আশ শেফা মধুঘর
১৯৮৮ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠ?
বাংলাদেশের মধুর ব্যবসার জগতে বহু পুরোনো একটি নাম আশ শেফা মধুঘর। প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল মোনয়েম হাজী।
তিনি জামালপুরের বক্সীগন্জের এক অন্যতম সম্ভ্রান্ত ও বনেদী পরিবারের সন্তান, ১৯৮৮ সালে ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেইটে দৈনিক সংগ্রাম অফিসের পাশে প্রতিষ্ঠা করেন আশ শেফার প্রথম শো-রুম এবং চট্টগ্রামের দেওয়ানবাজার দীদার মার্কেটের বিপরীতে দেওয়ানজী পুকুর লেইন এর বিআইএ মসজিদ কমপ্লেক্স- এ এটির দ্বিতীয় শো
আমাদের মধুর দামের আপডেট,
November: 01 থেকেঃ
আমাদের কাছে এখন যে মধু গুলো আছে,
(মুল্য সহ)ঃ
১. কালোজিরা ফুলের মধু, ১৫-২০% ধনিয়া মিক্স হবেঃ ১০০০/- কেজী
২. সুন্দরবনের খলসে ফুলের মধুঃ ১৪০০/- কেজী।
৪. সুন্দরবনের চাকের মধুঃ ১২০০/- কেজী,
৫. লিচু ফুলের মধুঃ ৭০০/- কেজী,
৬. সরিষা ফুলের মধুঃ ৫০০/- কেজী (২২ তারিখে আসবে),
৭. তাল ফুলের মধুঃ ৪০০০/- কেজী,
১১. আশ শেফা স্পেশাল (সকল ফুলের মধুর সমপরিমান মিশ্রন)ঃ ১২০০/- কেজী)
* কুরিয়ার খরচ আলাদা।
সরিষা মধু নিয়ে একটা ব্যাপার বরাবরই আমার খুব অবাক লাগে।
গুনে মানে মধুটা কালজিরা, সুন্দরবনের মতো বাঘা বাঘা মধুকে টেক্কা দেবার মতোই। কিন্তু ভোক্তাদের কাছে এটা একেবারেই আন্ডাররেটেড।
অথচ মধুটা গ্লুকোজ আর ফ্রুক্টোজে ভরপুর। এটা এমনই মধু যার মধ্যে মধ্যে শর্করার ঘনত্বের জন্য কোন জীবাণু ১ ঘণ্টাও বাঁচতে পারে না। সাধারনত মধুতে প্রচুর মিনারেলস থাকলেও ভিটামিনস তেমন একটা থাকে না, কিন্তু একেবারেই কোলেস্টেরলমুক্ত এ মধুটা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি আর সি ধারন করে। শীতের সিজনে বাংলাদেশে এটা এতো বেশী পরিমানে উৎপাদিত হয় যে দেশের সারা বছরের চাহিদা পুরন করে।
মধুটা আন্ডাররেটেড হবার মূল কারন হলো, এটা জমে যায়। মধুটা ঘন হোক বা পাতলা হক- এটা সারা বছরই জমে থাকে। ঘন-পাতলা এবং তাপমাত্রার উপরে নির্ভর করে সম্পূর্ণ মধু জমে একেবারে ক্রিম এর মতো সাদা হয়ে থাকে।
মুলত জমে যাওয়ার কারনেই মধুট্ ভোক্তাদের সন্দেহের তালিকায় প্রথম সারিতে থাকে।
এই অমূলক সন্দেহের জন্য ভোক্তাদের অজ্ঞতাকে দায়ী করার আগে আমি ব্যবসায়ীদেরই দায়ী করব আগে।
কারন দেশের অধিকাংশ মধু ব্যবসায়ী হয় এ মধুটার ব্যাপারে হয় নিজেই ভীতু আর না হয় ধান্দাবাজ।
ভীতু বলতে মধুটার ব্যাপারে কাষ্টমারদের ভয় পায়, বোঝাতে চেষ্টা করে না। এটার জমে যাবার প্রবনতা সম্বন্ধে বলতে চায় না। যদি কাষ্টমার সন্দেহ করে? কারন এরা নিজেরাও বোঝে না মধু দুটা কেন জমে যায়, কাষ্টমারদেরও বোঝাতে পারে না, ফলে এরা সহজ রাস্তাটা বেছে নেয়, মধুর ব্যবসা করে সরিষা আর ধনিয়া এই দুই মধুটা বাদ দিয়ে। এমনকি উল্টা কাষ্টমারদের মধু দেয়ার সময় সেধে সেধে বলে আমার মধু জমবে না, সুন্দরবনের মধু দিয়ে বলে, এটা ফ্রীজে রাখলেও জমবে না। তার মানে কি? যে মধু জমে সেটা ভেজাল? এমনকি এরা ফেসবুকে বিজ্ঞাপনও দেয় এই কথা বলে। কি হৃদয়বিদারক ব্যাপার!
আর ধান্দাবাজ ব্যবসায়ীরা হলো জ্ঞানপাপী। এরা সরিষা মধুর সিজনে খামার ধরে পুরা মধু লটে কিনে নিয়ে প্রসেস করে মধুটার জলীয় অংশ বের করে ফেলে, ফলে এটা আর জমে না। আর সিজনের পরে গিয়ে যখন মধুটা আর কারোও কাছে থাকে না তখন নানান আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপনে, যেমন দুই কেজী মাত্র ৬০০, এত কেজী কিনলে আরেক কেজী ফ্রি, ডেলিভারী চার্জ ফ্রি ইত্যাদি অফারে প্রতি কেজী তিনশ দরে বিক্রি করে, লট ধরে দু চারটা খামারীর সমস্ত মধু কিনে নেবার কারনে প্রতি কেজী কেনা পড়েছ একশ/ দেড়শ করে। ডাবল লাভ, আবার প্রসেস করার ফলে জমাজমির কোন কারবার থাকে না! দেশের আরেক জ্ঞানপাপী গলাকাটা ব্যবসায়ী হলো সবার পরিচিত সেই সদা অস্থির মার্কেটার, আরেক কাঠি বাড়া। গত শীতে এই সরিষা মধু নিয়ে সে এমন একটা স্ক্যাম করে, অনেক বাঘা মধু ব্যবসায়ীরাও প্রথম প্রথম তার স্ক্যাম ধরতে পারে নাই। জমাট সরিষা ব্রেন্ডারে ব্লেন্ড করে একেবারে দুধের ক্রীমের মতো বানিয়ে ক্রীম হানি বলে বাজারে ছেড়ে দিয়ে একই মধু বিক্রি করে ১০০০/- কেজীতে। কাষ্টমাররা ভাবে এটা মনে হয় আনকোরা নতুন কোন মধু, অথবা দুধের ক্রীম।মেশানো বোধহয়, অথচ এটা ছিল আগাগোড়া ১০০% সরিষা ফুলের মধু! পরে অন্য মধু ব্যবসায়ীরা বুঝতে পেরে তারাও একই মধু বাজারে আনে ৫০০ টাকা কেজী করে, ততক্ষনে অস্থির মার্কেটার ব্যবসা করে পগাড়পাড়। ওই শেষ। এবারও যদি সে ক্রিম হানি নিয়ে আসে হাজার টাকা কেজীতে, গতবারের ডাবল দামে কিনে ধরা খাওয়া কাষ্টমারদের গালি খেয়েই পগাড়পাড় হতে হবে তাকে।
যা হোক, যেটা বলছিলাম সরিষা মধু নিয়ে যে একটা ব্যাপার বরাবরই আমার অবাক লাগে সেটা হলো মধুর জমাটবদ্ধতার কথা শুনে চোখ কপালে তুলে ফেলার মতো মার্কেটে একদল কাষ্টমার সবসময়ই থাকেন। ভীতু আর ধান্দাবাজ ছাড়াও অনেক সৎ পরিশ্রমী আমানতদার আন্তরিক ও জ্ঞানী মধু ব্যবসায়ী আছেন যারা কাষ্টমারদের মধুর এই জমাটবাধার বিষয়টাকে যথাযথ আন্তরিকতা উদ্দ্যেগ সহকারে বৈজ্ঞানিক কারন সহ সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে থাকেন নিরলসভাবে। লেখালেখি করেন, ভিডিও বানান, সাইটে আর্টিকেল লিখেন।
তা সত্বেও আজ থেকে ২৫/ ৩০ বছর আগেও সরিষা ফুলের মধু জমাট বাঁধে শুনে অনেক ক্রেতাকে যেমন চক্ষু কপালে তুলতে দেখতাম, আজও ঠিক তেমনই দেখি।
তাহলে এই একটানা ২৫/ ৩০ বছর ধরে মধুর জমাটবাধা নিয়ে যে ক্রেতাদের সচেতন করে আসছি, প্রতিবছর তারা যায় কই? নাকি বাজারে প্রতিবার নতুন করে অজ্ঞ ক্রেতা তৈরি হয়?
