Prince Shakib

সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল ... অন স্ক্রিনে যেমনটা দেখতে পাচ্ছেন? কি মনে হয় আপনার? ?? এই বাচ্ছা শিশুটির কি অপরাধ ছিল?? কেন তাকে নির্মমতার শিকার হতে হল?? কে ছিল এই বরবরতার পেছছে??

কি লাভ এই চেয়ারের? একটা চেয়ারের লোভে আমরা এতটাই বিভোর যে আমরা মানুষ মারতেও দিধা করিনা। ধিক্কার জানাই যারা এইভাবে ক্ষমতার লোভে মানুষ মারছে।
এই ছবির লোকটাকে টেনে হেচরেও কেউ ট্রেইন থেকে বের করতে পারেনি। তিনি মরে যাওয়ার আগে বারবার বলছিলেন, "আমার বউ বাচ্চা আগুনে পুড়ে গেছে, আমি বের হয়ে কি করবো?"

আহহহ! আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুক। আমিন।🥹🥹🥹🥹

Salaar দেখার পর যা বুঝলাম !
ডিরেক্টর সাহেব বলছিল নাকি KGF এর সাথে মিল নাই ! But also বহু মিল !! KGF এ রকি ভাই (ইয়াশ) নিজেই ভিলেন আর Salaar এ প্রবাস নায়ক রুলেই এন্ট্রি ! আর Salaar গল্প KGF এর background তুলে ধরা ! যেমন, KGF এ গালিবয়রা ছিল অ/শিক্ষিত আর Salaar এ নায়কের মা সেই গলিবয়দের শিক্ষা দান করেন !! , KGF এ সাধারণ পুরুষদের দিয়ে কঠিন সব কাজ করত ! যে না পারতো বা দুর্বল হয়ে যেত তাদেরকে অন্ধকারে নিয়ে মে/রে ফেলা হত! আর Salaar এ নারীদের দিয়ে কাজ করত, একেক করে অল্প বয়সের মেয়েদের নির্যাতন করে মা/রা হয়!! Moral of the story ঘুরে ফিরে প্রায় সেইম !! আমার মনেহয় Salaar মুভির ডিরেক্টর KGF থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই Salaar মুভি করে !! তবে মুভিটা আমার কাছে জুস লেগেছে !!!

৫০ কোটি টাকা সরকারি অনুদানে মুভি বানাইলেন, ' মুজিব একটি জাতির রূপকার ' যাতে মানুষ আপনার বাপের ইতিহাস জানে।

যাতে মানুষ তাকে সম্মান করে, ভালোবাসে ।

জায়গায় জায়গায় জাতির জনকের নামে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেন, হাসপাতাল খুললেন, ম্যুরাল বানালেন ।

কি হইলো আদতে?

আপনি জ্ঞানী মানুষ, স্মার্ট মানুষ ,
কিন্তু সত্যিকার অর্থে কি করলে আপনার বাপরে মানুষ ভালোবাসতো, তা ঠিকঠাক বুঝতে পারলেন না ।

মুজিবের মুভি দেখে যে মানুষটা কাঁদলো, আপনি তারে দেখলেন, কিন্তু যে মানুষটা ৮০ টাকার নিচে তরকারি নাই বইলা ঝরঝর করে কেঁদে ফেললো সাংবাদিকদের সামনে, তার কান্না আপনার চোখে পড়লো না ।

এই যে ভৈরবে রেল দু*র্ঘটনায় এত মানুষ মা*রা গেলো, তার দায় আপনি নিবেন না । তার দায় আপনার রেল মন্ত্রণালয়ও নিবে না।

অথচ মাহবুব কবির মিলন নামে একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা চেষ্টা করেছিলো, রেল মন্ত্রণালয়ে বারবার অনুরোধ করেছিলো-

জিপিএস প্রযুক্তি কাজে লাগানোর জন্য , এক লাইনে দুটো ট্রেনের তাতে কখনোই সংঘ*র্ষ হবে না।

কিন্তু রেল মন্ত্রণালয় তা শুনলো না ।

আদতে আপনারা স্মার্ট মুখে, জনগণের টাকা পা*চারে, ঋণখেলাপীদের সহায়তা দানে, দু*র্নীতিতে-

কিন্তু প্রযুক্তিতে না...

