Beraj Devotional Vlogs

#ইসকন খারাপ আপনাদের কাছে তাই তো???

ইসকন এর মানুষ সত্যিই সবার ব্রেন ওয়াশ করছে!!!
সত্যিই ইসকন খারাপ....
নাহলে ভাবুন যারা দিন রাত টাকা,মদ,অবৈধ সঙ্গ,হিংসা, লোভ, এইসবের পিছনে পড়ে থাকে তারা কিভাবে কৃষ্ণর ভক্ত হয়ে যাচ্ছে!!!
-- সারা পৃথিবীতে হাজার হাজার মন্দির তৈরি হচ্ছে!!!
-- সারা পৃথিবী আজ সনাতন ধর্মাবলম্বী হচ্ছে!!!
-- গীতার জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ছে সকলের মাঝে!!!
--নতুন প্রজন্ম নিজেদের জীবনকে সাজিয়ে নিচ্ছে ভগবত ভাবনাময় করে!!!
--স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী যে বয়সে আড্ডা,পার্টি বারে যাবে সেই বয়সে মন্দিরে যাচ্ছে!!!

--দিন রাত ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম না করে হরির নাম জপ করছে!!!

-- মাছ মাংস দিয়ে পার্টি করা ছেড়ে প্রসাদ পাচ্ছে!!!
-- Depression থেকে বের হয়ে আনন্দের সাথে জীবন এ এগিয়ে যাচ্ছে!!!
-- বৃদ্ধ বয়সে আপনার সন্তান আপনাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখতে যাচ্ছে না!!!
-- এত অল্প বয়সে দীক্ষা গ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করছে!!!
-- ধুতি পরতে পারে তিলক করতে পারে মৃদঙ্গ বাজাতে পারে করতাল বাজাতে পারে হারমোনিয়াম বাজিয়ে কীর্তন করে কীর্তনের তালে নৃত্য করে কোন ডিজে গানে নয়!!!
এইসব অভ্যাস তো ইসকন এর মানুষ রাই করাচ্ছে। তাই ইসকন খারাপ এদের কাছে, যাদের বলা হয়েছে অশুর।আর শুর তো সেই যে সব সময় ভগবানের নাম নিবে অন্যকেও ভগবানের কথা বলবেন ।
Beraj Devotional Vlogs
#হরেকৃষ্ণ #সনাতন #হরিনাম

🙏🏻স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে—- “অব্রতেন ক্ষিপেদ যন্ত মাসং দামোদর –প্রিয়ম। তির্যগমোনীমবাপ্ লোতি সর্ব ধর্ম বহিস্কৃতঃ।।স ব্রহ্মহ স গোঘ্নশ্চ স্বর্ণস্তেয়ী সদানুতী। নকরোতি মুণিশ্রেষ্ঠ যো নঃ কার্ত্তিকে ব্রতম।। হে মুণিশ্রেষ্ঠ নারদ! ভগবান শ্রী দামোদরের প্রিয় কার্ত্তিক মাস যে ব্যক্তি বীণা নিয়মে অতিবাহিত করে সে সর্বধর্ম বহিস্কৃত ও তীর্যক যোনী প্রাপ্ত হয়ে থাকে।যে ব্যক্তি কার্ত্তিক ব্রত পালন করে না, সে ব্রহ্মঘাতী, গো ঘাতী,স্বর্ণ অপহারী ও সদা মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে। দামোদর আরতি নিবেদনের নিয়ম : ঘৃত বা তিলের তৈল যুক্ত কর্পূর মিশ্রিত প্রদীপ দ্বারা ভক্তি সহকারে ভগবানের চরণে চার বার,নাভি দেশে দুই বার, মুখ ম-লে তিনবার এবং সর্বাঙ্গে সাতবার ডানদিক থেকে প্রদীপ ঘুরিয়ে আরতি করুন♥️

#হরিনাম #সংকীর্তন #হরেকৃষ্ণ #সনাতন #হিন্দু #গোপাল

২০ তারিখে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দূর্গা পূজা🥀

𝗕𝗹𝗲𝘀𝘀𝗶𝗻𝗴 𝘆𝗼𝘂𝗿 𝗧𝗶𝗺𝗲𝗹𝗶𝗻𝗲 ❤️
🔴 দুর্গাপূজায় মদপান করে মাত-লামি নয়
🔴 কেন ইসকন কার্যক্রম স্বচ্ছ ? ✅

