Jamiat Ulama_e_Islam Bangladesh জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
JAMIAT-E ULAMA-E ISLAM BANGLADESH
এরা জমিয়তের 🔯 তারকা-
------------------------------------
"জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ" দেশের প্রাচীন, সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য, আলেম- উলামা বুজুর্গানে দ্বীনের আস্থাভাজন একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল।
১৯৮২ সালে হাফিজ্জি হুজুর রাহ.র নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে জমিয়ত হারালো- জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়েখুল হাদিস
🔯 ০১. মাওলানা আজিজুল হক রাহ., কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষক খলিফায়ে মাদানী
🔯 ০২. মাওলানা আব্দুল গফফার শায়েখে মামরোখানী রাহ, সাবেক এমপি
🔯০৩. মাওলানা উবায়দুল হক উজিরপুরী রাহ, ও সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক
🔯 ০৪. প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান রাহ. এর মতো একঝাঁক জমিয়ত নেতৃবৃন্দের সোনালী কাফেলা।
২০০১ সালে জামায়াত- বিএনপির জোটে যোগদান করার ইস্যুতে মতানৈক্য সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে আবার হারালো- কেন্দ্রীয় জমিয়তের নাইবে আমির সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সভাপতি মদফুনে মক্কি হযরত
🔯০৫. মাওলানা আব্দুল হক শায়েখে গাজিনগরী রাহ., কেন্দ্রীয় জমিয়তের যুগ্ম সম্পাদক সিলেট জেলা জমিয়তের তুখুড় আন্দোলনী নেতা
🔯 ০৬. মাওলানা শফিকুল হক আমকুনি রাহ., সিলেটের বিশাল জনগোষ্ঠীর রাহবার সিলেট জেলা জমিয়তের সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতা শায়েখুলহাদিস
🔯০৭. মাওলানা আলিম উদ্দিন দুর্লভপুরী, শায়েখুল হাদিস
🔯০৮. মুফতি মাওলানা নুরুল হক জকিগঞ্জী, সিলেট জেলা জমিয়তের সদস্য
🔯০৯. মাওলানা তহুরুল হক জকিগঞ্জী,
🔯১০. মাওলানা মামুনুল হক জকিগঞ্জী,
🔯 ১১. মাওলানা আব্দুল মুকিত পংকবটি, জকিগঞ্জী, কেন্দ্রীয় নেতা
🔯১২. এডভোকেট মুহাম্মদ আলী,
🔯১৩. মাওলানা শামসুদ্দিন দুর্লভপুরী,
🔯১৪. মাওলানা ইউসুফ শামপুরী,
🔯১৫. মাওলানা হেলাল আহমদ হরিপুরী,
🔯১৬. মাওলানা রুহুল আমিন আসাদী,
🔯 ১৭. মাওলানা আব্দুল জব্বার লামনিগ্রামী,
🔯 ১৮. মাওলানা নজরুল ইসলাম তাওয়াক্কুলী,
🔯১৯. মুশতাক আহমদ ধনকান্দী,
🔯 ২০. মাওলানা নিজাম উদ্দিন রানাপিঙ্গী সহ বৃহত্তর জৈন্তা, সুনামগঞ্জ জেলা, জকিগঞ্জ গোলাপগঞ্জ উপজেলার ছোট্ট বড় অনেক নেতাকর্মী।
২০১৮ সালে গঠনতন্ত্রের নির্বাহী সভাপতি'র ধারা এবং খেলাফত মজলিস থেকে সদ্য জমিয়তে যোগদানকারী নেতাদের পদায়ন সংক্রান্ত জটিলতায় মতবিরোধের প্রেক্ষিতে তৃতীয়বারের মতো হারালো- সাবেক মন্ত্রী, জমিয়তের বিচক্ষণ রাজনৈতিক নেতা, পনরো বছরের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক,
🔯২১. মুফতি ওয়াক্কাস রাহ. কেন্দ্রীয় প্রচার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সভাপতি এবং সিলেট জেলা জমিয়তের সফল সাধারণ সম্পাদক শায়খুল হাদীস
🔯২২. মাওলানা মনছুরুল হাছান রায়পুরী, সাপ্তাহিক জমিয়তে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
🔯 ২৩. মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি
🔯২৪. শেখ মুজিবুর রহমান, পরবর্তী ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি,
🔯 ২৫. ড. মাওলানা মুহিউদ্দীন একরাম, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি
🔯 ২৬. মাওলানা অলিউল্লাহ আরমান, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি
🔯 ২৭. মুফতি জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা
🔯২৮. মুফতি আরিফ বিল্লাহ, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিলেটের ছাত্র নেতা
🔯 ২৯. মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী,
🔯 ৩০. প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান,
🔯৩১. মাওলানা আব্দুল মালিক মোবারকপুরী,
🔯 ৩২. মাওলানা আব্দুল মতিন ধনপুরী,
🔯 ৩৩. মুফতি খন্দকার হারুনুর রশিদ ফতেহপুরী সহ বিপুল পরিমাণ রাজনৈতিক চেতনাধারী বুনিয়াদি জমিয়তের বিচক্ষণ এক সুযোগ্য কাফেলা।
জমিয়তের সাংগঠনিক রাজনীতির ইতিহাসে শুধু ছিটকে পড়ার এমন অপরিণামদর্শী রাজনীতির শৃঙ্খল ভেঙে দিয়ে সকল গ্রুপ ও সুমহান ব্যক্তিদেরকে পুনরায় জমিয়তের প্লাটফর্মে
একত্রিত করার চিন্তা ভাবনা ও
পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য কাজ করা এখন সময়ের দাবি।
মুখলিসুর রাহমান রাজাগঞ্জী।
২৪-০৯-২২.
