Sobuj Chottogram Online Nursery
The goal of সবুজ চট্টগ্রাম অনলাইন নার্সারি is We started the journey with the goal of making your buying experience more flexible and smooth.
Also, we care about our customers’ query so we can go ahead and make the most of your materials.
শুভ সকাল চট্টগ্রামবাসী,
আসসালামু আলাইকুম,
এই শীতে আপনার বাগানকে করে তুলুন রঙ্গীন।
যেকোনো ফুলের চারার জন্য যোগাযোগ করুন নিচের নাম্বারে-01997703738
জুম্মা মোবারক
কাঠ গোলাপ💕
লাকি বেম্বু।
(ইনডোর প্লান্ট)💚
বিদেশি ফল রামবুটান চাষ সম্প্রসারণ
যে সব বিদেশি ফল এ দেশে সফলভাবে লাভজনক হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তার মধ্যে রামবুটান অন্যতম। এ ফল অনেকটা লিচুর মতো, তবে লিচুর চেয়ে আকারে বড়, ডিম্বাকৃতি, কিছুটা চ্যাপ্টা। পাকা ফল উজ্জ্বল লাল, কমলা বা হলুদ আকর্ষণীয় রঙের হয়ে থাকে। ফলের পুরু খোসার উপরি ভাগ কদম ফুলের মতো শত শত চুল দিয়ে আবৃত। মালয়েশিয়া ভাষায় রামবুটানের অর্থ চুল। একই কারণে এ ফল চুল বা দাড়ি বিশিষ্ট লিচু বলে অনেকের নিকট পরিচিত। রামবুটান লিচুর মতোই চিরহরিত, মাঝারি উচ্চতা বিশিষ্ট লম্বা গাছ। বর্ষাকালে জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। অপুষ্ট ফলের রঙ সবুজ থাকে। ফল পুষ্ট হলে উজ্জ্বল লাল/ মেরুন রঙে পরিবর্তন হতে থাকে এবং এর দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে পাকা ফল সংগ্রহ করার উপযোগী হয়।
উৎস ও বিস্তার : মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এ ফলের আদি উৎস। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইনস, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ব্রুনাই ও শ্রীলংকায় প্রচুর রামবুটান ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। এ সব দেশ থেকে অনুরূপ আবহাওয়া বিশিষ্ট দেশে বা দেশের অংশ বিশেষে এ ফলের বিস্তার আরম্ভ হয়। শীতের তীব্রতা কম এমন দেশে যেমন ভারত ও বাংলাদেশের এমন অংশেও এ ফলের বিস্তার ও চাষ জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
জলবায়ু : ট্রপিক্যাল ও সাবট্রপিক্যাল আবহাওয়া বিশিষ্ট অঞ্চল রামবুটান চাষের জন্য উপযোগী। এ ফল গাছে শীতের তীব্রতা সহ্য শক্তি নেই বললেই চলে। শীত কালে তাপমাত্রা ১০০ সেলসিয়াসের নিচে নেমে ৫-৭ দিন বিরাজ করলে গাছ মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাংলাদেশের দক্ষিণ ও পার্বত্য অঞ্চলীয় জেলাসহ বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও যশোর জেলায় এ ফল সম্প্রসারণ সম্ভাবনা বিরাজ করছে। রাঙ্গামাটি জেলায় কিছু সংখ্যক রামবুটান গাছে ৩০-৪০ বছর ধরে ফল দিচ্ছে। নেত্রকোনা জেলার কিছু সংখ্যক চাষি প্রায় ২০ বছর ধরে রামবুটান ফল উৎপাদন বিপণন করে বেশ লাভবান হচ্ছে। এছাড়া নরসিংদী উপজেলার শিবপুর জেলায় কয়েক জন রামবুটান চাষির সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তদাঞ্চলে লটকন চাষের পাশাপাশি রামবুটান চাষে অনেকেই আকৃষ্ট হচ্ছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় রামবুটান উৎপাদনকারী দেশগুলোতে যাদের রামবুটান বাগানে কাজের অভিজ্ঞতা আছে তারা তথা হতে ফল/বীজ সংগ্রহ করে বাংলাদেশে রামবুটান চাষে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
