Tasnim Zannat
Nearby media companies
Bangladesh Chittagong
Banglaseh
29611
Chattogram
3802
Baddarhat
4000
Dhaka 3862
You may also like
We make you happy by giving the best with constancy
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যখন দেখি আমার পেইজের ড্রেস পরে কাস্টমার এত সুন্দর ছবি দিয়েছে তখন খুব ভালো লাগে।
হিরো আলমঃএকজন সাধারণ মানুষ এবং আমাদের হিরো
হিরো আলমকে চিনে না এমন কেউ এখন আছে বলে আমার মনে হয় না।তার আসল নাম আশরাফুল আলম।মানুষের কাছে নিজেকে এতটা পরিচিত করার জন্য তার করতে হয়েছিল অক্লান্ত পরিশ্রম। একটা সময় নিজের বলে কিছু ছিল না তার।বাবা ছিলেন একজন চানাচুর বিক্রেতা।তার রেশ ধরে সংসারের হাল ধরার জন্য তিনি শুরু করেন চানাচুর বিক্রি।অভাবের টানপুরনে ক্লাশ সেভেনে সমাপ্তি টানতে হয় তার।এখন সে একজন সফল বিজনেস ম্যান।একজন সফল কন্টেন্ট ক্রিয়েটার।তার ইচ্ছে ছিল মডেলিং করা।সকল খারাপ অবস্থায় তার ইচ্ছে থেমে যায়নি।অক্লান্ত চেষ্টা করে গেছেন তার স্বপ্ন পূরণে।এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন যে,তিনি জানেন তিনি দেখতে সুদর্শন নয়।তারপরও তিনি তার ইচ্ছেকে দমিয়ে রাখেন নিই।চেষ্টা করে গেছেন অবিরত।৫০০ টা মিউজিক ভিডিও করেছেন নিজের উদ্যোগে।সব স্ক্রিপ্ট,গান তিনি নিজেই তৈরি করেছেন।সম্প্রতি হিরো আলম,মিরপুর স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিম এর সাথে মিট করেন।তার আপকামিং মিউজিক ভিডিও তে তিনি কাজ করতে চাই তার সাথে।
এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন,যে সব বৃদ্ধরা একা থাকে তিনি তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করবেন।
হিরো আলম, ঘুরতে খুব ভালোবাসেন।তার আনন্দ অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করতে ভালোবাসেন। তিনি তার ক্যাবল সাবস্ক্রাইবাইরদের জন্য প্রতিবছর পিকনিক অর্গানাইজড করে থাকেন।যেখানে প্রায় ১০০ এর মতো মানুষ থাকে।যাদের থাকা ও খাওয়া খরচ তিনিই পে করে থাকেন।
যেখানে মানুষ নানা খারাপ কাজে আসক্ত হয়ে নিজেকে ধংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, সাথে তারা অন্যদেরও বিপদের কারণ হয়ে উঠছে সেখানে হিরো আলম এর মতো একজন পরিশ্রমী মানুষ নিজের উন্নতির পাশাপাশি অন্যদের ভালো থাকা নিয়ে ভাবছে।
উন্নতির পথে হাঁটতে গেলে আপনাকে নিয়ে অনেক হাসবে।অন্যদের দিকে তাকিয়ে নিজের কাজ বন্ধ করে দেয়া কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়।নিজে যা করছেন তা মন দিয়ে চেষ্টা করে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
Falling in love is easy but having a successful relationship takes a lot of courage & sacrifice.
পেইজের নাম চেঞ্জ করলাম আজ। নিজের নামে পেইজ এর নাম দিলাম।
A marriage dies when the husband & the wife take it as a habit & take each other for granted.
খুব অসুস্থ, জ্বর ছিল।কিছুই খেতে পারছিলাম না।এমন সময় Shakila Akhter আপুর "@চাঁটগা ফুড" পেইজ থেকে অর্ডার করে নিলাম তাল পিঠা।আপুর পিঠার কোয়ালিটি খুব ভালো।পিঠার স্বাদ একেবারে অতুলনীয়। খেলে মনে হয়,আপুর এমন স্বাদের পিঠা আর কেউ বানাতে পারবে না।বাসার সবাই খুব প্রশংসা করছিল।এইভাবে এগিয়ে যান আপু।আপনার উদ্যোগের জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা
ফোন হারিয়ে আমার অভিজ্ঞতাঃ
গত ১ তারিখ আমাদের অ্যানিভারসেরি সেলিব্রেট করতে গিয়েছিলাম কক্সবাজার। গায়ে প্রচুর জ্বর ছিল।তা ও মনে হচ্ছিল গেলে ভালো লাগবে।একটু ভালো ও লাগছিল।তবে সে ভালো লাগা বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না।ব্যাগের চেইন খোলা আর বন্ধ করার মধ্যে সর্বোচ্চ ১ মিনিটের ব্যবধানেই আমার নতুন মোবাইলটা চুরি হয়ে যায়।আমার সকল রকম ড্যাটা,ছবি,কন্টেন্ট সব ছিল ওই মোবাইলটিকে ঘিরে।
ফেইসবুকে বায়োমেট্রিকে 2 Factor Authentication অন করা ছিল। যার কারণে কোন ভাবে ফেইসবুক রিকভার করতে পারছিলাম না।ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ফেইসবুক মেটা কে ইমেল করে টানা 2 দিন চেষ্টার পর ফিরে পেলাম আমার ফেইসবুক আইডি।আইডি ফিরে পাওয়ায় আমার হাসব্যান্ডের খুশিটা দেখার মতো ছিল।বিয়ের দিন কবুল বলার পর কান্না-হাসি মাখা যেমন ইমোশন তার চোখে আমি দেখেছিলাম আজও তাই দেখলাম।তার ইমোশন দেখে আমি চুপচাপ তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে।আমার প্রতি এমন একটা পিউর ইমোশন দেখার পর ফোন হারানোর কোন দুঃখ আমার মধ্যে নাই আর।এমন পিউর ইমোশন দেখার জন্য আমি আরো অনেক কিছু হারাতে রাজী।
ফোন হারিয়ে যে শিক্ষা পেলাম তা হলঃ
1.ফোন হারানোর সাথে সাথে নিকটস্থ মোবাইল অপারেটর এর কাছে গিয়ে আপনার নাম্বারটা বন্ধ করে দিন।তারপর একে একে আপনার ইমেইল, ফেইসবুক সহ যত আইডি আছে সব গুলোর পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে দিন।
2. ই-কমার্স নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সকল ড্যাটা,আইডি শুধু মাত্র একটি ডিভাইসে রাখা উচিত না।তা হলে সব হারিয়ে আমার মতো শূন্যে ভাসতে হবে।
3.প্রতিটি মোবাইলে 2 টি IMEI নাম্বার থাকে।যেটা সে ফোনের আইডেন্টিটি হিসেবে ধরা হয়। এই নাম্বারটা থাকে ফোনের বক্সে।তাই বলব ফোন কেনার পর ফোনের রশিদ থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছু যত্ন সহকারে রেখে দিন।
এই গুলো থাকার প্রধান সুবিধা হচ্ছে মোবাইল হারালে থানায় জি ডি করতে আপনার এই ফোনের যাবতীয় ডকুমেন্ট আপনাকে সাবমিট করতে হবে।
