Gaining Nearness To Allah
Assalamu Alaykum...This is a religious page for spreading islamic post,quotes & contents.
আইয়ামে বীজ এর রোজা ১৩,১৪,১৫ ই শাবান,(ফেব্রুয়ারি ২৪,২৫,২৬)ইং তারিখে✨
• পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস হচ্ছে লোহা, যা সবকিছু কেটে ফেলতে পারে।
• লোহা থেকেও শক্তিশালী হচ্ছে আগুন, যা লোহাকেও গলিয়ে দিতে পারে।
• আগুন থেকেও শক্তিশালী হচ্ছে পানি, যা আগুনকেও নিভিয়ে দিতে পারে।
• পানি থেকেও শক্তিশালী হচ্ছে মানুষ, যে সেই পানিকেও পান করে নিতে পারে।
• মানুষ থেকেও শক্তিশালী হচ্ছে মৃত্যু, যা মানুষের অস্তিত্বকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
• মৃত্যু চেয়েও বড় হচ্ছে দোয়া, যা মানুষের তকদির পর্যন্ত বদলে দিতে পারে।
• সুবহানাল্লাহ❤️
একজন ইহুদি ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ (যিনি একজন ধর্মীয় পণ্ডিতও ছিলেন) খোলাখুলি বলেছিলেন যে, পৃথিবীতে মুসলিম নারীর চেয়ে পবিত্র ও বিশুদ্ধ নারী অন্য কোন ধর্মে নেই।
পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল যখন আলবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউটের (Albert Einstein Institution) সাথে যুক্ত একজন ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ, ইহুদি পেশাদার রবার্ট, তার ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। যার একমাত্র কারণ ছিল, কুরআনে উল্লেখিত তালাক প্রাপ্ত নারীর ইদ্দতের আদেশ সম্পর্কিত আয়াত এবং ইদ্দতের জন্য তিন মাসের সীমা নির্ধারণের পেছনের রহস্য ও হিকমত সম্পর্কে অবগতি।
আল্লাহ তায়ালা কোনো তালাক প্রাপ্ত নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বে তিন মাসের একটি গ্যাপ রাখতে বলেছেন। তিনি পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন,
وَٱلْمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٍۚ
অর্থাৎ 'তালাকপ্রাপ্তা নারীরা তিন মাসিক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে' (সূরা আল-বাকারাহ ২২৮:২)
এই আয়াতটি একটি আধুনিক জ্ঞান ডিএনএ এর উদ্ভাবনের রাস্তা সুগম করেছে এবং দেখা গেছে যে একজন পুরুষের বীর্যে থাকা প্রোটিন অন্য পুরুষের থেকে ৬২% পৃথক ও ভিন্ন থাকে।
আর একজন নারীর শরীর একটি কম্পিউটারের মত। যখন একজন পুরুষ তার সাথে ইন্টারকোর্স করে তখন সেই নারীর শরীর সব ব্যাকটেরিয়াকে শোষণ করে এবং তার শরীরে তা ধারণ করে।
অতএব, বিবাহ বিচ্ছেদের পরপরই, যদি একজন মহিলা অন্য পুরুষকে বিয়ে করেন বা একই সাথে বেশ কয়েকজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে, তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ জমা হয় যা বিপজ্জনক ভাইরাসের রূপ নেয় এবং মারাত্মক রোগ সৃষ্টির কারণ হয়।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখে যে, প্রথম মাসিক আসার পর একজন মহিলার শরীর থেকে ৩২% থেকে ৩৫% পর্যন্ত প্রোটিন শেষ হয়ে যায়, এবং দ্বিতীয় মাসিক আসার পর তার শরীর থেকে ৬৭ থেকে ৭২% ডিএনএ ধ্বংস হয়ে যায়। এবং তৃতীয় মাসিকের পর ৯৯.৯% পর্যন্ত প্রোটিন নির্মূল হয়ে যায়। এরপর জরায়ু আগের ডিএনএ থেকে সম্পন্নরূপে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই নতুন ডিএনএ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
একজন গণিকা অনেক মানুষের সাথে সঙ্গম করে, যার ফলে বিভিন্ন পুরুষের ব্যাকটেরিয়া তার জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ তার মধ্যে জমা হয় এবং সে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো, তার ইদ্দত তালাকপ্রাপ্ত মহিলার চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন।
