Islamic BD WAZ

Islam Arabic: اَلْإِسْلَامُ, is an Abrahamic, monotheistic, and universal religion tea

03/03/2023
18/03/2022

শবে বরাতের ফজিলত🥰🥰

হজরত আয়িশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন; আমি তখন উঠে তাঁর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল; তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়িশা! তোমার কি এ আশঙ্কা হয়েছে? আমি উত্তরে বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না? নবীজি (সা.) বললেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলই ভালো জানেন। তখন নবীজি (সা.) বললেন, এটা হলো অর্ধশাবানের রাত; এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। (শুআবুল ইমান, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৮২)।
হজরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (সা.) এ রাতে মদিনার কবরস্থান ‘জান্নাতুল বাকি’তে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফার করতেন। তিনি আরও বলেন, নবীজি (সা.) তাঁকে বলেছেন, এ রাতে বনি কালবের ভেড়া বকরির পশমের (সংখ্যার পরিমাণের) চেয়েও বেশিসংখ্যক গুণাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস: ৭৩৯)।
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ১৪ শাবান দিবাগত রাত যখন আসে, তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো; কেননা, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন; কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি? আমি ক্ষমা করব; কোনো রিজিকপ্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব; আছ কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৪)।
শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়
যা যা করা উচিত: (ক) নফল নামাজ [১] তাহিয়্যাতুল অজু, [২] দুখুলিল মাসজিদ, [৩] আউওয়াবিন, [৪] তাহাজ্জুদ, [৫] ছলাতুত তাসবিহ [৬] তাওবার নামাজ, [৭] ছলাতুল হাজাত, [৮] ছলাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল ইত্যাদি পড়া। (খ) নামাজে কিরাআত ও রুকু-সেজদা দীর্ঘ করা। (গ) পরের দিন নফল রোজা রাখা; (ঘ) কোরআন শরিফ [১] সুরা দুখান ও [২] অন্যান্য ফজিলতের সুরাসমূহ তিলাওয়াত করা; (ঙ) দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া; (চ) তাওবা-ইস্তিগফার অধিক পরিমাণে করা;

21/02/2022

১. হযরত খাদীজাতুল কুবরা বিনতে খুওয়াইলিদ : বিবাহকালে রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ২৫, তাঁর বয়স ৪০, মৃত্যুকালে বয়স ৬৫, মৃত্যুকাল- ১০ নববীসন, মৃত্যুর স্থান- মক্কা, রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে দাম্পত্যকাল- প্রায় ২৫ বছর।

জ্ঞাতব্য : পূর্বে তিনি দুই স্বামী হারান। ২য় স্বামীর ঔরসে তাঁর গর্ভজাত ৩ পুত্র ছিলেন। যারা সবাই ছাহাবী ছিলেন রাসূল (ছাঃ) ছিলেন তাঁর তৃতীয় স্বামী এবং রাসূল (ছাঃ)-এর তিনি ছিলেন প্রথমা স্ত্রী। তিনি বেঁচে থাকা অবধি রাসূল (ছাঃ) দ্বিতীয় বিয়ে করেননি।

২. সওদা বিনতে যাম‘আহ : রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ৫০, তাঁর বয়স ৫০, বিবাহসন ১০ নববীবর্ষ, মৃত্যুসন ১৯ হিঃ, বয়স ৭২, মৃত্যুর স্থান- মদীনা, রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে দাম্পত্যকাল- ১৪ বছর।

জ্ঞাতব্য : প্রথমে ইনি ইসলাম কবুল করেন। পরে তাঁর উৎসাহে স্বামী সাকরান বিন আমর মুসলমান হন। অতঃপর উভয়ে হাবশায় হিজরত করেন। সাকরান সেখানে মৃত্যুবরণ করলে সন্তান নিয়ে তিনি চরম বিপদে পড়েন। একই সময়ে খাদীজাকে হারিয়ে বিপদগ্রস্ত রাসূল (ছাঃ) সংসারে সুপটু সওদাকে বিয়ে করেন ও তার হাতে সদ্য মাতৃহারা সন্তানদের দায়িত্ব অর্পণ করেন। তাঁর বর্ণিত হাদীছের সংখ্যা ৫টি। তন্মধ্যে ১টি বুখারীতে ও ৪টি সুনানে।

৩. আয়েশা বিনতে আবুবকর : রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ৫৪, স্বামীগৃহে আগমনের বয়স-৯, বিবাহ সন ১ হিজরী, মৃত্যুসন- ৫৭হিঃ, বয়স- ৬৩; মৃত্যুর স্থান- মদীনা; দাম্পত্যকাল-৯ বছর।

জ্ঞাতব্য : ইনিই একমাত্র কুমারী স্ত্রী ছিলেন। কোন সন্তানাদি হয়নি। রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে আত্মীয়তার বন্ধন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আবুবকর (রাঃ) এই বিবাহ দেন। নবীপত্নীগণের মধ্যে তিনিই ছিলেন সর্বাধিক জ্ঞানী ও বুদ্ধিমতী। তাঁর বর্ণিত হাদীছের সংখ্যা ২২১০টি। তন্মধ্যে ১৭৪টি মুত্তাফাক্ব আলাইহ, ৫৪টি এককভাবে বুখারী ও ৬৭টি এককভাবে মুসলিম।

৪. হাফছাহ বিনতে ওমর : রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ৫৫, তাঁর বয়স ২২, বিবাহ সন ৩ হিজরী; মৃত্যুসন-৪১হিঃ, বয়স-৫৯; মৃত্যুর স্থান মদীনা; দাম্পত্য কাল- ৮ বছর।

জ্ঞাতব্য : তাঁর স্বামী খুনায়েস বিন ওযাফাহ প্রথমে হাবশা ও পরে মদীনায় হিজরত করেন। বদর ও ওহোদ যুদ্ধে শরীক ছিলেন। ওহোদে যখমী হয়ে মারা যান। পরে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে হাফছার বিয়ে হয়। তিনি মোট ৬০টি হাদীছ বর্ণনা করেন। তন্মধ্যে মুত্তাফাক্ব আলাইহ ৪, এককভাবে মুসলিম ৬। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) তাঁর সহোদর ভাই ছিলেন।

৫. যয়নব বিনতে খুযায়মা : রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ৫৫; তাঁর বয়স প্রায় ৩০; বিবাহ সন ৩ হিজরী; মৃত্যুসন- ৩হিঃ বয়স- ৩০; মৃত্যুর স্থান মদীনা; দাম্পত্যকাল- ৩ মাস।

