মোহাম্মদপুর গণ পাঠাগার Mohammadpur Gono Pathagar-mgp

মোহাম্মদপুর গণ পাঠাগার Mohammadpur Gono Pathagar-mgp

You may also like

Jen Mallo Facts
Jen Mallo Facts

It's an open library for the general people, readers and book lovers. So, like us; Keep reading and

05/10/2021

#কিছু_কনফিউজিং_সাধারন_জ্ঞান:

★সাত পাহাড়ের দেশ - রোম, কিন্তু

👉 হাজার পাহাড়ের দেশ - রুয়ান্ডা।

★১২ আউলিয়ার দেশ বলা হয় - চট্টগ্রাম, কিন্তু

👉 ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয় - সিলেট।

★বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ১ নং আসন হচ্ছে -

👉 পঞ্চগড় কিন্তু ৩০০ তম আসন হল - বান্দরবন।

★পৃথিবীর রাজধানী বলা হয় - নিউইর্য়ক, কিন্তু

👉 পৃথিবীর কেন্দ্র রাজধানী বলা হয় - মক্কা

★নিষিদ্ধ দেশ - তিব্বত, কিন্তু

👉 নিষিদ্ধ শহর - লাসা।

★হাজার হ্রদের দেশ - ফিনল্যান্ড, কিন্তু

👉 হাজার দ্বীপের দেশ - আইসল্যান্ড।

★রাজনীতিবিদ কিন্তু সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পান -

👉 উইনস্টন চার্চিল।

★বজ্রপাতের দেশ - ভুটান, কিন্তু

👉 বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা বেশি - বাংলাদেশে

★হিরণ পয়েন্ট - সুন্দরবনে, কিন্তু

👉 এলিফেন্ট পয়েন্ট হল - কক্সবাজারে।

★উত্তপ্ত গ্রহ হল - শুক্র, কিন্তু

👉 শীতল গ্রহ হল - নেপচুন

★ইউরেনাসকে বলা হয় - সবুজ গ্রহ, কিন্তু

👉 মঙ্গলকে বলা হয় - লাল গ্রহ

কালেক্টেড

11/06/2021
Photos from মোহাম্মদপুর গণ পাঠাগার Mohammadpur Gono Pathagar-mgp's post 27/05/2021

Be careful 🧐

21/05/2021

জরুরি নিয়োগ চলছে ।
চট্রগ্রামের স্বনামধন্য KDS GROUP এর সবগুলো GARMENTS এর জন্য নিম্নোক্ত পদে কিছু সংখ্যক ছেলে এবং মেয়ে প্রয়োজন । আগ্রহীরা inbox এ যোগাযোগ করুন ।
কোয়ালিটি চেকার : ৫০ জন ( নূন্যতম এস এস সি , বেতন : ১৫০০০ + দুপুরের Lunch এর ব্যবস্থা এবং ওভারটাইম করে অতিরিক্ত আয়ের সুবিধা )
সুপারভাইজার : ২১ জন ( নূন্যতম এস এস সি , বেতন : ২২০০০ + দুপুরের Lunch এর ব্যবস্থা এবং ওভারটাইম করে অতিরিক্ত আয়ের সুবিধা )
কম্পিউটার অপারেটর : ১৭ জন ( নূন্যতম এস এস সি , বেতন : ২৪০০০ + দুপুরের Lunch এর ব্যবস্থা এবং ওভারটাইম করে অতিরিক্ত আয়ের সুবিধা )
কাটিং অপারেটর : ১২ জন ( কাজ জানলে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য , বেতন : ১৬০০০ +
দুপুরের Lunch এর ব্যবস্থা এবং ওভারটাইম করে অতিরিক্ত আয়ের সুবিধা )
অপারেটর : ১০০ জন ( কাজ জানলে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য , বেতন : ১৮০০০ +
দুপুরের Lunch এর ব্যবস্থা এবং ওভারটাইম করে অতিরিক্ত আয়ের সুবিধা )
হেল্পার : ৩৫ জন ( কাজ জানলে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য , বেতন : ১০০০০ +
দুপুরের Lunch এর ব্যবস্থা এবং ওভারটাইম করে অতিরিক্ত আয়ের সুবিধা )
ফিনিশিং আয়রন ম্যান ও ফোল্ডিং : ১৮ জন ( কাজ জানলে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য , বেতন : ১১০০০ +
দুপুরের Lunch এর ব্যবস্থা এবং ওভারটাইম করে অতিরিক্ত আয়ের সুবিধা )

কাজের লোকেশন : EPZ , OXYGEN , BAHADDARHAT এই তিন জায়গার KDS এর যেই GARMENTS রয়েছে সেখানে নিয়োগ হবে ।
চাকরির বিনিময়ে কোন ধরনের টাকার লেনদেন হবে না ।
ধন্যবাদ ।

Icb Islamic Bank Limited || Bangladesh 20/05/2021

চাকুরি...

Icb Islamic Bank Limited || Bangladesh

11/05/2021

Contact with me if anybody needs..

26/04/2021

সৌদি আরব যেদিন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, সেদিন বঙ্গবন্ধুর জানাযা পড়া হচ্ছে এদেশে। ১৬ই আগষ্ট ১৯৭৫।
৭১ এ আমরা স্বাধীন হলেও ওদের অপেক্ষা করতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পর্যন্ত।

থাক সেসব কথা। যেটা বলতে চাচ্ছিলাম তা হলো, ৭১-৭৫ এই দীর্ঘ সময়টুকু সৌদির জন্য বাংলাদেশ নামক কোনো দেশের অস্তিত্ব না থাকায় বাংলাদেশীরা হজ্ব করতে যেতে পারছিলেন না। বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ৭৩ এর দিকে ইন্দিরা গান্ধি একটি অর্ডিনেন্স পাশ করেন, যেখানে বলা হয় বাংলাদেশীরা ভারত থেকে হজ্ব যাত্রা করতে পারবে।কিছু মানুষ এভাবে হজ্ব পালন করেছেন বলে জানা যায়। কিন্তু দ্বৈত নাগরিকতা প্রদর্শন ছাড়াও অন্যান্য জটিলতায়

এই ব্যাবস্থা বেশ টেকসই হয়ে ওঠেনি। বঙ্গবন্ধু সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে পরেন। অনেক কুটনৈতিক আলোচনা করেও সৌদি সরকারের নাগাল পাওয়া যাচ্ছিলো না। এমতাবস্থায় ৭৩ এর ৫ সেপ্টেম্বর আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে চতুর্থ ন্যাম সম্মেলনে যোগ দেন বঙ্গবন্ধু। বৈঠক চলাকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সৌদির বাদশাহ ফয়সালের সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।।
বাদশা ফয়সাল এলেন। দুই নেতা পাশাপাশি সোফায় বসলেন। বাদশা ফয়সালের দোভাষী বসলেন মাঝখানে। পারস্পরিক স্বাস্থ্য ও কুশল বিনিময়ের পর কথপোকথন শুরু হলো। কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরলাম-

বাদশা ফয়সালঃ আমি শুনেছি যে, বাংলাদেশে আমাদের কাছে কিছু সাহায্য আশা করছে। আপনি আসলে কি ধরনের সাহায্য চাচ্ছেন। আর হ্যাঁ, যে কোন ধরনের সাহায্য দেওয়ার আগে আমাদের কিছু পূর্বশর্ত আছে।

মুজিবঃ ইউর এক্সেলেন্সী। আশা করি আমার দুর্বিনীত ব্যবহার ক্ষমা করবেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আমার মনে হয় না বাংলাদেশ ভিক্ষার জন্য আপনার কাছে হাত বাড়িয়েছে।

ফয়সালঃ তাহলে আপনি সৌদি আরবের কাছে কি আশা করছেন?

মুজিবঃ বাংলাদেশের পরহেজগার মুসলমানরা পবিত্র কাবায় গিয়ে ইবাদত পালনের অধিকার দাবী করছে। যদি ইবাদত পালনের জন্য আপনার কোন পূর্বশর্ত থেকে থাকে তাহলে আপনি তা বলতে পারেন। আপনি পবিত্র কাবা শরীফের তত্ববধায়ক। বাঙালী মুসলানদের কাছে আপনার স্থান অনেক উচুতে। একথা নিশ্চয় স্বীকার করবেন, সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদেরই সেখানে ইবাদত করার অধিকার রয়েছে। সেখানে ইবাদত পালন করার কোন প্রকার শর্ত আরোপ করা কি ন্যায়সঙ্গত? আমরা সমঅধিকারের ভিত্তিতে আপনার সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ন সম্পর্ক চাই।

ফয়সালঃ কিন্তু এটা তো কোন রাজনৈতিক আলোচনা হলো না। দয়া করে আমাকে বলুন আপনি সৌদি আরবের কাছে আসলেই কি আশা করছেন?

মুজিবঃ ইউর এক্সেলেন্সী। আপনি জানেন যে, ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। আমি জানতে চাই, কেন সৌদী আরব স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে আজ পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি?

ফয়সালঃ আমি অসীম ক্ষমতাবান আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে জবাবদিহিতা করি না। তবু আপনাকে বলছি, সৌদি আরবের স্বীকৃতি পেতে হলে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে “Islamic Republic of Bangladesh” করতে হবে।

মুজিবঃ এই শর্ত বাংলাদেশে প্রযোজ্য হবে না। বাংলাদেশের জনগনের অধিকাংশ মুসলিম হলেও, আমার প্রায় এক কোটি অমুসলিমও রয়েছে। সবাই একসাথে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে, ভোগান্তিতে পড়েছে। আর সর্বশক্তিমান আল্লাহ শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্যই নন। তিনি বিশ্বভ্রমান্ডের স্রষ্টা।

ইউর এক্সেলেন্সী, ক্ষমা করবেন, তাছাড়া আপনার দেশের নামও তো “Islamic Republic of Saudi Arabia” নয়। বাদশা ইবনে সৌদের নামে নাম রাখা হয়েছে “Kingdom of Saudi Arabia”। আমরা কেউই এই নামে আপত্তি করিনি।

এ সময় অনাকাঙ্খিতভাবে শেষ হয় আলোচনা। উঠে পড়েন বাদশা ফয়সাল। দু নেতা বেরিয়ে যেতে থাকেন।
যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেন সেই আয়াত, “লা-কুম দ্বীন-কুম ওয়াল-ইয়া দ্বীন”।

সেই কালো ফ্রেমের চশমা পড়া হিমালয় কে চিনে নিও প্রজন্ম। তোমাকে লীগ করতে হবে না, দল করতে হবেনা, তোমাকে ৭১ করতে হবে। তোমাকে মুজিবে এসে থামতে হবে।

বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ ♥

[তথ্যসূত্রঃ মুজিবের রক্ত লাল, এম আর আখতার মুকুল; Who Killed Mujib]

24/04/2021

🎯🎯🎯 গুরুত্বপূর্ণ ১০০ টি Antonym যেগুলো থেকে পরীক্ষায় আসবেই

০১) Bankrupt ( দেউলিয়া ) ➫ wealthy ( ধনী ) .

