Md Ruman Mahmud

MD Ruman Mahmud 󱢏ㅤ

দেশ প্রেমিক- উন্নত দেশ গড়তে ইন্জিনিয়ার,
Bd-tjprotidin.com উন্নয়ন ও সত্য চিত্র

11/10/2023

#বিশ্ব #বাংলাদেশ #বিভাগ #জেলা #উপজেলা #গ্রাম #শহর #জণগন #সরকার

11/10/2023

#বিশ্ব #বাংলাদেশ #বিভাগ #জেলা #উপজেলা #গ্রাম #শহর #জণগন #সরকার

10/10/2023

ন্যায়ের পক্ষে শক্তি রেখে যারা চলে তারা কখনো হারে না

07/10/2023

সবার জিবনের গল্প আছে কিন্তু আমার জিবনের গল্প দুইটি, ২য় সৃতি কস্ট দিলেও ১ম সৃতি কাদাঁয়

06/10/2023

আমার নিকট আত্নীয় বোন জামাইয়ের পিতা খাতেম প্রাং ০৬/১০/২০২৩ ফজর নামাজের শেষে ঢাকায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন।
আল্লাহ তায়ালা তাহার সকল ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং তাহাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুক।
আমিন 🤲 সকলের নিকট ক্ষমা ও দোয়ার আবেদন রইলো।

#আল্লাহ

06/10/2023

জুম্মা মোবারক

05/10/2023

#জেলা #বাংলাদেশ #বিভাগ #উপজেলা #পৌরসভা #ইউনিয়ন #ওয়ার্ড

28/09/2023

শুভেচ্ছা ও আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
#বিশ্ব #বাংলাদেশ #বিভাগ #জেলা #উপজেলা #গ্রাম #শহর #জণগন #সরকার #ভোজ্যপন্য #ঢেউটিন

28/09/2023

শুভেচ্ছা ও দোয়া কামনা রইলো,
#বিশ্ব #বাংলাদেশ #বিভাগ #জেলা #উপজেলা #গ্রাম #শহর #জণগন #সরকার

28/09/2023

দেশের সংকট সময়েও বিলিয়ন ডলার ক্লাবে এখন আট শিল্প গ্রুপ, ইনশাআল্লাহ
এমজিআই, সিটি গ্রুপ আবুল খায়ের, প্রান গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, টি.কে. গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ। Congratulations…….TK group. সহ সকল গ্রুপকে। ইনশাআল্লাহ সব সময় প্রচেষ্টা করতে হবে সফলতার জন্য, সকলকেই প্রচেষ্টা করতে হবে উন্নয়ন ও উন্নতির জন্য, প্রতিবার চেষ্টায় সফলতা তো একবার বা বারংবার আসবেই ইনশাআল্লাহ ।
#বিশ্ব #বাংলাদেশ #বিভাগ #জেলা #উপজেলা #গ্রাম #শহর #জণগন #সরকার #ভোজ্যপন্য #ঢেউটিন

26/09/2023

রাতে ঘুমানোর আগে আমলঃ
১. সূরা ফাতেহা ৪ বার, ৪ হাজার দিনার দানের সওয়াব
২৷ সূরা এখলাস ৩ বার, ১ কুরআন খতমের সওয়াব
৩. দরুদ শরিফ ৩ বার, বেহেশতে ১ টি আল্লাহ ঘর তৈরী করার সওয়াব
৪. সুবহান আল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়া লাগাওলা ওয়ালা কুআতা ইল্লাবিল্লাহ হিল আলিয়িন আজিন - ৪ বার, ১ হজ্জের সওয়াব
৫. আসতাগফিরুল্লাহ ১০ বার, ১ জন কৃত দাস মুক্ত করার সওয়াব

ইসলামের ১ম রুকুন ৪ টি কালেমা পাঠ করা।

Md Ruman Mahmud

#দান #কুরআন #জান্নাত #হজ্জ #দাস #কালেমা #নামাজ #বাংলাদেশ #জেলা #উপজেলা

25/09/2023

একযোগে চাকরিতে নিয়োগ পেল
প্রায় ৩১ হাজার জন

নন-ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছে- ৩৬৫৭ জন
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছে- ২৭০৭৪ জন

চাকরি পেতে দিতে হয়নি কোন ঘুষ। মেধাই তাদের যোগ্যতা।

#চাকরি #নিয়োগ #ক্যাডার ্যাডার #বাংলাদেশ
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
যতদিন শেখহাসিনার হাতে রবে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

#বিশ্ব #বাংলাদেশ #বিভাগ #জেলা #উপজেলা #ইউনিয়ন #পৌরসভা #গ্রাম #শহর #জনগণ #দেশ #বিদেশ