ইসকন একটি বিশ্বনন্দিত, বিশ্বস্বীকৃত সনাতন ধর্মীয় আন্তর্জাতিক সংস্থা। সারা বিশ্বের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ সর্বদা ইসকনের ভূয়সী প্রশংসা করলেও বাংলার কিছু অল্পজ্ঞানী লোকেরা ইসকনের দোষ খুঁজে বেড়ায়।

কিন্তু প্রতি বছরে ইসকনের শতাধিক কার্যক্রম ও বড় অনুষ্ঠান আয়োজিত হলেও সরকারি ও প্রশাসনিকভাব স্বচ্ছতার কৃতিত্ব থাকে ইসকনের। ✅ সনাতনধর্মের মান ও সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে উত্তরোত্তর উজ্জ্বল করছে ইসকন। ✅

কিন্তু বছরে একবার দুর্গাপূজার আয়োজন করে কেন এই অসম্মান? কেন এই প্রশ্নবিদ্ধতা? ⁉️

‘‘মন্দিরে ধর্মীয় ভাবাবেগ ধরে রাখতে হবে। মদপান করে মন্দিরে মাত-লামি করলেই আইনের আওতায় আনা হবে।’’

প্রশাসনিক এমন সিদ্ধান্ত সঠিক এবং সময়োপযোগী ও পূর্ণ সমর্থনযোগ্য। 🙏🙏

সনাতনীরা আর কত নিজেদের ধর্মকে অন্যের কাছে পরিহাসের পাত্র বানাবেন?! সকলে সচেতন হোন।
দুর্গা পূজো আসছে...
ম দ খেয়ে মন্দিরে গিয়ে, DJ বাজিয়ে মায়ের সামনে রাক্ষসনৃত্য করে নিজেকে অসুর প্রমাণ করবেন না।❌

🔹ধর্মের প্রতি একটু শ্রদ্ধা দেখান।🙏

রাজসিক নয়, তামসিক নয়, সাত্ত্বিক দূর্গা পূজা হোক বাংলায় হরেকৃষ্ণ!!

#দুর্গাপুজা২০২৩











হরে কৃষ্ণ লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকবেন হরে কৃষ্ণ 🙏🏻♥️🌺

আমরা জীবিত সত্তা সবাই ঈশ্বরের পুত্র, কিন্তু আমরা এটি ভুলে গেছি, তাই আমরা যুদ্ধ করছি।

সুখী সংসারে সব ছেলেই জানে, “বাবা আমাদের সবাইকে খাবার জোগায়। আমরা ভাই, তাহলে যুদ্ধ করব কেন? একইভাবে, আমরা যদি ভগবান সচেতন হই, কৃষ্ণভাবনা করি, জগতে যুদ্ধের অবসান ঘটবে। "আমি আমেরিকান," "আমি ভারতীয়," "আমি রাশিয়ান," "আমি চাইনিজ" - এই সমস্ত অর্থহীন উপাধি শেষ করা হবে। কৃষ্ণ চেতনা এতটাই শুদ্ধ যে যত তাড়াতাড়ি মানুষ কৃষ্ণ সচেতন হবে তাদের রাজনৈতিক এবং জাতীয় লড়াই অবিলম্বে শেষ হয়ে যাবে, কারণ তারা তাদের আসল চেতনায় আসবে এবং বুঝতে পারবে যে সবকিছুই ভগবানের। একটি পরিবারের সন্তানদের পিতার কাছ থেকে বিশেষাধিকার গ্রহণ করার অধিকার রয়েছে। একইভাবে, প্রত্যেকেই যদি ঈশ্বরের অংশ এবং পার্সেল হয়, যদি প্রত্যেকেই ঈশ্বরের সন্তান হয়, তবে প্রত্যেকেরই পিতার সম্পত্তি ব্যবহার করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার শুধু মানুষের নয়; বরং, ভগবদ্-গীতা অনুসারে, সেই অধিকার সমস্ত জীবের জন্য, তা নির্বিশেষে যে তারা মানুষ, পশু, গাছ, পাখি, পশু, কীটপতঙ্গ বা অন্য কিছুর দেহেই থাকুক না কেন। সেটা হল কৃষ্ণভাবনা।

👉 সর্বধর্ম পরিত্যাগ করে একমাত্র কৃষ্ণের স্মরণ গ্রহন করুন। ডানে, বামে, আর কোনো ফিলোসোফি মাথায় নেওয়ার দরকার নেই।

গোবিন্দাম্ আদিপুরুষাম্ তমহম্ ভজামি..