জ্ঞাতব্য : পরপর দুই স্বামী হারিয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর ফুপাতো ভাই আব্দুল্লাহ বিন জাহশের সাথে তৃতীয় বিবাহ হয়। কিন্তু তিনি ওহোদ যুদ্ধে শহীদ হলে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে চতুর্থ বিবাহ হয়। গরীবের মা হিসাবে তিনি ‘উম্মুল মাসাকীন’ নামে খ্যাত ছিলেন।

৬. উম্মে সালামাহ : রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ৫৬; তাঁর বয়স ২৬; বিবাহ সন ৪ হিঃ; মৃত্যুসন ৬০ হিঃ; বয়স ৮০ বছর; মৃত্যুর স্থান মদীনা; দাম্পত্যকাল- ৭ বছর।

জ্ঞাতব্য : রাসূল (ছাঃ)-এর আপন ফুপাতো ভাই আবু সালামাহ্র স্ত্রী ছিলেন। উভয়ে হাবশায় হিজরত করেন। বদর ও ওহোদ যুদ্ধে শরীক হন। ওহোদে যখমী হয়ে স্বামী শাহাদাত বরণ করেন। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে বিবাহিত হন। তাঁর দূরদর্শিতাপূর্ণ পরামর্শ হোদায়বিয়ার ঘটনায় খুবই ফলপ্রসু হয়েছিল। তাঁর বর্ণিত হাদীছের সংখ্যা ৩৭৮, তন্মধ্যে মুত্তাফাক্ব আলাইহ -১৩, এককভাবে বুখারী-৩, মুসলিম-১৩।

৭. যয়নব বিনতে জাহশ : রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ৫৭; তাঁর বয়স ৩৬; বিবাহ সন ৫হিঃ মৃত্যুসন ২০হিঃ; বয়স ৫১ বছর, মৃত্যুর স্থান মদীনা; দাম্পত্যকাল- ৬ বছর।

জ্ঞাতব্য : রাসূল (ছাঃ)-এর ফুপাতো বোন ছিলেন। প্রথমে রাসূল (ছাঃ)-এর পোষ্যপুত্র যায়েদ বিন হারেছাহ্র সাথে বিবাহ হয়। পরে যায়েদ তালাক দিলে আল্লাহ্র হুকুমে রাসূল (ছাঃ) তাকে বিয়ে করেন প্রচলিত দু’টি কুসংস্কার দূর করার জন্য। এক- সে যুগে পোষ্যপুত্রকে নিজ পুত্র এবং তার স্ত্রীকে নিজ পুত্রবধু মনে করা হ’ত ও তার সাথে বিবাহ নিষিদ্ধ মনে করা হ’ত। দুই-ইহুদী ও নাছারাগণ ওযায়ের ও ঈসাকে আল্লাহ্র পুত্র গণ্য করত (তওবা ৯/৩০)। অথচ সৃষ্টি কখনো সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্র পুত্র হ’তে পারে না। যেমন অপরের ঔরসজাত সন্তান কখনো নিজ সন্তান হ’তে পারে না।

৮. জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারেছ : রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ৫৭; তাঁর বয়স ২০; বিবাহ সন ৫হিঃ; মৃত্যুর সন ৫৬হিঃ; বয়স- ৭১; দাম্পত্যকাল- ৬ বছর।

জ্ঞাতব্য : ইনি বনু মুছত্বালিক সর্দার হারেছ বিন আবু যাররাবের কন্যা ছিলেন। যুদ্ধে বন্দী হয়ে রাসূল (ছাঃ)-এরসাথে বিবাহিতা হন এবং রাসূল (ছাঃ)-এর শ্বশুরকুল হওয়ার সুবাদে একশতের অধিক যুদ্ধবন্দীর সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে তারা সবাই মুসলমান হয়ে যায়। জুওয়াইরিয়ার প্রথম স্বামী ছিলেন মুসাফিহ বিন সুফিয়ান মুছতালিক্বী। তিনি মোট ৭টি হাদীছ বর্ণনা করেন। তন্মধ্যে বুখারী ২ও মুসলিম ২।

৯. উম্মে হাবীবাহ রামলাহ বিনতে আবু সুফিয়ান : রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ৫৮; তাঁর বয়স ৩৬; বিবাহ সন ৬হিঃ; মৃত্যুকাল- ৪৪হিঃ; বয়স ৭২; মৃত্যুর স্থান মদীনা; দাম্পত্যকাল- ৬ বছর।

জ্ঞাতব্য : কুরায়েশ নেতা আবু সুফিয়ানের কন্যা ছিলেন। ওবায়দুল্লাহ বিন জাহশ তার প্রথম স্বামী ছিলেন। উভয়ে মুসলমান হয়ে হাবশায় হিজরত করেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে স্বামী খৃষ্টান হয়ে যায় ও মারা যায়। তিনি একটি কন্যা সন্তান নিয়ে বিধবা হন। রাসূল (ছাঃ) তার চরম বিপদের কথা জানতে পেরে বিবাহের পয়গাম পাঠান। বাদশাহ নাজ্জাশী স্বয়ং তার বিবাহের খুৎবা পাঠ করেন ও সবাইকে দাওয়াত খাওয়ান। পরে তাকে মদীনায় পাঠিয়ে দেন। তিনি ৬৫টি হাদীছ বর্ণনা করেন। তন্মধ্যে মুত্তাফাক্ব আলাইহ-২টি ও মুসলিম-৩টি।

১০. ছাফিয়া বিনতে হুয়াই বিন আখত্বাব : রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ৫৯; তাঁর বয়স ১৭; বিবাহ সন ৭হিঃ; মৃত্যুর সন ৫০ হিঃ; বয়স ৬০; মৃত্যুর স্থান মদীনা; দাম্পত্যকাল- পৌনে চার বছর।

জ্ঞাতব্য : খায়বর যুদ্ধে বন্দী হন। পরে ইসলাম কবুল করে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে বিবাহিতা হন। ইহুদী বনী নাযীর গোত্রের সর্দার হুয়াই বিন আখত্বাব তার পিতা ছিলেন এবং অন্যতম সর্দার কেনানাহ বিন আবুল হুকাইক তার স্বামী ছিলেন। উভয়ে নিহত হন। হযরত হারূণ (আঃ)-এর বংশধর ছিলেন। তিনি ১০টি হাদীছ বর্ণনা করেন। তন্মধ্যে মুত্তাফাক্ব আলাইহ ১টি।

