Owcreation.com

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানের ফ্যা?

Photos from Owcreation.com's post 15/06/2023

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মালটি বাটিক
ওয়ান পিস
পকেট সহ
জামা:৪৪ ইঞ্চি লং।
বডি ফ্রি সাইজ।

গরমে এক টুকরো স্বস্তি 🖤🖤

Photos from Owcreation.com's post 13/06/2023

কামিজ সুতি কাপুরের মধ্যে স্ক্রিন প্রিন্ট + বুটিকসের কাজ করা।
ওড়না সুতি ৫ হাত।
সালোয়ার সুতি ২.৫ গজ
🥰🥰

Photos from Owcreation.com's post 02/06/2023

নারী হিসেবে মেয়েদের পোশাক পরা নিয়ে যে বিষয় টা আমি সব সময় অনুভব করি তা হলো, ঘরে পরা সেলোয়ার / প্যান্ট/ ট্রাউজার - আপনার ভাষায় আপনি যা বলেন। এই পোশাক আমাদের সবেচেয়ে প্রয়োজনীয় পোশাক। আমাদের অন্য পোশাকের চেয়ে নিত্যদিনই এই পোশাক ব্যবহার প্রয়োজন বেশি হয়।
সে চিন্তাধারা থেকে নারী পোশাকের এই ঘরে পরা প্যান্ট নিয়ে কাজ করছি অনেকদিন যাবৎ।
আমাদের নিজেদের তৈরি এই প্যান্ট /সেলোয়ার টেকসই এবং খুব আরামদায়ক। খুব ভালো মানের কাপড় দিয়ে আমরা এই প্যান্ট তৈরি করে থাকি।

আপনার পছন্দের কালারের প্যান্ট টি অর্ডার করতে ইনবক্স করুন আমাদের কে।

Photos from Owcreation.com's post 01/05/2023

কোটি সহ গাউন
দাম জানতে ইনবক্স করুন
অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করুন 01933082956

Photos from Owcreation.com's post 18/09/2022

জর্জেট ফোর পিস
দাম জানতে ইনবক্স করুন

Photos from Owcreation.com's post 18/09/2022

বাটিক সাথে হাতের কাজ করা।
দাম জানতে ইনবক্স করুন

Photos from Owcreation.com's post 16/09/2022

টাঙ্গাইল হ্যান্ড লোম থ্রিপিস 🥰

Photos from Owcreation.com's post 25/08/2022

ইন্ডিয়ান স্লিক দাম জানার জন্য ইনবক্স করুন।

Photos from Owcreation.com's post 04/08/2022

বোরকা

Photos from Owcreation.com's post 02/07/2022

Pure silk

01/07/2022

আমরা অর্ডার নিচ্ছি।

মেক্সি
মেটারনিটি ড্রেস
ঘরে পড়ার প্যান্ট
নামাজের হিজাব
ডিজাইনার কুর্তি বা ড্রেস
পেটিকোট
ব্লাউজ/ যে কোন ডিজাইন
সেলোয়ার-কামিজ
ডিজাইনার প্যান্ট
আপনাদের সুবিধা এবং সুযোগ অনুযায়ী ফোন বা মেসেজ দিন।

আজানের পর এই দু‘আটি পড়লে নবিজির শাফা‘আত নসিব হবে, ইনশাআল্লাহ | Nusus | Dua 14/06/2022

নবিজি আমাদের জন্য উপহার হিসেবে একটি স্পেশাল দু‘আ রেখেছেন নিজের কাছে!
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক নবির জন্য একটি (বিশেষ) দু‘আ ছিলো, যা কবুল হবে। তাঁরা সেই দু‘আ করে ফেলেছেন। কিন্তু আমি কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের জন্য শাফা‘আত করার উদ্দেশ্যে আমার দু‘আটি গোপন রেখে দিয়েছি।’’ [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৩৭৯]
ইমাম নববি (রাহ.) বলেন, ‘এই হাদিসে উম্মতের প্রতি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণ মায়া-মমতা ও দরদের কথা এবং তাদের কল্যাণসাধনে তাঁর প্রচেষ্টার কথা ফুটে উঠেছে। তাই তিনি এই উম্মতের জন্য তাঁর বিশেষ দু‘আ তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য তুলে রেখেছেন।’ [শারহু মুসলিম: ৩/৭৫]
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য হাদিসে বলেন, ‘‘আমার রবের পক্ষ থেকে আগন্তুক (ফেরেশতা) এসে আমাকে দুটো বিষয়ের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলেন। এক. আমার উম্মতের অর্ধেক মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে; দুই. শাফা‘আত (আমাকে আখিরাতে সুপারিশ করার অনুমতি দেওয়া হবে)। আমি সুপারিশ বেছে নিলাম। আর এই সুপারিশ হবে তাদের জন্য, যারা আল্লাহর সাথে শির্ক না করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ২৪৪১; হাদিসটি সহিহ]
নবিজির শাফা‘আত লাভের অন্যতম উপায় হলো, আজানের বাক্যগুলোর সাথে সাথে জবাব দেওয়া এবং আজান শেষে বিশেষ দু‘আটি পাঠ করা।
আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম: মুয়াজ্জিন আজানে যা বলবেন, আপনি হুবহু তাই বলবেন। মুয়াজ্জিন যখন বলবেন, ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার’ আপনিও তার পরপরই বলবেন ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার’। এভাবে পুরো আজানের জবাব দেবেন। ব্যতিক্রম কেবল দুটো বাক্য। অর্থাৎ, মুয়াজ্জিন যখন ‘হাইয়া আলাস সলাহ’ ও ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলবেন, তখন আপনি জবাবে বলবেন, ‘লা হাউলা ওয়া লা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আজান শুনে (নিচের দু‘আটি) বলবে, কিয়ামতের দিন সে আমার শাফা’আত (সুপারিশ) লাভের অধিকারী হবে।
اَللّٰهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ
(আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা‘ওয়াতিত তা-ম্মাহ, ওয়াস সলা-তিল ক্বা-ইমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসি-লাতা ওয়াল ফাদ্বি-লাহ, ওয়াব‘আসহু মাক্বা-মাম মাহমুদা, আল্লাযি ওয়া‘আদতাহ)
দু‘আটির বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখতে অডিও শুনুন
https://youtu.be/BB4TkVV3a-g
অর্থ: হে আল্লাহ—এ পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত নামাজের রব! মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দান করুন ওয়াসিলাহ ও (বিশেষ) মর্যাদা। আর তাঁকে পৌঁছে দিন মাকামে মাহমুদে (প্রশংসিত স্থানে), আপনি যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৬১৪]

#কার্টেসীঃ Nusus

আজানের পর এই দু‘আটি পড়লে নবিজির শাফা‘আত নসিব হবে, ইনশাআল্লাহ | Nusus | Dua নবিজি আমাদের জন্য উপহার হিসেবে একটি স্পেশাল দু‘আ রেখেছেন নিজের কাছে!.রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্ল...

