Dr.Samiran Halder
চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট সবার
আজকে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস।
মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয়।
স্ট্রোকে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ ভাগ মারা যায়, আর ৩০ ভাগ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবেই এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে।স্ট্রোক সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছর ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উদযাপিত হয়।
আমাদের করনীয়ঃ
সুষম খাবার(চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।)
নিয়মিত ব্যায়াম/হাঁটার অভ্যাস
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা
ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ
স্ট্রোকের ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যু চিকিত্সা শুরু হতে অনেকটা দেরি হওয়াই অন্যতম কারন। আপনার আশপাশে কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন বুঝতে পারলে বা উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
“জরুরী জ্ঞাতব্য”
যদি কারো পরিচিত এমন কেউ থাকে যার হাটুর উপরে অথবা নিচের দিকে পা নেই বা কেটে ফেলা হয়েছে, তাকে অবশ্যই "পঙ্গু হাসপাতাল (NITOR) এর ৩য় তলায় (শ্যামলী, ঢাকা)" এসে যোগাযোগ করতে বলবেন। সেখানে বিনামূল্যে কৃত্রিম পা লাগানো হবে। এজন্য বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞরা এসেছেন এবং ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত থাকবেন। যদি কারো পরিচিত জনের এই সমস্যা থাকে তাহলে অতি দ্রুত সেবাটি গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনার এটুকু তথ্য হয়তো কোন এক প্রতিবন্ধীর জন্য তার পা হারানোর বেদনা হতে ক্ষাণিক পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করবে। pls share to all 01835673869
নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন ও কোভিড -১৯..
জানার আছে অনেক কিছু।
দেখে দেখে জানতে পারা...
আপনার ধরুন জ্বর এসেছে ১২ তারিখে। আপনি ডাক্তার দেখতে গেলেন আলসেমি করে ১৪তারিখে। অর্থাৎ জ্বরের তৃতীয় দিনে। ডাক্তার যখন দেখলো যে আপনি জ্বরের তৃতীয় দিনে গিয়েছেন, তিনি আপনাকে Dengue NS1 antigen test করতে দিলো, সাথে Complete Blood Count (CBC) ও করতে দিলো। আপনি করলেন কি যে, আজকে তো টাকা নেই, ২দিন পরে করবো নে। সেই টেস্ট আপনি করলেন ২দিন পরে, অর্থাৎ ১৬ তারিখে। সেদিন হলো জ্বরের ৫ম দিন। আপনার ডেংগু টেস্ট এ রেজাল্ট আসলো ডেঙ্গু নেগেটিভ। আপনি মহান আল্লাহ্ পাকের দরবারে খুশিতে শুকরিয়া আদায় করতে লাগলেন। ওদিকে সিবিসিতে প্লেটলেট ৩০-৩৫হাজার/কিউমিমি, হেমাটোক্রিট ৪৫%। ডাক্তারের মাথায় হাত! আপনি তো বলবেন, টাকা খরচ করে টেস্ট করলাম, ডেংগু নেগেটিভ আসলো, ডাক্তার তাইলে ভয় দেখায় কেনো! আপনি ডাক্তারকে দিলেন দুই ঘা বসিয়ে, আর নাইলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভাংচুর করতে গেলেন, কারণ আপনার ইয়েতে অনেক কারেন্ট।
ঘটনা হচ্ছে, দোষটা আপনার। Dengue NS1 Antigen পরীক্ষা জ্বরের প্রথম ৩দিন এর মধ্যে পজেটিভ আসে(১)। এরপরে আপনার যদি ডেঙ্গু হয়েও থাকে, তাও সেটি নেগেটিভ আসতে পারে, এবং আসেও। আমি নিজে এই সোমবার এমন রোগী পেয়েছি যার ডেংগু NS1 নেগেটিভ দেখে সে হেলতে দুলতে এসেছে রিপোর্ট পাওয়ারও দুইদিন পরে। সে টেস্ট করিয়েছে জ্বরের ৫ম দিনে। অর্থাৎ ৭ম দিনে সে রিপোর্ট দেখাতে এসেছে কারণ তার ডেংগু নেগেটিভ তার ভয়ের কিছু নেই। ২দিন আগেই তার প্লেটলেট ছিলো ৩২হাজার/কিউমিমি, হেমাটোক্রিট ৪৭%।
তাহলে কি করবেন?