১১. মায়মূনা বিনতুল হারেছ : রাসূল (ছাঃ)-এর বয়স ৫৯; তাঁর বয়স ৩৬; বিবাহ সন ৭ হিঃ; মৃত্যুর সন ৫১হিঃ; বয়স ৮০; মৃত্যুস্থান মক্কার নিকটবর্তী সারফ নামক স্থানে। দাম্পত্যকাল- সোয়া তিন বছর।
জ্ঞাতব্য : ইনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) ও খালেদ বিন ওয়ালীদ (রাঃ)-এর আপন খালা ছিলেন এবং উম্মুল মুমিনীন হযরত যয়নব বিনতে খুযায়মার বৈপিত্রেয় বোন ছিলেন। তাঁর পূর্বের দুই স্বামী মারা গেলে ভগ্নিপতি হযরত আববাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে তার বিবাহের প্রস্তাব দেন। ফলে ৭ম হিজরীতে ক্বাযা ওমরাহ শেষে মক্কার অদূরে সারফ নামক স্থানে উক্ত বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং এটিই ছিল রাসূল (ছাঃ)-এর সর্বশেষ বিবাহ। তিনি মোট ৭৬টি হাদীছ বর্ণনা করেন। তন্মধ্যে মুত্তাফাক্ব আলাইহ-৭, এককভাবে মুসলিম-১, বুখারী-১টি। বাকীগুলি অন্যান্য হাদীছগ্রন্থে স্থান পেয়েছে।

কিলাব ও কিন্দাহ গোত্রের আরও দু’জন মহিলা রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রী ছিলেন বলে কেউ কেউ বলেছেন। তবে সে বিষয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। অবশ্য এ ব্যাপারে সকলে একমত যে, তাদেরকে রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে বিদায় করা হয় নাই। এতদ্ব্যতীত রাসূল (ছাঃ)-এর দু’জন দাসী ছিল। এক- মারিয়া ক্বিবতিয়া এবং দুই- রায়হানা বিনতে যায়েদ। যিনি বনু কুরায়যার যুদ্ধে বন্দিনী হন। আবু ওবায়দাহ আরও দু’জনের কথা বলেছেন। যাদের একজন কোন এক যুদ্ধের বন্দিনী। অন্যজন যয়নব বিনতে জাহশ (রাঃ) কর্তৃক হেবাকৃত।

21/02/2022

#মসজিদে #প্রবেশ ও #বের #হওয়ার দোয়া
মসজিদ আল্লাহর ঘর। এ ঘরে প্রবেশের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আদব। ইবাদাত-বন্দেগি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বচ্ছ মন, সাদা দিল না হয়ে মসজিদে না গেলে ইবাদতে মন বসে না। সুতরাং মসজিদে প্রবেশর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আদব ও দোয়া।

মসজিদে প্রবেশ কালে দু‘আ পড়াঃ

اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِيْ اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাফতাহলী আবওয়াবা রাহমাতিক।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার রহমতের দরজা আমার জন্য খুলে দাও।

মসজিদে প্রবেশ করার সময় প্রথমে ডান পা ঢুকান।

মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় দোয়া পড়াঃ

اَللّٰهمَّ اِنِّي اَسْٮَٔلُكَ مِنْ فَضْلِكِ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলূকা মিস ফাযলিকা।”

অর্থঃ হে আল্লাহ আমি আপনার দয়া প্রার্থনা করি।

প্রথমে বাম পা মসজিদ হতে বের করা

মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নত ৫টিঃ
১. বিসমিল্লাহ বলা
২. দরূদ শরীফ পড়া
৩. দো’আ পড়া
৪. মসজিদে প্রবেশ করার সময় প্রথমে ডান পা ঢুকান
৫. এ’তেকাফের নিয়ত করা। এইভাবে-

نَوَيْتُ سُنَّةُ الْاِعْتِكَافِ

অর্থৎ যতক্ষণ মসজিদে অবস্থান করবে, ততক্ষণের জন্য সুন্নত এ’তেকাফের নিয়ত করলাম।– হিসনে হাসীন

মসজিদে বের হওয়ার সুন্নত ৫টিঃ
১. বিসমিল্লাহ বলা
২. দরূদ শরীফ পড়া
৩. দো’আ পড়া
৪. প্রথমে বাম পা মসজিদ হতে বের করা
৫. ডান পায়ে জুতা আগে পরিধান করা

আল্লাহ তাআলা প্রত্যেককে মসজিদে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার আদব রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে তাওফিক দান করুন। আমিন।

21/02/2022

#পিতা- #মাতার #হক কয়টি? ও কি কি
পিতা - মাতার হক ১৪ টি, ৭ টি জীবিত অবস্থায়, ৭ টি মৃত্যুর পর।

জীবিত অবস্থায় ৭ টিঃ
১. আজমত অর্থাৎ পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
২. মনে প্রাণে মুহাব্বত করা।
৩. সর্বদা তাঁদেরকে মেনে চলা।
৪. তাঁদের খেদমত করা।
৫. তাঁদের জরুরত (প্রয়োজন) পুরা করা।
৬. তাঁদেরকে সর্বদা আরাম পৌঁছানোর ফিকির (চিন্তা ভাবনা) করা।
৭. নিয়মিত তাঁদের সাথে সাক্ষাৎ ও দেখাশুনা করা।

মৃত্যুর পর আরো ৭ টিঃ
১. তাঁদের মাগফিরাতের জন্য দু‘আ করা।
২. সওয়াব রেছানী করা।
৩. তাঁদের সাথী-সঙ্গী ও আত্মীয়-স্বজনদের সম্মান করা।
৪. সাথী-সঙ্গী ও আত্মীয়-স্বজনের সাহায্য করা।
৫. ঋন পরিশোধ ও আমানত আদায় করা।
৬. শরী‘আতসম্মত ওসিয়ত পুরা করা।
৭. মাঝে মাঝে তাদের কবর যিয়ারত করা।

21/02/2022

স্বামী স্ত্রী এর সম্পর্ক একটি মধুর সম্পর্ক।আল্লাহ এবং রাসূল (সাঃ) এর পরে একজন স্ত্রী এর কাছে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসার পাএ তার স্বামী। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। তাই ইসলামে যেভাবে নারীর অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে, ঠিক তেমনি স্থান পেয়েছে স্বামীর অধিকারও।

বিবাহ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে একটি সুদৃঢ় বন্ধন। আল্লাহ তাআলা এর চির স্থায়িত্ব পছন্দ করেন, বিচ্ছেদ অপছন্দ করেন।

মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
"তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।" সূরা বাকারাঃ আয়াত-২২৩।

হাদিসে এসেছেঃ
"কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর বিছানা পরিহার করে রাত কাটায় তবে ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে।" মুসলিমঃ ইংরেজী অনুবাদঃ ৩৩৬৬।

