Bukhainagar Trust

Bukhainagar Trust

Non profitable community organisation.

31/01/2024

সরকারী অফিস গুলোতে একটি সংস্কৃতি আছে। নাম DFA সংস্কৃতি। ড্রাফটস ফর এপ্রুভাল।

ধরুন আমি একজন সরকারী অফিসের সহকারী পরিচালক। তো আমি জানুয়ারী ১০ তারিখে একটা চিঠির লিখলাম। সেই চিঠিটা অফিসের প্রধান স্বাক্ষর করবেন।

এবার আমার কাজ হচ্ছে, চিঠির ড্রাফট লিখে স্বাক্ষর করে সেটি উপ-পরিচালককে দিতে হবে। ধরুন আমি লিখেছি- “আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে / বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”।

উপ-পরিচালক ভাবলেন, নদী ছোট হবে কেন? নদী সরু হবে। নদী হবে বালিকার মতো উচ্ছল। আর এখানে জল হবে কেন? হবে পানি। তিনি দুটো কারেকশন আনলেন। “আমাদের সরু নদী চলে বাঁকে বাঁকে / বৈশাখ মাসে তার হাটু পানি থাকে।– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

এটা লিখে তিনি সহকারী পরিচালককে ফেরত দিলেন। সহকারী পরিচালক আবার প্রিন্ট দিয়ে স্বাক্ষর করে উপ-পরিচালকে দিলেন। উপ-পরিচালক স্বাক্ষর করে এবার পাঠালেন যুগ্ম পরিচালক কে । তিনি আরেকটু স্মার্ট ভাবলেন। এখন বাংলা সন চলে না। বৈশাখ মাস না লিখে তিনি কেটে লিখলেন এপ্রিল মাস। আর 'হাঁটু পানি' কেটে তিনি লিখলেন- অল্প পানি থাকে। তার কাটাকাটির পর লাইন দাড়ালো, “আমাদের গ্রামের ছোট নদী বহে বাঁকে বাঁকে/ এপ্রিল মাসে তাতে অল্প পানি থাকে। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।”

যথারীতি প্রিন্ট আবার নিচে গড়াল। এর পর আবার প্রিন্ট হলো। সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক, যুগ্ম পরিচালক স্বাক্ষর করে পাঠালেন সিনিয়র যুগ্ম পরিচালককে। সিনিয়র সাহেব ভাবলেন, সবই তো ঠিক আছে। কই কাটা যায়? তিনি ভাবলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামটা যুতসই হচ্ছে না। এটা কেটে দেয়া যায়। আরো কিছু নিজের মত কাঁটছাট করলেন।

এবার যা দাঁড়ালো-

“আমাদের গ্রামের ছোট নদী বহে অক্র বক্র /

এপ্রিল মাসে তাতে দেখি অল্প পানি চক্র-

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠক্র।”



এই অসাধারণ ড্রাফটস আবার প্রিন্টের জন্য নিচে গড়ালো। প্রিন্ট হলো। আবার স্বাক্ষর হতে হতে উপরে গেলো। এরপর এই ড্রাফট গেলো, অফিস প্রধানের হাতে। তিনি কিছুক্ষন দেখলেন। হাসলেন। তিনি এই লাইনগুলো জানেন। অফিস প্রধান হলে অনেক জিনিস জানতে হয়। তিনি শেষ কাটাকাটি করে ড্রাফট চূড়ান্ত করলেন। তিনি ড্রাফট সংশোধন করলেনঃ

“আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে/ বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

স্বাক্ষর করে তারিখ লিখলেন । ২০/০১/২০২০


দশ দিন চলে গেছে এই মহা গুরুত্বপূর্ণ কাজে!!!

02/12/2023

এই জয় পাওয়ার পর কেউ আর বলেন না যে বাংলাদেশ ঘরে মাঠে নিজের মতো উইকেট বানিয়ে জিতে গেছে(যদি জয় আসে)। এই উইকেট কেমন হবে সেটা অবশ্যই জানত বাংলাদেশ দল তবে এখানে মিরপুরের মত জুজু ছিল না। জয় শান্ত মুশফিক যেমন অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন, টেস্ট টেম্পারমেন্ট দেখিয়েছেন । তেমনি দিপু জাকিররা যতটুকু মাঠে ছিলেন ধৈর্য দেখিয়েছেন। হ্যাঁ বাজে শট খেলে হয়তো আউট হয়েছে তবে তাড়াহুড়ো করতে দেখা যায়নি। এমন আউট তো নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারাও হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে সোহান দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজও ভালো করেছেন। যে সাহসী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিসিবি অপেক্ষা করছে সেই পদক্ষেপের পথে এমন ম্যাচ অথবা এমন জয় (যদি) সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে সমর্থক সবাই বিশ্বাস করে নিয়েছে এখন সাকিব, তামিম, মুশফিক অথবা রিয়াদ তারা থাকলেই যে বড় ম্যাচ জয় আসবে তেমনটা নয়। বিশ্বকাপ অনেকের চোখে খুলে দিয়েছে। আর আছেই তো সামনে মাউন্ট মঙ্গানুই জয়।

Picture: -cricinfo

24/10/2023

তাপস বৈশ্য একটা স্ট্যাটাস দেন, ",রিয়াসাদ আজিমের মত সাংবাদিককে হেড কোচ, সিলেক্টর বানায়ে দিলে দেশের ক্রিকেট ভালো জায়গায় থাকতো! ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় দেশের এ অবস্থার জন্য দায়ী!

প্রফেশনালিজম জায়গা থেকে নাম মেনশন করে এমন পোস্ট সাবেক ক্রিকেটারের দেওয়া উচিৎ হয়নি মানছি! কিন্তু কথায় আছে ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়!
সেই পাটকেলই ফেরত দেন রিয়াসাদ আজিম!
অবাক হলাম ওই ভিডিওতে যা নয় না বলে একজন সাবেক ক্রিকেটারকে ওপেনলি অপমান করেছে একজন সাধারণ সাংবাদিক!

যেই তাপস বৈশ্য এর খেলা আমি ১৯৯৮ সালে জন্মিয়েও ক্যারিয়ারের উত্থান পতন ভালো করে দেখেছি! সেখানে রিয়াসাদ আজিম বয়সে আরো বড় হয়েই বলছেন, উনি তাপস বৈশ্য কে চিনেনই না! কী লেভেলের একজন ক্রিকেটপ্রেমী, যে নিজের যখন তারুণ্য চলে, তখনকার অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটারকে তিনি চিনেনই না! বাহ!

যাই হোক, আমি মনে করি তাপস বৈশ্য এর নুজের জায়গা থেকে রিয়াসাদ আজিমের নামটা না বললে ভালো হতো, যেহেতু তাপস বৈশ্য একজন পাবলিক ফিগার। তাহলেই দেশকে ৬ বছর টানা প্রতিনিধিত্ব করা একটা খেলোয়াড়কে এরকম একটা কম ক্রিকেটসেন্স নিয়ে সাংবাদিক হওয়া একজনের কাছে অপমানিত হওয়া লাগতো না!

বাট এটা ভেবে ভালো লাগছে, যে পাটকেল রিয়াসাদ আজিম ছুড়ে দিয়েছিল সাবেক ক্রিকেটারকে, সেই পাটকেলের বিপরীতে 'বো মা' ছেড়েছেন তাপস বৈশ্য আজ! তাপসের এই ভিডিওটা প্রমাণ (লিংক দিয়ে দিবো কমেন্টে) করে, রিয়াসাদ আজিম আসলে ক্রিকেটের জন্য কতটুকু উপকারী কি না!