Photos from Owcreation.com's post 13/06/2022

*CATLOUGE – MINA JAL*

*Top*:-Banarasi Jacquard (2 Meter)

*Bottom*:-Taffeta Silk (2 Meter)

*Dupatta*:-Banarasi Jacquard (2.25 Meter) & Width 24 Inches *With TASAL*

Size:-Free Size ( Un-Stitched)

*New Rate:- 3450

Photos from Owcreation.com's post 12/06/2022

*BLOOM LIKE FRESH FLOWERS THIS SEASON IN THIS FLORAL FLAIRED OUTFIT*

😍 *_DPC(Dress Up New Everyday)_* Presents *BEAUTIFUL And EYE CATCHING Flaired Outfit in Floral Print crafted on* *Chanderi Fabric with Bijiya Lace Detailing on* *Neck,Sleeves and Borders completing the outfit with Cotton Pant,Organza Dupatta and Matching Potli with Tassels Work on Back Neck of Kurti and Potli*

🌟 *Fabric-Chanderi Kurti with Cotton lining,Cotton Pant,Organza Dupatta*

🌟 *Size-36,38,40,42,44,46*

📙 *BOOKINGS OPEN*

* -Flair is In Umbrella style not in Pleates*

🔖 *DPC PRODUCT WILL COME WITH DPC TAG and MATCHING POTLI*

Photos from Owcreation.com's post 11/06/2022

🔥👗 *Marriage Season Special* 🔥👗

🔥 Fabric Details

🧵Top : *Pure MASLIN SILK with inner and heavy beautiful Embroidery

🔥 Top Height : 45+

🧵Bottom : *Pure cotton

💫Dupatta- GEORGTTE WITH Beautiful lace

🧵 SIZE - *L (40) n XXL (44)*

🔥🧵 Rate :2850



🥰 *Be Happy with Quality* 🥰

17/05/2022

আলহামদুলিল্লাহ

Photos from Owcreation.com's post 27/03/2022

অরগ্যাঞ্জা ফোর পিস
পাইকারি, খুচরা দুইভাবে নিতে পারেন।

Photos from Owcreation.com's post 17/03/2022

আড়ং কটনের এক ছোট্ট গল্প বলি
এই ড্রেস গুলো দেখতে খুব সুন্দর
পরতে আরামদায়ক।

এই কুর্তি গুলো আপনি ইচ্ছে করলে ডেনিম প্যান্টের সাথে একটি ফুল কাভারেজ হিজাব দিয়ে পরতে পারবেন।
যদি এক জোড়া কেডস পরেন পাবে পরিপূর্ণতা।

পাশাপাশি এই ড্রেস গুলো ক্যাজুয়াল হিসেবে পরতে পারেন।স্লাইড একজোড়া দু ফিতের স্যান্ডেল ম্যাচ করা সেলোয়ার - ওড়না চুল খোলা বা চুল পরিপাটি করে বাধা।

প্রাইস জানতে ইনবক্স করুন।

17/03/2022
02/03/2022
23/02/2022

আল্লাহু আকবর
আলহামদুলিল্লাহ
সুবহানাল্লাহ

16/02/2022

নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার লক্ষীকোল বাজারে একটি হোটেলে বসলাম। লক্ষ্য ছিলো সিংগাড়া খাবো। এই পদার্থটি আমার সহ্য হয় না। খাওয়ার সাথে সাথে এসিডিটি হয়। তবু লোভে পড়ে খাই। মাঝে মাঝে। সিংগাড়া শেষ করেই ঔষধ খাই।

আমি সব সময় হোটেল-রেস্টুরেন্টের এক কোণায় গিয়ে বসি। একটু লুকিয়ে থাকার ইচ্ছে আরকি। আমি অবশ্যই অন্তর্মুখী মানুষ।

গতকাল কোণার টেবিল ফাঁকা না থাকায় ম্যানাজারের খুব কাছের একটি টেবিলে বসলাম। তার সব কথা শুনতে পাচ্ছিলাম।

একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। কাতর কন্ঠে বললেন, "বাবা, খুব ক্ষুধা লেগেছে। কিছু খেতে দিতে পারো?"

ম্যানেজার একটা টেবিল দেখিয়ে বললেন, "ঐ জায়গায় গিয়ে বসেন খালা।" তারপর চিৎকার দিয়ে বললেন, "খালাকে এক প্লেট খিচুড়ি দে।"

আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। ছোট্ট হোটেল। তেমন বেচাকেনা হয় বলেও মনে হলো না।

দুই তিন মিনিটের মধ্যেই আরো একজন বৃদ্ধা ভিক্ষুক ভিক্ষা নিতে এলেন। ম্যানেজার বললেন, "খাওয়া দাওয়া হয়েছে খালা?"

খালাকে নিশ্চুপ দেখে আগের খালার পাশের চেয়ারে বসালেন এবং তাকেও এক প্লেট খিচুড়ি দেওয়া হলো। দুই জন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত বয়োঃবৃদ্ধাকে খেতে দেখে কী যে ভালো লাগছিলো!

এরপর আরো একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। ম্যানাজারের সামনে দাঁড়ালেন। বললেন, "বাবা, ভিক্ষা করতে এসেছিলাম। তেমন ভিক্ষা পাইনি আজ। বাড়ি যাওয়ার ভাড়া নেই। ভাড়াটা দিতে পারো।"

ম্যানাজার বললো, "আমার তেমন বিক্রি হয়নি খালা। আপনি বরং একটু খেয়ে যান। দেখেন কেউ ভাড়াটা দিতে পারে কিনা।"

এতোক্ষণ যে বয়টি খাবার পরিবেশন করছিলো সে বললো, "খালা কয় টাকা ভাড়া লাগে বাড়ি যেতে?"
-১৫ টাকা বাবা।
হোটেল বয়টি পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট বের করে খালার হাতে দিয়ে বললেন, "নেন, এটা রাখেন। একটু খিচুড়ি খেয়ে বাড়ি যান। আমি খিচুড়ি দিচ্ছি।"

হোটেল ম্যানাজার হাসতে হাসতে বললেন, "শালা যেমন ম্যানাজার, তেমন তার কর্মচারীরা! কেউ মানুষকে ফিরাতে জানে না।"

তারপর বললেন, "শোন, কোন ভিক্ষুক যেন খেতে এসে না ফিরে যায়। সবাইকে খাওয়াবি।"

আমি সব দেখছিলাম। মাথা নিচু করে বসে আছি। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। মনের ভেতর তোলপাড় চলছে।

ম্যানাজারকে এক সময় কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম, "ভাই, আপনার ঐ কর্মচারী ছেলেটি সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন তো প্লিজ। কয় টাকা বেতন দেন ওকে।"

- ব্যবসা তো তেমন চলে না ভাই। সারাদিন হোটেল খোলা। রাত নয়টা পর্যন্ত। ওকে ১২০ টাকা দিই।

- বাড়িতে কে কে আছে ওর?

- কেউ নেই তেমন। মা মারা গেছে। বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। ওর নানা-নানি বয়স্ক হয়ে গেছে। কোন কাজ করতে পারে না। এই ছেলেটি কাজ করে নানা-নানিকে খাওয়ায়।

আমার কাছে এবার অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে গেল। সারাজীবন ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ বঞ্চিত বলেই, এই ছেলেটার হৃদয় ভালোবাসা আর মায়ায় পরিপূর্ণ।

ছোট্ট ছেলেটিকে কাছে ডাকলাম। বললাম, "লেখাপড়া করেছো?"
- না স্যার।
- ঢাকার দিকে কোন কাজ ম্যানেজ করে দিলে যাবা? একটু বেশি বেতনের?

