The Learning Hub

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from The Learning Hub, Computer training school, Chittagong.

The Learning Hub, a skill & research based e-learning platform; is working to develop our graduate student's skills to reduce unemployment, increase productivity, and improve our standards of living.

06/07/2023

চাকরি বনাম উচ্চশিক্ষা: বাস্তবতা এবং স্বপ্ন

বনাম শব্দটা খেলাধুলায় বেশ ব্যবহার করা হয়। যেমন: আবাহনী বনাম মোহামেডান। টাইটেলে "বনাম" শব্দটা ব্যবহার করা হলেও চাকরি এবং উচ্চশিক্ষা একে অন্যের প্রতিপক্ষ নয়। তাই এখানে কোথাও যদি মনে হয় দুটো জিনিস একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে তাহলে সেটাকে নিজ গুণে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ থাকলো।

চাকরি হলো জীবিকা। উচ্চশিক্ষা হলো আরেকটা চাকরিতে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত পড়াশোনা। এই সহজ ব্যাপারটা কেউ না বুঝতে পেরে একে অন্যের সাথে কমেন্ট যুদ্ধে লেগে পড়েন। প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিক্ষিত মানুষদের এরকম লেইম টপিকে ঝগড়া মানায় না।

প্রশ্ন হলো, বিদেশে উচ্চশিক্ষা কেন নিতে হয়? আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষা যদি সেই মানের হতো তাহলে কি এত স্টুডেন্ট বিদেশে যেত পড়তে? অবশ্যই না। বরং তখন বিতর্ক হতো ব্যাংক/ সিভিল সার্ভিস বনাম বিজ্ঞানী/ রিসার্চার হওয়া নিয়ে। যেহেতু দেশের উচ্চশিক্ষা দিয়ে আমেরিকায় চাকরির সম্ভবনা খুব কম তাই এখন বিতর্ক চলে চাকরি বনাম বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে।

আমাদের দেশে প্রধান তিন ক্যাটাগরির উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। পাবলিক, প্রাইভেট, ন্যাশনাল। অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম এক/ দুই বছর এই তিন ক্যাটাগরির স্টুডেন্টদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ এই নিয়ে এক প্রকার ফেসবুকে/ ক্ষেত্র বিশেষে সশরীরেও যুদ্ধ চলে। যারা এই স্টেজ পার হয়ে এসেছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ক্যারিয়ার গড়ার জন্য স্কিলটাই আসল। আজকালকার কর্পোরেট পৃথিবীতে স্কিল ছাড়া কেউ মূল্য দেবে না।

প্রথম/ দ্বিতীয় বর্ষের এসব বেহুদা প্যাঁচাল পার হলেই মাথায় চেপে বসে ক্যারিয়ারের চিন্তা। ট্রেডিশনাল চাকরি তো আছেই, জীবনে একবারও উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেননি এমন স্টুডেন্ট খুব কমই আছে। ছোটবেলায় যখন বাবা-মা বলতেন, আমার ছেলে/ মেয়ে বড় ডাক্তার/ ব্যারিস্টার হবে সেখানেও কিন্তু inherently হায়ার স্টাডির কথাই ছিল। বড় কিছু হতে হলে আপনাকে বড় ডিগ্রি নিতে হবে।

কিন্তু ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখার পরেও কেন এত কম স্টুডেন্ট হায়ার স্টাডিতে আসছেন? এটার একমাত্র উত্তর বোধহয় 'বাস্তবতার জন্য '। একটু পরেই দেখা যাক, বাস্তবতাগুলো কি কি হতে পারে।

আমাদের একটা বড় সমস্যা তুলনা করা। এই তুলনা চলে ক্যাডার বনাম ক্যাডার, ক্যাডার বনাম ব্যাংকার, ক্যাডার বনাম প্রাইভেট চাকরি, উচ্চশিক্ষায় দেশ বনাম দেশ, স্টেম বনাম নন স্টেম। উচ্চশিক্ষা বা চাকরি- যেখানেই যান না কেন, নিজের সাথে অন্যদের এই তুলনা বন্ধ না করলে আল্টিমেট সেটিসফেকশন কখনোই পাওয়া সম্ভব নয়।

হায়ার স্টাডিতে আসতে চাইলে ভুলে যান - আগামী পাঁচ বছরে আপনার ক্যাডার বন্ধুর কতগুলো প্রমোশন হয়েছে, তার কথার পাওয়ার কত, তারা কত দামি গাড়িতে চড়ছে। এসব জিনিস উচ্চশিক্ষার পরে আপনার পক্ষেও পাওয়া সম্ভব। আপনি যখন বিদেশের একটা ভার্সিটির ল্যাবে গবেষণা করছেন কিভাবে একটা মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, আপনার সহকারী কমিশনার বন্ধু চিন্তা করছেন কিভাবে তার এলাকায় চাইল্ড ম্যারেজ রোধ করা যায়। আপনিও গবেষণা করেছেন, বেতন পাচ্ছেন। তিনিও গবেষণা করছেন, বেতন পাচ্ছেন। গবেষণার ক্ষেত্র এবং ধরণটা শুধুমাত্র আলাদা। সবই মানুষেরই কাজে লাগছে। কাজেই এখানে কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। আপনাকে আপনার ক্ষেত্র খুঁজে নিতে হবে।

হায়ার স্টাডি বনাম চাকরি - থার্ড/ ফোর্থ ইয়ারে ডিসিশন নেওয়ার সময় কোন ফ্যাক্টরগুলো চিন্তা করা যেতে পারে? বেশিরভাগ মানুষ এটার উত্তর দেবে - এত চিন্তা করে কি লাভ? তুমি যেটা হতে চাও সেদিকেই যাও। কিন্তু বাস্তবতা কি আসলেই সেরকম? স্টেপ বাই স্টেপ চিন্তা করুন। এই ডিসিশন নেওয়ার সময় যেসব প্রশ্ন নিজের কাছে করা যেতে পারে -

১. আপনার কি ফ্যামিলি বার্ডেন আছে? পরিবারকে আর্থিকভাবে অথবা সশরীরে সাপোর্ট করতে হয়?

২. আপনার আর্থিক অবস্থা কি খুবই খারাপ? অন্তত ৪/৫ লাখ টাকা ম্যানেজ করাটাও কষ্টকর?

৩. আপনি কি কোনো ভদ্রলোক/ ভদ্রমহিলার প্রতি কমিটেড?

৪. আপনি কি ঝুঁকি নিতে ভয় পান? একেবারেই সিকিউরড লাইফ আপনার পছন্দ?

৫. পড়াশোনা কি শুধুমাত্র ডিগ্রি পাওয়ার জন্যই করেছেন? নতুন আইডিয়ার ব্যাপারে চিন্তা করতে আলসেমি লাগে?

৬. আপনি কি হতাশা একদমই সহ্য করতে পারেন না?

৭. আপনি কি সিকিউরড লাইফ এবং চাকরি দুটোই চাচ্ছেন?

৮. কম সিজিপিএ র জন্য গর্তে লুকিয়ে আছেন?

সম্ভাব্য উত্তরগুলো হতে পারে:

১. ফ্যামিলি বার্ডেনের কারণেই বেশিরভাগ স্টুডেন্ট ইচ্ছা/ সামর্থ্য থাকার পরেও উচ্চশিক্ষায় যেতে পারে না। আর্থিক সমস্যার সমাধান হতে পারে এভাবে -
আমেরিকায় ফুল ফান্ড পেয়ে স্টুডেন্ট থাকাকালীন সময়ে আপনি প্রতি মাসে কিছু স্টাইপেন্ড পাবেন। এর পরিমাণ ১০০০ থেকে ২০০০ ডলার বা এরও বেশি হতে পারে। কৃপণভাবে চললে আপনি মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা দেশে পাঠাতে পারবেন। সেইসাথে বিনা খরচে ডিগ্রিটাও পেয়ে যাবেন।
অনেকের বাবা, মা এবং পরিবারের অন্য সদস্য অসুস্থ থাকেন সশরীরে পরিবারকে সাপোর্ট দিতে হয়। সেক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে দেশেই ক্যারিয়ার গড়তে। প্যাশন থাকলে পরবর্তীতে জীবনের যেকোনো পর্যায়ে আপনি উচ্চশিক্ষায় যেতে পারবেন।

