ManSister !!!!! new place created by M.A. Jalil
we dunno where it is ...but it is created by our hero M.A.jalil ........itz better pom gana
ডেঙু জ্বর এক আতংকের নাম এখন। তাই এই ব্যাপারে কিছু বলি যাতে সবার জন্য বুঝতে সুবিধা হয়।
ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত রোগ , মশার কামড়ে হয়ে থাকে , ৪ ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাস (৪টা সাব টাইপ)এখন পর্যন্ত সনাক্ত করা গেছে , তাই কারো এক বার যদি একটি সাবটাইপ দিয়ে হয়ে থাকে সেইটা দিয়ে আর আক্রান্ত হবে না ; তবে অন্য সাবটাইপ দিয়ে সেই মানুষ আবার আক্রান্ত হতে পারে।
লক্ষন : তীব্র জ্বর, মাথা ব্যাথা , শরীর ব্যাথা , বমি করা , পেট ব্যাথা , চোখ ব্যাথা , রেশ উঠা , পেট ফুলে উঠা ইত্যাদি।
যদি উপরোক্ত লক্ষন থাকে , তাহলে জরুরী ভাবে ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করুন ।
পরীক্ষা : CBC + NS1Ag ( জ্বর এর প্রথম ৩দিন )/ Dengue IgG IgM ( জ্বর এর ৫ম দিন থেকে)।
এইবার আসি পরীক্ষার ব্যাপারে স্পেশাল নোটিস , ns1 igM নেগেটিভ ও আসতে পারে তার মানে এই না যে তার ডেঙ্গু হয় নাই , অনেক সময় ফলস নেগেটিভ আসে এইসব রিপোর্ট , আর igG পজিটিভ অর্থ আগের ইনফেকশন তবে টেস্ট যদি ১০ দিন পর করানো হয় তখন যদি igG পজিটিভ আসে তাহলেও রিসেন্ট ইনফেকশন ধরা হয়।
যেই জিনিস নিয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি ভুল হয় সেটা হচ্ছে CBC নিয়ে , আমাদের ভিতর ধারনা যে ডেঙ্গু শুধু প্লাটিলেট কমায় এবং এই কারনে রোগী খারাপ হয়। কিন্ত আসলে যা হয় ডেঙ্গু WBC , Platelet দুইটায় কমায় , কিন্তু রোগীর অবস্থা বুঝা যায় HCT দিয়ে ; যদি HCT বাড়তি থাকে তাহলে বুঝতে হবে রোগীর অবস্থা খারাপ হচ্ছে। প্লাটিলেট কম তারাতাড়ি রক্ত দেন এই সব থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে , কারন রক্ত দিলেন প্লাটিলেট বাড়ল কিন্তু HCT যদি বাড়তি থাকে রোগীর কন্ডিশশন ভাল হবে না। আর প্লাটিলেট দেয়া কথাটা যতট সহজ দেয়া এত সহজ না। HCT দিয়ে বুঝা যায় শরীরের ভিতর পানি শুন্যতা হচ্ছে কিনা , যেটাতে রুগী মৃত্যুর প্রধান কারন। তাই ডেঙ্গু রোগীদের আগে HCT দেখবেন , তারপর বাকি সব।
আর ডাক্তার এর জন্য ইম্পোরটেন্ট ব্যাপার হচ্ছে রোগীকে ধরে দেখা লাগবে। রোগী ভাল আছে , খাইতেসে এইসব দিয়ে জাজ করতে যাবেন না, কারন এই রোগী হটাৎ করে খারাপ হয়ে যায়। অবশ্যই রোগীদের প্রেশার চেক করতে হবে। নেরো পালস প্রেশার হচ্ছে কিনা দেখতে হবে ( সিস্টোলিক আর ডায়াস্টোলিক এর গ্যাপ ২০ বা তার কম কে ন্যারো পালস প্রেশার বলে ), ইউরিন আউটপুট , রেশ এইগুলো চেক করতে হবে। অন্যান্য অরগান ইনভোলভ হচ্ছে কিনা তার জন্য SGPT , Lipase , USG , CXR করা লাগলে করাবেন।
প্লাটিলেট কখন দিতে হবে সেটা ডাক্তার এর উপর ছেড়ে দেন। অল্প জ্ঞান নিয়ে রোগী সামলাইতে জাইয়েন না এতে রোগী খারাপ হবে।
ট্রিটমেন্ট : ডেঙ্গুতে কোন এন্টিবায়োটিক লাগে না তবে যদি ডেঙ্গুর সাথে অন্য ইনফেকশন থাকে তখন দেয়া যাবে যা ডাক্তার নির্ধারণ করবে , মেইন চিকিৎসা হচ্ছে তরল খাবার আর সেলাইন পানি। জ্বর থাকলে নাপা ছাড়া অন্য কিছু না। যেহেতু ডাক্তার ছাড়া রোগীর অবস্থা আপনারা বুঝবেন না, সেহেতু ডাক্তার এর উপর ছেড়ে দেন যে আপনার রোগীর ভর্তি লাগবে কিনা। কারন যাদের কন্ডিশন নরমাল থাকে অর্থাৎ বাসায় রেখে ট্রিটমেন্ট সম্ভব তারা যদি হাস্পাতালের সব সিট খেয়ে ফেলেন তখন যাদের অবস্থা আশংকা জনক তারা চিকিৎসার জন্য ভোগান্তিতে পরে। এমনকী বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়।
বিদ্রা: ১.আমার বাসায় মশা নাই , আমি ৫০ তলা উপরে থাকি এই ধরনের চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘরে বসে থাইকেন না। এইগুলা নিজের স্বান্তনা দিতে পারবে কিন্ত ডেঙ্গু আপনাকে এক বিন্দু ছাড় দিবে না।
২. যে কোন সমস্যায় ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করুন।
ডা আশরাফুল হক অলি
এমবিবিএস
ডিসিএইচ ( অন কোর্স )