18/09/2023
16/09/2023

পবিত্র কোরআন থেকে ৪০টি উপদেশবাণী
---------------------------------------------
-১.কঠোর ভাষায় কথা বলনা (৩:১৫৯)
২.রাগ দমন কর (৩:১৩৪)
৩.অন্যের সাথে ভাল আচরণ কর (৪:৩৬)
৪.নিষ্ঠুর হইও না (৭:১৩)
৫.অন্যের ভুলকে ক্ষমা কর (৭:১৯৯)
৬.মানুষের সাথে নম্র ভাষায় কথা বল (২০:৪৪)
৭.আস্তে শব্দ কর (৩১:১৯)
৮.অন্যকে বিপদ গ্রস্ত করোনা (৪৯:১১)
৯.পিতা মাতার উপর দায়ীত্ববান হও (১৭:২৩)
১০.পিতা মাতার সাথে উফ শব্দটাও বলনা
(১৭:২৩)
১১.না বলে পিতা মাতার ঘরে প্রবেশ করনা
(২৪:৫৮)
১২.বকেয়া লিখে রাখ (২:২৮২)
১৩.কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করনা (২:১৭০)
১৪.ঋন ফিরিয়ে দেওয়ার আরো সুযোগ দিতে
হবে
(২:২৮০)
১৫.সুদ নিও না (২:২৭৫)
১৬.ঘুষ খেয়ো না (২:১৮৮)
১৭.শর্ত ভাঙিয়ো না (২:১৭৭)
১৮.বিশ্বাস বজায় রাখো (২:২৮৩)
১৯.সত্যকে মিথ্যার সাথে মিলিয় না (২:৪২)
২০.মানুষের মাঝে সঠিক বিচার কর। (৪:৫৮)
২১.সুবিচারে কঠোর অবস্থান রাখো (৪:১৩৫)
২২.মৃত ব্যাক্তির সম্পদ তার পরিবারে সঠিক
ভাবে
ভাগ করে দেও (৪:৭)
২৩.নারীদেরও উত্তরোধিকার হওয়ার নিয়ম
আছে (৪:৭)
২৪.এতিমের সম্পত্তি গ্রাস করোনা (৪:১০)
২৫.এতিমকে রক্ষা করো (২:২২০)
২৬.অন্যের সম্পদ কৌশলে গ্রাস করোনা (৪:২৯)
২৭.মানুষের মধ্য বিবাদ মিমাংসা কর (৪৯:৯)
২৮.সন্দেহ এড়িয়ে চল (৪৯:১২)
২৯.পিছে কান পেত না (২:২৮৩)
৩০.সাহায্যার্থে সম্পদ ব্যয় কর (৫৭:৭)
৩১.গরীবকে খাওয়াতে উৎসাহ প্রদান কর (১০৭:৩)
৩২.প্রয়োজনে সাহায্য করো (২:২৭৩)
৩৩.অপচয় করোনা (১৭:২৯)
৩৪.অথিতি আপ্পায়ন কর। (৫১:২৬)
৩৫.নিজে যাচাই করে অন্যকে করতে বল (২:৪৪)
৩৬. পৃথিবীতে কোন কিছুর অপব্যবহার করনা
(২:৬০)
৩৭.যুদ্ধের সময় পালায়ন কর না (৮:১৫)
৩৮.যে যুদ্ধ করে শুধু তার সাথে যুদ্ধ কর। (২:১৯০)
৩৯.যুদ্ধে শিষ্টাচার বজায় রাখ। (২:১৯১)
৪০.ধর্মের ব্যাপারে জোর কর না (২:২৫৬)।
_আল্লাহ পাক আমাদেরকে কুরআনের আমল অনুযায়ী জীবন গড়ার তৌওফিক দিক।

আমিন।
Copy Past
#কুরআন

05/09/2023

৩ টি আইন সংসদে পাশ হতে চলেছে: দখল নয়, বৈধ দলিলাদিই হবে জমির মালিকানা

নিউজ ডেক্সঃ
অন্যের জমি নিজের দখলে রাখা, ভু’য়া বা মিথ্যা দলিল তৈরি, দলিলের তথ্যের সহিত জমির মালিকার সঠিক তথ্য না থাকা এবং নিজ মালিকানার বাইরে অন্য কোনো জমির অংশ বিশেষ উল্লেখ করে দলিল হস্তান্তরে সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল ও অর্থদ’ণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইনটি করা হবে। দখলে থাকলেই মালিক নয়, দলিলসহ জমির প্রয়োজনীয় দস্তাবেজ থাকতে হবে, এমন বিধান করতে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল–২০২৩’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং) এমন বিধান করতে জাতীয় সংসদে বিল তোলা হয়েছে। এদিন সংসদের বৈঠকে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল–২০২৩’ উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনো ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারও কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনো দলিলে সই করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

বিলে বলা হয়, কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজাও হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করার সাজাও একই। এ ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা ভোগ করতে হবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, সর্বশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকার সূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশ্যে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

আইনের খসড়া বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নামে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টিন্যান্সি অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকলে এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই জমি বিক্রি, দান, হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না।

বিলে আরও বলা হয়েছে, সর্বশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকার সূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশ্যে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

আইনের খসড়া বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নামে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টিন্যান্সি অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকলে এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই জমি বিক্রি, দান, হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না।

বিলে আরও বলা হয়, কোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আবাদযোগ্য জমির উপরি স্তর কাটলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

বিলে উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনে বর্ণিত অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে মূল অপরাধীর সমান দ’ণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমির স্বত্ব সংরক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূমিসংক্রান্ত অপরাধ এবং দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এই আইন করা হচ্ছে। নাগরিকদের নিজ নিজ মালিকানাধীন ভূমিতে নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল অধিকারগুলো নিশ্চিতকরণ, ভূমিবিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি ও সর্বসাধারণের প্রতিরোধ ও দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, ভূমিসংক্রান্ত কিছু অপরাধের দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা লক্ষ্যে এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ভূমি হতে বেআইনি দখল, স্থাপনা ব প্রতিবন্ধকতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবৈধভাবে ভরাটকৃত মাটি, বালু, ইত্যাদি অপসারণ করতে এবং ওই ভূমিকে এর আগের শ্রেণি বা প্রকৃতিতে পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সন্নিবেশ করা হয়েছে। ভূমিসংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা দূরীকরণ এবং যথাসময়ে জনগণের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং মাঠ পর্যায়ের মতামত গ্রহণসহ অংশীজনের মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে প্রস্তাবিত ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা’ আইনের সংশোধন

ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষিজমি থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না, এমন বিধান রেখে ‘বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা’ আইনের সংশোধন হচ্ছে। এজন্য সোমবার জাতীয় সংসদে একটি বিল আনা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল–২০২৩’ জাতীয় সংসদে তোলেন। বিদ্যমান আইনে কৃষিজমি থেকে বালু বা মাটি তোলা সম্পর্কিত কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না, যদি তা উর্বর কৃষিজমি হয় বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হয়, বা কৃষিজমির উর্বর উপরিভাগের মাটি হলে বা পরিবেশ প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধিত হয়, বা ড্রেজারের মাধ্যমে বা যদি অন্য কোনো কৌশলী প্রক্রিয়ায় বালু বা মাটি উত্তোলন করা হয়, যাতে এই জমিসহ পার্শ্ববর্তী অন্য জমির ক্ষতি, চ্যুতি বা ধসের উদ্ভব হয়।

সূত্রঃ বাংলার খবর

#বাংলাদেশ #বিভাগ #জেলা #উপজেলা #ইউনিয়ন #ওয়ার্ড #জনগণ #ভূমি #ভূমি_মন্ত্রী

29/08/2023

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে অভিনন্দন।

Md Ruman Mahmud

29/08/2023

জেনারেটর Mwm TCG2020 v16 k মডেল

mwm tcg2020 v16 k একটি mwm tcg2020 জেনারেটর model, V ১৬ এর অর্থ হলো জেনারেটর এর ইন্জিন টি হলো V type ইন্জিন আর ১৬ সিলিন্ডার হেড বিশিষ্ট ।

জেনারেটর অর্থ বলতে সাধারনভাবে বুঝায় ইন্জিন ও অল্টারনেটর এই ২ টি অংশকে।
রাসায়নিক শক্তিকে (গ্যাস বা তেল বা ফুয়েল) তাপশক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং যান্ত্রিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়ার সমন্নিত ডিভাইসকে জেনারেটর বলে।

ইন্জিন: রাসায়নিক শক্তিকে (ন্যাচারাল গ্যাস বা ফুয়েল বা তেল) তাপশক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে উক্ত ম্যাকানিক্যাল ডিভাইস বা যন্ত্রাংশকেই ইন্জিন বলে। ইন্জিন v type, i type হতে পারে। দহনপ্রকষ্ট অনুযায়ী অর্ন্তদহ ও বহিরদহ ইন্জিন হয়। আবার স্টোক অনুয়ায়ী, টু স্টেক এবং থোর (৪) স্টোক হয়ে থাকে।
টু স্টোকে সাইলেন্সার থাকে ইন্জিনের ব্লকে আর ৩৬০' সাইকেল মানে ১ বিত্ত ঘুরে টু স্টোক সম্পাদন হয়। আর ফোর স্টোকে সাইলেন্সার পাইপ অর্থাৎ পোড়াগ্যাস বেরহবার পাইপটি থাকে ইন্জিনের হেডে এবং ৭২০' ডিগ্রি তে ২ টি সাইকেল বা বিত্তে ঘুরে ৪টি স্টোক সম্পাদন করে। গ্রহন ঘাত বা স্টোক: গ্রহন ঘাতে বাতাস ও গ্যাস ১:১২ রেশিওতে মিশ্রণ হয় মিক্সচার চেম্বারে এবং তা রিসিভার এর মাধ্যমে গ্রহন ঘাত দহন প্রকষ্টে আনে , সংকোচন ঘাত, পাওয়ার ঘাত, নির্গমন ঘাত। পরবর্তি আলোচনায় ৪ ধাত ও স্টোক এবং কাজ আলোচিত হবে।

আজ mwm tcg 2020 v16 k এর বিষয়ে এই mwm মডেল এর পূর্নরূপ আলোচনা করা হলো।

#জেলা

26/08/2023

21 august “আমার সামনে তখন লাশের স্তুপ, আম্মার কাছে যেতে
হলে সেই লাশ ডিঙিয়ে যেতে হবে, উপায় নাই যাওয়ার
কোনো। আমি তখন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, “আম্মা তুমি চিন্তা কইরো না, আমি চলে আসছি।”

জানি না কেন যেন আম্মা মাথাটা নাড়লেন তখন, বুঝলাম যে উনি বেঁচে আছেন। ওখানে যারা ছিল, তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম যে, এখন কি করতে হবে৷ ওরা বললো ওষুধ লাগবে৷

