Feroza

Feroza

��দেশীয় পোশাক ও খাবারের অনন্য সমাহা? ��Handstich cloths Available here��

14/07/2023

Ajker ai SOMOY Tumi amak rekhe chole gieso na ferar deshe

07/03/2023
25/08/2022

বউয়ের সাথে রাগ করে একটা পার্কে এসেছি। পার্কের ভেতরে ঢুকতেই হঠাৎ একটি রঙ্গনফুলের গাছের পাশে বসে থাকা বৃদ্ধ লোক চোখে পড়লো। বৃদ্ধ লোকটার নিরব কান্না আমার রাগটাকে কোথাও হাওয়া করে দিলো। বেঞ্চির সাথে হেলান দিয়ে তাঁর নিরব কান্নার সাক্ষী হয়তো রঙ্গন ফুল আর আমিই হলাম। এই বয়সে জীবনের একাকিত্ব বড্ড পোড়ায়। তাহলে উনি কী সেই কারনেই কাঁদছেন? কিন্তু তাঁর ওই নিরব কান্নায় কোথাও যেন অসহায়তা অনেকাংশে জুড়ে আছে। এক-পা দু-পা করে আমি এগিয়ে গেলাম। তাঁর পাশের খালি জায়গাটা দখল করলাম। আমার উপস্থিতি হয়তো উনি টের পেলেন। একটু সরে গিয়ে আমায় জায়গা করে দিলেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো,তিনি তাঁর চোখের জল মুছলেন না। আমি একটু আশ্চর্য হলাম। আমাকে দেখে একটু লজ্জিত হয়েও উনার চোখের জল মোছা উচিত ছিলো। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। তাঁর কী কোন বিষেস কারণ আছে। এবার যেন আমার কৌতুহল আরো বেড়ে গেলো। আমি তাঁর কাঁধে হাত রেখে বললাম।

_ ও চাচা কাঁদছেন কেন? কেউ বকেছে। অবশ্য ছোট্ট বাচ্চাদের একটু বকা দিলেই তাঁরা কেঁদে দেয়। আপনি তো আর বাচ্চা নন! কি ঠিক বলিনি।

আমার কথায় তিনি কোন ভাবভঙ্গি প্রকাশ করলেন না,সেটা তাঁর চেহারা দেখে বুঝলাম। তাই আরো একটু কাছে এগিয়ে গিয়ে বললাম।

_ আমি তো আপনার ছেলের মতো! ভেতরের কষ্টটা একটু খুলে বলুন।

এবারের কথাটা হয়তো তাঁর মনে ধরেছে। তাই তিনি চোখের জল মুছে আকাশ পানে তাকালেন। আমিও উনার দেখাদেখি আকাশের ওই তিব্র কড়া রোদের দিকে তাকালাম। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মাঝেই আমার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়তে রইলো। পকেট থেকে রুমালটা বের করে চোখটা মুছে নিলাম। বৃদ্ধ
লোকটা তখনো আকাশ পানে চেয়ে আছে৷ আমি কয়েক সেকেন্ড তাকাতে পারিনি,আর সে এখনো তাকিয়ে আছে আশ্চর্য। কিছু বলতে উদ্যোগ হলে তিনি হঠাৎ মুখ খুললেন।