পুষ্টিগুণ : রামবুটান একটা ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ ফল। এ ফলে প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং ক্যালোরি রয়েছে। এন্ট্রি অক্সিডেন্টাল গুণ সমৃদ্ধ ফ্যাট ফ্রি এ ফলে সব ধরনের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভিটামিনস, মিনারেলস রয়েছে।
মাটি : প্রায় সব ধরনের মাটিতে এ ফল চাষ করা যায়। তবে পানি সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধা যুক্ত উর্বর দো-আঁশ মাটি এ ফল চাষে বেশি উপযোগী। মাটি শক্ত, কাঁকরময় বা বেশি এঁটেল হলে গাছ রোপণের জন্য মাদা তৈরি কালে ৫-৭ ফুট চওড়া ও গভীর করে মাটি সরিয়ে তৈরি গর্ত উপযোগী পটিং মিডিয়া দিয়ে ভরাট করে এ ফল গাছ রোপণ করা হলে বেশি চাষে সফলতা আনা সহজতর হয়। রামবুটান চাষের জন্য মাটির পি-এইচ মাত্রা ৫.৫-৬.৫ হলে ভালো হয়।
বংশবিস্তার : প্রধানত বীজ থেকে উৎপাদিত চারা দিয়ে রামবুটান ফল চাষ করা হয়। পাকা ফলের বীজ বের করে তা তাজা অবস্থায় চারা তৈরির কাজে ব্যবহার করতে হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় রামবুটান বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা ৫-৭ দিনের বেশি থাকে না। এজন্য বীজ সংগ্রহের পর পরই বীজ বপনের প্রয়োজন হয়। বীজ বসানোর জন্য উপযোগী পটিং মিডিয়া তৈরি করে নেয়া জরুরি। মিডিয়া তৈরির জন্য মোটা বালু (সিলেট স্যান্ড)-২৫%, নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া (কোকোডাস্ট)-২৫%, লতাপাতা বা আর্বজনা পচা জৈব সার- ২৫%, এবং ভিটে মাটি (নার্সারির কাজে ব্যবহার উর্বর মাটি)- ২৫%। এগুলো একত্রে মিশিয়ে তলা ছিদ্র বিশিষ্ট মাটির টব মিশ্রণ দিয়ে ভরাট করে তার ওপর র্২র্ দূরত্বে বীজ বসাতে হয়। বীজের চওড়া ভাগ নিচে রাখতে হবে এবং বীজ বসানোর পর উপরিভাগ সামান্য মাটি (হাফ ইঞ্চি পুরু) দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। বীজ বপনের আগে ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করে নেয়া ভালো। বীজ বপনের পর এ টবকে আধা ছায়ায় রাখতে হবে। বৃষ্টির পানিতে যেন বেশি ভেজা বা উপরিভাগের মাটি সরে না যায় তা রোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। অঙ্কুরিত বীজ পিঁপড়া খেয়ে নষ্ট করতে যেন না পারে এ জন্য কীটনাশক ব্যবহার বা অন্য উপায়ে গজানো বীজকে নিরাপদ রাখতে হবে। টবের মাটি যেন শুকিয়ে না যায় এ জন্য মাঝে মাঝে পানি স্প্রে করে হালকাভাবে মাটি ভেজাতে হবে। মাটি সব সময় হালকা ভেজা অবস্থায় থাকবে, প্রয়োজনের বেশি পানি দেয়া উচিত হবে না। বীজ বসানোর ১০-২০ দিনের মধ্যে বীজ অঙ্কুরিত হবে, চারা গজানা শুরু করবে।
চারা/কলম সংরক্ষণ : গজানো চারা র্৮র্ -১র্০র্ লম্বা হলে র্৮র্র্ -১র্০র্ মাপের মাটির টবে ভালো পটিং মিডিয়া দিয়ে একেকটা চারা উঠিয়ে আলাদা ভাবে রোপণ করার মাধ্যমে চারাকে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়তে দিতে হবে। চারার বয়স ৬ মাস হলে গাছের গোড়া ছেড়ে টবের কিনারে র্১র্ -১.