Dr.Shiful Islam Shahin

🛑🚨 #বায়োকেমিক #বার টি ঔষধের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
#বায়োকেমিক ঔষধ গ্রহণ করলে দেহ রোগমুক্ত হয় । এই ঔষধগুলো সাধারণত পাউডার অথবা ট্যাবলেট রূপে পাওয়া যায় । শক্তির মাত্রা ৩এক্স,৬এক্স,১২এক্স ইত্যাদি ।

🚨ট্যবলেটগুলি সাধারণত ৩/৪টি করে দিনে ৩/৪ বার খেতে হয় । গরম পানিতে গুলে খেলে এর ক্রিয়া ভালভাবে হয় । সম্ভব না হলে চিবিয়েও খাওয়া যায় ।

🚨আবার এই ১২টি ঔষিই হোমিওপ্যাথি পদ্ধতিতে শক্তিকৃত করে হোমিওপ্যাথি মতে (সদৃশ্য বিধান) রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হয় । সেক্ষেত্রে শক্তির মাত্রা: ৩/৬/৩০/২০০/১০০০/১০,০০০/১০০,০০০ এই রকম ।

🛑আমরা এই মহা মুল্যবান ১২টি ঔষধের ক্রিয়া আলোচনা করব ।

🚨১/ ক্যালকেরিয়া ফ্লোর:
🛑পরিচয় : ক্যালসিয়াম ফ্লোরাইড,ফ্লোরম্পার ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – চোখের ছানি, কোমর ব্যথা, মচকা ব্যথা, স্তনে গুটি, দাঁত উঠতে দেরি হওয়া, দাঁতের ক্ষয় ও প্রদাহ, চামড়া ফাটা, সহজেই রক্তপাত, বংশগত সিফিলিস,এ্যাডিনয়েডস ।

🚨২/ ক্যালকেরিয়া ফস:
🛑পরিচয় : ক্যালসিয়াম ফসফেট,ফসফেট অফ লাইম ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – স্নায়ুর দুবলতা, মৃগী, অন্ত্রের প্রদাহ, পরিপোষণ বা মেটাবলিজমের ত্রুটি, দাঁত উঠতে দেরি হওয়া, ক্ষয়রোগ, পায়খানার সাথে অভুক্ত দ্রব্য, পেটে বায়ু । ডায়াবেটিস রোগীদের অস্তিভঙ্গ, মস্তিস্কের অবসাদ, ব্রাইটস ডিজিস, রসযুক্ত চমরোগ ।

🚨৩/ ক্যালকেরিয়া সালফ:
🛑পরিচয় : ক্যালসিয়াম সালফেট,জিপসাম, প্লাস্টার অফ প্যারিস ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – ফোঁড়া, কাবাঙ্কল, পুঁজযুক্ত ব্রণ, পোড়া ঘাঁ, চুলকানি, ফিস্টুলা, গ্রন্থিস্ফীতি, স্নায়বিক দুবলতা, জনন ইন্দ্রিয়ের দুবলতা, পরিবতশীল মানসিকতা, পায়ের তালুতে জ্বালা-পড়া এবং চুলকানি, অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়ার পর শারীরিক দুবলতা ।

🚨৪/ ফেরাম ফস:
🛑পরিচয় : ফেরোসো ফেরিক ফসফেট, ফসফেট অফ আয়রণ ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – অ্যানিমিয়া, রক্তপাতের ফলে রক্তাল্পতা, নাড়ীর গতি দ্রুত, মাথার যন্ত্রণা, জিভের প্রদাহ, জিভ লেপাকৃত অথবা রক্তাভ, অক্ষুধা, দেহের ওজন এবং শক্তি কমে যাওয়া, শিশুদের মানসিক ও দৈহিক বল হ্রাস, শীণতা, ক্ষুধামান্দ্য ।

🚨৫/ ক্যালি মিউর:
🛑পরিচয় : পটাসিয়াম ক্লোরাইড ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – হাটের দুবলতা, বুক ধড়ফড় করা, হৃদপিণ্ড বৃদ্ধি পাওয়া, পেরিকাডাইটিস, থ্রম্বসিস, গ্রন্থ বৃদ্ধি, ফুসফুস প্রদাহ, নিউমোনিয়া, পিত্ত নিঃসরণ কম হওয়ার ফলে অজীণ, অক্ষুধা, গলক্ষত, লিভারের দুবলতা ।

🚨৬/ ক্যালি ফস
🛑পরিচয় : পটাসিয়াম ফসফেট ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – মানসিক দুবলতা, মানসিক বিপযয়, মানসিক অবসাদ, মানসিক কারণে মাথার যন্ত্রণা, মস্তিস্কের দুবলতা ও অবসাদ, পেটে বায়ু এবং সে কারণে হৃদপিণ্ডের অপক্রিয়া, দুগন্ধযুক্ত পায়খানা, উঠে দাড়ালে মাথা ঘোরা, সেরিব্রাল অ্যানিমিয়া, জননাঙ্গের দুবলতা ।

🚨৭/ ক্যালি সালফ:
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – হাম,বসন্ত চমপীড়া, বুকে ঘড়ঘড় শব্দযুক্ত হাঁপানী, বিকালের জ্বর,চমের উপর ইহার ক্রিয়া অনেক বেশি,স্রাব আঠালো, সবুজবণের, দুগন্ধযুক্ত, ইহার অভাবে চম থেকে খুশকি উঠে ।

