Debo Yoga
Debo Yoga - YouTube Channel
অনেকে জিজ্ঞাতে আসে - পেটের মেদ কী করে কমাব...?
যাদুর কাঠি কারো কাছে নেই। আত্মশাসনের লাঠি নিজেরই হাতে।
শরীরে সনাক্ত ভারসাম্যহীনতা না থাকলে, ধরতে হবে সমস্যাটির শিকড় রয়েছে জমা-খরচের হিসাবে।
পেটের মেদ স্বাস্থ্যের জন্যে গুরুত্বর ঝুঁকি আনে। ঔষধ আপনার জীবনকে চালাতে দেওয়ার আগে, জেনে নিন। না বুঝে নিজের কবর নিজের হাতে খোঁড়াবেননা।
এই ব্যপারে সর্বজনীন কিছু পরামর্শ থাকলেও, নিজের জীবন-যাপন দেখে ও বুঝে পদক্ষেপ নিবেন।
** পানি বেশি বেশি বেশি করে খাবেন
** কুসুম গরম পানি ক্ষুধা দূর করে, নর্মাল পানি পিপাসা দূর করে। ঠান্ডা পানি খাবেননা
** ঠিক মত ঘুম পাড়বেন
** সপ্তাহে দুই দিন সন্ধ্যার পরে পানি/দুধ ছাড়া আর কিছু খাবেননা (পারলে অভ্যাসটি রোজ ধরে রাখবেন)
** junk food, চিনি ও মিষ্টি, তেলে ভাজা স্নাক্স, আনুষ্ঠানিকভাবে খাবেন, পারলে বাদ করবেন
** ভাতের পরিমান কমাবেন, ঋতু-অনুযায়ী দেশীয় কাঁচা ফল ও সবজী খাবেন
চিত্তের গতি যেমন আলোর মত দ্রূত, স্থুল শরীরের গতি তেমন মাটির মত ধীর। পরিবর্তন আনতে ধৈর্য ও জেদ চাই।
সবাই সুস্বাস্থ্যে ও সৎ আনন্দে থাকুক।
জয়গুরু
YouTube: https://youtu.be/D6aogVi_mfk
কাঁধে ও ঘাড়ের ব্যথা, থাইরোইডের অনিয়ম, মাইগ্রেন, মানসিক টেনশন - এই সহজ ব্যায়াম সিরিজ রোজ করলে সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার সাহায্য করে। যতবার করতে মন যায়, ততবার করা যাবে একদিনে।
আসনটি স্থির করে রাখতে হবে। দম চলতে থাকবে সহজে, গভীরে, ধীরে ও নীরবে। মেরুদন্ড লম্বা, মেরুদন্ডের চূড়া (গুরুমস্তিষ্ক) আকাশের দিকে টানবে।
জয়গুরু।
*********************
This very short and easy sequence can help alleviate pain in the shoulders or neck, imbalance of the thyroid gland, migraine, and mental stress. It should be done everyday, and can be done as many times as necessary in a day.
The seat should be anchored and steady. The breath shall flow freely, deeply, slowly and quietly. The spine shall remain long, with the top of the neck (the atlas) being pulled towards the sky.