স্ত্রী স্বামীকে নাম ধরে ডাকতে পারে কি?
স্ত্রীর নিকট স্বামী হ’লেন সবচেয়ে সম্মানের পাত্র। অতএব যেভাবে ডাকলে স্বামী খুশি হবেন সেভাবে ডাকা উচিৎ। তবে স্বামী অসন্তুষ্ট না হলে স্ত্রী স্বামীর নাম ধরে ডাকতে পারে। যেমন যয়নব রাসূল (সাঃ) এর সামনে তার স্বামী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) এর নাম ধরে কথা বলেছিলেন (বুখারী-১৪৬২)। তবে নাম ধরে না ডাকাই উত্তম কারন সে বয়সে বড় তাই বড় কে বড় মেনে চলা।

যে সব অধিকারের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সমানঃ
১) দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক সততা, বিশ্বস্ততা ও সদ্ভাব প্রদর্শন করা।

মহান আল্লাহ বলেছেনঃ "তাদের সাথে তোমরা সদ্ভাবে বা ভাল আচরণ কর।" সূরা নিসাঃ আয়াতঃ ৪:১৮।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘তোমাদের মাঝে যে নিজের পরিবারের কাছে ভাল, সেই সর্বোত্তম। আমি আমার পরিবারের কাছে ভাল।’ ইবনে মাজাহঃ ১৯৬৭।

২) পরস্পর একে অপরকে উপভোগ করা।এর জন্য আনুষঙ্গিক যাবতীয় প্রস্তুতি ও সকল উপকরণ গ্রহণ করা। যেমন সাজগোজ, সুগন্ধি ব্যবহার এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ দুর্গন্ধ ও ময়লা কাপড় পরিহার ইত্যাদি। স্বামী স্ত্রী প্রত্যেকের এ বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা। অধিকন্তু এগুলো সদ্ভাবে জীবন যাপনেরও অংশ।

ইবনে আব্বাস (রাদিঃ) বলেছেনঃ ‘আমি যেমন আমার জন্য স্ত্রীর সাজগোজ কামনা করি, অনুরূপ তার জন্য আমার নিজের সাজগোজও পছন্দ করি।’ তবে, পরস্পর এ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য উভয়কেই হারাম সম্পর্ক ও নিষিদ্ধ বস্তু হতে বিরত থাকতে হবে।

৩) বৈবাহিক সম্পর্কের গোপনীয়তা রক্ষা করা।সাংসারিক সমস্যা নিয়ে অন্যদের সাথে আলোচনা না করাই শ্রেয়। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে উপভোগ্য বিষয়গুলো গোপন করা।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
'কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে সর্ব-নিকৃষ্ট ব্যক্তি সে, যে নিজের স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় এবং যার সাথে তার স্ত্রী মিলিত হয়, অতঃপর সে এর গোপনীয়তা প্রকাশ করে বেড়ায়।' মুসলিমঃ ২৫৯৭।

৪) পরস্পর শুভ কামনা করা, সত্য ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়া।আল্লাহর আনুগত্যের ব্যাপারে একে অপরকে সহযোগিতা করা। স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একে অপর থেকে উপদেশ পাওয়ার অধিক হকদার। দাম্পত্য জীবন রক্ষা করা উভয়েরই কর্তব্য।আর এর অন্তরভূক্ত হচ্ছে, পরস্পর নিজ আত্মীয়দের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখার ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করা ।সন্তানদের লালন-পালন ও সুশিক্ষার ব্যাপারে উভয়েই সমান, একে অপরের সহযোগী।

মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
"তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ব্যপারে পরস্পরকে সহযোগিতা কর।" সূরা মায়েদাঃ আয়াতঃ ৫:২।
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্যঃ
ভাল ও সৎ কাজ এবং আল্লাহর বিধান বিরোধী নয় এমন সকল বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অবাধ্যতায় কোন সৃষ্টির আনুগত্য বৈধ নয়। যে নির্দেশ কিংবা চাহিদা পূরণে কোন ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই, সে ব্যাপারে স্বামীর আনুগত্য করা।

আর এই কর্তব্যের মূল হলো স্বামীর প্রতি তার দায়িত্ব। তার উপর তার স্বামীর অধিকার অনেক বড়, যা তার পিতা-মাতার অধিকারের চেয়েও বেশি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার অধিকারের (হকের) পরেই তার অধিকারের শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থান। আর এই অধিকারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে এসেছে আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

“পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন” সূরা আন-নিসা: ৩৪

# ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ আওফা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুআয সিরিয়া থেকে ফিরে এসে নাবী ﷺ কে সেজদা করেন। নাবী ﷺ বলেন হে মু‘আয! এ কী? তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে দেখতে পাই যে, তথাকার লোকেরা তাদের ধর্মীয় নেতা ও শাসকদেরকে সেজদা করে। তাই আমি মনে মনে আশা পোষণ করলাম যে, আমি আপনার সামনে তাই করবো। রসূলুল্লাহ ﷺ বলেন তোমরা তা করো না। কেননা আমি যদি কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ্ ছাড়া অপর কাউকে সেজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার সেজদা সাজদাহ করতে। তিরমিযী ১৮৫৩

# নিজের ঘর এবং সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা। স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করা। স্বামীর সাধ্যের অতীত এমন কোন আবদার কিংবা প্রয়োজন পেশ না করা।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ 'স্ত্রী স্বীয় স্বামীর ঘরের জিম্মাদার। এ জিম্মাদারির ব্যাপারে তাকে জবাবদেহিতার সম্মুখীন করা হবে।’ বুখারীঃ ২৫৪৬।

# উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “নারীদের যে কেউ মারা যাবে এমতাবস্থায় যে তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

# আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হল: কোন নারী সবচেয়ে উত্তম? জবাবে তিনি বললেন ঐ নারীই উত্তম, যে নারী তার স্বামীকে আনন্দ দেয় যখন সে তার দিকে তাকায়; তার আনুগত্য করে, যখন সে নির্দেশ দেয় এবং তার নিজের ও সম্পদের ব্যাপারে সে যা অপছন্দ করে তার বিরুদ্ধাচরণ করে না।” (ইমাম নাসায়ী হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

# রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “দুনিয়াতে কোন স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দিলেই তার ডাগড় চক্ষুবিশিষ্ট হুরী স্ত্রী বলে উঠে: তুমি তাকে কষ্ট দেবে না; আল্লাহ তোকে ধ্বংস করুক! কারণ, সে তোর নিকট আগন্তুক, অচিরেই সে তোকে ছেড়ে আমাদের নিকট চলে আসবে।” (ইমাম তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ র. হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