০২) Zenith ( উচ্চ বিন্দু ) ➫ lowest Point ( সর্বনিম্ন বিন্দু ) .

০৩) Spoil ( নষ্ট করা ) ➫ improve ( উন্নতি করা ) .

০৪) Avarice ( লালসা ) ➫ generosity ( উদারতা ) .

০৫) Acrimonious ( বদমেজাজী ) ➫ amicable ( বন্ধুত্বপূর্ণ ) .

০৬) Enormous ( বিশাল ) ➫ Tiny ( ক্ষুদ্র ) .

০৭) Initiative ( দায়িত্ববোধ ) ➫ indolence ( অলসতা / দায়িত্বহীনতা ) .

০৮) Transitory ( অস্থায়ী ) ➫ Permanent ( স্খায়ী ) .

০৯) Propound ( গভীর / প্রগাড় ) ➫ superficial ( অগভীর ) .

১০) Dispute ( ঝগড়া করা ) ➫ Accept ( গ্রহণ করা ) .

১১) Dormancy ( সুপ্তাবস্থা ) ➫ activity ( ক্রিয়াকলাপ ) .

১২) Overt ( প্রকাশ্য ) ➫ secreat ( গোপন ) .

১৩) Violent ( উগ্র ) ➫ tame ( শান্ত ) .

১৪) Pride ( গর্ব ) ➫ shame ( লজ্জা ) .

১৫) Haughty ( উদ্ধত ) ➫ Humble ( নম্র ) .

১৬) Moist ( আদ্র ) ➫ Dry ( শুকনো ) .

১৭) Rational ( বাস্তব ) ➫ irrational ( অবাস্তব ) .

১৮) Apex ( চুড়া / শীর্ষবিন্ধু ) ➫ base ( ভিত্তি ) .

১৯) Fertile ( উর্বর ) ➫ barren ( অনুর্বর ) .

২০) Specious ( উদার ) ➫ Unfrigned ( অকৃত্রিম ) .

২১) Abandon ( পরিত্যাগ করা ) ➫ support ( সমর্থন করা ) .

২৩) Unwell ( খারাপ চরিত্র ) ➫ well ( ভাল ) .

২৪) Benign ( সদয় ) ➫ Maligrant ( ক্ষতিকর )

২৫) Anemic ( রক্তস্বল্পতা ) ➫ spearkling ( হাসিখুশি লোক ) .

২৬) Assert ( ঘোষণা করা ) ➫ denny ( অস্বীকার করা ) .

২৭) Unique ( অসাধারণ ) ➫ common ( সাধারণ ) .

২৮) Urban ( মার্জিত ) ➫ uncouth ( অমার্জিত ) .

২৯) Polite ( ভদ্র ) ➫ rude ( রাগী ) .

৩০) diligent ( পরিশ্রমী ) ➫ indolent ( অলস ) .

৩১) Delete ( মুছে ফেলা ) ➫ insert ( নিহিত করা ) .

৩২) Candor ( কবর ) ➫ shown ( দেখানো ) .

৩৩) Acrimonious ( বদমেজাজী ) ➫ Harmonious ( সুরেলা ) .

৩৪) Inractable ( অবাধ্য ) ➫ Abstinent ( সংযম ) .

৩৫) Transient ( ক্ষণস্থায়ী ) ➫ steady ( দৃঢ়ভাবে স্থাপিত ) .

৩৬) Console ( সান্ত্রনা দেওয়া ) ➫ aggravate grief ( উত্তপ্ত করা ) .

৩৭) Glorious ( চমৎকার ) ➫ Disgraceful ( সম্মানহানিকর ) .

৩৮) Indifference ( উদাসীনতা ) ➫ concern ( গুরুত্ববহ হওয়া ) .

৩৯) Supercilious ( অবজ্ঞামিশ্রিত ) ➫ Affable ( শিষ্টাচার ) .

৪০) Sluggish ( মন্থর / কুঁড়ে ) ➫ Animated ( প্রাণবন্ত ) .

৪১) Famous ( বিক্ষ্যাত ) ➫ obscure ( অখ্যাত ) .

৪২) Pernicious ( ক্ষতিকারক ) ➫ innocuous ( নির্দোষ ) .

৪৩) Q***r ( অদভূত ) ➫ orderly ( সুবিন্যস্ত ) .

৪৪) Joy ( আনন্দ ) ➫ Dismay ( হতাশা ) .

৪৫) Lazy ( অলস ) ➫ Active ( কর্মর্ঠ ) .

৪৬) Liverty ( স্বাধীনতা ) ➫ bo***ge ( বন্ধন ) .

৪৭) Garrulous ( বাচাল ) ➫ tacitum ( অল্পভাষী ) .

৪৮) N**e ( নগ্ন ) ➫ concealed ( ঢাকা ) .

৪৯) Sombar ( অন্ধকারময় ) ➫ Bright ( উজ্জ্বল ) .

৫০) Expel ( বহিষ্কার ) ➫ Admit ( ভর্তি করা ) .

৫১) Eccentric ( অদভূত ) ➫ normal ( স্বাভাবিক ) .

৫২) Discreate ( পৃথককরণ ) ➫ grouped ( একত্রিত করণ ) .

৫৩) Similar ( সদৃশ ) ➫ Different ( ভিন্ন ) .

৫৪) Terminate ( সমাপ্ত করা ) ➫ begin ( শুরু করা ) .

৫৫) Adulterated ( ভেজাল ) ➫ pure ( খাঁটি ) .

৫৬) Demise ( মৃত্যু ) ➫ Birth ( জন্ম ) .

৫৭) Stability ( দৃঢ়তা ) ➫ inconstancy ( অস্থির চিত্ত ) .

৫৮) Assert ( ঘোষণা করা ) ➫ deny ( অস্বীকার করা ) .

৫৯) Sloth ( আলস্য ) ➫ activity ( সক্রিয়তা ) .

৬০) Sympathy ( সহানুভূতি ) ➫ antipathy ( বিতৃষ্ণা ) .

৬১) Harmony ( সাদৃশ / মিল ) ➫ discord ( বিরোধ / অমিল ) .

৬২) Nimble ( চঞ্চল ) ➫ slow ( ধীর ) .

৬৩) Expire ( অবসান হওয়া ) ➫ come to life ( শুরু হওয়া ) .

৬৪) Soothe ( শান্ত করা ) ➫ irritate ( বিরক্ত করা ) .

৬৫) Demon ( দানব ) ➫ Angel ( ফেরেশতা ) .

৬৬) Shawllow ( অগভীর ) ➫ Propound ( গভীর) .

৬৭) Combination ( মিলন ) ➫ Separation ( আলাদা ) .

৬৮) Divulge ( গোপন কথা ফাঁস করা ) ➫ conceal ( গোপন করা ) .

৬৯) Eminent ( প্রখ্যাত ) ➫ Unknown ( অচেনা ) .

৭০) Paltry ( তুচ্ছ ) ➫ significant ( গুরুত্বপূর্ণ ) .

৭১) Hearty ( আন্তরিক ) ➫ cruel ( নিষঠুর ).

৭২) Barren ( অনুর্বর ) ➫ fertile ( উর্বর ) .

৭৩) Ardour ( উৎসাহ ) ➫ indifference ( উদাসীনতা ) .

৭৪) Relish ( অভিরূচি ) ➫ slow ( ধীর ) .

৭৫) Toxic ( অস্বাস্থকর ) ➫ harmless ( নিরাপদ ) .

৭৬) Concord ( ঐক্য ) ➫ conflict ( দ্বন্দ্ব ) .

৭৭) Abnormal ( অস্বাভাবিক ) ➫ typical ( স্বাভাবিক ) .

৭৮) Optimist ( আশাবাদী ) ➫ Pessimist ( নিরাশাবাদী ) .

৭৯) Honorary ( সম্মানপ্রদ ) ➫ salaried ( বেতনভূক্ত ) .

৮০) Spacious ( প্রশস্ত ) ➫ Narrow ( সংকীর্ণ ) .

৮১) Obtuse ( ভোঁতা ) ➫ Sharp ( তীক্ষ্র ) .

৮২) Expensive ( দামী ) ➫ cheap ( সস্তা ).

৮৩) Aversion ( অসাধ ) ➫ Disire ( ইচ্ছা ) .

৮৪) Liability ( দায় ) ➫ Assert ( সম্পদ ) .

৮৫) Robust ( বলিষ্ট ) ➫ weak ( দূর্বল ) .

৮৬) Adept ( সুদক্ষ ) ➫ inapt ( অদক্ষ ) .

৮৭) Company ( সঙ্গী ) ➫ lonneliness ( একাকিত্ব ) .

৮৮) Hybrid ( সংকর ) ➫ purebred ( সংকরমুকক্ত ) .

৮৯) Abhor ( ঘৃণা ) ➫ love ( ভালোবাসা ) .

৯০) Aboundant ( প্রচুর ) ➫ scant ( অল্প )

৯১) Noble ( মহৎ ) ➫ ignoble ( নীচ ) .

৯২) Fuzzy ( ঝাপসা ) ➫ discrete ( পৃথক ) .

৯৩) Mope ( মনমরা ) ➫ joke ( তামাশা ) .

৯৪) Preety ( মনোহর ) ➫ ugly ( কুৎসিত ) .

৯৫) Organic ( সাংগাঠনিক ) ➫ political ( রাজনৈতিক ) .

৯৬) Fantacy ( অবাস্তব ) ➫ Fact ( সত্য ) .

৯৭) Affluent ( সমৃদ্ধ ) ➫ poor ( গরীব ) .

৯৮) Debonair ( চমৎকার ) ➫ Awkward ( বিশ্রী )

৯৯) acquire ( অর্জন করা ) ➫ relinquish ( বর্জন করা ) .

১০০) Stock ( মজুত ) ➫ unfounded ( ভিত্তিহীন ) .

সংগৃহীত

Photos from Educative School's post 24/03/2021

Wow!!

22/12/2020

#সবদেশের মুদ্রার নাম মনে রাখার কৌশল !