র্৫র গভীর নালা করে ইউরিয়া-২০ গ্রাম, টিএসপি- ৫০ গ্রাম এবং পটাশ ৩০ গ্রাম হারে তিন মাসের ব্যবধানে দু’বার প্রয়োগ করতে হবে। পরবর্তীতে তিন মাসের ব্যবধানে আরো দু’বার এ সারের পরিমাণ দ্বিগুণ হারে বাড়িয়ে প্রয়োগ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। চারার বয়স এক বছর হলে অপেক্ষাকৃত বড় টবে (১র্২র্ -১র্৪র্ ) নতুনভাবে পাটিং মিডিয়া দিয়ে ও অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণ জৈব সার/ কম্পোস্ট এবং একেকটা গাছের জন্য ২৫০ গ্রাম হাড়ের গুঁড়া মিশিয়ে রিপটিং করতে হবে। সংরক্ষিত চারা আধা ছায়ায় রেখে ১.৫-২ বছরের বয়স্ক বড় চারা জমিতে রোপণের জন্য উপযোগী হয়। এক বছর বয়স্ক চারায় বাডিং, সাইড গ্রাফটিং অথবা জোড় কলম পদ্ধতি অবলম্বনে কলম করা চারা রোপণ করার প্রচলন এখন বাড়ছে।
গাছের লিঙ্গ : চারা থেকে প্রাপ্ত গাছ তিন ধরনের হয়ে থাকে। এতে পুরুষ, স্ত্রী ও উভলিঙ্গিক গাছের জন্ম হতে পারে। অর্থাৎ বীজের চারায় অনেকটা পেঁপে গাছের মতো ভিন্নতর লিঙ্গের গাছ পাওয়া যায়। পুরুষ গাছ হলে তাতে ফল ধরে না, তবে তা স্ত্রী গাছে পরাগায়নের মাধ্যমে ফল ধরতে সহায়ক হয়। চারার গাছে মাতৃ গুণাগুণ বজায় থাকে না। ফল ধরতে ৫-৬ বছর সময় লেগে যায়। বর্তমানে কলম করা গাছ আমদানি করে কিছু সংখ্যক নার্সারিম্যান পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে উভয়লিঙ্গিক রামবুটানের কলম করা গাছ বিপণন করছে।
চারা/কলম রোপণ : রামবুটান ফল গাছ প্রধাণত : ৩০ -৩৫ ফুট দূরত্বে রোপণ করা হয়। গাছ রোপণ করার আগে গাছ রোপণের জন্য ‘লে-আউট’ প্লান তৈরি করে নিয়ে নির্ধারিত স্থানে গাছ রোপণের জন্য গর্ত তৈরি করে নেয়া দরকার। সাধারণ অবস্থায় গাছ রোপণের জন্য গর্তের মাপ হবে ৩-৪ ফুট চওড়া ও গভীর। যে সব মিশ্রণ দিয়ে তৈরিকৃত গর্ত ভরাট করতে হবে তা হলো :
(ক) মোটা বালু (সিলেট স্যান্ড) : ১৫%
(খ) ৩নং গ্রেডের ইটের মার্বেল সাইজের ছোট খোয়া : ১৫%
(গ) নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া (কোকাডাস্ট) : ১৫%
(ঘ) উর্বর মাটি ( ভিটে মাটি) : ২৫%
(ঙ) পচা গোবর/ আর্বজনা পচা : ৩০%
এর সঙ্গে আর মেশাতে হবে হাড়ের গুঁড়া -১ কেজি, ভার্মি কম্পোস্ট- ৫ কেজি, টিএসপি- ৪০০ গ্রাম, এমওপি - ৩০০ গ্রাম, জিপসাম- ৩০০ গ্রাম এবং জিংক, বোরণ ও ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় অনুখাদ্য প্রতিটা ৫০ গ্রাম করে। সবগুলো একত্রে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে ১৫ দিন রেখে দেয়ার পর গাছ রোপণের জন্য উপযোগী হবে।
চারা/কলম রোপণ : সেচ সুবিধা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে বছরের যে কোনো সময় রামবুটান চারা/কলম লাগানো যায়। তবে বর্ষা আরম্ভ হওয়ার আগে এপ্রিল-মে মাসে গাছ রোপণ করা হলে বর্ষা ও শীত আরম্ভের আগে শিকড় দ্রুত ছাড়ানোর সুযোগ পায়। প্রতিকূল অবস্থায় গাছ বেড়ে উঠার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সরেজমিন থেকে চারা/কলম ১র্০র্ -১র্২র্ উঁচু করে তৈরি মাদার মধ্যভাগে রোপণ করলে ভালো হয়। এভাবে রোপণের পর গাছের গোড়া থেকে প্রায় ৩ ফুট দূরে ১র্০র্ চওড়া ও ১র্০র্ গভীর নালা তৈরি করে নালার মাটি দিয়ে বাইরের চারধারে বৃত্তাকারে বাঁধ দিয়ে দেয়া ভালো। এ ব্যবস্থায় শুকনা মৌসুমে গাছের গোড়ায় প্রত্যক্ষভাবে পানি দেয়ার সুবিধা হয়, নালায় সরবরাহকৃত পানি থেকে প্রয়োজনীয় রস গাছ শুষে নেয়। রোপণের পর অবশ্যই গাছে কাঠি দিয়ে সোজা রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে ঝড়-বাতাসে গাছ হেলে পড়া রোধ হবে, গাছ স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়তে সহায়ক হবে।
