Govt. B.M College সরকারি ব্রজমোহন কলেজ

সত্য প্রেম পবিত্রতা
এই তিনটি বিষয় কল? Brojmohun college was established on 14th June in 1889 by Mahatma Ashwini Kumar Dutta. Md.

But history chronicles that he first established the B.M shcool patronized by his great father in 1884 and then it it evolved into B.M college to meet the increasing demands of higher education for the poor southerners. In 1917 college was transferred into the present location. This college had got a revolutionary spirit as the Swadeshi movement and its ideology against British Raj streamed throug

10/08/2022
01/08/2021

সরকারি ব্রজমোহন কলেজ,বরিশালে যারা অনার্স প্রথম বর্ষে (২০২০/২১শিক্ষাবর্ষ) আবেদন করবে ও ভর্তি হবে তাদের উদ্দেশ্য বলা -

১. কয়টি কলেজে আবেদন করতে পারবে?
উত্তরঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে কোন একটি কলেজে আবেদন করতে পারবে। যাদের জিপিএ ভালো তারা বি.এম কলেজে আবেদন করতে পারো৷

২. যদি ১ম ও ২য় মেরিট লিস্ট সুযোগ না পাই তাহলে কি করবো?
উত্তরঃ রিলিজ স্লিপ আবেদন করতে হবে সাধারণত ০২ বার রিলিজ স্লিপ দেয়। রিলিজ স্লিপে যে সকল কলেজে আসন সংখ্যা ফাঁকা থাকে সে সকল কলেজর মধ্যে
৫টি কলেজের যে যে বিষয় এ আসন শুন্য থাকে সব কটিতে আবেদন করতে পারবে।

৩. সাইন্স থেকে আর্টস বা কমার্স থেকে আর্টস, এক কথায় গ্রুপ পরিবর্তন করে ফরম তুলতে পারব কিনা?
উত্তরঃ এক কথায় বলি আবেদনের সময় যতগুলো বিষয় শো করবে তা সবি চয়েজ করতে পারবে।
সোজা কথা, গ্রুপ পরিবর্তন করলে এগুলো মোট আসনের ৫% দেখে।

৪. বি এম কলেজে কত পয়েন্টে চান্স পাব?
উত্তরঃঃ কেউ জানেনা পাবে কিনা, প্রতিটি কলেজে আলাদা মেরিট ভিত্তিতে ভর্তি নিবে। তাদের মধ্যে যাদের GPA বেশি থাকবে তারাই সুযোগ পাবে।

৫. কত পয়েন্ট হলে বি এম কলেজে আবেদন করা ভালো?
উত্তরঃ বিজ্ঞান বিভাগের যাদের কমপক্ষে ৮.০০ পয়েন্ট আছে এবং মানবিক ও বানিজ্য বিভাগের যাদের ৭.৫০ পয়েন্ট আছে তারা বি এম কলেজ চয়েজ করলে চান্স হতে পারে এর কম থাকলে নরমাল কলেজে ট্রাই করতে পারো। হোক সেটা বেসরকারি কলেজ। কেননা, সরকারি কলেজে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা মাত্র 40%...

✅ মানবিকের যাঁদের মোট ৮.৫০ থেকে ৮.৮০+ পয়েন্ট আছে তাঁরা মোটামুটি বি এম কলেজ চয়েজ করতে পারো। তাহলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা ৮০% থাকে।

✅ যাদের এসএসসি- ৫.০০ ও এইচএসসি- ৫.০০ পয়েন্ট আছে তারা নিঃসন্দেহে বি এম কলেজে আবেদন করতে পার।

✅ বিজ্ঞানের বিষয়গুলো পেতে চাইলে পয়েন্টের খাতায় মোট ৮.৫০ থেকে ১০.০০ পয়েন্ট থাকা ভালো।

৬. সরকারি কলেজ আর বেসরকারি কলেজর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ পার্থক্য শুধু খরচের দিক থেকে। সরকারিতে খরচ কম আর বেসরকারিতে খরচ বেশি। বেসরকারিতে খরচ কলেজ ভেদে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে হয়তো কোনটা কম কোন একটু বেশি।

৭. অনেকে বলে- গতবার তো ৮.০০ দিয়ে ঐ কলেজ সুযোগ পাইছে আমার তো ৮.৩০ তাহলে আমি কেন এবার পাব না ?
উত্তরঃ গতবার পাশের হার ছিল কম আর এই বারে অটোপাশের কারণে ভালো রেজাল্টধারী ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যাও বেশি ফলে সুযোগ পাওয়ার প্রতিযোগিতাও বেশি মানে যত বেশি হবে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি । তবে যতোগুলো বিষয় আসে সবগুলো বিষয় এ আবেদন করা উচিৎ।
৮.বি এম কলেজে কোন কোন বিষয়ে অনার্স আছে?
উত্তরঃ বি এম কলেজের অনার্স বিষয়ের তালিকা নিম্নে দেয়া হলঃ
বিজ্ঞান অনুষদঃ পদার্থ, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, রসায়ন, গনিত, পরিসংখ্যান, উদ্ভিদ বিদ্যা, প্রানি বিদ্যা।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদঃ
অর্থনীতি, সমাজ বিজ্ঞান, রাস্ট্র বিজ্ঞান, সমাজ কর্ম।
মানবিকঃ বাংলা, ইংরেজি, দর্শন, সংস্কৃত, ইসলামী শিক্ষা, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস।
ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদঃ
মার্কেটিং, ফিনান্স, ব্যাবস্থাপনা, হিসাব বিজ্ঞান।
আবেদনের পূর্বেই বিষয়ের ক্রম নির্ধারণ করে নিও। একবার সাবমিট করলে তা বাতিল বা পরিবর্তন করা যায় না। যে কলেজে ভর্তির আবেদন করবে, ঠিক সেই কলেজেই ফর্মটি জমাদিতে হবে। অন্য কলেজে জমা দিলে হবে না।
৯. এই সাবজেক্ট নিলে কেমন হবে ঐ নিয়ে পড়লে ভবিষ্যতে চাকরি পাব কি না?
উত্তরঃ দেখ সব সাবজেক্টই ভালো। বাংলাদেশে বিসিএস ক্যাডার, সরকারি চাকরি পাওয়া মানে হল সোনার হরিণ পাওয়া। তবে বাংলাদেশে চাকরির পরীক্ষা গুলোতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান এই গুলো থেকে প্রশ্ন থাকে যারা এই বিষয় গুলো নিয়ে পড়বে তারা একটু সুবিধা পেতেই পারো। (বি এম কলেজে পরিসংখ্যান বিভাগ এ অনার্স আছে দক্ষিনবঙ্গে আর কোন কলেজে নেই) তবে এইটুকু বলতে পারি যেই বিষয়ে পড় না কেন ভালো করে পড়লে, ভালো রেজাল্ট করলে অবশ্যই সফলতার মুখ দেখবে ।
শুভ হোক নুতন পথচলা।

14/06/2020

"শুভ জন্মদিন" আজ ১৪ জুন। মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের স্মৃতি বিজড়িত সরকারি ব্রজমোহন কলেজের জন্মদিন।

১৮৮৯ সালের এই দিনে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গ্রুপের পক্ষ থেকে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

11/06/2020

একটি সচেতনতামূলক পোস্টঃ

১. এমন কোনো খাবার কি আছে যা খেলে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করতে পারবে না? বরং কুপোকাত হয়ে যাবে?

