CHITTAGONG COLLEGIATE SCHOOL

Thousand bodies - one soul Thousand lives - one goal... Long Live Chittagong Collegiate School. Alum

12/05/2024

Congratulations batch 2024. Legacy continues ❤️❤️

15/03/2024

Written by Mahbub Kabir Milon
সোমালীয় জলদস্যু এবং মো: শাহজাহান। অত্যন্ত ঢিলেঢালা, সহজসরল ছেলে। আমরা চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ক্লাস সিক্স থেকে মেট্রিক পর্যন্ত একই ক্লাসে ছিলাম। আমার ক্লোজ বন্ধু ছিল সে। এরপর ইন্টারমিডিয়েটে সে চলে গেল কমার্স কলেজ, আমি চট্টগ্রাম কলেজে। সেই ১৯৭৯-১৯৮০ সালের কাহিনী।

সম্ভবত ইন্টার পড়া অবস্থায় ওর বাবা মারা গেলেন। জনাব শামসুল হক, এখন কর্পোরেট জিএম। আমাদের দুজনকে টিউশন পড়াতেন। বাবা মারা যাওয়ায় দুই মা, অনেকগুলো ভাইবোনের বিশাল ধাক্কা এসে পড়ে শাহজাহানের মাথার উপর। শামসুল হক স্যার টিউশনি ছেড়ে শাহজাহানের পাশে এসে দাঁড়ায়।

বাবার রেখে যাওয়া কিছু টাকা পয়সা আর সম্পত্তি নিয়ে শুরু হয় শাহজাহানের যুদ্ধ জয়ের সংগ্রাম। আজ ব্যবসায়িক জগতে সম্রাট শাহজাহান সে। অসংখ্য কোম্পানির কর্ণধার।

ভাই বোনদের ভাল লেখাপড়া শিখিয়ে প্রত্যেককে নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

তাঁরই শিপিং কোম্পানির একটি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ আজ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে।

১৩ বছর আগে এই কোম্পানির সোমালি জলদস্যুরা ‘এমভি জাহান মণি’র ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে। নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতায় ১০০দিন পর মুক্তি মিলেছিল তাদের।

এখন আবার ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জলদস্যুদের কবলে জিম্মি।

আমি চিনি এবং জানি মো: শাহজাহানকে। সে জানে কিভাবে এই সমস্যা হ্যান্ডেল করতে হয়।

ইনশাআল্লাহ শাহজাহান এই জাহাজের কোন নাবিকের গায়ে আঁচড় লাগতে দেবে না। জাহাজসহ সবাইকে মুক্ত করবে সে। আল্লাহপাক যেমন তাঁকে বড়বড় পরীক্ষায় ফেলেন, তেমনি মুক্ত করার দায়িত্বও মহান আল্লাহপাকের।

সবচেয়ে হতবাক হবার বিষয়, এই যুগেও সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে অসহায় জগতের শিপিং বাণিজ্য।

25/08/2023

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ৭৯ এর ব্যাচ এর ছাত্র বিসিএস (বিচার) ক্যাডারের মেধাবী সদস্য, জেলা ও দায়রা জজ , সদ্য সাবেক মহা পরিদর্শক, নিবন্ধন, শহীদুল আলম ঝিনুক বাংলাদেশ সরকারের তথ্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় আন্তরিক অভিনন্দন.

13/08/2023

"মৌচাকে জাম্বুরী আর মোখলেস স্যার" !!! লিখেছেন Arif Ahmed

১৯৮০ এর শেষ সপ্তাহে আমরা কলেজিয়েট স্কুল এর দশ,বারো জন স্কাউট ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে গেলাম,উদ্দেশ্য : পঞ্চম এশিয়া পাসিফিক জাম্বুরীতে অংশগ্রহন। আমি তখন ক্লাস সিক্স এ, বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলো কিছুদিন আগে।
আমাদের সঙ্গে যাবেন মোখলেস স্যার। উনি আমাদের স্কাউট মাস্টার. বেটেখাটো, গালভর্তি সাদা দাড়ি, বৃদ্ধ চেহারা. সব সময় হাসিখুশি আর কথায় কথায় ছড়া কাটেন বলে স্কুল এই স্যার খুব জনপ্রিয় । স্কুলে সব স্যার এর মত ওনার ও একটা বিশেষ নাম ছিল "দেড় ব্যাটারী" । ট্রেনার ছিলেন প্রাক্তন ছাত্র মবিদ ভাই। আমি খুব খুশি স্যার যাবেন বলে। সিনিয়র ভাইদের এই কথা বললে দেখি তারা মুচকি হাসছে , দেখো স্যার কি করে, স্যার এই দশ দিন যা করলেন তা আমাদের স্মৃতিতে চির স্মরণীয় করে রাখলেন।
ছাত্রদের নামের সাথে মিলিয়ে ছড়া কাটতেন বলে উনি ৬০,৭০,৮০ এর দশকে বিখ্যাত হয়ে ছিলেন , যেমন "শরীফ সবাই করে তোর্ তারিফ" তার একজন ছাত্র ছিলেন লেখক হুমায়ূন আহমেদ , বলতেন হুমায়ূন , তোর্ নাই কোনো গুন !!! কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এ গিয়ে হুমায়ূন আহমেদ, স্যার এর বেধড়ক মার খেয়েছিলেন।
নির্ধারিত দিন স্টেশন এ গিয়ে দেখি গোটা ট্রেন স্কাউটার দের জন্য রিজার্ভ , ট্রেন বাশঁ আর স্কাউট ভর্তি হয়ে ঢাকা অভিমুখে চলল , বাশঁ জাম্বুরী তে তাবুবাস এ অনেক জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়,প্লেট এর রেক ,আলনা ,গেট, বেড়া ইত্যাদি । পরের দিন সকাল বেলা স্টেশন এ নামার পর থেকে স্যার কে একটু টেনশন মনে হলো, কি একটা বিষয় নিয়ে খেপে গেলেন ,সিনিয়ররা দেখলাম দুরে সরে পড়ল।
মৌচাক পৌছার পর একটু একটু করে স্যার এর মেজাজ চড়তে লাগলো , কাকে যেন মারতে চাইলেন অমনি মুহুর্তে তাবু ছেড়ে সবাই পাশের শালবনে হাওয়া, আমি জুনিয়র হওয়ায় কিছু বুঝতে পারলামনা। তবে ওদের পিছু পিছু দৌড়ে পালালাম।
ভোর ছয়টা থেকে জগিং ,মার্চপাস্ট মহড়া শুরু হয়ে গেল ,উদ্বোধনী দিন এ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সালাম গ্রহণ করলেন ,সন্ধায় বিটিভির খবর এ আধ ঘন্টা ধরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হলো।
আমাদের বিভিন্ন স্কাউট বিষয়ক কর্মকান্ড শুরু হয়ে গেল, কিছু বিদেশী স্কাউট ও ছিল ,ঘেরা দেয়া তাবু থেকে বের হতো না। , মফস্সল থেকে আসা স্কাউটরা সেদিকে তাকিয়ে থাকত যেন ভিনগ্রহের জীব। ইতোমধ্যে স্যার কয়েকজনকে মার লাগিয়েসেন, মাহবুব ভাই স্যার এর পি.এস হিসাবে কাজ করতেন তাকেও একটা থাপ্পর দিলেন , গান এর মহড়ায় অরিন্জয় দুষ্টমি করছিল ,তার উপরও এক পশলা ঝরল।
সব কাহিনীর একটা ক্লাইম্যাক্স থাকে , এটার ও শুরু হলো , রান্না বান্না নিজেদের করতে হত কাঠের চুলায় আর তার জন্য আমাদের কাঠ দেয়া হত , আমরা দুজন স্যার এর সাথে অফিস এ গেলাম ,স্ট্রেচার এর মত করে কাঠ বহন করতে গিয়ে ভুল করায় স্যার দু দফা আমাকে মার দিলেন ,মার খেয়ে আমি সম্পূর্ণ নার্ভাস হয়ে পড়লাম। তাবুর বাইরে থেকে হেটে হেটে গেট এর ভিতরে কাঠ নিয়ে ঢোকার পর হঠাত দেখি স্যার আমার পেছন থেকে বেরিয়ে এসে মাটিতে উবু হয়ে কাজ করতে থাকা হাফিজ ভাইয়ের উপর ঝাপিয়ে পড়লেন। অমনি আমরা সবাই দৌড়ে জঙ্গলে ঢুকে পরলাম ,সবাই ওখানে মিলিত হবার পর জানতে পারলাম হাফিজ ভাই নাকি আমার পেছনে থাকায় স্যার কে না দেখে বলে উঠেছিলেন " ব্যাটারী কইরে ? "এক ঘন্টা পর তাবুতে গিয়ে দেখি হাফিজ ভাই স্যার এর পা ধরে আছেন, আর স্যার ধানমগ্ন ঋষির মত চোখ বন্ধ করে বসে আছেন, মাঝে মধ্যে হুহ,নাহ, আহ বিচিত্র শব্দ করছেন , ভীষণ আপসেট ! সিনিয়র ভাইয়েরা করুন ভাবে স্যার কে বোঝাচ্ছেন, মাফ করে দিতে , শেষ পর্যন্ত মাফ পাওয়া গেল। হাফিজ ভাই বেচে গেলেন।
বহু কান্ডকীর্তির পর শেষ পর্যন্ত জাম্বুরী শেষ হলো।আমরা বাসে রেল স্টেশন এ রওনা হলাম। স্টেশন এ গিয়ে দেখি রেল এর দেখা নাই। অপেক্ষা করতে করতে রাত টা স্টেশন এ কাটিয়ে দিলাম। অথচ স্টেশন থেকে দুই কিলোমিটার দুরে নানার বাড়ি। সকালে ফোনবুথ থেকে মামাকে ফোন করলাম। মামা আসলেন নিয়ে যেতে , কিনতু স্যার বল্লেন যাওবা যাবে না , ট্রেন চলে আসবে । মামা বিদায় নিলেন , শেষ পর্যন্ত ট্রেন আসল আর রাত্রিবেলা আমরা বাসায় পৌছলাম। অনেক স্মরণীয় সব ঘটনা ঘটেছিল সেই দশ দিনের ভ্রমণে কিন্তু সব ছাপিয়ে মোখলেস স্যারের সব কান্ডকীর্তি যেন আমাদের স্মৃতিতে ভেসে আসে।
এখনো যেন মনের মাঝে শুনতে পাই সেই উদ্বোধনী সঙ্গীত "এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে আমরা ভাই এসেছি, বাংলাদেশের , , , "

