SaiKat AfRidi
I always wondered why somebody doesn’t do something about that. Then I realized I was somebody.
বরিশাল মহানগর বরিশাল মহানগর এর কিছু অংশ। On The Way
ও আমায় ভালোবাসে নি......
RIP Shane Warne (1969-2022)
অনুপ্রেরণা...
চার ক্লাসের পর আর স্কুলে পড়ার সুযোগ হয়নি। গরু-মহিষ চরিয়ে দিন যেতো। ১০বছর বয়সে বিয়ে হলো ৩০বছরের এক লোকের সাথে। ১৯বছর বয়সে তিনি হলেন তিন সন্তানের মা। এই সময় ঘটলো জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা। যৌতুক দিতে না পারায় তিনি স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত হলেন।
দুশ্চরিত্রা হিসাবে বদনামের ভাগিদার হলেন। নির্মম প্রহারের আঘাত সহ্য করতে না পেরে মূর্ছা গেলেন। স্বামী মনে করেছিলো, মনে হয় মারা গেছে। গোয়ালঘরে যখন তাকে টেনে হিঁচড়ে আনা হলো, তখন তিনি সন্তানসম্ভবা। সেই গোয়ালঘরেই তার কন্যা সন্তানের প্রসব হয়। নিজের নাড়ী নিজেই কাটেন।
স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত হলেন। বাপের ঘরে আশ্রয় মিললো না। সমাজে ঠাঁই হলো না। আশ্রয় নিলেন শ্মশানে। শ্মশানে শবদেহ পোড়ানোর পর কিছু খাবার ছিটিয়ে দেয়া হতো, সেই সময়ে সেই সব দিয়েই ক্ষুধা নিবৃত হতো। সমাজে বেরতে চাইলে শ্মশানের ভূত বলে মানুষ, মা আর মেয়েকে তাড়িয়ে দিতো।
জীবন থেকে মুক্তি পেতে সুইসাইড করার জন্য রেললাইনে শুয়ে থাকলেন। ট্রেন এলোনা। তিনি জানতেন না সেদিন রেল ধর্মঘট। শ্মশানে ফিরে আসলে মেয়ে বুঝতে পারে, মা তাকে নিয়ে মরতে চাইছে। সে পালাতে চায়। পরের সপ্তাহে আবার মেয়েকে আচলের সাথে বেঁধে শুয়ে পড়লেন রেললাইনের উপর। এমন সময় শুনতে পেলেন প্রচন্ড কান্নার শব্দ। কি মনে করে মাথা তুলে দেখেন, গাছের নিচে বসে একটা শিশু কাঁদছে।
তিনি দেখেন গাছের একটি ডাল কোনরকমে ভেঙে পড়তে পড়তে গাছের সাথে লেগে আছে। সেই ভাঙা ডালে আবার পাতা হয়েছে, ফুল ফুটেছে। সেই সঙ্গে ডালের ছায়ায় বসে ছেলেটি কাঁদছে।
তিনি ভাবলেন, ভেঙে যেতে যেতে টিকে থাকা গাছে যদি পাতা গজায়, ফুল ফোটে, সেই ভাঙ্গা গাছের ডাল আবার ছায়া দিয়ে মানুষকে আশ্রয় দেয়, তবে তার জীবনটা কি শুধুই অর্থহীন। এগুলো কি বিশেষ কোন ইঙ্গিত।
এক হাতে ছেলে আর এক হাতে মেয়েকে নিয়ে তিনি রেলস্টেশনে আসলেন। ভাগাড় থেকে খাবার খুঁজে খাওয়ালেন। কাজ খুঁজে কাজ পেলেন না। স্টেশনে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা শুরু করলেন। যত টাকা আয় হতো সেগুলো দিয়ে খাবার কিনে রাতে রান্না করেন। শিশু দুটোকে নিয়ে খান। রেলস্টেশনে ঘুমিয়ে থাকে অন্য শিশুদের নিয়ে এসে খাওয়ান, ঘুম পাড়ান, স্নান করান। পিতা-মাতা হীন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিশুগুলো যেন মাকে খুঁজে পায়। মাতৃত্বের চির শ্বাসত রূপ তাকে আরও মানবীয় করে তোলে।
এর মাঝে ঘটে আর এক ঘটনা। একটি ব্রিফকেস খুঁজে পেয়ে স্টেশনে স্টেশন মাস্টারের অফিসে জমা দেন। লোকটি ভালো মানুষ ছিলো। কয়েক সপ্তাহ পর ভদ্রলোক দেখা করতে এসে তাকে উপহার দিতে চায়। তিনি বলেন কোনো উপহার চাই না, শুধু আমার শিশুদের নিয়ে থাকার জন্য একটা ঘর বেঁধে দিন। শুরু হলো তার জীবনের আরেকটি অধ্যায়ের। অনাথ শিশুদের নিয়ে থাকার একটা ঘর পেলেন। বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করে দিলেন।