উত্তর : না, নেই।

২. এমন কোনো খাবার কি আছে যেটা না খেলে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা যাবে না?

উত্তর : না, নেই।

৩. তাহলে খাবারের ব্যাপারে পরামর্শ কী?

উত্তর : সুষম খাদ্য বা ব্যালেন্সড ডায়েট খেতে হবে। সেসব খাবার থেকেই শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নিয়ে নেবে।

৪. কোন কোন খাবার বেশি খাব?

উত্তর : এমন খাবার বেশি খেতে হবে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মূল যুদ্ধটি করে। ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৫.কোথায় পাব ভিটামিন সি?

উত্তর : পেয়ারা, আমলকি, লেবু, জাম্বুরা, কমলা, টমেটো, কাঁচামরিচ, মিষ্টি আলু ইত্যাদিসহ অন্যান্য মৌসুমি ফলমূল এবং শাকসবজিতে।

৬. আচ্ছা জিঙ্কের কথা বলছিলেন, এটা কোন খাবারে পাব?

উত্তর : মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বীচি, বাদাম, ডাল এবং গমজাতীয় খাবারে জিঙ্ক থাকে।

৭. তাহলে ম্যাগনেসিয়াম কোন খাবারে থাকে?

উত্তর : পালংশাক, টক দই, কলা ইত্যাদি খাবারে।

৮. দৈনিক কতো রকমের শাকসবজি ও ফল খাব?

উত্তর : দিনে কমপক্ষে দুধরনের শাকসবজি এবং এক ধরনের ফল খাওয়া ভালো।

৯. শাকসবজি কীভাবে কাটতে হবে?

উত্তর : বড় বড় টুকরো করে কাটতে হবে।

১০. শাকসবজি রাঁধতে হবে কীভাবে?

উত্তর : কম তাপে ঢেকে রান্না করতে হবে যাতে পুষ্টি উপাদানগুলো অটুট থাকে।

১১. মাছ, মাংস, ডিমও কি অল্প আঁচে রান্না করব?

উত্তর : না। এগুলো বেশি আঁচে সময় নিয়ে রান্না করতে হবে যেন ভালোভাবে সেদ্ধ হয়।

১২. রান্নার সময় ভাতের মাড় কী করব?

উত্তর : না ফেলাই শ্রেয়।

১৩. রান্না ও খাওয়ার আগে কোনো বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে?

উত্তর : ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

১৪. ভিটামিন-ডি-এর ব্যাপারে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। এ সম্পর্কে কিছু বলবেন?

উত্তর : ভিটামিন-ডি আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য সবসময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটি বড় সংখ্যক মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতা দেখা গেছে। ভিটামিন-ডি-এর সবচেয়ে বড় উৎস সূর্যের আলো। সূর্যের আলো যখন ত্বকের উপর পড়ে তখন আমাদের শরীরে ভিটামিন-ডি তৈরি হয়।

১৫. কতোক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকব প্রতিদিন? কখন?

উত্তর : দিনে অন্তত ১০-১৫ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। মধ্যদুপুরে সূর্য যখন প্রখর হয়ে ওঠে তখন রোদের আলো শরীরে লাগানো ভালো। তবে সামাজিক দূরত্ব যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যাপারটিও খেয়াল রাখতে হবে। নিজের বারান্দা, ছাদ বা বাগান বেছে নেয়া যেতে পারে।

১৬. কোনো খাবারে ভিটামিন-ডি থাকে না?

উত্তর : থাকে। যেমন : মাছের তেল, কলিজা, মাশরুম, মাংস, ডিম, দুধ( ফর্টিফাইড) ইত্যাদিতে।

১৭. ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট নেয়া যাবে?

উত্তর : চিকিৎসকের পরামর্শে দৈনিক ৪০০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট খাওয়া যেতে পারে। তবে নিজের ইচ্ছেমতো বেশি ডোজে খেলে কিডনি, হৃদপিণ্ড এবং হাড়ের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

১৮. পানি খাবার ব্যাপারে কোনো পরামর্শ?

উত্তর : দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করতে হবে। কুসুম গরম পানি হলে ভালো হয়। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরের নানা ক্ষতি হয়।

১৯. কীভাবে বুঝব পর্যাপ্ত পানি খাচ্ছি কি না?

উত্তর : প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলুদ হলে বুঝে নিতে হবে পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না শরীর।

২০. কোন কোন খাবার পরিহার করতে হবে সুস্থ থাকতে চাইলে?

উত্তর : চিনি, চর্বিযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত লবণ, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, বোতলজাত কোমল পানীয়, কৃত্রিম জুস, কেইক, পেস্ট্রি ইত্যাদি।

২১. দিনে কতোটুকু লবণ খাওয়া যাবে?

উত্তর : ১ চা চামচের কম।

২২. খুসখুসে কাশি বা গলাব্যথা থাকলে বাসায় কি খেতে পারি?

উত্তর : মধু,লেবু-আদা-মধুমিশ্রিত চা, মুরগির গরম স্যুপ ইত্যাদি খেতে পারেন। গলা ব্যথার জন্যে লবণপানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে৷

ডা. মারুফ রায়হান খান
এনাম মেডিকেল কলেজ

26/05/2020

কী শেখালো হার্ভার্ড?

দুবছর আগে যে স্বপ্নময় যাত্রা শুরু করেছিলাম, তার বিদায়ঘণ্টা বাজছে।বান্দরবান থেকে বোস্টন- যাত্রাটা ছিল অবিশ্বাস্য, অদ্ভুত, বিচিত্র, কিমাশ্চর্যম! বাংলাদেশ-মায়ানমার বর্ডারে রোহিঙ্গা সংকটের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে কল্পনাও করতে পারিনি একদিন পা রাখব বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে, সহপাঠী হিসেবে পাবো সারা বিশ্ব থেকে ছেঁকে আনা অসামান্য সব মানুষদের, সরাসরি বসতে পারবো বর্তমান বিশ্বের সর্বোচ্চ মননশীল কিছু শিক্ষকদের ক্লাসে।দশ বছর বয়েসে সর্বপ্রথম যে বিদ্যাপীঠের নাম শুনি, প্রায় পঁচিশ বছর পর সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন করাটা আমার মত সামান্য মানুষের জন্যে অনেকটা স্বপ্ন স্পর্শ করার মতই আনন্দের।

তবে এই হরিষেও লুকিয়ে আছে বিষাদ- আগামী আঠাশ তারিখ যে কনভোকেশন হবে সেটা হবে শুধুই অনলাইনে। করোনা অতিমারীর এই ক্রান্তিকাল ছিনিয়ে নিয়েছে আমার অতি সযতনে লালিত একটা সুপ্ত ইচ্ছে- বাবা মা কে দুপাশে রেখে গ্রাজুয়েশনের কালো গাউন পরে জন হার্ভার্ডের মূর্তিকে পেছনে রেখে একটা ছবি তুলব- তা আর হল কই? এ কথা মা কে বলতেই মা বললেন, দেখ, কত মানুষ এ অতিমারীতে সর্বস্ব হারিয়েছে, সে তুলনায় এ আর কি? ভেবে দেখলাম, আসলেই তাই।

দু বছরে যা শিখেছি, তা কি দু পৃষ্ঠায় তুলে ধরা সম্ভব? নাহ- সম্ভব না।কিন্তু মোটা দাগে মূল অনুধাবনগুলো তো তুলে ধরা যায়! সে চেষ্টাই করা যাক!