JUInews BD তে জেলা/মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে
👉 প্রত্যেক জেলা/মহানগর থেকে পেইজের সম্পাদনা পরিষদের জন্য ২জন করে দক্ষ প্রতিনিধি।
👉 প্রত্যেক থানা ও উপজেলা থেকে ২জন করে (নিউজ লিখায় পারদর্শী) রিপোর্টার নিয়োগ দেয়া হবে। কাজের দক্ষতার উপর স্টাপ রিপোর্টার পদোন্নতি করা হবে।
রিপোর্টার্সদের কাজ হলো নিজ নিজ উপজেলা/থানা অধীন সকল ইউনিয়ন/ওয়ার্ডের কার্যক্রমের নিউজ/ছবি/ভিডিও সংগ্রহ করে স্ব-স্ব জেলা/মহানগর প্রতিনিধিদের কাছে পৌছানো।
জেলা প্রতিনিধিগণের কাজ হলো রিপোর্টার্সদের সংগৃহীত নিউজগুলাকে (প্রয়োজন অনুসারে) সম্পাদন করে মূল পেইজে পাবলিশ করা এবং পাবলিশকৃত পোষ্টের লিংক রিপোর্টার্সদের কাছে পৌছে দেওয়া।
🏁প্রতিনিধিদের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী:
* আগ্রহীদের অবশ্যই মূল সংগঠন বা সহযোগী সংগঠনের যেকোন শাখার দায়িত্বে থাকতে হবে।
* নিঃস্বার্থে ও বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করার মনমানসিকতা থাকতে হবে।
* অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অবহেলা প্রকাশ করলে জবাবদিহিতা করতে হবে।
* জেলা/মহানগর প্রতিনিধিগণ নিজ জেলাধীন যেকোন সম্পাদকীয় দায়িত্বে থাকতে হবে।
* উপজেলা ও থানা প্রতিনিধিগণ উপজেলার যে কোন সম্পাদকীয় পোস্টে থাকতে হবে।
বিঃদ্রঃ সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, প্রেস সংগঠের দায়িত্বশীল, তথ্যপ্রযুক্তি ও মিডিয়া বিষয়ে অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আগ্রহী প্রার্থীগণ নিজের
নাম:
ঠিকানা:
দায়িত্বরত শাখা:
পদবী:
মোবাইল:
মিডিয়া অভিজ্ঞতা:
উপরোক্ত পূরণ করে JUInews BD এর ফেসবুক পেইজ মেসেঞ্জারে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য: প্রত্যেক প্রতিনিধিকে পেইজের পাশাপাশি একই নিয়মে JUInews BD পাবলিক গ্রুপ পরিচালনা করতে হবে।
মাল্টার দ্বীপে কঠিন পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া কাফেলার নাম জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।
আল্লামা নাজমুল হাসান কাসেমী
সাংগঠনিক সম্পাদক
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
আজ ঢাকায়, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ঘেইটে ,
জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আয়োজনে, তেল গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিবাদে, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল, অনুষ্ঠিত হয়।
১৯/০৮/২০২২
শুক্রবার, বাইতুল মোকাররম
ঢাকা।
একদিকে সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষক জনতার মাথায় হাত, ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি। এর মাঝেই হঠাৎ রাতের আঁধারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, এতকিছুর পরেও পেপার-পত্রিকা খুললে দেখতে হয়; ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিদের মুখে শুনতে হয় দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। এটাই যদি হয় উন্নয়নের চিত্র তাহলে এই উন্নয়ন এদেশের মানুষ চায় না।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতির প্রতিবাদে সোমবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বায়তুল মুকাররম উত্তর গেইটে ঢাকা মহানগর জমিয়তের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের #কেন্দ্রীয়_মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর জমিয়তের আজকের বিক্ষোভ মিছিল।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াকে নিরুৎসাহিত না করে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার আইন বাতিল করতে হবে।
................জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ...........JAMIAT-E ULAMA-E ISLAM BANGLADESH
নির্বাচনকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে।
.............................জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ.............................JAMIAT-E ULAMA-E ISLAM BANGLADESH
নির্বাচনকে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করতে এবং সংঘাত-সহিংসতা এড়াতে প্রতীক বরাদ্দ থেকে নির্বাচন পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
......................................................জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ...…......................................JAMIAT-E ULAMA-E ISLAM BANGLADES
জাতীয় নির্বাচনে সকল দলের সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি) নিশ্চিত করতে হবে।
_____________জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
____________JAMIAT-E ULAMA-E ISLAM BANGLADES
JAMIAT-E ULAMA-E ISLAM BANGLADESH
JAMIAT-E ULAMA-E ISLAM BANGLADESH
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে।
____________জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
____________JAMIAT-E ULAMA-E ISLAM BANGLADESH
বাংলাদেশের নারী-পুরুষ ভোটার জনতার অধিকাংশই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট প্রদানে অভ্যস্ত নয় বিধায় ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটেই ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
______________জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
দলের মহাসচিব আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর নেতৃত্বে ই.সি এর সাথে সংলাপে যোগ দিল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
মূল বক্তব্যসহ জমিয়তের ১১ দফা দাবী ও প্রস্তাবনা।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে নির্বাচন কমিশনের চলমান সংলাপে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের বক্তব্য ও প্রস্তাবনা
তারিখঃ২৬/০৭/২০২২ইং