- নানা-নানি চলতে পারে না। তাদের গোসল করার পানি তুলে দিতে হয়। টয়লেটের, অযুর। খাওয়ার রান্না করতে হয়। আমি এদের রেখে যেতে পারবো না স্যার।

আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফিরে এসেছি। মনটা কেমন ভার হয়ে আছে। ছেলেটা সারাদিন কাজ করে একশত কুড়ি টাকা পায়। তিন জন মানুষের সংসার। কীভাবে চলে! এর থেকে সে আবার অসহায়দের দান করে!

মন খারাপ হলে আমি আল-কুরআন খুলে বসি। আজও কুরআনুল কারীম খুলতেই সূরা আল-বাকারার একটি আয়াতে চোখ আটকে গেল। "এরা নিজেদের রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে.. "

আমি আয়াতটির তাফসীর পড়া শুরু করলাম। সেখানে লেখা, "মানুষের এমন পরিমাণ দান করা উচিত, যাতে তার নিজের খাবারে টান পড়ে।"

মনের মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে। নিজের খাবারে টান পড়া মানে, গোশত খেতাম, দান করার কারণে এখন মাছ খেতে হচ্ছে। দুই প্লেট ভাত খেতাম এখন এক প্লেট খেতে হচ্ছে।

কী অদ্ভুতভাবে আয়াতটি আমার কাছে খুলে যাচ্ছে! তাবুক যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন, "আজ কে বেশি দান করতে পারো দেখি?"
উসমান (রাঃ) একশত উট দিয়েছিলেন। উমর (রাঃ) তার সম্পদের অর্ধেক দিয়েছিলেন। আবু বকর (রাঃ) দিয়েছিলেন এক মুষ্টি খেজুর বা একটু যব জাতীয় কিছু আর তার বাড়িতে ঐটুকু সম্পদই ছিলো।

রাসূল (সাঃ) যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হলো, আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) দানে প্রথম হয়েছে। সে তার সম্পদের শতভাগ দিয়েছে।

আমার চোখে ইসলামের ইতিহাসের সেই সোনালী দিন, আজকের ঐ হোটেল কর্মচারী আর আল-কুরআনের আয়াত "তারা রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে" এই বিষয়গুলো এক অসহ্য ভালোলাগার এবং পরিতাপের বিষয় হয়ে উঠলো। কী করতে পারলাম জীবনে ভাবতে গিয়ে চোখ থেকে টপ টপ করে কয়েক ফোঁটা পানি পড়লো আল-কুরআনের পাতায়। আমি তাড়াতাড়ি কুরআনুল কারীম বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আরশে আজীম থেকে আল্লাহ তায়ালাও নিশ্চয় আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কোন কিছুই তো তার দৃষ্টির আড়ালে নয়।

- আসাদুজ্জামান জুয়েল

Photos from Owcreation.com's post 05/02/2022

এই সুন্দর পোশাক টি
আপনার হতে পারে।

15/01/2022

ইসলামে তালাকপ্রাপ্তা নারীর ইদ্দত তিনমাস নির্ধারণে এবং বিধবা নারীর ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত নির্ধারণে যে নিগূঢ় তথ্য উপাত্ত রয়েছে শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন!!

ইসলামে একজন মহিলার জন্য এক‌ই সময়ে একাধিক বিয়ে বা একাধিক স্বামী রাখার অনুমতি দেয়া হয়নি কেন-- ? অবশেষে বিজ্ঞান আল কুরআনে বর্ণিত বিধানের নির্ভুল ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হলো ;

একজন ইহুদি ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ (যিনি একজন ধর্মীয় পণ্ডিতও ছিলেন) খোলাখুলি বলেছিলেন যে, পৃথিবীতে মুসলিম নারীর চেয়ে পবিত্র ও বিশুদ্ধ নারী অন্য কোন ধর্মে নেই।
পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল যখন আলবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউটের (Albert Einstein Institution) সাথে যুক্ত একজন ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ, ইহুদি পেশাদার রবার্ট, তার ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। যার একমাত্র কারণ ছিল, কুরআনে উল্লেখিত তালাক প্রাপ্ত নারীর ইদ্দতের আদেশ সম্পর্কিত আয়াত এবং ইদ্দতের জন্য তিন মাসের সীমা নির্ধারণের পেছনের রহস্য ও হিকমত সম্পর্কে অবগতি।

আল্লাহ তায়ালা কোনো তালাক প্রাপ্ত নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বে তিন মাসের একটি গ্যাপ রাখতে বলেছেন। তিনি পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন,
وَٱلْمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٍۚ
অর্থাৎ 'তালাকপ্রাপ্তা নারীরা তিন মাসিক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে' (সূরা আল-বাকারাহ ২২৮:২)
এই আয়াতটি একটি আধুনিক জ্ঞান ডিএনএ এর উদ্ভাবনের রাস্তা সুগম করেছে এবং দেখা গেছে যে একজন পুরুষের বীর্যে থাকা প্রোটিন অন্য পুরুষের থেকে ৬২% পৃথক ও ভিন্ন থাকে।
আর একজন নারীর শরীর একটি কম্পিউটারের মত। যখন একজন পুরুষ তার সাথে ইন্টারকোর্স করে তখন সেই নারীর শরীর সব ব্যাকটেরিয়াকে শোষণ করে এবং তার শরীরে তা ধারণ করে।
অতএব, বিবাহ বিচ্ছেদের পরপরই, যদি একজন মহিলা অন্য পুরুষকে বিয়ে করেন বা একই সাথে বেশ কয়েকজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে, তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ জমা হয় যা বিপজ্জনক ভাইরাসের রূপ নেয় এবং মারাত্মক রোগ সৃষ্টির কারণ হয়।

সাইন্স গবেষণা করে দেখে যে, প্রথম মাসিক আসার পর একজন মহিলার শরীর থেকে ৩২% থেকে ৩৫% পর্যন্ত প্রোটিন শেষ হয়ে যায়, এবং দ্বিতীয় মাসিক আসার পর তার শরীর থেকে ৬৭ থেকে ৭২% ডিএনএ ধ্বংস হয়ে যায়। এবং তৃতীয় মাসিকের পর ৯৯.৯% পর্যন্ত প্রোটিন নির্মূল হয়ে যায়। এরপর জরায়ু আগের ডিএনএ থেকে সম্পন্নরূপে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই নতুন ডিএনএ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
একজন গণিকা অনেক মানুষের সাথে সঙ্গম করে, যার ফলে বিভিন্ন পুরুষের ব্যাকটেরিয়া তার জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ তার মধ্যে জমা হয় এবং সে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো, তার ইদ্দত তালাকপ্রাপ্ত মহিলার চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন।
এর কারণ হলো দুঃখ ও দুশ্চিন্তার কারণে তার শরীর থেকে প্রাক্তন ডিএনএ দ্রুত শেষ হয় না, এটি শেষ হতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগে, আর এ জন্য মহিলাদের ইদ্দত চার মাস দশ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًاۖ
অর্থাৎ 'তোমাদের মধ্য হতে যারা স্ত্রীদেরকে রেখে মারা যাবে সে অবস্থায় স্ত্রীরা নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন বিরত রাখবে।' (আল-বাকারাহ, ২৩৪)