28/06/2023

শুভ জন্মদিন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস।
আমাদের কলেজিয়েটস, আমাদের গৌরব, নোবেল লরিয়েট একমাত্র বাংলাদেশি।
১৯৪০ সালের ২৮ জুনের এই দিনে উনার জন্ম।
উনি আমাদের প্রাণপ্রিয় স্কুলের ১৯৫৫ ব্যাচের ছাত্র। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি ক্ষুদ্রঋণ নামক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জনক হিসেবে সমাদৃত। অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। ড. ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার সহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। উনার এই অসামান্য অর্জনের জন্য আমরা কলেজিয়েটস পরিবার গর্বিত।

02/06/2023

আমাদের কলেজিয়েট পরিবারের প্রিয় মুখ, সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ ডাঃ আফসারুল আমিন এর বিদায়ে কলেজিয়েট পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত.

আমরা মরহুম এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

25/05/2023

Down the memory lane.. 25 years ago.. Study tour at Sylhet.. Photo courtesy: Shamim Riaz

17/05/2023

Post by ragib Hasan

সবার জন্য কোডিং শিক্ষা! কিংবা ক্লাস ওয়ান থেকে প্রোগ্রামিং শিখানো!

বাংলাদেশের স্কুল লেভেলে নানা রকমের এক্সপেরিমেন্ট চলতে থাকে। আজ কারো মনে হলো যে অমুক জিনিষটা ট্রেন্ডি! ব্যস, কাল থেকে দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর উপরে সেটা চাপানো হয়।

ইদানিংকালের হুজুগ — সবাইকে কম্পিউটার বিশারদ হতে হবে। তাই স্কুলের একেবারে নিচের লেভেল থেকে তাদের গিলাতে হবে প্রোগ্রামিং এবং “কম্পিউটেশনাল থিংকিং”।

যেন সবাই হবে প্রোগ্রামার, অ্যাপ ডেভেলপার, আর নানা “বিষ্ময় বালক”দের মতো তারা যেন হবে বিল গেইটস।

Stop! আসেন একবার মগজটাকে জাগিয়ে তুলে একটু ভাবি।

সবাইকে কেনো প্রোগ্রামার হতে হবে?

দুনিয়াতে চলার জন্য কম্পিউটার আর সব যন্ত্রের মতোই একটা সহায়ক যন্ত্র মাত্র। অধিকাংশ মানুষ তাদের পড়াশোনা, কাজ, বা ব্যবসার কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করবে বটে, কিন্তু সেটা নানা অ্যাপ বা সফটওয়ারের ইউজার হিসাবে।

প্রোগ্রামিং শিখে সফটওয়ার বানানোর জ্ঞান সবার জানার দরকার হয় না। আর সফটওয়ার বানাবার জন্য কোটি কোটি প্রোগ্রামারও লাগে না।

তাহলে কীজন্য স্কুলের বাচ্চাদের মাথা খারাপ করে তাদের উপরে স্কুলের নিচের ক্লাস থেকে প্রোগ্রামিং শিখার চাপ দিতে হবে?

এতে করে কি কোটি কোটি প্রোগ্রামার তৈরী হবে?

না।

বরং এতে করে যে ছেলেটা প্রোগ্রামিং শিখতে চায়নি, যে মেয়েটা হবে না কোনোদিন পাইথন প্রোগ্রামার, তাঁকেও অযথা এই আতংকের ভিতর দিয়ে যেতে হচ্ছে।

আমি শিক্ষক হিসাবে বুঝি, প্রোগ্রামিং করা সবার কাজ না। এর জন্য যে ধরণের অ্যানালিটিকাল স্কিল লাগে তা সবার নাই এবং জীবনে চলার পথে সফল হতে হলে সেই স্কিল অপরিহার্য না।

কিন্তু ধরেন, প্রোগ্রামার তৈরী করা? সেটা হলে তো দেশ রাতারাতি সফটওয়ার বেচে বড়লোক হয়ে যাবে। কেনো “উন্নয়ন” এর বিরোধিতা করছি?