শিশুদের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা দেখে অন্যান্য মানুষরাও এগিয়ে আসলো। ঘর বড় হলো। যাদের পৃথিবীতে আর কেউ নেই, সেইসব শিশুরা তার কাছে আশ্রয় পেল। অনাথ শিশুরা নতুন এক মা খুঁজে পেল। এরপর কেটে গেছে অনেক দিন। প্রায় হাজারো অনাথের ঠিকানা হলো তার কাছে।
একদিন দেখেন এক বৃদ্ধ জীর্ণ শীর্ণ লোক তার কাছে এসে আশ্রয় চাইছে। ভাত, রুটি যাই থাকুক না কেন এতটুকু খাবার চাইছে। বৃদ্ধ লোকটিকে তিনি আশ্রয় দিলেন। স্নান করালেন। গায়ের জামা বদলে দিলেন। খাবার খাওয়ালেন। ডাক্তার এসে তার শরীর চেক করে ওষুধ খাইয়ে গেলো।
বৃদ্ধ লোকটি তাকে চিনলো না। কিন্তু তিনি নিজে চিনতে পেরে বললেন, একদিন তুমি এক সন্তানসম্ভবা মেয়েকে মেরে গোয়াল ঘরে ফেলে রেখেছিলে, কিন্তু বিধাতার কি নিয়ম দেখো আজ তুমি সেই মেয়ের কাছেই আশ্রয়ের জন্য এসেছো।
শ্মশানে শবের অপেক্ষায় থেকে দু'মুঠো খাবারের জন্য যার জীবন কেটেছে, সে জানে খিদের কষ্ট কি। সে জানে মাথার উপর একটু আশ্রয় প্রাপ্তির সুখ কি। তাই তুমি সব কিছুই এখানে আমার কাছে পাবে। কোন অবহেলা হবেনা। তবে তুমি আর আমার স্বামী হিসাবে না বরং আমার সন্তান হিসেবে এখানে থাকবে।
পুরো বিশ্ব থেকে তিনি নানা সম্মান, খ্যাতি এবং প্রায় ৭৫০ টি নানা রকমের অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছেন।
"মাদার অফ থাউজেন্ড অরফ্যানস" নাম দিয়ে সার্চ করলে এই মহীয়সী নারী সিন্দুতাই শেপকালকে নিয়ে লেখা অসংখ্য আর্টিকেল উঠে আসে। গোয়াল ঘরে জন্ম নেওয়া তাঁর মেয়েটি চিকিৎসক হয়ে, সব অনাথ শিশুদের চিকিৎসার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে। তার অনাথ আশ্রম থেকে শত শত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে শুধু ভারতে না, বিশ্বের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন।
এই মহিয়ষী নারী এবার করোনার এই ডিজাস্টারের সময় যাতে একজন মানুষও তাঁর এলাকায় অভুক্ত না থাকেন তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। বিবিসির সাংবাদিককে বলেন বড় চিকিৎসক, বড় প্রযুক্তিবিদ হওয়া অবশ্যই ভালো কিন্তু এসব না হলে যে মানুষের সেবা করা যায় না তা ঠিক নয়। চারপাশ থেকে যা পেলাম তা শুধু নিজের করে নিলাম।
এরকম মানুষ যত বড়ই হোক না কেনো তাতে সমাজের কোন লাভ হয় না। মানুষের সেবা করার জন্য সুন্দর একটা ত্যাগের মন থাকাই যথেষ্ট। গহনা, অলংকার পোশাক-পরিচ্ছদের কথা বলতে গিয়ে হেসে বলেন, মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার চেয়ে বড়ো অলংকার আর কিছুই নেই। সততার চেয়ে দামি পরিচ্ছদও আর নেই।
লেখাঃ সুভাষ নন্দী।
মা মানেই সুন্দর 💟
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the organization
Telephone
Website
Address
Barisal
8231
Barisal, -8550
� Allah help us , We help the Poor � It's Humanities and This Foundation Always Try To Do This.
Bangladesh, Barisal City Corporation
Barisal, 8200
প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।
Guthia, Uzirpur, Barishal
Barisal, 8200
Welcom to Freelancer Masud page.... Freelancer Of Barishal�. Bangladesh
Barisal, 8200
স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠনে যুক্ত হয়ে দেশের বৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী প্লাটফর্মের গর্বিত অংশীদার হোন।
Barisal, 8250
মুলাদী উপজেলা, বরিশাল এর সলক আপডেট নিউজ বুলেটিন পেতে পেইজে লাইক ও ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন, ধন্যবাদ।