হার্ভার্ডের প্রথম শিক্ষা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠান মানুষকে বড় করে না- মানুষই প্রতিষ্ঠানকে বড় করে। প্রতিষ্ঠান মানুষকে একটা প্ল্যাটফর্ম দেয় মাত্র; মানবসত্তার সর্বোচ্চ উন্মেষে বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রথাগত শিক্ষা অপরিহার্য নয় এটা বঙ্গবন্ধু, মহাত্মা গান্ধী, নজরুল সহ হাজার হাজার “অক্সফোর্ড-হার্ভার্ডে-না-পড়া” মহামানবেরা অজস্রবার প্রমাণ করেছেন। এটা মাথায় রেখেও একজন সদ্য হার্ভার্ড গ্রাজুয়েট হিসেবে সবচাইতে ভীতিকর যে প্রশ্নটি আমি নিজেকে করি, সেটি হচ্ছে- আমি কি আসলেই এর যোগ্য? কি হবে যদি এই “হার্ভার্ড” ট্যাগটাই আমার জীবনের সর্বোচ্চ অর্জন হয়? আমার এপিটাফে যদি এটা লেখা থাকে, “এখানে ঘুমিয়ে আছে মাসরুফ হোসেন, যে একদা হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেছিল”- এর চাইতে হাস্যকর, মর্মান্তিক আর বিব্রতকর কি হতে পারে? দুটো বছর আমাকে যে শিক্ষা দেয়া হয়েছে, ওটা যদি কারো কোনো কাজেই না আসে, তাহলে এত এত সময়, শ্রম আর অর্থ ব্যয় পুরোটাই ব্যর্থ। সমস্যা হচ্ছে, পূর্বসুরীদের মধ্যে নোবেল বিজয়ী, প্রেসিডেন্ট/প্রধানমন্ত্রী, বিলিওনেয়ার এবং গত চারশ বছরের বড় বড় রথী মহারথীরা রয়েছেন।এঁদের অর্জনের সামনে দাঁড়ানো মানে পর্বতের সামনে মূষিক হিসেবে অবস্থান করার মতই।হিসেব করে দেখলাম, গত পঁয়ত্রিশ বছরে মানবজাতি বা নিদেনপক্ষে দেশের সমাজে কিংবা জ্ঞানের ভাণ্ডারে এই অধমের উল্লেখ করার মত এক বিন্দু অবদানও নেই।সম্পূর্ণ শূন্য ভাণ্ডার, পুরোটাই নিঃস্ব, রিক্ত। সমুদ্রের পাশে দাঁড়িয়ে পিপীলিকা যেমন অনুভব করে, এই অনুভূতিটাই আমার প্রথম শিক্ষা।পঁয়ত্রিশ বছরেও এত এত সুযোগ পাওয়া স্বত্বেও স্রেফ খাওয়া, ঘুমানো আর নিজের ফূর্তিতে দু চারটে বই পড়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারিনি, পশ্চাদ্দেশে এই পদাঘাতের অনুভূতিটা হার্ভার্ড থেকে পাওয়া জ্ঞানের সর্বপ্রথম এবং অতি জরুরি হীরকখণ্ড-বিশেষ। বাকি জীবন কাটবে এই পরিস্থিতি পাল্টানোর সংগ্রামে, এ দিব্যি বুঝতে পারছি।

হার্ভার্ডের দ্বিতীয় শিক্ষার কথা বলতে গেলে চলে আসবে অমর্ত্য সেন, এরিক মাসকিন, জ্যাক যশট্যাক আর মাইকেল ক্রেমারের কথা। এই চারজনই নোবেল বিজয়ী, জ্যাক যশট্যাক বাদে বাকি তিনজনই অর্থনীতিতে, জ্যাক কেবলমাত্র চিকিৎসাবিজ্ঞানের।এর মধ্যে প্রফেসর সেন এবং প্রফেসর ম্যাসকিনের আমি সরাসরি ছাত্র, বাকি দুজনের সান্নিধ্যে এসেছি তাঁদের লেকচারে অংশ নিতে গিয়ে।এই চারজনের মধ্যে সবচাইতে কমন যে বৈশিষ্ট্যটি সেটি হচ্ছে একদম অকপটে “আমি জানি না” এই কথাটি বলতে পারা। এই অভিজ্ঞতা প্রথম হয়েছিল মহামনীষী অমর্ত্য সেনের অফিসে। তখনও উনার কোর্স নেইনি, দুরু দুরু বক্ষে শুধু দেখা করতে গিয়েছি।বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনীতি নিয়ে একটা প্রশ্ন করতেই তিনি মৃদু হেসে বললেন, দেখো, এটা চমৎকার একটা প্রশ্ন- এ নিয়ে বই লেখা যেতে পারে, কিন্তু এটা আমার জ্ঞানের বাইরে। আমি অর্থনীতিতে সামান্য কিছু অবদান রেখেছি মানে তো আর এই না যে আমি সর্ববিষয়ে জ্ঞানী।তুমি বরং এ বিষয়ে যিনি বিশেষজ্ঞ এমন কারো সাথে দেখা করো। একই অভিজ্ঞতা মাইকেল ক্রেমারের সাথেও। গতবছর এমআইটি এর অভিজিৎ ব্যানার্জি আর এস্টার দুফলো এর সাথে হার্ভার্ড থেকে নোবেল পুরষ্কার পেলেন মাইকেল ক্রেমার।তাঁকে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে একটা প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন- এর তিনটা উত্তর আছে। প্রথমটা হচ্ছে, আমি জানি না। দ্বিতীয়টা হচ্ছে, আন্দাজে তোমাকে কিছু একটা বলতে গেলে সেটা ভুল হবে। আর তৃতীয় উত্তর হচ্ছে, তুমি বরং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুশফিক মোবারকের সাথে (বাংলাদেশি-আমেরিকান অর্থনীতিবিদ) যোগাযোগ করো- আমার কথা বলো।ওর এ বিষয়ে রিসার্চ আছে, ও ভাল বলতে পারবে।

আমাদের প্রতিবেশী আরেকটা বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে (এমআইটি) শুনতে গিয়েছিলাম দুহাজার পাঁচ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী জ্যাক যশট্যাকের লেকচার।পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যেতেই ভীষণ লজ্জা পেয়ে বললেন, দেখো, আমার চাইতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করা লোকজন এসব পুরষ্কার পায়নি, এ নিয়ে অত মাথা ঘামিও না। বরং একটা সমস্যা পছন্দ করো যেটা নিয়ে খুব বেশি কাজ হয়নি এবং যেটা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ভাবতে তুমি বিরক্ত হবে না। লেগে থাকো, দেখবে সেটার সমাধানও হবে, সাথে পুরষ্কারও আসবে। আর না এলেই বা ক্ষতি কি? যে আনন্দটা পাবে তার কাছে পুরষ্কার কিছুই না। সর্বশেষ জন, এরিক ম্যাসকিন অমর্ত্য সেনের সাথে সহশিক্ষক হিসেবে পড়াতেন দর্শনের একটা কোর্স। ইনি যে এত বড় ব্যক্তিত্ব, অর্থনীতির বর্তমান দিকপালদের একজন- এটা পুরো সেমেস্টারে তাঁর পাশের সীটে বসে ক্লাস করেও বুঝতে পারিনি।জানিও নি যে অমর্ত্য সেনের সাথে সাথে আরেকজন নোবেল বিজয়ী একই ক্লাসে আমাদের পড়াচ্ছেন- কেউ জানানোর প্রয়োজনও বোধ করেনি!এই যে নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জ্ঞাত থেকে কোথায় থামতে হবে এটা জানা এবং সুস্পষ্টভাবে নিজের না জানাকে সবার সামনে স্বীকার করে নেয়া- হার্ভার্ডে এটা আমার দ্বিতীয় শিক্ষা।

