Shah Family Blog
Hi welcome to our Page. We Hope you will like our page. Thank you �
🤣😂🤣😂
Ssc. পরিক্ষা নিয়ে এতো টেনশন করার মতো কিছুই নেই😎
Wow 😵Norwegian Dancers perform on 'Kaala Chosma'is winning The Internet.
When You Poison Your Husband But you are a Women 😎🥴
কেও ডিস্টার্ব করবেন্না কিন্তু,মেহমেদ তার বেবিকে খাওয়াচ্ছে 🤣🤪
🤔
কম খান, স্বাস্থ্যকর খাবার খান, সুস্থ থাকুন 😬
কি কি আছে এখানে?? 😁
স্নো তে একদিন 🥰
মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের পাশাপাশি আপনার বাচ্চাকে Healthy এবং immunity system strong রাখার জন্য অবশ্যই colourful ফল,এবং শাকসবজি দিতে হবে।
তবে ঝামেলা টা হচ্ছে বাচ্চা খেতে চায় না আর সেটা যদি শাক সবজি বা ফলমূল তাহলে তো আরো আগেই না।
তবে আমরা চাইলে খাবার এ সময়টাকে একটু মজাদার আর শিক্ষামূলক করে বাচ্চাকে খাবারে উৎসাহিত করতে পারি।
#যেমন-আজ আমি এখানে 3 colour এর food নিয়েছি।
*Red - strawberry
*yellow-Mangoo
*white-Egg white(ডিমের সাদা অংশ?
*11pm Snacks হিসেবে দিয়েছি
#আমিঃ এবার আমি মেহমেদ কে বলেছি দেখো এখানে তিনটা কালার বলতো কি কি?,🥴
#মেহমেদঃ দৌড়ে এসে বল্লো white, blue🙄(strawberry দেখিয়ে) and yellow
আমিঃআচ্ছা এটা যদি ব্লু হয় তাহলে (ব্লু কালার দেখিয়ে বল্লাম) এটা কি কালার?
মেহমেদঃ 😮😮
আমিঃওকে সমস্যা নেই।বলো তুমি কোন কালার টা খেতে চাও,?
মেহমেদঃকনফিউজ হয়ে একবার Red, একবার yellow একবার white নিজে থেকেই মজা পেয়ে তুলে নিলো।
আমিঃআচ্ছা এবার আম্মুর জন্য green colour ta niye আসো তো দেখি পারো কিনা?
মেহমেদঃ নিজের খেলনার বক্স থেকে খুঁজে নিয়ে এলো
আমিঃআলহামদুল্লিল্লাহ, এভাবে একে একে সব কালার বের করে এনে দিয়েছে। পুরষ্কার হিসেবে একবার এক এক কালার খেতে দেয়া হয়েছে😁😁😁
মাশাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ 😇
#বাচ্চাদেরখাওয়ারনিনজাটেকনিক
#শিশুর_প্রথম_শক্ত_খাবার | ৬ মাস বয়সের পরে বাচ্চাকে কি খাওয়াবেন?
part -1
ছয় মাস বয়সের পর থেকে শিশুর প্রথম শক্ত খাবার দেওয়া শুরু করতে হবে। শিশুর জীবনের প্রথম বছরের অন্যতম মাইলস্টোন হলো সলিড খাবার শুরু করা।
#কিভাবে বুঝবেন শিশু শক্ত খাবারের জন্য প্রস্তুত?
*যদি শিশু সাপোর্ট ছাড়া বসতে পারে
* ঘাড় পুরোপুরি সোজা রাখতে পারে,
*বড়দের খেতে দেখলে খাওয়ার জন্য হা করে আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলেই বুঝতে হবে বাচ্চা সলিড খাওয়া শুরু করার জন্য প্রস্তুত।
- খাওয়াতে হবে অবশ্যই বসিয়ে। অনেকেই শিশুকে শুইয়ে খাওয়াতে চান যেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে choking hazard, সহজ বাংলায় খাবার গলায় বেঁধে যাওয়ার ভয় থাকে। যারা নতুন এবং প্রথমবার মা হয়েছেন তারা এসময় খুব দুশ্চিন্তায় থাকেন এবং অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় বাচ্চা না খেলে বা কম খেলে হতাশ হয়ে বাচ্চাকেই বকেন। অনেকে শর্টকাট খুঁজে বাচ্চাকে ব্লেন্ড করে স্পুন ফিডারে খাবার দিয়ে দেন। কিন্তু longrun এ এর প্রতিক্রিয়া কিন্তু খুব ভালো নয়।
নিজের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা আর সীমিত জ্ঞান থেকে বলছি, বাচ্চাকে খাওয়া নিয়ে বকা শুরু করলে বাচ্চা অনাগ্রহে পরে মুখ খোলাই বন্ধ করে দেয় এবং ফিডারে নয়, খাওয়াতে হবে পরিষ্কার বাটি চামচে, আর ধৈর্য সহকারে।
প্রথম সলিড দেয়া যায় এমন কিছু সহজ খাবারের রেসিপি দিচ্ছি।
রেসিপি -১(সকালের নাস্তা)
#ফ্রুট/ভেজিটেবল পিউরি
-আপেল, নাশপাতি, মিষ্টি আলু, গাজর, মিষ্টিকুমড়া, পাকা পেঁপে জাতীয় ফল/সবজি টুকরো করে কেটে অল্প পানিতে ঢেকে সিদ্ধ করে তারপর ভালো করে ডাল ঘুঁটনি দিয়ে ঘুঁটে ম্যাশ করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ফ্রুট/ভেজিটেবল পিউরি। বানানো সহজ আর অনেক পুষ্টিকর খাবার
রেসিপি-২(দুপুরে)
#খিচুড়ি(যদিও আমি খিচুড়ির খুব একটা ভক্ত নই কিন্তু আমাদের দেশে এই খিচুড়ি খাওয়ার প্রচলন যুগ যুগ থেকে)
খিচুড়ি খুবই সাধারন একটি খাবার হলেও এর পুষ্টিগুণ অনেক, বাচ্চার প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাটস সব থাকে খিচুড়িতে।
উপকরণ
১.বাসমতী, সাধারণ ভাতের চাল(পরিমান মতো আপনার বাচ্চার খাবারের চাহিদা অনুযায়ী)
২.মসুর/মুগ ডাল অথবা ইন্ডিয়ার ডাবলি–
৩.তৈল (অলিভ অয়েল বেশি ভালো)
৪-ছোট করে টুকরো করা সবজি (গাজর, আলু, মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে, লাউ যা হাতের কাছে থাকে)
৫-মাছ/মাংস (যেটা হাতের কাছে থাকে)
৬-পেঁয়াজ অল্প পরিমানে
রান্নার প্রণালি