এর কারণ হলো দুঃখ ও দুশ্চিন্তার কারণে তার শরীর থেকে প্রাক্তন ডিএনএ দ্রুত শেষ হয় না, এটি শেষ হতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগে, আর এ জন্য মহিলাদের ইদ্দত চার মাস দশ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًاۖ
অর্থাৎ 'তোমাদের মধ্য হতে যারা স্ত্রীদেরকে রেখে মারা যাবে সে অবস্থায় স্ত্রীরা নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন বিরত রাখবে।' (আল-বাকারাহ, ২৩৪)
এই সত্যের মুখোমুখি হয়ে, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ভিন্ন স্থানে গবেষণা পরিচালনা করেন।
এক. আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলমানরা যে মহল্লায় থাকেন, সেই সব নারীর ভ্রূণের মধ্যে মাত্র একজন স্বামীর ডিএনএ পাওয়া গেছে।
দুই. অন্য মহল্লা যেখানে আসল আমেরিকান মহিলারা থাকেন, তাদের ভ্রূণের মধ্যে একাধিক অর্থাৎ দুই বা তিন জনের বেশি পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গেছে।
অতঃপর যখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার নিজ স্ত্রীর ভ্রূণ পরীক্ষা করলেন, তখন তিনি একটি মর্মান্তিক সত্য দেখতে পান যে, তার স্ত্রীর মধ্যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ডিএনএ আছে। যার অর্থ হলো তার স্ত্রী তার সাথে প্রতারণা করছিল এবং তার তিন সন্তানের মধ্যে কেবল মাত্র একজন ছিল তার নিজ সন্তান, বাকিরা ছিল অন্য পুরুষ থেকে।
ডাক্তার তখন নিশ্চিত হন যে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীদের নিরাপত্তা এবং সমাজের সম্প্রীতির নিশ্চয়তা দেয়। এবং এই বিষয়েও নিশ্চিত হন যে, একমাত্র মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, বিশুদ্ধ ও সতী।
والله ورسوله اعلم عزوجل وصل الله عليه وسلم
ইসলামে একজন মহিলার জন্য একই সময়ে একাধিক বিয়ে বা একাধিক স্বামী রাখার অনুমতি দেয়া হয়নি কেন!
অবশেষে বিজ্ঞানও আল কুরআনের বিধানের নির্ভুল ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হলো💖
©️
রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছে নেককার স্ত্রী ও নেককার সন্তান🌸💚
"7 mistakes in Salah."⛔️
Pls Be Careful With These Mistakes.
1. Reading too fast.
2. Fingers and toes not facing qiblah.
3. When making sajdah raising of feet from ground.
4. Changing positions before imam.
5. Not having straight back in ruku.
6. Not having nose touching ground in sujud.
7. Elbows touching ground in sujud (when they shouldn't be).
Pls fwd... this will be your sadaqah jaariyah.
May Allah Guide Us To The Right Path.Ameen...🤲
🤍
Protect them Ya Allah🤲
Millions of thanks to ALLAH, who has awakened me from the half-death called sleep to see another beautiful morning!
Alhamdulillah🖤
- Your family doesn't know how much difficulties and pressure you go through in your daily life or in your business.
- And your job doesn’t know the circumstances of your life and your home.
- Your friends and loved ones will not understand the size of the new and old responsibilities that are above you.
In conclusion, no one feels about you but yourself. No matter what, keep going. You know yourself better.