মহাভারতের গল্পে যক্ষ যুধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞাসা করেছিল, হে যুধিষ্ঠির, এ পৃথিবীর সবচাইতে আশ্চর্য বিষয় কি? যুধিষ্ঠির বলেছিলেন, এই যে প্রতিদিন এত শত শত লোক মৃত্যুবরণ করে তাও মানুষ এমন ভাবে চলাফেরা করে যেন তার মৃত্যু হবেনা হাজার বছরেও- এটাই সবচাইতে আশ্চর্যের ব্যাপার।যদি আমার কাছে কেউ জিজ্ঞাসা করেন, আমার উত্তরটি হচ্ছে, “এই যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথের চেয়ে ভাল সাহিত্য বোঝে, সক্রেটিসের চেয়ে দর্শন বেশি বোঝে, সত্যজিৎ রায়ের চেয়ে সিনেমা বেশি বোঝে, ডক্টর ফাউচির চাইতে করোনাভাইরাস বেশি বোঝে এবং নেপোলিয়নের চাইতে যুদ্ধবিদ্যা বেশি বোঝে- এটাই বর্তমান পৃথিবীর সবচাইতে বড় অবাক হবার মত বিষয়”। অথচ আমার দেখা এই মনীষী-চতুষ্টয় নিজের গবেষণার বিষয়ের বাইরে এক বিন্দুও জাহির করতে যান না, বিনয়াবনত থাকেন প্রতি মুহূর্তে- সরাসরি বলেন নিজেদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা-এই বিনয়টা হার্ভার্ডে আমার দ্বিতীয় শিক্ষা। এনাদের মত বিনয় অর্জন এক জীবনে অসম্ভবের কাছাকাছি, কাজেই, যথারীতি আগামী দিনগুলো কাটাতে হবে বিনয়ের সাধনায়-এটাও পরিষ্কার।

তৃতীয় যে শিক্ষাটি, এটাকে হার্ভার্ড না বলে আমেরিকার মূল শিক্ষা বলা যেতে পারে- বাকস্বাধীনতা বা ফ্রিডম অফ স্পিচ। রেভারেন্ড ব্রায়ান হেয়ার নামে প্রায় আশি বছর বয়স্ক একজন প্রফেসর আছেন হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে।তিনি হেনরি কিসিঞ্জারের টিচিং এ্যাসিস্টেন্ট ছিলেন, তার কাছ থেকে শিখেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অলিগলি। শক্তিপ্রয়োগের নীতি কোর্সে যতবার তিনি কিসিঞ্জারের প্রসঙ্গ এনেছেন, ততবার সবার সামনে আমি তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছি উনিশশ একাত্তর সালে বাঙালির গণহত্যায় এই নৃশংস মানুষটির ভূমিকার কথা। ফাইনাল টার্মপেপারে সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কিসিঞ্জারকে এবং আমেরিকার নীতিকে অমানবিক, অপরাধমূলক, মানবতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল হিসেবে বর্ণনা করেছি। আমার ধারণা ছিল এই কোর্সে প্রফেসর আমাকে ভাল নম্বর দেবেন না। তিনি শুধু সর্বোচ্চ নম্বরই দেন নি, হাতে লেখা নোট-এ সেই পেপারটির প্রশংসাও করেছিলেন।

এই যে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে ভিন্ন একটি দৃষ্টিভঙ্গীকে মূল্যায়ন, এটা আমার কাছে অনেকটা ভিনগ্রহের বস্তু বলে মনে হয়েছিল। ধর্মতত্ত্ব স্কুলে গিয়েছিলাম প্রফেসর ফ্রান্সিস ক্লুনির অধীনে গীতা পড়তে, সেখানে আমি একমাত্র মুসলিম- বেশ কয়েকজন সনাতন ধর্মাবলম্বী, একজন হিন্দু সন্ন্যাসী (স্বামী সর্বপ্রিয়ানন্দ), বাকিরা খ্রিশ্চিয়ান, বৌদ্ধ, বাহাই, জুয়িশ ও অন্যান্য। নাস্তিক, এ্যাগনস্টিক এবং স্পিরিচুয়ালও ছিল কেউ কেউ। মজার ব্যাপার, প্রফেসর ক্লুনি নিজে একজন খ্রিশ্চিয়ান জেসুইট সন্ন্যাসী, পরিষ্কার সংস্কৃত জানেন, তিনি গীতা এবং সনাতন ধর্মের একজন শ্রেষ্ঠ পশ্চিমা পণ্ডিত। তাঁর ক্লাসে গীতার কিছু কিছু ব্যাখ্যা নিয়ে দ্বিমত করেছি, প্রতিবাদ করেছি, তর্ক করেছি-এমনকি সরাসরি এটাও বলেছি যে এই ব্যাখ্যা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা এই কারণে। কেউ মনের ভুলেও প্রশ্ন তোলেনি কিভাবে একজন মুসলমান হয়েও আমি গীতা নিয়ে এত তর্ক করছি। যেসব আমি ঠিক বলেছি তাঁরা সেটা মেনে নিয়েছেন, আর যেসব ভুল বলেছি সেগুলো তাঁরা শুধরিয়ে দিয়েছেন। আমার ধর্মপরিচয়টা এখানে উল্লেখযোগ্যই নয়, জ্ঞানার্জনের প্রচেষ্টাটিই এদের কাছে জরুরী। এঁরা আধবয়েসী ভিনদেশী ছাত্রের কাছ থেকে শিখতে লজ্জিত নন, ব্যক্তিগত ইগো এঁদের জ্ঞানার্জনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।যা মনে আসে আমি মুখ ফুটে বলতে পারি কোনও রকমের ব্যক্তিগত ক্ষয়ক্ষতির ভয় ছাড়াই-এই অভিজ্ঞতাটি আমাকে শিখিয়েছে জ্ঞানচর্চার প্রকৃত পরিবেশ কিরকম হতে পারে। স্বপ্ন দেখি, আমাদের দেশেও এমন জ্ঞানচর্চার পরিবেশ গড়ে উঠবে।

চতুর্থ শিক্ষাটি পেয়েছিলাম হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের রেজিস্ট্রার অফিসে বসে। তখন সবেমাত্র সেকেন্ড সেমিস্টারের গ্রেডস হাতে পেয়েছি, টিপিকাল বাংলাদেশি ছাত্রের মত হিসেব করছি পয়েন্ট কোনটায় কিরকম, সিজিপিএ কেমন আসছে। বাহাদুরি দেখাতে গিয়ে এমআইটিতে কয়েকটা কট্টর টেকনিকাল কোর্স নিয়েছিলাম যেটার কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড আমার ছিলোনা। ওই দুটো কোর্সে গ্রেড আশানুরূপ আসেনি, সেটা নিয়ে বার বার হিসেব কষছি। যেহেতু এমআইটি অন্য প্রতিষ্ঠান, সেখানের গ্রেড পয়েন্ট হার্ভার্ডের নিয়মে রূপান্তর করাটাও একটা ভেজালের কাজ। সব মিলিয়ে হাজারটা প্রশ্ন মাথায়, ইশ, যদি সিজিপিএ যদি একটু কমে যায়?! রেজিস্ট্রার অফিসে ফোন করে এগুলো জানতে চাইতেই বলল, ভাই, তোমার প্রশ্নের মাথামুণ্ডু কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা, তুমি অফিস সময়ে চলে এসো আমার কাছে- দেখি কি কাহিনী তোমার।যাবার পর ওখানের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বললাম, ভাই এই এই অবস্থা, আমি আমার সিজিপিএ হিসেব করব কিভাবে? প্রশ্নটা শুনে সে আমার দিকে প্রায় পাঁচ মিনিট তাকিয়ে থাকলো, তারপর বলল, সিজিপিএ হিসেব করে কি করবা তুমি? কি দরকার এইটা? আমার মাথায় হাত! সাউথ এশিয়ার ছাত্ররা পয়েন্ট জিরো জিরো ওয়ান সিজিপিএ বাড়ানোর আশায় পারলে আত্মবলিদান করে ফেলে আর এই গাধা বলে কি?!

