Imran Hossain Rakib
��
চেষ্টার কমতি ছিলোনা,
তবে যোগ্যতা অজর্ন করতে পারিনি...!
দেখা যদি পায় সফলতার
তবে গল্প শোনাবো ব্যার্থতার...!
কিছু বছর আগে আমার জীবনেও একজন খুব ভালো বন্ধু এসেছিল, যার সাথে আমি নিজেকে কমফোর্ট ফিল করতাম। যার সাথে আমি নিজেকে নিজের সত্ত্বায় ফিরে পেতাম, যার কাছে মন খুলে আমার সমস্ত মন খারাপ, কান্না, গোপন কথা সব কিছুই অনায়াসে বলতে পারতাম। যার কাছে কোনোদিন কোনোভাবে বাইরের লোকের মত জাজ হবার ভয়ই উদ্রেক হয়নি।
এভাবেই চলছিল আমাদের বন্ধুত্ব অনেকটা বছর ধরে। ধীরে ধীরে আমি তার মায়ায় জড়িয়ে পড়তে লাগলাম।
সে বলেছিল, সারাটা জীবন তার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই থাকব।
তবুও যেন আমাদের বন্ধুত্বে কিসের এক গ্রহণ লাগলো। হঠাৎ করে সে আমায় অ্যাভয়েড করতে শুরু করল। ধীরে ধীরে তার ম্যাসেজ, কল আসা কমতে থাকল। আমার পাঠানো ম্যাসেজ সিন হয়েও উইথ আউট রিপ্লাই হয়ে রইল। তারপর এক সময় এল, যখন আমার পাঠানো কোনো ম্যাসেজে আর ব্লু টিক পড়ল না।
কেউ কথা রাখে না, আসলে কেউ কথা রাখতেই চায় না।
এভাবেই ধীরে ধীরে তার আর আমার সেই মধুর দিনগুলি কালের অতলে হারিয়ে গেল।
এটা নয় যে, আমি তাকে এখনও মিস করি না। আজও তাকে খুব মিস করি। তার প্রোফাইল চেক করি মাঝে মাঝে, দেখতে থাকি তার পোস্ট, স্টোরি। হঠাৎ একদিন দেখতে পাই, সে তার জীবন থেকে আমাকে পুরোপুরি ভুলিয়ে দিয়েছে তার বাকী শেষ কাজটুকু ফেসবুক অনফ্রেন্ড করে। কখনও কখনও মনে হয় আবার সেই অ্যাড ফ্রেন্ড অপশনটিতে টুক করে ক্লিক করে দেই, কিন্তু আবার নিজেকে সামলে সেখান থেকে হাতটা সরিয়ে আনি।
এভাবেই তাকে আমার স্মৃতিতে রেখে গুটিয়ে নিচ্ছি নিজেকে তার থেকে। এভাবেই ধীরে ধীরে নিজেকে আবার মুভঅন করাচ্ছি। নিজেকে এক অদৃশ্য সীমার পরিধিতে বেঁধে নিচ্ছি, যাতে আর কোনোদিনও কারোর মায়ায় আটকা না পড়ি, যখন জানিই সে চলেই যাবে একদিন।
এভাবেই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছি নিজেকে ভালোবেসে নিজেই নিজের প্রিয় মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।
কিছু মানুষ আছে, যাদের সাথে ভদ্র ভাবে কথা বললে, ভদ্র আচরণ করলে আমাদেরকে দুর্বল ভেবে বসে।
আসলে ওরা জানে না যে, ওটা আমাদের দুর্বলতা নয়, আমাদের বাবা মায়ের দেওয়া ভালো সংস্কার, যার জন্য তার করা এত খারাপ ব্যবহারের পরেও আমরা তাদের সাথে আছি, তাদের সাথে ভালো আচরণ করছি, মিষ্টি ভাষায় কথা বলছি।
কিন্তু ওই যে একট প্রবাদ আছে না, "লাতো কা ভূত বাতো মে নেহি মানতা।"
ঠিক তাই, ওইসব লোকেদের সাথে ঠিক তাদের মতোই আচরণ করার দরকার।
মাঝে মাঝে খারাপ লোককে শায়েস্তা করতে খারাপ হতে হয়।
এ ক্ষেত্রে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের একটা কথা মনে পড়ছে - অধর্মীর বিনাশ করতে যদি অধর্মের সাহায্য নেওয়া হয়, তবে সেটা অধর্ম নয়।
ঠিক তাই, কাঁটা তুলতে কাঁটার প্রয়োজন হয়।
তাই জীবনে সবসময় ভালো মানুষ হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই।
যে ভালো তার সাথে ভালো হয়ে থাক, আর যে খারাপ তার সাথে প্রথমে ভালো আচরণ কর, তার ভুলটা তাকে তার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দাও এবং তারপর তাকে শুধরানোর সুযোগ দাও।
আমার মতে কোনো মানুষকে সর্বাধিক ৩ বার সুযোগ দেওয়া উচিত।
কারণ প্রথমবার সে ভুলটা বোঝে কিন্তু স্বীকার করতে চায় না।
দ্বিতীয়বার সেটা অনুধাবন করে, আর তৃতীয়বার সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করে।
ওই তিনবারে ও যদি মানুষটা পরিবর্তিত না হয় তবে তাকে তার ভাষাতেই শেখাও।
তারপর যদি সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতাপ করে তো ভালো নইলে তাকে তোমার জীবন থেকে পুরোপুরি ডিলিট করে দাও।
এবার নিজেকে সময় দেবার পালা। নিজের জন্য ভাব, নিজের ইচ্ছা পূরণ করার পালা। মনে কোনো দ্বিধা না রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাও।