YouTube: https://youtu.be/lW78Yp06Vjs
আজ যোগচর্চার প্রবেশে আমার যোগাসনের সর্বপ্রথম পরম্পরায় গুরুকে স্মরণ করার মন্ত্র বলতে মন চাইল। কিন্তু কোনো ভাবেই মনে আসছেনা... খুঁজতে লাগলাম, আর মুখে ও মনে ঠিক করতে করতে জপটা আবার অন্তরে চলে এল। চর্চাটি চলতে লাগল আসনে আসনে, দমে দমে... তখন একটা কথা মনে পড়ল - খাদ্যাভাস নিয়ে।
অনেকে মুখের রুচি খুঁজতে খুঁজতে সুস্বাস্থ্য হারিয়ে ফেলে। মনের খাঁটি তৃপ্তি অগ্রাহ্য করে থাকে। আমার নিজের হাতে রান্না-বান্নায় এই কথা মেনে চলি - সেবা নেওয়ার সময় নাকে যদি গন্ধ লাগে, সেবা নেওয়ার পরেও মুখে বা হাতে যদি স্বাদটা থেকে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার খাদ্যাভাসে ভোগ ও লোভের সিহ্ন পাওয়া গেল। তাতে সকলেরই কাম্য "আয়ু, বল, আরোগ্য, সুখ ও প্রীতি" পাওয়াটা অনেক মুস্কিল হয়ে পড়বে, আজ না হয় কাল বা পর্শুই। নিরামিষে পুষ্টির কোনো অভাব নেই, জ্ঞানে পুষ্টি কম থাকতে পারে।
ছবিতে সৃষ্টির ত্রিগুণ থেকে খাদ্যের তিনটা বিভাগ (সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক), তাদের অর্থ, উপাদান ও ফলাফল সহ লেখা পাওয়া যাচ্ছে।
"সকালে বাদশাহ্, দুপুরে রাজকন্যা, রাতে ফকির" এবং
"দুই ভাগ খাদ্য, এক ভাগ জল, এক ভাগ বায়ু"
এই পরিমানে অভ্যাস করুন।
জেনে নিন... নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন... নিয়ে পালন করতে থাকুন উত্থান-পতনে। আপনার জীবন যে রূপ ধারণ করবে সেটা শুধুমাত্র ভাগ্যের বিষয় নয়। জিহাদই ধর্ম। কর্মের ফল কাওকে ফাঁকি দেয়না।
"লোকা সমস্ত সুখিনো ভবন্তু" - সুখ, চেতনা ও আনন্দ হোক সকলেরই জীবনের প্রাপ্তি।
জয়গুরু।।
সূত্র: "খাদ্যনীতি ও শিশুপালন বিধি", স্বামী শিবানন্দ সরস্বতী (বরিশাল-কামাখ্যা)
যোগ চর্চা মাত্র বাহ্য রূপ ও আসন নিয়ে নয় - আসনের চর্চার ফলে, দীর্ঘক্ষণ যে বসে থাকতে পারে ধ্যানে ডুবে, সেই যোগী।
ধ্যানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা।
সূত্র - তন্ত্রাভিলাষীর সাধুসঙ্গ"
লেখক - প্রমোকুমার চট্টোপাধ্যায়
For those who wonder about meditation.
যারা ধ্যান নিয়ে প্রশ্ন করে, মা আনন্দময়ীর কথাগুলো তাদের ভেবে এখানে শেয়ার করে রাখলাম। জয়গুরু।
GOOD SIGN, HINDRANCE, STAGNATION IN MEDITATION
Suppose the body had been suffering from some pain or stiffness - lo and behold, after meditation it feels perfectly hale and hearty, with not a trace of fatigue or debility.
It is as if a long period of time had elapsed in between, as if there had never been a question of any discomfort. This would be a good sign.
But if tempted at the first touch of Bliss to allow oneself to be drowned in it, and later to declare : "Where I was, I cannot say, I do not know," - this is not desirable.
As one becomes capable of real meditation, and to the extent that one contacts Reality, one discovers the ineffable joy that lies hidden even in all outer objects.
If on the other hand one loses oneself as it were, lapsing into a kind of stupor while engaged in meditation, and afterwards claims to have been steeped in intense bliss, this sort of bliss is a hindrance.
If the life-force seems to have been in abeyance -just as one has a sense of great happiness after sound sleep - it indicates stagnation. It is a sign of attachment, and this attachment stands in the way of true meditation, since one will be apt to revert to this state again and again; although from the standpoint of the world, which is altogether different, it would seem a source of profound inward joy and therefore certainly an indication of spiritual progress.
To be held up at any stage is an obstacle to further progress - it simply means one has stopped advancing.
While engaging in meditation, one should think of oneself as a purely spiritual being (cinmayi), as Self-luminous, poised in the Bliss of the Self (atmarama), and in accordance with the Guru’s instructions, try to concentrate on one’s Ista.
~ Shree Anandamayee Maa
~ Sri Anandamayi Maa
জীবনের অর্থটা কি?
আমি কে?