এই সত্যের মুখোমুখি হয়ে, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ভিন্ন স্থানে গবেষণা পরিচালনা করেন।
এক. আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলমানরা যে মহল্লায় থাকেন, সেই সব নারীর ভ্রূণের মধ্যে মাত্র একজন স্বামীর ডিএনএ পাওয়া গেছে।
দুই. অন্য মহল্লা যেখানে আসল আমেরিকান মহিলারা থাকেন, তাদের ভ্রূণের মধ্যে একাধিক অর্থাৎ দুই বা তিন জনের বেশি পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গেছে।
অতঃপর যখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার নিজ স্ত্রীর ভ্রূণ ​​পরীক্ষা করলেন, তখন তিনি একটি মর্মান্তিক সত্য দেখতে পান যে, তার স্ত্রীর মধ্যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ডিএনএ আছে। যার অর্থ হলো তার স্ত্রী তার সাথে প্রতারণা করছিল এবং তার তিন সন্তানের মধ্যে কেবল মাত্র একজন ছিল তার নিজ সন্তান, বাকিরা ছিল অন্য পুরুষ থেকে।

ডাক্তার তখন নিশ্চিত হন যে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীদের নিরাপত্তা এবং সমাজের সম্প্রীতির নিশ্চয়তা দেয়। এবং এই বিষয়েও নিশ্চিত হন যে, একমাত্র মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, বিশুদ্ধ ও সহীহ্ জীবন যাপন করে থাকে।

02/01/2022

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) উপরের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলছিলেন, "ইয়া রাফিক্বাল আ'লা" এরই মধ্যে ঘর ভরে গেল সুভাসে। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আর নেই! চলে গেছেন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে!
মদিনায় খবর ছড়িয়ে পড়লো৷ মদিনার আকাশে কালো মেঘ জমা হলো। কেউ বিশ্বাস কর‍তে পারছিলেন না। কী হয়েছে! এটা অসম্ভব, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তেকাল করতে পারেন না৷ কেউই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছিলেন না। কান্নার রোল পড়ে গেল প্রত্যেক ঘরে। আয়েশা (রাদ্বি আল্লাহু আনহা) রাসুলুল্লাহর (ﷺ) পবিত্র দেহ জড়িয়ে ধরে বসে আছেন।
খবর উমারের (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) কাছে পৌঁছালো। উমার (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) বললেন, "যে বলবে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) মারা গেছেন তার গর্দান উড়িয়ে দিবো। তিনি মারা যাননি বরং মূসার (আলাইহিসসালাম) মতন আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেছেন।"
আবু বকর (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) বাড়িতে গিয়েছিলেন দরকারে। তার কাছে সংবাদ পৌঁছানোর পর ছুটে আসলেন মদিনায়। রাসুলুল্লাহর (ﷺ) গৃহে প্রবেশ করলেন। কাপড়ে ঢাকা চেহারা সরিয়ে চিরচেনা পবিত্র চেহারাটি দেখলেন। গাল বেয়ে অশ্রু ঝড়ছে। পানির কারণ চোখ ঝাপসা। চোখ মুছলেন তিনি। রাসুলুল্লাহর (ﷺ) কপালে চুমু খেলেন। তারপর তিনি বাহিরে গেলেন।
এদিকে উমারের (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) কারণে সবাই চুপ। সবাই কাঁদছেন। আবু বকর (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) সাহাবিদের একত্র করলেন এবং তাদের সামনে ভাষণ দিয়ে জানালেন যে, "যারা রাসুলুল্লাহর (ﷺ) ইবাদত করতেন তাদের জানা উচিৎ যে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। আর যারা আল্লাহর ইবাদত করতেন তারা যেন মনে রাখেন যে আল্লাহ চিরঞ্জীবী।"

তারপর তিনি সূরাহ আলে-ইমরানের ১৪৪ নম্বর আয়াত "আর মুহাম্মাদ কেবল একজন রাসূল। তার পূর্বে নিশ্চয় অনেক রাসূল বিগত হয়েছে। যদি সে মারা যায় অথবা তাকে হত্যা করা হয়, তবে তোমরা কি তোমাদের পেছনে ফিরে যাবে ? আর যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যায়, সে কখনো আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দেবেন।" পড়ে শুনালেন।

যা শুনে উমার (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) নিজ পায়ের উপর ভর করে দাঁড়াতে পারলেন না। ভেঙ্গে পড়লেন তিনিও, কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন খুব। তার প্রিয় ব্যক্তি যে নেই আর।
হাসসান ইবনে সাবিত (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) রাসুলুল্লাহর (ﷺ) কবি। তিনি তার অশ্রুকে মাটিতে না স্থান দিয়ে সেগুলোকে কবিতায় স্থান দিলেন। বলে গেলেন কবিতা, মানুষের মনে স্মৃতিগুলো ভেসে উঠলো। আকাশের মেঘ কি কাটবে তবে কোনোদিন?
পরের দিন রাসুলুল্লাহর (ﷺ) পবিত্র দেহকে গোসল দেয়া হলো। কবর খুড়া হলো সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন ঠিক সেখানেই।
তারপর একে একে দল বেঁধে জানাযা পড়তে থাকেন। অনেক দূর থেকেও সাহাবীরা আসলেন। শেষ বারের মতন রাসুলুল্লাহকে (ﷺ) দেখে নিলেন।
রাতে তার পবিত্র দেহ কবরে নামানো হলো এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হলো।
অন্ধকার পৃথিবীকে আলোকিত করে, দুর্গন্ধময় সমাযে সুগন্ধে সুরভিত করে, বিশ্বব্যাপী শান্তির বাণী পৌঁছে দিয়ে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে, ক্ষণস্থায়ী এই তুচ্ছ পৃথিবীকে ছেড়ে, পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও দেখতে সুন্দর যিনি, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) চলে গেলেন।

সাওবান (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) হয়তো মদিনায় রাসুলুল্লাহকে (ﷺ) খুঁজতেন। হুজাইফা (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) হয়ত রাসুলুল্লাহর (ﷺ) সাথে চাদরে বসে উষ্ণতাকে খুঁজতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) আপনার অনুসরণ করে হয়তো আপনাকে খুঁজে পেতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) হয়তো আপনার উপদেশ দেয়া বেশ মিস করছিলেন। হাসান (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) হুসাইন (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) হয়তো আপনার কোলে উঠা মিস করতেন। সাহাবীরা হয়তো আপনাকে এক নজর দেখার! ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)! আমরা আপনাকে দেখিনি তবুও আমরা মিস করি আপনাকে।
আপনি আমাদের শিখিয়েছেন মানুষকে কাছে টেনে নেয়ার পদ্ধতি আর আমরা শিখেছি দূরে ঠেলে দেয়ার পদ্ধতি। মানুষের মন জয় করতে পারি না আমরা। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের রিমাইন্ডার দিয়ে বলেন, "তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।"