মাছ/মাংস অল্প পানিতে ঢেকে সিদ্ধ করে কাঁটা/হাড় ছাড়িয়ে নিন। তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ হালকা লালচে করে ভেজে নিন, তারপর ধোয়া চাল-ডাল অল্প আঁচে ভেজে তাতে সবজিগুলো আর মাছ/মাংস দিয়ে গরম পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। প্রেশারকুকারে রান্না করলে আরো ভালো, তাতে সময় বাঁচে আর ঢাকা অবস্থায় রান্না হয় বলে পুষ্টিগুণও বজায় থাকে। নামানোর আগে চাইলে একটু ঘি দিতে পারেন এতে স্বাদ বেড় যাবে অনেক গুন
আরো রেসিপি আসবে সকাল বিকাল দুপুর রাত মিলিয়ে একটা একটা পোস্ট দিবো। আমি ভাগে ভাগে দিচ্ছি অনেকে বড় লিখা পছন্দ করেন না।
বিঃদ্রঃ-দয়া করে বাচ্চার খাবারে নুন্যতম ১বছর না হলে লবন, চিনি, অতিরিক্ত মশলা বিশেষ করে spicy জাতীয় খাবার দিবেন না।
Happy Mothers day
#বাচ্চারপ্রথমসলিডফুডকেমনহওয়াউচিত
trimester (মাঝখানের ৩ মাস) এ মায়ের কি খাবার খেতে হবে এবং কি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
#আয়রন: ডায়েটে আয়রনের অভাব হলে রক্তাল্পতার দেখা দিতে পারে। আয়রনের ঘাটতি মায়েদের pregnancy depression এ ফেলে দেয় এবং premature বাচ্চা হওয়র সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আয়রন শরীররে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে। আয়রনের জাতীয় খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ দিনে প্রায় 27 মিলিগ্রাম হওয়ানউচিত
#আয়রন সমৃদ্ধ কিছু অসাধারণ খাবার
- চর্বিহীন মাংস
-শাকসবজি
- রান্না করা সামুদ্রিক খাবার
- বাদাম
- শিম
- মসুর ডাল
- ওটমিল, মাল্টিগ্রেইন রুটির মতো পুরো শস্য জাতীয় খাবার
#ভিটামিনসি: ভিটামিন সি দেহে আয়রনের আরেকটি উপাদান হিসেবে কাজ করে। সুতরাং আপনার ডায়েটে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ভিটামিন সি এর সেরা উত্সগুলির মধ্যে কয়েকটি হল কমলার রস, কমলা, টমেটো এবং স্ট্রবেরি।
#প্রোটিন: শিশুর পেশী এবং হাড়ের গঠন বিকাশের জন্য প্রোটিন প্রয়োজনীয়। এটি মায়ের জরায়ু বিকাশে এবং বাচ্চাকে শক্ত ভাবে ধরে রাখতে সহায়তা করে। মাঝখানের তিন মাসে একজন মায়ের উচিত তার দেহের ওজন প্রতি কেজি 1.52 গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা। এটি শিশুর টিস্যু এবং মস্তিষ্কের শব্দ বিকাশ সহায়তা করবে। প্রোটিনের কয়েকটি ভাল উত্সের মধ্যে রয়েছে:
- তোফু
- চর্বিহীন মাংস
-চিকেন
- বাদাম
-ডিম
-রান্না করা মাছ
- মটর,
- মটরশুটি, এবং
- মসুর ডাল
#ক্যালসিয়াম: শিশুর দাঁত এবং হাড় গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ কিছু খাবারগুলি হ'ল:
-দুগ্ধজাত পণ্য
- তোফু
- ডিম
- কাজুবাদাম
- সাদা মটরশুটি
- পালং শাক এবং ব্রকলি,
#ফোলেট: ফোলেট হ'ল বি ভিটামিনগুলির মধ্যে একটি যা জন্মগত হার্টের ত্রুটি, নিউরাল টিউব ত্রুটি সম্ভাবনা রোধ করে।
#ফলিক অ্যাসিডের কয়েকটি সেরা উত্স হ'ল:
- মটর
- সবুজ শাকসব্জীগুলিতে, বাঁধাকপি, কলার্ড গ্রিনস
-কলা
- পুরো শস্য, যেমন গম, ওট এবং ভাত
#ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা একটি শিশুর হাড় এবং দাঁত বিকাশে সহায়তা করে।
ভিটামিন ডি এর খাদ্য উত্সগুলির মধ্যে রয়েছে:
- চর্বিযুক্ত মাছ, স্যালমন, ম্যাকেরেল এবং তাজা টুনার মতো
- গরুর লিভার
- ফিশ লিভার অয়েল
- ডিমের কুসুম
- পনির
- -উন্মুক্ত মাশরুম
#ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড: ওমেগা 3 ফ্যাটি হৃৎপিণ্ড, চোখ, মস্তিষ্ক, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র এবং রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে। ওমেগা -3 এমনকি premature delivery আটকাতে পারে, এবং প্রিক্ল্যাম্পসিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এবং postpartum depression কমিয়ে দেয় ।
- স্যালমন মাছ
- ম্যাকেরেল
- হেরিং
- সার্ডাইনস
- টাটকা টুনা
- মাছের তেল
- চিয়া বীজ
চলমান,,
প্রেগনেন্সি গাইড
#ওটস(Oats)
রেসিপি নং-২
ফলের ওটমিল মিশ্রণ
বয়স: ৬ মাস +
উপকরণ
১-এই প্রতিটি ফলের খোসা ছাড়ানো এবং কাটা: আপেল, নাশপাতি, এপ্রিকট, পীচ(দু একটি কম থাকলেও সমস্যা নেই)
২-গরুর দুধ পরিমান মত(২বছরের বাচ্চা হলে)
৩-২ টেবিল চামচ রোলড ওটস(বাচ্চার খাবারের চাহিদা অনুযায়ী)
৪-পানি
#প্রস্তুুত_প্রানালী
একটি প্যানে পানি নিন এবং এতে খোসা ছাড়ানো ও কাটা ফল যোগ করুন এবং প্যান ঢেকে দিন। ফলগুলি নরম হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে রান্না করুন, তারপরে চুলা থেকে প্যানটি নামিয়ে নিন। অন্য একটি পাতিলে ওটস হালকা ভেজে পানিতে দিয়ে সিদ্ধ হতে দিন(দুধ দিয়ে ও সিদ্ধ করতে পারবেন যদি ২ বছরের বাচ্চার জন্য রান্না করেন) ওটসগুলি রান্না হতে দিন, তারপরে ফল এবং ওটস একসাথে মিশিয়ে পিউরে তৈরী করে নিন
বাচ্চাদের জন্য এই রোলড ওটস রেসিপি অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর!