যে সকল দেশের মুদ্রার নাম “দিনার”

টেকনিক: আজ তিসা ও লিবা কই ডিনার
করবে?
আ=আলজেরিয়া,
জ=জর্ডান,
তি=তিউনিশিয়া,
সা=সার্বিয়া,
লি=লিবিয়া,
বা=বাহরাইন,
ক=কুয়েত,
ই=ইরাক,
ডিনার=দিনার।

যে সকল দেশের মূদ্রার নাম “ডলার”

টেকনিকঃ গনি মাঝির জামাই HSC পাশ
করে BBA পড়তে অস্ট্রেলিয়া গেল
গ- গায়ানা
নি- নিউজিল্যান্ড;
মা- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ঝি- জিম্বাবুয়ে
জা- জামাইকা
মা- মার্শাল আইল্যান্ড
ই- ইকুয়েডর
H- হংকং
S- সিংগাপুর
C- কানাডা
B- বেলিজ
B- ব্রুনাই
A- এন্টিগুয়া ও বারমুডা,
অস্ট্রেলিয়া-অস্ট্রেলিয়া
গেল- গ্রানাডা।

যে সকল দেশের মূদ্রার নাম ক্রোনা
টেকনিক:– “ডেনমার্কে আসুন”
ডেনমার্কে-ডেনমার্ক
আ- আইসল্যান্ড
সু-সুইডেন
ন-নরওয়ে

যে সকল দেশের মূদ্রার নাম “পাউন্ড”
টেকনিক>>> যুক্তরাজ্যে সিসা
মিলে
যুক্তরাজ্য- যুক্তরাজ্য
সি- সিরিয়া
সা- সাইপ্রাস
মি- মিশর
লে- লেবানন
শিলিং

টেকনিক>>>সোমবারে কেউ তাস
খেলো?
সোম- সোমালিয়া
কে- কেনিয়া
উ- উগান্ডা
তাস- তাঞ্জানিয়া
লিরা
টেকনিক>>>তোর বেটি??
তোর- তুরস্ক
বেটি- ভ্যাটিকান
ইউরো

টেকনিক>>> ABC জাল দিয়ে সানম্যারিনো FISH
ধরে MAMA র কাছে SPAIN পাঠান
A= অস্ট্রিয়া,আয়ারল্যান্ড
B=বেলজিয়াম,ভ্যাটিক্যান
C=সাইপ্রাস
জা=জার্মানি
ল=লুক্সেমবার্গ
দিয়ে
সানম্যারিনো=সানম্যারিনো
F=France,ফিনল্যান্ড
I=Italy
S=Spain
H=Holland
ধরে
M=মোনাকো
A=এস্তোনিয়া
M=মন্টিনিগ্রো,মাল্টা
A=এন্ডোরা
কাছে=কসোভো
S=স্লোভেনিয়া,স্লোভাকিয়া
P=পর্তুগাল
A=Athence(গ্রীস)আয়ারল্যান্ড

রিয়েল
টেকনিক>>> ওমা ইয়েমেন দেখছি
রিয়েলি ইরানের কাতা কম্বল
নিয়ে সউদি যায়।
বি:দ্র: বন্ধনীর ভিতর রাজধানী।
ওমা- ওমান (আম্মান)
ইয়েমেন (সানা)
ইরান(তেহরআন)
কাতা- কাতার(দোহা)
কম্বল -কম্ভডিয়া (নম পেন)
স উদি – স উদি আরব ( রিয়াদ)
মনে রাখুন যে সব দেশের মুদ্রার
নাম
রুপি:
টেকনিক>>> রুপির ভারিতে শ্রী নে পা সিচে
মরে।
ভারিতে-ভারত
শ্রী – শ্রীলংকা
নে- নেপাল
পা- পাকিস্তান
সিচে- সিচেলিস
মরে- মরিসাস
পেসো
টেকনিক>>> আজ কলম্বাস চিলি vs উরুগুয়ের ফুট বল
match দেখবে
আজ=আর্জেন্টিনা
কলম্বাস=কলম্বিয়া
চিলি=চিলি
উরুগুয়ের=উরুগুয়ে
ফুট=ফিলিপাইন
বল=বলিভিয়া
match-মেক্সিকো

27/11/2020

পত্রিকায় বহুল ব্যবহৃত ইংরেজি শব্দার্থ।
Part : 02.

1. Greater interest- বৃহত্তর স্বার্থ
2. Deep conspiracy- ষড়যন্ত্র
3. Along people budget- জনগণকে সঙ্গে নিয়ে
4. Convention - সনদ
5. Biting nail- নখ কামড়ানো
6. Modernism - আধুনিকতাবাদ
7. Incredible- অবিশ্বাস্য
8. Marooned- পানিবন্দী
9. Jilted lover - ছ্যাকা খাওয়া প্রেমিক
10. Joking apart-রসিকতা রেখে
11.Jeeringly- ব্যঙ্গ করে
12. Demand ransom- মুক্তিপণ দাবি করা
13. Jewish settler-ইহুদি অধিবাসী
14. In a flash- এক ঝলক
15. A matter of life & death- জীবন মরণ সমস্যা
16. Compatriots- স্বদেশবাসী
17. Bizaree comment- উদ্ভট মন্তব্য
18. Crackdown- সাঁড়াশী অভিযান
19. In advance- আগাম,পূর্বেই
20. Departed soul- বিদেহী আত্মা
21. Dhaka bound bus- ঢাকাগামী বাস
22. Make face at- মুখোমুখি করা, মুখ ভেংচানো
23. Gave them sound beating- আচ্ছামত পিটান দিলো
24. Materialism-বস্তুবাদ
25. A lunatic asylum- পাগলা গারদ
26. Inhuman crime- অমানবিক
27.Doze- হালকা
28. Dizzy- মাথা ঘুরা
29. Implement-কার্যে পরিণত করা
30 Brutal acts- পাশবিক কাজ
31. Malediction- অভিশাপ
32.An imminent danger - আসন্ন বিপদ
33. Draw back- পিছয়ে পড়া
34. Being informed- খবর পেয়ে
35. Derailed - বখাটে, লাইনচ্যুত
36. Marooned- প্রাসঙ্গিক
37. Commuter- যাত্রী
38.Go on rampage- ভাঙ্গচুর করা
39. A host of well wisher- শুভাকাঙ্ক্ষী
40. Incarceration- কারারুদ্ধ
41. A midnight security- কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে
42. Complicated conversations - জটিল পরিবর্তন।
43.Disrupt /Interrupt- ব্যহত করা
44. Dried fish- শুটকি মাছ
45. Integrated blueprint- সমন্বিত নীলনকশা
46. Blithe- উৎফুল্ল/প্রফুল্ল
47. Bald headed- টেকো
48. Dried chilli- শুকনো মরিচ
49. Bitter gourd- করলা
50. Dine-রাতের খারার খাওয়া
51. Broth/gravy- ঝোল

23/11/2020

১০০% প্রাকটিকাল থিউরি।❤️❤️❤️

See the world from your point of view
Ignore others!!! You are the best....
বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসর নেন তখন তার বয়স ৫৫ বছর।
অন্যদিকে জো-বাইডেন যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তখন তার বয়স ৭৭ বছর।

ঢাকায় যখন সকাল ৫ টা বাজে, লন্ডনে তখন রাত ১১ টা।
সময়ের হিসেবে লন্ডন, ঢাকার থেকে ছয় ঘণ্টা পিছিয়ে..
এতে কিন্তু প্রমাণ হয় না যে, লন্ডন ঢাকার থেকে স্লো (slow)!

পৃথিবীর সবকিছু আপন গতিতে এবং নিজ সময় অনুযায়ী চলে।
কেউ গ্রাজুয়েশন শেষ করে ২২ বছর বয়সে..
কিন্তু চাকরি পেতে আরো ৫ বছর লেগে যায়।
আবার কেউ ২৭ বছরে গ্রাজুয়েশন শেষ করে পরের দিনই চাকরি পেয়ে যান!

অনেকে ২৫ বছর বয়সে কোম্পানির CEO হয়ে, মারা যান ৫০ বছর বয়সে।
আবার অনেকে ৫০ বছর বয়সে CEO হয়ে, মারা যান ৯০ বছরে।
কেউ ৩৩ বয়সে এখনও সিঙ্গেল,
আবার কেউ ২২ বছর বয়সে বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিয়েছেন!

মনে হতেই পারে, পরিচিতদের মধ্যে আপনার থেকে কেউ অনেক এগিয়ে আছেন, আবার কেউ আছেন অনেক পিছিয়ে। কিন্তু আপনার ধারনা ভুল..

প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ সময়, অবস্থান এবং গতিতে আছেন। আগে থাকাদের হিংসা না করে, পিছিয়ে থাকাদের অবহেলা না করে, সব সময় শান্ত থাকুন।

আপনি এগিয়েও নেই, পিছিয়েও নেই!
আপনার পথ আপনার, অন্যের পথ অন্যের।
শুধু সময়কে গুরুত্ব দিয়ে পরিশ্রম করে যান.. একদিন সফল হবেন,ইনশাআল্লাহ!
©

24/10/2020

#শেক্সপিয়র বলেছিলেন , "একজন ছেলে কখনো একজন মেয়ের বন্ধু হতে পারে না, কারণ এখানে আবেগ আছে , দৈহিক আকাঙ্খা আছে । "একই কথা বলেছেন আইরিশ কবি Oscar Wilde. "নারী এবং পুরুষের মাঝে কেবলই বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকা অসম্ভব । যা থাকতে পারে তা হলো আকাঙ্খা, দুর্বলতা, ঘৃণা কিংবা ভালোবাসা।"। বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে ঢোকা একটা ভন্ডামী। শুধুই সুযোগের অপেক্ষা। সবশেষ পরিনতি পরকীয়া।
--
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন , "ছেলে আর মেয়ে বন্ধু হতে পারে কিন্ত তারা অবশ্যই প্রেমে পড়বে । হয়তো খুবই অল্প সময়ের জন্য অথবা ভুল সময়ে । কিংবা খুবই দেরিতে , আর না হয় সব সময়ের জন্য । তবে প্রেমে তারা পড়বেই । শুধুই সুযোগের অপেক্ষা।

সত্যি বলতে, ছেলে ও মেয়েতে শুধুমাত্র বন্ধুত্ব অসম্ভব ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ । কেননা শুধুমাত্র বন্ধুত্ব হলে প্রকৃতি নিজের অস্তিত্ব হারাবে। চুম্বক আর লোহা কখনো পাশাপাশি থাকতে পারে না। আকৃষ্ট করবেই। যদি কেউ তা এড়িয়ে যায় তবে সে ভণ্ডামি করছে নয়তো ধোঁকা দিচ্ছে ।
আগুনের পাশে মোম গলবেই। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুত্ব হতে পারে , কিন্তু একসময় প্রেমে বা অবৈধ সম্পর্কে রুপ নিবেই। শুধুই সুযোগের অপেক্ষা। আর এটাই স্বাভাবিক ।
তবে তাদের এই মন্তব্য গুলোকে জোরালো ভাবে সমর্থন দিচ্ছে Flirtationship যার অর্থ হচ্ছে ছিনালি করা। কড়া ভাষায় বলতে গেলে নোংরামি করা বা সেক্স্যুয়াল এট্রাকশন । বিগত কয়েক বছর আগেও আমরা ছেলে-মেয়ের বন্ধুত্বকে শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে দেখতাম অনেকটা ভাই-বোনের মতো । কিন্তু বর্তমান সময়ে তা অনেকটা এগিয়ে Friendship থেকে Flirtationship এ রূপ নিয়েছে আর এটা পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির দর্শন থেকে।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে বর্তমান সময়ে গার্ল ফ্রেন্ড, বয় ফ্রেন্ড সম্পর্ক থেকে এটাই বেশী জনপ্রিয় এর কারন হচ্ছে এতে কারো প্রতি কারো কোনরূপ দায়বদ্ধতা থাকে না, কোন কমিটমেন্ট থাকে না। স্বাধীনভাবে উভয়ই দৈহিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে নিচ্ছে । আর এটা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টির কারন হতে পারে । যেহেতু বাংলাদেশ প্রথাগতভাবে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ। পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির আকর্ষন আর নিজেকে আধুনিক হিসেবে জাহির করার মনোভাব এর হাতিয়ার । তাই অভিবাবকদের এখনি যদি সতর্ক না হয়, তবে আমরা ওই সাংস্কৃতির দিকে অগ্রসর হচ্ছি যখন একটা ছেলে কিংবা মেয়ে নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না তার বাবা-মা কে !