কৃষ্ণ ভজ জীব
আর সব মিছে
পালাইতে পথ নাহি
যম আছে পিছে।

𝗕𝗹𝗲𝘀𝘀𝗶𝗻𝗴 𝘆𝗼𝘂𝗿 𝗧𝗶𝗺𝗲𝗹𝗶𝗻𝗲 ❤️😇
❤❤❤❤❤❤

জয় অমল পুরাণ শ্রীমদ্ভাগবতম কি?জয়🙏💝

💐প্রকৃতপক্ষে, ভাগবত মাহাত্ম্যে বলা হয়েছে যে, আমরা যদি অধ্যয়ন করি যদি আমরা শ্রীমদ্ভাগবতের কিঞ্চিত অমৃত আস্বাদন করি, তাহলে কত অমৃত সেখানে আছে তার কোন সীমা নেই।
💐এক সেট শ্রীমদ্ভাগতম যদি কোন গৃহে থাকে, তাহলে সেই গৃহ তীর্থে পরিণত হয়। কারণ সেই গৃহে ভগবান আছেন।
💐শ্রীমদ্ভাগতম গ্রন্থকে যে হেঁটে পরিক্রমা করে প্রতি পদক্ষেপে তার অশ্বমেদ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
💐শ্রীমদ্ভাগবতম যার গৃহে আছে তার গৃহে যম প্রবেশ করতে পারে না।

⚜️জয় গ্রন্থরাজ শ্রীমদ্ভাগতমের জয়🙏💐
#ভাগবত #গ্রন্থ #অমল #পুরান

মলিনে মোচনং পুংসাং জলস্নানং দিনে দিনে।
সকৃদ্ গীতামৃতস্নানং সংসারমলনাশনম্।।৩।।
অনুাবদঃ প্রতিদিন জলে স্নান করে মানুষ নিজেকে পরিচ্ছন্ন করতে পারে, কিন্তু কেউ যদি ভগবদ্ গীতার গঙ্গাজলে একটি বারও স্নান করে, তা হলে তার জড় জীবনের মলিনতা একেবারেই বিনষ্ট হয়ে যায়🙏🏻🌺
𝗕𝗹𝗲𝘀𝘀𝗶𝗻𝗴 𝘆𝗼𝘂𝗿 𝗧𝗶𝗺𝗲𝗹𝗶𝗻𝗲 ❤️
Beraj Devotional Vlogs
❤❤❤❤❤❤

🙏🏻 কর্মজীবন Vs ভক্তিজীবন 🙏🏻

" কাজের pressure পড়লে বুঝবি, ভক্তি কোন পথ দিয়ে পালায়... "

-----আমার বন্ধু-মহলের বচন

আজ থেকে ৪ বছর আগে কাকার হাত ধরে আমার ভক্তি জীবনে প্রবেশ।
তখন আমি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ছি ( 1st semester )। উনার সাথে সেখানে থাকা এবং আমার প্রিয় রুপেশ্বর নিতাই দাস ব্রহ্মচারী প্রভুর বিশেষ ক্লাস এবং ভক্ত সংঘ জীবনের অনেকখানি মোড় বদলালো। আগের মতো বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা, অকারনে shopping mall ঘোরা, flirting হঠাৎই ভালো না লাগতে শুরু হলো। প্রথমটায় বুঝিনি এসবের কারন। তারপর কাকা ও প্রভুর কথা মতো অনিচ্ছা থাকা সত্বেও গীতা পড়তে শুরু করলাম। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বিষয়টা বেশ ভালো লাগতে শুরু হলো। তারপর শুরু করলাম research... প্রথমে গীতা, পরে ভাগবৎ, চৈতন্য চরিতামৃত, ভক্তিরসামৃত সিন্ধু...