পর্তুগাল, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে একজন রো*গীর ভুল চিকিৎসায় মৃ*ত্যুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রী পদত্যাগ করলো ।

ভৈরবে ২০ জনের মৃ*ত্যুতে আপনার মন্ত্রণালয় কি করবে? আপনি কি করবেন?

সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ প্রকাশ করে, দামী গাড়ি চড়ে রাস্তা বন্ধ করে বাড়ি ফিরে বউ ছেলে নিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খাবেন সবাই ।

আপনি আসলে আপনার বা*পের জন্য, মানুষের জন্য না ।

দেশের মানুষের জন্য হইলে, রাস্তায় রাস্তায় মুজিবের ম্যুরাল বানাইতে হইতো না, বিশ্ববিদ্যালয় বানাইতে হইতো না, হাসপাতাল বানাইতে হইতো না, মানুষ এমনিই বলতো-

'বাপে স্বাধীনতা আনছে, আর মেয়ে তা বাঁচাইয়া রাখছে মানুষের ভেতর ৷'

কারো ভালোবাসা বাড়াইতে গিয়ে উল্টো তার সম্মান কমানের ইতিহাস মনে হয় প্রথম আপনিই রচনা করলেন... মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ।

-Collected from FB source

বয়স ১০৬ বছর! ওনার মুখ থেকে শোনা... সময়টা ছিল আশি'র দশক সেকালে ২ গন্ডা জমির দাম ছিল মাত্র ২৫০ টাকা ! ১টাকার বাজার সদাই করলে বস্তা ভর্তি বাজার নিয়ে আসা যেতো!! কোথায় গেল সেই সোনালী দিন !! এখন এসব আমাদের কাছে কল্পনা/গল্প ছাড়া কিছুই নয় !

Life is like riding a bicycle! to keep your balance you must keep moving.

দেখতে দেখতে এক মাস কেটে গেলো মা টা

"প্রিয়তমা" মুভির কাহিনী কি ছিল? কেমন লাগছে আমার কাছে...

১. সুমন (শাকিব) তার বাবার ২য় ছেলে যে কি না একটু ভবঘুরে টাইপ.... সুমনের বড় ভাই (শিবা) একটা মাছের প্রজেক্টে কাজ করে (চট্রগ্রাম) হুঁট করেই তার বড় ভাইয়ের ম্যানাজারের অপমৃত্যু ঘটে! যার সূত্রপাতে সুমনের বড় ভাই তার বিজন্যাস এড়িয়াতে যায় কিন্তু লাশ হয়ে ফিরে আসে!! এখান থেকেই টান টান উত্তেজনা!! কে তার ভাইয়ের আসল খুনী!?....

২. যার সূত্রপাত ধরে নায়কের ভাবি সেখানে (চট্রগ্রাম) যায় এবং মার খেয়ে ফিরে আসে! এরপর নায়কের এন্ট্রি! গিয়ে প্রথমে ২টা থাপ্পড় লাগায় তার বড় ভাইয়ের বিজনেস পার্টনারকে! মানে মুভির শুরু-টা বেশ জমজমাট ছিল! (ওভার এক্টিং ছিল না, সিম্পল & প্রফেশনাল)
টাকার ফের ধরে ইতির (ইধিকা) বাড়ি যাওয়া.... বিলের পাসে ইতি ঘুড়ি উড়াচ্ছে একধেনে! পেছন দিক থেকে সুমন (শাকিব) সালাম দেয়, ইতি ফিরেই বলে হাম কি? ধরেন নাটাই! ঘুড়ি পানি-তে পরে ভিজে গে-লেই ইতি রেগে আগুন! লাল লাল চাহনি!! ইতির পিছু পিছু তার বাসায় সুমন!