একটা লিস্ট দিয়ে বললেন, এক্ষুণি এই এই ওষুধগুলা
লাগবে৷ আমি বললাম যে, ঠিক আছে, আপনাদের এখানেই তো ফার্মেসি আছে, তাই না? ওরা বললো- না,হাসপাতালের ফার্মেসি বন্ধ। এটা আজকে আর খুলবেনা৷ আশেপাশে অনেক ওষুধের দোকান, শত শত। সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, কোনো ওষুধ পাবে না কেউ! এরমধ্যে অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে, কারণ রক্তক্ষরণ থামানো যাচ্ছে না৷ একজন এসে বললো, এই মূহুর্তে অপারেশন করতে হবে৷ ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতাল, ডাক্তারের অভাব নাই। আমি বললাম,
তাড়াতাড়ি ডাকেন তাহলে। ওরা বললো- কাকে
ডাকবো, কোনো ডাক্তার নাই। আম্মাকে যে একটু দেখবে, সার্জারী করবে, সেরকম একটা ডাক্তারও তখন নাই, সবাইকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। দেখতে দেখতে প্রায় তিন ঘন্টা চলে গেল।

আমরা ঠিক করলাম, আম্মাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে হবে৷ এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, যেখানে আম্মা একটু চিকিৎসা পেতে পারে। অলরেডি এত রক্তক্ষরণ হয়েছে… কোনরকমে আম্মাকে ধরে তুললাম, একটা অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে সেটাতে ওঠালাম। পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাবো। গেট দিয়ে বের হবো, এমন সময় চারদিক থেকে পুলিশের বাধা, কোথাও নাকি যাওয়া যাবে না। আহত কাউকে কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবে না! আমি বললাম, তাহলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন আপনারা। ডাক্তার আনেন, ওষুধ আনেন৷ ওরা বললো, ওপরের নির্দেশ, আমরা কোথাও যেতে দিতে পারব না!

যাই হোক, তখন আমিও ফোনটোন করা শুরু করলাম। একটা পর্যায়ে তারা বললো, আম্মাকে শুধু সিএমএইচে আমরা নিয়ে যেতে পারব, আর কোথাও না। ভেবে দেখলাম, এখানে তো কোন চিকিৎসাই হচ্ছে না, পানির মতো রক্ত বেরিয়ে যাচ্ছে শরীর থেকে। সিএমএইচ তো ভালো, ওখানে গেলে নিশ্চয়ই চিকিৎসা হবে।

এই কাহিনীগুলা বলার মতো না আসলে।

ক্যান্টনমেন্টের গেটে বসিয়ে রাখলো একঘন্টা, ঢুকতে দিবে না! সিএমএইচে যাওয়ার পর বলে, আর্মি অফিসারের রেকমেন্ডেশন লাগবে! আমার আম্মা ওখানে পড়ে আছে রক্তাক্ত অবস্থায়, মানুষটা মারা যাচ্ছে, এরকম অবস্থায় টানা আট-নয়টা ঘন্টা আমার আম্মাকে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয় নাই।

একুশ তারিখে গ্রেনেড হামলাটা হয়, তেইশ তারিখ রাত
বারোটায় আমি সিএমএইচ থেকে বাসায় আসি। পরদিন থেকে আটচল্লিশ বা বাহাত্তর ঘন্টার হরতাল, আওয়ামীলীগ ডেকেছিল। ঠিক রাত দুটোর সময় আমাকে ফোন করা হলো, বললো- খবর পেয়েছেন তো? আমি বললাম কি খবর? বললো, আপনার আম্মা তো মারা গেছেন৷ একটু আগে দেখে গেলাম মানুষটা বেঁচে আছেন, এর মধ্যেই মরে গেলেন! আমি বললাম- ঠিক আছে, আমি আসছি। ফোনের ওপাশ থেকে বললো- এসে কোন লাভ নাই, আমরা দাফন করে দিচ্ছি। আমি বললাম- দাফন করবেন মানে? আমাদের আত্মীয় স্বজন আছে, আমার আব্বা আছেন,
সবাইকে জানাতে হবে, জানাজা পড়াইতে হবে, কবর
দেয়া... এগুলো আমরা করব। ওরা বললো- না, ওপরের নির্দেশ, সব এখানেই করতে হবে, লাশ বাইরে নেয়া যাবে না।

কিসের মধ্যে দিয়ে যে গেছি আমি, আজ
পর্যন্ত এগুলা কাউকে বলি নাই৷ কি বলব বলেন? এত কিছু করার পরেও, মানুষের মধ্যে তো মনুষ্যত্ববোধ বলে একটা জিনিস থাকে। এরা কি রাজনীতি করে? বোমা মারলো, হামলা করলো, শত শত মানুষ আহত-নিহত, তাদের চিকিৎসাটাও করতে দিলো না! লাশও নাকি দিবে না! এটা কিসের রাজনীতি রে ভাই? “

- নাজমুল হাসান পাপন এমপি
(গ্রেনেড হামলায় শহীদ, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী আইভী রহমানের সন্তান)

ভাবুন কি নিদারুন করুন লেখার মত কথা না।এর পরেও গনতন্ত্রের কথা বিএনপি কোন মুখে বলে..?

#বিশ্ব #বাংলাদেশ #বিভাগ #জেলা #উপজেলা #ইউনিয়ন #পৌরসভা #ওয়ার্ড #আওয়ামীলীগ #গ্রেনেড

19/08/2023

Nice moments and beautiful place.

16/08/2023

১৫ আগস্ট মুজিবের বুকে চালালো যারা গুলি | 15 August 1975

#বাংলাদেশ #জেলা #বগুড়া #উপজেলা #মেয়র #সংসদ_সদস্য

01/08/2023

ভালো থেকো, বিদায়
#বিদায়

01/08/2023

শোকাবহ আগস্ট!