©
🤲🌼
-Women don't want prince but want a man to be same from the first day to last day -Women don't want prince but want a man to be same from the first day to last day💗
মাত্র ৬ দিনে আল্লাহ তায়ালা জান্নাত ও দুনিয়া সৃষ্টি করেছিলেন!তিনি আপনার অবস্থান ও এক সেকেন্ড পরিবর্তন করতে পারেন!চোখের পানিকে হাসিতে পরিণত করার ক্ষমতা একমাত্র উনার-ই আছে! সুতরাং আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন!❤️
Allah knows everything✨🤍
- এটা তো লেলিহান অগ্নি, যা মাথার চামড়া খসিয়ে দেবে। (সুরা মাআরিজ: ১৫-১৬)
- তাদের মাথার ওপর ঢেলে দেওয়া হবে ফুটন্ত পানি, যা দিয়ে তাদের চামড়া ও পেটের ভেতর যা আছে তা বিগলিত করা হবে। (সুরা হজ: ১৯-২০)
- যারা আমার আয়াত প্রত্যাখ্যান করে, আমি তাদের অগ্নিতে দগ্ধ করবই। যখনই তাদের চামড়া দগ্ধ হবে তখনই এর স্থানে নতুন চামড়া সৃষ্টি করব, যাতে তারা শাস্তি ভোগ করতে পারে। (সুরা নিসা: ৫৬)
- জাহান্নামে ছায়া রয়েছে। তবে সে ছায়া কাউকে শীতল করবে না। জাহান্নামিরা জাহান্নামের আজাবে অতিষ্ঠ হয়ে সেই ছায়ার দিকে ছুটবে। যখন সেখানে পৌঁছবে তখন বুঝতে পারবে যে এটি কোনো ছায়া দানকারী গাছ নয়, বরং এটি জাহান্নামের কালো ধোঁয়া। সেই ছায়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যাকে অস্বীকার করতে, চলো তারই দিকে। চলো তিন শাখা বিশিষ্ট ছায়ার দিকে, যে ছায়া শীতল নয় এবং যে ছায়া অগ্নিশিখা হতে রক্ষা করতে পারে না। তা উৎক্ষেপণ করবে অট্টালিকাতুল্য বৃহৎ স্ফুলিঙ্গ, তা পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণি সদৃশ। সেই দিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের জন্য।’ (সুরা মুরসালাত: ২৯-৩৪)
মহান আল্লাহ আমাদের এসব থেকে রক্ষা করুক🤲
আল্লাহ ওই ব্যক্তির চেহারা উজ্জ্বল করে দেন,যে আমার কোনো হাদিস শুনেছে।
অতঃপর অন্যের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।
[আবু দাউদঃ ৫১৫]
Don't lie (Q22:30)
Don't spy (Q49:12)
Don't insult (Q49:11)
Don't waste (Q17:26)
Feed the poor (Q22:36)
Don't backbite (Q49:12)
Keep your oaths (Q5:89)
Don't take bribes (Q27:36)
Honour your treaties (Q9:4)
Restrain your anger (Q3:134)
Don't spread gossip (Q24:15)
Think good of others (Q24:12)
Be good to guests (Q51:24-27)
Don't harm believers (Q33:58)
Don't be rude to parents (Q17:23)
Turn away from ill speech (Q23:3)
Don't make fun of others (Q49:11)
Walk in a humble manner (Q25:63)
Respond to evil with good (Q41:34)
Don't say what you won't do (Q62:2)
Keep your trusts & promises (Q23:8)
Don't insult others' false gods (Q6:108)
Don't deceive people in trade (Q6:152)
Don't take items without right (Q3:162)
Don't ask unnecessary questions (Q5:101)
Don't be miserly nor extravagant (Q25:67)
Don't call others with bad names (Q49:11)
Don't claim yourselves to be pure (Q53:32)
Speak nicely, even to the ignorant (Q25:63)
Don't ask for repayment for favours (Q76:9)
Make room for others at gatherings (Q58:11)
If enemy wants peace, then accept it (Q8:61)
Return a greeting in a better manner (Q4:86)
Don't remind others of the favours you done to them(Q2:264)
Make peace between fighting groups (Q49:9)
The best rewarding messages you can ever share!🖤
আসসালা-মু আলাইকুম।
♦ #রিমাইন্ডার_পোস্ট ♦
আপনারা যারা ৮ ও ৯ জিলহজ্ব অর্থাৎ ২৭ ও ২৮ জুন দুটি রোজা রাখবেন নিয়ত করেছেন। তারা আজকে রাতে সাহরি খেয়ে নিবেন।আর যারা ২৭ জুন রোজা রাখতে পারবেন না, তারা ২৮ জুন অবশ্যই রোজা রাখতে চেষ্টা করবেন া_আল্লাহ।