🔘 মনে হলো- " জীবনের ধারা এক, আর আমরা নিয়ে যাচ্ছি আরেকভাবে। "

এভাবে আরও একটা বছর কেটে গেলো। ততদিনে বাবা-মায়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ২০২২ এর ৬ আগষ্টে আশ্রিত হলাম গুরুমহারাজের অশেষ কৃপায় 🙏

Diploma Automobile নিয়ে Engineering college এ পড়ি সেখানেও অনেকে অনেক রকমের বলে - ✔আমি এত কম বয়সে এসব ঠাকুর দেবতা নিয়ে কেন পড়লাম,
✔এত সব খাবার থাকতে এসব শাকপাতা কেন..
✔তাহলে তো তোর আর বিয়ে হবে না..
✔হ‍্যাঁ রে তোকে ওই সব মালা গুনতে ( জপ) হয় ?
✔বাইরে গেলে কি করিস..
✔এসবের কি দরকার ছিলো, দিব্বি তো ভালো ছিলি...

⏭ না! ভালো ছিলাম না। এখন ভালো আছি 😊

এসব জড়জাগতিক বাদ দিলে আসল উদ্দেশ্যে নিজের স্বধামে ফিরে যাওয়া। ভগবানের অশেষ কৃপায় দুদিক খুব সুন্দর ভাবে maintain হচ্ছে, আর আপনাদের কৃপায় হবেও 😊🙏

🔘 বার্তা কেবল এই যে -

" জড়জাগতিক কাজের দোটানায় আমাদের জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কখনও ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়।"

💝🌼🙏Hare Krishna🙏🌼💝
#সনাতন #সংকৃতি

বৈষ্ণবের প্রধান লক্ষণ ✔️

শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর মন্তব্য করেছেন যে , সরলতা —বৈষ্ণবের প্রধান লক্ষণ এবং কপটতা - ভক্তির বিরোধী উপশাখা বিশেষ । কৃষ্ণের প্রতি আসক্তির ফলে জড় বিষয়ের প্রতি বিরক্ত হয়ে ভক্ত কৃষ্ণসেবার প্রতি অনুরক্ত হতে থাকে । কিন্তু কেউ যদি জড় বিষয়ের প্রতি অনাসক্ত না হওয়া সত্ত্বেও উত্তম ভক্তির অভিনয় করে তাহলে তা প্রতারণ এবং লোকে তার ব্যবহারে শ্রদ্ধা করতে পারে না । -

FOLLOW : Beraj Devotional Vlogs

ব্রজ-বাসীদের দাসেরা শ্রীল প্রভুপাদ, তাদের গুরু এবং বৈষ্ণবদের আদেশ নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করে, এবং যখন এই ভৃত্যরা আত্মসমর্পণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তখন তাদের পবিত্রতা সমস্ত কিছু প্রকাশ করে।

শ্রী কৃষ্ণের স্মরণের মধ্যে রয়েছে ব্রজ-বাসী এবং তাঁর প্রতি তাদের সেবার কথা স্মরণ করা, যা ধীরে ধীরে ভগবানের সেবা করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করে যেমন ব্রজ-বাসিরা করে। সময়ের সাথে সাথে, আমাদের তীব্র আকাঙ্ক্ষা কৃষ্ণের একজন সহযোগীর মতো মেজাজ ধারণ করে, এবং যখন সেই মেজাজ পরিপক্ক হয়, আমরা একটি নির্দিষ্ট গোপ বা গোপীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় সেবা করব।

পরিপূর্ণতার সেই পর্যায়ে আমরা গোলোক বৃন্দাবনের অতীন্দ্রিয় প্রকৃতি উপলব্ধি করি, সেইসাথে আধ্যাত্মিক আকাশে রাধা এবং কৃষ্ণের ব্রজ-বাসি সহচর হিসাবে আমাদের আধ্যাত্মিক পরিচয়।
Servants of the Vraja-vāsīs diligently follow the orders of Śrīla Prabhupāda, of their gurus, and of the Vaiṣṇavas, and when these servants pass the tests of surrender, their purity reveals all things.

Remembrance of Śrī Kṛṣṇa includes remembering the Vraja-vāsīs and their services to Him, which in turn gradually awakens an intense desire to serve the Lord as the Vraja-vāsīs do. With time, our intense desire takes on a mood similar to that of one of Kṛṣṇa’s associates, and when that mood matures, we will serve under the direct guidance of a particular gopa or gopī.