রেসিপি নং-৩
িজ
বাংলাদেশ এ এখন ভরপুর আমের সময়। এই রেসিপিটি ট্রাই করার উপযুক্ত সময় এখনি।
উপকরন -
১-রোলড ওটস (বাচ্চার চাহিদা অনুযায়ী)
২- পাকা আম
৩- দুধ(গরুর দুধ দুই বছরের বাচ্চা হলে)
৪-১ চামচ মধু(১ বছরের বাচ্চা থেকে)
#প্রাণালী
ওটস দুধে বা পানিতে নরম হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে রান্না করুন। এগুলিকে একটি পাত্রে স্থানান্তর করুন এবং আম ও মধু মিশিয়ে নিন। ঘনত্বের জন্য ভালভাবে নাড়ান।
#গর্ভাবস্থার_প্রথম_তিন_মাস_কোন_১০টি_খাবার_নাখাওয়াই_ভালো_আসুন_জেনে_নেই
সন্তানের মা হতে চলেছেন? খালি মনে হচ্ছে, আজ এটা খাই, কাল ওটা আনবো, পরশু সেটা বানাবো। সত্যি বলতে অবাক হওয়ার কিছু নেই এতে। গর্ভাবস্থায় হবু মায়ের শরীরে হরমোনের যে অভিনয চলে, তার কারণে নানারকম খাবার খাওয়ার ইচ্ছে।তবে হ্যাঁ চাইলেই সব খেয়ে ফেলা যাবেনা।কিছু খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
১- #অর্ধেক_রান্না_করা_চিংড়ি_মাছ
বাইরে দোকানে বা রেস্তোরাঁয় রান্না হওয়া চিংড়ি মাছ খাবেন না। স্বাদ ও গন্ধ বজায় রাখার জন্য এসব জায়গায় চিংড়ি মাছ ভালো করে সেদ্ধ করা হয় না বা ঠিকমতো পরিষ্কার করাও হয় না। চিংড়ি মাছ প্রোটিন ও ওমেগা ৩(Omega 3)-র ভালো উৎস হলেও আধসেদ্ধ চিংড়ি মাছ হবু মাকে পেটের সমস্যায় নাজেহাল করে দিতে পারে। ভালো করে রান্না না করা হলে, চিংড়ি মাছে থাকা বিভিন্ন প্যারাসাইট নষ্ট হয় না ও শরীরের ক্ষতি করে। এছাড়াও চিংড়ি মাছে অনেকের সাংঘাতিক এলার্জি থাকে। চিংড়ির মতো অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ অর্ধেক রান্না করে খেলে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে রক্ত দূষিত হয়ে যেতে পারে ও গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হয়
২-. #আধসেদ্ধ_মাংস
গর্ভাবস্থায় আধসেদ্ধ মাংস খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। মাংস ভালো করে রান্না না করা হলে, এর মধ্যে উপস্থিত সালমনেল্লা, ই কোলাই ইত্যাদি মাইক্রোঅর্গানিজম নষ্ট হয় না এবং মারাত্মক ফুড পয়েজনিং-এর কারণ হতে পারে।
৩- #কাঁচা_বা_আধসেদ্ধ_ডিম
কাঁচা ডিম বা আধসেদ্ধ ডিম গর্ভাবস্থায় খাবেন না। কাঁচা ডিমে সালমনেল্লা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে, সেই ডিম খেয়ে মায়ের ডায়েরিয়া, ফুড পয়েজনিং, জ্বর, বমি, মাথা ঘোরা বা পেটে ব্যথা হতে পারে। কাঁচা ডিম যেমন খাবেন না, তেমনি যেসব খাবারে কাঁচা ডিম মেশানো থাকে, সেগুলিও এসময় বর্জন করুন। মেয়নিজ, কাস্টার্ড বা কোনও স্যালাড ড্রেসিং এসময় ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এগুলিতে কাঁচা ডিম মেশানো থাকে।
৪- #আনারস
আনারসে উপস্থিত ব্রোমিলিন নামের উৎসেচক গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রসব হয়ে যেতে পারে। প্রথম তিন মাস এই ফলটি একটুও না খাওয়াই ভালো।
৫- #কাঁচা_সব্জি
কাঁচা সবজিতে বিভিন্ন প্যারাসাইট বা পরজীবী ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা আপনার এবং গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করতে পারে।গোটা ও তাজা সবজি কিনে আনুন এবং ভালো করে রান্না করে তবেই খান।
৬- #কাঁচা_পেপে
গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেপে একেবারেই খাবেন না। কাঁচা পেপের পেপ্সিন ও প্যাপাইন ভ্রূণের ক্ষতি করে। আবার পেপের ল্যাটেক্স গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
৭- #মৌরি_ও_মেথি
মৌরি বা মেথি দানা বেশি খেলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসবের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অল্প পরিমাণে মশলা হিসেবে ব্যবহার করলে কোনও অসুবিধা হবে না। কিন্তু প্রত্যেকদিন অতিরিক্ত পরিমাণে মৌরি বা মেথি খাবেন না।
৮- #আজিনামোটো
অনেক চাইনিজ খাবারে আজিনামোটো দেওয়া থাকে। ভালো স্বাদ ও গন্ধের জন্য এই আজিনামোটো ব্যবহার করা হয়। অনেকেরই এটা সহ্য হয় না। আজিনামোটো দেওয়া খাবার খেলে অনেকের মাথা ঘোরা, পেশীতে টান, হঠাৎ প্রচণ্ড ঘাম হওয়া ইত্যাদি অসুবিধা হয়ে থাকে। আপনারও যদি এই উপাদানটি থেকে এরকম শরীর খারাপ হওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে, তা হলে কোনও ভাবেই গর্ভাবস্থায় এটি খাবেন না
৯- #আনপাস্তুরাইজড_দুধ
আনপাস্তুরাইজড দুধে অনেক রকম ক্ষতিকর মাইক্রোবস থাকতে পারে যা আপনার ও গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। দুধ অবশ্যই খাবেন; তবে খাওয়ার আগে ভালো করে ফুটিয়ে খান বা পাস্তুরাইজড দুধ খান।
১০- #অ্যালকোহল
গর্ভাবস্থার কোনও সময়েই কোনও রকম মদ্য পান বা অ্যালকোহল সেবন করা উচিত নয়। অ্যালকোহল মায়ের রক্ত থেকে গর্ভস্থ শিশুর রক্তে চলে যায় এবং শিশুর মস্তিস্ক ও শিরদাঁড়ার ক্ষতি করতে পারে। অত্যধিক অ্যালকোহল সেবনে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে বা মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে।
এছাড়াও এসময় অতিরিক্ত তেল মশলা দেওয়া খাবার খাবেন না বা বেশি ভাজাভুজি খাবেন না। সহজপাচ্য খাবার খেলে শরীর ঝরঝরে থাকে। কোনও খাবার খেয়ে সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ মতো খাবার খান।
ওদের দুজনের জন্য কেটে রাখা সবজি। কয়েকদিন চলে যাবে😄।প্রতিদিন সবজি কাটা ঝামেলা মনে হয় তাই দু তিন দিনের জন্য কেটে রাখি।এ সবজি ওদের স্যুপ,খিচুড়ি, ওটস, পাস্তা যখন যে খাবার দেই সাথে মিশিয়ে দেই।
আপনার সন্তানের ৫ টি অনাকাঙ্খিত আচরণ দূর করার প্যারেন্টিং টিপস
#রাহাত অনেক ভালো, চঞ্চল ও মিষ্টি একটা ছেলে। কিন্তু ইদানিং রাহাত খেলতে গিয়ে অন্য বাচ্চাদের সাথে ভালো আচরণ করছে না। গত পরশু রাহাত পাশের বাসার তনিমার খেলনা নিয়ে কাড়াকাড়ি করেছে। খেলনার দোকানে গিয়েও রাহাত অপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসের জন্য কান্নাকাটি করেছে। রাহাতের মা এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছে। রাহাতের এই আচরণগুলো দূর করার জন্য কিছু প্যারেন্টিং টিপস অনুসরণ করলে খুব সহজেই বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়। দেখুনতো আপনার সন্তানও রাহাতের মতো এমন আচরণ করছে কিনা?