ধর্ম মানে কী?
এই তিনটি প্রশ্ন মনে জাগলে, সাধনার প্রতি আমাদের নিষ্ঠা স্থির হয়ে যায়। আর তো কোনো উপায় নেই পরম শান্তি ও নিত্যানন্দ খুঁজে পাওয়ার...
** "শ্রীকৃষ্ণ-দ্রৌপদী কথোপকথন" **
-
একবার দ্রৌপদী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে প্রশ্ন করেছিলেন, "হে গোবিন্দ, আমি কে? আমার জীবনের উদ্দেশ্য কি? কি করলে আমার জীবন সার্থক হবে? কি করলে আমি পরমশান্তি লাভ করবো? হে সখা বলুন, উত্তর দিন কৃপা করে।"
-
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মৃদ্যু হেসে বললেন, "এতো প্রশ্ন একসাথে! আচ্ছা, ঠিক আছে। তুমি কে? সেটা তো কেবল তুমিই জানতে পারো! আর হ্যা, যখন তুমি জেনে যাবে তুমি কে! তখন আমি কে? সেটাও তুমি জানতে পারবে।"
-
দ্রৌপদী বললেন, "আমি কে! সেটা আমি কিভাবে জানতে পারবো? আর আমার জীবনের উদ্দেশ্যই বা কি?"
-
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন, "নিজেকে ব্যক্তি তখনই জানতে পারেন! যখন ব্যক্তি আত্মজ্ঞান লাভ করে। আর সে তখন বুঝতে পারে, আসলে তার জীবনের উদ্দেশ্য কি! আর কি করলেই ববা তার জীবন সার্থকতা লাভ করতে পারে। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর তখনই প্রাপ্ত হবে, যখন সে আত্মজ্ঞান লাভ করবে। তাই সখী দ্রৌপদী, তোমার আত্মজ্ঞান অর্জন করতে হবে।"
-
দ্রৌপদী বললেন, "আমি আত্মজ্ঞান কিভাবে লাভ করবো? আমাকে সব বুঝিয়ে বলুন দয়া করে।"
-
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন, "আত্মজ্ঞান তো ব্যক্তি তখনই লাভ করতে পারে। যখন সে ধর্মকে হৃদয়ে ধারন করতে পারে। আর যখন তার হৃদয়ে ধর্ম ধারন হয়, তখন সে তার স্বরুপ উপলদ্ধি করতে পারে। আর সে স্বয়ং জগতের সমস্ত বিষয়ে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে পারে। আর তার উদ্দেশ্য, তার কর্তব্য, তার কর্ম সমস্ত কিছুকেই সে জানতে পারে।"
-
দ্রৌপদী বললেন, "ভগবান আমি ধর্ম কি তা কিভাবে জানবো? আর কিভাবেই তা হৃদয়ে ধারন করবো? আর আমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই বা কিভাবে পাবো?"
-
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন, "ধর্মকে জানতে হলে, প্রথমে ধর্মের আধারকে জানতে হবে। এই আধারইখধর্মকে জানতে ও ধারন করতে সাহায্য করবে ধর্মের হলো পাঁচটি আধার। যা হলো,
-
১। জ্ঞান= জ্ঞানই মানুষকে সত্য দর্শন করায়,
২। প্রেম= মানুষের হৃদয়কে শান্ত করে,
৩। ন্যায়= মানুষের কর্তব্য ও কর্মকে জানিয়ে দেয়,
৪। সমর্পন= যা মানুষের ভক্তি ও শ্রদ্ধাবান করে তুলে আর
৫। ধৈর্য= যা মানুষকে সমস্ত কার্যের শক্তি প্রদান করে।
-