অবাক লাগে এটাই।
পরিশেষে বলব, সরিষা মধু যতই জমাট বাধুক, আপনি একে আপন করে নেন। শীতকালে ( অন্য সময় না কিন্তু) সরিষার ননপ্রসেস র মধুটা নিজে খান, পরিবারে বুড়ো থেকে বাচ্চা, নারী সবাইকে নিয়ে খান, সে আপনাদের সবার উপকার করে জমিয়ে দিবে একেবারে, ১০০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বললাম।।
🥰
✅
😎
মনে করেন অনেক ক্ষিদা লাগছে। কিন্তু এতো তাড়াহুড়ায় আছেন সময় নিয়ে কিছু খাবার খাওয়ারও সময় নেই, দেরী হয়ে যাবে।
তখন হাতের কাছে একটা বনরুটি পেলেন।
তাতে প্রচুর পরিমান লিচু ফুলের মধু মেখে খেয়ে নিন। এক গ্লাস পানি খান।
ব্যাস্। সকাল নটায় খেলে একেবারে দুপুরের লান্চ পর্যন্ত নিশ্চিত। রুটিটা পেট কে ঠান্ডা রাখবে, মধুটা ব্রেইন আর শরীর কে।
আস্ত এনার্জী বুস্টার একটা🙂
এই যে ধরেন কারোও বয়েস ৪২, তারপরও দেখতে আমার মতো ২৫/৩০ দেখায়, এর রহস্য কি জানেন?
মধু আর কাঠবাদাম। চামড়ায় যৌবন ধরে রাখতে কাঠবাদামের আন্তর্জাতিক সুনাম আছে।
প্রতিদিন সকালে ৬/৮ টা করে লাইফটাইম চালায়ে যান।
সারা রাত ভিজিয়ে রাখবেন, শিশু থেকে বুড়ো সবাই সকালে মধু দিয়ে মজা করে খাবেন।।
আমাদের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে ইদ উল আযহা- ২০২৩ এর শোনিত শুভেচ্ছা।
ইদ মোবারক🥰
Alhamdulillah🥰
অপার রহমত ও অশেষ বরকতে ভরে উঠুক সবার জীবন, আশ শেফা পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে ইদ উল ফিতর এর নির্মল শুভেচ্ছা- ইদ মোবারক।
www.ashshefa.com
বিজ্ঞানীদের গবেষনার আলোকে মানবশরীরে (পর্যায়ক্রমে মাথার চুল হতে পায়ের নখ পর্যন্ত) মধুর নিরাময় ক্ষমতার স্বরুপ উদঘাটনঃ
-----------------------------------------------------------------
পর্ব- ১
মাথার চুলঃ
------------------
এ প্রসঙ্গে সাইন্টিস্টদের যাবতীয় গবেষনা দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
ক) নতুন চুল গজানো প্রসঙ্গে, বিশেষ করে টাক মাথায়।
খ) চুল পড়া রোধে ও চুলের স্বাস্হ্যরক্ষায়।
ক) টাক মাথায় নতুন চুল গজানো প্রসঙ্গেঃ
প্রথমেই বলে রাখা ভাল, মধু মাথায় নতুন চুলের বৃদ্ধি উদ্দীপিত করতে পারে - এমন কোন শক্তিশালী প্রমাণ বিজ্ঞানীদের হাতে এখন পর্যন্ত আসে নাই। কিন্তু তারা থেমে থাকেন নাই। টাক লোকদের মাথায় নতুন চুল গজাতে পারে এই দাবির সমর্থনে তারা সীমিত হলেও কিছু বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি হাজির করেছেন। যেমনঃ
> ১৯৮১ সালের বাগদাদ কলেজ অফ মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক বর্তমানে নিউ ইয়র্ক অধিবাসী ৪২ বৎসর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন "ডাঃ নুরি সিরাজ দাউদ আল-ওয়াইল" হলেন একজন বাঘা চিকিৎসা বিজ্ঞানী। নেফ্রোলজী ও হাইপারটেনশন, অলটারনেটিভ মেডিসিন, ঔন্ড কেয়ার, হাইপারবেরিক মেডিসিন, ইন্টারনাল মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ, বিকল্প ঔষধ ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক ক্লিনিক্যাল দক্ষতা সম্পন্ন এই সায়েন্টিস্ট এর ক্লিনিকাল, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়োমেডিকাল সায়েন্সের বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সব মেডিকেল এবং বায়োমেডিকাল জার্নালে আজ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে ২০০ টিরও অধিক সায়েন্টিফিক জার্নাল।
ইনার তত্বাবধানে আমেরিকার কানেক্টিকাট প্রদেশের ইউনিভার্সিটি অফ কানেকটিকাট স্কুল অফ মেডিসিনের মেডিসিন বিভাগ, হাইপারটেনশন এবং ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজি বিভাগীয় প্রধান "ডা. ইউসরা আনিস আনোয়ার", নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার, ইউনিভার্সিটি অফ গ্রোনিংজেনের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর, "ড. আলী আল মুবারক", জর্ডানের আল-বালকা ফলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ উৎপাদন ও সুরক্ষা বিভাগের প্রফেসর "ডা. আল আব্বেদী", জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেন্টিস্ট্রি এবং ডেন্টিস্ট্রিতে স্নাতক, আন্তর্জাতিক খ্যতিসম্প দন্তচিকিৎসক "ডা. ইয়াসমিন আল আত্তার" এ চারজন মিলে ২০১৬ সালে "জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজি"- তে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন যার শিরোনাম "Investigating the effects of a natural honey extract on improving the quality of life, sleep and fatigue in female patients with chronic mild-to-moderate alopecia: A pilot study." (১)
এ গবেষনাপত্রে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যেঃ "মধু এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত চুলের টনিক সাধারন চিকিৎসার তুলনায় পাতলা চুলের মহিলাদের চুলের ঘনত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করে।"
তবে যেহেতু তাদের এই গবেষনা ছিল নিয়ন্ত্রিত, র্যান্ডমাইজড, এবং এখানে মধুর সাথে অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানও যুক্ত ছিল, তাই এটা এখনও অধিকতর গবেষনার দাবী রাখে।
