BNP Sylhet

BNP Sylhet

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from BNP Sylhet, Political organisation, .

30/07/2023

21/04/2012

শৈশবের দুরন্ত ইলিয়াস বেড়ে ওঠেন বিশ্বনাথের রামধানা গ্রামেই

শৈশবে দুরন্ত বিএনপি’র এখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী। তার দুরন্তপনা বেশি ছিল বলে মা-বাবার সবচেয়ে আদরেরও ছিলেন তিনি। সারা দিনমান তিনি মাতিয়ে রাখতেন নিজ বাড়ি, নিজ গ্রাম, নিজ এলাকা। বিশ্বনাথের পাড়াগাঁ রামধানায় দুরন্তপনা করতে করতে বেড়ে উঠেছেন তিনি। ধুলো-মাটি মেখে সারা দিন পড়ালেখা আর খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন ইলিয়াস। মায়ের বকুনি ছিল তার প্রিয়। এ কারণে দুরন্তপনার জন্য মা তাকে কতো না বকুনি দিতেন। স্কুলের আঙ্গিনায় পা মাড়ানোর আগে থেকেই ইলিয়াস আলী নিজ বাড়ি পাড়ার সহপাঠীদের সাহায্য করতেন। নিজের জামা-কাপড় বই দিয়ে দিতেন অন্যদের। এনিয়ে মায়ের কতো বকুনি না খেতে হয়েছে ইলিয়াসকে। এরপরও ইলিয়াস আলী সহাস্যে মায়ের কাছে এসে দাঁড়াতেন। ক্ষিদে পেলেই ছুটে আসতেন ঘরে। এসব কথা মানবজমিন-এর এ প্রতিনিধির কাছে জানিয়েছেন ইলিয়াসের পরিবারের সদস্যরা। ছেলের খোঁজে পাগল মা সূর্য্যবান বিবি সবসময় মূর্ছা যাচ্ছেন। আর ইলিয়াস আলীর শৈশবের স্মৃতি হাতড়িয়ে বলছেন নানা কথা। ইলিয়াসকে তার সুখ-দুঃখ স্মৃতিকথা বলছেন আনমনে। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম ইলিয়াসের। পিতা হাজী ওয়াছিব আলী একজন কৃষক ছিলেন। তবে খুবই ভাল মনের মানুষ ছিলেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। কারো কোন ক্ষতি করেননি। ইলিয়াস আলীর শৈশবকাল থেকেই তার বড় ভাই হুসিয়ার আলী লন্ডন প্রবাসী ছিলেন। এর ফলে পরিবারে শুরু থেকেই ছিল সচ্ছলতা। ইলিয়াস আলীর বয়স যখন ৬ বছর তখন তিনি ভর্তি হন নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের নাম রামধানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে দুষ্টুমী করতে করতে ইলিয়াস আলী স্কুলে যেতেন। ফিরতেন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে। তিনি একা চলতে পছন্দ করতেন না। গ্রামের ধুলো মাখা রাস্তা পাড়ি দিয়ে তিনি স্কুলে যেতেন। স্কুলে যাওয়া- আসার পথে ইলিয়াস কখনও একা থাকতেন না। যেন সহপাঠীই ছিল তার সব। সহপাঠীদের সঙ্গে মিলে-মিশে থাকতেন তিনি। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ইলিয়াস আলী ব্যাগ রেখে নাওয়া-খাওয়া ভুলে চলে যেতেন খেলার মাঠে। ফুটবল তার প্রিয় খেলা। এ কারণে স্কুলের পর ফুটবল খেলায় ব্যস্ত থাকতেন ইলিয়াস আলী। গ্রামের মাঠেই খেলতেন তিনি। ইলিয়াস আলী যত বেড়ে উঠতে থাকেন, ততই তিনি একজন ভাল ফুটবলার হিসেবে পাড়ায় ও গ্রামে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। কিশোর বয়সেই গ্রামের মধ্যে একজন ভাল ফুটবলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। আর মাঠের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন ইলিয়াস। ইলিয়াস আলী না এলে গ্রামের মাঠে খেলা জমতো না। ভাল ফুটবলার হিসেবে ইলিয়াস আলী এক সময় পূর্ব ও উত্তর বিশ্বনাথে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। তাকে এলাকার বিভিন্ন দলের পক্ষে গিয়ে খেলতে হতো। আর ইলিয়াস আলীর খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতো দর্শকরা। এখনও একজন নামকরা ফুটবলারের স্মৃৃতি চোখে ভাসছে রামধানা গ্রামবাসীর। ইলিয়াস আলীর গ্রামের লোকজন জানান, ইলিয়াস আলী ফুটবলার হিসেবে কিশোর বয়স থেকেই এলাকায় পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। একই সঙ্গে একজন ভাল মানুষ হিসেবেও তার নাম-ডাক ছিল। কখনও কারো সঙ্গে সেধিয়ে ঝগড়া করতেন না। গ্রামের স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর ইলিয়াস আলী রামধানা গ্রাম থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরের উপজেলা সদরের প্রাচীনতম রামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ওই স্কুলে তিনি ৫ বছর পড়ালেখা করেন। স্কুলেও বেশ ছটফটে ছিলেন ইলিয়াস আলী। নবম শ্রেণীতে উঠার পর থেকেই ইলিয়াস আলী দেশ নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। রাজনীতি নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। ছাত্র সংগঠনের সক্রিয় হয়ে উঠতে মনোযোগী হন। তবে পড়ালেখার চেয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। ওই স্কুল থেকে তিনি এসএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন সিলেটের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ সিলেটের এমসি কলেজে। এমসি কলেজে মাত্র দুই বছর পড়ালেখা করেন তিনি। ওই কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। সেখানে ভর্তি পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণও হয়ে যান এবং পরবর্তীতে ঢাবিতেই তিনি তার ছাত্রজীবন শেষ করেন এবং ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে পুরোপুরি একজন জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ইলিয়াস আলীর বয়সে অনেক বড় একই বাড়ির শিক্ষাবিদ আবদুল ওয়াদুদ। এরপর ওয়াদুদ ইলিয়াস আলীর ভাইপো সম্পর্কে। প্রবীণ এই ব্যক্তি গতকাল মানবজমিনকে বলেন, ইলিয়াস আলী আমার বয়সে অনেক ছোট। এরপরও তিনি ছিলেন আমার চাচা। ইলিয়াস আলী যোগ্য নাগরিক হয়ে উঠবেন- সেটি আমরা টের পেয়েছিলাম শৈশবেই। কারণ তার পিতা ছিলেন সাদা-সিধে মানুষ। এলাকায় তার নাম-ডাক ছিল। আর ইলিয়াস আলী ছোট কাল থেকেই মেধাবী ছিলেন। মেধাবী ছাত্র, ভাল ফুটবলার এবং সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে ইলিয়াস আলী শৈশবকালেই নজর কেড়েছিলেন সবার। আর ইলিয়াস আলীর কারণেই আজ আলোকিত সিলেটের বিশ্বনাথ। তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধানের জন্য রামধানা গ্রামের ঘরে ঘরে প্রার্থনা চলছে। চলছে মিলাদ, শিরনী বিতরণ। গতকালও তার মা সূর্য্যবান বেগম খত্‌মে ইউনূসের দোয়া করিয়েছেন। গ্রামের মাজারে গতকাল দোয়া হয়েছে। মাজারের খাদিম হিসেবে আবদুুল ওয়াদুদ-এর উদ্যোগেই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

21/04/2012

``ইলিয়াস আলী সরকারের কোনো সংস্থার কাছেই আছে`` টিপাইমুখ বাঁধসহ রাজনীতিতে সোচ্চার ভূমিকা রাখার জন্য সরকারই তাকে অপহরণ করেছে।ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে না দিলে আমাদের কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোরতর হবে।আগামীতে হরতালের চেয়েও বড় কর্মসূচি আসতে পারে। সরকার জনমনে যে আতঙ্ক আর ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।’