১.বিরক্ত করার অভ্যাস দূর করার জন্য টিপস
আপনার সন্তান আপনাকে অথবা অন্য কাউকে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় বিরক্ত করছে? তাকে নিষেদ করার পরও এই অভ্যাস দূর করা যাচ্ছে না? এক্ষেত্রে তার সাথে রাগারাগি না করে কিংবা তাকে কড়া শাসন না করে একটু সময় নিয়ে তাকে তার কথা বলার জন্য সুযোগ দিতে হবে। পারিবারিক আড্ডায় তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তাকে অন্যের কথা শোনা ও তার কথা বলার সু্যোগের জন্য অপেক্ষা করার ধারণা দিতে হবে। এই চর্চাটা ধারাবাহিকভাবে করলে একটা সময় পর আপনার সন্তানের ভেতর থেকে এই অভ্যাসটা দূর হয়ে যাবে।
২.জেদ করার অভ্যাস দূর করবেন যেভাবে
বাচ্চারা কোন নির্দিষ্ট জিনিসের জন্য প্রায়ই জেদ ধরে। সেটা হতে পারে তার সমবয়সী অন্য কোন বাচ্চার খেলনার জন্য অথবা দোকানের কোন অপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য। এই অভ্যাস দূর করার জন্য তার মতামত ও পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার পছন্দ মতো জিনিস না নিয়ে তার পছন্দ শুনতে হবে। তার জন্য কোন খেলনা অথবা অন্য যে কোন কিছু নেয়ার আগে তার কাছ থেকে জানতে চান সে কোন খেলনাটা চায়। প্রয়োজনে তাকে সহই তার পছন্দের জিনিসের লিস্ট তৈরি করুন এবং তাকে সাথে করেই সেগুলো সংগ্রহ করুন। আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৩.অশালীন আচরণ ও শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখার উপায়
অনেক সময় বাচ্চারা খেলার মাঠে কিংবা অন্য কারো সাথে খেলার সময় অনাকাঙ্খিত আচরণ ও অশালীন শব্দ ব্যবহার করে থাকে। এই অভ্যাস দূর করার জন্য ঘরেি ভালো আচরণের চর্চা করুন। তাকে কোন কিছুর জন্য শক্তভাবে আদেশ না করে অনুরোধ করুন। তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করুন ও তাকে ধন্যবাদ দিন। এই অভ্যাসটা তার মাঝে আদেশের চেয়ে অনুরোধ অনেক বেশি কার্যকরী এই বোধ তৈরি করবে। যা ঘরের বাইরেও তার আচরণে একটা বড় প্রভাব ফেলবে। এবং আপনার সন্তানের ভেতর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা ও ধন্যবাদ দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবে।
৪.নিজে নিজে কিছু করতে ভয় পাওয়া দূর করবেন যেভাবে
প্রায়ই দেখা যায় বাচ্চারা একা থাকতে ও নিজে নিজে কিছু করতে ভয় পায়। বাবা-মা কে ছাড়া কোন কিছু করতে ও বাবা-মার থেকে অল্প দূরত্বেও তাদের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়। এই সমস্যা দূর করার জন্য আপনার সন্তানের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন। তার আশেপাশে থেকে তাকে নিজে নিজে কিছু করতে উৎসাহিত করুন। তার ভিতর এই বোধ তৈরি করুন যে, আপনি সবসময় তার পাশেই আছেন। অন্য বাচ্চাদের সাথে মিশতে দিন। এই ছোটখাটো চর্চাগুলোই আপনার সন্তানের আত্মবিশ্বাস জন্মাতে সাহায্য করবে।
৫.কাউকে অবজ্ঞা ও অসম্মান করার অভ্যাস দূর করার উপায়
শিশুদের মাঝে গোপনীয়তা, লজ্জাজনক পরিস্থিতি ও বিব্রতকর পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারনা থাকে না। এজন্য অনেকসময় শিশুরা না বুঝেই কাউকে অসম্মান করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে যার জন্য বাবা-মাকে বিব্রত হতে হয়। এই অভ্যাস দূর করার জন্য প্রথমেই শিশুদের সামনে কারো সমালোচনা করা বাদ দিতে হবে। শিশুরা বরাবরই অনুকরণপ্রিয় হয়ে থাকে। তার সামনে কারো সমালোচনা করলে সেটা তার আচরণে প্রভাব ফেলবে। দ্বিতীয়ত তাকে পারিবারিক গোপনীয়তা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে।
সোর্চ-বিজ্ঞানবাক্স
'আমি কি পেলাম' না ভেবে 'আমি কি দিলাম' - এই মানসিকতা আমাদের সম্পর্কগুলোকে ভাল রাখে।
একটু ভাবি - আমি নিজে যা আমার হাসবেন্ড এর কাছে চাই, তা কি আমি নিজে তাকে দেই? আবার আমি চাই আমার স্ত্রী আমাকে সম্মান করুক, আমি নিজে কি তাকে সম্মান করছি?
আমাদের সম্পর্ক গুলো কোন Boxing match নয়।
আমাদের সম্পর্ক গুলো একটা investment। একজন partner আমার নিজের জন্যই প্রয়োজন। এখানে ভাল থাকতে হলে adjust করা শিখে নিতেই হয়।
সংসারে লম্বা একটা সময় পার হলে অধিকাংশ সম্পর্কে প্রথম দিককার সেই উথাল পাতাল 'ভালোবাসা' টা আর থাকে কিনা আমি ঠিক নিশ্চিত নই। আমার মনে হয়, যেটা বেঁচে থাকে তার নাম 'মায়া', প্রবল মায়া।
আর এই মায়া আমি বিশ্বাস করি খুব powerful।
'ভালোবাসা'র সেই অনুভূতির চেয়ে এটি কোন অংশে কম নয়, ছোট নয়!
আজ শুক্রবার। ছুটির দিন। ব্যস্ততার কোন অজুহাত নেই। সবাই সবার ভালবাসার মানু্ষকে জানাতে পারেন/বোঝাতে পারেন - 'ভালবাসি'।
শ্রদ্ধা,মায়া আর ভালবাসায়ায় ভাল থাকুক আমাদের ঘরগুলো। ❤️
Dr.Susama Reza
Source-babydestinTion
Dr. Saklayen Rasel
আপনার বাড়ন্ত শিশু যদি-
০১। খুব কম বিরক্ত করে
০২। নিজের মত থাকে, নিজের মতই খেলতে পছন্দ করে
০৩। এক বছরেও দাদা, মামা, নানা এসব শব্দ উচ্চারণ না করে
০৪। এক বছরে শুরু করা শব্দগুলো যদি আস্তে আস্তে ভুলে যায় বা আর ব্যবহার না করে
০৫। আঙুল দিয়ে না দেখিয়ে, হাত ধরে টেনে নিয়ে নিজের পছন্দের জিনিস চায়
০৬। ডাকলে রেসপন্স করে না অথচ শব্দে যদি অধিক সেনসেটিভ!
০৭। বিশেষ কোন রঙ বা লোগো দেখলে বেশি পছন্দ করে
০৮। কম্পিউটার বা মোবাইল ইত্যাদি ডিভাইসে বিশেষভাবে পারদর্শী হয়..যা দেখলে গর্বে আপনার বুক ভরে উঠে!
০৯। প্রত্যাশিত সময়ে কথা না বলে
১০। খেলনা দিয়ে অর্থপূর্ণ না খেলে
১১। দুর্গন্ধ কিংবা সুগন্ধে আলাদাভাবে রেসপন্সব না করে
১২। একই কাজ বার বার করে কিংবা একই খাবার বার বার খায়
১২। প্রস্রাব পায়খানায় ঠিকমত কিউ দেয় না, প্যান্ট নষ্ট করলেও বুঝতে পারে না
১৩। অতিরিক্ত বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করে
১৪। নিজে থেকেই কোন কারণ ছাড়াই হেসে উঠে
১৫। অতিরিক্ত চঞ্চল বা হাইপার থাকে
১৬। ডাকলে কিংবা কথা বলতে চাইলে চোখে চোখ না রাখে
১৭। অন্য শিশুদের সাথে খেলতে গেলে অনুকরণ না করে নিজের মত খেললে!