> ইন্ডিয়ার কোলাপুরের শিবাজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক "ডাঃ শচীন এম প্যাটেল" (M.Sc.Ph.D.NPDF), আর পুনে, মহারাষ্ট্রের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির নামকরা সায়েন্টিস্ট "ডাঃ গজানন এন. সাপকাল"- এ দুজন মানুষের টাক মাথায় চুল গজানোর বিষয়ে ব্যাপক ও বহুমুখী গবেষনা করেছেন। এ বিষয়ে দুজনেরই প্রচুর সায়েন্টিফিক জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৭ সালে এই দুজন মিলে "জার্নাল অফ ফার্মাকোগনোসি অ্যান্ড ফাইটোকেমিস্ট্রি"-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন যার শিরোনামঃ "Evaluation of hair growth promoting activity of a topical preparation containing honey and onion juice in male wistar albino rats." (২)
এ গবেষণায় তারা দুজন পুরুষ ইঁদুরের চুলের বৃদ্ধিতে মধু এবং পেঁয়াজের রস মিলিয়ে তৈরি একটি বিশেষ ট্রপিক্যাল আরকের প্রভাব পরীক্ষা করেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে ঐ বিশেষ ট্রপিক্যাল আরকটি অন্য আরেকটি বিশেষ নিয়ন্ত্রিত গ্রুপের ঔষধের তুলনায় চুলের বৃদ্ধি এবং ফলিকলের আকার বাড়িয়েছে।
তবে, এক্ষেত্রে কথা হলো যে অন্যান্য প্রাণীর ওপর গবেষনার ফলাফল সবসময় মানুষের শরীরে সমানভাবে বা একইভাবে কাজ নাও করতে পারে এবং মানুষের মধ্যে এসবের ফলাফলগুলি নিশ্চিত করার জন্য আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন।
> "ড. ব্রুনো বারল্যান্ডো" হলেন "Herbal Principles in Cosmetics: Properties and Mechanisms of Action (Traditional Herbal Medicines for Modern Times)"- নামক বিখ্যাত বই এর লেখক, ইতালির অ্যালেসান্দ্রিয়া, পিমন্টে ওরিয়েন্টাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলজির অধ্যাপক,
ইউনিভার্সিটি অফ জেনোভার স্কুল অফ মেডিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সের ডিপার্টমেন্ট অফ ফার্মাসি ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজিস ইউনিট, সহযোগী অধ্যাপক। ফিজিওলজির এই অধ্যাপক
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোষ জীববিজ্ঞানের গবেষণা অধ্যয়নের সাথে জড়িত, অন্তঃকোষীয় ক্যালসিয়াম ডায়নামিক্স এবং রেডক্স সেল সিস্টেম, সেলুলার এবং বহুকোষী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় লুপ গতিবিদ্যার অধ্যয়নের ওপর বহুমুখী গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই ভদ্রলোক একই ইউনিভার্সিটির আরেকজন সিনিয়র গবেষক, পিয়ার-রিভিউতে ৮৫ টিরও বেশি গবেষণাপত্রের লেখক, পৃথিবী, পরিবেশ ও জীবন বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক "লরা কর্নারা"র সাথে ২০২১ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজিতে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন যার শিরোনাম ছিলোঃ "Effectiveness of a hair serum containing honey and natural ingredients on hair growth in women with androgenetic alopecia."(৩)
এ গবেষণায় তারা দুজন একটি অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া (চুল পড়ার একটি সাধারণ রূপ) তে আক্রান্ত মহিলাদের চুলের বৃদ্ধিতে মধু এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান যুক্ত একটি বিশেষ হেয়ার সিরামের কার্যকারিতা তদন্ত করেন।
তাদের তদন্তে দেখা যায়, সিরামটি ১২-সপ্তাহের সময়কালে চুলের ঘনত্ব, এবং বৃদ্ধির হার উন্নত করতে কার্যকর ছিল।
সমস্যা হলো, এই গবেষণায় মধুর প্রভাবগুলিকে বিশেষভাবে আলাদা করে পরীক্ষা করা হয়নি এবং এই সূত্রে মধুর সঠিক ভূমিকা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
সুতরাং বলা যায়, কোন কারনে মাথার চুল পড়ে গেলে মধু মেখে সেটা গজানোর কোন পন্থাই এখনও কার্যকর প্রমানিত হয় নাই অথবা এ বিষয়ে আরোও গবেষনা বাকী। সায়েন্টিস্টরা আপাতত এতটুকুই আশাবাদ ব্যক্ত করেন যেহেতু মাথার ত্বকে মধু প্রয়োগ চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, সেহেতু মধু পরোক্ষভাবে চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করলেও করতে পারে। আর মানুষের মাথার চুল পড়ার অনেক অন্তর্নিহিত কারণ থাকতে পারে যেগুলো চিকিৎসা করা হলে এ সমস্যা এমনিতেই মিটে যেতে পারে। পাশাপাশি আমরা চুল গজানোর ক্ষেত্রে মধু ব্যপারে আশাবাদী থেকে চুলে এর ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারি।
খ. চুল পড়া রোধে ও চুলের স্বাস্হ্যরক্ষায়ঃ
সাম্প্রতিক গবেষণায় এটা প্রমানিত যে মধু মানুষের চুলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এসব গবেষণায় মধুকে একটি কার্যকর "হিউমেক্ট্যান্ট" হিসাবে পাওয়া গেছে, যার অর্থ এটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, শুষ্কতা এবং ভাঙ্গা প্রতিরোধ করে। মধুতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং এনজাইম, যা দূষণ এবং অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে চুলকে রক্ষা করতে পারে। উপরন্তু, মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাথার ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে, যা চুলের ক্ষতি সাধন করে থাকে।
> ২০২০ সালে "জার্নাল অফ কসমেটিক সায়েন্স"-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মধুর নির্যাস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান সম্বলিত একটি চুলের চিকিৎসা চুলের শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং আর্দ্রতার মাত্রা উন্নত করে, পাশাপাশি চুলের ভাঙ্গাও হ্রাস করে। (৪)