শোকের মাস আগস্ট মাস। এই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ইতিহাসের ভয়াবহতম হত্যাকাণ্ড ও নারকীয় গ্রেনেড হামলা। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।

সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নৃশংসভাবে নিহত হন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সকল অনুভ‚তি, ত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, বাঙালি জাতির প্রতি গভীর ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের দ্বারা সমগ্র বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত আত্মত্যাগে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ’৪৮-এর ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্মলাভ, ’৪৮-এর মার্চে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিবাদে আন্দোলন, ’৪৯-এর ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম, ’৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬-দফা, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও ১১-দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচনে ‘আওয়ামী লীগ’-এর নিরঙ্কুশ বিজয়সহ ইতিহাস সৃষ্টিকারী নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে যায়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিশপথে ঐক্যবদ্ধ হয় বাঙালি জাতি। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বে পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয়, শত বছরের ঘোর নিশীথিনীর তিমির বিদারী অরুণ, ইতিহাসের বিস্ময়কর নেতৃত্বের কালজয়ী স্রষ্টা, বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। বাঙালি জাতির পিতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। উন্নত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন সারথী।

’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নরপিশাচরূপি খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। জাতির পিতার সুযোগ্যকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে নানা প্রতিক‚লতার মুখোমুখি হয়েও ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেন।

বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব, তার চেতনা অবিনশ্বর। বাঙালি জাতির অস্থিমজ্জায় মিশে আছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিবাদর্শে শাণিত বাংলার আকাশ-বাতাস জল-সমতল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে।

জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।

#শোকাবহআগস্ট #১৫আগস্ট #বঙ্গবন্ধুহত্যা #শোকেরমাস

18/07/2023

২০০৭ সালে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। বিএনপি-জামায়াত জোটের দুর্নীতি, লুটপাট ও ক্ষমতা দখলের অব্যাহত প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে এক উত্তাল পরিবেশ সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। ১১ জানুয়ারি বিকাল থেকে পর দ্রুত ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা। বেসামরিক ও সুশীল সমাজের ছদ্মবেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্য। মাইনাস টু ফর্মুলার নামে দেশের বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর অপচেষ্টা চলতে থাকে। অবশেষে, ১৬ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাকে। বর্ষার বৃষ্টিভেজা দিন ছিল সেটি। কাক ডাকা ভোরে হুড়মুড় করে সুধাসদনের প্রবেশ করে যৌথবাহিনী। একটি সাজানো মামলায় দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে বন্দি করা হয়।

এর আগে, ১৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনের চারপাশে অবস্থান নেয় হাজার খানেক পুলিশ, র‍্যব , ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য। শুনশান মাঝরাতে প্রত্যাহার করা হয় তার বাসার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থাতেই ফজরের নামাজ আদায় করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এরপর বের হয়ে আসেন একটি শুভ্র শাদা শাড়ি পরে। ১৬ জুলাই, সকাল সাড়ে ৭টা, একটি সাজানো মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তড়িঘড়ি করে নেওয়া হয় সিএমএম কোর্টে। বিশেষভাবে দ্রুত আদালত বসিয়ে তার জামিন আবেদন খারিজ করে, বন্দি করা হয় সংসদ ভবন এলাকার সাবজেলে। ব্যাস, ৫৫ হাজার বর্গমাইলের পুরো বাংলাদেশটাই বন্দি হয়ে গেলো। কিন্তু তারা জানতো না যে, এই বাংলাদেশ কখনো বন্দি থাকে না। তাই শেখ হাসিনার গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদ শুরু হলো দেশজুড়ে। কিন্তু বিএনপি সমর্থিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহম্মেদ কর্তৃক দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা এবং রাজনীতিবিদরা হয়রানির শিকার হওয়ায়, কিছুটা কৌশল অবলম্বন করে আন্দোলন চালাতে থাকেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রসমাজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কৃষক-শ্রমিক, বিদেশী কূটনীতিক সবাই শেখ হাসিনার মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিতে থাকেন। অবশেষে তীব্র জনদাবির মুখে, ৩৩১ দিনের অবরুদ্ধ সময় শেষে, ২০০৮ সালের ১১ জুন, শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দুপুরের পর একটি গাড়িতে করে শেখ হাসিনাকে তার বাসভবন সুধাসদনে পৌঁছে দিয়ে আসা হয়।

এরপর, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন তিনি। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাতে থাকেন আপামর জনতা। যার ফলে, ক্রমেই সংকুচিত হতে শুরু করে প্রায় দেড় বছর ধরে দাপিয়ে বেড়ানো তত্ত্বাবধায়কের কতিপয় সামরিক ও তথাকথিত সুশীল সিন্ডিকেট। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে বাধ্য হয় সেনাসমর্থিত ইয়াজউদ্দীন-ফখরুদ্দীন সরকার। ফলে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আয়োজিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট দুই-তৃতীয়াংশ (২৫৭) আসনে জয় লাভ করে। আওয়ামী লীগ একাই অর্জন করে ২৩০টি আসন। শেখ হাসিনার হাত ধরে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তার গতিশীল নেতৃত্বে গতি পায় বাংলাদেশ। ফলে বহুল কাঙ্ক্ষিত ও স্বপ্নের সোনার বাংলার লক্ষ্য অর্জন শেষে, এখন বিশ্বের বুকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বদেশ, গ্লানি ঘুচিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাঙালি জাতি।

