ইসলামী সোয়াল জোয়াব Islami sowal jawab إسلامي سؤال جواب

ইসলামী সোয়াল জোয়াব Islami sowal jawab إسلامي سؤال جواب

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from ইসলামী সোয়াল জোয়াব Islami sowal jawab إسلامي سؤال جواب, Education Website, .

03/03/2019
31/10/2018

রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কাটার হুকুম
=============================

প্রশ্ন:
আমাদের এলাকার কিছু লোককে দেখেছি, তারা এলাকার নেতাদেরকে কিছু টাকা দিয়ে রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে নিষেধ করলে তারা বলে এসব সরকারি মাল। জনগণ নিলে কোনো সমস্যা নেই। তাছাড়া আমরা তো টাকা দিয়েই নিচ্ছি। জানার বিষয় হল, তাদের জন্য উক্ত গাছ কেটে নেওয়া বৈধ হয়েছে কি না? যদি না হয়ে থাকে তাহলে কীভাবে তারা এর মূল্য আদায় করবে?

উত্তর:
রাস্তার পাশে সরকারিভাবে রোপণকৃত গাছের মালিক সরকার। এলাকার নেতারা এগুলোর মালিক নয়। তাই ওদেরকে টাকা দিয়ে এসব গাছ কেটে নেওয়া বৈধ হবে না। ব্যক্তিগত সম্পদ যেভাবে মালিকের অনুমতি ছাড়া ভোগ করা বৈধ নয়। তদ্রূপ সরকারি সম্পদও সরকারি কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমোদন ছাড়া ভোগ করা নাজায়েয। তাই এভাবে সরকারি সম্পদ নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আর যে গাছগুলো কাটা হয়ে গেছে সেগুলোর মূল্য সরকারি কোনো খাতে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে ঐ পরিমাণ টাকা গরীব-মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করে দিবে। এবং এজন্য তওবা-ইস্তিগফার করবে।

-আলমুহীতুল বুরহানী ৯/১৪৭; আলমাওসূআতুল ফিকহিয়্যা আলকুওয়াইতিয়্যা ৮/২৬২

30/03/2016

প্রশ্ন:
রোযা অবস্থায় যদি কেউ স্যালাইন
বা ইঞ্জেকশন নেয় তাহলে কি
রোযা ভেঙ্গে যাবে? তেমনি অসুস্থ
অবস্থায় কেউ যদি গ্লুকোজ স্যালাইন
নেয় তাহলে কি তার রোযা সহীহ
হবে?
উত্তর:
স্যালাইন বা ইঞ্জেকশন নিলে
রোযা ভাঙ্গে না। তেমনিভাবে
অসুস্থতার কারণে গ্লুকোজ স্যালাইন
নিলেও রোযার ক্ষতি হবে না। তবে
অসুস্থতা ছাড়া গ্লুকোজ স্যালাইন
নেওয়া নাজায়েয।
-আলাতে জাদীদা কে শরঈ আহকাম
১৫৩

30/03/2016

প্রশ্ন:
এতেকাফকারী কি জানাযা পড়ার
জন্য মসজিদের বাইরে যেতে
পারবে? এতে কি তার এতেকাফ নষ্ট
হয়ে যাবে?
উত্তর:
ইতিকাফকারী জানাযা পড়ার জন্য
মসজিদের বাইরে যেতে পারবে না।
জানাযার জন্য বাইরে বের হলে
এতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৭৩;
আসসুনানুল কুবরা, বাইহাকী, হাদীস
৮৫৯৪; কিতাবুল আসল ২/১৮৩;
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া