© ওয়াহিদুল হাদী।

31/12/2021
29/12/2021

সন্তানের গায়ে হাত তোলার আগে একটু ভাবুন
আপনার সন্তানের গায়ে যদি হাত তুলতেই হয়, তবে মনে রাখবেন, এটি হচ্ছে সন্তানের আচরণ নিয়ন্ত্রণের চূড়ান্ত পর্যায়। আপনাকে তার নেতিবাচক আচরণটি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। যদি তা হয়ে থাকে কোনো দুর্ঘটনা, ভুলবশত কিংবা অনিচ্ছায় করা, তা হলে গায়ে হাত তোলার কোনো দরকার নেই। পরবর্তীকালে সচেতন হতে বললেই যথেষ্ট হবে।
বাচ্চাদের গায়ে হাত তোলার ব্যাপারটি বর্তমানে একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৮০’র পর থেকে অধিকাংশ মানুষই বাচ্চাদের শারীরিক শাস্তির বিপক্ষে মত দিয়ে আসছে।
ইসলামি শারীআতের দিক থেকে এ বিষয়ে দুটি ভিন্ন মত পাওয়া যায়। প্রথম মতটি শাইখ ইবনু বায (রহিমাহুল্লাহ)-সহ বেশিরভাগ আলিমের মত। সেটি হচ্ছে, যদিও রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যক্তিগতভাবে বাচ্চাদের গায়ে কখনও হাত তোলেননি, এমনকি তাদের সাথে কর্কশ স্বরেও কথা বলেননি, তথাপি নিম্নোক্ত হাদীস অনুযায়ী এটি জায়েয।
রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সাত বছর বয়সে তোমরা সন্তানদের সালাত আদায়ের নির্দেশ দাও। তারা যদি তা না করে, তা হলে দশ বছর বয়সে প্রহার করো। এবং তাদের (ঘুমের) বিছানা আলাদা করে দাও।” (আবূ দাঊদ, ৪৯৫, সহীহ)
সুতরাং বাচ্চাদের গায়ে হাত তোলার ৩ টি শর্ত রয়েছে :
এক. এটি কেবল শেষ উপায় হিসেবেই ব্যবহার করা যাবে, যখন আর কোনো উপায় থাকবে না।
দুই. সন্তানের মুখে আঘাত করা যাবে না, এবং এত জোরে আঘাত করা যাবে না যাতে আঘাতের চিহ্ন বসে যায়।
রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের কেউ কাউকে প্রহার করলে সে যেন তার চেহারায় আঘাত না করে। কেননা আল্লাহ তাআলা মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন।” (বুখারি, ২৫৫৯; মুসলিম, ২৬১২)
তিন. শাস্তিপ্রয়োগে অবশ্যই সংযত হবে এবং কোনোভাবেই ১০ বারের বেশি আঘাত করা যাবে না।
রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আল্লাহর নির্ধারিত হদের শাস্তি ব্যতীত অন্য কাউকে দশটির বেশি বেত্রাঘাত করা যাবে না।” (বুখারি, ৬৮৪৮; মুসলিম, ১৭০৮)
দ্বিতীয় মতটি শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানি (রহিমাহুল্লাহ)-এর। তিনিও একই হাদীস উল্লেখ করে বলেছেন যে, বাচ্চাদের প্রহার করা যাবে না। কেবলমাত্র একটি ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেটি হচ্ছে, সন্তানের সংশোধনের জন্য বাবা প্রহার করতে পারবেন, যখন সন্তানের বয়স হবে ১০ বছর এবং এর একমাত্র কারণ হবে সালাত পরিত্যাগ।
তাই বাবা-মা’কে যদি সন্তানের গায়ে হাত তুলতেই হয়, তবে মনে রাখতে হবে যে, এটি সন্তানকে শাসন করার সর্বশেষ উপায়। পাশাপাশি বাবা-মা’কে সন্তানের নেতিবাচক আচরণটি সঠিকভাবে নির্ণয়ও করতে হবে। এটি যদি দুর্ঘটনাবশত হয়ে থাকে, তা হলে গায়ে হাত তোলার কোনো প্রয়োজন নেই। পরবর্তীকালে আরও সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেওয়াই যথেষ্ট হবে। যদি তা ভুলবশত হয়ে থাকে, তা হলে কোনো একটি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করাই যথেষ্ট হবে। তবে যদি এটি সরাসরি অবাধ্যতা পর্যায়ের কোনো আচরণ হয়ে থাকে, তবে তা গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। বাবা-মা’কে ঠাণ্ডা মাথায় একসাথে বসে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই অনুযায়ী উপযুক্ত শাস্তি নির্ধারণ করতে হবে।
বই: সন্তান গড়ার কৌশল
লেখক: জামিলা হো
প্রকাশনী: সত্যায়ন প্রকাশন

Photos from Owcreation.com's post 25/12/2021

🥻শামুক শেলাই শিবুড়ি থ্রিপিছ 🥻

কামিজ তিন গজ হাতা সহ
সেলোয়ার আড়াই গজ
ওড়না ৫ হাত

প্রাইস- ৬৫০ টাকা।

06/12/2021

এমন ভালোবাসা পেতে কিসমাত লাগে....আপনি পরলেই কান্নায় ভিজে যাবেন

রাসুল (সাঃ) এর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রাঃ) মারা যাওয়ার আগে রাসুল (সাঃ) এর দুটো হাত ধরে বললেন....

-"আমাকে কথা দিন,,, আপনার গায়ের জোব্বা দিয়ে আমার কাফনের কাপড় বানাবেন আর নিজ হতে আমাকে কবরে নামিয়ে দিয়ে আমার সওয়াল-জবাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি কবরের পাশেই থাকবেন। আমাকে একা ফেলে যাবেন না। "

রাসুল (সাঃ) অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন,

- " হে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী, আমি কথা দিচ্ছি... " খাদিজা (রাঃ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

গোসল, জানাজা শেষ করে রাসুল (সাঃ) তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিজেই কবরে শুইয়ে দিলেন এবং কবরের পাশে অশ্রুজল চোখে কবরের পাশে দাড়িয়ে রইলেন। হাবীবের এমন বিমর্ষ মানসিক অবস্থা দেখে মহান আল্লাহ ফেরেস্তা জিবরাইল (আঃ) কে পাঠালেন। জিবরাইল (আঃ) এসে সালাম দিয়ে জানতে চাইলেন,

- "হে আল্লাহর রাসুল আপনি এভাবে আপনার স্ত্রীর কবরের পাশে এভাবে দাড়িয়ে আছেন কেন? "

রাসুল (সাঃ) বললেন,

- "হে জিবরাইল, আমি প্রিয়তমা স্ত্রীকে কথা দিয়েছি তাঁর সওয়াল-জবাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে নড়বো না। "

জিবরাইল (আঃ) বললেন,
- " হে আল্লাহর রাসুল, আপনি জেনে রাখুন আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, খাদিজা (রাঃ) কে করা মুনকার-নাকীর এর সওয়ালের জওয়াব আল্লাহ আরশে আজীম থেকে নিজেই দিয়ে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!!!!

এই সেই খাদিজা (রাঃ), যাকে মহান আল্লাহ সালাম দিয়েছেন। যেখানে তিঁনিই কবরের সওয়াল-জবাবকে ভয় পেয়েছেন। সেখানেই আমরা যেন চিন্তাই করিনা কবরের জীবন নিয়ে। আল্লাহ আকবর।
খাদিজা (রাঃ) এর মৃত্যুর পর প্রায় প্রতি রাতেই আয়িশা (রাঃ) এর ঘুম ভেঙে গেলে, উঠে এসে দেখতেন রাসুল (সাঃ) কান্নারত অবস্থায় আল্লাহর কাছে মিনতি করছেন,

"হে আল্লাহ! যখন শেষ বিচারের দিন ছেলে বাবাকে চিনবে না,বাবা ছেলেকে চিনবে না,স্বামী স্ত্রীকে আর স্ত্রী স্বামীর চেহারা দেখে বিস্তৃত হবে তখন যেনো আমি আমার আমার প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজাকে চিনতে পারি এবং তাঁকে দেখে যেন বিস্তৃত না হই।"