২. আমেরিকায় ফুল ফান্ড পেলে সেখানকার মাটিতে পা রাখতে খরচ হতে পারে গড়ে ৩ থেকে ৪.৫ লাখ টাকার মতো। অনেকের পক্ষেই এত টাকা একবারে জোগাড় করা সম্ভব হয় না। এই টাকা একবারে জোগাড় করার প্রয়োজন হয় না। প্রায় ৭/৮ মাস ধরে এই পরিমাণ টাকা আপনাকে খরচ করতে হবে। সো, কিছুটা ফ্লেক্সিবিলিটি আছেই।
যারা অনার্স থেকেই হায়ার স্টাডির প্রতি প্যাশন আছে তারা কিছু কিছু কাজ আগেই গুছিয়ে রাখতে পারেন। যেমন: থার্ড/ ফোর্থ ইয়ারে জি আর ই, মাস্টার্সে আইইএলটিএস ইত্যাদি। এভাবে স্টুডেন্ট লাইফেই প্রায় ৩৪ হাজার টাকার কাজ সেরে রাখতে পারবেন।

৩. এটা অনেকের কাছেই হায়ার স্টাডিতে যেতে একটা বড় বাধা। সেজন্যই এটা লিখেছি। এটার সমাধান যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
তবে এটুকু উল্লেখ করা যেতে পারে, আপনি কারো প্রতি কমিটেড থাকলে বিয়ের পরেও তাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব (F-2 ভিসা)। এতে আপনার পার্টনারের জন্য হয়তো ৪/৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো লাগতে পারে। উল্লেখ্য, এই টাকাটা কিন্তু ব্লক মানি নয়। ভিসা ইন্টারভিউর পরেই এই টাকাটা আপনি ব্যাংক থেকে তুলে নিতে পারবেন।

৪. বিদেশের জীবন অনিশ্চয়তার। হয়তো ফুল ফান্ড পেয়েই আমেরিকায় আসবেন। এমনও হতে পারে মিনিমাম গ্রেড (৩.০০) মেইনটেইন করার কারণে আপনার ফান্ড কেড়ে নেওয়া হতে পারে। পিএইচডি তে ড্রপ আউট হতে পারেন। পড়াশোনা শেষে সহজে চাকরি নাও পেতে পারেন। যদি এসব অনিশ্চয়তা মেনে না নিতে পারেন তবে দেশেই ক্যারিয়ার গড়া ভালো।

৫. গ্র্যাজুয়েট রিসার্চের মূল উপাদান হলো আইডিয়া। আমাদের দেশে মাস্টার্স মূলত taught কোর্স ( যেখানে থিসিস আছে সেগুলো বাদে)। এই taught কোর্স পাশ করে যদি আপনি ভাবেন হায়ার স্টাডিটাও এরকমই তাহলে ভুল ভাবছেন। আমেরিকায় গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টদের প্রচুর রিসার্চ করতে হয়। রিসার্চ মানেই আইডিয়া। সেই ফ্লো চার্ট নিশ্চয়ই মনে আছে -

আইডিয়া/ হাইপোথিসিস-- এক্সপেরিমেন্ট -- রেজাল্ট -- ফেইল/ সাকসেস --- নিউ আইডিয়া
সো, নিত্য নতুন আইডিয়া নিয়ে কথা বলতে যদি আপনার ক্লান্তি লাগে তাহলে উচ্চশিক্ষায় ভালো করা কঠিন।

৬. গ্র্যাজুয়েট স্কুল কঠিন জায়গা। অনেক সময় আপনার এমন মনে হবে একই জায়গায় দিনের পর দিন পড়ে আছেন। সেইসাথে প্রফেসর বিরূপ হলে তো কথাই নেই। সেইসাথে আছে পেপার রিজেকশন। সো, অল্পতেই হতাশ হলে গ্র্যাজুয়েট স্কুল আপনার জন্য নয়। তবে এটা হায়ার স্টাডিতে আসার পথে তেমন কোনো বাধাও নয়। একটা সময় পর এগুলো অভ্যেস হয়ে যায়।

৭. চাকরি এবং উচ্চশিক্ষা দুটোই করা সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সিভিল সার্ভিস এটার জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট জায়গা। চাকরি থেকে ছুটি নিয়েই আপনি সরকারি সাহায্য নিয়ে বিদেশে পড়তে যেতে পারবেন।
তবে এই স্ট্র্যাটেজিতে কিছু ঝুঁকি আছে। এসব চাকরি যে পাবেনই এটা খুবই অনিশ্চিত। আপনি তিন/ চার বছর এসব চাকরির পিছনে ঘুরেও ব্যর্থ হলে এই সময়টা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে। ততদিনে আপনি হয়তো পিএইচডি শেষ করে ফেলতে পারতেন। তাই এই সিদ্ধান্ত বুঝেশুনে নিন।

৮. কম সিজিপিএ নিয়ে লিখতে গিয়ে আমি নিজেই ক্লান্ত। এতদিনে কম সিজিপিএ নিয়েও ফান্ড পাওয়া স্টুডেন্টদের অনেক প্রোফাইল শেয়ার করেছি।
শুধু এটুকু মনে রাখবেন, আমেরিকা ট্যালেন্ট মানুষদের জন্য। আমেরিকার রাস্তায় ডলার না উড়লেও সুযোগ উড়ে।
কম সিজিপিএ নিয়েও আপনি যদি অন্যান্য দিক ভালো করতে পারেন, নিজের স্কিল বাড়াতে পারেন এবং দিনের পর দিন হতাশা সহ্য করে লেগে থাকতে পারেন তাহলে আপনিও ফান্ডসহ এডমিশন পেতে পারেন। কাজেই, কম সিজিপিএ হায়ার স্টাডির ক্ষেত্রে বড় কোনো বাধা নয়।

এবার সর্বশেষ কথা, আপনার প্যাশন। প্যাশন থাকলে আপনি ৪০ বছর বয়সেও উচ্চশিক্ষায় আসতে পারেন। প্যাশনের সাথে কিছু বাস্তবতাকে মেলাতে পারলেই নিজের ক্ষেত্র খুঁজে বের করা কঠিন কিছু নয়। শুধু এটুকু খেয়াল রাখা উচিৎ, কোনো কিছুর প্রলোভনে পড়ে সেদিকে নিজের ক্যারিয়ার সিলেক্ট করা অনুচিত। কারণ, প্রলোভনের শেষ নেই। একটা গেলে আরেকটা আসে। সিভিল সার্ভিসে বেশ পাওয়ার আছে, সুযোগ সুবিধা আছে এটা ভেবে হায়ার স্টাডির প্রতি নিজের প্যাশনকে ত্যাগ করবেন না। আবার সিনিয়ররা বিদেশ গিয়ে কনভার্টিবল ড্রাইভ করছে, হাইকিং করছে এসব আকর্ষণীয় ছবি দেখে হুট করে হায়ার স্টাডিতে আসা আসবেন না।

Credit: Shamim Sharif. Nextop USA Group

Photos from The Learning Hub's post 28/06/2023

কুরবানী মাসআলা ও গোসত বন্টনের নিয়ম।

28/06/2023

Eid Mubarak 🌙❤️

11/06/2023

Show Your Work to the World.

আমরা ঘোরাফেরা, খাওয়াদাওয়া, নতুন গেজেট ইত্যাদির আপডেট দিতে যতটা আগ্রহ বোধ করি; আমাদের কাজ সম্পর্কে জানাতে অনেক সময় ততটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না বা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না।

কেউ কেউ আবার আবার গোপনীয়তা রক্ষার কথাও বলেন (আপনি NSA, CIA, বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স টাইপের কিছুতে চাকরী না করলে এনিয়ে খুব একটা টেনশনের দরকার নাই)!