4.ফোনের IMEI নাম্বার টি আলাদা ভাবে লিখে ব্যাগে রেখে দিন।নিজের কাছের 2 একজন মানুষ এর কাছে ও রেখে দিন।এতে করে আপনার মোবাইল যে এলাকায় হারিয়ে গিয়েছে সে এলাকার নিকটস্থ থানার সাহায্য নিতে পারবেন।
আমার ফোনের IMEI নাম্বার জানা না থাকার কারণে আমি কক্সবাজার তাৎক্ষণিক ভাবে কোন স্টেপ নিতে পারছিলাম না।।আরো ও বেশি টেনশনে ছিলাম এই নিয়ে যে, আমি আদৌ IMEI নাম্বারটি দিতে পারবো কি'না বাসায় এসে।কারণ এই বিষয় নিয়ে আমার তেমন কোন ধারণাই ছিল না।
আশা রাখছি আমার ফোনটা আমি খুব শীগ্রই পেয়ে যাবো।
কেউকে নিজের প্রবলেমের কথা বলে আপনি নিজে একটু হালকা হবেন বলে ভাবছেন?তবে বলবো একেবারে ভুল ভাবছেন। সত্যিকার অর্থে আপনার কষ্টে কারো কিছু যায় আসে না এই জগতে ।একেবারে কিচ্ছু না।এদের মধ্য কেউ হয় তো আপনার কষ্টের কথা শুনে একটু দুঃখ প্রকাশ করবে ঠিকই তবে এদের বেশির ভাগই আপনার কষ্ট নিয়ে মজা করবে।সত্যিকার অর্থে এমন কেউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল যে আপনার বিপদে এগিয়ে আসবে।
🎊 🥰Happy 7th Anniversary of us🎊🎉🎈
জীবনের ৭-টা বছর পাড়ি দিয়ে ফেললাম তার সাথে।আজ আমরা ২ জন থেকে ৪ জন হয়েছি।একটা ভালোবাসা জড়ানো আদর মাখা পরিবার পেয়েছি।সকল কিছুর জন্য লাখো লাখে শুকরিয়া আল্লাহর কাছে। হাজার হাজার প্রার্থনা আল্লাহর কাছে এই ৪ জন থেকে ৬ জন হওয়া অবদি অন্তত বেঁচে থাকতে চাই এই সুন্দর পৃথিবীতে। বাকীটা বোনাস 🙂
কাল কক্সবাজার যাওয়ার কথা। হোটেল বুকিং, গাড়ির টিকেট সব কিছু করা শেষ। এদিকে আমার গায়ে আবার জ্বর। শুয়া থেকে উঠতেই পারি নিই সারাদিন এমন অবস্থা ।জয়িতা'র ও দেখছি গায়ে জ্বর আসছে।এমন বিড়ম্বনায় আগে কখনো পড়তে হয় নিই 😥😥।
আমার পেইজ এর একজন বেস্ট কন্ট্রিবিউটর শিরিন আক্তার আপুর আমাদের স্বপ্নযাত্রা পেইজ থেকে আজ নিয়ে নিলাম ১০ পিস মুগপাকন,৩০ পিস চিতই পিঠা, ৫০ পিস রুটি।আপুর প্রতিটি খাবার আমার ভালো লেগেছে।অনলাইন থেকে প্রায় খাবার নিয়ে থাকি।তবে রিভিউ সবার দিই না। রিভিউ তাদেরই দিয়ে থাকি যাদের খাবার আসলেই আমার ভালো লেগেছে।আজ ভীষণ অসুস্থ। খুব জ্বর।কিছুই খেতে ভালো লাগছিল না।এমন অবস্থায় আপির হোম মেইড খাবারই একমাত্র ভরসা।আপু প্রাইজ ও রিজেনেবল রাখেন।কোয়ালিটিও ভালো।আপুর উদ্যোগের জন্য রইল অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা
🖊️Story
🔷Beauty And The Beast
The Beast at home-2
খামারবাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দিলেন বণিক। যখন তিনি বাড়ির ত্রিশ মাইল এর মধ্যে ছিলেন তখন তিনি একটি বড় কাঠের কাছে এসেছিলেন যার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হবে। এমন সময় তুষার পড়তে শুরু করল, এবং পথ ঢেকে গেল বরফে।এদিকে রাত নেমে এলো।চারপাশ এত অন্ধকার এবং আর বণিকে এর শরীর এতো ঠান্ডা হয়ে গেল যে সে দিশেহারা হয়ে পড়ল। পথ দেখতে না পেয়ে তিনি ঠান্ডা ও ক্ষুধায় অজ্ঞান হয়ে পড়লেন।
হঠাৎ চোখ মেলে দেখতে পেলেন সেখানে তিনি একটি বড় প্রাসাদ ।যেখানে জানালাগুলি সব আলোকিত ছিল এবং দরজা গুলো ও সব খোলা ছিল, কিন্তু তিনি কাউকে দেখতে পাননি।
আস্তাবলের দরজাও খোলা ছিল, এবং তার ঘোড়াটি ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। সেখানে খড় ও ওট ভর্তি একটি খাঁটি ছিল, এবং ক্লান্ত ঘোড়াটি প্রাণপণে খেতে বসল। বণিক তার ঘোড়াটিকে সেখানে রেখে প্রাসাদে প্রবেশ করলেন। তিনি কাউকে দেখতে পাননি সেখানে। তবে চুলায় আগুন জ্বলছিল এবং একটি টেবিলে পছন্দের খাবার সাজিয়ে দেওয়া ছিল এবং তা একজনের জন্য রাখা ছিল। তার শরীর ভিজে গিয়েছিল।তিনি নিজেকে শুকাতে আগুনের কাছে গেলেন।তিনি বলতে লাগলেন,
" আশা করি বাড়ির কর্তা বা তার চাকররা এর জন্য আমাকে দোষ দেবে না। এতে সন্দেহ নেই তারা শীঘ্রই আসবে।"
সে অপেক্ষা করতে লাগল, কিন্তু কেউ এল না। ঘড়ির কাঁটা তখন এগারোটা। তারপর, খাবারের অভাবে তার যখন অবস্থা খুবই খারাপ তখন তিনি টেবিলে গিয়ে কিছু মাংস খেয়ে নিলেন অনেক ভয়ে ভয়ে। খাবার শেষে সে সাহস সঞ্চয় করতে শুরু করল এবং চারদিক তাকাতে লাগল।
ঘড়িতে তখন বারোটা বেজে গেল। তিনি হল থেকে বেরিয়ে গেলেন, এবং একের পর এক ঘর চেক করে তিনি বিছানা পেলেন একটা। বিছানাটি পেয়ে ক্লান্ত বণিক ঘুমিয়ে পড়লেন।সব কিছু একটু অদ্ভুতুড়ে লাগলে ও তিনি এতো ক্লান্ত ছিলেন যে বেশি কিছু ভাবতে পারছিলেন না।
পরদিন সকাল দশটা পর্যন্ত বণিকের ঘুম ভাঙল না। বিছানার পাশে একটা চেয়ারে কাপড় রেখেছিলেন। যেটা ঝড়ের কবলে পড়ে প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল । এখন তার জায়গায় বনিক দেখতে পেলেন একটি সম্পূর্ণ নতুন স্যুট। এসব দেখে তিনি ভাবতে শুরু করলেন যে এটি কোনও পরীর প্রাসাদ হবে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তিনি নিশ্চিত হন।
তুষার চলে গেছে, এবং একটি সুন্দর বাগান তার সামনে পড়ল।যেটি ছিল ফুলে ভরা। তিনি পোশাক পরে হলের দিকে ফিরে গেলেন। একটি টেবিলে সকালের খাবার সাজিয়ে রাখা ছিল, এবং তিনি সাথে সাথে তাতে বসে গেলেন।
তারপর তিনি তার ঘোড়া আনতে গেলন। পথিমধ্যে তিনি কিছু গোলাপ ফুল এর জন্য গেলেন। যেহেতু তার ছোট মেয়ে বিউটি তাকে গোলাপ ফুল আনতে বলেছিল।
এই কাজটি করার সাথে সাথেই তিনি একটি ভয়ঙ্কর আওয়াজ শুনতে পেলেন এবং একটি ভয়ঙ্কর পশুকে তাঁর দিকে আসতে দেখলেন। তিনি এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে তিনি প্রায় নীচে পড়ে যান। পশুটি উচ্চস্বরে চিৎকার করে বলল, "অকৃতজ্ঞ মানুষ! আমি তোমাকে আমার প্রাসাদে আসতে দিয়ে তোমার জীবন রক্ষা করেছি। আমি তোমাকে খেতে দিয়েছিএবং বিশ্রামের জন্য একটি বিছানা ও দিয়েছি।আর এখন তুমি আমার গোলাপ চুরি করলে!!!!, এর জন্যে তোমার জীবন দিতে হবে!"