ঘটনা হলো — প্রোগ্রামিং এর জগতটা গত ১ বছরে ব্যাপক পাল্টে গেছে। ChatGPT এর মতো জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এসে মামুলি ধরনের কোডিং এর কাজকে স্বয়ংক্রিয় করে ফেলেছে।

তাই এন্ট্রি লেভেলের প্রোগ্রামারদের আসলে আর দরকারই নাই। সফটওয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে শুরুর দিকের কোডিং এর যেসব কাজ ছিলো, তার প্রায় সবটাই এআই দিয়ে করা যাবে অচিরেই। প্রোগ্রামিং এর জন্য দরকার হবে কেবল অল্প কিছু হাই স্কিল্ড এআই ডেভেলপারের।

কিন্তু — কম্পিউটেশনাল থিংকিং? সেটা লাগবে না? টেকনলজি ব্যবহার করার, কিংবা জীবনের দৈনন্দিন কাজে অ্যানালিটিকাল স্কিল দিয়ে ফাটিয়ে ফেলা?

না। সেটার জন্যও পাইথন কোডিং বা সর্টিং অ্যালগরিদম শেখার দরকার নাই।

অধিকাংশ আমজনতার জন্য দৈনন্দিন কাজে এগুলো শেখার দরকার তো নাইই বটে।

কিন্তু নানা বিজ্ঞানী, অ্যানালিস্ট এমন লোকজন? তাদের কাজের ডেটা অ্যানালাইসিস করবে কে?

কেনো? চ্যাটজিপিটি বা গুগলের বার্ড আছে কী করতে? এসব এআই টুলের দক্ষতা এক্সপোনেনশিয়ালি বাড়ছে। সেদিন আমার এক সহকর্মীর কাছে এমন Large language model এর একটা প্রেজেন্টেশন দেখলাম। গত দেড় দুই বছরে এসব টুল বিশাল উন্নতি করেছে। সফটওয়ার ডেভেলপার বাদে বাকিরা কম্পিউটার দিয়ে যা কাজ করে তার সবই এসব এআই দিয়ে করা যায় বা অচিরেই যাবে।

তাহলে ব্যাপারটা কী হচ্ছে? উদাহরণ দেই — লগারিদম বা এমন অনেক গাণিতিক বিষয়ের জন্ম হয়েছিল বড় বড় অংক করতে সাহায্য করতে। এক সময়ে হিসাব মানেই ছিল লগ টেবিল আর স্লাইড রুল দিয়ে কাজ করা। প্রকৌশলী বা অ্যাকাউন্টান্ট সবাইকেই শিখতে হতো এদের ব্যবহার।

কিন্তু এখন? সবশেষ কবে আপনি বড় সংখ্যার হিসাব হাতে করেছেন? মনে করতে পারবেন না তাই না? কারন এখন এগুলো হাতে করা লাগে না। করার জন্য ক্যালকুলেটর আছে।

এভাবেই ট্র্যাডিশনাল প্রোগ্রামিং স্কিল আর দরকার হবে না। আম জনতার সবাইকে প্রোগ্রামার হতে হবে না। কম্পিউটার দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়ার মতো টুল ব্যবহার তরলেই চলবে। হ্যা, অল্প কিছু প্রোগ্রামার লাগবে বটে কিন্তু তারা হবে বিশেষজ্ঞ তাদের কাজে। এআই টুল ডেভেলপ করা কিংবা টিউন করবে তারা।

কিন্তু অংকে কোনোমতে পাশ করা, বিজ্ঞান মাথায় না ঢোকা সেই শিশুদের জোর করে কোডিং শিখানোর কোনো দরকার হবে না। কারণ বাংলা ব্যকরণের ণ-ত্ব বিধান বা মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের মতোই, এন্ট্রি লেভেলের কোডিং বিদ্যা হলো অচল, অবসোলিট, এবং শিশুদের জন্য আতংক।

তাই আশা করি, স্কুলের নিচের ক্লাস থেকে প্রোগ্রামিং শিখানোর যে জোয়ার এসেছিল, যার কারণে গ্রামের মফস্বলের বা শহরের সবাইকে প্রোগ্রামার বানানোর শিক্ষা জোর করে দেয়া হচ্ছিলো, তার অবসান হবে।

বরং তার বদলে ভাষা, বিজ্ঞান, গণিত, নৈতিক বা ধর্মীয় মূল্যবোধ — এসব চিরন্তন বিষয়ের দিকে জোর দেয়া হবে আবার।

দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সেটারই দরকার বেশি এখন।

#এলোচিন্তা।

Photos from CHITTAGONG COLLEGIATE SCHOOL's post 21/04/2023

প্রতি বছরের মতো এ বছরও কলেজিয়েট ২০০৫ ব্যাচ গেট টুগেদারের আয়োজন করে একসাথে ইফতার করার মাধ্যমে| আড্ডা আর হাসিতে সবাইকে দেখে মনে হচ্ছিলো সবাই আবার সেই ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছে| এই অটুট বন্ধুত্ব আর মনে রাখার মতো হাজারো স্মৃতি লাল দালানের কলেজিয়েট স্কুল আমাদের দিয়েছে, যার রেশ রয়ে যাবে আরো বহু বছর|

Photos from CHITTAGONG COLLEGIATE SCHOOL's post 21/04/2023

Like other years.. Batch 2004 makes unique celebration of friendship arranging iftar and get together..
What about your batch.. Post your photo mentioning batch name.. We will post to the page..

07/04/2023

আজ আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় বোরহান স্যার এর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী.

26/03/2023

স্বাধীনতার ডাক

ডাক দিয়েছেন নেতা আমার,
দেশ স্বাধীন করবো এবার।
রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চে,
দশ লক্ষ জনতার সমাবেশে,
কবির ভাষায় ছন্দ তালে ,
ঘোষণা দিলেন সুকৌশলে।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

২৫ শে মার্চ মধ্য রাতের অন্ধকারে,
অপারেশন সার্চলাইট নাম দিয়ে,
পিলখানা রাজারবাজ নীলক্ষেতে,
মেশিনগান রাইফেল ট্যাংক নিয়ে,
বাঙালি নিধনে মাতাল হয়ে,
পাক হানাদার ছোবল মেরে,
নারী পুরুষ নির্বিশেষে ,
নিধন করে নির্বিচারে।

থাকতে ঘরে পারিনি আর,
সময় এখন যুদ্ধে যাবার।
অস্রহাতে লড়তে হবে,
শত্রু মুক্ত করতে হবে।
দেশ মাতৃকার রাখতে মান,
যায় যদি যায় যাক প্রাণ।

৭১ এ এমন করে
ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে
বীর বাঙালি যুদ্ধ করে
বাংলাদেশ স্বাধীন করে।

-প্রনব কুমার নন্দী
সিনিয়র শিক্ষক
চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল।
২৬/০৩/২০২৩ইং।

12/02/2023
30/12/2022

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের প্রাতঃ বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক মোঃ শাহাদাত হোসেন স্যার প্রসঙ্গে একটি বিষয় সবাইকে না জানালে নয়. আমাদের স্কুলের যে জামে মসজিদ রয়েছে, সেটি বর্তমান অবস্থার পিছনে স্যার এর গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা ছিল. খুব জীর্ণ অবস্থা থেকে মিনার সহ এই সুন্দর মসজিদ গঠনে স্যার বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন.
মানুষ গঠনের কারিগর এই মহান শিক্ষক 1981 হতে 2001 সাল পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন.
স্যার এর প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা.

30/12/2022

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের প্রাতঃ বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক মোঃ শাহাদাত হোসেন স্যার আজ ইন্তেকাল করেছেন ... ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
বাদ মাগরিব ডেবার পশ্চিম পাড়স্হ বায়তুল আমান মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে.....
স্যার 1981 সাল থেকে 2001 সাল পর্যন্ত Collegiate School এ কর্মরত ছিলেন. তিনি বিজ্ঞান বিভাগ ( জীব বিজ্ঞান) এর শিক্ষক ছিলেন.
Collegiate পরিবার তাঁর মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকাহত.