# “যখন নারী তার পাঁচ ওয়াক্তের সালাত আদায় করবে; তার (রমযান) মাসের সাওম পালন করবে; তার লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে এবং তার স্বামীর আনুগত্য করবে, তখন তাকে বলা হবে: তুমি জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা কর, সে দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবশে কর।” (ইমাম আহমদ হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

# রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীর জন্য সাওম (নফল রোযা) পালন করা বৈধ নয়; আর স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে তার গৃহে প্রবেশ করতে দেবে না ।” ( ইমাম বুখারী ও মুসলিম র. হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

স্বামীর বাসস্থানে অবস্থান করা।

মহান আল্লাহ বলেছেনঃ "তোমরা স্ব স্ব গৃহে অবস্থান কর, প্রাচীন যুগের সৌন্দর্য প্রদর্শনের মত নিজেদের কে প্রদর্শন করে বেড়িও না।" সূরা আহযাবঃ আয়াতঃ ৩৩:৩৩।

# রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: যখন কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে তার সাথে একই বিছানায় শোয়ার জন্য আহ্বান করে, আর তার স্ত্রী সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে, তবে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা ঐ মহিলার উপর লা‘নত (অভিশাপ) বর্ষণ করতে থাকে।” (ইমাম বুখারী ও মুসলিম র. হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

# নিজের সতীত্ব ও সম্মান রক্ষা করা।

# স্বামীর অপছন্দনীয় এমন কাউকে তার ঘরে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া। হোক না সে নিকট আত্মীয় কিংবা আপনজন। যেমনঃ ভাই বা আত্মীয় স্বজন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘তোমাদের অপছন্দনীয় কাউকে বিছানায় জায়গা না দেয়া স্ত্রীদের কর্তব্য।’ মুসলিমঃ ২১৩৭।

21/02/2022

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
'নারীর জন্য স্বামীর উপস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া রোজা রাখা বৈধ নয়। অনুরূপ ভাবে অনুমতি ব্যতীত তার ঘরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়াও বৈধ নয়।' বুখারীঃ ৪৭৬৯।

# মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এরশাদ করেন- তিন ব্যক্তি এমন আছে যাদের নামায ও অন্যান্য কোন এবাদত কবুল হবে না-
ক. এমন ক্রিতদাস যে তার মনিবের নিকট থেকে পালিয়ে যায়।
খ. এমন নারী যার প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট।
গ. এমন ব্যক্তি যে মদ পানে মত্ত থাকে।

যে স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য, তার নামাজ, রোযা, তিলাওয়াত, সদকা মূলত কোন ইবাদতই কবুল হয় না।

নিম্নে স্বামীর জন্য স্ত্রীর করনীয় কিছু কাজ তুলে ধরা হলো।
★ স্বামীর অনুগত্য ও খেদমত করা একজন স্ত্রী এর ওপর ওয়াজিব।
★ আল্লাহ ও রাসূলের পরে স্বামীর অধিকার সবচেয়ে বেশি তাই তাকে সম্মান শ্রদ্ধা ভক্তি খেদমত করা এবং তার কথা মানা শরীয়তের বিরুধী গুলো বাদ দিয়ে।
★ স্বামীকে প্রাণ খুলে ভালবাসা।
★ স্বামীর সাথে সুমিষ্ট ভাষায় কথা বলা। ঝাঝালো ভাবে না আদব মুহব্বত এর সাথে কথা বলা।
★ স্বামীকে নিজের মনের কথা খুলে বলা। আর সে রকম কোন বিষয় হলে খোলা খুলি ভাবে আলোচনা করা। পরামর্শ করা দুই জনের মধ্যে।
★ স্বামীর সব ধরনের আমানত রক্ষা করা যাতে কোন মতেই নষ্ট না হয়ে যায়।
★ স্বামীর সুখে সুখী আর স্বামীর দুঃখে দুঃখী হওয়া কোন বিষয়ে চিন্তিত হলে তাকে সান্তনা দেয়া।
★ স্বামীর মন জয় কর চলা স্বামী যেটা অপছন্দ করে সেটা না করা।
★ স্বামী অনুমতি ব্যতীত বাড়ি থেকে বের না হওয়া আর স্বামী যাকে অপছন্দ করে তাকে ঘরে প্রবেশ করতে না দেয়া।
★ সংসার চালানোর ক্ষেত্রে স্বামীকে সহযোগিতা করা।
★ বাহিরের থেকে আসলে মিস্টি হাসি হেসে সালাম দেয়া তাকে একটু পানি দেয়া খাওয়া দাওয়া হয়েছে কিনা সব ঠিক আছে কিনা শরীর সুস্থ আছে কিনা।
★ স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া স্বামী কিছু চাওয়ার আগেই সেটা হাতের কাছে পৌছে দেয়া যাতে কষ্ট না হয়।
★ স্বামীর সম্পদ বাবার বাড়ি বাঅন্যএ পাচার করে না দেওয়া তার অনুমতি ছাড়া।
★ স্বামীর কল্যাণের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা যাতে সে সুস্থ থাকে তার কাজে বরকত হয়।
★ স্বামীর কোন বদ অভ্যাস থাকলে হেকমতের সাথে তা দূর করা আর সেটা বাহিরে অন্য কাউকে না বলা বা কারোর কাছে প্রকাশ না করা এবং সেটা সুধরে দেয়ার চেস্টা করা।
★ স্বামীকে নিজ অভিভাবক মনে করা।
★ স্বামীর গুণাবলীর প্রশংসা করা।
★ স্বামী কোন কাজে বের হলে হাসিমুখে বিদায় দেওয়া এবং সুস্থ ভাবে যেন ফিরে আসতে পারে তার জন্য আল্লাহ সোবহানাল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা।
★ অল্পেতে সন্তুষ্ট থাকা।
★ স্বামীর জন্য সময়মত খানাপিনা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা। স্বামী যে খাবার পছন্দ সেগুলো তৈরি করা।
★ স্বামীর জৈবিক চাহিদা পূরন করা সে ডাকলে তার ডাকে সাড়া দেয়া।
★ স্বামীর সাথে তরকো বা ঝগড়া না করা।
★ সে যখন বাহিরে যাবে তার আগে তার সকল কিছু গুছুয়ি রাখা।
★ স্বামী বাহিরের থেকে ফিরতে দেরি করলে খোজ খবর নেয়া।
★ স্বামীর দিকে নেক দৃষ্টিতে তাকানো আর এমন কিছু না করা যাতে স্বামী অসন্তুষ্ট থাকে।