সর্বপ্রথম আমরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি এবং সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ একটি শতবর্ষী ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে বহুমাত্রিক কাজ আঞ্জাম দেওয়ার পাশাপাশি সৎ,দক্ষ ও বিশ্বস্ত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচনগুলোতে বরাবরই অংশগ্রহণ করে আসছে।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমরা অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী, তবে এর জন্য সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা দূর করে যথোপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে মনে করি।
যেহেতু জনগণের ভোটাধিকার সংরক্ষণ করা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা,যেহেতু একটি কল্যাণকর আদর্শ রাষ্ট্র বিনির্মাণে এই ভোটাধিকারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি এবং সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া যেহেতু দুর্নীতির মূলোৎপাটন সম্ভব নয়,তাই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন অবাধ,অর্থবহ,নিরপেক্ষ ও ত্রুটিমুক্ত নির্বাচনের আয়োজন করতে সাংবিধানিক ভাবেই দায়বদ্ধ। আমরা আজ সর্বাগ্রে মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও শ্রদ্ধেয় কমিশনারবৃন্দকে এই দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নিম্নোক্ত প্রস্তাবনা ও দাবীসমূহ উপস্থাপন করছি।
১. অতীত অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবী আমরা আগেও করেছি এখনো করছি।এমনকি ইসি গঠন সংক্রান্ত সংলাপে অংশ নিয়ে আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছেও এই দাবী জানিয়েছি।
২.সকল দলের সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী) নিশ্চিত করতে হবে।
৩.নির্বাচনকে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করতে এবং সংঘাত-সহিংসতা এড়াতে প্রতীক বরাদ্দ থেকে নির্বাচন পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রার্থী,সমর্থক ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে
৪.বাংলাদেশের নারী-পুরুষ ভোটার জনতার অধিকাংশই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট প্রদানে অভ্যস্ত নয় বিধায় ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটেই ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৫.প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সকল প্রার্থীর এজেন্টগণের উপস্থিতিতে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার আইন শতভাগ কার্যকর করতে হবে।
৬.নির্বাচনকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে।
৭.স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াকে নিরুৎসাহিত না করে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার আইন বাতিল করার প্রস্তাব করছি।
৮.কেন্দ্র দখল,জাল ভোট প্রদান এবং ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাঁধা প্রদানের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. জনমনে বিতর্ক ও প্রশ্ন সৃষ্টি হয় এমন বক্তব্য প্রদানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১০.ত্রুটিমুক্ত ব্যবস্থা প্রবর্তন করে প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাদেরকে ভোট প্রদান প্রক্রিয়ার আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
১১.বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সঙ্গত কারণে এ দেশে ইসলামী রাজনীতির চর্চা থাকাটা খুব স্বাভাবিক। সুতরাং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাহীন ও জনসমর্থনহীন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের আবেদন জানাচ্ছি।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন। আমীন।
মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী
মহাসচিব
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
অবিলম্বে ডা. জাফরুল্লাহকে তওবা করতে হবে এবং বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।
সম্প্রতি ডা. জাফরুল্লাহর একটি ভিডিও বক্তব্য ফেসবুকে দৃষ্টিগোচর হয়। ভিডিও দেখে মনে হয় বক্তব্যটি তিনি কাদিয়ানী তথা আহমদী জামাতের কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে রেখেছেন। বক্তব্যে তিনি আহমদী সম্প্রদায়ের গুণ কীর্তন গাইলেন। তাদের সাহস যোগালেন। তাদের সহযোগিতার ঘোষণা দিলেন। এক পর্যায়ে আহমদী জামাতের জয় কামনা করলেন। তার মতে আহমদী জামাত সত্যিকার অর্থে ইসলাম প্রচার করে থাকে। মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকেও বলে দাবি করলেন। তিনি মনের থেকে কাদিয়ানীদের শ্রদ্ধার কথাও বললেন। তাদের সাথে আছেন বলেও জানালেন। তার মতে আহমদীরা সঠিক ইসলামের উপর আছে। তিনি আফ্রিকায় কাদিয়ানীদের কার্যক্রম স্বচক্ষে দেখারও দাবী করেন।
ধৃষ্টতাপূর্ণ এ বক্তব্যের পর ডা. জাফরুল্লাহ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি কি কাদিয়ানীদের চর?
তিনি কি আহমদী ধর্মাবলম্বী?
তিনি কি সাম্রাজ্যবাদীদের এজেন্ট?
তিনি কি কারো হয়ে এ দেশে কাজ করছেন?
তিনি কি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বশেষ নবী বলে বিশ্বাস করেন না?
তিনি কি জানেন না মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ নবী?
তিনি কি জানেন না তারপরে কোনো নবীর আগমন ঘটবে না?
তার কি কুরআনের প্রতি বিশ্বাস নেই?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের বিশ্বস্ততার উপর ঈমান নেই?
তিনি কি জানেন না মুসলমানের পরিচয় কি?
তিনি কি জানেন না ইসলামের সংজ্ঞা কি?
ডা. জাফরুল্লাহ ধৃষ্টতা পূর্ণ এ বক্তব্যে মুসলমানদের অন্তরে তার প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়েছে। তিনি কি কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের পরিচয় জানেন না? কাদিয়ানীদের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে তিনি অবগত নন? কাদিয়ানীরা কাদের সৃষ্ট? কোন উদ্দেশ্যে তাদের তৈরি করা হয়েছে? তাদের মিশন কি? এ সব কি ড. জাফরুল্লাহ অবহিত নন?