🚨৮/ ম্যাগ ফস:
🛑পরিচয় : ম্যাগনেসিয়াম ফসফেট ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – বিভিন্ন প্রকার ব্যথা ও যন্ত্রণা, মাথার যন্ত্রণা, পেটে ব্যথা, স্নায়ুশূল, স্প্যাজমেডিক পেইন, স্মৃতিশক্তিহীনতা, চিন্তাশক্তির দুবলতা, স্নায়বিক দুবলতা, দাঁড়ানো অবস্থায় এবং চলতে চলতে মলত্যাগের ইচ্ছা । এই ঔষধটি স্নায়ুকোষে পুষ্টি জোগায় ।

🚨৯/ ন্যাট্রাম মিউর:
🛑পরিচয় : সোডিয়াম ক্লোরাইড ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – নুন বেশি খাওয়ার প্রবণতা, কোষ্টকাঠিন্য, মাথা যন্ত্রণা (হাপানি সহ), সদি কাশির প্রবণতা, হাঁচি, নাক দিয়ে কাঁচা পানি পড়া, হিস্টিরিয়াম, সংজ্ঞালোপ, টাইফয়েড, জ্বরে প্রলাপ বকা, পেটে শূল বেদনা, লিভারের গোলযোগ, বোধ শক্তির অভাব, ক্রিমি, মস্তিস্কের দুবলতা ।

🚨১০/ ন্যাট্রাম ফস:
🛑পরিচয় : সোডিয়াম ফসফেট ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – অম্লরোগ, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের গোলযোগ, শিশুদের অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানোর ফলে ল্যাকটিক এসিড বৃদ্ধি পাওয়া, গনোরিয়া জিভে হালকা প্রলেপ, বুকের বাঁদিকে ব্যথা (নিপ্ল এর নীচে) ডান কাধে বাত জনিত ব্যথা, স্বপ্নদোষ ব্যতিত ধাতুক্ষয়, অপথ্যালমিয়া, কান থেকে রস পড়া ।

🚨১১/ ন্যাট্রাম সালফ:
🛑পরিচয় : সোডিয়াম সালফেড, প্লবারস সল্ট ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – গ্যাসট্রাইটিস, পেটে বায়ু, পেটে ব্যথা, লিভারের গোলমাল, নখের গোড়ায় প্রদাহ এবং পুজ, অবসাদ, তন্দ্রলুতা, আঁচিল - চোখের চার পাশে, মাথায়, মুখে, বুকে ও মলদ্বারে, নেফ্রাইটিস, মেরুদন্ডে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, সেক্রামে ব্যথা ।

🚨১২/ সাইলিসিয়া:
🛑পরিচয় : সিলিকা, সিলিসিক অক্সাইড ।
🛑প্রয়োগ ক্ষেত্র – রিকেট, বাতরোগ, প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি, মধ্য কানের প্রদাহ, দেহের কোথাও পুঁজ, গেঁটেবাত, কোষ্টকাঠিন্য, অম্ল, অজীণ, পুরানো কাশি
ডাক্তার সাইফুল ইসলাম শাহীন. ..

সালফার ও সোরিনামের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পার্থক্য।

সালফার ও সোরিনাম এই দুটি ওষুধে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। উভয়েরই অস্বাস্থ্যকর ত্বক, শরীরের চামড়ায় নানা প্রকার রোগ এবং দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব রয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে পার্থক্য অনেক। বুঝার সুবিধার্থে নিম্নে দেয়া হলো।

১। সালফার গরম কাতর। পক্ষান্তরে সোরিনাম প্রচন্ড শীতকাতর।
২। সোরিনামের চর্মরোগ সাধারণত মাথা থেকে পায়ের দিকে প্রসারিত হয়। পক্ষান্তরে সালফারের চর্ম রোগে এমন কোন অভিমুখ নেই।

৩। সোরিনামের স্রাবের দুর্গন্ধ সালফারের স্রাবের দুর্গন্ধের চেয়েও অনেক বেশি, গন্ধে বমি আসে।

৪। সালফারের তাপ ও জ্বালা আছে। সোরিনামের তাপ ও জ্বালা নেই বরং শীতল।

৫। সালফারের খিদে কম, পিপাসা বেশি। সোরিনাম সর্বদা ক্ষুধার্ত, খিদের চোটে রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং তখন কিছু খেতে হয়।

৬। সালফার প্রয়োগে আশানুরূপ ফল না পেলে সোরিনাম প্রয়োগ করতে হয়। এ প্রসঙ্গে দুটি কথা বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে।

১। বর্তমান যুগে মানুষ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও পরিছন্নতা নিয়ে বিশেষ সচেতন। প্রচারের বদৌলতে প্রসাধনী সামগ্রী এবং চাপা দেওয়া সামগ্রীর ব্যাপক ব্যবহারের ধরুন আজকাল অপরিচ্ছন্ন শরীর এবং নোংরা পোশাক পরিচ্ছন্নকর লোক খুব কম দেখা যায়। তারমানে এই নয় যে সালফার প্রয়োগের আর প্রয়োজনীয়তা নেই। এটা একটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।

বরং সালফারের প্রয়োজন আরও বেড়ে গেছে। যা ছিল বাইরে, চোখের সামনে তাকে ভেতরে চোখের আড়ালে চাপা দেওয়া হয়েছে। ভেতরে ভেতরে ধ্বংসলীলা বিনা বাধাই অগোচরে চলতে দেওয়া হয়। ফলে কঠিন কঠিন রোগ যথা এলার্জি, আর্থারাইটিস, সোরিয়াসিস, যক্ষা, ক্যান্সার, উন্মত্ততা এবং আত্মহত্যার প্রবণতা সহ নানাবিদ দৈহিক ও মানসিক রোগের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এমনকি সর্দি, কাশি, জ্বর, পরিপাকের গোলযোগ ইত্যাদি সাধারণ ধরনের রোগও সহজে সারতে চায় না।