মনে রাখবেন, #মহান_আল্লাহ এক দিনেই দুই বছরের গুনাহ মাফ করেন সেটা হচ্ছে "আরাফার দিন"।
"আরাফার দিন" দিন হচ্ছে রমজানের পরে রোজা রাখা জন্য সবচেয়ে উত্তম দিন।
আরাফার দিনে "জান্নাত" মানুষের সবচেয়ে কাছে আসে। এই পবিত্র দিনে #মহান_আল্লাহ এতো মানুষকে ক্ষমা করেন ,যা অন্য দিনে করেন না । আরাফা দিবস হচ্ছে দোয়া করা ও দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ দিন। #রবের এই ক্ষমা করা দেখে শয়তান সব চেয়ে রাগান্বিত,লাঞ্ছিত ও অপমান বোধ করে।এতোটা অপমান বোধ সে বছরের অন্য দিন গুলোতে করে না ।আর এই দিন যে আমল করতে পারে না,সে সবচেয়ে বেশি দুর্ভাগা।
#নোট : ২৭ ও ২৮ জুন রোজা রাখতে হবে ও আরাফা দিবসের দোয়া পড়তে হবে।২৮ জুন ফজর থেকে ০২ জুন আসর পর্যন্ত তাকবীরে তাশরীক পড়া ওয়াজিব তাই আমল গুলো করতে ভুলবেন না ইনশাআল্লাহ।
Labbaik Allahumma Labbaik🕋
Eid Mubarak 🌙🤍
ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আমি প্রথম এই জগতে আসি ২০১৩ সালের জুন মাসে। তখনকার ফেসবুক আর এখনকার ফেসবুক অনেক তফাত। তখন মানুষ দ্বীন থেকে অনেক দূরে ছিল -_বিশেষ করে অনলাইনে দ্বীনের কোন বিষয় নিয়ে তেমন কিছুই দেখা যেতো না। এখানে দ্বীন নিয়ে লিখালিখি, ভিডিও বানানো যাবতীয় যা কিছু আছে সবই ছিল এক প্রকার অনুপস্থিত। আস্তে আস্তে সময়ের পরিক্রমায় সব বদলে যেতে লাগলো। ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে অনেক ভাই দ্বীনের দাওয়াহ দিতে লাগলেন আর অনেকেই দ্বীনের পথে আসতে শুরু করলেন। এটা খুবই ভালো একটা দিক। কিন্তু আমাকে একটা বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে— কোন একটা বিষয়ে লাভের চাইতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি কিনা।। যদি বেশি হয়, তবে সেটা সম্পূর্ণ রূপে পরিত্যাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর যদি একান্তই পরিপূর্ণ ভাবে পরিত্যাগ করা সম্ভব না-ও হয় তবে অন্তত খুব বেশি পরিমাণে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।
° আজ অনলাইনে দ্বীনের দাওয়াহ দানকারী বা দাওয়াহ গ্রহণ কারী এদের অধিকাংশের (আমিসহ) অবস্থাই ভয়াবহ।
° কথা ছিল ইলম শিখব অন্তর দিয়ে অনুধাবন করে, আমলের নিয়তে এবং অন্যকে দাওয়াহ দেয়ার নিয়তে।
° তবে অন্যকে দাওয়াহ দেয়া যেটুকু হয় তার সিকিভাগও কি আমল করা হয়? তার বিন্দুমাত্র দাওয়াহ কি নিজের অন্তরে গেঁথে নেয়া হয়? আমাদের সালাফদের সুন্নাহ ছিল এটাই যে— উনারা যখন দ্বীনের নতুন কোন একটা বিষয় শিখতেন সেটাকে আমলে পরিনত করার জন্য উঠেপড়ে লাগতেন। আর আমাদের সুন্নাহ (পদ্ধতি) হলো যখন একটা বিষয় শিখি বা নতুন একটা আমল সম্পর্কে জানতে পারি সাথে সাথে সেটা ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ি। যেন ফেসবুককেই মনে করি সবকিছু — ফেসবুকে লিখেই যেন সারাবিশ্বে দ্বীন কায়েম করে ফেলবো এমন একটা মনোভাব আমাদের "সাব-কনশাস মাইন্ড"-এ সেট হয়ে গেছে।
এভাবেই আস্তে আস্তে দেখা যায়, দাওয়াহ দেয়ার কাজ পুরোদমে চলছে ঠিকই তবে আগের সেই আমল করার স্পৃহা আর অবশিষ্ট নেই। আফসোস!
° মানুষকে যে হারে দাওয়াহ দেই অনলাইনে তার বিন্দুমাত্র দাওয়াহ কি অফলাইনে দেয়া হয়? অথচ অনলাইনের চাইতে অফলাইনে দাওয়াহ দেয়া অধিক জরুরি ও কার্যকরী।
° যেই হারে নিউজফিডের পাতা স্ক্রলিং করি তার তুলনায় কয়টা পাতাই বা উল্টিয়ে দেখা হয় আল কুরআনের?
° দ্বীন শিখে, ইলম শিখে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করার কথা। কিন্তু তার কতটুকুই বা হাসিল করা সম্ভব হয়েছে আমার দ্বারা?