বললাম, সিজিপিএ দিয়ে কি হবে মানে? যদি পিএইচডি করতে চাই, রিসার্চ করতে চাই, তাহলে সিজিপিএ দেখতে চাইবে না? আর এত কষ্ট করে পড়াশোনা করলাম সিজিপিএ হিসেব করতে পারবোনা মানে? রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা আমার প্রশ্নে আরো ভড়কে গেল। বলল, “কেন ভাই, তোমার ট্রান্সক্রিপ্টে তো লেখাই আছে কোন কোর্সে কি লেটার গ্রেড ( অর্থাৎ এ, এ মাইনাস, বি প্লাস ইত্যাদি) পেয়েছ, সেটা দিয়েই তো সবাই কাজ চালায়, সিজিপিএ নিয়ে মাস্টার্স লেভেলে এত মাথাব্যাথা কেন তোমার? আর ট্রান্সক্রিপ্টে তো সিজিপিএ লেখা থাকেনা কোথাও!”- এইবার আমার মাথায় হাত, ট্রান্সক্রিপ্টে সিজিপিএ লেখা থাকেনা?! হে ভগবান!তাহলে দিন রাত খেটে মরলাম কেন এতদিন?!” রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা উত্তর দিলো, দেখো ভাই, এখানের ধারণাটা হচ্ছে, ভর্তি যেহেতু হতে পেরেছ হার্ভার্ডে, একটা মিনিমাম লেভেলের বুদ্ধিশুদ্ধি তোমাদের সবার আছে- কেনেডি স্কুলে আমরা সব কোর্স মিলিয়ে এভারেজে বি মাইনাস (অর্থাৎ ৫ আউট অফ ১০) সিজিপিএ রাখলেই তাকে ডিগ্রির জন্য উপযুক্ত ভাবি। এই সিজিপিএ ক্যালকুলেশন করে রেজিস্ট্রার অফিস, কারো রেজাল্ট খুব খারাপ হলে তখন ওটা নিয়ে হিসেব নিকাশ করি আমরা যে কিভাবে ও পাস করে বের হবে, এ ছাড়া ছাত্রের ট্রান্সক্রিপ্ট বা নম্বর শিটে এই সিজিপিএ এর কোনও অস্তিত্বই থাকেনা। এর পেছনে কারণ হচ্ছে, তুমি কেনেডি স্কুলের ছাত্র, কিন্তু দেখা গেল তুমি নিজের কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে এমআইটি বা বিজনেস স্কুলে খুব কঠিন একটা কোর্স নিলে- এতে তোমার গ্রেড খারাপ এলেও এমন কিছু শিখতে পারলে যা হয়তো তোমার জীবনটাকেই পাল্টে দিলো। তুমি দেখা গেল পরবর্তীতে পিএইচডি করলে ওই লাইনে, বা কর্মক্ষেত্র বেছে নিলে ওই বিষয়ের উপর। এই যে একজন ছাত্রের অপরিসীম সম্ভাবনা, তাকে সিজিপিএ ধরে রাখার ভয় দেখিয়ে সেটা সীমাবদ্ধ করে রাখার বিপক্ষে অবস্থান হার্ভার্ডের।লোকপ্রশাসন পড়তে এসেছ বলে তোমার যে অন্য বিষয় ভাল লাগবে না , বা নিজের প্যাশন তুমি অন্য কোনও ডিসিপ্লিনে খুঁজে পাবে না- এমন তো না, তাইনা?”

এই জিনিসটা আমার জন্য সত্যিকারের কালচারাল শক ছিল। সত্যিই তো, একেকজন ছাত্রের যে অপরিসীম সম্ভাবনা, কোন অধিকারে আমরা সেটাকে আটকে ফেলি? অনার্সে অর্থনীতি পড়া একজন যদি পরবর্তীতে পদার্থবিজ্ঞানে তার আনন্দ খুঁজে পায়, শিক্ষাব্যবস্থার কি উচিৎ না তার সেই প্যাশনকে জায়গা দেবার? প্রমথ চৌধুরী বলেছেন, সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। ভিন্ন ডিসিপ্লিনের একজন ছাত্র যদি নিজ আগ্রহ থেকে প্রবল পরিশ্রম করে নতুন একটা বিষয়ে পিএইচডিতে ভর্তি হবার মত যোগ্যতার প্রমাণ শিক্ষকদের কাছে দিতে পারে, কোন অধিকারে তাকে শিখতে দেয়া হবেনা? জ্ঞানের রাস্তায় প্রবেশের মুখে এক যোগ্যতা ছাড়া অন্য কোনওরকম চৌকিদারি থাকা যে ঠিক না, মানুষের সম্ভাবনাকে যে আটকে দেবার অধিকার কারো নেই, হার্ভার্ডে এটাই আমার চতুর্থ শিক্ষা।

এবার আসি সর্বশেষ এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটিতে। উপরের বাকি চারটি জিনিস যদি নাও জানতাম, এই একটা জিনিস জানাটা আমার জন্য সবচাইতে জরুরী ছিল, নইলে সারাজীবন একটা ভুল ধারণা নিয়েই কাটাতাম। এই একটা শিক্ষার জন্য মনে মনে আফসোস করি, ইস, আর যদি পনেরোটা বছর আগে আসতাম এখানে, কতই না ভাল হত! এই শিক্ষাটা কেমন তার একটা উদাহরণ দিতে পারি। মনে করুন আপনি একটা আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে গিয়েছেন- সবাই শেখানে কেতাদস্তর স্যুট টাই পরা- একমাত্র আপনি সেখানে সবার মাঝে বসে আছেন, সম্পূর্ণ দিগম্বর অবস্থায়- আপনার দেহে একটা সুতোও নেই। কল্পনা করতে পারেন, কি ভয়ঙ্কর রকমের লজ্জাজনক ব্যাপারটা? দুই বছর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসনে মাস্টার্স শেষ করে আমার অনুভূতি ঠিক এরকম। বিশ্বাস করুন, এক বিন্দু বাড়িয়ে বলছিনা- বুদ্ধিবৃত্তির দিক থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ নগ্ন লাগে, মনে হয়, গত তিন দশকের জীবনে স্রেফ চাপাবাজি করে আর ভাসা ভাসা অসম্পূর্ণ জ্ঞান জাহির করে এতদূর এসেছি, আমার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই আসল ঘটনা কি।মস্তিষ্ককে যদি একটা কাঁচের জগের সাথে তুলনা করেন, এতদিন আমার জগ পুরোটাই ভর্তি ছিল উদ্ভট অহংকার, স্বল্প জ্ঞানের ঔদ্ধত্ব এবং নিজের সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যে উচ্চ ধারণার দুর্গন্ধযুক্ত নর্দমার পানিতে পরিপূর্ণ। হার্ভার্ড যেটা করেছে, ধুয়ে মুছে ওই নোংরা পানি পরিষ্কার করে একটা ঝকঝকে পরিষ্কার জগ উপহার দিয়েছে, যেটা পরিষ্কার হলেও পুরোপুরি খালি। একরাশ লজ্জার সাথে সবার সামনে প্রকাশ্যে স্বীকার করি, যেসব জ্ঞানগর্ভ কথা আপনাদের সামনে ফেসবুকে এবং অন্যান্য জায়গায় বলে বেড়িয়েছি-এগুলোর কিছুই আমি নিজেই শিখতে পারিনি, আই লিটারালি নো নাথিং! এ্যাবসলিউটলি নাথিং! এটা বিনয় না, বিনয় করে এই কথা বলতে গেলে সক্রেটিসের মত জ্ঞানী হতে হয় যা আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে শুধু বেমানানই নয়, চরম বেয়াদবীরও সামিল। কাজেই, বিনয় নয়, যেটা বললাম এটা একটা কর্কশ, নির্জলা, সাজগোজহীন সত্যি কথা।