মুসলিম উম্মার সর্বসম্মত মতে কাদিয়ানীরা অমুসলিম, কাফির সম্প্রদায়। তারা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বশেষ নবী বলে বিশ্বাস করে না। তারা পাঞ্জাবের গোলাম আহমদ নামক এক নরাধম কে নবী বলে মানে। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী এবং তার পুর্ব পুরুষরা ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের দালাল ছিল।
কুরআন, হাদীসের ভাষ্যমতে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন সর্বশেষ নবী। তারপরে আর কোনো নবী আগমন ঘটবে না। নবী হওয়ার দাবীদার কুরআন, হাদীসের দৃষ্টিতে অমুসলিম, কাফের, জিন্দিক, মুরতাদ হিসেবে গণ্য। যারা মিথ্যা দাবীদারকে নবী বলে মানবে তারাও ইসলামী শরীয়তের আলোকে অমুসলিম, কাফির । যারা তাদের সমর্থন করবে, সহায়তা করবে, সাহস যোগাবে, তাদের পক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিবে, তাদের জয় কামনা করবে, তাদের মুসলমান বলবে, তারাও কাফের, মুরতাদ ইসলাম ধর্ম থেকে খারিজ হয়ে যাবে। এটি মুসলিম উম্মার সর্বসম্মত মত।
কোনো কোনো মুসলিম দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম সম্প্রদায় হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলামী পরভাষা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যান্য অমুসলিমদের ন্যায় আহমদি জামাত তথা কাদিয়ানীরাও অমুসলিম হওয়ায় পবিত্র মক্কা-মদীনায় প্রবেশাধিকার নেই।
উলামায়ে কেরাম এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে আন্দোলন করছেন। তাদের ঈমান বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সাধারণ মুসলমানদের সচেতন করে আসছেন। মসজিদে মসজিদে খতিব সাহেবগণও তাদের হীন উদ্দেশ্য সম্পর্কে বয়ান করে থাকেন। এরপরও ডক্টর জাফরুল্লাহ কিভাবে আহমদীদের ভালো মুসলমান বললেন?
কে মুসলিম কে অমুসলিম এ প্রশ্ন তোলার অধিকার কারো নেই বলে জাফরুল্লাহ সাহেব তার বক্তব্যে বলেছেন। এ কথা কিসের ভিত্তিতে বলেছেন তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে পবিত্র কুরআন হাদীসে মুসলমানের পরিচয় সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত হয়েছে। শুধু তাই নয় কাফির, মুশরিক, মুরতাদ, ইহুদী, খ্রীষ্টানের পরিচয়ও সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তারপরও যদি তিনি এধরনের অবান্তর কথা বলেন, তাহলে তাকে জ্ঞানপাপী ছাড়া কি আর বলা যেতে পারে।
অবিলম্বে ডা. জাফরুল্লাহকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। ইসলামের মৌলিক আকীদ-বিশ্বাস বিরোধী বক্তব্য দেয়ায় তওবা করতে হবে। আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
আর যদি তা না করেন, তাহলে তাকে বয়কট করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব হয়ে দাঁড়াবে। তাকে কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া যাবে না। তার কোনো অনুষ্ঠানেও যোগদান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
#জমিয়তে_উলামায়ে_ইসলাম_বাংলাদেশ 🌴🌴🌴
বন্যাকবলিত জনপদগুলোর বেহাল দশা, আসুন! আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে বানভাসি নারী-পুরুষদের সেবায় নিজেকে যুক্ত করি।
সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি দেখে বিবেকবান কারোই মনের অবস্থা ভাল থাকার কথা নয়। পরশু দিন বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী জমিয়তের পক্ষ থেকে সাধ্যমত ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে সরেজমিনে ভয়াবহতা ও অসহায়ত্বের যে চিত্র দেখে এসেছি, গতকাল ও আজকের চিত্র সেখানে তার চেয়েও আরো বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দলমত নির্বিশেষে যারা যারা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে আক্রান্ত জনতার পাশে এগিয়ে আসছেন আল্লাহ তাদের সকলের কুরবানী কবূল করুন।(আমীন)
দুর্ভোগ-দুর্দশার যেখানে কোন সীমাপরিসীমা নেই সেখানে পঞ্চাশ-ষাট লক্ষ টাকার ত্রাণ পর্যাপ্ত হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। এমনিতেই মুষলধারে বৃষ্টি, সাথে আরো পাহাড়ি ঢল! এমতাবস্থায় কোথায় আশ্রয় নেবে মানুষ? কী খেয়ে তারা দিনাতিপাত করবে? বৃহস্পতিবার হেমুতে ত্রাণ বিতরণ শেষ হওয়ার পর একজন অসহায় বৃদ্ধা নারী নৌকা নিয়ে ছুটে এলেন কিছু পাওয়ার আশায়। ত্রাণসামগ্রী শেষ হয়ে যাওয়ায় তার হাতে নগদ একটা হাজার টাকা দেওয়ার পর তার চোখ-মুখ দেখে আমার মনে হয়েছে তিনি যেন অনেক কিছু পেয়েছেন। হ্যাঁ বিপদের সময় সামান্য একটু সাহায্য কিংবা সামান্য একটু সান্ত্বনা বিপদগ্রস্তের নিকট অনেক বেশি মনে হয়। সামর্থবান প্রত্যেকের অল্প অল্প সাহায্য আসলে কিন্তু অল্প নয়। সবারটা একত্রিত করলে হয়তো কয়েকজন সংকটাপন্ন মানুষের জন্য যথেষ্ট হতে পারে।
তাই আসুন! আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে বানভাসি নারী-পুরুষদের সেবায় নিজেকে যুক্ত করি এবং দোয়া-ইস্তেগফারে মনযোগী হই।
قال النبى صلى الله عليه وسلم إرحموامن فى الأرض يرحمكم من فى السماء
اللهم تغمدنا برحمتك وانصرنا نصرة تغنينا عن نصرة غيرك يا خير الراحمين ويا خير الناصرين
মাওলানা Monzurul Islam Afendi
মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
Jamiat-e ulama-e-islam Bangladesh 🌴🌴
Jamiat-e ulama-e-islam Bangladesh 🌴