24/12/2022

আজ অনেকগুলো পোস্ট দেখা যাচ্ছে Collegiate school নিয়ে.. জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে.. এরকম দিন কি আদৌ আছে? কোন প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে আজ Collegiate school এর জন্মদিন??
সবাইকে শুভেচ্ছা.

24/11/2022

লিখেছেন asifur rahman
( লিখাটি কলেজিয়েট৮৪ পেইজে ২০১৮ সালে লিখেছিলাম)

শৈশব ভ্রাতৃত্ব

-------------------
#চট্রগ্রামগামী বাসে উঠতেই আমার সেইসব চিন্তাহীন,নির্মল, আনন্দময় শৈশবের কথা মনে হতে থাকলো।স্কুলের বিশাল লাল বিল্ডিং,বন্ধুদের কথা,স্কুল ছুটির ঢং ঢং ঢং ঘন্টার ধ্বনি,হৈ,চৈ করে দৌড়ে বেরিয়ে পড়ার কথা---- কত কিছু।মনের অজান্তেই সেই গান বেজে উঠে
পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়
ও সেই চোখের দেখা,প্রানের কথা, সে কি ভোলা যায়।

#চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাওয়া বন্ধু আজম,মিঠু,মুন্না,রাজিব,সোলায়মানের কথা মনে পড়তে থাকে।কি এমন ক্ষতি হতো পৃথিবীর! কেন এত অসময়ে প্রানের এসব বন্ধুদের প্রত্যাহার করে নিল?এ হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।মনটা ক্রমেই ভারাক্রান্ত হতে থাকে।বেঁচে আছে অথচ আমরা হারিয়ে ফেলেছি এমন বন্ধুদের ৮৪ পেইজে খুঁজে বেড়াই।মাঝে মাঝে দু' একজনকে পাই---কি যে শান্তি লাগে।নুর উদ্দিন,সোহেল,আমিনুল,ভুট্রো,প্রদ্যেুৎ,ওয়াসিম--- এরকম অনেক বন্ধুকে এখনো আমি খুঁজে বেড়াই।

#আমার একান্ত ভাললাগা থেকে যে সমস্ত কবিতা আবৃত্তি করি তারমধ্যে অন্যতম নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর " অমল ক্লান্তি' কবিতাটি।কবিতায় অমল ক্লান্তির মত আমার অনেক বন্ধুরা হারিয়ে গেছে।তারা আমাদের কাছে আসতে আড়ষ্টবোধ করে বা আমরা তাদের নামটা ও ভুলে গেছি।আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার,সাংবাদিক,আর্মি অফিসার,বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজের শিক্ষক, কেউবা বিশাল বড় ব্যবসায়ী হয়েছি।কিন্তু অমল ক্লান্তির মত বন্ধুরা কিছুই হতে পারেনি।রোদ্দুরের কথা ভেবে ভেবে কাটিয়ে দিচ্ছে জীবনের বর্নহীন দিনগুলো।আমার ৮৪ এর বন্ধুদের কাছে তাই আমার প্রিয় অমল ক্লান্তি কবিতাটি সংযোজন করছি।

অমল ক্লান্তি
-----------------------------------
অমল ক্লান্তি আমার বন্ধু
ইশকুলে আমরা একসাথে পড়তাম
রোজ দেরী করে ক্লাসে আসতো,পড়া পারতো না
শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে এমন অবাক হয়ে জানালার দিকে
তাকিয়ে থাকত যে
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের।
আমরা কেউ ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার,শিক্ষক,উকিল,ব্যবসায়ী হতে চেয়েছিলাম।
অমল ক্লান্তি সেইসব কিছুই হতে চায়নি
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।
ক্লান্ত বর্ষন আর কাকডাকা বিকেলের
সেই লাজুক রোদ্দুর।
জাম আর জাম্ব্রুলের পাতায় যা নাকি
অল্প এক টুকরো রোদের মতন লেগে থাকে।
আমরা কেউ মাস্টার হয়েছি,কেউ ডাক্তার,কেউ ইন্জিনিয়ার
অমল ক্লান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সে এখন অন্ধকার একটা ছাপাখানায় কাজ করে
মাঝে মধ্যে আমার সাথে দেখা করতে আসে
চা- টা খায়,এটা ওটা গল্প করে তারপর
হঠাৎ করে বলে উঠে," উঠি তাহলে"
আমি ওকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।
আমাদের মধ্যে যে এখন মাস্টারী করে
অনায়াসে সে ডাক্তার হতে পারতো,
যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল, উকিল হলে ও তার এমন কিছু ক্ষতি হত না।
অথচ সকলের ইচ্ছে পূরন হল
এক অমল ক্লান্তি ছাড়া
অমল ক্লান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি,
সেই অমল ক্লান্তির রোদ্দুরের কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে আমি আমার প্রিয় শহর চট্রগ্রামে পৌছে গেছি টেরই পেলাম না।।