_ বুঝলে বাবা, মা জোর করে এক গরীব ঘরের মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিয়েছিলো। না ছিলো রূপ না ছিলো ভালো কোন গুন। এটাই ভাবতাম এবং ভেবে এসেছি। বাবা ছোট বেলায় মারা যাওয়ায়,মা কষ্ট করে মানুষ করেন। তাই তাঁর কথা ফেলতে না পেরে সিদ্ধান্ত নিলাম ওই গেয়ো মেয়েকে বিয়ে করবো। করলাম বিয়ে। কিন্তু কেন জানি মেয়েটার সাথে আমার বনি বনাত হতো না। তাই তাঁর ভালো খারাপ দু'টোই আমার অসয্য লাগতো। যখনই ভাবতাম ওর সাথে আমার সারাজীবন কাটাতে হবে,বিশ্বাস করো মাথাটা যন্ত্রণায় ফেটে যেত। তবুও মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতাম না। কিন্তু কিছু চাপা রাগ থেকে প্রায় ওকে ঘর বন্দী করে মারতাম। আর বেচারি চুপচাপ সয্য করে নিতো। তারপর কয়েক বছর পর ওর কোল আলো করে জন্ম নিলো আমার সন্তান। খোকার জন্মের দিন মনে হলো,জীবনে হয়তো এই প্রথম কোন কাজ সে করেছে। আমি ছুটে গিয়ে ছেলেকে কোলে নিলাম। এ-গালে ও-গালে চুমুতে ভরিয়ে দিলাম! অথচ যাঁর মাধ্যমে মহান আল্লাহ ওকে আমার ঘরে দিলেন তাঁর খবর একবারও নিলাম না। এভাবেই দিন কেটে বছরে গড়িয়ে গেলে। আগে ওকে বকাঝকা করার কোন কারণ খুঁজে না পেলেও এখন খোকার সূত্র ধরে ওকে আমি প্রায়শই হুমকিধামকি দেই। আর ও চুপচাপ শুনে যায়। খোকার তিন বছর বয়সে মা মারা গেলো। এবার যেন আমি হাতে চাঁদ পেলাম। কথায় কথায় গায়ে হাত তোলা বাবা-মা তুলে কথা বলা এটাই যেন আমার কাজ হয়ে উঠলো। শুধুমাত্র মায়ের শেষ ইচ্ছার জন্য ওকে কখনো ছেড়ে দিতে পারিনি। যাক সে-সব কথা! আসল কথা বলি। ওকে পছন্দ করতাম না বলে,ওর ভালোটাও মনে হতো খারাপ। আমি যখন কোন খাবার আনতাম খোকার জন্য! তখন ও সেটা অল্প কিছু খোকাকে দিতো, বাকিটা রেখে দিতো। আর খোকা তো কান্নাকাটি করে বাড়ি মাথায় তুলতো। আর খোকার কান্না দেখে আমি ভুল ঠিক বিচার না করেই ওকে রাগারাগি করতাম। এটাও বলতাম আমি চলে গেলে তুই খাবি এগুলো। আর ও অসহায়ের মতো তাকিয়ে বলতো।
_ তুমি যা ভাবছো তা না। বাচ্চাদের একসাথে খাবারের সব দিয়ে দিলে,ওদের নজর সব সময় বেশি থাকবে। যখন অভাবের জন্য কম কিছু পাবে,তখন ওদের হবে না।
আর ওর এই কথা শুনে ওকে একটা থাপ্পড় দিয়ে বাকি রেখে দেওয়া খাবার খোকাকে এনে দিতাম। এভাবেই আমি আমার খোকাকে ছোট থেকেই চোখ বড় বানিয়ে দেই। যা চাইতো সেটা সাথে সাথে দিয়ে দেওয়া। যখন লাগবে বলতো,তখনই প্রশ্ন না করে সেটা কিনে দেওয়া। নিজের পছন্দের খাবার না খেয়ে ওকে দিয়ে দেওয়া! মানে একপ্রকার ওকে বেপথে দেওয়ার মতো সব কাজ আমি করেছি। এভাবে সময় গড়িয়ে বহুবছর কেটে গেছে। আমার বয়স ষাটের দশকে গিয়ে ঠেকেছে। ওই বয়সেও আমি আমার স্ত্রীর সাথে আগের মতোই ব্যবহার করেছি। আমার দেখাদেখি ছেলেটাও মা'কে পছন্দ করতো না। কারণ আমি তাঁকে বেপথে চলতে শিখিয়েছি,আর তাঁর মা বাঁধা দিয়েছে সেই পথে হাঁটতে। মেরেছে, বকা দিয়েছে বুঝিয়েছে। সে বড়দের অসম্মান করেলেই তাঁর মা তাঁকে বকা দিতো,আমি কোলে টেনে নিয়ে উল্টো স্ত্রীকে বকতাম। কিছু নেই বলে যখন খোকা মিথ্যা বলতো,তখন ওর মা বুঝাতো! এভাবে মিথ্যা বলতে নেই। আর আমি সেই মিথ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে খোকাকে সেই জিনিস এনে দিতাম। ঝগড়া মারামারি করে খোকা বাড়ি ফিরলে ওর মা রাগ করে যখন ভাত দিতো না। আমি স্ত্রীকে দু'টো কড়া কথা শুনিয়ে খোকাকে পাশে বসিয়ে খাবার খাওয়াতাম। খোকা বড় হলো,বড় হলো তাঁর চাহিদা। বিয়ে করালাম জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে। আমার স্ত্রী বললো,যে বিয়েতে যত কম আয়োজন হবে,সেই বিয়েতে আল্লাহর রহমত তত। ছেলে মা'কে ধমক দিয়ে বললো। _ আমার বাবা-র কি কম আছে নাকি? তোমার তো আমার সব কিছুতেই অসুবিধা। কোন ভাগ্যে তোমার গর্ভে আল্লাহ আমাকে দিলেন আমি বুঝি না।