১) আপনার চিকিৎসককে একদম এগজ্যাক্ট হিসেব বলবেন যে আপনার জ্বর কয়দিনের, পারলে কতো তারিখে কখন সেটাও জানাবেন। তিনিই আপনাকে জানাবেন যে আপনার কোন টেস্ট করাতে হবে।
২) ৫ম/৬ষ্ঠ দিন হতে Dengue IgG & IgM পরীক্ষা করাতে হবে(২)। যেহেতু এই পরীক্ষাটি Dengue NS1 পরীক্ষার তুলনায় কিছুটা মুল্য বেশী, তাই জ্বর আসবার সাথে সাথেই এক মুহুর্ত দেরী না করে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।
৩) ডেংগু নিশ্চিত হলে, চিকিৎসক এর পরামর্শ মতো নিয়মিত CBC পরীক্ষা করাতে হবে। এ ক্ষেত্রে রিপোর্ট দেখাতে আসবার পাশাপাশি রোগীকে নিয়ে আসতে হবে। শুধু রিপোর্ট দেখে রোগীর শারীরিক অবস্থা বোঝা সম্ভব নয়।
৪) আপনার চিকিৎসক যদি CBC এবং ডেংগু পরীক্ষার পরে লিভার ফাংশন টেস্ট সহ, ইসিজি, বুকের এক্সরে সহ অন্য পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেয়, আগেই ধরে নিয়েন না যে তিনি টাকা খাওয়ার ধান্ধায় পরীক্ষা দিয়েছেন। এ ধরণের চিন্তা করবার প্রবনতা আমাদের মধ্যে রয়েছে বলেই বললাম। ডেংগু শক সিন্ড্রোম/ এক্সপ্যান্ডেড ডেংগু সিন্ড্রোম থেকে খুব সহজেই অরগান ফেইলার ডেভেলপ করছে। প্লেটলেট কমে রক্তক্ষরন হয়ে মৃত্যুর সেইদিন গত হয়েছে, ডেংগু এখন এসেছে নতুন রুপে। লিভার ফেইলার, কিডনি ফেইলার, একিউট রেস্পিরেটরি সিন্ড্রোম, প্লুরাল ইফিউশন সহ বিভিন্ন ধরণের নিউরোলজিকেল সিম্পটমও দেখা যাচ্ছে এবার(৩)। রোগী পয়সা খরচ করতে চায় না বলে অনেক চিকিৎসক বাধ্য হয়ে টোটাল সিবিসি রিপিট না করিয়ে শুধু প্লেটলেট কাউন্ট রিপিট করাচ্ছেন। মনে রাখবেন, রোগীর কিছু টাকা হয়তো সেভ হচ্ছে, কিন্তু আল্টিমেটলি ১০জনের মধ্যে ১জনও যদি খারাপ হয়ে যায়, সেই দায় আপনার উপরেই আসবে। আপনাকে হেমাটোক্রিট ও দেখতে হবে। এমন কি, পেশেন্ট শকে চলে গেলে তো ঘন্টায় ঘন্টায় হেমাটোক্রিট করবার নির্দেশনাও গাইডলাইনে আছে (৪)।
৫) সর্বোপরী, আপনার চিকিতসককে সহায়তা করুন। এই মহামারিতেও পার্শ্ববর্তী যে কোন দেশের তুলনায় ডেংগুতে মৃত্যুহার ঈর্ষনীয়ভাবে কম আমাদের। এই কৃতিত্ব আমি আমাদের বড় স্যারদের কে না, এবারের মতো আমাদের মিডলেভেল ডক্টর, নার্স আর ব্রাদারদের দিতে চাই।
সবাই সাবধানে থাকুন। এখনও সময় আছে। বাড়িতে কিংবা বাড়ির পাশে পরিষ্কার রাখুন, পানি জমতে দিবেন না। মশারি টাংগিয়ে ঘুমাবেন। শিশুদের দিকে বিশেষ করে খেয়াল রাখুন। আর জ্বর আসলে সেটা ১দিনের জ্বর হলেও দেরী না করে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। সবার সুস্থ্যতা কামনা করছি।
লিখেছেনঃ ডা. নিশম সরকার
এমবিবিএস (ডিএমসি)
======================
তথ্যসুত্রঃ
১। National Guideline for Dengue 2018,পৃষ্ঠাঃ ২০
২। National Guideline for Dengue 2018,পৃষ্ঠাঃ ২০
৩। National Guideline for Dengue 2018,পৃষ্ঠাঃ ১৫
৪। National Guideline for Dengue 2018,পৃষ্ঠাঃ ২০
কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন কারা নিতে পারবেন, কারা পারবেননা, এ নিয়ে অনেকেই ধন্দে আছেন। আপনারা সকলেই খুব ভাল করে জানেন কোভিড-১৯ রোগটি সাধারনত বয়স্ক ও কো-মরবিড দের ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারন করে এবং ৮০ শতাংশ মানুষ উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযক্ত হয়ে থাকেন। ফলে ভ্যাক্সিনটির টার্গেট গ্রুপ হচ্ছে মূলত বয়স্ক ও কোমর্বিডরা।
যারা ভ্যক্সিন নিতে পারবেনঃ
🌸যাদের হার্ট , লিভার, কিডনীতে রোগ আছে
🌸এজমা আক্রান্ত রোগী
🌸ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী
🌸ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত (যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপ আছে, তারা নিয়ন্ত্রনের পর ভ্যাক্সিন দিতে পারবেন।)
🌸যারা রোগপ্রতিরোধ কমে যায় এমন ঔষধ সেবন করেন।
🌸যারা কেমোথেরাপী নিচ্ছেন
🌸যারা কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন, আক্রান্ত হওয়ার ৬ সপ্তাহ পরে ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন
যারা ভ্যক্সিন নিতে পারবেন নাঃ
🌸যাদের বয়স ১৮ বছরের নীচে
🌸গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা। সিডিসি মতে, দুগ্ধদানকারী মা যাদের কোভিড১৯ রোগীর সংস্পর্শে নিয়মিত আসতে হয় তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন। উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন গর্ভবতী নারী এ বিষয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন।
অনেকেই জানতে চান, যাদের এলার্জি আছে, তারা ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন কি না? একেকজন মানুষ একেকটি বস্তুতে এলার্জিক। কারো খাবারে, কারো কোন নির্দিষ্ট ঔষধে, কারো ধুলাবালিতে কারো বা ঠান্ডায়। তাই ভ্যাক্সিনে এলার্জি আছে কিনা তা প্রথম ডোজ দেয়ার আগে বোঝা সম্ভব নয়। যে কোন এলার্জেনের ক্ষেত্রে প্রথম এক্সপোজারে মৃদু উপসর্গ হয়, যেমন চুলকানি, র্যাশ ইত্যাদি। ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজে এমন উপসর্গ হলে পরবর্তী ডোজের ব্যপারে দয়া করা ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিনে জানামতে কোন পরিচিত এলার্জেন নেই। তবে ফাইজারে পলি ইথিলিন গ্লাইকল নামে একটি এলার্জেন আছে। তাই যাদের ফাইজারের ভ্যাক্সিনে এলার্জি আছে তারা অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিন নিতে পারেন।
ভ্যাক্সিন নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নাই।
Courtesy :
ডাঃ নুসরাত সুলতানা
সহকারী অধ্যাপক
ভাইরোলজী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
#জনগুরুত্বপূর্ন__সচেতনতামূলক__বার্তাঃ
না আজ গল্প বলছি না।এটা লিখতে আমার হাত কাঁপছে।চোখে জল জমছে।দুইজন তরুন উদীয়মান চিকিৎসক এর দুর্ভাগ্যের করুন কাহিনী এটা।
ডা. রাজীব ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী ডা.অনুসূয়া ভট্টাচার্য।এক আদুরে রাজকন্যা সহ সুখের সংসার তাদের।
করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে সেল্ফ প্রটেকশন বা ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হয়।আমরা সবাই জানি।চার মাসের অধিক সময় ধরে করোনা লড়াই চলছে।তাই হয়ত বড় বোতলে সেনিটাইজার কিনেছিলেন রাজীব।