বেচারা বণিক পশুর সামনে হাঁটু গেড়ে নিজেকে নিক্ষেপ করে বললেন,
"আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রভু। আমি জানতাম না, আমি ভুল করছি। আমি শুধু আমার মেয়ের জন্য একটি গোলাপ ছিঁড়তে চেয়েছিলাম।
আমাকে দয়া করে হত্যা করবেন না, আমার প্রভু।"
আমি প্রভু নই। আমি একটি পশু।আমি নরম শব্দ ঘৃণা করি এবং তুমি তোমার এমন মায়া ভরা কথায় আমাকে ভুলাতে পারবে না। আচ্ছা, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, যদি তোমার একজন মেয়ে এসে তোমার জায়গায় মারা যায়। তবে তোমার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, যদি তারা আসতে অস্বীকার করে, তুমি তিন মাসের মধ্যে ফিরে আসবে।"
বণিক অন্তত তার একটি মেয়েকে তার জন্য মরতে দিতে চাননি। কিন্তু তার ইচ্ছা ছিল তিনি মারা যাওয়ার আগে তার সন্তানদের আরও একবার দেখবেন। তাই তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছিলেন। পশুটি তখন তাকে সেই ঘরে ফিরে যেতে বলল যেখানে সে ঘুমিয়েছিল। সে ঘরে স্বর্ণ দেয়া হয়েছিল। যাতে বণিক মরে গেলেও তার সন্তানদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
🙂Heapy Reading 🙂
To be continued...........
আমাদের অনেকের জন্য জীবন অনেক কঠিন। শুধুমাত্র নিজের পায়ে দাঁড়ানোই আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় । দৈনন্দিন জীবনে আমাদের নানা সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অর্থ উপার্জন । বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যা ঘটে তা হল মাঝপথে একটু হতশায় পড়লেই আমরা আমাদের পথ হারিয়ে ফেলি। তখন আমরা আরো বেশি অসহায় বোধ করি। জটিল হয়ে ওঠে আমাদের জীবন।সকল অবস্থাতেই নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।যারা মাঝপথে হাল ছেড়ে দেয় তাদের কিছুই করা হয়ে উঠে না জীবনে।
শুভকামনা সবার জন্য🌻🙂
👉ড্রেসটি পেয়ে যাবেন আমাদের পেইজে
প্রতিটি সম্পর্কে একটা স্পেস থাকা দরকার।কারণ,প্রতিটি মানুষ নিজেকে স্বাধীন রাখতে পছন্দ করে।নিজেকে সবচেয়ে বেশি রেসপেক্ট করে।সম্পর্কে মধ্যে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখলে সম্পর্ক গুলো আরো বেশি মধুর থাকে,একে অপরের প্রতি সম্মান বজায় থাকে। অতি নিকটে গিয়ে সম্মান হারিয়ে ফেলার চেয়ে দূরে থেকে সম্মান বজায় রাখাটা বেশি সম্মানের।
ভালো থাকুক সব সম্পর্ক গুলো
শুভ কামনা
👉ড্রেসটি পেয়ে যাবেন আমার পেইজে
️🖊️Story:
🔷Beauty And The Beast
1-Beauty & her sisters
একদা এক ধনী বণিক ছিল। যার সন্তান ছিল ছয় জন। তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। তিনি তার সমস্ত ধন-সম্পদকে যতটা ভালোবাসতেন তার চেয়েও তিনি তাদের বেশি ভালোবাসেন।তিনি তাদের সর্বদা সুখী ও জ্ঞানী করতে চেয়েছিলেন।তার মেয়েরা খুব সুন্দর ছিল, কিন্তু সবচেয়ে ছোট মেয়েটি ছিল তাদের চেয়েও বেশি সুন্দরী। ছোটবেলায় সবাই তাকে লিটল বিউটি বলে ডাকত । তার বয়স বাড়তে বাড়তে সে আরো সুন্দরী হয়ে উঠতে থাকে।
বিউটি যতটা সুন্দর ছিল ততটাই সুন্দর ছিল তার মন। কিন্তু তার বড় বোনেরা তাকে হিংসা করত। তারা খুব অহংকার করতো তার বাবার সম্পদের জন্য।তারা তাদের মতো অহংকারী, শো অফ টাইপের অনেক পুরুষদের সাথে সম্পর্ক করে বেরাতো। বিউটিকে নিয়ে হাসাহাসি করতো তারা সব সময়।
তাদের পিতা এতই ধনী ছিল যে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী তার মেয়েদের বিয়ে করতে চাইতে। কিন্তু জ্যেষ্ঠ দুইজন সর্বদা বলত যে তারা কখনই ডিউকের নীচের কাউকে বিয়ে করার কথা ভাবতে পারে না।
এদিকে বণিক এর পণ্যবাহী জাহাজ হারিয়ে যায় মাঝ সমুদ্রে।এতোবড় বিপর্যয়ের কারণে ধনী সেই বণিক একবারে তার বিশাল সম্পদ হারিয়ে ফেলে। দেশে একটি ছোট খাবার বাড়ি আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।
তখন বড় দুই মেয়ে বলেছিল যে তাদের যাওয়ার দরকার নেই, কারণ তাদের প্রচুর প্রেমিক আছে যারা তাদের পেয়ে ভীষণ খুশি হবে।
কিন্তু তারা ভুল ছিল।প্রেমিকরা এখন তাদের দিকে তাকায় না আর, এবং তাদের কষ্টে তারা ঠাট্টা করা শুরু করে, কারণ তারা ও ভীষণ অহংকারী ছিল তাদের মতোই।
তবুও বিউটির জন্য সবাই দুঃখ প্রকাশ করলো। বেশ কয়েকজন ভদ্রলোক যারা তাকে ভালোবাসতো তারা তাকে বিয়ে করার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলো।
। বিউটি বারবার প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং বলেছিল যে সে তার বাবাকে ছেড়ে যেতে পারবে না।
এরপর তারা স্বপরিবারে দেশের ছোট বাড়িতে থাকতে চলে যায়। সেখানে বণিক ও তার তিন ছেলে লাঙল ও শস্য বপণ করে ক্ষেত করতো এবং সারাদিন পরিশ্রম করতো। বিউটি রোজ ভোর চারটায় উঠতো ঘুম থেকে, ঘর সাজিয়ে রাখতো এবং পুরো পরিবারের জন্য নাস্তা করতো। প্রথমে এতো কাজ করতে খুব কঠিন আর কষ্ট লাগতো তার, কারণ তার দু'বোন তাকে সাহায্য কর তো না। কিন্তু প্রতিদিন একই কাজ করতে করতে সে অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং তার কাজের সৌন্দর্য আরো বাড়তে থাকে। সারাদিনের সবরকম কাজ শেষ করে সে পড়তে বসতো,কখনো বা বীণা বাজানো প্র্যাকটিস করতো, আবার কখন গান গায়তো।
অন্যদিকে তার দুই বোন খুব অলস এবং অসুখী ছিল।তারা সব সময় অসহায় ফীল করতো নিজেদের নিয়ে। তারা সকাল ১০ টার আগে কখনো ঘুম থেকেই উঠতো না। তাদের পরার মতো সুন্দর পোশাক ছিল না, এবং ভালো পার্টিতে যেতে পারত না।তাই তাদের খুব খারাপ লাগতো ও মন খারাপ হতো। তারপরও তারা বিউটির উপর ঠাট্টা করতো সবসময়।তারা বিউটিকে চাকর মেয়ে বলে ডাকতো। কিন্তু বিউটি তাদের কথায় কিছু মনে করতো, এবং প্রফুল্লভাবে বসবাস করতো।
তারা দেশের বাড়িতে আছে এক বছর ধরে। একদিন সকালে বণিকের কাছে একটি চিঠি এল।চিঠির মাধ্যমে জানতে পারলো যে তার মালিকানাধীন সমৃদ্ধ পণ্য বোঝাই জাহাজটি সর্বোপরি হারিয়ে যায়নি। এটি সবেমাত্র বন্দরে এসেছে। দুই বোন আনন্দে প্রায় আত্নহারা হয়ে পড়লো। কারণ তারা ভাবতে শুরু করলো, খুব শীঘ্রই খামার বাড়ি ছেড়ে শহরে ফিরে যাবে তারা।
যখন তাদের বাবা বন্দরে তার ব্যবসার কাজে যাচ্ছিল, তখন তারা তাকে তাদের জন্য সব ভাল জিনিস ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করেছিল।
তখন তাদের বাবা বিউটিকে জিজ্ঞেস করলো,
"এবং আমি তোমার জন্য কি আনব, বিউটি?"