এবার নিজেকে চেনো। নিজের অন্তরাত্মার আওয়াজ কে চেনো।
যখন তুমি নিজেকে পুরোপুরি রূপে চিনতে পারবে, তখন তুমি গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য জানতে পারবে।
কারণ আমাদের মধ্যেই, আমাদের এই সামান্য শরীর - আত্মার মধ্যেই গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য লুকিয়ে আছে।
শুধু তোমার চিনে নেবার অপেক্ষা।
আর নিজে নিজেকে চিনলে, নিজেকে ভালোবাসতে পারলে, নিজেই নিজের বন্ধু হয়ে ওঠলে, কাউকে আর পাশে লাগে না।
মূল কথা হল, কখনও নিজের জীবনের কন্ট্রোল অন্য কারোর হাতে দিও না, যে নিজের ইচ্ছেমত তোমাকে ব্যবহার করে শেষে ডাস্টবিনে নোংরা ময়লার মত ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
আমরা মধ্যবিত্ত ভাই,
তাই আমাদের প্যাশন, ইচ্ছা, স্বপ্ন বলে কিছু থাকতে নেই।
এই প্যাশনের পিছনে ছুটতে ছুটতে যখন পকেট খালি হয়ে যায়,
বাসের ভাড়া দেবার ভয়ে ভিড়ের মধ্যে লুকিয়ে বাস থেকে নেমে যেতে হয়,
বাড়িতে ফিরে বাবার ডাক্তারের ফিস, মায়ের ওষুধ, ভাই বোনের টিউশন ফিস দেবার জন্য নিজের প্রিয় লক্ষিভার টা ভাঙতে হয়,
তখন মনে হয়, বোধ হয় ডিসিশন টা ভুল নিয়ে ফেলেছিলাম।
তাই তো বুকের কলিজা থেকে প্যাসন টাকে নিংড়ে ফেলে দশটা পাঁচটার গাধার খাটুনি, বসের খিচুনি, ওভার ডিউটি এসবের দিকে ছুটে যেতে হয়।
আসলে দায়িত্বের বোঝাটা ঘাড়ে পড়লে, প্যাশন টাকে যে নুইয়ে পড়তেই হয়।
আমরা মধ্যবিত্ত যে কিনা .....
এই যে আমরা আমাদের আশে পাশের মানুষ কে পছন্দ করি। হঠাৎ করে কাউকে দেখে, কারোর সাথে কথা বলে তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি, তাদেরকে বিশেষ ভাবে পছন্দ করে ফেলি। এই পছন্দ টা কি এমনি এমনি করি নাকি কোনো বিশেষ কারণ আছে।
শুনলে অবাক হবেন, মানব চরিত্রের ওপর বৈজ্ঞানিক দের করা ভিন্ন ভিন্ন গবেষণায় ওনারা এটাই পেয়েছেন যে, আমরা মূলত তিনটি কারণে আশে পাশের মানুষকে পছন্দ করি।
হ্যাঁ ঠিক পড়েছেন, মূলত তিনটি কারণ।
প্রথম কারণ টা জানলে হয়তো হাসি পেতে পারে।
প্রথম কারণ টা হল:
আমরা আমাদের আশে পাশের মানুষদের পছন্দ করি কারণ তারা আকর্ষণীয় বলে। দেখতে ভালো, আকর্ষণীয় চেহারা, সুন্দর বদন, রূপ এসবের কারণে তাদের কে খুব পছন্দ করে ফেলি।
এবার দ্বিতীয় কারণ টা হল:
কোনো ব্যক্তির সাথে আমাদের ভাবনা, আদর্শের মিল হলে, আমরা তাকে পছন্দ করে ফেলি। হতে পারে হয়তো ও অতটা দেখতে ভালো নয়, মানানসই। কিন্তু তার ভাবনার সাথে আমাদের নিজস্ব ভাবনার অনেক মিল আছে। তার কথা, তার গুণ, চরিত্র এসব দেখে আমরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যাই।
এবার অবশেষে তৃতীয় কারণ টি হল:
আমরা আমাদের পাশের ব্যক্তিটিকে পছন্দ করি, কারণ ওই ব্যাক্তিটি আমাদের কে পছন্দ করে বলে। ওই ব্যাক্তি টি আমাদের কেয়ার করে, সময়ে অসময়ে খোঁজ নেয়, আমাদের সাথে মিষ্টি ব্যবহার করে, কোনো সমস্যায় পড়লে তার সমাধানের জন্য এগিয়ে আসে। তাই আমরা তাকে খুব সহজেই পছন্দ করে ফেলি।
এখন আপনি বলুন, আপনি আপনার পাশের মানুষ টিকে ঠিক কি কারণে পছন্দ করেন???
যে গজল শুনলে কান্না আসে ।
এই পৃথিবীতে কেউ কারো আপন নয়।
স্বার্থ যেখানে আছে সবাই সেখানে ছুটে যায়।
কেউ স্বার্থের জন্য কিছু সময় আপন হয়।
স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে কেউ কারো নয়।
এটাই বুঝি বাস্তবতা।।।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Bhola
Bhola
কখনো দুঃখ কখনো আনন্দ এই দুঃখ আর আনন্দ কে একসাথে নিয়ে ই তো চিরদিন ছুটে চলছে এ জীবন
Bhola
HLW GYS ITS SK FOR YOUR ENTENTENES AN I HOP YOU ALL GYS KEEP SAPORT ME IN MY PAGE I SWER A GOOD
Bhola, 12233
সবাইকে ধন্যবাদ- (৪০০ ফলো পূর্ণ)- দোয়া রইল অনেক অনেক ভালোবাসার জন্য।।। লাভ 🥀🥀🎉
Bhola, 8330
Here you will find all types of shorts movies,and videos like Top 10 Facts,& respect video,