উপরের এক বা একাধিক লক্ষণ আপনার শিশুর মাঝে থাকলেই বলা যাবে না সে অটিজমে আক্রান্ত। তবে নিশ্চিতভাবে সে বিকাশজনিত সমস্যায় ভুগছে। যা বেশিরভাগ সময় Autism Spectrum Disease এ পড়ে যায়!
কী করবেন?
-----------------------
এসব লক্ষণ আপনার শিশুর মাঝে থাকলে বুঝতে হবে শিশু কিছু অস্বাভাবিকতা নিয়ে বড় হচ্ছে। শিশু বিশেষজ্ঞ দেখানোর পূর্বে তাকে সরকারি হাসপাতালের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে নিয়ে যান। ভাল হয় বিএসএমএমইউ (পিজি হাসপাতাল) এর 'ই' ব্লকে অবস্থিত
ইনস্টিটিউট অব নিউরোডেপলপমেন্ট এন্ড অটিজম সেন্টারে নিয়ে যান। আছে সরকারি হাসপাতালে শিশু বিকাশ কেন্দ্র। আছে আর্মি পরিচালিত প্রয়াস স্কুল। তবে বেসরকারি বিশেষ স্কুল গুলোর ব্যাপারে আমার কিছুটা আপত্তি
আছে। অনেক স্কুল অটিজম শিশুদের সাথে অন্যান্য প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা দেয়। যা গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া ইদানিং এসব উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্রই অটিজম মনে করার একটা প্রবণতা আছে!
যা করা উচিত না
--------------------------
এসব উপসর্গ দেখা দিলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মনস্থির করুন, সাহস সঞ্চয় করুন। মনে রাখবেন, আপনিই আপনার সন্তানের আসল চিকিৎসক। আপনার একটু কোয়ালিটি সময় ওকে অনেকটাই সুস্থ করে তুলবে! ওকে সময় দিন। হ্যান্ডেল করতে শিখুন। চ্যালেঞ্জ নিন! খুব বেশি খারাপ লাগলে ওকে বুকে জড়িয়ে কাঁদুন! সত্যি বলছি কান্নায় কষ্ট ক্ষয় হয়.. এক সময় আমিও কাঁদতাম...এই ভেবে যে আমি মারা গেলে আমার ছেলে কোনদিন দু'হাত তুলে দুয়াও করতে জানবে না... এখন অন্যটা ভাবি। আমি মারা গেলে স্বয়ং একজন ফেরেশতা আমার জন্য দুয়া করবে। সুপারিশ করবে...এ ফেরেশতাকে
আমরা আরিজ নামে ডাকি!
আরিজ--
আমার গর্বিত সন্তান..আমার শত পূণ্যের একমাত্র অর্জন... কারণ আমি নিশ্চিত ওর নামে কোন পাপ লেখা হয়নি...হয়ত কোনদিন হবেও না! আপনার সন্তানও তেমনি...পবিত্র
কোরআনেও সন্তান সন্তুতিকে মানবজাতির পরীক্ষাস্বরূপ বলা হয়েছে... এ পরীক্ষায় পাশ করার জন্য বিশেষ শিশুরা অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার অগ্রিম প্রশ্ন পাওয়ার মতই লোভনীয়! আপনি তাই ভাগ্যবান! যদি নিশ্চিত হন আপনার শিশু বিশেষ শিশু
------------------------------
----------------------------
প্রথমে নিজেদের প্রস্তুত করুণ সম্ভাব্য
যুদ্ধে... অবশ্যই মা-বাবাই তার প্রথম চিকিৎসক! আশেপাশের যেকোন স্পেশাল স্কুলে ওকে দিন। সব পরিবেশে নিয়ে যান...আত্মীয় স্বজনের বাসায় যান...কোন আত্নীয় আপনার শিশুর কারণে বিব্রত হলে নিশ্চিত হন তিনি আপনার আপন না...তাকে বয়কট করুন..শুণ্য গোয়াল অন্তত গোবরমুক্ত থাকে!
Auto Ism থেকেই অটিজম শব্দটি এসেছে। এসব শিশু নিজের পৃথিবীতে থাকতে পছন্দ করে। সেখানেই সে হাসে খেলে.. আনন্দে ভাসে। আপনার কাজ একটাই... ওর সেই পৃথিবীর সব দেয়াল ভেঙে দেয়া! ওকে সেখান থেকে বের করে আনা! তাই ওকে একা থাকতে দিবেন না... টিভি মোবাইল কম্পিউটার থেকে দূরে রাখুন... নিয়মের মধ্যে রাখুন! মনে রাখবেন, অটিজম একটি যুদ্ধের নাম। যার শুরু আন্দাজ করা যায়। শেষটা আজো কেউ আগে থেকে বলতে পারেনি! এ যুদ্ধে আপনি একা। কিংবা স্বামী- স্ত্রী দুজনে মিলে একা। শুধু সংগে পাবেন... অমুককে...তমুককে... কিছু করতে না পারলেও তারা অন্তত আপনার সাথে অশ্রু মিছিলে সামিল হবে! সব শিশুরা ভাল থাকুক..কিংবা ভাল শিশুরা পৃথিবীতে আসুক! স্বস্তির কোলে আশার আলো খুঁজে পাক আরিজের বাবারা,
- মায়েরা!
টুকটাক অসুখ-বিসুখে সহজ-ঘরোয়া টোটকা; শিশুর সুস্থতায় সব মায়েরই যা জানা দরকার!
মনে পড়ে সেই দিনগুলো, টুকটাক কিছু হলেই যখন তোমার দিদা-ঠাম্মা ছুটতেন রান্নাঘরে। কিছু না কিছু ওষধি বেরোতোই বেরোতো তাঁর হেঁসেল থেকে। আর সেটা খেলেই কেল্লাফতে!
আমাদের সব্বার জীবনেই এমনটা ঘটেছে, কিন্তু আজও সেই টোটকাগুলো যেন রহস্যই থেকে গিয়েছে! ওষুধপত্তরও কখনও সখনও হার মেনেছে, কিন্তু দমে যায়নি দিদা-ঠাম্মার টোটকা। এখন মা হয়েছো তুমি, কোলের শিশুর জন্য তোমারও কখনও সখনও প্রয়োজন হবে বাঙালিয়ানার মজ্জায় মজ্জায় মিশে থাকা চিরাচরিত সেই টোটকাগুলো। আজকের প্রতিবেদনে সেগুলো নিয়েই আলোচনা করব আমরা। রান্নাঘরেই যার হদিস পাবে তুমি, টুকটাক অসুখ-বিসুখে স্বস্তি পাবে তোমার সন্তান!
দেখে নিনি ১১ টি টোটকা
#1. জ্বর হলে পেঁয়াজ (Onion for fever)
বাঙালি হোন বা না হোন, পেঁয়াজের উপকারিতার কথা জনে জনে জানা! হয় রান্নায় নয় নানা ঘরোয়া টোটকায়, বাঙালি ঘরে পেঁয়াজ থাকবেই থাকবে। আপনার শিশুর যদি জ্বরজারি হয়, তা হলে দেখবেন দিদা-ঠাম্মারা এগিয়ে এসে কাঁপা কাঁপা গলায় বলছেন, ‘নাতির পায়ের তালুতে খানিক পেঁয়াজ ঘষে দে-রে, জ্বর কমে যাবে এখনই’। আপনি এই যুগের মা মানছি, ওষুধপত্তরেই আপনার ভরসা বেশি, তা-ও জানি। তা সত্ত্বেও বলছি, পেঁয়াজ ব্যবহারে কোনও ক্ষতি কিন্তু নেই। এতে আপনার শিশুর জ্বর তো কমবেই, হাতে-পায়ে ব্যথা থাকলে তা-ও পালাবে!