" যেহেতু আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন প্রিয় বাবা, আমি চাই আপনি আমার জন্য একটি গোলাপ আনুন।" এখন বিউটি একটি গোলাপের জন্য ও তার বাবাকে বলতো না, কিন্তু সে তার বোনদেরকে দোষারোপ করতে বা তাদের চেয়ে ভালো দেখাতে পছন্দ করত না, এই বলে যে সে কিছু চায় না।
অতপর, বণিক রওনা দিল, কিন্তু সবকিছু তার আশার মতো হয়নি। জাহাজ ঢুকেছিল ঠিকই কিন্তু জাহাজের পণ্যসম্ভার নিয়ে ছিল বিতর্ক।
🙂Heapy Reading 🙂
These story to be continued.......
-তাসনিম জান্নাত(Owner of these page)
👉 পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের তৈরি মনিপুরী শাল পেয়ে যাবেন আমার পেইজে
⁉️ আপনি কি জানেন,
পেইজের কমেন্ট সেকশনে আপনার করা কিছু কমেন্ট আপনারই পেইজের রিচ ডাউন করে দেয়?
এই যেমন-
🔻ফলো দিলে ফলো ব্যাক পাবেন🚫
🔻ওকে ডান🚫
🔻আমার পেইজ ভিজিট করে আসবেন🚫
🔻ফলো ব্যাক প্লিজ
🔻Count me in
ফেইসবুক সব কিছু এখন রিড করছে।পেইজের অর্গানিক রিচ বাড়াতে চাইলে পেইজের রিচ সম্পর্ক ভালো ভাবে জেনে নিন। ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন যারা এই টাইপের কমেন্ট করেন তাদের পেইজ এর রিচ অনেক কম।
নিজের পেইজকে তুলে ধরতে চাইলে গঠনমূলক কমেন্ট করুন।
সবার জন্য রইল শুভকামনা🌷
তুমি যদি মানুষকে বিচার করতে যাও ; তাহলে ভালোবাসার সময় পাবে না।
--মাদার তেরেসা
👉ছবিতে আমার কালেকশনের বম শাল
চট্টগ্রামে আবারো বৃষ্টি পড়ছে।আপনারা কে কোথায় আছেন, আর সেখানে বৃষ্টি পড়ছে কি না জানতে চাই আমার মন🙂💙
👉ড্রেসের ম্যাটেরিয়াল :খাদি কটন,ব্লক ওয়ার্ক
👉পেয়ে যাবেন আমার পেইজে
🖊️Story
🔷The Selfish Giant
-by Oscar Wilde
প্রতিদিন বিকেলে স্কুল থেকে আসার সময় ছেলেমেয়েরা জায়ান্টস নামের একটি বাগানে খেলতে যেত।বাগানটি ছিল খুব সুন্দর, যেখানে ছিল নরম সবুজ ঘাস ছিল। এখানে-ওখানে ঘাসের উপরে ফুটে থাকতো তারার মতো কতো শতো ফুল , এবং সেখানে ছিল বারোটি পীচ-গাছ যা বসন্তকালে গোলাপী এবং মুক্তার সূক্ষ্ম ফুলে পরিণত হত এবং শরৎকালে প্রচুর ফল ধরতো। পাখিরা গাছে বসে এত মধুর গান করত যে বাচ্চারা তাদের গান শোনার জন্য তাদের খেলা বন্ধ করে দিত।একদিন ওই বাগানের আসল মালিক এক দৈত্য ফিরে এল।সে সাত বছর ধরে তার বন্ধুর সাথে থাকতো। সে এসে দেখল যে বাচ্চারা বাগানে খেলছে।
"তোমরা এখানে কি করছো" খুব বিরক্তিকর কণ্ঠে সে চিৎকার করে উঠল।ভয় পেয়ে শিশুরা পালিয়ে গেল বাগান থেকে।
'আমার নিজের বাগান, আমার নিজের বাগান,' দৈত্য উচ্চ স্বরে বলতে লাগল;
' আমি নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে এতে খেলতে দেব না এই বাগানে।'
তাই তিনি চারদিকে একটা উঁচু প্রাচীর তৈরি করল এবং একটা নোটিশ বোর্ড ও লাগিয়ে দিল।
শিশুদের এখন খেলার কোন জায়গা নেই। তারা রাস্তায় খেলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু রাস্তাটি খুব ধুলোময় এবং শক্ত পাথরে ভরা ছিল। তাই ওই খানে তাদের ভালো লাগতো না। পড়ালেখা শেষ হলে তারা উঁচু দেয়ালের চারপাশে ঘুরে বেড়াত এবং ভিতরের সুন্দর বাগানের কথা একে অন্যকে বলে বেড়াতো
"আমরা কত মজা করতাম"
তারপর বসন্ত এল, ফুলে ফুলে ভরে উঠল চারদিকে।কিন্তু দৈত্যের বাগানে তখনও শীত ছিল। আর বাগান ছিল চারদিক বরফে ডাকা।
"বসন্ত এই বাগানকে ভুলে গেছে।সেই বাগানে পাখিরা আর আগের মতো গান গায় না,মৌমাছিরা আসে না মধু খেতে।ফুল ফোটে না তাই।ফল ও হয় না।সেই সুন্দর রঙিন বাগানটি বরফ ডাকা ধূসর এক স্তুপে পরিণত হয়ে গেল।
বাগান থেকে বেরিয়ে চারদিক ঘুরে আসার পর দৈত্যের মন আরো খারাপ হতে লাগলো।
চারদিক সব ঠিক আছে।ঠিক নেই শুধু তার বাগান।
তার বাগানে বসন্ত আসেনি,আসেনি গ্রীষ্মও । শরতে প্রতিটি বাগানে সোনালী ফল দিয়েছে, কিন্তু স্বার্থপর দৈত্যের বাগানের কোন পারিবর্তন হয় নিই।
একদিন সকালে দৈত্য বিছানায় শুয়ে ছিলো।হঠাৎ শুনতে পেল এক সুমিষ্ট কন্ঠস্বর।
এটি এত মিষ্টি শোনাচ্ছিল যে, সে ভেবেছিলো এটি অবশ্যই কোন রাজার সংগীতশিল্পীদের কন্ঠস্বর।যা এই বাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। এটা সত্যিই যে,একটা ছোট্ট পাখি তার বাগানে এসে গান করছিলো। এতদিন পরে সে তার বাগানে একটি পাখির গান শুনতে পেয়ে মনে হল বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর গান সে শুনতে পাচ্ছে ।এরপর সে খেয়াল করল শিলাবৃষ্টি তার মাথার উপর নাচানো বন্ধ করে দিয়েছে এবং উত্তরের বাতাস গর্জন করা ও বন্ধ করে দিয়েছে।হঠাৎ স্বার্থপর দৈত্যের মন আনন্দে ভরে উঠল। সে শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ালো এবং বাহিরের দিকে তাকালো।
"আমি বিশ্বাস করি অবশেষে বসন্ত এসে গেছে"
এরপর সে দেখতে পেল এক বিস্ময়কর দৃশ্য। দেয়ালের একটি ছোট গর্ত দিয়ে শিশুরা ঢুকে পড়েছিল এবং তারা গাছের ডালে বসে ছিল। সে যে গাছ দেখতে পেল সেখানে একটি করে শিশু বসেছিল। এবং গাছগুলি বাচ্চাদের আবার ফিরে পেয়ে এতই খুশি হয়েছিল যে তারা ফুল দিয়ে নিজেদেরকে ঢেকে ফেলেছিল এবং বাচ্চাদের মাথার উপরে আলতো করে তাদের হাত নাড়ছিল। পাখিরা উড়ে বেড়াচ্ছিল এবং আনন্দে টুইটার করছিল, এবং ফুলগুলি সবুজ ঘাসের মধ্য দিয়ে তাকিয়ে হাসছিল। এটি একটি মনোরম দৃশ্য ছিল, শুধুমাত্র একটি কোণে তখনও শীতকাল ছিল। স্বার্থপর দৈত্য বাগানের সবচেয়ে দূরতম কোণে ছিল এবং সেখানে একটি ছোট্ট শিশু দাঁড়িয়ে ছিল। সে এতই ছোট যে সে গাছের ডাল পর্যন্ত পৌঁছতে পারছিল না, এবং সে চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, কাঁদছিল।গাছটি তখনও হিম ও তুষারে ঢাকা ছিল এবং উত্তরের বাতাস তার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল এবং গর্জন করছিল। "উপরে উঠো! ছোট ছেলে," গাছটি বললো, এরপর গাছটি তা শাখাগুলিকে যতটা পারে নীচে নিচু করে দিল, কিন্তু ছোট ছেলেটি খুব বেশি ছোট ছিল যে সে পারছিল না।