এই সমস্ত গুলোই ধর্মের আধার। আর যখন মনুষ্য এই আধারকে আয়াত্ত্ব করে নেয়, তখন সে ধর্মকে জানতে ও হৃদয়ে সহজেই ধারন করতে পারে। আর তার সমস্ত প্রশ্ন ও তার উত্তর সমস্ত কিছুই তার কাছে সহজলভ্য হয়ে যায়। জগতের সমস্ত জ্ঞান এই আধারের মধ্যেই নিহিত আছে। কিন্ত সবাই তা বুঝতে পারে না।
-
হে সখী দ্রৌপদী, তোমাকে আগে এই আধারকে অর্জন করতে হবে। যদি তুমি এই আধার গুলোকে আয়ত্ব করে নাও, তবে তুমি তোমাকে ও তোমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে। আর তুমি স্বয়ং আমাকেও জানতে পারবে। আর তাতেই তোমার জীবনের সার্থকতা লাভ হবে।"
-
দৌপদী সখা শ্রীকৃষ্ণের কথা গুলো হৃদয়ঙ্গম করে, স্বস্থির নিঃশ্বাস ছেড়ে, সচ্চিদানন্দ ভগবানকে বার বার ভক্তি ভরে প্রনাম করলেন। আর আত্ম তৃপ্তিতে পরমানন্দ লাভ করলেন।
-
"জয় ভক্তসখা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ"
-
✍ পোষ্ঠটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। যাতে অনেকে পড়তে ও জানতে পারে।
**************************
লেখা - সংগৃহীত
ছবি - Kabir Hossain
(Fakir Nahir Shah & Ma Rashida Fakirani)
কুমারি পূজো নিয়ে গত দুএকদিন ধরে পড়ছি। আমার নিজের ধর্মের না হলেও, এই অভ্যাসটার বিপক্ষে হতে পারিনি। বুঝিয়ে বলি।
কঠোর নারীবাদী যারা এই উপমহাদেশে, তাদের দাবি হচ্ছে পুরুষতন্ত্র নারীকে একদিনে বড় করাটা অপমানজনক... সতুরং বাকি ৩৬৪ দিনে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে নিজের সুবিধা ও আত্মসুখের আশাতে।
যেদেশে আমি বড় হয়েছি, সেই দেশে ১৯৬৮ সালের সামাজিক বিপ্লব বা অন্দলনের কারণে, এই রকম সামাজিক বা ধার্মিক অভ্যাস অনেক কিছু বাদ হয়ে পড়েছে। কিন্তু অবশ্য পুরুষতন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি বললে চলবেই। এত প্রকাশিত থাকেনি আর এই তো... চালাকি রূপ ধারণ করেছে মাত্র। যেমন একজন চোর যখন বুঝতে পারে তারে ধরার জন্যে পুলিশের যন্ত্রপাতি তার থেকে একটু বেশি ভালো হয়ে গেছে, তখন নতুন উপায় খুঁজে তার পেশাটা পালন করতে থাকে। (অহংকারের খেলাও তাই, স্মরণ করে দিলাম মাঝপথে...)
আমার ঐ জন্মের দেশে, সব বিজ্ঞানি তথ্য দেওয়া হয়। শারীরিক জ্ঞান রবটের প্যার্টসের মত বুঝান হয়। কিন্তু রূপকথা শেয়ার করা হয়না আর। যেটা একজন মানুষের জীবনের মধ্যে সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এত গুরুত্বপূর্ণ কেন... কারণ মানুষ এই সব সামাজিক বা ধার্মিক রূপকথা ও কর্ম থেকে নিজের জীবনের দীশ বা অর্থ খুঁজে পাই। অশৃঙ্খল বাস্তব জগতকে গুচানর পথটা পায়।
