Darul Qirat Majidia Fultali Trust Tahirpur Branch Nabiganj
দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী তাহিরপুর ?
আমাদের কালিমার শুরুতে যে لا (না/নেই) রয়েছে, তা জগতের যাবতীয় শিরকের মূলোৎপাটন করা জন্য। শিরক হচ্ছে, আল্লাহর প্রাপ্য যে কোনো কিছুতে অন্য কাউকে অংশীদার বানিয়ে নেয়া। সেটি ইবাদাত বা উপাসনা হোক, চাওয়া কিংবা ভরসা হোক, ভয় কিংবা ভালোবাসা হোক, অথবা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের পরিবর্তে অন্য কাউকে সার্বভৌম ক্ষমতার দাবীদার বানিয়ে নেওয়া হোক; সেটি আল্লাহর সত্তার সাথে হোক, অথবা আল্লাহর গুণের সাথে হোক। শিরক এমন জঘন্য অপরাধ, যা আল্লাহ কখনও ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ বলেন-
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا عَظِيمًا
“নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে (কোনো কিছু) শরিক করাকে ক্ষমা করবেন না। এছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে, যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করবেন। যে আল্লাহর সাথে শরিক করল, সে মহা অপরাধ রচনা করল।”
(সুরা নিসা, ৪৮)
একমাত্র ‘সার্বজনীন’ হিদায়াত পবিত্র কুরআনে আরও এসেছে-
إِنَّهُ مَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ
“নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শরিক স্থাপন করে, তার ওপর আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন।” (সুরা মায়িদা, ৭২)
আমরা যে কেবল শিরক থেকে নিজেদেরকে পাক রাখব তা নয়, বরং আমরা মানুষকে এ ব্যাপারে সতর্ক করতেও আদিষ্ট হয়েছি।
আমাদের রব আমাদেরকে নির্দেশ দিয়ে বলেন-
قُلْ تَعَالَوْا أَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمْ عَلَيْكُمْ أَلَّا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا
“লোকদেরকে বলো, এসো, তোমাদের রব তোমাদের প্রতি কী হারাম করেছেন তা তোমাদেরকে পাঠ করে শুনাই। তা এই যে, তোমরা তাঁর সাথে কাউকেই শরিক করবে না।” (সুরা আনআম, ১৫১)
আমরা সেই নবীর গর্বিত উম্মাহ, যিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন-
بُعِثْتُ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ بِالسَّيْفِ حَتَّى يُعْبَدَ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَجُعِلَ رِزْقِي تَحْتَ ظِلِّ رُمْحِي وَجُعِلَ الذُّلُّ وَالصَّغَارُ عَلَى مَنْ خَالَفَ أَمْرِي وَمَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
“আমি কিয়ামতের পূর্বে (সর্বশেষ নবী হিসেবে) তরবারি সহকারে প্রেরিত হয়েছি, যেন যমিনে এক আল্লাহর শিরক-বিহীন ইবাদাত প্রতিষ্ঠিত হয়। আমার রিযিক আমার বর্শার ছায়াতলে। অপমান ও লাঞ্ছনা তাদের জন্য, যারা আমার বিরোধিতা করবে। আর যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করল, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত।” (মুসনাদে আহমদ, ৫৬৬৭)
অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মাচারে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু যারা দ্বীন ইসলামের নামে নিজেদের পরিচয় দিয়ে শিরকি কর্মকাণ্ডে তাল দিল, তাতে অংশ নিল, তা উপভোগ করল, অথবা (বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা ব্যতীত) তাতে সহযোগিতা করল, তার ওপর আল্লাহর লা’নত বর্ষিত হোক।
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَا عَبَدْتُمْ وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ

আমাদের রাবে পরীক্ষার ফলাফল ২০২২