-চেয়ারম্যান সাব বাড়িতে আছেন কি?
-আব্বু go ঢাকা, yesterday আসবে!
-গতকাল? মানে গতকাল কি-ভাবে আসবে?
-ইতি+ ঐ মিয়া আপনি ইংরেজী বুঝেন না? ইয়েস্টাড্ডে... মানে আগামীকাল :-D (এই সিন টা সত্যি মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো ছিল, তার এক্সপ্রেশন, লোক, সবি ছিল প্রফেশনাল, কোনো ওবার রিয়েক্ট ছিলনা) এই ধাপে এসে মুভির মোর ঘুরে যায়....

ইতি (ইধিকা) সুমন-কে (শাকিব) পটানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা... অন্যান্য বাংলা মুভিতে যেটা হয় যে হুট়্ করেই গান!! এখানে সেটি ছিল না... একটা ক্যামিস্ট্রি তৈরি হয়... দু'জন দু'জনের আবেগ আদান প্রধান, এর মাঝে যাস্ট গানের সুর ভাসে! এরপর ইতি সুমন হাঁটি হাঁটি পা পা একটা পাহাড়ের গা ঘেঁসে সমুদ্র তীরে যায়...
-ইতি)+ জানেন, এই জায়গা-টা আমার খুব প্রিয়, যখনই মন খারাপ লাগে এখানে একা একা বসে থাকি আর কত কি ভাবি!
-সুমন)+ কি ভাবছো এমন?
-এই-তো, একজন রাজকুমার তার পংখিরাজ ঘোড়ায় চরে আসবে, এসে আমার সামনে হাঁটু ঘেরে বসবে আর বলবে "তুমি কি আমার প্রিয়তমা হবে"? (ফের অট্ট হাসি) জাস্ট মাইন্ড ব্লইং!!! হা হা মজা করছিলাম...
--ইতি শুন, আমি কোনো রাজকুমার নই, আমার পংখিরাজ ঘোড়াও নেই, আছে শুধু এক-রাজ্য ভালোবাসা "তুমি কি আমার প্রিয়তমা হবে"? .... ফের ইতি দৌড়ে এসে সুমন-কে বুকে জড়িয়ে নেয়... তারপর সেই গান বেজে উঠে...(বালাম এর ও প্রিয়তমা আমার প্রিয়তমা)

৩. ক্যামিস্ট্রির মাঝে আবার ফাইট, ইতির বাবা (সাবেক চেয়ারম্যান) & সুমনের ভাইয়ের বিজনেস পার্টনার ঐ লোক যে নায়কের হাতে মার খায়! নায়কের সায়েস্তা করতে পিছু ছুটে! চেয়ারম্যানের কথায় তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেয় ঠিকই কিন্তু তা আবার রিটার্ন করে তবে একটা পলিচি খাটায়! ইতি সুমন দু'জনকে ফাঁসিয়ে, ইতির মাথায় আঘাত করে, সুমনকেও মারধর করে (হস্পিটালে ভর্তি দুজন)

৪. সুমন ঢাকা ফেরার পথে (বাসায়) ইতির সাথে লাস্ট দেখা...
-ইতির বাবা- তুমি ঢাকা যাওয়ার পরে ইতির সাথে আর কোনো যোগাযোগ রাখবে না, ইতির বিয়ে ঠিক (এম্পির ছেলের সাথে)

ফেরার পথে....
ইতি- আমি তোমার বউ হবো, আর কারো হব-না, নিজেকে নিজে সামলে নিব শুধু তোমার জন্যে.... ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ((মাইন্ড ব্লইং সাউন্ড ইফেক্ট!!)) emotional effect! Music.... +১০

৫. বাসায় ফিরে কলে না পেয়ে হতাশ! সুমন, অনেক খুঁজা খুঁজি করেও তার দেখা মিল্লনা ইতির!! এর মাঝে " মন ছুয়ে যাওয়ার মতো একটা গান প্লে হয়... ইভেন মুভিতে একটাও ফুল গান প্লেয় হয় নি! যেন কারো বোরিং ফিল না হয়.... আর যেটা সব থেকে বেশী ভালো লাগছে, এই মুভিতে কোনো ধরনের ((বাজে/খারাপ সিন নেই! কোনো অশ্লীলতা নেই, নেই কোনো ওভার রিয়েক্ট))