তবে আমরা যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলে থাকি— দাওয়াহ দান বা গ্রহণ , ইলম অর্জনের জন্য অনলাইনে এসে লম্বা সময় অবস্থান করি তার পুরোটাই কি ফাঁকা বুলি, অসাড়, মিথ্যা?
° আলহামদুলিল্লাহ! আমি দ্বীনের পথে এসেছি সেটা তো অনেক দিন হতে চললো— কিন্তু আমার ঈমান, আমল, আখলাক, লেনদেন, ওঠাবসা, চলাফেরা ইত্যাদি বিষয়ের কী হালত? তা কি কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে নাকি নফসের চাহিদা অনুযায়ী হচ্ছে? আসলে একটা বিষয় সবসময়ই স্মরণ রাখা দরকার — আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا ادۡخُلُوۡا فِی السِّلۡمِ کَآفَّۃً ۪ وَ لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ اِنَّہٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ ﴿۲۰۸﴾
হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না । নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু। (সূরা বাক্বারা- ২০৮)
সুতরাং বুঝতে পারলাম যে—
- কখন আমরা মুসলিম হবো?
- যখন আমরা সকল পরিস্থিতিতে আল্লাহরই সামনে আত্নসমর্পণ করবো। পরিপূর্ণ ভাবে দ্বীনের পথে ফিরে আসবো।
° দ্বীনে ফেরার প্রথম দিকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, দ্বীন ও মুসলিম উম্মাহ'র প্রতি যে মোহাব্বত, দরদ- আন্তরিকতা ছিল, তার সিকিভাগও কি এখন খুঁজে পাওয়া যায়? নাকি আগের মতই জাহিলিয়াতের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে ফিতনার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি?
আমাদের একটা হাদিস মনে রাখা দরকার যে—
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি গুন যার মধ্যে আছে, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেঃ
১. আল্লাহ ও তাঁর রসূল তার নিকট অন্য সকল কিছু হতে অধিক প্রিয় হওয়া;
২. কাউকে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালবাসা;
৩. কুফ্রীতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার মত অপছন্দ করা।
(২১, ৬০৪১, ৬৯৪১; মুসলিম ১/১৫ হাঃ ৪৩, আহমাদ ১২০০২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৫)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
° আর একটা বিষয় দেখে খুবই আশ্চর্য হই যে- বেদ্বীন বা জেনারেল শিক্ষিত ভাইদের কথা বাদ দিলাম_ দ্বীনদার, আলেম বা মাদ্রাসা পড়ুয়া ভাইয়েরা এত গাইরতহীন কীভাবে হতে পারে? আমি একটা কথা প্রায়শই বলে থাকি যে হায়া ছাড়া নারী আর গাইরতহীন পুরুষ আর যাইহোক মুমিন হতে পারে না। মুমিন নারী-পুরুষের মাঝে হায়া-গাইরত থাকবেনা এটা তো ঘূনাক্ষরেও কল্পনা করা যায় না। অনেকের আইডি দেখি অনলি ব্রাদার্স, অনলি সিস্টার্স অথচ তারাই আবার কমেন্ট বক্সে, ইনবক্সে এসে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সাথে অগত্যা কমেন্ট চালাচালি করে, লাভ কেয়ার রিএক্ট দিয়ে বেড়ায়- সুবহানাল্লাহ! এটাও কি মুমিন নারী-পুরুষের দ্বারা সম্ভব? মাআযাল্লাহ! আরেহ আমি তো নিজের মাহরাম ব্যতীত বেগানা নারীকে লাভ-কেয়ার রিএক্ট দেয়া - তার কমেন্ট এর রিপ্লাই দেয়া (খুবই জরুরি না হলে), তাকে ইনবক্স করা (অতীতের এসব ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করি ও ক্ষমা চাই) গাইরত না থাকার আলামত মনে করি। অথচ তথাকথিত দ্বীনদার, আলেম,, মাদ্রাসা পড়ুয়া ভাইদের দেখি সারাক্ষণ বেগানা নারীর সাথে রিএক্ট, কমেন্ট নিয়ে মাতামাতি করতে, যা খুবই লজ্জাজনক। ওয়াল্লাহি! আমি তাদেরকে কটাক্ষ করে এগুলো বলছি না। বরং তারা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওয়ারিশ হয়েও যখন এমনসব কাজ করে তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে দুনিয়া থেকে দ্বীন কি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেলো নাকি? (কান্নার ইমোজি) — সুতরাং প্রতিটি মুমিন ব্যক্তির উচিত নিজের গাইরত বজায় রাখা।
পরিশেষে একটা কথাই কানে বাজছে যে— “ মুসলিম উম্মাহ যেদিন থেকে হায়া-গাইরত বিসর্জন দিয়েছে সেদিন থেকেই তাদের যাবতীয় অকল্যাণ, অধঃপতন, লাঞ্ছনা শুরু হয়েছে।”
— আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ রবিন
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া
আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি। আফজালুস সালাতি বাদাল মাফরুদাতি সালাতুল লাইলি’ অর্থাৎ ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।" - (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ)
তাহাজ্জুদের নামায অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও ফযিলতপূর্ণ ইবাদত। যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণির মানুষ হলেন তারা, যারা যত্নের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। এটি একটি নফল ইবাদত তবে নফল ইবাদতের মধ্যে এটি অন্যতম একটি ইবাদত। তাহাজ্জুদের নফল নামাজকে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। তিনি নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতেন এবং সাহাবীদের এটা পালনে উৎসাহিত করতেন। কুরআনের বিভিন্ন সুরায় এ নামাজের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে।
তাহাজ্জুদ নামাজ কি?
