Islamer Aloe Jibon Gori
Assalamu Alaikum Warohmatullahi wabarakatuh."প্রচার করো,যদি একটিম?
100% Islam
♥ мυslιм ♥) The 99 names of OUR CREATOR 1 Allah (الله) The Greatest Name 2 Ar-Rahman (الرحمن) The All-Compassionate 3 Ar-Rahim (الرحيم) The All-Merciful 4 Al-Malik (الملك) The Absolute Ruler 5 Al-Quddus (القدوس) The Pure One 6 As-Salam (السلام) The Source of Peace 7 Al-Mu'min (المؤمن) The Inspirer of Faith 8 Al-Muhaymin (المهيمن) The Guardian 9 Al-Aziz (العزيز) The Victorious 10 Al-Jabb
“ বেনামাজী ব্যক্তির জন্য আরাফার রোজা নেই ! ঈদের নামাজও নেই ! কুরবানীও নেই ! আগে ফরজ । তারপর সু্ন্নত ।” MQM Saifullah Mehruzzaman
সাধারণভাবে ঈদুল আযহা এবং এর পরের তিন দিন (আইয়ামে তাশরিকে) রোযা রাখা হারাম। কিন্তু বিশেষ তিন শ্রেণীর মানুষের জন্য জায়েয। আসুন জেনে নেই , তারা কারা?
----------------------------------
প্রশ্ন: কাদের জন্য কুরবানীর পরের আইয়ামে তাশরীকের তিন দিন রোযা রাখা জায়েয?
উত্তর:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল আযহার দিন ও তার পরে আইয়ামে তাশরীকের তিন দিন (জিলহজ্ব মাসের ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ- মোট চার দিন) সব ধরণের রোযা রাখা নিষেধ করেছেন। চাই তা কাযা হোক, মানত হোক অথবা নফল হোক। তবে তিন শ্রেণীর মানুষের জন্য আইয়ামে তাশরীকের তিন দিনও রোযা রাখা জায়েয। এর সবগুলোই হজ্জের সাথে সম্পৃক্ত। নিম্নে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হল:
❐ ১) তামাত্তু অথবা কিরান হজ্জকারী ব্যক্তি যদি হাদী (কুরবানী) দিতে না পারে তাহলে সে দশটি রোযা থাকবে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
فَمَن تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ ۚ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ ۗ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ۗ ذَٰلِكَ لِمَن لَّمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ
“আর যে ব্যক্তি হজ্জ ও ওমরা একত্রে একই সাথে পালন করতে চাও, তবে যা কিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা কোরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জ্বের দিনগুলোর মধ্যে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি তাদের জন্য, যাদের পরিবার পরিজন মসজিদুল হারামের আশে-পাশে বসবাস করে না।” (সূরা বাকারা: ১৯৬ নং আয়াত)
উল্লেখ্য যে, মক্কার তিনটি রোযা হয় ইহরাম এর পর থেকে শুরু করে আরাফা দিবসের (কারও মতে ইয়ামুন নহর বা কুরবানীর দিনের) পূর্বেই শেষ করবে অথবা আইয়ামে তাশরীকের তিন দিন রাখবে।
❐ ২) কেউ যদি ইহরামের নিষিদ্ধ কাজগুলোর মধ্যে কোন একটি করে তাহলে তাকে ফিদিয়া দিতে হবে।
আর ফিদিয়া হল:
❖ একটি দম তথা একটি ছাগল/দুম্বা জবাই করে হারামের সীমানার মধ্যে গরিব লোকদের মাঝে বিতরণ করে দিতে হবে। সেখান থেকে কিছুই নিজে খাওয়া যাবে না। কিন্তু কেউ যদি আর্থিক অসচ্ছলতা বা কোন কারণে দম দিতে না পারে তাহলে
❖ তিনটি রোযা থাকবে (এ তিনটি রোযা আইয়ামে তাশরীকের তিন দিনও রাখা জায়েয)
❖ অথবা ছয়জন গরিব-অসহায় মানুষকে খাদ্য দান করবে। প্রতিজনকে আধা সা তথা প্রায় সোয়া কিলো পরিমান খাদ্যদ্রব্য।
এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন:
فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِّن رَّأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِّن صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ
“যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা সদকা করবে অথবা কুরবানী করবে।” (সূরা বাকারা: ১৯৬)
এ ব্যাপার হাদীস:
عن كعب بن عجرة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم مر به زمن الحديبية فقال: «قد آذاك هوام رأسك» قال: نعم. فقال النبي صلى الله عليه وسلم: «احلق، ثم اذبح شاة نسكا، أو صم ثلاثة أيام، أو أطعم ثلاثة آصع من تمر على ستة مساكين» رواه البخاري، ومسلم
কাব ইবনু উজরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়ায় তার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, পোকাগুলো কি তোমার মাথায় উপদ্রব করছে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, মাথা মুড়িয়ে ফেল। অতঃপর একটি বকরী কুরবানী কর অথবা তিন দিন সাওম পালন কর অথবা ছয়জন মিসকিনকে তিন সা খেজুর খেতে দাও।” (সহীহ বুখারী এবং সহীহ মুসলিম- সহীহ মুসলিম এর হাদিস নম্বর 2753-(ইফাঃ) ]
❐ ৩) কোন ব্যক্তি যদি হজ্জের কোন ওয়াজিব পরিত্যাগ করে তাহলে তাকে একটি দম দিতে হবে।
তবে দম দিতে না পারলে দশটি রোযা থাকবে। তিনটি মক্কায় আর সাতটি বাড়ি ফিরে আসার পর [অর্থাৎ তামাত্তু বা কিরান হজ্জকারী যদি হাদী (কুরবানী) দিতে না পারে তাহলে রোযা রাখার ক্ষেত্রে তার জন্যও একই হুকুম।]
এটি জুমহুর এর অভিমত। শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায ও অনুরূপ ফতোয়া দিয়েছেন।
তবে কোন কোন আলেম বলেন, ওয়াজিব তরক কারী দম দিতে না পারলে তার জন্য রোযা রাখা বা অন্য কিছু করণীয় নাই আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়া। কেননা, এ মর্মে দলিল পাওয়া যায় না। যেমনটি বলেছেন আল্লামা উসাইমীন রাহ.।
আল্লাহু আলাম।
-------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ,জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
হিসনুল মুসলিম
দোআ: [১১৯] আরাফাতের দিনে দো‘আ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “শ্রেষ্ঠ দো‘আ হচ্ছে আরাফাত দিবসের দো‘আ। আর আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে:
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَی كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর
তিরমিযী নং ৩৫৮৫; আর শাইখুল আলবানী সহীহুত তিরমিযীতে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, ৩/১৮৪; অনুরূপভাবে সিলসিলা সহীহায় ৪/৬।