18/11/2022

অদ্ভুত এক গোপন স্বপ্ন----
Asifur Rahman
---------১৯৭৮ সাল।ডিসেম্বরের ২৫/২৬ তারিখ হবে হয়তোবা।কনকনে শীতের সকাল।বাবার হাত ধরে জীবনে প্রথম বড় শহরে আসা।শহরের লাল,নীল,হলুদ বাতি দেখে একধরনের ঘোরের মধ্যে পড়ে যাই।যাই দেখি বিস্মিত হই।স্কুলের বিশাল লাল বিল্ডিংটা দেখে ভড়কে যাই।এত বড় স্কুল! বিশাল মাঠ! গ্রাম থেকে উঠে আসা আমার বিস্ময়ের সীমা থাকে না।পরদিন সারা স্কুল আংগিনা ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকি।হোস্টেলে রুমে ফিরে আসি।মা,ভাই,বোনের জন্য মনটা ব্যাকুল হতে থাকে।গ্রামের দুরন্তপনা জীবনের কথা ও মনে হয়।ঘুড়ি উড়ানো,গাছ থেকে পানিতে লাফ দেয়া,সুতায় মানজা দেয়া,লাটিম ঘুরানো,মার্বেল খেলা আরো কত কি!!!! গ্রামের খেলার সাথীদের কথা ও মনে হয়।মন উদাস হয়ে আকাশের দিকে চেয়ে থাকি।মায়ের মুখ ভেসে উঠে।ডুকরে কেঁদে উঠি।
#নতুন বছর এলো।বাবা বললেন,এ স্কুলে ভর্তি হতে হলে পরীক্ষা দিতে হয়।অনেক নামীদামী স্কুল এটা।১৯৭৯ সালের জানুয়ারীর ৭ বা ৮ তারিখ আমাদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে,পরীক্ষায় 'আমাদের গ্রাম' রচনাটি এসেছিলো।মধ্য জানুয়ারী থেকে আমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ক্লাশ শুরু হয়।সকাল থেকেই সাদা ড্রেসে স্কুলের ছাত্রদের কলকাকলীতে মুখরিত হয়ে উঠতো।কি মায়াবী দৃশ্য!!! স্কুলের সামনে সারি সারি গাড়ী।আমি বিস্মিত হই।এ প্রথম জীবনে জানতে পারলাম,নিজস্ব গাড়ীতে বিত্তবানদের সন্তানেরা স্কুলে আসে।স্কুলের সামনে দাড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে এসব দেখতাম। ওমা!! অনেকেই স্কুলে খেলার সরন্জাম ও নিয়ে আসতো।এ প্রথমবার সরোয়ারকে দেখলাম গাড়ী থেকে খেলার সরন্জাম নিয়ে নামতে।দৃষ্টিতে অপার বিস্ময় নিয়ে আমি সরোয়ারকে দেখতে থাকি।সেই সরোয়ার এখন মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক।
#ধীরে ধীরে হোস্টেলের অনেকের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে।একদিনের কথা বলি।ছোট্র একটি ছেলে বাবার হাত ধরে হোস্টেলে প্রবেশ করে।একটি কালো ট্রাংন্ক আছে সাথে।ট্রাংন্কের মুখে ছোট তালা মারা।ছেলেটি এদিক সেদিক বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে।মাথার চুলে সরিষার তৈল মাখানো।যত্ন করে সিঁথি কাটা।চোখে চোখ পড়তেই হেসে উঠে।আকবার হোসেন পাটাওয়ারী।চন্দ্রগন্জ বাড়ী।নোয়াখালীর আন্চলিক ভাষায় কথা বলে।খুবই ধার্মিক। ডাইনিং,মসজিদে রোজ তার সাথে দেখা হয়,কথা হয়।আর ক্রমেই আমার পৃথিবী বড় হতে লাগলো।সেই আকবার পরবর্তীতে বুয়েট থেকে পাশ করে এখন সুপারিনটেনডেন্ট ইন্জিনিয়ার।মেঘনা- দাউদকান্দি,যমুনা,পদ্মাব্রীজ সহ নানান বড় কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছে।মস্ত বড় প্রকৌশলী।আকবার দি গ্রেট। ওর সাথে প্রায়ই আমার ফোনে কথা হয়।আকবারের সাথে স্কুল লাইফ থেকে আমার কত স্মৃতি আছে!
#ছোট বেলায় মাঝে মাঝেই নিজেকে মটর সাইকেল মনে হতো।পিপ্ পিপ্ করে হর্ন দিয়ে অদৃশ্য একটা হ্যান্ডেল ধরে দৌড়াদৌড়ি করাটা আমাদের একটা সিরিয়াস খেলা ছিলো।সেই খেলাটা এখন আর খেলা যায় না।বয়স হয়েছে।কোথায় যেন পড়েছিলাম,ছেলেবেলার সমস্ত খেলাধুলা ব্রেইনের একেবারে গভীর চিন্তায় রয়ে যায়।হারায় না কখনো।মানুষ আসলে খুব বড় আকারের একটা শিশু।বড় হওয়ার আইডিয়াটা একটা ভ্রান্ত আইডিয়া।কেউ আসলে বড় হয় না।অর্থনীতি আর স্যোশাল সায়েন্সের চাপে পড়ে দিনে দিনে কেবল গম্ভীর হয়ে যায়।এইটুকুই।আমার প্রায়ই অদ্ভুত এক গোপন শখ জেগে উঠে,স্কুলের মাঠে অদৃশ্য হ্যান্ডেল ধরে যদি আবারো দৌড়াতে পারতাম।

21/10/2022

ভালো থাকবেন ম্যাডাম সবসময়।আপনার ছাত্রদের জন্য দোয়া করবেন।কলেজিয়েটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকাদের একজন আমাদের আলীয়া ম্যাডাম। ম্যাডাম গতকালকে রিটায়ার্ডমেন্টে চলে গেলেন।

আম্মুকে নিয়ে রচনা লিখেছি, চাইলে স্কিপ করতে পারেন

আজ আম্মুর রিটায়ারমেন্ট। দীর্ঘ একত্রিশ বছরের শিক্ষকতা জীবনের সমাপ্তি। স্কুলের নিজের নাম থেকে সবচেয়ে বেশি যে নামটা শুনতে হয়েছে তাহলো, তুমি আলীয়া ম্যাডামের ছেলে না? শুধু স্কুলে বললেও ভুল হবে স্কুল পেরিয়ে কলেজে এবং এখন ভার্সিটিতেও তা শুনতে পেতে হয় বহুবার। একজন আদর্শ শিক্ষিকা হিসেবে আম্মু সবার কাছে পরিচিত। ক্লাসে পরবর্তী টিচার আসার আগে আম্মু কখন রুম ছেড়ে যেত না (যার কারণে স্টুডেন্টরা অনেক বিরক্ত হত ,আমি সহ)। মা হিসেবে তেমন শাসন না পেলেও, শিক্ষিকা হিসেবে শাসন পেয়েছি বহুবার, এমনকি মার ও খেয়েছি। এত দীর্ঘ সময় শিক্ষিকার পেশায় থাকলেও কখনো কেউ আম্মুর উপর কথা বলার সুযোগ ও সাহস পায়নি। ঘরের ছোট ছেলে হওয়ার সুবাদে সব সময় আম্মুর ভালোবাসা আমি বেশিই পেয়ে এসেছি। বড় ভাইকে নোয়াখালীতে ডাক্তারি পড়তে পাঠালেও আমাকে আম্মু কিছুতে চট্টগ্রাম এর বাইরে যেতে দিতে রাজি নয়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কুয়েটে পড়ার ইচ্ছা আগাতে পারিনি। দরকারের সুবাদে হলে অবস্থান করলে, এমন কোন দিন থাকে না যেদিন আম্মু কল দেয় না। আদর্শ শিক্ষিকার পাশাপাশি আমার মা একজন রত্নগর্ভা। বড় মেয়ে শিক্ষিকা কিংবা বড় ছেলে ডাক্তার হওয়া নয়, আত্মীয়-স্বজন এবং সমাজে তাদের অবস্থান আদর্শ সন্তান হিসেবে রয়েছে, এটিই আমার মায়ের বিশেষত্ব । তার মাতৃত্বের গুণাবলী আমার বড় ভাই কিংবা বড় বোনের মত রত্ন গড়তে পেরেছে। মায়ের আদেশ আমি ভঙ্গ করেছি বহুবার কিংবা না বুঝে তার সঙ্গে অনেকবার বেয়াদবিও করেছি। আমার মা হওয়ার কারণে বহু জায়গা থেকে তাকে বহু কথা শুনতে হয়েছে আমার নামে। কিন্তু সব জায়গা থেকে আমি কেবল তার নামে প্রশংসাই শুনেছি।

আমার মা আমার গর্ব। ভালোবাসি তোমাকে আম্মু। আমাকে আজীবন এভাবে ক্ষমা করে দিও এবং চোখের মনি করে রেখো।

© Rafin(ম্যাডামের ছেলে)

05/10/2022

Happy Teachers Day

Photos from CHITTAGONG COLLEGIATE SCHOOL's post 24/09/2022

Down the memory lane

Death Anniversary:
Today 24/09/2022 is the 27th Death Anniversary of our beloved Ctg. Collegiates Md. Sadrul Pasha (CCS-1970) & Ctg College 1972 and 2 years MBBS study with CMC16, S/o Dr. B M Faizur Rahman & Selina Rahman. Let’s pray for him. May Allah grant Jannatul Ferdous for him... Ameen.