তাহাজ্জুদ (تهجد) অর্থ ঘুম থেকে জাগা। তাহাজ্জুদ নামাজ বা রাতের নামাজ হচ্ছে একটি নফল ইবাদত, ফরয নামাজের পর অন্যান্য সুন্নাত ও নফল সব নামাযের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফযীলত সবচেয়ে বেশী।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর ওপর তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। তাই তিনি জীবনে কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকেন নি। তবে উম্মতে মুহাম্মদির জন্য এটা সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা অর্থাৎ এ নামাজ আদায় করলে অশেষ পুণ্য লাভ করা যায়, কিন্তু আদায় করতে না পারলে কোনো গুনাহ হবে না।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম:
তাহাজ্জুদ একটি নফল ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করতেন। তিনি কখনো ৪ রাকাত, কখনো ৮ রাকাত এবং কখনো ১২ রাকাত পড়েছিলেন। কিন্তু কেউ যদি এ নামাজ ২ রাকাত আদায় করেন, তাহলেও তার তাহাজ্জুদ আদায় হবে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি এশার পর দুই বা ততোধিক রাকাত নামাজ পড়ে নেয়, সে হবে তাহাজ্জুদের ফজিলতের অধিকারী।"
যে কোনো সুরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাসম্ভব লম্বা কেরাত, লম্বা রুকু ও সেজদা সহকারে একান্ত নিবিষ্ট মনে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম। কেরাত উঁচু বা নিচু উভয় আওয়াজে পড়া জায়েজ আছে। তবে কারও কষ্টের কারণ হলে চুপিচুপি পড়া কর্তব্য।
নিয়ম:
তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধা।
অতঃপর ছানা পড়া।
সুরা ফাতেহা পড়া।
সুরা মিলানো তথা কেরাত পড়া।
অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু, সেজদা আদায় করা।
এভাবেই দ্বিতীয় রাকাআত আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
এভাবে দুই দুই রাকাআত করে ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম। (বিঃদ্রঃ– যদি এশার নামায পরে বিতরের নামায পড়ে থাকেন, তবে তাহাজ্জুত নামায পড়ার পড়ে বিতর নামায পড়ার দরকার নেই। তখন ২ রাকাত থেকে শুরু করে ৮রাকাত তাহাজ্জুত নামায পরলেই হবে)।
তাহাজ্জুদ নামাযের নিয়ত:
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ - اَللهُ اَكْبَر
অর্থ: দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি...
অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া।
তাহাজ্জুদ নামাযের সময়:
তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের মুল সময় মুলত রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত থাকে। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে এশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েজ আছে। তবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাযের ওয়াক্ত:
ইশার নামাজ আদায়ের পর থেকে সুবহে সাদেকের আগ পর্যন্ত সালাতুল লাইল বা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যায়। কুরআনে রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের যে তাকীদ করা হয়েছে তার মর্ম এই যে, রাতের কিছু অংশ ঘুমিয়ে থাকার পর উঠে নামায পড়া। তাহাজ্জুদের সর্বোত্তম সময় এই যে, এশার নামাযের পর লোকেরা ঘুমাবে। তারপর অর্ধেক রাতের পর উঠে নামায পড়বে। নবী (সাঃ) কখনো মধ্য রাতে, কখনো তার কিছু আগে অথবা পরে ঘুম থেকে উঠতেন এবং আসমানের দিকে তাকিয়ে সূরা আলে-ইমরানের শেষ রুকুর কয়েক আয়াত পড়তেন। তারপর মেসওয়াক ও অযু করে নামায পড়তেন।
তাহাজ্জুদ নামাজে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যে দোয়া পড়তেন:
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গভীর রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের জন্য ওঠে কুরআনের এ আয়াতসহ সুরা আল-ইমরানের শেষ পর্যন্ত পড়তেন। - (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ – رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ – رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ
উচ্চারণ: রাব্বানা মা খালাক্বতা হাজা বাত্বিলান, সুবহানাকা ফাক্বিনা ‘আজাবান্নার। রাব্বানা ইন্নাকা মাং তুদখিলিন্নারা ফাক্বাদ্ আখঝাইতাহু, ওয়া মা লিজজ্বালিমিনা মিন্ আংছার। রাব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদিআই ইউনাদি লিল ইমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফাআমান্না; রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফ্ফির আন্না সাইয়্যেআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআ’ল আবরার।’
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহানড়বামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহানড়বামে নিক্ষেপ কর তাকে অপমানিত কর। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সকল দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।’
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশে যখন দাঁড়াতেন, তখন এ দোয়া পড়তেন:-
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ،
وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ،
وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ لاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না ওয়া লাকালহামদু। লাকা মুলকুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না। ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু। ওয়া ওয়া’দুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়াল ঝান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নারু হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কু। ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু। ওয়াবিকা আমাংতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু। ওয়া ইলাইকা আনাবতু। ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা হাকামতু। ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখ্খারতু। ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ’লাংতু। আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখ্খিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা ইলাহা গাইরুকা।’ (বুখারি)
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! সব প্রশংসা আপনারই, আপনিই আসমান-জমিন ও উভয়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আসমান-জমিন এবং এর মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনি আসমান-জমিনের নুর। আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনি আসমান-জমিনের মালিক, আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনিই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য। (পরকালে) আপনার সাক্ষাৎ সত্য। আপনার বাণী সত্য। আপনার জান্নাত সত্য। আপনার জাহান্নাম সত্য। আপনার (প্রেরিত) নবিগণ সত্য। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য, কেয়ামত সত্য।
হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আমি আত্মসমর্পণ করলাম, আপনার ওপর ঈমান আনলাম, আপনার ওপরই ভরসা করলাম, আপনার দিকেই রুজু করলাম, আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার আগের-পরের প্রকাশ্য ও গোপন সব পাপ/অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই শুরু এবং আপনিই শেষ মালিক। আপনি ব্যতিত সত্য কোনো প্রকৃত ইলাহ নেই অথবা আপনি ব্যতিত (ইবাদতের উপযুক্ত) অন্য কেউ নেই।’
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার গুরুত্ব ও ফযীলত:
পবিত্র কুরআনে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বিশেষভাবে তাগিদ করা হয়েছে।
"তারা রাতের সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করে এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে।" (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ১৭-১৮)।
আল কুরআনের সূরা আল মুজাম্মিল এ উল্লেখ করা হয়েছে "অবশ্য রাতে ঘুম থেকে উঠা মনকে দমিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কুরআন পাঠ বা জিকর একেবারে যথার্থ।"