তাই লক্ষ্য রাখুন আপনার বোন কিংবা মেয়ে , স্বামী কিংবা স্ত্রী , ভাই কিংবা ছেলে কাদের সাথে মিশছে ! সঙ্গ এইখানে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ন।।

16/10/2020

★ চাল খাচ্ছেন না আবর্জনা !

মিনিকেট নামে কোন ধান চাষ হয়না বাংলাদেশে। এই চাল বাজারে আসে কোথা থেকে- এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ, মিনিকেট চাল তৈরী হয় কারখানায়।

দেশী জাতের ধান (মোটা চালের) চালকলে আসার পর শুরু হয় তেলেসমাতি। প্রথমে ধানের খোসা ছাড়ান হয়। খোসা ছাড়ানোর পর চালের অকৃত্রিম/ন্যাচারাল রঙে কিছুটা খয়েরি/বাদামি আভা থাকে। এরপর কেমিক্যাল ও হোয়াইটনার মেশিনের মাধ্যমে চালের খয়েরি/বাদামি আভার আবরণটিকে আলাদা করা হয়। এই আবরণটি বাদ দেওয়ার পর চাল কিছুটা সরু ও সাদা হয়। এখানেই শেষ নয়, পলিশার মেশিনের মাধ্যমে পলিশ করলেই হয়ে গেল মিনিকেট চাল।

এবার প্রশ্নের তীর তাক করে কেউ বলতেই পারেন- মোটা চালকে এতোভাবে প্রসেস করে মিনিকেট বানালে তো চাল ব্যবসায়ীর ক্ষতি। এবার ক্ষতির হিসেবটা করা যাক- ১০০০কেজি মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানালে সাধারণত চাল পাওয়া যায় ৯৩৩কেজি, সাদা খুদ ২৬.৫ কেজি, কালো খুদ ১৪কেজি, মরা চাল ৪.৫ কেজি, ময়লা ০.৭৫ কেজি এবং পলিশ ২৭ কেজি। যোগ করলে দেখা যায় এক হাজার কেজি চাল প্রসেস করার পর পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৬কেজি বেশী। এই ছয় কেজি হচ্ছে জলীয় বাষ্প ও পানি। রাইস ব্রান তেল কারখানাগুলো পলিশ কিনে নেয়, সাদা খুদ বাজারে চালের অর্ধেক দামে বিক্রি হয়। কালো খুদ আর মরা চাল পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি হয়। ভাবছেন চাল প্রসেসের খরচ কত? ১০০০কেজি মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানাতে খরচ হয় মাত্র ৯০০টাকা হতে ১৫০০টাকা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি ৯০পয়সা থেকে দেড় টাকা।

মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানিয়ে বিক্রেতা একটু বেশী লাভ করলে ক্রেতার ক্ষতি কি? ছোট ক্ষতি হচ্ছে ক্রেতা চিকন চালের দামে মোটা চাল কিনছেন, অর্থাৎ কেজিতে ১৫থেকে ২০টাকা পর্যন্ত ঠকছেন। বড় ক্ষতি হলো কেজিতে ১৫ থেকে ২০টাকা বেশী দিয়ে মিনিকেট চাল নয়, ক্রেতা কিনছেন মোটা চালের আবর্জনা। কারণ, প্রসেস করার মাধ্যমে চালের উপরি আবরণ (bran অর্থাৎ pericarp, seed coat, aleurone layer, embryo) বা পুষ্টিকর অংশ বাদ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, চালের সর্বমোট ৮৫ ভাগ ভিটামিন B3 থাকে pericarp–এ, প্রোটিন আর ফ্যাট থাকে Aleurone layer -এ, খনিজের ৫১ ভাগ ও মোট আঁশের ৮০ ভাগ থাকে bran –এ, ভিটামিন B1 ও ভিটামিন E থাকে embryo -তে। চালের সব পুষ্টিকর উপাদান তেলের মিলে বিক্রির জন্য প্রসেস করে আলাদা করার পর চাল আর চাল থাকেনা, হয়ে যায় চালের আবর্জনা।

মিনিকেট চাল নামে চালের আবর্জনাকে যতোটা ক্ষতিকর মনে করছেন বাস্তবে আরও বেশী ক্ষতিকর। মোটা চালকে মিনিকেটে রূপান্তর করার বিভিন্ন পর্যায়ে সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড, সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড + টুথপেস্ট +এরারুটের মিশ্রণ, সোয়াবিন তেল, ফিটকারি, বরিক পাউডার ব্যবহার করা হয়। প্রতি মৌসুমেই বের হয় নিত্য নতুন কৌশল।

মিনিকেট চালে কখনো পোকা ধরেনা। কারণ পোকাও জানে এই চাল খাওয়ার যোগ্য নয়, এতে পুষ্টিগুণ নেই। দেখতে সুন্দর এই অখাদ্যকে আপনি খাচ্ছেন কেন!?

সংগৃহিত
[ ইউ এস প্রবাসী সুজিত কুমার দত্তের সৌজন্যে ]

01/08/2020

🎈EidMubark🎈

আমার হাত বান্ধিবি পা বান্ধিবি Bar my arms and bar my legs
মন বান্ধিবি কেমনে? But how will you bar my heart?

আমার চোখ বান্ধিবি মুখ বান্ধিবি Bar my eyes and bar my mouth
পরাণ বান্ধিবি কেমনে? But how will you bar my soul?

আমি না গেলাম যমুনার ঘাটে I won’t go to the Jamunaa if you say,
না তুলিলাম জল I won’t go to fetch water
না হেরিলাম তারে সখী I won’t try to see him if you say,
না হইলাম চঞ্চল। I won’t be restless.

আমার ইচ্ছা বান্ধিবি সোহাগ বান্ধিবি Bar my desires and bar my caresses,
অনুরাগ বান্ধিবি কেমনে? But how will you bar my affection?

আমি না দিলাম কুলিতে কালি I will not besmirch my kin if you say,
কলঙ্কেরই জ্বালা I will not bring shame upon them
না হয় হইল সে মোরই Let it adorn me alone if you say,
অঙ্গেরই মালা I will wear it like a wreath.

আমার ঘর বান্ধিবি পথ বান্ধিবি Bar my home and bar my roads,
কপাল বান্ধিবি কেমনে? But how will you bar my fate?