সব কিছু দেখে দৈত্য তার ভুল বুঝতে পারল। সে বুঝল সে খুব বেশি স্বার্থপর আচরণ করে ফেলেছে !" সে বলতে লাগল, "এখন আমি বুঝতে পেরে গেছি বসন্ত এতো দিন কেন আমার বাগানে আসে নিই। এখন আমি সেই ছোট্ট শিশুটিকে গাছের উপরে রাখব, এবং তারপর আমি দেয়ালটি ভেঙ্গে দিব।আমার বাগানটি চিরকালের জন্য শিশুদের খেলার মাঠ হয়ে থাকবে। সে যা করেছে তার জন্য সে সত্যিই খুব অনুতপ্ত ফীল করছিলো
কিন্তু যখন শিশুরা তাকে দেখে এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে তারা সবাই পালিয়ে গেল। বাগানটি আবার ও বরফের স্তুপে পরিণত হয়ে গেল। শুধু ওই ছোট্ট শিশুটি পালাতে পারে নিই, কারণ তার চোখ এতটাই অশ্রুতে ভরা ছিল যে দৈত্যকে আসতে সে দেখতে পায় নিই। এবং দৈত্যটি তার পিছনে চুরি করে আস্তে আস্তে তাকে তার হাতে নিয়ে গাছে তুলে দিল। আর গাছটি তৎক্ষণাৎ ফুলে ফুলে ভরে উঠল, আর পাখিরা এসে তাতে গান গাইল। এবং ছোট শিশুটি তার দুই হাত প্রসারিত করে দৈত্যটিকে আদর করে দিল। এই দৃশ্য অন্যান্য শিশুরা দেখতে পেল।যখন তারা দেখল যে দৈত্যটি আর দুষ্ট নেই, দৌড়ে ফিরে এল তারা। তাদের সাথে বসন্ত ও চলে এলো বাগানে।
ছোট বাচ্চারা, "এটা এখন তোমাদের বাগান," দৈত্য বলল, এবং সে একটি বড় কুড়াল নিয়ে প্রাচীরে ধাক্কা দিল। এবং যখন আশপাশের লোকেরা বাজার করতে যাচ্ছিল তখন তারা দেখতে পেল দৈত্যটি বাচ্চাদের সাথে সবচেয়ে বেশি খেলছে।এত্তো সুন্দর বাগান তারা কখনও দেখেনি।
সারা দিন তারা খেলেছে, এবং সন্ধ্যায় তারা তাকে বিদায় জানাতে দৈত্যের কাছে আসে।
প্রতিদিন বিকেলে, স্কুল শেষ হলে, শিশুরা এসে দৈত্যের সাথে খেলত। কিন্তু সেই ছোট্ট শিশু যে দৈত্যটিকে আূর করে দিয়েছিল তাকে আর দেখা যায়নি। দৈত্য সমস্ত বাচ্চাদের প্রতি খুব সদয় ছিল, তবুও সে তার প্রথম ছোট বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করতো এবং প্রায়শই তার কথা বলত। আমি কিভাবে পাবো তাকে? তাকে দেখতে চাই!" দৈত্য বলতো।
🙂Heapy Reading 🙂
পটুয়াখালী :
নানা-শ্বশুর শ্বাশুড়ির বাড়ি যাওয়ার পথে...
আপনার লাইফে এমন একজনও কি আছে যার কাছে মনের সমস্ত রকম কথা কোন রকম দ্বিধা ছাড়া বলে দিতে পারবেন?
আমি তো বলবো নেই?তেমন একজন ও নেই।
এই জগতে কারো সাথে ন্যায় করতে গেলে কারো সাথে অন্যায় করতেই হয়। কারো সাথে সৎ থাকতে গেলে করো না কারো সাথে মিথ্যে বলতেই হয়।
আজ পুরনো কিছু ছবি দেখছিলাম।ওদের নিয়ে আমাদের আদুরে দিনগুলে এখনো এইভাবেই কাটছে।তবে এ ছবি গুলো দেখে সেই সময়ের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেলো।একজন নারীর কাছে মাতৃত্ব এবং মাতৃত্বের পরের সময়টুকু খুব বেশি এসপেশাল হয়।একজীবনে নারী সব ভুলে গেলেও ওই সময়ে ঘটে যাওয়া ভালো,খারাপ কোন স্মৃতি সে ভুলতে পারে না।হিয়া'কে নিয়ে টানা নির্ঘুম সময় পার করছিলাম তখন।২য় বারের মতো সিজার হয়েছিলো।কাটা পেট,অসম্ভব ব্যাক পেইন,সাথে জয়িতা ও ছিল অনেক ছোট তখন।করোনা সময়কালীন কোন কাজের বুয়া পাচ্ছিলাম না।আমার নিজের মানুষের অভাব নেই এই শহরে।সবাই ছিল, আছে এখনো।কিন্তু দূর্ভাগ্য আমার, পাশে পাওয়ার মতো কেউ ছিলো না।
সেই সময়টা ওভারকাম করতে খুব একটা কষ্ট হয়েছে বলব না।আসল কষ্টটা হয়েছে নিজের মানুষ গুলো কে নতুন করে চিনতে পেরেছি এই নিয়ে।আমি ও প্র্যাকটিক্যালি বুঝে গেলাম, সুসময়ে সবাইকে কাছে পাওয়া গেলেও দুঃসময় টা একান্ত নিজের।
আল্লাহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের বুঝিয়ে দেয় বারেবার,একমাত্র আল্লাহ ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ আপন হয় না।
-তাসনিম জান্নাত
(ওনার ওফ দিস পেইজ)
আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হল, আমার কাছের মানুষ গুলোকে কাছের করে রাখতে পারি নিই।যখন থেকে সম্পর্কের মূল্য বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই খুব করে ধরে রাখতে চেয়েছিলাম,ভালোবাসতে চেয়েছিলাম।কিছু কিছু মানুষের আশপাশটা এমন হয় যে,,,,যেখানে মানুষ স্বার্থের বাহিরে কিছু ভাবতেই পারে না।সেসব জায়গায় যদি আপনি পড়ে যান তবে তাদের তো কোনদিন কাছের করে রাখা যাবেই না বরং নিজেকে খুব সস্তা বানিয়ে ফেলবেন তাদের কাছে।তাই বলব সম্পর্ক নিয়ে কখনো অহংকার করতে নেই।আজ যার সাথে আপনার সম্পর্ক অনেক ভালো,যার সাথে সকাল বিকাল কথা বলে যাচ্ছেন, তার সাথে যে কাল ও একই ভাবে যাবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
-তাসনিম জান্নাত
শর্টকার্ট বলে কিছু নেই।ভালো, স্থায়ী কিছু অর্জন করতে গেলে কঠোর শ্রম ও সাধনা করে যেতে হয়।স্বল্প সময়ে পাওয়া কৃতিত্ব স্বল্প সময়েই হারিয়ে যায়।পেইজে যারা লাইক, কমেন্ট নিয়ে অল্পতে হতাশ হয়ে পড়েন তাদের বলব ধৈর্য ধরে নিয়মিত থাকুন,চেষ্টা চালিয়ে যান।কোন অবস্থাতে হতাশ হতে নেই।হতাশ হয়ে পড়লে কাজ করার শক্তি হারিয়ে যায়,ক্লান্তি চলে আসে।
আমি ও আমার দু'মেয়ে ভীষণ অসুস্থ। ঠান্ডা, জ্বরে ভুগছি।ফেইসবুকে এক্টিভ থাকতে পারছি না।সবার কাছে দোয়ার আর্জি।
সবার দিনটি সুন্দর কাটুক ☕🙂🌷
যে পরিবারে মা-বাবার মধ্যে একটা ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং নাই, পারস্পরিক রেসপেক্ট নাই সেই পরিবারের সন্তানরা ডমিনেটিং টাইপের হয়।শিশু সবসময় দেখে শেখে ।আপনি তাকে যেমন শিক্ষা দেন সে কিন্তু তেমন শিখবে না।সে যেমনটা দেখে বড় হবে তেমনটাই সে করবে,বুঝবে এবং শিখবে ।সে যদি এটা দেখে বড় হয় যে নিজের কোন প্রয়োজনে মা,বাবার মধ্যে যে কেউ একে অন্যকে অসম্মান করছে, অবজ্ঞা করছে তবে পরবর্তী সময় আপনি দেখবেন কোন কিছু পাওয়ার জন্য অথবা আপনার কোন কিছু তার পছন্দ না হলে সে আপনাকেও অসম্মান করা শুরু করছে।তাই পরিবর্তনটা শুরু হোক আপনার থেকেই।
ব্ল্যাক এর সাথে হুয়াইট কম্বিনেশন কার কেমন লাগে?