শেখ হাসিনা: আওয়ামী লীগের দেদীপ্যমান সূর্য

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বাঙালির মুক্তির ম্যান্ডেট এবং স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের নির্বাচনেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরপর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দানকারী এই দলটিকে। ঘনকালো আঁধারে ঢেকে যায় পুরো দেশ। স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান এবং স্বৈরাচার এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে দুর্বত্তায়ন চালায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। ফ্রিডমপার্টি গঠন করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। স্বৈরাচারদের শোষণ ও তাদের মদদপুষ্ট দুর্বৃত্তদের নির্যাতনে অস্থির হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ এই রাজনৈতিক দলকে। সংবিধানের চার প্রধান স্তম্ভকে পদদলিত করে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়। উত্থান ঘটে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর।

ঠিক এমন এক বিপদসংকুল সময়ে, আওয়ামী লীগের হাত ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পিতার প্রতিষ্ঠা করা দেশের মানুষের জান-মাল রক্ষার জন্য, নিজের জীবন বিপন্ন করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর, রাজপথে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্র দলগুলো জনপ্রিয় ভোটে এগিয়ে থাকলেও, সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়। তবে বিরোধী দলের আসনে বসেও রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখেন। অবশেষে শেখ হাসিনার এই উদ্যোগের কারণেই দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসে। সেই থেকে তিনি আমাদের গণতন্ত্রের মানসকন্যা। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক আলোকিত নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।

এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে সরকারে নিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার দক্ষ শাসনামলে প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বাংলাদেশ। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশ বিশ্বের বুক থেকে মুছে দেয় তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ। ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে দেশে ২ কোটি ৫০ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন হয়, যা প্রয়োজনের তুলনায় ২৯ লাখ মেট্রিক টন বেশি। এমনকি ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যাপরিস্থিতিও মোকাবিলা করেন শক্ত হাতে। দেশের ৭০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ায়, বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হয়েছিল- অসুখে ও খাদ্যাভাবে এক কোটি মানুষ মারা যাবে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে বন্যাজনিত অভাব বা অসুখে কাউকে প্রাণ হারাতে হয়নি। শেখ হাসিনার এই শাসনামলেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক ইমেজ নিয়ে উঠে আসে বাংলাদেশ। আধুনিক বাংলাদেশে দক্ষ সুশাসকের প্রতীক হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনা।

কিন্তু দেশের স্বার্থ বিকিয়ে না দেওয়ায়, ২০০১ সালের নির্বাচনে, দেশবিরোধী চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রীদের যোগসাজসের কারণে হারতে হয় আওয়ামী লীগকে। বহুমুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেও জনপ্রিয় ভোটের হিসেবে আওয়ামী লীগ ৪০.০২ শতাংশ ভোট অর্জন করে, বাকিরা জোট করেও মাত্র ১.৩৮ শতাংশের বেশি ভোটে আওয়ামী লীগকে পিছিয়ে ফেলতে পারেনি। এই আমলে দেশকে অপরাধ ও উগ্রবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করে বিএনপি-জামায়াত জোট। গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়াতে থাকে একাত্তরের খুনি ও ধর্ষক রাজাকাররা। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তারেক রহমানের পরিকল্পনায় শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। সামাজিক নৈরাজ্য চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এক পর্যায়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ফলে, দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে, নামকাওয়াস্তে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি এক সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করে তারা। এর আগেও, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একদলীয় সাজানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুললে পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি। পরবর্তী পরিস্থিতিতে একই বছরের ১২ জুন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ৪ শতাংশের বেশি ভোটে বিশাল জয় লাভ করে আওয়ামী লীগ।

২০০৭ সালেও কুচক্রীদের সাজানো নির্বাচনের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থানের কারণে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের শোষণের বিরুদ্ধে জনরোষ, খালেদা-তারেক গংদের হঠকারিতা এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবে দেশে সৃষ্টি হয় এক নতুন সংকট। সামরিক নেতৃত্বের সহায়তায় ক্ষমতা গ্রহণ করে তথাকথিত সুশীলদের ব্যানারে এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। রচিত হয় কলঙ্কজনক ওয়ান-ইলেভেন বা এক-এগারোর পটভূমি। মাইনাস টু ফর্মূলার নামে মূলত মাইনাস ওয়ান তথা শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মরিয়া ওঠে এরা। এর আগে, ২০০৪ সালের তারেক রহমানের নির্দশনার গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চেষ্টা করা হয় তাকে। সেসময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রাণ রক্ষা করেন। কিন্তু চিরস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তার কান ও চোখ। এই চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হতো তাকে। সেই চিকিৎসার জন্যই ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন তিনি। এই সুযোগে তার দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

