Dr.Tarik Mahmud Abir

নতুন বছরের শুরুটাই যদি হয় গান বাজনা দিয়ে। তাহলে সারা বছর আল্লাহর রহমত আসবে কোত্থেকে ?

সাবধান!

বাঙ্গালীদের দু’টো রোগঃ
১। ব্যর্থদেরকে নিয়ে মজা করা।
২। সফলদেরকে হিংসা করা।

কষ্ট হলেও নিজের পা'য়ে দাঁড়াতে শিখুন। কারণ একটা সময় পর মানুষ আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে।

কথায় কথায় অর্থ-সম্পদ কিংবা ক্ষমতার প্রভাব বোঝানোর চেষ্টা করাটা একপ্রকার ছোটলোকি।

কোন কিছু পাওয়ার জন্য জোর জবরদস্তি করে লাভ নাই। আপনি ততটুকুই পাবেন যতটুকু আল্লাহ আপনার জন্য বরাদ্দ রেখেছেন।

মাঝে মাঝে খারাপ সময়, জীবনের সেরা সময়ের পথ তৈরি করে দেয় !

কাউকে কখনো ছোট ভাবতে নেই। কারণ ৫ টাকা দামের কলমও কিন্তু ৫ কোটি টাকার চেক লিখতে লাগে।

লক্ষ্যে পৌছানো না পর্যন্ত আগে থেকে কোনকিছু কাউকে বলতে নেই মানুষের নজর লেগে যায়!🖤

সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা করতে করতে নিজের জীবন থেকেই খুশি কবে চলে যাবে বুঝতেই পারবেন না !

আপনি আমি যেভাবে বসবাস করছি সেটা অনেকের কাছে স্বপ্ন। তাই হতাশ না হয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া আদায় করুন।

চুপ থাকতে শিখে গেলে আপনার অর্ধেক শত্রু কমে যাবে।

মানুষ না জমিয়ে আগে টাকা জমান। দেখবেন টাকা জমানো থাকলে মানুষ এমনিতেই জমবে।

যে মানুষটি খারাপ আপনি তার কাছে খারাপই। আর যে মানুষটি ভালো আপনি তার কাছে ভালোই। মোটকথা যার মানসিকতা যেমন আপনি তার কাছে তেমন...

মনের কথা একদম।

শুধু আল্লাহর কাছে সঠিক থাকুন। মানুষের কাছে নিজেকে বারবার প্রমান করার কোনো প্রয়োজন নেই।

হঠাৎ দাম বেড়ে গেলে এড়িয়ে চলুন। হোক তা পিঁয়াজ অথবা মানুষ। দেখবেন পঁচে গলে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে।

আপনার সমালোচনা তারাই করে, যাদের চোখে আপনি সফল।

আপনি যত বেশি দায়িত্ব পালন করবেন তত বেশি সমালোচনার শিকার হবেন।

যদি মানুষের সাথে সম্পর্ক অল্প সময়ের জন্য রাখতে চান তবে মিষ্টভাষী হোন। আর সারাজীবন রাখতে চাইলে স্পষ্টভাষী হোন।

স্বার্থপর এবং লোভীরা কোন আপন পর চিনে না !

আলহামদুলিল্লাহ।
যারা ভালো কিছু করার চেষ্টা করে, আল্লাহ্ তাদের কাউকেই নিরাশ করেন না।

আলহামদুলিল্লাহ। রমজানের ইফতারকে ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিলো ইউনেসকো !

আপনার রিযিক আল্লাহ কোথায় রেখেছেন এবং কখন কার দরজায় আপনাকে দাঁড়াতে হবে সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। অতএব কোনো মানুষের সাথেই অমানুষের মতো আচরণ করা উচিত নয়।

মৃত্যুর আগে শুধু টাকা পয়সা আর সম্পত্তি অর্জনই সব নয়। মানুষের দোয়া এবং ভালোবাসা অর্জন করতে পারাটাই মুখ্য বিষয়।

কয়েক বছর পর হলেও আপনি ঠিকই প্রমাণ পাবেন, আল্লাহ যা আপনাকে দেয়নি সেটা আপনার জন্য কখনোই কল্যাণকর ছিলো না।
আলহামদুলিল্লাহ ♥️

কোন সরল মানুষকে যদি দেখেন হঠাৎ করেই চালাক হয়ে গেছে। তবে বুঝবেন জীবনে তাকে অনেক ঠকানো হয়েছে !

সু্যোগ পাওয়ার জন্য সবাই ই কঠোর পরিশ্রম করে,কিন্তু সুযোগ পাওয়ার পর কতজন সেই পরিশ্রমটা করে????? যারা সুযোগ পাওয়ার পরেও কষ্ট করে যায়,তারাই প্রকৃত সাফল্য পায়।

আপনি কোন দিকে???

যার নামে হুদাই বদনাম করছেন, দেখেন গিয়ে তার টাইমই নাই এগুলো শোনার।

বিপদে টাকা চেয়েছেন কারো কাছে, সাথে সাথেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে! তার মানে এই নয় যে সে আপনার জন্য টাকা নিয়ে বসে ছিলো। বাসে আপনার ভাড়াটা পরিচিত কেউ দিয়ে দিয়েছে, মানে এই নয় যে তার মানিব্যাগ ভর্তি টাকা আছে! কেউ আপনার খাবারের বিল আগে দিয়ে দিয়েছে, মানে এই নয় যে তার কাছে টাকার পাহাড় আছে! তার টাকার পাহাড় নেই কিন্তু পাহাড়ের চেয়েও উঁচু একটা মন আছে ভালো থাকুক ভালো মনের মানুষগুলো!🖤

স্কুলজীবন শেষ হবার বহু বছর পরেও যখন আপনি স্কুলের সামনে দিয়ে যাবেন, দেখবেন আপনা আপনিই আপনার গতি কমে যাবে আর চোখ দু’টো স্কুলের দিকে চলে যাবে !

রেললাইনে কাটা পড়ে মারা গেলেন তৈমুর। রেল পুলিশ বললো, তৈমুরের কানে হেডফোন ছিল। তারা শুনেছে প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে।

অমনি ছড়িয়ে গেল তৈমুর মারা গেছেন কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইন পার হতে গিয়ে। এরপর আমরা অনেকেই তৈমুরকে দোষারোপ করতে লাগলাম। কেন তুই কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইন পার হবি? আমরা মৃত তৈমুরের প্রতি শোক অনুভব করলাম না, অসতর্ক তৈমুরকে দোষারোপ করলাম। স্বাভাবিক।

কিন্ত তৈমুরের স্ত্রী সেটা মানতে নারাজ। একে স্বামীর মৃত্যুর শোক, অন্যদিকে এমন অভিযোগ যেটা বিশ্বাসযোগ্য না। কেননা তিনি হেডফোনে স্বামীকে কখনো গানই শুনতে দেখেন না।

শেষে স্ত্রী মাসনুনার চেষ্টায় জানা গেল, এক নারীকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন তৈমুর। ওই নারী বাঁচলেও বিপরীত দিক থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আরেকটি আসা ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে মারা যান তৈমুর।

ক্ষিলখেত রেল ক্রসিংয়ের আশেপাশের সকলেই দেখেছে এই দৃশ্য।

একজনকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন যুবক, এমন সত্য আড়াল হয়ে যাওয়া উচিত নয়।

প্রায়ই কঠিন সময়ে কাউকে পাশে পাওয়া যায় না কেন জানেন? কারণ আল্লাহ বুঝাতে চান যে ‘তোমার জন্য কেবল এবং কেবলমাত্র আমিই আছি। আর কেউ না।’