পানি সেচ ও নিষ্কাশন : গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকা এবং মাটিতে রসের অভাব উভয়ই রামবুটান গাছের জন্য ক্ষতিকর। এ জন্য বাগানের দু’সারি গাছের মধ্য ভাগে র্২-২.র্৫ চওড়া ও গভীর করে নালার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থায় বাগানে পানি জমা রোধ হবে। শুকনা মৌসুমে অবশ্যই ৮-১০ দিনের ব্যবধানে গাছের গোড়ার চারিধারের মাটি ভালোভাবে ভিজিয়ে প্রয়োজনীয় রসের অভাব দূর করতে হবে।
মালচিং : শুকনা মৌসুমে গাছের গোড়া থেকে ৩-৪ ইঞ্চি ছেড়ে প্রায় ৩ ফুট দূর পর্যন্ত শুকনা খড়কুটো, কচুরিপানা অথবা লতা-পাতা দিয়ে মালচিং দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এ মালচিং র্৪র্ -র্৬র্ পুরু হবে। এ ব্যবস্থায় শুকনা মৌসুমে মাটিতে রস সংরক্ষিত থাকবে, গোড়ার চারধারে আগাছা জন্মানো রোধ হবে। গাছের শিকড় বৃদ্ধি সহজতর ও সুরক্ষায় সহায়তা হবে। পরে এসব মালচিং দ্রব্য পচে জৈব সারের উৎস হিসাবে কাজ করবে। বর্ষাকলে মালচিং দেয়ার প্রয়োজন হয় না। শুকনা মৌসুমে মালচিং মাটিতে মিশে/পচে গেলে ৩ মাস পরপর পুনরায় নতুন করে মালচিং ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।
আধা ছায়ার ব্যবস্থা নেয়া : গাছ রোপণের প্রথম তিন বছর খরা মৌসুমে রোদের তাপ সহ্য ক্ষমতা রামবুটান গাছের কম। এ জন্য গাছের ১.৫-২ ফুট গোড়া ছেড়ে ৫-৬ ফুট উচ্চতায় দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে চট বা ছালার বেড়া দেয়ার ব্যবস্থার মাধ্যমে গাছকে আধা ছায়াদানের ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এ ব্যবস্থায় রোদের তাপে পাতা পুড়ে/জ্বলে যাওয়া রোধ হয়। গাছের গোড়া ছেড়ে কয়েকটা ধৈঞ্চা, বকফুল, অড়হড় গাছ লাগিয়েও আধা-ছায়ার ব্যবস্থা করা যায়। শীতকালে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা থেকে গাছকে রক্ষা করার জন্য গাছের উপরি ভাগে সাদা পলিথিন সিট দিয়ে কভার দেয়ার মাধ্যমে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। গাছের বয়স ৪-৫ বছর হয়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই এ গাছের রোদের তাপ ও শীত সহিষ্ণুতা বেড়ে যায়। এ জন্য পরে ফলন্ত গাছে এভাবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন হয় না।
ট্রেনিং-প্রুনিং : গাছ যেন চার ধারে বেশি ডাল ছড়ায় এ জন্য গাছ লম্বায় র্৩-র্৪ উঁচু হলেই আগা কেটে প্রথম ৩-৪ টা শাখা তৈরি করে নিয়ে গাছকে উপরে ও পার্শ্বে বাড়তে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এছাড়া ছোট দুর্বল ডাল মাঝে মাঝে ছেঁটে দিলে গাছের কাঠামো সুন্দর হয়ে বেড়ে উঠে। বেশি লম্বা না হয়ে ঝাকড়া গাছে ফল ধরা ও পাড়ার সুবিধা বেশি। এ জন্য ট্রেনিং-প্রুনিং পদ্ধতি অবলম্বনে সেভাবে গাছের কাঠামো তৈরি করে নিতে হবে।
সার প্রয়োগ : রামবুটান গাছে জৈব উৎস থেকে নাইট্রোজেনের চাহিদা পূরণ করা ভালো। রামবুটান গাছে ফসফরাস সারের চাহিদা অনেক বেশি। বিভিন্ন বয়সী রামবুটান গাছে বছরে যে পরিমাণ সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন তা হলো:
বিভিন্ন সার বছরে দু বার প্রয়োগ করা ভালো। সুপারিশকৃত ডোজের ৪০% ভাগ ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল-ফল ধরার আগে/সময় প্রথমবার প্রয়োগ করতে হবে। এ সময় গাছের গোড়া কোপানো যাবে না। হালকা ভাবে আঁচড়া দিয়ে মাটি আলগা করে সারগুলো গাছের ক্যানোপি (দুপুর বেলা যে পর্যন্ত অংশে রোদ পড়ে) বরাবর ছিটিয়ে দিয়ে মালচিং দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। অবশিষ্ট ৬০% সার ফল সংগ্রহের পর একইভাবে গাছের গোড়ার চারধারে ছিটিয়ে দিয়ে হালকা ভাবে কুপিয়ে তা মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। সার প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই পানি দিয়ে মাটি ভালোভাবে ভেজাতে হবে।
পোকা-মাকড় : এ ফলের খোসা বেশি পুরু এবং সুতালো আবরণ থাকার ফলে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ অনেক কম। তবে মাঝে মাঝে ফল ছিদ্রকারী পোকা, পাতা খেকো লেদা পোকা, মিলিবাগ ও স্কেল পোকার উপদ্রব দেখা যায়। গাছে ফুল-ফল ধরা আরম্ভ করলে নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা দরকার। পোকার উপদ্রব বেশি দেখা গেলে অনুমোদিত কীটনাশক সঠিক মাত্রায় স্প্রে করে তা দমন ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
পশুপাখির উপদ্রব : রামবুটান ফল পাকলে রাতে বাদুড়, ইঁদুরের উপদ্রব এবং দিনে কাঠবিড়ালি, কাকসহ আরও কয়েক প্রকার পাখির আনাগোনা বাড়ে। রাতে হারিকেন জ্বালিয়ে রাখলে বা টিন বেঁধে শব্দ করলে রাতে বিচরণকারীদের উপদ্রব রোধ করা যায়। দিনের বেলা টিন বাজিয়ে পাখি তাড়ানো যায়। আক্রমণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে লায়লনের জাল দিয়ে গাছের উপরিভাগ ঢেকে দিয়ে তা রোধ করা যায়।
ফল সংগ্রহ : রামবুটান গাছে মার্চ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং এপ্রিল মাসে কচি সবুজ রঙের ফল ধরতে আরম্ভ করে। ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। ফল পুষ্ট হলে সবুজ রঙের ফল হঠাৎ করে লাল, মেরুন রঙে রূপান্তর হতে থাকে। এ অবস্থা শুরু হওয়ার ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়। লিচু ফল সংগ্রহের ন্যায় এ ফল হাত দিয়ে সংগ্রহ করা হয়। ফলের থোকার সঙ্গে ১র্০র্ -১র্২র্ ডালসহ ফল সংগ্রহ করা উচিত। এ ব্যবস্থায় তথা হতে নতুন শাখা গজিয়ে পরের বছর বেশি ফল ধরতে সহায়ক হবে। কোনো কোনো গাছে দ্বিতীয় বার অমৌসুমে কিছু ফুল-ফল ধরতে দেখা যায়।
একটা ফলন্ত বয়স্ক গাছ থেকে বছরে ১৫০-২৫০ কেজি ফল পাওয়া যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় এ ফল বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। ফল পাড়ার ৭ দিনের মধ্যে বিপণন বা আহার কাজ শেষ করতে হয়। তবে ১০-১২০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হলে সেলফ লাইফ আরও ৮-১০ দিন বাড়ানো যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে এ ফলের বাজার মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ৪০০-৫০০/- টাকা। নরসিংদী এবং নেত্রকোনার রামবুটান চাষি ৮-১০ বছর বয়স্ক প্রতি গাছের ফল বিক্রি করে প্রায় ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০/- টাকা আয় করে আসছে। তারা প্রতিটা ফলের বীজ ৫-৭ টাকায় বিক্রি করে।
এ লাভজনক ফল চাষে আকৃষ্ট হয়ে অনেকেই রামবুটান ফল চাষ সম্প্রসারণে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে এবং এ ফল চাষ সম্প্রসারণ এ দেশে বেগবান হচ্ছে।
Good morning
আপেল হরিমন ৯৯💚
জিনসেং কী ?