৬. এর মাঝে ইতিকে হারিয়ে সুমন প্রায় পাগল পাগল!! নায়ক তার বন্ধু-কে বলছে দেখ আমি ইতিকে ভুলে গেছি একবারও মনে পড়ছে না! এই যে আমি তাকে ভুলে গেছি, আমার জাগায় অন্যকেউ থাকলে বিড়ি খাই তো নষ্ট হয়ে যেত, দেখ আমি কত ভালো আছি, হাম ভুলেই গেছি একটুও মনে পড়ে না!!! ((অথচ, নায়ক সারাক্ষন নাইকার শোঁকে কাতর)) মুখ ভর্তি দাড়ি, উষ্ক শুষ্ক চেহারা))

৭. ইতি ফিরে এসে সুমনকে বলে তার বিয়ে হয়ে গেছে, সুমন কশিয়ে চর মারে, ভুলে যাবার ব্যর্থ প্রচেষ্টা... বিয়ে করবে বলে, ইতিকে নিয়েই মার্কেটে যায়.... শাড়ি দেখে সেটা ইতিকে দিয়ে ট্রায়াল দেয়,
ইত-এই শাড়িটা কেমন হবে?
সুমন-তোমাকে একদম বাজে লাকছে, একদমই মানাচ্ছে না তার চেয়ে বরং আমার লতাকে দারুণ মানাবে কারণ লতা তোমার চেয়ে হাজারগুন বেশি সুন্দুরী :-P ..... (( Second নাইকা লতা)) )

তারপর ইতি বাসায় ফিরে তার ভাই-কে বলে......
"ভাই তুই আমায় কতটা ভালবাসিস?
ভাই- আফা তোকে আমি.....

(যে সিনটা হাজারও দর্শক কে কাঁদিয়ে ছিল))!!

ভাই যে জীবনে একবার প্রেম করছে সে কাঁদবেই এই সিন দেখে (Emotion) একটা গল্পের মাঝে ঢোকে গেলে সেটি emotional effect পরবেই! ((বড় ছেলে/বুকের বা পাশে ঐ টাইপ))

আমার চোখেও পানি চলে আসে এটা দেখার পর.... :-)

যার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলনা!!!! হঠাত়্ ক্লাইমেস্ক থেকে এন্টি-ক্লাইমেস্ক!!!

১০. সুমন বদ্ধ ঘরে একা একা বাস করতে লাগে..... বৃদ্ধ হয়ে যায়....
((ঈশ্বর কি তোমার আমার মিলন লিখতে পারতো না)) !!

# # ৮ এবং ৯ নম্বর পয়েন্টের গল্পটা তুলে নিলাম, সবাই ভাবছেন মুভি দেখা শেষ এই জন্য! ((৮ নম্বর পয়েন্টে ইতির লাইফে tragedy নেমে আসে, সুমনকে ইতির বিয়ের কথা বলা.... আদৌ কি ইতির বিয়ে হয়েছিল? এবং কি সেই tragedy তা জানতে এবং

# ৯ নম্বর পয়েন্ট হচ্ছে সুমনের ভাইয়ের খুনি! কে ছিল তার উন্মাচন এবং পরিশেষে ১০ নম্বর পয়েন্টে সুমনের বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর কি হয়েছিল!? Second নাইকা 'লতা' কে সে? লতা এবং সুমনের chemistry কি ছিল তা জনতে তা জানতে হলে চোখ রাখুন বড় পর্দায় ^_^

-ধন্যবাদ

((শেষ সিন টা ছিল বেশ চোখ ধাঁধাঁনো! চোখ কপালে উঠার মতো)) যার জন্য দর্শক একদমই প্রস্তুত ছিল না :-)


(( ভিলেন/নায়কের অভিনয় ছিল প্রফেশনাল মানের!! কোনো বুরিং ফিল আসে নি!! ((শুধু খারাপ লাগার দিকটা হচ্ছে "কুরবানি গানটা ভালো লাগে নি, লিরিংক্স করিওগ্রাফি + সিন প্রফেশনাল হয় নি, এছাড়া মাজার পূজা ফুটিয়ে তোলা টা একেবারে বাজে ছিল!!, ফাইটিংও ভালো হয় নি ))