Be carefull....
জীবনে খারাপ সময় আসাটা Part of life আর খারাপ সময় কে ধৈর্য আর সাহসের সাথে মোকাবেলা করা হল Art of life। জীবন কখনো রংধনুর মতো রঙিন আবার কখনো কালো আমাবশ্যার ঘুর অন্ধকার। কিন্তু সূর্য উঠবেই।তাই হতাশ হতে নেই কখনো।🙂🙂
হে নারী,
তুমি ভালো পরিবেশ পেলে ভালো ভাবে চলবে।যাতে সবাই তোমার প্রশংসা করতে বাধ্য হয়।আর খারাপ পরিবেশ পেলে বেশী খারাপ চলবে।যাতে সবাই বুঝতে পারে, তোমাকে পুতুল হিসাবে নাচানো যাবে না।মানুষ হিসেবে যাতে মূল্যায়ন করতে পারে সবাই।
আমার পেইজের অর্গানিক রিচ আমি যেভাবে বাড়াচ্ছি।
ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন 💙
ক্যামরাটা অন করে রেখেছিলাম ভিডিও বানাবো বলে।আমার পাকা বুড়িটা বলে মা, আমি তোমার আগে একটু ভিডিও বানায় প্লিজ প্লিজ.....।বলতে বলতেই তার কথা বলা শুরু।
ক্যামরা অন করে কি বলব ভাবতে ভাবতেই আমার আর ভিডিও বানানো হয় না🙂🙂😀😀।এদিকে সে ক্যামরা অন করেই অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে। মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ।
ছাগল গুলো পেয়ে বাচ্চাদের আনন্দ দেখে আমিও সেই ছোটবেলায় ফিরে গেলাম 💙
🔷story
🔷 Cinderella,or the glass slipper
🖊️Cinderella in the Palace -2
🔹প্রাসাদে সিন্ডারেলা-২
রাজ প্রাসাদে গিয়ে সিন্ডারেলা আনন্দে উচ্ছ্সিত হয়ে উঠলো। রাজার ছেলে এই অজানা রাজকন্যাকে নিয়ে যেতে প্রাসাদের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে। সে তাকে হলের দিকে নিয়ে গেলো যেখানে সমস্ত অতিথিরা নাচছিল।
যে মুহুর্তে সিন্ডারেলা উপস্থিত হল চারদিক নিঃশ্চুপ হয়ে গেলো, গান বন্ধ হয়ে গেল এবং নর্তকিরা স্থির হয়ে হয়ে গেলো। এত সুন্দর রাজকন্যা আগে কখনো কেউ দেখে নিই! এমনকি রাজ্যের রাজা, রানীর দিকে তাকিয়ে বললেন-
"সেই আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর রাজকন্যা - যেহেতু আমি তোমাকে প্রথম দেখেছি!"
মহিলারা সবাই সিন্ডারেলার পোশাক দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। রাজপুত্র সিন্ডারেলাকে সর্বোচ্চ পদে নিয়ে গেলো এবং তার সাথে নাচ করার জন্য অনুমতি চাইল। সিন্ডারেলা অনেক মনোমুগ্ধকর নাচ পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্ধ করে দিলো। নৈশভোজ আনা হলে সিন্ডারেলা গিয়ে তার বোনদের কাছে বসেছিল। এবং রাজকুমার তাকে যে ফল দিয়েছিল তা তাদের সাথে ভাগ করে নিল। তারা তাকে তাদের কাছে পেয়ে খুব গর্বিত অনুভব করছিল, কারণ তারা ভাবতেও পারে নিই যে সে আসলে সিন্ডারেলা।
সিন্ডারেলা তাদের সাথে কথা বলছিল, যখন সে শুনতে পেল ঘড়ির কাঁটা বারোটা বাজে।
সে রাজা এবং রাণীর কাছে গিয়ে আবার ফিরে যাওয়ার অনুমতি চাইলো।রানী তখন বললো পরের রাতে আর একটা বল হবে, আর তাকে সেটাতেই আসতে হবে অবশ্যই । রাজপুত্র তাকে তার কোচের কাছে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে নিয়ে গেল এবং সে বাড়ি নিয়ে গেল।এ দিকে ঘরে পরী বসে সিন্ডারেলার অপেক্ষায়। মেয়েটি যা ঘটেছিল তা সব বলতে শুরু করেছিল।যখন সে তার গল্পের মাঝে ছিল তখন দরজায় একটি টোকা শোনা গেল। বুঝতে বাকী নেই যে তার দুই বোনেরা বল থেকে ফিরে এসেছে।এদিকে পরী অদৃশ্য হয়ে গেল সাথে সাথে। সিন্ডারেলা তার চোখ ঘষে দরজার কাছে গেল, যেন সে এইমাত্র ঘুম থেকে জেগে উঠেছে।
বল থেকে ফিরে তার বোনেরা বলেছিল,,"এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে সুন্দর রাজকন্যা দেখে এসেছি আমরা।সে আমাদের সাথে খুব ভালো ভাবে কথা বলছিলো এবং আমাদেরকে খেতেও দিলো।
সে কে ছিল?" জিজ্ঞেস করে সিন্ডারেলা
"কেউ তার নাম জানতে পারলো না। সে খুব তাড়াহুড়ায় চলে আসছিলো।
সিন্ডারেলা বলল,"আমি ওই রাজকন্যাকে দেখতে চাই। আমাকে তোমাদের হলুদ গাউনটি পরতে দিবে?ওই টা পরে আমি বলে যেতে চাই।"
তার বোনেরা বলে "আমার হলুদ গাউন একজন সিন্ডার-মেইডকে কী ধার দেবো?! আমি এতটা বোকা নই।"
তাদের আচরণে সিন্ডারেলা কোন দুঃখ নেয় নিই।সে শুধু বুঝতে চেয়েছিলো তাদের।
পরের রাত এলো, এবং বোনেরা আবার কোর্ট বল করতে গেল। ওরা চলে যাবার পর পরী আগের মতই এসে সিন্ডারেলাকে রেডি করল।
"মনে রেখো" পরীটি বলল, কোচ চলে যাওয়ার সাথে সাথে, "মনে রেখো বারোটা।"
এবার সিন্ডারেলা প্রথম রাতের চেয়েও বেশি জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে রেডি হলো।তাকে দেখতে আরো বেশি আকর্ষনীয় লাগছে।রাজা পুত্র তার চোখ কিছুতেই সরাতে পারছিল না ।রাজপুত্র এতো সুন্দর করে কথা বলছিলো যে সিন্ডারেলা ও খুব মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরমধ্যে সে পরীর সতর্কবাণী ভুলে গেলো: ভুলে গেলো প্রতিশ্রুতি কথা। এগারোটা বেজে গেল, কিন্তু সে ধাক্কাটা খেয়াল করল না। আধঘণ্টা চলে গেল, তার চোখে রাজপুত্রকে আরও মোহনীয় লাগছিল।তখন সিন্ডারেলা রাজপুত্রের কণ্ঠ ছাড়া আর কিছুই শুনতে পেল না। শেষ কোয়ার্টার-তবুও সিন্ডারেলা রাজপুত্রের পাশে বসেছিলো।
তারপর টাওয়ারের দুর্দান্ত ঘড়িটি বারোটার প্রথম স্ট্রোকটি আঘাত করলে সিন্ডারেলার হুঁশ ফেরে। সিন্ডারেলা উঠে তাড়াতাড়ি পালিয়ে গেল।
রাজকুমার তাকে অনুসরণ করতে শুরু করলে ও তাকে আর খুঁজে পায় নিই সে।যাওয়ার পথে তার কাচের জুতা তার পা থেকে পড়ে গিয়েছিলো। রাজপুত্র তা তুলে নিজের কাছে রেখে দেয়।
সিন্ডারেলা প্রাসাদের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসার সাথে সাথে বারোজনের শেষ স্ট্রোকটি মারা যায়। এক পলকের মধ্যে গেই ভদ্রমহিলা চলে গেলো; কেবল একজন জীর্ণশীর্ণ সিন্ডার-মেইড সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে যাচ্ছিল। দুর্দান্ত কোচ এবং ছয়জন, ড্রাইভার এবং ফুটম্যান, সবাই চলে গেল, মাটিতে কেবল একটি কুমড়ো পড়ে আছে, এবং একটি ইঁদুর, ছয়টি ইঁদুর এবং ছয়টি টিকটিকি ছড়িয়ে পড়েছিল।