Post Courtesy : Mohammad Ali

10/09/2022

~ পাবলিক স্পিকিং কিংবা প্রেজেন্টেশন - কীভাবে বাজিমাত করবেন? ~
সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনো আমার মনে পড়ে। স্কুলের কোনো এক অনুষ্ঠানে আমাকে হঠাৎ করে স্কুলের হেডস্যার ঠেলে দিলেন মাইকের সামনে। কিছু একটা বলতে হবে।
কী তা মনে নাই। কিন্তু এটা মনে আছে, কী ভয়াবহ আতঙ্কে হাঁটু কাঁপছিলো, গলাটা এসেছিলো শুকিয়ে, আর একটি শব্দও মুখ থেকে বেরুচ্ছিলো না।

অথবা আরো একটা ভয়াবহ ক্ষণ, এসএসসি পরীক্ষার পরে স্ট্যান্ড করার কারণে বিটিভিতে সাক্ষাতকার। ঘুরেফিরে আমার উপরে ক্যামেরাটা পড়ামাত্র মগজ আর দেহ হয়ে গেলো অবশ, কোনোমতে হড়বড় করে কিছু একটা বলার পরেই ক্যামেরাটা সরতেই যেন জীবন ফিরে পেলাম।

কপাল ভালো লোডশেডিং এর মৌসুম হওয়াতে খুব বেশি কেউ সেই ভয়াবহ সাক্ষাতকারটা দেখেনি সেবার। মান সম্মান অল্পের জন্য হয়নি ফালুদা!
ঘটনা আসলে পাবলিক স্পিকিং এর ভীতি, জনসমক্ষে কিছু বলার আতঙ্ক।

এই আতঙ্কে ভুগেন না এমন মানুষ আছে কি?

বহু বছর পরে এখন আমি শিক্ষক হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ৩ ঘণ্টা এক ক্লাস শিক্ষার্থীর সামনে কথা বলি, তারা ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে সেই দৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে বলি।

এবং এখন আমি আত্মবিশ্বাসী যে, দুনিয়ার যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে দিলে যতক্ষণ চান ততক্ষণই বকবক করতে পারবো।

তো এই পরিবর্তনের রহস্যটা কী?

অধ্যাপনা পেশায় থাকার কারণে কথা বলতে বলতে এক সময়ে পাবলিক স্পিকিং এর মূল কয়েকটা ব্যাপার বুঝতে পেরেছি।

আপনিও পারবেন। খুব সহজ।

১) নার্ভাস হবেন না - বলা তো খুব সহজ, আসলে কীভাবে নার্ভাসনেস কাটাবেন? "ডরাইলেই ডর", এই মন্ত্রটা পড়েন, জপ করেন।

২) এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবেন না -- এক জায়গায় স্থবির হয়ে থাকার বদলে একটু নড়াচড়া করেন, হাত পা নেড়ে কথা বলেন। ঐটা করতে গিয়ে যে মনোযোগ দিতে হবে, তা করতে গিয়ে আপনি একটু অন্যমনস্ক হবেন। নার্ভাস ভাবটা ভাবার সময় পাবেন না।

৩) দাঁত কেলিয়ে হাসুন -- হাসি না পেলেও হাসি হাসি চেহারা করুন। আমাদের মনকে বোকা বানানো খুব সহজ, মুখটা হাসি হাসি করলে মনের কাছে "এখন হাসতে হবে" এই টাইপের মেসেজ মনে হয় যায়, নার্ভাসভাবটা কাটাবার এ এক ভালো উপায়।

৪) এক জায়গায় তাকিয়ে থাকবেন না -- ড্যাব ড্যাব করে তাকানো দর্শকের অভাব নাই। কোনো একজনের দিকে তাকিয়ে থাকলে একটু পরেই ভয় পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে গুরুস্থানীয় কারো দিকে। তাই সবার দিকে তাকান। ঘুরে ফিরে।

৫) রচনা শেখার মহাপ্রয়োগ -- আমি এসএসসি পরীক্ষার সময়ে ১টি মাত্র রচনার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ক্যামনে কী? আসলে রচনার একটা কমন ফরমুলা বের করে নিয়েছিলাম, সেই রচনা গরু রচনাই হোক কিংবা সময়ের মূল্য, শুরুর বাক্য এক, পরের অংশের কথাবার্তাও এক, এবং শেষের অংশটাও এক। খালি মাঝে রচনা বুঝে গরুর উপরে কিংবা সময়ের উপরে কিছু একটা।

পাবলিক স্পিকিং ও তাই। ভাষণের একটা কমন ফরম্যাট ঠিক করে রাখেন। তার পর যথাস্থানে যা দরকার যোগ করে দেন। কয়েকবার এইভাবে বলার পরে আর সমস্যা হবে না। আমার স্কুলের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক খালেক স্যার যেমন সব ভাষণ শুরু করতেন "আইজকের এই মহতি সভায় ... ইত্যাদি ইত্যাদি"। সেরকম একটা ফরম্যাট ঠিক করে কয়েকবার অনুশীলন করে ফেললেই ব্যাপারটা আয়ত্বে আসবে।

৬) না জানলেও সমস্যা আছে কি? -- বান্দরবানের পশুপাখি কিংবা ছাগলনাইয়ার ছাগলের উপরে আপনি কি তেমন কিছুই জানেন না? স্বীকার করেই নেন সেটা কথায়। এর পাশাপাশি যা জানেন, তা নিয়ে কিছু বলে ফেলেন। বলার কায়দাটাই আসল। হাসি মুখে যা বলবেন, বেয়াড়া রকমের অসংলগ্ন কথা না হলে ধাওয়া খাবেন না তার জন্য।

এবারে কি সাহস ফিরবে আপনার জনসমক্ষে কথা বলতে? অবশ্যই ফিরবে। ১০০% নিশ্চয়তা দিতে পারি। চেষ্টা করেই দেখুন। আজকেই।

© Ragib Hasan
#এলোচিন্তা #মনপ্রকৌশল

17/08/2022

Down the memory lane.. Football team of Chittagong Collegiate School 1979.
Photo courtesy : farid uddin mahmood
Do you have old snap of football team of your time?

16/08/2022

~ স্মৃতির পাতায় চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল~
- Ragib Hasan
খুব ছোট্টবেলায় একদিন দেখলাম, হৈচৈ পড়ে গেছে আমাদের পাড়ায়, কারণ সেবার (১৯৮৫) আমাদের বাসার কাছেরই একজন ছাত্র পুরো কুমিল্লা বোর্ডে প্রথম স্থান পেয়েছেন। তখন বোর্ড স্ট্যান্ড কী, আর কুমিল্লা বোর্ডই কোথায়, তা বোঝার বয়স আমার হয়নি, কিন্তু মনে দাগ কেটে গিয়েছিলো সেই ছাত্রটির স্কুলের নাম – চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। সেই বয়সেই পণ করেছিলাম, বড় হয়ে এই স্কুলটিতে পড়তেই হবে।

এক সময় স্বপ্নের সেই কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হলাম আমিও। ক্লাস সিক্সেই ভর্তি হবার কথা ছিলো, ভর্তি পরীক্ষার বৈতরণী পেরিয়ে নির্বাচিতও হয়েছিলাম দিবা-শাখায়, কিন্তু তার অল্প কিছুদিন আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ায় অত দূরের স্কুলে আর বাবা মা যেতে দেননি। বছর তিনের পরে ক্লাস নাইনে গিয়ে আবারও পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হই কলেজিয়েটে।