#পিয়তমা

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ডঃ জাফরুল্লাহ

বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ ওষুধ নীতির অন্যতম প্রণেতা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও নাগরিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে

🙏🏼🙏🏼মানবিক আবদার🙏🏼🙏🏼
আপনার একটু সহানুভূতি যেন বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ।

নাম-সুমন, কর্ম-ড্রাইভিং (বর্তমান অফ)
পরিবার- এক ছেলে ফয়সাল(হেফজো খানায় অধ্যায়নরত)
ঠিকানা- ৩নং উত্তর খোশবাস, বরুড়া, কুমিল্লা

আজ প্রায় দীর্ঘ ৪ মাস যাবত পায়ের গোড়ালিতে আঘা*ত প্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসাদিন চলছে.... দিন আনে দিন খায়! যে কারনে নিজের চিকিৎসা চালাতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে.... (বর্তমান একদম অচ*ল)

নগত- +88 015 2121 3707 (personel)
বিকাশ- +88 018 7095 3637 (personal)

রমজান মাসে যত আমল তত বেশি ছোয়াব!!
plz share করে অন্যকে জানিয়ে দিন.....।।

"৪২ থেকে ১৮তে নেমে আসলেন পূর্ণিমা"

বিস্তারিত.......

তুরস্ক-সিরিয়ার কোন এক ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া পবিত্র কুরআনুল কারীমের যে পৃষ্ঠাটি দেখা যাচ্ছে তাতে লেখা আছে নিন্মোক্ত বাণীসমূহ-
وَكَمْ قَصَمْنَا مِن قَرْيَةٍ كَانَتْ ظَالِمَةً وَأَنشَأْنَا بَعْدَهَا قَوْمًا آخَرِينَ
আমি কত জনপদের ধ্বংস সাধন করেছি যার অধিবাসীরা ছিল পাপী এবং তাদের পর সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি।
فَلَمَّا أَحَسُّوا بَأْسَنَا إِذَا هُم مِّنْهَا يَرْكُضُونَ
অতঃপর যখন তারা আমার আযাবের কথা টের পেল, তখনই তারা সেখান থেকে পলায়ন করতে লাগল।
لَا تَرْكُضُوا وَارْجِعُوا إِلَى مَا أُتْرِفْتُمْ فِيهِ وَمَسَاكِنِكُمْ لَعَلَّكُمْ تُسْأَلُونَ
পলায়ন করো না এবং ফিরে এস, যেখানে তোমরা বিলাসিতায় মত্ত ছিলে ও তোমাদের আবাসগৃহে; সম্ভবত; কেউ তোমাদের জিজ্ঞেস করবে।
قَالُوا يَا وَيْلَنَا إِنَّا كُنَّا ظَالِمِينَ
তারা বললঃ হায়, দুর্ভোগ আমাদের, আমরা অবশ্যই পাপী ছিলাম।
فَمَا زَالَت تِّلْكَ دَعْوَاهُمْ حَتَّى جَعَلْنَاهُمْ حَصِيدًا خَامِدِينَ
তাদের এই আর্তনাদ সব সময় ছিল, শেষ পর্যন্ত আমি তাদেরকে করে দিলাম যেন কর্তিত শস্য ও নির্বাপিত অগ্নি।
[সুরা আল আম্বিয়া: ১১-১৫]

ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো,
ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে।( বাণীতে ডিভোর্সি নারী)

পরিস্থিতি যেমনই হোক, ডিভোর্স কখনো সুখ দেয়না!!
কমপক্ষে কোন মেয়ে সুখী হতে পারে না।