গৃহস্থালীর কাজ সম্পাদনে স্বামীকে সাহায্য করা
ইমাম বুখারী ও মুসলিম র. আসমা বিনতে আবি বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা’র হাদিস থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “যখন যুবায়ের রা. আমাকে বিয়ে করলেন, তখন তার কাছে কোন ধন-সম্পদ ছিল না, এমনকি কোন স্থাবর জমি-জমা, দাস-দাসীও ছিল না শুধু কুয়ো থেকে পানি উত্তোলনকারী একটি উট ও একটি ঘোড়া ছিল। আমি তাঁর উট ও ঘোড়া চরাতাম, পানি পান করাতাম এবং পানি উত্তোলনকারী মশক ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতাম, আটা পিষতাম।”

একজন গর্ভবতী মহিলার রাতগুলো ইবাদতে এবং দিনগুলো রোজাদার হিসেবে গণ্য করা হয়। একজন গর্ভবতী মহিলার দু' রাকাত নামাজ সাধারণ মহিলার ৮০ রাকাত নামাজ অপেক্ষা উত্তম।

21/02/2022

স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত নফল রোজা না রাখা। কারণ, রোজা নফল— স্বামীর আনুগত্য ফরজ।

21/02/2022

নিম্নে স্বামীর জন্য স্ত্রীর করনীয় কিছু কাজ তুলে ধরা হলো।
★ স্বামীর অনুগত্য ও খেদমত করা একজন স্ত্রী এর ওপর ওয়াজিব।
★ আল্লাহ ও রাসূলের পরে স্বামীর অধিকার সবচেয়ে বেশি তাই তাকে সম্মান শ্রদ্ধা ভক্তি খেদমত করা এবং তার কথা মানা শরীয়তের বিরুধী গুলো বাদ দিয়ে।
★ স্বামীকে প্রাণ খুলে ভালবাসা।
★ স্বামীর সাথে সুমিষ্ট ভাষায় কথা বলা। ঝাঝালো ভাবে না আদব মুহব্বত এর সাথে কথা বলা।
★ স্বামীকে নিজের মনের কথা খুলে বলা। আর সে রকম কোন বিষয় হলে খোলা খুলি ভাবে আলোচনা করা। পরামর্শ করা দুই জনের মধ্যে।
★ স্বামীর সব ধরনের আমানত রক্ষা করা যাতে কোন মতেই নষ্ট না হয়ে যায়।
★ স্বামীর সুখে সুখী আর স্বামীর দুঃখে দুঃখী হওয়া কোন বিষয়ে চিন্তিত হলে তাকে সান্তনা দেয়া।
★ স্বামীর মন জয় কর চলা স্বামী যেটা অপছন্দ করে সেটা না করা।
★ স্বামী অনুমতি ব্যতীত বাড়ি থেকে বের না হওয়া আর স্বামী যাকে অপছন্দ করে তাকে ঘরে প্রবেশ করতে না দেয়া।
★ সংসার চালানোর ক্ষেত্রে স্বামীকে সহযোগিতা করা।
★ বাহিরের থেকে আসলে মিস্টি হাসি হেসে সালাম দেয়া তাকে একটু পানি দেয়া খাওয়া দাওয়া হয়েছে কিনা সব ঠিক আছে কিনা শরীর সুস্থ আছে কিনা।
★ স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া স্বামী কিছু চাওয়ার আগেই সেটা হাতের কাছে পৌছে দেয়া যাতে কষ্ট না হয়।
★ স্বামীর সম্পদ বাবার বাড়ি বাঅন্যএ পাচার করে না দেওয়া তার অনুমতি ছাড়া।
★ স্বামীর কল্যাণের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা যাতে সে সুস্থ থাকে তার কাজে বরকত হয়।
★ স্বামীর কোন বদ অভ্যাস থাকলে হেকমতের সাথে তা দূর করা আর সেটা বাহিরে অন্য কাউকে না বলা বা কারোর কাছে প্রকাশ না করা এবং সেটা সুধরে দেয়ার চেস্টা করা।
★ স্বামীকে নিজ অভিভাবক মনে করা।
★ স্বামীর গুণাবলীর প্রশংসা করা।
★ স্বামী কোন কাজে বের হলে হাসিমুখে বিদায় দেওয়া এবং সুস্থ ভাবে যেন ফিরে আসতে পারে তার জন্য আল্লাহ সোবহানাল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা।
★ অল্পেতে সন্তুষ্ট থাকা।
★ স্বামীর জন্য সময়মত খানাপিনা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা। স্বামী যে খাবার পছন্দ সেগুলো তৈরি করা।
★ স্বামীর জৈবিক চাহিদা পূরন করা সে ডাকলে তার ডাকে সাড়া দেয়া।
★ স্বামীর সাথে তরকো বা ঝগড়া না করা।
★ সে যখন বাহিরে যাবে তার আগে তার সকল কিছু গুছুয়ি রাখা।
★ স্বামী বাহিরের থেকে ফিরতে দেরি করলে খোজ খবর নেয়া।
★ স্বামীর দিকে নেক দৃষ্টিতে তাকানো আর এমন কিছু না করা যাতে স্বামী অসন্তুষ্ট থাকে।

গৃহস্থালীর কাজ সম্পাদনে স্বামীকে সাহায্য করা
ইমাম বুখারী ও মুসলিম র. আসমা বিনতে আবি বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা’র হাদিস থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “যখন যুবায়ের রা. আমাকে বিয়ে করলেন, তখন তার কাছে কোন ধন-সম্পদ ছিল না, এমনকি কোন স্থাবর জমি-জমা, দাস-দাসীও ছিল না শুধু কুয়ো থেকে পানি উত্তোলনকারী একটি উট ও একটি ঘোড়া ছিল। আমি তাঁর উট ও ঘোড়া চরাতাম, পানি পান করাতাম এবং পানি উত্তোলনকারী মশক ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতাম, আটা পিষতাম।”

একজন গর্ভবতী মহিলার রাতগুলো ইবাদতে এবং দিনগুলো রোজাদার হিসেবে গণ্য করা হয়। একজন গর্ভবতী মহিলার দু' রাকাত নামাজ সাধারণ মহিলার ৮০ রাকাত নামাজ অপেক্ষা উত্তম।

21/02/2022

স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকারঃ
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য, সুখকর দাম্পত্য জীবন, সুশৃঙ্খল পরিবার, পরার্থপরতায় ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন অটুট রাখার স্বার্থে ইসলাম জীবন সঙ্গী স্বামীর উপর কতিপয় অধিকার আরোপ করেছে।

অন্য হাদিসে রয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক ভালো মানুষ তারাই, যারা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস ১১৬২)