> ২০২১ সালে "জার্নাল অফ ক্লিনিকাল অ্যান্ড অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজি"- তে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সরাসরি মাথার ত্বকে মধু প্রয়োগ করা চুলের ফলিকলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্যকর চুলের একটি প্রধান উপাদান কেরাটিন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে চুলের বৃদ্ধিকে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। (৫)
> ২০২১ সালে "জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজি"- তে প্রকাশিত একটি র্যান্ডামাইজড ও নিয়ন্ত্রিত একটি ট্রায়ালে গবেষকরা দেখতে পান যেঃ "মধুর সাময়িক প্রয়োগের ফলে অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়ায় আক্রান্ত মহিলা অংশগ্রহণকারীদের চুলের ঘনত্ব, এবং বৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পায়", যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সাথে যুক্ত এক ধরণের চুল পড়া রোগ। (৬)
> ২০২০ সালে "ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ট্রাইকোলজি"- তে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় কোঁকড়া চুলের মহিলাদের চুল ভাঙ্গা এবং স্থিতিস্থাপকতার উপর মধু এবং জলপাই তেলের প্রভাব তদন্ত করা হয়েছে। ফলাফলগুলি দেখায় যে মধু এবং জলপাই তেল চিকিৎসা উল্লেখযোগ্যভাবে চুল ভাঙ্গা হ্রাস করেছে এবং চুলের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করেছে। (৭)
> ২০১৯ সালে "জার্নাল অফ ট্র্যাডিশনাল অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন"- এ প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা নিবন্ধে চর্মরোগবিদ্যায় মধুর সম্ভাব্য থেরাপিউটিক প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে দাবী করা হয়ঃ "চুলের পুষ্টি ও হাইড্রেট করার ক্ষমতা রয়েছে"। (৮)
সুতরাং বলা যায়, মধু চুলের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে এমন প্রক্রিয়াগুলি সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য এবং চুলের যত্নের জন্য মধু ব্যবহারের সর্বোত্তম পদ্ধতিগুলি নির্ধারণের জন্য যদিও আরও গবেষণা প্রয়োজন, তবে ইতিমধ্যে আমরা ডোমেস্টিকভাবে মাথার চুলের স্ব্যাস্হ্য রক্ষায় আরোও নিশ্চিন্তে ও অধিকতর আত্মবিস্বাসের সাথে মধুর ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারি।
রেফারেন্সঃ
----------------
( ১). Al-Waili, N. S., Anwar, Y., Al-Attar, Y., Al-Mubarak, A., & Al-Abbadi, A. (2016). Investigating the effects of a natural honey extract (Honevo®) on improving the quality of life, sleep and fatigue in female patients with chronic mild-to-moderate alopecia: A pilot study. Journal of Cosmetic Dermatology, 15(4), 503-509. doi: 10.1111/jocd.12241.
(২). Patil SM, Sapkale GN. Evaluation of hair growth promoting activity of a topical preparation containing honey and onion juice in male wistar albino rats. Journal of Pharmacognosy and Phytochemistry. 2017;6(4):156-160.
(৩). Burlando, B., Cornara, L., & Garbarino, J. A. (2021). Effectiveness of a hair serum containing honey and natural ingredients on hair growth in women with androgenetic alopecia. Journal of Cosmetic Dermatology, 20(8), 2338-2345. doi: 10.1111/jocd.14277.
(৪). The study is titled "Effect of a Natural Complex Containing Honey Extract on Hair Strength, Moisture, and Elasticity" and was published in the Journal of Cosmetic Science in 2020. The authors of the study are B. A. Fonseca, C. A. Eloy, P. R. Tavares, and A. L. Fonseca.
(৫). The study published in the Journal of Clinical and Aesthetic Dermatology in 2021 is titled "Honey and its Applications in Dermatology: A Review" by Mahreen Arooj et al. The article discusses the potential benefits of using honey in dermatology, including its potential to promote hair growth by increasing blood circulation and stimulating the production of keratin. The article also provides an overview of the different ways in which honey can be used for hair care.
(৬). Almohanna, H. M., Ahmed, A. A., Tsatalis, J. P., & Tosti, A. (2021). The efficacy and safety of topical honey for the management of androgenic alopecia: a randomized controlled pilot study. Journal of Cosmetic Dermatology, 20(7), 2081-2087.
(৭). Olson, M. J., Liang, C., & Patel, S. P. (2020). The effects of honey and olive oil on hair breakage and elasticity in curly hair types. International Journal of Trichology, 12(4), 147-152.
(৮). Kazemi, E., & Siadat, A. H. (2019). Honey as a therapeutic agent in dermatology: A comprehensive review. Journal of Traditional and Complementary Medicine, 9(2), 121-127.
[ এ সঙ্ক্রান্ত সাম্প্রতিক গবেষণা এবং তাদের ফলাফলের আরেও কিছু উদাহরণ (ডাইরেক্ট লিংক):
> ২০২০ সালে "জার্নাল অফ কসমেটিক সায়েন্স"- এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যেঃ "মধুর নির্যাস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান সম্বলিত চুলের চিকিৎসা চুলের শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং আর্দ্রতার মাত্রা উন্নত করে, পাশাপাশি চুলের ভাঙ্গাও হ্রাস করে।" (সূত্র: https://pubmed.ncbi.nlm .nih.gov/32778014/)।