এক ডিভোর্সি নারীর বাস্তব জীবনী😭

জানিনা, আমি কেন লিখছি। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই আর কেউ আমার মতো ভুল না করুক। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই ঠুনকো কারণে সংসারগুলো ভেঙে না পড়ুক।
আমি ঊনিশ বছর বয়সী একজন নারী। আমাদের বিয়ে হয়েছিল আমার পছন্দে। সংসারও টিকে ছিল দের বছর। আমাদের একটা ছেলেও আছে, ওর বয়স এখন এক বছর।
আমার স্বামীর স্বভাব-চরিত্র সবই বেশ ভালোই ছিল। শুধু একটু জেদি । অবশ্য তাও সবসময় না, মাঝেমধ্যে। মানুষ ভাবে ওর বদ জেদের জন্যই বুঝি আজ এই অবস্থা, কিন্তু আমি জানি, আমাদের সমস্যার শুরুটা ওর দিক থেকে হয় নি।

সব সংসারেই তো টুকটাক কিছু সমস্যা থাকে। ওরকম আমাদের মধ্যেও মাঝেসাঝে ঝগড়া-ঝাটি হতো। কিন্তু ঝগড়া বাধলেই আমি তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাপের বাড়ির দিকে হাঁটা দিতাম। বাপের বাড়িতে বোনরাও আসতো, আর ভাইরা তো ছিলই। ওদের কাছে কেদেকেটে সব বলতাম। তখন সবাই ওকে ফোন করে কথা শোনাত। আমার ছোট বোন তো রীতিমত অপমান করত!
আমার কাছেও মনে হতো, ঠিকই আছে। কত বড় সাহস, আমার সাথে লাগতে আসে। আমাকে নিজের মতো চালাতে চায়। আমার মধ্যে কেমন একটা জেদ কাজ করতো। ওর কাছে ছোট হব, ওর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করব, মাফ চাইব, এটা ভাবতেই পারতাম না। উল্টো বড় গলা করে বলতাম, “ডিভোর্স দাও! তোমার মতো লোকের সাথে কে সংসার করে?”
নাহ, ডিভোর্স আমি কখনোই মন থেকে চাই নি। ওটা ছিল মুখের কথা।
ওর সামনে ছোট হওয়ার চাইতে ডিভোর্স চাওয়াই আমার কাছে সঠিক মনে হতো।

একদিনের কথা এখনও মনে পড়ে। সেদিন ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে তর্ক করতে করতে দুজনেই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছি। রাগে আমার শরীর কাঁপছে। যা মুখে আসছে তাই বলছি। তুই-তোকারি, গালিগালাজ, অপমান কিচ্ছু বাদ যায় নি। এক পর্যায়ে সহ্যের বাধ ভেঙে ও আমার গায়ে হাত তুললো!
এর আগে কিংবা পরে কখনোই ও আমার গায়ে হাত তুলে নি। কিন্তু ঐ একটা থাপ্পড়, ওটাই যথেষ্ট ছিল।
আমি বাপের বাড়ি চলে গেলাম। আর হ্যাঁ বরাবরের মতো এবারও নিজের দিকটা না বলে খালি ওর দিকটাই বলে গেলাম। মানুষের দোষ দিয়ে আর কী লাভ! সবাইকে যা বলেছি, সেটার উপর ভিত্তি করেই তারা বিচার করেছে। পরিবারের সবাই বললো, এমন ছেলের সাথে সংসার করার কোনো দরকার নাই। মামলা ঠুকে দাও।
আমি সবার পরামর্শে মামলা করলাম।
ওর নামে নারী নির্যাতনের কেইস করা হল। খুব দ্রুতই ওকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। ওর পরিবার থেকে মুরুব্বিরা এসে বার বার অনুরোধ করল, আমি যেন এই কেইস তুলে নিই।
ভেতরে ভেতরে আমিও চিন্তা করতাম, আচ্ছা, আমার স্বামী কি আসলেই জালেম? ও কি কোনদিন নিজে থেকে আমার গায়ে হাত তুলেছে? আমি যদি ওকে এত কথা না শোনাতাম, তাহলে কি ও আমার গায়ে সেদিন হাত তুলতো?
আমার বাবা মা আমাকে বুঝিয়েছিল, আমি যদি এতকিছুর পর ফিরে যাই, তাহলে ও ভাববে, আমি বুঝি অসহায়। আমাকে আরো পেয়ে বসবে। আমার উপর ইচ্ছামত ছড়ি ঘুরাবে। একবার গায়ে হাত তুলেছে মানে বার বার একই কাজ করবে। কাজেই নিজে থেকে ফিরে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।
কিন্তু আমার মনের ভেতর কে যেন চিৎকার করে বলতো, ও তো এমন লোক না। ও যেদিন আমার গায়ে হাত তুলেছিল, সেদিনই হাটু জোর হয়ে আমার কাছে মাফ চেয়েছে। এসব ভেবে ভেবে আমি মামলা তুলে নিলাম। তবে ওর কাছে ফেরত গেলাম না।
কিছুদিন পর দুই পরিবার থেকে বিচার-সালিশ হল। সবার কাছে ও দোষী প্রমাণিত হল। সবাই ওকে নানা কথা বোঝাল, উপদেশ দিল। তারপর আবার সংসার শুরু করলাম।
এর পরের কয়েক মাস ভালোই চলছিল, কিন্তু হুট করে আবার কী একটা নিয়ে আমাদের ঝগড়া বেধে গেল। ব্যস, কাপড়চোপড় গুছিয়ে আবার আমি বাপের বাড়ি গিয়ে উঠলাম। এর মধ্যে শুনলাম ও নাকি খুব অসুস্থ ! আমি বাসায় ফিরতে চাইলে আমার পরিবার বললো, এভাবে একটা ঝগড়ার পর একা একা ফিরলে সেটা ভালো দেখায় না। আর আমার বোনদের কথা ছিল, ওসব অসুস্থ-টসুস্থ কিছু না, সব বাহানা!