২। ব্যক্তি জীবন ও সামাজিক জীবনে এই শৃঙ্খলাহীনতার কারণে সমাজে এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। মানবিক মূল্যবোধ, দুর্নীতি, নিষ্ঠুরতা, অপরাধমূলক হিংসাত্মক কার্যকলাপ, প্রতিহিংসা প্রবণতা সমাজ জীবনকে গ্রাস করে ফেলেছে। এই সুযোগে অন্য দুটি মায়াজম সিফিলিস ও সাইকোসিস ব্যক্তি জীবনে ঢুকে পড়েছে। আত্মকেন্দ্রিক মানুষ তার মা-বাবা স্ত্রী সন্তান ও প্রতিবেশী মানুষকে ভালোবাসে না। ব্যক্তি মানুষ ও সমাজ এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছে। এজন্য সালফারের মত ওষুধের প্রয়োজন আজকাল এত বেশি বেড়ে গেছে যা বলে শেষ করা যাবে না। সালফার শেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে আমরা সমাজের নিকট আমাদের দায়িত্ব ও সামর্থ্য সম্বন্ধে সচেতন না হই।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক
Dr.Shiful Islam Shahin
মোঃ সাইফুল ইসলাম শাহীন
ডি এইচ এম এস (ঢাকা)
+880 1929-606612

Dr.Shiful Islam Shahin updated their website address.

Dr.Shiful Islam Shahin is now on WhatsApp.

Dr.Shiful Islam Shahin updated their phone number.

Nux Voom ( নাক্স ভূমিকা )

🔶 কুচিলা বা ক্যালাকুচ হতে তৈরী ৷

🔶 প্রুভার : ডাঃ হ্যানিমান নিজে ।

🔶ক্রিয়াস্থল : পরিপাকতন্ত্র, লিভার, কিডনী ও অগ্নাশয়ে বিশেষ ক্রিয়া করে ৷

🔶 অনুপূরক ঔষধ : সালফার, আর্সেনিক , বেলেডোনা, পালসেটিলা, থুজা, ক্যাম্ফার ৷

🔶 রোগীর মানসিক লক্ষণ :
১. অত্যন্ত হিংসুটে
২. অল্পতে রেগে যায়, খিটখিটে মেজাজ ৷
৩. কোনো রকম গোলমাল বা উচ্চ শব্দ সহ্য করতে পারে না ৷

🔶 প্রধান প্রধান লক্ষন :
১. পুনঃ পুনঃ নিস্ফল মলত্যাগ
২. ঝাল, গরম, মশলাযুক্ত গুরুপাক খাদ্য, মদ্যপান করে পেটের গোলযোগ ৷
৩. মলত্যাগের পূর্বে নাভী স্থানে মোচড়ানো ব্যথা
৪. মলের সাথে অল্প আম, কখনো সাদা , আবার রক্তমিশ্রিত ৷

🔸 হ্রাস : সন্ধ্যায়, উত্তাপে
🔸 বৃদ্ধি : গ্রীষ্মকালে , মানসিক পরিশ্রমে, সঞ্চাচলনে, খোলা বাতাসে ৷

Dr.Shiful Islam Shahin..

রাতে রান্না করা ভাত যেন নষ্ট না হয় এবং পরের দিনও খাওয়া যায় তার জন্য গ্রাম এলাকায় ভাতে পানি দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে তৈরি হয়ে যায় পান্তা ভাত। ভাত সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি হলো পান্তা।

পহেলা বৈশাখে তো এই পান্তা খাওয়ার উৎসব শুরু হয়ে যায়। শহরের মানুষেরা এই পান্তা ভাত খায় ঐতিহ্য হিসাবে কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানি না এই অতি পরিচিত পান্তা ভাতের উপকরিতা সম্পর্কে।

আসুন জেনে নিই পান্তা ভাতে কী কী উপকারিতা রয়েছে।
♦ আমরা যে সাধারন চাল সিদ্ধ করে ভাত রান্না করি তার মধ্যে ফাইটিক এসিড থাকে যা বিভিন্ন খনিজ লবন যেমন-লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং যা এইসমস্ত খনিজ লবনকে দেহে শোষনে বাঁধা দেয়। কিন্তু যখন ভাতকে সারা রাত ভিজিয়ে রাখা হয় তখন ভাতের শর্করা গাঁজনের ফলে লেকটিক এসিড তৈরি হয় যা ভাতের সকল খনিজ লবনকে হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয়।

♦ ১০০ গ্রাম ভাতকে ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে পান্তাভাত তৈরি করলে তাতে লৌহ বা আয়রনের পরিমাণ ৩.৪ মিলিগ্রাম থেকে ৭৩.৯১ মিলিগ্রাম হয়। যাদের রক্তস্বল্পতা আছে তাঁদের জন্য পান্তাভাত খুবই উপকারি।

♦ ১০০ গ্রাম ভাতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ২১ মিলিগ্রাম থাকে যা পান্তা ভাতে ৮৫০ মিলিগ্রাম হয়ে যায়। যাদের হাড় ক্ষয় রোগ বা দেহে ক্যলসিয়ামের অভাব আছে তারা খেতে পারেন পান্তা।

♦ পান্তা ভাতে পটাসিয়াম বেড়ে ৮৩৯ মিলিগ্রাম হয়। ফলে যাদের হৃদরোগ আছে বা যাদের উচ্চ রক্ত চাপ আছে তাদের জন্য পান্তা উপকারী।

♦ পান্তা ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে ৪৭৫ মিলিগ্রাম থেকে ৩০৩ মিলিগ্রাম হয়। জিংকের পরিমাণও বেড়ে যায় অনেক গুণ। যেকোন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