আমার অবাক লাগে, একজন সাংবাদিক একজন ফরমার প্লেয়ারকে অপমান করে, "রঙ্গ তামাশা", " নব্য নবাব" আখ্যা দিয়ে, ডবল স্ট্যান্ডার্ড বলে এত উঁচু গলায় অপমান করে গেলো, সেখানে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না! হবেই বা কি করে? রানিং প্লেয়ার যাদের পছন্দ করে নাই, তাদেরই গোষ্টী উদ্ধার করেন! "বিসিবি" কবি নীরব, আর তাপস তো সাবেক!

যাই হোক, তবু অপমানটার জবাব দিয়ে ক্লিয়ার করার জন্য ধন্যবাদ তাপস বৈশ্য!

Thanks Tapash Baishya for giving a perfect reply ♥️

#তাপসবৈশ্য

26/09/2023

ক্ষমতায় আর আসতে পারবে বলে আমার মনে হয় না🥺

19/07/2023

বাঙালি মুসলমান খুব কিউট!

এরা ব্যাংক জব হারাম জেনেও ব্যাংকে জব পাওয়ার পর ফেসবুকে এসে পোস্ট দেয় আলহামদুলিল্লাহ ব্যাংকে জব পেলাম, এরা বিয়ে করে বউয়ের বেপর্দা পিক আপলোড দিয়ে ক্যাপশন দেয় বিয়ে করা সুন্নত। অথচ বউকে পর্দা করানো যে ফরজ সেটা ভুলে যায়!

এরা প্রেম করা হারাম জেনেও রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়ে আবার দোয়া চায় তাদের সেই হারাম রিলেশন টেকানোর জন্য, এরা প্রেম করে ছ্যাকা খাওয়ার পর আবার কুরআনের আয়াত পোস্ট করে, "নিশ্চয়ই তুমি যা হারিয়েছো, তার চেয়ে উত্তম কিছু পাবে।"

এরা নানা রকমের আকাম-কুকাম কইরা নিজের কষ্ট নিজে অর্জন কইরা তারপর বইলা বেড়ায় "আল্লাহ যাকে বেশি ভালোবাসেন, তাকে বেশি কষ্ট দেন!", মাঝেমাঝে ভাবি শয়তানও বোধহয় মাঝেমধ্যে এদের কান্ডকাহিনী দেখে কনফিউজ হয়ে ভাবতে থাকে, আরে এরা আসলে চাইতেছে টা কি!

আসতাগফিরুল্লাহ !

28/05/2023

‘কুত্তার বাচ্চা ফুটফুটে সুন্দর’ গানটির লেখক কুয়াশা মুর্খ, গায়ক ফকির সাহেব গানটি উপস্থাপন করেছেন মূলত বোবা প্রাণী কুকুরের বিশ্বস্ততা, সরলতা, নিষ্পাপ কুকুরের প্রতি মায়া প্রকাশে। একইসাথে গানটি অসৎ ব্যক্তি/মানুষের কর্ম এবং কুকুরের মধ্যে তফাৎ করে বুঝানো হয়েছে কুকুর ঐসব মানুষের তুলনায় ভালো, লয়াল এবং কারোর কোন ক্ষতি করে না৷

অথচ, আমাদের প্রজন্ম করলো কি? গানটিকে তারা একরকম গালি হিসেবে সর্বত্র ব্যবহার করে বেড়াচ্ছে।

সম্প্রতি কোক স্টুডিও বাংলার প্রিতম হাসানের দেওরা গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়। গানটিতে একটি লাইন হলো - ‘হাত ছাইরা দ্যাও সোনার দ্যাওরা রে’!

এই গান ও লাইটিকে আমাদের প্রজন্ম ধরে নিয়েছে অশ্লীলতা হিসেবে। অথচ এই গানটি নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করেই মূলত তৈরি হয়েছে।

দীর্ঘক্ষণ এক টানা বাইচের নৌকায় বৈঠা চালাতে হলে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন পড়ে। মূলত গ্রামের তরুন এবং জোয়ানরাই এই কাজ করেন। নৌকা বাইচ দেখতে সব বয়সী মানুষের সাথে গ্রামের ভাবীরাও আসে। তো এক টানা বৈঠা বাইতে বাইতে যখন হাত ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে, তখন দেবর বলছে - ‘হাতে লাগে ব্যাতা রে’। আর ভাবী বলছে - ‘হাত ছাইরা দ্যাও সোনার দ্যাওরা রে’।

অথচ, আমাদের জেনারেশন গানটার সারমর্ম চিন্তা করেছে এমন - ‘খারাপ উদ্দেশ্যে ভাবীর হাত ধরেছে দেবর, তাই ভাবী হাতে ব্যথা পেয়েই হাত ছেড়ে দিতে বলছে’! বুঝেন অবস্থা?!

নিউজে দেখলাম - টেলিগ্রামে বাংলাদেশী তরুণদের সোয়া ৪ লাখ সদস্যদের একটা গ্রুপ আছে, যারা মেয়েদের অনুমতিহীন ন্যুড ভিডিও ধারণ/সংগ্রহ করে সেগুলো অন্যের কাছে বিক্রি করতো, আবার সেসব দিয়ে ব্লাকমেইল করে অর্থ আত্মসাৎ করতো। চক্রটি ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে ২০ হাজার আপত্তিকর ভিডিও এবং ৩০ হাজার ছবি।

যাইহোক। এই তো গেলো মাত্র ৪ লাখ সদস্যের কথা।

মাত্র ২০ বছর আগেও পিছিয়ে থাকা আজকের চীনের ইয়াং জেনারেশন যখন জ্ঞান বিজ্ঞান, শিক্ষা গবেষণায়, তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে; তখন আমাদের দেশের ইয়াং জেনারেশনের কাজ কি জানেন?

লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন - কে কার সাথে শুইলো, কে কার সাথে গেলো, কে কাকে জড়িয়ে ধরলো, কার সাথে কার ভাব হইলো, এগুলোই আমাদের দেশের মানুষ, জোয়ান, বৃদ্ধ সব বয়সীদের আলোচ্যের বিষয়। এসব লাইক শেয়ার কমেন্ট করে দেশের প্রায় প্রতিটা ছেলেমেয়েই যেনো একরকম পৈশাচিক আনন্দ পায়!

চায়নিজ শিক্ষার্থীরা যখন AI নিয়ে আমেরিকার সাথে প্রতিযোগিতা করছে, তখন আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা কার ন্যুডস ফাঁস করা যায় সেটা নিয়ে প্রতিযোগিতায় রয়েছে। চায়নিজ ছেলেমেয়েরা যখন মহাকাশে/মঙ্গল গ্রহে পৌঁছে গেছে, তখন আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অন্যের কাপড়ের নিচ থেকেই বেরুতে পারেনি। চিন্তা করেছেন - আমাদের দৌঁড়, আমাদের রুচিবোধ, আমাদের ভিশন/মিশন কোথায় আটকে গেছে? আমরা কোথায় আর তারা কোথায়?!

বিশ্বে কতকি ঘটে যাচ্ছে, কতকি আবিষ্কার হচ্ছে, সমগ্র বিশ্বে AI, Robot, Machine Learning নিয়ে তমুল আলোচনা চলছে। AI platform সম্পূর্ণ ইম্প্রুভ করলে বিশ্বে কাজ হারাবে প্রায় ৩০-৫০ কোটি মানুষ।কিছু কি ভাবা যায়? এরসঙ্গে তাল মিলাতে আমরা কি করছি?!

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে হওয়ার কথা বিশ্বমানের। দেশে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী দুটাই বেড়েছে, অথচ আমরা অন্যের কাপড়ের নিচ থেকেই এখনো বেরুতে পারিনি, বিশ্বমঞ্চে ঠিক পৌঁছাবোই বা কিভাবে? কারোর মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তি, জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে কোন আলোচনাই নেই!

- বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অশ্লীলতা ব্যতীত আর কোন কিছুর চর্চা নেই!