রাজনীতি ও দেশ থেকে নির্বাসনে গিয়ে, বিদেশে নিরাপদ জীবনযাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু তিনি সব প্রলোভন প্রত্যাখান করেন। দেশের পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে, দ্রুত চিকিৎসা শেষ করে, গ্রেফতারের হুমকি পরোয়া না করে, অমিত বিক্রমে ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে ফিরে আসেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তুমুল হর্ষধ্বনি দিয়ে তাকে বরণ নেন বাংলার জনতা। শুধু বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার আপসহীন মনোভাবের কারণেই, বাংলাদেশের গণতন্ত্র লুট করার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই, একটি সাজানো মামলায় তাকে অবৈধভাবে আটক করে সংসদ ভবন চত্বরে সাবজেলে পাঠায় সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। প্রিয় নেত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ঝিনাইদহ, নাটোর, চাঁদপুর ও ভোলার মোট চার জন ব্যক্তি। দেশজুড়ে ক্ষোভ সঞ্চার হয়। নিঃসঙ্গ জেলে চিকিৎসাহীন অবস্থায় রেখে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। কিন্তু তবুও মানসিকভাবে অবিচল ছিলেন তিনি। অবশেষে, ৩৩১ দিনের অবরুদ্ধ সময় শেষে, ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই, শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় কুচক্রীরা। জনগণের মধ্যে ফিরে আসেন জননেত্রী। দ্রুত নির্বাচনের জন্য তীব্র জনদাবি গড়ে তোলেন। ফলে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে ইয়াজউদ্দীন-ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের সরকার। এই নির্বাচনে একচেটিয়াভাবে ভাবে জিতে, অন্ধকারে ছেয়ে থাকা দেশকে আলোক বন্যায় ভাসান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

শেখ হাসিনা, যার আলোয় নতুন রূপে জ্বলে ওঠার প্রেরণা পেয়েছে আওয়ামী লীগ; কিন্তু তিনি শুধু একটি দলের প্রধান নন, শেখ হাসিনা- আপামর বাঙালির আবেগের নাম। অন্ধকার রাতে তুমুল আলোর ঝলক তিনি, তার হাত ধরেই নতুন করে ফিরে এসেছে বাংলাদেশের প্রাণ। আজকের এই আধুনিক বাংলাদেশ পুরোটাই শেখ হাসিনার অবদান।

১/১১ এর ষড়যন্ত্র, ৩৩১ দিনের বন্দি জীবন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন:

বিএনপি-জামায়াত জোটের সীমাহীন ষড়যন্ত্রে এই দেশ যতবার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ততবারই ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো নতুন রূপে ফিরে এসেছে প্রিয় দেশ। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি কখনো। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই মিথ্যা মামলায় দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে জেলে ঢোকানোর পর, খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরপর ১৩টি মামলা সাজানো হয় তার নামে। নির্জন কারাগের তখন কাউকে দেখা করতে দেখা হতো না তার সঙ্গে। অসুস্থ শরীর নিয়ে প্রচণ্ড একাকী ও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন তিনি। তবুও বিচলিত হননি। উল্টো ৩৩১ দিনের জেলজীবনে নিয়মিত ডায়েরি লিখে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প তৈরি করেছেন। যখনই কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে গেছেন, তিনি দেশবাসীর জন্য কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন এবং আবারো নির্বাচনের বিজয়ের মাধ্যমেই ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের খবর শুনেই প্রথম দিন দেশের চার জেলায় চারজন ব্যক্তি হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। দেশজুড়ে প্রতিদিনই আন্দোলন-সংগ্রাম-প্রতিবাদ চলতে থাকে। এক সপ্তাহের মাথায়, ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়।

দেশজুড়ে এই অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য মূলত দায়ী লুটপাটকারী ও ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি-জামায়াত। তাদের দুঃশাসনের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর, সংবিধান মেনে একটি গ্রহণযোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল রাখতে, বঙ্গবন্ধুর দুই খুনির স্বজন ও সাবেক একজন বিএনপি নেতাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে বসানোর পাঁয়তারা করেন খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানায় আওয়ামী লীগ। সংবিধান অনুসারে একজন নির্দলীয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে এই পদে বসানোর দাবি জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা ও তৎকালীন প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ২৯ অক্টোবর রাতে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন বিএনপি সমর্থিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। ফলে সৃষ্টি হয় সাংবিধানিক সংকট।

এই উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই, বিএনপি-জামায়াতের হুকুমে ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করেন নির্বাচন কমিশন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দমনের উদ্দেশ্যে, ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের আদেশে দেশে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সাজানো নির্বাচনের ছক থেকে সরে না আসায়, ২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। এরপর, ৫ জানুয়ারি, লন্ডনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনে আসন্ন একতরফা নির্বাচনকে অর্থহীন বলে অভিহিত করা হয়।

এদিকে দেশজুড়ে উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের উদ্যোগ নেয় সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্য। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি, সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের নেতৃত্বে তিন বাহিনীর প্রধান এবং আরো কিছু সেনাসদস্য বঙ্গভবনে যান। তাদের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবং দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। সেই রাতেই ফখরুদ্দিন আহমদকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করেন তারা। এরপর ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দীনদের সামনে রেখে, সরকার পরিচালনা করতে থাকেন মইন ইউ আহমেদ এবং সামরিক সদস্যরা। এরপর রাজনীতিবিদদের গণগ্রেফতার করে, দীর্ঘমেয়াদে দেশের ক্ষমতা দখলের ছক আঁকেন তারা। দেশজুড়ে বেজে ওঠে অশুভ ঘণ্টা। শারীরিকভাবে প্রচণ্ড অসুস্থ নেত্রী শেখ হাসিনাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্জন কারাগারে বন্দি করে কৌশলে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়।

