকালে কভু নাওয়া হলে পরে
আঁচল ছাঁকিয়া তারা ছোটো মাছ ধরে।
বালি দিয়ে মাজে থালা, ঘটিগুলি মাজে,
বধূরা কাপড় কেচে যায় গৃহকাজে।
আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর
মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর।
মহাবেগে কলকল কোলাহল ওঠে,
ঘোলা জলে পাকগুলি ঘুরে ঘুরে ছোটে।
দুই কূলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া,
বরষার উৎসবে জেগে ওঠে পাড়া।।
নেমন্তন্ন
অন্নদাশঙ্কর রায়
যাচ্ছ কোথা?
চাংড়িপোতা।
কিসের জন্য?
নেমন্তন্ন।
বিয়ের বুঝি?
না, বাবুজি।
কিসের তবে?
ভজন হবে।
শুধুই ভজন?
প্রসাদ ভোজন।
কেমন প্রসাদ?
যা খেতে সাধ।
কী খেতে চাও?
ছানার পোলাও।
ইচ্ছে কী আর?
সরপুরিয়ার।
আঃ কী আয়েস।
রাবড়ি পায়েস।
এই কেবলি?
ক্ষীর কদলী।
বাঃ কী ফলার!
সবরি কলার।
এবার থামো।
ফজলি আমও।
আমিও যাই?
না, মশাই।
♥️
catee♥️