30/03/2016

প্রশ্ন:
রোযা অবস্থায় যদি শরীরের কোনো
অঙ্গ থেকে রক্ত বের হয় কিংবা
সিরিঞ্জ দিয়ে শরীর থেকে রক্ত
বের করা হয় তাহলে কি রোযা
ভেঙ্গে যাবে?
উত্তর:
রোযা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের
হলে রোযা ভাঙ্গে না। তদ্রƒপ
সিরিঞ্জ দ্বারা বের করা হলেও
রোযা ভাঙ্গে না। তবে বিশেষ ওযর
ছাড়া শরীর থেকে ইচ্ছাকৃত এ
পরিমাণ রক্ত বের করা মাকরূহ, যার
কারণে ঐ দিন রোযা পূর্ণ করার শক্তি
হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়।
-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৩৮, ১৯৪০;
আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৬; আলবাহরুর
রায়েক ২/২৭৩; ফিকহুন নাওয়াযিল
28 জুলাই 2015, 01:18 PM-এ ·

30/03/2016

প্রশ্ন:
রোযা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা
যাবে? এতে কি রোযা নষ্ট হয়ে
যাবে?
উত্তর:
রোযা অবস্থায় টুথপেস্ট বা মাজন
দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা মাকরূহ। আর
পেস্ট বা মাজন গলার ভেতর চলে
গেলে রোযাই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই
রোযা অবস্থায় টুথপেস্ট বা মাজন
ব্যবহার করা যাবে না। টুথপেস্ট বা
মাজন দিয়ে ব্রাশ করতে হলে
সাহরীর সময় শেষ হওয়ার আগেই করে
নিবে।
-ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৪১;
জাওয়াহিরুল ফিকহ ৩/৫১৮

29/03/2016

প্রশ্ন:
রোযা অবস্থায় কেউ যদি চোখে ড্রপ
ব্যবহার করে এবং মুখেও তিক্ততা
অনুভব হয় তাহলে কি রোযা ভেঙ্গে
যাবে?
উত্তর:
না, রোযা অবস্থায় চোখে ড্রপ
ব্যবহার করলে রোযা ভাঙ্গবে না।
এমনকি এর তিক্ততা মুখে বা গলায়
অনুভব হলেও রোযা ভাঙ্গবে না
(মাসআলাটি সাধারণ কিয়াসের
বহির্ভুত সরাসরি আসার দ্বারা
প্রমাণিত)।
-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৩৭

29/03/2016

প্রশ্ন:
রোযা অবস্থায় যদি শরীরের কোনো
অঙ্গ থেকে রক্ত বের হয় কিংবা
সিরিঞ্জ দিয়ে শরীর থেকে রক্ত
বের করা হয় তাহলে কি রোযা
ভেঙ্গে যাবে?
উত্তর:
রোযা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের
হলে রোযা ভাঙ্গে না। তদ্রƒপ
সিরিঞ্জ দ্বারা বের করা হলেও
রোযা ভাঙ্গে না। তবে বিশেষ ওযর
ছাড়া শরীর থেকে ইচ্ছাকৃত এ
পরিমাণ রক্ত বের করা মাকরূহ, যার
কারণে ঐ দিন রোযা পূর্ণ করার শক্তি
হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়।
-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৩৮, ১৯৪০;
আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৬; আলবাহরুর
রায়েক ২/২৭৩; ফিকহুন নাওয়াযিল

29/03/2016

প্রশ্ন:
জনৈক ব্যক্তি এক নামাযে মাসবূক হল
এবং শেষ বৈঠকে ইমামের পিছনে
ভুলবশত তাশাহহুদের অতিরিক্ত পড়ে
ফেলল। উক্ত ব্যক্তির উপর নামায
শেষে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে
কি না?
উত্তর:
মাসরূক ব্যক্তি ইমামের শেষ বৈঠকে
তাশাহহুদের অতিরিক্ত পড়ে
ফেললে তার উপর সাহু সিজদা
ওয়াজিব হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত
তাশাহহুদের অতিরিক্ত না পড়াই
ভালো। এক্ষেত্রে তাশাহহুদ ধীরে
ধীরে পড়বে। যেন তাশাহহুদ শেষ
হতে হতে সালামের সময় হয়ে যায়।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/৪২০; আদ

Website