23/05/2023

একটি শিক্ষনীয় ঘটনাঃ

দুজন ফেরেস্তার দেখা হল, আঁকাশ থেকে
পৃথিবীতে নামার সময়!
দুজনই খুব দ্রুত পৃথিবীতে অবতরণ করছিল,
✨১ম ফেরেস্তা ২য় ফেরেস্তাকে প্রশ্ন?
করলেনঃ তুমি এত দ্রুত কোথায় যাচ্ছো?
✨ জবাবে ২য় ফেরেস্তা বললেন, এক
ব্যাক্তি মৃত্যু শয্যায় শায়িত, তার খুব
ইচ্ছা জয়তুনের তেল খাবে।
আমার উপর নির্দেশ হয়েছে,
আমি যেন ঐ ব্যক্তির জয়তুনের তেল
মুখে দেবার আগেই ফেলে দেই।

কেননা লোকটি ছিল ঈমানদার, এই
সামান্য আঁশাটি পূরণ না করে আল্লাহ তাকে
জান্নাত দিতে চান।
✨এবার ২য় ফেরেস্তা ১ম ফেরেস্তাকে
বললেন, আপনিও
এত দ্রুত কোথায় যাচ্ছেন?
✨১ম ফেরেস্তার জবাবে বললেন,
এক ব্যক্তি মরণের বিছানায় শায়িত,
আমার উপর নির্দেশ হয়েছে,
ঐ ব্যাক্তিটির শেষ ইচ্ছা রুই মাছ খাওয়ার,
আমি যেন তার আত্মীয় হয়ে উনাকে
রুই মাছ খাওয়াই।

কেননা, ঐ ব্যক্তি বেঈমান তথা শিরককারী,
ঐ ব্যক্তিটির এই ইচ্ছা পূরণ হলে, তার
দুনিয়ার সব চাওয়াই পূরণ হবে। আর এর মাধ্যমে আল্লাহ তাকে চিরতরে জাহান্নামী করতে চান।

সুতরাং কখনও যদি আমাদের কোন চাওয়া-পাওয়া পূরণ না হয়, তার জন্য আমরা যেন নিরাশ না হই। কোন চাওয়া পূরণ না হলেও, এর বিনিময়ে আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের জন্য উত্তম প্রতিদান রেখেছেন। সুবাহান আল্লাহ্।
হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করো।

আ-মীন।🤲

07/05/2023

নিউজফিডে দেখলাম একজন ইনফ্লুয়েন্সার পোস্ট দিছে। সারমমর্ম অনেকটা এরকম- "জিপিএ ৫ ম্যাটার না। একসময় কে ড্রপ আউট, কার রেজাল্ট কী এটা কেউ মনে রাখবে না। রেজাল্ট ক্যারিয়ার নির্ধারণ করে না। "

যেহেতু সস্তা মোটিভেশনাল পোস্ট, তাই অনেক শেয়ার হচ্ছে। কিন্তু আমি নিজের দায়িত্ববোধ থেকে কিছু কথা বলব যাতে ছোটরা বিভ্রান্ত না হয়।

গত সাত বছরে ৩০০ এর ও বেশি ছাত্র-ছাত্রী পড়িয়েছি। তাই এই ব্যাপারে আমি একজন এক্সপার্ট!

প্রথমেই ভার্ডিক্ট দিয়ে রাখি - এই টাইপের পোস্ট "Money can't buy happiness, Beauty doesn't matter "- টাইপের সুগারকোটিং পোস্ট।
শুনতে ভাল লাগে, সাময়িক উত্তেজনা দেয় কিন্তু এর দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল আত্মঘাতী!

তোমার বাবা যদি বিশাল ধনী হয়,মোটামুটি ধনী আর তার সাথে সাপোর্টিভ হয় তবে তোমার জন্য রেজাল্ট ভাল না করাটা কম্পলসারি নয়। তুমি ভাগ্যবান। তোমার সাতখুন মাফ। তুমি চাইলেই অন্য কোনদিকে ফোকাস দিতে পার। ইনফ্যাক্ট এটাই ভাল। চাকরি করে কেউ কোনদিন জীবনে বড় কিছু হয় নি

কিন্তু তুমি যদি নিম্ন-মধ্যবিত্ত,মধ্যবিত্ত, গতানুগতিক ফ্যামিলির সন্তান হও যেখানে সন্তানকে ব্লেসিং এর চাইতে ইনভেস্টমেন্ট হিসবে কনসিডারেট করা হয় তোমার উচিত রেজাল্ট ভালো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।

একবার রেজাল্ট খারাপ করলে তোমার উপর দিয়ে কী পরিমাণ মানসিক ও শারীরিক ধকল যাবে তা তুমি নিজেও জান না।

যখন দেখবা ইন্টারে কলেজে তোমার সিরিয়াল আসতেছে না তখন দেখবা পুরো দুনিয়া তোমার উপর কীভাবে হামলে পড়ে! সেই সময় তোমার ই মন চাবে দুনিয়া থেকে পলায় থাকতে!

ইন্টারের পর ভাল পাব্লিকে চান্স তোমার পেতেই হবে। কারণ, প্রাইভেটে সামর্থ্য থাক বা না থাক তোমাকে পড়ানো হবে না। পড়ালেও শুধু দেওয়া হবে পড়ার খরচ।

নিজের চলার খরচ কীভাবে আসবে! টাকা ছাড়া তুমি লাইফ এঞ্জয় করতে পারবে? তুমি কি পারবা ইউনিভার্স্টিটি লাইফের যথার্থ অভিজ্ঞতা নিতে অর্থ ছাড়া?

আর টিউশনি! এই দেশে টিউশন এর সবচাইতে বড় ব্র‍্যান্ড বুয়েট। এরপর ঢাবি। আমি সপ্তাহে তিনদিন পড়ায় পাই ১২ হাজার, আমার ঢাবির ফ্রেন্ড পায় ৭ হাজার। আমি যে পরিমাণ অফার পাই তার সিকিভাগ ও পায় না। প্রাইভেট ভার্সিটির তো খাতাই নাই এইক্ষেত্রে।

প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্ট দিয়ে কেউ ই পড়াতে চায় না । কারণ এখনো এই দেশে যারা উচ্চ মাধ্যমিক এ ভাল পড়ালেখা করে তারা পাব্লিকেই যায়। আর পড়ালেও স্যালারি দেবে নগণ্য।

এডুকেশন সিস্টেম বাজে, পাব্লিকে সিট নাই, প্রাইভেট উন্নতি করতেছে এগুলো অন্য আলাপ। এখানে এগুলা প্রাসঙ্গিকও না। আর প্রাইভেট যত ই উন্নতি করুক এইদেশের মানুষের মানসিকতা বদলাইতে আরো অনেক সময় লাগবে। সিস্টেম পাল্টানোর দিবা স্বপ্ন বাদ দিয়ে, বাস্তেবে নেমে আস।

এখনো এই দেশে পাব্লিকে না পাইলেই মানু্ষ প্রাইভেটে যায়। চান্স না পাইলেই অনেকে পাব্লিক বিদ্বেষী হয়ে যায় রাতারাতি!

গরীব হলে বিদেশে সেটেল্ড হতে চাইলে স্কলারশিপ যাওয়া ছাড়া তোমার গতি নাই। দেশের বেশ কিছু চাকরিতে প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্ররা এপ্লাই ও করতে পারে না। বেতন ও পায় কম।

এই যে আমি চাকরি না করে বিসিএস নিয়ে কেন পড়ে থাকতে পারি জান? আমার একটা বুয়েট ট্যাগ আছে। আমি ৫ জনকে পড়াইলে মাসে ৫০ হাজার চলে আসবে। আমার এই আস্থা আছে যে কিছু না হলে আমার কোন সিনিওর ভাইকে অনুরোধ করলে চাকরিও আমার হয়ে যাবে। সিভিও ড্রপ করা লাগবে না। সো! ভার্সিটি ম্যাটার করে। Don't be an idiot!

