Elusiv€ Love

I have reached 500 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉

দেশের প্রত্যেকটা দূর্ঘটনায় সাধারণ মানুষ যে কতোটা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে তা বলা বাহুল্য!

রক্তের জোগান দেয় সাধারণ মানুষ! ঔষধ কিনে দেয় সাধারণ মানুষ! লাশ দাফনের দায়িত্ব নেয় সাধারণ মানুষ! অনভিজ্ঞ হওয়া সত্ত্বেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে মাঠে নেমে পড়ে সাধারণ মানুষ!

শুনলাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল এরিয়ায় রিকশাওয়ালা'রা কারো থেকেই ভাড়া নিচ্ছেন না! এই যে নিঃস্বার্থ ভাবে এগিয়ে আসা সাধারণ মানুষেগুলোকে প্রাপ্ত সম্মান রাষ্ট্র দেয়? দিতে পারে?

দেশে অত অত শিল্পপতি, অতঅত নামিদামি ফার্মাসিউটিক্যাল'স, মন্ত্রী, এম্পি; তাদের অবদান চোখে পড়ে না কেনো? এসব অকেজো চেয়ারগুলো কবে মেরামত হবে?

হে চট্টগ্রাম বাসী, আপনাদের উপর রহমতে'র বৃষ্টি নামুক! সব ব্যথা ধুয়েমুছে যাক— দু'আ!

কোচিং ক্লাস বা স্কুল-কলেজে কাউকে দেখে বুক ধুকপুক করে উঠলেই, মাথার ভিতর কে যেন গেয়ে উঠতো- "Aankhon mein teri, ajab si ajab si adaayein hain..."

নব্বইয়ের দশকে জন্ম অথচ "Zara si dil mein de jagah tu.." কিংবা "Tuhi meri shab hain subah hain..." গাইতে গাইতে প্রেমিকাকে প্রেম নিবেদন করার ইচ্ছে জাগেনি, এমন খুব কম প্রেমিকই আছে বোধহয়।

ওদিকে মন ভাঙার দিনগুলোতে প্লে লিস্টে‌ একবারও- "Tadap tadap ke is dil se..." কিংবা "Sach keh raha hain deewana..." অথবা "Alvida alvida aab kehna aur kya..." বাজেনি এমন মোবাইল ফোন হাতেগোনা।

আদরের সময় আমরা শুনেছি- "Labon ko labon pe sajao...", পাশাপাশি শুয়ে থাকা মানুষটার থেকে হঠাৎ দূরত্ব বেড়ে গেলে আমরা চালিয়েছি- "Tu ek baar jo pyaar se mujhko chhule..."

এখনও ক্ষতবিক্ষত রাতগুলোয় আমাদের কাছে মলমের মতো কাজ করে- "Maine dil se kahan dhoond lana khusi..." কিংবা "Awarapan banjarapan..."

আমরা যারা নব্বইয়ের দশকে জন্মেছি, তারা খুব ভালো করে জানি "Who is KK?" আমরা দায়িত্ব নিয়ে আমাদের পরের প্রজন্মের কাছে এই গানগুলো পৌঁছে দিয়ে যাবো। যাতে তারাও "Who is KK?"-এর উত্তরে এই গানগুলো গেয়ে উঠতে পারে।

বুকে জমছে পাথর, পাথরে জলের ধারা,
নিকটবর্তী মানুষ ক্রমশঃ দূরবর্তী তারা।

সাদাত হোসাইন

কাউকে আছাড় দেয়ার জন্য আগে মাথায় তুলতে হয়। ফলে আপনাকে কেউ মাথায় তোলার অর্থ হচ্ছে আপনি একটা আছাড়ের ঝুঁকিতে আছেন।

”অতীত নিয়ে বিভ্রান্ত হয়োনা, ভবিষ্যতের স্বপ্নে হারিয়ে যেওনা, বর্তমানের দিকে মনোযোগ দেও। এটাই সুখী হওয়ার একমাত্র উপায়।”
- গৌতম বুদ্ধ

যাদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা দরকার,করে ফেলো, দ্বিতীয়বার ভেবো না।

তোমাকে পেতে হলে নিজেকে হারাতে হবে। নিজেকে হারিয়ে তোমাকে পাবার পর আবার নিজেকে পেতে ইচ্ছে করবে।
নিজেকে পাবার জন্য আবার তোমাকে হারাতে হবে !
শেষমেশ তুমি তোমার নিজেরই..অন্য কারো না !

Mother's day!!

❤️

অপর্না দি চলে যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিলো- শোন, জীবনে কিছু কিছু জিনিস গোপন রাখতে হয়। গোপন রাখবি সবচেয়ে গভীরতম দুঃখ এবং সবচেয়ে তীব্র রকমের আনন্দের গল্প। মাঝামাঝির সবটুকু সবাই জানুক, সমস্যা নেই তাতে।

আমি তখন বুঝিনি। সবচেয়ে গভীরতম দুঃখটাই তো মানুষকে বলতে ইচ্ছে হয়। নিজেকে হালকা লাগে। বুকের উপর থেকে একটা অদৃশ্য বোঝা নেমে যায়।

অপর্না দি বলেছিলো- সবচেয়ে তীব্র রকমের আনন্দটা গোপন রাখতে। অথচ, তীব্র আনন্দে আমার ইচ্ছে হয় বুক ফাটিয়ে চিৎকার করে আনন্দটা ভাগ করে দিই। সবাই জানুক, প্রবল আনন্দে মানুষের শরীর বেয়ে কি অদ্ভুত রকমের একটা উদ্দিপনার স্রোত নেমে আসে।

অনেক বছর পর অপর্না দি'র সাথে দেখা হলো। আমি জানতে চাইলাম- তুমি বলে গিয়েছিলে, সবচেয়ে দুঃখের গল্পটা যাতে গোপন রাখি। আমি এর কারনটা আজো খুঁজে বের করতে পারিনি।

অপর্না দি আমার দিকে ড্যাবড্যাব দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বললো- সবচেয়ে গভীরতম দুঃখকে গোপন করতে পারলে, সে দুঃখ কমে যায়। মানুষ দুঃখকে যত বেশি চর্চা করে, দুঃখ ততো বেশি জাগ্রত হয়।

আমি বললাম- আর আনন্দ? আনন্দ ক্যান গোপন করতে হয়?

অপর্না দি জবাব দিল- আনন্দ প্রকাশ পেলে, সেই আনন্দের তীব্রতা কমতে শুরু করে। একসময় তীব্র আনন্দের গল্প যতবেশি প্রকাশ পায়, ততো হালকা হয়ে উঠে। আনন্দ ততোক্ষন পর্যন্ত আনন্দ দেয়, এটা যতক্ষন নিজের ভেতর গোপন থাকে।

আমি বুঝলাম- সবচেয়ে গভীরতম দুঃখকে গোপন করলে, চর্চার অভাবে একসময় দুঃখবোধ কমে যায়; আর সবচেয়ে তীব্র রকমের আনন্দকে গোপন করলে, আনন্দ বেড়ে উঠে। বাড়তেই থাকে। তীব্র থেকে আরো তীব্রতর হয়।