১) দেন মোহর।
নারীর দেন মোহর পরিশোধ করা ফরজ। এ হক তার নিজের, পিতা-মাতা কিংবা অন্য কারো নয়।

মহান আল্লাহ বলেছেনঃ "তোমরা প্রফুল্ল চিত্তে স্ত্রীদের মোহরানা দিয়ে দাও।" সূরা নিসাঃ আয়াতঃ ৪:৪।

২) ভরন পোষণ।
সামর্থ্য ও প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী স্ত্রীর ভরন-পোষণ করা স্বামীর কর্তব্য। স্বামীর সাধ্য ও স্ত্রীর মর্তবার ভিত্তিতে এ ভরন-পোষণ কম বেশি হতে পারে।অনুরূপ ভাবে সময় ও স্থান ভেদে এর মাঝে তারতম্য হতে পারে।

মহান আল্লাহ বলেছেনঃ "বিত্তশালী স্বীয় বিত্তানুযায়ী ব্যয় করবে। আর যে সীমিত সম্পদের মালিক সে আল্লাহ প্রদত্ত সীমিত সম্পদ হতেই ব্যয় করবে। আল্লাহ যাকে যে পরিমাণ দিয়েছেন, তারচেয়ে’ বেশি ব্যয় করার আদেশ কাউকে প্রদান করেন না।" সূরা তালাকঃ আয়াতঃ ৬৫:৭।

৩) স্ত্রীর প্রতি স্নেহশীল ও দয়া-পরবশ থাকা।
স্ত্রীর প্রতি রূঢ় আচরণ না করা। তার সহনীয় ভুলচুকে ধৈর্যধারণ করা। স্বামী হিসেবে সকলের জানা উচিত, নারীরা মর্যাদার সম্ভাব্য সবকটি আসনে অধিষ্ঠিত হলেও, পরিপূর্ণ রূপে সংশোধিত হওয়া সম্ভব নয়।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী। কারণ, তারা পাঁজরের হাড় দ্বারা সৃষ্ট। পাঁজরের উপরের হাড়টি সবচে’ বেশি বাঁকা। (যে হাড় দিয়ে নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে) তুমি একে সোজা করতে চাইলে, ভেঙে ফেলবে। আবার এ অবস্থায় রেখে দিলে, বাঁকা হয়েই থাকবে। তাই তোমরা তাদের কল্যাণকামী হও, এবং তাদের ব্যাপারে সৎ-উপদেশ গ্রহণ কর।” বুখারী।

৪) স্ত্রীর ব্যাপারে আত্ম-মর্যাদাশীল হওয়া।
হাতে ধরে ধরে তাদেরকে হেফাজত ও সুপথে পরিচালিত করা। কারণ, তারা সৃষ্টিগতভাবে দুর্বল, স্বামীর যে কোন উদাসীনতায় নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অপরকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এ কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীর ফেতনা হতে খুব যত্ন সহকারে সতর্ক করেছেন।

তিনি বলেছেনঃ ‘আমার অবর্তমানে পুরুষদের জন্য নারীদের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর কোন ফেতনা রেখে যাচ্ছি না।’ বুখারীঃ ৪৭০৬।

# নারীদের ব্যাপারে আত্মম্ভরিতার প্রতি লক্ষ্য করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘তোমরা সা’আদ এর আবেগ ও আত্মসম্মানবোধ দেখে আশ্চর্যান্বিত হচ্ছ। আমি তার চেয়ে বেশি আত্মসম্মানবোধ করি,আবার আল্লাহ আমার চেয়ে বেশি অহমিকা সম্পন্ন।’ মুসলিমঃ ২৭৫৫।
# শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, যার মাঝে আত্মমর্যাদাবোধ নেই সে দাইয়ূছ (অসতী নারীর স্বামী, যে নিজ স্ত্রীর অপকর্ম সহ্য করে)। হাদিসে এসেছেঃ ‘দাইয়ূছ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ দারামি-৩৩৯৭

# আবুদুল্লাহ ইবনু আমর(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ "পৃথিবীর সবকিছুই ভোগ ও ব্যবহারের সামগ্রী। আর সবচেয়ে উত্তম ও উৎকৃষ্ট সামগ্রী হচ্ছে দ্বীনদার ও সচ্চরিত্রা স্ত্রী।" মুসলিম, মিশকাতঃ ৩০৮৩, নিকাহ অধ্যায়।

21/02/2022

বিয়ের পর স্বামীর নামে স্ত্রীর নামকরণ সম্পর্কে কী বলে ইসলাম?
মুসলিম নারীদের অনেকেই বিয়ের পর নিজের নাম পরিবর্তন করে স্বামীর নামকে নিজের নামের অংশ বানিয়ে ফেলে। হাল জামানায় এটি একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। যেমন: একজন মেয়ের বাবার দেয়া নাম ফাতেমা। রফিক নামে একজনের সাথে তার বিয়ের পর তার নাম হয়ে যায় মিসেস রফিক বা ফাতেমা রফিক। ইসলামী শরীআর দৃষ্টিতে এটা ঠিক নয়। মুসলিম নারীদের উচিত বিয়ের পরও তার পৈতৃক নাম ঠিক রাখা। কারণ এটা তার একেবারেই নিজস্ব, এখানে স্বামীর কোন শেয়ার নেই। নামই তার বংশ পরিচয় বহন করে। কুরআন বলছে: তোমরা তাদেরকে তাদের বাবার নামে ডাক। (আল-কুরআন ৩৩:৫)

মহানবী (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি জেনেশুনে নিজেকে নিজের পিতা ছাড়া অন্যের সাথে সংযুক্ত করে তার জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যাবে। (ইবনে মাজাহ) আবার হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, (সাঃ) বলেছেন: যে কেউ নিজের বাবা ব্যতীত অন্যের পরিচয়ে পরিচয় দেয় সে জান্নাতের গন্ধও পাবে না, যদিও জান্নাতের সুঘ্রাণ সত্তর বছর হাঁটার রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যাবে। (মুসনাদে আহমাদ) এমন অনেক হাদীস রয়েছে যেখানে মহানবী (সাঃ) নারীদেরকে তাদের পিতার নামে ডেকেছেন। যখন পবিত্র কুরআনের আয়াত আপনি আপনার নিকটতম আত্মীয়দের সতর্ক করে দিন (আল-কুরআন, ২৬:২১৪) নাজিল হয়, তখন মহানবী (সাঃ) তাঁর আত্মীয়দের প্রত্যেককে ডেকে ডেকে বলেছিলেন হে অমুকের ছেলে অমুক! আমি পরকালে তোমার কোন উপকার করতে পারব না । হে অমুকের মেয়ে অমুক! আমি কিয়ামতের দিন তোমার কোন কাজে আসব না।