অথচ আমার বয়সী অনেক ছেলে-মেয়ে আছে যাদের ইচ্ছা থাকার পর ও,আমার চাইতে অনেক মেধাবী হওয়ার পর ও তারা কোনদিন ক্যাডার হতে পারবে না। কারণ ফ্যামিলি সাপোর্ট নাই আর আমার মত বুয়েট ট্যাগ নেই। চাকরি করে বিসিএস প্রিপারেশন নেওয়া খুবই কঠিন। সবাই পারে না!

বড় কিছু করতে গেলে অন্তত সার্ভাইভ করার সাপোর্ট লাগে। নরমাল পরিবার তো পাস করার পর পর ই আশায় থাকে সন্তান পরিবার সামলাবে।

মেয়েদের জন্য ও ভাল রেজাল্ট এর প্রয়োজন। আমাদের মা-বাবারা এখনো পুরোপুরি আধুনিক হন নি। মেয়ে একটু খারাপ করলে তাকে এক্সট্রা কেয়ার নেওয়ার বদলে অনেকেই বিয়ে দেবার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েন। নিজের আয় না থাকলে স্বামী যত ই ধনী হোক না কেন পরাধীন হয়েই থাকতে হবে!

আর রেজাল্ট শুধু একটা কাগজ নয়, একটা বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট নির্দেশ করে তুমি ২ বছর খাটছ কি না, তোমাকে যে কাজে দেওয়া হইছে সেটা করছ কি না!

ওই রেজাল্ট কার্ড তোমার ডিটারমিনেশন,পেশেন্স সবকিছুর পরিচয় বহন নয়। জিপিএ ৫ পাইলে অনেক কিছুই বলা যায়, যারা পায় নাই তাদের গিয়ে জিজ্ঞেস কর অবস্থা কি!

রেজাল্ট ভাল হইলে অলয়েজ পজিটিভ, খারাপ হওয়া মানে তোমার অপরচুনিটি কমে গেল।

এইবার হয়তো অনেকে প্রশ্ন করবে, তবে কি একাডেমিক রেজাল্ট ভাল না হয়ে কেউ সফল হয় নাই?

হ্যা হয়েছে, তবে যে কয়জন সফল হয়েছে তার চাইতে হাজারগুণ অসফল হবার যন্ত্রণায় দিন পার করতেছে। তাদের কথা আমরা জানি না। কেননা আমরা শুধু সফলতার কথাই শুনতে চাই।

এইকারণে যারা ব্যর্থ তাদের কথাও শোনা উচিত। কারণ ব্যর্থতা যা শেখায় পিএইচডি করেও সেটা শেখা যায় না।

অনেকেই আছে শারীরিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা, পারিবারিক সমস্যা বা গাইডলাইনের অভাবে খারাপ করে। পরে তারা ডাবল হার্ডওয়ার্ক করে সেটা পুষিয়ে নেয়।

এখন তুমি আব্দুল, যে সারাদিন টই টই করে ঘুরে বেড়াও, তোমার দ্বারা সেটা পসিবল না।

যারা একাডেমিক এ খারাপ করেও সফল হইছে তারা অন্য কোন দিকে ডেডিকেশন দিছে। তারা বসে ছিল না। বসে থেকে ভিডিও দেখে গা গরম করে কেউ সফল হয় নাই।

বাংলাদেশের কোন ম্যাক্সিমাম তরুণ এক্টর/এক্ট্রেস, মডেল, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এরা প্রিভিলেজড ব্যাকগ্রাউন্ড এর। এদের কারো বাবা আমলা, আর্মি অফিসার, ব্যবসায়ী অথবা খুব ই সাপোর্টিভ। এইকারণে এদের উপদেশ না নেওয়াই ভাল। কারণে যে কোনদিন ভাতের কষ্ট পায় নাই, তার কাছ থেকে ভাতের অভাব দূর করবার উপদেশ না নেওয়াই ভাল।

জেনারেশনাল ওয়েলথ যাদের আছে তারা জীবন কে দেখে অন্যভাবে । তুমি একইভাবে জীবন চালাতে গেলে ভিক্ষার থালা নিয়ে বসতে হবে অদূর ভবিষ্যত এ।

আর ধনী হলেও গরীব সাজা একটা ট্রেন্ড। কেননা আমরা রিক্সাওয়ালার ছেলে ক্যাডার, দিন-মজুরি করে ডাক্তার এই টাইপের রগরগা গল্প না শুনলে মানুষের সফলতাকে মূল্যায়ন করি না। দোষ আমাদের ও আছে।

যারা ছোট থেকে উঠছে, তারাও এখন ফটকামার্কা কথা বলে এটেনশন পাওয়ার জন্য

এরকম কিছু সিনিওর ছিল আমাদের। যারা বলত, "সিজি ম্যাটার না "। এখন তাদের কথা মাথায় আসলে মুখ দিয়ে জাস্ট গালি বের হয়।

পড়, রেজাল্ট ভাল কর
নিজের পায়ের নিচের মাটি শক্ত হলে, অনেক কিছু করতে পারবা পরে।

এই দেশে নিম্নবিত্ত/মধ্যবিত্তদের পড়ালেখা ছাড়া অন্যদিকে ক্যারিয়ার গড়া প্রায় অসম্ভব। এদের জন্য সুযোগ ও বার বার আসে না।

অতএব,পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছ এটাকে কাজে লাগাও। টেকেন ফর গ্রান্টেড নিও না। এরপর সফল হলে নিজেই অনেক মোটিভেশন বেচতে পারবা।

20/04/2023

কক্সবাজারে কোন এক হোটেলের প্রতি রাতের ভাড়া সর্বোচ্চ ৫৭ হাজার টাকা। ৫০% বা ৬০% ডিসকাউন্টে প্রতি রাতে ২২-২৫ হাজার টাকায় মানুষ থাকছে। ভয়ঙ্কর ব্যাপার হল আমার মত মানুষ এই দাম দেখে হয়ত স্বপ্নেও ওখানে থাকার কথা না ভাবলেও বাস্তবতা হল তাদের রুম খালি যায় না।

বাংলাদেশের কক্সবাজারে যেই হোটেল ৮ হাজার টাকায় ভাড়া পাওয়া যাবে এর থেকে ভাল মানের হোটেল থাইল্যান্ড বা অন্য কোন দেশে এর ৪ ভাগের এক ভাগ দামে পাওয়া যাবে। এক বেলা খেতে সেখানে জনপ্রতি ৫০০ টাকা পার হয়ে গেলেও ৩ দিনের একটা ছুটিতে হোটেলে স্থান দেয়ার জায়গা থাকেনা। এরপরো জিজ্ঞেস করলে সহজ সরল করুন উত্তর "ব্যবসা ভাল নেই ভাই, আগের মত নেই"।

সেদিন বাসায় ভাবলাম কদবেল কিনে নিয়ে যাই। দাম জিজ্ঞেস করতেই বলল বড় গুলা ৫০, এর থেকে কিঞ্চিত ছোট ৪০ আর এপাশের গুলা ৩০। হা করে দুই মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে বললাম ২৫ করে হবে? বলল এক দাম। দামাদামি নেই। আমি চলে আসলে আসলে কিছুই যায় আসেনা। অনেকেই কিনবে। আর অনেকে কিনবে বলেই ন্যায্যতার বালাই নেই বাজারে।

ঢাকার কোন কোন অঞ্চলে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৭০-৮০ হাজার লোকের বাস! এতটাই ঘিঞ্জি একটা শহরে রুপ দিয়েছি আমরা যে এখানে ক্রেতার কাছে বিক্রেতা দায়বদ্ধ নয়। ক্রেতা দায়বদ্ধ। রিকশায় গেলে যান, না গেলে নাই। কদবেল কিনলে কিনুন, না কিনলে নাই।