♦ সকালের নাস্তার জন্য খুবই ভাল খাবার পান্তা। কারণ পান্তাভাত শরীরের অম্ল ও ক্ষারের সমতা রক্ষা করে। শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এক কাপ চা বা কফির চেয়ে শরীরের জন্য অনেক ভাল একপ্লেট পান্তা ভাত।

♦ পান্তা ভাত ভিটামিন বি৬ এবং বি১২ এর ভাল উৎস যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে এবং অন্য কোন খাবারে এত সহজে এত পরিমাণে এই ভিটামিন পাওয়া যায় না।

♦ পান্তা ভাতে প্রচুর উপকারি ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় যা হজমে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শক্তি যোগায়।

♦ পান্তাভাত কোলাজেন তৈরি করে যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি রক্ষা করে এবং নতুন কোষ তৈরি করে।

♦ পান্তা ভাত আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে।
♦ পান্তা ভাত পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
♦ পান্তাভাত যদি লাল চালে ভাতের হয় তাহলে তার পুষ্টিগুণ আরো বেশি হয় সাদা চালের পান্তা থেকে আবার বসা ভাত অর্থাৎ মার না ফেলে যে ভাত রান্না করা হয় সেই ভাতের পান্তার পুষ্টিগুণ মার ফেলা ভাতের পান্তা থেকে বেশি হয়।
পোস্ট: ডাক্তার সাইফুল ইসলাম শাহীন

#ম্যাজিক_অফ_আর্নিকা_মন্ট
আঘাত জনিত কারনে যে রোগ'ই হোকনা কেন মানুষিক কিংবা শারীরিক "আর্নিকা মন্টেনা" আপনাকে চিরআরোগ্য করবে ইনশাআল্লাহ্!

শুধু মনে রাখবেন আর্নিকার প্রধান লক্ষন আঘাত। যদি পড়েগিয়ে বা এক্সিডেন্ট করে আঘাত লেগে জ্বর আসে, তাহলে আর্নিকা সেবনে আপনার জ্বরও দূর হবে আঘাতের ব্যাথা-কষ্টও আরোগ্য হবে।

আঘাতের কারনে অনেক সময় টিউমার হয়, আর্নিকা এই টিউমারকেও বিনাঅপারেশনে আরোগ্য করবে। যাদের বাত ব্যাথা আছে এবং কঠর পরিশ্রম ও আঘাতের ইতিহাস আছে তাঁদের বাতব্যাথা এটি নির্মূল করবে ইনশাআল্লাহ্!

অনেক সময় সুস্থ মানুষ পড়েগিয়ে স্ট্রোক করেন প্যারালাইস হয়ে যায়। এই স্ট্রোক, প্যারালাইসিসের এক নাম্বার ঔষধ আর্নিকা। সুতরাং কথা একটাই, রোগের সাথে সাথ নেই, রোগের সূচনা যদি আঘাত হয় তাহলে চোখ বন্ধকরে আর্নিকা সেবন করতে পারেন।
তবে রোগ যত পুরাতন হবে ডোজ তত কম হবে। প্রয়োজনে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

সর্বশেষ আর একটি গুরুত্বপূর্ণ তর্থ্য "আর্নিকা" সম্পর্কে দেই --
যদি এই মেডিসিনটা ১০০০ শক্তি মাসে একবার সকালে খালীপেটে সেবন করেন তাহলে আপনার হার্ট এর্টাকের সম্ভাবনা ৯০% থাকবেনা ইনশাআল্লাহ্।

ডাঃ সাইফুল ইসলাম (শাহীন)

অনিদ্রা (Sleeplessness)

শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুম।অনিদ্রা বা সঠিক ঘুম না হলে তাতে শরীর, মন এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। তবে অনিদ্রা কোনো রোগ নয়, এটা রোগ সৃষ্টির পূর্বাভাস।শরীর ও মনের শক্তি পুনঃ সঞ্চয় করা এবং শারীরবৃত্তীক কাজে সমতা রক্ষার জন্য ঘুম প্রয়োজন।স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে, আবেগ পরিচালিত করতে এবং মনঃসংযোগ বাড়াতে ও ঘুমের দরকার। হরমোন নিঃসরণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কর্মকান্ড চালাতে ও ঘুমের দরকার। পরিমাণ মতো ও মানসম্পন্ন ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। আক্রান্ত হয় সিদ্ধান্তহীনতায়।আগে থেকে কোনো রোগে ভুগলে তার লক্ষণগুলোও বেড়ে যায়।

***কতটুকু ঘুম দরকারঃ

যারা প্রতিদিন গড়ে ছয় ঘন্টার ও কম সময় ঘুমিয়ে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মগুলো সচল রাখতে পারে,তাদের বলে' শর্ট স্লিপা ও'।আর যাদের প্রতিদিন গড়ে ঘুমের পরিমাণ কমপক্ষে নয়(৯)ঘন্টা হয়,তাদের বলে 'লং স্লিপা ও'।অনেকে কম ঘুমিয়ে তার ঘুমের চাহিদা পূরণ করতে পারে আবার কারো বেশি লাগে।সদ্যোজন্মানো ছোট্ট শিশুরা দিনে ১৬-২০ ঘন্টা ঘুমায়, আর তিন থেকে ছয় বছরের শিশুরা দৈনিক ১০-১২ ঘন্টা ঘুমায়। পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের গড়ে দৈনিক ঘুমের পরিমাণ ৭-৮ ঘন্টা। বৃদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে ঘুমের পরিমাণ ও গুনগত মান কমতে থাকে। গর্ভাবস্থায় রাতে ও দিনে ঘুমের পরিমাণ কিছুটা বাড়ে।