মহানবীর অবমননার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে কার্পণ্য করলে ভারতকে চরম মাশুল দিতে হবে।
-জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেছেন: ভারতের বিজেপি সরকার ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরত নানামুখী চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
কোথাও মুসলিম হত্যা, কোথাও মসজিদ ধ্বংশ, কোথাও জয়শ্রীরাম শ্লোগান দিয়ে মুসমানদের উপর নির্যাতন করা,কোথাও শরয়ী পর্দা হিজাব নিষিদ্ধ করা,কখনো কোরআন অবমাননা করা, কখনো মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মাদ সা.এর ব্যাপারে নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালদের দ্বারা ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করানো। এসবই সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে বিজেপির গভীর ষড়যন্ত্র। এমন ষড়যন্ত্রের পরিণাম কখনোই শুভ হবেনা।
মুসলিম বিশ্ব এবার জেগে উঠেছে, প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে পৃথীবীর সর্বত্রই। মহানবী সাঃ এর ইজ্জত রক্ষায় মুসলমানরা জীবন বিলিয়ে দিতেও কার্পণ্য করেনা।এটাই চিরন্তন বাস্তবতা।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্পষ্ট ভাষায় আরো বলেছেন মহানবীর অবমাননার অপরাধে
কুলাঙ্গার নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে কার্পণ্য করলে ভারতকে চরম মাশুল দিতে হবে।
মানবকুলের মুক্তিদূত হযরত মুহাম্মাদ সা.এর ব্যাপারে নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালদের ধৃষ্ঠতাপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে আজ ১০ জুন শুক্রবার বাদ আসর বাইতুল মোকাররম উত্তর গেইটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশের বক্তব্যে জমিয়ত নেতারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব উক্ত সমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন দলের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, অফিস সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার ছয়ঘরী,যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা বশিরুল হাসান খাদিমানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল আলম,পাঠাগার সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, ছাত্র জমিয়তের সভাপতি এখলাছুর রহমান রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক হুজায়ফা উমর প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে শাইখুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন পৃথিবীতে সকল ধর্মাবলম্বী ছিল কিন্তু মনবতা, শিক্ষা ও সভ্যতা কিছুই ছিলনা। হযরত মুহাম্মাদ সা.-ই মানুষকে সর্বপ্রথম মানবীয় এসব গুণাবলীর শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং ভারতকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী আচরণ বন্ধ করতে হবে। নতুবা সারা দুনিয়া এক সময় ভারতকে বয়কট করার ডাক দিতে বাধ্য হবে।
শাইখুল হাদীস মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী ওআইসিকে একটি আদালত বসিয়ে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সা. সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার দায়ে ভারতের নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালের বিরুদ্ধে শরিয়া মোতাবেক একটি রায় ঘোষণার আহবান জানিয়ে বলেছেন এই রায় গোটা মুসলিমবিশ্ব অনুসরণ করবে।
জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন পবিত্র কুরআনের সূরা আহজাবের ৬নং আয়াতে মহান আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন "নবী মুহাম্মাদ সা. মুমিনদের কাছে তাদের নিজেদের চেয়েও অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ মু'মিনদের মা" সুতরাং মানবকুলের শান্তি ও মুক্তিদূত হযরত মুহাম্মাদ সা.এর ইজ্জতে আঘাত করা হলে মু'মিনগণ প্রতিবাদ না করে থাকতে পারেনা। তিনি আরো বলেছেন অবশ্যই সরকারকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং জাতীয় সংসদের চলমান বাজেট অধিবশনে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করে রাষ্ট্রীয় ভাবে এই ধৃষ্ঠতার প্রতিবাদ করতে হবে।
নীতির বিষয়ে আজীবন আপোষহীন মুফতী মাহমুদ রহ.
(মুফতী মাহমুদ রহ. ছিলেন অখণ্ড পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন জমিয়তের সভাপতি ও সীমান্ত প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। পাকিস্তানে বর্তমান সময়ে অন্যতম শীর্ষ রাজনীতিবিদ মাওলানা ফজলুর রহমান মুফতী মাহমুদ রহ.-এর বড় ছেলে।)
বৃটিশ আমলের ঘটনা। বালক মাহমুদ তখন ক্লাস এইটে পড়াশোনা করে। একদিন স্কুল পরিদর্শনে আসেন এক ইংরেজ অফিসার। মাহমুদকে জিগ্যেস করেন, বড় হয়ে কি হতে চাও? উত্তরে মাহমুদ বলেন, হিন্দুস্তানের মাটি থেকে আপনাদের বিদায় করবো। স্কুলের প্রিন্সিপাল ঘাবড়ে গিয়ে বালক মাহমুদকে এক পাশে নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে কথা না বলতে বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার অফিসারের সামনে নিয়ে আসেন। প্রিন্সিপাল ইংরেজ অফিসারকে বললেন, স্যার আপনি এই ছেলেকে আবার প্রশ্ন করুন। অফিসার একই প্রশ্ন আবার করলে বালক মাহমুদ উত্তরে বলেন, বড় হয়ে আমি হিন্দুস্তানের মাটি থেকে ইংরেজ ও ইংরেজদের দোসর এই প্রিন্সিপালকে বিদায় করবো!