গত মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতের ঘটনা।একমাত্র আদরের কন্যা বাসায় ছিলো না।ছিলো নানু বাড়িতে।
রাজীব হ্যান্ড স্যানিটাইজার এক বোতল থেকে আরেক বোতলে ঢালার সময় কয়েল বা সিগারেট এর আগুনের ছোট্ট ফুলকির সংস্পর্শে এসেই ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ডা. রাজিব ভট্টাচার্য (৩৬) ও তাঁর স্ত্রী ডা. অনুসূয়া ভট্টাচার্য (৩২) দগ্ধ হন। তারপর ভোররাত ৪টার দিকে তাঁদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। রাজিব তখন থেকেই লাইফ সাপোর্টে আছেন।
‘ডা. রাজিব ভট্টাচার্য আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তাঁর শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা সংকটপূর্ণ। তবে তাঁর স্ত্রীর অবস্থা কিছুটা ভালো।
দুই উদীয়মান চিকিৎসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সার্জারিতে উচ্চতর পড়াশোনা করছেন।আর মাত্র ক মাসের ব্যবধানে ডা. রাজীব হতেন দেশের হাতে গোনা মাত্র কজন নিউরোসার্জন এর একজন।
আর আজ?হ্যান্ড স্যানিটাইজার নামক করোনাকালীন একটা নিত্য সঙ্গী সলুউশন এর কারন তার জীবন প্রদীপ নিভু নিভু।একমাত্র কন্যা সন্তানটি পিতৃহারা হতে বসেছে।
করোনাকালীন সময়ে আমরা নারী,পুরুষ,ছোট,বড় সকলেই দিন রাত সারাক্ষন নিরাপত্তার খাতিরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইউজ করছি।
আমাদের মনে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার হিসেবে ব্যবহৃত লিকুইড পদার্থ গুলো মাত্রাতিরিক্ত দাহ্য পদার্থ।হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের সময় আগুন থেকে দূরে থাকুন।কিচেনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার না ঢুকনো উত্তম।
শিশুদের থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা ভালো।ওদের হাত বড়রা সাহায্য করে ক্লীন করে দিবেন।
করোনা একটা বৈশ্বয়িক বিপদ।দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশে এই দুুর্যোগ ইতিমধ্যে আমাদের অনেক কলিগ,স্বজন,বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কে কেড়ে নিয়েছে।
কিন্তু করোনা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহৃত হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে অগ্নিকান্ডের মতো এমন ভয়াবহ দুুর্ঘটনা,এমন অকাল কষ্টকর যন্ত্রনা, দুর্ভোগ কারো কাম্য নয়।
তাই একজন চিকিৎসক হিসেবে সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে ডা. রাজীব ডা. অনুসূয়া দম্পতির জন্য দোয়া করবেন।
অনুগ্রহ পূর্বক আপনারা,সকলে সাবধানতার সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন।।
কিটো ডায়েট হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারনঃ
আমাদের দেশে বর্তমানে কিটো ডায়েট তরুনদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। কিন্তু এই কিটো ডায়েট হতে পারে আপনার মৃত্যূর কারন। জ্বি হ্যা ঠিকই শুনেছেন মৃত্যুর কারন???