সূরা আল ফুরকান-এর ৬৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে "আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের রবের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।"
"তারা ছিল কঠিন পরীক্ষায় পরম ধৈর্যশীল, অটল-অবিচল, সত্যের অনুসারী, পরম অনুগত। আল্লাহর পথে ধন-সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ভুলত্রুটির ক্ষমাপ্রার্থী"। (সূরা আল ইমরান : আয়াত ১৭)
ফরয নামাজের পর অন্যান্য সুন্নাত ও নফল সব নামাযের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফযীলত সবচেয়ে বেশী। (আহমাদ, মেশকাত ১১০ পৃঃ)
রাসুল (সাঃ) বলেন, আমাদের প্রভু পরওয়ারদিগার তাবারাকা ওয়া তা’আলা প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আসমানে (যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়) নেমে আসেন যখন রাত্রের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে । অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের কে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দেব । কে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দেব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। (মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)
রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদের নামায পড়ে এবং সে তার স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগিয়ে নামায পড়ায় এমনকি সে যদি জেগে না উঠে, তবে তার মুখে খানিকটা পানি ছিটিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষণ করে থাকেন। অনুরুপ কোন মহিলা যদি রাত্রিকালে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদ নামায পড়ে এবং সে তার স্বামীকে নামাযের জন্য জাগায় এমনকি স্বামী না জাগলে স্ত্রী তার মুখে পানি ছিটিয়ে তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতিও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে থাকে। (আবু দাউদ, নাসায়ী, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)
রাসুল (সাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট অতি প্রিয় নামায দাউদ (আঃ) এর নামায। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন এবং রাতেন তৃতীয় ভাগে নামাযে দাঁড়াতেন আর ৬ষ্ঠ ভাগে আবার ঘুমাতেন। (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)
কেয়ামতের ভয়াবহ বিপর্যয় ও কঠিন হিসাব-নিকাশের দিবসে কোন ব্যক্তি যদি সহজ হিসাব কামনা করে, তবে তার উচিত হবে নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। শ্রেষ্ঠতম মুফাসিসরে কোরআন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (র.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হাশরের ময়দানে সহজ হিসাব কামনা করে, তার উচিত হবে আল্লাহ যেন তাকে রাত্রির অন্ধকারে সেজদারত ও দাঁড়ানো অবস্থায় পান। তার মধ্যে পরকালের চিন্তা ও রহমতের প্রত্যাশাও থাকা দরকার। (তাফসিরে কুরতুবি, মা’আরেফুল কোরআন, ক্বিয়ামুল লাইল)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন।আমিন......🤲
Pray for someone who will understand your anger and pride, give peace of mind, who will cares and put lot of efforts to make you happy!
Such a person is very much needed in life❣️
Ya rabb,I don't know what your plans for me. But nevertheless,I will always choose to trust you. Even in pain,even in tears, even in uncertainties,l completely trust your plans for me🌸
Give me tāwfiq and hidāyah to get through it all...…..Ameen🤍
Beware⚠️
Importance of Taraweeh Prayer ❤✨
Very true!
কিছুদিন পর সেই মাস আসছে যে মাসে বিক্রেতা ৫০ টাকার পণ্য ১০০ টাকায় বিক্রি করে মসজিদের দিকে দৌড়াবে জামাত যেন ছুটে না যায়!😅
ইফতারের সময় বেশি বেশি আল্লাহর কাছে চাইবেন।
একমাত্র মূসা নবীই আল্লাহর সাথে ঘন ঘন সাক্ষাৎ করার বায়না ধরতেন এবং সুযোগও পেতেন। একবার তিনি মহান আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার কে জিজ্ঞেস করেছিলেন....
"হে আল্লাহ্ একমাত্র আমাকে আপনার সাথে সরাসরি কথা বলার সম্মান ও সুযোগ দিয়েছেন।এমন সুযোগ কি অন্য কাউকে দিয়েছেন বা দিবেন?"
আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বললেন __"পরবর্তীকালে আমি একদল লোক পাঠাবো যারা মুহাম্মদ (সঃ) এর উম্মত হবে,যারা রোজা রাখবে এবং রোজা অবস্থায় তারা তোমার চেয়েও আমার অধিক নিকটবর্তী হবে।হে মূসা যখন তুমি আমার সাথে কথা বলো তখন আমার আর তোমার মধ্যে ৭০,০০০ সূক্ষ পর্দা থাকে যা তুমি দেখতে পাও না। কিন্তু ইফতারের সময় আমার ও আমার ঐ সব বান্দার মাঝে একটি পর্দা ও থাকবে না। (সুবহানাল্লাহ)হে মূসা আমি দায়িত্ব নিচ্ছি__ইফতারের সময় আমি একজন রোজাদারের দোয়াও অস্বীকার করব না।"
সুবহানাল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহু-আকবার🖤
Aameen🤲🏻🤍
These precious days are coming✨♥️
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Barishal
The page is basically for unveiling the truth of Christianity and Bible. Stay connected.
Barishal, 8200
Assalamu Allaikum wa Rahmatullah. This is the only official page of Bilkis Begum Foundation.
Notun Bazar
Barishal, 8200
My journey as a devotee is best described as a series of ups and downs. After the initial hope of meeting Krishna and understanding the real goal of life, the bliss wears off and y...
Shaporan Road
Barishal, 9330
Islam Arabic: اَلْإِسْلَامُ, is an Abrahamic, monotheistic, and universal religion tea