আমরা চাচ্ছিলাম ঐ পক্ষ থেকে কিছু আত্মীয়-স্বজন এসে ওর ভুল স্বীকার করে আমাকে হাতেপায়ে ধরে নিয়ে যাক। কিন্তু এবার কেউই আসলো না।
এরও কিছুদিন পর ও আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিল। ডিভোর্স লেটার দেখে আমাদের পরিবারের সবাই খুব খেপে গেল। কতবড় সাহস, মেয়েকে এত কষ্টে রেখেছে, তার উপর ডিভোর্স লেটার পাঠায়। সবার কথায় আমার কাছেও মনে হলো, ঠিকই তো, কত বড় সাহস! আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়? ওর সব ভুলগুলো চোখের উপর ভাসতে লাগলো।মা বাবা মনে করিয়ে দিলো, ও হলো সেই ছেলে যে কিনা আমার গায়েও হাত তুলেছে।
প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে আমিও ঠিক করলাম, এবার ডিভোর্সই দেব। কে চায় এমন ফালতু লোকের সংসার করতে? কোর্টে গিয়েও ওকে হেনস্থা করার চেষ্টা করলাম। আমার মাসিক খরচ বাড়িয়ে একটা আকাশছোঁয়া অংক দাবি করলাম! আমি চাচ্ছিলাম ওর যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। যেন নিজে থেকে আমার কাছে এসে আবার সংসার করতে চায়। আসলে ডিভোর্স হোক আমি কখনোই চাই নি৷ কিন্তু জিদ আমাকে খেয়ে নিচ্ছিল। আগ বাড়িয়ে ওকে ডিভোর্স তুলে নিতে বলা আমার পক্ষে অসম্ভব! ওর কাছে ছোট হওয়া আমি মানতেই পারি নি।
কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, ও আমার আকাশছোঁয়া সমস্ত দাবি মেনে নিলো। আমাদের ছেলেকে আমি পেয়ে গেলাম। ভরণপোষণ, মাসিক খরচ, ওর সম্পত্তি সব! বিনিময়ে ও পেলো শুধু ডিভোর্স।
আমাদের ডিভোর্স হয়েছে আজ সাড়ে তিন বছর।
ও আবারও বিয়ে করেছে। সুখেই আছে বোঝা যায়। আসলে ওর মতো নির্ঝঞ্ঝাট স্বামীকে নিয়ে মেয়েরা হয়তো সুখেই থাকবে।
এখন আমার নিজের কথা ভেবে আফসোস হয়। মানুষের মুখের কথা কখনো কখনো ছুরির চেয়েও ধারালো হতে পারে। ও আমাকে একবার থাপ্পড় মেরেছিল ঠিকই, কিন্তু আমি কথার তীরে ওকে ছিন্নবিছিন্ন করে ফেলতাম। শারীরিক নির্যাতন করি নি সত্যি, কিন্তু মানসিকভাবে কষ্ট দিতাম। এসব কথা আমার মা বাবাকে কখনোই বলা হয় নি। নিজের দোষের কথা মানুষ কতটাই বা বলে!
মাঝে মাঝে ভাবি, ইশ, আমার পরিবার যদি একটু নিজে থেকে বুঝে আমাকে সংসার করার উপদেশ দিতো। যখন আমি ওর কাছে ফিরে যেতে চাইতাম, তখন ওর খারাপটা না বলে যদি একটু ভালো দিকগুলোর কথা মনে করাতো! আমি যদি নিজের জিদ নিয়ে পড়ে না থেকে, একটু ওর কাছে নত হতাম! তাহলে হয়তো আজ আমাকে এই দিন দেখা লাগতো না।ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো,
ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে।