জিনসেং হল গাছের মূল। গাছটির নামই হল জিনসেং। মূলত দুই ধরণের জিনসেং ঔষধি গুণসম্পন্ন হিসেবে পরিচিত – অ্যামেরিকান এবং এশিয়ান। এর মধ্যে এশিয়ান জিনসেং অনেকবেশি কার্যকরী। এই দুই ধরণের জিনসেংকে প্যানাক্স জিনসেং। প্যানাক্স শব্দটি গ্রীক শব্দ “panacea” থেকে এসেছে, এর অর্থ হল “All healer” বা সর্ব রোগের ঔষধ। জিন সাদা (খোসা ছাড়ানো) ও লাল (খোসা সমেত) এই দুই রকম পাওয়া যায়। খোসা সমেত অবস্থায় এটি অনেক বেশি কার্যকরী। জিনসেং এর মধ্যে উপস্থিত জিনসেনোসাইড নামক উপাদানটি এর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এনার্জি বুস্টার হিসেবে যুগ যুগ ধরে কোরিয়াতে এই পানীয়র ব্যবহার চলে আসছে। জিনসেং কে wonder herbs বা আশ্চর্য লতা বলা হয়। চীনে সহস্র বছর ধরে জিনসেং গাছের মূল আশ্চর্য রকম শক্তি উৎপাদনকারী পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অনেকে জিনসেং চা হিসেবে খেয়ে থাকেন।
জিনসেং এর প্রকারভেদ
পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ জিনসেং রয়েছে সেগুলি হল, এশিয়ান জিনসেং, অ্যামেরিকান জিনসেং, সাইবেরিয়ান জিনসেং, ইন্ডিয়ান জিনসেং এবং ব্রাজিলিয়ান জিনসেং। এই প্রতিবেদনে আমরা এশিয়ান এবং অ্যামেরিকান জিনসেংয়ের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। কারণ এতে সর্বাধিক পরিমাণে জিনসেনোসাইড রয়েছে, যা জিনসেংয়ের অন্যতম উপকারী উপাদান।
জিনসেং এর উপকারিতা
১. এনার্জি বাড়ায় : এনার্জি বাড়াতে এবং অবসন্নতা কাটিয়ে উঠতে জিনসেং ভূমিকা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। যারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্লান্ত বোধ করছেন তাদের জন্য এই ভেষজ উপাদানটি দারুণ কার্যকরী। পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিনসেং ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে (১)।
ক্লান্তি কমাতে এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়াতে জিনসেং পরিপূরকগুলি পাওয়া গেছে, যদি এটি প্রমাণ করতে আরও অধ্যয়ন প্রয়োজন (২)।
২. ক্যানসার প্রতিরোধ করে : টিউমার বৃদ্ধি রোধ করার ক্ষমতা একে ক্যানসারের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসেবে গড়ে তুলেছে। জিনসেং টি সেল এবং এনকে সেলগুলির (প্রাকৃতিক ঘাতক কোষ) কার্যকারিতা বাড়িয়ে কোষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধেও লড়াই করে এবং ক্যানসার কোষের মৃত্যু ঘটায় (৩)।
পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে, জিনসেংয়ের মধ্যে উপস্থিত জিনসেনোসাইডগুলি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং কিডনি, ডিম্বাশয়, পেট, ত্বক এবং জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে (৪)।
৩. ওজন কমায় : জিনসেং পরিপাক ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, কীভাবে জিনসেং ইঁদুরের দেহের ওজন কমাতে পারে (৫)। অন্যান্য পরীক্ষায় এর স্থূলতা বিরোধী প্রভাবও প্রমাণিত হয়েছে (৬)। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষুধা হ্রাস করে যা এর অন্যতম একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে : বেশকিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে অ্যামেরিকান জিনসেং টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে (৭)। পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে, জিনসেং ইনসুলিন সংবেদনশীলতার উন্নতি করে এবং যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি সুস্বাস্থ্যকর (৮)।
৫. যৌনক্ষমতা বাড়ায় : জিনসেংকে অনেকে ভেষজ ভায়াগ্রা বলে থাকে, এর পিছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। গবেষণায় প্রমাণিত এটি ইরেকটাইল (বা যৌন) কর্মহীনতার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি কার্যকারিতা গুরুত্বপূর্ণ (৯)।
আরেকটি উপায়েও এটি পুরুষদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে তা হল এটি নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়ায়, যা লিঙ্গকে শিথিল করে এবং রক্তপ্রবাহকে উদ্দীপিত করে। এই চা উদ্ভিদ উৎস থেকে প্রাপ্ত ফাইটো টেস্টোস্টেরনের উৎস। জিনসেং শুক্রাণু গণনাকে উন্নত করে এবং এড্রেনাল এবং প্রোস্টেট গ্রন্থিগুলির কার্যকারিতা বাড়ায় (১০)।
৬. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় : জিনসেং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে (১১)। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালজাইমার সমস্যা সমাধান করতে পারে (১২)।