আমরা জানি মানুষের কোষের বেচে থাকার জন্য গ্লুকোজ একান্ত প্রয়োজনীয় উপাদান, আর গ্লুকোজ এর মূল সোর্স হলো কার্বোহাইড্রেট, কিটো ডায়েট হলো নো কার্বোহাইড্রেট ডায়েট। তাহলে গ্লুকোজ কি দিয়ে উতপাদিত হবে? অন্য সোর্স দিয়ে সেটি হতে পারে ফ্যাটি এসিড যা কিটো ডায়েটে প্রচুর থাকে। এই ফ্যাটি এসিড থেকে তৈরী হয় গ্লুকোজ , এ পদ্ধতিকে বলে গ্লুকোনিওজেনেসিস।
এই গ্লুকোনিওজেনেসিস এর সময় বর্জ হিসাবে তৈরী হয় অনেক উপাদান। মিথাইল গ্লাইঅক্সাল তার মধ্যে অন্যতম। মিথাইল গ্লাইঅক্সাল যদি স্বাভাবিক সময়ে উতপাদন হয় তবে তার শরীর তা নিষ্ক্রয় করতে পারে কারন পরিমানে কম। কিন্তু কিটো ডায়েটের ফলে এই মিথাইল গ্লাইঅক্সাল এর পরিমান অনেক বেশি হয় যা শরীর নিষ্ক্রিয় করতে পারেনা।
এই মিথাইল গ্লাইঅক্সাল হলো রি এক্টিভ অক্সিজেন স্পেশিস, যার কারনে অক্সিডেটিভ স্টেস হয়।
বলা যায়, কিডনী ফেইলিওর, হার্ট ফেইলিওর, অথবা ডায়াবেটিস এর জন্য দায়ী মূলত অক্সিডেটিভ ষ্টেস।
অর্থাৎ কিটো ডায়েট আপনার কিডনী, হার্ট অথবা লিভার ফেউলিউর করবে খুব দ্রুত।
শরীর শুকাবেন, আপনি স্লিম হবেন সাথে বাড়াবেন হার্টের অসুখ, কিডনী ফেইলিওর। আর ডায়াবেটিস রোগী পাবেন ঘরে ঘরে।
বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে। এখন শরীর আপনার, সিদ্ধান্তও আপনার।
তাহলে স্লিম হবার উপায়? উপায় একটাই সব ধরনের খাদ্য পরিমিত আহার, এবং নিয়মিত ব্যায়াম। দ্যাটস ইট
আমাদের দায়িত্ব জানানো, জানিয়ে গেলাম।।
(বুঝার সুবিধার্থে সহজ করে লিখা)
দয়া করে এভিডেন্স চেয়ে লজ্জা পাবেন না, প্রথম বর্ষের বায়োকেমিস্ট্রি (হার্পার, লিপিনকট) খুলে আনন্দিত হোন।
(Copied)
তিন দিনে ৫০ ভাগ, চার দিনে শতভাগ সুস্থ করোনা রোগী। আরেকটি নতুন ভোর।।আরেকটি পজিটিভ নিউজ...
করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণায় বিশ্ববাসীর সামনে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম তাঁর একজন সহযোগী চিকিৎসককে নিয়ে প্রায় দেড় মাসের গবেষণায় করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় পেয়েছেন নতুন আশার আলো।
তারা পুরনো দুটি ওষুধ সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ জন রোগীকে প্রয়োগ করেন। এতে দেখা গেছে, মাত্র তিন দিনে করোনার লক্ষণ ৫০ ভাগ কমে যায় আর চার দিনের মাথায় নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
এ প্রসঙ্গে ডা. তারেক আলম গণমাধ্যমকে জানান, তারা করোনা রোগীদের অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল মেডিসিন ইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে করেন। এতে বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন।
এটি তাদের কাছে রীতিমতো বিস্ময়কর লেগেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আরো আগে এ ওষুধ নিয়ে কাজ করতে পারলে এত দিনে হয়তো অনেককে হারাতে হতো না।
তিনি বলেন, ‘এই ওষুধ দুটি এর আগেও সার্স মহামারির সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত করেই বলছি, এই ওষুধ দুটির সম্মিলিত ব্যবহারে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্য দুটি ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও রেমডিসিভিরের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ফল পাওয়া যাবে।’
জানা গেছে, এর ইতিবাচক ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ দুটি নিয়ে ইতিমধ্যে ভারতে গবেষণা শুরু হয়েছে।
ডা. তারেক আলম জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০ জন রোগীর ওপর গবেষণা করা হয়েছে। তাতে এই অভূতপূর্ব সাফল্যের সন্ধান পান তারা।
তাদের এ গবেষণার আওতায় এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ওষুধ দুটির সফল স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সম্মান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই গবেষণায় অধ্যাপক ডা. তারেক আলমের সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ডা. রুবাইয়ুল মোরশেদসহ অন্যরা সহযোগিতা করেন।
তথ্যসূত্রঃ মেডিভয়েস
মোট ৯ টি হাসপাতালে #করোনার_টেস্ট_করা_হবে ।
#ঢাকার_মধ্যে:(৫ টি)
১.আই ই ডি সি আর, মহাখালি ,ঢাকা( ✅)
২.শিশু হাসপাতাল, আগারগাঁও,ঢাকা( ✅)
৩.ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,ঢাকা
৪.স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ(মিটফোর্ড)হাসপাতাল,ঢাকা
৫.ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ, মহাখালি,ঢাকা।
#ঢাকার_বাইরে:( ৪ টি)
৬.ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
৭.চিটাগাং মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
৮.রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
৯.খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
( - ✅ ১ ও ২ এ টেস্ট করা হচ্ছে)
বাকীগুলির(৩ -৯) প্রস্তুতি চলছে, অল্প সময়ের মধ্যে টেস্ট করার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
-- প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা,স্বাস্থ্য বিভাগ,মহাখালী।
(Collected post)
ঘরে থাকুন, ঘরে থাকুন এবং ঘরে থাকুন।
3, 3, 3, 3, 4, 21, 79, 157, 229, 323, 470, 655, 889, 1128, 1701, 2036, 2502, 3089, 3858, 4636, 5883, 7375, 9172, 10149, 12462, 15113, 17660, 21157, 24747, 27980, 31506, 35713, 41035, 47021, 53578, 59138, 63927, 69176, 80122.
এগুলো ছিলো ইতালিতে গত ৩৮ দিনে দৈনিক মোট আক্রান্তের সংখ্যা। ৩৮ দিন আগে যেখানে আক্রান্ত ছিলো মাত্র ৩ জন, সেই ইতালি আজ ৩৮ দিনের ব্যবধানে লন্ডভন্ড।
আসুন আমেরিকার ৩৮ দিনের সংখ্যাগুলো দেখে নেই।
15, 15, 15, 15, 15, 35, 35, 35, 53, 57, 60, 60, 63, 68, 75, 100, 124, 158, 221, 319, 435, 541, 704, 994, 1301, 1630, 2183, 2770, 3613, 4596, 6344, 9197, 13779, 19367, 24192, 33592, 43781, 54881,85712
মাত্র ১৫ দিন আগেও আমেরিকায় আক্রান্ত ছিলো ৭০৪ জন, সেই সংখ্যা এখন ৮৫ হাজারের বেশি।
এবার একটু বাংলাদেশের অবস্থা দেখি..
1, 3, 3, 6, 8, 8, 11, 14, 24, 27, 33, 39,44,48
অন্য দেশগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখুন তো, বাংলাদেশও কি একই পথে হাঁটছে না? শুধু সময়ের ব্যবধান মাত্র!!! ৩৮ দিন পর আমাদের অবস্থাও কি ইতালি আমেরিকার মতো হতে পারে না? বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে।
কারন জনসংখ্যার ঘনত্ব।
বাচার উপায়? ঘরে থাকুন, ঘরে থাকুন এবং ঘরে থাকুন।
collected
হেক্সিসল বা স্প্রিরিট হাতে নিয়া রান্না করবেন না
প্রিয় বড় ছোট ভাই, বোন, বন্ধু, মুরব্বিগণ.....