আমার উপলব্ধি হল, সারাবিশ্বে পণ্যের বাজার মূল্য নির্ধারনে কস্ট প্রাইস এর সাথে রিজনেবল প্রফিট মার্জিনের হিসাব করা হলেও, বাংলাদেশের বাজার ব্যাবস্থায় বাজার মূল্য নির্ধারন হয়, সর্বোচ্চ কত দামে ক্রেতার কাছে বিক্রি করে কত সময়ে স্টক খালি করা সম্ভব সেটির উপর। এক্ষেত্রে সময়কে মূল্য দিলে হয়ত একটু দাম কমায়। না দিলে বেশি দামেই বিক্রি চলবে।

পুরো বাজার ব্যাবস্থায় কার্যত কারো নিয়ন্ত্রন নেই। নিয়ন্ত্রন যারা করবে তাদের হয়ত মাথা ব্যাথাও নেই। বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে ব্যাচেলর হলে এক রকম, ভাড়াটের চাহিদা বেশি থাকলে ভাড়াও বেশি। কোন নির্দিষ্ট কাঠামোয় দাম নির্ধারন হয়না। কোন শৃঙখলায় আমাদের বাজার আবদ্ধ নয়।

সেদিন একটা ভিডিও দেখলাম, নিউমার্কেটে এক বিদেশির কাছে রাস্তার হকার বেল্টের দাম চাইছে ১৫ হাজার। ফিক্সড প্রাইস। অর্থাৎ প্রতি নিয়ত দাম নির্ধারনে আপনি কতটুকু বোকা বা চালাক সেটার ও পরীক্ষা দিয়ে পাশ ফেল করতে হবে।

কেন এরকম ভোগান্তি হবে? কেন একটা সুন্দর পরিকল্পনার আওতায় বাজার চলবে না? কেন ফটকাবাজিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে? এতে যারা প্রকৃত ব্যাবসায়ী তারা কিভাবে টিকবে?

এদেশে অনেকেই আছেন যারা আসলে বাজারে গেলে দাম ও জিজ্ঞেস করেন না। দামাদামি অনেকের কাছে ছোটলোকি। আমরা বুঝিনা আমাদের এরকম মাইন্ডসেট সাধারন ক্রেতাদের জন্য আরো ভোগান্তি সৃষ্টি করে। তবে প্রশ্ন হল, দামাদামিই বা কেন করতে হবে? ন্যায্যতা নিশ্চিত করলে তো দামাদামির প্রয়োজন হত না। তাইনা?

আমার প্রথম দিকের লেখায় পদ্মা সেতুর ইকোনমিক বেনিফিট নিয়ে লিখেছিলাম। সহজ ভাবে ওই সময় যেই দুটি জিনিস মাথায় এসেছিল তার ভেতর হল, এই সেতুতে দুরত্ব কমবে। একি সাথে ট্রিপ টাইম কমবে। কারো একটি ট্রাক থাকলে বা বাস থাকলে আগে ট্রাকের ক্ষেত্রে এক দিনে একটি ট্রিপ অথবা কখনো দুই দিনে একটি ট্রিপ খাটানোর বেশি সুযোগ পেত না। কিন্তু সেতু হলে দিনেই দুটি বা তিনটি ট্রিপ খাটানোর সুযোগ হবে। এতে আগে এক ট্রিপে ২০০০০ টাকায় ভাড়া খাটলে সেতু চালুর প্র যদি সেই ট্রাক মালিক ৮-১০ হাজার টাকাও ভাড়া ধার্য করে তবুও তার আয় বৃদ্ধি পাবে। গাড়ির সংখ্যা না বাড়ালেও যাত্রী বা মাল বহন ক্ষমতা একি কারনে দ্বিগুন বা তিনগুন হবে। দুরত্ব কমায় তেল খরচ ও কমবে। ঘাটে ফেরি পেতে অনেক সময় যেই তেল পুড়ে সেই তেলেই ট্রিপ শেষ করা যাবে।

খবরে দেখলাম, কালনা সেতু উদ্বোধনের পর যশোরের সাথে ঢাকার দুরত্ব কমেছে ১১৩ কিলোমিটার। সরকার নির্ধারিত যাত্রী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২.১৫ টাকা হিসাবে তাহলে খরচ কমার কথা ২২৮ টাকা। বর্তমানে পদ্মা সেতুর টোল, এক্সপ্রেসওয়ের টোল, অন্যান্য সেতুর টোল মিলিয়ে যাত্রী প্রতি টোল আসে মাত্র ৩৬ টাকা। যেখানে ভাড়া কমে ৩০০ টাকা হবার কথা, সেখানে বাসে ৬০০+ করে নিচ্ছে। এসি গাড়িতে ১২০০+। কি চমৎকার বাজার ব্যাবস্থা। তারা যানে যে তাদেরকে আইন দেখাবেনা কেউ। দেখালে ধর্মঘট। আর যাত্রী যারা এতদিন ৬০০ করে দিয়েছে তারাও ৬০০ করে হলেও দামাদামি করবে না। যাওয়ায় লাগবে। বিকল্প নেই।

চাহিদা অতিরিক্ত হলে সমস্যা। ছোট দেশে অতিরিক্ত ক্রেতা ঘনত্ব যে ঝুকির সৃষ্টি করেছে তার মধ্যে অন্যতম আরেকটি হল " প্যানিক" সৃষ্টির সুযোগ। মোটামুটি একটা প্যানিক বাজারে ছড়িয়ে দিতে পারলেও বিশাল মুনাফা। ধরবে কে? ধরার কেউ নেই। সিন্ডিকেট শক্তি তত বাড়ে যত ডিমান্ড বাড়ে। মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতা।

বাংলাদেশে বাজার শৃঙখলা নিয়ে ভাবা উচিত। এই পর্যন্ত বাজার শৃঙখলার উপায় নিয়ে বেশ কয়েকটি ভাবনা শেয়ার করেছি। আমার মনে হয়, জন দুর্ভোগ কমাতে আমাদের এই দিকটায় মনোযোগ দেয়া উচিত।

(সংগৃৃহীত)

11/04/2023

থ্রি ইডিয়টসের চেয়ে ছিচোড়ে মুভিটা আমার কাছে বেশি প্রিয়।কারণ, থ্রি ইডিয়টস আপনাকে বলবে, তুমিও জিতবে।বাট ছিচোড়ে মুভিটা আপনাকে বলবে, তুমি হারবে, তারপরেও তুমি বেঁচে থাকবে।

"জীবনের কাছে হেরে গেলাম" লিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহাগ ছেলেটা মরে গেল। হয়তো তাকে কেউ কখনও বলেনি, জিতে যাওয়া মানেই জীবন না, হেরে যাওয়ার মধ্যেও থাকে বেঁচে থাকার আনন্দ।

শিব খেরা, ডেল কার্নেগি থেকে আমাদের বাবা মা, বারবার আমাদের একটা কথাই বলে, তুমিও জিতবে। শক্ত হও। উঠে দাঁড়াও। দৌড়াও। জিততে তোমাকে হবেই।
কিন্তু কেউ কখনও বলে না, তুমিও হারবে। তুমিও তো রক্ত মাংসেরই মানুষ, তোমারও ক্লান্ত লাগবে। একটু বসো। সবসময়ই উঠে দাঁড়ানোর দরকার নাই। সবসময়ই দৌড়ানোর দরকার নাই।একটু বিশ্রাম করো। অনেকক্ষণ তো শক্ত থেকেছো, এবার একটু নরম হও।কেউ বলে না।

বলে না বলেই, সোহাগের মতো ছেলেমেয়েগুলো ঝুলে পড়ে। কেউ রিলেশনশিপের জন্য, কেউ টাকার জন্য, কেউ ক্যারিয়ারের জন্য, কেউ রেজাল্ট বা সিজির জন্য, কেউ বা একটুখানি ভালোবাসার জন্য।

হেলাল হাফিজ এক বুক কষ্ট নিয়ে লিখেছিলেন,

কেউ বলেনি,
ক্লান্ত পথিক,
দুপুর রোদে গাছের নিচে একটু বসে জিরিয়ে নিও...