এই সত্য আবিষ্কার করেছি খুব বেশিদিন হয়নি। কিছুদিন প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে ছিলাম, এমনকি এক দুবার অর্থহীন এই মূর্খতার কথা ভেবে আত্মহননের চিন্তাও উঁকি দিয়েছে। কিন্তু তারপর এসেছে এক ধরণের প্রশান্তি, যেটার সাথে অনেকটা নির্বানলাভের তুলনা করা যায়। শত্রু যখন চারিপাশ ঘিরে ধরে, ভীরু যোদ্ধা তখন বলে, হায়! আমাদের তো চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে, এবার আমরা শেষ! কিন্তু সাহসী যোদ্ধা করে উল্টোটা-সে বলে, বাহ! এই তো সুযোগ, আমরা এবার চারদিক থেকে শত্রুকে আক্রমণ করতে পারব!

মহামতি অমর্ত্য সেনের কাছেই হার্ভার্ড জীবনের সর্বশেষ ক্লাসটি করেছি, তিনি আর তাঁর সহধর্মিনী প্রফেসর এমা দুজন মিলে পড়াতেন কার্ল মার্ক্স এবং এ্যাডাম স্মিথের দর্শনের তুলনামূলক আলোচনা। কোর্স ম্যাটেরিয়াল হিসেবে “কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো” পড়তে হয়েছিল, যেখানে মার্ক্স শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন তাঁর বিখ্যাত একটি উক্তি দিয়ে- হে শ্রমিক ভাইয়েরা, শেকল ছাড়া তোমাদের হারানোর কিছু নেই। এই উক্তিটি নিজের জন্য কিছুটা পরিবর্তন করে নিয়েছি। যত বড় মূর্খই হই না কেন, আজ থেকে যদি চেষ্টা করি- I have nothing to lose but my own ignorance.

মূর্খতা ছাড়া সামনের দিনগুলোতে আমার হারানোর আর কিছু নেই- এটাই হার্ভার্ডের সর্বশেষ এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।

সবাইকে ঈদ মোবারক!

লঙ আইল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক
২৫/৫/২০২০

© মাশরুফ হোসেন

(অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও শিক্ষা ছুটিতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।)

25/05/2020

ঈদ মোবারক
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা
যত সচেতন থাকবো, তত সুস্থ্য থাকবো

বরিশাল সরকারী বিএম কলেজ মাঠে ০৩ দিন ব্যাপী জীবনানন্দ মেলার উদ্ধোধন – Earthtimes24.com 17/02/2020

বরিশাল সরকারী বিএম কলেজ মাঠে ০৩ দিন ব্যাপী জীবনানন্দ মেলার উদ্ধোধন – Earthtimes24.com Want create site? Find Free WordPress Themes and plugins.শামীম আহমেদ ॥ তোমরা স্বপ্নের ঘরে চলে এসো-এখানে মুছিয়া যাবে হৃদয়ের ব্যথা” জীবনা নন্দ দাশের এ ....

03/02/2020

বি এম কলেজের পিচ্চি রাকিব ৷
হাস্য উজ্জ্বল ছোই ভাইটা ভোলায় টলার ডুবিতে আমাদের মাঝ থেকে চির বিদায় নিল ৷

-ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাই হি রাজিউন ৷

কিছু দিন ধরে ক্যাম্পসে দেখি নি , এভাবে যে চির কালের জন্য চলে যাবি তা তো বুঝি নি ৷

এখন আর কেউ এসে বলবেনা মামা কয়টা টাকা দাও সকালে খাইনি,মামা তোমার মোবাইলটা দাও গেমস খেলবো,আসো মামা একটু পোছ দিয়া ছবি তুলি,মামা ক্রিকেট খেলবো!

কলিজার মধ্যে একটা মোচড় দিয়ে উঠলো ৷
ওর জন্য সবাই দোয়া করবেন ৷
-আমিন

04/12/2019

Govt B.M. College, Barisal, Bangladesh

29/11/2019

Govt B.M. College, Barisal, Bangladesh

টপ ভিউ,বিএম কলেজ

08/11/2019

Govt.BM College, Barisal

বিএম কলেজ (ভিডিও-৫)

24/09/2019

Govt B.M. College, Barisal, Bangladesh

অনার্স ১ম ভর্তির নোটিশ
ভর্তির সময় ২৫- ২৯ সেপ্টেম্বর।
বিভাগ ভেদে টাকার পরিমান কিছু কম-বেশি হবে।

24/09/2019

Govt B.M. College, Barisal, Bangladesh

অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তি নোটিশ

20/07/2019

Govt B.M. College, Barisal, Bangladesh

সরকারি বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ।

স্যারের জন্য শুভকামনা ।

11/07/2019

Govt B.M. College, Barisal, Bangladesh

বিএম কলেজ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের আনন্দ শোভাযাত্রা।