***ঘুমের চক্রঃ

ঘুমের দুটি চক্র থাকে,
১.নন- র্্যাপিড আই মুভ ও( এনআরইএম)
২.র্্যাপিড আই মুভ (আরইএম)।
প্রথম চক্রটি আমাদের ঘুমের ৭৫ শতাংশজুরে থাকে।এসময়ে প্রায় সব শরীর বৃওীয় কর্মকান্ড উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়। আর দ্বিতীয় চক্রটি অনেক ছোট তখন মস্তিষ্ক জাগ্রত অবস্থার মতো সচল থাকে এবং এই পর্যায়ে মানুষ স্বপ্ন দেখে।

*** ঘুমের সমস্যাঃ

সাধারণত ভাবে আমরা ঘুম কম হওয়াটাকেই ঘুমের সমস্যা হিসেবে মনে করি।এর বাইরেও অনেক ধরনের ঘুমের সমস্যা রয়েছে। যেমন -
ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা,নারকোলপ্সি,স্লিপ অ্যাপানিয়া,রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম,সমনামবোলিজম।

*** অনিদ্রা রোগের কারনঃ

*কোনো বিষয় নিয়ে তিব্র মনোসামাজিক চাপঃযেমন - সকালে চাকরির ইন্টারভিউ বা পরীক্ষা থাকলে।
*অতিরিক্ত উৎকন্ঠাঃযেমন- হঠাৎ কোনো অপরাধ করার পর তা জানাজানির ভয় থাকা।
* আবেগের অযৌক্তিক বহিঃপ্রকাশঃ যেমন- হঠাৎ করে রেগে গেলে, বেশি ভয় পেলে, প্রেমিক- প্রেমিকা বা কাছের মানুষের সাথে ঝগড়া হলে।

*** অনিয়ন্ত্রিত ক্ষোভঃ

মনের ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ও যাথাযথোভাবে প্রকাশ করতে না পারলে।
* ব্যর্থতার গ্লানিঃ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যার্থ হলে বা পরীক্ষায় ফেল করলে।
* বেশি উওেজনাঃ দুই- একদিনের মধ্যে ভালোবাসার মানুষের সাথে জীবনে প্রথমবারের মতো দেখা হওয়ার সুযোগ হলে,অথবা পছন্দের যায়গায় বেড়াতে যাওয়ার আগের রাতে।
* ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারি মসলাদার খাবার খেলে।
* ঘুমের আগে ভিডিওতে উওেজনাকর নাটক বা সিনেমা দেখলে।
* হঠাৎ জ্বর বা অন্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে।
* গত দু- একদিনের কোনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে।
* অন্য কোনো রোগের জন্য বিশেষ কোনো ঔষধ খেলে।
* ঘুমানোর উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে।

এ রোগের লক্ষণঃ

* ঘুম না আসা বা আসতে দেরি হওয়া।
* পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া।
* দিনের বেলায় জেগে থাকতে না হওয়া, যখন- তখন যেখানে -সেখানে ঘুমিয়ে পড়া।
* ঘুমের মধ্যে যে কোনো অস্বাভাবিক আচরণ, শ্বাসকষ্ট, কথা বলা,চিৎকার করা,হাত- পা ছোঁড়া।
* নিদিষ্ট পরিমাণে ঘুমানোর পর জেগে উঠে তন্দ্রাভাব ও ক্লান্তি।
* মেজাজ খিটখিটে থাকা,মনোযোগ কমে যাওয়া,স্মরনশক্তি কমে৷ যাওয়া। কথা জড়িয়ে যাওয়া,খিচুনি হওয়া, বমি হওয়া, মাথা ঘোরা,অস্থিরতা ইত্যাদি।

***পথ্যঃ যথাসময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
তবে নিজে নিজে কোন ঘুমের ঔষধ সেবন না করা।

লেখায় কোন ভূল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
💝MD SHIFUL ISLAM SHAHIN 💝

ধন্যবাদ সকলকে 💖💖

#আর্সেনিক_এলবাম।

মাত্র একটি শব্দ মনে রাখলে আর্সেনিক এলবাম নির্বাচন করা ও মনে রাখা খুবই সহজ।
শব্দটি হল "সাংঘাতিক"।

সাংঘাতিক অস্থিরতা। সাংঘাতিক মৃত্যু ভয়। সাংঘাতিক অবসাদ। সাংঘাতিক বিষন্ন। সাংঘাতিক অবসাদ ও উদাসীন। সাংঘাতিক উদ্বেগ। সাংঘাতিক বিরক্তিপূর্ণ।
সাংঘাতিক অনুভূতিপ্রবণ। সাংঘাতিক দুর্বলতা।
সাংঘাতিক খুঁতখুঁতে। সাংঘাতিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
শরীর বা বাহিরে পরিষ্কার হলে মন সাংঘাতিক অপরিষ্কার। সাংঘাতিক বিচার-বিশ্লেষণ করে চলে।
সাংঘাতিক কৃপণ। সাংঘাতিক আত্মহত্যার প্রবৃত্তি।
শিশু সাংঘাতিক খিটখিটে ও কাঁদুনে স্বভাবে।
সাংঘাতিক স্বার্থপর। সাংঘাতিক সন্দেহপ্রবণ।
দিন ও রাতের মধ্যবর্তী সময়ে সাংঘাতিক রোগের বৃদ্ধি।
সাংঘাতিক পিপাসা ঘন ঘন অল্প অল্প পানি পান করে।

অল্পতেই সাংঘাতিক বিরক্ত হয়। যন্ত্রনা যত বাড়তে থাকে, উদ্বেগ, অস্থিরতা মৃত্যুভয় সাংঘাতিক বাড়তে থাকে।