আমার দৈহিক পরিচয় নারী... এটা নিয়ে অস্বীকার করবে না কেউ। ফলে আমার মানসিক পরিচয়ও নারী - অপ্রকাশিত লিঙ্গকেন্দ্রিক শিক্ষার কারণে। যদিও সাধনা করলে তার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আত্মিক পরিচয় নিলে গেলে তো সেই লিঙ্গের বিষয়টি হারিয়ে যাই। কেননা, শারীরিক ও মানসিক অস্তিত্ব ইন্দ্রিয়কেন্দ্রিক, স্থান-কালে বন্দি। চেতনা যখন বাস্তবকে ধরতে যায় উত্তর-দক্ষিণ বুঝতে, তখন বুঝা যায় আমার পরিচয় নারী। কিন্তু যখন চেতনা চেতনায় ডুবে যায়, তখন পরিচয় বলতে আর কিছুই থাকেনা। তখন অসীম সৎ, প্রেম, আনন্দ মাত্র থাকে।
দু:খের বিষয় হচ্ছে আমি কাঠমিস্ত্রি বা লোহকার বা চিত্রশিল্পী হতে পারিনি... হতে পারতাম যদি, তাহলে আমার এই বিশেষজ্ঞতাটি অন্যের চোখে পড়ে যেত। তাদের চোখে পড়েনা বলে, আমি নারীই... এবং মাঝেমধ্যে যেভাবে আমি মান-সম্মান পেতে চাই, সেইভাবে প্রকাশ করা লাগেই। নিজের সামাজিক, শারীরিক ও মানসিক সীমানা নিজেই দেখান লাগেই, নিজেই বুঝান লাগেই।
তাই... একান্তভাবে আমি কুমারি পূজোর পক্ষে। কারণ এই সব রূপকথা যেদিন আমরা হারিয়ে ফেলি, সেদিন সামাজিক সবচেয়ে ক্ষতিকর ডাইনামিক্সগুলো চতুর-চালাক হয়ে যায়। সেদিন পুরুষতন্ত্রের আসল জয় স্বীকৃতি করা লাগে। সেদিন নারীর জীবনে অপ্রয়োজন কষ্ট আরও বাড়িয়ে যায় - প্রকৃতি বা জন্মসূত্রের দোহাইতে। নারীর সব কথাবার্তা, কাজ-কাম, কাপড়-পোষাক নিয়ে সমালোচনার সুযোগ আরও বেশি তৈরি হয়, মনোযোগ এদিকে গিয়ে এই এত বড় অন্যায় আর স্বীকার করেনা।
এই পূজার পক্ষে আমি কারণ আশা করতে পারি, স্বপ্ন দেখতে পারি, যে সব নারী তাদের জীবনে মাত্র একবার হলেও, সুন্দরভাবে সাজান হবে, আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের শারীরিক ও মানসিক পরিচয়ের গুণকির্তন করা হবে, শুদ্ধ-শ্রদ্ধেয়ভাবে... কিন্তু মাত্রই এই ব্যাক্তিগত পরিচয়ের কারণে যেন করা হয় - বংশ-জাত-বর্ণ-চেহারার কারণে নয়, পুরুষকে খুশি বা আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে নয়, একটা সন্তানের মা হওয়ার ফলেও নয়। নিজেরই জন্যে। এককথা - পুরুষজড়িত বস্তু হিসেবে নয়। যে ধর্মের হোকনা কেন। কারণ সব সময় নারীর আত্মমর্যাদা নিজেই দখল করা লাগেই। সামান্য এইটুকি সামাজিক সহায়তা বা ব্যবস্থা থাকলে দোষ কোথায়? একটা মৃৎ মূর্তি চাইতে, মানব জাতীর অর্ধেক অংশকে এইটুকি স্বস্তি দেওয়া কি উচিৎ নয়? কারণ হাঁ - নারী তুমিও সুন্দর, তুমিও দক্ষ, তুমিও দামি। তুমিও ভালোবাসা, মনোযোগ, ভালো ব্যবহার পাওয়ার যোগ্য।।