আমাদের সময়েই প্রথম ক্লাস নাইনে ই-সেকশন খোলা হয়। অর্ধেক নতুন ছাত্র, আর বাকিরা অন্য বিভিন্ন সেকশন থেকে আসা। অন্য সব সেকশনের চরম দুরন্ত সব ছাত্রদের নির্বাসন এই ই-সেকশন। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ ছাত্রদের কারণে কলেজিয়েটে আমার সময়টা কেটেছে খুব মজার সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। ক্লাসে যেমন পড়াশোনায় অতিমগ্ন ছাত্রের ঘাটতি ছিলোনা, তেমনি ক্রিকেট খেলায় চরম দক্ষ, কিংবা দুই ক্লাসের বিরতির মাঝে বেঞ্চে তবলা বাজিয়ে গলা ছেড়ে গান গাওয়া গায়কও ছিলো। তাই সব সময় আমাদের ই-সেকশনটি হয়ে থাকতো সরগরম, জমজমাট।

মাধ্যমিক পর্যায়ের সেরা শিক্ষকদের সান্নিধ্য পেয়েছিলাম কলেজিয়েটে। সাত্তার স্যার ছিলেন শ্রেণী শিক্ষক, আর পরে কাদের স্যার। শামসুল মতিন স্যার, মোহনলাল স্যার, জহিরুল হক স্যার, আজিজ স্যার, আর বিমল কান্তি বড়ুয়া স্যারের আদর মাখা শাসনের কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে স্কাউট দলের কথা, মিলাদের সেই বিশাল খাবার দাবার হাপুস হুপুস করে খাবার কথা, আরো অনেক অনেক স্মৃতি। স্কুলের খেলার দিনে স্টেডিয়ামে গিয়ে জয়ধ্বনি দিয়ে গলা ভাঙা, জাতীয় প্রতিযোগিতায় স্কুলের পক্ষ থেকে অংশ নেয়ার সেই উত্তেজনা, তা কি আর ভোলা যায়?

সোনালী সেই দিনগুলোর শেষে ১৯৯৪ সালে এসএসসি পাস করি, সেবছর কলেজিয়েট স্কুল এসএসসিতে সর্বকালের সবচেয়ে ভালো ফল করে। বিজ্ঞান বিভাগে কুমিল্লা বোর্ডে ১ম ৪টি স্থানই পায়, এছাড়া মেধা তালিকায় সম্ভবত ১৫ জন স্থান করে নিয়েছিলো। এক স্কুলের এরকম ভালো ফল পুরো দেশেই ছিলো অদ্বিতীয়।

প্রিয় কলেজিয়েট স্কুলের সেই কয়েকটি বছর সারাজীবন মনে থাকবে। পরবর্তীতে প্রকৌশল শিক্ষার সময়ে সাথে পেয়েছি আমার কলেজিয়েটের প্রচুর বন্ধুকে। সময়ের সাথে সাথে চট্টগ্রাম শহর ছেড়েছি, কিন্তু আজও দেশে বেড়াতে গেলে আইসফ্যাক্টরি রোডে একবার ঢুঁ মারি। দেখে আসি আমার প্রিয় এই শিক্ষানিকেতনকে। বাইরে থেকে দেখতে পাই, নতুন প্রজন্মের ছাত্রদের কলতান, মনে পড়ে আমার কৈশোরের সেই সোনালী দিনগুলোর কথা, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের করিডোরে কেটে যাওয়া স্মৃতিময় ক্ষণ।

আজ আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের অনেকেই আর কলেজিয়েটে নেই। কিন্তু শিক্ষাজীবন শেষ করে এটা উপলব্ধি করতে পারি, জ্ঞানের যে বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছিলেন সেই শিক্ষাগুরুরা, তা আমার পরবর্তী জীবনের পাথেয় হয়ে থেকেছে। আমার প্রিয় কলেজিয়েট স্কুলের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি, সেই সাথে কলেজিয়েট স্কুলের সব শিক্ষক এবং ছাত্রদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। কলেজিয়েট স্কুলের মনোগ্রামের লেখাটার কথা মনে পড়ছে – Truth Shall Prevail – সত্যের মৃত্যু নেই। এই মহান বাক্যটিকে সঙ্গে নিয়ে কলেজিয়েট স্কুল এগিয়ে যাক উত্তরোত্তর সাফল্যের পথ ধরে, স্রষ্টার কাছে এই রইলো প্রার্থনা।

09/08/2022

" আমাদের দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করে প্রায় বারোশো মানুষ। চীনে কত? আমেরিকায় কত? ইউরোপে কত? এই যে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ করছে ওদের কত? নিজেদের ধ্বংস করে আবার নিজেদের নির্মাণ করার মতো সম্পদ এদের সবার আছে। আমাদের সেই বিলাসিতার সুযোগ নেই। ভাবতে অবাক লাগে পাকিস্তানের নতুন প্রজন্ম যেখানে দাবী করে আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও সেখানে আমাদের কেউ কেউ কামনা করে আমাদেরকে শ্রীলংকা বানিয়ে দাও! চীন, ভারতের অর্থনীতি বিশাল। এই কারনে যে কোন অর্থনৈতিক শক সহ্য করার সক্ষমতা ওদের অনেক বেশি। আমাদের অর্থনীতির আকার তুলনায় ছোট। করোনার ধাক্কায় টালমাটাল অর্থনীতি যখন গতিতে ফিরছিলো তখন শুরু হয়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। সারা পৃথিবী আজ এক অনিশ্চিত সময়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে। এ সময় অবশ্যই আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে। গ্রহন করতে হবে সর্তক পদক্ষেপ। "

গত পরশু কুমিল্লায় এক কর্মশালায় কথাগুলো বলছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। আমার স্মরণশক্তি তেমন ভালো না। তাই শব্দচয়নগুলো এদিক ওদিক হতে পারে। কিন্তু মূল ভাব এমনটাই। তাঁর গোছানো বক্তব্য বরাবরের মতই নম্র, মার্জিত কিন্তু এর ভেতরও একটা কঠোরতা আছে। ইতিপূর্বে শ্রমিক সংকট মোকাবিলার জন্য তিনি কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার উৎসাহিত করেছেন। যার ফলাফলে ফসলের মাঠে এখন কম্বাইন হারভেস্টারের ব্যবহার দেখা যায়। গেলবার হাওরে বন্যার সময় ধান কাটতে অসংখ্য কম্বাইন হারভেস্টারকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠানো হয়েছিল হাওর এলাকায়। যুদ্ধক্ষেত্রে ওরা ট্যাংক পাঠায় মানুষ হত্যা করতে। আর আমাদের দেশে ট্যাংকের মতই বিশালদেহী যন্ত্রগুলো ছুটে গেছে ধান কাটতে, মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করতে।

ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করলে পুরো দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানো প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল। ফলাফলে চট্টগ্রামের মত জায়গাতেও আজ পেঁয়াজ চাষ হয়। ফরিদপুরের এক কৃষাণী সাহিদা বেগম পেঁয়াজের বীজ বিক্রি করে হয়ে গেছেন কোটিপতি।

তাঁর এবারের উদ্যোগ ভোজ্যতেলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সরিষা আাবাদ বৃদ্ধির জন্য তিনি ছুটে চলেছেন দেশের নানা প্রান্তে। সরিষার পাশাপাশি বাদাম, সূর্যমুখী, সয়াবিন, তিলের আবাদ বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন, দেখাচ্ছেন এবং সে জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে অনুপ্রাণিত করছেন। ফলাফল অচিরেই হয়তো দেখা যাবে।

কেউ ভাবেনি বাংলাদেশ কোনদিন এক ছটাক চাল রপ্তানি করবে, প্রাকৃতিক দূর্যোগে অন্য দেশকে খাদ্য সহায়তা করতে সক্ষম হবে। এই না ভাবনার জায়গাগুলো বাংলাদেশের কৃষি করে দেখিয়েছে। কে জানে হয়তো আমরা একদিন ভোজ্যতেল রপ্তানিও করবো।