৭. স্ট্রেস কমায় : পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিনসেং মুড ঠিক রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে কার্যকরী (১৩)।
৮. প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : পরীক্ষায় প্রমাণিত, জিনসেং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশির সমস্যা কম করে (১৪)। আরও একটি কোরিয়ার গবেষণায় দেখা গেছে, জিনসেং ম্যাক্রোফেজস, প্রাকৃতিক ঘাতক কোষ, টি সেল, বি সেল, ডেন্ড্রিটিক সেল সহ বিভিন্ন ধরণের প্রতিরোধক কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে। জিনসেংয়ের এই উপাদান জ্বালা যন্ত্রণা কমায় এবং জীবাণু সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে (১৫)।
৯. অ্যান্টি এজিং : গবেষণা অনুযায়ী, জিনসেং অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করে। ভেষজ এই ঔষধি কোলাজেন বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ত্বককে বলিরেখা মুক্ত করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
১০. জ্বালা–যন্ত্রণা কমায় : জিনসেংয়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রভাব জিনসেসোসাইডের ভূমিকাকে প্রভাবিত করে (১৬)। যাদের আর্থারাইটিস বা গাটের ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য এটি উপকারী (১৭)। তাছাড়াও এটি পেটে ব্যথা ও অন্ত্রে জ্বালা-যন্ত্রণা কমাতে দারুণ কাজ করে।
১১. ফুসফুস কার্যকারিতা উন্নত করে : পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিনসেং ফুসফুসে ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে (১৮)।
Chronic obstructive pulmonary disease (COPD) হচ্ছে ফুসফুসের অন্যতম সাধারণ একটি সমস্যা। এক্ষেত্রে রোগীদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকে কফ জমে, কারও ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্ষয় গটে। জিনসেং গ্রহণে সার্বিকভাবে COPD এর অবস্থার উন্নতি হয় বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে (১৯)।
১২. ত্বকের সুস্বাস্থ্য : জিনসেংয়ের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রোজেসিয়া সহ ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে (২০)। ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
১৩. চুলের যত্ন : জিনসেং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জিনসেং এক্সট্রাক্ট চুলের ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া রোধ করে (২১)। স্কাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং চুলে পুষ্টি জোগায়।
জিনসেংয়ের পুষ্টিগত মান
পুষ্টিগুণ পরিমাণ RDI (Recommended Daily Intake)
ক্যালোরি ২৫
ফ্যাট থেকে ক্যালোরিগুলি ০ ০%
টোটাল ফ্যাট ০.০ g. ০%
স্যাচুরেটেড ফ্যাট ০.০ g. ০%
কোলেস্টেরল ০.০ g. ০%
সোডিয়াম ৫ mg. ০%
কার্বোহাইড্রেট ৬.০ g. ২%
ডায়েটারি ফাইবার ০.০ g. ০%
সুগার ৬.০ g. ২%
প্রোটিন ০.০ g. ০%
ভিটামিন এ ০.০ g. ৪%
ভিটামিন সি ৬%
ক্যালসিয়াম ০%
আয়রন ০%
জিনসেং শিকড় কীভাবে ব্যবহার করবেন
জিনসেং চা হিসেবে গ্রহণ করা সবচেয়ে সেরা। এই উপায়ে আপনি সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। কাছাকাছি কোনও দোকান থেকে এর টি ব্যাগ কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এই উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন –
শিকড়ের খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর গুঁড়ো বা শুকনো করে শিকড় ব্যবহার করতে পারেন।
এক চামচ শিকড়ের গুঁড়ো নিন এবং একটি ধাতব পাত্রে রাখুন।
ভালো করে ফুটিয়ে নিন এবং ২ থেকে ৩ মিনিটের জন্য ঠান্ডা হতে দিন।
একটি চায়ের কাপে ঢেলে নিন এবং চুমুক দিয়ে খান।
জিনসেং চা ছাড়াও আপনি জিনসেং পাওডার খেতে পারেন।
জিনসেং কতটা পরিমাণে খাবেন
যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস রয়েছে, প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম ব্যবহার করুন।
যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে তারা সারাদিনে তিনবার ৯০০ মিলিগ্রাম জিনসেং নিতে পারেন।
ক্লান্তি বা স্ট্রেস যাদের ভোগান্তির কারণ তারা প্রতিদিন ১ গ্রাম জিনসেং নিন।
প্রয়োজনে ডাক্তারের সঙ্গে এবিষয়ে পরামর্শ নিন।
জিনসেং কোথায় থেকে কিনবেন
জিনসেংয়ের জনপ্রিয়তা যেভাবে দিন দিন বেড়ে চলছে, বাজারে যে কোনও বড় হেল্থ ফুড স্টোরে সহজেই এটি পেয়ে যাবেন। আজকাল অনলাইনেও কিনতে পারেন।