জীবনের স্রোতে ভাসতে ভাসতে এবার একটা উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের গুরু ফকির নহির শাহের জীবনযাবত পরিশ্রমের ও সাধনার বিশাল একটা ফলাফল হচ্ছে তাঁর বাণির সংকলন। দুষ্প্রাপ্য বাণি দিয়ে সাধুগুরু তাঁদের দিব্য জ্ঞান, আধ্যাত্মিক তত্ত্ব, সাধন তথ্য, আদেশ-উপদেশ ও ভক্তি-সমর্পণ, প্রকাশ করে আসছেন শত শত বছর ধরে। আধুনিক কালে, এই অমুল্য ধন হারাতে যাচ্ছি - শুনানর সুযোগের অভাবে, স্রোতার আগ্রহের অভাবে দুটি। কিন্তু এই যোগ সাধনার জ্ঞান বর্তমান জগতের জন্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সর্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক, গভীর আত্মজ্ঞান আত্মান্বেষণের পথটি যার নাম মরমীয়া, তাকে ধারণ করলে আসলেই রাজ্যের সম্পদ বিফল হয়।
গতকাল আমাদের আশ্রমে সাঁইজীর কন্ঠে জালালউদ্দিন শাহের বাণী ধারণ করা হল। সুক্ষ্ম শরীরের চক্রের বর্ণনা। জয়গুরু জয়গুরু।
ধ্যান কী করে করা যায়... কোন লক্ষবস্তু নিয়ে, কোন সময়, কতক্ষণ... নতুন করে এই চর্চাটি ধরতে গেলে, এই সব প্রশ্ন সবারই কম-বেশি থাকে। আজ একটি ভিডিও পোস্ট করলাম ইউটুবে, একটি কর্মঠ ধ্যানের পদ্ধতি দেখাতে।
ধ্যান চর্চার শুরুতে অনেকের জন্যে চুচাপ বসে থাকা কাজটা কঠিনে কঠিন। মন বা মনোযোগ উড়ে বেড়ায়, শরীর অস্থির হয়ে যায়... তাই বিশেষভাবে তাদের জন্যে এই প্রকার ধ্যান প্রযোজ্য।
আবার নিজের প্রাণশক্তি যদি একবারও অনুভব করতে পারি, যদি অনুভব করতে পারি আমাদের শারীরিক সীমানা আসলে কোথায় দাঁড়ায়, আমাদের অন্তরে কত বড় একটি আজব রহস্য থাকে বিদ্যুত বা চুম্বক রূপে, তাহলে আত্মানুসন্ধান অনেক এগিয়ে যায়। এবং মোহে জড়িত দু:খও অনেকটা দূর হয়।
অবশ্যই কোনো সমস্যা-অসুবিধা, মন্তব্য বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে বা মেসেজ পাঠিয়ে জানাবেন।
জয়গুরু জয়গুরু।।
https://youtu.be/RB76_M9EN2c
Feel your Aura - Active Meditation // আপনার প্রাণশক্তি ও আসল শারীরিক সীমানা অনুভব করুন - কর্মঠ ধ্যান জয়গুরু জয়গুরু। প্রাণশক্তি ঐশ্বরিক শক্তি, বিদ্যুৎ বা চুম্বক রূপে। তাকে অনুভব করার লক্ষ্যে মরমিয়া বা যোগ সাধনা করি...
** sound on ! (live speed x 40)
পেটে বিড়বিড়, হৃদে দামদাম
রক্ত ভুড়ভুড়, পিঁপড়ে সুড়সুড়,
চোখে ঢুলঢুল, মনে হুলহুল,
পায়ে ঝিনঝিন, নূর তো মিনমিন...
পৃথীবির ঘুর্গণ, প্রকৃতির জাগরণ
নীরবতায় কোন সাধন-ভজন।।
-----------------------------
Rumbling belly, heart beating
Sticky eyes, restless mind
Coursing blood, ants tickling
Pins and needles, light still eluding...
The rotation of the Earth,
Nature awakening,
Whoever said
"silence I am meditating"?