#2. কলিক পেন-এ হিং (Asafetida for colic pain)
কলিক পেন সারানোর অন্য়তম ঘরোয়া টোটকা হল হিং। এক টেবিল-চামচ গরম জলে অল্প হিং-গুঁড়ো মিশিয়ে বাচ্চাকে দিতে পারেন। হিং-এর স্বাদ বা গন্ধ আপনার শিশুর ভালো না লাগলে কিছুটা হিং হাতে নিয়ে ওর পেটে মালিশও করতে পারেন। এতে কলিক পেন তো পালাবে বটেই, সেই সঙ্গে আপনার শিশু রেহাই পাবে কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্যা থেকেও। তা-ও বলব, যদি হিং-এর জলটা খাওয়াতে পারেন, সেটাই অনেক বেশি কার্যকরী হবে।
#3. সর্দি-কাশিতে কর্পূর (Camphor for chest congestion)
শিশুর সর্দি-কাশিতে বাজার চলতি কোনও ভেপার রাব কিনে ঘরে মজুত করার কোনও প্রয়োজনই নেই, যতক্ষণ টোটকাগুলো জানা থাকবে আপনার। ঋতুবদলে বুকে কফ জমা, সর্দি-কাশি, তার থেকে জ্বর জারি হতেই পারে আপনার শিশুর। নারকেল তেলে কিছুটা কর্পূর গরম করে নিন। গলা ধরা, বুকের কফ দূর হয়ে যাবে সহজেই। কর্পূর আর নারকেল তেলের মিশ্রণ শিশুর শরীর গরম লাগে, সর্দি-কাশি আবার হওয়া থেকে প্রতিরোধো করে। তা বাদে নারকেল তেলেও আরাম পায় আপনার শিশু, যার জন্য রাতভর নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে ও।
#4. সদ্যোজাতর গ্যাস আর কলিক পেন-এর সমস্যায় সরষের তেল (Mustard oil massage for gas and colic pain in infants)
কলিক পেন থেকে শিশু যদি খিটখিটে, কাঁদুনি হয়ে ওঠে, তা হলে ওকে আরাম দিতে পারে কেবল সরষের তেল! শিশুর পেটে হালকা গরম সরষের তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, শিশুর হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তারও দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। সরষের তেল মালিশে আরাম পায় শিশু, রাতভর ওর ঘুমও হয় ভালো। সদ্যোজাত শিশুর গ্যাস-এর সমস্যা সমাধানে জাদুর মতো কাজ করে এই টোটকা!
#5. সংক্রমণে হলুদ-দুধ (Haldi doodh for infections)
খুদে হোক কিংবা বড়, সংক্রমণের সাথে লড়াই করতে হলুদ দেওয়া দুধের চেয়ে ভালো কিছুই হয় না। গরম দুধে এক চিমটে হলুদ সংক্রমণ, ইনফেকশন এড়াতে
মোক্ষম ওষধি। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে এতে। হলুদে আসলে জীবাণুনাশক উপাদান থাকে, পরবর্তীতে শরীরে যাতে আর কোনও জীবাণু বাসা না বাঁধতে পারে, সেটাই নিশ্চিত করে হলুদ মেশানো দুধ।
চলমান
সূত্র -বেবিডেস্টিনেশন
#বাচ্চাদেরজন্যপ্যাসিফায়ার (pacifier)
PART-2
♦️কিছু বাচ্চা প্যাসিফায়ার পছন্দ করে না। তার কারণ হল; (Why some babies don’t like pacifiers?)
⛔সম্ভবত আপনার বাচ্চার প্যাসিফায়ারের স্বাদ পছন্দ নয়। এতে অল্প বুকের দুধ লাগিয়ে দিয়ে তারপর বাচ্চাকে দিতে পারেন।
⛔সব বাচ্চা একই ধরনের প্যাসিফায়ার পছন্দ করে না বা অনেকে প্যাসিফায়ারই পছন্দ করে না। যদি আপনার বাচ্চা প্রথমবার প্যাসিফায়ার না নিতে চায়, কয়েক দিন পরে আবার চেষ্টা করুন এবং অন্য ধরনের প্যাসিফায়ার দিয়েও চেষ্টা করুন। তাতেও না হলে, বাচ্চার মতামতকেই গুরুত্ব দিন
♦️বাচ্চার প্যাসিফায়ার কতদিন পরপর বদলানো উচিত? (How often should you replace your baby’s pacifier?)
প্যাসিফায়ার বদলানোর জন্য এই বিষয়গুলোয় লক্ষ্য রাখুন:
⛔প্যাসিফায়ারের নিপল (nipple)-এ ফুটো হয়ে গিয়েছে বা কেটে গিয়েছে।
⛔নিপল লম্বা হয়ে গিয়েছে।
⛔রং বদলে গিয়েছে।
⛔নিপল চ্যাটচেটে হয়ে গিয়েছে।
⛔প্যাসিফায়ারের রিং বা মুখ নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে।
⛔প্লাস্টিকের ধারালো অংশ উঠে আসছে।
♦️বাচ্চার প্যাসিফায়ার কীভাবে পরিষ্কার করবেন? (How to clean your baby’s pacifier?)
বাচ্চার প্যাসিফায়ার পরিষ্কার করার সবথেকে ভালো উপায় একে গরম জলে ধুয়ে নেওয়া, যেমন আপনি ফিডিং বোতল এবং নিপলে করে থাকেন। বিশেষভাবে পরিষ্কার করার কোনও নির্দেশ আছে কি না জানতে, প্যাসিফায়ারের প্যাকেট দেখে নিন।
#বাচ্চাদেরজন্যপ্যাসিফায়ার (pacifier)
Part-1
আমাদের, বাবা-মাদের মধ্যে সবসময় একটা উদ্বেগ কাজ করে, যে বাচ্চাদের জন্য প্যাসিফায়ার ব্যবহার করা উচিত, না উচিত নয়। নতুন বাবা-মা হিসেবে, আপনি প্রায়শই আপনার বাচ্চার যত্ন এবং আরাম নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং প্যাসিফায়ার আপনার কাছে খুবই কার্যকরী বলে মনে হতে পারে।
যেখানে কিছু বাচ্চা আদর করলে, দোল খাওয়ানো হলে বা স্তন্যপানের সময় বেশ আরাম পায়, অনেক বাচ্চা সেই আরাম নিতে পারে না। যদি আপনার সদ্যজাত বাচ্চা খাওয়ানোর পরে ঢেকুর তোলে, দোল খাওয়ানো বা আদর করার পরও ছটফট করতে থাকে, প্যাসিফায়ার এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এটা ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং বাচ্চা সহজেই শান্ত হয়ে যায়; কিন্তু এটা শুধু যদি আপনি একদিক দিয়ে বিচার করেন, তা হলেই।
⛔(How to give Pacifier to the baby?)