> ২০২১ সালে "জার্নাল অফ ক্লিনিকাল অ্যান্ড অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজি"- তে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যেঃ "সরাসরি মাথার ত্বকে মধু প্রয়োগ করা চুলের ফলিকলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্যকর চুলের একটি মূল উপাদান কেরাটিন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে" (উৎস : https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC8024481/)।
> ২০১৯ সালে "জার্নাল অফ ট্র্যাডিশনাল অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন"- এ প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা নিবন্ধে চর্মরোগবিদ্যায় মধুর সম্ভাব্য থেরাপিউটিক প্রয়োগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি, চুল পড়া রোধ এবং চুলের বৃদ্ধির জন্য চুলের যত্নে মধু দ্বারা প্রস্তত পণ্য ব্যবহার করা হয়েছিল। (সূত্র: https:// /www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6538371/)। ]
* নেক্সট পর্বে থাকবে বিজ্ঞানীদের গবেষনার আলোকে মানবশরীরে মধুর নিরাময় ক্ষমতার স্বরুপ উদঘাটনে শরীরের চামড়ার ওপর মধুর প্রভাব নিয়ে আলোচনা, ইনশাআল্লাহ।
যে বা যারা মানুষের এক যৌনসমস্যায় সবাইকেই পাইকারীদরে সমানে মধু গেলার পরামর্শ দেয়, বিশেষ করে অনলাইনে মধুকে শুধুমাত্র একটি আকর্ষনীয় যৌনখাদ্য হিসেবে প্রমোট করে, তাদের উদ্দেশ্য মোটেই মানুষের ভাল চাওয়া নয়। তাদের উদ্দেশ্য একটাই, শুধুমাত্র নিজ বা নিজেদের মধুর ব্যবসার প্রচার প্রসারের মাধ্যমে ব্যাবসায়িক স্বার্থ হাসিল করা, মানুষের এই বিশেষ সমস্যাজনিত আবেগটা ব্যবহার করে তাদের পকেটের টাকা খসিয়ে নিজের পকেট ভারী করা, ব্যাস।
হ্যা, এটা ঠিক যে মধু ঔষধি গুণাবলী সহ একটি সুপরিচিত প্রাকৃতিক পণ্য যা উচ্চ পুষ্টির মান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময় করতে পারে, যার মধ্যে যৌনস্বাস্থ্যও আছে, বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য।
মধু পুরুষদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা পুনরুদ্ধার করে শুক্রাণুর গুণমান বজায় রাখতে পারে, মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের উন্নতি করতে পারে, পোস্টমেনোপজাল প্রজনন ট্র্যাক্টকে রক্ষা করতে পারে, বিষাক্ত প্রভাব প্রতিরোধ করতে পারে, এবং ভিভিসি সংক্রমণের চিকিৎসা করতে পারে। এর অন্যতম উপাদান বোরন নারী শরীরের যৌন হরমোন ইস্ট্রোজেন ক্ষরণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ( যদিও মধুতে এর উপস্থিতির পরিমান প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ) এবং ননপ্রসেস চাকভাঙা "র" মধু নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করতে ভুমিকা রাখতে সক্ষম।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, সামুদ্রিক মাছ (বিশেষ করে স্যামন জাতীয়), গোশত, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও শস্যবীজ, জায়ফল, তরমুজ, রসুন, কলা, আপেল, আমলকি, বিট, ডিম, দুধ, এলোভেরা, কফি, ডার্ক চকোলেট ইত্যাদির মতো অন্তত বিশটা খাদ্য আছে যা কিনা মধুর মতো একই ভুমিকা রাখতে সক্ষম। ক্ষেত্রবিশেষে কোন কোনটি মধুর তুলনায় যথেস্টই যৌন উদ্দীপক।
সুতরাং ডাহা সত্য কথা হলো অন্যান্য যৌন উদ্দীপক খাদ্যের তুলনায় মধুর ভুমিকা আসলে খুব একটা আহামরি কিছু নয়। তাই বলে এধরনের সমস্যায় মানুষ মধু খাবে না? অবশ্যই খাবে। তার আগে বুঝতে হবে যৌনতার ক্ষেত্রে বাঙ্গালী পুরুষদের আসল সমস্যাটি কি এবং সমাধান কোথায়।
বাঙ্গালী পুরুষদের আসল সমস্যা হলো তাদের "সেক্স ড্রাইভের" ব্যাপ্তিজনিত সময় স্বল্পতার সমস্যা। সোজাবাংলায় ধ্বজভঙ্গ। উদ্দীপনা তার যথেস্টই থাকে, শুক্রানুর উৎপাদন/ মান জনিত সমস্যাও তার খুবই কম, সে ঠিকঠাক প্রস্তুতও থাকে কিন্তু সমস্যা ওই একটাই- দ্রুত "হয়ে যায়"। পুরুষের এই হয়ে যাওয়াটার পেছনে উভয়ের সম্পূর্ণ শারীরিক, মানসিক, পারস্পরিক সম্পর্কের ধরন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা আর্থিক ও সামাজিক সুস্থতা, ব্যাক্তিগত বাজে অভ্যাস, খাসলত, যৌনক্রীড়া সম্পর্কে অজ্ঞতা, খাদ্যাভ্যাস, মাদক, পর্ন, ফ্যাসিনেশন, সঙ্গীকে পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে প্রস্তুত করে না নিয়ে ধর-মার-কাট পদ্ধতি এপ্লাই করতে যাওয়া, অনভ্যাস, বহুগামীতা, ডায়বেটিস, যৌনরোগ, স্নায়বিক রোগ, হরমোনাল সমস্যা ইত্যাদি হাজার রকমের কারন থাকতে পারে। তাছাড়া, প্রত্যেক মানুষের একান্ত নিজস্ব একটা যৌনচরিত্র আছে, দুজন মানুষ পরস্পরের সেই চরিত্রটা বুঝতে না পারলে, বোঝার চেস্টা না করলে যৌনজীবনে নিয়মিত একটা না একটা ঝামেলা লেগেই থাকে।
কোন একজন এই সকল সমস্যার কোনটাতে আক্রান্ত সেটা ফাইন্ডআউট করে, সেটা স্পেসিফাই করে আগে সেটার সমাধান করাতেই আসল সমাধান। এভাবে সমাধানের চেস্টা না করে, জ্বর হলেই প্যারাসিটামলের মতো যৌন সমস্যা থাকলেই "শরীল গরম" করার আশায় মনকে মন মধু গিলে বিশেষ কোন ফায়দা আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি, আর পাবেও না।
আশা করি আমার বক্তব্য কিছুটা বোঝাতে পেরেছি।।
~ আশ শেফা মধুঘর
#মধু
যশোরের বিখ্যাত প্রাইম কোয়ালিটির পাটালী। আশ শেফার মধুর মতই খাঁটি আর ফ্রেশ।
মাত্র ৩৫০/- কেজী।
খাইবেন একবার,
আঙ্গুল চাটবেন বারবার..