মানুষের সবচেয়ে বেশি আত্মমর্যাদার বিষয় নিজের পরিবার। এর ভেতর অগ্রাধিকার প্রাপ্ত স্বীয় স্ত্রী। অতঃপর অন্যান্য আত্মীয় স্বজন এবং অধীনস্থগণ।

20/02/2022

💥💥 স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ সময়

নিষিদ্ধ সময়ে স্ত্রী সহবাস করা খুবই খারাপ কাজ। জ্ঞানীরা বলেনঃ নিষিদ্ধ সময়ে স্ত্রী সহবাস শরীরের এবং মনের অনেক ক্ষতি সাধন করে থাকে।

তার মধ্যে কিছু বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলঃ- রোগী ব্যক্তি সহবাস করিলে তার রোগ আরো বেড়ে যায় এবং শরীরের ক্ষতি হয়।

শরীরে জ্বর নিয়ে স্ত্রী সহবাস পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। বৃদ্ধা ও বারবনিতার সঙ্গে সহবাস করলে আয়ু কমে যায়। বেশি গরমে মধ্যে স্ত্রী সহবাস করিলে পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

রাগ, চিন্তা, কষ্ট ও ভয়জনিত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। বেশি ঠাণ্ডার ভিতরে সহবাস করলে নিউমোনিয়া রোগ হতে পারে। হায়েজের অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী স্ত্রী দুই জনেই মেহ প্রমেহ রোগ হতে পারে।

নিকৃষ্ট স্ত্রী সাথে করলে নিকৃষ্ট সন্তান জম্ম লাভ করে। ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করলে কঠিন রোগ হওয়ার সম্ভবনা আছে। অন্ধকার ঘরে ক্ষুদ্র বা নোংড়া জায়গায় স্ত্রী সহবাস করলে চিরতরে স্বাস্হ্য নষ্ট হয়ে যায় ভীষণ ক্ষুধার সময় স্ত্রী সহবাস করিলে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।

বৃ্দ্ধ বয়সে স্ত্রী সহবাস করলে নিজেকে মৃত্যুর দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

কুরআন হাতে হুজুরের এমন কান্না কেন? 20/02/2022

কুরআন হাতে হুজুরের এমন কান্না কেন? হৃদয়গলে যায় কথা গুলি শুনে-মুফতি রফিউদ্দিন মাহমুদ নূরী

https://youtu.be/OMxUHNI_OWk

কুরআন হাতে হুজুরের এমন কান্না কেন? কুরআন হাতে হুজুরের এমন কান্না কেন? হৃদয়গলে যায় কথা গুলি শুনে-মুফতি রফিউদ্দিন মাহমুদ নূরী

18/02/2022

■■ রিযিক নিয়ে অসাধারণ সুন্দর একটি লেখাঃ

■■ রিযিকঃ
■▪রিযিকেরর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।
■▪রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।
■▪রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং
■▪রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।

■■ রিযিক খুব গভীর একটি বিষয়, যদি আমরা তা বুঝতে পারি।

■■ আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত এবং কতটা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবো তাও লিখিত বা নির্দিষ্ট।

■■ আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না এবং একটিও বেশি না।

■■ ধরুন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে এক কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্‌ তা'আলা নিয়েছেন।

■■ কিন্তু, আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার।

■■ যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই এক কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো। আর হারাম উপায়ে হলেও ওই এক কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!

■■ আমি যেই ফলটি আজকে টেকনাফ বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল ধরেছে তখনই নির্ধারিত হয়েছে যে, সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি বা কিনেনি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিযিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না! রিযিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।

■■ রিযিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!

■■ কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিযিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ তা'ইলা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!

■■ কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিযিকের ভাগই খাচ্ছেন।

■■ আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি, সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্‌ তা'আলার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি। কেননা,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
-------"দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সব কিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে।"
-----(সুরা হুদ : আয়াত ৬)

■■ আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেনঃ
-------"যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিযিক দেবেন, যা সে ধারণাও করতে পারবে না।"
-----(সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩)

■▪মহান আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদের সঠিক পথ এবং হালাল ও প্রশস্ত কামাই রোজগার ও রিযিক এর ব্যবস্থা করে দিন এবং সকল প্রকার হারাম কামাই রোজগার ও রিযিক থেকে হিফাযত করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, এবং হিফাযত করুন(আমীন)।

Collected

Want your place of worship to be the top-listed Place Of Worship in Barishal?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

মৃত্যুর পরে কবরে কেমন অবস্থা হবে মরার আগে একবার শুনুন পর্ব-১

Telephone

Website

Address

Shaporan Road
Barishal
9330

Other Religious Organizations in Barishal (show all)
Gaining Nearness To Allah Gaining Nearness To Allah
Barishal

Assalamu Alaykum...This is a religious page for spreading islamic post,quotes & contents.

Allah-hu-akber Allah-hu-akber
Barguna
Barishal

The Holy Quran And Al-Hadith The Holy Quran And Al-Hadith
Barishal

TheHolyQuranAndAlHadith

Biblical truth Bangla-বাইবেলের লুকানো সত্য Biblical truth Bangla-বাইবেলের লুকানো সত্য
Barishal

The page is basically for unveiling the truth of Christianity and Bible. Stay connected.

Abdur Rahman Al Hadi Abdur Rahman Al Hadi
Barishal
Barishal, 8650

Islamic Vedio

Bilkis Begum Foundation Bilkis Begum Foundation
Barishal, 8200

Assalamu Allaikum wa Rahmatullah. This is the only official page of Bilkis Begum Foundation.

khadija Haque khadija Haque
Barishal

we spread the beauty of Islam

Servant Of Allah Servant Of Allah
Barishal
Barishal, 8740

To Spreed The Peace Of islam [ in Sha Allah ] 💙💐

Muslimer Islam ツ Muslimer Islam ツ
Barishal

আল্লাহ একমাত্র রব।আল্লাহ ছাড়া কোনো ?

Hilful Fuzul Zubo Songo Balaibunia Hilful Fuzul Zubo Songo Balaibunia
Barishal

বলইবুনিয়া হিলফুল ফুজুল যুব সংঘ। মানব?

দঃ চাঁদত্রিশিরা শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির দঃ চাঁদত্রিশিরা শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির
দঃ চাঁদত্রিশিরা শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির
Barishal, 8242

স্থাপিত -১৯৭২

Update News24 Update News24
Barishal

আসসালামু আলাইকুম সকলকে শুভেচ্ছা ও অভ?