যখনই বাচ্চাকে প্যাসিফায়ার দেওয়ার মনস্থির করবেন, এই কথাগুলো মাথায় রাখবেনঃ
👶বাচ্চাকে পেট ভর্তি করে খাওয়ানোর পরেই ওকে প্যাসিফায়ার দিন।
👶খাওয়ানোর সময় এবং প্যাসিফায়ার দেওয়ার মধ্যে প্রয়োজনীয় সময়ের ফারাক রাখুন।
👶বাচ্চা কাঁদলে তাকে শান্ত করতে প্যাসিফায়ার দেবেন না। কান্না থামার পরেই দিন।
👶প্রথমবার প্যাসিফায়ার দেওয়ার সময় বাচ্চার মুখে সেটা ঢুকিয়ে দেবেন না। বাচ্চার গালে আলতো করে ঠেকিয়ে রাখুন, যদি বাচ্চা পছন্দ করে, সে নিজেই প্যাসিফায়ার টেনে নিয়ে চুষতে শুরু করবে।
সূত্র-বেবিডেস্টিনেশন
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের সময়ে বাড়িতে আটকে থেকে আপনার শিশুকে কীভাবে অনলাইনে সুরক্ষিত রাখবেন
আপনার সন্তানের অনলাইন অভিজ্ঞতা ইতিবাচক এবং নিরাপদ রাখায় সহায়তা করতে ৫ উপায়
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের সময়ে বাড়িতে আটকে থেকে আপনার শিশুকে কীভাবে অনলাইনে সুরক্ষিত রাখবেন
আপনার সন্তানের অনলাইন অভিজ্ঞতা ইতিবাচক এবং নিরাপদ রাখায় সহায়তা করতে ৫ উপায়
করোনাভাইরাস রোগের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের সময় আপনার পরিবার যদি বাড়িতে আটকে থাকে তবে সম্ভবত আপনার শিশুরা অনলাইনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করছে। স্কুল, বন্ধুবান্ধব এবং দাদা-দাদি ও নানা-নানির সঙ্গে আলাপচারিতা, এমনকি সঙ্গীতের পাঠ – অনেক কিছুই অনলাইনে স্থানান্তরিত হয়েছে।
বাংলাদেশে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা' শীর্ষক সমীক্ষার অংশ হিসেবে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০-১৭ বছর বয়সী ১,২৮১ জন শিশুর ওপর একটি জরিপ চালানো হয়। সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, প্রায় ২৫ শতাংশ শিশু তাদের বয়স ১১ বছর হওয়ার আগেই ডিজিটাল বিশ্বে প্রবেশ করতে শুরু করে। যদিও বেশি বয়সী শিশুরা কম বয়সী শিশুদের চেয়ে অধিক মাত্রায় সাইবার নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে, তবে সার্বিকভাবে সব শিশুরাই ক্ষতিকর কনটেন্ট, যৌন হয়রানি এবং সাইবার নিপীড়নের আশংকা রয়েছে।
ক্রমবর্ধমান নেট-সংযুক্ত বিশ্বে এদেশের শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা অনলাইনে যেসব ঝুঁকি ও বিপদের মুখোমুখি হয় তা কমিয়ে আনতে ইউনিসেফের সহায়তায় সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ “শিশুশের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট” নামে একটি কোর্স চালু করেছে যা সারা বাংলাদেশের শিশুদের অনলাইনে নিরাপদে থাকার জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে সহায়তা করবে এবং সাফল্যজনক ভাবে কোর্স সমাপ্তির পর সনদ প্রদান করবে।
চলমান -
সূত্র -ইউনিসেফ
#গর্ভাবস্থা
Part-1
বলা হয়, প্রতিটি নারীর জীবনে এক অনন্য সময় গর্ভাবস্থা। এই সময়ে শারীরিক এবং মানসিক বিরাট পরিবর্তন আসে। এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে অপেক্ষা করতে হয় সন্তানের আগমনের
আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায় একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই তার আশে পাশের পরিচিত লোকজন বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটা করলে এমন হবে, ওটা করলে ভালো হবে, এটা ব্যবহার করলে সন্তানের জন্য খুব খারাপ এরকম আরো কত যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়! কিন্তু সব কিছুই কি আসলে মেনে চলাটা জরুরী? কিছু ভুল ধারণাও তো থাকতে পারে।
তাই চেষ্টা করেছি বিজ্ঞানভিত্তিক উৎস থেকে এমন সব বিষয় মায়েদের কাছে তুলে ধরতে যা গর্ভাবস্থা এর প্রতিটি ধাপে মায়েদের সাহায্য করবে। এখানে আপনি জানতে পারবেন
গর্ভাবস্থার প্রতিটি সপ্তাহের বিস্তারিত বর্ণনা, গর্ভকালীন জটিলতা,
গর্ভকালীন বিভিন্ন অসুখ ও সমস্যা এবং প্রতিকার, গর্ভকালীন স্বাস্থ্য সম্পর্কে।
সূত্র-myfairyland
#বাচ্চাদেরজন্যঘি
পার্ট-৩
শিশুদের জন্য ঘিয়ের উপকারিতা
ঘি সীমিত পরিমাণে খাওয়ানো হলে শিশুদের জন্য খুব উপকারী হতে পারে। আপনি যদি ভাবছেন, বাচ্চাদের জন্য ঘি ভাল কিনা, এখানে ঘি আপনার শিশুর বিভিন্ন উপায়ে উপকার করে তার তালিকা রয়েছে:
১-ওজন অর্জন করতে সাহায্য করে: ঘি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ক্যালোরিতে পূর্ণ হয়। মায়ের দুধ খাওয়া বন্ধ করার পরে এটি আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
২) হাড়কে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে: ঘিতে ভিটামিন কে থাকে যা শরীরের ক্যালসিয়াম উৎপাদনে সহায়তা করে, যা শক্তিশালী হাড়ের বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
৩) অনাক্রম্যতা বাড়ায়: ঘি তার অ্যান্টিমাইকোবায়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, যা সংক্রমণ, কাশি ও ঠান্ডা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৪- হজমের সহায়ক: ঘি একটি ছোট শৃঙ্খলাযুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড থাক যার নাম বাটয়রিক অ্যাসিড, যা প্রদাহ কমাতে এবং পাচনতন্ত্র উন্নত করতে সহায়তা করে। ঘি এছাড়াও পেটে অ্যাসিড স্রোতকে উদ্দীপনা দেয় যা খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে।
৫) অপরিহার্য ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে: ঘিতে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের জন্য ভাল। এতে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে রয়েছে যা চোখ, ত্বক এবং উন্নত অনাক্রমতার জন্য ভাল। ঘি ডিএইচএ বা ডোকোসাহেক্সএক্সেনোইক অ্যাসিড রয়েছে, যা চোখ এবং মস্তিষ্কের মধ্যে উপস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত ফ্যাট।
#বাচ্চাদেরজন্যঘি
⛔আপনি আপনার শিশুর কতটা ঘি দিতে পারেন?
ঘি আপনার শিশুর বৃদ্ধির জন্য এবং উন্নয়নের জন্য খুবই উপকারী। তবে, প্রতি দিন সীমিত পরিমাণ ঘি ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ঘি হজমে সমস্যা, ক্ষুধা কমানো এবং অতিরিক্ত ওজনের কারণ হতে পারে। এই টেবিল আপনার বাচ্চাদের বয়সের জন্য উপযুক্ত ঘিয়ের পরিমাণ দেওয়া হলো
৬ মাস ১/২ চা চামচ ২
৮ মাস ৩/৪ চা চামচ ২
১০ মাস ১ থেকে ১ ১/৪ চা চামচ ৩
১ বছর ১ থেকে ১/২ চা চামচ ৩
২ বছর ১ ১/২ থেকে ২ চা চামচ
⛔কিভাবে আপনার সন্তানের ডায়েট ঘি অন্তর্ভুক্ত করবেন?