নীতির বিষয়ে বাল্যকাল থেকেই এমন আপোষহীন ছিলেন মাহমুদ, যিনি পরবর্তীতে পরিচিত হোন মুফতী মাহমুদ নামে।
সীমান্ত প্রদেশের পাঠান পরিবারে জন্ম নেওয়া মুফতী মাহমুদ খান ছিলেন মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানীর ছাত্র এবং রাজনৈতিক মতবাদের অনুসারী। তাই তিনি মুসলিম লীগের পরিবর্তে কংগ্রেসকে সমর্থন করতেন।
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় মুফতী মাহমুদ দেশ ভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। একারণে পাকিস্তান সৃষ্টির পর তাকে হয়রানিরও শিকার হতে হয়েছিল।
পরবর্তীতে তিনি মাওলানা শাব্বির আহমদ উসমানীর নেতৃত্বে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে যুক্ত হোন। ১৯৫৩ সালে মাওলানা আহমদ আলী লাহোরীর নেতৃত্বে খতমে নবুওয়াত আন্দোলন শুরু হলে, তিনি তাতে অগ্রভাগে থেকে অংশ নেন। এসময় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে ৭ মাস জেল খাটেন।
১৯৬৫ সালে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের আমলে অল পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইয়ুবের বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের প্রার্থী করা হয় কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ছোটবোন ফাতেমা জিন্নাহকে। আইয়ুবের বিরুদ্ধে ফাতেমা জিন্নাহকে সমর্থন জানান তৎকালীন সময়ে উলামাদের প্রধান রাজনৈতিক দল (জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের রাজনৈতিক শাখা) নেজামে ইসলাম পার্টি।
আলেম-উলামাদের প্রায় সবাই যেহেতু তখন নেজামে ইসলামের সাথে যুক্ত, তাই তাদের সমর্থনও ছিলো ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে।
তবে নারী নেতৃত্বের প্রশ্নে পুরো পাকিস্তানের দুজন বড় আলেম ফাতেমা জিন্নাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। একজন মুফতীয়ে আজম মুফতী ফয়জুল্লাহ রহ. অন্যজন মুফতী মাহমুদ রহ.। তারা ফাসেক আইয়ুবের বিরুদ্ধে নাজায়েজ নারী নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
আইয়ুবের পতনের পর ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাওলানা জাফর আহমদ উসমানীর নেতৃত্বে জমিয়ত ও মুফতী মাহমুদের নেতৃত্বে জমিয়ত আলাদাভাবে অংশ গ্রহণ করে।
মুফতী মাহমুদ তার নিজ আসনে চ্যালেঞ্জ জানান ততকালীন সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টোকে। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সেই আসন থেকে ভুট্টোও নির্বাচনে অংশ নেন। ভুট্টোর প্রতীক ছিলো তলোয়ার আর মুফতী মাহমুদদের প্রতীক খেজুর গাছ। নির্বাচনে খেজুর গাছের কাছে হেরে যায় তলোয়ার! ১২ হাজার ভোটে ভুট্টোকে হারিয়ে নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনেন মুফতী মাহমুদ! যদিও অন্য দুইটি আসন থেকে ভুট্টো নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে অল পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু ভুট্টোর আপত্তির কারণে মুজিবকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে পারছিলেন না ইয়াহিয়া খান। সে সময় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার দাবি জানান মুফতী মাহমুদ। এসময় বঙ্গবন্ধুর সাথে বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মুফতী মাহমুদসহ ততকালীন ভুট্টোর বিরুদ্ধে থাকা নেতাদের।
সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ভুট্টোর আপত্তির কারণে কওমী এসেম্বলির বৈঠক বাতিল করেন ইয়াহিয়া। মুফতী মাহমুদ যখন বুঝলেন পাকিস্তান ভেঙ্গে যাচ্ছে, তখন তিনি বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ১৯৪৭-এ আপনারা মুসলিম লীগের পক্ষে ছিলেন, আমরা ছিলাম কংগ্রেসি। আপনারা পাকিস্তান বানাচ্ছিলেন, আমরা নিষেধ করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম এতে মুসলমানদের ক্ষতি হবে। আর এখন আপনারা পাকিস্তান ভাঙতেছেন, এখন আমরা বলতেছি এমনটা করবেন না। এতে মুসলমানদের ক্ষতি হবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজ দেশের জনগণের ওপর সেনাবাহিনীর গণহত্যার কঠোর প্রতীবাদ জানান মুফতী মাহমুদ। মুক্তিযুদ্ধের পর যখন পাকিস্তান ভেঙ্গে যায়, ভুট্টোকে উদ্দেশ্য করে মুফতী মাহমুদ বলেন, আমরা তো হিন্দুস্তান ভাঙ্গার পক্ষেই ছিলাম না, পাকিস্তান ভাঙ্গার পক্ষে কিভাবে থাকতে পারি। দেশ ভাঙ্গা আপনাদের কাজ। কালকেও আপনারা দেশ ভাগ করেছেন, আজকেও আপনারা দেশকে দুই টুকরা করে ফেলেছেন। যদি দেশ ভাঙ্গা গুনাহ হয়, তাহলে আল্লাহর শোকর যে, আমরা এই গুনাহে কালকেও শরিক ছিলাম না, আজকেও শরিক নই।