রূপকশোভিত একটি গল্প... আপনার আত্মা এই গাছের মতন। প্রেম তার সৌন্দর্য, ও ঘৃণা তার ধ্বংসের কারণ।
কয়েক মাস আগে বাগানে এক ধরণের খুব ছোট, সাদা নরম পোকা এসেছিল। তার প্রধান কাজ, জবা গাছের আগাতে, বিশেষভাবে পুষ্পকে ঘিরে, বাসা তৈরি করা। এই ছোট পোকাকে খাওয়ার জন্যে, এসে হাজির হল মাছি, অগ্নি পিঁপড়া, ও আমার প্রিয় লেডিবাগ। ছোট সাদা পোকাটি দেখে প্রথমে বেশি কিছু ভাবিনি। কিন্তু পোকাটি দিনে দিনে বেশ জাঁকিয়ে উঠল। যেখানে পোকাটি ধরেছিল, মনে হচ্ছিল গাছের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পাতা লাল হয়ে পড়ে গেল, পুষ্প না ফুটে নষ্ট হয়ে গেল। একটা গাছ মরে গেল, বাকিগুলো শুকিয়ে নগ্ন হয়ে যাচ্ছিল। আমরা শুরুতে খুব সাধারণ প্রতিষেধক ব্যবহার করেছি - লিকুইড সাবান, বেকিং সোডা। কিছুই হলনা। গাছের কিছু অংশ কাটতে হল। তাও সমাধান হয়নি। শেষবেলায়, কীটনাশ বিষ ব্যবহার করতে লাগলাম। তাও একবার শুধু নয়, চার বার। ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরছে।
সকাল বেলায় আমার গাছের খোঁজে গেলাম। তখন মনে হল এই ক্ষুদ্র নরম পোকা একটি রূপক মাত্রা। ঘৃণার একটা প্রতিক। বেশিরভাগই কিছু ঘৃণা সহ্য করতে থাকি, নিজের মনে ও অন্যের মুখে। কিন্তু ঘৃণা তার আদিবস্তুতে থামেনা। যুক্তিপূর্ণ সীমানা মানেনা। অথচ তাকে সামান্য জায়গা দিলে সে বৃদ্ধি পায়। আপনার আত্মা থেকে শুরু করে, সম্পর্ক ও সমাজ নষ্ট করে ফেলে। এর রসায়ণ ঠিক করা অনেক মুষ্কিল একটা লড়াই। এখনই শুরু করুন। সচেতন হয়ে উঠুন। কোনো খারাপ অতিবিচারক চিন্তা-ভাবনা আসলে মনে, যার প্রতি হোকনা কেন (নিজের প্রতি হলেও), মনোবল দিয়ে তার বিনিময়ে সহিষ্ণু প্রেম বসান। আপনি যদি একজন স্রষ্টাকে বিশ্বাস করেন, যদি বিশ্বাস করেন এ আজব জগতে, তাঁর সর্বশক্তির প্রেমে প্রাণ বেঁচে থাকে, তাহলে তাঁর সর্ব সৃষ্টিকে ভালোবাসতে শিখে নিন। হন ও হতে দিন।
A metaphorical tale... Your soul is like this tree. Love is its beauty, and hate, the cause of its ruin.
A few months ago, the softest tiniest white insect landed in our garden. His favourite activity seemed to be to nest by the ends of hibiscus branches, especially around new blossoms. Red ants, flies, and my personal favourite, ladybugs, were attracted to it. So we didn't think much of it. Then I started noticing how it kept multiplying, and how it started to strangle the trees. One tree died, the others dried up until they were naked. We started retaliating gently - liquid soap, then baking soda. To no avail. I had to cut the parts that were most infected. In the end, chemical insecticide became the only solution. It had to be sprayed 4 times. Now life is slowly starting again.
As I came to look at what was left of my trees this morning, I realised this white insect is a metaphor. It stands for hate. We let hate go, tolerate a little bit of it in ourselves and others. But hate does not stop at it first object. It does not respect logical boundaries. It keeps growing, taking over and slowly choking your soul, your relationships, your society. And reversing this chemistry is one of the hardest fights. So start today. Stay alert to your negative judgmental thoughts about others (and yourself). Consciously choose to replace them with loving kindness. If you believe in a Creator that sustains and loves life in this chaotic universe, how can you not love Its Creation - all of it? Learn to live and let live.
আমার সাথে যোগচর্চা করুন। সকাল বেলায় আমার সাধারণ চর্চা রিকর্ডিং করে ফেলেছি।
No spoken word, only the tumult of life outside, breath, concentration and self-consciousness. Today I shared my morning practice on YouTube...