অনেকে প্রফেশনাল এক্টিভিটিকে কিভাবে প্রেজেন্ট করবে সেটা বুঝে উঠতে পারে না।

Show Your Work বলতে শুধু self-promotion বোঝায় না।

আপনি আপনার কাজের প্রসেস শেয়ার করুন, এটা আপনার নিজের জন্যই একটা ডকুমেন্টেশন হিসেবে কাজ করবে।
নতুন কোন প্রজেক্ট শুরু করলে সেটা সম্পর্কে বলুন। কোন প্রজেক্ট শেষ হলে সেটার আউটপুট দেখান।

আপনি আপনার জার্নিটা শেয়ার করুন।
চলার পথে কি বাধা ছিল, কিভাবে সেগুলো থেকে উত্তরণ করছেন সেই গল্পগুলো বলুন। এতে আপনার মতো একই পথের যাত্রীদের সাথে সম্পর্ক তৈরি হবে।

ভাল কোন কাজের সাথে যুক্ত হতে পারলে সেটির গল্পটাই বলুন।
আপনার ভাল কাজ দেখে আরো অনেকে উৎসাহিত হবে।

আপনি আপনার লার্নিং এবং এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করুন।
অনেকেই নতুন কিছু শিখতে পারবে। আপনিও তাদের কমেন্ট থেকে নতুন কিছু আইডিয়া পাবেন।

অনেক জটিল কঠিন কিছু বলতে হবে না।
আপনার ইন্ডাস্ট্রির কিছু ইনসাইট শেয়ার করুন।
আপনি লাস্ট এক সপ্তাহে নতুন কিছু শিখলে সেটি সম্পর্কে বলুন।
শেখার জন্য ভাল কোন রিসোর্স খুজে পেলে সেটা শেয়ার করুন।
ইনোভেটিভ কোন আইডিয়া মাথায় আসলে সেটি নিয়ে আলোচনা করুন।

এজন্য আপনাকে জিনিয়াস হতে হবে না। ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে এক্সপেরিয়েন্স বা স্কিলড প্রফেশনাল হতে হবে না। আপনাকে দেশের সেরা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হতে হবে না।

আপনি জাস্ট আপনার মতো করে শেয়ার করতে শুরু করুন।

Just Keep Showing Your Work. Consistently.

দেখবেন আপনার কাছে অসাধারণ সব অপরচ্যুনিটি আসতে শুরু করবে।
নতুন নতুন কাজের অফার আপনার ইমেইল এবং ইনবক্সে এসে বসে থাকবে।
এমন সব জায়গা থেকে আপনার কাছে কল আসবে যা আপনি স্বপ্নেও কল্পনাও করেন নি।
অনেক মানুষ আপনার সাথে কানেক্টেড হতে চাইবে, আপনার সাথে কোলাবোরেট করতে চাইবে, উপযুক্ত সম্মানীর বিনিময়ে আপনার সাহায্য পেতে রিকোয়েস্ট করবে।

Show Your Work, I Can Guarantee that these will Happen.

It Has Worked for Me. It will Work for You.

আপনাকে কখনো কাজের অভাবে বসে থাকতে হবে না।
আপনি আর্থিকভাবে অনেক বেশি স্বচ্ছলতা লাভ করবেন।
আপনি সোসাইটিতে আরো অনেকগুণ ইম্প্যাক্ট তৈরি করতে পারবেন।

Start Showing Your Work.

ক্রেডিট: Mark Anupom Mollick

10/06/2023

Who is/was your favourite Professor at the university and why?

10/06/2023

পার্থক্যটা স্বপ্নে -

ভারতের ছেলেমেয়েরা যখন বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির সিইও হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, এবং হচ্ছে;

Sundar Pichai, CEO of Google
Satya Nadella, CEO of Microsoft
Shantanu Narayen, CEO of Adobe
Francisco D’Souza, CEO of Cognizant
Rajeev Suri, CEO of Nokia
Sanjay Kumar Jha, CEO of Globalfoundries
Dinesh Paliwal, chairman and CEO of Harman International
George Kurien, CEO of NetApp
Indra Nooyi, chairperson and CEO of PepsiCo
Ajay Banga, president and CEO of MasterCard
Piyush Gupta, CEO of DBS Group
Ivan Manuel Menezes, CEO of Diageo

তখন আমাদের লাখ লাখ ছেলেমেয়েরা ভাবছে,
সরকারি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হতে পারলেও জীবন ধন্য (যদিও জানে না ব্যাংকিং তার আসলেই ভালো লাগবে কি লাগবে না)।

স্বপ্ন দেখানোর মানুষের যেমন বড্ড অভাব, স্বপ্ন দেখার মানুষেরও অভাব পড়েছে দেশটাতে।
ফলাফল?

১। সব সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন ৫৪ হাজার কোটি টাকা (২০১৬ সালে ছিলো ২৪ হাজার কোটি টাকা)। আর ৮-১০ লাখ বিদেশিদের ব্যবসায়ীরা বেতন দিচ্ছে ৭০ হাজার কোটি টাকা!

২। দেশের কয়েকশত প্রতিষ্ঠানের সিইও ভারতীয়! আর আমরা সেখানে তাদের অধীনে দৌড়াদৌড়ি করি।

৩। ভারতীয়দের ১০০ সিইও সারা দুনিয়া থেকে যা আয় করে, আমরা লাখ লাখ শ্রমিক পাঠিয়েও সেই টাকা পাই না।

আমরা কবে বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইও তৈরি করবো?
অন্তত দেশে সিইও মানে হাজার ১০ উঁচু বেতনে বসে থাকা বিদেশিদের জায়গাটা নিতে পারবো?
কবে পারবো?

--খাজা নিজাম উদ্দিন

08/06/2023

পাওয়ারফুল AI টুলস ⚡

আপনারা অনেকে ChatGPT সম্পর্কে জানেন এবং ইউজও করছেন। আপনি জানলে অবাক হবেন এরকম আরো অনেক ChatGPT অলটারনেটিভ আছে, যা দিয়ে আপনার যেকোনো কাজ সহজে শেষ করে ফেলতে পারবেন।
তাই আজকের পোস্ট থাকছে সেসব টুলস নিয়ে:

ক্যাটাগরি ওয়াইজ টুলস নাম এবং সাথে লিংক অ্যাড করে দিলাম সবগুলোর। পোস্টটি শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রেখে দিন ⚡

𝗙𝗼𝗿 𝗪𝗿𝗶𝘁𝗶𝗻𝗴
ChatSonic - https://writesonic.com/chat
ChatABC - https://chatabc.ai
JasperAI - https://www.jasper.ai
Quillbot - https://quillbot.com

𝗙𝗼𝗿 𝗖𝗼𝗱𝗶𝗻𝗴
Copilot- https://github.com/features/copilot
Tabnine - https://www.tabnine.com
MutableAI - https://mutable.ai
Safurai - https://www.safurai.com
10Web - https://10web.io/ai-website-builder

𝗙𝗼𝗿 𝗥𝗲𝘀𝗲𝗮𝗿𝗰𝗵
Paperpal - https://paperpal.com
Perplexity - https://www.perplexity.ai
YouChat - https://you.com/search?q=who+are+you&tbm=youchat&cfr=chat
Elicit - https://elicit.org

𝗙𝗼𝗿 𝗧𝘄𝗶𝘁𝘁𝗲𝗿
Tweetmonk - https://tweetmonk.com
Tribescaler - https://tribescaler.com
Postwise - https://postwise.ai
TweetLify - https://www.tweetlify.co

𝗙𝗼𝗿 𝗣𝗿𝗼𝗱𝘂𝗰𝘁𝗶𝘃𝗶𝘁𝘆
Synthesia - https://www.synthesia.io
Otter - https://otter.ai
Bardeen - https://www.bardeen.ai
CopyAI - https://www.copy.ai/?via=start

𝗙𝗼𝗿 𝗖𝗼𝗻𝘁𝗲𝗻𝘁 𝗖𝗿𝗲𝗮𝘁𝗶𝗼𝗻
WriteSonic - https://writesonic.com/chat
Tome - https://beta.tome.app
CopySmith - https://app.copysmith.ai
TextBlaze - https://blaze.today

𝗥𝗲𝘀𝘂𝗺𝗲 𝗕𝘂𝗶𝗹𝗱𝗲𝗿𝘀
KickResume - https://www.kickresume.com
ReziAI - https://www.rezi.ai
ResumeAI - https://www.resumai.com
EnhanceCV - https://enhancv.com

𝗙𝗼𝗿 𝗣𝗿𝗲𝘀𝗲𝗻𝘁𝗮𝘁𝗶𝗼𝗻𝘀
BeautifulAI - https://www.beautiful.ai
Simplified - https://simplified.com
Slidesgo - https://slidesgo.com
Sendsteps - https://www.sendsteps.com/en

𝗙𝗼𝗿 𝗔𝘂𝗱𝗶𝗼
MurfAI - https://murf.ai
Speechify - https://speechify.com
LovoAI- https://lovo.ai
MediaAI- https://www.ai-media.tv

06/06/2023

প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের ১০ কৌশল

১. কোন বিষয়ে আপনার কৌতূহল

যে বিষয় আপনাকে কৌতূহলী করে, সেটিই শিখতে চেষ্টা করুন। যা কিছুতে আমাদের ভালো লাগা বা ভালোবাসা কাজ করে, সেগুলোই আমরা দ্রুত শিখতে পারি। আর যেসব বিষয় খুব একটা টানে না, সেগুলো শিখতেও বেগ পেতে হয়।