আজ আমার ভাইবোন বন্ধুবান্ধব সবার নিজেদের সংসার আছ কিন্তু ছোট্ট ভুলে সব শেষ হয়ে গেছে তাই দোয়া করি আর কারো সাথে যেন এমন না হয়।
-Collected

জিত্তা গেছি :-D :-D

আহা গো নেইমারবাসি জন্য সমবেদনা রইলো, ^_^

একজন মেসি ভক্ত ফ্যান

আর্জেনটিনা মানেই আগুন🔥
ব্রাজেলিয়ানরা 7up খেয়ে কেমনে পাট লয় বুঝিনা🫣

"যেতে নাহি দিব হায় তবু যেতে দিতে হয়"

ছোটবেলা মনে করতাম যেই স্যার মারে সেই স্যার ভালোনা আর সেই স্যার মারেনা, পড়া ধরেনা, সেই স্যার সবার চেয়ে ভালো!! কিন্তু সময়ের আবর্তনে একটু বড় হবার পর বুঝতে শিখি যে, সেদিন যেই স্যার মেরেছিল পড়া-শুনার জন্য তিনি যদি আরও একটু বাড়িয়ে শাসন করতো তাহলে হয়তো আরো ভালো হতে পারতাম!

স্কুলে থাকাকালে ভাবতাম কলেজে গেলে স্বাধিন! কলেজে উঠার পর বুঝলাম সবই ছলনা! আবার কলেজে থাকাকালে ভাবতাম ভার্সিটিতো একেবারেই স্বাধিন!! যেখানে কেউ মারেনা বকেনা শাসন করেনা!! ভার্সিটিতে পা রাখার পর বুঝলাম আসলেই তাই!

কিন্তু এটাও চরম সত্য যে, ভার্সিটিতে কেউ স্কুল লাইফের স্যারদের মতো করে শাসন করেনা! তবে আমি গর্বিত আমি স্কুল লাইফের সেই স্যারের মতো একজন স্যার পেয়েছি আমার ভার্সিটি লাইফে! যার কথা না বললেই নয়.... তিনি আমার প্রাণ প্রিয় স্যার আব্দুল কাইয়ুম নিজামি - হেড অফ ইনংলিশ ডিপার্টমেন্ট, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ।

আজ ৩০-শে জুলাই স্যারের বিদায় ঘন্টা বাজে আমাদের এই আঙ্গিনা থেকে...! স্যার যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন মলিন চোখে স্যার'কে দেখছিলাম, মনের অজান্তেই একফোটা জল এসে চোখের কোণে টলমল করে উঠে! স্যার কিছু আবেগ আফ্লুত কথা বলে নিজেই কেঁদে ফেলেন... :-)

আমার লাইফে দেখা বেষ্ট টিচারের মধ্যে তিনি অন্যতম! ভার্সিটি লাইফে এসে কোনো স্যার এভাবে নিঃশ্বার্থভাবে এতোটা কষ্ট করে না ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য! অথচ স্যার'কে দেখেছি আমি খুব কাছ থেকে....

কিছু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করা যায়না! যেমনটা প্রিয় স্যার.....
©Shakib