10/07/2020

#পদ্মা_সেতুর_নির্মাণ_তথ্য

হয়তো খুব কম লোকেরই ধৈর্য হবে সম্পূর্ণ পড়াটি কিন্তু পড়লে অনেক কিছু জানা যাবে😐

বাংলাদেশের খুব কম মানুষ আছে, যে পদ্মা সামনা সামনি দেখেনি। আপনি পদ্মাকে দেখলে, কি দেখেন? এর প্রস্থ?? অবশ্যই প্রস্থ। কারণ গভীরতা, স্রোতের বিশালতা এত সহজে বোঝা যায় না।
নদীর গভীরতা কত জানেন? পানির প্রায় চল্লিশ মিটার নিচে নদীর তলদেশ। মিটার কিন্তু। ফিট না। চল্লিশ মিটার মানে ১৩১ ফিট প্রায়। দশ ফিট করে সাধারণত এক তালার হাইট। সেই হিসাবে, পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে পানির পৃষ্ঠের হাইট হল ১৩ তলা বিল্ডিং এর সমান।
তাহলে ব্রিজের কলামগুলো (যেগুলোকে আসলে সিভিল ভাষায় পিয়ার বলে ) ১৩ তলা বিল্ডিং এর সমান হতে হবে। কিন্তু কলাম যদি মাটিতে গাঁথা না থাকে, পদ্মার যে স্রোত, কলাম তো ভেসে চলে যাবে। কি মনে হয়, ১৩ তলার সমান লম্বা কলাম ভেসে যাবে না? যাবে ভাই। এটা পদ্মা।
#
তো কলাম মাটিতে গেঁথে দিতে হবে। কতটুকু গাঁথবেন? পদ্মার তলদেশের মাটি হল বালি টাইপের, নরম কাদা টাইপ। পাথরের মত শক্ত না। বেডরক প্রায় ৮কিমি নিচে বলে ধারনা করা হয়। ৮কিমি হল মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা! তো বেডরক পর্যন্ত যাওয়ার স্বপ্ন না দেখাই ভাল। অনেক দেশেই বেডরক অনেক অল্প নিচেই পাওয়া যায়। তাদের দেশে যে কোন স্ট্রাকচার বানানো অনেক কম খরচের ব্যাপার কারণ তাদের ফাউন্ডেশন বানানো অনেক সহজ, খরচও কম। আমাদের এদিক দিয়ে কপাল খারাপ।
#
যাইহোক, তাহলে পদ্মা নদীর ব্রিজের পাইল কতটুকু দিতে হবে?
বর্ষাকালে যখন অতিরিক্ত স্রোত থাকে, এই পদ্মার তলদেশের বালির মতন মাটি, ধুয়ে চলে যায়। এটাকে scour হওয়া বলে।
পদ্মা নদীর scour হওয়ার সর্বোচ্চ রেকর্ড হল ৬৫ মিটার (প্রায়) (বা ৬১ মিটার)। মানে নদীর নিচ থেকে ৬৫ মিটার মাটি ধুয়ে চলে গেছে। মানে ২১৩ ফিট। মানে ২১ তলা বিল্ডিং এর সমান হাইটের মাটি ধুয়ে চলে গেছে। (আমার নিজেরই বিশ্বাস হয় না, এত মাটি কিভাবে ধুয়ে চলে গেল!) পদ্মার এই প্রায় ২১ তলার সমান মাটি ধুয়ে চলে যাবার রেকর্ড বা এত বেশি পরিমাণ সেডিমেন্ট (মাটির কণা) ট্রান্সপোর্ট করার রেকর্ড অন্য কোন নদীর নেই। এ অবস্থায় পানির নিচে মাটি পেতে হলে আপনাকে নিচে নামতে হবে ১৩+২১=৩৪ তলা!
তাহলে আপনাকে ব্রিজের যে কলামগুলো দিতে হবে, সেগুলোকে ৪০+৬৫=১০৫ মিটারের বেশি লম্বা হতে হবে! মানে ৩৪ তলা বিল্ডিং এর চেয়ে লম্বা কলাম!
#
এখন, নদীর কোন জায়গায় scour বেশি হয়, কোথাও কম হয়। আপনি ঠিক সিওর না, কোথায় কতটুকু scour হয়ে আপনার সাধের পদ্মা ব্রিজের কলাম বের হয়ে যাবে (exposed হবে), মাটিতে গেঁথে থাকবে না, ফলাফল হিসেবে আপনার এত সাধের লম্বা কলামটা ভেসে যাবে!
#
এজন্য মোটামুটি এভারেজ ১২০ মিটার পাইল দেয়া হয়েছে। ১২০ মিটার মানে প্রায় একটা ৪০ তলা বিল্ডিং! এই ৪০ তলা বিল্ডিং এর সমান লম্বা পাইল, বসানো হয়েছে। ( ১২০ মিটার কথাটা প্রথমে শুনে ভেবেছিলাম ভুল শুনেছি, ১২০ ফিট নিশ্চয় হবে। পরে আরও অনেক বার শোনার পর বুঝলাম, ১২০ ফিট না, মিটার!)
এটা গেল পাইলের depth! এবার চলেন দেখি পাইলের সাইজ কেমন, সেপ কেমন। পাইল গুলো গোল। গোল ৪০ তলা বিল্ডিং এর সমান লম্বা সিলিন্ডার! এই সিলিন্ডারের ব্যাস হল ৩ মিটার। মানে প্রায় আপনার রুমের ফ্লোর থেকে ছাদ পর্যন্ত! এটা হল ব্যাস!
পাইলগুলো বানানো হচ্ছে স্টিলের পাত দিয়ে। বেশ পুরু (আমার থিকনেস মনে নেই, ৭০/৬০ মিলিমিটার বা আরো কম/বেশি ) এই পাতগুলোকে মুড়িয়ে সিলিন্ডার বানানো হচ্ছে। এই সিলিন্ডার জ্যামিতিক হারে এটাচ করা হবে। মানে এক মিটার লম্বা সিলিন্ডারের সাথে, এক মিটার লম্বা আর একটা পার্ট। এবার এই দুই মিটার লম্বা সিলিন্ডারটার সাথে, আর এক একটা দুই মিটার লম্বা সিলিন্ডার। এভাবে ২০তলা বিল্ডিং এর সমান লম্বা একটার সাথে আর একটা ২০ তালার সমান লম্বা পাইল জোড়া দিয়ে বানানো হচ্ছে একটা পাইল!
এই যে বিশাল লম্বা পাইলগুলো, আপনার কি মনে হয়, কে ধরে তুলে নিয়ে গেছে? কে বসালো এগুলো? সুপারম্যান? এই পাইলগুলোর জন্যই জার্মানি থেকে স্পেশাল হ্যামার (হাতুড়ি) আনা হয়েছে। একটা হ্যামার তো পদ্মা সেতুর জন্যই বানানো হয়েছে, এমন শুনেছিলাম। স্পেশাল ক্রেন, স্পেশাল হ্যামার! এলাহি কান্ড চলছে মাওয়া-জাজিরায়।
#
এই পাইলগুলো ফাঁপা। মাটিতে বসানোর পর, এদের মাঝে স্যান্ড দিয়ে ফিল করা হবে। পাইল গুলোতে জং ধরতে পারে, যদিও বা ধরে ১০০ বছরে ক্ষয় হবে ১০ মিলিমিটার। ৫০ /৬০ মিলিমিটার তখনো থাকবে। (এটা টেস্টেড, কতটুকু ক্ষয় হবে জং ধরলে) পদ্মা সেতুর ডিজাইন লাইফ ১০০ বছর। মানে ১০০ বছরে পাইলের থিকনেস কমা ছাড়া অন্য কিছু হবে না ইন শা আল্লাহ। এই পাইল গুলোকে আসলে caisson বলে। পিওর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাষায়
#
এতো গেল একটা পাইলের কাহিনী! কি মনে হয় আমাদের সাধের পদ্মা ব্রিজের কলাম, যাকে আমরা পিয়ার বলি, এই একটা পাইলের উপর দাঁড়ায়ে থাকবে? যদি এই পাইলের নিচের মাটি সরে যায়? যদি পাইল ভেঙে টেঙে যায়! এই জন্য প্রতি কলামের নিচে ৬টা করে পাইল থাকবে। মাকড়শার যেমন ৮টা পা ৮দিকে থাকে, এই পিয়ারের (কলামের) পাইল গুলো তেমন ৬ দিকে ছড়ায়ে যাবে।
পাইল গুলো ভার্টিক্যাল ভাবে কিন্তু মাটিতে বসানো হবে না। বাঁকা করে, ইনক্লাইন্ড ভাবে ঢুকানো হবে। 1H:6V অনুপাতে ইনক্লাইন্ড হবে। তো ১২০মিটার লম্বা পাইল, বাঁকা করে ঢুকালে মাটির নিচে এদের ৬জনের পা, ৬দিকে অনেক অনেক দূরে থাকবে। এই ৬দিকের মাটি #ইনশাআল্লাহ একসাথে ধুয়ে যাবে না (scour হবে না)। এই যে এরা ইনক্লাইন্ড ভাবে থাকবে, এতে এদের লোড নেয়ার ক্ষমতাও একটু বাড়বে। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে সাংবাদিকরা রিপোর্ট করেন, দেখা যায় দুই পা দুই দিকে, দূরে দিয়ে আছেন। সোজা দাঁড়ানো থাকলে বাতাসে উল্টে যাওযার আশঙ্কা থাকে। এমনটা করেন কারণ যে ল্যাটারাল লোডটা আসে (উইন্ড লোড) সেটা দুইপা একসাথে করে দাঁড়ালে যতটা সহজে দাঁড়ানো যায়, দুইপা দুদিকে দিয়ে রাখলে দাঁড়াতে সুবিধা হয়, লোড রেসিস্ট করা যায় বেশি। এটাও কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যান। তো, এই ৬ টা পাইলও তাই শুধু ইনক্লাইন্ড থাকার জন্য ল্যাটারাল লোড নিবে বেশি। (ল্যাটারাল লোড মানে যেটা সাইড থেকে আসছে, যেমন স্রোতের যে ধাক্কাটা, সেটা)
#
আবার শুধু ইনক্লাইন্ড হওয়ার কারণেই ১২০মিটার দীর্ঘের পাইল, মাটির নিচে যাবে ১১৮.৩ মিটার। কারণ যখন কোন লাঠি বাঁকিয়ে ফেলি, তখন তার দৈর্ঘ্য একই থাকলেও তার উচ্চতা কমে যায়। যেমন মই যদি খাড়া দেয়ালে লাগিয়ে রাখি, তাহলে যত উঁচুতে মইএর মাথা থাকবে, মই হেলিয়ে দিলে মই এর মাথা আরও নিচে নেমে যাবে। পাইলের ব্যাপারটাও এমনই।
এই পাইলগুলো ডিজাইন করার সময় PIGLET নামের প্রোগ্রাম use করা হয়েছিল। optimum / most efficient পাইল খুঁজে বের করা হয়েছে এই প্রোগ্রাম দিয়ে। তিন ধরনের পাইল ফাউন্ডেশন এর উপর এই স্ট্যাডি করা হয়। এই তিন ধরনের ফাউন্ডেশন হল:
১. 6 raking steel tubular piles
২. 8 raking steel tubular piles
৩. 12 cast in situ vertical concrete pile
study থেকে দেখা যায়, ৬টা ইনক্লাইন্ড স্টীল পাইলের ফাউন্ডেশন সবচেয়ে efficient. ( raking মানে ইনক্লাইন্ড)
এই ৬ টা পাইলের মাথায় থাকবে পাইল ক্যাপ। এই জিনিসটা আপনি পানিতে ভেসে থাকতে দেখবেন। কিন্তু এটা মোটেও ভেসে নেই! এটা রীতিমত ৬ পা (পাইল) দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই পাইল ক্যাপ এত বড়, একটা ৩/৪ জনের ফ্যামিলি এতটুকু জায়গায় সংসার করতে পারবে! একটা খুবই রাফ এস্টিমেসন বলে, এখানে ৯০০ স্কয়ার ফিটের বেশি জায়গা আছে! মানে একটা পাইল ক্যাপ ৯০০ স্কয়ার ফিটের চেয়ে বড়। এই পাইল ক্যাপ পুরোটাই কংক্রিটের। থিকনেসটা/হাইটটা নিয়ে আমার আইডিয়া নেই।
দুইটা পিয়ারের নিচের পাইল একটু অন্য রকম হবে। vertical bored concrete pile হওয়ার কথা। যেগুলো ৮০ মিটার পর্যন্ত গভীরে যাবে। মানে এই পাইলগুলো ইনক্লাইন্ড হবে না, সোজা পানির নিচে যাবে। এগুলো হবে কংক্রিটের পাইল, আমাদের বাসাবাড়ির সাধারন কলামের মত। সবচেয়ে মজার পার্ট হল, এই পাইলগুলো পানিতে কাস্ট করা হবে! মানে পানির মাঝে কংক্রিট ঢেলে দিবে! কিন্তু কংক্রিট ভেসে না গিয়ে কলাম হয়ে যাবে! আছে ভাই, এই টেকনোলজিও আছে! এই পাইলের ক্ষেত্রে একটা পিয়ারের নিচে ১২ টা করে পাইল দেয়া হবে।
#
এই পাইল ক্যাপের উপর দাঁড়াবে পিয়ার বা ব্রিজের কলাম। এই পিয়ার পুরোটাই কংক্রিটের। reinforced concrete. পুরো ব্রিজে পিয়ার হবে ৪১ টা। তবে মাওয়া প্রান্তে নদীর তলদেশে কাদা ছাড়া শক্ত মাটি খুঁজে না পাওয়ায় পাইলের ডিজাইন /নাম্বারে চেঞ্জ আসতে পারে। পিয়ার সংখ্যা বেড়ে নাকি ৪২/৪৩ টা হতে পারে। এমন বিচিত্র কথাবার্তা অনেক নিউজ রিপোর্টে শুনলাম। যেটা সবচেয়ে ইফেক্টিভ হবে, যেটার খরচ সবচেয়ে কম হবে, সেটাই বাস্তবে প্রয়োগ করা হবে।
#
এই পিয়ারের মাথায় বসবে স্প্যান। প্রতিটা স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। মানে, বলা যায় বাটা সিগনাল থেকে কাঁটাবন মোড় পর্যন্ত, দুইটা স্প্যানের দৈর্ঘ্য।
এই স্প্যান ডিজাইনের জন্য, ৩ ধরণের স্প্যানের এনালাইটিকাল মডেল (কম্পিউটার এ, এনালাইসিস সফটওয়্যার দিয়ে) বানিয়ে চেক করা হয়, কোনটা সবচেয়ে কম খরচে বেশি সেফটি দিবে। তিনটা স্প্যান ছিলঃ ১২০ মিটার, ১৫০ মিটার আর ১৮০ মিটার। এদের মধ্যে ১৫০ মিটার স্প্যান ছিল সবচেয়ে efficient তাই বাস্তবে ১৫০ মিটার স্প্যান বসানো হয়েছে।
#
এই স্প্যানগুলো হল Warren type still truss girder and concrete on upper deck. সবগুলো স্প্যান মিলে হয় ৬,১৫০ মিটার। অর্থাৎ, পুরো ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি। মানে পুরো পদ্মা ব্রিজটা হল: সাইন্স ল্যাব বাস স্ট্যান্ড থেকে কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড এর সমান লম্বা বা শাহাবাগ থেকে মহাখালী ফ্লাইওভার পর্যন্ত লম্বা। (approximate)