ওদিকে হুমায়ূন আজাদ লিখেছিলেন আরো ভয়ঙ্কর কথা।

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো
খুব ছোট একটি স্বপ্নের জন্যে
খুব ছোট দুঃখের জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো কারো ঘুমের ভেতরে
একটি ছোট দীর্ঘশ্বাসের জন্যে
একফোঁটা সৌন্দর্যের জন্যে।

মা বাবা, শিক্ষক, গার্জিয়ান, বন্ধু, সমাজ, পৃথিবী, আপনাদের সবার কাছে আমার একটাই অনুরোধ,জিতে যাওয়ার মোটিভেশন দেন, সমস্যা নাই।কিন্তু হেরে যাওয়াদের কথাও একটু বলেন। পৃথিবীতে সবাই জিততে আসে নাই। সবার জেতার দরকারও নাই। কিন্তু এই পৃথিবীতে সবাই বাঁচতে আসছে।

এই পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ ছোট্ট একটা স্বপ্ন ডিজার্ভ করে, একটুখানি সিমপ্যাথি ডিজার্ভ করে, এক ফোঁটা রোদ্র ডিজার্ভ করে, ছোট্ট একটা ঘাসফুল ডিজার্ভ করে।
এই পৃথিবীর আলো বাতাস, জল বা জোছনায় সবার সমান অধিকার আছে। জিতে যাওয়া মানুষটার যেমন দোয়েলের শিষ শোনার অধিকার আছে, হেরে যাওয়া মানুষটারও তেমন এক ফোঁটা বৃষ্টির পানি পাওয়ার অধিকার আছে।

জয়ের মালা বিজয়ীরই থাকুক, ওটার ভাগ কেউ চায় নাই। তাই বলে হেরে যাওয়া মানুষের উপর থেকে এক টুকরো মেঘের ছায়া কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নাই।
কারো না।

From the group of Positive Thinkers.
সংগৃহিত..

02/01/2023

মূল লেখাটা অনেকের পশ্চাৎদেশ, মগজ, নিউরন, রক্তসহ অনেক কিছুই গরম করে দেবে যদিও এমন হালকা ঠান্ডায় একটু গরম হওয়া একেবারে খারাপ না। লেখাটা কে লিখেছেন আমি জানিনা, আমার ওস্তাদ পড়তে দিয়েছিলেন অর্থাৎ ওস্তাদের কাছ থেকে পেয়েছি।

ওই লেখার সূত্র ধরে বলি "কোকো দা গোরিলা" পৃথিবীর সবচাইতে বুদ্ধিমান শিম্পাঞ্জি বা গোরিলা বা বানর প্রজাতির প্রাণী যার আইকিউ ৭৫ থেকে ৯৫ এর মধ্যে বলেই দাবী করা হয়, গুগল সার্চ করলেই এই ইসুতে প্রচুর লেখা পেয়ে যাবেন আর জাতিগতভাবে বাংলাদেশের মানুষের গড় আইকিউ ৭৩.৩৩ (কয়েকটা ওয়েবসাইট কিংবা বিভিন্ন লেখার রেফারেন্স ধরে এটাই পেয়েছি) অর্থাৎ পৃথিবীর সবচাইতে বুদ্ধিমান গোরিলা কিংবা শিম্পাঞ্জিও গড়পরতা বাংলাদেশির চাইতে বেশি আইকিউ সম্পন্ন; তথ্যটুকু মাথায় রেখে সময় থাকলে বাকি লেখাটা ঠান্ডা মাথায়, সময় নিয়ে পড়ার নিমন্ত্রণ রইলো।
সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা 💐🎂...........................................................................................................

#৪২০৮

গত বছর থার্টি ফার্স্টে আমি যাইতেসিলাম এক জায়গায় বিয়ায় অংশগ্রহন করতে। ঐ বিল্ডিংয়ে ওঠার সময় আমি দেখলাম, চিপার ভিতরে ৭-৮টা ছেলে মিলা ২টা সাজুগুজু কইরা শহর দেখতে বাইর হওয়া মেয়ের সাথে ঘেষাঘেষি কইরা দাড়ায়া কথা বলতেসে, খুব সম্ভবত জাস্ট ফ্রেন্ড টাইপ কিছু একটা হবে।

এখন থেকে ৪-৫ বছর আগে হইলে আমি ব্যাপারটা আরেকটু ঘাটাইতে যাইতাম কিন্তু কয়েকবার এইসব মেয়েঘটিত বিষয়ে আগ বাড়ায়ে দায়িত্ব নিতে গিয়া এমন ভ্যাজালে পড়সি যে আমি এখন আর এইসবের ভিতরে ঢুকি না। এইসব কেইসে কে হিরো কে এন্টাই হিরো কে ভিলেইন কে হিরোইন আর কে হিরোইঞ্চি কিছুই আপনি বুঝবেন না। অতএব, কাউরে কিছু জিগানোর ক্যাচালে গেলাম না।

রাত ২টার দিকে ঐ বিয়া থেকে বাইর হইলাম, হইয়া বাসায় যাওয়ার পথে দেখি মেয়ে দুইটা সেই চিপাতেই দাড়ায়ে আছে। তাদের চেহারা ও কাপড় চোপড়ে বুঝা যাইতেসিলো যে তারা হয় রেইপড হইসে বা তার কাছাকাছি কিছু। একজন কানতেসিলো, আরেকজন প্রায় নির্বাক। আমি একবার ভাবলাম, গিয়া কথা বলি। তারপর, আবার মনে হইলো, এইটা কোন ট্র‍্যাপও হইতে পারে। জাস্ট লিভ ইট।

কয়েক বছর আগে থার্টি ফার্স্টে মদ খায়া মাতলামি করার সময় আমার এক বড়লোক বন্ধুর ছোটভাইরে তার বন্ধু ছুরি মাইরা দিসিলো। সেইটাও নাকি মেয়ে ক্যাচাল নিয়াই হইসে, হু নৌজ!!

এইগুলা বাদ দেন, গতবার ও তার আগের বার গোটা ঢাকায় আতশবাজির আওয়াজে ছোট ছোট পাখিদের দিগবিদিক ওড়াউড়ির কথা কি আপনাদের মনে আছে?? বা ঐ ছোট্ট বাচ্চা ছেলেটা, যে আতশবাজির আওয়াজে হার্ট এটাক কইরা মইরাই গেল!!

আপনি কি ব্যাপারটা ফিল করতে পারেন?? আপনার কাছে কি এইটারে স্যাটানিক সাব্বাথের মত কিছু লাগে না?? মানুষ বা অন্য প্রানীর ব্লাড দিয়া, লাইফ দিয়া আপনার আনন্দের খোরাকি দিতে হবে, নাইলে আনন্দে পূর্নতা আসবে না!!
এবং এরা হবে ভালনারেবল, নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ বা অসহায় বোবা প্রানী। এরা হবে আপনার উন্মত্ত উদযাপনের বলি। What nonsense this is!!

দেখেন, বাংলাদেশের একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের টাকার তেমন কোন সমস্যা নাই, এবং দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এদের কোন সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটির ফিলিংস নাই।

৩১ তারিখ রাত্রে তারা ইচ্ছামত বাজি ফুটাবে। They won't care if your mom or dad or toddler is either dead or living dead after tolerating the sound blizzard they will generate that night.