খাদিজা (রাঃ) গোশত খেতে পছন্দ করতেন।যদিও খুব কম সুযোগ হতো।কিন্তু কখনো হঠাৎ কোন উট, দুম্বা কিংবা খাসির গোশতের ব্যবস্থা হতো,তিনি তৃপ্তি করে খেতেন। উনার মৃত্যুর পর রাসুল (সাঃ) যখনি কোন গোশত হাদিয়া পেতেন কিংবা কোনোদিন হঠাৎ কোন পশু জবাই হতো, তখন রাসুল (সাঃ) খুব যত্নে এক ভাগ মাংস সরিয়ে রাখতেন।

সেটা একটা পোটলায় ভরে মদীনার রাস্তায় চোখ মুছতে মুছতে হাটঁতেন, প্রিয়তমা খাদিজা (রাঃ) এর কোন পুরনো বান্ধবীর দেখা পান কিনা,,, সেই আশায়। কোনো বান্ধবীকে দেখলে পোটলাটা দিতেন।

লিখার সময় কেঁদেছি। আল্লাহ সকল হালাল সম্পর্কের বারাকাহ দান করুক। প্রত্যেক সংসারকে আল্লাহ ভালবাসা এবং স্নেহের আঁচলে আবৃত করুক 🌸

- কপি

29/11/2021

আমাদের চারপাশ জুড়ে অসুখি মানুষ।

অতৃপ্ত মানুষের দল!

পৃথিবীর এই মুহূর্তের সভ্যতা এমন একটা জটিল ইকোনমিকাল ক্লাস সিস্টেমের জন্ম দিয়েছে, কোথাও কারো স্থির হয়ে বসবার উপায় নেই!
এই সভ্যতায় কম্পারিজন এবং তা থেকে তৈরি হওয়া লোভ এবং অতৃপ্তি হচ্ছে আমাদের মূল চালিকা শক্তি!

ধরেন আপনি যদি, পৃথিবীর একমাত্র মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতেন
দেখতেন আপনার মনে একবারো কোন ম্যাটেরিয়ালিস্টিক আক্ষেপ আহ্লাদ এবং সুখানূভুতি জাগছেনা! আপনি আপনার চেহারা নিয়ে ভাবছেননা, নিয়মিত শরীর মাপছেন না! হাটা কথা এসব বেসিক কার্যক্রমে 'ভদ্র, সভ্য' হওয়ার অসভ্যতা করছেন না!

কেন আপনার ফ্যানটা দেখতে সুন্দর না, কেন আপনার এই রঙ এর কাপড় নেই, কেন আপনার চুল স্ট্রেইট না, কেন আপনার ঠোট পাতলা, এরকম ভাবনা এসে আপনার বোধের জগত দখল করছেনা!

সব আসলে এড়াতেও পারবেন না।

এমন এক জটিল প্যাচানো লাভ আর লোভের সমুদ্রে আমরা থাকি, এমন এক বাজারে আমরা বড় হয়ে উঠেছি, সে সব ইনফ্লুয়েন্স থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে নিয়ে একেবারে আলাদা মানুষ হয়ে বৃক্ষের মতন সরল সুখ আমাদের আর কোনদিন আসবে বলে মনে হয়না!

কম্পারিজন হচ্ছে আমাদের অসুখের সবচেয়ে মৌলিক পরমাণুটা!

একেবারে নির্ভানা অর্জন না করা গেলেও কম্পারিজনকে হয়তো কিছুটা কমানো যেতে পারে!
তাতে অতৃপ্তি, অসুখ কছুটা কমে আসার কথা!

আপনাদের অনেকের লেখা, আলাপেই দেখা যায়,
আমি আর সবার মতন নাহ! আমরা এমন করিনা, আমি ধার্মিক আমি তোমার মতন না বোন! আমি হলে মোটেও এমন করতাম না! ও কি খারাপ, সে এমন কেন!

এসব স্টেটমেন্টে আপনার নিজের ভিতরের অসুখটা কিন্তু চোখে পড়ে!

আপনি অনবরত কম্পেয়ার করছেন, নিজেকে অন্যের থেকে ভালো ভাবছেন!

আপনার চোখ মুখ নাক ঠোট, বিশ্বাস, ফিলোসফি কোন একটা জায়গায় ইগো নামের অসুখের ঘুণ পোকা এসে জুড়ে বসেছে!

অসুখ আপনার মস্তিষ্কে আসন গেড়েছে প্রিয়।

মুক্তির উপায়?
পূর্ণ মুক্তির উপায় আসলে নাই।
কিছুটা কমানো যায়।

জীবনকে কম গুরুত্ব দিয়ে, জীবন যে অনিশ্চিত, এবং একেবারেই ক্ষুদ্র সেই ভাবনাটা আনা যায়।

ভাবা যায়, মৃত্যু সবচেয়ে বড় সত্য!
ভাবা যায়, একটা একক মানুষ আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছুনা।

পরিবার গোষ্ঠি, জাত পাত, এসব বড় অহেতুক এক পরিচয়!
মানুষ সবাই সমান, সবাই গুরুত্বপূর্ণ,
সবাই এক মহা যজ্ঞের অতি অতি ক্ষুদ্র এক রঙিন বাবল!

আমার পেছনে বিলিয়ন মানুষ ফুরিয়ে গেছে,
সামনে বিলিয়ন আসবে বলে অপেক্ষা করছে!

আমি?
আমাকে কে চেনে!
চিনলেই বা কি!