তাং-0৬/0৭/১৯

18/06/2019

বরিশাল- দ্য হিডেন বিউটি অব বাংলাদেশ

প্রিয় বিএম কলজে
কেমন আছো তুমি?......... জন্মদিনের শুভেচ্ছা

15/03/2019

Copy, শুধুমাত্র গল্পও হতে পারে...............।।

টাকা উড়ানো সহজ উপার্জন নয়! শিল্পপতি লোহানী সাহেবের ছেলের বাস্তব জীবনের গল্প!
ঘটনাটি ১৯৯৭ সনের, আমি আমার শিল্পপতি বাবা লোহানী সাহেবের একমাত্র ছেলে রবিন চৌধুরী। তখন আমি এ লেভেলের ছাত্র। একে তো শিল্পপতির ছেলে তার উপর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করি ভাবই আলাদা। ফ্রেন্ডস নিয়ে ক্লাবে ক্লাবে পার্টি, ট্যুর, নতুন নতুন ড্রিংকস করা, সব কিছু মিলিয়ে অন্য রকম একটা মাস্তির লাইফ কাটছিল।
বন্ধুদের মধ্যে আমার লিডার লিডার একটা ভাবছিলো। তার কারন আমি সবচেয়ে বেশি খরচ করতাম। একদিন প্লান করলাম বন্ধুরা মিলে থাইল্যান্ড যাব ট্যুরে। আর আমার এইবারের বার্থডে সেখানেই সেলিব্রেট করবো। এর মধ্যে আমার দুই বন্ধু একটু গরীব তাদের খরচ আমাকে বহন করতে হবে।
আজ বাবা বাসায় ড্রয়িং রুমে বসে কফি খাচ্ছে। বাবার সামনে যেতেই আমি কিছু বলার আগে বাবা বললো এমাউন্ট কতো?? না মানে বাবা সামনে আমার জন্মদিনতো তাই মানে এই আর কি। বাবা উচ্চ স্বরে রেগে গিয়ে বললো আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি এমাউন্ট কত?? ২ লক্ষ বাবা। হুম!!!
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তুমি। জন্ম নিয়ে এই জাতিকে কৃতার্থ করেছ, তোমার জন্মদিনে মাত্র ২ লক্ষ টাকা খরচ হবে কম হয়ে গেলনা??? এর মধ্যে মা চলে আসছে। কি হয়েছে?? আমাদের একমাত্র ছেলে এই সম্পদ সব কিছুইতো একদিন ওর হবে। দিয়ে দাও, ওর মনে কষ্ট দিওনা।আমি যদি আমার ছেলেকে একটা উড়ন্ত বিমানের পাইলটের সিটে বসিয়ে তোমার ছেলের উপর প্লেনের দ্বায়িত্ব দিয়ে নেমে পরি। তখন কেমন হবে তুমিই বল?
শোন রবিনের মা এই সম্পদ একদিনে আসেনি। এর দা‌য়িত্ব নিতেও নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়। ঠিক আছে আমি তোমার ছেলেকে ২ লক্ষ টাকা দিব যদি সে আগামীকাল আমাকে পরিশ্রম করে ২০০ টাকা উপার্জন করে এনে দিতে পারে। সারা রাত নাক ডেকে ঘুমিয়েছি মাত্র ২০০ টাকা লুল, বাবা আগামী কালই দেখতে পারবে আমি তার সম্পদের দায়িত্ব নেয়ার মতো যোগ্য হয়েছি।
পরের দিন সকাল ৭ টায় বাবা আমাকে ডেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিল। কি যে বিরক্ত লাগছিল মাত্র ২০০ টাকার জন্য এতো সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে?? রেডি হয়ে একে বারে ফুল বাবু সেজে ২০০ টাকা উপার্জন করতে বের হয়েছি। পকেটে এক টাকাও নাই সাথে বাবা একজন স্পাইও দিয়েছে।
ঘর থেকে বের হওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে আমি একটা সমুদ্রের মাঝে পরে গেলাম। বিনা পুঁজিতে টাকা কোথায় পাই। কার কাছে থেকে ধার করতে পারছি না, কারো সাহায্য নিতে পারছিনা। ভিক্ষাও করতে পারবো না। ভাবতে ভাবতে দুপুর হয়ে গেল। অবশেষে একটা রিক্সার গ্যারেজে গেলাম, মনে মনে ভয়ও পাচ্ছিলাম অনেক মানুষ আছে রিক্সাওলার গায়ে হাত তুলে যদি আমাকে কেউ রিক্সাওয়ালা ভেবে মারে??
তখনি বিবেক আমাকে বুঝিয়ে দিল রিক্সাওয়ালাও আমারি মতো মানুষ। তাদের গায়ে হাত তুলা অন্যায়। রিক্সার গ্যারেজে গেলাম কিন্তু অপরিচিত মানুষকে তারা রিক্সা দিবেনা। হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো রিক্সা না পেয়েছিতো কি হয়েছে রিক্সা ঠেলতেতো পারবো। আমি আমার বাবার ছেলে এতো সহজে হার মানবোনা। তখন উচুঁ উচুঁ ব্রিজগুলোকে পেছন থেকে একজনকে রিক্সাওলার সাথে ঠেলে উঠিয়ে দিতো হতো। বিনিময়ে যাত্রীরা ১ টাকা করে দিতো।
জীবনে কোন কাজ করিনি, এক গ্লাস পানিও নিজে ঢেলে খাইনি। আর আজ তপ্ত রোদে রিক্সা ঠেলেছি, এই ভাবে ১ ঘন্টায় ১০ টা রিক্সা ঠেলে ১০ টাকা উপার্জন করেছি, ১১ নাম্বার রিক্সা ঠেলতে গিয়ে পরে হাঁটু ছিলে গেল। আবার উঠে দাড়ালাম। যখন যাত্রী আমার হাতে ১ টাকার একটা কয়েন দিচ্ছিল তখন চোখ দিয়ে কেন যেন কান্না চলে আসলো। ঘন্টা খানেক পর হাঠুর ব্যথা আরো তিব্র হতে লাগলো।
সন্ধ্যা পর্যন্ত গুনে দেখি মাত্র ৪০ টাকা হয়েছে। আর পারছি না। প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে মনে হচ্ছে শরীরও যেন নিজের সাথে প্রতারণা করছে, আমার সঙ্গ ছেড়ে দিচ্ছে। অবশেষে ৪০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম। বাবার সামনে গিয়ে দাড়ালাম ৪০ টাকা বাবার হাতে দিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললাম, আমি পারিনি বাবা। ভেবেছিলাম আমার বিধ্বস্ত ক্লান্ত চেহারা, হাঠুর কাছে ছেঁড়া পেন্ট দেখে বাবাও হয়তো কেঁদে দিবে। হয়তো আমার মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিবে।
না সে এগুলো কিছুই করেনি। বরং আমাকে বললো এখন আমার সাথে ধানমন্ডি থেকে হেঁটে বুড়িগঙ্গা সেতুর কাছে যাবে, কোন প্রশ্ন না।
আমি অবাক হলাম। এখন মনে হচ্ছে তিনি সত্যিই একজন ব্যবসায়ী। এরপরেও প্রশ্ন করলাম বাবা হেঁটে কেন। তিনি বললেন বাবা আমিতো আজকের এই পজিশনে এই ভাবে একটু একটু করেই এগিয়ে এসেছি। গাড়ি বা বিমানের গতিতে আসিনি। তুমিতো মাত্র একদিন কষ্ট করছো। একটু ধৈর্য ধর।
বাবাকে কি করে বুঝাই আমার ক্লান্তির কথা। এর চাইতে মৃত্যু যন্ত্রণা অধিক শ্রেয়। বাবা আমার হাত ধরে হাটতে হাটতে রাত তিনটায় আমরা ব্রিজ উঠলাম। শান্ত নদী ব্রিজে আমি আর বাবা। ব্রিজের রেলিং ধরে দাড়িয়ে বাবা আমাকে বললো দেখ রবিন নিচের কেমন অথৈই পানি টলমল করছে। তুমি আমার হাতে ৪০ টাকা দিয়েছে তাই না!!
জ্বি বাবা, আমার জীবনের প্রথম উপার্জন। আমি জানি রবিন এই টাকা গুলো উপার্জন করতে তোমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন তোমাকে যা বলি শোন। আমি জানি আমার ছেলে ছোট বেলা থেকেই ম্যাথমেটিক্সে খুবই ভাল। তাহলে ভাল গুনতেও পারো আশা করি। এখন আমি তোমার উপার্জনের ৪০ টাকা দূরে পানিতে ছুড়ে ফেলবো আর তুমি বলতে থাকবে বাকি কয়টা রইলো।
বাবার কথা শুনে আমার চোঁখে আবার পানি চলে আসলো। বাবা তার সমস্ত শক্তি দিয়ে একটা কয়েন সেতু থেকে দূরে পানিতে ছুড়ে ফেলে বললো রবিন এখন কয়টা রইলো। আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম বাবা ৩৯ টা। এই ভাবে এক এক করে আমার চোখের সামনে আমার জীবনের প্রথম উপার্জিত এতো কষ্টের সব গুলো টাকা পানিতে ফেলতে লাগলো আমি এক এক করে গুনছি।
এমন একটি পরিস্থিতির বর্ননা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। শুধু জানি আমার চোঁখ থেকে ঝরে পরা প্রতিটি অস্রু যেন কেরোসিনের তেলের মতোই আমার হৃদয়কে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে। বাবা আমার গায়ে কোন দিন হাত তুলেননি, কোন দিন একটা বকাও দেয়নি, আজ মনে হচ্ছে সব সুদে আসলে পুসিয়ে নিচ্ছে। শেষের টাকাটা বাবা ফেলোনা।
তারপর বললো রবিন তোমার উপার্জনের ৪০ টাকা আজকে আমি নষ্ট করতে তুমি কাঁদলে আর আমার কতো টাকা তুমি এইভাবে নষ্ট করেছো কোথায় আমিতো একবারও কাঁদিনি। তোমার অনুভুতিতে যেমন কষ্ট লাগেছে আমারও ঠিক তেমনি অনুভূতি আছে কষ্ট উপলব্ধি করার জন্য। তোমার শেষের টাকা আমি রেখে দিলাম এটা আমার সন্তানের প্রথম উপার্জিত টাকা এটা এক জন পিতার জন্য গর্বের একটা প্রাপ্তি, এটা সৃতি হিসেবে আমি মৃত্যু পর্যন্ত সাথে রাখবো।
তুমি কাল তোমার মায়ের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে নিও। বাবার এই কথা গুলো শুনার পর নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হচ্ছিল। আবেগ আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না করতে করতে বললাম বাবা আমার টাকা লাগবে না।আমি এতো দিন স্কুলে কলেজে কিছুই শিখিনি, যেটা তুমি আজকে শিখালে, তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। একজন আদর্শ বাবার চাইতে বড় শিক্ষক কেউ হতে পারেনা। একজন আদর্শ পিতাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।একজন বাবার দেওয়া সেরা উপদেশ :
১) কখনও কাউকে ছোট করে দেখবা না, নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে।।
২) জুতো সেলাই করতে গিয়ে পা বাড়িয়ে দিও না, বরং জুতোটা নিজে একবার মুছে দিয়ো।। জুতো কিনতে গেলে নিজের হাতেই জুতো পায়ে দিয়ে ফিটিং দেখো।
৩) কখনও কামলা,কাজের লোক,বুয়া বলে ডেকো না।। মনে রেখো তারাও কারও না কারও ভাই, বোন, মা বাবা। তাদের ভাই আপা বলে ডেকো।
৪) পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো কিন্তু কারও ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।
৫) কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেয়ো না, সে লজ্জা পেতে পারে।।
৬) সবসময় দিতে চেষ্টা করবা।মনে রাখবা প্রদানকারীর হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
৭) এমন কিছু করো না যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল উঠে।
৮) ছেলে হয়ে জন্মাইছো, দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।
৯) তোমার কি আছে তোমার গায়ে লিখা নেই, কিন্তু তোমার ব্যাবহারে আছে।
১০) কখনও মা কে শুনে বউকে এবং বউকে শুনে মাকে বিচারে কাঠগড়ায় দাড় করিও না। কাউকে ফেলতে পারবে না।।
১১) যখন রাস্তায় হাটবে দেখে হাটবে, কেউ পড়ে গেলো কিনা।।
১২) কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলেও বাসায় এক মুঠো ভাত খেয়ে যাবে। যাতে কারও বাড়ির ভাতের অপেক্ষায় না থাকতে হয়।
১৩) কারও বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করবে না,
কেউ খাবার অস্বাদু করার চেষ্টা করেনা।
১৪) বড়দের মাঝে তোমার চেয়ারটা বরাদ্দ নেই, আছে ছোটদের মাঝে।
১৫) বড় হবার নয়, মানুষ হবার চেষ্টা করবা। তবেই বড় হবা।
১৬) বাইক কখনও জোড়ে চালিও না, তাতে তোমার কলিজার কাপুনি বেড়ে যেতে না পারে, রাস্তার পাশে থাকা মানুষটার কাপুনি বেড়ে যেতে পারে।।