২. এক নৌকায় পা দিন

প্রতিটি দক্ষতা অর্জনেই বেশ পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করতে হয়। তাই অনেকগুলো দক্ষতা অর্জনের প্রকল্প যদি আপনি একসঙ্গে নেন, তাহলে উল্লেখযোগ্য ফলাফল পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। আর এ থেকে তৈরি হতে পারে হতাশা। তাই একটি দক্ষতা নিয়ে কাজ করুন। আপনার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু যদি হয় একাধিক বা আপনি একসঙ্গে অনেকগুলো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চান, তবে তার মধ্যে থেকে যেটা আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে, সেটি বেছে নিন। বাকিগুলো পরে শেখার জন্য একটি নোটবুকে টুকে রাখুন।

৩. কতটুকু শিখতে চান

একটি নির্দিষ্ট সময়ে কতটুকু শিখলে আপনি সন্তুষ্ট হবেন? এই প্রশ্নের উত্তরটি আগেভাগে ঠিক করে রাখা ভালো। তাহলে বুঝতে পারবেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনি কতটুকু শিখতে চান। টাইপিংয়ের ক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য হতে পারে, প্রথম ২০ ঘণ্টায় মিনিটে ১৫ শব্দ টাইপ করার দক্ষতা অর্জন। আবার ভাষা শেখার ক্ষেত্রে প্রথম ২০ ঘণ্টায় আপনার লক্ষ্য হতে পারে কিছু সহজ বাক্য গঠন।

৪. ভাগ করে ফেলুন

পুরো দক্ষতা অর্জনের প্রক্রিয়াটিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে ফেলুন। এরপর একবারে একটি বিষয়ে মনোযোগ দিন। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে ‘কোনটা ছেড়ে কোনটা করব’—এই দ্বিধা আপনাকে আটকাতে পারবে না। ধরা যাক, আপনি একটি নতুন ভাষা শিখতে চান। এ ক্ষেত্রে আপনি পুরো ভাষা শেখার প্রক্রিয়াটিকে ভাগ করতে পারেন: বর্ণমালা, সংখ্যা, শব্দ, বাক্যগঠন বা ব্যাকরণ, শোনা, বলা, লেখা, পড়া ইত্যাদি। তারপর আপনার কাজ হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট দক্ষতার প্রতি নজর দেওয়া।

৫. প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ

প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হাতের কাছে নিয়ে নিন। সাইকেল চালানো শিখতে চাইলে নিয়ে নিন একটি সাইকেল। ভাষা শিখতে চাইলে ভাষা শেখার বই বা অ্যাপ সংগ্রহ করুন। আবার যদি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখতে চান, তবে বন্দোবস্ত করুন বই, টিউটোরিয়াল আর একটি কম্পিউটারের।

৬. দূর করুন অনুশীলনের বাধা

অনুশীলনের সময় যেন প্রযুক্তি বা কোনো কিছু বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। টেলিভিশন, ইন্টারনেট বা স্মার্টফোন যেন আপনার মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটায়, সে ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রাখুন। নিজের পরিবেশকে সাজিয়ে ফেলুন, যেন নিয়মিত অনুশীলন সহজ হয়ে যায়।

৭. সময় আলাদা করুন

নির্দিষ্ট একটি সময় অনুশীলনের অভ্যাস করুন। আপনি হয়তো ভাবছেন কী করে সময় বের করব? একটা নোটবুক নিন। রোজ কখন কী করলেন—সব টুকে রাখুন। দেখবেন অনেক কাজেই আপনার সময় ব্যয় হচ্ছে, যা তেমন প্রয়োজনীয় নয়। সেসব কাজ বাদ দিয়ে দিন। যে সময়টা বেঁচে যাবে, সে সময়টিকে কাজে লাগান নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য।

৮. আয়না দেখা

ভালো প্রতিফলন দেখতে পেলে আমরা সেই কাজটি আবার করতে চাই। টাইপিং শেখার সময় টাইপিং টেস্ট দিয়ে দেখুন আপনি কতটা দক্ষতা অর্জন করেছেন। কিংবা নতুন ভাষা শেখার সময় নিজের পড়ার বা বলার গতি রেকর্ড করে শুনুন। নিজের ব্যায়ামের পরিমাণ রেকর্ড করুন স্মার্টফোনের অ্যাপে।

৯. ঘড়ি ধরে অল্প করে

শুরুর দিকে একটা অসুবিধার সম্মুখীন হই আমরা। অল্প অনুশীলন করেই মনে হয়, আমি বুঝি অনেক পরিশ্রম করে ফেলেছি। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হলো, ঘড়ি ধরে অনুশীলন করা। স্টপওয়াচে ২০ মিনিট সময় নির্ধারণ করুন। এবার স্টপওয়াচ চালু করে টানা ২০ মিনিট অনুশীলন করে যান। এরপর বিরতি নিন। এভাবে রোজ মাত্র চার–পাঁচ ধাপে অনুশীলন করলে ভালো ফল পেতে পারেন।

১০. পরিমাণ ও গতিতে জোর দিন

শুরুর দিকে অনুশীলন নিখুঁত করার একটা প্রবণতা তৈরি হতে পারে। এ থেকে আসতে পারে হতাশা। এই হতাশাকে কাটানোর জন্য মনোযোগ দিন অনুশীলনের পরিমাণের ওপর। হিসাব করে দেখুন, আপনার গতি কতটা বেড়েছে। আপনি কত কম সময়ে কতটুকু করতে পারছেন। মোটামুটি ভালো, অর্থাৎ ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পারলে আপনার গতি বাড়িয়ে দিন।

প্রথম আলো

06/06/2023

দক্ষতার অভাবে চাকরি মিলছে না শিক্ষিতদের

প্রায় ছয় বছর আগে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন মোশাররফ হোসাইন। স্নাতক শেষের পরপরই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন, কিন্তু চাকরির আর দেখা পাননি। এদিকে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সও শেষের পথে। বাধ্য হয়ে এখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করছেন। তবে কম্পিউটার শিক্ষাসহ বিভিন্ন দক্ষতার অভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোথাও চাকরি মিলছে না তাঁর। বুধবার (৮ জুন) আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন রবিউল আলম।

মোশাররফ বলেন, ‘ইংরেজিতে পড়ার সুবাদে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে তথ্য কর্মকর্তা পদসহ বেশ কয়েকটি পদে সিভি দিয়েছি। কিন্তু স্নাতকের পাশাপাশি তারা গ্রাফিকস ডিজাইন, কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। স্নাতকের শিক্ষাক্রমে যদি বাধ্যতামূলক এসব দক্ষতা বাড়ানোর ব্যবস্থা থাকত বা আমি নিজ উদ্যোগেও যদি এগুলো শিখতাম, তাহলে এখন আমাকে চাকরি না পাওয়ার হতাশায় দিন কাটাতে হতো না।’

শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের প্রথম সারির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনেক তরুণ-তরুণীও এসব দক্ষতার অভাবে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি দেশে কাজ করা কয়েকটি বিদেশি সংস্থায় চাকরির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু মাইক্রোসফট এক্সেল, গ্রাফিকস ডিজাইন, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, দ্রুত টাইপিং ইত্যাদি ছোটখাটো বিষয়ে দক্ষতা না থাকায় চাকরি পাচ্ছি না। অন্য দেশের কেউ চাকরিটা নিয়ে গেছেন। এত কষ্ট করে ভালো ফলাফল করেও এসব সফট স্কিলের অভাবে পিছিয়ে পড়ছি।’

শুধু মোশাররফ বা মতিউর নন, ছোটখাটো বিষয়ে দক্ষতার অভাবে চাকরি না পাওয়াদের কাতারে রয়েছে দেশের এমন লাখ লাখ তরুণ। অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে নিয়োজিত মোট ১০০ জন নিয়োগকর্তার ওপর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ এবং ফ্রেডরিক-এবার্ট-স্টিফটুং পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৪৬ শতাংশ বেসরকারি নিয়োগকর্তা চাকরির শূন্য পদ পূরণে প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষতাসম্পন্ন প্রার্থী খুঁজে পেতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। চাকরির শূন্য পদে উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে পেতে নিয়োগকর্তারা প্রধান যে দুটি বাধার সম্মুখীন হন তা হলো, কাজের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব।