১৯৭২ সালে আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির সমর্থন নিয়ে সিমান্ত প্রদেশে (বর্তমান নাম খাইবার পাখতুনখোয়া) সরকার গঠন করেন মুফতী মাহমুদ। প্রায় এক বছর তিনি সিমান্ত প্রদেশের উজিরে আলা বা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কোনো বেতন নিতেন না তিনি। পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে যে ১৫০০ রুপি সম্মানী পেতেন, তা দিয়েই চলতেন। তাঁর আমলে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ২৪ ঘণ্টা জনগণের জন্য খোলা থাকতো। আসর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সাধারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেতো। এক বছরের মধ্যে তিনি সিমান্ত প্রদেশে মদ, জুয়া ও যৌতুক প্রথা নিষিদ্ধ করেন, নারীদের পর্দা বাধ্যতামূলক করেন, এহতেরামে রমজান অডিনেন্স, উর্দুকে অফিসিয়াল ভাষা ও রবিবারের পরিবর্তে শুক্রবার ছুটি চালু করেন।
১৯৭৩ সালে বেলুচিস্তানে আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির সরকার ভেঙে দেয় ভুট্টো। প্রতিবাদে সিমান্ত প্রদেশের উজিরে আলার পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুফতী মাহমুদ। ভুট্টো মুফতী মাহমুদকে বলেন, আপনি ইমাম সাহেব মানুষ, আপনার সাথে কিসের বিরোধ। যতদিন মন চায় আপনি সরকার চালিয়ে যান। লোভও দেখান ভুট্টো। নীতির ব্যাপারে বরাবরের মতো আপসহীন মুফতী মাহমুদ ভুট্টোর প্রস্তাবে রাজি হননি।
মুফতী মাহমুদকে বিব্রত করার জন্য পিপলস পার্টির নারী সংসদ সদস্যরা একবার পার্লামেন্টে বোরকা পরে আসেন। মুফতী মাহমুদ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বললেন, মাননীয় স্পিকার আলহামদু লিল্লাহ আমাদের নারী সংসদ সদস্যরা বুঝতে পেরেছে যে, পরপুরুষের সামনে ইসলামী বিধান মতে পর্দা করা জরুরী। জবাবে সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা মজা করে বলতে গাললেন, মহিলা সদস্যরা তো শুধু আপনার কাছ থেকে পর্দা করতেছে। (অর্থাৎ তারা আপনাকে দেখানোর জন্য পর্দা করতেছে। আসলে তারা পর্দা করে না।) জবাবে মুফতী মাহমুদ বলেন, পর্দা করা হয় পুরুষের সামনে। হয়তো পুরো এসেম্বেলিতে নারীরা আমাকে ছাড়া আর কাওকে পুরুষ মনে করে না! জবাব শুনে সরকারী দলের সদস্যরা থ হয়ে যান।
সফল রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পরেও তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। মুফতী মাহমুদ আফসোস করে বলতেন, আমি ছিলাম হাদীসের মসনদের মানুষ। আমাকে এমন পার্লামেন্টে গিয়ে বসতে হয়, যেখানে নারী সংসদ সদস্যরা ফিল্মের নায়িকাদের মতো সেজেগুজে আসে। এটা আমার জন্য বেশ কষ্টকর। আমি চিন্তা করতাম, আল্লাহ আমাকে কেন এই শাস্তি দিচ্ছেন। তবে যখন পার্লামেন্টে আমাদের চেষ্টার কারণে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করা হলো, তখন আমার মনে হলো,আল্লাহ মনে হয় এজন্যই আমাকে এই পার্লামেন্টে পাঠিয়েছেন।
১৯৭৩ সালে যখন কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি উঠে, তখন মাঠের আন্দলোনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মাওলানা ইউসুফ বান্নুরী রহ. আর পার্লামেন্টে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মুফতী মাহমুদ রহ.।
মাঠে হজরত বান্নুরীর নেতৃত্বে প্রবল আন্দলোন ও পার্লামেন্টে মুফতী মাহমুদ এবং বেরলভী আলেম মাওলানা শাহ আহমদ নুরানীর চেষ্টাতেই পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা সম্ভব হয়।
এছাড়াও পাকিস্তান যে এখন অফিসিয়াল ইসলামি রাষ্ট্র, এর পিছনেও বড় অবদান ছিলো মুফতী মাহমুদের। ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন মুফতী মাহমুদ ও বেরলভী আলেম মাওলানা শাহ আহমদ নুরানী। পাকিস্তানের সংবিধানে যতগুলো ইসলামি ধারা আছে, তার সবগুলোই এই দুই আলেমের অবদান। বিশেষ করে মুফতী মাহমুদ যদি তখন ভূমিকা না রাখতেন, তাহলে পাকিস্তানের সংবিধানেও সেকুলারিজম ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। কারণ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ছিলেন আদতে সেকুলার।
ভুট্টো ঘোষণা দিয়ে মদের আসর বসাতেন৷ এর প্রতিবাদে মাঠে নামেন মুফতী মাহমুদ। ফলস্বরূপ তাকে গ্রেপ্তার করে ভুট্টো সরকার। তিনি জীবনে অনেকবার গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন। প্রথম গ্রেপ্তার হোন বৃটিশ আমলে। পরবর্তীতে আইয়ুব, ভুট্টো ও জিয়ার আমলেও গ্রেফতার করা হয় তাকে।
মুফতী মাহমুদ ঐক্যের প্রতীক ছিলেন। ভুট্টোর বিরুদ্ধে ১৯৭৭ সালে বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোট গঠন করে। নাম দেওয়া হয় পাকিস্তান কওমী ইত্তেহাদ (পাকিস্তান ন্যাশনাল এলায়েন্স-পিএনএ)। এর প্রধান করা হয় মুফতী মাহমুদকে।
কওমী ইত্তেহাদের অন্য নেতারা ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবুল আ'লা মওদুদী, জমিয়তে উলামা পাকিস্তান (বেরলভী উলামাদের দল) -এর আমীর মাওলানা শাহ আহমদ নুরানী, জামায়াতে আলিয়ায়ে মুজা*হিদীনের সভাপতি জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী (জেনারেল নিয়াজী), মুসলিম লীগের খান আব্দুল কাইয়ুম খান, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি নওয়াবজাদা নাসরুল্লাহ খান, তেহরিকে ইশতিকলালের সভাপতি আসগর খান, মুসলিম লীগের চৌধুরী জহুর ইলাহী, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির আবদুল ওয়ালী খান, মুসলিম লীগের পীর পাগারা প্রমুখ।