At that stage of perfection we realise the transcendental nature of Goloka Vṛndāvana, as well as our spiritual identities as assistants to Rādhā’s and Kṛṣṇa’s Vraja-vāsī companions in the spiritual sky.

আমি কিছু চাই না 🙏🏻
সবসময় তোমাকে চাই কারণ তুমিই সবকিছুর পরম নিয়ন্ত্রা🙏🏻

ভাগবতম্ আমাদের কাছে কীভাবে আসলো

১. ভগবান বিষ্ণু সর্বপ্রথম ৪ টি শ্লোক বলেছিল ব্রহ্মাকে।

২. ব্রহ্মা সেই ৪ টি শ্লোককে ১০ টি শ্লোক দিয়ে নারদ মুনিকে দিলেন।

৩. নারদ তার শিষ্য ব্যাসদেবকে ১০০ টি শ্লোক আকারে পাঠ করে শুনালেন।

৪. ব্যাসদেব কলিযুগের মানুষদের কথা চিন্তা করে সেই ১০০ টি শ্লোককে ১৮ হাজার শ্লোক আকারে লিখে তা শুকদেবকে শুনালেন।

৫. সেই ১৮ হাজার শ্লোককে শ্রীল প্রভুপাদ আমাদের মতো মন্দ বুদ্ধি সম্পন্ন লোকদের কথা চিন্তা করে ১৮ হাজার কোটি শব্দে ব্যাখ্যা করেছেন।

ভক্তি বিজয় ভাগবত স্বামী মহারাজ🌺🙏🏻

আসুন তুলসী মহিমা সম্পর্কে জানি আজকে এবং অন্য জনকে ও জানার সুযোগ করে দি🌺👇

জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার পর যখন তাঁরা পনের দিনের জন্য 'অসুস্থ' হন তাঁদের দর্শন বন্ধ থাকে, তখন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু পুরী মন্দির থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে যেতেন, যেখানে “আলারনাথ” নামে একটি বিষ্ণু মন্দির ছিল। সেটি ব্রহ্মগিরি মন্দির নামে পরিচিত। সেখানে ব্রহ্মা ভগবানকে সন্তুষ্ট করার জন্য বহুকাল পূর্বে তপস্যা করেছিলেন। সেই মন্দিরে শ্রীআলারনাথ বা চতুর্ভুজ বিষ্ণু স্বয়ং প্রকাশিত বিগ্রহ।

জগন্নাথের ১৫ দিন অনবসরকালে শ্রীচৈতন্যদেব আলারনাথ মন্দিরে শ্রীবিগ্রহকে প্ৰণতি নিবেদন করতেন। সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম - দণ্ডের ন্যায় সোজা হয়ে প্রণাম। তিনি এতটাই জগন্নাথের বিরহ অনুভব করছিলেন যে, তাঁর অশ্রু পাথরকে বিগলিত করেছিল যার উপরে তিনি প্রণাম করেছিলেন। সেই পাথর আজও দেখতে পারেন যদি আপনারা নীলাচলে যান, তাঁরা পাথরটি দিয়ে একটি মন্দির নির্মাণ করেছেন।

আমাদের হৃদয় পাথরের মতো শক্ত হতে পারে! কিন্তু চৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপায় আমাদের পাথরের মতো শক্ত হৃদয় গলিত হতে পারে! অনুগ্রহপূর্বক শ্রীজগন্নাথদেবের মহিমা শ্রবণ করুন!

জয় আলারনাথ ভগবান 🙏❤️
জয় জগন্নাথ ❤️🙏

আপনারা কি জানেন❓

রথের রশি স্পর্শের মহিমা সম্পর্কে আসুন আজকে জেনে নি 👇 ❗

★রথের রশির নাম বাসুকি❗

জগন্নাথদেবের রথের রশি একটি বার স্পর্শ করার জন্য আকুল হয়ে পড়েন ভক্তরা। পুরী, কলকাতার রথ কিংবা বিশ্বব্যাপী ইসকনের রথ ---সর্বত্রই রথের রশি ছুঁয়ে দেখার জন্য মানুষের ভীড় উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। আসলে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, জগন্নাথদেবের রথের রশি স্পর্শ করলে পুনর্জন্মের কষ্ট সহ্য করতে হয় না।