নিয়োগকর্তারা প্রার্থী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তিনটি বিষয়ের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বলে গবেষণাটিতে উঠে এসেছে। সেগুলো হলো সফট স্কিলস, হার্ড স্কিলস ও কাজের অভিজ্ঞতা। তাঁদের মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফট স্কিলের মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ, সময় ব্যবস্থাপনা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, টিমওয়ার্ক ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, নেটওয়ার্কিং ও সৃজনশীলতা। অন্যদিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ড স্কিল হলো কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, ব্যবসায়িক দক্ষতা, সংখ্যাগত ও গাণিতিক দক্ষতা। নিয়োগকর্তাদের ৪০ শতাংশের মতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে কর্মীদের নতুন দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজন হতে পারে।

স্বাভাবিকভাবেই ছোটবেলা থেকে যাঁরা পড়াশোনার মধ্যে থেকে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা ও গাণিতিক দক্ষতাসহ বিভিন্ন দক্ষতা অর্জনের চর্চা করেন, জীবনের পরবর্তী ধাপে তাঁরা এগিয়ে থাকেন। তবে মাধ্যমিকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এখনো ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে আছে। মাধ্যমিক স্তরের এক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ, অষ্টম ও দশম শ্রেণির প্রতিটিতে ৩০ হাজার করে শিক্ষার্থীর ওপর গবেষণা চালানো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তদারক ও মূল্যায়ন বিভাগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ইংরেজিতে ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থীর এবং গণিতে ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে ইংরেজিতে প্রায় ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর ও গণিতে ১৩ শতাংশের অবস্থা খুবই খারাপ। তবে যত ওপরে উঠছে, পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণির তুলনায় অষ্টমে উঠে কিছু ভালো এবং দশমে আরও ভালো করছে।

তবে বিদ্যমান শিক্ষাক্রমে লেখা, পড়া, শোনা ও বলা—এই চারটি বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা বলা হলেও শিক্ষকেরা শুধু লেখা আর পড়া—এ দুটির ওপর জোর দিচ্ছেন বলে ইংরেজি, বাংলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, বলা ও শোনা—এ দুটি বিষয়ে শিক্ষকেরা গুরুত্বই দিচ্ছেন না। যদিও এর পেছনে দুর্বল অবকাঠামো একটা কারণ। ক্লাসে শিক্ষক শুধু লেকচার দিলেই শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল বাড়বে না বরং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার জন্য একটা পরিবেশ তৈরি করা শিক্ষকদের দায়িত্ব।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তোলা উচিত, যাতে তারা পরবর্তী পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এ দায়িত্ব শিক্ষকদের। তাঁদের উচিত শ্রেণিকক্ষে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যাতে শিক্ষার্থীরা পরস্পর আলোচনা করে তাদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনাসহ অন্যান্য দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

তবে চাকরিদাতাদেরও কিছুটা নমনীয় হওয়া উচিত উল্লেখ করে অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, চাকরিদাতারা যে সবকিছু রেডি পাবেন, এই ভাবনা ঠিক নয়। যে শিক্ষার্থী স্নাতকে ভালো ফল করেছেন, তাঁকে চাকরি দিয়ে একটু সময় দিলেই সে অল্প কয়েক দিনে কম্পিউটার চালানো শিখতে পারবে। সেই সুযোগটাও দেওয়া উচিত। তবে শিক্ষার্থীদেরও উচিত নিজ উদ্যোগে হার্ড স্কিলগুলো অর্জন করা। এগুলো করলে স্বাভাবিকভাবেই সে এগিয়ে থাকবে।

ক্রেডিটঃ দৈনিক শিক্ষা

19/05/2023

আমরা অনেক কিছুতেই কৃপণ। তার মাঝে খুব দৃশ্যমান একটা কার্পন্য হচ্ছে প্রশংসা করার কার্পন্য। আমরা যতটা মানুষের সমালোচনা করি তার ১০ ভাগও মানুষের প্রশংসা করিনা। সবচেয়ে বড় কথা culture of appreciation তথা প্রশংসা করার সংস্কৃতি ব্যাপারটা আমাদের মাঝে নেই। ক্লাসের খুব সাধারন ছেলেটা হঠাৎ কোন এক দিন ভালো করলে খুব কম শিক্ষকই তাকে পিঠ চাপড়ে বলেন – Well done … অফিসে দিনের পর দিন কাজ করছেন নিষ্ঠা আর দক্ষতার সাথে, খুব কম সময়ই প্রশংসা পাবেন। বরং কেউ যদি কোথাও কখনো কোন বিশেষ কোন স্বীকৃতি পেয়ে যায় সবাই ব্যস্ত থাকে ওই প্রাপ্তিতে কোন গণ্ডগোল আছে কিনা, অস্কার পুরস্কারের জুরি বোর্ডে তার কোন আত্মীয় ছিল কিনা এই হিসাব করতে। আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম প্রশংসা করা হয় এবং উৎসাহ দেয়ার প্রচলন কম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর সরকারী কিংবা আধা সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে। মাল্টি ন্যাশনাল বা বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের চিত্রটা ভিন্ন। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের হতাশার অন্যতম একটা কারন হল আমরা খুব কম সময়ই তাদের প্রশংসা করি। খুব বেশী সিজিপিএ ধারী ছেলেমেয়দেরকেই মাঝে মাঝে কিছুটা প্রশংসা বা বাহবা দেয়া হয়। কিন্তু যেই ছেলেটা ভালো উপস্থাপনা করে, যেই মেয়েটা এথলেটিক্স এ ভালো, যেই ছেলেটা ভালো প্রোগ্রামিং পারে, যেই মেয়েটা ভালো পোস্টার বানাতে পারে- তাদেরকে খুব কম সময়ই আমরা বলি- তুমি একটা জিনিয়াস। এই অবমূল্যায়ন অনেক সময় হতাশা তৈরি করে। প্রশংসা না পেতে পেতে এক সময় তাদের মনে হয়- আমার আসলে কোন গুনই নেই, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। - এবং এখান থেকেই ছেলেমেদের অনেক অনেক হতাশার গল্পের শুরু। একইভাবে একটা প্রতিষ্ঠান যদি কর্মীদের তার কাজের জন্য মাঝে মাঝে উৎসাহিত না করে, ধন্যবাদ না দেয় তখন নতুন কিছু করার, সৃষ্টিশীল কিছু আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে তার কর্মিরা। অস্ট্রেলিয়ায় এমনও দেখেছি একটা সেমিস্টারে একটা মাত্র কোর্সে ৯৫% নম্বর পাওয়ার কারনে একজন ছাত্রকে ডিন অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেই ছেলেটা অনেক বেশি সামাজিক দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে যেমন প্রতিবন্ধীদের সাথে শ্রুতিলেখক হিসেবে পরীক্ষা দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে কার পার্কিং নিয়ন্ত্রন করেছে, ভালো বিতর্ক করেছে কিংবা ফুটবল খেলেছে তাকে “কার্টিন এক্সট্রা” নামে একটা বিশেষ সার্টিফিকেট দিত কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। জীবনে এই প্রশংসা পাওয়াটা মাঝে মাঝে ভীষণ দরকার। এটা অনেকটা টনিক এর মত কাজ করে, মনে হয় আমি আরও ভাল করতে পারি, আমি ভালো করলে আমার আশেপাশের মানুষগুলো আনন্দিত হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রশংসা একটু নেগেটিভ প্রভাবও ফেলে, বেশী প্রশংসা পেলে অনেকে আত্মতুষ্টিতে ভগে এবং আর ভালো করার চেষ্টা করেনা। যে কারনে অনেক বাবা মা সন্তানের সামনে তার অতিরিক্ত প্রশংসা করেন না। কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রশংসা করার সময় আমরা একটু সাবধানী থাকি, খাবারের দোকানগুলোর বেশী প্রশংসা না করাই ভালো অনেক ক্ষেত্রে। গতকাল এক ছোট সহকর্মিকে তার কাজের নিষ্ঠা আর প্রচেষ্টা দেখে প্রশংসা জানিয়ে একটা ক্ষুদেবার্তা দিয়েছিলাম, প্রতিক্রিয়ায় সে এত আনন্দিত ছিল যে সে তার প্রিয় একজন শিক্ষককে বার্তাটি দেখাল। তার শিক্ষক আমাকে সাথে সাথে মেসেজ দিয়ে বললেন, “তোমার এই সামান্য প্রশংসা যে ওর জন্য কত বড় অনুপ্রেরণা ছিল এটা তুমি হয়ত জাননা; আমি দেখেছি।”। প্রশংসার এই আকালের যুগে এরকম ছোট ছোট পিঠ চাপড়ে দেয়া কথাগুলো খুব বেশী দরকার, খুব বেশী।