Copied

15/03/2019

Brendan Kane

Lets make it a priority to start taking more care of the planet this year! 🔥
Credit video: steve_cutts_official

Instagram for more

Want your school to be the top-listed School/college in Barisal?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Telephone

Website

Address


B. M Collage Road
Barisal
8200

Opening Hours

Monday 07:00 - 17:00
Tuesday 07:00 - 17:00
Wednesday 07:00 - 17:00
Thursday 07:00 - 17:00
Friday 07:00 - 17:00
Saturday 07:00 - 17:00
Sunday 07:00 - 17:00

Other Barisal schools & colleges (show all)
English Grammar And Composition English Grammar And Composition
Barisal, 8500

For P.E.C, J.S.C, S.S.C Exam Students in Bangladesh

Ex Students of Udayan High School ,Barisal Ex Students of Udayan High School ,Barisal
32 Fazlul Haque Avenue
Barisal, 8200

It was about 1951,the high days of language movement,when the people of West Pakistan were fighting for their mother tongue. Two great devote persons,honor

Jahanara Israil School & College Jahanara Israil School & College
999, College Row
Barisal, 8200

JISC is aimed at being the dream school for students and teachers, as well as the parents.

SARSTECbot SARSTECbot
C & B Road
Barisal, 8200

This is an automated note providing BOT made for SARSTEC . It will provide you all the notes/files/lab report you need. To get notes/files you have to use messenger (any other bro...

Network of Economics Students,University of Barishal - NESBU Network of Economics Students,University of Barishal - NESBU
Barisal

অর্থনীতি বিভাগ Ⅰ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি এসোসিয়েশন ৷

Uzzal Mahmud Uzzal Mahmud
Barisal, BARISAL

jhalakati Govt school

IELTS Doctor IELTS Doctor
Pantho Sarak
Barisal

Hi there!through this page we will practise English together. this is a great way to learn English .

Practical Notebook Drawing Practical Notebook Drawing
Barisal, 8200

Work hard to fulfill your dreams

Ses Ovinoy Ses Ovinoy
Barisal

��I Love My Life�� ��I Am King Of My Life��

Nizam Uddin Degree College Nizam Uddin Degree College
Hosnabad
Barisal, 8215

Know Thyself

𝘽𝙚𝙥𝙖𝙧 𝙠𝙞𝙞'? 𝘽𝙚𝙥𝙖𝙧 𝙠𝙞𝙞'?
𝙗𝙖𝙧𝙞𝙨𝙝𝙖𝙡
Barisal

😘I シ︎Talkシ︎ I シ︎Smileシ︎I Laughシ︎Too 🥰 ❌ ❌But シ︎Be シ︎Carefulシ︎ Whenシ︎ I シ︎am シ︎Silent😈