২০০৭ সালের সেই আগস্টজুড়ে ভয়ানক বন্যা শুরু হয় দেশে। সেসময় চিকিৎসাহীন অবস্থায় জেলে দিন কাটাচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। আইনজীবীরা মামলার ব্যাপারে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে, তিনি তাদের মাধ্যমে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। এমনকি যে সরকারের রোষানলে তাকে জেলে বন্দি থাকতে হচ্ছিলো, গণমানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সেই সরকারকেও সহযোগিতা করতে বলেন তিনি। নেত্রী বলেন, 'এবারের বন্যা ১৯৯৮ এর চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারের একার পক্ষে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নাহলে বন্যা সামাল দেওয়া কষ্টকর হবে।' কারান্তরীণ থেকেও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি ব্যাপকভাবে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দেন তিনি। শেখ হাসিনা এ কারণেই অনন্য, গণমানুষের প্রয়োজনে নিজের জীবন ও রাজনীতিকে তুচ্ছ করতে পারেন তিনি।

এদিকে গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কান ও চোখের চিকিৎসা ব্যাহত হওয়ার অসুস্থ হয়ে পড়েন নেত্রী। কিন্তু তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বিরত রাখা হয়। এরকম পরিস্থিতিতে ২০০৮ সালের মার্চের শেষ দিন আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি আইনজীবীদের বলেন, '২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পারিনি। এখন বিনাচিকিৎসায় মারার চেষ্টা করছে।' এসময় তিনি আরো বলেন, '১৯৭১ সালে সন্তানসম্ভবা ছিলাম। পাকিস্তানিরা মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন কারো সাথে দেখা করতে দেয়নি। এখন এরা চিকিৎসাসেবা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। আমার ওপর যে অবিচার করা হয়েছে, তার ভার আমি আল্লাহ ও জনগণের ওপর দিচ্ছি।'

সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় সময়ের সাথে সাথে অসুস্থতা বাড়তে থাকে নেত্রীর। অবশেষে তাকে হাসপাতালেও থাকতে হয় প্রায় তিন সপ্তাহ। ২০০৮ সালের মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে, আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুরুতে রাজনীতিবিদদের যেভাবে হয়রানি শুরু করেছিল, সেই পরিস্থিতি সামলাতে কিছুটা সময় লাগে নেতাকর্মীদের। এই সময়েও সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে নিয়মিত শেখ হাসিনার মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। ২৭ ও ২৮ মে, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শেখ হাসিনাকে নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। আওয়ামী লীগের এই ঘোষণার পর দেশজুড়ে শুরু হয় গণগ্রেফতার। প্রায় ২০ হাজার কর্মীকে আটক করা হয়। কিন্ত তবুও দমানো যায়নি। অবশেষে জননেত্রীর ব্যক্তিত্বের সামনে সেনাসমর্থিত সরকারের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়। তারা শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২০০৮ সালের ১১ জুন সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হয় বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনাকে। এমনকি গাড়িতে করে তার বাসভবন সুধাসদনে পৌঁছে দিয়ে আসা হয় তাকে।

জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বাংলার মানুষের ভাগ্য বদলের উদ্যোগ নেন তিনি। 'দিন বদলের সনদ' নামে নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেন। কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার নিখুঁত পরিকল্পনার প্রকাশ্য ঘোষণা ছিল এটি। নিঃসঙ্গ জেলে বসে দেশের মানুষের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই ইশতেহারের রূপকল্প তৈরি করেন শেখ হাসিনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বের গুণে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ও রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করে, ২০১৪ সালের নির্বাচনেও জয়লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে টানা তৃতীয় বার ও মোট চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার পুরো মেয়াদকালে এই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তীর্ণ করেন তিনি। সমৃদ্ধির পথ ধরে দেশ এখন এউন্নত বিশ্বের দিকে ধাবমান...
#শেখহাসিনা #কারাবন্দিদিবস #তত্ত্বাবধায়ক #একএগারো #বাংলাদেশ #বিভাগ #জেলা #উপজেলা #ইউনিয়ন
Md Ruman Mahmud Mahmud Hassan Ripon Mahmud Hassan Ripon

Want your business to be the top-listed Equipment Service in Bogura?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

Address


রাজশাহী বাংলাদেশ
Bogura

Other Engineering Services in Bogura (show all)
R/AC  Xpert Tactical R/AC Xpert Tactical
Bogura

I Am A Little Traveller

Aan Nobin Aan Nobin
Police Line
Bogura, 5800

Civil Engineering Consultant

Shofiqul Engineering Workshop Shofiqul Engineering Workshop
Rangpur Road
Bogura, 5800

Different types of engine and motor vehicle parts are made and fixed.

Electropac Engineering Ltd. Bangladesh Electropac Engineering Ltd. Bangladesh
Dhaka Bogra Highway
Bogura, 5800

An ISO 9001:2015 certified co. Certified by RUET and CPRI, India. Electropac Engineering Ltd manufac

CADblocks Construction Ltd. CADblocks Construction Ltd.
Bogura, 5800

Need to build your dream? Call us!

MIET Engineer's MIET Engineer's
Sherpur Road, Colony
Bogura, 5800

24/7 h All Equepment Installations, Sales & service. 100% Customer Satisfaction. Hotline-01714660347

An Nafiyee Construction An Nafiyee Construction
Bou Bazar, Nataipara, Bogra Sadar
Bogura, 5800

Building Design and Development Support

Abode Engineer's Abode Engineer's
Sonatola
Bogura, 5826

visit our website

SwopnoGori Engineering & Consultant SwopnoGori Engineering & Consultant
Bogura

Swopno Gori (স্বপ্ন গড়ি) committed to making your dreams come true.