© Adnan Mannan

16/05/2023

Google, IBM and Harvard University are sponsoring Free courses for Python

𝟭. 𝗖𝗦𝟱𝟬𝗣 𝗳𝗿𝗼𝗺 𝗛𝗮𝗿𝘃𝗮𝗿𝗱 𝗨𝗻𝗶𝘃𝗲𝗿𝘀𝗶𝘁𝘆

https://lnkd.in/dWnp_rya

𝟮. 𝗣𝘆𝘁𝗵𝗼𝗻 𝗳𝗼𝗿 𝗗𝗮𝘁𝗮 𝗦𝗰𝗶𝗲𝗻𝗰𝗲 𝗯𝘆 𝗜𝗕𝗠

https://lnkd.in/dtGjWRbj

𝟯. 𝗜𝗻𝘁𝗿𝗼𝗱𝘂𝗰𝘁𝗶𝗼𝗻 𝘁𝗼 𝗣𝘆𝘁𝗵𝗼𝗻 𝗣𝗿𝗼𝗴𝗿𝗮𝗺𝗺𝗶𝗻𝗴 𝗯𝘆 𝗨𝗱𝗮𝗰𝗶𝘁𝘆 𝗳𝗼𝗿 𝗙𝗥𝗘𝗘

https://lnkd.in/dATXBEqu

𝟰. 𝗟𝗲𝗮𝗿𝗻 𝗣𝘆𝘁𝗵𝗼𝗻 𝗯𝗮𝘀𝗶𝗰𝘀 𝗳𝗼𝗿 𝗗𝗮𝘁𝗮 𝗔𝗻𝗮𝗹𝘆𝘀𝗶𝘀

https://lnkd.in/dNYQX_xg

𝟱. 𝗟𝗲𝗮𝗿𝗻 𝗣𝘆𝘁𝗵𝗼𝗻 - 𝗙𝘂𝗹𝗹 𝗖𝗼𝘂𝗿𝘀𝗲 𝗳𝗼𝗿 𝗕𝗲𝗴𝗶𝗻𝗻𝗲𝗿𝘀 𝗯𝘆 𝗙𝗿𝗲𝗲𝗖𝗼𝗱𝗲𝗖𝗮𝗺𝗽

https://lnkd.in/dZhW5g_A

Become a Python Backend Developer in 4 Months! 💼🔥

🚀 𝗬𝗼𝘂𝗿 𝟰-𝗠𝗼𝗻𝘁𝗵𝘀 𝗕𝗮𝗰𝗸𝗲𝗻𝗱 𝗗𝗲𝘃𝗲𝗹𝗼𝗽𝗲𝗿 𝗟𝗲𝗮𝗿𝗻𝗶𝗻𝗴 𝗣𝗹𝗮𝗻 🚀

1️⃣ 𝗠𝗼𝗻𝘁𝗵 𝟭: 𝗚𝗲𝘁 𝘆𝗼𝘂𝗿 𝗯𝗮𝘀𝗶𝗰𝘀 𝗿𝗶𝗴𝗵𝘁

1. Learn Python: https://lnkd.in/eb4ke-9P

2. Python Projects: https://lnkd.in/eNWBfNzk

3. DSA with Python: http://bit.ly/3G3Dh0V

2️⃣ 𝗠𝗼𝗻𝘁𝗵 𝟮: 𝗗𝗶𝘃𝗲 𝗶𝗻𝘁𝗼 𝗙𝗹𝗮𝘀𝗸 𝗮𝗻𝗱 𝗔𝗣𝗜

Learn Flask: https://lnkd.in/eqAg3jZP
Flask Projects: https://lnkd.in/eqnf7h-W
Learn REST API with Flask: https://lnkd.in/e-TTahQf

3️⃣ 𝗠𝗼𝗻𝘁𝗵 𝟯: 𝗠𝗮𝘀𝘁𝗲𝗿 𝗮𝗱𝘃𝗮𝗻𝗰𝗲𝗱 𝗰𝗼𝗻𝗰𝗲𝗽𝘁𝘀 𝗮𝗻𝗱 𝗱𝗮𝘁𝗮𝗯𝗮𝘀𝗲𝘀

1. Learn Multithreading, Multiprocessing, Asyncio: https://lnkd.in/e_99Jiwp

2. Gunicorn & Nginx with Flask: https://lnkd.in/eWxgTNdB

3. TDD with Python & Flask: https://lnkd.in/eMjweHuZ

4. Basic RDBMS: https://lnkd.in/ebkPd8-q

5. Learn SQL: https://sqlbolt.com/ & W3Schools.com

6. PostgreSQL with Python: https://lnkd.in/esKUqNdt

7. Flask App with PostgreSQL: https://lnkd.in/eTzpcwNc

4️⃣ 𝗠𝗼𝗻𝘁𝗵 𝟰: 𝗣𝗼𝗹𝗶𝘀𝗵 𝘆𝗼𝘂𝗿 𝘀𝗸𝗶𝗹𝗹𝘀 𝗮𝗻𝗱 𝗽𝗿𝗲𝗽𝗮𝗿𝗲 𝗳𝗼𝗿 𝘁𝗵𝗲 𝗷𝗼𝗯 𝗺𝗮𝗿𝗸𝗲𝘁

1. Basics of Bash: https://lnkd.in/eZnG8cP6

2. Basics of Docker: https://lnkd.in/eFEK_aXW

3. Deploy Flask App with Docker: https://lnkd.in/eTjnFW8Y

4. GIT & GitHub: https://lnkd.in/ejshTxFw

5. Python Portfolio on Github: https://lnkd.in/eB2AanXj

6. Python Resume Ideas: https://lnkd.in/e_Fb7uNi

For more updates join : Think BrightThink Bright | Designed by : TopNotch Co.

15/05/2023

How confident do you feel about your current skill set aligning with your desired career path?

a) Very confident
b) Somewhat confident
c) Not confident

Please take a moment to comment below and let us know your thoughts.

10/05/2023

YouTube has 50,934,583 channels. Here are 8 channels that will teach you more skills than a 4-year degree:

Big Think: https://www.youtube.com/

Y Combinator: https://www.youtube.com/

Naval: https://www.youtube.com/

SmarterEveryDay: https://www.youtube.com/

James Jani: https://www.youtube.com/

GaryVee: https://www.youtube.com/

Learn Coding: https://www.youtube.com/

Thomas Frank: https://www.youtube.com/

Credit: Mind Wisdom Money

21/04/2023

Eid Mubarak!

08/04/2023

8 habits that could damage your brain.

© YUNI CARE DC

21/03/2023

যে ১০টি কম্পিউটার স্কিল অর্জন না করলেই নয়!

ছাত্রজীবনকে বলা যায় জীবন গঠনের উপযুক্ত সময়। কেননা এই সময়টাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পাশাপাশি এমনকিছু গুণ ও দক্ষতা অর্জন করে থাকে, যা সারাজীবন তাদের কাজে লাগবে। বর্তমান যুগ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ৷ কম্পিউটার ছাড়া আজকাল সবকিছু একেবারেই অচল বলা চলে৷

কী করা যায় না কম্পিউটার দিয়ে? অফিসের কাজ থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং, স্কুলের সায়েন্স প্রোজেক্ট বানানো, বিভিন্ন ইভেন্টের ব্যানার তৈরি, কলেজের প্রেজেন্টেশনসহ অনেক কিছুই কম্পিউটার এর মাধ্যমে করা সম্ভব। আর কম্পিউটার এর কিছু নির্দিষ্ট স্কিল অর্জন করতে পারলে তুমি তোমার সহপাঠীদের তুলনায় এগিয়ে থাকবে কয়েকশো গুণ!