জিনসেংয়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এর উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনই খারাপ প্রভাবও রয়েছে। জিনসেংয়ের অন্যতম পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হল ঘুমের সমস্যা। চা, কফির মতো এর থেকে ঘুম আসতে দেরি হয়। জিনসেং স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে ও মানসিক ক্ষমতা বাড়ায়। এর অন্যান্য সাধারণ সমস্যা হল ডায়ারিয়া, মাথাব্যথা, হার্ট বিট বাড়ে এবং ব্লাড প্রেসারে সাময়িক তারতম্য হয়। এছাড়াও যে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় –
বাচ্চাদের সমস্যা
ছোটো বাচ্চাদের জন্য জিনসেং নিরাপদ নয়। তাই যতটা সম্ভব তাদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
গর্ভবতী এবং মায়েদের সমস্যা
জিনসেংয়ের মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে যা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। যারা সন্তানকে স্তন্যপান করান সেইসমস্ত মায়েদের জিনসেং এড়িয়ে চলা ভালো।
হার্ট কন্ডিশন
জিনসেং হার্টরেট এবং ব্লাড প্রেসারকে প্রভাবিত করতে পারে। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা এটি ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
ডায়াবেটিস
জিনসেং ব্লাড সুগারের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যারা ব্লাড সুগারের ওষুধ খাচ্ছেন তাদের।
অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সময় সমস্যা
জিনসেং যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তাই অস্থায়ীভাবে ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা হ্রাস করার জন্য প্রদত্ত ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।
রক্তপাতের সমস্যা
জিনসেং রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তাই যদি রক্তক্ষরণের সময় এর ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
জিনসেং এর উপকারিতা পেতে সতর্কভাবে এর ব্যবহার করুন। জিনসেংয়ের গুণ বর্ণনা করে বলা হয় যে এটি “Adaptogen” অর্থাৎ এটি সব পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে মানুষের দেহে শারীরিক শক্তি-সামর্থ্য, মানসিক ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
কাটিমন আম গাছ (বারমাসি)
৳ 500
লম্বাটে আকারের, পাকলে আকর্ষণীয় হলুদ বর্ণের এই কাটিমন আমের বিশ্বজোড়া খ্যাতি মিষ্টতার জন্য। দারুন মিষ্টি এবং আশ নেই বললেই চলে। এটি থাইল্যান্ড,ইন্দোনেশিয়া,মালয়েশিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। একই গাছে একসাথে মুকুল, ছোট, মাঝারি, বড়, পাকা আম থাকে বা যে কোন পর্যায়ের মুকুল বা আম থাকে। এই গাছে নতুন কুশি ছাড়লেই মুকুল আসে। এর কোন সিজন আর অফ সিজন নেই। এই জাতের আম কাঁচা খেতে মিষ্টি , পাঁকলে খুবই মিষ্টি। আমের আটি তুলনামূলক ছোট।
#মুকুলসহ চারা নিতে ইনবক্স করুন,অথবা কল করুন 01874055727
আসসালামু আলাইকুম, সুপ্রভাত❤️
অরবরই এর ছোট্র মিছিল❤️
আলহামদুলিল্লাহ
আসসালামু আলাইকুম।
"Sobuj Chottogram Online Nursery" পেজ এ আপনাকে স্বাগতম।
👉 "Sobuj Chottogram Online Nursery"🌹 যেকোনো গাছ অর্ডার করতে যে পণ্য নিবেন সেটা সম্পর্কে ভালোভাবে পড়ে জেনে,ছবি অথবা নাম, আপনার পুরো নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, যে নাম্বার থেকে পেমেন্ট করবেন সে নাম্বার ইনবক্সে দিতে হবে অথবা কল করুন : 👉📞01874055727/01886515109 এই নম্বরে।
👉আমাদের সেবাসমূহ:
১।দেশি,বিদেশি সবধরনের ফুল, ফল ও সবজি চারা পাওয়া যায়।
২।রেডিমিক্স মাটি,(উপাদান-বেলে-দোআঁশ মাটি,শুকনো গোবর,জৈবসার,হাঁড়গুড়া,ইত্যাদি)
৩।শুকনো গোবর,
৪।জৈবসার,ভারমি কম্পোস্ট,নিম খৈল,হাঁড়গুড়া,শিংকুচি,সালফার,MOP,TSP,DAP ইত্যাদি সবধরনের সার।
৫।যাবতীয় ঔষধ, (কিটনাশক,ছত্রাকনাশক,ভিটামিন, নিমতৈল,ফ্লোরা,ট্রাইকোডার্মা,ইপ্সম সল্ট ইত্যাদি)।
পাওয়া যায়।
৬।ছাদ বাগানের কাজ করা হয়।(শুধুমাত্র চট্টগ্রাম এরিয়াতে)
বিঃদ্রঃ চট্টগ্রামে হোম ডেলিভারি দেওয়া হয়(সার্ভিস চার্জ আলোচনা সাপেক্ষে।)
"Sobuj Chottogram Online Nursery"পক্ষ থেকে অনেক ভালোবাসা রইলো ❤
Sobuj Chottogram Online Nursery Send a message to learn more.
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Telephone
Website
Address
Chittagong
Chittagong
provide various types of plant's like Hoya, Cactus Succulents, and indoor plants in reasonable price.