এক সময় পুুরীর রথযাত্রায় জগন্নাথদেবের রশি ছুঁয়ে সেই রথের চাকার তলায় আত্মঘাতী হত
কোনো কোনও ভক্ত। কেন এই অদ্ভুত মৃৃত্যুবরণ? মানুষের বিশ্বাস শ্রীপুরুষোত্তমের চাকার নীচে প্রাণ বিসর্জন দিতে পারলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়ে স্বর্গারোহণ নিশ্চিত করা যায়।

শ্রীচৈতন্যদেবের অন্যতম প্রিয় শিষ্য সনাতন গোস্বামী অসুস্থতার কারণে একবার রথযাত্রার দিন জগন্নাথদেবের চলন্ত চাকার তলে প্রাণ বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন। তখন মহাপ্রভুই তাঁকে বলেন, সনাতন, এরকম দেহ ত্যাগে যদি কৃৃষ্ণকে পাওয়া যেত তাহলে এক মূহুর্তের মধ্যে আমিও আমার লক্ষ জন্ম তাঁর শ্রীচরণে সমর্পন করতাম। কিন্তু দেহত্যাগে কৃৃষ্ণকে পাওয়া যায় না। এরকম দেহত্যাগ হচ্ছে তমোগুণ। তমোগুণে কৃৃষ্ণকে পাওয়া যাবে না। ভক্তি ছাড়া, ভজন ছাড়া তাঁকে পাওয়ার উপায় নেই।

ইন্দ্রনীলময় পুুরাণের মতে, জগন্নাথের রথের রশি সামান্য স্পর্শ করলেও পুনর্জন্ম হয় না। ' পুনর্জন্ম ন ভূঞতে।' শ্রীজগন্নাথের বামন অবতার রথে। সেই রথ দর্শন করার পর একটু টানতে পারলেই পুনর্জন্ম হয় না সূতসংহিতায় রয়েছে -- ' রথে তু বামনাং দৃৃষ্টা, পুনর্জন্ম ন বিদতে। অতএব ধার্মিক সনাতনী বিশ্বাস করেন যে, রথের রশি ছোঁয়ার থেকে বড় পূর্ণ আর কিছুতে হয় না।'

রথযাত্রা নিয়ে কপিল সংহিতায় আছে-- গুন্ডিচাখ্যং মহাযাত্রা যে পশ্যন্তি মুদনিতাঃ সর্বপাপ বিনির্মুক্তা তে যান্তি ভুবন মম।' অর্থাৎ জগন্নাথদেব বলছেন, গুন্ডিচা মহাযাত্রায় যে ব্যক্তি আমাকে দর্শন করবে সে কালক্রমে সব পাপ থেকে মুক্ত হয়ে আমার ভুুবনে যাবে। রথের রশি ছুঁয়ে রথ টানা শুধু নয়, বেশীর ভাগ মানূষ রথের রশি যতটুকু পারে ছিঁড়েও নেয়। টুকরো টুকরো রথের রশির সুতো মাদুলি করে ছোট ছেলে-মেয়েদের হাতে ও গলায় পরিয়ে দেয়। বড়রাও পরেন। মানুষের বিশ্বাস এই মাদুলি সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবে। অসুখ- বিসুখ হলেও তাড়তাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠবে, অনেকেই রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে। ঘুমের ঘোরে চেঁচিয়ে ওঠে। এরকম কারও মাথায় রশির টুকরো অংশ ছুঁইয়ে দিলে কিংবা তার বালিশের নীচে রেখে ঘুমোলে দুঃস্বপ্ন আসে না। স্কন্দপুরাণ, বামদেব সংহিতার প্রসঙ্গ টেনে বলা যায় যে, জগন্নাথদেবের রথের রড়ি ধরে টানতে পারলে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়। রথ বা উল্টোরথে দেখা যায় ছোট-ছেলেমেয়েরা খেলনা রথ টানে,পথচলতি বয়স্ক লোকেরাও সেই রথের রশি একবার স্পর্শ করে। আসলে মানুষের বিশ্বাসটাই বড় কথা।

Beraj Devotional Vlogs

জয় জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা মায়ী কি জয়🌺🙏🏻