অর্ডার করতে এ্যাপ ডাউনলোড করে আঙ্গুল চালান..😁😁
[ এ্যাপ লিংক কমেন্টে ]
💚
আমার ফ্রেন্ডলিস্ট হতে আজ থেকে যারা মধু নিবেন তারা প্রত্যেকেই পর পর তিনবার মধুর অর্ডারের জন্য ডেলিভারী চার্জ ফ্রি পাবেন, ইনশাআল্লাহ।
শর্ত দুইটাঃ
১. ডেলিভারী চার্জটা ফ্রি থাকবে একমাত্র ও শুধুমাত্র মধুর বেলায়, এ্যাপের অন্যান্য পন্যের বেলায় না।
২. অর্ডার করা লাগবে আশ শেফার প্লেস্টোর এ্যাপ থেকে, কারন এটা এ্যাপ প্রমোশন অফার। কারোও মধুর সাথে যদি অন্যান্য পন্যেরও অর্ডার থাকে তবে সেখান থেকে মধুর ডেলিভারী চার্জটুকু বাদ দেয়া হবে, নু টেংশং।
যারা আইফোন ব্যবহার করেন তারা একটু কষ্ট করে যে কোন এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করবেন। কারন এ্যাপটা আপাতত শুধু প্লে-স্টোরেই আছে, এ্যাপ-স্টোরে নেই। ভবিষ্যতে আসবে ইনশাআল্লাহ।
[ এ্যাপ লিংকঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=com.passivedesk.ashshefa ]
শিশুদের সিজনাল কাশির কার্যকরী প্রতিকার হিসেবে মধুর ভুমিকাঃ
সাধারণভাবে বলতে গেলে, কাশি আসলে একেবারে স্বাভাবিক ন্যাচারাল একটি বিষয়। কাশি কফ এবং কন্ঠনালীর অন্যান্য বিরক্তিকর বিষয় থেকে গলা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
যা হোক, এসব বাদে একটি অস্বাভাবিক, ক্রমবর্ধমান ও দীর্ঘমেয়াদী কাশির পেছনে বেশ কয়েকটি কারন থাকতে পারে, যেমনঃ
১.অ্যালার্জি
২. ভাইরাল সংক্রমণ
৩. ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
৪. সবসময় ফুসফুসের সাথে সম্পর্কিত কিছুর কারণেই না, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর কারনেও কাশি হতে পারে।
ডাক্তাররা এরকম অনেকগুলি ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) ওষুধ দিয়ে সর্দি , অ্যালার্জি এবং সাইনাস সংক্রমণের কারণে কাশির চিকিৎসা করেন। এক্ষেত্রে আপনি প্রচলিত এ্যালোপ্যাথী ওষুধের চিকিৎসার পাশাপাশি, কাশির জন্য বিকল্প হিসেবে মধুর কথা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
আসলে অনেক গবেষক এই শতাব্দীর প্রথম দিক থেকেই এই উপসংহারে পৌঁছেছেন যে মধু কাশির সিরাপ এর একটি কার্যকরী বিকল্প।
অনেকগুলি গবেষনায় ডেক্সট্রোমেথরফান, সাধারণ ওভার-দ্য-কাউন্টার ডোজগুলির মতো মধুও একটি কার্যকরী সাধারণ কাশি দমনকারী উপাদান বলে প্রমানিত হয়েছে। গবেষকরা বহু আগেই জানিয়েছেন, কাশি, বন্ধ নাক এবং গলা ব্যথার প্রচলিত চিকিৎসার চেয়ে সস্তা, সহজলভ্য এবং কার্যত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন অষুধ হিসেবে মধু খুবই ভাল একটি বিকল্প।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মতামত দেন যে, ডাক্তাররা অ্যান্টিবায়োটিকের উপযুক্ত বিকল্প হিসাবে মধু সুপারিশ করতে পারেন, যা প্রায়শই এই জাতীয় সংক্রমণের জন্য নির্ধারিত হয়। মধু মানবদেহের আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউআরটিআই) নাক, গলা, ভয়েস বক্স এবং বাতাসের পাইপ থেকে ফুসফুসে নিয়ে যাওয়া বৃহৎ বায়ুপথকে (ব্রঙ্কি) প্রভাবিত করে।
গুগল করলে মোটামুটি ১৪টি উপযুক্ত ক্লিনিকাল ট্রায়াল খুঁজে পাওয়া যায়, যার মধ্যে বিভিন্ন বয়সের ১৭৬১ জন অংশগ্রহণকারী ছিল। সেইসব গবেষণার ডেটা বিশ্লেষণ এই ইঙ্গিত দেয় যে, কাশির ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতার উন্নতির জন্য স্বাভাবিক যত্নের চেয়ে মধু বেশি কার্যকর। দুটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মধু দিয়ে চিকিৎসা করা ব্যক্তিদের মধ্যে লক্ষণগুলি অন্তত এক থেকে দুই দিন কম স্থায়ী হয়।
একটি গবেষণায়, ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ঊর্ধ্ব শ্বাসনালীর সংক্রমণে ঘুমানোর সময় ২ চা চামচ (১০ মিলিলিটার) মধু দেওয়া হয়েছিল, এটা রাতের কাশি কমাতে এবং ঘুমের উন্নতি করে বলে প্রমানিত হয়েছে।
আরেকটি গবেষনায় ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ২৭০ জন সাধারণ সর্দি - কাশিতে আক্রান্ত শিশুকে রাতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে তিন ধরনের মধু পান করানো হয়। গবেষকরা এই চিকিৎসা শুরুর আগের রাতে এবং চিকিৎসার পরের রাতে শিশুদের বাবা-মা দের কাশি এবং ঘুম সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। এতে তারা এই উপসংহারে আসেন যে:
“মধু হল একটি ঘন ঘন ব্যবহার করা প্রতিকার যা রোগীদের কাছে সুপরিচিত। এটি সস্তা, অ্যাক্সেস করা সহজ এবং সীমিত ক্ষতি রয়েছে। যখন চিকিৎসকরা URTI-এর জন্য প্রেসক্রাইব করতে চান, তখন আমরা অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে মধুর সুপারিশ করব। মধু স্বাভাবিক বিকল্পগুলির চেয়ে বেশি কার্যকর এবং কম ক্ষতিকারক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের মাধ্যমে ক্ষতির কারণ হওয়া এড়ায়।"
এই গবেষনাটির ব্যাপারে দ্যা গার্ডিয়ানে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, যাতে গত ১৯ অগাস্ট ২০২০ এ এই তথ্য আপডেট করা হয় যে- মধু এক বছরের কম বয়সী শিশুদের দেওয়া উচিত নয়। এখানে গবেষকরা আরোও বলেন মধু শিশুদের আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন জনিত কাশির তীব্রতা এবং ফ্রিকোয়েন্সি কমাতে পারে। প্রাকৃতিক মধু ভেজা কাশি চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকর। আরেকটি ছোট ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে যে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে ১.৫ চা চামচ মধু খাওয়া কাশি কমাতে এবং শিশুদের মধ্যে ভাল ঘুমকে উৎসাহিত করে।