পদ্মা ব্রিজ একটা দুইতালা ব্রিজ। still truss এর মধ্য দিয়ে যাবে ট্রেন। রেল লাইন হল Dual gauge. মানে broad gauge আর meter gauge, দুই ধরনের রেলগাড়িই পদ্মাব্রিজ পাড়ি দিতে পারবে। আমাদের দেশের পশ্চিম দিকের (রংপুর রাজশাহী, কুষ্টিয়া খুলনা সাইড) রেল লাইন ব্রড গেজ। আর বাকি সারা দেশের রেল লাইন হল মিটার গেজ। এক ধরনের রেল অন্য রেল লাইনে চলতে পারে না। কিন্তু dual gauge দিয়ে এই দুই ধরনের রেলই চলতে পারে। তো পদ্মা ব্রিজ দিয়ে আসলে বাংলাদেশের যে কোন রেলই চলতে পারবে। এখানে emergency access point থাকবে যাতে ট্রেনে কোন ধরনের সমস্যা হলে, ট্রেন থেকে মানুষ নামিয়ে তাদের সেফ জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।
#
আবার, এটা কোন সাধারণ রেললাইন না। এটাতে যাতে দুটি কনটেইনার নিয়ে মালগাড়ি যেতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে রেলগাড়ি সাধারণত একটি কনটেইনার নেয়। কিন্তু এখানে করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে একটার ওপর আরেকটি কনটেইনার অর্থাৎ দোতলা কনটেইনার নিয়ে ট্রেন যেতে পারে। এই দোতলা কনটেইনার নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য মূল ব্রিজের লোড নেয়ার ক্ষমতা বাড়াতে হয়েছে। সেই লোডটা আসলে নেবে প্রথমে রেললাইন, রেল থেকে ট্রাস, ট্রাস থেকে পিয়ার (কলাম), পিয়ার থেকে পাইল। এজন্য পাইলকে আরো বেশি মজবুত বানাতে হয়েছে, এবং খুবই স্বাভাবিক ফলাফল হিসেবে, খরচ বেড়েছে।
এই দুইতলা ব্রিজের উপরে বসবে কংক্রিটের ডেক। মানে ছাদ। এটার উপর দিয়ে গাড়ী চলবে। সবচেয়ে হাল্কা যে ম্যাটেরিয়াল দিয়ে ডেক তৈরি করা সম্ভব, সেটাই ইউজ করা হবে। ডেক, মানে ব্রিজের উপর রাস্তা চওড়া হবে ২২ মিটার বা ৭২ ফিট। এইখানে চার লেনে গাড়ি চলবে।
#
এই স্প্যান বসানোর আগে seismic isolation bearing use করা হয়েছে। এটা না থাকলে ভূমিকম্প যে এনার্জি নিয়ে স্ট্রাকচারকে হিট করত, এটা থাকায় সেই এনার্জি অনেকটা কমে যাবে। এখানে যে প্রযুক্তি বেজ আইসলিউশন ব্যবহার করা হয়েছে, এটাতে ভূমিকম্পের সময় ফাউন্ডেশন মুভ করবে কিন্তু ওপরের ব্রিজটা মুভ করবে না। নড়াচড়ার একটা ব্যবস্থা থাকবে। এটাকে পেনডুলাম বিয়ারিং বলে। সেটা ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সাহায্যে স্লাইড করতে পারবে। আবার ফিরে আসবে। বিশ্বে এটা অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এত বড় প্রকল্পে কখনো ব্যবহার করা হয়নি। এই প্রযুক্তির কারণে পাইলের সংখ্যা, পাইল ক্যাপের সাইজ কিছুটা কমানো গেছে।
#
ব্রিজের মাধ্যমে কিছু ইউটিলিটিসও নদী পার হবে! গ্যাস ট্রান্সমিশন লাইন থাকবে একটা। অপটিকাল ফাইবার ও টেলিফোনের লাইন যাবে। এবং অবশ্যই ইলেকট্রিক লাইন যাবে।
এই হল শুধু ব্রিজ। শুধু পদ্মা ব্রিজ। কিন্তু প্রোজেক্টে আরও অনেক কিছু রয়ে গেছে, যেমন নদীশাসনের কাজ, এপ্রোচ রোডের কাজ। এবার চলেন সেগুলোর দিকে তাকাই।
#
এপ্রোচ রোড কি সেটা একটু বলি। শুধু একটা ব্রিজ বানালেই হয় না। সেই ব্রিজের সাথে যে রাস্তাগুলো এখন আছে, যেগুলোতে গাড়ি চলছে, সেই রাস্তার সাথে ব্রিজের সংযোগ দিতে হয়। এই সংযোগ দেয়া রাস্তাটাই এপ্রোচ রোড। পদ্মা ব্রিজের এই এপ্রোচ রোড হল ব্রিজের দ্বিগুণ লম্বা। ১২ কিমি। এই এপ্রোচ রোড তৈরির কাজটা করেছে দেশের এক কোম্পানি, আব্দুল মোনেম লিমিটেড।
এই এপ্রোচ রোডের কাজের মধ্যে ছিল জাজিরা থেকে জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযোগ। একইভাবে মাওয়ার কাছাকাছি যে রাস্তা ছিল সেটাকে আন্তর্জাতিক মানে আনা। আর সার্ভিস এরিয়া। যেটা এই বিশাল কন্সট্রাকসন সাইটের মেইন অফিস। নির্মাণের সময় এবং নির্মাণ শেষ হয়ে গেলে এখানে অফিস এবং বাসস্থান নির্মাণ হবে। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে যে সংযোগ সড়ক আছে, সেখানে পাঁচটা সেতু প্রয়োজন। শুধুমাত্র এই সেতুগুলোর দৈর্ঘ্য যোগ করলেই দাঁড়ায় প্রায় এক কিলোমিটার।
#
প্রকৌশলগত দিক থেকেও এ কাজটা কঠিন ছিল। জাজিরার রাস্তাটা মোটামুটি একসময় চর এলাকা ছিল। নরম মাটি। এত নরম মাটির ওপর দিয়ে রাস্তা করা সমস্যা, কারণ এতে রাস্তা জায়গায় জায়গায় ডেবে যাবে এবং ফলাফল হিসেবে উপরে পিচের রাস্তা ভেঙে যাবে। তারপর যে কোন রাস্তা আবার বন্যার লেভেলের অনেক ওপরে রাখতে হয়। অর্থাৎ বন্যার রেকর্ড থেকে খুঁজে বের করা হবে সবচেয়ে বেশি কতখানি পানি উঠেছিল। তারপর দেখা হবে, একটা নির্দিষ্ট সময়ে (হয়ত আগামি ১০০ বছরে) বন্যায় সর্বোচ্চ কতটুকু পানি উঠতে পারে। তারপর সেই সর্বোচ্চ উচ্চতার পানির উপরে যেন রাস্তা থাকে, সেভাবে রাস্তা বানানো হবে।
#
এজন্য মাটি ফেলে বাঁধের মত উঁচু জায়গা বানানো হয়েছে। এরপর রাস্তার নিচের মাটির ঘনত্বটা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ কাজের জন্য মেশিন আনতে হয়েছে জার্মানি থেকে। নাম হলো স্যান্ড কমপ্যাকশন পাইল। এটা প্রযুক্তিগত দিক থেকে খুব দুরূহ নয়। নরম মাটির ভেতরে একটা পাইপের মতো ঢোকায়। ওপর থেকে একটা মেশিন দিয়ে চাপ দেওয়া হয় পাইপের ভেতরে। পাইপের নিচেরটা বন্ধ করা থাকে। এই প্রক্রিয়ায় মাটিটা নিচে ডেবে সরে যায়। আর পাইপটা যখন তোলা আবার তখন এর ওপর থেকে বালু ফেলা হয়। এভাবে মাটির ঘনত্ব বাড়ানো হয়েছে। এতে আশা করা যায়, যখন কোনো যানবাহন চলাচল করবে, তখন এই রাস্তা ডেবে যাবে না। বহু পরীক্ষা করা হয়েছে। গাড়িও চলছে, কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। এই এপ্রোচ রোডের কাজ এখন শেষ বললেই চলে।
পদ্মা ব্রিজ বানানোর জন্য দুই বিশাল কন্সট্রাকসন ইয়ার্ড বানানো হয়েছে মাওয়া আর জাজিরা, দুই প্রান্তে। পুরো কন্সট্রাকসন ইয়ার্ড হেঁটে ঘুরে দেখলে যে সারাদিন লেগে যাবে, এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই। এই বিশাল কন্সট্রাকসন ইয়ার্ড আর এপ্রোচ রোডের জন্য, বিশাল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। ১৩,০০০ বাড়ি যেখানে প্রায় ৭৪,০০০ মানুষ বসবাস করত, এই প্রোজেক্টের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব মানুষদের জন্য সাতটা রিসেটেলমেন্ট এরিয়া বরাদ্দ দেয়া হয়েছে নদীর দুই ধারে। সেখানে তাদের ঘরবাড়ি, মসজিদ, স্কুল, বাজার এগুলো সবই বানিয়ে দেয়া হয়েছে।
পদ্মা নদীর আশেপাশের অনেক গাছ কাটা পড়েছে এই কন্সট্রাকসন ইয়ার্ড, এপ্রোচ রোড, রিসেটেলমেন্ট এরিয়া আর সার্ভিস এরিয়ার জন্য। এজন্য বনায়নও করা হয়েছে। ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ৭০,৪৫২ টি গাছ লাগানো হয়েছিল। এই দায়িত্ব ছিল বনবিভাগ এর।
একটা নিউজ রিপোর্টে শুনেছিলাম, ইলিশ মাছের প্রজনন এর সময়, তাদের স্বাভাবিক পরিবেশের যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তাই পাইলিং এর কাজ বন্ধ ছিল! এত সুন্দর প্রোজেক্ট অন্য কোন দেশে হয় কি না আমার জানা নেই, যেখানে প্রকৃতির সাথে সমঝোতা করার এত আন্তরিক চেষ্টা করা হয়।
#
পদ্মা ব্রিজের আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল নদীশাসনের কাজ। চলুন প্রথমে দেখি, নদীশাসনটা আসলে কি, কেন দরকার।
নদী ভাঙে গড়ে। নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে। এখন ব্রিজটা থাকলো মাওয়া জাজিরায়, নদী হয়ত গতিপথ পাল্টায়ে অন্য কোথাও চলে গেল। তখন এত সাধের পদ্মা ব্রিজ হয়ে যাবে জামালপুরের ভাঙা ব্রিজের মতন। (জামালপুরে নাকি ভাঙা ব্রিজ নামে একটা ব্রিজ আছে, যেখানে নদীর কিনার ভেঙে নদী সরে গেছে, কিন্তু ব্রিজটা আগের জায়গায় থেকে গেছে।) তো পদ্মা ব্রিজের দুইপাশে যাতে কিনার থাকে, আর সেই কিনারে যাতে এপ্রোচ রোড থাকে; যাতে গাড়ি ব্রিজ থেকে নেমে চলার রাস্তা পায়, এজন্যই নদীশাসনের কাজটা করা হচ্ছে।
#
এখন চলুন দেখি নদীশাসন টা কী! মানে কাজটা কী!
নদীশাসন বলতে বোঝায়, নদীর গতিপথ ও কিনারা রক্ষার জন্য যে স্ট্রাকচারাল কাজ করা হয়। মানে কিনার বাঁচানোর জন্য যখন ইট পাথর বা এই জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হয় বা যেকোনো কিছু ব্যবহার করা হয়, কিনারা রক্ষার জন্য।
#
বিভিন্ন বছরের বন্যার সময়ের ডাটা এনালাইসিস করে এটা বের করা হয় যে, আগামী ১০০ বছরের প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৪০ হাজার ঘনমিটার পানি সাগরে যেতে পারে পদ্মা দিয়ে। (মানে এই যে পদ্মার পানি প্রবাহ, এর ২০ সেকেন্ডের পানি যদি আটকাতে পারতাম, তাহলে বৃহত্তর ঢাকা শহরের এক কোটি ৬০ লাখ লোকের এক দিনের খাওয়ার পানি হতো।) এই যে এত পানি পার হয়ে সাগরে যায় পদ্মা দিয়ে, এটা পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম আমাজান। পদ্মা হলো দুই নম্বর। এই পানিটা নিতে হবে ব্রিজের নিচ দিয়ে। সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে যেন পানি সেতুর নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে যেতে পারে। এই পানি কোনভাবে যদি আটকা পড়ে একইসাথে বন্যা হবে আপস্ট্রিমে (নদীর পশ্চিম-উত্তর দিকে) এবং একই সাথে এই পানি ব্রিজের উপর অনেক বেশি প্রেশার দিবে বা ধাক্কা দিবে। ফলাফল হিসেবে ব্রিজ ফেইল করা খুব স্বাভাবিক হবে।
এগুলো হলো নদীশাসনের চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর খুব কম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এ কাজটি করতে পারে।
#
পদ্মা ব্রিজের নদীশাসনের কাজের জন্য যখন টেন্ডার চাওয়া হয়, তখন মাত্র ৩টা কোম্পানি টেন্ডার জমা দেয়।
1. Hyundai Engineering and Construction Ltd of South Korea
2. Jan De Nul N.V. of Belgium
3. Sinohydro Corporation Ltd of China
২০১৪ সালের জুলাইতে এই টেন্ডার পায় সিনোহাইড্রো।
এই কাজের মধ্যে চলছে নদী ড্রেজিং করা। ড্রেজিং করা মানে হল, তলদেশের কাদামাটি তুলে এনে অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলা। যাতে পানির গতিপথে বাধা কম থাকে। যাতে বেশি পরিমাণ (বেশি ভলিউম এর পানি) পানি যেতে পারে। এতে কিনারে পানির ধাক্কা কিছুটা কমবে বলে আশা করা যায়। মাওয়া প্রান্তে ড্রেজিং করা হবে ১০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার। আর জাজিরা প্রান্তে ড্রেজিং করা হবে ৪০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার।