লেখা - ইমরোল কায়েস

22/11/2021

অনেক আবেগী ও সেনসেটিভ জেদী মনের মেয়ে গুলোর মন জয় করা সহজ । যদিও তারা শক্ত মনের হয় কিন্তু যদি কোন মতে তাদের কে একবার যদি আপনি আপনার কথার মায়ায় তাকে ফেলতে পারেন তবে আপনি জিতে গেলেন ।ওই মেয়ে গুলো কারো চেহারা ও ইনকাম দেখে প্রেমে পরে না । এরা হয় একা ,তাদের বন্ধু বান্ধব থাকলেও ও অনেক চুজ করে বন্ধুত্ব তৈরী করে , কারন তারা জানে সব মানুষের সাথে সমান ভাইভসে মিশতে সে পারবে না । কিন্তু এই একাকীত্বের দেয়াল ভেঙ্গে তাদেরকে একবার আপনার ভালবাসার মায়া জালে ফেলছেন কি ,তবে বলব আপনি জিতছেন ভাই জিতছেন , কারন তার মত লয়্যাল ও কেয়ারিং একটা মেয়ে আপনার জীবনে চলে আসল । অতএব তাকে পেয়ে গেছেন চিন্তা নাই এবার যা খুশি তার সাথে করা যেতে পারে । তাকে এবার যে ভাবে খুশি খু* করেন । ধরেন সে আপনার অপেক্ষায়ই থাকবে তাকে উপেক্ষা করা শুরু করেন । সে আপনার সময় পাওয়ার জন্য সব ছেরে প্রায়োরিটির লিষ্টে আপনাকে প্রথমে রাখবে ,কোন চিন্তা করবেন না , আরামছে তাকে আপনার প্রায়োরিটির শেষ জায়গায় রাখেন তারপর ও সে তো ছেরে যাবেনা । মাঝে মাঝে ফোন অফ করে মাইন্ড গেইম খেলতে পারেন কোন সমস্যা নাই আপনি প্রতিবারই জিতবেন নিশ্চিত থাকেন । আহা এত কষ্ট করে তাকে জয় করছেন আপনার তো এই জয় করাটা উপভোগ করা উচিত তাইনা ? সে কান্না করুক ,মরুক কষ্ট পেয়ে পেয়ে নিজেকে ফাগুনের চাঁদের মত আপনার আকাশে ঝুলিয়ে রাখুক ওটা তার ব্যাপার ।তার মত ইমোশনাল বোকা মেয়ের এটাই শাস্তি হওয়া উচিত । ঈশ*র কেন তার হৃদয় দিয়ে ভাবনার শক্তি দিছে এটা হল এসমস্ত মেয়ে গুলোর শাস্তি । সে অন্য দশটা মেয়ের মত কখন ও বলবে না দামী গিফটের জন্য , বাহিরে ভাল কোন রেস্টুরেন্টে ডেট করার জন্য , কোন শাড়ী ,গহনা কিনে দিতে,বলবে না ।টাকা পয়সা দিয়ে তাকে হ্যাপী করতে পারবেন না । তাহলে চাইবে টা কি ? হূম সে আপনার কাছে অনেক দামী কিছু চাইবে তা হলো আপনার সময় ও কেয়ার এবং লয়্যালিটি কিন্তু আপনি তা ও দিতে পারবেন না ।তা না দিলেও মন খারাপ করবে , কিন্তু ছ্যাচরা মত তারপরও পরে রইবে ।তবে এ সমস্ত মেয়ে গুলোর প্রতিদিনই ম** উচিত আমি মনে করি। আপনার মাঝে মাঝে মনে হবে কি প্যারারে বাবা !! কি আজিব এক ধরনের মে*য়ে মানুষ এরা।হূদাই ঝামেলা পোহাতে শখ করেছি ।
হ্যা তারা প্যারা কারন তারা পোষাক বদলের মত ভালবাসা বদল করেনা । তারা আধুনিক লেবাসে নব্বই দশকের প্রেমিকা হয়ে থাকে ।সাত হাজার বিলিয়ন মানুষের মাঝে আপনাকে চুজ করে বসে থাকে । নিজে কষ্টে পুড়ে গেলেও আপনাকে সে আলোকিত করতে ভূলবে না ।
আপনি ছেরে গেলেও সে ঠায় বসে থাকবে আপনার প্রতিক্ষায় । সে নিজে ঠকবে কিন্তু জিতিয়ে দিবে আপনাকে। এরকম পাইলে আপনি জিতছেন ভাই 🖤

~মাসুমা ইসলাম নদী

Photos from Owcreation.com's post 08/11/2021

For pre- order
If you choose any colour or any design.
Please knock us inbox.

04/11/2021

আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।

অর্থঃ
হে আল্লাহ্! আপনি শান্তিময় এবং আপনা হতেই শান্তি উৎসারিত হয়। আপনি বরকতময় হে মহান ও সম্মানের অধিকারী ।

Photos from Owcreation.com's post 27/10/2021

আলহামদুলিল্লাহ
বারাকাল্লাহু ফীহ

07/10/2021

♻️চলুন আজকে একটি চমৎকার শিক্ষণীয় গল্প শোনা যাক♻️

বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নতুন অধ্যাপক তাঁর ক্লাস নিতে শুরু করলেন। যে মুহুর্তে তিনি পড়ানোর জন্যে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে ঝুঁকলেন, সেই সময় ছাত্রদের মধ্যে কেউ একজন হঠাৎ করেই সিনেমা হলের মতো জোরে শিস বাজালো।

অধ্যাপক ঘুরে ক্লাসের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কে, কে শিস দিয়েছে? কে সিটি মারলো?

কেউ উত্তর দিলোনা। সবাই চুপ। সবাই এমন ভাব করেছে যেন কেউ কিছু শুনেনি বা দেখেনি।

অধ্যাপক শান্তভাবে চকটি টেবিলে রেখে বললেন, আজ আর লেকচার দেবোনা। তবে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি গল্প শোনাব তেমাদের।

সবাই আগ্রহী হয়ে নড়ে চড়ে বসলো। অধ্যাপক গল্প শুরু করলেন।

গতকাল রাতে আমি ঘুমানোর জন্য খুব চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ঘুম আমার চোখ থেকে কয়েক মাইল দূরে আছে মনে হলো। ভাবলাম, ঘুম যখন আসছেনা আমার গাড়িতে রাতে পেট্রোল ভরে রাখি। যা কাল সকালের ভিড়ে আমার সময় বাঁচাবে এবং তারপর নির্বিঘ্নে আমি ঘুমাতেও পারবো।

গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে ট্যাংকটি পরিপূর্ণ করে নেয়ার পরে দেখি পুরো রাস্তা খালি। চারিদিকে ঠান্ডা বাতাস, আকাশে হালকা মেঘের আড়ালে আধো চাঁদ। তাই ভাবলাম একটু আশেপাশে ঘুরেই আসি।

একটু সামনে অগ্রসর হতেই হঠাৎ রাস্তার পাশের এক কোণে আমি একজন ভদ্রবেশী তরুণী মেয়েকে দেখলাম। আলো আঁধারিতে দাঁড়িয়ে আছেন অসহায় ভাবে। যেই রকম সুন্দরী সেই রকম সুন্দর পোশাক তাঁর! পোশাকটি দেখে মনে হচ্ছিলো তাঁর রূপের সঙ্গে ম্যাচ করে কোন নিপুণ শিল্পী এটি বানিয়েছেন! নিশ্চয়ই কোনও পার্টি থেকে ফিরছেন তিনি। আমি চোখ ফেরাতে পারছিলাম না! প্রথম নজরেই প্রেমে পড়ে গেলাম।

সৌজন্যতা বোধ হারিয়ে আমি আমার গাড়িটি ঘুরিয়ে তাঁর পাশে থামাই। গাড়ির কাচ নামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'আমি কি কোনো সহায়তা করতে পারি আপনাকে? যদি কোন সাহায্য করতে পারি তবে বলুন।'

তরুণীটি হেসে উঠলো সলজ্জভাবে। তাঁর শুভ্র দন্তরাজীর ঝিলিক দেখে মনে হলো, যেন সন্ধ্যাতারা রাস্তার কোণ জুড়ে নেমে এসেছে।

তিনি মৃদু হেসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'আমি কি তাকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারি? তাঁর গাড়িটি আসবেনা কারণ স্টার্ট নিচ্ছেনা বলে জানিয়েছে তাঁর ড্রাইভার। আর সে কোন ট্যাক্সিও পাচ্ছেনা অনেক্ষণ ধরে।

আমার হার্টবিট বেড়ে গেলো। আমি গাড়ি থেকে নেমে তাকে আমার সামনের দরজা খুলে দিলাম। তিনি আমার সাথে সামনের সিটেই বসলেন সানন্দে।

অতঃপর আমি তাকে নিজের পরিচয় জানিয়ে বললাম, আমি আপনাদের এলাকারই পাশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

উনি উনার পরিচয় জানালেন। আমরা কথা বলতে শুরু করলাম এবং অবাক হয়ে দেখলাম তিনি খুবই বুদ্ধিমতী! বিভিন্ন ধরণের টপিক নিয়ে আলোচনা করার পর বুঝলাম; সবগুলো বিষয়ের উপরই তাঁর প্রভুত জ্ঞান আছে। যা আজকালকার অনেক যুবকেরই নেই।