কিন্তু এইসব স্কিল শিখতে চাইলে সাথে থাকা লাগবে ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্টারনেট সংযোগ তোমাকে পুরো পৃথিবীর নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসবে। এতে করে তোমার কাজ হয়ে উঠবে আরো সহজ ও মজাদার! পরীক্ষার আগে পড়া যেমন জরুরি, তেমনি চাকরিতে ঢোকার আগে কিছু কম্পিউটার স্কিল (Computer Skills) থাকাও প্রয়োজন।

তাই বিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি আজকাল শিক্ষার্থীদের বেসিক কম্পিউটার নলেজ থাকাটাও জরুরি। কম্পিউটারের বেসিক ধারণা থাকা এখন যেকোনো চাকরির জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইচ্ছা, দক্ষতা এবং কম্পিউটার স্কিল (Computer Skills) শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে বেশ ভাল প্রভাব ফেলে, কিন্তু কেন এবং কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকা জরুরি? চলুন জেনে আসা যাক।

বাংলা এবং ইংরেজি টাইপিং দক্ষতা:
মোবাইলে আমরা সবাই আরামসে টাইপ করতে পারলেও কম্পিউটার এর স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে একনাগাড়ে টাইপ করা কিন্তু একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার। টাইপ করার সাধারণ নিয়ম হচ্ছে ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৪০টি শব্দ এবং বাংলা ২৫টি শব্দ টাইপ করতে পারতেই হবে।

আমাদের প্রায়শই বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্টের জন্য একজন টাইপিস্টের কাছে শরণাপন্ন হই। কিন্তু আমরা নিজেরাই যদি ভালোভাবে টাইপ করতে পারি, তাহলে বাইরের কাউকে দিয়ে টাইপ করানোর প্রয়োজন হবে না। এতে করে নিজের অর্থ এবং সময়- দুটোই বাঁচবে।

এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে টাইপিং ছাড়া কোন চাকরি কিংবা ব্যবসায় ভাল করা সম্ভব নয়। কেননা, যোগাযোগ রক্ষায় ই-মেইল লেখা থেকে শুরু করে অন্যান্য সবা কাজেই কম্পিউটার এবং টাইপিং প্রয়োজন। তাই আমরা যদি নিজেরাই টাইপিং দক্ষতাটা অর্জন করে ফেলি, তাহলে নিজেদেরকে কোনো ঝামেলাই পোহাতে হবে না!

এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তুমি সহজেই টাইপিংয়ের উপর একটি ফ্রি কোর্স করতে পারবে। শুধু সার্টিফিকেটের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তাদেরকে দিতে হবে, যদি তুমি সার্টিফিকেট নিতে চাও তাহলেই।

ডকুমেন্ট তৈরি:

কম্পিউটারের মাধ্যমে ডক ফাইল তৈরি করা হলো আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার স্কিল। Microsoft Word ও Google Docs এর মাধ্যমে খুব সহজেই এবং বিনামূল্যে ফাইল তৈরি করা যায়। Microsoft Word হলো বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ডকুমেন্ট তৈরির সফটওয়্যার। ৯০% মানুষ নিজেদের কাজে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকে।

ডকুমেন্ট ফাইলে শব্দ বড়-ছোট করা, হাইপার লিংক তৈরি করা, শব্দ বোল্ড, ইটালিক বিভিন্ন ফন্টে আনা, প্যারাগ্রাফ করা সহ আরো অসংখ্য ছোটখাটো স্কিল শিখে নেয়া খুব জরুরি। এই সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন ও নোট খুব সহজেই তৈরি করা যায়।

Google এবং Office 365 অনলাইনেও ব্যবহার করা যায়। ফলে শুধু কম্পিউটারই নয়, এর মাধ্যমে মোবাইলেও যখন তখন লেখা এবং ফাইল এডিট করা যাবে। গুগল ডকে একই ফাইলে একাধিক মানুষের এক্সেস থাকলে তারা এডিটও করতে পারবে।

গাণিতিক সমস্যাবলী এবং ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা:
যখন কেউ গাণিতিক সমস্যা কিংবা কোনো হিসাব-নিকাশের কথা বলে, তখন মাথায় আসে Microsoft Excel বা Google Sheets এর নাম। Microsoft Excel বা Google Sheets মূলত হলো একধরণের spreadsheet। সেখানে বিভিন্ন ধরণের টেবিলের মাধ্যমে কোনোকিছুর পরিসংখ্যান দেখানো হয়। যেমন: শেয়ার বাজারের সূচক, অফিসের কর্মীদের কাজে আসার সময়সূচী, শিক্ষার্থীদের মার্কশিট ইত্যাদি।

এই স্কিল অর্জনের মাধ্যমে তুমি খুব সহজেই ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবে। আর বর্তমান আইসিটি খাতে ডাটা এন্ট্রির মতন কাজগুলোর চাহিদা কিন্তু প্রচুর। এই কম্পিউটার স্কিল টি তাই বিভিন্ন কাজে আসতে পারে!

Presentation এর দক্ষতা:
প্রোজেক্ট ডিসপ্লে এবং প্রেজেন্টেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে সেই দুইটি সফটওয়্যার আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে, তা হলো Google Slides এবং Microsoft PowerPoint। এই দুইটি সফটওয়্যার প্রায় একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হলেও এদের মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে।

Microsoft PowerPoint এ রয়েছে অসংখ্য টুলস, যার মাধ্যমে খুব সহজেই তুমি তোমার প্রেসেন্টেশন কে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবে। আর Google Slides এ খুব বেশি টুল না থাকলেও চটজলদি প্রেজেন্টেশন তৈরির কাজে এর কিন্তু জুড়ি মেলা ভার!

দু’টিতেই রয়েছে অসংখ্য স্লাইড তৈরি করার অপশন। সেই সাথে ছবি অ্যাটাচ করা যায়, মিউজিক অ্যাড করা যায়, থিম পালটানো যায়, ফন্ট চেঞ্জ করার পাশাপাশি এর কালার ও সাইজেও পরিবর্তন আনা যায়। বর্তমান সময়ে তাই এই কম্পিউটার স্কিল টি তোমার থাকতেই হবে!

Graphic Designing:
আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছর জুড়েই কোনো না কোনো ইভেন্টের আয়োজন করা হয়৷ ইভেন্টের প্রচারণার জন্য প্রয়োজন ম্যাগাজিন, ব্যানার ও পোস্টার৷ আর তুমি যদি কম্পিউটারে Adobe Photoshop আর Adobe Illustrator ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে থাকো, তাহলে তোমাকে আর ঠেকায় কে? এসব কাজের জন্য সবার আগে কিন্তু তোমাকেই ডাকা হবে!

আজকাল যেকোনো কাজের জন্য এমন মানুষদের রিক্রুট করা হচ্ছে, যাদের ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটর সম্পর্কে অন্তত সাধারণ জ্ঞানটুকু আছে। তাই বোঝা যাচ্ছে যে আজকাল এই দুটি সফটওয়্যারের কাজে পারদর্শী মানুষের চাহিদা কেমন।

এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটে। সেই সাথে ক্যারিয়ার গঠনের বিভিন্ন পথ খুলে যায়। আমাদের জীবনে ফটোশপের নানা ব্যবহার রয়েছে। যা ক্যারিয়ার তৈরি ছাড়াও পার্টটাইম চাকরি খুঁজে পাওয়ার সহায়ক।

যদি এই সফটওয়্যারগুলো না থাকে, তবে এমনি অনেক বিনামূল্যের এডিটিং সফটওয়্যার এবং টুল পাওয়া যায়। এই দক্ষতা অর্জন করলে নিজের ফেসবুকের ছবিগুলোও হয়ে উঠবে অন্য সবার চেয়ে আকর্ষণীয়। এমনকি প্রেজেন্টেশনেও এই স্কিল কাজে আসবে। তুমি বিভিন্ন ইফেক্ট ও ভিডিও ক্লিপ ব্যবহারের মাধ্যমে তোমার প্রেজেন্টেশনটি হয়ে উঠবে অন্যদের কাছে সহজবোধ্য ও আলাদা।

বেসিক কম্পিউটার হার্ডওয়্যার:

কম্পিউটার বা ফোনের কোনো পার্টস নষ্ট হয়ে গেলে, সেটা ঠিক করার অন্তত বেসিক উপায়টা শেখা জরুরি। আমাদের জানা উচিত যে কীভাবে সফটওয়্যার কিনতে হয় এবং ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও পিসি কীভাবে পরিষ্কার রাখতে হয় এবং ভাইরাসমুক্ত রাখা যায় সেটাও জানতে হবে। র‍্যাম, হার্ডডিস্ক, বেসিক ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কেও ধারণা রাখা প্রয়োজন।

এসব টুকটাক কাজ নিজেরা জানলে নিজের মনিটর বা ফোন নিয়ে দোকানে দোকানে ছোটা লাগবে না। টাকাও বেঁচে যাবে। আর সেই বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে তুমি চাইলেই নিজের পছন্দমতো একটা বই কিনে ফেলতে পারবে।

Social Networking:

সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো হলো নেটওয়ার্কিংয়ের সবচেয়ে কার্যকরী জায়গা। কারণ এইসব সাইটগুলোতে আমরা নানান ধরণের ও পেশার মানুষের সাথে পরিচিত হই। এইসব মানুষেরা আমাদের পরবর্তীতে নানান উপকারে আসতে পারেন।

তবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং স্কিলসের মধ্যে তুমি কীভাবে কার সাথে কথা বলবে, নেগেটিভিটি কীভাবে এড়িয়ে চলবে- এগুলোও অন্তর্ভুক্ত।

সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট এবং অ্যাপগুলো সবসময় মানুষের চেয়েও বেশি এক্টিভ থাকে! তবে এগুলো ব্যবহার করতে চাইলে খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না। তাই শিক্ষার্থীরা প্রায় সবাই এগুলো ব্যবহার করে থাকে।

পড়াশোনা ছাড়া শিক্ষার্থীদের তেমন একটা কাজ থাকে না। তাই তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটায় এবং ধীরে ধীরে তারা এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো ব্যবহারের স্কিল এবং মেথডগুলো জানা জরুরি।

অনলাইনে কাজ করা:
আজকাল এমন অনেক ধরণের কাজ তৈরি হচ্ছে, যা ঘরে বসেই করা যায়। যেমন: freelancing, online business, blogging, marketing, copywriting, ইত্যাদি। সেইসব কাজ করার জন্য প্রয়োজন নিজের ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ। তাই অনলাইনে কাজ করতে হলে কিন্তু কম্পিউটার স্কিল গুলো আয়ত্ত করার প্রয়োজন আছে!

অনলাইন নৈতিকতা এবং নিরাপত্তা:
অনলাইনে কাজ করতে গেলে যেই জিনিসটা নিয়ে সবাই একদম প্রথম সতর্ক করে, তা হলো অনলাইনে আমাদের আচার-আচরণ কেমন হওয়া দরকার৷ অনেকসময় আমরা আমাদের রাগের বহিঃপ্রকাশ সোশ্যাল মিডিয়ায় করে ফেলি, কাউকে নিয়ে কটুক্তি করি৷ কিন্তু এগুলো করা একদমই উচিত নয়৷ ভার্চুয়াল জগতে সব অনেক বেশি খোলামেলা। তাই অনলাইনে কাজ করার সময় আমরা সবসময় সতর্ক থাকবো।

রিসার্চ:

রিসার্চ অর্থ অনুসন্ধান করা। বিভিন্ন ওয়েব ব্রাউজারে কোনো বিষয় সার্চ দিয়ে তা নোট করাকেই রিসার্চ বলে৷ যেমন: কেন এইটা হয়? কী জন্য হয়? এটা হলে লাভটা কী?

রিসার্চ মানে এই না যে, শুধুই এসাইনমেন্টের জন্য ডাটা কালেক্ট করা। রিসার্চ অর্থ সত্য উদঘাটন করাও বটে! রিসার্চ তখনই করা লাগে, যখন কেউ কোনো সমস্যার সমাধান খোঁজে। কোনো প্রজেক্ট তৈরি করার জন্যেও রিসার্চ করা লাগে।

এই স্কিলগুলো অর্জন করলে তুমি তোমার সমবয়সীদের তুলনায় সব ক্ষেত্রেই বেশ এগিয়ে থাকবে। এইসব বিষয় অনেক সময় নিজে নিজেই শেখা যায়। আবার তুমি চাইলে এগুলো নিয়ে কোর্সও করতে পারো।

তোমার এলাকার আশেপাশে যদি ‘যুব কল্যাণ সমিতি’ খুঁজে পাও, সেখানে ভর্তি হয়ে যেকোনো একটার উপর কোর্স করে ফেলো। এগুলো সরকারি হওয়াতেও খরচটাও একটু কম। আর পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আছে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা। এই সার্টিফিকেট তুমি পরবর্তীতে অনেক জায়গায় কাজে লাগাতে পারবে।

এছাড়াও আজকাল অনেক ওয়েবসাইটে এইসব দক্ষতার উপর ফ্রি ক্লাস করানো হয়। ইউটিউবেও তুমি এই সংক্রান্ত অসংখ্য ভিডিও পাবে! আর আমাদের ১০ মিনিট স্কুলের ইউটিউব চ্যানেলটিতে কিন্তু সাদমান সাদিক ভাইয়ার Microsoft Word, Microsoft PowerPoint এবং Adobe Photoshop নিয়ে বেশকিছু সহজ টিউটোরিয়াল আছে। এইসব টিউটোরিয়াল দেখে তুমি একা একাই কম্পিউটার স্কিলগুলো অর্জন করে ফেলতে পারবে!

সূত্র:

5 Skills Every College Student Must Develop To Be Successful | The College Investor
Student Skills List – 10 Skills Students Need to Be Successful | Linkedin Learning Blog
Five Tech Skills Every College Student Should Have | Ghegg
Necessary Computer Skills for College Students | MAPCON
10 Tech Skills Every Student Should Have | Tech & Learning

ক্রেডিটঃ 10 Minute School

Want your business to be the top-listed Computer & Electronics Service in Chittagong?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

How do I start Freelancing?
R Programming Packages কি, কেন এবং কিভাবে??The Learning Hub এর পক্ষ থেকে "Data Analysis with R Programming" এর প্রথম ব্য...
R Programming শিখুন। To register in our new batch: https://forms.gle/ZMmJn2pVsDAWr9VUA
R প্রোগ্রামিং কেন শিখবেন? সব সাব্জেক্টের জন্য The Learning Hub এর কর্তৃক পরিচালিত ১০ দিন ব্যাপী "Data Analysis with R Pr...
Grow Your Business With DIGITAL MARKETING (Q&A Session)
ফ্রি মাস্টার ক্লাস ইন এডভান্সড গ্রাফিক ডিজাইন!This is an overview class about Graphic Design. In this class, we have cov...
Chemical Safety & Hazardous Waste Management
ফ্রিল্যান্সিং কি, কেন এবং কিভাবে ?

Telephone

Address


Chittagong
4331

Other Computer Training in Chittagong (show all)
Creative Expert Creative Expert
Lake Valley Residential Area, Nuria Madrasa Goli, Foy's Lake
Chittagong, 4225

Creative Expert- A unit of Creative Corporation. We provide Software, SEO, Digital Marketing, Websit

Srestho It Srestho It
Chittagong, 4335

We provide IT managed services for all your business processes. Best Computer Training Center & all computer accessories sells & service.

IT_King Institute IT_King Institute
Brahmanbaria, Chittagong Division
Chittagong, 3400

IT King Institute. Dream Big. Do Right.

Success Biz Family Success Biz Family
Kajir Dewri
Chittagong, 4000

Success Biz Family is ready to give you full computer skill development and freelancing Service.

Bakhtiar Society Computer Training center Bakhtiar Society Computer Training center
Chattogram, Anowara, Bakhtiar Para
Chittagong, 4376

Bakhtiar Society Computer Training Center is a completely free program of Bakthtia Para for the purpose of interacting with and integrating with the current world information tech...

ProgrammingGeek ProgrammingGeek
CEPZ
Chittagong, 4223

Its all about computer programming page that includes multiple programming language. For example C#, Asp.Net, SQL Server, android, VB.Net, HTML, CSS etc...

B I M Y O U B I M Y O U
Chittagong, 4100

সিএসই ডিপার্টমেন্ট এর সকল সাব্জেক্ট এর সার্ভিস দেওয়া হয়। ★DBMS★Software Development ★AI★Project★ML

বারইয়ারহাট ই-সেন্টার বারইয়ারহাট ই-সেন্টার
Chittagong, 4326

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও অনলাইন সেবা দা?

Freelancing Learn & Earn Page Freelancing Learn & Earn Page
Kazir Dewri , VIP Tower
Chittagong, 4000

Freelancing Learn & Earn be ready to give you full computer skill development & freelancing service.

CodoHov CodoHov
75 Chandmari Road, Chattogram
Chittagong, 3500

Skills Training Platform

FAB-3 It Home FAB-3 It Home
Katirhat, Hathazari
Chittagong, 4333

At FAB-3 IT Home, We believe there is opportunity everywhere, you just need a little bit of guidance

Powerpoint Skill Creating Powerpoint Skill Creating
Monsurabad, Wapda Colony
Chittagong, 4224

Hi Dear, This the Serivce of powerpoint video animation, picture editing and intro making and how to creating perfect official and school presentation parts also.