সুতরাং, এটা প্রমানিত যে, কার্যকর কাশি দমনকারী হিসেবে কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য মধু অনায়াসে একটি সহায়ক পরিচর্যা পদ্ধতির অংশ হতে পারে, এটি শ্লেষ্মাও দূর করে। এক্ষেত্রে গাঢ় মধু সবচেয়ে ভালো, কারণ এর ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলী সাধারণত হালকা মধুর চেয়ে বেশি এবং এটা গলা এবং বুকের এলাকায় সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণকে নিরুৎসাহিত করতে সাহায্য করে।
মধু মেশানো চা বা উষ্ণ মধু লেবু পানি পান করা গলা ব্যথা প্রশমিত করার একটি সময়-সম্মানিত উপায়। ভেষজ চা বা উষ্ণ পানি এবং লেবুর সাথে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে বাড়িতে কার্যকর প্রতিকার তৈরি করতে পারেন। মধু প্রশান্তি দেয়, অন্যদিকে লেবুর রস ভিড় দূর করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও সহজভাবে ২ চা চামচ মধু খেতে নেয়া যায়, কারন মধু এককভাবে সাধারন কাশি ও শ্লেষ্মার জন্যও কার্যকর।
আমি আমার দেড় বছর বয়েসী বাচ্চার কাশি হলে সাধারনত সমপরিমান আদা আর লেবুর রসের সাথে মধু মিশায়ে চুলার হাল্কা আঁচে গরম করে অল্প অল্প করে চেটে খাওয়াই। বিস্তারিত বলি, যদি কেউ চান বানিয়ে খাওয়াতে পারেন, খুবই কার্যকরী জিনিসঃ
চার চা চামচ আদার রস, চার চা চামচ লেবুর রস আর আট চা চামচ মধু একত্রে মিশিয়ে কোন একটা স্টিলের পাত্রে (যেমন ডাল বাড়ার চামচ) নিয়ে চুলার ওপর একেবারে ডিম আঁচে তিন বার বলক আসার পর নামিয়ে নেই ( আগুনের ওপর ধরার পর প্রথবার বলক আসার পর সরিয়ে নিই, তারপর আবার আগুনের ওপর ধরি, তারপর আবার বলক আসার পর আবার সরিয়ে নেই, এবং তারপর আবার আগুনের ওপর ধরে আবার বলক আসলেই, ব্যাস শেষ ) তারপর ঠান্ডা করে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে দিয়ে চেটে চেটে খেতে দেই। বিরতি না দিলে বাচ্চা একবারে সব খেয়ে ফেলে, মজা হয় তো, তাই। কিন্তু আমি খেয়াল রাখি এটা চাটার মাধ্যমে যেন ওর মুখে বেশী লালা নির্গত হয়, এবং মিশ্রনটা যাতে লালার সাথে মিশে গলায় বেশীক্ষন থাকে। এভাবে যতবার কাশির প্রকোপ ওঠে ততবার খাওয়াই। আলহামদুলিল্লাহ প্রতিবারই ওর বুকের কফ বের হয়ে আসে, কাশির প্রকোপটা বন্ধ হয়।
উপসংহারে বলা যায়, সব কাশি খারাপ নয়, কারন এটি শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। শিশু যদি সাধারনভাবে সুস্থ থাকে, তাহলে সাধারণত কাশি হলেই তা দমন করার জন্য তাড়াহুড়োর দরকার নেই, প্রাথমিকভাবে মধু দ্বারা ঘরোয়া প্রতিকারের চেষ্টা করা যেতে পারে। আর এটাও বলে রাখা উচিতঃ গবেষকরা কিন্তু NHS বোটুলিজমের বিপদের কারণে ( একটি বিরল কিন্তু গুরুতর খাদ্য বিষক্রিয়া ) এক বছর কম বয়সী শিশুদের মধু দেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেন।।
#মধু #শীত #শীতকাল #বাংলাদেশ #শিশু #নারী #ঔষধ #সুন্দরবনের_মধু
আজ থেকে প্রায় ২৮৮ বৎসর আগে এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩৪ সালের ২০ মে অস্ট্রিয়ার দক্ষিণে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি ছোট দেশ স্লোভেনিয়ার কার্নিওলা নামক অন্চলে জন্মগ্রহন করেন "আন্তন জানসা ব্রেজনিকা" নামে এক ভদ্রলোক।
প্রথমত, তিনি ছিলেন আধুনিক মৃৎশিল্পের পথপ্রদর্শক ও একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত, কর্মজীবনে মৃৎশিল্পের শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। দ্বিতীয়ত, তিনি ছিলেন একজন উঁচু মাপের চিত্রশিল্পী, এবং তৃতীয়ত, তিনি ছিলেন একজন নামকরা মৌমাছি বিশেষজ্ঞ।
তাঁকে আধুনিক মৌমাছি পালন কৌশলের অন্যতম জনক এবং বিশ্বব্যাপী মৌমাছি পালনের পথপ্রদর্শকদের একজন বলে মনে করা হয়। চিত্রকলার প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও, ছোট থেকেই তার আসল আগ্রহ ছিল মৌমাছি পালনে। শতাধিক মৌমাছির মালিক একটি পরিবারে বেড়ে ওঠার কারনেই মৌমাছির প্রতি তৈরি হয়েছিল তার এই বিশেষ আকর্ষণ। ১৭৬৯ সালে তিনি মৌমাছি পালনকারী হিসাবে পূর্ণ-সময়ের কাজ শুরু করেন এবং এক বছর পরে সমস্ত অস্ট্রিয়ান ভূমিতে মৌমাছি পালনের প্রথম রাজকীয় নিযুক্ত শিক্ষক হন ।
মৌমাছি বিষয়ে জার্মান ভাষায় তার দুটি বই আছে: Abhandlung vom Schwärmen der Bienen (Discussion on beekeeping, 1771) এবং Volständige Lehre von der Bienenzucht (A full Guide to beekeeping)। পরবর্তীটি ১৭৭৫ সালে তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে তিনি বলেছিলেন "মৌমাছি হল এক প্রকারের মাছি, পরিশ্রমী, যা মানুষকে প্রয়োজনীয় সব মধু এবং মোম সরবরাহ করার জন্য ঈশ্বরের দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে৷ ঈশ্বরের সমস্ত প্রাণীর মধ্যে মানুষের জন্য এত পরিশ্রমী এবং উপযোগী কোন প্রানী নেই যারা এতো বেশী মনোযোগ দিয়ে কাজ করে"।
তিনি একটি নতুন মৌচাকের নকশা উদ্ভাবন করেছিলেন; মধু উৎপাদনের কৌশলগুলি নিখুঁত করেছেন, ড্রোন এবং রানী মৌমাছির ভূমিকা সংজ্ঞায়িত করেছেন। তিনি তার জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তৎকালীন হ্যাপসবার্গ সাম্রাজ্যে প্রচুর ভ্রমণ করেছিলেন। সময়ের সাথে সাথে তার মৌমাছি বিষয়ক কাজগুলির তাৎপর্য নতুন মাত্রা পেয়েছে এবং তার মৃত্যুর পরে, তার বইগুলি হ্যাপসবার্গ সাম্রাজ্য জুড়ে মৃৎশিল্পের সরকারী পাঠ্যপুস্তকে পরিণত হয়েছে।
