Pinku Deb

গতকাল ছিল বিশ্ব হার্ট দিবস। ❤️
হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ। প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায় সারাবিশ্বে।

নিচের এই কারণগুলি আপনার হৃদরোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বাড়ায়:

১) অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
২) অতিরিক্ত মদ্যপান করা।
৩) ধূমপান করা।
৪) বায়ু দূষণ।
৫) নিয়মিত কায়িকশ্রম / ব্যায়াম না করা।
৬) মেদ/ভুড়ি/স্থূলতা।

আপনার হৃদযন্ত্রকে ভালোরাখতে এইগুলি এড়িয়ে চলুন। সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।

#ডায়াবেটিস (রক্তে মাত্রাতিরিক্ত চিনি) নিয়ে বিশেষ কিছু তথ্য আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। যেনো আপনারা এই ব্যাপারে সচেতন হতে পারেন এবং আপনার প্রিয়জনদের জীবন বাঁচাতে পারেন।

আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ) তথ্য মতে, বর্তমানে বিশ্বের ৫৪ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বাংলাদেশে এ সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে পরবর্তীতে কি কি জটিলতা বা রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে এগুলোই আজকে সংক্ষেপে লিখব।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর রক্তে চিনির পরিমান যদি দীর্ঘদিন অনিয়ন্ত্রিত থাকে অর্থাৎ দীর্ঘদিন যদি গ্লুকোজ লেভেল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে তাহলে সবচেয়ে বড় যে ৩ টি রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো হলো-
১) হৃদরোগ ( Coronary Heart Disease)
২) দীর্ঘ মেয়াদি কিডনি রোগ / কিডনি বিকল হওয়া ( Chronic Kidney Disease)। কিডনি বিকল হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ১ টি কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
৩) ব্রেইন স্ট্রোক ( Cerebrovascular Disease).

আরেক ধরনের রোগী আমরা হাসপাতালে প্রায়-ই পেয়ে থাকি তা হলো "ডায়াবেটিক ফুট আলসার" (পায়ের ঘা)। এটি একটি ছোট ক্ষত বা ঘায়ের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর গুরুতর ক্ষতের সৃষ্টি করে। যদি দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করা হয় তবে আলসারের সংক্রমণ স্থায়ী হতে পারে। চিকিৎসায় দেরি হলে বা সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হলে প্রভাবিত এলাকায় গ্যাংরিন বা পচন শুরু হয়। এমনকি শেষ পর্যন্ত পা কাটতেও হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের মুখের চেয়েও পায়ের যত্ন বেশি নিতে হয়।

এছাড়াও, হাত-পা জ্বালাপোড়া করা, পায়ে কোনো অনুভূতি না থাকা, পা অবস অবস লাগা, চোখে সমস্যা হওয়া, ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস, ডায়াবেটিক কোমা ইত্যাদি জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা রক্তে চিনির পরিমান সবসময় স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার চেষ্টা করবেন এতে আপনি ডায়াবেটিস পরবর্তী জটিলতা থেকে বাঁচতে পারবেন। প্রতি ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর পর রক্তে চিনির পরিমান চেক করবেন এবং অনিয়ন্ত্রিত থাকলে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানুন, সচেতন থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।🌼 ধন্যবাদ।

লেখক:
পিংকু দেব।
ডিএমএফ ( বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ)
সার্টিফাইড হেলথকেয়ার প্রফেশনাল।
রেজিস্টার্ড চিকিৎসা সহকারী।

#ডায়াবেটিস #স্বাস্থ্য

#ডেঙ্গু_জ্বরের যে লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হবেন অথবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

চতুর্দিকে এখন ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ চলছে। ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণ সব লক্ষণগুলো সম্পর্কে মোটামুটি সবার ধারণা রয়েছে। তবে ডেঙ্গু জ্বরের সাথে যে লক্ষণগুলো থাকলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে অথবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে সেগুলো হলোঃ

১) ডেঙ্গু জ্বরের সাথে যদি আপনার তীব্র পেটে ব্যথা থাকে।
২) দিনে ৩ বারের বেশি বমি হয়।
৩) দিনে ৩ বারের বেশি পাতলা পায়খানা হয়।
৪) যদি দাঁতের মাড়ি দিয়ে / নাক দিয়ে রক্ত আসে / বমির সাথে / পায়খানার সাথে রক্ত আসে ইত্যাদি।
৫) যদি পেট অনেক ফুলে যায়।
৬) যদি শরীর প্রচন্ড দূর্বল হয়ে যায়।
৭) শরীরে যদি কোনো র‍্যাশ আসে।

সতর্ক থাকুন এবং সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।

Pinku Deb
DMF (The State Medical Faculty of Bangladesh)
Certified Healthcare Professional.
Bangladesh Medical & Dental Council Registered Medical Assistant Practitioner.

অনেকেই একটি প্রশ্ন প্রায়ই আমাদের করে থাকেন যে.. একটি নতুন সিরাপ খোলার কতদিন পর পর্যন্ত সেবন করা যাবে?

এর উত্তর হলোঃ

১. এন্টিবায়োটিক ছাড়া যে কোন সিরাপ / তরল ঔষধ একবার খোলার পরে তা ৩ সপ্তাহ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ব্যবহার করা উচিত। এরপর আর না খাওয়ানোই ভালো। কারণ এতে ঔষধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। বিভিন্ন সিরাপে কৃত্রিম মিষ্টি জাতীয় জিনিস এবং ফ্লেভার ব্যবহার করা হয় এতে করে বিভিন্ন জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া বাসা বাধতে পারে।

২. এন্টিবায়োটিক সিরাপ (যা পাউডারের সাথে পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয়) এগুলো সাধারণত ৭ দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে শেষ করা উচিত। তবে যদি নরমাল ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয় তাহলে তা সর্বোচ্চ ১৪ দিন পর্যন্ত খাওয়ানো যেতে পারে।

ধন্যবাদ।🌼

লেখক:
পিংকু দেব।
ডিএমএফ ( বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ)
সার্টিফাইড হেলথকেয়ার প্রফেশনাল।
রেজিস্টার্ড চিকিৎসা সহকারী।