কৃষিমন্ত্রী মহোদয় বাংলাদেশের একজন অন্য রকম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মানুষের ইতিহাস আর অভিজ্ঞতা শোনাটা আমার প্রিয় কাজ। এমনি এক অভিজ্ঞতা শোনার সময় উনার সম্পর্কে তাঁর সাথে ছাত্র রাজনীতির এক সঙ্গী একবার বলেছিলেন, বুঝলেন সরোয়ার সাহেব আমরা তো ঘোরাঘুরি করে সময় নষ্ট করতাম। কিন্তু আমাদেরকে ঘোরাঘুরি করতে দিতেন না। প্রায় প্রতিদিনই হলে ফিরে উনি আমাদের রুমগুলোতে উঁকি দিতেন। বলতেন, পড়। পড়। পড়াশোনা না করলে ভবিষ্যৎ খারাপ।

আরেক মরহুম সিনিয়র অফিসার বলেছিলেন, ভীষন সময় মেনে চলেন রাজ্জাক ভাই। তাঁর সাথে ঢাকায় এক ট্রেনিং এ কয়েকদিন ছিলাম। উনি প্রতিদিন ঠিক সময়ে ক্লাশে এসে বসে থাকতেন তা কেউ থাকুক বা না থাকুক। একবারের জন্যও উনাকে হাসিমুখ ছাড়া অন্য মুখে কথা বলতে দেখিনি। কিন্তু হাসতে হাসতেই এমনভাবে ভৎসর্না করতেন যে তা শুনতে কেউই চাইতেন না।

কৃষিবিদ হবার সুবাদে আমাদের অগ্রজ রাজনীতিবিদদের অনেকের সম্পর্কেই তাদের ছাত্র রাজনীতিব কথা শুনেছি। কেউ হয়তো চাকুরি ছেড়ে সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কেউ হয়তো ভীষনভাবে নির্যাতিত হয়েছেন ভিন্নমতের দ্বারা। সকলের জীবনই নানা অম্ল মধুর স্মৃতিতে ভরপুর। আবার রাজনীতিবিদদের প্রতি এক ধরনের নেতিবাচক প্রচারনা আছে সমাজে। আমরা হা হুতাশ করি কেন মেধাবীরা ছাত্র রাজনীতিতে আসে না। কেন তারা জাতীয় পর্যায়ে যায় না। কিন্তু যারা যায় তাদের কি আমরা মূল্যায়ন করি? আমাদের কৃষিমন্ত্রী মহোদয়ের কথাই ধরুন। তিনি ছাত্র জীবনে রাজনীতি করেছেন। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সেক্রেটারি হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তার ছাত্ররাজনীতির সময়ে কৃষিবিদদের চাকুরির প্রারম্ভিক স্তরকে প্রথম শ্রেনীর মযার্দা দেওয়া হয়। তারপর গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি করেছেন। পেশাজীবীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সক্রিয় রাজনীতি করে আজ তিনি সরকারের নীতি নিধার্রনী জায়গায় অবস্থান করছেন। একজন ছাত্র নেতার ধাপে ধাপে জাতীয় পযার্য়ের নেতৃত্বে পরিনত হওয়ার এমন চমৎকার চিত্রনাট্য যে কোন কাহিনীকারের কল্পনাকেও হার মানায়। কিন্তু এমন উদাহরন অন্য অনেক উদাহরনের মত আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরেই থেকে যায়।

আমাদের সংকট আমাদেরকেই মোকাবিলা করতে হবে। কেউ করবে না। করে দেবেও না। যাদের পাসপোর্ট একটাই আর যাওয়ার জায়গা নেই তাদের সকল সংকটে জয়ী না হওয়ার বিকল্প কোন অপশনও নাই। জয়ী হওয়ার জন্য ইলন মাস্ককে না দেখে আশেপাশের সেই নারীদের দেখুন যাদের কেউ নেই। সম্পত্তি নেই। ঘরের কোনায়, পুকুরপাড়ে কয়েকটা পেঁপে, ধুন্দল, লাউ, কুমড়া গাছ লাগিয়ে নিজে খায়। এগুলোই বিক্রি করে চাল কেনে। মাঝে মাঝে তেল, নুন, পান বা ডিম কেনে। কোন সম্পদ ছাড়াই টিকে থাকা এ মানুষরাই আমাদের পথ দেখায় কিভাবে টিকে থাকতে হয়। আমরা টিকে আছি। টিকে থাকবোও।

লিখেছেন Kausar Sarwar.. Batch 99

Want your school to be the top-listed School/college in Chittagong?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Website

http://ctg.oldcollegiates.com/

Address


Chittagong Collegiate School, Ice Factory Road, Chattogram
Chittagong
4000

Opening Hours

Monday 07:30 - 16:30
Tuesday 07:30 - 16:30
Wednesday 07:30 - 16:30
Thursday 07:30 - 16:30
Saturday 07:30 - 16:30
Sunday 07:30 - 16:30

Other High Schools in Chittagong (show all)
Bangladesh Bank Colony High School (Agrabad,Chittagong) Bangladesh Bank Colony High School (Agrabad,Chittagong)
Bangladesh Bank Colony, Agrabad
Chittagong, 4100

UnOfficial page.. Bangladesh Bank Colony High School....

Sunshine Grammar School Sunshine Grammar School
House # 11, Road # 1, Nasirabad H/S
Chittagong, 4000

Sunshine Grammar School, established in 1985, is the first international school in Chattogram.

Alumni of CPA High School, Chittagong Alumni of CPA High School, Chittagong
Chittagong Port Authority, P. O. Bandar
Chittagong, 4100

Port Authority High School, Chittagong, (earlier Port Trust High School) is a renowned prestigious educational institution established in 1959.

CHITTAGONG CANTONMENT PUBLIC COLLEGE CHITTAGONG CANTONMENT PUBLIC COLLEGE
Oxygen, Chittagong Cantonment
Chittagong, 4209

Chittagong Steel Mills High School Chittagong Steel Mills High School
KEPZ Road
Chittagong, 4204

Welcome to the official page of Chittagong Steel Mills High School.

Garibe Newaz High School Garibe Newaz High School
Chittagong

This is the Official Page of Garibe Newaz High School. It is the best school of the HALISHAHAR . It

Victory Model High School Victory Model High School
Victory Model High School, Pahartali
Chittagong, 4207

All students and ex students of Victory Model High School are requested to share their school life a

European Grammar School - National Curriculum European Grammar School - National Curriculum
House #45, Road #04, O. R Nizam Road R/A
Chittagong, 4203

Welcome to EUROPEAN GRAMMAR SCHOOL - National Curriculum (English Version).

Chittagong Engineering University School & College "S.S.C-Two Zero" Chittagong Engineering University School & College "S.S.C-Two Zero"
Cuet, Raozan
Chittagong, 4349

একই অনুভূতি প্রতিটি স্পন্দনে বিঁধে রয়, অমৃতই যেন মোদের বন্ধনের সমন্বয়।

বিসিএসআইআর ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিসিএসআইআর ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
Mubarak Road (Opposite Of BRTA), Chittagong Cantonment, Chittagong-4220
Chittagong

School Code: 3229, EIIN No: 104435

Gomdandi Pilot Model High School Vocational Department Gomdandi Pilot Model High School Vocational Department
Haola DC Road, Boalkhali Pouroshava, Chattogram
Chittagong, 4366

This is the educational Institute