কোনো কথা নেই, সোজা ৫০ মিনিট ১৫ ধাপে পূর্ণ একটি চর্চা। কেউ বলবে বাহির থেকে এত গোলমাল, কেউ বলবে জীবন তো এরকম।
ইউটুব ভিডিওটির নিচে লেখার মধ্যে কিছু তথ্যমূলক লিংক পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন থাকলে জানাবেন, মতামত জানাবেন। জয়গুরু।
চর্চা তালিকা :
১/ দয়া ও লক্ষ্যবস্তু
২/ সূর্যনমস্কার (https://youtu.be/g5tPHXZjAW0)
৩/ সূর্য় ধরা
৪/ পবনমুক্তাসন
৫/ মর্মস্থল শক্তি
৬/ সেটুবাঁধাসন
৭/ বিপরিতকরণী
৮/ গোটাগুটি
৯/ শীর্ষাসন (https://youtu.be/hGKa4P-Ud88)
১০/ সর্বাঙ্গাসন
১১/ মৎসাসন
১২/ শবাসন (সচেতন নিদ্রা) (https://youtu.be/KdN6ZidrYag)
১৩/ প্রাণায়ম - কপালভাতি (https://youtu.be/Mm15Bhc7HBI)
১৪/ প্রাণায়ম - অনুলোম-বিলোম (https://youtu.be/IaBHYIfR2Xs)
১৫/ ধ্যান (কৃতজ্ঞতা) (https://youtu.be/jVcBtW64QWQ)
https://youtu.be/hpFp86CP3-c
আমার সাথে যোগচর্চা করুন! ৫০ মিনিট ১৫ ধাপ পূর্ণ একটি চর্চা - কোনো কথা নেই, তথ্যমূলক ভিডিও নিচে দেও Full Yoga Practice in 50 Minutes, 15 Steps: 0:00 ১৫ ধাপে পূর্ণ একটি যোগচর্চা0:15 দয়া ও লক্ষ্যবস্তু (Set Intention)0:57 সূর্যনমষ্কার (Sun Salutations)8:54 সূর...
a-অ-א-ا-अ-α
রাজনীতি ও বৈষম্য যখন সব কথাবার্তা রঙ্গায়
অহংকারী সমাজ যখন অন্তর অরাজকতা বাড়ায়
সব কিছুই যখন অর্থহীন হয়ে যায়...
আমার আশ্রমে ফিরে আসি।
শান্তির পথ এখানে:
ভাষাহীন একাকিত্বে।
দম সাধনা অপরিসীম ঐকতানের সেবা,
শুদ্ধ স্পন্দন সত্য।।
When all words are muddled with politics and discrimination
When unkempt societies intensify the inner chaos
When everything loses meaning and direction...
This is where I find refuge, solace.
This is my path back to peace.
Wordless loneliness,
The control of my breath serving the limitless,
The truth of pure vibration.
নূর, রুহর লিঙ্গ নাই। প্রাপ্তি জ্ঞানে, প্রমান ত্যাগে। লিঙ্গ ভেদাভেদ আপনার কামলিপ্ত চোখে। মুক্তি খুঁজুন।
-- সব ধারে জ্যোতির্ময় পথটি যারা দেখাচ্ছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উল্লেখ্য করলাম। নাম, দায়িত্ব ও দেশ ছবির সাথে যুক্ত। তাদের চেনার অনুরোধ রইল।
Light, Soul, has no gender. Attainment is in your wisdom, and your sacrifice is the only proof needed. Gender is only in the eyes of those still enslaved by sexual pulsions. Seek liberation.
Some trailblazers from all walks and talks, highlighted below. Name, responsibility and location with each picture. Get to know them.
Sherin Khankan - Imam - Denmark
Kahina Bahloul - Imam - France
Saliha Marie Fetteh - Imam - Denmark
Cemalnur Sargut - Murshid - Turkey
Hayat Nur Artiran - Murshid - Turkey
Alysa Stanton - Rabbi - USA
Rachel Isaacs - Rabbi - USA
Delphine Horvilleur - Rabbi - France
Shira Marili Irvis - Rabbi - Israel
Radhika Dasi - Aghori Mahant - India (Germany)
Mira Alfassa - Integral Yoga - India (France)
Ma Shoroshi Prajna - Atiyoga Ta**ra - India
Monk Linda - Orthodox Christianism - Greece (Mexico)
Patricia Fresen - Roman Catholic Bishop - South Africa
Rev. Cristina Grenholm - Lutherian Priest - Sweden