#
এই নদীতে ড্রেজিং করতে হচ্ছে ১০০ ফুটের বেশি। পানির নিচে। আগেই হিসাব করা হয়েছে, নদীর পাড় পানির নিচে কেমন ঢালু হবে। সে অনুসারে নদীর পাড়ের মাটি কাটতে হবে। সে জন্য স্পেশাল ড্রেজার ব্যবহার করতে হয়। যেটা জিপিএস কন্ট্রোলড, পানির নিচের মাটি নিজেই হিসাব করে কাটতে কাটতে যাবে।
নদীশাসনের আর একটা অংশ হিসেবে চলছে নদীর কিনারার দিকে পাথর, কংক্রিট ব্লক আর জিও ব্যাগ ফেলা। মাওয়া প্রান্তে পাথর প্রয়োজন ৮.৫ লাখ টন আর জাজিরা প্রান্তে পাথর ফেলা হবে ৩০ লাখ টন। ৮০০ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ ফেলা হবে ৩,৯০৭,৫০০ টি। ১২৫ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ ফেলা হবে ১৭,২৬৭,৫০০ টি। টোটাল cc block (সিমেন্ট কংক্রিট ব্লক) এর সংখ্যা ১৩,৩০১,২৪৮।
মাওয়া প্রান্তে নদীশাসনের কাজ হবে ১.৬ কিমি জুড়ে। আর জাজিরা প্রান্তে ১২.৪ কিমি। জাজিরা প্রান্তে এত বেশি কাজ হওয়ার কারণটা বাংলাদেশের ম্যাপ দেখলেই বোঝা যায়। কারণটা হল, পানিটা উত্তর পশ্চিম থেকে ভীষণ বেগে এসে বেশি ধাক্কা দেয় জাজিরা সাইডকে। এখানে ধাক্কা খেয়েই পানিটা দক্ষিণ -পূর্বে যায়।
#
আবার মাওয়া সাইটে মাটির ধরন কিছুটা ক্লে বা এঁটেল মাটি। দক্ষিণ দিকে জাজিরার সাইটে ক্লে নেই। সেখানে পলি, বালু এবং বেলে-দোআঁশ মাটি। স্রোত বেশি এলে এটা ক্ষয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এই নদীশাসন করা হয়েছে জাজিরার সাইটে সাড়ে ১০ কিলোমিটারের মতো। আর মাওয়া সাইটে মাত্র দেড় কিলোমিটার। ২০১৬ সালে মাওয়া সাইটে অপ্রত্যাশিতভাবে হঠাৎ ভাঙন দেখা যায়। তখন আরো কিছু বেশি কাজ করা হয়।
#
নদীশাসন ব্যাপারটি খুবই দুরূহ। কারণ নদীতে স্কাওয়ার (মাটি ধুয়ে যাওয়া) এত গভীরে যেতে পারে যে হয়তো ওপরের দিকে কিছু প্রটেকশন দেয়া হল। দেখা গেল নিচ থেকে মাটি ধুয়ে চলে গেছে। তখন উপর থেকে পাড় ভেঙে পড়ে যাবে। কারণ নিচে কোন সাপোর্ট নেই, সাপোর্টের মাটি ধুয়ে চলে গেছে পুরোটাই। এজন্য অনেক নিচে থেকে পাথর, কংক্রিট ব্লক আর কিছুটা নতুন প্রযুক্তির জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।
#
তবে পদ্মার মত একটা রাক্ষুসী নদী যে কিনা ৬৫ মিটার scour করে ফেলে, তাকে কতটা শাসন করা যায়, বা শাসন করে কি বা কতটুকু লাভ হয়, এব্যাপারে আমি কনফিউজড। তবে এজন্য চেষ্টা থামিয়ে দেয়া যাবে না অবশ্যই। চেষ্টা তো চালিয়েই যেতে হবে।
নদীশাসন কাজটা হয়ত এখন সব সময়ের জন্যই চালিয়ে যেতে হবে। কন্ট্রাক্ট রিনিউ করা হবে নতুবা নতুন টেন্ডার দিতে হবে। নাহলে এই ব্রিজ টেকানো কঠিন। প্রতিটা স্ট্রাকচারের টেক কেয়ার করতে হয়। নতুবা টেকে না। কোথাও অনেক আগে পড়েছিলাম বাংলাদেশের কাছে জাতীয় সংসদ হল গরীবের হাতি পোষার মত। এর maintenance এ অনেক খরচ হয়। দেশে এখন নতুন হাতি আসছে! যাই হোক, এগুলোই প্রমাণ করে দেশ এখন আর অত গরিব নাই!
#
এবার আসি কিছু পিছনের ঘটনায়। এই প্রজেক্টের prefeasibility study নামে একটা রিপোর্ট দেয়া হয় ২০০০ সালে। পুরো প্রজেক্টটার initial feasibility study রিপোর্ট দেয়া হয় ২০০৫ সালে। feasibility study কে খুব সহজ ভাষায় বলা যায়, যত টাকা এর পিছে ঢালা হবে, সেটা কতটা লাভজনক, বা আদৌ লাভজনক কি না, সেই হিসাব করা। বা কোথায় কোন জায়গায় কিভাবে করলে সবচেয়ে কম টাকায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।
#
Prefeasibility Study এর উদ্দেশ্য ছিল the most suitable location for the Padma Bridge খুঁজে বের করা। এই স্ট্যাডিতে পদ্মা সেতু পরিকল্পনার সময় দুটি জায়গায় প্রাথমিক সমীক্ষা চালানো হয়েছিল—পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরেকটা হলো মাওয়া-জাজিরা।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছিল, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো নদীটা ক্রস করা। যাতে যানবাহন নদীর ওপর অথবা নিচ দিয়ে যেতে পারে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রথমে স্টাডি করল সেতু ও টানেল নিয়ে। দেখা গেল যে বিনিয়োগের দিক থেকে টানেলে অনেক বেশি খরচ। তখন টানেল বাদ গেল, নদী পার হওয়ার জন্য থাকলো সেতু।
২০০১ সাল থেকে শুরু হলো জাইকার অর্থায়নে ফিজিবিলিটিজ স্টাডি। আবার শুরু হল নতুন করে সাইট সিলেকশন। গোয়ালন্দ থেকে শুরু করে চাঁদপুর পর্যন্ত স্টাডি করে দেখা গেল মাওয়া-জাজিরা সাইটই সবচেয়ে ভালো।
#
ফিজিবিলিটিজ স্টাডিতে অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করতে হয়, একটা হলো—কোন দিক দিয়ে গেলে বেশি যানবাহন আকৃষ্ট হবে, মানে ঠিক কোন জায়গায় রাস্তাটা মানুষের সবচেয়ে বেশি দরকার, বা বেশি সংখ্যক মানুষের দরকার। দ্বিতীয়টা হলো, নদীর গতিপথ কোথায় তুলনামূলকভাবে কম পরিবর্তনশীল। পদ্মা কোনো কোনো বছর দু-এক কিলোমিটার সরে যেতে পারে। এ জন্য সাইট নির্বাচন করতে হলে দেখতে হয়েছে কোনটা বহুদিন ধরে স্ট্যাবল রয়েছে, মানে নদীটা বহুদিন ধরে একই জায়গায় রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও দেখা গেল মাওয়া-জাজিরাই উপযুক্ত স্থান। The Feasibility Study (FS) recommended a preliminary design comprising a prestressed concrete extradosed bridge with railway provision.
যাইহোক, পুরো প্রজেক্টটা দুই ভাগে বিভক্ত।
ফেজ ১: প্রজেক্ট ডিজাইন থেকে টেন্ডার দেয়া পর্যন্ত
ফেজ ২: কনস্ট্রাকসন
ফেজ ১, মানে এই পদ্মা ব্রিজ ডিজাইনিং এর কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালে। পদ্মা ব্রিজের ডিটেলড ডিজাইন করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে টিম গঠন করা হয় যার প্রধান ছিল AECOM নামের প্রতিষ্ঠান। টিমে আরও ছিল SMEC International, Northwest Hydraulic Consultants and ACE Consultants, with additional assistance from Aas Jakobsen and HR Wallingford.
বাংলাদেশ ব্রিজ অথোরিটি একটা প্যানেল গঠন করে, ৫ জন জাতীয় ও ৫ জন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। এই প্যানেলের কাজ ছিল একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর পদ্মা ব্রিজের ডিজাইন রিভিউ করা।
#
BS 5400 (British bridge design code) কোড উইজ করা হয়েছে ডিজাইন করার জন্য। কারণ এটার লোড এবং অন্যান্য জিনিস বাংলাদেশের ট্রাফিক কন্ডিশনের সাথে মিলে।
ব্রিজ ডিজাইন করার সময়একটা shipping study করা হয়। স্টাডিটা এমন যে ব্রিজের নিচে কতটুকু জায়গা থাকলে, বাংলাদেশে চলাচল করে, এমন সব জাহাজ ব্রিজের নিচে দিয়ে পার হয়ে যেতে পারবে। Bangladesh Inland Waterway Transport Authority (BIWTA) যে রিপোর্ট দেয়, তাতে বলা হয়, বন্যার সময় যে হাইয়েস্ট রেকর্ড উচ্চতা পর্যন্ত পানি উঠেছিল, সেখান থেকে ১৮.৩ মিটার (60 feet) উঁচু হতে হবে, মিনিমাম ৩টা স্প্যানকে। কিন্তু এখানেও ঝামেলা ছিল।
#
পদ্মা একটা unpredictable নদী। পদ্মা কখনো স্রোতের সাথে তলদেশ থেকে বিশাল পরিমাণ মাটি নিয়ে চলে যায়। আবার কখনো স্রোতের সাথে এসে অনেক পলি জমা হয়। কখনো পাড় ভেঙে নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে ফেলে। দেখা গেল ব্রিজ এক জায়গায় থেকে গেল, নদী ভেঙে পথ পালটে অন্যদিকে চলে গেল। ফলাফল হিসেবে ব্রিজ বানানোটা প্রায় বৃথা গেল। আবার নদীর মাঝে মাঝে হঠাৎ চর জেগে ওঠে। দেখা গেল, জাহাজ যাওয়ার জন্য যে তিনটা স্প্যান ৬০ ফিট উঁচু করে বানানো হল, সেখানে চর জেগে উঠলো, জাহাজ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল। কারণ অন্য সব স্প্যান এত উঁচু না। তাদের নিচ দিয়ে জাহাজ যাওয়া সম্ভব না।
এজন্য ঠিক কোন জায়গায় আগামী ১০০ বছর (পদ্মা ব্রিজের ডিজাইন লাইফ) পর্যন্ত জাহাজ যাওয়ার মত উঁচুতে স্প্যান দিলে, সেটা টিকে থাকবে, তার নিচে চর জেগে উঠবে না, জাহাজ যেতে পারবে, ব্যাপারটা গেস করা অনেক ক্রিটিক্যাল ছিল।
এজন্য পরে সিধান্ত নেয়া হয় যে, জাহাজ যাওয়ার মত উঁচু স্প্যান এর সংখ্যা বাড়ানো হবে। নদীর মাঝের মোটামুটি ৪.৮ কিমি জুড়ে সব স্প্যানই যথেষ্ট উঁচু বানানো হবে যাতে এদের যে কোনটার নিচ দিয়েই জাহাজ যেতে পারে।
আবার, পদ্মা নদী একটা ভীষণ খরস্রোতা নদী। তার সাথে নদীর তলদেশে scour হওয়ার প্রবণতা এবং একইসাথে একটা ভূমিকম্প হওয়ার মত জায়গায় এর অবস্থান হওয়ায়, ব্রিজটার ডিজাইন করার সময় এবং তৈরির সময়ও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হতে হয়েছে, বা হচ্ছে।
#
পদ্মা ব্রিজ ডিজাইনের সময় ভূমিকম্প নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করা হয়। এই কাজটা করেছিল বুয়েট। দুই লেভেল এর ভূমিকম্প নিয়ে স্ট্যাডি করা হয়।
১. operating level earthquake : এটা ১০০ বছরে ১ বার হওয়ার সম্ভবনা ৬৫%। এটা ঢাকায় বা দেশে যে টুকটাক ভূমিকম্প হয়, তার চেয়ে ভয়ানক তবে পরের লেভেল এর চেয়ে কম ক্ষতিকর।
২. contingency level earthquake : এই ভূমিকম্প খুবই সিভিয়ার লেভেল এর। এটা ৪৭৫ বছরে একবার আসে। ব্রিজের ১০০ বছর ডিজাইন লাইফে এটা হওয়ার সম্ভবনা ২০%।
(এগুলো সব probability, data analysis। হতে পারে, নাও হতে পারে। কিন্তু হবে, mathematics এমনটা বলে।)
A three dimensional non linear time history dynamic analysis, using a modified Penzien model was adopted.
এই স্ট্যাডি থেকে suitable /efficient seismic parameters বাছাই করে, সেগুলো দিয়েই ব্রিজ ডিজাইন করা হয়েছে।
#
এই হল পদ্মা ব্রিজ। পদ্মা বহুমুখী সেতু। এই সেতুর মেইন চ্যালেঞ্জ গুলো ছিল:
- নদীশাসনের কাজ
- প্রতি বছর হওয়া বন্যা
- ভূমিকম্প হওয়ার মত জায়গায় এটার থাকা
- ডিপ পাইল ফাউন্ডেশন
- নদীর নিচের নরম কাদামাটি
- extreme scour depth
- যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের পুনর্বাসন
- প্রোজেক্টের জন্য যেন প্রকৃতির/ পরিবেশের তেমন ক্ষতি না হয় সেটা খেয়াল রাখা
- জমি অধিগ্রহণ
- এতগুলো কোম্পানিকে কন্ট্রাক্ট দেয়ার পর, তাদের মাঝে কো অর্ডিনেসন রক্ষা করা
- নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা ব্রিজ তৈরি করা।