আর আমি সব কথায় ছেলেকে সায় দিতাম। একদিন রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমার স্ত্রী বললো। - যেভাবে ছেলেটাকে মানুষ করেছো,আমার তোমায় নিয়ে বড্ড ভয় হয়। কবে জানি তোমার ছেলে তোমার কলার ধরে বলবে! এটা আমার চাই মানে চাই। আমি হয়তো সেদিন দেখা'র জন্য বেঁচে থাকবো না। আর বেঁচে থাকতেও চাই না। শুধু প্রার্থণা করি,সেদিন এই অভাগীর কথা যেন মনে পড়ে তোমার চোখের জল না ঝড়ে। যদি সত্যি ঝড়ে না! আমি যদি দেখতে পাই সইতে পারবো না। প্লিজ তুমি সেদিন আমার কথা ভেবে কেঁদো না কিন্তু। আর ওর কথা গুলো শুনে বললাম। কানের ধারে প্যানপ্যান করো না-তো ঘুমাও। কিন্তু আমি কি কোন দিনও ভেবেছিলাম সেই রাত ছিলো শেষ রাত আমাদের পাশাপাশি শোয়ার। ঘুম থেকে উঠে সেদিন হয়তো আমি প্রথম দেখলাম ও এখনো আমার পাশে শুয়ে আছে। জীবনের প্রায় সাইত্রিশ বছর ওর সাথে কাটিয়ে এই প্রথম ওর আগে আমার ঘুম ভেঙেছে। বেপারটা কেন জানি সাধারণ মনে হয়নি আমার। ওকে নিশ্চুপ হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে আমার খুব ভয় হলো। খুব ভয়! ছোট বাচ্চাদের যেমন কেউ চমকে দিলে ভয় পায়, ঠিক তেমন ভয়। আমি খুব নরম করে সেদিন ওকে ডেকেছিলাম। আর মনে মনে বলছিলাম, আমি যা ভাবছি তা যেন সত্যি না হয়। কিন্তু আমার ভাবনা মিথ্যা করে দিয়ে ও সেদিন ওঠেনি। আমি হঠাৎ খাট থেকে নিচে পড়ে গেলাম। চিৎকার করে খোকাকে ডাক দিলাম। খোকা আর খোকার বউ ছুটে এলো। অল্প সময়ের মধ্যে পুরো এলাকায় খবর ছড়িয়ে গেলো ও আর পৃথিবীতে নেই। জোহর বাদ দেওয়া হলো মাটি। ওর চলে যাওয়াতে হয়তো কেউ কষ্ট পায়নি,তাই আমাদের বাড়িটা মৃত বাড়ি মনে হয়নি। রাত বারার সাথে সাথে সকল আত্মীয় স্বজনরা বাড়িতে চলে গেলো। রইলাম শুধু আমি খোকা,খোকার বউ। ওরা নিজেদের মতো করে ঘরের দুয়ার আঁটকে দিয়ে শুয়ে পড়লো। আমি বারান্দায় বসে রইলাম প্রায় অনেক রাত। যখন ঘরে এলাম,তখন বুকটা ধক করে উঠলো। ওই প্রথম আমি ওর শূন্যতা অনুভব করলাম। মনে করতে রইলাম ওর সকল কথা। আস্তে আস্তে সব কিছু পাল্টে গেলো। যে সন্তানের কাছে আমি বেস্ট বাবা ছিলাম! আজ তাঁর কাছে বোঝা হয়ে উঠলাম। এখন আর আমার খাবারের খোঁজ কেউ নেয় না। খোকা তো জানেই না,আমি ঠিক মতো তিনবেলা খাবার খাই কিনা। অথচ নিজের পছন্দের খাবার গুলো নিজে না খেয়ে ওকে খাইয়েছি। আজ ওর কথা বড্ড মনে পড়ে। ও বলতো সন্তান হচ্ছে নরম কাঁদার মতো,যেমন গড়বে তেমন গড়াবে। আমি ওকে খারাপ গড়েছি তাই ও খারাপ হয়েছে। কখনোই আমি ওর কথার গুরুত্ব দেইনি। ও বলেছিলো,ছেলেকে মানুষ করো,মানুষের মতো দেখতে অমানুষ নয়। সেদিন এই কথার জন্য ওকে কি মা'রটাই না দিলাম। নিজের বলতে আজ আর কিছু নেই। সব নিয়ে গেছে খোকা। শেষ সম্বল বলতে আছে বাড়িটা। আজ সেটার জন্যও আমার দিকে তেড়ে এসেছে। বলে আমার ব্যবসার জন্য টাকা দরকার। তুমি যদি ভালোয় ভালোয় না দেও দরকার হলে তোমায় খুন করবো। আর কি বলবো বলো তো? আজ মনে হচ্ছে সেদিন রাতের বলা কথা গুলো। ও হয়তো সঠিকটা জানতো। আজ আমি আমার জীবনের কর্মফল পাচ্ছি। এটাই আমার পাওয়ার ছিলো। আমার ভুল ছিলো না,ছিলো অন্যায়! হ্যা অন্যায়। আজ আমি কাঁদছি কেন এটা তো হওয়ারি ছিলো। হ্যা হওয়ারি ছিলো।