তার রেখে যাওয়া মৌমাছি বিষয়ক জ্ঞানকে সম্মান জানাতে এবং মৌমাছি এবং মৌমাছির পণ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, স্লোভেনিয়া প্রজাতন্ত্রের সহায়তায় স্লোভেনিয়ার মৌমাছি পালনকারী সমিতি, ২০ মে তার জন্মদিন উপলক্ষে দিবসটিকে জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় চিরস্বরনীয় করে রাখার উদ্যোগ নেয়। ২০ মে কে ঘোষনা করা হয় বিশ্ব মৌমাছি দিবস হিসেবে।
আজ সেই বিশ্ব মৌমাছি দিবস।
জাতিসংঘের মতে: "আজ, বিশ্বের মানুষের প্রতি তৃতীয় চামচ খাবার মৌমাছির পরাগায়নের উপর নির্ভর করে।" মানবজীবনে মৌমাছির গুরুত্ব কতখানি তা বোঝার জন্য এই একটি বাক্যই যথেস্ট।
অথচ পৃথিবীর মানুষের ক্রমাগত নগরায়ন, ফসলে সার কীটনাশকের ব্যবহার, করকারকানার দুষন, বাসস্থানের ক্ষতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মৌমাছির সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বিশ্বজুড়ে হ্রাস পেয়েছে। ১৯০০ সাল থেকে, পৃথিবীর বুক থেকে ১৩ প্রজাতির মৌমাছি সম্পুর্ন হারিয়ে গেছে , আরও ৩৫ টি বর্তমানে বিপন্ন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ।
বিশ্ব মৌমাছি দিবস উপলক্ষ্যে সারা বিশ্বের মৌমাছি প্রেমিকদের নেয়া নানান উদ্যোগ মানুষকে মৌমাছি সম্পর্কে আরও জানতে এবং তাদের স্থানীয় পরিবেশকে আরও মৌমাছি বান্ধব করতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি মৌমাছির মুখোমুখি হওয়া প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট যাবতীয় হুমকিসমূহ চিহ্নিত করে এবং এর সমাধান খুঁজে বের করতে সচেস্ট হয়।
বিশ্ব মৌমাছি দিবসের এবারকার ( ২০২২) এর থিম হলোঃ "মৌমাছি জড়িয়ে : মৌমাছি এবং মৌমাছি পালন পদ্ধতির বৈচিত্র্য উদযাপন "
ধন্যবাদ সবাইকে।।
আলহামদুলিল্লাহ, নতুন মুল্যতালিকা ঘোষনা করা হলোঃ
❤️❤️❤️
পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটাঘাটি করতে গিয়ে আবিস্কার হলো যত্ন করে রাখা আমাদের ২০ বছরের পুরোনো একটি মধুর লেবেল। আমাদের কাচের শিশি ৫০ গ্রাম মধুর একটা প্যাক ছিলো তখন। দাম ছিলো দশ টাকা, এটা তারই লেবেল।
🙃🙂
😉
মধু খান, স্মার্ট হোন😁
দুনিয়ার সমস্ত খাঁটি মধু মাত্রই জমে যাবে। পার্থক্য হবে শুধু জমাট বাধার সময় আর ধরনে।
কোন মধু চাকেই জমবে, কোন মধু জমবে চাক থেকে বের করার ৬/৭ ঘন্টার মধ্যেই, কোনটা পনের দিন থেকে একমাসের মধ্যে, কোনটা জমবে দুই বছর পর, কোনটা জমতে সময় নেবে আরোও বেশী।
কোনটা জমবে শীত কালে, কোনটা একটু ঠান্ডা আবহাওয়া পেলে, কোনটা জমতে কোন শীত গৃষ্ম মানবে না, কোনটা জমবে দীর্ঘদিন নাড়াচাড়া না করলে, কোনটা জমা শুরু করবে অন্য জমাট মধুর সংস্পর্শ পেলে, কোনটা জমবে শুধু মাটির পাত্রে রাখলে, কোনটা শুধু কাঁচের পাত্রে রাখলে, কোনটা আবার জমবে যে পাত্রেই থাকুক।
কোনটা জমবে পুরোটা ঘি এর মতো, কোনটা জমবে ছাড়া ছাড়া, কোনটা জমবে শুধু নীচের দিকে, কোনটা জমবে সম্পুর্ন, কোনটা জমবে অর্ধেক অর্ধেক, কোনটা আংশিক। কোনটা জমবে পাত্রের তলার দিকে খুবই সামান্য পরিমানে, কোনটা জমবে এমন ভাবে যে আপনি টেরই পাবেন না যে এটা জমেছে, শুধু দেখবেন মধুটা বেশ ঘন হয়ে গিয়েছে কেবল।
মোট কথা আজ হোক কাল, মধু জমবে। জমবেই।
জমবে না শুধু কোন মধু জানেন? ভেজাল মধু আর প্রসেস করা মধু। যে মধু যত ভালো করে প্রসেস করা, সে মধুর জমাট বাধার সম্ভাবনা ততই কম। আর ভেজাল মধু তো ভেজাল মধুই।
ভবিষ্যতে কোনদিন মধুর জমাট বাঁধা রহস্যের আদ্যপান্ত আর প্রসেস মধু নিয়ে বলব, ইনশাল্লাহ।।
Click here to claim your Sponsored Listing.
আশ শেফা মধুঘর
আশ শেফা মধুঘরের প্রধান লক্ষ্য হলো: সাধারনত বাজারের যে সকল পন্য ব্যাপক হারে ভেজাল হয়ে থাকে সে সকল পন্য ভোক্তাদের নিকট ১০০% খাঁটি ও গ্যারান্টি সহকারে সহজলভ্য করে তুলে ভোক্তাদের চুড়ান্ত সন্তুষ্টি অর্জন করে আশ শেফা মধু ঘরের দীর্ঘ ত্রিশ বৎসরের সম্মান ও ঐতিহ্য সর্বদা অক্ষুন্ন রাখা।
খাঁটি পন্য সরবরাহের এই মূল নীতির কারনেই আমরা আপনাদের সেবায় অত্যন্ত সুনাম এবং বিস্বস্ততার সাথে ১০০% গ্যারান্টি সহকারে সুন্দরবনের এবং বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ফুল ও ফসলের মৌসুমে প্রাকৃতিকভাবে সংগ্রহীত চাক ভাঙা বিএসটিআই অনুমোদিত বিশুদ্ধ “এ” গ্রেড মধু (চাষের নয়!!), মাখনে তৈরি বাঘাবাড়ি ও ঘরোয়াভাবে প্রস্তত দুধের সরে তৈরি খাঁটি ঘি এবং সম্পুর্ন নিজস্ব তত্বাবধানে উৎপাদনকৃত কালোজিরা ও প্রস্তুতকৃত কালোজিরার তেল, গরু দ্বারা ঘানি ভাঙ্গা সরিষার খাঁটি তেল(মেশিনে ভাঙানো নয়!!), সহ রাজশাহীর যয়তুন অর্থাৎ জলপাই এর প্রিমিয়িাম কোয়ালিটির বিশুদ্ধ তেল সরবরাহ করে ১৯৮৮ সাল হতে ঢাকা এবং ১৯৮৯ সাল হতে চট্টগ্রামে দীর্ঘ ত্রিশ বৎসর যাবৎ আপনাদের সাথে পথ চলেছি, ভবিষ্যতেও চলব ইনশাআল্লাহ।
The Ash Shefa Modhu Ghor Under his supervision with a team of reliable stuff, Collects Honey during the flowering season from the remote countryside of rural Bangladesh, as well as Sundorban, then delivered to you Since 1989.
Videos (show all)
Contact the business
Telephone
Website
Address
Chittagong
4217
Ajuwa Trade Centre, B S Tower, Tulatol Road, 4 Word, Patiya Powrashova, Patiya Chattogram
Chittagong, 4370
আজোয়া ই-মেডিকো তে আপনাকে স্বাগতম। অনলাইনে ঔষধ /পণ্য কিনুন, সময় বাঁচান, নিরাপদ থাকুন।
Chittagong
আসসালামুয়ালাইকুম,,,,,,,,,,,,, আমরা আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি,,,,
Muradpur
Chittagong
Your well-being is our success, We sell 100% safe and efficient products. Which is a lot more benefi
Chittagong
Welcome to Creative Solutions, not business, service is our main goal, stay with us to