মানসিকভাবে অস্থির কিন্তু শারীরিকভাবে সাংঘাতিক দুর্বল, যে নড়াচড়া করতে পারে না। একা থাকলে বা শুয়ে থাকলে সাংঘাতিক মৃত্যু ভয়। সাংঘাতিক উৎকণ্ঠায় রাতে বিছানা হতে উঠে পড়ে।

আক্রান্ত অংশ আগুনের মত সাংঘাতিক জ্বালা, মনে হয় কেউ জ্বলন্ত কয়লা রেখে দিয়েছে এই জ্বালা উত্তাপে, গরম পানীয়ে, গরম কিছু বাহ্য প্রয়োগে উপশম হয়।

পিপাসায় গলা বুক সাংঘাতিক জ্বালা করে। পাকস্থলীতে পানি সাংঘাতিক অসহ্য। খাদ্য দ্রব্যের গন্ধ সাংঘাতিক অসহ্য। নড়াচড়ায় ও বসে থাকলেই অর্শ রোগে সাংঘাতিক সূংচফোটানো যন্ত্রণা।

হাঁপানি রোগীর মতো সাংঘাতিক শ্বাসকষ্ট, রোগী বসে থাকতে বা সামনে ঝুঁকে বসে থাকতে বাধ্য হয়।

সামান্য পরিশ্রমে সাংঘাতিক অবসন্নভাব।
সাধারণত বেলা ১টা হতে ২টা ও রাত ১২টা হতে ২টার মধ্যে বৃদ্ধি।

রোগ প্রতিবছর সাংঘাতিক ভাবে ঘুরে আসে।
সাংঘাতিক শারীরিক ও মানসিক অশান্তি।
সাংঘাতিক জ্বালা। আক্রান্ত স্থানে সাংঘাতিক জ্বালা।
সকল স্রাবে সাংঘাতিক দুর্গন্ধ।

ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও খাবারে সাংঘাতিক অনীহা।
গরম খাবার ও গরম পানীয় সাংঘাতিক পছন্দ।
ফল সাংঘাতিক অপছন্দ।

আর্সেনিকের রোগীরা মূলত ঘোড়ার মত সাংঘাতিক অস্থির ও ভীতু প্রকৃতির।

আর্সেনিক এল্বাম মেডিসিনের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ :-
( শীতকাতর)