অনেক দূরে তাঁর ঠিকানায় যখন পৌঁছলাম, তিনি আমার বিনয় প্রকৃতি ও সুন্দর আচরণের প্রশংসা করে বললেন, আমরা দুজনেই মুক্ত মনের মানুষ। আমাদের আবার দেখা হতে পারে। এবং লজ্জাবতী পাতার মতো গুটিয়ে না গিয়ে বলেই ফেললেন, আমার মতো একজন যুবক ছিল তাঁর কল্পনায়। রাখঢাক না করেই জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি বিবাহিত? আমি বুঝে ফেললাম, তিনিও প্রথম দর্শনেই আমার প্রেমে পড়েছেন।

আমি বললাম, আপনার অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে প্রথমেই আমি গাড়ি ঘুরিয়েছিলাম। এই রকম একজন রাজকন্যার স্বপ্ন আমি দেখতাম, যে দেখতে ঠিক আপনার মতো হবে এবং আমি ভাবতাম তাকেই আমি বিয়ে করবো। তারপর আপনার জ্ঞান, বুদ্ধি ও কথার গভীরতা শুনে আমি খোলাখুলি বলছি, ইতিমধ্যে আমিও আপনার গভীর প্রেমে পড়ে গেছি।

মেয়েটি বললো, আসুন আমাদের এপার্টমেন্টে। চা খাবেন ও আরো কিছুক্ষন গল্প করা যাবে।

প্রেম যখন প্রকাশিত হয়েই গেছে দুই তরফে, তাহলে আর দ্বিধা রেখে লাভ কি। ওর বাসার ভেতরে চলে গেলাম।

আরো কিছুক্ষণ গল্প করে বিদায় নেয়ার সময় সে আমাকে বললো, শুনুন, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করেছেন, আমার ভাই সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। মানে আপনারই ছাত্র হবে। যদিও সে এখন বাসায় নেই। আপনি ওর দিকে একটু খেয়াল রাখবেন যেন ঠিকমতো পড়াশুনা করে। এখন থেকে আমাদের মধ্যে যেহেতু একটি সুন্দর সম্পর্ক হয়ে গেছে সেহেতু এটি আপনার দায়িত্ব হয়ে গেল।

আমি বললাম, তোমার ভাইয়ের নাম কি?

আমার নব্য প্রেমিকা বললো, আপনি আর আমি পরস্পরকে আমাদের প্রখর বুদ্ধিমত্তার কারণে স্বল্প সময়ে ভালোবেসে ফেলেছি। আপনি আপনার বুদ্ধি দিয়ে খুঁজে বের করবেন তাকে। তাই আমি তাঁর নাম বলছি না। তবে আমার ভাইয়ের একটা বৈশিষ্ট আছে যা দিয়ে আপনি তাকে চিনতে পারবে।

বললাম, আচ্ছা। তাহলে বলো কি সেই বৈশিষ্ট?

আমার প্রেমিকা বললো, সে প্রায়ই হঠাৎ জোরে শিস দেয়!

পুরো ক্লাসের সমস্ত চোখ তৎক্ষণাৎ যে ছেলেটি শিস দিয়েছিল তাঁর দিকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকিয়ে রইলো।

অধ্যাপক ধীরে ধীরে চকটি আবার হাতে উঠিয়ে নিয়ে গম্ভীর স্বরে বললেন: "মনোবিজ্ঞানে আমার পিএইচডি ডিগ্রিটি আমি কিনিনি, আমি এটি অর্জন করেছি।"

মূল থিম: বিজ্ঞ অধ্যাপক একটি কাল্পনিক গল্পের মাধ্যমে ক্লাসে শিস দেয়া ছাত্রটিকে খুঁজে বের করলেন।

@নোমান ফারুক
অধ্যাপক, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Want your business to be the top-listed Clothing Store in Chittagong?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Our Story

মানুষের পোশাক পরিধানে বরাবরই রুচির ব্যপারটা চলে আসে ৷ অতীতে ফিরে গেলেও আমরা দেখতে পাই মানুষ তার নিজের ড্রেসআপে বেশ আধুনিকতার আবেশ রাখতেই পছন্দ করে৷ তাই তো যুগে যুগে ফ্যাশন স্টাইল পরিবর্তন হয়েছে বারবার। মানুষও নিত্য নতুন ফ্যাশনের সাথে থাকতে চায় আপডেটেড। একটু কষ্ট হলেও পছন্দের নতুন পোশাক যেনো কেনা চাই চাই।

কিন্তু বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে অনেকেই সময় পান না মার্কেট ঘুরে ঘুরে নিত্য নতুন কি কি ড্রেস আছে তা দেখে কেনার। তাই বলে কি কেনাকাটা থেমে যাবে? না, থামবে না ৷ কারণ চীনের প্রবাদ প্রচলিত আছে প্রথমে সমস্যা তারপরে সমাধান!

অনলাইনের যুগে অনলাইন শপিং হচ্ছে আপনার ব্যস্ত জীবনে কেনাকাটা করার সমস্যাটির এক সহজ সমাধান। O&W fashion with fusion ঠিক এমনই একটি অনলাইন শপ যেখানে আপনি পাবেন বিভিন্ন রকমের পছন্দের পোশাক৷ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানের ফ্যাশনকে বিবেচনা করে O & W fashion with fusion সবসময় ট্রেন্ডি ড্রেস কালেক্ট করে থাকে৷

আমাদের শপে শুধু মেয়েদের ড্রেস স্টোর করা থাকে যেমন মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের জামা কাপড় যেমন সালোয়ার কামিজ, শাড়ী, টপস, পেন্ট, টি শার্ট, শার্টস, হিজাব, বোরকা সহ গ্রাহকের পছন্দ মতো নিত্য নতুন ড্রেস এখানে পাওয়া যায় সুলভ মূল্যে৷

Videos (show all)

আসসালামু আলাইকুম সবাইকে O&W fashion with fusion এর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানাই।

Telephone

Address


Chittagong
4203

Other Women's clothes shops in Chittagong (show all)
Little Angle Little Angle
Agrabad
Chittagong, 4100

All kinds of ladies items

Jannatul naima Jannatul naima
Patiya
Chittagong

Let's welcome.

A&A Closet A&A Closet
City Gate, Firozshah
Chittagong, 4207

A&A Closet দিচ্ছে সকল প্রকারের মেয়েদের থ্র?

খিড়কি - Khirki খিড়কি - Khirki
Khulshi
Chittagong

Khirki is one of the fastest growing Men & Women Clothes E-Shop in Bangladesh.

Ladies Fashion BD Ladies Fashion BD
শিকারপুর, হাটহাজারি ( Shikarpur, Hathazari)
Chittagong

All ladies items available here. Quality is our first priority

NOOR’s NOOR’s
Chittagong

Good value for your money with quality products

Samadh Collection Samadh Collection
Halishahar
Chittagong

Sister's zone Sister's zone
VIP Tower, Kazir Dewri
Chittagong

We offer wide collection of women's fashion clothing in a reasonable price.

Dream World Dream World
Chittagong

We are completely online base page from Chittagong. We are 100% committed to provide the best to our valuable customers. Please inbox your query if you like anything to buy. We'll ...

WAHI Clothing Store WAHI Clothing Store
Chalk Bazar
Chittagong

This is the page where you will get all kinds of Islamic dresses and other clothes.

Trendy Outfit Trendy Outfit
Chattogram
Chittagong

আসসালমুআলাইকুম। আমরা সল্প মূল্যে পাইকারি ও খুচরা দিয়ে থাকি।

মৈত্রী-Maitri মৈত্রী-Maitri
Chittagong, 4000

Fashion is what you buy; Style is what you do with it.