এসময় মুফতী মাহমুদসহ কওমী ইত্তেহাদের নেতাদের ইহু@ #দীদের সাথে তুলনা করতো ভুট্টোর দল পিপলস পার্টি। ভুট্টোর দরবারী মোল্লা মাওলানা কাউসার নিয়াজী (যাকে মাওলানা হুইস্কি বলা হতো) প্রকাশ্য জনসভায় কওমী ইত্তেহাদের নেতাদের ইহু@ #৳দী নেতাদের সাথে তুলনা করতো।
১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে বিজয় হয় ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি। প্রতিবাদে আন্দলোনে নামে কওমী ইত্তেহাদ বা ন্যাশনাল এলায়েন্স। ধীরে ধীরে এই আন্দলোন ভয়াবহ রূপ নেয়। এক সময় এটি তেহরিকে নেজামে মুস্তফা (সাঃ) আন্দলোনে পরিনত হয়। ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউল হকের নেতৃত্বে সেনাঅভ্যুত্থান ঘটে। ভুট্টোকে ক্ষমতাচুত্য করে গ্রেপ্তার করা হয়। জেনারেল জিয়ার আমলে পরবর্তীতে ভুট্টোকে নওয়াব মুহাম্মাদ আহমদ খান কসুরীর হত্যার অভিযোগে ফাঁসি দেওয়া হয়।
মুফতী মাহমুদ জেনারেল জিয়ার আমলেও আন্দলোন চালিয়ে গেছেন। জেলও খেটেছেন।
মুফতী মাহমুদ রহ. আজীবন নীতির বিষয়ে আপোষহীন থেকেছেন। দেশভাগের বিরুদ্ধে ছিলেন। নারী নেতৃত্বের বিষয় তিনি কখনোই আপোষ করেননি। ভুট্টোর দেওয়া ক্ষমতার লোভ তাকে স্পর্শ করেনি। স্বল্প সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা হাতে পেয়ে সুশাসনের নজির স্থাপন করেছেন। পাকিস্তানের সংবিধানকে ইসলামীকরণ করেছেন। কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার পিছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। ডান-বাম, জামায়াত-বেরলভীদের নিয়ে গঠিত জোটের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এতো কিছুর মধ্যে তিনি হাদীসের মসনদ থেকে দূরে ছিলেন না। আমৃত্যু তিনি মুলতানের জামিয়া কাসেমুল উলুমের শাইখুল হাদীস ছিলেন। পুরো জীবনে প্রায় ২৫ হাজার ফতোয়া দিয়েছেন তিনি।
মুফতী মাহমুদ ২ বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন ১৯৪৬ সালে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই পুত্র সন্তান মাওলানা ফজলুর রহমান ও মাওলানা আতাউর রহমান। দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করেন ১৯৬০ সালে। এই সংসারে লুতফুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও উবায়দুর রহমান নামে ৩ ছেলের জন্ম হয়। এছাড়াও তাঁর ৩ কন্যা রয়েছে।
১৯৮০ সালে হজ্বের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়ে করাচী আসেন মুফতী মাহমুদ। এসময় করাচীর জামিয়া বান্নুরীইয়ায় অবস্থানকালে তিনি হার্টঅ্যাটাক করে ইন্তেকাল করেন।
সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার
২৯ এপ্রিল, ২০২২
#ইনসাফসম্পাদকেরকথা
সংক্ষিপ্ত এই ভিডিওটি বহু মূল্যবান।
চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে জমিয়তের ইতিহাস ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের কারনামা।
রাষ্ট্রপতির সাথে জমিয়তের সংলাপ; নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রস্তাব।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে চলমান সংলাপে অংশ নিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। বুধবার দলের অন্যতম জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীর নেতৃত্বে ৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল এই সংলাপে অংশ নেয়। সংলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনসহ ৬ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন জমিয়ত নেতৃবৃন্দ।
সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জমিয়ত মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি বলেন সার্চ কমিটি নয় আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জমিয়ত। তিনি বলেন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, প্রশাসনে রদবদল ও প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেয়ার প্রস্তাব করেছি আমরা। কারণ আমরা মনে করি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তাই এই বিষয়টিতে আমরা বিশেষভাবে জোর দিয়েছি।
গত ৩০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে চলমান সংলাপে অংশ নিতে রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে আমন্ত্রণ পায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। এরপরই সংলাপে অংশ নিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় জমিয়ত। দলের সভাপতি আল্লামা শায়েখ জিয়াউদ্দিন সংলাপে অংশ নিতে সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গঠন করে দেন। তবে করোনা টেস্ট সংক্রান্ত জটিলতার কারণে মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী সংলাপে অংশ নিতে পারেননি।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (আরজাবাদ), মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (মানিকনগর), এডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, অর্থ সম্পাদক মাওলানা জাকির হুসাইন।