ঘি বিভিন্ন উপায়ে আপনার শিশুর খাদ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। আপনি শিশুর ডাল বা খিচুড়িতে কয়েক ফোঁটা ঘি যোগ করে শুরু করতে পারেন। আপনি শিশুর সবজির পিউরি বা চটকানো আলুতে ঘি যোগ করতে পারেন। ঘিয়ের কয়েকটি ড্রপ শিশুর পেরিজের সাথে যোগ করা যেতে পারে। শিশুদের জন্য, মাখনের পরিবর্তে আপনি চ্যাপটি বা পরোটাতেও ঘি প্রয়োগ করতে পারেন। ঘি তেলের পরিবর্তে অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি সাধারণ লবনাক্ত মাখনের পরিবর্তে ব্রেডে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
চলমান
#বাচ্চাদেরজন্যঘী
ঘি ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯-এর মত অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে-তে ভরপুর। ঘি তার অ্যান্টিমাইকোবালিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। এটি শরীরের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, ক্ষতিকারক মুক্ত র্যাডিকেল অপসারণ করতে সাহায্য করে। ঘি হজমে সাহায্য করে এবং অনাক্রম্যতা ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার জন্য পরিচিত। ভিটামিন কে হাড়ের বিকাশের জন্য অপরিহার্য ক্যালসিয়াম উৎপাদনে সহায়তা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে পারে, এছাড়াও একে শরীরের নিম্ন-ঘনত্বীয় লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) বলা হয়। ঘিতে ডিএইচএ রয়েছে যা মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে এবং স্মৃতিশক্তিকে উন্নত করে। ঘি ক্যালোরিতে বেশি ভরপুর এবং বুকের দুধ খাওয়ানো ছাড়ানোর পরে শিশুদের ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
আপনার শিশুর ডায়েটে কখন ঘি যোগ করবেন?
ঘি ৬ মাস বয়সে আপনার শিশুর খাদ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। আপনি আপনার বাচ্চার মুসুড় ডাল এবং চালএর খিচুড়িতে কয়েকটি ড্রপ যোগ করে শুরু করতে পারেন। শিশুর বৃদ্ধি অনুযায়ী আপনি ধীরে ধীরে এই পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন। যাইহোক, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি প্রতিদিন এক চা চামচের বেশি অতিক্রম দেবেন না। অন্য যে কোন কিছুর সঙ্গেও, ঘি সংযমে খাওয়া উচিত।
চলমান।...
banglla parenting
⛔শিশুর জন্য ডায়পার ⛔
পার্ট -২
ডায়াপারের ব্যবহার
নাগরিক জীবনে ডায়াপারের ব্যবহার বেড়েছে। শিশুর বয়স আড়াই বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ডায়াপার পরানোর প্রচলন রয়েছে। ডিসপোজেবল ও সুতি—দুই ধরনের ডায়াপার শিশুকে পরানো যেতে পারে। আধুনিক মা-বাবা এ রকম পোশাকে নানা রকম সুবিধা দেখতে পান। বিশেষত, বাচ্চাকে নিয়ে কোথাও বেরোনোর সময়। বেশি দামি ব্র্যান্ডের দরকার নেই। খেয়াল রাখতে হবে ভেতরের প্ল্যাস্টিক আবরণ যেন শিশুর ত্বক স্পর্শ না করে। অনর্থক বা বেশি ডায়াপার ব্যবহারে শিশুর মলমূত্র একসঙ্গে মিলে ডায়াপার র্যাশ সৃষ্টি হয়। শিশুকে ডায়াপার পরালে অবশ্যই নিয়মিত তা বদলানোর কাজটি মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। যাতে মলমূত্র ত্যাগের পর তা দীর্ঘক্ষণ শিশুর গায়ে লেগে না থাকে। বাচ্চা একবার প্রস্রাব করলেই ডায়াপার পরিবর্তন করে দিতে হবে। ডায়াপারটি ওজনের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। ডায়াপার যেন বেশি ভারী না হয়। বিষয়টি বাচ্চার জন্য খুবই অস্বস্তিকর। এমনকি অনেক সময় পায়খানা করার পর এটার ওপর বাচ্চাকে দীর্ঘ সময় রেখে দেওয়া হচ্ছে। একবার প্রস্রাব অথবা পায়খানা করলেই ডায়াপার পরিবর্তন করা উচিত।
সতর্কতা
ডায়াপার পরিয়ে আপনি নবজাতককে বাইরে নিয়ে যেতে পারবেন। অনেকে ঘরের ভেতরও দীর্ঘ সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। যদিও তা উচিত নয়। এতে ডায়াপার র্যাশ হওয়ার ভয় থাকে। অবশ্য র্যাশ হওয়ার প্রধান কারণ অতিরিক্ত আর্দ্রতা। এ ছাড়া শক্ত করে শিশুকে ডায়াপার পরালেও শিশুর ক্ষতি হতে পারে। ভেজা জলবায়ু এবং ঠিকভাবে শিশুকে পরিষ্কার না করে ডায়াপার পরালে সমস্যা হতে পারে। শিশু ডায়াপার নষ্ট করার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করা উচিত। যতবার নষ্ট করবে ততবারেই পরিবর্তন করা উচিত। এতে তার নিতম্ব পরিষ্কার ও শুকনা থাকবে। সম্ভব হলে শিশুকে কিছুক্ষণ ডায়াপার ছাড়া উন্মুক্ত অবস্থায় রাখুন। ডায়াপারের র্যাশ দূর করতে পেট্রোলিয়াম জেলি বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
পরিষ্কার থাকতে ও সময় বাঁচাতে
বাচ্চাদের ডায়াপার পরানো খুবই সচরাচর আর সাধারণ একটি ব্যাপার। এটি কর্মজীবী মায়ের সময় যেমন বাঁচায়, তেমনই বাড়িঘর বা কাপড় নোংরা করা থেকেও মুক্তি দেয়। প্রথমদিকে ডায়াপার পরানো বা পরিবর্তন করা একটু কঠিন লাগতে পারে, কিন্তু ধীরে ধীরে একেবারে সহজ হয়ে যাবে। ডায়াপার পরাতে বাবা–মাকে কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হয়। অথবা বাচ্চাদের যারা দেখাশোনা করে, তাদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
আকারে ভিন্নতা
দেশের বাজারে বেশ কয়েক ধরনের ডায়াপার পাওয়া যায়। বাবুর ওজন এবং বয়স অনুযায়ী সঠিক আকারের ডায়পার আপনাকে বাছাই করে নিতে হবে।
দরদাম
মান ও আকারের ওপর শিশুদের ডায়াপারের দাম নির্ভর করে। পিস হিসেবে প্রতিটি ডায়াপারের দাম ১০ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে। দেশের প্রতিটি ওষুধের দোকানে শিশুদের ডায়াপার পাওয়া যায়। এ ছাড়া বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত স্কয়ার, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেটেও শিশুপণ্য পাওয়া যায় এমন দোকানেও ডায়াপার মিলবে।