সিনড্রেলা বাড়িতে পৌঁছে শান্তিতে নিঃশ্বাস ফেলল। একটি ছোট কাচের জুতা ছাড়া সে তার সব কিছু হারিয়ে ফেলেছিলো। অন্যদিকে রাজকুমার হঠাৎ রাজকন্যাকে হারিয়ে ফেলে ভীষণ মন খারাপ করছিলো।সে প্রাসাদের গেটে সৈন্যদের জিজ্ঞাসা করল যে তারা তাকে চলে যেতে দেখেছে কি না। সবারই একই উত্তর কেউ দেখি নিই।
কিছু দিন পরে, রাজার ছেলে মাইকিং করে সবার কাছে কাচের জুতার সন্ধান করতে লাগলো।তার পর ঘোষণা দেয়া হলো রাজ্যের সব মেয়েদের এই জুতা পরিয়ে দেখা হবে।
তারপর এটি সমস্ত বাড়িতে একে একে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছিল, এবং শেষ পর্যন্ত জুতা পরানোর জন্য ওই দু বোনের কাছে ও আসে রাজার লোকেরা। তারা পরী জুতার একটি পা জোর করে ডুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। সিন্ডারেলা পাশে দাঁড়িয়ে বলল,আমি কি চেষ্টা করতে পারি?" তার দুই বোনেরা তাকে নিয়ে ঠাট্টা করছিলো, কিন্তু বার্তাবাহক সিন্ডারেলার দিকে তাকালেন। তিনি দেখলেন সে খুব সুন্দর , এবং তার পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি মেয়ের পায়ে পরী জুতাটি পরানোর নির্দেশ ছিল।
তাই তিনি সিন্ডারেলাকে রান্নাঘরে তিন পায়ের স্টুলে বসতে বললেন, সে তার ছোট্ট পা বের করে দিল এবং জুতাটি মোমের মতো লেগে গেলো সিন্ডারেলার পায়ে। বোনেরা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। তারপর সিন্ডারেলা তার পকেটে হাত ঢুকিয়ে অন্য কাচের জুতাটা বের করে তার অন্য পায়ে রাখল।
যে মুহুর্তে সিন্ডারেলা এই কাজটি করেছিল, সেই পরী, যে অদেখা পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, তাকে তার কাঠি দিয়ে স্পর্শ করে দিয়েছিল।
সাথে সাথে সিন্ডার-দাসী আবার সুন্দরী,আকর্ষনীয় পোশাক পরিহিতা সেই রাজকন্যা হয়ে উঠল। বোনেরা দেখল যে সে একই এক যাকে তারা বলে দেখেছিল। তারা তার সাথে এত খারাপ আচরণ করেছিল এই ভেবে তাদের মন খারাপ হয়ে গেলো। লোভী, অহংকারী বোনেরা তার পায়ে পড়ে তাদের ক্ষমা করে দিতে বলল।
সিন্ডারেলা তখন ও সেরকমই ভালো ছিল যতটা সে যখন সিন্ডার-মেইড ছিল। সে নির্দ্বিধায় তার বোনদের ক্ষমা করেে দেয় এবং তাদেরকে তার সাথে রাজ প্রাসাদে নিয়ে যায়।কারণ সে এখন রাজকুমারের স্ত্রী হতে চলেছে।পরে পুরানো রাজা এবং রানী মারা গেলে, রাজকুমার এবং সিন্ডারেলা রাজা এবং রানী হয়ে যায়।
🙂Happy Reading 🙂
-Tasnim Fashion Chattogram
-তাসনিম জান্নাত
🔷 Cinderella,or the glass slipper
🖊️ I Cinderella in the kitchen -1
একসময় এক ব্যক্তি তার স্ত্রী এবং এক সুন্দরী কন্যা নিয়ে বাস করতেন।একদিন তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে মারা গেল।মারা যাওয়ার পর তিনি এবার বিয়ে করেন কারণ তার সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য তার কাউকে দরকার ছিল। নতুন বউ বিয়ের আগে খুব ভালোভাবে হাজির হয়েছিল, কিন্তু পরে সে একটা ট্রেড সেম্পার দেখাল। তার নিজের দুটি সন্তান ছিল এবং তারা তাদের মায়ের মতো অহংকারী এবং নির্দয় ছিল। তারা তাদের কোমল নিষ্পাপ বোনটিকে সহ্য করতে পারতো না।তারা তাকে দিয়ে সমস্ত রকম কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করতো।
সে ঘরের সমস্ত থালা-বাসন ধুয়ার কাজ করতো।সারদিন ধরে পুরো বাড়ি ঝাড়ু দিতো আর মুচতো।অন্য দিকে তার অন্য দুই বোন ঘুমিয়ে থাকতো নরম বিছানায়।আর সিন্ডারেলা ঘুমাতো সে গ্যারেটে একটি পুরানো খড়ের বস্তার উপর।
সে কোন রকম অভিযোগ ছাড়াই এই সব সহ্য করে যেত এবং কাজ করে যেত প্রতিনিয়ত।কাজ শেষে বসে থাকতো ছাই এবং সিন্ডারের মাঝে এক কোণে । তাই তার দুই বোনরা তাকে সিন্ডারেলা বা সিন্ডার-মেইড নাম দিয়েছিল। কিন্তু সিন্ডারেলা সত্যিই তাদের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দরী ছিল এবং সে ছিলো আরও বেশি মিষ্টি এবং কোমল প্রকৃতির।
একদা এক রাজার ছেলে একটি জমকালো বল প্রোগ্রামের আয়োজন করে। সে আমন্ত্রণ জানায় সমস্ত ধনী এবং বড় মানুষদেরও। সিন্ডারেলার দুই বোন ও তাদের মা সে অনুষ্ঠানে যেতে ভীষণ আগ্রহী হয়ে উঠে। । তারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তারা সেই রাজকুমারের সাথে নাচও করবে। তাই তারা নতুন গাউন তৈরি করে। দরিদ্র সিন্ডারেলার জন্য নতুন কাজ দেয় তারা। তাকে তাদের রফেলস স্টার্চ এবং তাদের লিনেন কাপড় আয়রন করতে দেয়। সারাদিন তারা তাদের সুন্দর পোশাক ছাড়া আর কিছুই ভাবে না।
কখনো বড় বোনটি বলে "আমি আমার লাল মখমলের পোষাকটি পরবো," আবার কখনো বলে, " আমার পয়েন্ট লেইস দিয়ে এই জামাটির এটি ছাঁটাই করবো।"ছোট বোনটি বলে "একটি সিল্কের গাউন পরব, কিন্তু আমি তার উপরে সোনার ব্রোকেড পরব,আমি আমার হীরার নেকপিস টি পরব।"
মাঝেমাঝে তাদের দু বোনের মধ্যে পোশাক নিয়ে ঝগড়াও করা ও শুরু করে এবং সিন্ডারেলা তাদের মধ্যে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করে যায়।
সে তাদের সমানে এই সেই বিষয়ে সাহায্য করে যাচ্ছিল। অনুষ্ঠানে আগের রাতে তাদের চুল সাজানোর প্রস্তাব দিয়েছিলো নিষ্পাপ সিন্ডারেলাকে।সে তাদের প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করে তাদের চুল সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন তার সৎ বোনেরা তাকে বলতে শুরু করে:-
"সিন্ডারেলা, তুমি কি বল-অনুষ্ঠানে যেতে চাও?"