এদেরকে আপনি থামায়ে রাখতে পারবেন না।

আমি এন্টাই সেলেব্রেশান, এন্টাই ফেস্টিভ পারসন না। আমি খুব একটা অর্থডক্স মানুষও না, বরঞ্চ কেউ আনন্দে আছে দেখলে আমার ভাল্লাগে। নিজে অনেক কিছুই করি না, কিন্তু মানুষকে খুশি দেখলে ঐটাই চোখে ল্যাপটায়ে থাকে।

কিন্তু বাংলাদেশীদের মত একটা সামগ্রিকভাবে অসভ্য জনগোষ্ঠীকে আপনি যদি লাগামছাড়া যেকোন কিছুর সুযোগ দেন, এইখানে মাৎসান্যায় হবে। বড় মাছ ছোট মাছকে খাইয়া ফেলবে, যেইভাবে গতবার ঐ ছোট্ট বাচ্চাটারে খাইয়া ফেলসে মোহাম্মাদপুরের 'উৎসবমুখর' পোলাপান।

তাইলে, আপনার আমার যার বাসায় অসুস্থ মানুষ বা শিশু-বৃদ্ধ আছে, তাদের করনীয় কি হবে??

সেলেব্রেশান সহ্যের মাত্রা ছাড়ানো মাত্র পুলিস স্টেশনে কল করা ছাড়া আমি আর উপায় দেখি না। একটা ৭৩/৭৬ মিন আইকিউওয়ালা জাতিকে আপনি বাটাম ছাড়া কোনভাবেই সঠিক পথে চালাইতে পারবেন না।

সবাইকে পুলিস সাপোর্ট দিতে পারবে না আমিও জানি। কিন্তু কিছু দৃষ্টান্ত তৈরি হওয়া দরকার যে এই ধরনের বাড়াবাড়ির অপরাধ করার আগে প্রয়োজনে হাজতবাস করা লাগতে পারে সেইটা যেন মানুষ ভাইবা রাখে।

বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে ভালো বোঝে লাঠির ভাষা আর নোটের ভাষা।

আপনার যে ছোট ভাই এইসব সেলেব্রেশান করে, আপনি সুস্থ মানুষ হয়ে থাকলে, তার পকেটমানির উপর স্যাংশান দেবেন এবং আপনার ছোট বোনের নিরাপত্তার কথা যদি আপনি মাথায় রাখতে চান, তাকে বাসায় থাকতে বাধ্য করবেন।

বাংলাদেশের অধিকাংশ তরুন তরুনীদের আলগা ত্যালের উৎস হইলো বাপ-ভাইয়ের কলিজা পানি করা টাকায় ঝিমায় ঝিমায় ছাত্রত্ব করার নামে লাফাঙ্গামি করা। আপনি এদের যত সুযোগ দেবেন এরা আপনার তত বড় ক্ষতি করবে।

বেশি পেইন খেয়ে সাইজ হওয়ার আগেই নিজেরটারে স্যাংশানে ফেলেন, পরেরটারে থানা হাজতের চেহারা দেখান।

এইটায় কাজ হবে। আর কোন উপায়ে আপনি আশিরও নিচে গড় আইকিউ থাকা একটা জাতরে কোন গনবিধ্বংসী ক্ষতিকর কাজ থেকে আটকায় রাখতে পারবেন না।

19/10/2022

ছোটবেলায় কিসমিস খেতে খুব ইচ্ছা করত। আম্মা খেতে দিত না। বাজার থেকে অল্প কিসমিস এনে আম্মা কুটুরিতে লুকিয়ে রাখত। শুধুমাত্র সেমাই রান্না করার সময় সেই কুটুরি খোলা হত। ঐ সময় হাতে দুই তিনপিস পেয়ে অতৃপ্ত আমার বাল্যকালে খুশির রঙ লেগে যেত।
যখন টাকা আয় করা শুরু করলাম তখন কিসমিস খাওয়া শুরু করলাম। মুঠো মুঠো করে কিসমিস খাইছি। হয়ত বাল্যকালের সেই তিনপিসের মত টেস্ট পাই নাই, তবে অতৃপ্ত বাল্যকালের উপর কিছুটা প্রতিশোধ নিতে তো পারছি।
ঐদিন এক সুপার শপে দেখলাম নসিলা। ছোটবেলায় টিভিতে শুধু এড দেখতাম, বাচ্চারা টিফিনে নসিলা দিয়ে পাউরুটি মাখিয়ে নিয়ে যায়। এড দেখে বুঝতাম এই জিনিস বিরাট সুস্বাদু, কিন্তু মধ্যবিত্ত বাবা মায়ের নসিলার বোতল কিনে দেয়ার আগ্রহ বা সক্ষমতা কোনটাই ছিল না।
ঐদিন এক বোতল নসিলা কিনে এনে আঙুল দিয়া চেটে পুটে খাইছি। যেটুকো সক্ষমতা আছে, সেটুকোর মধ্যে কোন আক্ষেপ রাখা যাবে না।
এক কলিগের তেল আনতে নুন ফুরায় অবস্থা। একদিন দেখি ফুল ফ্যামিলি কক্সবাজার যাবার বিমানের টিকেট সহ উপস্থিত । সবাই কানাঘুষা করতেছে। আমি ভাইরে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম ঘটনা কি?
সে বলল, আব্বা সারাজীবন স্বপ্ন দেখাইছে রোল ১ হইলে কক্সবাজার নিয়া যাবে। ক্লাসে সবসময় রোল ১ হইত, কিন্তু স্কুল শিক্ষক আব্বার সক্ষমতা হয় নাই। আমিও ছেলেকে বলছিলাম রোল ১ হলে কক্সবাজার নিয়া যাব। একটাই জীবন, আমি আমার আব্বার মত হতে চাইনা।
জীবনটা তো ছোট। আজকে আপনার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার বয়স। টাকা জমিয়ে জমিয়ে কোন একদিন সময় করে বউ নিয়ে ঘুরতে যাবেন, ও স্বপ্ন সহজে পূরণ হবে না।সময়, টাকা, অবসর তিনটা একসাথে আপনার কোনদিন হয়ে উঠবে না।
জীবন একটু একটু করে চলে যাচ্ছে। আজকে যা গেল ওটাই শেষ। আজকে যা করতে পারেন নাই, ওটাই মিস করলেন। যেটুকু আপনার আছে এটুকুই অল্প করে উপভোগ করার মানেই জীবন।
জীবনটাকে নসিলা ভেবে চেটেপুটে খেতে থাকুন, কিসমিসের মত ভবিষ্যতের আশায় কুটুরিতে জমা করে রাখলে শুধু আফসোস বাড়বে।

06/09/2022

তুর্কীরা তাদের সন্তানদের "সিংহ-বাঘ" এর পরিবর্তে নেকড়ের সাথে তুলনা করে থাকে।কারণঃ-

১- নেকড়েকে আরবিতে "ইবনে আল-বার" বলা হয় যার অর্থ "ভাল ছেলে" কারণ যখন তার বাবা-মা বৃদ্ধ হয়, তখন তারা তাদের জন্য শিকার করে এবং তাদের যত্ন নেয়।

২-"নেকড়ে" কখন ও তার স্বাধীনতার সাথে আপোষ করে না এবং কারও দাস হয় না, যখন সিংহ সহ প্রতিটি প্রাণীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বস করা যায়, কিন্তু নেকড়েকে করা যায়না।

৩-নেকড়ে কখনও মৃত খাবার খায় না এবং পুরুষ নেকড়ে মহিলা নেকড়ের দিকে তাকায় না। তারা এত বিশ্বস্ত যে পুরুষ নেকড়ে তার একমাত্র স্ত্রী নেকড়ে ব্যতিত অন্য কারো সাথে সম্পর্ক করেনা। এবং স্ত্রী নেকড়েও তার অংশীদার নেকড়ের অনুগত থাকে।

সংগৃহীত পোস্ট।

15/08/2022

এক প্রবাসী ভাই, বাংলাদেশ থেকে হাত ব্যাগে মধু নিয়ে কাতার যাচ্ছিলেন। কিন্তু ঢাকায় বিমানবন্দরে সেটি নিতে দেয়া হয়নি।

তো সেই প্রবাসী ভাই, রাগে ক্ষোভে আমাকে বললেন, বিমানবন্দরের স্ক্যানিং মেশিনে শুধু প্রবাসীদের মধু ধরা পড়ে। দেশ থেকে শতকোটি টাকা পাচার হয় তখন স্কেনিং মেশিনে ধরা পড়েনা কেন?????