১.নিদারুণ দুর্বলতা অস্থিরতা ও মৃত্যু ভয়।
দুর্বলতা যত বৃদ্ধি পাইতে থাকে অস্থিরতা ও তত বৃদ্ধি পেতে থাকে শারীরিক অপেক্ষা মানসিক বেশি কারণ এ রোগীর সকল রোগে সব সময় দুর্বলতা প্রথম হইতে প্রকাশ পায় এবং ভীষণভাবে প্রকাশ পায়, তার আত্মীয়স্বজনকে কাছে ডাকিয়া তাহার শেষ অনুরোধ নিবেদন করতে থাকে,ডাক্তারকে ক্ষণে ক্ষণে জিজ্ঞাসা করিতে থাকে তাহার কি অবস্থা,এই বুঝি তাহার জীবনের শেষ নিশ্চয়ই সে এখনই মারা যাবে। মাঝে মাঝে হাত পা নাড়াতে থাকে পার্শ্ব পরিবর্তন করিতে থাকে মৃত্যুভয় বা মানসিক অস্থিরতাই বর্তমান থাকে।শিশুরা কোলে চড়িয়া বেড়াইতে চায় মায়ের কোল হইতে বাপের করলে এভাবে পরিবর্তন করতে থাকে । দুর্বলতার সহিত অস্থিরতা উদ্বেগ-আশঙ্কা মৃত্যুভয় আর্সেনিকের বিশিষ্ট পরিচয়।
২.মধ্যদিবা বা মধ্যরাএে বৃদ্ধি কিংবা মধ্য দিবা এবং মধ্য রাএে বৃদ্ধি। মানসিক অবস্থা, উদ্বেগ, আশঙ্কা,মৃত্যুভয় সবই প্রায় মধ্যরাতে বৃদ্ধি পায় মধ্য দিবা অর্থাৎ বেলা১ টা থেকে ২ টার মধ্যে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পাইবে বা তাহা যখনই প্রকাশ পাক না কেন মধ্যরাত্রে তাহা বৃদ্ধি পাবে যদি রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন হইয়া পড়ে, রোগীর বুকের ভিতর কি-রকম করিতে থাকে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হইবার উপক্রম হয়, চক্ষু দুটি অশ্রুসিক্ত হইয়া পড়ে,বক্তব্য দিতে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে তাহলে তাৎক্ষণিক আর্সেনিক কে স্মরণ করিবেন।
৩.প্রবল পিপাসা সও্বেও ক্ষনে ক্ষনে স্বল্প জলপান এবং জলপান মাএই বমি।আর্সেনিকের পিপাসা অত্যন্ত প্রবল সে মনে করে এক কলসি জল সে খাইয়া ফেলিবে কিন্তু জল তার মুখে পড়িতে না পড়িতেই তৃষ্ণা মিটিয়া যায় পরক্ষনে কিন্তু তাহার পিপাসা পুনরায় ফিরে আসে এবং অতি প্রচন্ডভাবে ফিরে আসে রোগী পুনরায় মনে করে সে এক কলসি জল খেয়ে ফেলবে কিন্তু এক চামচ জল খাইতে চায় না খাইতেই পিপাসা মিটে যায়। অবশ্য এই সঙ্গে মনে রাখতে হবে ঠান্ডা জল তাহার সহ্য হয়না বমি হইয়া উঠে যায় যদিও ঠান্ডা জল খাইতে ভালবাসে।পুরাতন রোগে আর্সেনিক প্রায়ই তৃষ্ণাহীন।
৪.জ্বালা ও দুর্গন্ধ।আর্সেনিকের সর্বএই জ্বালা বিশেষত প্রদাহ যুক্ত স্থানে এত জ্বালা করিতে থাকে যে রোগীর কাছে তাহা জ্বলন্ত অঙ্গারের মত মনে হয়।প্রদাহযুক্ত স্থানে সে গরম প্রলেপ বা সেক দিতে পছন্দ করে এবংপ্রদাহযুক্ত স্থান যত বেশি জ্বালা করিতে থাকে তত বেশি গরম প্রয়োগ সে পছন্দ করে।এই জ্বালাবোধের কারণে রোগী সব সময় অনাবৃত হইতে চায় কিন্তু তাহাতে আবার শীতবোধও হইতে থাকে।
৫.আর্সেনিকের দুর্গন্ধ ও যথেষ্ট, অতি ভীষন দুর্গন্ধ, মলমূএ,শ্বাস প্রশ্বাস সবই দুর্গন্ধযুক্ত।স্রাব অত্যন্ত ক্ষতকর, দুর্গন্ধযুক্ত, যেখান হইতে যে কোন স্রাব দেখা দিক না কেন তাহাতে স্থানটি হাজিয়া যায়।
৬.আর্সেনিক অত্যন্ত শীতকাতর হয়,কেবলমাএ শ্বাসকষ্টের সময় সর্বাঙ্গ আবৃত করিয়া মুক্ত বাতায়ন পথে বসিয়া থাকে।মাথার যন্ত্রণাতেও স্থান বিশেষে ঠান্ডা প্রলেপ ভালবাসে,বিশেষত মস্তিষ্ক প্রদাহে।কুকুর কুন্ডলী হয়ে শুয়ে থাকে।
৭.আর্সেনিকে পর্যায়ক্রমে মাথাব্যাথা এবং গেঁটে বাত উওাপে উপশম হয় এবং তিনিই হোমিওপ্যাথির প্রকৃত পুজারী তিনিই আমাদের প্রনম্য।
৮.আর্সেনিক অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, খুঁতখুঁতে স্বভাব,পরছিদ্রান্বেষী।যত কঠিন রোগেই সে শয্যাশায়ী হইয়া থাকুক না কেন ময়লা বিছানা সে পছন্দ করে না,ঘরের কেন স্থানে সে ময়লা দেখিতে চায় না,এমনকি দেওয়ালের ছবিগুলি যদি ঠিক যথাযথভাবে সাজানো না থাকে তাহা হইলেও সে বিরক্ত হয়।রাস্তায় চলার সময় পায়ে কাঁদা লাগলে যতক্ষণ না তা ধুইয়া মুছিয়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারে ততক্ষণ মহা অশান্তি ভোগ করতে থাকে।
৯. আর্সেনিকের মানসিক লক্ষনে দেখা যায় তরুণ রোগে সে মৃত্যু ভয়ে অত্যন্ত কাতর হইয়া পড়ে উদ্বেগ ও আশঙ্কায় ক্রমাগত ছটফট করিতে থাকে, আত্মীয় পরিজনকে কাছে বসিতে বলে,ঔষধ খাইতে চায় না,রোগী মনে করে তার মৃত্যু অনিবার্য, বার বার ডাক্তার পরিবর্তন করা,রোগী আরও ভাবে সে খুন করিয়াছে পুলিশ তাকে ধরিয়া নিবে।
১০.ঠান্ডা বরফ ফলমূল প্রভৃতি খেয়ে পেটের গোলমাল হয়।পঁচা মাছ মাংস দূষিত বাষ্প বিষাক্ত জীবানু কীটপতঙ্গের কামড়ের ফলে অসুস্থতা।
১১. আর্সেনিক এল্বাম সোরা সিফিলিস সাইকোসিস মায়াজমের অন্তর্ভুক্ত।
সংগৃহীত : জার্মানি হোমিও শিক্ষালয়।
পোস্ট:
ডাক্তার সাইফুল ইসলাম শাহীন
বেনাপোল যশোর।।

এসিড ফ্লোরের রোগীর চিত্র
☆ কামচিন্তায় ব‍্যাস্ত।
☆ সকল স্রাব ক্ষতকর ও দূর্গন্ধময়।
☆ গরম কাতরতা।
☆ প্রস্রাব রোধে মাথায় ব‍্যথা।
☆ মাথার মাঝখানে টাক ইত্যাদি।
এভাবেই সকল রেমেডির মূল চিত্র হৃদয়ে ধারণ করুন।

হোমিওপ্যাথিতে চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য আলাদা কোন শর্টকাট রাস্তা নাই। রোগের নাম নয় বরং রোগের লক্ষণ এবং রোগের কারণ অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই আরোগ্যের আশা করতে পারেন। হ্যাঁ, যে-কোন হোমিও ঔষধেই যে-কোন চর্মরোগ নিরাময় করা সম্ভব যদি সেই ঔষধের সাথে রোগটির লক্ষণ মিলে যায়। তারপরও নীচে কয়েকটি হোমিও ঔষধের ব্যবহার বর্ণনা করা হলো।

: একটু মারাত্মক ভয়ঙ্কর ধরনের অধিকাংশ চর্মরোগের একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে কোন চর্মরোগ দেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি উচ্চ শক্তিতে এক মাত্রা দিবেন। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই সপ্তাহে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খুজা নেওয়া উচিৎ।