"না," দরিদ্র নিষ্পাপ সিন্ডারেলা বলল: "আমি বুঝতে পারছি, তোমরা আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করছ। আমাকে অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলছ না ।"
তারপর তারা বলে "কোর্টের বল-অনুষ্ঠানে একজন সিন্ডার-মেইডকে দেখে লোকেরা হাসবে।" অন্য কেউ হলে তাদের অভদ্রতার জন্য, তাদের ঘৃণা করার জন্য তাদের চুল খারাপ করে দিত। কিন্তু সিন্ডারেলা ছিলো অত্যন্ত ভাল স্বভাবের।তার মনে ছিলো না কোন হিংসা।তাই সব শুনে ও তাদের সুন্দর করে সে সাজিয়ে দিলো।
বল-অনুষ্ঠানের আগে তার সৎ দুই বোন কম খাওয়া শুরু করেছিলো। যাতে তাদের যথেষ্ট রোগা আর লম্বা ও আকর্ষণীয় দেখায়।এতে তাদের মেজাজ একটু খিটখিটে হয়ে যায়।এবং তারা বেশির ভাগ সময় আয়নার সামনে রং ঢং করে কাটিয়ে দিতো।
তারা বল-অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার পর সিন্ডারেলা রান্নাঘরের আগুনের কাছে বসে কাঁদতে লাগল।
এমন সময় তার পরী, গডমাদার তার কাঠি নিয়ে হাজির।
"কিসের জন্য কাঁদছ, আমার গৃহকর্মী?
"আই উইশ,আই উইশ।" নিষ্পাপ মেয়েটি বলা শুরু করল, কিন্তু তার কণ্ঠ কান্নায় দম বন্ধ হয়ে গেল।
পরীটি বলল,"তুমি কি বলে যেতে চাও?
সিন্ডারেলা মাথা নাড়ল।
"আচ্ছা, তাহলে, তুমি যদি ভালো মেয়ে হও, তুমি তাড়াতাড়ি দৌড়ে গিয়ে আমার জন্য একটা কুমড়ো নিয়ে আস বাগান থেকে।"
সিন্ডারেলা বাগানে উড়ে গেল এবং সবচেয়ে ভালো কুমড়োটি নিয়ে আসলো। সে অনুমান করতে পারল না এটার সাহায্যে কি করা হবে আসলে।কিন্তু পরী সেটাকে ফাঁকা করে ফেলল, এবং তারপর তার পাখা দিয়ে স্পর্শ করল। কুমড়াটি একবারে একটি দুর্দান্ত গিল্ট কোচ হয়ে ওঠে।
-এবার পরীটি বলল, আমার জন্য প্যান্ট্রি থেকে মাউস-ফাঁদটা আনো।" মাউস-ফাঁদে ছয়টি মসৃণ ইঁদুর ছিল। পরী দরজা খুলল, এবং তারা দৌড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সে তার কাঠি দিয়ে প্রত্যেকটিকে স্পর্শ করল এবং এটি একটি ধূসর ঘোড়া হয়ে গেল।
"আমরা ইঁদুর-ফাঁদে একটি ইঁদুর খুঁজতে পারি," সিন্ডারেলা বলল।
পরীটি বলল"এটা একটা ভালো চিন্তা। দৌড়ে এসে ইঁদুরের ফাঁদটাকে নিয়ে এস, আমার প্রিয়।"
ফাঁদ নিয়ে ফিরে এলো সিন্ডারেলা। তাতে তিনটি বড় ইঁদুর ছিল। পরী এমন একটা বেছে নিল যার লম্বা কালো কেশ ছিল, এবং সে তাকে কোচম্যান বানিয়ে দিয়েছিলো।
তারপর পরীটি বলল"এখন বাগানে যাও এবং আমাকে ছয়টি টিকটিকি এনে দাও। তুমি তাদের জলের পাত্রের পিছনে পাবে।"
দেখ! আমার পাখার ছোঁয়ায় তারা ছয় ফুটম্যানে পরিণত হয়ে গেলো, যারা কোচের পিছনে ঝাঁপিয়ে পড়লো, যেন তারা সারা দিন আর কিছুই করেনি। তখন পরী বলল,
"এই হল তোমার কোচ এবং ছয়, সিন্ডারেলা, তোমার কোচম্যান এবং তোমার ফুটম্যান। এখন তুমি বল করতে যেতে পারো।"
সিন্ডারেলা তার কুঁকড়ে যাওয়া ফ্রকের দিকে তাকিয়ে বলল,"এই জামাকাপড়ে কি?
পরীটি হাসে এবং তাকে ছুঁয়ে দেয়।তারপর স্বর্ণ এবং রূপার জরির এক জামা চলে আসে তার পরণে, এবং খালি পায়ে সিল্কের স্টকিংস এবং এক জোড়া কাচের জুতো তাকে পরানো হয়।সবকিছু মিলিয়ে তাকে দেখতে অদ্ভুত সুন্দর লাগছিল।
এখন যাও , সিন্ডারেলা।কিন্তু মনে রাখবে, যদি তুমি মধ্যরাতের পরে এক মুহূর্তের জন্য ও ওই খানে অবস্থান করো তবে তুমি সাথে সাথে কুমড়ো হয়ে যাবে। তোমার ঘোড়াগুলি হয়ে যাবে ইঁদুর, তোমার কোচম্যান হয়ে যাবে একটি রেট এবং তোমার ফুটম্যান হয়ে যাবে টিকটিকি। এবং তুমি? তুমি আবার ও সেই ছিদ্রযুক্ত ফ্রক পরিহিতা এবং খালি পায়ে একজন সিন্ডার দাসী হয়ে যাবে।
To be continued...........
🙂Happy Reading 🙂
-তাসনিম জান্নাত
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Akbar Sha, Chattogram
Chittagong
Chittagong
Chittagong, RAJSHAHI
- অতিরিক্ত চিন্তা বাদ দাও তাকদিরে যা আছে তাই হবে - - মুচকি হেসে বলে দাও আলহামদুলিল্লাহ.!!😊❤️
Chittagong, 4100
__ Welcome Everyone...🥀 আমার ছোট্ট অভিজ্ঞতা থেকে সামাজিক কিছু কথা শেয়ার করছি । দোয়া করবেন সবাই 🤲
Chittagong
Chittagong
I`m Full Stack Digital Marketer . I Can Help You. 🔰 Social Media Promote ✅ Grow Your Business. ✅ Promote Your Music. ✅ Increase Followers. ✅ YouTube Monetization. I work very meti...
South Kattali, Pran Horidan Road. Phartoli Kastom Academy, Chattagong
Chittagong, 4219
Alamgir Hossain
Chittagong
Is the page create a special you will find the latest videos give and ice on this page