সংগৃহীত

Want your organization to be the top-listed Government Service in Chittagong?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Telephone

Website

Address


Chittagong
MOHAMMADPUR,HATIA,NOAKHALI,

Other Libraries in Chittagong (show all)
гРɎØɄ ₭₦Ø₩ гРɎØɄ ₭₦Ø₩
Pahartali
Chittagong, 4000

SADIA AFRIN SADIA AFRIN
Cumilla
Chittagong, 506340

Chowdhury Library & Departmental Store Chowdhury Library & Departmental Store
Khaiyachara School Road, Baratakia-4320, Mirsarai
Chittagong

যাবতীয় অনলাইন সংক্রান্ত কাজ, ছবি,প্রিন্টিং,লেমিনেটিং ও ফটোকপি করা হয় এবং শিক্ষা সামগ্রী বিক্রয় করা হয়

The Library  of Humanity - A part of COS family The Library of Humanity - A part of COS family
Chittagong

Due to financial problems, many people are not able to develop their talents and move forward. We have taken the initiative to bring the help of knowledge to the people by building...

Helal uddin Helal uddin
Meghna-Cumilla
Chittagong

education

পাঠকের পৃথিবী পাঠকের পৃথিবী
Chittagong, 4337

বইয়ের পাঠকে ভরে যাক পৃথিবী।

Naser Naser
Hera
Chittagong, 400

HELLO FRIEND IAMCHANNEL- OR SUBASCRIBE MY CHANNEL--- মাষ্টার গ্রুপ প্যাকেজ মিডিয়া---ok thank u all...& BY.....

মাস্টার ফাহিমা বেগম স্মৃতি পাঠাগার মাস্টার ফাহিমা বেগম স্মৃতি পাঠাগার
নিউমার্কেট এলাকা, চট্টগ্রাম
Chittagong, 4000

চট্টগ্রাম শহরে বই পড়তে/ পাঠাগারে বই পাঠাতে/ অর্থ সহযোগিতা করতে যোগাযোগ করুন ০১৬২১৯৯৯৩৩১

Faiz Library and Stationary Faiz Library and Stationary
In Front Of Mohila Technical Training Centre, Polytechnical College Road
Chittagong, 4209

Drdvm Drdvm
Lohagara
Chittagong, 4397

Sharing ideas and meet technological knowledge of veterinary medicine with the undergraduate students of different university of Bangladesh.

সাহিত্যের অন্তরীক্ষ সাহিত্যের অন্তরীক্ষ
Chittagong

বই হোক পৃথিবীর অরণ্য

New Book Land Library New Book Land Library
New Book Land Library, Sahansha Market, Chawkbazar
Chittagong, 4203