: যে-কোন চর্মরোগের সাথে যদি অস্থিরতা, জ্বালাপোড়া, পেটের অসুখ, রাতের বেলা বৃদ্ধি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে আর্সেনিক দিবেন।

: ক্যালি সালফ খুসকির মতো চামড়া ওঠা জাতীয় রোগের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। ক্যালি সালফের আরেকটি প্রধান লক্ষণ হলো হলুদ রঙ। যদি পূঁজের রঙ, প্রস্রাবের রঙ অথবা কফের রঙ হলুদ হয়, তবে যে-কোন রোগে ক্যালি সালফ প্রয়োগে ভাল ফল পাবেন।

: তলপেটে বল বা চাকার মতো কিছু একটা আছে মনে হয়, রোগী তলপেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে এই ভয়ে দুই পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে, সর্বদা শীতে কাঁপতে থাকে, দুধ সহ্য হয় না, ঘনঘন গর্ভপাত হয়, স্বামী-সন্তান-চাকরি-বাকরির প্রতি আকর্ষণ কমে যায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে যে-কোন চর্মরোগে সিপিয়া দতে পারেন।

: চর্মরোগের একটি সেরা ঔষধ হলো সালফার যদি তাতে অত্যধিক চুলকানী এবং জ্বালাপোড়া থাকে। এই কারণে রোগীর মধ্যে অন্য কোন ঔষধের লক্ষণ না থাকলে অবশ্যই তার চিকিৎসা প্রথমে সালফার দিয়ে শুরু করা উচিৎ। যাদের চর্মরোগ বেশী বেশী হয়, তাঁদেরকে প্রথমে অবশ্যই দুয়েক মাত্রা সালফার খাওয়াতেই হবে এবং সালফার তাঁর ভেতর থেকে সকল চর্মরোগ বের করে আনবে। পক্ষান্তরে যাদের চর্মরোগ বেশী বেশী হয় এবং শীতকাতর তাঁদেরকে প্রথমে খাওয়াতে হবে সোরিনাম (Psorinum)। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, হাতের তালু-পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই, রোগ বিছানার গরমে বৃদ্ধি পায়, ছেড়া-নোংরা তেনা দেখেও আনন্দিত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

: মেজেরিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মাথার থেকে মোটা মোটা চামড়ার মতো চলটা উঠতে থাকে, এগুলোর নীচে আবার পূঁজ জমে থাকে, চুল আঠা দিয়ে জট লেগে থাকে, পূঁজ থেকে এক সময় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে, চুলকানীর জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় ইত্যাদি।

: গ্র্যাফাইটিসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার চর্মরোগ সারিয়ে দেবে।

‍ : হিপার সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এরা সাংঘাতিক সেনসেটিভ (over-sensitiveness), এতই সেনসেটিভ যে রোগাক্রান্ত স্থানে সামান্য স্পর্শও সহ্য করতে পারে না, এমনকি কাপড়ের স্পর্শও না। কেবল মানুষের বা কাপড়ের স্পর্শ নয়, এমনকি ঠান্ডা বাতাসের স্পর্শও সহ্য করতে পারে না। সাথে সাথে শব্দ (গোলমাল) এবং গন্ধও সহ্য করতে পারে না। হিপারের শুধু শরীরই সেনসেটিভ নয়, সাথে সাথে মনও সেনসেটিভ। অর্থাৎ মেজাজ খুবই খিটখিটে। কাটা-ছেড়া-পোড়া ইত্যাদি ঘা/ক্ষত শুকাতে হিপার বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে মনে রাখতে হবে যে, হিপারের পূঁজ হয় পাতলা। যেখানে আঠালো পূঁজ বা কষ বের হয়, সেখানে হিপারের বদলে ক্যালি বাইক্রোম (Kali bichromicum) ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত ফোঁড়া পাকাতে নিম্নশক্তি এবং ফোঁড়া সারাতে উচ্চশক্তি ব্যবহার করতে হয়।

: মুখ সাদাটে এবং ফোলা ফোলা, বেশী বেশী লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খায়, কথা শিখতে বা পড়াশোনা শিখতে দেরী হয়, ঋতুস্রাবে রক্তক্ষরণ হয় খুবই অল্প, পা মোটা কিন্তু ঘাড় চিকন, মানসিক আঘাত পাওয়ার পর কোন চর্মরোগ হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে যে-কোন চর্মরোগে নেট্রাম মিউর খেতে পারেন।

: ক্রোটন টিগ চর্মরোগের একটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো চর্মরোগে প্রচুর চুলকানি থাকে কিন্তু জোরে চুলকানো রোগী সহ্য করতে পারে না। কেননা তাতে আরাম না বরং সাংঘাতিক ব্যথা পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে হালকা ভাবে চুলকালে অথবা মালিশ করলে রোগী আরাম পায়।

: রাস টক্সের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড অস্থিরতা, রোগী এতই অস্থিরতায় ভোগে যে এক পজিশনে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে পারে না, রোগীর শীতভাব এমন বেশী যে তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতেছে, নড়াচড়া করলে (অথবা শরীর টিপে দিলে) তার ভালো লাগে অর্থাৎ রোগের কষ্ট কমে যায়।

((পোস্টটা নবীন ডাক্তারদের জন্য লিখিত সুতরাং যাদের অর্গানন অব মেডিসিন, রোগীলিপি, রেপার্টরী,শক্তি মাত্রা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই দয়া করে তাঁরা মেডিসিনের নাম জেনেই নিজে নিজে সেবন করতে যাবেন না এতে হিতে বিপরীত হবে।))

পোস্ট:
ডাক্তার সাইফুল ইসলাম (শাহীন)