এই একটা কথা বলতে বলতে বৃদ্ধ লোকটা সামনের দিকে চলে গেলো। আস্তে আস্তে আমার চোখের আড়াল হয়েও গেলো। আমি কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে ভাবলাম। তাহলে আজ আমার স্ত্রী যে কথা গুলো বললো সেটা পুরোপুরি সঠিক। আমার সাত বছরের ছেলেটা আমার পকেট থেকে বিশ টাকা না বলে নিয়েছে। এই জন্য আমার স্ত্রী আমার ছেলেকে বকেছে,যাঁর জন্য ছেলে আজ খাবার খায়নি দুপুরে। অনেক বোঝানোর পরেও যখন ছেলে খাবার খায়নি। তখন ছেলেকে দু'টো চড় দিয়েছে। অন্যায় করবে আবার রাগ দেখাবে এই ঘরে সেটা হবে না। আজ বিশ টাকা নিয়েছো,কাল ত্রিশ টাকা। আস্তে আস্তে তোমার লোভ বারবে। ঘরে পাবে না, বাইরে চোখ যাবে। অফিস থেকে ফিরে ঠিক এগুলোই শুনলাম। ছেলের গালের লাল হয়ে যাওয়া চড়ের দাগ দেখে মাথা গরম করে স্ত্রীকে গালাগাল দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমার টাকা নিয়েছে ওর কি সমস্যা। কিন্তু এখানে এসে বুঝলাম টাকা আমার নিলে কি হবে। সন্তান আমার চুরি করেছে। কোন কিছু না বলে নেওয়া মানেই চুরি। তাহলে আমিও তো ওই চাচার মতো নিজের সন্তানকে ভুল পথে পরিচালনা করছি। বাড়িতে গিয়ে আগে আমাকে ছেলেকে বুঝাতে হবে। তারপর ছেলের মায়ের রাগ ভাঙতে হবে। কারণ সে তো ভুল নয় সঠিকটা বোঝাচ্ছে আমার সন্তানকে। আমার সন্তান যেন কোন ভুল পথে পা না বারায়। তাহলে ভুল তো আমার, আমার স্ত্রী নয়।

সমাপ্তি
#ভুল_শিক্ষা
#সমুদ্রিত_সুমি

এটা গল্প, কিন্তু কোথাও আমি বাস্তবতা থেকে লিখেছি। শিক্ষা বড় কঠিন জিনিস। সবাই দিতে জানে না! আর কেউ বুঝতে জানে না।

https://www.facebook.com/groups/357890235145760/

Photos from Feroza's post 24/04/2021

ডাব এর পুডিং

Website