এই একই প্রশ্ন আমি অনেক প্রবাসীর মুখ থেকে শুনেছি। তবে উত্তর দেয়ার আগে আমি প্রবাসী ভাইকে বললাম, আপনার কি মনে হয়, যারা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার করে,তারা টাকা বস্তায় ভরে, প্লেনে চড়ে বিদেশে টাকা নিয়ে যায়?

না, পাচারকারীরা বস্তায় ভরে প্লেনে করে টাকা নেয় না। বিদেশে এই যে টাকার পাচার হচ্ছে, এই কাজে সব চেয়ে বেশি সহযোগিতা করছেন আমাদের প্রবাসী ভাই ও বোনেরা।

আমাকে গালি দেবার আগে, লেখাটি পুরো পড়ুন।

উত্তর হচ্ছে, বিদেশ টাকা পাচার করার অনেক রকমের পথ আছে। তবে অনেক বেশি টাকা দ্রুত পাচারের সহজ পদ্ধতি হচেছ হুন্ডি।

উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি, বাংলাদেশ থেকে একজন লোক ১০০ টাকা পাচার করবে। তিনি হুন্ডি ব্যবসায়ীকে টাকা দিলেন। আর বললেন সৌদি, দুবাই, কাতার, কুয়েত যেখানেই হোক, তাকে ৯০ টাকা দিলেই হবে।
আপনি সৌদি থেকে ১০০ টাকা হুন্ডি ব্যাবসায়ীর কাছে দিলেন। সেই হুন্ডি ব্যবসায়ী আপনার টাকা নিয়ে পাচারাকারীর সৌদি আরবের ব্যাংকে কিংবা তার লোকজনের হাতে দিয়ে দিবে।

অন্যদিকে দেশে পাচারকারীর সেই অবৈধ টাকাগুলো থেকে আপনার পরিবারের কাছে দিয়ে দিবে । ১০ টাকা লাভ থেকে আপনাকে দিবে ৫ টাকা দিয়ে ১০৫ টাকা আপনার পরিবারের কাছে দিবে।

প্রবাসীরা জেনে কিংবা না জেনে হুন্ডিতে টাকা পাঠান, আর টাকা পাচারকারী, চোরাকারবারীদের লেনদেনে সহায়তা করছেন।

হুন্ডিতে টাকা পাঠালে আপনার ৫ টাকা লাভ হচ্ছে, কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে আরও বেশি। কিভাব ?

হুন্ডির কারণে দেশে ডলার আসছেন না। আর ডলারের দাম বাড়ায় টাকার মান কমছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ডলার সংকটে দেশে অর্থনীতি সংকটে।

ধরুন, দেশ আপনার পরিবারকে হুন্ডিতে ১০৫ টাকা পাঠালেন। কিন্তু আগে মাসে ৯০/১০০ টাকা হলে হতো। এখন জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে এখন তাদের মাসে ১২০/১৫০ টাকা দরকার। ফলে অতিরিক্ত ব্যয় বেড়ে যাওয়াতে আপনার সংসারে টানাটানি হচ্ছে, ঋণ করতে হচ্ছে।

তাহলে নিজেই বুঝে নিন, হুন্ডিতে কার লাভ, আর কার ক্ষতি।

প্রবাসী ভাই ও বোনেরা, বিদেশ যাত্রা থেকে শুরু করে আবার দেশে ফেরা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই নানা রকম ভোগান্তি, প্রতারণার মধ্যে পড়েন। দূতাবাস, পাসপোর্ট অফিস, বিমানবন্দরেও তাদের ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়। আগের চেয়ে ভোগান্তি কমলেও একেবারে বন্ধ হয়নি।

এমন পরিস্থিতির প্রতিবাদে অনেকে বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর বদলে ‍হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর কথা বলছেন। আপনার প্রতিবাদের প্রতি সমর্থন আছে, থাকবে। তবে প্রতিবাদের পদ্ধতি বদলান। এমন পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করবেন না, যাতে চোরাকারবারি, টাকাপাচারকারীরা লাভবান হয়। আর ক্ষতি আপনার ও আপনার পরিবারের হয়।

যে কথা বলে শেষ করবো। আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনি হাত ব্যাগে ১০০ মিলি গ্রামের বেশি কোন রকম তরল নিতে পারবেন না। এটা মধু হোক আর খাবার পানি হোক। বাংলাদেশে হোক আর বিশ্বের অন্য যে কোন বিমানবন্দর হোক। ফলে হাত ব্যাগে তরল নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

চৌধুরী আকবর হোসেন

Want your organization to be the top-listed Non Profit Organization in Barishal?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

তাপস বৈশ্য একটা স্ট্যাটাস দেন, ",রিয়াসাদ আজিমের মত সাংবাদিককে হেড কোচ, সিলেক্টর বানায়ে দিলে দেশের ক্রিকেট ভালো জায়গায় থা...

Telephone

Address

Post: Bukhainagar, Barishal Sadar
Barishal
8201

Other Community Organizations in Barishal (show all)
Part time job news Part time job news
Kalapara
Barishal

Rotaract Club Barishal Midtown Rotaract Club Barishal Midtown
Sadar Road
Barishal, 8200

Be United For The Betterment

ShobujerMaya Dhamsar, Bamrail, Ujirpur, Barisal ShobujerMaya Dhamsar, Bamrail, Ujirpur, Barisal
Bamrail Union, Ujirpur
Barishal

Helping Hand Organization Helping Hand Organization
Barishal, 8200

We are independent of any political ideology, economic interest or religion.

Ab.Razzak Dxn Online Marketing System. Ab.Razzak Dxn Online Marketing System.
Laxmipura, Bhandaria, Pirojpur
Barishal

DXN Products হচ্ছে এমন-ই একটি প্রডাক্ যাহা ব্যাবহরে কোন পার্শপ্রতিক্রয়া নেই।

আল হিকমাহ ফাউন্ডেশন - Al hikmah Foundation আল হিকমাহ ফাউন্ডেশন - Al hikmah Foundation
Barishal

আল হিকমাহ ফাউন্ডেশন অলাভজনক, অরাজনৈতিক ও মানবকল্যাণে নিবেদিত শিক্ষা, দাওয়াহ ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ।

All News Network All News Network
FREE Fire
Barishal

Hi Friends it is a Free Fire page any problem in you r free fire account for tell me plzz

মানুষ মানুষের জন্য "আমরা 'ক' জন" সাহায্যকারী সংগঠন মানুষ মানুষের জন্য "আমরা 'ক' জন" সাহায্যকারী সংগঠন
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা
Barishal

আমরা আছি অসহায় মানুষের পাশে, আপনিও আমাদের সাথে থাকুন

VGCB VGCB
Akhterunnesa School Road, Vatikhana
Barishal, 8200

The organization of cricket board that has the control over the whole world.

পায়রা শান্তি সংঘ - Payra Peace Club পায়রা শান্তি সংঘ - Payra Peace Club
East Burirchar, Burirchar, Barguna
Barishal, 8700

For Unity For Peace

Bakerganj Online Bakerganj Online
POLICE SUPER MARKET, SADAR Road, BAKERGANJ
Barishal, 8280

* VAT CERTIFICATE, ONLINE * ONLINE VAT RETURN * PASSPORT ( ONLINE APPLICATION) * TIN CERTIFICATE, ON