আপনাদের সবার কাছে বিনীত অনুরোধ - জ্বর,সর্দি ,কাশির রোগের সমস্যায় বাসায় চিকিৎসা নিন। হোম কোয়ারান্টাইনে( বাসায় আলাদা কক্ষে অবস্থান ) থাকুন। হাসপাতালে,ক্লিনিক বা কোন ডাক্তারের চেম্বারে ভীড় করে অন্যদেরকে ঝুঁকির মুখে ফেলবেন না। প্রবাদ আছে ভাইরাল সর্দি জ্বর ঔষধ খাইলে এক সপ্তাহ,আর না খাইলে ৭ দিন থাকে। তারপরও আপনার সর্দি জ্বরে নিমোক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
বড়দের চিকিৎসা...
.Paracetamol (Napa extended /long para) .............................. .....(625 /1000mg)
১+১+১-(ভরা পেটে যদি জ্বর,ব্যাথা থাকে,জ্বর ১০২ ডিগ্রির বেশী হলে সাপোজিটরি ব্যবহার করুন)
. Fexofenadin(Fexo)......120mg
০+০+১........৭ দিন
. Vitamin -c (Ceevit)..... 250mg
১+০+১.......…..২ সপ্তাহ( চুষে খাবেন খাবার পর)
Nasal drop 0.05% ( সর্দি খুব বেশি থাকলে ব্যবহার করতে পারেন )
১ ফোটা,২ নাকের ছিদ্রে,দিনে ৩ বার।
Omeprazole ( Seclo).....20mg
১+০+১–খাওয়ার ২০ মিনিট আগে,(যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে)
যাদের গলায় ব্যথা আছে তারা হালকা লবন গরম পানি দিয়ে বেশী বেশী কুলি করবেন। এর পাশাপাশি একগ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে ১-২ চামচ Viodin 1% মিশিয়ে গড় গড় করে কুলি করবেন। দিনে ৩ বার।
ছোটদের চিকিৎসা ঃ
Syp. Paracetamol (Napa)....জ্বর থাকলে
১+১+১( প্রতি ৮ কেজি ওজনের জন্য এক চামচ)
Nosomist /N-sol nasal drop
১ ফোটা দুই নাকে নাক বন্ধ থাকলে। দিবে ৩-৪ বার বা প্রয়োজন মতো।
এর বাইরে কোন ঔষদের প্রয়োজন হলে আপনার নিকটস্থ ডাক্তারের সাথে ফোনে পরামর্শ করুন।
সবার জন্য উপদেশ:
★ ঘরে অবস্থান করুন....
★লেবুর শরবত খান
★ প্রচুর পানি পান করুন....
★ সবুজ ফলমূল খান....
★ মাস্ক ব্যবহার করুন....
★ হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন...
★ পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন....
🚩🚩🚩🚩বিপদ জনক চিহ্ন 🚩🚩🚩🚩
জ্বরের সাথে যদি শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়া তাহলে সোজা জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চলে যাবেন৷ অন্য কোথাও গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।
বিনীত
আপনাদেরই এক সুহৃদ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Village + Post: Chargarobdi, Dumki, Patuakhali
Barisal
আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের সেবায় ?
Mojib Monjil, TTC Len, C&B Road
Barisal, 8200
বরিশাল বিভাগে সর্ব প্রথম প্রতিষ্ঠান (চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণ).হিজামা,পলিপাস, পাইলস ও ডিভাইস কসমেটিক খতনা
Barisal, 8200
We are the most trusted medical surgical Equipment wholesaler in Barishal division.We are supplying most authentic medical equipment products in Barisal area. We are providing the ...
Natullabad
Barisal, 8200
আমাদের কাছ থেকে শতভাগ খাঁটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পণ্য পাবেন। ইনশাআল্লাহ
Barisal, 8200
We deal with unique product that you require for safety in your day to day activities. To order call